Vaiya @vaiyara Channel on Telegram

Vaiya

@vaiyara


ভাইয়াদের নিয়ে বাগানের সবুজ পাখি...

Vaiya (Bengali)

ভাইয়াদের নিয়ে বাগানের সবুজ পাখি... ভাইয়া নামের এই টেলিগ্রাম চ্যানেলটি একটি সামাজিক যোগাযোগ চ্যানেল, যেখানে ভাইয়ারা একসাথে সম্প্রেষণ করতে পারেন। এই চ্যানেলটি একসাথে এসে হেল্পকেন্দ্র, মনোরঞ্জন, সম্প্রেষণ এবং ফিডব্যাক সরাসরি পাওয়া যায়। ভাইয়াদের জন্য এই চ্যানেলটি একটি নির্দিষ্ট স্থান, যেখানে তারা একসাথে সময় কাটাতে পারেন এবং তাদের মধ্যে সামঞ্জস্য বাড়াতে পারেন। ভাইয়ারা এই চ্যানেলে তাদের প্রজন্মের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ও নতুন সম্পর্ক গড়তে পারেন, যা তাদের জীবনে আরও সাহায্য করতে পারে। ভাইয়ারা এই টেলিগ্রাম চ্যানেলটির সাথে জড়িত থাকে এবং তারা এই চ্যানেলটি একটি সফর হিসাবে দেখতে পাবেন, যা তাদের জীবনে নতুন দিক দেওয়ার সুযোগ দেয়।

Vaiya

09 Jan, 20:01


বর্তমান তুর্কি এবং ৮০'র দশকের পাকিস্তানের সাথে আমাদের যতই মতবিরোধ থাকুক, তারা একটা রিয়েল হেল্প করেছিল, কিন্তু বাংলাদেশের ইন্টালিজেন্সের কাছে আমরা ওইরকম হেল্প আশা করতে পারি না যে, তারা রোহিঙ্গা বিপ্লবীদের ইনফাইটিং বন্ধ করে, তাদের আসলে রিয়েল একটা স্বাধীনতার জন্য কাজ করবে - ইন্টালিজেন্স সাপোর্ট দিবে - কোন পক্ষের সাথে লিয়াজু করলে বেটার হবে, তাদের সাথে ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন করিয়ে দিবে - এগুলো আসলে তাদের কাপের চা-ই না। এদের এগুলো নিয়ে কোন দেনা-পাওনাই নেই। আপনাকে বাস্তবতাটা বুঝতে হবেই।

এবং তারা মুসলিম জনগণকেও তা করতে দিবে না। বরং কেউ সাহায্য করতে গেলে, তাদের মুক্তি সংগ্রামে রিয়েল কোনো চেইঞ্জ যেমন রোহিঙ্গাদের সত্যিকারের ট্রেইনআপ করতে - যেমন সিরিয়াতে আমরা দেখেছি যে, মু_জাহিদরা ড্রোন টেকনোলজি শিখেছে, হোম গ্রোন ড্রোন বানিয়েছে, যেগুলো অনেক ইফেক্টিভ - উদাহরণ সরূপ বললাম, এরকম ভাবে রোহিঙ্গাদের ট্রেইনআপ করে তাদের যোগ্য ফোর্স হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে, তারা তখন নিজেরাই বার্গেনিং করতে পারতো নিজেদের স্টেইকের জন্য।

কিন্তু...

#আরাকান
#রোহিঙ্গা

Brother Bearded Bengali

Vaiya

09 Jan, 20:01


আরাকানে তিনটা পক্ষ।

১। জান্তা সরকার।
২। রাখাইন আরাকান আর্মি।
৩। রোহিঙ্গা।


১ এবং ২ উভয়ই রোহিঙ্গাদের শত্রু। কিন্তু তারা আবার নিজেরা শত্রু। তাই এই দুই শত্রুর মধ্যে যেকোন একটার সাথে চুক্তি করে অপরটাকে শেষ করতে হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে কার সাথে মিত্রতা করবে, কার সাথে যুদ্ধ। আমাদের এখান থেকে লজিক বলে যে, জান্তা সরকারই তো সবচাইতে বেশী নিপিড়ন চালিয়েছে - কারণ তারা ক্ষমতায় ছিল। অন্যদিকে আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদের প্রতি সদয় না। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠিও রোহিঙ্গাদের নিপিড়ন করেছে। কিন্তু মাত্রা হিসাব করলে তাদেরটা জান্তা থেকে কম। এবং তারা বিজয়ী হয়ে গেলে, নতুন আরাকান রাষ্ট্র তাদের নিয়ন্ত্রণেই যাবে।

অর্থাৎ সহজ কথা হল যে, রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির সাথে মিত্রতা করে জান্তা সরকার থেকে আরাকান স্বাধীন করবে, তাই না? কিন্তু আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকে নাকি জান্তা সরকারের পক্ষে লড়াইয়ে নেমেছে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এই লোভে নাকি জান্তা সরকার যারা এদিনেরও নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি, তারা টিকে গেলে স্বীকৃতি দিবে। ওই দিকে আমরা শুনছি যে আরাকান আর্মি জান্তা সরকার থেকে আরাকান স্বাধীন করে ফেলছে। এখন তারা বিজয়ী হলে, রোহিঙ্গাদের কি হবে? তারা তো অলরেডি রোহিঙ্গাদের জান্তা সরকারের দালাল হিসেবে প্রচার করছে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আবার দুইটা গ্রুপ, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং খুনাখুনি করে।

১। RSO
২। ARSA

দুইটা গ্রুপেরই ইসলামের প্রতি আনুগত্য আছে, কারণ আসলে এই রকম গণহত্যার মুখে কালেমা ছাড়া যুদ্ধে টিকে থাকা পসিবল না। কিন্তু তারা বিজয়ী হলে সেই অর্থে আদর্শিক ইসলামপন্থার অনুসরণ করতে পারবে না, কারণ তাদের আপব্রিংগিংটা তেমন না।

এই দুইটার মধ্যে ARSA একটু বেশী ইসলামিক এই সেন্সে যে এটা জুনিয়র সংগঠন এবং এটা পুরোটা গেরিলা যোদ্ধাদের দল, তাদের পলেটিকাল বার্গেনিং উইং নেই। এবং তারা যে ঠিকমত গেরিলা যুদ্ধে পদ্ধতিও মেনে চলতে পারছে, তাও না।

RSO পুরাতন সংগঠন। অনেক সংগঠন মার্জ করেছে। এতে ইসলামিক এলিমেন্টও আছে। বিশেষ করে দুই পক্ষেরই সামরিক অংশটি ইসলামপন্থী। কিন্তু এদের পলিটিকাল অংশটাকে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর কাছে দেন দরবার করতে হয়। গেস হোয়াট, তারা এনজিও গুলোকে কাজ করার সুযোগ দিতে বলে, তারাও রাজি হয় - কারণ জনগণের তে সাপোর্ট দরকার। এনজিওর ইঁদুররা এসে বুঝতে তো পারছেনই তাদের যতরকম রকম এজেন্ডা আছে এগুলো পুশ করে, কিন্তু রোহিঙ্গাদের বাঁচানোর জন্য আসলে তেমন কিছুই করে না।

