ইমরুল হাসান @imrultelegram Channel on Telegram

ইমরুল হাসান

@imrultelegram


রাইটিংস

ইমরুল হাসান (Bengali)

ইমরুল হাসান নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলটি 'বাংলাদেশের রাইটারস' সম্পর্কে আপনাদের জানাচ্ছে। এই চ্যানেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের লেখা শেয়ার করি, যাতে পড়ার ইচ্ছুক মানুষরা তাদের মধ্যে অভিনীত হতে পারেন। এই চ্যানেলে 'রাইটিংস' নামে পোস্ট করা হয়, যা বাংলাদেশের শীর্ষ লেখক ও লেখিকাদের মতামত, রচনা, কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ ইত্যাদি সহ অন্যান্য প্রকারের রচনা থাকে। চ্যানেলটির নাম 'ইমরুল হাসান' এবং ইউজারনেম 'imrultelegram'। তাহলে এটি একটি অসাধারণ চ্যানেল যেখানে আপনি বাংলাদেশের প্রমুখ লেখকদের রচনা পাবেন এবং নতুন লেখক হিসেবে আপনার লেখা শেয়ার করতে পারবেন।

ইমরুল হাসান

12 Nov, 13:23


এখনো দেখবেন ট্রাই করা হইতেছে, যে কোন একটা ভ্যালিড সোশাল ইস্যুরে সেন্টার কইরা যেন জুলাই-মুভমেন্টরে রেপ্লিকেট করা যায়; কিনতু এইভাবে কিছু ঘটবে না বইলাই আমার মনেহয়

এই যে সোশাল ও কালচার ইস্যুগুলারে পলিটিকাল জায়গাটাতে নিয়া যাওয়া এই গেইমটা শুরু হইছিল শাহবাগের ভিতর দিয়া; এবং অসংখ্যবার এইটা নয়া বাকশালের সেইফ-গার্ড হিসাবে কাজ করছে, ইভেন জুলাই-মুভমেন্টেও অইটা ইনিশিয়ালি তা-ই ছিল ‘স্টুডেন্টদের একটা যৌক্তিক মুভমেন্ট’ :) 

একইভাবে ছরমিকদের, হিন্দুদের, পাহাড়িদের (নারী ও ইসলাম প্রজেক্ট মোটামুটি ফেইল মারছে এখন…) যৌক্তিক মুভমেন্টগুলারে তৈরি করা হইতেছে, যেইগুলা ইস্যু হিসাবে বা কনসার্ন হিসাবে ভ্যালিড, কিনতু ম্যাস-মুভমেন্টে কনভার্ট করা যাইতেছে না, এবং আমার কথা হইতেছে অইগুলা জরুরি ইকনোমিক, সোশাল ও কালচারাল ইস্যু হিসাবে থাইকা যাবে, কম-বেশি… 

এর যে কোন সলিউশন নাই - তা না, কিনতু এইগুলার লগে কারেন্ট পলিটিকাল রিজিমের তেমন কোন কানেকশন তো নাই! যে কোন নেরেটিভ-ই বানানো হোক, কনটেক্সটের লগে তো কানেক্ট করে না এইগুলা! পলিটিকাল গবমেন্ট চেইঞ্জ হইলেই এই ইস্যুগুলার সমাধান হবে না, বরং এই ইস্যুগুলারে উসিলা কইরা ইনটেরিম গবমেন্টরে বিপদে ফেলার ট্রাই করা হইতেছে কিনা - এই সন্দেহ যারা ইস্যুগুলাতে সিনসিয়ারলি এনগেইজড থাকেন, তাদের মনেও তৈরি হওয়ার কথা

যার ফলে জুলাই-মুভমেন্টরে কপি-পেস্ট করা যাবে না, আওমি-বাকশালিরা যতই ট্রাই করুক, তারা আরো ডি-মরালাইজডই হইতে থাকবে বইলা আমি মনে করি


২.
তবে এইখানে আরো ২টা ঘটনাও আছে বইলা আমি মনে করি - সোশিও-ইকনোমিকাল ও সাইকোলজিকাল 

বাংলাদেশে এক ধরনের ‘পলিটিকাল মার্সেনারি’ গ্রুপ আছেন, যারা ধরেন ‘৯০-এর দশকে ‘পাড়ার মাস্তান’ ‘হলের ক্যাডার’ ছিলেন, যাদেরকে মিক্লা'রা ‘টোকাই’ বলে এখন, তারা-ই এখন আওমি-লিগের ফোর্সটা, যাদেরকে টাকা-পয়সা ও অনলাইন মোটিভেশন দিয়া মবিলাইজ করার ট্রাই করে যাইতেছে বাকশালিরা, কিনতু অইটা কাজ করতেছে না

তো, এই ফোর্সটার একটা অংশ বিএনপি'র ভিতরে ধিরে ধিরে শেল্টার নিতেছে বইলা আমার ধারনা, কিনতু আরো কতগুলা অংশ মইরা গেলেও বিএনপি’তে যাবে না বা বিএনপিও নিতে পারবে না, আমি মনে করি, অই গ্রুপটারে সাকসেসফুললি নিউট্রালাইজ করতে পারাটা দরকার, তাইলে অই সেক্টর-ভিত্তিক মুভমেন্টগুলা পলিটিকাল থ্রেট হিসাবে আর এগজিস্ট করবে না এতোটা…

আর সাইকোলজিকালি, একটা এড্রিনালিন রাশ তো হইছে আমাদের, অই একসাইটেটমেন্ট’টা কিছুদিন পর পর চাগায়া উঠতে থাকার কথা, অইগুলা ফ্লো হওয়ার আউটলেটও ক্রিয়েট করতে পারতে হবে আসলে…

ইমরুল হাসান

12 Nov, 06:07


নয়া-বা**লের সবচে ফেভারিট ইস্যু ছিল হইতেছে - নারী ও ইসলাম :) এই দুইটার মধ্যে মারামারি লাগায়া আরামসে বইসা মুড়ি খাইতো, লুটপাট করতো...

তো, এই যে সমাজের বিরোধি-পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করায়া দিতে চাওয়া, এইটা যতটা না রিকনসিলিয়েশনের জন্য বা বিরোধ কমায়া নিয়া আসার জন্য ঘটে, তার চাইতে এই কালচারাল-ইস্যুগুলারে পলিটিকাল কালার দেয়ার জন্যই বেশি ঘটে; যেইটা বা**ল নেরেটিভের একটা সিগনেচার আইটেম

আর এই মহিলার কথা-বার্তা যতটা না লজিকাল তার চাইতে অনেক বেশি উস্কানিমূলক (উগ্র-সেকুলার হিসাবে উনি আরো ফেইম ডিজার্ভ করেন মেবি), আই গেইস উনি এবং খা.ম. সর্বোচ্চ ট্রাই করবেন কোন 'ইসলাম-বিরোধি' এবং 'নারী-বিদ্বেষি' কনটেন্ট জেনারেট করার

যেই কারনে এই ধরনের পোগরাম'রে 'আজকে একটা ফাডাফাডি হইবো' 😎 বইলা একসাইটিং জিনিসের চাইতে বা**লের বয়ানগুলারে ফিরায়া নিয়া আসার চেষ্টা হিসাবেই দেখতে পারাটা বেটার...

এমনিতে খা.ম.'র একটিভিটি তো বাল-বয়ানের ভিতরেই ঘুরা-ফিরা করে সবসময়, যার ফলে উনার কনটেন্টগুলারে কখনোই খেয়াল করান তাগিদ ফিল করি নাই আমি; আমি বলবো, উনার 'একসাইটিং' হওয়ার চেষ্টাগুলাতে শামিল না হইতে পারাটা পলিটিকালি ওয়াইজ ঘটনা হবে, সবার জন্যই

ইমরুল হাসান

10 Nov, 15:01


৫ই অগাস্টের আগে কবি-সাহিত্যিকদের একটা লিস্ট নাকি করা হইছিল (আমার ধারনা, ভালো-বাকশালিরা নিজেরাই অই লিস্ট কইরা বাজারে ছাইড়া দিছিল); তো, দুই-একজন খুব অবাক হয়া বলতেছিলেন, অইখানে আপনার নাম নাই! মানে, কয়েকজন মানুশ তো সারপ্রাইজড হইছিলেন… 

আমি খুব একটা সারপ্রাইজড হই নাই, মানে, খারাপ-বাকশালিরা তো আমাদেরকে চিনে না, তাদের চিনার দরকারও নাই, কারন অরা যেই গ্রাউন্ডে অপারেট করে, সেইখানে থিকা আমাদেরকে তারা খুব একটা এফেক্টিভ বা দরকারি লোক বইলা ভাবে না, ভাবার তেমন কোন কারনও নাই; কিনতু ভালো-বাকশালিদের অনেকেই আমাদেরকে চিনে, আমাদের নাম মুখে না নিলেও… 

তো, একজন ইনটেলেকচুয়াল ফ্রেন্ডরে বলতেছিলাম, দেখেন, এখনকার সময়ে ক্ষমতার (ফরহাদ মজহার বা মাহবুব মোর্শেদরা…) কাছাকাছি যারা আছেন, তারা আপনারে যে চিনে এবং ‘অপছন্দ’ করে, এইটা আপনার জন্য কম-রিস্কের ঘটনা না আর কি… খারাপ-বাকশালিদের জন্য আপনি এতোটা বিপদের না হইলেও ভালো-বাকশালিরা দুশমন হিসাবে আপনারে লোকেট না করতে পারার কথা না আর কি…

ইমরুল হাসান

09 Nov, 08:55


https://bacbichar.net/2024/11/art.8115.bb/

ইমরুল হাসান

08 Nov, 04:33


আর্ট-কালচারে 'বাংলাদেশি' বইলা যে একটা কেটাগরি আছে, অই জায়গাগুলারে লোকেট করতে পারতে হবে আমাদেরকে... ৩০টা বাংলাদেশি সিনেমার নাম দিতেছি, কয়টা দেখছেন এর মধ্যে? :) বলেন!

...

গত শুক্রবারেই একজনরে বলতেছিলাম বাংলাদেশি আর্ট-ফিল্মের একটা ঘটনা হইতেছে "বড় ভালো লোক ছিল" সিনেমাটা, নায়ক ছিলেন রাজ্জাক, নায়িকা অঞ্জু ঘোষ... কিনতু উনারা নাম-ই শুনেন নাই সিনেমাটার; তো, এইটা উনাদের দোষ না, সিনেমার কেটাগরি'তে 'বাংলাদেশি সিনেমা' বইলা আলাদা কিছু পাইবেনই না, সবসময় হইতেছে সতজিৎ-মত্তজিত মিলায়া 'বাংলা সিনেমা'!

এখন, আম্রিকান লিটারেচার আর ব্রিটিশ-সাহিত্য ২টাই ইংলিশে লেখা হইলেও একই জিনিস তো না!

তো, বাংলা ও বাংলাদেশি'র জায়গাটাও যে একইরকমের ঘটনা - এইটা মানতে পারলে ভালো...

...

