Diet Falsafa: The Natural Health Club @dietfalsafa Channel on Telegram

Diet Falsafa: The Natural Health Club

@dietfalsafa


For appointment, please Knock here: https://www.facebook.com/SajalsDietFalsafa/

Diet Falsafa: The Natural Health Club (English)

Are you looking to improve your health and well-being in a natural way? Look no further than Diet Falsafa: The Natural Health Club! This Telegram channel, with the username @dietfalsafa, is dedicated to providing valuable insights, tips, and advice on how to lead a healthier lifestyle through natural means. Led by the experienced and knowledgeable team at Diet Falsafa, this channel offers a wealth of information on nutrition, exercise, mindfulness, and overall wellness. Whether you are looking to lose weight, gain muscle, improve your digestion, or simply feel better in your body, you will find valuable resources and support here. What sets Diet Falsafa apart is their holistic approach to health, focusing on the mind-body connection and the importance of natural solutions. From delicious and nutritious recipes to effective workout routines, they cover all aspects of health and wellness to help you achieve your goals. If you are ready to take control of your health and embark on a journey to a better you, Diet Falsafa: The Natural Health Club is the perfect place to start. Join their Telegram channel today to access exclusive content, join discussions with like-minded individuals, and learn from experts in the field. For more personalized support and guidance, you can also schedule an appointment with Diet Falsafa by visiting their Facebook page at https://www.facebook.com/SajalsDietFalsafa/. Start your journey towards a healthier and happier you with Diet Falsafa: The Natural Health Club today!

Diet Falsafa: The Natural Health Club

06 Dec, 14:12


ওজন বাড়ার সাথে সাথে অনেকেই খেয়াল করবেন যে আপনার পিরিয়ড স্বাভাবিক সময়ে হচ্ছে না। কারো মাসের মধ্যে দু-তিনবার হচ্ছে, কারো তিন মাসেও পিল ছাড়া হচ্ছে না। এর কারনটা কি তা বোঝা প্রয়োজন।
আমার জানামতে, এসময় দুইটা প্রক্রিয়া চালু হয় যা পিরিয়ডের স্বাভাবিক সময়কালকে পিছিয়ে দেয়।
মূলত আপনার ওভুলেশনের পরের ১০-১৪ দিন সময়কে বলে লুটিয়াল ফেইজ, এই সময়ে রক্তে লুটিনাইজিং হরমোনের মাত্রা প্রথমে বাড়ে এবং পরে বাড়া থেমে যায়। প্রজেস্টেরন প্রথমে বাড়ে এবং পরে হ্রাস পায় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এস্ট্রোজেন।
এই সময়েই দেখা যায় মেয়েদের মন মেজাজ খারাপ, মুড সুইং, ডিপ্রেশান, ব্লোটিং, মাসল ক্র‍্যাম্প শুরু হতে থাকে, কারন এই সময় বডি ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম ওভার ইউজ করে।
এখন, ওজন বাড়ার সময় সাধারনত এস্ট্রোজেন, ইনসুলিন এই দুটো হরমোন হাই লেভেলে থাকে। এখন লুটিয়াল ফেইজের চালক হরমোন হচ্ছে এস্ট্রোজেন, এই হরমোন আপনার যত বেশি থাকবে, আলটিমেটলি আপনার লুটিয়াল ফেইজ তত লম্বা হবে। কারন আমাদের লিভার এই হরমোনকে রক্ত থেকে শুষে নিয়ে স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত পিরিয়ড শুরু হবে না। ফলে মাসের পর মাস চলে গেলেও আপনার পিরিয়ড শুরু হবে না। এটাকে এস্ট্রোজেন ডমিন্যান্স বলা হয়।
পক্ষান্তরে, অনেকের দেখা যায় প্রজেস্টেরন লেভেল কম থাকে, দ্রুতই শেষ হয়ে যায় লুটিয়াল ফেইজ।
প্রথম গ্রুপ, যাদের এস্ট্রোজেন ডমিন্যান্স থাকে তারা সাধারনত সহজে গর্ভধারন করেন না, অনেকেরই আছে প্রকৃতপক্ষে এগই তৈরি হয় না।
পক্ষান্তরে, লো প্রজেস্টেরন (দ্বিতীয়) গ্রুপের ক্ষেত্রে রিস্ক বেশি মিসক্যারেজের।
আমার চেম্বারে কেউ যদি এসে একদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত থাকে সে দেখতে পাবে অন্তত ২-৩ জন রোগী থাকবেই যাদের কয়েকটা মিসক্যারেজ হয়েছে।
এই প্রবলেম থেকে মুক্তির উপায় কি??
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং, থেরাপিউটিক ডায়েট, ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ এবং প্রয়োজনে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট অনুমোদিত সাপ্লিমেন্ট।
আমাদের ভিডিও সেকশনে গিয়ে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংকে জানুন এবং নিজে নিজেই ঠিক করে ফেলুন আপনার মেন্সট্রুয়াল সাইকেল। যাদের সমস্যা পুরানো ও জটিল তাদের ক্ষেত্রে হয়তো প্রফেশনাল কনসাল্টেশন প্রয়োজন হবে। তবে আমার ভিডিও বানানোর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে যারা চেম্বারে আসার সুযোগ বা সামর্থ্য রাখেন না তাদের জন্য সুস্থতার সুযোগ বের করে দেয়া।
আপনারা ভাল থাকুন, নিজের মেন্সট্রুয়াল সাইকেলকে ট্র‍্যাক করুন এবং লুটিয়াল ফেইজকে করুন স্বাভাবিক

Diet Falsafa: The Natural Health Club

02 Dec, 14:04


আমার কাছে অনেক খালাম্মারা আসেন, দেখলে বুঝি, এরা মাত্র বিশ পচিশ বছর আগে তাদের জেনারেশানের হার্টথ্রব নারী ছিলেন। তাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল অনেক কিছু, শিক্ষা, সম্পদ, সৌন্দর্য আর স্বামীর হৃদয়ও।
সময়ের ফেরে তারা এখন ভাল করে চলতে পারেন না, চুল পেকে গেছে, চামড়া কুচকে গেছে অনেকটাই, কোমর-হাটুতে ব্যথা, মুড বেশিরভাগ সময়ই অফ থাকে। অনেকেরই মেন্টাল হেলথ ইস্যুজ আছে, অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ, স্বামীকে। হয়তো সব দিন একসাথে ভাল কাটে নাই, ঝগড়া ঝাটি ছিল, কিন্তু তারা পরস্পরের প্রিয় মানুষ ছিলেন।
যাদের নাতি নাতনী আছে, স্বামী হারানোর পরেও সাধারনত তারা একটু ভাল থাকেন। যাদের নাতি নাতনী নাই, ছেলেমেয়েও বেশির ভাগ দেশের বাইরে এবং স্বামীও মারা গেছেন, তাদেরকে মোটিভেট করা অনেক বেশি কঠিন।
আমার পেশা আমাকে তারুন্য ঝলমলে শক্তিতে উজ্জ্বল মানুষ থেকে শুরু করে বার্ধক্যের চাপে জর্জরিত সব ধরনের মানুষের সাথেই বসার সুযোগ দেয়। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করি, মাত্র কয়েকটা বছরে একটা মানুষের পৃথিবীটা কত বেশি বদলে যায়।
যে মানুষটা ত্রিশ বা চল্লিশের কোঠায় দুনিয়া দাপিয়ে বেড়িয়েছে, ষাটের কোঠায় গিয়ে সে কত অসহায় হয়ে মেনে নেয়, তার শরীরটা আর আগের মত হবে না, একদিন তাকে চলে যেতে হবে সবকিছু রেখে, সেই সব কিছু, যার জন্য সে ব্যয় করেছে নিজের সমস্ত জীবন!!
এই পৃথিবী, এই জীবন আসলে কতটা পরাবাস্তব!!

Diet Falsafa: The Natural Health Club

28 Nov, 14:04


টেস্টোস্টেরনকে মানুষ শুধুই সেক্স হরমোন ভাবে, যা আসলে ঠিক না। মজার ব্যাপার হল, যে এস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরনকে ফার্টিলিটি হরমোন বলে ভাবা হয়, তারাও শুধু ফার্টিলিটি হরমোন না, তাদের আরো অনেক ভুমিকা আছে।
উদাহরন দেই, এস্ট্রোজেন কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ব্যায়ামের সময় আমাদের মাসল যে গ্লাইকোজেন ভাঙ্গে, এবং ব্লাড থেকে মাসল সেলের ভেতরে যে গ্লুকোজ ঢোকে, দুইটা প্রক্রিয়াকেই এস্ট্রোজেন যথেষ্ট স্লো করে দেয়। আবার, এস্ট্রোজেনের প্রভাবে, গ্লুকোজ ব্লাডে আসার পরে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে ভাঙ্গে।
পুরুষেরা প্রায়ই মেয়েদের ধীরগতির ফিজিক্যাল রিফ্লেক্সের ব্যাপারে অভিযোগ করেন, এর অন্যতম কারন হল এস্ট্রোজেন। তাদেরকে বানানোই এভাবে যে তারা ছেলেদের মত কুইক ফিজিক্যাল রিফ্লেক্স দিতে পারবে না।
আবার, এই এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরনই কিন্তু আমাদের হাড়গুলোতে ক্যালসিয়াম বাইন্ডিং করতে সাহায্য করে। এজন্য মেনোপজের পর নারীরা দ্রুত হাড়ক্ষয়ের সমস্যায় আক্রান্ত হন।
টেস্টোস্টেরনের কাজ বোন মেটাবলিজমে একটু অন্যরকম, টেস্টোস্টেরন মূলত হাড়কে ভারী হয়ে উঠতে সাহায্য করে মানে ঘনত্ব ও পুরুত্ব বাড়ায়, এস্ট্রোজেনের সাথে মিলে।
যাই হোক, বিষয়টা আর জটিল না করে মূল আলাপে আসি।
প্রতিটা হরমোনেরই অনেক ধরনের একশন আছে, কোন কোন একশন একটু বেশি হাইপড, কোন কোনটা কম হাইপড। হাইপ কোনটা বেশি খাবে তার অনেকটাই নির্ভর করে মিডিয়া এবং রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রির ওপরে। সায়েন্সকে কমার্স থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবার কোন কারন নাই। আধুনিক বিজ্ঞান দাড়িয়েই আছে ব্যবসায়িক সাফল্য নির্ভরতার ওপরে।
টেস্টোস্টেরন আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান এনাবোলিক স্টেরয়েড হরমোন। এটা এমন একটা এনাবোলিক হরমোন, যার কাজের মিল আছে গ্রোথ হরমোনের সাথে। টেস্টোস্টেরন আমাদের মাসলকে বড় করতে এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
ব্যাপারটা এটুকুতে সীমাবদ্ধ হলেও হয়েছিল।
টেস্টোস্টেরনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা হল এটা অনেকাংশেই নির্ধারন করে, আপনার শরীরের কোথায় কোথায় ফ্যাট জমবে। একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের সবচে বড় খালি চোখে ধরার মত তফাত হচ্ছে, ছেলেদের ও মেয়েদের শরীরে ফ্যাট জমাবার জায়গা সম্পুর্ন আলাদা।
তো কে কোথায় ফ্যাট জমাবে, এইটার অধিকাংশই নির্ভর করে আসলে তার সেক্স হরমোনের ওপরে।
এই জায়গায় চলে আসে আরেকটা ব্যাপার। সত্যি বলতে, আপনার শরীরে কোথায় ফ্যাট জমার প্রবনতা বেশি থাকবে, এইটা অনেকটাই আসলে নির্ধারিত হয়ে গেছিল মায়ের গর্ভে ৪-৬ মাস সময়ের ভেতরে।
বাবার সেক্স ক্রোমোজোম আর মায়ের সেক্স ক্রোমোজোম মিলে আপনি প্রিন্যাটাল স্টেজে যতটা টেস্টোস্টেরন, এস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন পেয়েছেন, তার ওপর শৈশবে আপনার ব্রেইন কতটা পুরুষালী বা মেয়েলি হবে তা নির্ভর করে এবং এই ব্রেইনই পরবর্তীতে সিগন্যাল দেয় শরীরের কোথায় আপনার কি ধরনের ফ্যাট জমবে।
এতবড় জটিল হরমোনাল রচনা লেখার কারন কি??
কারন প্রচুর মানুষ আমাদের চারপাশে আছেন, যারা হরমোনাল ইমব্যালেন্সে ভুগছেন বা ভীষনভাবে আনফিট এবং নিজেদের লাইফস্টাইল নিয়ে তাদের আসলে কোন হেডেকও নাই।
এই মানুষগুলা যে সন্তানদের দুনিয়াতে আনতে যাচ্ছেন, তাদের একটা বড় অংশ হরমোনালি ইমব্যালেন্সড অবস্থায় দুনিয়াতে আসবে এবং নানা শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভুগে জীবন পার করবে।
এর সাথে যেসব পুরুষ ২৫% এর বেশি বডি ফ্যাট এবং যেসব মেয়ে ৩৫% এর বেশি বডি ফ্যাট ক্যারি করছেন, তাদের সন্তানদের একটা জিনেটিক্যালি ইনহেরিটেড ওবিসিটিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাসের এক্রুয়েট নিউক্লাই নামে একটা জায়গা আছে, ওখান থেকে POMC নামে একটা হরমোন নিসৃত হয়, যেটা MCR-4 নামে আরেকটা রিসেপ্টরে যুক্ত হয়।
এই হরমোন ও রিসেপ্টরকে বলা হয় জিনেটিক ওবিসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য সরাসরি দায়ী। আপনাদের সন্তানদের আপনারা চাইলেও ভাল খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারবেন না কারন তার জিন তাকে বলবে আনহেলদি ফুড খেতে। সে আনহেলদি ফুড খেয়ে মোটা হওয়ার মত ব্রেইন প্রোগ্রামিং নিয়েই দুনিয়ায় আসবে।
তাহলে, আপনি কি করবেন??
সিম্পল, নিজেকে হেলদি লাইফস্টাইলে নিয়ে আসতে চেষ্টা করবেন।
নিয়মিত স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং করবেন, কার্ব ইনটেক ৩০% এর মধ্যে রাখবেন। সম্ভব হলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন।
ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি থেকে একশো হাত দূরে থাকবেন। ওপরে যতকিছু বলেছি সবকিছুর মধ্যে ভিটামিন ডির ভুমিকা আছে।
এই কথাগুলি মানেন, এগুলি মানলে ৯৯% মানুষেরই আর চেম্বারে আসতে হবে না ইনশা আল্লাহ।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

21 Nov, 06:45


ঢাকায় যত চেষ্টাই করি না কেন, স্লিপ সাইকেল ঠিক হয় না। এই সমস্যা চলতেসে সেই জুলাই মাস থেকে। ১১টায় ঘুমাতে যাওয়ার কথা কিন্তু নানা ঝামেলায় ঘুমাতে যাই ২টার পর, কখনো ৩টারও পরে। আপনাদের ভাবীকে বুঝাই, পরে দেখি আমার নিজেরই দেরি হয়। সে ঠিকই পরে ঘুমিয়ে ৮-৯ ঘন্টা কাভার করে কিন্তু আমার ৫ ঘন্টা

এবার নেপাল গিয়ে পড়লাম চক্করে, কাঠমান্ডু টু পোখারা বাস ছাড়ে ৭টায়, আমাদের জন্য গাড়ি এসে ওয়েট করছিলো সাড়ে ৬টায়, কোন মতেই দেরি করা যাবে না কারন সময় ও বাসের চাকা নাকি কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। বাস মিস করলে পোখারার ফ্লাইট ধরতে হবে, যার ভাড়া দিতে গেলে ট্যুর চাঙ্গে উঠবে।

এই প্যারা খেয়েও প্রথম রাতে ঘুম আসলো দেরিতে, এরপর ৪ ঘন্টা ঘুমায়ে ১০ ঘন্টা জার্নি করে পোখারায় পৌছুলাম।

পোখারায় গিয়ে ৩ ঘন্টা ঘুরে এরপর আরো ১ ঘন্টা রেস্ট নিয়ে পেট ভরে ভাত-ডাল-গোশত খাবার পর মনে হল, দুনিয়ার সমস্ত ঘুম আমার চোখে। কয়টা বাজে?? মাত্র ১০টায়।

ঘুম থেকে উঠে দেখি চারটা বাজে। ভাবলাম পিথিবী গোল্লায় যাক, আরো ঘুমাতে হবে। অথচ ভোরে বেলুনে চড়ার কথা।

শেষমেশ ৮টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে এরপর ঘুরতে বেরোলাম। দুপুর পর্যন্ত ঘুরে বিকেলে দুজন দেড় ঘন্টা র‍্যাফটিং করলাম উত্তাল ঢেউয়ের ভেতরে, এরপর বাসায় ফিরে মরার মত ঘুমালাম রাত ৯টায়। উঠলাম ভোর সাড়ে চারটায়।

এরপর দিন সারাদিন ঘুরলাম। সারাদিন মানে পুরাটা দিনই, নো স্টপ, নো পজ, বিশ্ব শান্তি স্তুপায় প্রায় ২৫০ মিটারের মত সিড়ি বেয়ে উঠলাম। রোদে পুড়লাম, সন্ধ্যার পর নৌকায় চড়লাম, এরপর পোখারায় হাটলাম প্রায় ৭ কিলো।

হোটেলে ফিরে আবার ঘুম, রাত ১০টায়। যে গুলবাহার রাত ২টার আগে ঘুমাতেই চায় না, সে ঘুমালো আমার আরো এক ঘন্টা আগে, মানে রাত ৯টায়।

পরদিন সকালে বাস, আমি উঠলাম ৫টায়, গুলবাহার সাড়ে ৩টায়। হো মাই ঘাড!! 😱😧😮😯

পাক্কা ১১ ঘন্টা জার্নি করে এরপর দিন পৌছুলাম নাগরকোট। কাঠমান্ডু স্টে ক্যান্সেল করলাম কারন কাঠমান্ডুর পরিবেশ ভাল্লাগছিল না।

এরপর আবার ঘুমালাম রাত ১০টায়, উঠলাম ৫টায়।

নাগরকোটে লাস্ট নাইটে ঘুমালাম রাত ১১টায়, উঠলাম ৫টায়।

ঘুমাচ্ছি আগের চেয়ে কম, কিন্তু এনার্জি আগের চেয়ে অনেক বেশি।
এবং ঢাকায় ফিরে আমরা প্রতিদিন ১১টার ভেতরে ঘুমাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন রাতে এক ছোটভাই ইমারজেন্সি প্রবলেমে ফোন দিয়ে ঘুম থেকে তুললো রাত দেড়টা বাজে।

এরপর থেকে সে আমার ফোন কেড়ে নিয়ে রেখে দিচ্ছে নিজের কাছে রাত ১১টার মধ্যেই।

প্রতিদিন ১১টা-৫টার শিডিউল ধরে ফেলেছি আমরা, এখন চেষ্টা করবো ব্যাপারটা কিভাবে ১০টা-৫টা করা যায় সেদিকে যাওয়ার।

আপনি কয় ঘন্টা ঘুমাচ্ছেন তার চেয়ে বেশি জরুরী, ঠিক কখন ঘুমাচ্ছেন।

রাত ৯টা-২টার যে ডেল্টা স্লিপ, এই স্লিপ মিস করে আমরা কেউই সুস্থ থাকতে পারবো না।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

21 Nov, 03:06


Diet Falsafa: The Natural Health Club pinned «Please People keep patience. this link is not sent by any admin of Diet Falsafa, channel is getting some issues, we're working on it.»

