Yousuf Sabit @yousuf_sabit Channel on Telegram

Yousuf Sabit

@yousuf_sabit


اَفَلَا یَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ اَمۡ عَلٰی قُلُوۡبٍ اَقۡفَالُهَا
Surah Muhammad (47): 24

Yousuf Sabit (English)

Are you looking for inspiration, motivation, and practical tips for personal growth and self-improvement? Look no further than Yousuf Sabit's Telegram channel! Yousuf Sabit is a renowned life coach and motivational speaker who has helped countless individuals transform their lives for the better. On this channel, you will find daily doses of wisdom, positivity, and strategies to help you reach your full potential. Whether you are struggling with confidence, setting goals, or finding purpose, Yousuf Sabit's channel is your one-stop destination for all things personal development. Join now and start your journey towards a happier, more fulfilled life with Yousuf Sabit!

Yousuf Sabit

19 Nov, 17:51


ইমানদারদের হৃদয়টা ভাঙা থাকে।

Yousuf Sabit

15 Nov, 17:52


اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي

অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কানে মন্দ কথা শোনা থেকে আশ্রয় চাই। চোখ দিয়ে মন্দ কিছু দেখা থেকে আশ্রয় চাই। জিহ্বা দিয়ে মন্দ কিছু বলা থেকে আশ্রয় চাই। অন্তরের খারাপ চিন্তা থেকে আশ্রয় চাই। দেহের কামনা-বাসনার খারাপ চিন্তা থেকেও আশ্রয় চাই।’

- [তিরমিযী ৩৪৯২, নাসায়ী ৫৪৫৫, ৫৪৫৬, আবূ দাউদ ১৫৫১]

Yousuf Sabit

14 Nov, 14:17


পশ্চিমাদের বেধে দেওয়া প্রতিবাদের ছকে দ্বীনের উন্নতি আশা করি না। "বাস্তববাদীরা" এ বিষয়ে এক মত পোষণ করে থাকবে। অতঃপর- আন্দোলন, মিছিল, সমাবেশকে ঘৃণা করে এসেছি, আর ঘৃণা করে যাবো। কুরআন, সুন্নাহ আর খুলাফায়ে রাশেদার যে আদর্শ মুসলিমরা গ্রহণ করেছে, তা সেসব "জাহেলিয়্যাহ" গ্রহণ করতে কখনোই প্রস্তুত নয়। "ইসলামিক ডেমোক্রেসি" উৎখাত করতে যেয়ে "ইসলামিক কমিউনিস্ট" হয়ে যাওয়াটা পথভ্রষ্টতারই এক নমুনা।

দারুল হারবে দুর্বল অবস্থায় করণীয় সম্পর্কে দ্বীন যথেষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী চেতনা ধারণকারীদের জন্য সে সকল দিক নির্দেশনা গ্রহণ করা কঠিন, কখনো বা তা সম্ভবই নয়। যারা একান্তই অক্ষম তাদের জন্য সর্বোচ্চ করণীয় সম্পর্কে-

১. দাওয়াহ দিতে থাকুন। স্পষ্ট আক্বীদা ও মানহাজের। ত্বগূত বর্জন ও ওয়ালা বারা স্পষ্ট করার দিকে মনোযোগী হোন, যে কাজ করেছেন নবী রসূল এবং সাহাবীগণ। অন্যথায় ব্যর্থতার লুপে আটকে থাকা হবে চিরকাল।

২. দাওয়াহ দিতে থাকুন পরিবারে, বন্ধুদের, সাথিদের, আত্নীয়দের। নিজেদের পারস্পরিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে থাকুন দ্বীনের ভিত্তিতে।

৩. "আর তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর, তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন।" - [সূরা আনফালঃ ৬০]

Yousuf Sabit

21 Oct, 14:12


"তারা এ বাণীতে ঈমান না আনলে মনে হচ্ছে তাদের পিছনে ঘুরে তুমি নিজের জান বিনাশ করে দেবে। নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, আমি সেগুলোকে তার শোভা-সৌন্দর্য করেছি যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা উত্তম'। আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব। তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়?" - [সূরা কাহফঃ ৬-৯]

সূরাটি মাক্কি সূরা। রসূল ﷺ এর প্রকাশ্য দাওয়াহর কাজ চলছে। কিন্তু আরবদের কাছে এটা বড়ই অদ্ভুত কথা যে সকল ইলাহকে ত্যাগ করে একজন ইলাহে ঈমান আনতে হবে। বাপ-দাদাদের দ্বীন ত্যাগ করে নতুন এক দ্বীনে ঈমান আনতে হবে, আবার এমন একজনকে রাসূল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে যার কাছে ধন-সম্পদ ও আরবের ক্ষমতা নেই। শুধু তাই নয়- আরবরা দেখেছে, কীভাবে দ্বীনের জন্য কিছু লোক নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে শুধু মাত্র একজন ইলাহের দাসত্বের জন্য। স্রোতের বিপরীতে যেয়ে শত অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, নিজেদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধু মাত্র একটি দ্বীনের জন্য। এটা বড়ই অদ্ভুত বিষয়!

