Vaiya @vaiyara Channel on Telegram

Vaiya

@vaiyara


ভাইয়াদের নিয়ে বাগানের সবুজ পাখি...

Vaiya (Bengali)

ভাইয়াদের নিয়ে বাগানের সবুজ পাখি... ভাইয়া নামের এই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি একটি সামাজিক যোগাযোগ চ্যানেল, যেখানে ভাইয়ারা একসাথে সম্প্রেষণ করতে পারেন। এই চ্যানেলটি একসাথে এসে হেল্পকেন্দ্র, মনোরঞ্জন, সম্প্রেষণ এবং ফিডব্যাক সরাসরি পাওয়া যায়। ভাইয়াদের জন্য এই চ্যানেলটি একটি নির্দিষ্ট স্থান, যেখানে তারা একসাথে সময় কাটাতে পারেন এবং তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য বাড়াতে পারেন। ভাইয়ারা এই চ্যানেলে তাদের প্রজন্মের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ও নতুন সম্পর্ক গড়তে পারেন, যা তাদের জীবনে আরও সাহায্য করতে পারে। ভাইয়ারা এই টেলিগ্রাম চ্যানেলটির সাথে জড়িত থাকে এবং তারা এই চ্যানেলটি একটি সফর হিসাবে দেখতে পাবেন, যা তাদের জীবনে নতুন দিক দেওয়ার সুযোগ দেয়।

Vaiya

16 Nov, 23:55


দিনের প্রথম সিদ্ধান্ত যদি ফজর কে ঘিরে না হয়, তাহলে দিনের বাকি সিদ্ধান্তগুলো প্রায় মূল্যহীন। শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে বসে আছি।

- শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Vaiya

23 Oct, 04:43


আগুনের ফুলকিরা
এসো জড়ো হই
দাবানল জ্বালবার মন্ত্রে
বজ্রের আক্রোশে আঘাত হানি
মানুষের মনগড়া তন্ত্রে ॥

এসো বন্যার খরতেজ মাড়িয়ে
এসো উল্কার ক্ষিপ্রতা ছাড়িয়ে
নির্দয় নির্মম আঘাত হানি
তাগুতের সব ষড়যন্ত্রে ॥
.
তৌহিদী বিপ্লব দিকে দিকে
আনো আজ
শান্তির সয়লাব বুকে বুকে
দানো আজ ॥

এসো সত্যের সূর্যটা উদিয়ে
এসো জিহাদের সঙ্গীন উঁচিয়ে
প্রলয়ের হুংকারে ধ্বংস আনি
বাতিলের সব ষড়যন্ত্রে ॥

~মতিউর রহমান মল্লিক

Vaiya

19 Oct, 17:38


শায়খুল হাদিস মুফতি আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ'র অডিও লেকচার এবং কিছু পুস্তিকার একটি সমৃদ্ধ আর্কাইভ - t.me/mufti_abu_imran

আল্লাহপাক আমাদেরকে শায়েখের আলোচনা থেকে উপকৃত হবার তাওফিক দান করুক। সার্বিকভাবে খেদমতের সাথে জড়িত সবাইকে দোজাহানে আফিয়ত দিক, বারাকাহ দিক।

Vaiya

04 Oct, 19:55


Let's normalize the flag of Kalima...