Diet Falsafa: The Natural Health Club

21 Nov, 03:02


Please People keep patience. this link is not sent by any admin of Diet Falsafa, channel is getting some issues, we're working on it.

Diet Falsafa: The Natural Health Club

20 Nov, 20:30


Diet Falsafa: The Natural Health Club pinned Deleted message

Diet Falsafa: The Natural Health Club

14 Nov, 16:21


ওজন কমলেও সিস্ট তো যায়নি, পিসিওএস এর সিম্পটমস গুলোও আছে, ব্লিডিং কম হচ্ছে কি করবো আপু?

পিসিওএস এর সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার বললেন ওজন কমান, ওজন কমালে ঠিক হয়ে যাবে। সাথে দিলেন কিছু মেডিকেশন( মেটফরমিন)।

আপনি একদম কোমড় বেধে নেমে পরলেন ওজন কমানোর যুদ্ধে। দিন রাত কম খেয়ে, দিনে অন এভারেজ ৭০০/৮০০ ক্যালরি নিয়ে ওজন কমিয়ে একদম হাড্ডিসার হয়ে গেলেন কিন্তু PCOS এর কোন ইমপ্রুভমেন্ট হলো না, হরমোন ঠিক হলো না বা বেলি ফ্যাটও সেই আগের জায়গায়ই রয়ে গেলো। এর কারন কি? ওজন কমালেই তো সব ঠিক হবার কথা, তাহলে ঠিক হলো না কেন?? আজকে এই বিষয়েই কথা বলবো।

আমাদের দেশে খুব প্রচলিত একটা মিথ হচ্ছে এই ফ্যাট খাস না, মোটা হয়ে যাবি। এই মিথ এতটাই প্রচলিত যে আমরা ডায়েট শুরু করলে প্রথমে যে খাবার টা কাট করি বা খাওয়া অফ করে দেই তার নাম ফ্যাট। ঘী, বাটার, গরুর চর্বি এগুলো দেখলে যেন তওবা পড়তে হয় আমাদের। এরপরে প্রোটিন খাওয়া কমাই এবং শেষে কার্ব। যারফলাফল খুবই লো ক্যালরিক একটা ডায়েট এবং প্রচুর মাসল লস । এখন প্রশ্ন আসতে পারে ফ্যাটের কি দরকার আসলে শরীরে। গুড এনিমেল ফ্যাট কেন খেতে হবে??

আমাদের শরীরে মূলত ৩ ধরনের হরমোন থাকে,

১) পেপটাইড হরমোন

২) এমাইন হরমোন

৩) স্টেরয়েড হরমোন

এইযে ৩ ধরনের হরমোন আছে এর মধ্যে আমাদের মেয়েদের শরীরের যে প্রধান ২ টা রিপ্রোডাক্টিভ হরমোন এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন এবং ছেলেদের প্রধান রিপ্রোডাক্টিভ হরমোন টেস্টোস্টেরন এই স্টেরয়েড হরমোন এর অন্তর্ভুক্ত। স্টেরয়েড হরমোন সিন্থেসিস করার জন্য আমাদের দরকার হয় কোলেস্টেরল এর। কোলেস্টেরল এর একমাত্র ডায়েটারি সোর্স হচ্ছে এনিম্যাল ফ্যাট। যখনই আমরা ফ্যাট খাওয়া কমিয়ে দেই আমাদের শরীর এনাফ এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন উৎপাদন করতে পারে না, যার ফলে আমাদের পিরিয়ড সাইকেল ওলট পালট হতে শুরু করে। প্রথমে যে বলেছিলাম ওজন কমে গেলেও পিরিয়ডের সমস্যা ঠিক হচ্ছে না কারন শরীর পর্যাপ্ত কোলেস্টেরল পাচ্ছে না ফলে সে হরমোন এ উৎপাদন করতে পারছে না।

ডায়েটারি ফ্যাট কিন্তু আমাদের ফার্টিলিটি বুস্ট করতেও সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড শরীরের ইনফ্লামেশন কমায় যার ফলে পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া শুরু করে।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে লো ফ্যাট ডায়েট আমাদের ওভ্যুলেশন হতে বাধা দেয় যার ফলে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়।

ভিটামিন এ,ডি,ই,কে এই ৪ টি ভিটামিন শরীরে শোষিত হতে ফ্যাটের দরকার পরে এবং এই ভিটামিন গুলো আমাদের হরমোনাল ফাংশন রেগুলেশনের জন্য দায়ী।

তাই ডায়েট করার সময় ফ্যাটকে ভয় পাওয়া যাবে না। ঘী,বাটার, বীফ ট্যালো, অলিভ অয়েল, ফ্ল্যাক্স সীডস, বাদাম, অন্য সীডস যোগ করুন। ডিরেক্ট কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান কমিয়ে আনুন। ফ্যাটকে ভয় পেয়ে নয় ভালোবেসে সুস্থ থাকুন।

তবে পিসিওএস পেশেন্ট দের ক্ষেত্রে হরমোনের ব্যাপার টা পার্সন টু পার্সন খুব বেশি ভ্যারি করে। তাই আপনার যদি পিসিওএস থেকে থাকে তাহলে পরামর্শ থাকবে নিজে নিজে ডায়েট না করে অবশ্যই একজন প্রফেশনাল নিউট্রিশনিষ্ট এর সাজেশন নিয়ে প্রপার ডায়েট মেইনটেইন করা।

সুমাইয়া শিলা
নিউট্রিশনিষ্ট
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
থাইরোকেয়ার কন্সালটেশন সেন্টার
বনানী, ঢাকা
এপয়েন্টমেন্টের জন্য: 01992051548

Diet Falsafa: The Natural Health Club

05 Nov, 09:39


প্রেগন্যান্সিতে অতিরিক্ত ওজন আপনার নর্মাল ডেলিভারিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে!!

জি ঠিকই দেখেছেন। আমাদের দেশে খুব কমন একটা ব্যাপার দেখা যায় যে প্রেগন্যান্সির সময়ে মেয়েরা প্রায় ১৬-১৭ কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলেন, ক্ষেত্রবিশেষে আরও অনেক বেশি। দেখা যায় ৫ ফিট ওজনের একজন মেয়ে প্রেগন্যান্সির সময়ে ৫০/৫২ কেজি থাকলেও ডেলিভারির সময় তার ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৭০+, এবং ফলাফল সিজারিয়ান ডেলিভারি। ১ম ট্রাইমেস্টারেই ৪/৫ কেজি গেইন করে দেখা যায় শেষ ট্রাইমেস্টারে এসে ডায়াবেটিস ধরা পরে।

প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই হিমশিম খান কীভাবে ওয়েট ম্যানেজমেন্ট করবেন। কি ধরনের খাবার খেলে ওয়েট বাড়বে না। আজকে সেগুলো নিয়েই কথা বলবো।

১) প্রথমেই রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট এর পরিমান কমিয়ে দেয়া। সাদা চাল,আটা বাদ দিয়ে লাল চালের ভাত, ওটস, রাগী আটা এগুলো তে শিফট করা।

২) প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকেরসময় টায় অনেকেই মাছ মাংস খেতে পারেন না। গন্ধ লাগে। সেক্ষেত্রে ডিরেক্ট মাছ মাংস রান্না করে না খেয়ে এগুলো দিয়ে কোফতা, কাবাব টাইপের রেসিপি বানিয়ে নেয়া এবং সম্ভব হলে গরুর দুধ খেতে পারেন।

৩) প্রেগন্যান্সির সময়ে আমাদের ম্যাক্সিমাম মানুষের একটা প্রবনতা থাকে অতিরিক্ত ফল খাওয়ার। যেন ফলের মধ্যেই সব পুষ্টি আছে। বিশেষ করে কলা, খেজুর প্রেগন্যান্সির সময়ে মেয়েরা খুবই পছন্দ করেন। আদতেএই ফল গুলোতে অল্প কিছু ভিটামিনের সাথে প্রচুর স্যুগার থাকে। যারা আপনার ওজনকে ট্রীগার করে।

৪) ডায়েটে সব ধরনের ভেজিটেবলস (পেঁপে, মিষ্টিকুমড়াএবং সজিনা বাদ দিয়ে)এবং ডাল এড করা।

৫) আমরা সব খাবার মোটামুটি খেলেও যেটা সব থেকে বেশি এভয়েড করি সেটা হচ্ছে হেলদি ফ্যাট। আপনি কি জানেন আপনার বাচ্চার ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এ হেলদি ফ্যাটের ভুমিকা সব থেকে বেশি?? ডায়েটে ঘী, বাটার, অলিভ অয়েল যোগ করা।

৬) প্রেগন্যান্সির ১৬ সপ্তাহ কমপ্লিট হলে হালকা পাতলা এক্সারসাইজ করার ট্রাই করা।

আমাদের এভারেজ ওয়েটের একজন নারীর ১ম ট্রাইমেস্টারে ১৮০০, ২য় ট্রাইমেস্টারে ২২০০ এবং ৩য় ট্রাইমেস্টারে ২৪০০ ক্যালরির মত দরকার হয়৷ চেষ্টা করতে হবে এই টোটাল ক্যালরির ২০-২৫% যেন সরাসরি কার্বোহাইড্রেট (ভাত,রুটি), ২৫-৩০% প্রোটিন( মাছ, মাংস, ডিম দুধ) এবং বাকিটা ফ্যাট থেকে আসে।

প্রেগন্যান্সির সময়ে ওয়েট ম্যানেজমেন্ট কি শুধু নরমাল ডেলিভারি হবার জন্যই জরুরি??

- না। প্রেগন্যান্সির সময়ে অতিরিক্ত ওজন শুধুমাত্র যে নরমাল ডেলিভারি হবার চান্স কমিয়ে দেয় এমনটা না, সাথে সাথে পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মত ঝুঁকি বাড়ায়।

- অনেকেরই দেখা যায় প্রেগন্যান্সির শেষের দিকে এসে ডায়াবেটিস ধরা পরে এবং এটা সারাজীবন থেকে যায়।

- আপনি ফুল প্রেগন্যান্সিতে যে ধরনের খাবার খাবেন সেটার প্রভাব আপনার বাচ্চার উপরে সারাজীবন থাকবে। এই খাবারগুলো বাচ্চার হাড়,ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এ হেল্প করবে।

- চেম্বারে অনেকে ৭/৮ বছরের ছোট বাচ্চা নিয়ে আসেন যাদের দেখি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর উপসর্গ আছে এবং হিস্ট্রি শুনতে গিয়ে দেখি অধিকাংশ বাচ্চার মা প্রেগ্ন্যাসির সময়ে ওভার ওয়েট ছিলেন।

প্রেগন্যান্সির সময়ে ওজন অবশ্যই বাড়াবেন তবে সেটা অবশ্যই হেলদি উপায়ে এবং যতটুকু বাড়াতে হবে ঠিক ততটুকু।

এই সময়টা ক্রুশিয়াল। শুধুমাত্র আপনার জন্য না আপনার বাচ্চার জন্যেও। মনে রাখবেন আপনার খাদ্যাভ্যাস এর বোঝা আপনার সন্তানকে বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন। তাই প্রেগন্যান্সির সময়ে সম্ভব হলে ১৬ সপ্তাহ থেকেই একজন নিউট্রিশনিষ্ট এর পরামর্শে থাকুন। নিজে সুস্থ থাকুন, আর আপনার বাচ্চাকেও একটা সুস্থ সুন্দর জীবন উপহার দিন।

সুমাইয়া শিলা
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
থাইরোকেয়ার কন্সালটেশন সেন্টার
বনানী, ঢাকা

Diet Falsafa: The Natural Health Club

04 Nov, 10:57


পিসিওএস থাকলে কি বাচ্চা হবে না??  পিসিওএস মানেই কি ইনফার্টিলিটি??

পিসিওএস নিয়ে আসা পেশেন্ট দের একটা কমন কোশ্চেন আপু আমার কি বাচ্চা হবে না? আমার কি কনসিভ করতে কোন সমস্যা  হবে?

পিসিওএস ইনফার্টিলিটির অনেক বড় একটা রিজন। পিসিওএস আমাদের শরীরের নরমাল হরমোনাল রেগুলেশনে ব্যাঘাত ঘটায়। এছাড়াও -

১)ইরেগুলার পিরিয়ড
২)হাই এন্ড্রোজেন হরমোন ( টেস্টোস্টেরন)
৩)নিয়মিত ওভ্যুলেশন না হওয়া
৪)ওভারির বাইরের শেল/আস্তরন টাকে মোটা বানিয়ে দেয়া
৫) এবং সব থেকে জরুরী রক্তে হাই ইনসুলিন লেভেল

পিসিওএস  পেশেন্ট দের খুব কমন সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এবং উপরের এই কারনে একজন পিসিওএস পেশেন্ট এর ইনফার্টিলিটি হতে পারে। তবে কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া পিসিওএস কিন্তু ফুল্লি কিউরেবল। প্রপার লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট,  এক্সারসাইজ এবং সাপ্লিমেন্টেশনের মাধ্যমে পিসিওএস কিওর করা সম্ভব। তাই যদি আপনার  পিসিওএস থেকে থাকে৷ এবং প্রেগ্ন্যাসির প্লান করতে চান তবে অবশ্যই আগে একজন গাইনোকলজিস্ট এবং সাথে একজন নিউট্রিশনিষ্ট এর পরামর্শ নিয়ে প্লানিং শুরু করুন। আর যদি আপনি অবিবাহিত হন তাহলে বিয়ের আগে নিজেকে ফিট করে এপরে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করুন। 



তবে একটা কথা আমি বলি- বিশ্বাস করুন আর নাই করুন দিনশেষে সব কিছু উপরওয়ালার হাতে। আমি অনেক পেশেন্ট দের দেখেছি পিসিওএস, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, অনেক বেশি বডি ওয়েট নিয়েও কনসিভ করেছে। দিব্বি বাবু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার কোন শারিরীক সমস্যা ছাড়াও দিনের পর দিন চেষ্টা করেও অজ্ঞাত কারণে বাবু হচ্ছে না। তাই আপনার লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট এর পাশাপাশি দোয়া করুন যাতে আল্লাহ আপনার মা হবার জার্নি সহজ করেন।





সুমাইয়া শিলা
নিউট্রিশনিষ্ট
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

