Dr. M R Sifat

@drmrsifat


Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:47


Owalaikumus salam না থাকা লাগে না
এমডি নিয়ে ফ্রি হলে ভিডিও বানাবো ইনশা আল্লাহ।


যে প্রশ্নগুলোর উত্তরে বেশি মানুষ লাভবান হবে না আমি সেই প্রশ্নগুলো এভয়েড করি usually

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:43


Owalaikumus salam

শোনো ভাই,
স্পেসিফিক কাউকে চেয়ে দোয়া করার দরকার নাই।

কারণ, আমাদের জন্যে কি ভালো হবে সেটা আমাদের চেয়েও আল্লাহ ভালো জানেন

তাই আল্লাহর কাছেই ছেড়ে দেও।

আল্লাহকে বলো,
যে তোমার দুনিয়া জন্যে,
তোমার দ্বীনের জন্যে ভালো হবে।
আল্লাহ যেন তাকেই তোমার জন্যে প্রেরণ করেন।

আর ওই মেয়ের ব্যাপারে বলো,
ওগো আল্লাহ, তুমি তো অতীত ভবিষ্যৎ সবকিছু জানো,
সে যদি তোমার ভাগ্যে থাকে আল্লাহ যেন তোমার বিয়েকে সহজ করে দেন
হারাম থেকে দূরে থাকার তাওফিক দিন।

আর সে যদি তোমার ভাগ্যে না থাকে তাহলে যেন তাকে তোমার চোখে খারাপ করে দেন। তার খুত গুলো যেন তোমার সামনে স্পষ্ট করে দেন।

আল্লাহ তোমার জন্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ করুন।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:36


Owalaikumus salam
জ্বি ভাই,
এই ব্যাপারে কি কোন সন্দেহ আছে?

আর, by the way,

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেই কেন শুনবেন?
বিয়ের প্রতিশ্রুতি আপনাকে কেন দিবে?

দিতে হলে আপনার বাবাকে বলবে।

আপনারে যে প্রতিশ্রুতি দিতে আসবে তারই বুঝবেন ঘাপলা আছে,
আর,
আপনি যদি তারে চান্স দেন তাহলে,
আপনারও দোষ আছে।

কেউ বোকা বানাইলেই আপনি বোকা হবেন কেন?

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:34


Owalaikumus salam

উত্তম আচরণ করা,
আর তারে পাত্তা দিয়ে মাথায় তোলা তো এক না ভাই।

যে আপনার লাইফে টক্সিক ,তাকে এভয়েড করতে যদি ব্লক করতে হয় করবেন।

ব্লক তো শুধু অনলাইন জগতেই সীমাবদ্ধ।

অফলাইন জগতে যদি কখনো দেখা হয় বা কাজ করার প্রয়োজন হয় তাহলে উত্তম আচরণ করবেন

রাগ পুষে রাখবেন না।

তাহলেই হবে ইনশা আল্লাহ।

আল্লাহ আপনাকে টক্সিক মানুষ থেকে হেফাজত করুন।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:32


Owalaikumus salam
জানা নেই।
কেউ জানলে জানাবেন।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:32


Owalaikumus salam না ভাইয়া।

বিয়ের ব্যাপারে ইসলামিক রুলিং হচ্ছে,
যদি কারো জেনা করার ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যায়, তাহলে তার সাথে এরকম আরেকজনেরই বিয়ে দেওয়া। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আয়াত টা নাযিল হয়েছে। আমি যতটুকু জানি।

(বিজ্ঞ কেউ থাকলে অ্যাড করিয়েন কমেন্টে)

তো,
বিয়েটা আপনার জন্যে পরীক্ষা হিসেবেও কিন্তু আসতে পারে।

বিয়ে টা ভাই আমাদের end goal না,
আমাদের end goal আল্লাহর সন্তুষ্টি,
বিয়েটা সেই সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।

এজন্যে, দুজন পারফেক্ট ম্যাচ কাপল হয়েও যদি জামাই বউ মিলে টিকটক করেন, কাপল ব্লগ করেন, তার মানে আপনারা made for each other হলেও, made for jannat হয়ে উঠতে পারেন নাই এখনো।

অথচ দেখেন,
ফিরাউন এর wife হয়েও আসিয়া (আ) সম্মানিত নারীদের পর্যায়ে চলে গেছেন,

আবার লুত (আ) এর wife হয়েও সমকামিতা সাপোর্ট এর কারণে ধ্বংস হয়ে গেছেন।

অর্থাৎ, আপনার আমলের সাথে সবসময় আপনার পার্টনার নাও মিলতে পারে।

তাই বিয়েটাকে একটা এক্সাম হিসেবেই যেন দেখি আমরা। হ্যা আমরা অবশ্যই দোয়া করবো, আল্লাহ যেন আমাদের পুণ্যবান , পূণ্যবতী কাউকেই দান করেন, যে আমাদের চোখের শান্তি হবে। যে আমাদেরকে জান্নাতে যেতে হেল্প করবে।
দ্বীন পূর্ণ করবে।