এই দুই সংগঠন একে অপরকে দালাল, এবং বিভিন্ন রকম সন্ত্রাস এবং মাদক চোরাচালানের অভিযোগ করে। বাস্তবতা বুঝতে হলে, এখানে আরো অনেক সুযোগ সন্ধানী পক্ষ আছে। অনেকেই বিপ্লবের ব্যাপারে সৎ না। পূর্বের রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বের মুসলিমদের থেকে যে ফান্ড এসেছে, সেগুলো কুচক্রীরা আত্মসাৎ করেছে। এসব নিয়ে কোন্দল হয়েছে। মু_জাহিদদের ইউস করা হয়েছে। অনেকে বার্ন আউট হয়েছে।

ট্রু ইসলামিক রিভাইভালের জন্য, সত্যিকারে ইফেক্টিভ স্ট্র্যাটিজির জন্য যে সাপোর্টটা পাওয়া দরকার - তারা সেটা পাচ্ছে না। তাই তারা কার সাথে মিত্রতা করে কাকে পারজিত করবে বুঝতে পারছে না। নিজেরা কিভাবে ঐক্য গড়ে, সত্যিকারের গেরিলা এবং প্রেশার পলিটিক্স করবে, সেটাও বুঝতে পারছে না। কিন্তু তারা সবার কাছেই অপর হয়ে পড়ছে।

এমনকি আমার নিজেরও মাঝে মাঝে তাদের অনেকের কাজ দেখে মনে হয় যে, এ কেমন আচরণ, এরা তো গন কেইস। কিন্তু আমাকে বুঝতে হবে যে, তারা কোন সিচুয়েশনে আছে। ওরকম নিষ্ঠুর সিচুয়েশনে ওরকম কর্কশ জীবন-যাপন ছাড়া সারভাইবাল কঠিন হয়ে যায়।

যদিও বর্তমানে এই দুইটি বড় দল মিলে আরো দুইটি ছোট দল ইসলামি মাহাজ এবং আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি মিলে ফোর ব্রাদার এ্যালায়েন্স গঠন করে, আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।

২০১৬ সালের পর থেকে বাংলাদেশের মুসলিমরা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য জান-মাল নিয়ে তাদের ক্যাম্পে গেছে। তাদের থাকার মত জায়গা করে দিয়েছে, মসজিদ-মাদ্রাসা বানাতে হেল্প করেছে - কিন্তু ধীরে ধীরে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন তাদের ক্যাম্প পুরোটাই এনজিও নিয়ন্ত্রিত। বাহিরে কেউ সহজে যেতে পারে না। এনজিওগুলো তাদের আরো বেশী ক্ষয় করে ফেলছে। আরাকান জয়েআর আগে আমাদের বাংলাদেশের মুসলিমদের আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প জয় করতে হবে - এনজিওদের থেকে। আমাদের বুদ্ধি, আমাদের ইন্টালিজেন্স তাদের দিতে হবে।

নতুবা দুই-চারজন কোন বলা নাই কওয়া নাই চ্যানেল পেয়ে হিজরত করতে গেলে নিশ্চিত থাকেন ৯০% কেইসে আপনি আয়না ঘরে যাচ্ছেন। ১০% যদি যেতেও পারেন, কার পক্ষে কেনো লড়ছেন, বুঝতেই পারবেন না। কারণ কোন কিছুই স্পষ্ট না। অনেক অলস এবং হিংসুক ব্যক্তি টিপ্পনি কেটে বলতে পারে যে, সারাদিন যারা জি_হাদ জি_হাদ করে, তারা আরাকানে যাচ্ছে না কেনো? ও আচ্ছা আরাকানে জি_হাদ কি শুধু ফেসবুকে যারা জি_হাদের পক্ষে বলে তাদের জন্যই ফরজ, সে সমালোচনা করছে তার জন্য মাফ হয়ে গিয়েছে? বড় তাজ্জাব ব্যাপার!

Vaiya

28 Dec, 18:57


আকাশের প্রতি ফোঁটা পানি দিয়ে গোসল করলেও আল্লাহর সামনে নাপাক অবস্থায় উঠবে !

Vaiya

17 Dec, 16:57


তারা হঠাৎ অনুভব করছে, অঢেল সম্পদের বিলাসী জীবনের আড়ালে আর নিরাপদ নয়, তাদের কারণে আপন মানুষ হারানো, নিঃস্ব হওয়া ভিক্টিমরা আর নীরব থাকবে না। তাদের রাতের শান্তির ঘুম হারাম। কে জানে, এই ঘটনা নতুন এক বিপ্লবের জন্ম দেয় কি না "ল্যান্ড অফ ড্রিম" এ!

- ভাইয়া মো: আসিফ উর রহমান

Vaiya

17 Dec, 16:57


আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সেবা ভয়াবহ ব্যয়বহুল। কেমন ব্যয়বহুল একটু উদাহরণ দেই। নরমাল ডাক্তার ভিজিট বাংলাদেশী টাকায় ১০-৩০ হাজার টাকা। কোন কারণে ইমার্জেন্সী রুমে নিতে হলে বিল আসবে দেড়-আড়াই লক্ষ টাকা।

হাসপাতালে থাকা লাগলে বিল ৫ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আসতে পারে। বাচ্চা হওয়ার সময় নরমাল ডেলেভারির খরচ পড়ে ১০-১৫ লক্ষ টাকা, সিজারিয়ান হলে বিল ৩০ লক্ষ টাকায় ঠেকতে পারে।

এপেন্ডিক্স রিমুভাল সার্জারির মত বেসিক সার্জারির বিল ৩০ লক্ষ টাকার উপর চলে আসে! তো এত ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যয় মানুষ বহন করে কীভাবে?
হেলথ ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে।

মানুষজন ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোতে প্রতিমাসে একটা এমাউন্টের টাকা জমা দেয়, যাকে বলে "প্রিমিয়াম"। যখন কারো চিকিৎসা বিল দেওয়া লাগে, তখন সে ইনস্যুরেন্স ক্লেইম করতে পারে।

তাও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো যে পুরো ব্যয় বহন করে তাও না। শুরুতে ক্লায়েন্টকে ব্যয়ের একটা অংশ নিজেরই বহন করতে হয়। তারপর ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি টোটাল খরচের একটা অংশ দেয়।

এখন, এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বড় হলো UnitedHealth Group. প্রায় সাড়ে চার কোটির বেশি মানুষ এই কোম্পানি থেকে হেলথ ইন্স্যুরেন্স নেয়। তাদের টোটাল রেভনিউ হলো ৩৭১ বিলিয়ন ডলারের উপরে আর গতবছর তাদের ইনকাম ছিলো প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি!

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এরা এত টাকা ইনকাম করে কীভাবে! এই ইউনাইটেড হেলথকেয়ার ক্লায়েন্টদের ক্লেইম রিজেক্ট করার জন্য কুখ্যাত।

তাদের ক্লেইম রিজেক্ট করার হার ৩২% যা ইন্ড্রাস্ট্রি এভারেজের প্রায় ডাবল! মানে, মাসের পর মাস মানুষ এই কোম্পানিতে প্রিমিয়াম হিসেবে টাকা দিয়ে যায়, আর যখন তাদের জীবন-মরণ অবস্থায় চিকিৎসার দরকার হয়, তখন নানা রকম ছুতো দেখিয়ে এই কোম্পানি তাদের ইন্স্যুরেন্সের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়!