30 Oct, 14:44


আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটা ব্যাপার আছে যে সেইম এইজ বিয়ে করা যাবে না বা বয়সে ২/১ বছরের বড় মেয়ে হলে তো কথাই নাই৷ বাবা রে বাবা দূরে দৌড়াও; যে যেনো সাত খুনের সমান। বিয়ের ব্যাপারে এই ভাবনার কারন যতটা না বেশি মানসিক বা ম্যাচিউরিটির তার থেকে অনেক বেশি শারিরীক। আমাদের দেশে একটা সকলেরই বদ্ধমূল ধারনা যে মেয়েদের শারিরীক বার্ধক্য তুলনামূলক আগে আসে ছেলেদের থেকে এবং এই কারনে মেয়ের সাথে ছেলের বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলেও এটা তেমন কিছুই মনে করা হয়না।
এখন আমি যদি আপনাকে বলি আমাদের দেশের মেয়েরা আসলে বুড়ো হয়না, তাদের বয়সের আগেই বুড়ো বানিয়ে দেয়া হয় তাহলে কি মানবেন আপনি??
আপনার মনে হতে পারে আমি এগুলা কি বলছি? জোর করে বুড়ো বানায় কি করে? এটাও কি সম্ভব? আজগুবি কথা, তাই না?
অবশ্যই সম্ভব। চলুন এক্সপ্লেইন করি!!
আমাদের দেশে মেয়েদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মেয়েদের ভাত খাওয়ার প্রবনতা বেশি হলেও প্রোটিন এবং ফ্যাট গ্রহন করার প্রবনতা পুরোপুরি তার উল্টো এবং আফটার ৩০ বা বাচ্চা হওয়ার পরে এটা আরও কমে যায়। এর কারন কিন্তু এটা না যে মেয়েরা খেতে পারে না, এর মুল কারন হচ্ছে আমাদের পূর্ব পুরুষদের প্রাকটিস এবং মেয়েদের স্যাক্রিফাইসিং মেন্টালিটিকে দিনের পর দিন চেরিস করে মেয়েদের এগুলা করতে ইন্সপায়ার করা।
এখন এই জিনিসটাও একটু ব্যাখ্যা করা যাক!!
- আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে একটা প্রবনতা ছিলো ভালো মাছ টা,ভালো মাংসের টুকরো টা, ডিম দুধ খাওয়ার অধিকার ছিলো বাড়ির কর্তার বা ছেলে মানুষের। এমনকি বাড়ির সকলের খাবার পরে যা বাকি থাকে সেটাই মেয়েদের খেতে হতো। সবার সাথে এক সাথে বসে সেইম খাবার খাওয়া টাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে গন্য করা হতো এবং দীর্ঘদিন এই খাদ্যাভ্যাস প্রাকটিস করার জন্য মেয়েদের শরীরের মাসেল মাস কমে আসে, কোলাজেন সিনথেসিস কমে যায়, স্কিন কালো হয়, ফ্যাকাসে হয়ে যায়,ফ্যাট না খাওয়াতে চামড়া কুচকে আসে, সেক্স ড্রাইভ কমে যায় এবং আফটার ৩৫ অস্টিওপরোসিস, হাতে পায়ে ব্যাথা, লো ভিটামিন ডি + আরো অনেক ডিজিজ খুবই কমন! আর ফলাফল!! ওইযে বয়সের আগেই বার্ধক্য টেনে ধরে তাকে। যেই সময়টায় সব থেকে বেশি স্ট্রং থাকার কথা ঠিক তখনই তার শরীর ভাঙা শুরু হয়।
আর এর সাথে ঘরের কাজে মহিলাদের সাহায্য করা যাবে না; সাহায্য করলে পুরুষত্ব দ্বিধার মধ্যে পড়ে যাবে এটা তো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো!
এবার আসি যে এটা তো পূর্বপুরুষদের কথা বললাম, আমরা আসলে কি করি?? আমাদের মাঝে কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে??
-না হয়নি। যুগ বদলেছে। কিন্তু মেয়েদের মধ্যে থেকে এই আচরণ বের করে দেয়া সম্ভব হয়নি। ২৪-২৫ বছরের একটা মেয়ের খাদ্যাভ্যাস মোটামুটি ঠিক থাকলেও, তার বড় ভাই বা বাবা বাসায় থাকলে মাছের টুকরো ২ টা হলে সেটা বাবা বা ভাইয়ের প্লেটেই উঠে। মেয়েটাকে শেখানো হয় যে তোমাকে স্যাক্রিফাইস করতে হবে, এটাই মেয়েদের লাইফ এবং এটা দিনের পর দিন হয়। কখনোই ওই মাছ মা বা বোনের প্লেটে ওঠে না। আবার অনেক সময় মাছ দুই টুকরো বেশি থাকলেও মা অন্য সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে নেন যাতে সকালে স্বামী এবং ছেলের প্লেটে সেটা দিতে পারেন। এই শিক্ষাটা আমরা আমাদের মায়ের থেকে পেয়ে আসছি এবং আমাদেরকেও এই একই কাজ করতেই বলা হয়। মেয়ে মানুষের আবার খাবারের এত আয়োজন কিসের এই কথা শুনেন নি এমন মেয়ে মানুষ কমই পাওয়া যাবে!!
আপনি চেরিশ করেন যে আপনার মা খাচ্ছে না বউ খাচ্ছে না আপনার জন্য রেখে দিচ্ছেন কিন্তু আপনি কি কখনো বলেছেন আম্মু তোমার বয়স হয়েছে তোমার এটা খাওয়া দরকার, এই এক গ্লাস দুধ আমার থেকে তোমার বেশি খাওয়া দরকার। না আপনি বলেন না। আপনি ফেইসবুকে এসে ছবি পোস্ট করেন মায়েরা এমনই!!
হ্যা মায়েরা এমনই হয়। তবে আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনার আম্মা এক টুকরো মাছ পাতে তুলছে কিনা খোঁজ নিন, রেগুলার দুধ খাচ্ছে কিনা খোঁজ নিন। যদিও এই যুগে ছেলেরা বউদের খাবারের দিকে বেশ ভালো নজর দেন বাট সেই নজর টা বউ থেকে মা হয়ে যাবার পরে চলে যায়!
আর মেয়েদেরও বলি স্বামী সন্তানের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি নিজের কথাও চিন্তা করুন। বাচ্চা নর্মাল ফিডিং শুরু করার পরে অনেক মায়েরাই আছেন বাচ্চাকে খাওয়াতে নিলে ওই খাবার বাচ্চা খাওয়ার পরে যা থাকে সেটুকুই খেয়ে নেন। তাদের বলি লেফটওভার টা নিজের প্লেটে না নিয়ে আপনার জন্য ফ্রেশ খাবার নিন।
আমাদের দেশে মহিলাদের গড় আয়ু পুরুষ দের থেকে বেশি৷ কিন্তু তাদের খাদ্যাভ্যাস এর জন্য তারা পুরুষদের থেকে আগেই বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। বলা হয় মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি হয়। না ভাই মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি হয় না, বুড়ি বানানো হয়। এমনকি বলা হয়ে থাকে মেয়েদের সব থেকে সুন্দর লাগে ৩৫-৪০ বছর বয়সে। বলিউডে ৫০+ এইজের নায়িকাদের দেখে হা করে থাকেন। কিছু কিছু ট্রীটমেন্ট তারা করেন; তবে তা বাদে তারা ইয়াং থাকেন তাদের ফুড হ্যাবিটের জন্যই। আপনার আমার আম্মুও বুড়িয়ে যায়নি আমরা তাদের বুড়িয়ে যেতে ইন্সপায়ার করছি।
এরপর থেকে খেতে বসলে আগে দেখবেন মাছ/ মাংসের টুকরো টা আপনার মায়ের প্লেটে, আপনার বোন বা বউয়ের প্লেটে উঠলো কিনা!! ❤️

Diet Falsafa: The Natural Health Club

30 Oct, 05:26


লবন খাওয়া কমালেই কি প্রেসারের সমস্যা কমে যাবে নাকি আরো কিছু করা দরকার??
খাবার লবন কম খেলে প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে এই ধারনাটার বিপক্ষে লেইটেস্ট সায়েন্টিফিক এভিডেন্স পাওয়া গেছে। বরঞ্চ, এখন বলা হচ্ছে, প্রয়োজন অনুযায়ী লবন না খেলে আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পাবে এবং ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল আপনার জন্য অধিকতর কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি হৃদরোগের ঝুকিও বাড়বে। আগে ভাবা হত যে সোডিয়াম ইনটেক আপনি যত বাড়াবেন, হার্ট ডিজিজ রিস্ক ততই বাড়বে। কিন্তু ২০১৬ সালে উনপঞ্চাশটা দেশের এক লাখ তেত্রিশ হাজার একশো আঠারো জন মানুষ যাদের মধ্যে ৬৫ হাজার ৫৫৯ জন হাইপারটেন্সিভ(উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত) ও ৬৯ হাজার ৫৫৯ জন নরমোটেন্সিভ(স্বাভাবিক রক্তচাপ) মানুষের ওপর চালানো এক গবেষনায় দেখা যায়, হার্‌ট ডিজিজের রিস্ক লবন খাওয়া বাড়া-কমার সাথে সাথেই বাড়ে কমে ব্যাপারটা এমন না। বরঞ্চ, ব্যাপারটা অনেকটা U শেইপড লুপের মত কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম লবন খেলেও হার্ট ডিজিজের রিস্ক বাড়ে, নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি খেলেও একই পরিমান রিস্ক বাড়ে(১১%)।
ড. বেঞ্জামিন বিকম্যান এক্ষেত্রে আরো দুটো স্টাডিকে উল্লেখ করেছেন। একটা ২২৭ জনের ওপর করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে স্বাভাবিকের চেয়ে যারা কম লবন খান(দিনে ২৩০০ এমজির নিচে) তাদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়তে থাকে।
১৫২ জনের ওপর করা আরেকটা স্টাডিতে সাবজেক্টদেরকে এক সপ্তাহ করে লো সল্ট ডায়েট ও হাই সল্ট ডায়েটে রেখে দেখা গেছে লো সল্টে যারা থাকেন তাদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
৩৮৯ জনের ওপর করা আরেকটা স্টাডিতে সল্ট সেন্সিটিভ এবং সল্ট রেজিস্ট্যান্ট সাবজেক্টদের আলাদা করে এক সপ্তাহ করে লো সল্ট ও হাই সল্ট ডায়েট দেয়া হয় । সেখানেও দেখা যায়, উভয় গ্রুপেই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়েছে।
এটা কিভাবে ঘটে??
সল্ট সেন্সিটিভ হচ্ছেন তারা, যাদের এক্সট্রা সল্ট(দিনে ৩ গ্রামের বেশি সোডিয়াম) বা সোডিয়াম খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে, আর সল্ট রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছেন তারা যারা বেশ খানিকটা এক্সট্রা সল্ট খেলেও সাধারনত ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে।
আপনার ব্লাড প্রেসার দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রিত হয় মূলত কিডনির মাধ্যমে। সল্ট সেন্সিটিভ যারা, তাদের কিডনি অতিরিক্ত লবন দ্রুত ফ্ল্যাশ করতে পারে না ফলে তাদের লবন খেলেই বিপি বেড়ে যায়। কারো ক্ষেত্রে এটা জিনেটিক, কারো ক্ষেত্রে এটা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা স্ট্রেস থেকে হয়।
আবার অনেকে আছেন যাদের কিডনি দ্রুত সল্ট শরীর থেকে বের করে দিতে পারে, তারা সল্ট রেজিস্ট্যান্ট এবং তারা লবন বেশি খেলেও (দিনে ৮-১০ গ্রাম সোডিয়াম) বিপি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ে না।
তো যারা সল্ট সেন্সিটিভ, তাদের ক্ষেত্রেই মূলত ডায়েটে সল্ট রেস্ট্রিক্ট করা হয় সারা পৃথিবীতে। বলা হয় লবন কম খেতে। হাইপারটেনশনে ভোগা রোগীদেরকে বাই ডিফল্ট সল্ট সেন্সিটিভ বলে ধরা হয় ম্যানেজমেন্ট দেয়ার সময়।
সমস্যাটা হচ্ছে, লবন কম খেলে এই রোগীদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে রেনিন এনজিওটেনসিন এলডোস্টেরন সিস্টেম নামের একটা সিস্টেমের মাধ্যমে। ব্লাডে সোডিয়াম কমলেই এল্ডোস্টেরন বেড়ে যায় সোডিয়াম কন্সেন্ট্রেশন বাড়ানোর জন্য, আর এল্ডোস্টেরন বাড়লেই বাড়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।
চেইন রিএকশনের মত, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে আবার হাইপারটেনশান বাড়তে পারে, কিডনির আউটপুট আরো খারাপ হতে পারে, রক্তে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়ে লিপিড প্রোফাইল খারাপের দিকে যেতে পারে এবং সর্বোপরি রোগী ওয়েট গেইন করতে পারে।
এত এত কথা লেখার কারন কি??
কারনটা হল, ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল ও কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ ইমপ্রুভমেন্টের জন্য কম লবন খাওয়াই যে সমাধান না সেটা বোঝানো।
সমাধানটা তাহলে কোথায়??
সমাধানটা এখানে লো কার্ব ডায়েট ও সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের যথেষ্ট ইনটেকে।
লো কার্ব ডায়েট ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়, পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের ২ঃ১ থেকে ৪ঃ১ রেশিও বিপি পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখে এবং ম্যাগনেসিয়াম আপনার এড্রেনাল গ্ল্যান্ড-হার্ট-ব্রেইনকে শান্ত রাখে তার এন্টি স্ট্রেস মেকানিজমের মাধ্যমে।
তাই ব্লাড প্রেসার বাড়লে খাবার থেকে লবন একেবারে বাদ না দিয়ে বরঞ্চ কার্ব ইনটেক ৫০% এর বেশি থাকলে তা কমান, লবন আপনি কতটুকু নিতে পারেন তার মাত্রা বুঝতে চেষ্টা করুন(দিনে ২ গ্রাম থেকে ১০ গ্রামের মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম লবনের মাত্রায় স্বাভাবিক থাকেন) এবং আপনার ডায়েটে ম্যাগনেসিয়াম-পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাক, কাঠবাদাম, আখরোট, পাম্পকিন সিড, সানফ্লাওয়ার সিড, শিম, ডালজাতীয় খাবার, বিট পাতা, সুইস চার্ড, ডালিম, তরমুজ ইত্যাদি খেতে পারেন। সুস্থ একজন মানুষ দিনে দেড় চামচ লবন(৩৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম) খেলে তার জন্য সবজি খাওয়া উচিত প্রায় ৪৫০-৬০০ গ্রাম যদি এনাফ পটাসিয়াম খেতে চান। পরিমানটা কিন্তু অনেক!! তাই যথেষ্ট শাকসবজি খেতে যারা চান না, অতিরিক্ত লবন তাদের খাবার অনুমতি দিতে আমি রাজি নই।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

30 Oct, 05:26


লেইটেস্ট স্টাডি অনুযায়ী বলা হচ্ছে আমেরিকান সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে সোডিয়াম ইনটেইকের যে লিমিট বেধে দিয়েছে(২৩০০ মিলিগ্রাম), সেটা প্রয়োজনের চেয়ে কম। ৩০০০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত দিনে লোয়ার লিমিট, আপার লিমিট হওয়া উচিত ৬০০০ মিলিগ্রাম।
কিন্তু শুধু সোডিয়াম ইনটেইকের পরিমান দিয়ে রক্তচাপ ও হৃদরোগকে বুঝতে যাওয়া বা আমাদের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্সকে বুঝতে যাওয়া বোকামি। সাধারন মানুষের জন্য তো বিষয়টা সম্ভবই না। তাই আমার পরামর্শ হলো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে খাবারের ক্ষেত্রে ওপরে দেয়া নির্দেশনা অনুসরন করুন।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

29 Oct, 14:38


ক্লাসিক বাংলাদেশী হেলদি ব্রেকফাস্ট।
সাদা আটার রুটি, সয়াবিন তেলে ভাজা আলু ভাজি আর সাথে বুটের ডাল বা সয়াবিন তেলে ভাজা ডিম।
এরপর, যখন হাই প্রেসার হয়, দোষ তখন সব ডিমের। যখন সুগার বাড়ে, দোষ তখন হয় ডিমের।
আমার আম্মার যখন ২০০৩ সালে ডায়বেটিস ধরা পড়লো, তখন আমাদের বাসায় নিয়ম করে দুই বেলা রুটি খাওয়া শুরু হল। এর পেছনে লজিক ছিল, রুটি নাকি স্বাস্থ্যকর এবং ভাতের বদলে রুটি খেলে নাকি ওজন কমে।
কিন্তু দেখা গেল, যতই দিন আম্মুর ওজন কমে কিন্তু সেগুলো হচ্ছে হাত পায়ের মাংসপেশীর ওজন। পেটের চর্বি একটু একটু করে বাড়তেই থাকে।
তারপর, প্রথমে দিনে দুবেলা ১টা ওষুধ, তারপর ২০১০ সালে দিনে দুবেলা ২টা করে ওষুধ, ২০১২ সালে এসে দিনে ২বেলা ২টা করে এন্টি ডায়বেটিক ড্রাগ+ ২ বার ইনসুলিন, ২০১৮ সালে এসে ৩টা এন্টি ডায়বেটিক ড্রাগ+২ বারে ৩০ ইউনিট ইনসুলিন।
এটা বাংলাদেশের অনেক অনেক পরিবারের একেবারে নিজেদের একটা গল্প।
এই যে সো কল্ড হেলদি ব্রেকফাস্ট, এটা আসলে সম্পুর্ন আনহেলদি। আমরা সঠিক ড্রাগ খেয়েও যদি ভুল খাবার খাই, আমরা কোনভাবেই আমাদের লক্ষ্যে পৌছুতে পারবো না।
সাদা আটার রুটি এবং আলু, দুটোকেই বাংলাদেশে জনপ্রিয় করা হয়েছিল মূলত আমাদের বন্যা ও অনাবৃষ্টির কারনে চাল উৎপাদনের ঘাটতি পুরনে। আমরা যখন ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্সে দেশের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো পড়েছি তখন এগুলো আমাদের পড়ানো হয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সাদা আটার গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স ৭৭, কার্ব কনটেন্ট ৭৩%, আলুর গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কুকিং মেথড ভেদে ৮০-১১০!!!!!
অবশ্য আলুর জিআই ব্যাপারটা আলুর প্রসেসিংয়ের ওপর ডিপেন্ড করে।
আলুর এভারেজ জিআই ৮০-৯০ এর মধ্যে। খোসা ফেলে দিলে জিআই আরো বাড়ে। আবার জাতভেদে জিআই বাড়ে। তেলে ভাজলে বা সেদ্ধ করলে জিআই বাড়ে এবং অন্য স্টার্চি কার্বোহাইড্রেটের সাথে খেলে জিআই সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়।
আটা স্টার্চি, আলু ভাজি ফ্রাইড, সব মিলিয়ে বেকড পটেটো/রোস্টেড পটেটোর কাছাকাছি পৌছে আলু ভাজির জিআই।
এগুলো আমরা কি খাচ্ছি ভাবেন।
ভুল খাবার খেয়ে আপনি সঠিক ওষুধ খেলেও লাভ নেই, কারন We are what we eat!!!