জাগো হুয়া সাভেরা - আকতার জং কারদার (১৯৫৮)
কখনো আসেনি - জহির রায়হান (১৯৬১)
রূপবান - সালাহউদ্দিন (১৯৬৫)
নবাব সিরাজদ্দৌলা - খান আতাউর রহমান (১৯৬৭)
আনোয়ারা - জহির রায়হান (১৯৬৭)
জীবন থেকে নেয়া - জহির রায়হান (১৯৭০)

অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী - সুভাষ দত্ত (১৯৭২)
আবার তোরা মানুষ হ - খান আতাউর রহমান (১৯৭৩)
তিতাস একটি নদীর নাম - ঋতিক ঘটক (১৯৭৩)
সুজন সখী - খান আতাউর রহমান (১৯৭৫)

নয়ন মনি - আমজাদ হোসেন (১৯৭৬)
সীমানা পেরিয়ে - আলমগীর কবির (১৯৭৭)
গোলাপী এখন ট্রেনে - আমজাদ হোসেন (১৯৭৮)
অশিক্ষিত - আজিজুর রহমান (১৯৭৮)
সূর্য দীঘল বাড়ি - মসিহউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী (১৯৭৯)
সুন্দরী - আমজাদ হোসেন (১৯৭৯)
এমিলের গোয়েন্দ বাহিনী - বাদল রহমান (১৯৮০)
ডানপিটে ছেলে - খান আতাউর রহমান (১৯৮০)
ঘুড্ডি - সালাউদ্দিন জাকি (১৯৮০)
ছুটির ঘন্টা - আজিজুর রহমান (১৯৮১)
বড় ভালো লোক ছিল - মহিউদ্দিন (১৯৮২)

বেদের মেয়ে জোসনা - তোজাম্মেল হক বকুল (১৯৮৯)
মরণের পরে - আজহারুল ইসলাম খান (১৯৯০)
দাঙ্গা - কাজী হায়াৎ (১৯৯২)

মুক্তির গান (ডকুমেন্টারি) - তারেক মাসুদ, ক্যাথরিন মাসুদ (১৯৯৫)
মাটির ময়না - তারেক মাসুদ (২০০২)
ব্যাচেলার - মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (২০০৪)
মনপুরা - গিয়াসউদ্দিন সেলিম (২০০৯)
ডুবসাঁতার - নুরুল আলম আতিক (২০১০)
শুনতে কি পাও! (ডকুমেন্টারি) - কামার আহমেদ সাইমন (২০১৪)

ইমরুল হাসান

07 Nov, 12:27


অশ্বত্থনামা হত, ইজি গজ

মহাভারতের এই কাহিনিটা অনেকেরই জানা থাকার কথা যে, মিছা-কথা বলার লাইগা পান্ডবরা সেই লোকটারে বাছাই করে হইতেছে যিনি সবসময় সত্যি কথা বলেন, সেই যুথিষ্ঠির’রে, কারন তার কথা সবাই বিশ্বাস করবে, অন্য কেউ কইলে সেইটা এতোটা বিশ্বাস করার মতো ঘটনা হবে না

তো, যুথিষ্ঠির করলেন কি? একটা চালাকি করলেন, ১টা কথারে আগে ২টা কথা বানাইলেন এবং ক্রুশিয়াল কথাটা জোরে কইলেন যাতে সবাই শোনে (অশ্বত্থনাম মারা গেছে), আর সত্যি-কথাটা এমনভাবে কইলেন যেন কেউ না শোনে (এই নামের হাতিটা); এইভাবে উনি নিজের কাছে সৎ ও সত্যবাদি থাকলেন, কিনতু অন্যদেরকে ধোঁকা দিলেন…

তো, এই কাহিনিটা আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগে - ট্রুথ এবং ট্রুথ-টেলিং এক্ট - এই জায়গা থিকা; যেইটা সত্যি-কথা সেইটা সবসময় সত্যবাদি বা সত্য-কথা বলার জায়গাটা থিকা আলাদা! ভালো-বাকশালি এবং পি.আলো গং হইতেছে ‘সত্যবাদি যুথিষ্ঠির’ হইতে চায় বা আমরা তো সত্যি-কথাটাই বলতেছি - এই দাবিটাই করতে চায়, অথচ এরা যা করে, সেইটা হইতেছে সুযোগ-মতো মিছা-কথা বলা - “অশ্বত্থনামা হত, ইতি গজ”

ইমরুল হাসান

07 Nov, 05:05


বাংলাদেশের পলিটিকসে ৭ই নভেম্বরের সিগনিফিকেন্স

একটা লেখা তো একবার লেখলেই শেষ হয়া যায় না, বরং সময়ের সাথে অনেক কিছু অ্যাড, এডিট ও ডিলিট করার দরকার পড়ে, তো ৭ই নভেম্বর নিয়া গত বছরের লেখাটাতে আরো ৩টা জিনিস অ্যাড করতে চাই আমি - 

১. মিলিটারি-হেইট্রেট ও বাংলাদেশের বাম-রাজনীতি: মিলিটারি'রে ভালোবাসার কিছু নাই, বাংলাদেশে কিছু ম্যাসোকিস্ট লোকজন যেমন বাসেন, যে মিলিটারি আসলে সবকিছু ঠিক হয়া যাবে! কিনতু এর বিপরিতে, ভালো-রকমের একটা মিলিটারি-হেইট্রেট চালু আছে বাংলাদেশের পলিটিকসে, ইসপেশালি বাম-রাজনীতির জায়গা থিকা, যাদের অনেকেই আবার ‘সশস্ত্র-বিপ্লব’ করতে চান! মানে, উনাদের অনেকেই মনে মনে মিলিটেন্ট, এমনকি মিলিটারি'র ‘বন্ধুত্ব'-ও চান, কিনতু মিলিটারি'রে ঘৃনা করেন… মেবি এইটার একটা ট্রিগার পয়েন্ট হইতেছে ৭ই নভেম্বর

জাসদ তো বিপ্লব কইরাই ফেলছিল, যদি জিয়াউর রহমান পল্টি না মারতেন! মানে, বাকশাল হটায়া আরেকটা একনায়কতন্ত্র যে প্রতিষ্ঠা করা হইলো না - এইটা নিয়া মোটামুটি সব বামপন্থীদের (ভাসানি মেবি একমাত্র একসপেশন) মনেই খেদ, গোস্বা বা বলা ভালো হেইট্রেট আছে জিয়াউর রহমানের উপর… 

বাংলাদেশে ‘বিপ্লবি’ হইবেন, আর বিএনপি বা জিয়াউর রহমানরে ঘৃনা করবেন না - এইটা মোটামুটি ইম্পসিবল ঘটনাই; যেই কারনে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেসির দিকে তাকাইতে গেলেও জিয়াউর রহমানরে একজন আইকন হিসাবে পাইবেন; এবং আন-ফরচুনেটলি বাংলাদেশে বিপ্লব ও গনতন্ত্র দুইটা আলাদা আলাদা ঘটনাই আমাদের চিন্তাতে, এখনো

মানে, আমি বলতে চাইতেছি বাংলাদেশে বাম-রাজনীতি’তে যে মিলিটারি-ঘৃনা সেইখানে ৭ই নভেম্বরের একটা ক্রুশিয়াল রোল আছে 


২. বাংলাদেশের মিলিটারি শাসন: তো, এইটা খালি ৭ই নভেম্বরের ঘটনাই না আর কি, পরবর্তিতে এরশাদের শাসন এবং তার আগে পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খানের শাসন ও ইয়াহিয়া খানের মিলিটারি ম্যাসাকারের মেমোরিও একটা ঘটনা; বাংলাদেশে একটা বড় সময় আমরা মিলিটারি শাসনের মধ্যে ছিলাম, কিনতু এইটারে খুব লিনিয়ার ওয়ে'তে রিড করলে ভুলই হবে আসলে; ৩টা সময় নিয়াই ব্রিফলি বলি - 

ক. আইয়ুব খান আসছিলেন সিভিল-ডেমোক্রেটিক ফেইলওরের কারনে, জিন্নাহ মারা যাওয়ার পরে পাকিস্তান ছিল একটা এলিট-বুরোক্রেটিক কেওস… যেই কারনে আইয়ুব খান এলিট-বুরোক্রেসির কান্ধে ভর দিয়া অনেকদিন টিইকা থাকতে পারছিলেন

খ. ইয়াহিয়া খান ছিলেন একটা ডিজাস্টার, আইয়ুব খান মিলিটারি হিসাবে যেইরকম এলিট-বুরোক্রেসিরে ইউজ করছেন, ইয়াহিয়া খান বরং মিলিটারি হিসাবে পশ্চিম পাকিস্তানি এলিট-বুরোক্রেসি দিয়া ইউজড হইতে রাজি হইছেন; বাদবাকি জিনিস তো আছেই…

গ. এরশাদের ঘটনা সিগনিফিকেন্টলি আলাদা, এরশাদ হইতেছেন ফার্স্ট মিলিটারি ডিক্টেটর implented by ইনডিয়া; (খালেদা মোশাররফ তা ছিলেন না বইলাই আমি মনে করি) এবং এরশাদের ভিতর দিয়া বাংলাদেশে সাকসেসফুল ইনডিয়ান ইনভেশনের শুরু… এর দীর্ঘমেয়াদি এফেক্ট এখনো বাংলাদেশের স্টেইট ও সিভিল-সোসাইটিতে ব্যাপক… 

মানে, বলতে চাইতেছি, সব পলিটিকাল দল - বিএনপি আওমি-লিগ যেমন একই ঘটনা না, সব মিলিটারি শাসনের বেপারগুলাও একইরকমের না; ডিফরেন্সগুলা করতে রাজি হইতে পারলে ভালো


৩. জিয়াউর রহমান: তো, এইখানে জিয়াউর রহমান কেন এবং কিভাবে আলাদা? এই নিয়া তো বই-ই লেখা দরকার, উনারে হিরো বা ভিলেন বানানোর বাইরে… ৭ই নভেম্বরের পরে উনি এমন একটা কি-রোলে চলে আসছিলেন, যেইখানে একজন ব্যক্তির ডিসিশানে অনেক কিছু ডিপেন্ড করতো, এবং পলিটিকালি উনি ‘বিপ্লবি’ না হয়া ‘ডেমোক্রেটিক’ হওয়ার ডিসিশান নিছিলেন - যেইটা ক্রুশিয়াল এবং মোস্ট সিগনিফিকেন্ট একটা ঘটনা, বাংলাদেশের পলিটিকসে

আর এই জায়গাটারে আমরা যত ক্লিয়ারলি লোকেট করতে পারবো, তত বেটার…

ইমরুল হাসান

06 Nov, 02:57


ভালো-বাকশালিদের ভূত কান্ধে নিয়া এই ইনটেরিম গবমেন্টের বেশিদূর পর্যন্ত যাইতে পারাটা তো কঠিনই হবে...

মানে, খুব বেশি দূর পর্যন্ত তো মেবি যাইতেও চান না উনারা, যে কোন মূল্যে বিএনপি'রে ঠেকাইতে চান না, বরং পিপল পার্টিসিপেশনের জায়গাগুলারে এখনো আটকায়া রাখতে চান - এর বাইরে আর কোন পলিটিকাল উদ্দেশ্য এখনো ক্লিয়ার না

আওমি-বাকশালি রিজিম যেই সিলেকশনের বেসিসে গবমেন্ট চালাইতো, ইনটেরিম গবমেন্টও অই সিলেকশন-সিসটেমই চালু রাখছে সব জায়গায়; অই সিলেকশনে খারাপ-বাকশালিদের জায়গায় কিছু ভালো-বাকশালি লোকজন পাইতেছি আমরা, কিনতু সিসটেমের তেমন কোন চেইঞ্জ নাই, এখন চেইঞ্জ তো হুট কইরা হবে না কিনতু কাজকাম করার পদ্ধতিগুলা যদি চেইঞ্জ না হয় তাইলে তো ওরিড হওয়ার জায়গা থাকে আসলে...

ইমরুল হাসান

05 Nov, 15:02


ইকনোমি'র অবস্থা যে খারাপ এবং ২-৩ বছরের আগে যে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কম - এইটারে পলিটিকাল ইস্যু দিয়া চাপা না দিয়া একটা রোড-ম্যাপ দেয়াটা বরং জরুরি, রিফর্মের...

আমরা যেই ইকনোমিক ভালনারাবিলিটি সামনে পড়ছি, সেইটা পলিটিকাল কারনেই তৈরি হইছে, কিনতু পলিটিকাল রিফর্ম করলেই এই ডিজাস্টার থিকা বাইর হয়া আসতে পারবো না আমরা, হয়তো ফিউচারে পলিটিকসের কারনে এইরকম ইকনোমিক ডিজাস্টার তৈরি হবে না - বড়জোর এইটুক করা যাবে; কিনতু ইকনোমিক ডিজাস্টার'টারে মোকাবেলা করার জন্য তো কিছু করা লাগবে... মেবি করতেছেনও ইনটেরিম গবমেন্টের লোকজন, কিনতু এর কোন ভিজিবিলিটি নাই; মানে, একটা মিনিমাম এফেক্ট পাইতে কতদিন লাগতে পারে? কিভাবে সেইটা হবে? এই জিনিসগুলা তো পিপলরে জানানো উচিত...

