Masud Rana Sagor @shekhmasudrana Channel on Telegram

Masud Rana Sagor

@shekhmasudrana


Masud Rana is a Bangladeshi Author & Social activists

Masud Rana Sagor (English)

Are you a fan of thrilling adventures and gripping stories? Look no further than the Masud Rana Sagor Telegram channel! Masud Rana, a Bangladeshi Author and Social activist, has created a space where followers can immerse themselves in his captivating work. Masud Rana Sagor features a collection of novels and writings that will keep you on the edge of your seat. From action-packed plots to thought-provoking themes, there is something for every reader to enjoy. Masud Rana's storytelling skills will transport you to a world full of excitement and suspense. Join the shekhmasudrana channel today to stay updated on the latest releases from Masud Rana. Connect with fellow fans, discuss your favorite stories, and discover exclusive content only available to channel members. Don't miss out on the chance to be part of a community that shares a passion for literature and social change. Whether you're a long-time admirer of Masud Rana's work or a newcomer looking for an exciting read, Masud Rana Sagor has something for everyone. Follow the channel now and start the adventure of a lifetime with one of Bangladesh's most renowned authors and social activists.

Masud Rana Sagor

13 Jan, 15:35


চলমান সভ্যতা তো অনেক আগেই মারা গেছে। সেই লাশটা দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পরে সবেমাত্র চিতায় উঠলো।
সর্বগ্রাসী সভ্যতা পুড়ে যাবার জন্য তো সর্বগ্রাসী দাবানলেরই প্রয়োজন ছিলো।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ বিশ্ববাসীর জন্য।

প্রতিটি সভ্যতা তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছিয়েগেলে তার পরবর্তী (স্টেজ) পরিণতি অনিবার্য ধ্বংস। এটাই সৃষ্টির সুন্নাহ।

Masud Rana Sagor

11 Jan, 18:26


জামাতকে দেশের প্রায় দুই কোটি (১০-১২% হিসেবে) মানুষ সমর্থন করে তাদের একাত্তরের এবং ইসলামিজম পজিশনের কারণেই।

ইভেন, অন্যান্য অধিকাংশ রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ইসলামি পক্ষগুলোও জামাতকে তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে দেখে, থিওলোজিক্যাল আলাপ বাদ দিয়ে , আর এটা এই ইসলামিজম পজিশনের কারণে।

আজকে জামাত যাদের জন্য লিব্রাল ডেমোক্রেটের রাজনীতির কথা বলছে কিংবা একাত্তর নিয়ে পর্যালোচনা করছে, তারা পূর্বে কখনো জামাতের সাথে ছিলো না, সামনেও থাকবেনা। সুযোগ পাইলে জামাতের গোমা দেয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করবেনা।

আর এরা মূলত তারাই, যাদের ব্যাপারে বলা হইছে, “তারা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি পুরোপুরি তাদের অনুসরণ করছেন।”

দেখা যাবে জামাত লিব্রাল ডেমোক্রেট করতেছে, একাত্তর গাইতেসে, কিন্তু তাতেও তাদের মন ভরবেনা। নতুন দাবী নিয়ে আসবে তখন।

অনেকে এইরকম পরিস্থিতিতে জামাতকে রাজনীতি থেকে সরে যেতে বলছে। সত্য বলতে জামাত যদি একাত্তর আর লিব্রালিজমের রাজনীতিই করে, জামাতের আর কোনো রাজনীতি থাকেনা।

কিন্তু তারপরও চাইনা যে, জামাত রাজনীতি ছাইড়া দিক। কারণ শাহবাগের চাওয়াও জামাত রাজনীতি ছাইড়া দিক।
জামাত রাজনীতি ছেড়ে দিলে আলটিমেটলি শাহবাগেরই বিজয় হবে।

আর জামাত রাজনীতি ছেড়ে দিলে ‘ডান ইসলামি’ ধারার এই রাজনীতির যে ভ্যাকুম তৈরী হবে, সেটা কারা পূরণ করবে?
এরচে জামাতকে প্রেশারাইজ করে ঠিক মতো রাজনীতি করানোটাই বেশী কল্যাণ।

জামাত যদি সেটা না করে, (করবে বলে মনেও হয়না) জামাত রাজনীতিতে অনেক বড় ব্লান্ডার করবে। ভবিষ্যতে ইসলামপন্থার রাজনীতিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।

নুমায়ের খালেদ

Masud Rana Sagor

11 Jan, 07:38


তোমাদের কোনোদিন ভুলবো না।

তোমরা সেই আবাবিল যারা আসমান থেকে উড়ে এসে আমাদের মুক্ত করে দিয়ে আবার আসমানেই চলেগেলে।

তোমাদের রক্তের বদলা নিতে হয়তো আমরা ব্যর্থ হবো একদল কচু খোরের জন্য। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তোমাদের স্মরণ থেকে গাফেল হবো না ইনশাআল্লাহ।

দেশ-জনতার জন্য তোমাদের অবদান তো আছেই শুধুমাত্র আমার কথাটাই একটু বলি, আমি একজন যুবক হয়েও বৃদ্ধ হয়েগেছি শুধুমাত্র হাসিনার অবৈধ শাসনের কারনে।
৯ বছর একটানা মৃত্যু ভয় মাথার উপরে ঝুলে থেকেছে। প্রতিটি মূহুর্ত সজাগ থাকতে হয়েছে পুলিশ থেকে। আজ এখানে কাল ওখানে পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে।
রাষ্ট্রের সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি শুধু এমনটা নয় সামাজিক আনন্দ উল্লাস থেকেও বঞ্চিত হয়েছি।
তারুণ্যর পুরো সময়টা লড়াই করতে করতে আজ যুবক বয়সেই বার্ধক্য এসেগেছে শরীরে।

তোমরা সেই আবাবিল যারা আসমান থেকে উড়ে এসে আমাদের মুক্ত করে দিয়ে আবার আসমানেই চলেগেলে।

৫ তারিখের সেই বিজয় মূহুর্ত,আহ! কিভাবে ব্যাখ্যা করি সেই আনন্দ। আমার ৯ বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্ত হবার স্বাধীনতার সেই পরম স্বাদ।

তোমাদের জন্যই তো এই পাওয়া। আর তোমাদের ভুলে যাবো কিভাবে সম্ভব?

Masud Rana Sagor

09 Jan, 17:09


হুমায়ূন আহমেদের বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন। আর নানা ছিলেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। হুমায়ূনের নানাকে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা গুলি করে হ*ত্যা করেন।

অথচ হুমায়ূন তাঁর নানাকে অসাধারণ বলেছেন। কেন? কারণ, হুমায়ূনের নানা মিলিটারিদের বুঝিয়ে সুজিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। "কলিমুদ্দি দফাদার" গল্পটা পড়ে থাকলে সহজে বোঝার কথা।

হুমায়ূন কি নানার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন? হতে পারে। বাট আমি এখানে আমার দুইটা অভিজ্ঞতা বলি। একটা বিখ্যাত রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে। আরেকটা আমাদের গ্রামের অখ্যাত এক রাজাকারকে নিয়ে।

আমাদের গ্রামের রাজাকারকে রাজাকার বলে গালি দিলে মুক্তিযোদ্ধারাই সেইটার প্রতিবাদ করতেন। আমাদের গ্রামে যে মিলিটারি এটাক হয় নাই এবং মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিতে পারতেন, সেই ব্যবস্থা করে দিতেন সেই "রাজাকার"। এই কারণেই, উনাকে নিয়ে কখনোই কাউকে বাজে কথা বলতে শুনিনি। বরং মুক্তিযোদ্ধারাই উনাকে চাচা বলে ডাকতেন। বলতেন, চাচা না থাকলে আমরা বেঁচে থাকতে পারতাম না।

মতিউর রহমান নিজামীর এলাকা সাথিয়াতে আমার যাওয়া পড়ে আত্মীয়তার সূত্রে। তো নিজামীর ফাঁ*সি কার্যকর হওয়ার পর ঐ এলাকার এক হিন্দু পুলিশ অফিসার আমার চোখের সামনে কান্নাকাটি করেছিলো।
কৌতুহল থেকেই জিগাইছিলাম, কেন? নিজামী তো পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো, তার জন্য আপনি কেন কানবেন?