Diet Falsafa: The Natural Health Club

27 Oct, 04:30


দ্রুত বাবু নিতে চান যারা তাদের ডায়েট প্ল্যানে থাকা উচিত যেসব খাবারঃ
১)বাকহুইট-প্রাকৃতিকভাবে ডি কাইরো ইনোসিটল পাওয়া যায় এমন অতি অল্প সংখ্যক খাবারের মধ্যে এটা একটা। বাকহুইট বা ঢেমশির ডি কাইরো ইনোসিটল ইনসুলিন ও টেস্টোস্টেরন লেভেল কমায়, প্রজেস্টেরন লেভেল বাড়ায়, ফলে আপনার উর্বরতা বাড়ে।
২)পালংশাক, মটরশাক, ব্রকোলি-বাধাকপির পাতা, সরিষা শাক-এগুলো খাবেন দিনে ২০০+ গ্রাম। এগুলো ফলিক এসিডের ভাল উৎস। তবে, এদের চেয়ে কাজের জিনিস হচ্ছে মাছের কলিজা।

৩)বুটের ডাল-ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিনের প্রাকৃতিক উৎস, একই সাথে স্পার্ম কাউন্ট এবং ডিম্বানুর সংখ্যা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। প্রজেস্টেরন লেভেল স্বাভাবিক রাখে এবং ম্যাগনেসিয়াম শোষন বাড়ায়।

৪)রয়াল জেলিঃ যাদের হাতে বেশ ভাল টাকা পয়সা আছে তারা মৌমাছির রয়্যাল জেলি খেতে পারেন। এর সায়েন্টিফিক বেনিফিট প্রুভেন না হলেও ট্র‍্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিনে এর বেশ সুনাম আছে।

৫)ডিমঃ সব ধরনের নিউট্রিয়েন্ট ডিমে থাকে, অবশ্যই দিনে ২-৩টা ডিম খাবেন, হাসের ডিম হলে ভাল।

৬)সানফ্লাওয়ার সিডঃ এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন ব্যালেন্সের জন্য একটা দরকারী খাবার।

৭)ইলিশ মাছঃ ভিটামিন ই-১,৩, ডি-৩, কে-২ এর ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ন্যাচারাল সোর্স, সাথে ভরপুর বেস্ট কোয়ালিটি ডিএইচএ। ইলিশ হচ্ছে বাংলার স্যামন।

৮)গরুর গোশত-কলিজাঃ অবশ্যই ভুট্টা, সয়াবিন, গমের ওপর নির্ভরশীল না, গ্রামে মোটাতাজাকরন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা চরে বেড়ানো গরু। বাংলাদেশে খুজলে এখনো গ্রাস ফেড গরু পাওয়া যায়। এর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

৯)নারকেলঃএমসিটির অন্যতম সেরা সোর্স, পাশাপাশি ন্যাচারাল এন্টিঅক্সিডেন্ট-ডিটক্সিফায়ারে ভরা এই ফলটা খুবই আন্ডাররেটেড।

১০)দারুচিনিঃ এর মূল কাজ তিনটা-১)ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখা, ২)ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা ৩)হজম ভাল করা

১১)হলুদঃ এন্টাই ইনফ্ল্যামাটরি কম্পাউন্ড কারকিউমিনে ভরা, সাথে গোলমরিচ যোগ করে কোকোনাট অয়েলের সাথে খেলে সেরা ফল পাওয়া যাবে।

বাবু নিতে চাইলে এগুলো খাওয়া শুরু করুন, সুস্থতার সাথে বাবু নিন।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

26 Oct, 13:33


ভরপেট খেয়ে, এক্সারসাইজ না করেও যে ওজন কমানো যায় এটা আপনি জানেন??

কি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে??

ভরপেট খেয়েও ওয়েট লস করা সম্ভব শুধু কি খাবো এটা জানতে হবে। আমাদের এই ওয়েট লস চ্যালেঞ্জএ আপনি ভরপেট খেয়েই ৮-১০ কেজি ওজন কমাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

তাহলে দেরি কেন বলেন তো রেজিষ্ট্রেশন করতে??

অনেকেই ইনবক্সে রেজিষ্ট্রেশন এর সময় একটু বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন। তাদের জন্য ২ দিন সময় বাড়ানো হলো। আপনারা আরও ২ দিন রেজিষ্ট্রেশন এর সুযোগ পাচ্ছেন। দেরি না করে ঝটপট করে ফেলুন আর যারা ইতিমধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলেছেন তারা কনফার্মেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন ২/১ দিনের মধ্যেই।

রেজিষ্ট্রেশন লিংক কমেন্টে।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

25 Oct, 12:12


দেহে মেটাবলিজমের 'মাস্টার অফ গ্ল্যান্ড' বলা হয় থাইরয়েডকে। লো মুড-এনার্জির গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি কারন এই থাইরয়েড ডিসফাংশন। বর্তমানে হাইপোথাইরয়ডিজম এবং হাশিমোটোস এর কারনে লো এনার্জিতে ভুগেন এমন মানুষের সংখ্যা কম ও না একেবারে। তাই আপনার লো এনার্জির কারন হিসাবে থাইরয়েড ডিসফাংশন কে সন্দেহ করলে শুরুতেই আপনার ক্লিনিশিয়ানের সাহায্যে পুরো থাইরয়েড প্যানেল চেক করুন। কেবল TSH না করে এর পাশাপাশি free T3, free T4, rT3, TPOAb, TgAb ইত্যাদি চেক করাও জরুরি। থাইরয়েড হেলথ ঠিক রাখতে আয়োডিনযুক্ত খাবার ও সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মেডিকেশন ও নেওয়া যেতে পারে।
আয়োডিন ও সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছেঃ ব্রাজিল নাটস, সী উইড, লিমা বিন্স, দুধ, ডিম, খোলসে থাকা প্রানীর গোশত, সামুদ্রিক মাছ, মটরশুটি, গরুর গোশত, কলা ইত্যাদি।
গ্রুপে চলছে ওয়েট লস চ্যালেঞ্জ। সেখানে থাইরয়েডের প্যাশেন্টদের ওয়েট লসের জন্য ও থাকছে বিশেষ পারসোনালাইজড প্ল্যান। আর কিছু সময় পরেই রেজিষ্ট্রেশন এর সময় শেষ হয়ে যাবে। তাই শেষ মুহুর্তে রেজিষ্ট্রেশন করতে চাইলে এখনি ই করে ফেলুন। রেজিষ্ট্রেশন লিংক থাকছে কমেন্ট বক্সে।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

23 Oct, 16:22


মেনোপজের সময় এগিয়ে আসার সাথে সাথে দেখা যায় নারীদের নিতম্ব ও উরুর দিকের মেদ কমে আসা শুরু করে, পক্ষান্তরে বাড়তে শুরু করে পেটের ওপরের দিক ও মাঝের দিকের মেদ।
সোয়ান স্টাডি নামে একটা বিখ্যাত গবেষনা আছে যেখানে দেখা যায়, মেনোপজ শুরুর আগে যে পেরিমেনোপজ থাকে, ঐ সময় থেকেই নারীরা গড়ে বছরে দেড় কেজি করে ওয়েট গেইন করতে শুরু করেন যতদিন না পর্যন্ত তারা টোটাল এভারেজ দশ কেজি ওয়েট গেইন করেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে নারীদের এই অতিরিক্ত দশ কেজি ওজনের প্রায় পুরোটাই হয় ভিসেরাল ফ্যাট। যে মানুষটা একা দশ হাতে সংসার চালিয়েছেন, হঠাৎ তিনি হয়ে যান নিস্তেজ, খিটখিটে মেজাজের, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাপ্রবন, অত্যন্ত ইমোশনালি সেন্সিটিভ, সন্দেহপ্রবণ এবং অনেকক্ষেত্রেই ডায়বেটিক।
কেন এই সমস্যা??
কারন, এই সময়ে নারীদের এস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন লেভেল দ্রুত কমে যেতে শুরু করে। বিশেষভাবে এস্ট্রোজেনের আছে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটির ওপর শক্তিশালী প্রভাব। মূলত এস্ট্রোজেনের কারনেই কিন্তু নারীরা পেটের মাঝ বরাবরের চেয়ে ত্বকের নিচে বেশি ফ্যাট গেইন করেন, আর পুরুষরা সাধারনত ত্বকের নিচের চেয়ে পেটের মাঝ বরাবর ফ্যাট গেইন করেন।
ফলে এস্ট্রোজেন হারানোর সাথে সাথে আমাদের মা খালাদের ফ্যাট গেইনের স্পট বদলে যাওয়া শুরু করে। তাদের দেহের মাঝখানটা ভারী হয়ে যায় এবং তারা হারিয়ে ফেলতে থাকেন নারীসুলভ শারীরিক ও মানসিক সৌন্দর্য। অনেকেই ডায়বেটিস, ফ্যাটি লিভার, ডিজলিপিডেমিয়া ও হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হতে শুরু করেন।
এখন, এটা বন্ধ করার উপায় কি??
স্যরি, আমি হরমোনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির পক্ষের মানুষ না।
এটা সম্পুর্ণ বন্ধ করা সম্ভব না হলেও এস্ট্রোজেনের অভাবজনিত কারনে যে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়, তা ঠেকানো এবং এই এক্সট্রা দশ কেজি ওয়েট গেইন ঠেকানোর কিছু উপায় আছে।
১)পরিমিত পরিমানে ন্যাচারাল এস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ বা এস্ট্রোজেন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এম্ন খাবার খাওয়া, যেমন সয়, ভুট্টা, চীনা বাদাম, কাজুবাদাম আখরোট, তিলের বীজ, তিসির বীজ, আপেল, কমলা, ডালিম, বেরি, চেরি ফল ইত্যাদি।
২)প্রজেস্টেরন স্বাভাবিক রাখে এমন খাবার, যেমন সূর্যমুখী বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, বুটের ডাল, সজনে, ক্রুসিফেরাস সবজি, গাঢ় সবুজ শাক, কাঠবাদাম, আখরোট, কলিজা ইত্যাদি।
৩)ডিমের কুসুম, এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেলসহ নিরাপদ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ইনটেইক বাড়ানো। (অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমেরিকান ন্যাশনাল ডায়েটারি গাইডলাইনে ফ্যাটের ওপর যে কঠিন রেস্ট্রিকশন আগে ছিল তা সায়েন্টিফিক এনালিসিসের ভিত্তিতে কমিয়ে আনা হয়েছে)।
৪)হলুদ, রসুন, গোলমরিচ, লবঙ্গ, অশ্বগন্ধার মত মসলা ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করা
৫)স্ট্রেস ফ্রি সময় কাটানোর চেষ্টা করা বা ইয়োগা করা
৬)হালকা গতিতে লম্বা সময় ধরে কার্ডিও করা
৭)ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন তৈলাক্ত মাছ, রেড মিট নিয়মিত গ্রহনের চেষ্টা করা
৮)বায়োটিন-ফোলেট যথেষ্ট পরিমানে ইনটেক করা
৯)ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট রেকমেন্ডেড নিউট্রিশনাল ডোজ হিসেবে নিয়মিত গ্রহন করা
১০)সন্ধ্যা ৭টার পর কোন খাবার না খাওয়া
এই দশটা কাজ যদি করা হয় নিয়মিত, ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সেও আপনি অতিরিক্ত মুটিয়ে যাবেন না ইনশা আল্লাহ।
যাদের ইতোমধ্যেই হাইপোথাইরয়েডিজম বা ওপরের সমস্যাগুলো রয়েছে, তারা এসব ব্যাপারে অবশ্যই প্রফেশনাল নিউট্রিশনিস্টের কনসাল্টেশন গ্রহন করবেন।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

17 Oct, 16:26


অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে কিংবা ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে ইরেগুলার পিরিয়ড, ইনফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দেয়।
ফ্যাটি লিভারের সাথে ইরেগুলার পিরিয়ড,
ইনফার্টিলিটি পেছনের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে হাই এস্ট্রোজেন লেভেল।
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে লিভারের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন ভেংগে ফেলার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে এস্ট্রোজেন ব্রেক ডাউন না হয়ে এটি বডিতে থেকে যায়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আমাদের ফ্যাট সেল ও এক্সট্রা এস্ট্রোজেন প্রডিউস করে।
ফলাফল হাই এস্ট্রোজেন লেভেল।
এস্ট্রোজেন ডমিনেন্সের লক্ষণ-
-পেটে অতিরিক্ত মেদ।
- ইররেগুলার পিরিয়ড সাইকেল, হেভি ব্লিডিং, অস্বাভাবিক ক্যাম্প।
- ডিপ্রেশন, ক্লান্তি, ব্রেইন ফগ, ব্লটিং,মাইগ্রেন, মুড সুইং
হাই এস্ট্রোজেন লেভেল কমাতে প্রথম ও প্রধান কাজ শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝেরে ফেলা।
অতিরিক্ত ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই আনহেলদি ওয়ে বেছে নেন। অনেকেই আছেন যারা নিজে নিজে ওজন কমাতে গিয়ে উলটো শরীরের বিপদ ডেকে আনেন। হেলদি ওয়েতে ওজন কমাতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক পরামর্শ। ইতিমধ্যে অনেকেই জানেন গ্রুপে ওয়েট লস ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রোফেশনাল নিউট্রিশনিস্ট & ফিটনেস ট্রেইনারের মনিটরিং এ থেকে হেলদি ওয়েতে ওজন কমাতে পারবেন।
দেরি না করে দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলুন।
রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম কমেন্টবক্সে।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

17 Oct, 14:28


রাত ১০/১১ টা বাজলেই মনে হয় মিষ্টি কিছু খেতে পারলে ভালো হতো। চকলেট কিংবা অন্য যে কোন সুইটস। আবার খাওয়ার পরেই মনে হয় মিষ্টি কিছু খাই বা খাওয়ার পরেই বিস্কিট চানাচুর খেতে ইচ্ছা করে এবং খাওয়ার পরেও ক্রেভিং শেষ হয়না। একটু পরেই মনে হয় আবার খাই। অনেকের আবার খাওয়ার পরেই মনে হয় শরীর ভেঙে ঘুম আসতেছে কিছুতেই শরীর চলছে না।

উপরের লক্ষ্মণগুলি যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে ধরে নেয়া যায় আপনার শরীর ধীরগতিতে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর দিকে আগাচ্ছে বা ইতিমধ্যে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স গ্রো করেছে।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স টার্ম টা আমরা অনেক শুনি, কিন্তু এটা আসলে কি, কীভাবে হয়, বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানেই ডায়াবেটিস কিনা সেটা নিয়ে আমরা অনেকেই ক্লিয়ার না।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আসলে কি??