তেরা মেরা রিশতা ক্যায়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ☝️

Vaiya

18 Sep, 10:31


উম্মাহর কত যুবক আবেগবশত কিছু একটা করে নিজেদের সময় নষ্ট করেছে এবং গোটা জীবনে বারবার ব্যর্থতার গ্লানি তাদের সইতে হয়েছে।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—
لَا حَلِيمَ إِلَّا ذُو عَثْرَةٍ، وَلَا حَكِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرِبَةٍ
“পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই সহনশীল ও ধৈর্যশীল হয় এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান হওয়া যায় না।”
.
–শাইখ আবু আসিম হাইয়ান হাফিযাহুল্লাহ
.
“যুবকদের উচিত, তারা নিজেরা বাস্তবতা সম্পর্কে জানবে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আশ্বস্ত থাকবে। এটা প্রত্যেকেরই অধিকার এবং মর্যাদার বিষয়। শরীয়তের এই ফরয দায়িত্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিধা সৃষ্টিকারী ও বিরোধী লোকদের কথায় কর্ণপাত করা উচিত নয়।
.
কত লোক এমন রয়েছে; যারা অল্প কিছু লোকের অজ্ঞতা ও দ্বীনি জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এমন অনেক বিপ্লবী জামাআতের সঙ্গত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা তীব্র ছিলো সংগ্রামে লিপ্ত। তাদের অজুহাত এই ছিলো যে, এ জামাআতের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে অন্য জামাআতগুলোর অবস্থা অনুরূপ হবে বৈ কি।
.
অথচ প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব হলো সত্যকে সত্য বলে জানবে এবং নিজের উপর অর্পিত ফরয দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবে। সে দায়িত্ব পালনের জন্য কাজ করবে, অতঃপর সে পথে ধৈর্যধারণ করবে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা রাখবে।
.
প্রত্যেক মুসলিমের জেনে রাখা উচিত, তাকে বিপদের মুখে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তো দরিদ্র, নগণ্য বান্দার মতো। আগামীকালই তার মৃত্যু আসন্ন এবং তার সামনে কাজের যে সুযোগ ছিলো, তা শেষ হয়ে যেতে চলেছে। তাই তাকে চেষ্টা করতে হবে, সে যেনো আল্লাহর দল এবং তার বন্ধুদের কাতারে শামিল হতে পারে।
.
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ
অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো। ” (সূরা আত তাওবা: ১১৯)
.
–শাইখ আতিয়্যাতুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ
_
অতএব, মানহাজ, বাস্তবতার বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা না জেনে- স্রেফ পরিভাষা, ব্যানার বা চেহারা দেখেই তড়িৎ গতিতে কোনো সুনির্দিষ্ট সংগঠন বা গোষ্ঠীর তরে জীবন-যৌবন ক্ষয় করা- শরিয়াহ ও আকলের দাবীকে প্রত্যাখ্যানেরই নামান্তর।
এবং, উপযুক্ত ক্ষেত্রে অবশ্যই স্থবিরতা পরিত্যাগ করে, সম্ভাব্য আসবাব নিয়েই কাজে নেমে যাওয়া উচিৎ।
আল্লাহ তা আলা তাওফিক দেন।

Vaiya

27 Aug, 16:45


আমার জান্নাত আমার হৃদয়ে ...

Vaiya

20 Aug, 08:09


জান্নাতের সুবাস তাদের নিকট পৃথিবীতে হাজার বছর আয়ু প্রাপ্তির থেকেও বেশি প্রিয়। কেবল জান্নাতের সুউচ্চ আসনই তাদের যথাযথ মর্যাদা নির্ধারণ করতে সক্ষম। অতএব, তারা লাঞ্ছনার থেকে পবিত্র হয়েছে কুফরের সাথে আপোস না করে স্বীয় রবের আনুগত্যের মাঝে শেষ নিশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে।

Presence: At Taqdim
Lyrics: Maher Muhajir Al Hadrami
Vocal: Hujaifha
Channel: https://t.me/yousuf_sabit