কিন্তু এমন যদি না ও হয়, তাহলে যেন আমরা ধৈর্য ধরি।


যদি একান্তই সম্ভব না হয়, তাহলে যেনো সুন্দর উপায়ে তালাক দিয়ে দেই।

আল্লাহ আমাদের পারিবারিক জীবন সুখের করুন।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:25


Owalaikumus salam,
তো তাকে কি করতে চান?
ব্লক না করে দাওয়াত করে খাওয়াতে চান?
আরে ভাই, দুনিয়াতে কি মানুষের অভাব নাকি।

সে চলে গেছে ভালো হইসে আলহামদুলিল্লাহ,
বিয়ের পরে পরকীয়া করে চলে যাওয়ার থেকে আগে চলে যাওয়া ভালো।

Lust এর ব্যাপারে পিন করা একটা লেকচার আছে দেখে নিবেন।

আল্লাহ আপনাকে হারাম সম্পর্ক থেকে বাচাইসে এজন্যে আলহামদুলিল্লাহ বলেন এবং সামনে এসব কিছুতে না গিয়ে হালাল সম্পর্কের জন্যে অপেক্ষা করেন।

আপনি ই হোন আপনার হাজবেন্ড/ wife এর শ্রেষ্ঠ গিফট।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:23


১. বোকা স্বামী হলেই মোবাইলে লক দিয়ে রাখে।কারণ, মোবাইল লক হচ্ছে সবচেয়ে weak security,
সে ঘুমায় থাকলেও তো আপনি মোবাইল চেক দিয়ে ফেলতে পারেন। এখন তো ফিঙ্গার দিয়েও মোবাইল খোলা যায়।
চিটিং করলে এত সহজ way তে করার কথা না যেটা করলে প্রশ্ন উঠবেই।

২. অনেক সময় ছেলেরা wife কে সব কিছু শেয়ার করতে চায় না। অনেক প্রবলেম নিজে থেকে সলিউশন করতে চায়, এজন্যে প্রথমে wife কে এগুলো থেকে দূরে রাখে। এমন কিছু ও হতে পারে।

৩. যদি ধরে নেই,তার সত্যিই সন্দেহজনক কোনো একটিভিটি আছে, তাহলে এই ব্যাপারে আপনি আপনার বাড়িতে কথা না বলে আপনার শ্বশুড় বাড়ি তে কথা বলা উচিত। এবং এই ব্যাপারে তাকে আগে ১-২ বার warning দিয়ে এরপরে কথা বলবেন। আপনার বাড়িতে কথা বললে, সন্দেহের বশে আপনিই আপনার স্বামীকে ছোট করে ফেলছেন। পরবর্তীতে সব ঠিক থাকলেও নিজের বাবা মায়ের কাছে স্বামীর ব্যাপারে গড়ে। করার সুযোগ টা থাকবে না।

৪. চেষ্টা করুন উনার সাথে ভালো আচরণ করার,
আরো বেশি ক্লোজ থাকার ,সময় দেওয়ার। আশা করি অনেক কিছু এমনিতেই সমাধান হবে।

সন্দেহগ্রস্থ আচরণ আপাতত তার সামনে প্রকাশ করবেন না।
আপনার জন্যে দোয়া।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:17


Owalaikumus salam
যদি কম ফি তে দেখো অবশ্যই আসবে।

বাঙালি চিকিৎসার চেয়ে টাকার দিকে ফোকাস দেয় বেশি।

আর যার সাথে বিয়ের কথা চলছে উনার স্পষ্ট কথা বলার ব্যাপারটা আমার ভালো লেগেছে।

এসব ব্যাপারে ক্লিয়ার কাট হয়ে নেওয়া ভালো।

উনার সাথে comfortable না হলে তুমি রিজেক্ট করে দিতে পারো। কনফিউশন রেখে বিয়ে করলে পড়ে সবসময় আফসোস কাজ করে।

সত্যি বলতে,
মানবসেবা জিনিসটা যত বেশি lucrative লাগে শুরুতে, কিছুদিন কাজ করার পর সেই ফিলিংস কমে যেতে শুরু করে। বড় হও বুঝতে পারবে।

Dr. M R Sifat

23 Oct, 12:13


টিউশন ছাড়ার দরকার নেই। পড়ার পরিমাণ বাড়াও, লাইফ থেকে distraction কমাও।
গ্রুপ স্টাডি করো, কনসাইজ কিন্তু effective পড়াশোনা করো, প্রয়োজন হলে পড়াশোনার পেছনে শ্রম, টাকা ইনভেস্ট করো ।