সেই হিন্দু অফিসার জানাইলো, নিজামীর মায়ের কোলে তিনি বড় হয়েছেন। ৭১ এ পাক বাহিনী যখন হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, তখন প্রায় ১০০ হিন্দু পরিবারকে নিজামী নিজের বাসায় আশ্রয় দেন।
ঐ মুহুর্তে আমি উনার কান্নার মর্মটা বুঝতে পারলাম।

বুঝতে পেরেছিলাম, হুমায়ূনের কথাটাও। একটা যুদ্ধে শুধু সাদা আর কালো থাকে না, প্রচুর গ্রে এরিয়া থাকে। কত মানুষ যে কোন দলে থেকে কার হয়ে একচুয়ালি কাজ করেছে, বোঝাটা কঠিনই।

নিজামী একদিকে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছেন, আবার সেই নিজামীর মায়ের কোলেই পাকিস্তানি বাহিনীর হামলা থেকে এক হিন্দু বাচ্চা আশ্রয় পাচ্ছে, ১০০+ পরিবার জায়গা পাচ্ছে, এইখানে ভালো বা খারাপের কোন জাজমেন্টটা আসলে আপনি দিবেন?

© সাদিক খান

Masud Rana Sagor

09 Jan, 11:07


ব্যর্থ সমাজের প্রকৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে- রাশিয়ান লেখক আন্তন চেখভ বলেন--

ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে জেগে ওঠে না। সে জেগে ওঠে শ্লোগানে। এখানে- পাঠাগার কম থাকে। উপসানালয় বেশী থাকে। যে উপাসনালয়গুলো আবার সপ্তাহের ছয়দিনই খালি পড়ে থাকে।

ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের বিপরীতে হাজার হাজার বোকা থাকে এবং প্রতিটি সচেতন শব্দের বিপরীতে থাকে হাজার হাজার পচনশীল শব্দ। তারা সমস্যার উপরে ভেসে বেড়ায়, গভীরে প্রবেশ করতে পারে না।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয় সর্বদা নির্বোধ। সমাজের অতি তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ আলোচনায় মেতে থাকে। মূল বিষয়গুলো হারিয়ে যায়। সমস্যা সমাধানের চেয়ে একে অন্যের উপর প্রতিনিয়ত দোষ চাপাতে থাকে।

অর্থহীন গান ও সস্তা বিনোদনের পিছনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছুটে। ফলে, সস্তা বিনোদন করেও মানুষ প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এবং এইসব গান, বাদ্য বাজনার মানুষগুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

রাজনৈতিক নেতাদের দেবতার মতো করে পূজা-অর্চনা করা হয়। আর এক দলের দেবতাকে অন্য দল সহ্য করতে পারে না। যে কোনো একটা খেলা দিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন নেশাগ্রস্থ করে রাখা হয়।
চিন্তাশীল মানুষের মূল্য বা ওজন কেউ বুঝে না। অধিকাংশ মানুষ আজেবাজে কথায় সময় পার করে দেয়। আজে বাজে কথা বলে যে মানুষকে হাসায়, তার চেয়ে কঠিন সত্য বলে যে বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলে তাকে কেউ গ্রহণ করে না।

অজ্ঞ সংখ্যাগরিষ্ঠরা এখানে আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করে। সবার যেমন একটি করে পশ্চাতদেশ থাকে। ঠিক তেমনি ব্যর্থ সমাজে যে কোনো বিষয়ের উপর সবার একটি করে মতামতও থাকে।

ব্যর্থ সমাজে মানুষ ব্যর্থ হয় না, এখানে সচতুরভাবে তাকে ব্যর্থ বানানো হয়।

Masud Rana Sagor

08 Jan, 09:18


১ জনও পুরো মানবজাতির সমান।
তবে সত্যকে জেনে রাখা উচিত।

মিথ্যা (১): একাত্তরে ৩০ লক্ষ মানুষ মারা গেছে।

মিথ্যা (২): একাত্তরে ৩ লক্ষ মানুষ মারা গেছে।

সত্য (১): এখন পর্যন্ত কোন পূর্ণাঙ্গ জরিপ বা রিসার্চ হয়নি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শর্মিলা বোস একাত্তর নিয়ে সবচেয়ে প্রমিনেন্ট একাডেমিক গবেষণা করেছেন তাতে তিনি নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে হতে পারে বলে মত দিয়েছেন।

সত্য (২): শুধুমাত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা পাকিস্তানপন্থীদের হাতেই বাংলাদেশপন্থী সাধারণ মানুষ মারা যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনী, মুক্তিবাহিনীর হাতেও পাকিস্তানপন্থী সাধারণ মানুষ [বাঙালি+বিহারি+উপজাতি] মারা গেছে।

Mir Salman Samil ভাই।

মুক্তিযোদ্ধাদের হাতেও নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যা,লুট ও ধর্ষিত হয়েছে। এই ইতিহাসও হজম করতে হবে কারণ এটাও সত্য।
৭১ কমপ্লেক্স একটা বিষয়। সোজাসাপ্টা কিংবা এক কথায় সিদ্ধান্ত দিলে ভুল হবেই সিদ্ধান্ত যে দিকেই দেন।
৭১ গণহত্যা দুই পক্ষ থেকেই জুলুম।
এসবের পিছনে ৩ দেশেরই কিছু কালপিট ছিলো।
আর এটা নিয়ে লম্বা আলাপ ছাড়া সমাধান করা সম্ভব না।

Masud Rana Sagor

07 Jan, 09:45


একক সত্য ইতিহাস বলে কিছু নাই। সব ইতিহাসেরই একাধিক বায়ান থাকে। আপনি কি বিশ্বাস করেন তার উপর নির্ভর করছে ইতিহাসের কোন বায়ানটা আপনার কাছে সত্য। যদি বিশ্বাস করেন জাত-পাত, নরবলী, সতীদাহ, স্তনকর এগুলো খুবই ভাল। তাহলে আপনার কাছে ইখরিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি অবশ্যই একজন দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ।

মাত্র ৩ বছরে হাজার হাজার বিরোধী মতের লোককে হত্যা, সংবাদপত্র এবং সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ,
কয়েক শত কোটি টাকা চুরি করে দুর্ভিক্ষ লাগিয়ে দশ লক্ষের বেশি মানুষকে হত্যা করা, সরকারি চাকুরিতে কোন পরীক্ষা না নিয়ে নিজ দলের ক্যাডারদের নিয়োগদানকারী শেখ মজিদ আপনার কাছে হিরো।

এই ৩ বছরে জাতীয়, স্থানীয় বা ছাত্রসংসদের নির্বাচন, কোন একটা নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই। লীগের সন্ত্রাসীরা নিজেরা নিজেরা ব্যালট ভরেছে। শেষে তো মুজিব নিজেকে আমরন রাজা ঘোষণা করে।

কিন্তু পাকিস্তানের ২৩ বছরে কোন একটা নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে এটা আওয়ামী লীগও কোনদিন অভিযোগ করে নাই। কোন সংবাদপত্র বন্ধ করে নাই বা দল নিষিদ্ধ হয় নাই। নিয়োগ হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। দেশের যাবতীয় প্রধান অবকাঠামোর নির্মান হয়েছে, অর্থনীতির সাইজ হয়েছে কয়েকগুন, এই সময়ের কোন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্ণীতির কোন অভিযোগ নাই, সবাই পরবর্তী জীবনে খুবই সাধারণ জীবন-যাপন করেছেন।

কিন্তু এরপরও আপনাদের চোখে কিন্তু মুজিব, তাজউদ্দিরা হল মুক্তিদাতা আর ১৯৪৭-৭০ সাল পর্যন্ত শাসন করা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান, ইস্কান্দার মির্জা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আইয়ুব খান, গোলাম মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী বগুড়া, নুরুল আমিন, মোনায়েম খান, খাজা নাজিমুদ্দিনদের সরকার হল শোষক।

কারন ঐ যে আপনি বিশ্বাস করেন গোলাপ ফুল নিয়ে আসলেও পাকিস্তানিদের ঘৃণা করো। পাকিস্তানের নাম নিলেও দাঁত ব্রাশ করো। মজিদ, তাজুদ্দিরা সাত দফা গোলামি চুক্তি করে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করলেও আপনার কোন সমস্যা নাই। পাকিস্তান তো থাকছে না আপনি তাই খুশি!