Vaiya

17 Aug, 19:19


ইসলাম কোনো ব্যুফে না। কিছু নেবেন, কিছু ফেলে দেবেন, এই অপশান আল্লাহ আমাদের দেননি।
.
আকীদাহর ক্ষেত্রে ইসলামকে মানা অপরিহার্য, না মানলে জাহান্নাম। তেমনিভাবে শাসনের ক্ষেত্রেও আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেই শরীয়াহকেই গ্রহণ করতে হবে। এটা অপশানাল না। এখানে ইচ্ছেমতো মানুষের বানানো তন্ত্রমন্ত্র বেছে নেয়ার অধিকার আল্লাহ মাখলুককে দেননি।
.
আসমানেও রাজত্ব আল্লাহর, যমীনেও রাজত্ব আল্লাহর। তিনিই মালিকুল মুলক। ইসলামী আকীদাহর বদলে অন্য কোন আকীদাহকে গ্রহণ করার পর কেউ মুসলিম থাকতে পারে না। একইভাবে জেনেবুঝে, স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে ইসলামী শরীয়াহর বদলে গাইরুল্লাহর শাসনকে প্রেফার করা কুফর।
.
আল্লাহ তার দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। কিন্তু তিনি সেই বিজয় মালাইকাদের দেবেন না। মানুষকে দেবেন। আমরা সেই রকম মানুষ বানাতে পারিনি। সেই রকম দাওয়াহ ও আন্দোলন গড়ে তুলিনি। নিজেদের ক্ষুদ্র একটা বলয়ের বাইরে বাকি ক্বওমকে উপেক্ষা করে গেছি ক্রমাগত।
.
এ ভূখন্ডে শরীয়াহ শাসনের আওয়াজ এবং তাগুতী শাসনের বাস্তবতাকে স্পষ্ট করা হয়নি। আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় ও নুসরতের যে রিকোয়ারমেন্ট আছে, আমরা সেটা এখনো পূরণ করতে পারিনি। সেই অর্থে চেষ্টাও করিনি। শরীয়াহ শাসনের আন্দোলনকে আমরা একটা ভায়াবল অপশান হিসেবে সামনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। একটা দীর্ঘ পথের একদম শুরুর দিকে আছি আমরা।
.
তাই স্বভাবতই ক্ষমতা এক জাহেলি রিজিমের কাছ থেকে আরেক রিজিমের কাছে গেছে। যুলুমসহ নানা দিক থেকে এই দুই রিজিমের মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু এই পার্থক্য মাত্রার। মৌলিক বিচারে দুটোই গাইরুল্লাহর শাসন, দুটোই জাহেলিয়াত।
.
যতোদিন আমরা ইসলামী শাসনের আন্দোলনকে একটা ভায়াবল অপশান হিসেবে সামনে আনতে পারবো না, ততোদিন এক জাহেলিয়াত থেকে আরেক জাহেলিয়াতের মধ্যে আমরা ঘুরপাক খাবো। এটা ব্রুট ফ্যাক্ট। হাহুতাশ, হাহাকার কিংবা ক্রোধের কারণে এ বাস্তবতা বদলাবে না।
.
অ্যামেরিকা সমর্থিত সেক্যুলার সরকার শরীয়াহ কায়েম করবে না। দীর্ঘ সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও আন্দোলন ছাড়া রাতারাতি ইসলামী শরীয়াহর শাসন কায়েম হবে না। শরীয়াহর শাসন স্রেফ মুখে দাবি করার বিষয় না। রক্ত, লাশ আর খুলি দিয়ে কেনার মতো সম্পদ।
.
এ সব কথাই নিজ নিজ জায়গায় সঠিক। তবে এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে আগামীর করনীয় নির্ধারণ করা এক জিনিস, আর 'শরীয়াহ চাই না সেক্যুলার শাসন চাই', বলা একেবারে আলাদা একটা ব্যাপার।
.
প্রথমটা বাস্তবতার আলোকে মুমিনের দায়িত্ব। পরেরটা আল্লাহর দ্বীনের বদলে অন্য দ্বীনকে বেছে নেয়া। এই ডিস্টিংশানটা সবার স্পষ্ট ভাবে বোঝা উচিত।
.
আল্লাহ জাল্লা ওয়া 'আলা বলেছেন,
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ
.
তবে কি তারা জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? [ সূরা আল-মায়'ইদা, ৫০]
Vaiya - Asif Adnan

Vaiya

11 Aug, 14:09


❝ এটা আল্লাহর তরফ থেকে একটি হিকমাহ যে, তিনি জালিমদেরকে তাদের জুলুম বৃদ্ধি করার সুযোগ দেন, যেনো তিনি নির্মমভাবে তাদের পতন ঘটাতে করতে পারেন !

— শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল [হাফিজাহুল্লাহ]
.
Ummah Central - উম্মাহ সেন্ট্রাল

Vaiya

31 Jul, 05:28


৩। অনেকে একটা কথা বলেন, ‘২০১৩ সালে আলিমদের সাথে যখন অমুকতমুক হয়েছে তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আলিমদের ডাকছেন কেনো?’ – আলিমদের যদি আহলুল ইলম এর বদলে একটা নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেনী হিসেবে দেখা হয় তাহলে এই কথাটা ঠিক আছে।
.
অমুক দলের লোকদের যখন মেরেছে তখন আপনি কী করেছেন? ছাত্রদের যখন মেরেছে তখন চাকরিজীবিরা কী করেছে? তখন অমুক যেহেতু তমুক করে নাই তাই এখন আর এটা আশা করবেন না...ইত্যাদি
.
কিন্তু ঐ যে বললাম, আলিমদের ওপর বিশেষ দায়িত্ব আছে, যা কুরআন-সুন্নাহর দলীল এবং আহলুসসুন্নাহ-র ইমাম-দের দৃষ্টান্ত থেকে প্রমাণিত। তাই এই কথা এভাবে বলা যায় না।
.
তবে যদি আমরা আলিমদের ছাত্র, জনতা, পেশাজীবি, শ্রমিক ইত্যাদির মতো একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী হিসেবে ধরেই নেই, তাহলে তাদেরকে ওরকম একটা শ্রেনী হিসেবেই ট্রিট করতে হবে। যে সম্মান আর মর্যাদা আহলুল ইলমের প্রাপ্য সেটার প্রশ্ন আর আসবে না।
.
৪। অনেকে বলেন, আলিমগণ মাযুর। তারা অপারগ। নানা কারণে তারা হক বলতে পারেন না। এ ব্যাপারে দুটো কথা বলা যায়। প্রথমত, নিঃসন্দেহে অনেক আলিমদের মাযুর, তবে সবাই না।
.
দ্বিতীয়ত, যদি তারা মাযুর হন, অপারগ হন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তাঁরা সমাজের নেতৃত্ব দিতেও অপারগ। যিনি হক কথা বলতে পারছেন না, ইমাম-খতীব, কিংবা বড় বড় জামাত বা সংগঠনের নেতা হওয়া সত্ত্বেও- তার কাছে থেকে আর্থসামাজিক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে দিকনির্দেশনা চাওয়ার অর্থ হয় না। এটা তার প্রতি ইনসাফও হবে না। যে মাযুর সে তো মাযুর-ই।
.
.
বাস্তবতা হল, যারা এসব যুক্তি দেয় তারা না বুঝে আসলে আহলুল ইলমের অবস্থানকে সমাজে আরও দুর্বল করে। মানুষ অনেক দলীল, অনেক জটিল বিশ্লেষণ বোঝে না। তবে তারা ফিতরাতিভাবে বোঝে ইসলাম তাওহীদ, আদল ও ইনসাফের দ্বীন। ইসলাম যুলুমের সাফাই গাওয়ার শিক্ষা দেয় না, যুলুমের বিরুদ্ধে দাড়ানোর শিক্ষা দেয়।
.
তাই ইসলামের পোশাকে কেউ যখন বিপরীতটা করে তখন মানুষ সহজাতভাবেই বোঝে, এখানে কোন সমস্যা আছে।
.
আলিমগণের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক প্রতিকূলতা আছে। আমি জানি। তবে এগুলো থাকা সত্ত্বেও তাদের ওপর হক বলার দায়িত্ব আছে। ইলম আর মর্যাদা সাথে করে দায়িত্ব নিয়ে আসে। আলিমগণ রাস্তায় নেমে যাবেন, কিছু একটা করবেন – আমি এমন বলি না। এটা অনেক ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বও না।
.
তবে হক ও বাতিল মানুষের সামনে স্পষ্ট করা তাদের দায়িত্ব। আর একান্তই যদি কিছুই বলার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে কমসেকম তারা চুপ থাকবেন। যালিমের পক্ষে সাফাই গাইবেন, যালিম আর মাযলুমকে এক কাতারে এনে নাসীহাহ করবেন – এটা হতে পারে না।
.
যালিম ও যুলুমের বিরুদ্ধে বলা তাদের দায়িত্ব। ইমান ও কুফর, তাওহীদ ও শিরক, যালিম ও মাযলুম এর পার্থক্য মানুষকে বুঝিয়ে দেয়া তাদের দায়িত্ব। কোনভাবেই, কোন দৃষ্টিকোন থেকেই, কোন দলীলের আলোকেই, এখানে তাদের অবস্থানকে সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করা যায় না। এই সহজ সত্যটা আমাদের বোঝা উচিৎ।
.
আমি জানি, এই লেখার কারণে অনেকে আমাকে অনেক কিছু বলবেন। নানা ট্যাগ দেবেন, নানা তত্ত্ব বানাবেন, তির্যক মন্তব্যও হয়তো করবেন। আলেমবিদ্বেষী-ও বলবেন কেউ কেউ। কিন্তু এতে আমি যা বললাম, সেটা ভুল প্রমাণিত হবে না।
.
রেটোরিকাল কোপিং মেকানিসম আর ট্যাগবাজি নিয়ে তর্ক করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা তাতে আড়াল হয় না। আর আস্থার যে সংকট তৈরি হচ্ছে এবং হবে, সুরাহা হবে না সেটারও।
.
সেই সাথে এটাও বলি সত্যিকারের আহলুল ইলম, যারা নবীদের ওয়ারিশ হবার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করেন তারা আমাদের মাথার তাজ। তবে আলিম বলে পরিচিত সবাই কুরআনে বর্ণিত আহলুল ইলম হিসেবে গণ্য হবেন কি না, তা নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন আছে।