লাইফে ম্যানেজ করেই চলে শিখতে হবে ভাই। আল্লাহ তোমার সময়ে বারাকাহ দিন।

Dr. M R Sifat

22 Oct, 18:54


ঐক্যজোট তৈরি করা হবে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। অরাজনৈতিক সোশাল এক্টিভিস্টগণ ভোটের রাজনীতি না করুন, কিন্তু ইসলামী ঐক্যজোটকে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন পাওয়ার লক্ষ্যে সাহায্য করলে মূলধারায় ইসলামের আওয়াজ বুলন্দ হবে, এবং ইসলামপন্থীদের কাজের পরিধি বিস্তৃত হবে।

MSAN কে দ্রুত একটি সাংগঠনিক বডি দিয়ে এর কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা, এর নেতৃবৃন্দকে সরাসরি ‘সশস্ত্রপন্থা’র বিপক্ষে বক্তব্য দেয়া এবং ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যজোট তৈরি করে আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবকের ভূমিকা পালন করা – আমার প্রস্তাবনা।

জামায়াতে ইসলামী

আসিফ আদনান এবং তদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে জামায়াত বা শিবিরের বর্তমান নেতৃবৃন্দের কোনো অবস্থান জানা যাচ্ছে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী দলগঠন ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংকট মোকাবেলায় আপাতত জামায়াতের কিছুটা টালমাটাল অবস্থা তা অনুমেয়। তবে, জামায়াতকে ইভেনচুয়ালি একটা অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। অরাজনৈতিক ইসলামী এক্টিভিজমকে জামায়াত কীভাবে ডীল করবে, এটার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশে ওভারল ইসলামপন্থার ভবিষ্যত। গত ষোল বছরে জামায়াত ভীষণ কোণঠাসা অবস্থায় ছিলো, বাংলাদেশে ইসলামোফোবিয়াকে কম্ব্যাট করার শক্তি জামায়াতের সে অর্থে ছিলো না। অরাজনৈতিক মুসলিম এক্টিভিস্টরা এই সময়টায় ইসলামোফোবিয়াকে কম্ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন কম-বেশি, এটা জামায়াতের অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই, রাজনৈতিক ফ্রন্টের পাশাপাশি এই দেশে অরাজনৈতিক এক্টিভিজম সমানভাবেই জরুরী। তাই, এই অরাজনৈতিক এক্টিভিজমকে একোমোডেট করাটা হবে সবচেয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। সেক্ষেত্রে অরাজনৈতিক এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কগুলো কীভাবে এটার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তা তো বললামই। সেই শর্তে জামায়াতকেও ওপেন হতে হবে। এদেরকে এফিলিয়েট করার জন্য, জাতীয় ঐক্য করার জন্য এবং সর্বোপরি ইসলামকে সমাজের প্রত্যেক স্তরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। জামায়াতকে ট্যাগের রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের দীর্ঘ সময় জামায়াতকে ট্যাগ দিয়ে না-মানুষকরণের যেই প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াকে যারা কম্ব্যাট করেছে, তাদেরকে কোনো ধরণের ট্যাগ দিয়ে না-মানুষকরণের প্রক্রিয়ায় সমর্থন তো দূরে থাকুক, বরং প্রতিহত করতে হবে।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের মুসলমান যুগ যুগ ধরে কর্তাস্বত্বা বঞ্চিত। কর্তাস্বত্বা আদায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ, সামাজিক শক্তি অর্জন এবং একইসাথে রাজনৈতিক শক্তি অর্জন বাঞ্চনীয়। ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে নৈতিক সমর্থন যোগান দিতে হবে, ভোটের ময়দানে জনশক্তি যোগান দিতে হবে, আর ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর কাজ হবে মুসলিম সোশাল এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কগুলোকে একোমোডেট করা, প্রোটেক্ট করা ও নার্চার করা। সম্মিলিত প্রয়াস ব্যতীত ইসলামপন্থার বিজয় অসম্ভব।

-আসিফ মাহমুদ
২২ অক্টোবর, ২০২৪

Dr. M R Sifat

22 Oct, 18:54


আসিফ আদনান, MSAN ও জামায়াত প্রসঙ্গ
..

আসিফ আদনান এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বাকি সবাইকে একটা প্ল্যাটফর্মের নাম দিয়ে সম্বোধন করতে চাই। Muslim Social Activist Network বা MSAN। আমার আলোচনার মুখ্য বিষয় আসিফ আদনানের ব্যাপারে আমার মূল্যায়ন, MSAN ও জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের ইসলামপন্থার ভবিষ্যত, এবং জাতীয় মুসলিম ঐক্য।

প্রথমেই, আসিফ আদনানকে নিয়ে আমার মূল্যায়ন বলি। আমি মনে করি, যদি আরো পাঁচ বছর তিনি নির্বিঘ্নে কথা বলতে পারেন, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ইনফ্লুয়েনশিয়াল ইয়ুথ আইকন হবেন তিনি। ইয়ুথ আইকন হওয়ার জন্য যেসব গুণ লাগে, সেগুলো তার মধ্যে উপস্থিত। ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বললে আসিফ আদনান ঢাকার এলিট সোসাইটি থেকে উঠে আসা ছেলে, নামিদামি স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন/করছেন। লেখনী শক্তিশালী, বক্তব্যও চমৎকার। বেশভূষা, চলনবলনেও পরিপাটি৷ জেনজির ভাষায় বললে, আসিফ আদনানের Rizz আছে। এজন্য, আত্মপ্রকাশের মাসখানেকের মধ্যেই তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। আমার গাট ফিলিং বলে, এটা বাড়তেই থাকবে।