ইনটেরিম গবমেন্টের ৩ মাস পার হওয়ার পরেও কোন পলিটিকাল রোড-ম্যাপ যেমন আমরা পাই নাই, ইকনোমিক রোড-ম্যাপও ক্লিয়ার না... তো, দেরি না হইলেও, টাইম তো হইছে আসলে এইগুলা ক্লিয়ার কইরা বলার

ইমরুল হাসান

04 Nov, 12:59


হিজবুল্লাহ আর হামাস

একজনের ফার্ম ভিজিট করতে গেছি; একটা বিলাই তারে দেইখা কাছে ছুইটা আসলো৷, উনিও বিলাইটারে আদর কইরা ডাকতে লাগলেন, হিজবুল্লাহ আয়, আয়, সারাদিন খাস নাই কিছু! বিলাইয়ের হিজবুল্লাহ নাম রাখা তো কিছুটা আন-ইউজুয়ালই, উনি অনেকটা কৈফিয়ত দেয়ার সুরেই বললেন, খামারে অনেক ইন্দুর ছিল, ছোট ছোট ইন্দুর না, বড় বেজির মতন, তখন একজন বুদ্ধি দিল বিলাই নিয়া আসেন, তখন বাড়ি থিকা দুইটা বিলাইরে নিয়া আসলাম খামারে, সারাদিন ঘুইরা ঘুইরা ইন্দুর মারে অরা, নিজেদের পেট ভরে, আমারও শান্তি; একটু পরেই আরেকটা বিলাই আসলো, অইটারেও ডাকলেন উনি, হামাস, আয়! কিনতু হামাসের ভাব একটু বেশি, একটু সিরিয়াস…

তো, বিলাইদের নাম উনি কেন হামাস আর হিজবুল্লাহ রাখলেন, সেইটা আর বললেন না, আমিও জিগাই নাই, কারন এইটা কম-বেশি তো মনেহয় বুঝি-ই আমরা

এমন একটা দুনিয়ার ভিতর আছি আমরা যেইখানে হামাস ও হিজবুল্লাহ গর্তের ভিতর লুকায়া বাঁইচা থাকতে পারতেছে না; তো, সেইখানে এমন দুইটা বিলাইও থাকতেছে দুনিয়ায়, যারা গর্তের ভিতরে লুকায়া থাকা ই্ন্দুরগুলারে মারতেছে, যাদের নাম হামাস ও হিজবুল্লাহ; দুনিয়া এইরকমেরই একটা ইন্দুর বিলাই খেলা! 

যিনি এই খামারের মালিক, হামাস ও হিজবুল্লাহরে ডাকার সময় তার চেহারার দুখী দুখী ভাবটা অবশ্য লুকাইতে পারতেছিলেন না, যে, আহা, আমার হামাস আর হিজবুল্লাহ! 

ইমরুল হাসান

03 Nov, 10:21


মুক্তিযুদ্ধের পরেই এক ধরনের ইতিহাস লেখার তোড়জোর শুরু হইছিল, অইগুলাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইনডিয়ান নেরেটিভের শুরুয়াত...

এখনো খেয়াল করলে দেখবেন জুলাই গণ-অভূত্থানের ইতিহাস লেখার কিছু প্রজেক্ট চালু হইছে

এই জায়গায় সবচে বেশি আগায়া আছে পুরান আওমি-বাকশালি আউটলেটগুলা; যারা ডরের ভিতর আছে তাদের অতীত নিয়া, তারা তাড়াতাড়ি ভোল-পাল্টায়া অতি-বিপ্লবি হইতে চাইতেছে, এইটা তাদের জন্য জরুরি, গন-অভ্যুত্থানের একটা ইতিহাস লেখা যেইখানে তাদের নিজেদের একটা জায়গাও আবিষ্কার কইরা ফেলতে পারবে তারা, যে কিভাবে মুক ও বধির থাকাটাও জরুরি একটা ঘটনা :) তা নাইলে এই হাউকাউগুলা এখন কে করতো! - এইরকম একটা ঘটনা...

সেকেন্ড হইতেছে, শিবির ও ইসলামপন্থীদের যে কনট্রিবিউশন আছে - এইটা উনারা কিছুটা দ্বিধা নিয়া হইলেও বলতে চাইতেছেন, কিনতু খুব ভালো আর্টিকুলেট করতে পারতেছেন বইলা মনেহয় আমার কাছে; হিস্ট্রি একটা ফরম্যাটেরই ঘটনা অনেকটা, যেইটাতে উনারা নিজেদেরকে ফিট-ইন করতে ইসট্রাগলই করতেছেন কিছুটা...

এর বাইরে, অনেকে পারসোনালি ও গ্রুপ কইরাও কিছু কাজ করতে চাইতেছেন, যার কিছু জিনিস মাঝে-মধ্যে দেখি, কিনতু আমার ধারনা উনাদের জোশ আগামি ২-৩ মাসের মধ্যেই কইমা আসতে শুরু করবে

আমি বলতে চাইতেছি, মুক্তিযুদ্ধের যেইরকম একটা ইনডিয়ান নেরেটিভ পাইতে শুরু করছিলাম আমরা, এখনো কম-বেশি অইরকম একটা বায়াসড নেরেটিভ তৈরি করার ঘটনাগুলাই ঘটতেছে, যেইগুলা সত্যি বা মিথ্যার চাইতে একটা নেরেটিভরে প্রতিষ্ঠা করার দিকেই ঝুঁইকা থাকার কথা...

তো, এই ব্যাখা-বিশ্লেষনগুলা কোন হিস্ট্রিকাল কারনেও লেখা হইতেছে না আসলে, এদের বেশিরভাগের উদ্দেশ্য হইতেছে সার্টেন পলিটিকাল পারপাস সার্ভ করা... এইটা মানতে রাজি হইলে, গন-অভ্যুত্থানের মেটেরিয়ালগুলারে বেটার রিড করতে পারবো আর কি আমরা

ইমরুল হাসান

03 Nov, 04:29


পি.আলো কেন খারাপ?

পত্রিকা পড়া (বা এখন তো আসলে দেখাই) একটা জেনারেশনের অভ্যাসেরই ঘটনা, যেইটা ১৯৯০'র পরে যাদের জন্ম তারা এইটা থিকা বাইর হইতে পারছেন বইলা আমি মনে করি; কিনতু পি.আলো জাস্ট একটা পত্রিকা বা নিউজ-আউটলেট না, একটা কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট হিসাবে নিজেদের হাজির করতে পারছে; তো, এই ভুলটা অনেকে করেন বইলা আমি মনে করি, যে, উনারা অবশ্যই একটা নিউজপেপার ও নিউজ-আউটলেট, কিনতু একই সাথে একটা কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট, যেইটার বাংলাদেশে তেমন কোন 'বিকল্প' নাই...

আওমি-বাকশালি এস্টাবলিশমেন্টে তাদের যেইরকম স্টেইক বা ভাগ ছিল, এখনকার ইন্টেরিম গবমেন্টে সেইটা আরো বেশি আছে; কিনতু কোনকিছু পাওয়ারফুল বইলাই তো সেইটা বাজে না আসলে... বাংলাদেশে পি.আলো'র 'সমালোচনাকারী' অনেক আছেন, কিনতু একইসাথে তাদের নেক-নজর চান না বা তাদের কোরামে শামিল হইতে চান না - এইরকম ডেফিনেটিভ পজিশন নিয়া আছেন সেইরকম 'লেখক-বুদ্ধিজিবি' হাতে গোনা কয়েকজনের বেশি থাকার কথা না...

মানে, বেপারটা এইরকম না যে, তাদের অনেক ফ্যান-ফলোয়ার আছে, সেইটা তো আছেই, তার চাইতে বেশি আছে কালচারাল ইন্ড্রাষ্ট্রির 'একক আধিপত্য', যেইটারে এড়ায়া গিয়া কোন কালচারাল পজিশন কেউ এচিভ করতে পারবেন - এইটা টাফ...

এই অবস্থাটা অনেকে দাবি করতে পারেন যে, পিপল-এনগেইজমেন্টের ভিতর দিয়া উনারা এচিভ করছেন; কিনতু আমি মনে করি, ইনিশিয়ালি পিপল-এনগেইজমেন্টের একটা জায়গা থাকলেও পরে এবং এখন পাওয়ারের এজেন্সিগুলার লগে এক ধরনের সমঝোতা ও কানেকশনের ভিতর দিয়াই উনারা অপারেট করেন; পিপল এনগেইজমেন্ট একটা ক্লাস-অরিয়েন্টশনের জায়গাতে গিয়াই এন্ড-আপ করছে

যেই কারনে পি.আলো'র ফ্যান-ফলোয়ার-সার্পোটার এবং সমালোচনাকারী'রা মোটামুটি দুইটা আলাদা কালচারাল ক্লাস ও আইডিওলজিতে বিলং করেন...

তো, এইটা হইতেছে ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা -

১. পি.আলো একটা কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট
২. বাংলাদেশে আপনি 'কালচারাল লোক' হইতে চাইলে এই এস্টাবলিশমেন্টের কোন 'বিকল্প নাই'
৩. পিপল-এনগেইজমেন্ট না, বরং পাওয়ার-এজেন্সিগুলার লগে স্ট্রং কানেকশন হইতেছে তাদের স্ট্রেংথের জায়গা

২.
তো, পি.আলো'র কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট'টা কেন খারাপ? এরা 'ইন্ডিয়ার দালাল' 'ইসলাম-ফোবিক' এবং 'বাকশালি-রিজিমের সার্পোটার' - মোটাদাগে এইরকমের কিছু 'অভিযোগ' তাদের বিরুদ্ধে আছে, যেইগুলা খুব অরগানাইজডভাবে আর্টিকুলেট করা না হইলেও কম-বেশি তো ট্রু...

এখন এইগুলা হইতেছে তাদের আইডিওলজিকাল পজিশন - যেইটারে আপনি অপছন্দ করতে পারেন, তাদেরকে এই পজিশনগুলা থিকা সরাইতে তর্ক করতে পারেন, কিনতু নৈতিক জায়গা থিকা না, বরং তাদের কাজকামগুলা পলিটিকালি কেন খারাপ - সেইটা বলতে পারাটা আসলে বেটার

তো, এই জায়গাটাতে ৩টা জায়গা আমি হাইলাইট কইরা রাখতে চাই -

১, পি.আলো'র এসথেটিকাল পজিশনগুলা প্রবলেমেটিক; উনারা যেই 'বাংলা সংস্কৃতি'রে আপহোল্ড করেন সেইখানে 'বাংলাদেশ' কোন সেন্টার-পয়েন্ট না, যেইটা আসলে উনাদেরকে 'ইনডিয়ার দালাল' বানায়া রাখে, বাই ডিফল্ট; এবং মুশকিল হইতেছে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজিবিদেরও এই এসথেটিকাল পজিশনটাতে তেমন কোন ভিজিবল কনশাসনেস নাই, যার ফলে 'ঐক্য'টা অনেক বেশি সম্ভব হয়

২. আমি মনে করি, এই এসথেটিকাল জায়গাগুলাই একটা পলিটিকাল পজিশন হিসাবে এমার্জ করে; যেইখানে একটা ইসলামের এগেনেস্টে আপনারে 'বিজ্ঞানমনস্ক' ও 'সেকুলার' কইরা তোলে না, বরং পিপল-কনসেন্টের বিপরিতে একটা 'এলিট' পজিশনরে মাস্ট কইরা তোলে... তো, এইটা যে কোন নন-ডেমোক্রেটিক জায়গারে সাবস্ক্রাইব করার একটা ভ্যালিডিটি তৈরি করতে থাকে, যেইটা বাজে-ঘটনা

৩. লাস্ট বাট নট দা লিস্ট, পি.আলো'র কালচারাল মনোপলি এইরকম একটা পোলারাইজেশন তৈরি করে যেন এর বাইরে আর কোন কালচারাল পজিশনই নাই বাংলাদেশে! এইটা যতটা না যুক্তি-তর্ক দিয়া তৈরি হওয়ার ঘটনা তার চাইতে অনেক বেশি কালচারাল পাওয়ারের মনোপলি'রই ঘটনা, যার ফলে বাংলাদেশের আর্ট-কালচারের জায়গাগুলা অনেক বেশি barren বা বন্ধ্যা হয়া উঠছে দিনে দিনে; যে কোন কালচারই পিপল-কানেকশনের বাইরে গিয়া তৈরি হইতে পারে না, কিনতু বাংলাদেশে যেইসব জিনিসগুলারে কালচার হিসাবে তৈরি করা হইতেছে সেইগুলা মোস্টলি এন্টি-পিপল একটা জায়গা থিকা, যেইটার মেইন স্পন্সর পি.আলো মিডিয়া...