তাদের এই অস্বাভাবিক লাভের পাহাড় মূলত লক্ষ লক্ষ মানুষের কান্না-মৃত্যুর উপর দিয়ে হয়!
শুধু তাই না, কে টাকা পাবে আর কে পাবে না, সেটা তারা একটা AI দিয়ে নির্ধারণ করে। সেই AI এর সিদ্ধান্ত বিভিন্ন পরীক্ষায় ৯০% ভুল প্রমাণিত হবার পরও তারা সেটা ইউজ করা থামায় নাই।

এমন বহু ঘটনা আছে যেখানে তারা মারাত্মক অসুস্থ রোগীর চিকিৎসার মাঝপথে টাকা দেওয়া অফ করে দিয়েছে, রোগী মারা গেছে। তাদের নামে এত এত কন্ট্রভার্সি আর মামলা সেটার লিস্ট পড়তে গেলেও যে কেউ হাঁপিয়ে যাবে।

সম্প্রতি এই ইউনাইটেড হেলথ এর CEO ব্রায়ান থম্পসনকে নিউ ইয়র্কে এক হোটেলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে ঠান্ডা মাথায় গু/লি করে খুন করা হয়েছে। ঐ হোটেলে সেই সময় কোম্পানির ইনভেস্টরদের মিটিং হচ্ছিলো।

গু/লির খোসায় তিনটা শব্দ লেখা ছিলো "Deny" "Delay" আর "Depose" শব্দগুলো, যে পদ্ধতিতে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের চিকিৎসার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এই হ*কাণ্ডের পর একটা মজার ব্যাপার ঘটেছে। একদিকে রাজনীতিবিদ, অন্যান্য কোম্পানির CEO রা গভীর শোক প্রকাশ করছে আর নিন্দাপ্রকাশ করছে, আর উল্টোদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ যতভাবে পারা যায় এই ঘটনা নিয়ে হাস্যরস করছে, মিম বানাচ্ছে, মজা নিচ্ছে।

ব্রায়ানের মৃত্যু রিলেটেড প্রতিটা খবরের নিচে “I’m sorry, prior authorization is required for thoughts and prayers,” “Does he have a history of shootings? Denied coverage,” এই ধরণের কমেন্ট করছে, তালির ইমোজি দিচ্ছে, হাসির রিয়েক্ট দিচ্ছে।

মিম পেইজগুলোতো মাথা খারাপ অবস্থা, এই ঘটনা নিয়ে বিদেশী মিম পেইজ, 9gag এর মত সাইটগুলো মিমের বন্যা ভাসায় দিচ্ছে। কোথাও ঐ CEO এর জন্য এক ফোঁটা সমবেদনা নাই।

মানুষের এই রিয়েকশন অবশ্য অভাবনীয় না। প্রতি বছর আমেরিকায় গড়ে ৬৮০০০ মানুষ কেবল মাত্র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর নানা নিয়ম নীতির অজুহাতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিনা চিকিৎসায় মারা যায় আর এই ব্রায়ান থম্পসনের মত CEO রা ১০-১৫ মিলিয়ন ডলার বোনাস পায় পুরস্কার হিসেবে!

এদিকে এই ঘটনায় দায়ী সন্দেহে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, Luigi Mangione, সে রাতারাতি ইন্টারনেট সেনশনে পরিণত হয়েছে। তার নামে অসংখ্য আইডি খোলা হচ্ছে, মানুষ তাকে প্রশংসায় ভাসায় দিচ্ছে, তাকে হিরো বানানো হচ্ছে।

কিছুদিন আগের নির্বাচনের পর থেকে বিভক্ত হয়ে পড়া আমেরিকার মানুষজনের দলমত নির্বেশেষ কোন বিষয়ে এমন একাত্মতা দেখানোর নিদর্শন অচিন্তনীয় ছিলো।

কিন্তু এই একটা মৃত্যু পুরো আমেরিকার মানুষজনকে একত্রিত করেছে, সমাজের হাতেগোণা কিছু এলিট আর অতি সুশীল বাদে কেউ সেই সিইও এর জন্য সমবেদনা জানাচ্ছে না উলটো দুর্নীতিতে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্রের হেলথকেয়ার সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন উঠাচ্ছে নতুন করে।

আর সবেচেয়ে বড় যে ম্যাসেজটা গেছে, মানুষের চোখের পানি আর রক্ত চুষে সম্পদের পাহাড় গড়া কোম্পানির সিইওদের কাছে।