আসিফ আদনানের এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথের ক্ষেত্রে তার নিজেরও অবদান আছে। আত্মপ্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তিনি যা যা বলতে চান, তা তিনি সবার সামনে এসে বলছেন, এটাও বেশ ভালো একটা দিক। এটা তার ওপর থেকে ‘গুপ্ত পন্থার’ অভিযোগকে খারিজ করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তিনি করেছেন, তা হলো জুলাই অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অনলাইনে। অভ্যুত্থানের আগের দিন আসিফ আদনানের অভ্যুত্থানের আহ্বানমূলক পোস্ট শেয়ার হয়েছে পনেরো হাজারেরও বেশি। এছাড়াও আন্দোলনের শুরু থেকেই তিনি আন্দোলনকে বেগবান করার ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন। এই কাজটি তাকে তরুণদের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। সেইসাথে অভ্যুত্থানের পরপরই প্রকাশ্যে আসার ফলে সোনায় সোহাগা ব্যাপার হয়েছে।

এখন, এক্স-শিবির এবং জামায়াতের কতিপয় মানুষের রিসেন্টলি কিছু বক্তব্য সামনে আসছে আসিফ আদনানের এই জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে, আসিফের ‘উগ্রপন্থা’য় মানুষের দীক্ষিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই দেশের ইসলামপন্থীদের জন্য জম্বি যেই বিপদ ডেকে এনেছিলো, সেই বিপদের আশঙ্কা তারা প্রকাশ করছেন। MSAN এর সাথে যুক্ত বেশ কিছু এক্টিভিস্টের বক্তব্য আমি পেয়েছি, যেখানে তারা ব্যাপারটিকে এড্রেস করে বলেছেন যে, সশস্ত্রপন্থা তারা সমর্থন করেন না, তারা দাওয়াত এবং সামাজিক শক্তি অর্জনের ব্যাপারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। আসিফ আদনান নিজেও বিগত কয়েক বছরে সামাজিক শক্তি অর্জনের কথা বলে আসছেন। সেই কাজের জন্যই খুব সম্ভবত MSAN প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্তত, আমার ধারণা তাই।

কিন্তু অদ্যাবধি আসিফ আদনানকে সশস্ত্রপন্থাকে খারিজ করার কোনো বক্তব্য দিতে আমার চোখে পড়েনি। আসিফ আদনান ‘আমরা শরীয়াহ চাই’, ‘সামাজিক শক্তি অর্জন করতে চাই’ যতটা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘সশস্ত্রপন্থাকে আমি বা আমরা একোমোডেট করবো না’ এটা ততটা স্পষ্ট সরে বলতে তাকে শোনা যায়নি। কিন্তু, এটা বাস্তব যে আসিফ আদনানের পরিবর্তন লক্ষণীয়। পূর্ববর্তীতে তাকে যতটা সশস্ত্রপন্থার ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যেত, গত দুয়েক বছরে সেটা তেমন দেখা যায়নি। এছাড়া প্রচলিত সিস্টেমের সংস্কারে বিভিন্ন প্রস্তাবনা, প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষজনের করণীয় নিয়ে তাকে কথা বলতে দেখা গেছে - যা আশাব্যঞ্জক। কিছুদিন আগে সিলেটে আরএসএস নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে আসিফ আদনান বলেছেন, আরএসএসের পলিটিকাল উইং আছে, যারা ক্ষমতায়ও আছে। আসিফ আদনান কী বলতে চাইছেন তা MSAN এর অন্যান্য কয়েকজন এক্টিভিস্টের আলাপ থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি প্রমুখের বক্তব্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা জামায়াতের সঙ্গে প্যারালালি কাজ করার আশা ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ, MSAN সামাজিক শক্তি অর্জনের কাজ করবে, সেইসাথে মুসলিম প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাজে তারা নৈতিক সমর্থন দেবেন এমনটা আভাস পাওয়া গেছে।