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সূরা কাহফে রসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবাদের দেখিয়েছেন, "তোমরাই প্রথম নও যারা লোকেদের কাছে অপরিচিত, এরকম ঘটনা প্রবাহ পূর্বেও ঘটেছে। অতএব, শিক্ষা গ্রহণ করো আমার আয়াত সমূহ থেকে।" এই শিক্ষা যেমন রসূল ﷺ এবং তাঁর সাহাবাদের জন্য, তেমনি এই আয়াত সমূহ রসূল ﷺ এর উম্মতের জন্যও। তা এমন এক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে যার স্থায়িত্ব ক্বিয়ামাত পর্যন্ত।

"আমিই তোমাকে তাদের সংবাদ সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। নিশ্চয় তারা ছিল কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। যখন তারা উঠেছিল, আমি তাদের অন্তরকে দৃঢ় করেছিলাম। তখন তারা বলল, ‘আমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীনের রব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহকে আমরা কখনো ডাকব না। (যদি ডাকি) তাহলে নিশ্চয় তা অতিশয় গর্হিত হবে’। এরা আমাদের কওম, তারা তাঁকে ছাড়া অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে। কেন তারা তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না? অতএব যে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটায়, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে? আর যখন তোমরা তাদের থেকে আলাদা হয়েছ এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা উপাসনা করে তাদের থেকেও, তখন গুহায় আশ্রয় নাও। তাহলে তোমাদের রব তোমাদের জন্য তার রহমত উন্মুক্ত করে দেবেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের জীবনোপকরণের বিষয়টি সহজ করে দেবেন।" - [সূরা কাহফঃ ১৩-১৬]

এরা ছিলো সেসব যুবক- যারা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত শির্কের বিরুদ্ধে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় অতি অল্প-নগন্য। তাদের ঈমানের জন্য তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে। কিন্তু তাওহীদের বিষয়ে তারা ছিলেন আপোসহীন। অতঃপর তারা নিজ ভূমি ত্যাগ করলেন এবং গুহায় আশ্রয় নিলেন। তা তো তাদের করতে হতোই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারা কমফোর্ট জোনে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নি। এবং এই ঘটনাটি এতোটাই চমৎকার ছিল যে তা আল্লাহ নিজ কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন।

এবার বর্তমান ঘটনা প্রবাহে লক্ষ্য করা যাক। সাহাবাদের সময় ইসলাম যেমন অপ্রতিষ্ঠিত অবস্থায় ছিলেন, আমরাও তেমনই এক সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছি। যুগে যুগে শয়তান নতুন নতুন ফিতনা নিয়ে আবির্ভূত হয়, নানান ভাবে লোকেদের কুফর ও শির্কের দিকে ধাবিত করতে থাকে। তাওহীদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে সে সকল কুফর ও শির্ক লোকেদের কাছে স্পষ্ট থাকে। কিন্তু লোকেরা কেবল অজ্ঞতাকেই বেছে নিয়েছে।

গণতন্ত্র, কুফরী সংবিধান, জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারিজম এর মতো শির্ক ও কুফরসমূহ আবার আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রে এই শির্ক প্রতিষ্ঠিত। লক্ষ-কোটি মানুষের ভীড়ে অল্প কিছু নগন্য যুবক-যুবতী, তরুন-বৃদ্ধ আসহাবে কাহফদের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছে। এই ভূমিকা নতুন নয়। তবে নিজেদেরকে দ্বীনের কর্মী দাবী করা লোকেদের ভীড়ে, বিদাতি আক্বীদা ও মানহাজের ভীড়ে বর্তমানের আসহাবে কাহফরা আরো বেশি গুরাবা। এরা গুরাবা স্বয়ং ইসলামপন্থীদের কাছেও। যখন তাদের বলা হয় আকল-পূজা পরিত্যাগ করে আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসো- তখন আরো সূক্ষ্ণ ভাবে অবস্থান শনাক্ত হয় যুগের প্রকৃত আসহাবে কাহফদের।

Yousuf Sabit

03 Oct, 07:24


"ঐক্য মানেই ভালো"- এই কথাটিকেও মাঝে মাঝে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখা উচিৎ। মুনাফিকদের সাথে ঐক্যে গেলে সেটাতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে। নেতৃত্ব লোভীদের সাথে ঐক্যে গেলে সেটা ভবিষ্যতে বেশ বড় বিপর্যয় টেনে আনবে।

কাদের সাথে ঐক্য করতে হবে, কাদের সাথে ঐক্য করা যাবে না- এই বিষয়ের দৃষ্টিকোণ যদি কুরআন-সুন্নাহ থেকে বাদ দিয়ে নিজেদের বানানো স্ট্র্যাটেজি-রাজনীতি থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- তবে তা নিশ্চিতই সুফল বয়ে আনবে না। নিশ্চই মানুষকে অল্পই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে, আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা সর্বজ্ঞানী।

যদি ঐক্য হয় এমন সব লোকেদের সাথে- যারা মডারেট চিন্তা-মতাদর্শ লালন করে, যারা বিদাতকে পরিহার করতে নারাজ, যারা ইসলামের অন্যতম আকিদা "কু/ফ/র বিত ত্ব/গূ/ত" লালন করে না, যারা প্রতিকূল অবস্থায় ইসলামকে ফেলে নিজেদের স্বার্থের দিকে ছুটে- তাদের সাথে ঐক্যের ফলাফল এমন এক ক্ষত সৃষ্টি করবে, যা মূল্য চুকাতে হবে দীর্ঘ সময় ধরে।

