বনিক বার্তা কি কারনে পি.আলো'র কম্পিটিটর হয়া উঠতে পারে নাই বা মেবি কখনোই হইতে পারবে না - এটলিস্ট আইডিওলজিকাল দিক থিকা, সেইটা অনেকটা বুঝা যাইতে পারে ২৯শে অক্টোবর, ২০২৪ (মঙ্গলবার)-এ সিল্করুটে ছাপানো আহমেদ দীন রুমি'র "ঔপনিবেশিক বাংলার নিয়তি নির্ধারনে অভিজাতবাদী রাজনীতি" লেখাটা দিয়া
আহমেদ দীন রুমি'র খুব বেশি লেখা আমি পড়ি নাই, কিনতু পড়ার ইচ্ছা আছে, কারন বাংলাদেশের ইতিহাসের ১৯২০-৪০/৪২ এবং ১৯৪৭-১৯৭৫'র সময়টা নিয়া আমার একটা ইন্টারেস্ট আছে এবং অই জায়গাগুলাতে উনার কিছু নাড়াচাড়া আছে মনেহয়...
তো, এই যে অই সময়গুলাতে ঘটা ঘটনাগুলারে দেখতে চাওয়া বা বুঝতে চাওয়া, এবং এইটারে দরকারি বইলা মনে করাটা তো ভালো-জিনিস; কিনতু তারপরে কেউ কোন জায়গাটা থিকা দেখতেছেন - সেইটা হইতেছে ঘটনা'টা
উনার লেখা থিকা একটা কোটেশন দেই:
" কংগ্রেস যেহেতু সে অর্থে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ নীতি বাস্তবায়ন করতে পারেনি; ফলে ক্রমে জনপ্রিয়তা বেড়েছে মুসলিম লীগের। এমনকি বামপন্থী নেতারাও পারেনি ধর্মীয অসহিষ্ণুতা মোকাবেলা করতে।"
মানে, কংগ্রেস যে ধর্মিয়ভাবে হিন্দুদের একটা দল হয়া উঠছিল, সেইটা যেন তাদের 'না পারা', বাই চয়েসের কোন ঘটনা না! এবং 'বামপন্থীরা', তারাও যেন মুসলিম-হেটার কোন পলিটিকাল ফোর্স না, বরং 'ধর্মনিরপেক্ষ'! মানে, উনার দেখার যেই বেইজটা - ধর্ম ও রাজনীতি'রে - সেইটা আলাদা কোন ঘটনা না, যেইভাবে দেখার ও দেখানোর রীতিটা আছে (এইখানে ব.বার্তা বা পিআলো'র দেখার কোন ডিফরেন্স নাই); এইটা হইতেছে আমার বলার পয়েন্ট'টা (এইভাবে দেখাটা ভালো কি খারাপ, ঠিক কি ভুল - সেইটা তো আরেকটা আলাপই আসলে)
এইখানে আরেকটা এজাম্পশন আছে আসলে, যেইটা উনি খোলাখুলিভাবে বলেন নাই, কিনতু উনার যেই কথাগুলা সেইটা অই ধারনা থিকাই আসছে যে, বাংলার সমাজ ছিল বা অরিজিনালি হইতেছে - 'ধর্মনিরপেক্ষ'; হিন্দু এবং মুসলিম অভিজাত'রা পলিটিকাল কারনে এই ডিফরেন্সের জায়গাটারে জাগায়া তুলছেন ও ইউজ করছেন; সেইটা সত্য না বইলাই আমি মনে করি, বরং আবুল মনসুর আহমেদ যেইরকম বলছেন এইখানের সমাজে সবসময় দুইটা কালচারাল ফ্লো ছিল, সেইটারে আরেকটু এক্সটেন্ড কইরা বলতে চাই যে, জাত-প্রথা আমাদের সমাজের সবচে কোর একটা ঘটনা; কালচার একটা তো না-ই, সেইটা 'ধর্মনিরপেক্ষতা' আরো না, বরং একটা ধর্ম-ভাব হইতেছে মেইন ঘটনা, সেইটা যে ধর্ম-ই হোক...