একই ভাবে ৭৫ এবং ২৪ এর একাধিক ন্যারেটিভ আছে। আপনি কি বিশ্বাস করেন তার উপর নির্ভর করছে কোনটা সত্য।

মীর সালমান ভাই।

Masud Rana Sagor

06 Jan, 17:37


আরেকজন সেক্টর কমান্ডার বীর সৈনিক মেজর(অব.) এম এ জলিলের এই বইটি পড়ুন।

২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া মুক্তিযুদ্ধ-ইতিহাসবিদ বল্টুকেও পড়তে দেন।

শেখ মুজিব একদিকে ছাত্র নেতৃত্বের কাছে নতি স্বীকার করে স্বাধীনতার পক্ষে যেমন কাজ করেছে, ঠিক তেমনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তান রক্ষা করতে। শেখ মুজিবের এ স্ববিরোধী ভূমিকার জন্য ইতিহাস একদিন তাঁকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করালে তাতে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।

পেইজ: ৩০
অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা।
সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল।

Masud Rana Sagor

06 Jan, 07:41


বাংলাদেশ তখনই ভারতের রাজ্যে পরিণত হতো যদি না পাকিস্তান বাংলাদেশকে UN Security Council এ একটা Disputed Territory হিসেবে উল্লেখ্য না করতো। ইউএনকে পাকিস্তান বলেছিল এটা তো রাষ্ট্র ই, রাষ্ট্র হলে সেখানে তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী থাকতো, কিন্তু দেখা যাচ্ছে সবই ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাহলে এটা তো রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবার যোগ্য না। তখন ইউএন এর চাপের কারণে ইন্দিরা গান্ধী এখান থেকে তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে যায়। না হয় আজ আমাদের পরিচয় থাকতো ভারতীয়।

Masud Rana Sagor

06 Jan, 04:26


এই সেই ৭ দফা চুক্তি, যার মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে গোলাম বানানো হয়েছিলো।

তাজ উদ্দিন-সৈয়দ নজরুলরা যুদ্ধকালেই দেশ লিখে দিয়েছিলো ভারতকে। নুরুল কাদিরের লেখা 'দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা' বইয়ের ৩২৫ পাতায় সে দাসত্বের কথা লেখা আছে। যার সামারি-টা সংক্ষেপে দেওয়া হলো-

১৯৭১ সালের অক্টোবর ভারতের একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পক্ষে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ৭ দফা চুক্তি সই করেন।

চুক্তির ভয়াবহতা ভেবে এ অনুষ্ঠানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি এ চুক্তি।

মুজিবনগর সরকারের অনেকেই জানতেন না এ চুক্তির বিষয়। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মরহুম তাজউদ্দিন।গোপন চুক্তির ৭ দফা হলো:

১. মুক্তিযুদ্ধ করেনি এমন কর্মকর্তাদেরকে চাকুরী থেকে অবসর দেয়া হবে। অভিজ্ঞ কর্মচারীর শূন্যতা পূরণ করবে ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। লক্ষ করে দেখবেন, স্বাধীনতার পর বেশ কিছু ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস অফিসার ঢাকায় ও বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন।

২. বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না।

৩. অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী থাকবে, যা পরে রক্ষী বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়েছিল। প্রশিক্ষণে ছিলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাগণ।

৪. ভারতের সেনাবাহিনী থাকবে বাংলাদেশে। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭২ সালের নভেম্বর থেকে এর কাজ শুরু হবে।

৫. বাণিজ্যিক সমঝোতা ছিল খোলা বাজার প্রতিষ্ঠা করা। সীমান্তের তিন মাইল জুড়ে চালু হবে খোলা বাজার। কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। শুধু বছর শেষে হিসাব নিকাশ হবে। প্রাপ্য মেটানো হবে পাউন্ড, ষ্টার্লিং এর মাধ্যমে।

৬. বিদেশ বিষয়ে ভারত যা বলবে, তাই মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, সাউথ ব্লকের এনেক্স হবে সেগুন বাগিচা। এক কথায় বলা চলে উল্লেখিত চুক্তির ফলে ভারত বাংলাদেশের সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ের কর্তৃত্ব পেয়ে যায়।

৭. পাকিস্তানের সাথে চুড়ান্ত লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক সহপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পাবেন না।

এই ৭ দফা চুক্তির পরেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এখনও ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৬ই ডিসেম্বরকে ইষ্টার্ন কমান্ড দিবস হিসেবে পালন করে!

অথচ পঞ্চাশ বছর ধরে আমাদেরকে শেখানো হচ্ছে- আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে! ভারত আমাদেরকে স্বাধীন করে দিয়েছে!

ভারত-লীগের যৌথ প্রযোজনায় এভাবেই গুম করা হয়েছে সাতচল্লিশের স্বাধীনতা ও একাত্তরে লাখো শহীদের রক্তের ঋণ!

হাদি ভাই।

Masud Rana Sagor

05 Jan, 19:18


একদল ৭১ নিয়ে নতুন করে চেতনাবাজি শুরু করেছিলো।
৭১ মানেই ইন্ডিয়ান ফাঁদ।
মেজর ডালিম আমাদেরকে আরেকবার ফাঁদে পড়ার হাত থেকে বাচালো।
৭৫ পর মেজর ডালিম আবার ২৫ বিপ্লব করে দিলেন।

এই পথ ছেড়ে অন্য পথে আবার হাটার চেষ্টা করলে এই জাতির আর মুক্তি নাই।

Masud Rana Sagor

05 Jan, 18:26


মেজর ডালিমরা যদি মুজিবকে হত্যা না করতো তাহলে আমরা এখন সিকিম,হায়দ্রাবাদের মত অবস্থায় থাকতাম।

সত্যিকারের পুরুষ মানুষ দেখলাম মনে হলো আজ।

Masud Rana Sagor

03 Jan, 12:35


বিএনপির একটা গবেষণা সেল করা উচিত জামাত নিয়ে। জামাতের পেছনে বিএনপি যে সময় ব্যয় করছে এটা পুরোটাই সময়ের অপচয়। জামাতের কোন পাবলিক পলিটিক্যাল ফিলোসোফি নাই, জামাতের হল একটা গোষ্ঠীগত ফিলোসোফি। সাধারণ মানুষ চাইলেও জামাতে যোগ দিতে পারবে না। তাই জামাত কখনোই বিএনপির রাজনৈতিক সমকক্ষ হতে পারবে না যদি বড় ধরনের সংস্কার না চালায়।

বিএনপি জামাতের মুন্ডুপাত করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সমস্যা হল বিএনপি নিজের পলিটিক্যাল ফিলোসোফি থেকে জামাতের সমালোচনা করছে না। বিএনপি হুবহু আওয়ামী-শাহাবাগি ন্যারেটিভ আওরাচ্ছে। এই চেতনাবাজি সামনে আনা মানে আওয়ামী লীগকে রেজোরেক্ট করা। একাত্তরের চেতনা আওয়ামী লীগ এবং শেখ মুজিব পরিবারের পারিবারিক সম্পত্তি। দই কিনলে মানুষ ঘোষদের বাড়ি থেকেই কিনবে।

৭১ নিয়ে অবগাহন করার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হল শাহবাগ, ডিহিউম্যানাইজেশন, হত্যাযজ্ঞ এবং একটা ফ্যাসিবাদের জন্ম। ১৯৭২-৭৫ এবং ২০০৯-২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ এটাই দেখিয়েছে।

আমি অবশ্যই একাত্তরকে ফেলে দেবার কথা বলছি না। ১৯৭১ সাল পূর্ব বাংলার ইতিহাসের একটা বড় ঘটনা। একাত্তর নিয়ে গ্লোবালি কয়েকটি ন্যারেটিভ প্রচলিত আছে। একটা ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে একাত্তর নিয়ে সমাজে আলাপ হোক, এর বিভিন্ন ন্যারেটিভ নিয়ে আমরা কথা বলি। একে-অপরকে বোঝার চেষ্টা করি। একই ভাবে আমাদের ১৯৪৭ নিয়েও আলাপ করা উচিত। ভৌগলিক বাস্তবতার জন্য ১৯৪৭ সালও বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু একাত্তরের ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য কোটি-কোটি মানুষকে ডিহিউম্যানিজ করে তাদের উপর ম্যাসাকার চালানো কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ১৯৮১ সালে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন,

❝ The men who prepared us for 1971 are already increasingly irrelevant just as those who prepared us for 1947 were irrelevant in 1971, rather more so. ❞

[ Professor Abdur Razzaq, Bangladesh: State of the Nation, P: 33 ]

অর্থাৎ, যেসব মানুষ আমাদের ১৯৭১ সালের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, তারা ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছেন, যেমন ১৯৪৭ সালের জন্য আমাদের প্রস্তুত করা মানুষরা ১৯৭১ সালে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছিলেন, বরং আরও বেশি।

১৯৮১ সালে ৬ দফার লেখক প্রফেসর রাজ্জাকের মত মানুষ বলেছিলো ৭১ অপ্রাসঙ্গিক সেখানে ২০২৪ সালে...

তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার শ্লোগান দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে এই রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

বিএনপি বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে এতটাই দেউলিয়া যে সেটা অনুধাবন করার শক্তি নাই, নিজিস্ব রাজনীতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করবে সেই সামর্থও নাই, আওয়ামী লীগের লেজ ধরেছে। বিএনপির এই দৈন্যতা আমাদের জাতির জন্য হতাশাজনক।

Mir Salman Samil vai

Masud Rana Sagor

02 Jan, 08:54


বাংলাদেশ অসুস্থ হলে সুস্থতার আশা রাখতাম।
বাংলাদেশের শরীরে আছে ক্যান্সার। বাংলাদেশের মৃত্যু ছাড়া মুক্তি নাই নতুন জীবন ছাড়া নতুন শুরুও সম্ভব নয়।

নতুনদের জন্যই কাজ করি যেটুকু পারি। বর্তমান নিয়ে আশা রাখি না আর।
তবে প্রচেষ্টা চালমান রাখতে হবে (আবর্জনা কমানো জারি রাখতে হবে) যাতে নতুনদের সামনে বর্তমানের জঞ্জাল কিছুটা অথবা অনেকটাই কম প্রতিবন্ধক হয়।

Masud Rana Sagor

29 Dec, 08:40


আড্ডালাপ "ইশরাত মঞ্জিল"(বর্তমান মধুর ক্যান্টিন)

মধুর ক্যান্টিন নামকরণ টা একটা ষড়যন্ত্র।
আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়, স্বাধীনতার আসল রুপকে ঢেকে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা মাত্র।

১৯০৬ ঢাকার সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন, যা থেকে মুসলিম লীগ গঠনের উদ্যোগ গৃহীত হয়।
সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আয়োজনের জন্য ইশরাত মঞ্জিল বিখ্যাত।
এখানে বসেই আমাদের পূর্বসূরিরা মুসলিমদের জন্য স্বাধীন ভূখন্ড গঠনের সুচনা করেন। এখান থেকেই ঢাবির যাত্রা শুরু। এখন সেখানে বসে অন্ধকার ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে আলোকিত ইতিহাসের সুঘ্রাণ নিচ্ছি।কৃতজ্ঞ ও দোয়া করছি পূর্বসূরিদের জন্য। 

১৯১২ সালে ভাইসরয় চার্লস হার্ডিঞ্জের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল নবাব খাজা সলিমুল্লাহর সাথে ইশরাত মঞ্জিলে বৈঠক করেন। বৈঠকে স্যার সলিমুল্লাহ পূর্ববঙ্গে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন, যা ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়।

#ইশরাত
#মঞ্জিল

Masud Rana Sagor

23 Dec, 17:14


'আমি সুখী কারণ আমি কারো কাছে কিছুই চাই না। আমি অর্থের পরোয়া করি না। সাজসজ্জা,উপাধি বা বিশেষত্ব আমার কাছে কিছুই না। আমি প্রশংসার জন্য ক্ষুধার্ত নই। আমার কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। একজন সুখী ব্যক্তি বর্তমান নিয়ে এতটাই সন্তুষ্ট যে,সে ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করে না।'

~ আলবার্ট আইনস্টাইন~

Masud Rana Sagor

15 Dec, 04:53


ডঃ নীলিমা ইব্রাহীমসহ কয়েকজন শেখ মুজিবকে পীড়াপীড়ি করছিল বুদ্ধিজীবীদের জন্য আলাদা স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য। বিরক্ত হয়ে শেখ সাহেব বললেন, “আপা এতো বেশি মিনার বানালে এসবের পিলারে গরু বেঁধে রাখবে।”

(সূত্র : দৈনিক বাংলাবাজার, উপসম্পাদকীয়; ১৬/৩/৯৮)

ইতিহাসের ছিন্নপত্র ৩য় খণ্ড থেকে....

Masud Rana Sagor

09 Dec, 14:37


ছবিটি দিয়ে অনেক মিথ্যাচার হয়েছে!

এই ছবিটি বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়িয়েছে। এমনকি এই ছবিকে দলিল হিসেবে মনে করে অনেকেই দেখানোর চেষ্টা করেছেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মি এদেশের মানুষের লুঙ্গি চেক করে দেখতো মুসলমানি/খৎনা হয়েছে কিনা। যদি দেখা যেতো মুসলামানি হয়নি, তাহলে ধরে নেয়া হতো তারা হিন্দু।

অথচ ছবিটি বলছে ভিন্ন কথা!

ছবিটি তুলেছেন ভারতের বিখ্যাত ফটোগ্রাফার কিশোর পারেখ। তিনি কোন অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়াই স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের ছবি তুলেছিলেন। মাত্র ৮ দিনে তার তোলা ৬৭টি ছবি মুক্তিযুদ্ধের এক অসামান্য দলিল হয়ে আছে।

ছবিগুলো নিয়ে তার ফটো এ্যালবাম প্রকাশিত হয় ‘Bangladesh: A Brutal Birth’ নামে।

বইয়ের ২২ পৃষ্ঠায় তিনি ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন : Indian troops grimly round up villagers suspected to be pakistani spies. They peer into Lungis in search of weapons.

অর্থাৎ ভারতের সৈন্যরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর লুঙ্গি চেক করছে। তারা আশঙ্কা করেছিলো গ্রামবাসীর মধ্যে পাকিস্তানের গুপ্তচর আছে। তাদের লুঙ্গির নিচে অস্ত্র আছে কিনা দেখার জন্য তারা এভাবে চেক করে।

দৃশ্যটি ধারণ করেছিলেন ভারতের ফটোগ্রাফার কিশোর পারেখ। তিনি বলছেন এক কথা, গত কয়েক বছর ধরে এই ছবি নিয়ে আমরা দেখেছিলাম ভিন্ন প্রচারণা!

এরকম অনেক মিথ্যা ইতিহাস, চেপে রাখা ইতিহাস উঠে এসেছে গার্ডিয়ান প্রকাশিতব্য ইতিহাসের ছিন্নপত্র তৃতীয় খণ্ডে’।

Masud Rana Sagor

26 Nov, 17:12


ই-সকন Zoঙ্গি Hiন্দুদের সংগঠন।

পুরো মানবজাতির জন্য এরা হুমকি। এদের কারণে সাধারণ হিন্দুরাও বিপদে পড়বে।
অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দ্রুত নিষিদ্ধ করা হোক।
বাংলাদেশে এই জ-ঙ্গি-দের কর্মকান্ড শূন্যতে নামিয়ে রাখতে হতো বহু আগেই।
কারণ সংখ্যা লঘু নিরাপত্তার প্রশ্ন ও পাশেই ইন্ডিয়া। যার ফলে অন্য সব দেশের চাইতে বাংলাদেশ ১০০ গুন বেশি ঝুকিপূর্ণ অবস্থানে আছে। সেক্ষত্রে তো মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার আগেই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