Yousuf Sabit

02 Oct, 10:16


নিজের চিন্তা-চেতনা, আধ্যাত্নিকতা ও ব্যক্তিত্বের জায়গাটা তৈরী করতে বা উন্নত করতে কিছু বিষয় জানাতে আগ্রহী। খুব বেশি পয়েন্ট উল্লেখ করবো না, তবে বিষয়গুলো মাথা রেখে চলতে পারলে নিজেরও উপকার করা যাবে, নিজের দ্বারা উম্মাহও উপকৃত হবে-

১. সাহাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক যেমন ছিলো, ঠিক সেভাবেই তাদেরকে অনুসরণ করুন। তাদের মাঝে "সেলিব্রেটি" ফ্লেভার পাওয়া কিংবা "ফ্যানবয়" ধরণের আচরণ পাওয়া যেত না। তারা প্রত্যেকেই নিজের ইমান-আমল নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কেউ কাউকে তোষামোদি করতে চলতেন না, যেমনটা আল্লাহর রসূল ﷺ তাদের শিখিয়েছিলেন।
মুহাম্মাদ (স) এর সভায় অপরিচিত কোনো আগুন্তুক এলে জিজ্ঞাসা করতো, "তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ কে?" কতটা অসাধারণ ছিলো রসূল ﷺ-এর আচরণ। এমন ভাবে তিনি সাহাবীদের সাথে মিশে থাকতেন, যে বাহির থেকে এসে কেউ শনাক্ত করতে পারতো না এখানে কে নেতা আর কে অনুসারী।
উমার ইবনুল খাত্তাব যখন মুসলিমদের খলিফা, আমিরুল মু'মিনিন- তখন তিনি জিজ্ঞাসা করছিলেন, "আমি ভুল করলে, আমার দ্বারা বিচ্যুতি ঘটলে আমার সাথে কী করবে?" মিম্বারের সামনে থেকে সাহাবীরা জবাব দিলেন, "আপনাকে তলোয়ার দিয়ে সংশোধন করবো।" উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার আশেপাশে এই ধরণের ব্যক্তিদের রেখেছেন।" [ঘটনার বিবরণ কাছাকাছি।]

২. পরস্পরের সাথে সৌহার্যপূর্ণ আচরণ রাখতে পারেন, আন্তরিকতা রাখতে পারেন, মুসাফা করা ও সালামের আদান প্রদান করতে পারেন। কিন্তু এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন যেমনটা জাহেলদের মধ্যে থাকে। অটোগ্রাফ নেওয়া, একটা সেলফি তোলার জন্য মুখিয়ে থাকা, একবার হাত মেলাতে পারলে "ধন্য হয়ে গেলুম" মনোভাব রাখা, ফ্রেন্ডলিস্টে জায়গা নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকা, ফ্রেন্ডলিস্টে অ্যাড হতে পারলে স্ক্রিনশট মেরে সেটাকে প্রচার করা কিংবা নিজেকে ধন্য মনে করা, ইনবক্সে প্রয়োজন ছাড়া নক করে ফ্রেন্ডলিস্টে অ্যাড হতে চাওয়া- এই সকল ধরণের সিলি মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসুন। এগুলো আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানান সই নয়।

৩. আপনার গাইরুল্লাহর প্রতি অমুখাপেক্ষী আচরণকে শক্ত করে আকড়ে ধরুন। যে আপনাকে ব্যস্ততা দেখাবে- তার পিছন পিছন ঘুরঘুর করে নিজের সময় নষ্ট করবেন না। আপনি যমিনের কোনো ব্যক্তির মুখাপেক্ষী নন। আপনার ইমান-আমল-ইল্মের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, সাধ্যের মধ্যে ততটুকুর প্রতি ফোকাস রাখুন। আল্লাহ আপনার পথ চলা কারো জন্য আটকে রাখবে না। আর আপনার পথচলা তো দুনিয়ার কোনো স্বার্থের সাথে জড়িত নয়।

৪. আপনার আত্নপরিচয় নিয়ে ফিকির করুন। আপনার যদি একমাত্র কোনো পরিচয় থেকে থাকে, তবে তা হলো আপনি "আল্লাহর দাস"। আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন যে কারো শারীরিক কিংবা মানসিক গোলামী থেকে বেরিয়ে আসুন। দুনিয়ার সকলেই দাস, গোলাম। আল্লাহর এক দাসের সাথে আরেক দাসের আচরণ যেন "মনিব-দাস"-এর মতো না হয়ে যায়। আপনি যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইরে ভিন্ন কারো সন্তুষ্টির আকাঙ্ক্ষা না করে থাকেন। আপনার কাজ কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো দলের জন্য যেন না হয়ে থাকে, আপনার কাজকে শুধু মাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করুন।