তবে, এই ধরণের বক্তব্য আসিফ আদনানের কাছ থেকে আসা জরুরী। সশস্ত্র পন্থার ব্যাপারে আসিফ আদনানকে স্পষ্ট ভাষায় বক্তব্য দিতে হবে, তথাকথিত কিতালপন্থীদেরকে নিয়ন্ত্রণে তাকে কাজ করতে হবে। এছাড়া আসিফ আদনানের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো – বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী নিয়ে অবস্থান কী, সেটা তাকে স্পষ্ট করতে হবে। ইতোপূর্বে জামায়াতে ইসলামীকে ‘মডারেট’ ট্যাগিং করার মাধ্যমে প্রচলিত ইসলামী রাজনীতিকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয়ার যে প্রবণতা, সেটি থেকে তারা বেরিয়ে এসেছেন কীনা সেটা জানা ও বোঝা জরুরী। নাহলে ঐক্যের কথা বলা কেবলই অরণ্যে রোদন। এছাড়াও MSAN যদি প্যারালালি কাজ করার রূপরেখায় বিশ্বাস করে, তবে সংগঠনটি ইসলামী ঐক্যের ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। খেলাফত মজলিস জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে এমনটা শোনা যাচ্ছে। MSAN এর উদ্যোগে, বাকি ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের আহ্বান করা ও একসঙ্গে বসে আগামী নির্বাচনকে টার্গেটে রেখে একটা ইসলামী

Dr. M R Sifat

22 Oct, 15:05


অনেকের টেলিগ্রাম হ্যাক হচ্ছে।
সাবধানে থাকবেন।
কেউ যদি মেসেজ এর সাথে লিংক দেয়, তাহলে sure না হয়ে ক্লিক করবেন না

Dr. M R Sifat

22 Oct, 13:29


https://youtu.be/r_ZaUThd9A0?si=JztxtLao7O8BIis1 are u stressed ? hopeless? then this video is for u

Dr. M R Sifat

21 Oct, 05:18


একটা মিথ্যা ঘটনা :
.
আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু যু'দ্ধের মুহুর্তে এক কা'ফিরকে ধ'রাশায়ী করে ওর বুকের উপর চড়ে বসেন। সে কোনো উপায়ান্তর না দেখে আলির মুখে থুথু নিক্ষেপ করে। ফলে তিনি ওকে ছেড়ে দেন। কা'ফির লোকটা অবাক হয়ে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর জন্য তোমাকে হ'ত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে থুথু দেয়াতে আমার মধ্যে একটা ব্যক্তিগত আক্রোশ চলে আসে। তাই ভাবলাম এখন যদি তোমাকে হ'ত্যা করি তাহলে সেটা আল্লাহর জন্য হবে না; বরং ব্যক্তিগত কারণে হবে। তাই তোমাকে ছেড়ে দিলাম। এটা শুনে কা'ফির সৈন্যটা ইসলাম গ্রহণ করে।

ঘটনাটা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ। বক্তারা ওয়াজের মঞ্চে আর লেখকরা বইপত্রে ইসলামের আখলাক বর্ণনা করতে গিয়ে এটার প্রসঙ্গ আনেন। অথচ এটা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও আলির নামে বানানো মিথ্যা একটা ঘটনা, যা হিজরি ৬ষ্ঠ শতাব্দিতে ইরানি শিয়াদের দ্বারা রচিত হয়েছে। কোনো নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের কিতাবেও এটার উল্লেখ নেই। নেই এর কোনো সনদ।

ঘটনাটার রচয়িতা হলেন ৬ষ্ঠ শতকের ইরানি শিয়া ফকিহ আবু জাফর মুহাম্মাদ ইবনু আলি শাহর আশুব (মৃত্যু : ৫৮৮ হিজরি)। তিনি সর্বপ্রথম নিজের লিখিত 'মানাকিবু আলি আবি তালিব' (مناقب آل أبي طالب) বইয়ে (খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৩৮১) এই ঘটনাটা উল্লেখ করেন। তবে এর কোনো সনদ উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি কোনো সূত্র বা রেফারেন্সও যুক্ত করা হয়নি।

পরবর্তীতে হিজরি একাদশ শতকের আরেকজন শিয়া আলিম আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ বাকির আল-মাজলিসির দ্বারা উক্ত ঘটনাটা আবারো ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়। তিনি শিয়া রাফিজি ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের একজন আলিম। ইরানের ইস্পাহানে জন্মগ্রহণকারী এই ব্যক্তি ১১১১ হিজরিতে মারা যান। তার লিখিত প্রায় ১১০ খণ্ডের একটা হাদিসের বই আছে, যেটাতে লাখের কাছাকাছি হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে। বইটার নাম বিহারুল আনওয়ার। এই বইটাতে (খণ্ড : ৪১, পৃষ্ঠা : ৫১) উক্ত ঘটনাটা স্থান পেয়েছে। আগেরটার মতো এখানেও এটা সনদবিহীনভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময়ের পাঁচশ' বছর পরে শিয়ারা এটা বানিয়েছে। এদের বানানো ঘটনাটা পরবর্তীকালে মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। এবং মানুষ এই ভুয়া কাহিনীটা বিশ্বাস করে নেয়। ফলে আহলুস সুন্নাহর অনেকের বইপত্রেও এটা স্থান পায়।
.
কাহিনীটা বাস্তবতারও পরিপন্থী :

এটা বাস্তবতার পরিপন্থী হওয়ার কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো,

