আমার জানামতে, এসময় দুইটা প্রক্রিয়া চালু হয় যা পিরিয়ডের স্বাভাবিক সময়কালকে পিছিয়ে দেয়।
মূলত আপনার ওভুলেশনের পরের ১০-১৪ দিন সময়কে বলে লুটিয়াল ফেইজ, এই সময়ে রক্তে লুটিনাইজিং হরমোনের মাত্রা প্রথমে বাড়ে এবং পরে বাড়া থেমে যায়। প্রজেস্টেরন প্রথমে বাড়ে এবং পরে হ্রাস পায় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এস্ট্রোজেন।
এই সময়েই দেখা যায় মেয়েদের মন মেজাজ খারাপ, মুড সুইং, ডিপ্রেশান, ব্লোটিং, মাসল ক্র্যাম্প শুরু হতে থাকে, কারন এই সময় বডি ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম ওভার ইউজ করে।
এখন, ওজন বাড়ার সময় সাধারনত এস্ট্রোজেন, ইনসুলিন এই দুটো হরমোন হাই লেভেলে থাকে। এখন লুটিয়াল ফেইজের চালক হরমোন হচ্ছে এস্ট্রোজেন, এই হরমোন আপনার যত বেশি থাকবে, আলটিমেটলি আপনার লুটিয়াল ফেইজ তত লম্বা হবে। কারন আমাদের লিভার এই হরমোনকে রক্ত থেকে শুষে নিয়ে স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত পিরিয়ড শুরু হবে না। ফলে মাসের পর মাস চলে গেলেও আপনার পিরিয়ড শুরু হবে না। এটাকে এস্ট্রোজেন ডমিন্যান্স বলা হয়।
পক্ষান্তরে, অনেকের দেখা যায় প্রজেস্টেরন লেভেল কম থাকে, দ্রুতই শেষ হয়ে যায় লুটিয়াল ফেইজ।
প্রথম গ্রুপ, যাদের এস্ট্রোজেন ডমিন্যান্স থাকে তারা সাধারনত সহজে গর্ভধারন করেন না, অনেকেরই আছে প্রকৃতপক্ষে এগই তৈরি হয় না।
পক্ষান্তরে, লো প্রজেস্টেরন (দ্বিতীয়) গ্রুপের ক্ষেত্রে রিস্ক বেশি মিসক্যারেজের।
আমার চেম্বারে কেউ যদি এসে একদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকে সে দেখতে পাবে অন্তত ২-৩ জন রোগী থাকবেই যাদের কয়েকটা মিসক্যারেজ হয়েছে।
এই প্রবলেম থেকে মুক্তির উপায় কি??
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, থেরাপিউটিক ডায়েট, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ এবং প্রয়োজনে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট অনুমোদিত সাপ্লিমেন্ট।
আমাদের ভিডিও সেকশনে গিয়ে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংকে জানুন এবং নিজে নিজেই ঠিক করে ফেলুন আপনার মেন্সট্রুয়াল সাইকেল। যাদের সমস্যা পুরানো ও জটিল তাদের ক্ষেত্রে হয়তো প্রফেশনাল কনসাল্টেশন প্রয়োজন হবে। তবে আমার ভিডিও বানানোর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে যারা চেম্বারে আসার সুযোগ বা সামর্থ্য রাখেন না তাদের জন্য সুস্থতার সুযোগ বের করে দেয়া।
আপনারা ভাল থাকুন, নিজের মেন্সট্রুয়াল সাইকেলকে ট্র্যাক করুন এবং লুটিয়াল ফেইজকে করুন স্বাভাবিক