৫. অবশেষে কে আপনাকে অ্যাটেনশন দিলো আর কে অ্যাটেনশন না দিলো তাতে আপনার কিছু যায় আসবে না। আপনাকে কখনোই যেন গাইরুল্লাহর অনুগ্রহের ভিখারীদের লাইনে দাঁড়াতে না দেখা যায়। নিজেকে এমন ভাবে তৈরী করুন- যেন লোকেরা আপনাকে আকাঙ্ক্ষা করে আপনার থেকে উপকৃত হওয়ার আশায়। অতঃপর, আপনার দৃষ্টান্ত যেন এমন হয় যে- যারা আপনাকে পরিত্যাগ করবে, তারা কেবল নিজেদেরকেই কিছুটা অভাবে ফেলে দিলো, যা পুনরুদ্ধার করা সময় সাপেক্ষ হয়ে যাবে। [সাথে এও জেনে রাখুন- আপনার উপস্থিতি কিংবা অনুপস্থিতিতে আল্লাহর দ্বীন আটকে থাকবে না।]

Yousuf Sabit

29 Sep, 17:54


আল্লাহর বিধানগুলো প্রকাশ করলে নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়? জীবন সংকটে পড়ে যায়? মানুষের থেকে আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে? তবে আল্লাহ এই বিষয়ে কী বলেছেন?

"হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও আর যদি তুমি না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাত পৌঁছালে না। আর আল্লাহ তোমাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।
- [সূরা মায়েদা: ৬৭]

কাকে ভয় করবেন? মানুষকে নাকি আল্লাহকে? "তাদের একদল মানুষকে ভয় করতে লাগল আল্লাহকে ভয় করার অনুরূপ অথবা তার চেয়ে কঠিন ভয় [সূরা নিসা: ৭৭]। তাদেরকে ইলম দেওয়া হলো, অথচ তারা তা গোপন করতে লাগলো, ভয়ের কারণে, কিংবা দুনিয়া লাভের আশায়।

"নিশ্চয়ই যারা আমার অবতীর্ণ কোন দলীল এবং হিদায়াতকে লোকেদের জন্য আমি কিতাবের মধ্যে বর্ণনা করার পরেও গোপন করে, আল্লাহ তাদেরকে অভিসম্পাত করেন আর অভিসম্পাতকারীরাও তাদের প্রতি অভিসম্পাত করে থাকে।"
- [সূরা বাক্বারাহ: ১৫৯]

Yousuf Sabit

26 Sep, 07:20


তাওয়াক্কুল এক ধরণের আচরণ, অন্তরের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। এটা তাদের দ্বারাই সম্ভব যারা বিনয়ী, যাদের হৃদয়ে কোনো অতৃপ্তি নেই, সর্বাবস্থায় রবের সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তুষ্ট। পূর্বে যা কিছু ঘটেছে এবং সামনে যা কিছু ঘটতে চলেছে। তাওয়াক্কুল সমুদ্রের উত্তাল ঢেউকে শান্ত-স্নিগ্ধ-স্থির ভাবে প্রবাহিত নদীতে রুপান্তর করে।

সাধারণ তাওয়াক্কুল তো তারাও করতে পারে- যারা জানে যে তারা কোনো অন্যায় করে নি। ফিতরাত গত ভাবেই তারা ন্যায়ের আশা রাখে, সেই আশা থেকে বলে, "আল্লাহ ভরসা"।

কিন্তু আমরা বলছি "তাওয়াক্কুল" শব্দটি যেই উদ্দেশ্যের জন্য এসেছে, তাওয়াক্কুলের সেই প্রিন্সিপাল রুটের কথা। তাওয়াক্কুলের সেই স্তরে কেবল তারাই পৌছাতে পারে- যাদের জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য স্থির হয়েছে- "আমি কেবল মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি চাই, এর বাইরে আমার ভিন্ন কোনো চাওয়া পাওয়া নেই"।

আর এটা কোনো নিছক দাবী নয়, নিছক কোনো চাহিদা নয়। এটা এমন এক লক্ষ্য- যা ব্যক্তির কথা, কাজ এবং চিন্তায় আমূল পরিবর্তন আনে। সে নিজের প্রতিটা পদক্ষেপে আল্লাহর সন্তুষ্টির বিষয়টিকে লক্ষ্য রাখে। আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে সে জগতের সব কিছুর চেয়ে বেশি অপছন্দ করে।

আল্লাহর সন্তুষ্টিকে ওই ব্যক্তির দ্বারাই নিজের লক্ষ্য বানানো সম্ভব, যে আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে জানতে পেরেছে, এবং একই সাথে জানতে পেরেছে দুনিয়ার অসার বাস্তবতা এবং তুচ্ছ মূল্য সম্পর্কে। অতঃপর যারা তাওয়াক্কুলকারীর মর্যাদা অর্জন করতে চায়, সে যেন এই বিষয়ে সচেতন হয়। কেননা "তাওয়াক্কুল" আমল-ইবাদতের হিফাজতকারী।

Yousuf Sabit

20 Sep, 01:48


থাকবেন দারুল কুফরে, আবার অধিকার চাইবেন দারুল ইসলামের মতো- এটা ফাজলামো ছাড়া কিছু না।

ইদানিং আবার কাফিরদের কাছে খিলাফা ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অধিকার চাওয়ার বৈধতা প্রতিষ্ঠায় আরেকটা যুক্তির আমদানি হয়েছে, "গণতান্ত্রিকরা যেমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, কমিউনিস্টরা যেমন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চায়, মুসলিমরাও তেমনি খিলাফা চায়। ওদেরকে জ ঙ্গি না বললে মুসলিমদেরকে কেন জ ঙ্গি বলা হয়?"