১। কোনো কা'ফির নিজের মৃ'ত্যু সন্নিকটে দেখেও প্রতিপক্ষের গায়ে থুথু মারার প্রশ্নই আসে না; বরং সে তখন নিজের প্রাণ নিয়েই বিচলিত থাকার কথা।

২। যু'দ্ধ শেষ হওয়ার আগেই আক্রমণকারী কাফি'রকে ছেড়ে দেয়া যু'দ্ধের নীতিবিরোধী। কারণ এমতাবস্থায় ওকে ছেড়ে দিলে তো সে মুসলিমদের হ'ত্যা করবে।

৩। সে যদি থুথু দিয়েই থাকত, তাহলে তো এটা আরো সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা যে, সে আল্লাহরও শত্রু, আলিরও শত্রু। এমতাবস্থায় ওকে ছেড়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না।

৪। কা'ফির লোকটার থুথু নিক্ষেপটা ওর চরম মাত্রার কু'ফরি, অবাধ্যতা ও শ'ত্রুতার প্রমাণ বহন করে। এমতাবস্থায়ও ওকে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

৫। আলি তো ব্যক্তিগত কারণে যু'দ্ধ করতে আসেননি; বরং ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে এসেছিলেন। তাই এমন মুহুর্তে প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেয়ার অর্থ হলো ইসলামের বৃহৎ স্বার্থকে নষ্ট করা।

সর্বোপরি ঘটনাটা যেহেতু বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, তাই এটা বিশ্বাস করা ও অপরের কাছে বর্ণনা করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
© Shaikhul Islam

Dr. M R Sifat

20 Oct, 12:28


মানুষের ব্যস্ততার অজুহাত লেখা হয় প্রায়োরিটির বর্ণমালায়। যার কাছে আপনার মূল্য নেই, সেই আপনাকে নানা অজুহাত দেখাবে। আপনার মেসেজ সিন করতে দেরি করবে। হয়তো অনেক দেরিতে রিপ্লাই করবে কিংবা কখনো পড়েও দেখবে না।

দুনিয়ার কেউ যখন আপনাকে ইগনোর করে, নিজেকে খুব বেশি তুচ্ছ মনে হয় তখন। মন খারাপ লাগে।

আর সেই ইগনোর করা মানুষটাকে যদি জীবনে কোনো এক সময় আপনি অনেক ভালোবেসে থাকেন, অনেক উপহার দিয়ে থাকেন, খাওয়ায় পড়ায় বড় করে থাকেন, তখন নিজেকে তুচ্ছ তো লাগেই এর পাশপাশি তীব্র ঘৃণাও জন্ম নেয় মনের গহীনে। মনে হয়, এত কিছু করলাম তোমার জন্যে, আর তুমিই কিনা আমার কথা ইগনোর করো?

ঠিক একই ব্যাপারটা কল্পনা করুন তো ভিন্নভাবে,

একবার ভাবেন তো,
আপনার রব আপনাকে ভালোবেসে যে কুরআন পাঠিয়েছেন, যা আপনার রবের বাণী, রবের মেসেজ, যা আমাদের জন্যে গাইডেন্স, যেটা তিনি দয়া করে আমাদেরকে দিয়েছেন।

সেই বাণী কে আমরা বছরের পর বছর ইগনোর করি, পাত্তা দেই না। সেই কুরআন পরে থাকে ঘরের এক কোণায়। মোবাইলের অব্যবহৃত অ্যাপ এর লিস্টে।

যারা কখনো কখনো বা পড়ে, কিন্তু তারা তো শুধু আবৃত্তি ই করে যায়, বুঝতে পারে না বা বুঝার চেষ্টাও করে না।

দিনে ৫ বার আমাদের জানানো হয় আল্লাহু আকবার, সব কিছু থেকে আল্লাহ উর্দ্ধে, একবার দুবার না, প্রতিবার আজানেই ৬ বার করে আল্লাহু আকবার কথাটাই বলা হয়, সালাতের দিকে ঢাকা হয়, কল্যাণের পথে ডাকা হয়।

আমরা কি সেই ডাক শুনি? সেই মেসেজ সিন করি?
নাকি তুচ্ছ মানুষের মেসেজের নোটিফিকেশন শুনে মোবাইলটা যেমন উল্টে রাখি, ঠিক তেমনি, আযানের ডাক শুনেও এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বের করে দেই।

এভাবেই, ওয়াক্তের পর ওয়াক্ত, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এগিয়ে যেতে থাকে।

আপনি যদি সামান্য মানুষ হয়েই আরেক মানুষের অবজ্ঞা সহ্য করতে পারেন না, তাকে ঘৃণা করা শুরু করেন।

ভাবুন তো, আল্লাহর গিরাহ্ (আত্মসম্মানবোধ) কত বেশি?
তিনি তো আস সামাদ অমুখাপেক্ষী, তিনি তো আল গনি ..

তাহলে, আল্লাহর আমার প্রতি কেমন আচরণ করার কথা ছিল?