Vaiya

11 Dec, 01:21


বিজয়, আত্মত্যাগ আর সুবিধাবাদের গল্প
.
কল্পনা করুন, বিশাল প্রাসাদে বন্দী একদল মানুষ। বের হবার দরজা কেবল একটা। সে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। দরজা খুলতে চাবি লাগবে। প্রাসাদের ভেতরের এক পাশের দেয়ালে দশটা গর্ত। যেকোনো একটায় আছে দরজার চাবি। কোন গর্তে চাবি আছে সেটা কেউ জানে না। হিসেব খুব সহজ তাই না? গর্তগুলো খুঁজে খুঁজে চাবিটা খুঁজে বের করে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়।
.
হ্যাঁ, হিসেব সোজা। তবে একটা জটিলতা আছে। দশটা গর্তের একটার মধ্যে তো চাবি, কিন্তু বাকি নয়টার মধ্যে আছে বিষাক্ত কালকেউটে সাপ।
.
সহজ সমীকরণের এ জটিলতার কারণেই বুঝি কেউ সাহস করে আগাচ্ছে না। সবাই বসে আছে নিষ্ক্রিয় হয়ে। কেউ কেউ প্রাসাদের তুলনামূলক আরামদায়ক কোনো কোণা বেছে নিয়ে শুরু করে দিয়েছে বিছানাপাতি গোছানো। বন্দীত্বকেই যেন নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে সবাই।
.
শেষমেশ একজন উঠে দাঁড়াল। চোখে ইস্পাতের দৃঢ়তা। আত্মবিশ্বাসী পায়ে হেঁটে গেল গর্তগুলোর কাছে। একটা গর্ত বেছে নিয়ে ভাবলেশহীন মুখে হাত ঢুকিয়ে দিল...সাপ ছোবল দিল। মানুষটা মারা গেল প্রায় সাথে সাথে।
.
উঠে দাঁড়াল আরও একজন। হাতে একটুকরো কাপড় পেঁচিয়ে নিল সতর্কতা স্বরূপ। সযত্নে এড়িয়ে গেল প্রথমজনের বাছাই করা গর্তটা। তারপর বাকি ৯টা থেকে বেছে নিল একটা গর্ত।
হাতের ওই টুকরো কাপড়ে তেমন একটা লাভ হলো না।
দ্বিতীয়জনও মারা পড়ল সাপের কামড়ে।
.
উঠে দাঁড়াল তৃতীয় আরেকজন। তারপর চতুর্থ, তারপর পঞ্চম। প্রত্যেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করল সাপের ছোবল থেকে হাত বাঁচানোর। কিন্তু একে একে মারা পড়ল সবাই।
.
পুরো সময়টা জুড়ে অধিকাংশ মানুষ বসে থাকল নিষ্ক্রিয় দর্শক হয়ে। সবার মুক্তির জন্য ওরা যখন একে একে মারা যাচ্ছিল, সেই সময়টা নিষ্ক্রিয় দর্শকরা কাটাচ্ছিল ঠাট্টা আর সমালোচনায়। কেউ ঠাট্টা করল, কেউ গাল দিল বোকা, গাধা, নির্বোধ, আবেগী আর জযবাতি বলে। ‘আর যাই হোক চাবি খোঁজার চেষ্টায় বেঘোরে প্রাণ দিতে হচ্ছে না’, এ তৃপ্তি নিয়ে হাসি হাসি মুখ করে বসে রইল বাকিরা।
.
একে একে মারা পড়ল নয় জন।
গর্ত বাকি একটা।
.
হাত বাড়িয়ে শেষ গর্তটা থেকে চাবিটা বের করে আনল দশম জন। ধীর নিশ্চিন্ত পায়ে হেঁটে গিয়ে খুলে দিল প্রাসাদের দরজা। এতক্ষণের নিষ্ক্রিয় দর্শক আর সমালোচকরা তখন আনন্দে আত্মহারা। চারপাশে জড়ো হয়ে কান ফাটানো শব্দে হাততালি দিচ্ছে সবাই। কেউ আবেগে কাঁদছে। হাতে চাবি ধরা মানুষটাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে প্রশংসার বন্যায়...
এবার কল্পনার রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন।
.
আপনার জন্য একটা প্রশ্ন আছে।
বলুন তো এ মুক্তি, এ বিজয় আসলে কে আনল?
এ বিজয় কি দশম ব্যক্তির অবদান? নাকি আগের নয় জনের অবদান আরও বেশি? সবার আগে যে মানুষটা উঠে দাঁড়িয়েছিল, নিঃশঙ্কচিত্তে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল সাপের গর্তে, যারা তাঁর পর এসেছিল, তাদের তুলনায় তাঁর অবদান কি বেশি না?
.
আমাদের কল্পনার প্রাসাদের বন্দী মানুষগুলোর মতোই মুসলিম উম্মাহও আজ বন্দীত্বের সময় পার করছে। সত্যিকার অর্থে পরাজিত তো সে, ঝুঁকি নেয়ার চেয়ে বন্দী হয়ে জীবন কাটিয়ে দেয়া যার পছন্দনীয়। যে সাপের কামড়ের ভয়ে মুক্তির চেষ্টাই করে না।
.
কিন্তু যারা নিঃসংকোচে, নির্ভীক চিত্তে উঠে দাঁড়ায়। সব প্রতিকূলতা আর ঝুঁকি সত্ত্বেও মুক্তির জন্য, বিজয়ের জন্য যারা চেষ্টা চালায়। যারা বিজয় দেখে যেতে পারবে না জেনেও বিজয়ের জন্য আল্লাহ আযযা ওয়া জাল-এর রাস্তায় জানমাল সম্পদ উজাড় করে দেয়, তারাই হলো গৌরবের উত্তরসূরি। তাঁরাই উম্মাহর অগ্রবর্তী বাহিনী।
.
আপনিও এ বাহিনীর সদস্য হতে পারবেন। তবে দুটো শর্ত আছে,
.
১। এমন কোনো গর্তে হাত দিতে পারবেন না, শরীয়াহ এবং ইতিহাসের শিক্ষা যেগুলোর ব্যাপারে দেখিয়ে দিয়েছে যে সেখানে চাবি নেই।
.
২। যারা আপনার আগে গেছেন এবং ছোবল খেয়েছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে। তাঁরা যেখানে শেষ করেছেন শুরু করতে হবে সেখান থেকে। তাঁদের ভুলগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। তাঁদের অভিজ্ঞতা গভীরভাবে অধ্যয়ন না করে শুধু সাহস, বীরত্ব ও উত্তম নিয়্যাত নিয়ে এগোলো হবে না। তা না হলে আপনি আবারও ওই গর্তেই দংশিত হবেন যে গর্ত থেকে এর আগে আপনার ভাই ছোবল খেয়েছেন। আর মুমিন এক গর্ত থেকে দুইবার দংশিত হয় না।
.
যদি এ দুই শর্ত মেনে এগিয়ে যান, তাহলে নিশ্চিত থাকুন, বিজয় আমাদের হবেই। যেখানে ঈমান আছে, সেখানে হতাশার কোনো সুযোগ নেই।
.
উস্তাদ ইয়াদ আল কুনাইবি হাফিযাহুল্লাহ

Vaiya

08 Dec, 06:44


আজ আহলুসসুন্নাহর ঈদের দিন। বানু উমাইয়্যাহর সময় দিমাশক ছিল আহলুসসুন্নাহর ঘাঁটি, আল্লাহ আবারও দিমাশকে আহলুসসুন্নাহর ঘাঁটি বানিয়ে দিন। সিরিয়াতে ইসলামী ইমারাহ কায়েম করে দিন। সিরিয়াতে ইসলামী ইমারাহ হবে আল-কুদসের মুক্তির প্রথম ধাপ, বিইযনিল্লাহ।
.
আমরা স্মরণ করি সব শহীদদের, সব বন্দীদের, সব নির্যাতিত মা-বোনেদের। আল্লাহ তাঁদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

-ভাই Asif Adnan

Vaiya

08 Dec, 02:06


দামেস্কে প্রবেশ করা শুরু হয়েছে। মূল শহরের আগে মফস্বল অঞ্চলে আছে এখন এইচটিএস। আজকে দিনে দিনেই আশা করছি চূড়ান্ত বিজয় কেতন উড়বে বিইযনিল্লাহ।

Vaiya

05 Dec, 18:08


যুদ্ধ অনেকেই করবে, প্রাণও দেবে অনেকে। কিন্তু তাওহিদ ও শরিয়াতের জন্য নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দেয়াই কামিয়াবি। এটাই সফলতা। চূড়ান্ত মুক্তি ও স্বাধীনতা।
.
'আর এটিই মহাসাফল্য।' [সুরা আত-তাওবাহ, ৯ : ১১১]

Vaiya

04 Dec, 13:02


❝জিহাদ সেই মাদরাসা, যেখানে উম্মাতের বিস্তৃত ভিত রচিত হয় এবং দ্বীন যে শক্তিশালী বাঁধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা আরও সুদৃঢ় হয়।❞
__
শাইখ আসিম আল-বারকাওয়ি
[ সূত্র : হাযিহি আকিদাতুনা, বাংলা সংস্করণ, পৃষ্ঠা : ৮৪ ]

Vaiya

03 Dec, 05:34


ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ এর কাছে একবার এক ব্যক্তি সাক্ষাতে এসে বলল, 'আমাকে কিছু নসিহাহ করুন।'

তিনি বললেন, 'যদি তুমি বিশ্বাস করো যে, আল্লাহই তোমার রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাহলে রিযিকের জন্য এতো দুশ্চিন্তা কীসের?

যদি জাহান্নাম সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এখানে এই দুনিয়ায় আত্মতৃপ্ত কেন?

যদি হিসাব-নিকাশ সত্যই হয়, তাহলে সম্পদ সঞ্চয়ের এতো প্রবণতা কেন?

যদি সবকিছু আল্লাহ সুবাহানা ওয়াতাআ'লার পক্ষ থেকে কাযা ও কাদরের কারণেই হয় তাহলে এতো ভয় আর শঙ্কা কেন?

যদি মুনকার-নাকিরের সুওয়াল-জাওয়াব সত্যই হয় তাহলে এতো ভাব আর অন্যের প্রতি টান কেন?'

এরপর লোকটি ইমাম আহমাদের কাছ থেকে বের হয়ে গেল এবং মনে মনে শপথ করল, সে সবসময় আল্লাহর কাযা ও কাদরের ওপর সন্তুষ্ট থাকবে।
.
.
শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ
সভ্যতা বিনির্মাণে আকিদাহ, প্রথম অধ্যায়, পৃষ্ঠা ৪৫.