Masud Rana Sagor

25 Nov, 08:17


ইন্টেলেকচুয়ালিটি কিংবা বুদ্ধিজীবীতার মানে এই নয় সবসময়ই নীরবে, ঠান্ডাভাবে উদ্দেশ্য হাসিল করা,গন্তব্যে পৌছানো বা বিজয়ী হওয়া।
কোন কোন ক্ষেত্রে সংহিতার প্রয়োজন, শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন, দ্রুত কাজ করে ফেলার প্রয়োজন এটাও বুঝতে হয়। এটাও বুদ্ধিজীবিতা।

সুশীল বুদ্ধিজীবী হতে পারছি না দু:খিত গাইজ।

Masud Rana Sagor

25 Nov, 08:17


আপনাগো কথা হলো প্রথম আলোর মত যোগ্য একটি বিকল্প পত্রিকা বানাতে হবে।
আমিও এ'কথার সাথে একমত। যোগ্যতায় পিছিয়ে থেকে আল্টিমেটলি বিজয় হওয়া যাবে না।

এখন আমার একখান কথার জবাব দেন। আপনাগো সবচেয়ে যোগ্য পত্রিকা প্রথম আলোর মত বিকল্প পত্রিকা ফ্যাসিস্টদের থাকার পরেও হাসিনা কেনো অযোগ্য আমার দেশ পত্রিকা/দিগন্ত টিভি বন্ধ করে দিছিলো?

Masud Rana Sagor

25 Nov, 08:14


ইসলামপন্থী যে ভাইয়েরা কিছু করলে জ*ঙ্গি ট্যাগ, ষড়যন্ত্রকারী, আবেগী তৌহিদী জনতা ট্যাগ পাচ্ছেন,মকারির শিকার হইতেছেন।
আপনাদের জন্য একটা পরামর্শ রইলো।গ্রহণ না করলেও সমস্যা নাই।
অনেক তো সহ্য করা হলো নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত সবর করেন। তখন দাবিদাওয়া, কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেয়েন।

এই সরকারের চরম ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। কিছু একটা ঘটলে আবার তাদের সব অযোগ্যতার দ্বায় আপনাদের উপরে তো চাপিয়ে নির্দোষ সাজার চেষ্টা করবেই সেই সাথে পুরো ইসলামিস্ট পাড়াকে নেগেটিভভাবে চিত্রায়িত করবে।

ঘরে বসে একাডেমিক কাজ করেন ও সেই অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করুন এরা যতদিন আছে।
আর বাইরের বুদ্ধিজীবী, স্মার্ট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কর্মকান্ড ও তাদের পিও ওয়াকারের কাজকাম দেখতে থাকুন।
তবে প্রয়োজন পড়লে আমরা তাদের পাশে থাকবো এক্ষেত্রে অভিমানের সুযোগ নাই।কারণ সবাই ভুল করলে প্রত্যেকের স্বাধীনতা হারিয়ে যাবে।

Masud Rana Sagor

19 Nov, 07:55


বিপ্লবীদের এদেশের মাটি খেয়ে ফেলে। এদেশের মাটির প্রচন্ড ক্ষুধা।
এদেশের ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারা মুক্তি চায় নাকি আবার গোলামি।
যদি গোলামি না চায় তাহল রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ-অনুসরণ ছাড়তে হবে। বিপ্লবীদের পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে হবে।

লো আই-কিউ জাতির অস্থি মজ্জায় মিশে আছে দাসত্ব। তারা কি বুঝবে বিপ্লবীদের কদর?

Masud Rana Sagor

17 Nov, 07:15


রকমারিতে প্রি অর্ডার চলছে: https://www.rokomari.com/book/438880/jubok-you-are-the-game-changer

Masud Rana Sagor

17 Nov, 07:15


যুবক! ইউ আর দ্যা গেম চেঞ্জার।
আমার ২য় বইটি নিয়ে কিছু কথা।

আগের দুই সংস্করণের পরে এবার একটু নতুন রুপেই আসছে বইটি। বলা যেতে পারে পুনর্লিখন। তাই অলরেডি যারা পড়েছেন সুযোগ থাকলে এবারের টাও পড়বেন ইনশাআল্লাহ।

মূলত জেন-জি মাইন্ড অনুযায়ী বইটির লেখা সাজানো।
কিশোর ও তরুণদের বোধগম্য ভাষায় ইন্টেলেকচুয়াল আলাপ। কিশোরদের বুদ্ধিবৃত্তিক নলেজের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি ও উন্নতি সাধনের জন্যই তরুণ সিরিজে হাত আমার হাত দেওয়া।

ছোট্ট বাচ্চার সামনে যদি বিষাক্ত সাপ চলে আসে। বাচ্চাটি বুঝে না যে, এই সাপের কামড়ে সে মারা যেতে পারে তবুও সাপের কামড়ে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য।
তেমনি আমাদের কিশোর, তরুণদের  প্রায় ৯৯% বললেও ভুল হবে না। যারা কিশোর বয়সেই বিভিন্ন আগ্রাসন, মতবাদের বিষাক্ত ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা এগুলো না বুঝেই আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে।
আবার এই বিষের যে এন্টি ভেনম(বই,আলাপ) এগুলো তাদের বোধগম্যর বাইরে। মানে এসব ইন্টেলেকচুয়াল আলাপ বোঝবার জন্য তাদের অধিকাংশের জন্য অনার্স লেভেল প্রযোজ্য কিংবা ইন্টার লেভেল। (ইটস ন্যাচারাল)
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে তারা ক্লাস ৬ থেকে ক্লাস ৮ মধ্যেই। সেজন্য এই আলাপগুলোকে যতটা সহজ ভাষায় সম্ভব আমি কিশোরদের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

এতে শব্দচয়ন, ভাষাকে অনেক সহজ করতে হয়েছে এই দিকটা বোদ্ধা পাঠকেরা খেয়াল রাখলে আমার প্রতি সুবিচার হবে😊

আপনারা সিনিয়রেরা বইটি আপনাদের দাওয়াতি টার্গেট ও কিশোর ভাই-বোনদের জন্য সংগ্রহ করতে পারেন বেশিবেশি।

দোয়া চাই।

Masud Rana Sagor

16 Nov, 05:05


রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকলে ব্যক্তিগত চয়েজ উপেক্ষা করে রাজনৈতিক ভাষা প্রয়োগ ও কর্মপন্থায় থাকাটা প্রতি মূহুর্তে জরুরি।

আমিও ব্যক্তিগতভাবে নরম মনের মানুষ। ৫ তারিখের পর বিন্দুমাত্র অহিংস আচরণ করতে পারিনি। কঠিন সবর করেছি। ৫ তারিখের পরও অনেকেই আমার বিরুদ্ধে আড়ালে অনেক ষড়যন্ত্র কারার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমি সবটা অবগত তবুও একশান নিতে মনকে রাজি করাতে পারিনি। হয়তো জানের দুশমনের কষ্ট দেখলেও যেকোনো মূহুর্তে এগিয়ে যাবো এবং ইতিমধ্যে অনেকবার গিয়েছি। থানায় আমার নামে একজন লিস্ট পাঠিয়েছে অন্যদিকে আমি তার আরেক ভাইয়ের রিজিকের স্থায়ী ব্যবস্থা করেছি।
কিন্তু আমার উপরে যদি দায়িত্ব থাকে হাজার হাজার মানুষের। তাহলে সেসব মানুষের জিম্মাদারিটা হলো মূল, ব্যক্তিগত চয়েজকে এখানে পাত্তা দেওয়া যাবে না। সফট মনের হওয়ার ফলে রাজনৈতিক শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে যদি মোকাবিলা না করি তাহলে পরাজয় নিশ্চিত। আর পরাজিত হলে নিজের একার ক্ষতি হলে সমস্যা ছিলো না। সমস্যাটা পুরো জাতির সেজন্য শক্ত হওয়াটা জরুরি।

পরিভাষা, ন্যারেটিভের শক্তিই রাজনৈতিক বিজয় এনে দেয়। রাজনীতিতে বিজয় হতে হলে ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠায় পিছিয়ে গেলে হবে না।
আবু জাহেলের নামই পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ফ্যাসিজমের কারণে।
তারা হয়তো রাজনীতিতে ফিরে আসবে এদেশের স্বভাব তাই বলে। তবে তাদের ফ্যাসিস্ট পরিচয় তাদের গলায় লটকানো থাকুক এটা জরুরি।