-ভাইয়া আসিফ আদনান

Vaiya

31 Jul, 05:28


শাইখ আসিম আল-হাকিমকে একজন প্রশ্ন করেছেন, পবিত্র ভূমিতে আজ ৯ মাস ধরে যে গণহ৩্যা হচ্ছে এব্যাপারে আলিমরা কী করেছেন? বা করছেন? জবাবে আসিম আল-হাকিম বলেছেন- আপনি কী করেছেন? আপনি যা করছেন আলিমরাও সেটাই করছেন।
.
এই যুক্তিটা আজকাল অনেক শোনা যায়। আমাদের দেশেও শোনা যায়। আপনি কী করেছেন? আপনি যা করেছেন আলেমরাও তা করেছেন। শাইখ আসিম আল-হাকিমের এই উত্তর এবং আমাদের দেশেও যারা এধরনের কথা বলেন – তাদের অবস্থান সঠিক না। কেন সঠিক না বলছি-
.
১। কুরআনে আহলুল ইলমের সম্মান, ও মর্যাদার ব্যাপারে যতো আয়াত আছে তার সবগুলো এই অবস্থানের বিরুদ্ধে দলীল। আহলুল ইলমের সম্মান ও মর্যাদা যেমন আছে, তেমনি তাদের দায়িত্বও আছে।
.
সন্তানের দায়িত্ব আর পিতার দায়িত্ব সমান হয় না। ছাত্রের দায়িত্ব আর শিক্ষকের দায়িত্ব সমান না। তেমনিভাবে একজন সাধারণ মুসলিম আর একজন আলিমের দায়িত্ব সমান না। তাদের অবস্থান এক না। সমান না বলেই আলিমরা বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।
.
মানুষ দিকনির্দেশনার জন্য আলিমদের কাছে যাবে, এটা সাধারণ মানুষের দায়িত্ব। আর আলিমদের দায়িত্ব হল তারা সাধারণ মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিবেন। একজন দা’ঈ ইলাল্লাহ এর সাথে সাধারণ একজন মুসলিমের তুলনা হয় না। সেখানে আলিমের দায়িত্ব তো আরও অনেক বেশি।
.
২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিসে এসেছে আলিমগণ নবীদের ওয়ারিশ। আর আম্বিয়াদের (আলাইহিমুসসালাম) এর দায়িত্ব ছিল হক আর বাতিলে পার্থক্য স্পষ্ট করে দেয়া। হক্বের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়া। আল ওয়ালা ওয়াল বারা-র শিক্ষা বাস্তবায়ন করা।
.
সব আম্বিয়া লড়াই করেননি। কিন্তু সব আম্বিয়া বাতিলের বিরুদ্ধে বলেছেন, বাতিলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। কাজেই নবীদের ওয়ারিশ হিসেবে এই দায়িত্ব আলিমদের ওপরও পরে। সাধারণ মুসলিমের অবস্থানের সাথে এখানে আলিমদের অবস্থানের তুলনা হয় না।
.
৩। আমাদের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে বারবার আলিমগণ সত্যের পক্ষে ও অন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাতিলের বিরুদ্ধে বলার কারণে তাঁরা নির্যাতি হয়েছেন, বন্দী হয়েছেন। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ইমাম আবু হানিফা কখনো বলেননি, "তুমি কী করসো? তুমি যা করসো আমিও তাই করতেসি।"
.