Vaiya

02 Dec, 18:41


নিছক মাটি রক্ষার যুদ্ধ মুসলিমরা করে না। মুসলিমরা লড়ে তাওহিদ ও শরিয়াহর জন্য। আক্রান্ত হলে আল্লাহর রাহে এ যুদ্ধ নিয়ে যাব দিল্লি থেকে আকসা পর্যন্ত, ইনশাআল্লাহ।

-- তাইব ভাই

Vaiya

26 Nov, 14:03


এটি প্রসিদ্ধ বিষয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঐ কুফফারের মাথা থেঁতলে দিয়েছিলেন ঠিক যেমন সে ঐ অল্প বয়স্ক বালিকার মাথা থেঁতলে দিয়েছিল, এই কারণে সবচেয়ে সঠিক মত হলো, কোন অপরাধীর সাথে ঠিক তেমন ব্যবহার করতে হবে যেমনটা সে তার ভুক্তভুগির সাথে করেছে, তাই তাকে জ্বালানো হবে ঠিক যেমন করে সে তার ভুক্তভুগিকে জ্বালিয়েছে। তাকে উচু জায়গা থেকে নিক্ষেপ করা হবে, যেমনটি সে করেছে। এবং তার শ্বাসরোধ করা হবে যেমনটা সে নিজে করেছে। কারণ তাই হলো ইনসাফের কাছাকাছি এবং প্রাপ্য শাস্তি প্রদান ও প্রতিশোধ গ্রহণের সর্বোত্তম পন্থা। এর মাধ্যমে যারা এমন কাজ ভবিষ্যতে করতে চায় তাদের ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরত করা যায়।

— ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহিমাহুল্লাহ)
[তাহযিবুস সুনান]

কৃতজ্ঞতা - Ummah Central - উম্মাহ সেন্ট্রাল

Vaiya

16 Nov, 23:55


দিনের প্রথম সিদ্ধান্ত যদি ফজর কে ঘিরে না হয়, তাহলে দিনের বাকি সিদ্ধান্তগুলো প্রায় মূল্যহীন। শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে বসে আছি।

- শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

Vaiya

23 Oct, 04:43


আগুনের ফুলকিরা
এসো জড়ো হই
দাবানল জ্বালবার মন্ত্রে
বজ্রের আক্রোশে আঘাত হানি
মানুষের মনগড়া তন্ত্রে ॥

এসো বন্যার খরতেজ মাড়িয়ে
এসো উল্কার ক্ষিপ্রতা ছাড়িয়ে
নির্দয় নির্মম আঘাত হানি
তাগুতের সব ষড়যন্ত্রে ॥
.
তৌহিদী বিপ্লব দিকে দিকে
আনো আজ
শান্তির সয়লাব বুকে বুকে
দানো আজ ॥

এসো সত্যের সূর্যটা উদিয়ে
এসো জিহাদের সঙ্গীন উঁচিয়ে
প্রলয়ের হুংকারে ধ্বংস আনি
বাতিলের সব ষড়যন্ত্রে ॥

~মতিউর রহমান মল্লিক

Vaiya

19 Oct, 17:38


শায়খুল হাদিস মুফতি আবু ইমরান হাফিজাহুল্লাহ'র অডিও লেকচার এবং কিছু পুস্তিকার একটি সমৃদ্ধ আর্কাইভ - t.me/mufti_abu_imran

আল্লাহপাক আমাদেরকে শায়েখের আলোচনা থেকে উপকৃত হবার তাওফিক দান করুক। সার্বিকভাবে খেদমতের সাথে জড়িত সবাইকে দোজাহানে আফিয়ত দিক, বারাকাহ দিক।

Vaiya

04 Oct, 19:55


Let's normalize the flag of Kalima...

তেরা মেরা রিশতা ক্যায়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ☝️

Vaiya

18 Sep, 10:31


উম্মাহর কত যুবক আবেগবশত কিছু একটা করে নিজেদের সময় নষ্ট করেছে এবং গোটা জীবনে বারবার ব্যর্থতার গ্লানি তাদের সইতে হয়েছে।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—
لَا حَلِيمَ إِلَّا ذُو عَثْرَةٍ، وَلَا حَكِيمَ إِلَّا ذُو تَجْرِبَةٍ
“পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই সহনশীল ও ধৈর্যশীল হয় এবং অভিজ্ঞতা ছাড়া বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান হওয়া যায় না।”
.
–শাইখ আবু আসিম হাইয়ান হাফিযাহুল্লাহ
.
“যুবকদের উচিত, তারা নিজেরা বাস্তবতা সম্পর্কে জানবে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আশ্বস্ত থাকবে। এটা প্রত্যেকেরই অধিকার এবং মর্যাদার বিষয়। শরীয়তের এই ফরয দায়িত্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিধা সৃষ্টিকারী ও বিরোধী লোকদের কথায় কর্ণপাত করা উচিত নয়।
.
কত লোক এমন রয়েছে; যারা অল্প কিছু লোকের অজ্ঞতা ও দ্বীনি জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে এমন অনেক বিপ্লবী জামাআতের সঙ্গত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা তীব্র ছিলো সংগ্রামে লিপ্ত। তাদের অজুহাত এই ছিলো যে, এ জামাআতের অবস্থা যদি এমন হয়, তবে অন্য জামাআতগুলোর অবস্থা অনুরূপ হবে বৈ কি।
.
অথচ প্রতিটি মুসলমানের দায়িত্ব হলো সত্যকে সত্য বলে জানবে এবং নিজের উপর অর্পিত ফরয দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবে। সে দায়িত্ব পালনের জন্য কাজ করবে, অতঃপর সে পথে ধৈর্যধারণ করবে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা রাখবে।
.
প্রত্যেক মুসলিমের জেনে রাখা উচিত, তাকে বিপদের মুখে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। সে তো দরিদ্র, নগণ্য বান্দার মতো। আগামীকালই তার মৃত্যু আসন্ন এবং তার সামনে কাজের যে সুযোগ ছিলো, তা শেষ হয়ে যেতে চলেছে। তাই তাকে চেষ্টা করতে হবে, সে যেনো আল্লাহর দল এবং তার বন্ধুদের কাতারে শামিল হতে পারে।
.
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ
অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো। ” (সূরা আত তাওবা: ১১৯)
.
–শাইখ আতিয়্যাতুল্লাহ রহিমাহুল্লাহ
_
অতএব, মানহাজ, বাস্তবতার বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা না জেনে- স্রেফ পরিভাষা, ব্যানার বা চেহারা দেখেই তড়িৎ গতিতে কোনো সুনির্দিষ্ট সংগঠন বা গোষ্ঠীর তরে জীবন-যৌবন ক্ষয় করা- শরিয়াহ ও আকলের দাবীকে প্রত্যাখ্যানেরই নামান্তর।
এবং, উপযুক্ত ক্ষেত্রে অবশ্যই স্থবিরতা পরিত্যাগ করে, সম্ভাব্য আসবাব নিয়েই কাজে নেমে যাওয়া উচিৎ।
আল্লাহ তা আলা তাওফিক দেন।

Vaiya

27 Aug, 16:45


আমার জান্নাত আমার হৃদয়ে ...