এর অন্যতম একটা কারণ অধিকার আদায়ের পদ্ধতি৷ গণতান্ত্রিক এবং কমিউনিস্টরা তাদের অধিকার আদায়ের পথ কী তা ক্লিয়ার করে দিয়েছে, "সোশাল অ্যাক্টিভিজম"- সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, আন্দোলন ইত্যাদি।

কিন্তু মুসলিমদের অধিকার আদায়ের পথ রক্তক্ষয়ী, সংঘাতের, সশস্ত্র৷ অন্যান্য সকল মতবাদ আনুগত্য স্বীকার করে নিজেদের অধিকার আদায়ের পদ্ধতি পরিবর্তন করলেও মুসলিমরা নিজেদের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারবে না, কারণ কুরআন ও সুন্নাহ অপরিবর্তনযোগ্য। তাই "জ ঙ্গি" শব্দটা মুসলিমুদের জন্যই খাস, মুসলিমরা যোদ্ধাদেরই উত্তরসূরী।

যারা সুশীল উপায়ে নিজেদের দ্বীনের বৈধতা উপস্থাপন করতে চায়, তারা দিন শেষে দ্বীন প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি বিকৃত করতে চায়। দিন শেষে নিজেরাই দ্বীন থেকে ছিটকে পড়ে, নিজেরাই বিকৃত হয়ে যায়।

Yousuf Sabit

10 Sep, 10:05


- তাদের ড্রোনগুলো যত উপর দিয়েই উড়ুক, তা তো আল্লাহর আরশের নিচ দিয়েই উড়ে।
- তাদের ট্যাংক আর গোলা-বারুদ যত শক্তিশালীই হোক, তা মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে অতি নগন্য ও দুর্বল।
- আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল, তাদের হৃদয়গুলোর উপর এবং তাদের যাবতীয় শক্তি ও সংখ্যার উপর।
- তারা চক্রান্ত করে, আর আল্লাহ কৌশল করেন। আল্লাহই সবচেয়ে সুনিপুণ কৌশলকারী।

ইমানদৃপ্ত কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগে। তদুপরি তাদেরকে আমল করে বাধা দান করে তাদের অন্তর, কেননা তাতে "ইমান বিল গইব" প্রবেশ করে নি৷ "ইমান বিল গইব"-এর অভাবে তারা কুরআনুল কারীম থেকে হিদায়াত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়।

আর এই "ইমান বিল গইব" ওয়াজ-লেকচার কিংবা বই পড়ে অর্জিত হয় না। তা কেবলই অর্জিত হয় তাওহীদের উপর আমল করে, যখন চোখ জোড়া দৃষ্টির সামনে আল্লাহর সাহায্য প্রত্যক্ষ করবে। নিশ্চই আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তবে তা তখনই সত্যায়ন হয়, যখন দাসেরা "শুনলাম ও মানলাম" বলে রবের কাছে আত্নসমর্পণ করে।

Yousuf Sabit

02 Sep, 06:28


সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে কাফির-মুশরিকরা বরাবরই কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতো। প্রতিটি নবী-রাসূল এবং হক্বপন্থীদের সাথে এমনটা হয়ে এসেছে। মিথ্যুকেরা একটা সিন্ডিকেট ক্বায়েম করে এসেছে, যার থেকে কেবল মাত্র স্বচ্ছ হৃদয়ের ব্যক্তিরাই বেড়িয়ে আসতে পারে। আর বাকিদের জন্য এই আয়াত-

"যদি আমরা শুনতাম এবং বুঝতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।" - [সূরা মূলক: ১০] কিংবা, "হায়, আমার দূর্ভাগ্য! আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ - [সুরা ফুরকান : আয়াত ২৮]

সিরাতে মাক্কী যুগে এইসকল আলোচনা এসেছে- মুশরিকরা রাসূল ﷺ এর আনীত দ্বীন থেকে লোকেদের বিচ্যুত করতে বেছে নিয়েছিলো মিথ্যা অপবাদ, জুলুম নির্যাতন আর বিভিন্ন মন্দ নামকরণ। ট্যাগিং এর মাত্রার ভয়াবহতা এতোটা ছিলো, কেউ মুসলিমদের সম্পর্কে না জেনেই ইসলামের বিষয়ে মন্দ কথা বলতে থাকলো, শুধু মাত্র অন্যের মুখ থেকে শুনে সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই।

তাই উমার ইবনুল খাত্তাব رضي الله عنه যখন নিজেই কুরআন পড়লেন, তখন বিষ্মিত হলেন এবং বললেন, " এগুলোই কি সেই কথা যার বিরুদ্ধে কুরাইশরা বলে?"