তো, এইটা যে উনারা একলা তৈরি করছেন - তা না, পি.আলো কিছু মানুশ-জন এবং প্রতিষ্ঠানেরই একটা এলায়েন্স, এবং বাংলাদেশের পাওয়ার-স্ট্রাকচারের একটা এলিমেন্ট, যেইটাতে অনেকেই সাব-স্ক্রাইব করেন, আর এতে কইরা পাওয়ারের কাছাকাছি থাকাটা সহজ হয়, নানান-ভাবেই

মানে, কালচারাল পাওয়ারের জায়গাটারে রিকগনাইজ করতে রাজি থাকলে, এইটা আরো ভালো-ভাবে ভিজিবল হইতে পারবে আর কি...

আপাতত, এইটুকই, বাদবাকি আরো অনেক আলাপ তো আছেই

ইমরুল হাসান

02 Nov, 12:17


Resonate করা

আমি মোটামুটি এভারেজ জিনিসপত্রই দেখি, স্ক্রিনে ক্যাজুয়াল ভিউয়িং-ই পছন্দের, বোরড হয়া গেলে তখন ভালো বা গ্রেট জিনিস দেখতে ইচ্ছা করে; মানে, সারাক্ষন গ্রেট-মুভি দেখার লোক আমি না, তো, কিছুদিন আগে এইরকম জাপানিজ একটা সিরিজ দেখতেছিলাম, ভিজুয়াল হিসাবে এভারেজের চাইতেও একটু বাজে...

কাহিনি'টা এইরকম - এক শেফ, যে প্যারিসে খুবই নামি একটা রেস্টুরেন্ট চালায়, কিনতু এক ডিপ্লোমেটের ডিনারে ঝামেলা কইরা ফেলার কারনে তার লাইসেন্সই বাতিল হয়া যায়; তখন এক মহিলার লগে তার দেখা হয়, যে থ্রি-স্টার শেফ হইতে চায়, কিনতু তাঁর স্কিল আসলে এভারেজ... তো, নানান কাহিনির পরে তারা একটা রেস্টুরেন্ট খুলে, কিনতু মেইল-শেফ'টার যেহেতু বদনামি আছে এবং শত্রুও আছে, তাদের রেস্টুরেন্টে কেউ আসে না... তখন তারা নানান ফুড ফেস্টিবলে গিয়া স্টল নিয়া খাবার বেচতে থাকে, তো, একটা সময়ে গিয়া অইসব জায়গায় পার্টিসিপেট করাও বন্ধ কইরা দেয় তাদের দুশমনরা

তখন শেফ'টা বলে যে, লোকজন তো এখন তাদের রেস্টুরেন্টে আসার কথা, কারন তারা যেই টেস্ট'টা পাইছে, সেইটা যেহেতু তাদের ভালো-লাগছে সেইটা তো তারা রেজোনেট করতে চাওয়ার কথা এখন...

মানে, আপনি যখন নতুন টেস্ট পাইবেন, তখন সেইটা একবারেই শেষ হয়া যায় না, যদি সেইটা ভালো-লাগে সেই টেস্ট'টা আরেকবার নিতে চাইবেন আপনি... আর এইটা খালি ফুডের বেপারেই না, অন্য অনেক বেপারেই এই জিনিসটা কাজ করার কথা; এমনকি খালি ইন্ডিভিজুয়ালের জায়গাতে না, সোশাল সিচুয়েশনেও কাজ করার কথা...

আমি বলতে চাইতেছি, যেই ফ্রিডম আমরা এচিভ করছি জুলাই মুভমেন্টের ভিতর দিয়া, সেইটা নানান জায়গাতেই রেজোনেট করতে থাকার কথা, অই ফ্রিডম আমাদের চাইতে থাকার কথা এখন বারবার... যেই কারনে পুরান ডর-ভয়গুলা যতই ফিরায়া নিয়া আসার ট্রাই করা হইতে থাকে, সেইগুলার রিলিভেন্স আর তত একটা থাকে না...

ইমরুল হাসান

01 Nov, 04:48


ইলেকশন হইতে হবে ৩টা।
লোকাল গবমেন্ট (৩ বছর পর পর)
প্রেসিডেন্ট (৪ বছর পর পর)
পার্লামেন্ট (৫ বছর পর পর)

...

লোকাল গবমেন্ট ইলেকশন হবে ২টা ফেইজে।
ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা > উপজেলা > জেলা
ওয়ার্ড > জোন > সিটি করপোরেশন

পিপল ভোট দিয়া মেম্বার ও চেয়ারম্যান ইলেকটেড করবে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার; সব মেম্বার, চেয়ারম্যানরা ভোট দিয়া উপজেলা ও জেলা চেয়ারম্যান বানাইবেন।

শহর বা সিটি করপোরেশন এলাকায়ও তিনটা লেডারে ইলেকটেড পারসনরা থাকবেন ওয়ার্ড, জোন আর সিটি করপোরেশন চেয়ারম্যান।

...

ন্যাশনাল ইলেকশন হবে ২টা - প্রেসিডেন্ট আর পার্লামেন্ট মেম্বার। প্রেসিডেন্টের মিনিমাম ৫০% ভোট পাইতে হবে, পয়লা দফায় কেউ না পাইলে, টপ ২জনের ইলেকশন হবে আবার। (খালি পর পর না, কখনোই) ২ বারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হইতে পারবে না।

পার্লামেন্ট ইলেকশন হবে ৫ বছর পর পর। প্রেসিডেন্ট ইলেকশনের সময় পার্লামেন্টের স্পিকার চিফ জাস্টিস, মিলিটারি চিফ ও লোকাল গবমেন্টের হেল্প নিয়া ডিসিশান নিবেন।

...

রাষ্ট্রের পাওয়ারের পিলার হবে ৪টা -
লোকাল গবমেন্ট
প্রেসিডেন্ট
পার্লামেন্ট
প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও মিলিটারি

৩টা ইলেকটেড ফোর্স আর ১টা মেরিটোক্রেসির বেসিসে

...

লোকাল ও সিটি পুলিশ লোকাল গবমেন্টের আন্ডারে থাকবে। ন্যাশনাল গার্ড আলাদা ফোর্স হবে, লোকাল গবমেন্টের কাজে ইন্টারফেয়ার করবে না।

বিচার-বেবস্থায় জুরি-সিসটেম আনতে হবে। সালিশি বেবস্থারে আইনি-প্রসেসের মধ্যে ইনক্লুড করা লাগবে।

...

রেভিনিউ কালেকশন ও বাজেটে লোকাল গবমেন্টের এখতিয়ার থাকতে হবে। সরকারি খরচের হিসাব পাবলিকলি পাবলিশ করতে হবে, প্রতি মাসে।

...

আলাপের ভিতর দিয়া যে কোন কিছু চেইঞ্জ করা যাবে। ন্যাশনাল ডিসপিউট ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল থাকতে পারে একটা। নামটা "আপনারা যা ভালো মনে করেন"-ও হইতে পারে।

ইমরুল হাসান

31 Oct, 15:11


সংস্কার বলতে আমি বুঝি বাংলাদেশে ইনডিয়ান এজেন্সিগুলারে পুরাপুরি বাতিল করতে পারা - পলিটিকালি এবং কালচারালি, এবং এইটা করতে না পারলে বাংলাদেশে কখনোই জনগনের সরকার আনতে পারবো না আমরা

ইমরুল হাসান

31 Oct, 12:48


বনিক বার্তা কি কারনে পি.আলো'র কম্পিটিটর হয়া উঠতে পারে নাই বা মেবি কখনোই হইতে পারবে না - এটলিস্ট আইডিওলজিকাল দিক থিকা, সেইটা অনেকটা বুঝা যাইতে পারে ২৯শে অক্টোবর, ২০২৪ (মঙ্গলবার)-এ সিল্করুটে ছাপানো আহমেদ দীন রুমি'র "ঔপনিবেশিক বাংলার নিয়তি নির্ধারনে অভিজাতবাদী রাজনীতি" লেখাটা দিয়া

আহমেদ দীন রুমি'র খুব বেশি লেখা আমি পড়ি নাই, কিনতু পড়ার ইচ্ছা আছে, কারন বাংলাদেশের ইতিহাসের ১৯২০-৪০/৪২ এবং ১৯৪৭-১৯৭৫'র সময়টা নিয়া আমার একটা ইন্টারেস্ট আছে এবং অই জায়গাগুলাতে উনার কিছু নাড়াচাড়া আছে মনেহয়...

তো, এই যে অই সময়গুলাতে ঘটা ঘটনাগুলারে দেখতে চাওয়া বা বুঝতে চাওয়া, এবং এইটারে দরকারি বইলা মনে করাটা তো ভালো-জিনিস; কিনতু তারপরে কেউ কোন জায়গাটা থিকা দেখতেছেন - সেইটা হইতেছে ঘটনা'টা

উনার লেখা থিকা একটা কোটেশন দেই:
" কংগ্রেস যেহেতু সে অর্থে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ নীতি বাস্তবায়ন করতে পারেনি; ফলে ক্রমে জনপ্রিয়তা বেড়েছে মুসলিম লীগের। এমনকি বামপন্থী নেতারাও পারেনি ধর্মীয অসহিষ্ণুতা মোকাবেলা করতে।"

মানে, কংগ্রেস যে ধর্মিয়ভাবে হিন্দুদের একটা দল হয়া উঠছিল, সেইটা যেন তাদের 'না পারা', বাই চয়েসের কোন ঘটনা না! এবং 'বামপন্থীরা', তারাও যেন মুসলিম-হেটার কোন পলিটিকাল ফোর্স না, বরং 'ধর্মনিরপেক্ষ'! মানে, উনার দেখার যেই বেইজটা - ধর্ম ও রাজনীতি'রে - সেইটা আলাদা কোন ঘটনা না, যেইভাবে দেখার ও দেখানোর রীতিটা আছে (এইখানে ব.বার্তা বা পিআলো'র দেখার কোন ডিফরেন্স নাই); এইটা হইতেছে আমার বলার পয়েন্ট'টা (এইভাবে দেখাটা ভালো কি খারাপ, ঠিক কি ভুল - সেইটা তো আরেকটা আলাপই আসলে)

এইখানে আরেকটা এজাম্পশন আছে আসলে, যেইটা উনি খোলাখুলিভাবে বলেন নাই, কিনতু উনার যেই কথাগুলা সেইটা অই ধারনা থিকাই আসছে যে, বাংলার সমাজ ছিল বা অরিজিনালি হইতেছে - 'ধর্মনিরপেক্ষ'; হিন্দু এবং মুসলিম অভিজাত'রা পলিটিকাল কারনে এই ডিফরেন্সের জায়গাটারে জাগায়া তুলছেন ও ইউজ করছেন; সেইটা সত্য না বইলাই আমি মনে করি, বরং আবুল মনসুর আহমেদ যেইরকম বলছেন এইখানের সমাজে সবসময় দুইটা কালচারাল ফ্লো ছিল, সেইটারে আরেকটু এক্সটেন্ড কইরা বলতে চাই যে, জাত-প্রথা আমাদের সমাজের সবচে কোর একটা ঘটনা; কালচার একটা তো না-ই, সেইটা 'ধর্মনিরপেক্ষতা' আরো না, বরং একটা ধর্ম-ভাব হইতেছে মেইন ঘটনা, সেইটা যে ধর্ম-ই হোক...