Masud Rana Sagor

13 Nov, 04:51


আমরা বিপ্লবীরা নাহিদ ইসলাম।

বিপ্লবী মানেই সে মৃত। মৃত মানুষের দুনিয়ার বস্তুগত কোনো প্রয়োজনও থাকে না, লোভ তো জন্মেই না,ভয় পাবার তো অপশনই নাই।

বিপ্লবীদের একমাত্র আকাঙ্খা হলো, এই মৃত জীবন অতিক্রম করে চিরস্থায়ী জীবনে প্রবেশ। আর এই চিরস্থায়ী জীবনের একমাত্র প্রবেশ পথ হলো শাহাদাত।

শাহাদাত ব্যতীত বিপ্লবীদের কোনো লোভ থাকতে পারে না।যদি থাকে তাহলে সে বিপ্লবীও নয়।
ক্ষমতার স্বাদ বিপ্লবীদের জিহ্বায় কখনো সুস্বাদু লাগে না।
ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে যেয়ে মানুষের দেহে ময়লা আবর্জনা লেগে যায় তবে তা শরীরে বেশিক্ষণ কেউই রাখে না। পরিষ্কার করে ফেলে সুযোগ মত।
তেমনি বিপ্লবীদের গায়েও ক্ষমতার ময়লা বেশিক্ষণ লেগে থাকে না।

আমরা ১৫ বছর ধরে নমরুদের আগুনে প্রশান্তিতে বসবাস করা অভিজ্ঞ মানুষ। আমাদের দেহ ও চামড়া নতুন করে পুড়বার ভয় পাই না।
আমাদেরকে ভয় দেখানো শয়তান জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়ে তার দুরবস্থার অন্ত নাই।
সেজন্য সে প্রলেপ বকতেছে।

এই প্রোপাগাণ্ডা গুলো বিপ্লবীদের জন্য আতংকের নয় বরং আনন্দের। কারণ তা জালিমের হাহুতাশ।

Masud Rana Sagor

10 Nov, 15:45


হাসিনাকে লীগও চিনতে পারিনি পুরোপুরি।
হাসিনা চাচ্ছে লীগের উপর দিয়ে একটা ম্যাসাকার হোক।
তার নিজ দলের নেতাকর্মীদের র-ক্ত/লা-শের বিনিময়ে যদি একটুও সিমপ্যাথি তৈরি হয় তাহলে সেটাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে তার বংশধরেরা যদি একটু রাজনীতিতে ফিরতে পারে। সাথে বহিঃবিশ্বের সুনজরেও যদি আসার সুযোগ হয়।

সে আর ফিরতে পারবে না সেটা সেও জানে। সে শুধুমাত্র তার বংশধরদের জন্য একটু চান্স রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে তার নিজ দলের লোকদের নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করতে হলেও সে তাই করার চেষ্টা করছে।

এই মহিলা মানুষই না। এই গজবকে দুনিয়া থেকে তুলে নাও আল্লাহ। হোক লীগ তবুও র*ক্ত পান করাই যেনো তার একমাত্র নেশা ও পেশা।

Masud Rana Sagor

09 Nov, 17:32


মুসলিমদের ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না কেন?

মৃত্যুক্ষুধা কাজী নজরুল ইসলামের একটি অসাধারণ উপন্যাস। আমরা যখন শৈশবে, তখন বিটিভিতে এই উপন্যাসটি ধারাবাহিক নাটক হিসেবেও প্রচারিত হয়েছিল। ১৯২৬ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত কবি নজরুল পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে বাস করতেন। সেখানকার আশপাশের কিছু ঘটনা নিয়েই তিনি মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন বলে জানা যায়।

গল্পের থিমটি এমন ছিল যে, মুসলিম পরিবারগুলো ক্ষুধার তাড়নায় এবং ক্ষুধা থেকে বাঁচার জন্য খৃষ্টান হয়ে গিয়েছিলেন। নাটকেও সেভাবেই দেখানো হয়েছিল। বিষয়টি তখন থেকেই আমার মনে গেঁথে গিয়েছিল। একটু বড়ো হওয়ার পর জানতে পারি, বাংলাদেশেও অনেক চার্চ আছে যেখানে গরিব ছাত্রদের খাবার দিয়ে, টাকা দিয়ে অনুরক্ত বানানো হয়। এরপর ঐ বেনিফিসিয়ারীর পুরো পরিবার খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে। মৃত্যুক্ষুধার দৃষ্টান্ত যে বাংলাদেশেও অহরহ হয় এই সত্য তখনই বুঝতে পেরেছিলাম।

আমার নানাবাড়ি, ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা ও তুইতাল এলাকাতেও বেশ কয়েকটা চার্চ আছে। সেখানে বা আশপাশের এলাকায় যখন ছোটবেলায় গিয়েছিলাম তখনও মুসলিমদের ধর্মান্তরিত হওয়ার কিছু ঘটনা জেনেছি। দু বেলা খাবারের জন্য বা চিকিৎসা কিংবা অন্য কোনো জরুরি প্রয়োজনে মানুষ অসহায় অবস্থায় মিশনারীর শরনাপন্ন হয় আর এ সুযোগে খৃষ্টানেরা ভিকটিমদের মুসলিম বানিয়ে ফেলে।

সমাজকর্মী আহমেদ রশিদ বাহার আমার ইনবক্সে কিছু তথ্য ও ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেগুলো দেখে বিস্মিত হলাম। আমাদের রাজনৈতিক ও দুনিয়াবি আলাপের বাইরেও বাংলাদেশে একটি ভয়ংকর ক্রূসেড হয়ে যাচ্ছে অথচ আমরা হয়তো সেভাবে সচেতনও নই।

পাহাড়ি এলাকায় মুসলিমদের কনভার্সনের ঘটনা বেশ কমন। পাহাড়ি এলাকাগুলো নিয়ে এই অঞ্চলে একটি খৃষ্টান দেশ গড়ার পরিকল্পনাও বহুদিন ধরে শুনে আসছি। তবে বাহার ভাইয়ের তথ্যে জানলাম, উত্তরবঙ্গের জেলা দিনাজপুরসহ আরো বেশ কিছু জেলায়ও একই গতিতে মুসলিমদের অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। শুধু দিনাজপুর জেলাতেই ১১০৭টি মিশনারী স্কুল আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এটি একটি ভয়াবহ বিপদের বার্তা দেয়। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মুসলিম। আমাদের চোখের সামনে এভাবে মুসলিমদের বিপথগামী করা হচ্ছে, দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে অন্য ধর্ম গ্রহণে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে, নিরবে মিশনারীরা কাজ করে যাচ্ছে- তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এই বিষয়টি নিয়ে জোরের সাথে আলাপ আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। অন্তবর্তী সরকার এ বিষয়ে কতটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন জানি না, তবে আমাদের ঈমানী দায়বদ্ধতার জায়গা এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জারি রাখা প্রয়োজন। আর মুসলিমরা স্বউদ্যোগে বেশ কিছু রিকভারী স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে- যার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হওয়া মুসলিম ছাত্র ছা্ত্রীদেরকে আবার ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনা যায়। এসব উদ্যোগেও আমাদের যথাসম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।

Ali Ahmad Mabrur

Masud Rana Sagor

08 Nov, 06:21


সংখ্যাধিক্য ও ঐতিহ্যবাহী হলেও কোয়ালিটির দিক থেকে সেকেন্ডে ক্লাস দল নিজেদের অস্তিত্ব সুদুরপ্রসারি ভাবে টিকিয়ে রাখতে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে সেকেন্ড ক্লাস দলকেই আশা করবে ও প্রয়োজন।

সমস্যা হলো পেশি শক্তিতে বড় দল হলেও ক্লাসে সেকেন্ড । এখন তাদের সামনে যারা প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে তারা সহ নতুন যে শক্তি ও সিস্টেমের উত্থান ঘটছে তারা কোয়ালিটির দিক থেকে ফার্স্ট ক্লাস।
তাদের সামনে ঐতিহ্য ও সংখ্যা দিয়ে সাময়িক বিজয়ী হলেও লং রেসে নিশ্চিত পরাজিত হতে হবে এটাই হলো আশংকা ও ভয়ের।

বাংলাদেশ এক নতুন যুগে নতুন পথে পদার্পণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছে।
আর সেই পথে দেশ চলে গেলে একটা পর্যায়ে যেয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী এবং জমিদারি প্রথার ভাবাপন্ন দলগুলো দুর্বল ও বিলীন হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে। যুগের অনুপযোগী হওয়ার আশংকায় পুরানো যুগ তথা সিস্টেমকে ধরে রাখতে হবে। আর এরজন্য প্রয়োজন চলমান-পুরানো সিস্টেম তৈরিকারী পতিত জমিদারকে প্রতিপক্ষ বানানো। যার ফলে বাধ্য হয়েই পুরানো বর্তমানে টিকে থাকা জমিদার বাবুকে, পতিত ফ্যাসিস্ট জমিদারকে ফরিয়ে আনতেই হবে।জমিদারি মাঝেমধ্যে হাত বদল হলে হোক বাট জমিদারি প্রথাটা টিকে তো থাকবে। এতে আর যাইহোক জমিদারি একেবারে হাত ছাড়াতো হবে না।
বিষয়টি আসলে এখানেই.....