আবু যর গিফারী رضي الله عنه যখন শুনলেন একজন লোক নিজেকে নবী বলে আত্ন প্রকাশ করেছেন, তখন তিনি তাঁর ভাইকে পাঠালেন খবর নিতে। তাঁর ভাই ফিরে এলে জানালো, "লোকেরা তাকে পাগল, জাদুকর, গনক, কবি বলে।" পরে আবু যর গিফারী رضي الله عنه নিজে গিয়ে যাচাই করলেন, এবং সত্যতা জানতে পেরে ইসলাম গ্রহণ করলেন।

যারা ইমানের সাক্ষ্য দিতো, নিজের মুসলিম পরিচয় প্রকাশ করতো, মুশরিকরা এক যোগে তাঁর উপর হামলে পড়তো।

তবে নিকৃষ্টার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো আবু লাহাব। রাসূল যেখানেই দ্বীনের দাওয়াহ পৌছাতেন, আবু লাহাব সেখানে যেত এবং রাসূলের উপর মিথ্যারোপ করে লোকেদেরকে দূরে সরিয়ে দিতো।

দ্বীনের বিরুদ্ধে যেয়ে লোকেদের ইসলাম থেকে দূরে সরাতে মুশরিকরা মিডিয়া প্রোপাগাণ্ডা ছড়াতো কবিতা এবং লেখনির মাধ্যমে। [রাসূল ﷺ সবাইকে ক্ষমা করলেও তাদেরকে ক্ষমা করেন নি।]

মক্কায় এক সিন্ডিকেট ক্বায়েম হয়েছিলো। বন্ধুত্ব এবং আত্নীয়তার সম্পর্কের কথা ভেবে বহুলোক দ্বীনের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতো না। কারো মুখে রাসূল ﷺ এর প্রশংসা শুনলে বলতো, "তুমিও কি মুহাম্মাদের দলে নাম লিখালে নাকি?"

এসকল ঘটনার ব্যতিক্রম নেই এ যুগেও। বাতিলরা তো "জ*ঙ্গি", "মৌলবাদী", " উগ্রবাদী" ইত্যাদি নামে ট্যাগিং করেই, স্বয়ং মুসলিম নামধারী আলিমরাও তাতে অংশগ্রহণ করে, "খারেজী", " পথভ্রষ্ট", "বিভ্রান্ত" ইত্যাদি।

নববী যুগে সত্য মিথ্যার পার্থক্য করতে সাহায্য করতো কুরআন ও হাদিস। কিন্তু এ যুগে অনেক সময় কুরআন ও হাদিসকে ব্যবহার করেই প্রচেষ্টা চলে লোকেদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত করতে। এও এক পরীক্ষা, সকল বাধা বিপত্তি ও স্রোতের বিপরীতে যেয়ে হলেও যে ব্যক্তি সত্যকে গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে, তারা আল্লাহর কাছে সম্মানিত, এবং ইমানের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত তাদের জন্যই।

Yousuf Sabit

01 Sep, 05:24


আল্লাহর কাছে যেকোনো আমল কবুল হওয়ার নুন্যতম দুইটি শর্ত রয়েছে:
১) বিশুদ্ধ ইমান ও ইখলাস: কুফর, শির্ক, নিফাক মুক্ত থাকা এবং ইবাদতটি শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করা।
২) সুন্নাহর অনুসরণ: হারাম ও বিদাত মুক্ত থেকে রাসূল (স) এর শেখানো পদ্ধতিতে করা।

স্বলাত, সিয়াম, যাকাত, হাজ্জ, যিকির-আযকার ইত্যাদি ইবাদতের ক্ষেত্রে যেমন এই শর্ত দুইটি প্রযোজ্য, তেমনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এই শর্ত দুইটি প্রযোজ্য। ইজতিহাদ করে যেমন স্বলাত-সিয়াম সহ অন্যান্য আমলের পরিবর্তন সম্ভব নয়, তেমনি দ্বীন ক্বায়েমের পদ্ধতিও পরিবর্তন সম্ভব নয়।

দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু মাত্র নিয়ত ঠিক রেখেই ত্ব গূ তের সাথে মিলে যাওয়া, পরিপূর্ণ শরিয়াহকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের অজুহাত দেখানো, গণতন্ত্রে জড়ানো, "ফরজ" বিধানকে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র দাওয়াহ দিয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার মিথ্যা স্বপ্ন দেখা ইত্যাদি যতগুলো পথ এবং মত আছে- তা বাতিল।

আপনার জন্য যদি সঠিক পথে আমল করার সুযোগ ও সক্ষমতা না থাকে, তারপরেও আপনার জন্য বৈধ হবে না "কিছু না করার চেয়ে কিছু করা ভালো"র অযুহাত দিয়ে বাতিল কোনো মত এবং পথের সাথে মিলে যাওয়া কিংবা বাতিলের হাতকে শক্তিশালী করা।

বরং হক্বের অনুসন্ধান করতে থাকুন, নিজের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ বৈধকাজগুলো করতে থাকুন এবং সেসকল হুনাফাদের অনুসরণ করুন, যারা রাসূল (স) এর নবুয়ত পাওয়ার পূর্বে সঠিক দ্বীন না পাওয়ায় বাতিল দ্বীনের অনুসরণ করেন নি।