আমরা যখন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার খাই, তখন আমাদের শরীর অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোন নি:সরণ করে, এবং শরীরের কোষগুলোতে গ্লুকোজের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ ইনসুলিন কে কাজে লাগিয়ে আমাদের শরীরের কোষগুলো গ্লুকোজ ব্যবহার করে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। কিন্তু যখনই আমাদের এই কোষগুলো ইনসুলিন সঠিক ভাবে ব্যাবহার কর‍তে পারে না, তখনই আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এবং এই গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অগ্নাশয় আরও বেশি বেশি ইনসুলিন নি:সরণ করতে শুরু করে। যার ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত ইনসুলিন ব্লাডে থাকা সত্ত্বেও আমাদের শরীর সেটা ব্যবহার কর‍তে পারে না। কারন কোষ গুলোর ইনসুলিন সেনসিটিভিটি কমে যায়। এবং আমরা যতই কার্বোহাইড্রেট খাই, বডিতে ততই ইনসুলিন নি:সরণের মাত্রা বাড়তে থাকে। শরীরের এই অবস্থাকে তখন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলা হয়।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর সিম্পটমস গুলো আসলে কি? কিভাবে বুঝবেন আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকলেও থাকতে পারে-

১) অতিরিক্ত ওজন কমাতে কষ্ট হওয়া এবং অতিরিক্ত বেলি ফ্যাট থাকা। মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হিপে ফ্যাট না জমে বেলিতে জমা হওয়া।

২)অতিরিক্ত স্যুগার ক্রেভিং হওয়া, বিশেষ করে রাতে এবং খাওয়ার পরপরই

৩) ক্ষুধা লাগা। এমনকি খাওয়ার পরেই অন্য কিছু খাওয়ার প্রবনতা

৪)সারাদিন ক্লান্ত থাকা, ঘুম ঘুম ভাব হওয়া। বিশেষ করে খাবার এর পরে ঘুম আসা।

৫) স্কিনে ব্রণ, ঘাড়ে, আন্ডার আর্মসে, মুখে, ব্রেস্টের নিচে(মেয়েদের) কালো দাগ হওয়া।

৬)মেয়েদের ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের সমস্যা হওয়া যা হারসুটিজম নামে পরিচিত

৭) অনেক সময় প্রেসার হাই এবং ব্লাডে হাই ট্রাইগ্লিসারাইড থাকা।

৮) মেয়েদের ক্ষেত্রে ওভারিতে সিস্ট হওয়া যা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস নামে পরিচিত।

এছাড়াও আরও অনেক ছোটখাটো সিম্পটমস রয়েছে।

তবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মানেই কিন্তু ডায়াবেটিস না। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হওয়ার প্রায় ৫/৬ বছর পরে প্রিডায়াবেটিস এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রায় ১০ বছর পরে ডায়াবেটিস তৈরি হয় শরীরে।

তবে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কিন্তু ফুল্লি কিউরেবল বা ভালো করে ফেলা সম্ভব এবং ডায়াবেটিস এর ঝুঁকিও কিন্তু কমিয়ে আনা সম্ভব। পরবর্তী পোস্টে কীভাবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দূর করা যায় সেটা আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

সুমাইয়া শিলা
নিউট্রিশনিষ্ট
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

15 Oct, 16:09


স্বল্প মেয়াদে পেইড ওয়েট লস চ্যালেঞ্জ করতে আপনাদের আগ্রহ দেখে আমরা রিতীমত অভিভূত!
তাই আপনাদের জন্য অনলি ৮ সপ্তাহে পেইড ওয়েট লস চ্যালেঞ্জ নিয়ে এলাম। এই ৮ সপ্তাহে আপনার ওজন কমবে ৮-১০ কেজি এবং সেটাও ভরপেট খেয়ে কথা দিলাম।
স্যুগার ক্রেভিং সহ, জাংক ফুড, ফাস্ট ফুডের ক্রেভিং এবং ক্ষুধা কমে আসবে। চ্যালেঞ্জ এর পরে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন কিভাবে আপনার ওয়েট লসের জার্নি এগিয়ে নিতে হবে।
আর সাথে বোনাস হিসেবে বডি টোনিং এর জন্য এক্সারসাইজ এর ফুল গাইডলাইন থাকছে।
এই ৮ সপ্তাহের জার্নিতে আপনি যা পাবেন-
১) ২ টা কাস্টমাইজড ডায়েট চার্ট - যেখানে আপনার সব সমস্যা, উপসর্গ এনালাইসিস করে চার্ট দেয়া হবে।
২) ২ টা ফুল বডি ওয়ার্কআউট প্লান।
৩) কন্টিনিউয়াস মনিটরিং সুবিধা।
৪) প্রতি সপ্তাহে টপ পার্টিসিপ্যান্ট এর জন্য ৫০০ টাকা বিকাশ রিওয়ার্ডস। অর্থাৎ আপনি যদি পর পর ৮ সপ্তাহ টপ স্কোরার হতে পারেন চ্যালেঞ্জ শেষে আপনার ১০ কেজি ওজন কমার সাথে সাথে ৪০০০ টাকাও একাউন্টে ঢুকবে।
৫) এবং এই চ্যালেঞ্জে যারা টপ ৩ স্কোরার হবেন তাদের জন্য থাকছে স্পেশাল গিফট ভাউচার।
কেন ঢুকবেন আমাদের চ্যালেঞ্জে?
১) অনেকেই আছেন যারা পার্সোনালাইজড প্লান নিলেও মোটিভেশান এর অভাবে ফলো করতে পারেন না। তাদের জন্য গ্রুপে থেকে মোটিভেশান নেয়া সহজ।
২) আমরা অন্য কোন ওয়েট লস চ্যালেঞ্জ এর মত গড়পড়তা ডায়েট চার্ট দিবো না।আপনারা প্রবলেম অনুযায়ী আলাদা আলাদা চার্ট পাবেন। পিসিওএস, থাইরয়েড, এস্ট্রোজেন ডমিনেন্স, ফ্যাটি লিভার, লো প্রোজেস্টেরন, ইনসুলিন রেসিস্টেন্স সব আলাদা ক্যাটাগরি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করা হবে।
৩) আমাদের লক্ষ্য আপনার ফ্যাট লস করিয়ে মাসল বিল্ড করতে হেল্প করা। যার প্রথম ধাপ এটা।
৪) আর অল্প সময়ে নিজেকে সুন্দর ভাবে সবার সামরে প্রেজেন্ট করার ব্যাপার তো আছেই।
কমেন্ট বক্সে রেজিষ্ট্রেশন লিংক দিয়ে দিচ্ছি। আজকে থেকে রেজিষ্ট্রেশন চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
নিজেকে বদলে ফেলার চ্যালেঞ্জ নিতে আমি তো তৈরি, আপনি তৈরি তো??

লিংকঃ https://docs.google.com/forms/d/e/1FAIpQLScWtYba5Lw6PjdikdLwl6GBePCjWpIqFdfxBt3gevwvvfMb6Q/viewform?fbclid=IwY2xjawF7ctJleHRuA2FlbQIxMAABHRQHYpm0raGio5F7dEM4GMAFxa3r5E6Ps5AIcqkZqBUhWcooEAoIglqaWQ_aem_kT71AGu5Foq-d16yMuYTTw

Diet Falsafa: The Natural Health Club

13 Oct, 16:18


ওজন কমাতে লো ফ্যাট নুডুলস খান!!
কি পোস্টের প্রথম লাইনটা দেখে নিশ্চয়ই নুডুলস এর brand এর নাম খুঁজছেন তাইনা। যে কোন নুডুলস এ ফ্যাট কম। খেলেই চিকন হয়ে যাবো। তাদেরকে একটু আশাহতই করবো এই পোস্টে।
আমাদের ডে টু ডে লাইফে ইন্সট্যান্ট নুডুলস খুব বড় একটা অংশ জুড়ে আছে। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার কাছেই মোটামুটি জনপ্রিয় একটি খাবার কারন ইজি টু কুক, ইজিলি বানানো যায়, ঝামেলা কম এবং একটা কুইক স্ন্যাকস আইটেম। কিন্তু এত সব কিছুর ভীড়ে এই ইন্সট্যান্ট নুডুলসের ক্ষতিকর দিকের কথা কেউ বলে না।
ইন্সট্যান্ট নুডুলসে হাই সোডিয়াম থাকার কারনে এই নুডুলস হৃদরোগ সহ উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। সাথে সাথে যেসব বাচ্চারা নিয়মিত এই ধরনের ইন্সট্যান্ট নুডুলস খায় তাদের মধ্যে সকল নন কমিউনিকেবল ডিজিজ( হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস) এর ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
প্রতি ১০০ গ্রাম ইন্সট্যান্ট নুডুলসে প্রায় ৭০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে বা কোন কোন ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি। যাদের ওজন বেশি, ডায়াবেটিস পেশেন্ট, পিসিওএস রিলেটেড সমস্যা আছে। তাদের জন্য এই ধরনের নুডুলস অত্যন্ত বিপদজনক।
আর ইদানীং দেখলাম যে, খুব বড় একটা কোম্পানি লো ফ্যাট নুডুলস এর ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। যেটা নাকি ওজন কমাবে। এই সব বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পরবেন না। নুডুলস নরমাল্লিই লো ফ্যাট ফুড। এর বেশিরভাগ কার্বোহাইড্রেট। সো এইসব পুরোটাই তাদের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।
নুডুলস যদি নিজে খেতে চান বাচ্চাদের খাওয়াতে চান হোমমেইড নুডুলস খাবেন। ইউটিউবে অনেক রেসিপি আছে এগুলো কিভাবে বানায়।
আর যাদের পিসিওএস সহ হরমোনাল ইমব্যালেন্স আছে, ডায়াবেটিস আছে তারা বাকহুইট নুডুলস চুজ করবেন। যেটা ওয়ান ওফ দ্যা হেলদিয়েস্ট নুডুলস ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। শুধু সুস্থ রাখবে এমন না, মেয়েদের ফার্টিলিটি বাড়াতে এবং এগ কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করতেও হেল্প করবে।
সুমাইয়া শিলা
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

12 Oct, 15:59


পুরুষের যৌন দুর্বলতার প্রধান কারন হচ্ছে কোর মাসল ও গ্লুটিয়াল মাসলের দুর্বলতা, অতিরিক্ত বেলি ফ্যাট ও টোটাল বডি ফ্যাট, ধুমপান, সয়াবিন-চিনি ও স্ট্রেস। পাশাপাশি যথেষ্ট এনিম্যাল প্রোটিন না খাওয়ায় ইসেনশিয়াল এমিনো এসিডস-আরজিনিন, সিট্রুলিন, লাইসিন ও লিউসিনের ঘাটতি, ভিটামিন ডি, ই, জিংক ও বোরনের ঘাটতি একে আরো খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে যারা বসে কাজ করেন, তাদের প্রতি পরামর্শ হচ্ছে, কোর মাসল ও গ্লুটিয়াল মাসল ডেভেলপ করুন, পাশাপাশি বেলি ফ্যাট ও টোটাল বডি ফ্যাট কমাতে চেষ্টা করুন।
কোর মাসল হচ্ছে আমাদের দেহের মধ্যভাগের পেশীগুলো, আর গ্লুটিয়াল মাসল হচ্ছে নিতম্বের পেশী।
বেলি ফ্যাট কমাতে সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে সাউন্ড স্লিপ, টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং এবং কার্ডিও--HIIT- ওয়ার্ক আউট।
সাউন্ড স্লিপ মানে, আপনি রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাবেন, গাঢ় ঘুম।
টাইম রেস্ট্রিক্টেড ইটিং মানে, দিনের প্রথম খাবার থেকে শেষ খাবারের তফাৎ থাকবে সর্বোচ্চ ১০ ঘন্টা এবং তা হবে মূলত দিনের বেলা। রাত ৭টার পর খাওয়া বন্ধ করুন।
কোর মাসল, গ্লুটস এবং পায়ের পেশীর জন্য ভাল কিছু এক্সারসাইজ হচ্ছেঃ
১)প্ল্যাঙ্ক-কোর
২)মাউন্টেইন ক্লাইম্বার-কোর-গ্লুটস-হ্যামস-কাফ
৩)লাঞ্জ-কোয়াড্রিসেপ্স-হ্যামস-গ্লুটস
৪)হ্যাংগিং লেগ রেইজ-কোর-হোল লেগ+গ্লুটস
৫)হিপ ব্রিজ-গ্লুটস-হ্যামস
৬)উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার-হোল লেগ+কোর
এই এক্সারসাইজগুলো আপনার রুটিনে রাখুন।
শরীরের সুন্দর শেইপ শুধু মেয়েদের না, ছেলেদেরও সমানভাবে প্রয়োজন, যা ছেলেদের একটা বড় অংশ পাত্তাই দেয় না।
আপনি রাইট শেইপে আছেন মানে, আপনার রাইট হেলথে থাকার চান্স খুবই বেশি।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

11 Oct, 10:49


হার্ট ডিজিজের সবচে বড় পাচটা কারনের একটা হচ্ছে ক্রনিক স্ট্রেস।
এখন কেন আমরা এত স্ট্রেসে থাকি এটা নিয়ে বিস্তারিত লেখা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয়, ৫টা কারন আছে যেজন্য আমরা এত বেশি স্ট্রেসড ফিল করি।

১)বাতাস, পানি ও মাটির গুনাগুন বদলে যাওয়া-বাতাস আগের মত বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয় না, পানি আগের মত ট্রেস মিনারেল দেয় না এবং মাটি আগের মত উপকারী ব্যাকটেরিয়া-নিউট্রিয়েন্ট দেয় না। কিন্তু এই তিনটা জায়গা থেকেই আমরা পেতে থাকি হেভি মেটাল।

২)অতি উচ্চ মাত্রায় ধারাবাহিকভাবে পাওয়া তথ্য ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সি। এর মূল উৎস ইন্টারনেট, বিশেষভাবে মোবাইল। আমাদের মস্তিষ্ক এখন একচেটিয়া ওভারওয়ার্ক করে, মস্তিষ্কের তাপমাত্রা সাধারনত স্বাভাবিক থাকে না।

৩)অতি বেশি কাজ করা। মানুষ তার ইতিহাসের ৯৫% সময় গড়ে দিনে ৫ ঘন্টার কম কাজ করেছে। এখন আমরা ১০ ঘন্টার বেশি কাজ করি প্রতিদিন। আমাদের শরীরের সমস্ত কোষ এই ক্লান্তিকে সেন্স করতে থাকে।

৪)সার্কাডিয়ান রিদম ডিজরাপশন-আমরা এখন রাতে ঠিকভাবে ঘুমাই না, লাইট পলিউশন-নয়েজ পলিউশান আমাদের এড্রেনালিন হরমোনকে হাই রাখে রাতের বেলা। দিনের বেলা আমরা রোদে থাকি না। সব মিলিয়ে আদর্শ অবস্থার বিপরীতে থাকি আমরা, যা আসলে শরীরকে একধরনের অঘোষিত ইমারজেন্সিতে রাখে।

৫)মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সিঃ এই সমস্যাগুলোকে সামাল দেয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজন হয় বাড়তি এন্টাই অক্সিডেন্ট, প্রচুর পরিমানে। প্রয়োজন হয় ফ্রি র‍্যাডিক্যাল স্ক্যাভেঞ্জার। এগুলো আমাদের খাবারে যথেষ্ট পরিমানে আসলে খুব কমই থাকে।

সব মিলিয়ে, আমরা থাকি সার্বক্ষনিক স্ট্রেসে।

এই ক্রনিক স্ট্রেস থেকে এলেভেটেড এড্রেনালিন, কর্টিসোল, ইনসুলিন, গ্লুকোজ আমাদের শরীরে যে সার্বক্ষনিক ইমার্জেন্সি তৈরি করে, তা আমাদের হার্ট মাসলের গায়ে তৈরি করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, হাইপোক্সিয়া এবং ল্যাকটেট ওভারলোড।

মানে, হার্ট মাসলগুলো সবসময়ই অক্সিজেনের অভাবে ভুগে তিলে তিলে নিঃশেষ হতে থাকে।

আমরা অনেকেই আছি, জীবনে বড় হওয়ার জন্য এত বেশি স্ট্রেস নেই যা নিজের শরীর সহ্য করতে পারে না। অনেকেই আছি, পরিবার-স্বজন-বন্ধুবান্ধবের কথায়, অফিসে বস/কলিগদের কথায় এমন চাপ নেই যা আসলে আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।

স্ট্রেস ছাড়া কোন মানুষ নেই জগতে। স্ট্রেস থাকবেই। কিন্তু স্ট্রেসকে ম্যানেজ করার জন্য আমাদের বাড়াতে হবে সক্ষমতা।

সেজন্য আমি ক্রনিক স্ট্রেসে ভুগছেন এমন সবাইকে পরামর্শ দেবো ৩টা কাজ নিয়মিত করতে, যাতে হার্ট ডিজিজের ভয়াবহতা কমানো যায়।

১)দিনে ১০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খাবেন। সিভিট বা চিনিযুক্ত ভিটামিন সি না খেয়ে সোডিয়াম/ম্যাগনেসিয়াম এসকরবেট ফর্মে খেতে চেষ্টা করবেন।

২)সচেতনভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের চর্চা করবেন, গভীর দম নেবেন ও ফেলবেন

৩)সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন ১০ কিলোমিটার হাটার চেষ্টা করবেন।

দেখবেন, জীবনটা বদলে যাচ্ছে একটু একটু করে।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

10 Oct, 14:05


শরীরে ভিটামিন বি-১ এর অভাব আছে কিনা বুঝবেন কিভাবে??
নিচের লক্ষনগুলো খেয়াল করুন।
১)হাটাচলা না করার পরেও পায়ে ব্যথা, বিশেষ করে পায়ের নিচের দিকে ব্যথা।
২)স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হার্টবিট(এটা অনেক সময় পটাসিয়াম/ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি বা সোডিয়াম/ক্যালসিয়াম এক্সেস থেকেও হয়)
৩)হাতে পায়ে কাটার মত ফোটা বা কোন অনুভুতি না থাকা
৪)দুর্বল স্মৃতিশক্তি, ভুল-সঠিক বিচার করতে না পারা
৫)সমস্ত বিষয়ে উদাসীন আচরন করা
৬)কনফিউজড থাকা এবং এলোমেলোভাবে হাটা
৭)চোখের অনিয়ন্ত্রিত নড়াচড়া
৮)বারবার দুঃস্বপ্ন দেখা
৯)হাতে পায়ে পানি জমা
১০)খাবার রুচি না থাকা
১১)সারাক্ষন ক্লান্তি বোধ করা
৪-৭ নম্বর সমস্যাগুলোকে ওয়ের্নিক এনসেফালোপ্যাথি বলে।
ভিটামিন বি-১ এর অভাবে হওয়া আরেকটা মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে কর্সাকফ সাইকোসিস। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগী সারাক্ষন কনফিউশনে ভোগে, তাদের বারবার শর্ট টার্ম মেমরি লস হয় এবং সেটাকে কাভার আপ করতে তারা বিভিন্ন ঘটনা তৈরি করে যা আসলে ঘটে নি।
ডায়বেটিক রোগী যারা প্রচুর ইনসুলিন ব্যবহার করেন বা লম্বা সময় ধরে ডায়বেটিক মেডিকেশান নিচ্ছেন, তাদের ভিটামিন বি-১ লেভেল স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-২০ গুন পর্যন্ত কম থাকতে পারে।
এধরনের রোগীদের অবস্থাভেদে দিনে ১০০ মিলিগ্রাম থেকে শুরু করে ২০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন বি-১ বা থাইমিন প্রয়োজন হতে পারে।
এই ধরনের সমস্যা যাদের আছে, তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে দুটো।
১)হার্টে বা লাংসে পানি চলে আসা যেটাকে ওয়েট বেরিবেরি বলা হয়।
২)মানসিক ভারসাম্যহীনতা (কোর্সাকফ সাইকোসিস)
এই সমস্যা থেকে বাচতে দুটো কাজ করতে হবে।
১)চিনি ও মদজাতীয় খাবার এবং রিফাইন্ড কার্ব ছেড়ে দিতে হবে।
২)মাঝে মাঝে নিউট্রিশনাল ইস্ট নেয়া যেতে পারে
৩)মোটা বাদামী চালের ভাত খেতে হবে
৪)ডায়বেটিকদের নিয়মিত ভিটামিন বি-১ সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
এই চারটা টেকনিক ফলো করলে আশা করছি থাইমিন ডেফিসিয়েন্সিতে কেউ অসুস্থ হবেন না ইনশা আল্লাহ।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