মিহনাহ-র সময় ইমাম আহমাদ অজুহাত দেননি যে, সবাই যা করছে, আমিও তাই করি। বরং তিনি প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করে হক্বের ওপর অটল থেকেছেন। কাজেই আমাদের আইম্মায়ে কেরাম এর ইতিহাস থেকেও এটা প্রমাণিত যে তাঁরা কখনোই আলিমদের দায়িত্ব আর সাধারণ মুসলিমদের দায়িত্বকে এক পাল্লায় মাপেননি।
.
৪। আলিমদের অনেকে কমিউনিটি লিডার। তাদের কথা অনেক মানুষ শোনে, মানে। একজন সাধারণ মুসলিমের এই প্রভাব নেই। কাজেই দু’জনের দায়িত্ব, ভূমিকা, অবস্থান এক হবার সুযোগ নেই।
.
বিশেষ করে বাংলাদেশে, অনেক আলিম রাজনীতি করেন। তাদের রাজনৈতিক দল আছে। যারা রাজনীতি করেন না, তাদের বড়-মাঝারি বিভিন্ন জামাআহ এবং/অথবা সংগঠন আছে। একজন সাধারণ মুসলিমের এগুলো নেই।
.
একজন রাজনীতিবিদকে বিভিন্ন বিষয় মেনে নিতে হয়। যেহেতু সে সমাজের নেতার ভূমিকা নিয়েছে তাই তাকে অনেক কথা বলতে হয়। অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। সেক্যুলার রাজনীতি করা নেতারাও বোঝে যে রাজনীতি করলে জেলে যেতে হয়। একজন নেতার দায়িত্ব কখনো অনুসারীর সমান হয় না। কাজেই এই দিক থেকেও আলিমদের সাথে সাধারণের তুলনা অযৌক্তিক।
.
৫। এটা একটা লজিকাল ফ্যালাসি। আরেকজন কী করলো বা না করলো, তা দিয়ে আপনার দায়িত্ব বদলাবে না। যদি কারো ওপর কোন দায়িত্ব থাকে, তাহলে তাকে সেটা আদায় করতে হবে। অন্যরা কে কী করলো বা না করলো, তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
.
৬। শাইখ আসিম আল-হাকিমকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই ঘটনা বলুন কিংবা আমাদের বর্তমান অবস্থা বলুন - দুই ক্ষেত্রেই আলিম বলে পরিচিত অনেক মানুষ মাযলুমের পক্ষে তো বলেনইনি বরং ইনিয়েবিনিয়ে বা সরাসরি যালিমের পক্ষে কথা বলেছেন। অথবা যালিম ও মাযলুম সমান করে দেখিয়েছেন। সাধারণ মানুষ আর যাই করুক, অন্তত এই ধরনের দালালি করেনি।
.
.
আসলে ‘আপনি কী করছেন?” – এটা একটা কোপিং মেকানিসম। এর বেশি কিছু না। সাধারন বিচারবুদ্ধি এবং শরীয়াহ, কোন দিক থেকেই এটা যৌক্তিক অবস্থান না।
.
এছাড়া এই অবস্থানের কিছু ফ্লিপ সাইডও আছে। অর্থাৎ সাধারণদের সাথে আলিমদের তুলনা টেনে অজুহাত দেয়ার কিছু ফলাফলও আছে, সেগুলো মনে হয় অনেকেই খেয়াল করেন না। সংক্ষেপে কয়েকটা বলি –
.
.
১। যদি ‘আপনি যা করসেন, আলিমরাই তাই করতেসেন’ – এই যুক্তি মেনে নিই, তাহলে আলিমদের সামাজিকভাবে আর দশজন মানুষের মতোই দেখতে হবে। ঐভাবেই তাদের সাথে আচরণ করা হবে। এটা ইসলামের জায়গা থেকে সঠিক না।
.
২। আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে তাদের অবস্থান ও বক্তব্য আমার-আপনার অবস্থানের মতোই দেখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম –এর কাছে দিকনির্দেশনা চাওয়া কিংবা তাদের অনুসরণের প্রশ্ন আসবে না।
.