কিন্তু একই সাথে তিনি তো আর রাহমান, তাই আমাদেরকে আজও সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি সেকেন্ডে,প্রতিটি দিনে।

নতুন করে ফিরে আসার জন্যে।

কেউ কী আছে, সেই ডাকে সাড়া দেবার জন্যে।

"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও; যখন সে তোমাদেরকে আহবান করে তার প্রতি, যা তোমাদেরকে জীবন দান করে।"
(সূরা আনফাল -২৪)

"হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। প্রত্যেকেই চিন্তা করে দেখুক, আগামীকালের জন্য সে কী (পুণ্য কাজ) অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, ফলে আল্লাহও তাদেরকে করেছেন আত্মভোলা। এরা পাপাচারী লোক।
জাহান্নামের অধিবাসী আর জান্নাতের অধিবাসী সমান হতে পারে না, জান্নাতের অধিবাসীরাই সফল"

(সূরা হাশর ১৮-২০)

- ইগনোর
২০/১০/২৪

#Self_reminder

Dr. M R Sifat

19 Oct, 12:49


হাইড্র্রোজেন এমন একটি গ্যাস যা নিজে নিজেই জ্বলে, প্রচণ্ড দাহ্য! অক্সিজেন এমন একটি গ্যাস যা জ্বলতে সাহায্য করে!
একবার ভাবেন H2 + O2 যখন একসাথে আসছে,তখন কি প্রচন্ড বিস্ফোরণ হওয়ার কথা ছিল! কিন্তু সেখানে সৃষ্টি হলো পানি H2O, এমন এক বস্তু যা কিনা আবার আগুন নেভাতে সাহায্য করে!!

সুবাহানাল্লাহ! আল্লাহর সৃষ্টি কি নিখুঁত।

আল্লাহ আমাদের এই বিষয়ে ভাবতে বলেছেন সূরা ওয়াকিয়া তে,

أَفَرَءَيْتُمُ ٱلْمَآءَ ٱلَّذِى تَشْرَبُونَ




তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
(সূরা ওয়াকিয়া -৬৮)

আল্লাহ্ পানির মধ্যে আমাদের জন্যে কত বড় নিদর্শন রেখেছেন, সুবাহানাল্লাহ।

(আলোচনার মূল কনসেপ্ট উস্তাদ আলী হাম্মুদার লেকচার থেকে নেওয়া)

Dr. M R Sifat

19 Oct, 10:35


যেই বিষয়ে/ টপিকে আপনি রেসপন্স করেন, কথা বলেন,আপনার কথার মান ততটুকু হিসেবেই কাউন্ট হয়। আপনার ব্যক্তিত্ব সেই হিসেবে নির্ধারিত হয়।
আপনি যদি -
বেশি meme share করেন, কথায় কথায় জোকস মারেন, মানুষ আপনাকে জোকার হিসেবে ভেবে নিবে
ফলাফল -
আপনার কথাকে কেউ সিরিয়াসলি নিবে না, হাস্যরস হিসেবে নিবে। কেউ গুরুত্বপূর্ণ কিছু আপনাকে শেয়ার করবে না।
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আপনি রিয়াকশন দেখান। অনলাইনে irritating কিছু দেখলেই আপনার প্রতিক্রিয়া পোস্ট রেডি হয়ে যায়, মানুষ আপনাকে প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবেই বিবেচনা করবে।
ফলাফল -
আপনার থেকে সবাই সাবধানে থাকবে, আপনার কথার ভ্যালু দিন দিন কম ভাবা শুরু করবে
সব সময় depressive বিষয়াদি শেয়ার করেন, মানুষের কমেন্টে গিয়ে হতাশার কমেন্ট করেন।
ফলাফল - মানুষ আপনাকে হতাশাবাদী হিসেবে বিবেচনা করবে ও নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্যে আপনার থেকে দূরে দূরে থাকবে
সব জায়গায় দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলেন, নিজের লেখা নিজের গুণ প্রচার করেন। অন্যকে বলতে না দিয়ে নিজেই বলতে থাকেন, অন্যের কথা শুনেন না।
ফলাফল -
মানুষ আপনাকে দাম্ভিক মনে করবে এবং আপনার সঙ্গ পরিহার করবে। আপনার সাথে কোনো effective relationship তৈরী হবে না তার, কারণ সে নিজেকে সবসময় হেয় প্রতিপন্ন হিসেবে দেখবে আপনার চোখে।
আর,
আপনি যদি মানুষকে ভালো পরামর্শ দেন। অন্যের সামান্য কথায় প্রতিক্রিয়া না জানান।
বেশি শোনেন , কম বলেন। ভালো কথা ব্যতীত অপ্রয়োজনীয় কথা কাজ থেকে দূরে থাকেন।
প্রয়োজনে সত্য কথা দিয়েই মৃদু রসিকতা করেন,
তাহলে আপনি একজন ভালো কমিউনিকেটর হয়ে উঠবেন ইনশা আল্লাহ।
যদিও ব্যাপারটি অনেক কঠিন,
তবুও আল্লাহর যেনো আমাদের কে এই গুণগুলো অর্জন করার তাওফিক দিন।
প্রতিটা স্ট্যাটাস এর আগে, কমেন্টের আগে
আসুন আরেকবার ভাবি।
কীভাবে একটা সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়া যায়, কীভাবে নিজেকে আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে বাঁচানো যায়।