বাংলাদেশের মানুষ এখন যা ভালো মনে করে।
ইতিহাস অভিজ্ঞতা বলে এদেশের মানুষ সহজে সত্য চেনবার মত না।

সমাধান:টিকে থাকা পুরানো জমিদার বাবু যদি জমিদারি চিন্তা-চেতনা, পুরানো পথ পদ্ধতি পরিবর্তন করে যুগের আলোকে ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারে তাহলে এদেশের মানুষ তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করে নিবে এবং মাথায় তুলে রাখতেও সমস্যাবোধ করবে না।
পরিশুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করলেই ভিন্ন ও ভুল পথে হাটতে হবে না, ফ্যাসিস্ট জমিদার ও প্রথাকেও টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন পড়বে না।

Masud Rana Sagor

07 Nov, 07:52


আমি এদেশ নিয়ে আশাবাদী তবে এখনই এদেশের কপালে ভালো কিছু ঘটবে এমনটা অবজারভেশন বলছে না।

শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি যারা করে সেসব দলের মাধ্যমে একটা জাতির সততা, ন্যায়-পরায়ণতা, নীতি-নৈতিকতা,বুদ্ধিবৃত্তি,রুচিবোধ, আত্মমর্যাদাবোধ,উন্নত চিন্তাশীলতা তৈরি হবে না।
সেসব দলের নেতা কর্মীদের ভেতর থেকেও ফ্যাসিজম দূর হবে না। চলার বাকে বাকেই ফ্যাসিস্ট আচরণ,দুর্নীতি, অপকর্ম দেখতে পাওয়া যাবে। এসব দলগুলো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড,শিক্ষা বিস্তারের ইত্যাদি বিষয়গুলোও করে মানুষের মন-মননের উৎকর্ষ সাধনের জন্য নয় বরং ক্ষমতার রাজনীতি সাসটেইনেবল করার জন্য।

যারা সত্যিকার অর্থেই আদর্শিক চর্চার মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করে তাদের দিয়েই আমূল পরিবর্তন সম্ভব। যেমন তারা পাওয়ার পার্টি না হলেও ব্যক্তিগঠন,পরিবার গঠন, সমাজ পরিবর্তন-বিপ্লবের কাজ করে নিয়মিত। ছাত্র সমাজকে মেধাবি করে গড়ে তোলে, পরিবার গুলোকে ধার্মিক বানাতে চেষ্টা করে, সমাজের অসংগতি বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে লড়াই জারি রাখে।

তবে এই আদর্শিক চর্চা করা দলের কিছু কিছু মানুষ ক্ষমতার কাছাকাছি এসে তাদের চেহারার পরিবর্তন দেখে বুঝতে পারছি এতো দ্রুত এ জাতি ও মাটির পরিবর্তন সম্ভব না।ক্ষমতা চর্চার স্বাদ তাদের ভেতরেও প্রবেশ করা শুরু করেছে।অনেককে এই স্বাদ কাবুও করে ফেলেছে।

অন্যদিকে নতুন যে শক্তি আশার আলো নিয়ে উদিত হলো। তাদের অনেক আলোই ব্লাক হোলে পতিত হয়েগেছে।
তাদের কর্মকান্ডে দুরদর্শিতার ছাপ দেখা যাচ্ছে না। দেশের নিয়ন্ত্রক হয়েও আচরণ অরাজনৈতিক ও কিছুটা একপেশে টাইপের।

বাকী থাকলো সাধারণ জনগণ মানে আমরা। আমাদের মাথাভর্তি অজ্ঞতা, পুজিবাদ,ভোগবাদ,ব্যক্তি স্বার্থবাদ। আমরা একে অন্যর উন্নত জীবন কামনায় করিনা। উন্নত জীবন-রাষ্ট্রকেও ডিজার্ভ করতে হয়। আমরা তা মোটেই করিনা।

সব মিলিয়ে বিষয় যেটা দাড়াচ্ছে। উন্নত দেশ-জাতি গঠনের প্রাইমারি স্টেজেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি যুগ যুগ ধরে।

এবার আশাবাদের আলাপটা অল্প করে বলি আপনাদের। হাসিনার মত দুঃশাসন হয়তো আমাদের আর দেখতে হবে না ইনশাআল্লাহ। তারা যে মানুষকে মানুষ হিসেবেই ট্রিট করতো না এমন বাংলাদেশ আমরা দেখবো না আশাকরা যায়। যদিও দুর্নীতি- অপকর্ম থাকবে তবে দেশের জন্য দেশের যোগ্য মানুষগুলো কাজ করার সুযোগটা অন্ততপক্ষে পাবে। একেবারে যে স্মুথলি হবে এমনটাও আবার না।
এই যে দেশব্যাপী একদল নীরব কারিগর কাজ করতে পারবে। এটাই আমার আশাবাদের জায়গা। মূল পরিবর্তনের কারিগররা এখনো জীবিত আছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে এটাই বাংলাদেশের জন্য সুখবর।

Masud Rana Sagor

30 Oct, 12:07


শারিরীক অসুস্থতার জন্য আজকের প্রোগ্রামটি স্থগিত করতে হচ্ছে। দু:খিত।
তবে আমি ভিডিও বানিয়ে এখানে দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
দোয়া করবেন!

Masud Rana Sagor

29 Oct, 17:49


টপিক: সমাজ পরিবর্তনে বিশ্বনবী(সা.) বুদ্ধিবৃত্তিক মুভমেন্ট এবং বর্তমানে ইবনে খালদুনের প্রয়োজনীয়তা।

যেহেতু আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ইসলামের আলোকে সমাজ ব্যবস্থা গঠন। সেহেতু বিশ্বনবী সা. হলো এক্ষেত্রে একমাত্র মডেল। তবে এই মডেলকে সামনে রেখে যুগে যুগে যেসমস্ত মুসলিম দার্শনিক,সমাজবিজ্ঞানীগণ কাজ করেছেন তারাও আমাদের অন্যতম পথপ্রদর্শক।

বিশ্বনবী সা. জুলাইবিব রা. মত গরীব, দেখতে সমাজের চিন্তা অনুযায়ী সুদর্শন নয়, বংশমর্যাদা নেই এমন একজনের সাথে আরবের একজন ধনী, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন, রুপসী নারীর সাথে বিবাহের ব্যবস্থা কেনো করলেন?

বিশ্বনবী সা. তো জুলাইবিব রা. সমকক্ষ কিংবা তার চাইতে একটু উন্নত জায়গায় বিবাহের ব্যবস্থা করতেই পারতেন তাই না?

এই কর্মকাণ্ডে কি গরীব সাহাবীদের প্রতি রাসুলের প্রচন্ড ভালোবাসা ছিলো শুধু এমন বিষয়ই আমরা ধরে নিবো? নাকি এর পিছনে আরো গভীর বিষয় ছিলো?