Vaiya

29 Jul, 17:47


"মানুষের ব্যাপারে আপনাকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। ধীরে ধীরে তাদের হাত ধরতে হবে। কেননা আপনার মূল কর্তব্য হচ্ছে, মানুষকে সাহায্য করা, তাদের থেকে যুলুম দূর করা, তারপর তাদের ইসলাহ করা, তাদের দ্বীনের সংশোধন করা। তারপর তাদের ওপর আল্লাহর শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা।
.
আপনি যদি আকস্মিক উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি মানুষের ধার ধারি না। যে চায় আমাকে সাহায্য করুক আর যে চায় আমার বিরোধিতা করুক... - আপনি আসলে শার'ঈ ভুল করছেন।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন বন্ধুসুলভ, ধৈর্য্যশীল, মমতাপূর্ণ; তিনি কর্কশভাষী ও কঠিন হৃদয়ের ছিলেন না।
.
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
.
যদি আপনি কর্কশভাষী ও কঠোর হৃদয়ের হতেন তাহলে তারা আপনার পাশ থেকে সরে যেতো। [তরজমা, সূরা আলে ইমরান, ১৫৯।
.
রাসূলের কাছ থেকে মানুষ দূরে সরে না যাওয়া দাওয়াহর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু তাঁকে পাঠানো হয়েছে মানুষের রাহমাহ হিসেবে, তাই জরুরী ছিল যে তিনি তাদের ভালোবাসবেন, তাদের ব্যাপারে সবর করবেন...তাই আপনার জন্য আবশ্যক হল, সেই পদ্ধতিগুলো জানা, যা দিয়ে আপনি মানুষের হৃদয়ে পৌছাতে পারবেন...।
.
সাবধান! কখনো বলবেন না, 'মানুষ জাহান্নামে যাক, মানুষ মানুক বা না-মানুক আমি আমার কাজ করে যাবো।' এটি ভুল। আপনার জন্য জরুরি হচ্ছে, মানুষের হৃদয় জয় করা, যাতে আপনি তাদেরকে দ্বীনে প্রবেশ করাতে পারেন..."
.
শাইখ আবু মুস'আব আশ-শামী

Vaiya

18 Jul, 10:07


জেগেই যখন উঠেছো বন্ধু, থেমে তোমরা যেওনা।
এখন সময় লড়াই করার,জিড়িয়ো না জিড়িয়ো না।

Vaiya

15 Jun, 09:27


আরাফার দিনের দু‘আঃ
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথাঃ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
[তিরমিজি, ৩৫৮৫]

Vaiya

27 May, 11:43


হে আল্লাহ, কিভাবে এই অশ্রুধারা থামতে পারে, এই হাঁসি না দেখে কিভাবে বাঁচতে পারি...

Vaiya

08 May, 19:11


বৃষ্টি ঝরে আঁধার প্রান্তরে ১.০ (reuploaded)

Vaiya

08 May, 10:39


শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল : এক নিরাপস চরিত্র। পড়ুন - https://tinyurl.com/3suc2rn7

Vaiya

04 May, 05:50


ভুলবো না তোমায় প্রিয়...