Vaiya

20 Aug, 08:09


জান্নাতের সুবাস তাদের নিকট পৃথিবীতে হাজার বছর আয়ু প্রাপ্তির থেকেও বেশি প্রিয়। কেবল জান্নাতের সুউচ্চ আসনই তাদের যথাযথ মর্যাদা নির্ধারণ করতে সক্ষম। অতএব, তারা লাঞ্ছনার থেকে পবিত্র হয়েছে কুফরের সাথে আপোস না করে স্বীয় রবের আনুগত্যের মাঝে শেষ নিশ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে।

Presence: At Taqdim
Lyrics: Maher Muhajir Al Hadrami
Vocal: Hujaifha
Channel: https://t.me/yousuf_sabit

Vaiya

17 Aug, 19:19


ইসলাম কোনো ব্যুফে না। কিছু নেবেন, কিছু ফেলে দেবেন, এই অপশান আল্লাহ আমাদের দেননি।
.
আকীদাহর ক্ষেত্রে ইসলামকে মানা অপরিহার্য, না মানলে জাহান্নাম। তেমনিভাবে শাসনের ক্ষেত্রেও আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেই শরীয়াহকেই গ্রহণ করতে হবে। এটা অপশানাল না। এখানে ইচ্ছেমতো মানুষের বানানো তন্ত্রমন্ত্র বেছে নেয়ার অধিকার আল্লাহ মাখলুককে দেননি।
.
আসমানেও রাজত্ব আল্লাহর, যমীনেও রাজত্ব আল্লাহর। তিনিই মালিকুল মুলক। ইসলামী আকীদাহর বদলে অন্য কোন আকীদাহকে গ্রহণ করার পর কেউ মুসলিম থাকতে পারে না। একইভাবে জেনেবুঝে, স্বেচ্ছায়, স্বাধীনভাবে ইসলামী শরীয়াহর বদলে গাইরুল্লাহর শাসনকে প্রেফার করা কুফর।
.
আল্লাহ তার দ্বীনকে বিজয়ী করবেন। কিন্তু তিনি সেই বিজয় মালাইকাদের দেবেন না। মানুষকে দেবেন। আমরা সেই রকম মানুষ বানাতে পারিনি। সেই রকম দাওয়াহ ও আন্দোলন গড়ে তুলিনি। নিজেদের ক্ষুদ্র একটা বলয়ের বাইরে বাকি ক্বওমকে উপেক্ষা করে গেছি ক্রমাগত।
.
এ ভূখন্ডে শরীয়াহ শাসনের আওয়াজ এবং তাগুতী শাসনের বাস্তবতাকে স্পষ্ট করা হয়নি। আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় ও নুসরতের যে রিকোয়ারমেন্ট আছে, আমরা সেটা এখনো পূরণ করতে পারিনি। সেই অর্থে চেষ্টাও করিনি। শরীয়াহ শাসনের আন্দোলনকে আমরা একটা ভায়াবল অপশান হিসেবে সামনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। একটা দীর্ঘ পথের একদম শুরুর দিকে আছি আমরা।
.
তাই স্বভাবতই ক্ষমতা এক জাহেলি রিজিমের কাছ থেকে আরেক রিজিমের কাছে গেছে। যুলুমসহ নানা দিক থেকে এই দুই রিজিমের মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু এই পার্থক্য মাত্রার। মৌলিক বিচারে দুটোই গাইরুল্লাহর শাসন, দুটোই জাহেলিয়াত।
.
যতোদিন আমরা ইসলামী শাসনের আন্দোলনকে একটা ভায়াবল অপশান হিসেবে সামনে আনতে পারবো না, ততোদিন এক জাহেলিয়াত থেকে আরেক জাহেলিয়াতের মধ্যে আমরা ঘুরপাক খাবো। এটা ব্রুট ফ্যাক্ট। হাহুতাশ, হাহাকার কিংবা ক্রোধের কারণে এ বাস্তবতা বদলাবে না।
.
অ্যামেরিকা সমর্থিত সেক্যুলার সরকার শরীয়াহ কায়েম করবে না। দীর্ঘ সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও আন্দোলন ছাড়া রাতারাতি ইসলামী শরীয়াহর শাসন কায়েম হবে না। শরীয়াহর শাসন স্রেফ মুখে দাবি করার বিষয় না। রক্ত, লাশ আর খুলি দিয়ে কেনার মতো সম্পদ।
.
এ সব কথাই নিজ নিজ জায়গায় সঠিক। তবে এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিয়ে আগামীর করনীয় নির্ধারণ করা এক জিনিস, আর 'শরীয়াহ চাই না সেক্যুলার শাসন চাই', বলা একেবারে আলাদা একটা ব্যাপার।
.
প্রথমটা বাস্তবতার আলোকে মুমিনের দায়িত্ব। পরেরটা আল্লাহর দ্বীনের বদলে অন্য দ্বীনকে বেছে নেয়া। এই ডিস্টিংশানটা সবার স্পষ্ট ভাবে বোঝা উচিত।
.
আল্লাহ জাল্লা ওয়া 'আলা বলেছেন,
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ
.
তবে কি তারা জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? [ সূরা আল-মায়'ইদা, ৫০]
Vaiya - Asif Adnan

Vaiya

11 Aug, 14:09


❝ এটা আল্লাহর তরফ থেকে একটি হিকমাহ যে, তিনি জালিমদেরকে তাদের জুলুম বৃদ্ধি করার সুযোগ দেন, যেনো তিনি নির্মমভাবে তাদের পতন ঘটাতে করতে পারেন !

— শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল [হাফিজাহুল্লাহ]
.
Ummah Central - উম্মাহ সেন্ট্রাল