সেকেন্ড হইতেছে, উনি দেখতেছেন যেন এইটা অভিজাত শ্রেণীরই সমস্যা, সমাজের সমস্যা না! জমিদার'রা যে বেশিরভাগই হিন্দু এবং কৃষকরা যে বেশিরভাগই মুসলমান - এইটা যেন 'কাকতালীয়' ঘটনা, কোন হিস্ট্রিকাল রিয়ালিটি না; মানে, একটা হিস্ট্রিকাল প্রসেসে ভিতর দিয়া যে, এইটা ঘটছে - এর স্বীকারটা নাই, বরং দেখা হইতেছে হিন্দু-অভিজাতদের এগেনেস্টে মুসলিম-অভিজাতরা দাঁড়াইতেছে; অথচ বাংলাদেশের নবাব'রা যে পাকিস্তান হওয়ার আগে ফজলুল হকের কাছে এবং পাকিস্তান হওয়ার পরে ভাসানি-সরোয়ার্দির কাছে পলিটিকালি হারছিল - এই রিকগনিশনটা নাই...

যেই কারনে আহমেদ দীন রুমি কনক্লোশন টানতে পারছেন যে, "...এভাবে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে গড়ে ওঠা অভিজাত শ্রেণীর আত্মপরিচয়ের যাত্রা পরিণত হয়েছে বিভাজনে।" মানে, ক্রুশিয়াল রোল প্লে করছে অভিজাত বা এলিট'রা; দুই পক্ষই সমান-ভাবে দায়ি! :) এইটা হইতেছে সেকেন্ড ইন্টেলেকচুয়াল চালাকিটা (বদমাইশি আর বললাম না); যেইটার এখনকার ফরম্যাট হইতেছে - আওমি-লিগ খারাপ, বিএনপিও তো খারাপ! এখন 'খারাপ না' - এইটা আমার কথা না, কিনতু এইটা যে 'সরলিকরন'টা করে, সেইটা নানানদিক দিয়াই খারাপ একটা ঘটনা...

তবে, কিছুটা আশা আমি দেখি যে, যখন ফ্যাক্টগুলারে আরো এনকাউন্টার করতে থাকবেন উনারা তখন মেবি এই 'সরলিকরনের' সমস্যাগুলারে আরো ক্লিয়ারলি দেখতে পারবেন গিয়া একটা সময়ে, যেইরকম একটা ঘটনার কথা বলছেন তারাশঙ্করের যে, বাংলা-ভাগ না হইলে হিন্দু-সংস্কৃতি বাঁচায়া রাখা যাবে না মুসলমানদের কাছ থিকা... তো, এইরকম বুদ্ধদেব বসুও বলছিলেন, পাকিস্তান হইলে সেইখানে বাংলা-কবিতা থাকবে না; এবং এখনো যে বাংলাদেশের মানুশেরা 'শুদ্দ বাংলা' লেখতে পারে না, এইগুলা অই জমিদারি-ভাবেরই কথা

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, অই সময়ের জিনিসগুলার এনকোয়ারি করাটা ভালো, কিনতু যদি একই জায়গা থিকা দেখতে থাকেন নতুন কিছু চোখে পড়বে না আর কি, বরং পুরান জায়গাগুলারেই রি-কনফার্ম করার ঘটনাগুলাই ঘটতে থাকবে

তো, কথা উঠতেই পারে যে, একটা লেখা দিয়াই সব বুইঝা ফেললেন! মানে, আমি সব বুঝি নাই, বরং বলতে চাইতেছি যে, এইটা একটা উদাহারন, যেইখানে এপারেন্টলি মনে হইতে পারে যে, ব.বার্তা অন্যরকম কিছু জায়গা এক্সপ্লোর করতে চাইতেছে, কিনতু ডিপ ইনসাইট এতোটা আলাদা কিছু না; এবং মেবি আইডিওলজিকালি আরো উদাহারন খুঁইজা পাওয়া পসিবল

এর বাইরে, টেকনোলজিকাল, কালচারাল ও পলিটিকাল আরো অনেক ঘটনা তো আছেই

ইমরুল হাসান

31 Oct, 09:40


পুরান জিনিসগুলারে গাল্লাইলা তেমন লাভ নাই, কারন তাদের প্রতি হেইট্রেট আমাদেরকে নতুন কোন জায়গা নিয়া যাইতে পারবে না আসলে; বরং নতুন বেইজ থিকা আমাদেরকে দেখতে পারার চেষ্টাগুলা করা লাগবে

কিনতু এই কাজটা আমরা করতে পারি না মেইনলি ৩টা কারনে; এক হইতেছে আমাদের রিডিং লিস্ট, মানে যেইসব জিনিস আমরা পড়ি বা পড়তে হবে বইলা আমাদের সামনে হাজির করা হয়, অইগুলা ঝামেলার, বাংলাদেশি জিনিসটা যে আলাদা একটা কেটাগরি অই রিকগনিশনটাই সেইখানে পাইবেন না...

সেকেন্ড হইতেছে, যেই জিনিসগুলা আপনার যাচাই কইরা দেখা দরকার অই মেটেরিয়ালগুলাও পাইবেন না, অইগুলা খালি লুকায়া ফেলাই হয় নাই, এমনকি ধ্বংসও কইরা ফেলা হইছে মেবি; যেমন ধরেন, বাংলাদেশি সিনেমা নিয়া যদি আপনি জানতে চান, আপনার তো জহির রায়হান, খান আতাউর রহমান এবং আমজাদ হোসেনের কথা ও লেখাগুলা খেয়াল করা দরকার, কিনতু উনাদের কোন রিডিং মেটেরিয়াল কি পাইবেন কোথাও? ১৯৪৭ থিকা ১৯৭১, এমনকি ১৯৮০ পর্যন্ত জিনিসগুলা বাংলাদেশে 'দুষ্পাপ্য' কইরা রাখা হইছে... তো, এইটা আরেকটা প্রবলেম

লাস্টলি, রিডিং মেটেরিয়াল হিসাবে কন্সিডার করার বাইরে এবং না-থাকার বাইরেও কেমনে দেখবো আমরা জিনিসগুলারে, সেই জিনিসটাও তৈরি হয় নাই, শুধুমাত্র কিছু আবছা পলিটিকাল পজিশন দিয়া এই জায়গাটা তৈরি করা পসিবল না, এইখানে জায়গাগুলারে তৈরি করার বড় একটা কাজ আছে আসলে...

তো, এই জায়গা থিকা জহির রায়হানের 'দুষ্পাপ্য' একটা লেখা পড়েন, এই লিংকে

https://bacbichar.net/2024/10/art.8084.bb/

ইমরুল হাসান

29 Oct, 17:16


একটা ডিস্টার্বিং ইনফরমেশন খেয়াল করলাম; মানে, ফ্যাক্ট হিসাবে তো সবাই জানেনই জিনিসটা, কিনতু জাস্ট ঘটনা ২টা যে এতোটা কাছাকাছি, সেইটা আগে খেয়াল করি নাই

শেখ হাসিনা দিল্লি থিকা বাংলাদেশে আসছিলেন ১৯৮১ সালের ১৭ই মে; আর মিলিটারি ক্যু'তে জিয়াউর রহমান খুন হইছিলেন ১৯৮১ সালের ৩০শে মে; মাত্র ১৩ দিনের মাথায়...

মানে, ঘটনা ২টা কো-ইনসিডেন্টালই, এপারেন্টলি কোন রিলেশন তো নাই, কিনতু ঘটনা ২টা যে এতো কাছাকাছি সময়ে ঘটছিল, সেইটা আগে খেয়াল করা হয় নাই আমার... বা ঘটনা ২টা যে কাছাকাছি সময়ে ঘটছিল, সেইটা মেনশনও করা হয় না তেমন, কোন আলাপে

আরেকটা জিনিস, শেখ হাসিনা কিনতু দিল্লি থিকাই আসছিলেন, আবার দিল্লিতেই ফিরা গেছেন - এই জিনিসটাও ইন্টারেস্টিং...

ইমরুল হাসান

29 Oct, 16:42


প্রশ্ন: এক দলীয় শাসন-ব্যবস্থা সম্বলিত 'বাকশাল' দল গঠনের প্রতিবাদে আপনি আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলেন। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নিল এবং দলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক নাম আওয়ামী লীগ রাখলো। তখন আাপনি আওয়ামীলীগে ফিরে না এসে ভিন্ন দল গঠন করলেন কেন?

আতাউল গনি ওসমানী: ১৯৭৬ সনে 'বাকশাল' নাম পরিবর্তন করে সাবেক নাম আওয়ামী লীগ নিয়ে বহুদলীয় রাজনীতিতে যোগ দিলেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন মতামত পোষণকারী পূর্বেকার নেতৃবৃন্দ নিয়েই আওয়ামী লীগ এর পুনরার্বিভাব হয়। এমতাবস্থায় তাদের ভবিষ্যৎ নীতি সম্বন্ধে সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। পরবর্তী ঘটনাবলী সন্দিহান হওয়ার যথার্থতা প্রমাণ করেছে।...

(সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানী, ২০ জুলাই ১৯৮০)

ইমরুল হাসান

28 Oct, 08:21


জুলাই পরবর্তি সময়ে বাংলাদেশের পলিটিকসে আওমি লিগ ও শেখ হাসিনা হইতেছে ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চা; পলিটিকাল ফোর্স হইতেছে - ইসটুডেন্টরা এবং বিএনপি; মানে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেসির জন্য কোন বিরোধি পক্ষ নাই - এইটা সত্যি কথা না, এবং এই বিরোধের জায়গা থাকাটারে আমি পজিটিভ ঘটনা বইলা মনে করি, কিছু caution-সহ

তবে আওমি-বাকশালিদের ফিরা আসার চান্স এখনো তাজা আছে; ইসটুডেন্টরা যদি আলাদা কোন পলিটিকাল দল না হয়া উঠতে পারে, তাইলে সেই জায়গাটাতে আওমি-লিগ ফিরা আসবে, অলরেডি একটা 'বিএনপি-বিরোধিতা'র ভিতর দিয়া তারা আশা খুঁজে পাইতেছে... ধিরে ধিরে কিছু লোক এই কাফেলাতে যোগ দিবে

বিএনপি'তেও ট্রেডিশনাল ও নতুন-ফর্মেশনের একটা টেনশন থাকার কথা, যেইখানে ট্রেডিশনাল অংশটা পুরান আওমি-লিগারদেরকে রিভাইব করতে চাইবে; মানে, দলের ভিতরে জায়গা দেয়া না, বরং 'বিরোধি-দল' হিসাবেই চাইবে, কারন আওমি-লিগ চেনা দুশমন, ইসটুডেন্টদের পলিটিকাল দল যদি দাঁড়ায়া যায়, সেইটা তাদের লিডারশিপের জায়গাটারে রিস্কি কইরা তুলবে...

তো, এই জায়গায়, আমি মনে করি, জরুরি হইতেছে এই দুই পক্ষেরই নিজেদেরকে অন্যপক্ষের কাউন্টার হিসাবে মিল ও অমিলের জায়গাগুলারে ক্লিয়ারলি বলতে পারা, এবং এর ভিতর দিয়া বাংলাদেশে ডেমোক্রেসির জায়গাটারে তৈরি করার কোশিশ করা...

