দিনে একবার কুরআন তেলাওয়াত করবো, সময় কোথায়?
লাস্ট কবে তাহাজ্জুদ পড়েছি মনে নাই।
ফরজ শেষে নফল নামাজ পড়বো? ভাই, সুন্নত পড়ারই টাইম পাই না।
একটা ইসলামি বই পড়ার সময় পাই না। চাকরি, পড়াশোনায় এতো ব্যস্ততা যাচ্ছে। বলার মতো না।
.
উপরে যে সিনারিও বললাম, সেগুলো আমাদের প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনে আছে। আমরা সময় পাই না। শুধু ধর্মীয় কাজ করার সময় পাই না এমন না। দুনিয়াবি কাজেও দেখা যায় সময় নাই।
স্ত্রী অভিযোগ করে, "আগের মতো সময় দাও না।"
বন্ধু অভিযোগ করে, "কই থাকিস? দেখা পাই না?"
মা অভিযোগ করে, "ফোন দেয়ারও সময় নাই তোর? এতো ব্যস্ত?"
অফিসের বস অভিযোগ করেন, "প্রতিদিন আপনার লেইট হয় কেনো?"
.
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কী ঘটছে যার জন্য আমরা সময় বের করতে পারছি না?
না দুনিয়ার জন্য, না দ্বীনের জন্য, না পরিবারের জন্য না নিজের জন্য।
কী হচ্ছে আমাদের সাথে?
.
উত্তরটা খুবই সহজ।
.
দুনিয়ার ব্যস্ততার কারণে আমরা আল্লাহর জন্য সময় দেয়া কমিয়ে দেই। ফরজ নামাজ পড়ে সুন্নত পড়ি না। রাত জেগে মিটিং করি, কিন্তু কুরআন তেলাওয়াত করি না। বছরেও একবার তাহাজ্জুদ পড়ার 'সময়' (!) পাই না।
.
আমরা যখন আল্লাহর জন্য সময় দেয়া কমিয়ে দেবো, এর শাস্তি হিসেবে আল্লাহ দুনিয়াতে আমাদের কর্মব্যস্ততা বাড়িয়ে দিবেন।
দুনিয়াতে কর্মব্যস্ততা বাড়লে উপার্জন বেশি হবার কথা না?
না, সেটাও হবে না।
এতো ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও আমাদের উপার্জন বাড়বে না, উপার্জন বাড়বে না মানে রিজিক বাড়বে না। অভাব-অনটন দূর হবে না।
আল্লাহ বলেন, "হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করো, আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যে পূর্ণ করে দেবো এবং তোমার অভাব দূর করে দেবো। তা না করলে আমি তোমার দুই হাতকে কর্মব্যস্ততায় পূর্ণ করে দেবো তোমার অভাব-অনটনও দূর করবো না।" [জামে আত-তিরমিজি: ২৪৬৬]
.
নেক্সট টাইম যখনই মনে হবে- সময় পাচ্ছি না, সময়ে বরকত পাচ্ছি না, কেমনে যে সময় চলে যায় বুঝতেই পারি না; তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করছেন না বলেই সময় পাচ্ছেন না।
আল্লাহ আমাদেরকে সময়ের সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন।
#সফলদের_অভ্যাস
#HabitsOfTheSuccessfulPeople