08 Oct, 15:20


মেয়েদের উভয় সংকটঃ কালচারাল মিথস ইন ওয়েট লস
আমাদের দেশে কিছু কালচারাল মিথ আছে যে মিথের কারনে মেয়েরা ওয়েট লস করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্য, এমনকি আক্রান্ত হন নানান যৌনমানসিক সমস্যায়(সাইকোসেক্সুয়াল ডিজর্ডার), পরবর্তীতে যা দীর্ঘস্থায়ী হরমোনাল ইমব্যালেন্সে রুপ নিতে পারে।
প্রায়ই চেম্বারে ১৬-২৫ বছর বয়সী মেয়েরা আসে যারা বয়সন্ধিকালে কোন বিশেষ নায়িকার মত সাইজ জিরো হতে গিয়ে ডায়েটিং শুরু করে এবং সে ডায়েটগুলোতে থাকে মূলত বিভিন্ন সালাদ টাইপ সবজি, সবজির স্মুথি, বিভিন্ন স্লিমিং প্রোডাক্ট, অতি সামান্য প্রোটিন এবং প্রায় জিরো ফ্যাট।
এগুলো তারা করে বছরের পর বছর এবং এর সাথে তারা ইয়োগা-কার্ডিও করে অনেক লম্বা সময় ধরে।
এর ফল হয় কি, আমি বলি।
১)ব্যাপকভাবে তারা সাবকিউটেনিয়াস ফ্যাট-কিউটেনিয়াস ফ্যাট দুটোই হারায়। ত্বক শুষ্ক, খসখসে, নির্জীব হয়ে যায়।
২)চুল পড়া এবং চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়া
৩)মাসল লস হওয়া, এর ফলে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যাওয়া, সার্বক্ষনিক শারীরিক দুর্বলতা ও অবসাদে ভোগা
৪)হাইপোন্যাট্রিমিয়া বা সোডিয়ামের ঘাটতিতে ভোগা, যার ফলে তৈরি হয় এংজাইটি, স্ট্রেস ডিজর্ডার, দুর্বলতা, বিষন্নতা এমনকি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স!!
৫)এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরন দুটোর কোনটাই শরীরে স্বাভাবিক পরিমানে তৈরি হয় না। সুগঠিত স্তন-নিতম্বের বদলে এই মেয়েরা অনেকেই প্রায় কাঠির মত শারীরিক গড়ন তৈরি করে, ফলে এদের প্রজনন স্বাস্থ্যেও ঘটে বিপর্যয়। এদের কেউ কেউ নিজেদেরকে এসেক্সুয়াল দাবী করে, আসলে দেখা যায় যে এরা হাইপোসেক্সুয়াল, নিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সির কারনে। মেয়েলি যে আনন্দময় অনুভুতিগুলো, তা এরা পায় না, পায় শুধু বিষন্নতার ভাগ।
৬)লো টেস্টোস্টেরন লেভেল-এই মেয়েদের অনেকেই টেস্টোস্টেরনের অভাবে ভোগে, যা তাদের স্বাভাবিক যৌন আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করে, ব্যাহত করে মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক শক্তিকে। নারীদের ক্ষেত্রেও টেস্টোস্টেরন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন।
৭)আয়রন, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি-১২ ডেফিসিয়েন্সি-একদম ঘরে ঘরে এগুলো আছে এখন, কিন্তু এই মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি। সাইজ জিরো হতে চাওয়া মেয়েদেরকে প্রায়ই ৫-৮ ভিটামিন ডি লেভেল নিয়ে, ভীষন কম ফেরিটিন লেভেল নিয়ে চেম্বারে আসতে দেখা যায়।
এই মেয়েগুলো জানে না, একজন নায়িকা/গ্ল্যামার মডেলের ঝকঝকে ছবি আর ভিডিওগুলোর পেছনে কতগুলো করে হেলথ ইস্যুজ থাকে, সেগুলো সামলাতে নিউট্রিশনিস্ট-ডাক্তার-সাইকোলজিস্ট আর কসমেটিক থেরাপিস্টের কি পরিমান ইফোর্ট দিতে হয়।
মাই টিনেইজ সিস্টার্স!!
সাইজ জিরো হতে গিয়ে নিজের নারীত্বকে ধ্বংস করে তোমাদের কোন লাভ নেই।
প্রোটিন এবং হেলদি ফ্যাটকে উপেক্ষা করলে নিজেদেরই পস্তাতে হবে।
ওয়েট লস গোল সেট করবেন অবশ্যই একজন ফিটনেস স্ট্র‍্যাটেজিস্ট বা নিউট্রিশনিস্টের সাথে বসে।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

04 Oct, 14:05


আপনার স্ত্রীর মেজাজ কি সারাক্ষণই খিটখিটে থাকে??
ক্ষনে ক্ষনে মত বদলায়, কারনে অকারনে রেগে যায়?? কোনভাবেই কি তার মন যুগিয়ে চলতে পারছেন না??
এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ব্যাপার মনে রাখতে হবে।
১)যদি দেখেন মেজাজের সাথে সাথে তার মাসিক অনিয়মিত এবং মাথার চুল পড়ছে, তাহলে আপনি প্রথম ক্লুটা পেয়ে গেছেন।
২)যদি দেখেন চুল শুধু পড়ছেই না, বরঞ্চ নতুন চুলও গজাচ্ছে না, তাহলে আরেকটা ক্লু যোগ হল।
৩)তার ঘন ঘন খেতে ইচ্ছা করে কিনা এবং খাবারে দেরি হলে হাত পা কাপে কিনা?? এটাও ঠিক হয়ে থাকলে আরেকটা ক্লু যোগ হল।
৪)মাথার তাপমাত্রা মাঝে মাঝে হাত দিয়েই বোঝার চেষ্টা করবেন, এরপর পায়ের তালুর তাপমাত্রা বোঝার চেষ্টা করবেন। মাথা গরম ও পা ঠান্ডা কিনা, লক্ষ্য করবেন।
এই সবগুলো ক্লু যদি ঠিক থাকে, সম্ভাবনা আছে আপনার স্ত্রীর মেজাজের ভারসাম্যহীনতা মূলত হরমোনাল ইমব্যালেন্স থেকে হচ্ছে।
আমাদের চেম্বারে প্রায়ই নারীরা এসে অভিযোগ করেন তারা অকারনে স্বামী-সন্তানের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন কিন্তু তা থামাতে পারছেন না চেষ্টা করেও। পরবর্তীতে, নিজের ইগো ধরে রাখতে ব্যাপারটাকে তারা অস্বীকার করে বসেন। এতে কাউকে স্যরি বলা লাগে না বটে কিন্তু ভেতরে ভেতরে অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন ঠিকই।
সাধারনত ওপরের সমস্যাগুলো দেহে প্রজেস্টেরনের অভাবজনিত কারনে হয়ে থাকে।
প্রজেস্টেরন উৎপাদন নানা কারনে কমে যেতে পারে, সবচে বড় কারন ম্যাগনেসিয়াম ও বি ভিটামিন-৬ ডেফিসিয়েন্সি। ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে প্রজেস্টেরনের ঘাটতি মাঝে মাঝে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মতও আচরন করে।
একজন স্মার্ট স্বামী এই খিটখিটে মেজাজকে শুধু কথা দিয়ে না সামলে স্ত্রীকে হেলদি লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত করতে উৎসাহ দেন।
প্রজেস্টেরনের রিচ সোর্স হচ্ছে সমস্ত বীজ জাতীয় খাবার, খোলসওয়ালা প্রানীর গোশত, সবুজ শাক সবজি এবং লাল গোশত।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, প্রজেস্টেরন কম থাকলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের ওপর আর প্রভাব পড়তে পারে। আবার যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, তারা নিজেকে চাঙ্গা রাখতে দফায় দফায় কফি খান।
এই দুটো ব্যাপারই পরবর্তীতে আপনার প্রজেস্টেরন লেভেল আরো কমিয়ে দিতে পারে।
স্বামীদের বলছি, হরমোনাল ইমব্যালেন্সকে বুঝুন এবং স্ত্রীর মাথা ঠান্ডা রাখতে দক্ষ হয়ে উঠুন।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

02 Oct, 13:15


শারীরিক সম্পর্ক বা সেক্সে একদমই আগ্রহ নেই, সেক্সের সময় লিবিডো কম বা ড্রাইনেস এর সমস্যা, সেক্সের পরে বার্নিং সেনসেশন বা জ্বালাপোড়া হওয়া এখন বিবাহিত মেয়েদের খুব কমন সমস্যা।

আমি অনেক পেশেন্ট পাই যারা এই ধরনের কমপ্লেইন করেন আমাকে। যে আপু আমার তো ডিজায়ার একেবারেই কম, কোনরকম আগ্রহ ফিল করি না। লজ্জায় অনেকে পার্টনারকে বলতে পারেন না এমনকি অনেক সময় পার্টনার বা ডাক্তার কি ভাববে সেই ভয়েও অনেকে এটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে ভয় এবং লজ্জা দুটোই পেয়ে থাকেন। অনেক খুচিয়ে তাদের থেকে এই সব সমস্যার কথা শুনি৷

আজকে এই ব্যাপার টা নিয়েই কথা বলবো। 

Hypoactive sexual desire disorder(HSDD) খুবই কমন একটা সমস্যা যেটা মেয়েদের সেক্স ড্রাইভকে কমিয়ে দেয়। অনেক সময় আমরা শারিরীক অনেক চেইঞ্জের কারনে এটা বুঝতে পারি না। HSDD এর কিছু সিম্পটমস আছে৷ তার মধ্যে কমন সিম্পটমস গুলো আমি অলরেডি উপরে বলেছি৷

১)সেক্সের প্রতি একদমই কম ইন্টারেস্ট থাকা বা ইন্টারেস্ট না থাকা।

২) কোন সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি কাজ না করা।

৩) নিজে থেকে কখনো ডিজায়ার ফিল না করা।

৪) সেক্সের সময়ে কোন প্লেজার ফিল না করা।

৫) সেক্স ড্রাইভ ধীরে ধীরে কমতে থাকা।

৬) পার্টনারের প্রতি কোন সেক্সুয়াল এট্রাকশন ফিল না করা।

-কেন হয় HSDD??

HSDD অনেক কারনে হতে পারে। এগুলোর মধ্যে -

১) ইনসুলিন রেসিস্টেন্স বা ডায়াবেটিস।

২) থাইরয়েড ইস্যু

৩) আর্থ্রাইটিস

৪) বডিতে এস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়া, প্রোল্যাকটিন বেড়ে যাওয়া।

৫) পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস

৬) প্রেগন্যান্সির সময়ের বা ডেলিভারি পরবর্তী  হরমোনের পরিবর্তন

৭) কিছু মেডিকেশন( এন্টি ডিপ্রেসেন্ট, হাই ব্লাড প্রেশার এর মেডিসিন)

৮) ফ্যাটিগ বা অতিরিক্ত ওয়ার্কলোড

৯) এনজাইটি, ডিপ্রেশন, লো সেল্ফ এস্টিম

১০) চাইল্ডহুড ট্রমা

১১) পার্টনারকে ভরসা করতে না পারা বা মেন্টাল্লি এটাচড ফিল না করা।

HSDD অনেক সময়ই ফুল্লি কিউরেবল না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন করে অনেক বেশি উন্নতি করা যায়। বিশেষ করে যাদের বয়স কম। অনেক পেশেন্ট দের ক্ষেত্রেই দেখেছি তারা লাইফস্টাইল মোডিফিকেশন করে অনেক পজিটিভ চেইঞ্জ পেয়েছেন।

তবে HSDD ট্রীটমেন্ট করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে এর পিছনের প্রধান কারনটা আসলে কি।




সুমাইয়া শিলা
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

04 Sep, 10:34


আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত একটা ব্যাপার আছে যে সেইম এইজ বিয়ে করা যাবে না বা বয়সে ২/১ বছরের বড় মেয়ে হলে তো কথাই নাই৷ বাবা রে বাবা দূরে দৌড়াও; যে যেনো সাত খুনের সমান।  বিয়ের ব্যাপারে এই ভাবনার কারন যতটা না বেশি মানসিক বা ম্যাচিউরিটির তার থেকে অনেক বেশি শারিরীক।  আমাদের দেশে একটা সকলেরই বদ্ধমূল ধারনা যে মেয়েদের শারিরীক বার্ধক্য তুলনামূলক আগে আসে ছেলেদের থেকে এবং এই কারনে মেয়ের সাথে ছেলের বয়সের  পার্থক্য ১০ বছর হলেও এটা তেমন কিছুই মনে করা হয়না।

এখন আমি যদি আপনাকে বলি আমাদের দেশের মেয়েরা আসলে বুড়ো হয়না, তাদের বয়সের আগেই বুড়ো বানিয়ে দেয়া হয় তাহলে কি মানবেন আপনি??
আপনার মনে হতে পারে আমি এগুলা কি বলছি? জোর করে বুড়ো বানায় কি করে? এটাও কি সম্ভব? আজগুবি কথা, তাই না?

অবশ্যই সম্ভব। চলুন এক্সপ্লেইন করি!!

আমাদের দেশে মেয়েদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মেয়েদের ভাত খাওয়ার প্রবনতা বেশি হলেও প্রোটিন এবং ফ্যাট গ্রহন করার প্রবনতা পুরোপুরি তার উল্টো এবং আফটার ৩০ বা বাচ্চা হওয়ার পরে এটা আরও কমে যায়। এর কারন কিন্তু এটা না যে মেয়েরা খেতে পারে না, এর মুল কারন হচ্ছে আমাদের পূর্ব পুরুষদের প্রাকটিস এবং মেয়েদের স্যাক্রিফাইসিং মেন্টালিটিকে দিনের পর দিন চেরিস করে মেয়েদের এগুলা করতে ইন্সপায়ার করা।

এখন এই জিনিসটাও একটু ব্যাখ্যা করা যাক!!

- আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে একটা প্রবনতা ছিলো ভালো মাছ টা,ভালো মাংসের টুকরো টা, ডিম দুধ খাওয়ার অধিকার ছিলো বাড়ির কর্তার বা ছেলে মানুষের। এমনকি বাড়ির সকলের খাবার পরে যা বাকি থাকে সেটাই মেয়েদের খেতে হতো। সবার সাথে এক সাথে বসে সেইম খাবার খাওয়া টাকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে গন্য করা হতো এবং দীর্ঘদিন এই খাদ্যাভ্যাস প্রাকটিস করার জন্য মেয়েদের শরীরের মাসেল মাস কমে আসে, কোলাজেন সিনথেসিস কমে যায়, স্কিন কালো হয়, ফ্যাকাসে হয়ে যায়,ফ্যাট না খাওয়াতে চামড়া কুচকে আসে, সেক্স ড্রাইভ কমে যায় এবং আফটার ৩৫ অস্টিওপরোসিস, হাতে পারে ব্যাথা, লো ভিটামিন ডি + আরো অনেক ডিজিজ খুবই কমন! আর ফলাফল!!  ওইযে বয়সের আগেই বার্ধক্য টেনে ধরে তাকে। যেই সময়টায় সব থেকে বেশি স্ট্রং থাকার কথা ঠিক তখনই তার শরীর ভাঙা শুরু হয়।

আর এর সাথে ঘরের কাজে মহিলাদের সাহায্য করা যাবে না; সাহায্য করলে পুরুষত্ব দ্বিধার মধ্যে পড়ে যাবে এটা তো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিলো!

এবার আসি যে এটা তো পূর্বপুরুষদের কথা বললাম, আমরা আসলে কি করি?? আমাদের মাঝে কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে??