দুইটা পক্ষের চ্যালেঞ্জ আসলে দুই রকমের; ইসটুডেন্টদেরকে ইলেকশনের ভিতর দিয়া প্রমান কইরা আসতে হবে যে, তারা একটা সত্যিকারের পলিটিকাল ফোর্স, পিপলের ম্যান্ডেট তাদের আছে, বাকশালি-মিডিয়া ও এলিট-মিডলক্লাসের মাউথ-পিসই না তারা... অইটা তাদের প্রমান করার বাকি আছে, শুধুমাত্র গন-অভ্যুত্থানের লিডারশিপ দিয়া ডেমোক্রেটিক স্টেইট চালানোর জায়গাটাতে তারা রিচ করতে পারবে না, বরং অন্য কোন এন্টি-পিপল ফোর্সের উপর ডিপেন্ডেড হয়া পড়ার রিস্ক তাদের আছে

বিএনপিও ট্রেডিশনাল পলিটিকসে ফিরা যাইতে পারবে না আসলে; আগের সংবিধান ও ইলেকশন পদ্ধতি তাদের নিজেদের দলের লোকজন অনেকেই মানবে না... ডেমোক্রেসি তো খালি ইলেকশনে জিতার ঘটনা না, ইলেকশনে জিতার পরেও ১৯৯১ ও ২০০১-এ কেন তারা পপুলারিটি হারাইছিল - অই বিচার তাদেরকে করা লাগবে আসলে, সবকিছুই ষড়যন্ত্রের ঘটনা তো না...

আমি বলতে চাইতেছি, নতুন ডেমোক্রেটিক অবস্থাতে যাইতে হইলে এই দুইটা পলিটিকাল ফোর্সের মধ্যে যেমন ডায়ালগের জায়গাগুলা তৈরি করতে হবে, একইসাথে তাদের নিজেদেরকে ডেমোক্রেটিক ফোর্স হিসাবে পিপলের সামনে প্রমান করতে হবে আসলে; আর last but not the least, সেইখানে ফেসবুকের এড্রিনালিন রাশগুলা কমাইতে পারাটা ভালো :)

ইমরুল হাসান

28 Oct, 03:09


যত ভালো কারনেই করা হোক, একটা সার্টেন গ্রুপ অফ পিপলের হাতে ক্ষমতা থাকাটা সবসময় বাজে একটা ঘটনা; জুলাই মুভমেন্টের পরে বাংলাদেশে পলিটিকাল ক্ষমতার এই জায়গাটা যতটা ওপেন ছিল, আজকে প্রায় ৩ মাস পরে আর একইরকম নাই বা এক ধরনের পোলারাইজেশনের আশংকা দেখা দিছে যে, ইসটুডেন্টদের একটা গ্রুপের হাতে ক্ষমতার সবকিছু সেন্ট্রালাইজড হইতেছে... এইটা পুরাপুরি সত্যি না হইলেও এর কিছু নিশানা অবশ্যই দেখা যাইতেছে বইলা আমি মনে করি; তো, এইটা ভালো জিনিস না, এটলিস্ট ৩টা কারনে:

১. একটা গ্রুপ অবশ্যই লিড করছে, কিনতু জুলাই মুভমেন্ট ছিল বাকশাল-বিরোধি সবগুলা ফ্রন্টের লড়াইয়ের ঘটনা; এখন ইসটুডেন্টদের ক্ষমতার জায়গাটারে সেন্টার-পয়েন্টে নিয়া আসার ভিতর দিয়া এর একটা ডিনায়াল এর ভিতর দিয়া পয়দা হয়, যেইটা জুলাই-মুভমেন্টের স্পিরিটের লগে এলাইনড না, সইরা যাওয়ারই ঘটনা

২. এইটা বরং বাকশালি-মিডিয়ার নেরেটিভ যে, সার্টেন কিছু লোক এর পিছনে আছেন, এবং তারা অই ফিগার-গুলারে মিডিয়া-হিরো বানাইছেন, যারা এইটা হইতে রাজিও হইছেন; কিনতু মুশকিল হইতেছে তারা এইটা বিলিভ করতেছেন এবং একদল ডামি-জনগনও তারা পাইতেছেন তাদের সামনে, যারা এই বিলিভে শামিল হইতেছেন...

এইটা হইতেছে সেকেন্ড ঘটনাটা, যেইটার ভিতর দিয়া ভালো-বাকশালিরা ভূতের মতো ইসটুডেন্টদের কান্ধে সওয়ার হইছেন; আমি বলতে চাইতেছি, এইখানে ইসটুডেন্টরা মানে ইন্ডিপেন্ডেড কোন ফোর্স না, 'বিপ্লবি' হইতে চাইয়া তারা ভালো-বাকশালিদের খপ্পরে পড়তেছেন

৩. এবং এইটা খাদের কিনারার দিকে এক ধাপ আগায়া যাওয়ারই ঘটনা; যে, এখন ৫-৭ জন ইসটুডেন্ট লিডারদেরকে কনট্রোল করলে, হাতে রাখলেই চলবে! দরকার হইলে হিরো বানানো যাবে, ভিলিফাই করা যাবে, নতুন চেহারাও ইনক্লুড করা যাবে...

এবং এইটা পসিবল শুধুমাত্র ক্ষমতার জায়গাটারে কয়েকজনের লোকের হাতে রিডিউস করার ভিতর দিয়াই; আর এইরকমের কিছু টেনডেন্সি লোকেট করা যায় না - তা না মনেহয়

২.
আমি বলতে চাইতেছি, মুভমেন্ট যেইরকম পার্টিসিপেটরি ও ওপেন-স্পেইসের ঘটনা ছিল, ইনটেরিম গবমেন্টের এখনকার ফরমেশন এর লগে এলাইনড না; একটা গ্রুপ যাদেরকে 'বিপ্লবি' বানানো হইতেছে, তারা ভালো-বাকশালিদের নেরেটিভের শামিল হইতেছেন বইলা আমার সন্দেহ হইতেছে; এবং এইটা পলিটিকালিও রিস্কি একটা মুভ

এখন এইটা কন্টিনিউ হইলে, "আপনারা যা ভালো মনে করেন"-অবস্থাটা বেশিদিন থাকবে না, কারন 'আপনারা' প্লুরাল থিকা সিঙ্গুলার হইতেছেন প্লুরালিটি'টারে বাদ দিয়া, যেইখানে 'আপনারা' আরেকটা পলিটিকাল গ্রুপই, পুরা ফোর্সটা না...

৩.
এমনিতে, আমার কথা বা আশংকা তো ভুলও হইতে পারে, ওভার-থিংকিংও মনে হইতে পারে, কিনতু ভুল হইলেও বইলা রাখাটা ভুল-কাজ না মনেহয়

ইমরুল হাসান

27 Oct, 09:55


ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপি'র লোকজনের পলিটিকাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা বুঝ'র মেইন সমস্যা কোনটা? আমি যেইটা বুঝি, উনারা মনে করতেছেন যে, আওমি-লিগ ইলেকশনে আসুক, ইলেকশন কইরা হাইরা যাক, বিরোধি-দল হিসাবে থাকুক...

মানে, উনারা বুঝতে বা মানতে রাজি না যে, আওমি-লিগ কোন ডেমোক্রেটিক ফোর্স না, আওমি-লিগ হইতেছে পুরান একদলিয় শাসন বাকশালেরই একটা রিভাইজড ও আপডেটেড ফর্ম - নয়া বাকশাল! (যেইটা খালি আওমি-লিগ না, বাম-টামরাও এর লগে ইনক্লুডেড...)

(অনেকে মুজিববাদ, বাকশাল ২.০ নানান আকাইম্মা টার্ম ইউজ করেন, অইগুলা টার্ম হিসাবে পলিটিকাল আলাপে তেমন কিছু মিন করে না আসলে... আমার ছোট একটা ই-বুক আছে, ইনকমপ্লিটই, তা-ও দেখতে পারেন অইটা, একটা ইলাবরেটেট আলাপ হিসাবে)

তো, উনারা, বিএনপি কেন এইটা বুঝতে রাজি না? বা মানতে রাজি না?

এই জায়গাটাতেই মেইন ক্যাচ'টা আছে বইলা আমি মনে করি; যে, উনারা কম-বেশি পুরানা পলিটিকাল সিসটেম'টারেই আপহোল্ড করতে চান, একটু এইদিক-সেইদিক কইরা, যে ৫ বছর পরে পরে ইলেকশন হবে, যাদের ইকনোমিক ও পলিটিকাল পাওয়ার আছে, তারা জিইতা ক্ষমতায় আসবে, আমলা-সচিবদেরকে দিয়া সরকার চালাবে; সবাই (মানে, পাওয়ারফুল গ্রুপগুলা) ক্ষমতার ভাগ পাবে... এই সিসটেম'টার তেমন বড় কোন নড়চড় উনারা চান না

কারন তাইলে তাদের পলিটিকাল ফর্মেশনটারে চেইঞ্জ করতে হবে, এখনকার সময়ে যারা লিডার আছেন, তাদের অনেকেই লিডার হিসাবে থাকতে পারবেন না আসলে, এবং একটা পাওয়ারফুল অংশ (ব্যবসায়িরা স্পেশালি) তাদের বিপক্ষে চইলা যাইতে পারে... এবং তার চাইতেও ক্রুশিয়াল হইতেছে, পলিটিকস যে একটা বিজনেস - অই জায়গাটা নাই হয়া গেলে 'পলিটিকস' বইলাই তো কিছু থাকবে না বাংলাদেশে!

আর এইটা খালি বিএনপি'র সমস্যা না, বাংলাদেশের এন্টায়ার পলিটিকাল স্পেইসটারই সমস্যা আসলে... যেইখানে আওমি-লিগ না থাকলে বিএনপি থাকাটা মাস্ট, এর কোন 'বিকল্প' নাই! (বিএনপি'র লোকজন চান্দা নেয়া শুরু করছে কিছু এলাকায় - বেপারটা খালি এইরকম না, বরং কাউরে না কাউরে তো চান্দা দিতে হবে আমাদেরকে - এই চাপটাও থাকার কথা...)

তো, বিএনপির সমস্যা এইটা - এগজিসটিং যেই পলিটিকাল ফর্মেশন সেইটার বাইরে গিয়া অপারেট করতে গেলে তারা নিজেরাই নাই হয়া যাইতে পারেন বইলা ভাবতে পারেন

কিনতু এইটা আমার কাছে একটু ভুল ভাবনা বইলাই মনেহয়, বরং আমি মনে করি বিএনপি ততটুকই বাজে যতটুক তারা আওমি-লিগের মতো কইরা ভাবে... যে, মাসল-পাওয়ার ছাড়া পলিটিকস করা পসিবল না!

আমি বলবো, উনাদেরকে ভাবতে পারতে হবে যে, এইটা একমাত্র ওয়ে না, পলিটিকস করার... বিএনপি যদি আওমি-লিগের 'বিকল্প' হইতে চায় তাইলে ভুলই করবে তারা

২.
তো, বিএনপি কি করবে তাইলে? এই ইনটেরিম গবমেন্টরে আরো লম্বা সময় ধইরা ক্ষমতায় থাকতে দিবে?... মানে, পলিটিকাল দল হিসাবে উনারা কি করবেন - সেইটা বইলা দেয়াটা আমার কাজ না বইলাই আমি মনে করি

আমি মনে করি যে, উনারা দুইটা জায়গাতে পলিটিকাল ভুল করতেছেন -

১. আওমি-লিগরে উনারা এখনো ডেমোক্রেটিক ফোর্স হিসাবে ভাবতে চাইতেছেন, যেইটা তারা না...