Vaiya

31 Jul, 05:28


শাইখ আসিম আল-হাকিমকে একজন প্রশ্ন করেছেন, পবিত্র ভূমিতে আজ ৯ মাস ধরে যে গণহ৩্যা হচ্ছে এব্যাপারে আলিমরা কী করেছেন? বা করছেন? জবাবে আসিম আল-হাকিম বলেছেন- আপনি কী করেছেন? আপনি যা করছেন আলিমরাও সেটাই করছেন।
.
এই যুক্তিটা আজকাল অনেক শোনা যায়। আমাদের দেশেও শোনা যায়। আপনি কী করেছেন? আপনি যা করেছেন আলেমরাও তা করেছেন। শাইখ আসিম আল-হাকিমের এই উত্তর এবং আমাদের দেশেও যারা এধরনের কথা বলেন – তাদের অবস্থান সঠিক না। কেন সঠিক না বলছি-
.
১। কুরআনে আহলুল ইলমের সম্মান, ও মর্যাদার ব্যাপারে যতো আয়াত আছে তার সবগুলো এই অবস্থানের বিরুদ্ধে দলীল। আহলুল ইলমের সম্মান ও মর্যাদা যেমন আছে, তেমনি তাদের দায়িত্বও আছে।
.
সন্তানের দায়িত্ব আর পিতার দায়িত্ব সমান হয় না। ছাত্রের দায়িত্ব আর শিক্ষকের দায়িত্ব সমান না। তেমনিভাবে একজন সাধারণ মুসলিম আর একজন আলিমের দায়িত্ব সমান না। তাদের অবস্থান এক না। সমান না বলেই আলিমরা বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।
.
মানুষ দিকনির্দেশনার জন্য আলিমদের কাছে যাবে, এটা সাধারণ মানুষের দায়িত্ব। আর আলিমদের দায়িত্ব হল তারা সাধারণ মানুষকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিবেন। একজন দা’ঈ ইলাল্লাহ এর সাথে সাধারণ একজন মুসলিমের তুলনা হয় না। সেখানে আলিমের দায়িত্ব তো আরও অনেক বেশি।
.
২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিসে এসেছে আলিমগণ নবীদের ওয়ারিশ। আর আম্বিয়াদের (আলাইহিমুসসালাম) এর দায়িত্ব ছিল হক আর বাতিলে পার্থক্য স্পষ্ট করে দেয়া। হক্বের পক্ষে শক্ত অবস্থান নেয়া। আল ওয়ালা ওয়াল বারা-র শিক্ষা বাস্তবায়ন করা।
.
সব আম্বিয়া লড়াই করেননি। কিন্তু সব আম্বিয়া বাতিলের বিরুদ্ধে বলেছেন, বাতিলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। কাজেই নবীদের ওয়ারিশ হিসেবে এই দায়িত্ব আলিমদের ওপরও পরে। সাধারণ মুসলিমের অবস্থানের সাথে এখানে আলিমদের অবস্থানের তুলনা হয় না।
.
৩। আমাদের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে বারবার আলিমগণ সত্যের পক্ষে ও অন্যায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাতিলের বিরুদ্ধে বলার কারণে তাঁরা নির্যাতি হয়েছেন, বন্দী হয়েছেন। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ইমাম আবু হানিফা কখনো বলেননি, "তুমি কী করসো? তুমি যা করসো আমিও তাই করতেসি।"
.
মিহনাহ-র সময় ইমাম আহমাদ অজুহাত দেননি যে, সবাই যা করছে, আমিও তাই করি। বরং তিনি প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করে হক্বের ওপর অটল থেকেছেন। কাজেই আমাদের আইম্মায়ে কেরাম এর ইতিহাস থেকেও এটা প্রমাণিত যে তাঁরা কখনোই আলিমদের দায়িত্ব আর সাধারণ মুসলিমদের দায়িত্বকে এক পাল্লায় মাপেননি।
.
৪। আলিমদের অনেকে কমিউনিটি লিডার। তাদের কথা অনেক মানুষ শোনে, মানে। একজন সাধারণ মুসলিমের এই প্রভাব নেই। কাজেই দু’জনের দায়িত্ব, ভূমিকা, অবস্থান এক হবার সুযোগ নেই।
.
বিশেষ করে বাংলাদেশে, অনেক আলিম রাজনীতি করেন। তাদের রাজনৈতিক দল আছে। যারা রাজনীতি করেন না, তাদের বড়-মাঝারি বিভিন্ন জামাআহ এবং/অথবা সংগঠন আছে। একজন সাধারণ মুসলিমের এগুলো নেই।
.
একজন রাজনীতিবিদকে বিভিন্ন বিষয় মেনে নিতে হয়। যেহেতু সে সমাজের নেতার ভূমিকা নিয়েছে তাই তাকে অনেক কথা বলতে হয়। অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। সেক্যুলার রাজনীতি করা নেতারাও বোঝে যে রাজনীতি করলে জেলে যেতে হয়। একজন নেতার দায়িত্ব কখনো অনুসারীর সমান হয় না। কাজেই এই দিক থেকেও আলিমদের সাথে সাধারণের তুলনা অযৌক্তিক।
.
৫। এটা একটা লজিকাল ফ্যালাসি। আরেকজন কী করলো বা না করলো, তা দিয়ে আপনার দায়িত্ব বদলাবে না। যদি কারো ওপর কোন দায়িত্ব থাকে, তাহলে তাকে সেটা আদায় করতে হবে। অন্যরা কে কী করলো বা না করলো, তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
.
৬। শাইখ আসিম আল-হাকিমকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে, সেই ঘটনা বলুন কিংবা আমাদের বর্তমান অবস্থা বলুন - দুই ক্ষেত্রেই আলিম বলে পরিচিত অনেক মানুষ মাযলুমের পক্ষে তো বলেনইনি বরং ইনিয়েবিনিয়ে বা সরাসরি যালিমের পক্ষে কথা বলেছেন। অথবা যালিম ও মাযলুম সমান করে দেখিয়েছেন। সাধারণ মানুষ আর যাই করুক, অন্তত এই ধরনের দালালি করেনি।
.
.
আসলে ‘আপনি কী করছেন?” – এটা একটা কোপিং মেকানিসম। এর বেশি কিছু না। সাধারন বিচারবুদ্ধি এবং শরীয়াহ, কোন দিক থেকেই এটা যৌক্তিক অবস্থান না।
.
এছাড়া এই অবস্থানের কিছু ফ্লিপ সাইডও আছে। অর্থাৎ সাধারণদের সাথে আলিমদের তুলনা টেনে অজুহাত দেয়ার কিছু ফলাফলও আছে, সেগুলো মনে হয় অনেকেই খেয়াল করেন না। সংক্ষেপে কয়েকটা বলি –
.
.
১। যদি ‘আপনি যা করসেন, আলিমরাই তাই করতেসেন’ – এই যুক্তি মেনে নিই, তাহলে আলিমদের সামাজিকভাবে আর দশজন মানুষের মতোই দেখতে হবে। ঐভাবেই তাদের সাথে আচরণ করা হবে। এটা ইসলামের জায়গা থেকে সঠিক না।
.
২। আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে তাদের অবস্থান ও বক্তব্য আমার-আপনার অবস্থানের মতোই দেখতে হবে। এসব ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম –এর কাছে দিকনির্দেশনা চাওয়া কিংবা তাদের অনুসরণের প্রশ্ন আসবে না।
.