-না হয়নি। যুগ বদলেছে। কিন্তু মেয়েদের মধ্যে থেকে এই আচরণ বের করে দেয়া সম্ভব হয়নি। ২৪-২৫ বছরের একটা মেয়ের খাদ্যাভ্যাস মোটামুটি ঠিক থাকলেও, যখনই তার বড় ভাই বা বাবা বাসায় থাকলে মাছের টুকরো  ২ টা হলে সেটা বাবা বা ভাইয়ের প্লেটেই উঠে।  মেয়েটাকে শেখানো হয় যে তোমাকে স্যাক্রিফাইস করতে হবে, এটাই মেয়েদের লাইফ এবং এটা দিনের পর দিন হয়। কখনোই ওই মাছ মা বা বোনের প্লেটে ওঠে না। আবার অনেক সময় মাছ দুই টুকরো বেশি থাকলেও মা অন্য সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে নেন যাতে সকালে স্বামী এবং ছেলের প্লেটে সেটা দিতে পারেন। এই শিক্ষাটা আমরা আমাদের মায়ের থেকে পেয়ে আসছি এবং আমাদেরকেও এই একই কাজ করতেই বলা হয়।

আপনি চেরিশ করেন যে আপনার মা খাচ্ছে না বউ খাচ্ছে না আপনার জন্য রেখে দিচ্ছেন কিন্তু আপনি কি কখনো বলেছেন আম্মু তোমার বয়স হয়েছে তোমার এটা খাওয়া দরকার, এই এক গ্লাস দুধ আমার থেকে তোমার বেশি খাওয়া দরকার। না আপনি বলেন না। আপনি ফেইসবুকে এসে ছবি পোস্ট করেন মায়েরা এমনই!!
হ্যা মায়েরা এমনই হয়। তবে আপনার সামর্থ্য থাকলে আপনার আম্মা এক টুকরো মাছ পাতে তুলছে কিনা খোঁজ নিন, রেগুলার দুধ খাচ্ছে কিনা খোঁজ নিন। যদিও এই যুগে ছেলেরা বউদের খাবারের দিকে বেশ ভালো নজর দেন বাট সেই নজর টা বউ থেকে মা হয়ে যাবার পরে চলে যায়!

আমাদের দেশে মহিলাদের গড় আয়ু পুরুষ দের থেকে বেশি৷ কিন্তু তাদের খাদ্যাভ্যাস এর জন্য তারা পুরুষদের থেকে আগেই বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। বলা হয় মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি হয়। না ভাই মেয়েরা কুড়িতে বুড়ি হয় না, বুড়ি বানানো হয়। এমনকি বলা হয়ে থাকে মেয়েদের সব থেকে সুন্দর লাগে ৩৫-৪০ বছর বয়সে।  বলিউডে ৫০+ এইজের নায়িকাদের দেখে হা করে থাকেন। কিছু ট্রীটমেন্ট তো থাকেই; তবে তা বাদে তারা ইয়াং থাকেন তাদের ফুড হ্যাবিটের জন্যই। আপনার আমার আম্মুও বুড়িয়ে যায়নি আমরা তাদের বুড়িয়ে যেতে ইন্সপায়ার করছি।

এরপর থেকে খেতে বসলে আগে দেখবেন আপনার প্লেটের সাথে সাথে মাছ/ মাংসের টুকরো টা আপনার মায়ের প্লেটে, আপনার বোন বা বউয়ের প্লেটে উঠলো কিনা!! ❤️

সুমাইয়া শিলা
নিউট্রিশনিষ্ট
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

20 Aug, 08:07


টেস্টোস্টেরনকে মানুষ শুধুই সেক্স হরমোন ভাবে, যা আসলে ঠিক না। মজার ব্যাপার হল, যে এস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরনকে ফার্টিলিটি হরমোন বলে ভাবা হয়, তারাও শুধু ফার্টিলিটি হরমোন না, তাদের আরো অনেক ভুমিকা আছে।
উদাহরন দেই, এস্ট্রোজেন কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ব্যায়ামের সময় আমাদের মাসল যে গ্লাইকোজেন ভাঙ্গে, এবং ব্লাড থেকে মাসল সেলের ভেতরে যে গ্লুকোজ ঢোকে, দুইটা প্রক্রিয়াকেই এস্ট্রোজেন যথেষ্ট স্লো করে দেয়। আবার, এস্ট্রোজেনের প্রভাবে, গ্লুকোজ ব্লাডে আসার পরে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরে ভাঙ্গে।
পুরুষেরা প্রায়ই মেয়েদের ধীরগতির ফিজিক্যাল রিফ্লেক্সের ব্যাপারে অভিযোগ করেন, এর অন্যতম কারন হল এস্ট্রোজেন। তাদেরকে বানানোই এভাবে যে তারা ছেলেদের মত কুইক ফিজিক্যাল রিফ্লেক্স দিতে পারবে না।
আবার, এই এস্ট্রোজেন-প্রজেস্টেরনই কিন্তু আমাদের হাড়গুলোতে ক্যালসিয়াম বাইন্ডিং করতে সাহায্য করে। এজন্য মেনোপজের পর নারীরা দ্রুত হাড়ক্ষয়ের সমস্যায় আক্রান্ত হন।
টেস্টোস্টেরনের কাজ বোন মেটাবলিজমে একটু অন্যরকম, টেস্টোস্টেরন মূলত হাড়কে ভারী হয়ে উঠতে সাহায্য করে মানে ঘনত্ব ও পুরুত্ব বাড়ায়, এস্ট্রোজেনের সাথে মিলে।
যাই হোক, বিষয়টা আর জটিল না করে মূল আলাপে আসি।
প্রতিটা হরমোনেরই অনেক ধরনের একশন আছে, কোন কোন একশন একটু বেশি হাইপড, কোন কোনটা কম হাইপড। হাইপ কোনটা বেশি খাবে তার অনেকটাই নির্ভর করে মিডিয়া এবং রিসার্চ ইন্ডাস্ট্রির ওপরে। সায়েন্সকে কমার্স থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবার কোন কারন নাই। আধুনিক বিজ্ঞান দাড়িয়েই আছে ব্যবসায়িক সাফল্য নির্ভরতার ওপরে।
টেস্টোস্টেরন আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান এনাবোলিক স্টেরয়েড হরমোন। এটা এমন একটা এনাবোলিক হরমোন, যার কাজের মিল আছে গ্রোথ হরমোনের সাথে। টেস্টোস্টেরন আমাদের মাসলকে বড় করতে এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
ব্যাপারটা এটুকুতে সীমাবদ্ধ হলেও হয়েছিল।
টেস্টোস্টেরনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা হল এটা অনেকাংশেই নির্ধারন করে, আপনার শরীরের কোথায় কোথায় ফ্যাট জমবে। একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের সবচে বড় খালি চোখে ধরার মত তফাত হচ্ছে, ছেলেদের ও মেয়েদের শরীরে ফ্যাট জমাবার জায়গা সম্পুর্ন আলাদা।
তো কে কোথায় ফ্যাট জমাবে, এইটার অধিকাংশই নির্ভর করে আসলে তার সেক্স হরমোনের ওপরে।
এই জায়গায় চলে আসে আরেকটা ব্যাপার। সত্যি বলতে, আপনার শরীরে কোথায় ফ্যাট জমার প্রবনতা বেশি থাকবে, এইটা অনেকটাই আসলে নির্ধারিত হয়ে গেছিল মায়ের গর্ভে ৪-৬ মাস সময়ের ভেতরে।
বাবার সেক্স ক্রোমোজোম আর মায়ের সেক্স ক্রোমোজোম মিলে আপনি প্রিন্যাটাল স্টেজে যতটা টেস্টোস্টেরন, এস্ট্রোজেন আর প্রজেস্টেরন পেয়েছেন, তার ওপর শৈশবে আপনার ব্রেইন কতটা পুরুষালী বা মেয়েলি হবে তা নির্ভর করে এবং এই ব্রেইনই পরবর্তীতে সিগন্যাল দেয় শরীরের কোথায় আপনার কি ধরনের ফ্যাট জমবে।
এতবড় জটিল হরমোনাল রচনা লেখার কারন কি??
কারন প্রচুর মানুষ আমাদের চারপাশে আছেন, যারা হরমোনাল ইমব্যালেন্সে ভুগছেন বা ভীষনভাবে আনফিট এবং নিজেদের লাইফস্টাইল নিয়ে তাদের আসলে কোন হেডেকও নাই।
এই মানুষগুলা যে সন্তানদের দুনিয়াতে আনতে যাচ্ছেন, তাদের একটা বড় অংশ হরমোনালি ইমব্যালেন্সড অবস্থায় দুনিয়াতে আসবে এবং নানা শারীরিক-মানসিক সমস্যায় ভুগে জীবন পার করবে।
এর সাথে যেসব পুরুষ ২৫% এর বেশি বডি ফ্যাট এবং যেসব মেয়ে ৩৫% এর বেশি বডি ফ্যাট ক্যারি করছেন, তাদের সন্তানদের একটা জিনেটিক্যালি ইনহেরিটেড ওবিসিটিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমাদের ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাসের এক্রুয়েট নিউক্লাই নামে একটা জায়গা আছে, ওখান থেকে POMC নামে একটা হরমোন নিসৃত হয়, যেটা MCR-4 নামে আরেকটা রিসেপ্টরে যুক্ত হয়।
এই হরমোন ও রিসেপ্টরকে বলা হয় জিনেটিক ওবিসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য সরাসরি দায়ী। আপনাদের সন্তানদের আপনারা চাইলেও ভাল খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারবেন না কারন তার জিন তাকে বলবে আনহেলদি ফুড খেতে। সে আনহেলদি ফুড খেয়ে মোটা হওয়ার মত ব্রেইন প্রোগ্রামিং নিয়েই দুনিয়ায় আসবে।
তাহলে, আপনি কি করবেন??
সিম্পল, নিজেকে হেলদি লাইফস্টাইলে নিয়ে আসতে চেষ্টা করবেন।
নিয়মিত স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং করবেন, কার্ব ইনটেক ৩০% এর মধ্যে রাখবেন। সম্ভব হলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন।
ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি থেকে একশো হাত দূরে থাকবেন। ওপরে যতকিছু বলেছি সবকিছুর মফহ্যে ভিটামিন ডির ভুমিকা আছে।
এই কথাগুলি মানেন, এগুলি মানলে ৯৯% মানুষেরই আর চেম্বারে আসতে হবে না ইনশা আল্লাহ।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

11 Aug, 18:34


সুমাইয়া শিলা
নিউট্রিশনিষ্ট
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট
বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
চাইল্ড এন্ড রিপ্রোডাক্টিভ নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট

বিএস, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

11 Aug, 18:34


বাচ্চা কোন ভাবেই খেতে চাচ্ছে না। বাচ্চাকে খাওয়াতে সারাবাড়ি দৌড়াতে হচ্ছে। কোন ভাবেই যেন মুখের খাবার গিলছে না। খাবার দেখলেই তার অনেক অনীহা। ভাত দেখলে যেন দৌড়ে পালায়। কিন্তু চিপস, চানাচুর খুব খায়৷ এই অভিযোগ যদি আপনার বাবুকে নিয়ে আপনার হয়ে থাকে তাহলে আজকের পোস্ট টা আপনার জন্য।

বাচ্চাদের বাইরের খাবার দেয়া শুরু হয় সাধারণত ৬ মাস বয়স থেকে। ৬মাস থেকে ১ বছর বাচ্চা মোটামুটি ভালো খেলেও যখন থেকে হাটা শুরু করে এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় বাচ্চাদের না খাওয়ার সমস্যা। এই সমস্যা থেকে আসলে উত্তরনের কি উপায়?

১) প্রথমেই আপনাকে একটা জিনিস বুঝতে হবে যে বাচ্চাদের খাবার আর বড়দের খাবারের পরিমান কিন্তু এক না। আপনার পাকস্থলীর ধারন ক্ষমতা অনেক বেশি সেই অনুযায়ী বাচ্চাদের অনেক কম। অনেক মায়েরাই আছেন বাচ্চাদের ১ প্লেট ভাত নিয়ে বসবেন এবং সেটা না খেলেই তার বাচ্চা খায়না বা না খেলে বকা দেন বা গায়েও হাত তোলেন এটা করা খুবই খারাপ। এতে বাচ্চার খাবারের প্রতি অনিহা আসে এবং সে খাবার দেখলেই ভয়ে এবং আতংকে থাকে।

২) বাচ্চাদের হাত দিয়ে খেতে দিন। সাধারণত ৬ মাসের পরেই বাচ্চারা হাত দিয়ে ধরা শিখে এবং মুখে দিতে পারে। তাই বাচ্চাদের হাত দিয়ে খাওয়া শিখান। খাবার তৈরি করে সামনে দিয়ে রাখুন। ও খেলতে খেলতে খাবে। বাচ্চারা অনুকরণ করতে খুবই পছন্দ করে। তাই আপনি খেতে বসলে কিভাবে খান বা কোন খাবার টা ওকে খাওয়াতে চাচ্ছেন সেটা খুব মজা করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চারা ওই খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হবে।

৩) বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।  এতে বাচ্চাদের হাড় মজবুত হবে। তবে হ্যা বাচ্চাদের ১৮ মাস পর্যন্ত গরুর দুধ না দেয়াই ভালো। অনেক সময় গরুর দুধে বাচ্চাদের এলার্জি ট্রীগার করে যার জন্য বাচ্চাদের ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে। তাই এই বয়সে ছাগলের দুধ খাওয়ানো বাচ্চাদের জন্য সব থেকে ভাল অপশন। যদি দুধে বাচ্চার হজমে সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তার বা নিউট্রিশনিষ্ট এর পরামর্শে বাচ্চাকে প্যাকেটজাত  দুধ খাওয়াতে পারেন।

৩) বাচ্চার খাবার কালারফুল রাখার চেষ্টা করবেন। এতে খাবারের প্রতি বাচ্চাদের আকর্ষণ বাড়ে। খাবারে আগ্রহী হয়।

৪) আমরা অনেকে বাচ্চাদের খাবার নিজেরা খেতে পারি না। টেস্ট লাগে না বলে। এটা মনে রাখবেন বাচ্চাদের টেস্ট সেনসেশন ৭/৮ মাস পর থেকেই বিল্ড আপ হতে শুরু করে। যেটা আপনার মুখে মজা লাগছে না সেটা আপনার বাচ্চা খাবে এই আশা করে লাভ নেই।

৫) বাচ্চাকে প্রতিদিন অন্তত ১ টা করে ডিম খাওয়ান। অনেক সময়ই বাচ্চারা খালি ডিম খেতে চায়না। এক্ষেত্রে সুজি,খিচুড়ি বা অন্য খাবারের সাথে ডিমটা মিক্স করে দিতে পারেন। বা ডিমের হালুয়া বানিয়ে দিতে পারেন।

৬) বাচ্চাদের খাবার রান্নায় ঘী যোগ করুন। প্রতিটি ২/৩ টেবিল চামচ ঘি আপনার বাচ্চার দৈহিক এবং মানসিক বিকাশে অনেক বেশি ভুমিকা রাখবে।

৭) আমাদের দেশের সব থেকে কমন প্রাকটিস এখন ছোট বাচ্চাদের Instant নুডুলস খাওয়ানো। আপনি জানেনই না যে আপনি এই নুডুলস খাইয়ে নিজের অজান্তেই আপনার বাচ্চার কতবড় ক্ষতি করে ফেলছেন। ইন্সট্যান্ট নুডুলসে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট আপনার বাচ্চার ইমিউনিটি দূর্বল করে,এছাড়াও ভবিষ্যতে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ইন্সট্যান্ট নুডুলস এর পরিবর্তে বাচ্চাকে হোমমেইড নুডুলস বা বাকহুইট নুডুলস খাওয়াতে পারেন।

৮) বাচ্চাদের সাদা চিনি খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। চেষ্টা করুন খাটি আখের গুড় খাওয়াতে।

৯) অনেক বাবা মায়ের ধারনা ভাত খাচ্ছেনা মানেই বাচ্চা কিছুই খাচ্ছে না। ভাত কার্বোহাইড্রেট ছাড়া খুব বেশি এমাউন্টের কোন ভিটামিন মিনারেলস দেয়না। তাই অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

১০) বাচ্চাকে তৈলাক্ত মাছ দিন। ছোট মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।  গরু,খাসির কলিজা খাওয়ান। ইদানীং যেহেতু মুরগিকে প্রচুর ফিড খাওয়ানো হয় তাই মুরগির কলিজা এভয়েড করাই ভালো। তবে অনেক সময় বাচ্চারা কলিজা খেতে চায়না। সেক্ষেত্রে কলিজা বেটে খিচুড়ি তে মিক্স করে খাওয়াতে পারেন।

১১) বাইরের খাবার থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখুন। বিশেষ করে চিপস। এতে বাচ্চার ক্ষুধা কমে যায় এবং ব্রেইনের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। চেষ্টা করুন যে কোন খাবার বাসায় বানিয়ে দিতে।

১২) সময়ের স্বল্পতার জন্য অনেক মায়েরাই বাচ্চার হাতে মোবাইল দিয়ে বাচ্চাদের খাইয়ে থাকেন। এর থেকে ভয়ংকর অভ্যাস হতে পারে না। বাচ্চার সাথে খেলা করুন।ওকে বই দিন। খেলার ছলে ওকে খাওয়া শিখান।

১৩) বাচ্চাদের খুব কমন একটা সমস্যা তারা এক খাবার রোজ রোজ খেতে চায়না৷ তাই চেষ্টা করুন খাবারে ভ্যারিয়েশন আনার৷ এতে বাচ্চার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

মনে রাখবেন আপনি আপনার বাচ্চার যে খাবারের অভ্যাস এখন গড়ে তুলবেন সেটার উপর তার ফিউচার নির্ভর করছে। উপরের কাজগুলো করলে আশাকরছি আপনার বাচ্চার খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তাও কিছু ডিজঅর্ডার আছে যেগুলোর জন্য বাচ্চাদের রুচি ব্যাহত হয় এবং বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পরে। সেসব নিয়ে আরেকদিন লিখবো ইনশাআল্লাহ।