২. উনারা মনে করতেছেন, আওমি-লিগ না থাকলে পলিটিকাল ভ্যাকুয়াম তৈরি হবে - যেইটাও রাইট-প্রেডিকশন বইলা আমি মনে করি না

বরং ইসটুডেন্টরা যে নতুন একটা পলিটিকাল ফোর্স হয়া উঠতে পারে - অই জায়গাটারে উনারা রিকগনাইজ করতে বা তৈরি হইতে দিতে রাজি হইতে পারতেছেন না

তো, আমি মনে করি, বিএনপি'র বরং বেনিফিটেট হবে যদি তারা নতুন পলিটিকাল ফোর্সগুলারে তৈরি হওয়ার সুযোগ'টা দেয়, সেইটা ডেমোক্রেসির বেইজটারে আরো স্ট্রং করবে, দল হিসাবে বিএনপি'রেও রিফর্ম করতে হেল্প করতে পারে

৩.
আর এইটা শুরু হইতে পারে, স্থানীয়-সরকার ইলেকশনগুলার ভিতর দিয়া... ডেমোক্রেসির জায়গাতে যাইতে হইলে ইলেকশনের ভিতর দিয়াই আমাদেরকে যাইতে হবে - বিএনপি'র এই পজিশন ঠিকাছে, কিনতু একইসাথে পুরান নন-ডেমোক্রেটিক ফোর্সগুলারে ফিরায়া নিয়া আসার চাইতে নতুন পলিটিকাল ফর্মেশনগুলার দিকেই পজিটিভলি তাকাইতে হবে

তাইলে একটা বেটার ডেমোক্রেটিক ফরমেশনের দিকে আমরা আগাইতে পারবো

ইমরুল হাসান

27 Oct, 08:23


১. রিফর্ম আর ইলেকশন - দুইটা কেন আলাদা আলাদা ঘটনা? ডেমোক্রেসি'তে রিফর্ম কি সবসময় কন্টিনিউয়াস একটা প্রসেস হওয়ার কথা না?

বাংলাদেশে একটা সময়ে 'উন্নয়ন' ও 'গনতন্ত্র' - আলাদা আলাদা দুইটা ঘটনা ছিল; যদিও উন্নয়ন বা ইকনোমিক গ্রোথ - টার্মটাই ঝামেলার, এইটা হওয়া দরকার ইকনোমিক ইকুয়ালিটি বা সোশাল-ওয়েলফেয়ার; তো, গ্রোথ-টোথ যা-ই হোক, ডেমোক্রেসি না থাকলে ইকনোমিক ইকুয়ালিটি সাফার করার কথা; দুইটা আলাদা আলাদা জিনিস না এতোটা, যদি বেপারটা এইরকমই হয় যে, কোন ইলেকটেট গবমেন্ট আসলে কোন রিফর্ম হবে না - সেইটা ডেমোক্রেসির ঘটনা না আসলে

২. একটা নন-ডেমোক্রেটিক গবমেন্ট থাকলে যেই সোশাল-গ্রুপটা বেনিফিট পায়, একটা নন-ইলেকটেট গবমেন্টেও অই সোশাল-গ্রুপটারই বেনিফিট বেশি হওয়ার কথা; এখন কথা হইতেছে ইলেকটেট গবমেন্ট মানেই যে ডেমোক্রেটিক গবমেন্ট হবে - এইটা যে না, তা তো আমরা আগে কয়েকবারই দেখছি (ডামি-ইলেকশনের বাইরেও)

যার ফলে আমরা এজিউম কইরা নিতে পারি যে, পুরান-ঘরানার ইলেকটেট-গবমেন্ট মানেই হইতেছে এইরকমের একটা পলিটিকাল বেবস্থা, যেইখানে কিছু 'সুবিধাবাদি' 'অশিকখিত' লোকজন পিপলের উপরে ছড়ি ঘুরাবে, গুন্ডা-মাস্তানদের হাতেই ক্ষমতা চইলা যাবে! যেইটা খুব একট ভুল-ভাবনা না... কিনতু তার বিপরিতে একটা ইনটেরিম গবমেন্ট কেন ভালো?

মানে, জিনিসটা মোটেই এইটা না যে, আমরা 'ভালো মানুশদের' শাসন চাই, বরং শাসনের একটা 'ভালো সিসটেম' আমরা চাই আসলে; আর সেইটা যেইরকম পুরান পলিটিকাল-সিসটেমের ভিতর দিয়া করা সম্ভব না, একইভাবে নন-ইলেকটেট এলিট-শিকখিত লোকজন এইটা কইরা দিবে - এইটা বিশ্বাস করতে চাওয়াটাও সমস্যাই, কারন পিপল রিপ্রেজেন্টেশনের বাইরে গিয়া ডেমোক্রেসি তৈরি হইতে পারার কথা না

৩. জুলাই পরবর্তি সময়ে, বাংলাদেশে এখন ডেমোক্রেটিক পলিটিকাল ফোর্স দুইটা - ইসটুডেন্টরা এবং বিএনপি (ও আরো কিছু পলিটিকাল দল - গন-অধিকার পরিষদ, গনসংহতি, জামাতে ইসলামি...); এবং এই দুইটা পক্ষরেই একটা পলিটিকাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে বা সমঝোতায় আসতে হবে; ডেমোক্রেসির একটা লাইন টানতে হবে যে, কোন কোন জায়গায় উনারা ডিসএগ্রি করেন, এবং মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি কোন কোন জায়গায় উনারা এগ্রি করতে পারেন...

আর এই ডেমোক্রেটিক এগ্রিমেন্টের কাজটা উনারা একসাথে যত তাড়াতাড়ি ফর্ম করতে পারেন, আওমি-বাকশালি রিজিমের জায়গাগুলারে তত তাড়াতাড়ি পার হইতে পারবো আমরা; মানে, আমি এইরকমই মনে করি যে, উনারা অবশ্যই দুইটা আলাদা পলিটিকাল ফোর্স, কিনতু বিরোধিতার জন্য ডেমোক্রেটিক গ্রাউন্ডটা তৈরি করবেন উনারা, নিজেদের দরকারেই, দেশের মানুশের জন্যে...

ইমরুল হাসান

26 Oct, 13:02


যে কোন বয়ান সত্যি বা মিথ্যার বাইরে আমাদের মনে-হওয়ার লগে যতটা মিলে তারে ততটা সত্যি বইলা মনে হইতে থাকে আসলে

জুলাই-অগাস্ট মুভমেন্টের পিছনে শিবির ছিল - এইটা বাকশালি-মিডিয়ার বয়ানরে সাপ্লিমেন্ট করে, এই কারনে তারা এই জিনিসটারে পিক করছে, ছড়াইছে, এবং এস্টাবলিশ করার দায়িত্বটা নিছে

মানে, মুভমেন্টে শিবির সিগনিফিকেন্ট রোল প্লে করছে বা করে নাই - এইটা প্রশ্নটা না এইখানে, বরং এই প্রশ্নটারে সামনে রাখলে গত ১৫-২০ বছরের বাকশালি-বয়ানটা যে রেলিভেন্ট থাকে - অইটাই সবচে বড় ঘটনা এইখানে

এর বাইরে, যেই নেরেটিভ'টা ছিল যে, এইটা একটা স্পন্টিনিউয়াস মুভমেন্ট, সেইটারে আন্ডারমাইন করার জন্যেও এইটা করা হইছে আসলে... কারন স্পন্টিনিউয়াস কিছু হইতে পারে-না না, কয়েকটা সেন্টার যদি থাকে সেইটারে ভিলিফাই করাটা টাফ হয়, যেই কারনেও সেন্ট্রালাইজেশনটা জরুরি

আর সেন্ট্রালাইজেশনের এই জায়গাটারে না ভাঙতে পারলে আসলে সমস্যা সবদিক থিকাই, এই প্যাটার্নটা নিয়াই আমাদের সন্দেহ রাখা উচিত...

ইমরুল হাসান

26 Oct, 10:02


আমার চিন্তা এইটা না যে, একটা প্রো-ইনডিয়ান গবমেন্টের জায়গায় একটা প্রো-এমেরিকান গবমেন্ট আমরা পাইতে পারি ইনটেরিম গবমেন্টের শাসনামল'টারে লম্বা করার ভিতর দিয়া

বরং আগে একটা নন-ডেমোক্রেটিক গবমেন্টের শাসনে ছিলাম আমরা, এবং নন-ইলেকটেট ইনটেরিম গবমেন্টের শাসন যত লম্বা হবে ততই নন-ডেমোক্রেটিক শাসনের দিকে টার্ন করতে থাকবে এইটা, এর ইনটেশন যত ভালোই হোক

কেননা তখন প্রো-পিপল ফোর্সগুলার চাইতে সার্টেন কিছু পাওয়ার-আউটলেটগুলার প্রতি তাদের ডিপেন্ডেসি বাড়তে থাকবে আসলে; আর তারাই 'সংস্কারের' নামে এই জায়গাটাতে অপারেট করতে চাইতেছেন আসলে

রিফর্ম দরকার নাই না, বরং অনেকবেশি জরুরি, কিনতু রিফর্মগুলারে একটা বেট বা বাজি হিসাবে ইউজ করার ঘটনাটা এইখানে ঘটতেছে আসলে, যেই চালাকিটারে রিকগনাইজ করাটা জরুরি

রিফর্ম করাটা কখনোই ডেমোক্রেটিক প্রসেসের বাইরে গিয়া ঘটতে পারে না, এই দুইটা জিনিসরে আলাদা করার ভিতর দিয়া একটা নতুন সমস্যারেই জাগায়া তোলার ট্রাই করা হইতেছে এখন বাংলাদেশে

ইমরুল হাসান

26 Oct, 07:23


তর্ক বা ডিফরেন্সের জায়গাটা মোটেই এইটা না যে, সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না বা অবশ্যই করা লাগবে; বরং ঘটনা হইতেছে সংবিধান পরিবর্তন করার নামে ইনটেরিম গবমেন্ট আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে চায় কিনা - অই ভয়টা এইখানে মেইন

এবং এমনকি সংবিধান নিয়া যেইসব আলাপ-টালাপ করা হইতেছে সেইখানে পলিটিকাল দলগুলার (স্পেশালি বিএনপির) এবং পলিটিকাল ফোর্সগুলা (ছরমিক, কৃষক, নানান পেশার লোকজনের) কোন পার্টিসিপেশনই নাই; কমিটিগুলা হইতেছে এক একটা ভালো-বাকশালিদের আখড়া

যদি ঘোষনা দেয়া হয় আগামি ৬০ দিনের মধ্যে এই কাজ করা হবে এবং পলিটিকাল-দল ও পলিটিকাল-ফোর্সগুলা এর মেম্বার হবে, তখন এইটা কোন তর্ক-ই হইতে পারবে না আসলে; এইটা একটা 'তর্ক' হয়া উঠতেছে কারন এই অজুহাতে ইনটেরিম গবমেন্টের টাইম বাড়ানো হইতে পারে - এই আশংকার কারনে, এবং এইটা ভ্যালিড একটা ভয় বইলাই আমি মনে করি, এইটা নন-পলিটিসাইজেশনের একটা টুল হিসাবেও ইউজ হইতে পারে

ইমরুল হাসান

25 Oct, 11:48


১৯৭৫ সালের পরের গভমেন্টগুলা কেন টিকতে পারে নাই? মানে, মিলিটার ক্যু বইলা টিকে নাই বা অইগুলা নিয়া নানান ধরনের বিচার-বিশ্লেষন তো হইছেই, কিনতু যত বেশি গালি-গালাজ বা ইমোশনাল কথা-বার্তা হইছে তত আলাপ-আলোচনা হয় নাই বইলাই আমার কাছে মনেহয়; যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট, তারপরে যেন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় চইলা আসলেন!

কিনতু ঘটনা তো তা না, এর মধ্যে তো আরো কয়েকটা মিলিটারি ক্যু হয়, এবং বাকশাল থিকা ডেমোক্রেসিতে ফিরা আসতে ৩-৪ বছর সময় লাগে... অই ঘটনাগুলার কথা ফ্যাক্ট হিসাবে বলা হয় কিছু যে, "আসলে" কি ঘটছিল - অই জায়গাটাতে ফোকাস দেয়ার বেপার থাকে; কিনতু ঘটনাগুলার বেশিরভাগই যেহেতু পাবলিক ঘটনা না, যার ফলে নানান জনের পারসোনাল মেমোরি থিকা সবগুলা ঘটনারই কয়েকটা ভার্সন আমরা পাইতে থাকি...

তবে জরুরি যেইটা, এই ঘটনাগুলা কেন ঘটছিল? এর কিছু 'মুখস্ত' রিডিং-ই আছে বাজারে... তো, পলিটিকাল অরিয়েন্টেশনের বাইরেও পরের গভমেন্টগুলার ফেইলওরের জায়গাটাতে ৩টা জিনিস কন্ট্রিবিউট করছে বইলা আমার কাছে মনে হইছে:

১. ছোট একটা গ্রুপ অফ পিপলের কাছেই সব ডিসিশান-মেকিং পাওয়ার ছিল; উনারা যা চাইতেন তা-ই করতে পারতেন!

