It's time to wake up

(হে মুসলিমগণ,) তোমরা হীনবল হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না । তোমরা প্রকৃত মুমিন হলে তোমরাই বিজয়ী হবে ।
[সুরা আল ইমরান: ১৩৯]
Similar Channels



জাগ্রত মুসলিম: আত্ম-জ্ঞান ও বিশ্বাসের গুরুত্ব
বর্তমান সময়ে মুসলিম সমাজের মধ্যে আত্ম-জ্ঞান ও বিশ্বাসের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অনুযায়ী, একজন মুসলিমের সঙ্গে তাঁর ঈমান ও আত্ম-পরিচয়ের জ্ঞান থাকা অতি প্রয়োজনীয়। 'জাগতে হলে জানতে হবে' এই কথাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জ্ঞান ছাড়া জাগরণ সম্ভব নয়। কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, হে মুসলিমগণ, তোমরা হীনবল হয়ো না। এই ধরনের আহ্বান আমাদের মনে জাগ্রত করে বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি। বিশেষ করে, সুরা আল ইমরান-এর ১৩৯ নম্বর আয়াতটি নির্দেশ করে যে, প্রকৃত মুমিনেরা বিজয়ী হবে। এই বিজয় কেবল স্পষ্ট ও সাহসী বিশ্বাসের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব। তাই আজকের দিনে, মুসলিম সমাজের জন্য জিজ্ঞাসা খুবই জরুরি, কিভাবে আত্ম-জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং সেই জ্ঞানকে নিজেদের শক্তিতে পরিণত করা যায়।
আত্ম-জ্ঞান কী এবং এর গুরুত্ব কী?
আত্ম-জ্ঞান হল একজন মানুষের নিজের পরিচয়, শক্তি ও দুর্বলতার অবহিত থাকা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি যা আমাদের চিন্তা, অনুভূতি ও কর্মে প্রভাব ফেলে। আত্ম-জ্ঞান না থাকলে, ব্যক্তি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে, আত্ম-জ্ঞান ঈমানের গুণাবলীকে বিকশিত করতে সাহায্য করে।
আত্ম-জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে, ব্যক্তি নিজের মুল্যবোধ ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে মানুষ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। সমাজে যখন আত্ম-জ্ঞানী লোক থাকেন, তখন তাদের সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে পুরো সমাজে উন্নতি দেখা যায়।
বিশ্বাসের গুরুত্ব কি?
বিশ্বাস হল একটি শক্তিশালী অনুভূতি যা মানুষের মনোজগতকে গঠন করে। বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য, ঈমান শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং এটি একটি জীবনধারা। ঈমানের ভিত্তিতে, মুসলিমরা কষ্ট ও বিপদে সাহসী হয়ে ওঠে এবং আল্লাহর প্রতি তাদের আস্থা রাখে। বিশ্বাসের শক্তি মানুষকে কঠিন সময়ে প্রেরণা দেয়।
বিশ্বাসের মাধ্যমে, মুসলিমরা একতাবদ্ধ হয় এবং একটি শক্তিশালী সমাজ গঠন করে। এই সামাজিক সংহতি একে অপরকে সহায়তা করতে এবং সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। সুতরাং, বিশ্বাস শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং এটি একটি সমষ্টিগত শক্তি হিসেবেও কাজ করে।
সুরা আল ইমরান-এর ১৩৯ নম্বর আয়াতের অর্থ কী?
সুরা আল ইমরান-এর ১৩৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'তোমরা হীনবল হয়ো না এবং চিন্তিত হয়ো না। তোমরা প্রকৃত মুমিন হলে তোমরাই বিজয়ী হবে।' এই আয়াতটি মুসলিমদের জন্য একটি আশাবাদী বার্তা। এটি নির্দেশ করে যে, আমাদের ঈমান ও আত্মবিশ্বাস যদি দৃঢ় হয়, তাহলে আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করতে সক্ষম হব।
এই আয়াতটি শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যে শক্তি ও একতা বৃদ্ধি করে, বরং এটি আমাদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাসকেও জাগিয়ে তোলে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, প্রকৃত মুমিনরা সব সময় আল্লাহর সাহায্য পায় এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়।
মুসলিম সমাজে জাগরণ কিভাবে সম্ভব?
মুসলিম সমাজে জাগরণ ঘটাতে হলে প্রথমে আমাদের নিজেদের মধ্যে আত্ম-জ্ঞান বাড়াতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে এ জ্ঞান অর্জন করতে হবে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করবে। শিক্ষা মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গঠন করে।
এছাড়াও, মুসলিম সমাজের জন্য একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার প্রয়োজন। আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে এবং একে অপরের শক্তি ও দুর্বলতা বুঝতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আমাদের সমাজে জাগরণ ও পরিবর্তন ঘটবে।
কিভাবে সামাজিক সংহতি গড়ে তোলা যায়?
সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিশ্বাস ও সম্মান। মুসলিমরা যদি একে অপরকে সাহায্য করে এবং সম্মান প্রদর্শন করে, তাহলে একটি শক্তিশালী সমাজ গঠিত হবে। এর জন্য ধর্মীয় শিক্ষা, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সমাজসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও, সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কার্যক্রম মানুষকে একত্রিত করে এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে।
It's time to wake up Telegram Channel
হে মুসলিমগণ, এখন জাগতের সময় এসেছে। আমাদের চ্যানেল 'knowthyselft' আপনাদের জন্য একটি মূল্যবান স্থান হিসেবে পরিচিত। চ্যানেলে একাধিক ধরার ইসলামিক তথ্য, প্রেরণাত্মক উক্তি, এবং আল-কুরআন এবং হাদিসের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এটি আপনাদের উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করবে এবং আপনাদের ধর্মিক জীবনে নতুন উজ্জ্বলতা এনে দেবে। আসুন এই 'জানতের' জগতে আমরা একসাথে জাগ্রত হই। এই চ্যানেল আমাদের প্রকৃত এবং ধর্মিক অস্তিত্ব ধরে রাখার ভাষা। জয় হোক। [সুরা আল ইমরান: ১৩৯]