সেকেন্ড হইতেছে, উনি দেখতেছেন যেন এইটা অভিজাত শ্রেণীরই সমস্যা, সমাজের সমস্যা না! জমিদার'রা যে বেশিরভাগই হিন্দু এবং কৃষকরা যে বেশিরভাগই মুসলমান - এইটা যেন 'কাকতালীয়' ঘটনা, কোন হিস্ট্রিকাল রিয়ালিটি না; মানে, একটা হিস্ট্রিকাল প্রসেসে ভিতর দিয়া যে, এইটা ঘটছে - এর স্বীকারটা নাই, বরং দেখা হইতেছে হিন্দু-অভিজাতদের এগেনেস্টে মুসলিম-অভিজাতরা দাঁড়াইতেছে; অথচ বাংলাদেশের নবাব'রা যে পাকিস্তান হওয়ার আগে ফজলুল হকের কাছে এবং পাকিস্তান হওয়ার পরে ভাসানি-সরোয়ার্দির কাছে পলিটিকালি হারছিল - এই রিকগনিশনটা নাই...
যেই কারনে আহমেদ দীন রুমি কনক্লোশন টানতে পারছেন যে, "...এভাবে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গড়ে ওঠা অভিজাত শ্রেণীর আত্মপরিচয়ের যাত্রা পরিণত হয়েছে বিভাজনে।" মানে, ক্রুশিয়াল রোল প্লে করছে অভিজাত বা এলিট'রা; দুই পক্ষই সমান-ভাবে দায়ি! :) এইটা হইতেছে সেকেন্ড ইন্টেলেকচুয়াল চালাকিটা (বদমাইশি আর বললাম না); যেইটার এখনকার ফরম্যাট হইতেছে - আওমি-লিগ খারাপ, বিএনপিও তো খারাপ! এখন 'খারাপ না' - এইটা আমার কথা না, কিনতু এইটা যে 'সরলিকরন'টা করে, সেইটা নানানদিক দিয়াই খারাপ একটা ঘটনা...
তবে, কিছুটা আশা আমি দেখি যে, যখন ফ্যাক্টগুলারে আরো এনকাউন্টার করতে থাকবেন উনারা তখন মেবি এই 'সরলিকরনের' সমস্যাগুলারে আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পারবেন গিয়া একটা সময়ে, যেইরকম একটা ঘটনার কথা বলছেন তারাশঙ্করের যে, বাংলা-ভাগ না হইলে হিন্দু-সংস্কৃতি বাঁচায়া রাখা যাবে না মুসলমানদের কাছ থিকা... তো, এইরকম বুদ্ধদেব বসুও বলছিলেন, পাকিস্তান হইলে সেইখানে বাংলা-কবিতা থাকবে না; এবং এখনো যে বাংলাদেশের মানুশেরা 'শুদ্দ বাংলা' লেখতে পারে না, এইগুলা অই জমিদারি-ভাবেরই কথা
মানে, আমি বলতে চাইতেছি, অই সময়ের জিনিসগুলার এনকোয়ারি করাটা ভালো, কিনতু যদি একই জায়গা থিকা দেখতে থাকেন নতুন কিছু চোখে পড়বে না আর কি, বরং পুরান জায়গাগুলারেই রি-কনফার্ম করার ঘটনাগুলাই ঘটতে থাকবে
তো, কথা উঠতেই পারে যে, একটা লেখা দিয়াই সব বুইঝা ফেললেন! মানে, আমি সব বুঝি নাই, বরং বলতে চাইতেছি যে, এইটা একটা উদাহারন, যেইখানে এপারেন্টলি মনে হইতে পারে যে, ব.বার্তা অন্যরকম কিছু জায়গা এক্সপ্লোর করতে চাইতেছে, কিনতু ডিপ ইনসাইট এতোটা আলাদা কিছু না; এবং মেবি আইডিওলজিকালি আরো উদাহারন খুঁইজা পাওয়া পসিবল
এর বাইরে, টেকনোলজিকাল, কালচারাল ও পলিটিকাল আরো অনেক ঘটনা তো আছেই