দেখেন, বাকশাল ছিল অইটাই, নয়া বাকশালের অপারেটিং মডেলটাও তা-ই - অল্প কিছু লোকের শাসন, একজন সেন্ট্রাল ফিগার এবং তার আশে-পাশে যারা আছেন তারাই 'সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি'; এখন সেন্ট্রাল ফিগারের লোকটা খারাপের বদলে ভালো হয় গেলেই সিসটেম'টা ভালো হয়া যায় না, বরং সেইম লেভেলের ভালনারাবেলই থাকে... অন্যদিক থিকা অল্প-কিছু লোক আইসা খুব ইজিলি তাদেরকে রিপ্লেইস কইরা ফেলতে পারে তখন!

মিলিটারি ক্যু'তে তো আসলে এইরকম হবেই; একটা ফেসিস্ট ও টোটালেটেরিয়ান রিজিমেও এইরকম হওয়ার কথা, কিনতু তাদেরকে ক্ষমতা থিকা নামায়া যদি একই জিনিস কন্টিনিউ হইতে থাকে, সেইটা সাসটেইন করতে পারার কথা না... তো, এইটা মনে রাখতে পারলে ভালো

২. পুরান পলিটিকাল ইসট্রাকচার থিকা বাইর না হইতে পারাও আরেকটা ঘটনা; যখন মুশতাক সরকার হইছিল পুরান আওমি-লিগারদের নিয়াই করছিল, বা পরেও সমাজের ও রাষ্ট্রের 'সব পক্ষ'রেই কম-বেশি ইনক্লুড করার ট্রাই করা হইছে, কিনতু মুশকিল হইতেছো পুরান পলিটিকাল ইসট্রাকচারটাই আর কাজ করতেছিল না, দে ওয়ার নট দা পলিটিকাল স্টেক-হোল্ডার

এখনো এইসব হইতেছে, পুরান ও বুড়া লোকজনদেরকে (যেমন, জাসদ, জাতিয় পার্টি, গনফোরাম, আরো কি কি জানি...) পলিটিকাল ফোর্স হিসাবে দেখানো হইতেছে, কিনতু তারা তো আসলে অনেক আগেই মারা গেছে, তাদেরকে কবর থিকা তুইলা আনা হইতেছে; কিনতু উনারা পলিটিকাল ফোর্স না আসলে; পিপলের লগে কানেকশন অনেক আগেই উনারা হারায়া ফেলছেন...

তো, এইরকম পুরান বাতিল ফোর্সগুলার উপর ভরসা করাটা বা তাদেরকে পলিটিকাল ফোর্স বইলা দেখানোটাও একটা ঘটনা এইখানে

৩. থার্ড এবং ক্রুশিয়াল ঘটনা হইতেছে, একটা 'নিউ নরমাল' তৈরি করতে না পারা; মানে, একটা 'নরমাল-অবস্থা' তৈরি করতে পারতে হবে যেইখানে সবাই তার নিজের কাজ-কাম করতে থাকতে পারবে; ১/১১'র সরকার এইটা পারে নাই... ২০২৪'র সরকারও এইখানেই সাফার করতেছে; সময় যত লম্বা হবে উনাদের এই জায়গাটা আরো ক্রুশিয়াল হইতে থাকবে

দেখেন, সরকার কিছুটা বাইরের ঘটনাই সমাজের মানুশের ডেইলি লাইফে; যদি কোন কিছুর দরকার পড়ে তাইলে আমরা সরকারের কাছে যাবো বা হেল্প চাইতে পারি, কিনতু ডেইলি-লাইফ তো একটা নরমালেন্সির ভিতর দিয়া ঘটতে থাকতে হবে, এখন সরকারই যদি অই জায়গাটারে বিপদে ফেলে তাইলে তো সেইটা থাকতে পারার কথা না...

...

তো, এইখানে আমার কথা হইতেছে, ডিসিশান-মেকিং প্রসেসটা ট্রান্সপারেন্ট ও অনেক লোকের ঘটনা হইতে হবে, যদি না হয় তাইলে সেইটা একটা সময়ে বাজে হইতে বাধ্য; পুরান পলিটিকাল বেইজ থিকা অপারেট করার কিছু নাই বরং নতুন পলিটিকাল ফরমেশনের জন্য স্পেইস তৈরি করতে হবে, এবং একটা 'নরমালেন্সি' তৈরি করার জায়গাতে যাইতে হবে আর এইটা জোর কইরা হবে না, যদি না সেইটা একটা প্রসেসের ভিতর দিয়া ডেভোলাপ করে

এইখানে শাসন-বেবস্থার একটা বড় ভ্যাকুয়াম তৈরি হইছে, সেইটা থিকা বাইর হয়া একটা সাসটেইনেবল অবস্থায় যাইতে হইলে অনেক কিছুই খেয়াল করাটা দরকার আমাদের

ইমরুল হাসান

24 Oct, 03:47


পলিটিকস করা যে খালি প্রফিটেবল বিজনেস-ই না, বরং এইখানে খুন-খারাপি বা ভায়োলেন্সও রিকোয়ার্ড এই 'সত্য' বাংলাদেশে 'প্রতিষ্ঠা' করছিল ছাত্রলিগ

এখন আমাদের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া-আটলেটগুলা এই জিনিসগুলারে যতই হাইড করে রাখুক, খুন-করা'রে 'খুনের অভিযোগ', হামলা করা'রে 'সংঘর্ষ' বইলা প্রচার কইরা গোপন করুক, ইন রিয়ালিটি এই জিনিসগুলা যে ঘটে নাই - তা তো না! রক্ষিবাহিনিরও তেমন কোন ডকুমেন্টশন পাইবেন না, কিনতু রক্ষিবাহিনির হরর কাহিনিগুলা লোকজনের মুখে মুখে ছিল, এখনো অনেকে বলেন... কিনতু এর 'দালিলিক প্রমান' বা 'রিটেন ডকুমেন্ট' নাই তেমন, এর কারন হইতেছে, যারা এই হিস্ট্রিকাল দলিল লেখার কাজগুলা করেন তাদের দালালি... তো, যখন বাকশাল নাই রক্ষিবাহিনিও থাকতে পারে নাই; ছাত্রলিগ ছিল হইতেছে নয়া বাকশালের রক্ষিবাহিনি, এর ভায়োলেন্ট উইং

অন্যসব অঙ্গ-সংগঠনগুলার মতো এরা চাঁদাবাজি ও সরকারি টাকা-পয়সা মাইরা পলিটিকাল বিজনেসই করতো না, এরা ডর-দেখানোর কাজটা করতো রেব, পুলিশ ও ডিজিএফআই'র 'ছোডভাই' হিসাবে; এরা স্টুডেন্ট অরগানাইজেশন না বরং ছিল সরকারি প্যারা মিলিশিয়া বাহিনি... তবে তাদের এই চেহারাটারে গোপন কইরা রাখছিল বাকশালি-মিডিয়া (পিআলো, ডিস্টার গং), এখনো অই বয়ানটা রয়া গেছে, বা ফিরায়া নিয়া আসার ট্রাই করা হইতে পারে, যেই জায়গাটাতে আমাদের খেয়াল করাটা দরকার আসলে

ইমরুল হাসান

23 Oct, 17:02


আমার সবচে পছন্দের টিভি-সিরিজ হইতেছে 'বেটার কল সল' আর 'ব্রেকিং ব্যাড'; তো সিরিজ দুইটা অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি সমাজের মানুশের লিগাল ও মোরাল জায়গাগুলারে খুব সুন্দরভাবে ডিল করে...

ব্রেকিং ব্যাডের একটা সিনে, মেইন কারেক্টার ওয়াল্টার হ্যাঙ্ক'রে কয়, দেখো, ১৯৩০ সালের ২২শে মার্চের আগ পর্যন্ত বিয়ার খাওয়া ছিল ক্রাইম, আর ২৩ তারিখে গিয়া সেইটা আর ক্রাইম থাকলো না! কি এমন ঘটলো যে, একদিন আগে যেইটা ক্রাইম ছিল, একদিন পরে সেইটা আর ক্রাইম থাকলো না! একদিন আগে যেই কাজ করার জন্য সে ক্রিমিনাল ছিল, এখন সেইটা কিছুই না!... মানে, সে তার ড্রাগস বানানির পক্ষে মরিয়া হয়া একটা 'যুক্তি' খুঁজতেছিল আসলে

তো, ছাত্রলিগ যে নিষিদ্ধ হইলো, এইটা তো একদিনের ঘটনা না! এখন যারা ছাত্রলিগ করতো, আওমি-লিগ করতো, তারা যে সমাজে থাকতে পারবে না - তা তো না, এই সংগঠন'টা সমাজে থাকবে না; যারা ছাত্রলিগের সার্পোটার ছিলেন, আওমি-লিগের সার্পোটার ছিলেন কিনতু কোন অন্যায় করেন নাই, তারা পলিটিকস করতে পারবেন না - বেপারটা এইরকমও না, গনতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, নাগরিক শক্তিসহ নানান রকম ফোরামগুলার ভিতর দিয়া উনাদের অনেকে রি-ফর্মড হইতেছেন, হবেনও...

পলিটিকাল ফোর্স হিসাবে উনারা কখনোই নাই হয়া যাবেন না; লিবারালদের বিজয়ের পরে ফার-রাইট উইংগুলা কি ধিরে ধিরে ফিরা আসে নাই জার্মানিতে, ইউরোপে! কিনতু নাজি-পার্টি তো রিভাইভ করতে পারে না! এইরকম বাংলাদেশেও 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'র বেচা-বিক্রি চলবে, একটা গ্রুপ থাকবে এর পলিটিকাল কনজিউমার হিসাবে, 'ধর্ম-নিরেপক্ষ' বা সেকুলার ভাবধারাও থাকবে, নতুন পলিটিকাল দলগুলার অনেকেই এর অনেকগুলা ফিচার'রে একোমোডেড করতে চাইবে, করবে...

মানে, ছাত্রলিগ নিষিদ্ধ হওয়ার মানে যে 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির' পরাজয় - এইরকম অনেকে বুঝাইতে চাইবেন, কিনতু এইটা সত্যি কথা না; ছাত্রলিগ নিষিদ্ধ হওয়া মানে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী-রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের লগে এর কোন রেলিভেন্সই নাই; বরং এইরকমের যে ভুয়া-নেরেটিভ বাকশালি-মিডিয়া ক্রিয়েট কইরা রাখছিল সেই জায়গাগুলা থিকা বাইর হয়া আসতে চাওয়ার ফার্স্ট স্টেইপ অনেকটা...

ইমরুল হাসান

20 Oct, 01:51


মুক্তিযুদ্ধের যেই ভুয়া নেরেটিভ'টার উপর ভর দিয়া বাংলাদেশে ইনডিয়ার-দালালি টিইকা ছিল বাংলাদেশে, সেইটা নিয়া তো কথা বলা শুরু করা দরকার; তো, ইনিশিয়ালি একটু কথা বলছি আমি, এইটা ফ্যাক্টচুয়াল কোন আলাপ না, বরং পারসপেক্টিভের জায়গা থিকা কোন জিনিসগুলারে আমরা ভুল-ভাবে দেইখা আসতেছি, অইরকম ৩টা জায়গা নিয়া কথা...

(প্লিজ, ইগনোর মাই ভিডিও কোয়ালিটি ও আমার চেহারা, এন্ড ডোন্ট এক্সপেক্ট সুন্দর ও স্মুথ কথা, আমি ভালো-বক্তা না, কিনতু তাই বইলা চুপ কইরা তো থাকা যায় না, কথা তো বলা লাগবে, তাই না? তাই আগে-ভাগেই সরি ফর নট আপ-টু-মার্ক পারফরমেন্স...)

https://youtu.be/1hT-d6-LlzA?si=6YVE-wo1iMWeahpf

1,585

subscribers

66

photos

38

videos