Yousuf Sabit

31 Aug, 21:08


Muhammad ﷺ is the Messenger of Allah, and those who are with him-

Yousuf Sabit

29 Aug, 07:27


নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশের জন্য যে শব্দগুচ্ছের প্রয়োজন, সেসব ভুলে গেছি অনেক আগেই। কেননা যমিনের বুকে সেসব প্রকাশের কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। নিজেদের রবের কাছে অসহায়ত্ব প্রকাশের জন্য সেসব শব্দের প্রয়োজন হয় না, কেবল চোখের অশ্রুই সেই মহান রবের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।

এখনো প্রকাশিত হয় অতীতে হাজ্জাজের কাছে পাঠানো সিন্ধু নারীর চিঠি, কিংবা মুতাসিমের কাছে পাঠানো অসহায় নারীর "ওয়া মুতাসিমা" ডাক। সারি সারি সাদা কালো ঘোড়া পাঠিয়ে নারীর সম্মান রক্ষার ইতিহাস।

কিন্তু এখন আর প্রকাশিত হয় না বর্তমানের লাখো মুসলিম নারী ও শিশুর আর্তনাদ। এখন আর কোনো সাদা কালো ঘোড়া নেই। এখন আর মুসলিমদের রক্তের, সম্পদের এবং সম্মানের মূল্য নেই। থাকবে কীভাবে? এখন যমিনের বুকে শুধু মুসলিমরাই রয়েছে, কোনো ইসলাম নেই।

দ্বীনকে পায়ের নিচে পিষে ফেলতে দেখলেও কারো হৃদয়ে আর রক্ত ক্ষরণ হয় না৷ কেননা সকলেই ব্যস্ত নিজের মাসলাক বাঁচাতে। শুধু খিলাফার পতনই হয় নি, পতন হয়েছে মুসলিমদের আক্বীদা ও মানহাজের। বিকৃত হয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা-চেতনার৷

যখনই আমরা দ্বীনে ফিরতে চেয়েছি- এসে বাধা দিয়েছে আমাদের চিন্তার বিকৃতি- কাফিরদের কাঁটা তারের বেড়ায় বেধে দেওয়া জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, পূঁজিবাদ, বস্তুবাদ, নারীবাদ ও নানান তত্ত্ব কথা। এখন আর কাফিররা এসব ছড়ায় না, স্বয়ং মুসলিমরাই ইসলামের মোড়কে জড়িয়ে এসব বিক্রি করে।

দ্বীন পরিপূর্ণ হয়েছে। আমাদের উপর আমাদের নিয়ামতকে পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। আমরা ফিরে যাবো না সেই যুগে, যখন মদকে হারাম করা হয় নি। আল্লাহর সাহায্য যমিন থেকে সরে যায় নি, সরে গেছে লোকেদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য। আর আমরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের আনুগত্যের শপথ করেছি। অতএব, পৃথিবী অপেক্ষমান রয়েছে, পঁচে যাওয়া তত্ত্বকে মাড়িয়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ প্রত্যক্ষ করার।

Yousuf Sabit

21 Aug, 20:28


"তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের নিজেদের হাতের উপার্জন।" - [সূরা আশ-শূরা: ৩০]

বন্যার এ জল পাশের দেশ উপহার দেয় নি, বরং এই উপহার দিয়েছে "জাতীয়তাবাদ" নামক নিকৃষ্ট কুফর। তারপরেও অসচেতনতার কারণে দিন দিন পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।

"মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কোন কোন কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ হতে) ফিরে আসে।"
- [সূরা আর-রুম: ৪১]

বন্যা তো একটা দুর্যোগ। অথচ এই জাতি আরো ভয়াবহ দুর্যোগ কিংবা জেনোসাইড, গণধর্ষণ কিংবা আরো বিভিন্ন অজানা বিপদের অপেক্ষায় আছে।

যদি এসব থেকে কেউ বাঁচতে চায়, তবে সমাধান রাসূল (স) বলে দিয়ে গেছেন-

"যদি তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে বেচাকেনা কর, গাভীর লেজ ধরে থাক, ক্ষেত-খামার নিয়েই সন্তুষ্ট থাক, আর জিহাদ ছেড়ে দাও, তবে আল্লাহ তোমাদের উপর এমন অপমান চাপিয়ে দিবেন যে, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ সে অপমান তোমাদের থেকে তিনি সরাবেন না।
- [আবু দাউদ: ৩৪৬২]

স্পষ্ট কথা প্রচার না করার পরিনতি ভয়ংকর। তারপরেও যদি এ জাতি না বুঝে- অতঃপর আযাব যখন আসে, তখন ভালো খারাপ সবার উপরেই আযাব নিপতিত হয়।

Yousuf Sabit

13 Aug, 00:20


জমিনের কোথাও কর্তৃত্ব পাওয়া কিংবা কিছু ভূমি দখল করাকে আমরা সফলতা মনে করে না। তা কখনোই সফলতার মাপকাঠি ছিলও না। আমাদের কেউ একজন সম্পদশালী হলো কিংবা কাফিরদের থেকে সম্মান পেলো- তা আমাদের সফলতার মাপকাঠি নয়।