Diet Falsafa: The Natural Health Club

18 May, 12:25


▪️খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জানা কেনো জরুরি! বিশেষ করে ডায়বেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, পিসিওস, ফ্যাটি লিভার এবং যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণের পর তা আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে ব্রেক ডাউন হয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয় যা পরবর্তীতে আমাদের ব্লাডে যায় এবং ব্লাড থেকে ইনসুলিনের সহায়তায় কোষে যায়।
কিছু খাবার আমাদের শরীরে খুব দ্রুত ব্রেক ডাউন হয়ে গ্লুকোজ সিক্রেট করে আবার কিছু খাবার ধীর গতিতে ব্রেক ডাউন হয় ফলে হঠাৎ ইনসুলিন স্পাইক হয় না আবার ব্লাড সুগার ও বাড়ায় না। কোনো খাবার গ্রহণের পর ব্লাডে গ্লুকোজ কতটুকু বৃদ্ধি পায় তা পরিমাপ করতেই মূলত গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ব্যবহৃত হয়।
▪️গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মূলত একটি মান যা ব্লাডে গ্লুকোজ এর উপর কার্বোহাইড্রেট এর প্রভাব নির্ণয়ের পদ্ধতিকে বোঝায়।
▪️আর গ্লাইসেমিক লোড বলতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণকে বোঝায় অর্থাৎ যে হারে কার্বোহাইড্রেট মেটাবলাইজ হয় এবং ব্লাডে প্রবেশ করে।
▪️তিন ধরনের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স(জি-আই) যুক্ত খাবার আছে।
1️⃣কম জি-আই (৫৫ বা তার কম)
2️⃣মধ্যেম জি-আই (৫৬-৬৯)
3️⃣বেশি জি-আই (৭০বা তার বেশি)
▪️নিচে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো & তাদের গ্লাইসেমিক লোড ও দেওয়া হলো-
খাবারের নাম- গ্লাইসেমিক ইনডেক্স - গ্লাইসেমিক লোড
☑️শস্য জাতীয় খাবার-
১) কিনোয়া আটা-৪০-২২.৯
২)বার্লি আটা- ৩০-১৬.৮
৩)ব্রাউন রাইস-৫০-৩৬.৫
৪) ছোলা -১০-৬.১
৫)বাকহুইট আটা-৪০-২৮.২
৬)বাকহুইট -৫০-২২
৭)মাশরুম (কুকড)-৩৬-১.৯
৮)কিনোয়া (কুকড)-৩৫-৭.৩
৯)ফুল ফাইবার গম-৪৫-২৬.৮
১০)বাসমতী চাল-৫০-৩৭.৪
১১)ওটমিল-৫৫-১৩
১২)ব্ল্যাক রাইস-৪২-৭.৩
☑️ফ্রুটস-
১)কমলা-৩৫-৪.১
২)কলা(আধা পাকা)-৪৮-১০.১
৩)সবুজ আংগুর-৪৫-৫.৪
৪)লাল আংগুর-৪৫-৮.১
৫)চেরি-২৫-৪
৬)ডালিম-৩৫-৬.৭
৭)সবুজ আপেল-৩৬-৫
৮)স্ট্রবেরি-২৫-১.৯
৯)ব্ল্যাক বেরি-২৫-২.৫
১০)জাম্বুরা-২২-০
১১)নাশপাতি-৩০-৪.৭
১২)ডুমুর(ফ্রেশ)৩৫-৬.৭
১৩)কিউই-৫০-৭.৩
১৪)লেবু-২০-০.৬
১৫)শুকনো খেজুর-৪০-২৭.৭
১৬)ব্লু-বেরি-৫৩-৪
☑️নাটস& সীডস-
১)চিনা বাদাম-১৫-২.৪
২)আখরোট -১৫-১.১
৩)কাজুবাদাম-২৫-৩.১
৪)কাগজি বাদাম(Almond)-১৫-১.৯
৫)পেস্তা বাদাম-১৫-৪.২
৬) মিক্সড নাটস (কিশমিশ সহ)-২১-৯.৪
৭)সানফ্লাওয়ার সীড-৩৫-৭
৮)পাম্পকিন সীড-২৫-১৩.৫
৯)চিয়া সীড-৩০-১২.৬
১০)ফ্ল্যাক্স সীড-
☑️সবজি-
১) বেগুন-২০-১.৭
২)ব্রকলি(কুকড)-৪৫-৩.১
৩)বাধাকপি-১৫-০.৯
৪)ফুলকপি-১৫-০.৪
৫)শশা-১৫-০.৪
৬)টমেটো -৩০-১.১
৭)ক্যাপসিকাম-১৫-১.১
৮)শালগম-৩০-১.৮
৯)এভোকেডো-১০-০.৯
১০)লেটুস -১৫-০.৫
১১)পালংশাক-১৫-০.৩
☑️অন্যান্য -
১)কোকোনাট মিল্ক-৪০-১.১
২)কাগজি বাদাম তেল(Almond oil)-২৫-০
৩)টমেটো সস(সুগার ফ্রি)-৩৫-১.৩
৪)চিনাবাদামের তেল-৪০-৮.৬
৫)সুগার ফ্রি পিনাট বাটার -২৫-৭
৬)বেলসমিক ভিনেগার-৫-২.৮
৭)দই-৩৫-১.৬
৮)কোকো পাউডার (সুগার ফ্রি)-২০-৪.৪
৯)কেফির-৩৬-১.৪
১০)ছাগলের দুধ -২৪-১.১
১১)নারিকেল-৪৫-০.৮
১২)তাহিনি-৪০-৪.৯
১৩)তিলের বীজ-৩৫-৪.৩
১৪)ফ্ল্যাক্স সীড-৩৫-০.৬
১৫)Almond মিল্ক-৩০-৩.৯
১৬)গরুর দুধ-৩৪-১.৬
১৭)টফু-১৫-০.৬
১৮)ডাল-৩০-১৯.৬
১৯)কটেজ পনির-৩০-০.৮
২০)সবজি স্যুপ-৪০-২.৫
২১)চিকেন মাশরুম স্যুপ-৪৬-০.৭
২২)টমেটো স্যুপ-৩৭-২.৭

Diet Falsafa: The Natural Health Club

15 May, 14:29


https://youtu.be/zAIIgtc3ff0?si=Bv4Cq4FVx77_h4Xb

Diet Falsafa: The Natural Health Club

14 May, 14:26


সব প্রবলেমের জন্য কি আলাদা আলাদা সমাধান লাগবে নাকি একের ভিতর অনেক সমাধান সম্ভব?

গ্রুপে খুব পপুলার কিছু টপিক দেখি যেমন টেস্টোস্টেরন বাড়াব কিভাবে, ঘুম কিভাবে ঠিক করব, পরীমনির বিকাশ নাম্বার কোথায় পাব, কিভাবে ক্রনিক টায়ার্ডনেস কমাব, কিভাবে মেটাবলিজম বাড়াব, কিভাবে এজিং প্রসেসকে স্লো করব ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে এইগুলির কোনটার জন্যই আমাদের আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম করতে হবে না (জোরে হাততালি হবে)। আমাদের ওভারোল লাইফস্টাইল ঠিক করতে হবে। তাহলেই এই রিলেটেড সবকিছুরই উন্নতি হবে, এককথায় একের ভিতর অনেক (ক্লিনিলাল কন্ডিশন থাকলে এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে হবে)।

এইজন্য প্রায়ই দেখা যায় লাইফস্টাইল চেঞ্জের মাধ্যমে শুধু একটা (যেমনঃ হজম, ইনসুলিন ইত্যাদি) ইস্যু সলভ করতে গিয়ে আরো ১০টা ইস্যু নিজের অজান্তেই ঠিক হয়ে গেছে, কারণ এইগুলি সবই ইন্টারকানেক্টেড। উপরে উপরে হয়ত আপনি লো টেস্টোস্টেরন আর কিডনির মধ্যে সম্পর্ক দেখতে পান না বাট বাস্তবতা হল এইগুলির সবকিছুই রসুনের কোয়ার মত, গোড়া এক জায়গাতেই।

ত, এখন ওভারোল লাইফস্টাইল কিভাবে ঠিক করব? এই নিয়ে গ্রুপে মনে হয় অলরেডি বেশ কিছু পোস্ট আছে, আমি নিজেও লিখছিলাম। এরপরও আরেকবার রিপিট করি।

১. ঘুমঃ মোস্ট ইম্পোর্টেন্ট। মিনিমাম, কমসে কম, এট লিস্ট ৭ ঘন্টা ঘুমাবেন, যত বেশি তত ভাল। যত আর্লি ঘুমাতে যাওয়া যায় তত ভাল।

২. ডায়েট এন্ড নিউট্রিশনঃ এইটা নিয়ে বলার কিছু নাই। গ্রুপে অসংখ্য পোস্ট আছে এই টপিকে, আপাতত নতুন কিছু এড করতেছি না।

৩. ফাস্টিংঃ ডিনার আর পরেরদিন ব্রেকফাস্ট এর মধ্য পানি ছাড়া অন্য কিছু খাবেন না। তিনবেলা মেইন মিল ছাড়া কোন স্ন্যাক্স রাখবেন না, আর রাখলেও সেটা বাদাম, বুট এই টাইপ কিছু। যারা জিম করতেছেন তাদের হিসেব আলাদা।

৪. এক্সারসাইজঃ ডেইলি ১০ হাজার স্টেপস হাটার অভ্যাস করবেন গ্রাজুয়ালি (মোবাইলে স্টেপস মাপা যায়)। আর অবশ্যই অবশ্যই ছেলে-মেয়ে সবাই মাসল বিল্ডিং এক্সারসাইজ করে প্রয়োজনীয় মাসল বিল্ড করবেন। এই টপিকেও গ্রুপে বেশ কিছু পোস্ট আছে। আপনার হাত-পা এ যদি এনাফ মাসল না থাকে (বোনাস হিসেবে তলপেটে চর্বি) তাহলে এক ড্রাম মধু আর গামলা গামলা কালজিরার তেল খাইলেও ভবিষ্যত অন্ধকার। গ্রুপে Tehzib Rahman এর পোস্টগুলি পড়ে ফেলুন।

৫. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ঃ নাম্বার ওয়ান হিডেন কিলার হল স্ট্রেস। এই টপিকেও গ্রুপে ভাল ভাল পোস্ট আছে, পড়ে নিয়েন।

৬. ব্রিদিং প্যাটার্ন ঠিক করবেন। সুপার ইম্পোর্টেন্ট। এইটা নিয়ে গ্রুপে আমার কিছু পোস্ট আছে, দেখে নিয়েন

ব্যস, এই ৬টা ব্যাপার ম্যানেজ/ইম্প্রুভ করতে পারলেই টেস্টেটেরন, ইনসুলিন, আদার হরমোনস, ওভার বা আন্ডারওয়েট, দাত, মেটাবলিজম, হার্ট, এনার্জি, লিভার ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে উপকার পাবেন। আলাদাভাবে লিভার সূস্থ রাখার জন্য কিছু করতে হবে না।

এখন, যাদের অলরেডি সমস্যা হয়ে গেছে তারা কি করবেন? সমস্যা হোক বা না হোক, এই স্টেপসগুলি সাধ্য অনুযায়ী ফলো করতে হবে আর স্পেসিফিক সমস্যার জন্য এক্সপার্টের শরণাপন্ন হতে হবে।

কোন শর্টকাট দেখে উত্তেজিত হবেন না। ফিটনেস জার্নিতে কোনই শর্টকাট নাই। অশ্বগন্ধা, অর্জুনের বাকল, ভিনেগার, রসুন ইত্যাদি কোনটাই কোন ম্যাজিক করতে পারবে না যদি এই ফাউন্ডেশনগুলি ঠিক না থাকে। স্কিনিফ্যাট শরীর নিয়ে যতই তরমুজ খান কোন ফায়দা নাই।

শুভ কামনা

Diet Falsafa: The Natural Health Club

14 May, 14:23


ফ্রেঞ্চ বায়োকেমিস্ট জেসি ইনচসপে কিভাবে ব্রেকফাস্টের মাধ্যমে মানুষের ব্লাড গ্লুকোজ কন্ট্রোলে রাখা যায় তা নিয়ে একটা এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। ২৭০০ মানুষের ওপর ৪ সপ্তাহ ধরে এই এক্সপেরিমেন্টটি পরিচালনা করা হয়।

চার সপ্তাহ পর দেখা যায় ৯০% মানুষের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ১৮৯% মানুষের ক্রেভিং কমে গিয়েছে, ৭৭ পার্সেন্ট মানুষ আগে চেয়ে বেশি এনার্জি ফিল করছেন, ৫৮% মানুষের ঘুম বেটার হয়েছে আগের চেয়ে, ৫৮% মানুষ জানিয়েছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে ভাল হয়েছে, ৪৬% পার্সেন্ট মানুষ জানিয়েছেন তাদের ত্বক আগের চেয়ে সুন্দর হয়েছে, এবং ৪১% ডায়াবেটিক পেশেন্ট জানিয়েছেন তাদের ডায়াবেটিসের উন্নতি হয়েছে।

তো জেসি আসলে কি করেছিলেন??

১)ব্রেকফাস্টে প্রচুর প্রোটিন রাখা, টোটাল ব্রেকফাস্ট ক্যালরির প্রায় ৪০-৫০% ছিল প্রোটিন।
২)ভিনেগার-ব্রেকফাস্ট শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা শেষের অন্তত ১ ঘন্টা পরে কিছুটা ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে পান করে নেয়া।
৩)ফাইবার-প্রচুর ভেজিটেবলস(আলু-মিষ্টি কুমটা না, সবুজ-হলুদ বা লাল সবজি) খাওয়া
৪)মুভমেন্টঃ খাবার পর অন্তত দশ মিনিট হাটা-শারীরিক কসরত(হালকা ব্যায়াম) করা।

এই ছোট্ট ৪টা চেঞ্জ ব্রেকফাস্টে নিয়ে আসায় যদি এতটা উন্নতি আসে, আপনি কেন এগুলো ট্রাই করবেন না??

কাল থেকেই শুরু করে দিন না!!

Diet Falsafa: The Natural Health Club

13 May, 11:40


এই কেইসটা ছিল যেন ঘড়ির কাটার বিরুদ্ধে ছুটে চলা এক সংগ্রামের মত। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু বাড়ছিল না মায়ের ওজন।
২৭ বছর বয়সী সাদিকা আমাদের কাছে প্রথম আসেন তার প্রেগ্ন্যান্সির ৬ সপ্তাহের মাথায়। ৫’৩” উচ্চতায় তখন তার ওজন মাত্র ৪৮ কেজি। সাথে কোল্ড এলার্জি, দূর্বল ইমিউনিটি, অরুচি, প্রোটিন এনোরেক্সিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি ইত্যাদি নানা সমস্যা। ৮ মাসে ১৫ কেজি ওজন বাড়ানো ও ন্যাচারাল ডেলিভারির লক্ষ্য নিয়ে তাকে সিম্যাগ প্রোটোকলে রেফার করা হয়।
১৯ সপ্তাহে তিনি দ্বিতীয় ফলো আপে এলেন। দেখা গেলো বমি, অরুচি এসবের কারনে তিনি ডায়েট ঠিকমতো ফলোই করতে পারেন নি! ওজন বেড়েছে মাত্র ১ কেজি, হিমোগ্লোবিন তখনো ১০.৪, ইএসআর ৫৮, পাচ মাসে ১৪ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। এসিডিটি, কন্সটিপেশান, উইকনেস, রক্তস্বল্পতা, ইনফ্লামেশান এগুলো কমানোর লক্ষ্যে চলতে থাকে নিউট্রশনাল ম্যানেজমেন্ট। এবার তার ও বাবুর ওজন বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় প্রায় ৩৫০০ কিলোক্যালোরির ডায়েট। আপু ঠিকমতো খেতে না পারলেও কষ্ট করে চালিয়ে যান ডায়েট। এর মধ্যে ঠান্ডা-কাশির জন্য তাকে থেরাপিউটিক ডোজে দেয়া হয় ভিটামিন সি। প্রেগ্ন্যান্সির লাস্ট ট্রাইমেস্টারে উনি দুইটি ফলো আপ নেন। ৩৬ সপ্তাহের সময় কিছু ইম্প্রুভমেন্টস সহ তার ওজন বাড়ে মোট ৫ কেজি। আলহামদুলিল্লাহ মায়ের ওজন কম বাড়লেও সুস্থভাবেই বাড়ছিল অনাগত শিশুটি। যেহেতু উনি অত্যন্ত হাই ক্যালোরি ডায়েটে ছিলেন তাই প্রিডায়াবেটিস ঠেকাতে তাকে একটা প্ল্যান দেয়া হয়।
আল্লাহর অশেষ রহমতে গত এপ্রিলের ৩ তারিখে ন্যাচারাল ডেলিভারির মাধ্যমেই ছেলেবাবুর জন্ম হয়। জন্মের সময় বাবুর ওজন ছিলো ৩৪২০ গ্রাম।
প্যাশেন্ট’স নোটঃ গত ০৩/০৪/২৪ তারিখে আমার ছেলেবাবু নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। সজল ভাই আপনি এবং আপনাদের টিমের সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া থাকবে। আল্লাহ আপনাদের অনেক সফলতা দান করুক।আমার বাবুসহ আমার পরিবারের জন্য দোয়ার দরখাস্ত। সুস্থ হলে একদিন ইনশাআল্লাহ বাবুকে নিয়ে আপনাদেরকে মিষ্টিমুখ করাতে চেম্বারে আসবো।
Welcome to the world, Dear CMag Child!!