Dr. M R Sifat

19 Oct, 05:03


মা শা আল্লাহ,
অনেক সুন্দর একটি লেখা পড়লাম সকাল সকাল।

(https://www.facebook.com/share/p/WT3LDzwhdV1CpCVi)

সত্যিকার অর্থেই উনার কনসার্নগুলো প্রতিটিই সত্য।
এবং এটি নিয়ে কাজ করাও অতীব প্রয়োজনীয়।

আলহামদুলিল্লাহ, RAMFIT সেই লক্ষ্যে কাজ করছে দুভাবে।

১. বর্তমান সিস্টেমের সংস্কার ।
২. জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন সিস্টেম তৈরি।

সেজন্যে দরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা

এর পাশপাশি,
যারা বর্তমানে ডাক্তার হয়েছেন এবং সামনে প্র্যাকটিস এর নিয়ত করেছেন,

তাদের কিছু জিনিস মাথায় রাখা যেতে পারে।

১. স্বামীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উনার অনুমতি সাপেক্ষে পোস্ট গ্রেড এর প্ল্যান করা।
তিনি যদি উম্মাহর জন্যে স্যাক্রিফাইস করতে ও সাপোর্ট করতে সচেষ্ট থাকেন তাহলে অনেক কিছু ইজি হবে ইনশা আল্লাহ।

২. এমবিবিএস পাশের পর পরই পোস্ট গ্রেড করতেই হবে,এমন চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা। বরং এই সময়ে সন্তানের তারবিয়াহ, নিজের জ্ঞান বাড়ানো এগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া যায়।

এই phase এ এসে, ঘরে বসে এমবিবিএস এর সকল গ্যাপ পূরণ করা যায়। পোস্ট গ্রেড প্রিপারেশন নেওয়া যায়,
জিপি কেন্দ্রিক বিভিন্ন কোর্স করা যায়।

৩. এরপরে সন্তানরা একটু স্বাবলম্বী হলে, একটু বড় হলে পোস্ট গ্রেড এর দিকে একটিভ হওয়া যায়।
তখন সন্তানদের নিজেদের ও একটা ব্যস্ত হওয়ার মত সুযোগ থাকে। সংসার অনেক দিন করে ফেলার কারণে, স্বামীর সাথে ও একটা ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে যায়।

৪. এরপরে পোস্ট গ্রেড শেষে নিজের মত করে অবসর সময় চেম্বার / প্র্যাকটিস করা যায়। এক্ষেত্রে পরিবারের সাথে কথা বলে এমন টাইম নির্ধারণ করা যায় যে সময় অন্যরাও বিজি থাকে।

আসলে,
চিকিৎসার ক্ষেত্রে মা বোনদের যেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা গুলো শুনি সেটা যেমন উনাদের জন্যে মূল কনসার্ন।

আবার ঠিক, সন্তানকে প্রপার তরবিয়াহ দেওয়া না গেলে , সংসারের অশান্তি হলে সেটাও উক্ত মহিলার মূল কনসার্ন।

যার যায়, সেই আসলে বুঝে.. হারানো জিনিসের কত দাম।

তাই, উভয়পক্ষে চেষ্টা হওয়া উচিত, কীভাবে এই সার্বিক সমস্যার সমাধান করা যায়

সবার ক্ষেত্রে জীবনের হিসেব নিকেষ গুলো এক হয় না,
কারো পরিবার সাপোর্ট ভালো থাকে, কারো ক্ষেত্রে জব এনভায়রনমেন্ট ভালো থাকে।

ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যু বিবেচনায়, একেক জনের ক্ষেত্রে rulings একেক রকম হবে।

একটা ভাবনা চিন্তা কে সবার উপরে চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।

সেই সাথে, বর্তমানে সিস্টেম এ যারা আছেন তাদের উপরে অবশ্যই দাওয়াতী কাজ করার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে,

আলহামদুলিল্লাহ এই কাজ RAMFIT করছে,

এর পাশপাশি পোস্টে উক্ত বিষয়গুলো কে কনসার্ন এ রেখে কিভাবে মুসলিম মহিলা ডাক্তারদের পেশাগত কাজকে সহজ করা যায়, এটা নিয়েও একটি মডেল তৈরির কাজ চলমান।

আল্লাহ আমাদের চেষ্টা গুলো কবুল করুন।

দ্বীনের জন্যে, নিজেদের সময় - অর্থ - ক্যারিয়ার কুরবানী করার তাওফিক দিন।