আমাদের সফলতা কেবলই তাওহীদের উপর বেঁচে থাকা এবং তাওহীদের উপর মৃত্যুবরণ করা। আর এই দ্বীন দুনিয়ার বুক থেকে সম্পূর্ণ রুপে মুছে যাবে না কখনোই, বরং তা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে প্রবাহিত হতে থাকবে।

আমরাও সেই কাজই করবো- যা করেছিলো আসহাবুল উখদুদ এবং ফিরাউনের সেইসকল ইসলাম গ্রহণকারী জাদুকরেরা। কুফরের সাথে আপোসহীনতার জন্য যাদেরকে আগুনের গর্তে নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং যাদের শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল।

সেই কাজ করতে আমরা পিছপা হবো না, যে কাজ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাবাগণ رضي الله عنهم। যে কাজের জন্য তাদেরকে কুরাইশরা বয়কট করে ৩ বছর শিয়াবে আবু তালিবে বন্দি করে রেখেছিলো। কুফরের সাথে আপোসহীনতা এবং দ্বীনের আক্বীদাকে দৃঢ় ভাবে আকড়ে ধরা।

সকল নির্যাতিত নবী-রাসূল এবং সাহাবাদের অনুসরণে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত নই। আমরা আতঙ্কিত নই এবং ভীতও নই। কেননা তাদের পথই সিরতুল মুস্তাক্বিমের পথ। তাদের সকল কর্মের উদ্দেশ্য তো কেবল এই ছিল যে- তারা শুধুমাত্র তাদের রবের সন্তুষ্টি কামনা করেন। তারা কোনো ভাবেই তাদের সেই রবকে অসন্তুষ্ট করতে চান নি, যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং রিযিক দিয়েছেন। অতএব, আমরা সব কিছুর পূর্বে নিজেদের রবের প্রতি নিজেদের সম্পূর্ণ দাসত্বের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিই।

Yousuf Sabit

08 Aug, 11:13


জান্নাতের সুবাস তাদের নিকট পৃথিবীতে হাজার বছর আয়ু প্রাপ্তির থেকেও বেশি প্রিয়। কেবল জান্নাতের সুউচ্চ আসনই তাদের যথাযথ মর্যাদা নির্ধারণ করতে সক্ষম। অতএব, তারা লাঞ্ছনার থেকে পবিত্র হয়েছে কুফরের সাথে আপোস না করে স্বীয় রবের আনুগত্যের মাঝে শেষ নিশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে।

Presence: At Taqdim
Lyrics: Maher Muhajir Al Hadrami
Vocal: Hujaifha

Yousuf Sabit

01 Jul, 19:46


এ দুনিয়া এক গভীর সমুদ্রের মতো, যাতে ডুবে গেছে অধিকাংশই। হারিয়ে ফেলেছে নিজের দিক, হারিয়ে ফেলেছে জাহাজের আসবাব। এমনকি হারিয়ে ফেলেছে চলার পাথেয়টুকুও। লক্ষ্য যদি স্থির না থাকে, তবে মন চাইবেই বিভিন্ন দিকে চলে যাওয়ার। "স্থির লক্ষ্য" আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি করুনা, এটি তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন।

এখানে হাতছানি আসে সুন্দর পার্থিব জীবনের, চোখ ধাঁধানো জনপ্রিয়তার, লোকেদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার, সম্পদের কিংবা সুন্দরী নারীর। কখনো বড় লক্ষ্য থেকে ছিটকে ছোট লক্ষ্য পূরণের দিকে মন টানে। কিন্তু নিজেকে স্মরণ করাতে হবে, বার বার। সফলতার যে সংজ্ঞা আমাদের রব আমাদেরকে শিখিয়েছেন, যা মানুষের তৈরী করা সফলতার সংজ্ঞা নয়-

"প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ‘অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে। সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফল। আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী।"- [সূরা আলে ইমরান: ১৮৫]

Yousuf Sabit

04 Jun, 09:13


𝘈 𝘥𝘦𝘴𝘪𝘳𝘦 𝘰𝘧 𝘥𝘦𝘢𝘵𝘩 𝘳𝘦𝘴𝘰𝘯𝘢𝘵𝘦𝘴 𝘪𝘯 𝘩𝘦𝘢𝘳𝘵. 𝘞𝘦𝘢𝘳𝘺 𝘵𝘳𝘢𝘷𝘦𝘭𝘦𝘳 𝘰𝘯 𝘵𝘩𝘦 𝘫𝘰𝘶𝘳𝘯𝘦𝘺 𝘰𝘧 𝘭𝘪𝘧𝘦, 𝘢𝘴𝘱𝘪𝘳𝘦 𝘵𝘰 𝘴𝘵𝘦𝘱 𝘪𝘯𝘵𝘰 𝘵𝘩𝘦 𝘷𝘢𝘴𝘵𝘯𝘦𝘴𝘴 𝘰𝘧 𝘈𝘒𝘩𝘪𝘳𝘢𝘩.

Yousuf Sabit

02 Jun, 23:33


‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। [সূরা আলে ইমরান: ৩১] ‘যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসায় দৃঢ়তর।’ [সুরা বাকারা: ১৬৫]

‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায়কে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মু'মিনদের উপর কোমল এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। তারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ [সূরা মায়েদাহ : আয়াত ৫৪]