Vaiya

31 Jul, 05:28


৩। অনেকে একটা কথা বলেন, ‘২০১৩ সালে আলিমদের সাথে যখন অমুকতমুক হয়েছে তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আলিমদের ডাকছেন কেনো?’ – আলিমদের যদি আহলুল ইলম এর বদলে একটা নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেনী হিসেবে দেখা হয় তাহলে এই কথাটা ঠিক আছে।
.
অমুক দলের লোকদের যখন মেরেছে তখন আপনি কী করেছেন? ছাত্রদের যখন মেরেছে তখন চাকরিজীবিরা কী করেছে? তখন অমুক যেহেতু তমুক করে নাই তাই এখন আর এটা আশা করবেন না...ইত্যাদি
.
কিন্তু ঐ যে বললাম, আলিমদের ওপর বিশেষ দায়িত্ব আছে, যা কুরআন-সুন্নাহর দলীল এবং আহলুসসুন্নাহ-র ইমাম-দের দৃষ্টান্ত থেকে প্রমাণিত। তাই এই কথা এভাবে বলা যায় না।
.
তবে যদি আমরা আলিমদের ছাত্র, জনতা, পেশাজীবি, শ্রমিক ইত্যাদির মতো একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী হিসেবে ধরেই নেই, তাহলে তাদেরকে ওরকম একটা শ্রেনী হিসেবেই ট্রিট করতে হবে। যে সম্মান আর মর্যাদা আহলুল ইলমের প্রাপ্য সেটার প্রশ্ন আর আসবে না।
.
৪। অনেকে বলেন, আলিমগণ মাযুর। তারা অপারগ। নানা কারণে তারা হক বলতে পারেন না। এ ব্যাপারে দুটো কথা বলা যায়। প্রথমত, নিঃসন্দেহে অনেক আলিমদের মাযুর, তবে সবাই না।
.
দ্বিতীয়ত, যদি তারা মাযুর হন, অপারগ হন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তাঁরা সমাজের নেতৃত্ব দিতেও অপারগ। যিনি হক কথা বলতে পারছেন না, ইমাম-খতীব, কিংবা বড় বড় জামাত বা সংগঠনের নেতা হওয়া সত্ত্বেও- তার কাছে থেকে আর্থসামাজিক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যুতে দিকনির্দেশনা চাওয়ার অর্থ হয় না। এটা তার প্রতি ইনসাফও হবে না। যে মাযুর সে তো মাযুর-ই।
.
.
বাস্তবতা হল, যারা এসব যুক্তি দেয় তারা না বুঝে আসলে আহলুল ইলমের অবস্থানকে সমাজে আরও দুর্বল করে। মানুষ অনেক দলীল, অনেক জটিল বিশ্লেষণ বোঝে না। তবে তারা ফিতরাতিভাবে বোঝে ইসলাম তাওহীদ, আদল ও ইনসাফের দ্বীন। ইসলাম যুলুমের সাফাই গাওয়ার শিক্ষা দেয় না, যুলুমের বিরুদ্ধে দাড়ানোর শিক্ষা দেয়।
.
তাই ইসলামের পোশাকে কেউ যখন বিপরীতটা করে তখন মানুষ সহজাতভাবেই বোঝে, এখানে কোন সমস্যা আছে।
.
আলিমগণের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক প্রতিকূলতা আছে। আমি জানি। তবে এগুলো থাকা সত্ত্বেও তাদের ওপর হক বলার দায়িত্ব আছে। ইলম আর মর্যাদা সাথে করে দায়িত্ব নিয়ে আসে। আলিমগণ রাস্তায় নেমে যাবেন, কিছু একটা করবেন – আমি এমন বলি না। এটা অনেক ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বও না।
.
তবে হক ও বাতিল মানুষের সামনে স্পষ্ট করা তাদের দায়িত্ব। আর একান্তই যদি কিছুই বলার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে কমসেকম তারা চুপ থাকবেন। যালিমের পক্ষে সাফাই গাইবেন, যালিম আর মাযলুমকে এক কাতারে এনে নাসীহাহ করবেন – এটা হতে পারে না।
.
যালিম ও যুলুমের বিরুদ্ধে বলা তাদের দায়িত্ব। ইমান ও কুফর, তাওহীদ ও শিরক, যালিম ও মাযলুম এর পার্থক্য মানুষকে বুঝিয়ে দেয়া তাদের দায়িত্ব। কোনভাবেই, কোন দৃষ্টিকোন থেকেই, কোন দলীলের আলোকেই, এখানে তাদের অবস্থানকে সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করা যায় না। এই সহজ সত্যটা আমাদের বোঝা উচিৎ।
.
আমি জানি, এই লেখার কারণে অনেকে আমাকে অনেক কিছু বলবেন। নানা ট্যাগ দেবেন, নানা তত্ত্ব বানাবেন, তির্যক মন্তব্যও হয়তো করবেন। আলেমবিদ্বেষী-ও বলবেন কেউ কেউ। কিন্তু এতে আমি যা বললাম, সেটা ভুল প্রমাণিত হবে না।
.
রেটোরিকাল কোপিং মেকানিসম আর ট্যাগবাজি নিয়ে তর্ক করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা তাতে আড়াল হয় না। আর আস্থার যে সংকট তৈরি হচ্ছে এবং হবে, সুরাহা হবে না সেটারও।
.
সেই সাথে এটাও বলি সত্যিকারের আহলুল ইলম, যারা নবীদের ওয়ারিশ হবার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করেন তারা আমাদের মাথার তাজ। তবে আলিম বলে পরিচিত সবাই কুরআনে বর্ণিত আহলুল ইলম হিসেবে গণ্য হবেন কি না, তা নিয়ে আমাদের ভাবার প্রয়োজন আছে।

-ভাইয়া আসিফ আদনান

Vaiya

29 Jul, 17:47


"মানুষের ব্যাপারে আপনাকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। ধীরে ধীরে তাদের হাত ধরতে হবে। কেননা আপনার মূল কর্তব্য হচ্ছে, মানুষকে সাহায্য করা, তাদের থেকে যুলুম দূর করা, তারপর তাদের ইসলাহ করা, তাদের দ্বীনের সংশোধন করা। তারপর তাদের ওপর আল্লাহর শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা।
.
আপনি যদি আকস্মিক উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি মানুষের ধার ধারি না। যে চায় আমাকে সাহায্য করুক আর যে চায় আমার বিরোধিতা করুক... - আপনি আসলে শার'ঈ ভুল করছেন।
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন বন্ধুসুলভ, ধৈর্য্যশীল, মমতাপূর্ণ; তিনি কর্কশভাষী ও কঠিন হৃদয়ের ছিলেন না।
.
আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
.
যদি আপনি কর্কশভাষী ও কঠোর হৃদয়ের হতেন তাহলে তারা আপনার পাশ থেকে সরে যেতো। [তরজমা, সূরা আলে ইমরান, ১৫৯।
.
রাসূলের কাছ থেকে মানুষ দূরে সরে না যাওয়া দাওয়াহর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু তাঁকে পাঠানো হয়েছে মানুষের রাহমাহ হিসেবে, তাই জরুরী ছিল যে তিনি তাদের ভালোবাসবেন, তাদের ব্যাপারে সবর করবেন...তাই আপনার জন্য আবশ্যক হল, সেই পদ্ধতিগুলো জানা, যা দিয়ে আপনি মানুষের হৃদয়ে পৌছাতে পারবেন...।
.
সাবধান! কখনো বলবেন না, 'মানুষ জাহান্নামে যাক, মানুষ মানুক বা না-মানুক আমি আমার কাজ করে যাবো।' এটি ভুল। আপনার জন্য জরুরি হচ্ছে, মানুষের হৃদয় জয় করা, যাতে আপনি তাদেরকে দ্বীনে প্রবেশ করাতে পারেন..."
.
শাইখ আবু মুস'আব আশ-শামী

Vaiya

18 Jul, 10:07


জেগেই যখন উঠেছো বন্ধু, থেমে তোমরা যেওনা।
এখন সময় লড়াই করার,জিড়িয়ো না জিড়িয়ো না।

Vaiya

15 Jun, 09:27


আরাফার দিনের দু‘আঃ
‘আমর ইবনু শুআইব (রহঃ) কর্তৃক পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথাঃ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
[তিরমিজি, ৩৫৮৫]

Vaiya

27 May, 11:43


হে আল্লাহ, কিভাবে এই অশ্রুধারা থামতে পারে, এই হাঁসি না দেখে কিভাবে বাঁচতে পারি...

Vaiya

08 May, 19:11


বৃষ্টি ঝরে আঁধার প্রান্তরে ১.০ (reuploaded)

Vaiya

08 May, 10:39


শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল : এক নিরাপস চরিত্র। পড়ুন - https://tinyurl.com/3suc2rn7

Vaiya

04 May, 05:50


ভুলবো না তোমায় প্রিয়...

Vaiya

28 Apr, 08:54


اَللَّهُمَّ اَلْهِمْنَا مرَاشِدَ اُمُوْرِنَا وَ اَعِذْنَا مِنْ شُرُوْرِ اَنْفُسِنَا وَ مِنْ سَيِّئَاتِ اَعْمَالِنَا -

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আলহিমনা মারাশিদা উমুরিনা ওয়া আয়িজনা মিং শুরুরি আংফুসিনা ওয়া মিং সায়্যিআতি আ’মালিনা।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য সঠিক বিষয়টি আমাদের অন্তরে উদিত করে দিন এবং নফসের ধোঁকা থেকে ও কুকর্ম থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন।’

Vaiya

14 Apr, 10:27


This is the Path....