এই আলাপটুকু লিখতে গেলে একটু কঠিন হয়ে যাবে।
আপনারা যারা আলাপটুকু জানতে চান। তারা আগামীকাল আমার সাথে জুমে যুক্ত হতে পারেন ইনশাআল্লাহ।

সময়: রাত ৯:০০ টা

https://us04web.zoom.us/j/76317013186?pwd=ypoQ83Q98Dsw23sHZftUbBL1p3e7xP.1

Masud Rana Sagor

26 Oct, 18:57


জামায়াতের ব্যাপারে সব ঘরনার বুদ্ধিজীবীরা কেনো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর পরিচয় দেয় এটা নিয়েই বিশাল একটা গবেষণা হওয়া উচিত।

জামায়াতের হিন্দু শাখা নিয়ে ইসলামিস্ট বুদ্ধিজীবী সহ অন্যরাও যেসব আলাপ দিলো সত্যই অবাক হওয়ার মত। কেউই সেরকম ইনসাফ,চিন্তাশীল ও বস্তুনিষ্ঠ আলাপ তুললো না।জামায়াতের ব্যাপারে ক্রিটিকের/ইসলামিক সমালোচনার মানদণ্ড মোটেই ফলা করা হয় না।

জামায়াতের হিন্দু কর্মী( হিন্দু শাখা) নিয়ে বইপত্র আছে আমি পড়েছি সেগুলো।
যারা একেবারে দা,কোড়াল নিয়ে নেমে গেলেন ফেইসবুকে আপনাদের সেগুলো পড়ে দেখা উচিত ছিলো কি না?

সব বাদ দিলাম। এতটুকু তো জানেন যে, জামায়াত-শিবির অনেক কৌশলী। তাহলে একবারো কি আপনার মনে হওয়া উচিত ছিলো না হয়তো এসব শাখাতে এমন কৌশল থাকতে পারে যার ফলে হিন্দুরা আস্তে আস্তে মুসলিম হওয়ার একটা ব্যাপার আছে। একটা কৌশলী দাওয়াতের সিস্টেম থাকতে পারে?

আমি বাদ রাখলাম নবীজির ইহুদি জোটের আলাপ। বাদ রাখলাম তাদেরকে রাষ্ট্রীয় উন্নতি কাঠামোর দিক দিয়ে সহযোগী বানানো শুধুমাত্র।
আরো বাদ রাখলাম বিশেষ একটি কৌশল সেটা হলো, বঙ ভূখন্ডে ইসলাম এবং ইসলামি রাজনীতির সবচেয়ে বড় শত্রু ও বাধা হলো হিন্দুত্ববাদ।
এই হিন্দু শাখার মাধ্যমে জামায়াতের এখানে ইন্টেলেকচুয়াল কোনো ওয়ার থাকতে পারে।

জামায়াত নিয়ে সমালোচনা হওয়ার অনেক যৌক্তিক বিষয় আছে। সেগুলো কখনো অনলাইনে দেখি না। দেখি যেগুলো সেগুলো দেখলেই মনেই হয় এটা জাস্ট বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা।


একশ্রেণীর আলেম ও সমর্থক দেখতেছি। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় ইসলাম মানবজাতির জন্য আসেনি। এসেছে শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য।

Masud Rana Sagor

23 Oct, 18:43


ছাত্রলীগের ভালো কাজের পরিমাণ বর্ণনা করতে গিয়ে আর্যভট্ট শূন্য (০) আবিষ্কার করেছিলেন।

Masud Rana Sagor

20 Oct, 04:54


আমরা(মুসলিম উম্মাহ) সবসময় একজন সালাউদ্দিন আইয়ুবী, তারিক বিন যিয়াদ,ইবনে কাসিমের অপেক্ষায় থাকি। বস্তুত তাঁরা যুগে যুগে এসেছে ও একাকী লড়াই করতে করতে তাদের রবের সাথে করা স্বীয় ওয়াদা পূরণ করেগেছে।
তাদের সহযোদ্ধা হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা(মুসলিম উম্মাহ) নিজেরা সবসময়ই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আর সেই ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখতেই " তাঁদের জন্য অপেক্ষারত" এমন একটি বয়ান খাড়া করেছি।

Masud Rana Sagor

17 Oct, 17:34


লীগের মস্তিষ্ক কতটা পঁচে গেছে একটু ভেবে দেখুন। তারা ১৬ টা বছর ধরে গু-ম,খু-ন, দুর্নীতি, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, ভোট চুরি থেকে এমন কোনো খারাপ কাজ নাই যা তারা করেনি।
শেষমেষ তারা গ-ণহ*ত্যা পর্যন্ত করলো।
সেই দলটা কোথায় বলবে যে, আমরা পরিশুদ্ধ হয়ে ফিরে আসবো,আমরা দুঃখিত। সেটা না বলে উল্টো বলতেছে ভয়ংকর হয়ে ফিরে আসবো। আবার কেউ কেউ দেখি হুমকির সুরেও কথাবার্তা বলতেছে।এদের একটুও অনুশোচনা নাই।
লীগ করলে কি মনুষ্যত্ববোধ,বিবেকবোধ কিছুই থাকতে নেই?

আচ্ছা লীগের যারা আছেন। একটা কথা বলুন তো। আপনারা ১৬ বছর ধরে যা করেছেন তার প্রতিশোধ সেই অর্থে বি এন পি/ জামায়াত কেউই গ্রহণ করেনি। আপনারা জাস্ট অবৈধ ক্ষমতা হারিয়েছেন কিন্তু সমাজে ঠিকভাবেই বসবাস করছেন। এরপরেও মাত্র দুই মাস ক্ষমতার বাইরে থেকে আবারো বলছেন ফিরতে পারলে চরম প্রতিশোধ নিবেন। তাহলে আপনাদের রুলস ও মাইন্ড অনুযায়ী এখন বি এন পি/ জামায়াত ও সাধারণ মানুষের আপনাদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত?

আওয়ামীলীগ থেকে তোমরা আগে মানুষ হও এরপরে অন্য আলাপ।

Masud Rana Sagor

16 Oct, 05:42


খু*নি-দের দল আওয়ামীলীগ টিকে থাকার মূল অস্ত্রটি ছিলো ফ্যাসিস্ট/বায়াসড আদালত। তারা অবৈধ যা কিছু করে টিকে ছিলো তার সবই প্রায় একদল জালিম বিচারকদের মাধ্যমে বৈধ(লেজিটিমেসি)করিয়ে নিয়ে।
জালিমের সেই দোসরদের কারাগারের বদলে আদালতে রাখার মানেই হলো ব্যর্থ শহিদদের রক্ত ও ইনকিলাব।

এখন দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।

Masud Rana Sagor

12 Oct, 08:06


ভোটের রাজনীতি এখনই এতো কইরেন না কাঙ্ক্ষিত সময় ও মঞ্জিল এখনো অনেক দূর,পজিটিভ সব ন্যারেটিভ,ক্রেডিট নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
শো-ডাউন শব্দের সাথে ডাউন শব্দটাও আছে খেয়াল রাখেন।

সময় এখন ভিত্তি স্থাপনের,জমিনের গভীরে ও চারিদিকে শেকড় প্রতিষ্ঠার।কোয়ালিটিফুল স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন বেশিবেশি।

যেসব গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় নেই থাকলেও ভালো মানের নাই সেসব জেলাগুলোতে মানারাত,নর্থ সাউথের মত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলুন এবং প্রতিটি জেলায় স্কুল প্রতিষ্ঠিত করাকে অপরিহার্য কাজ হিসেবে গ্রহণ করুন।
শহরের উপকন্ঠে লাইব্রেরি, গবেষণাগারও তৈরি করে দেন। আমভাবে সকল চিন্তাশীলদের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে এগুলো কাজে দিবে ইনশাআল্লাহ।

এই কাজগুলোর বেনিফিট সাসটেইনেবল বাকী সব উঠানামা করবে।

Masud Rana Sagor

07 Oct, 16:29


শেখ হাসিনা এবার শান্তিতে নোবেল ডিজার্ভ করে।
সে দেশে না থাকাতে শান্তিতে চলাফেরা ও ঘুমাতে পারছি।

Masud Rana Sagor

04 Oct, 13:13


পুঁজিবাদ,ভোগবাদ,বস্তুবাদ হলো মানুষের সত্ত্বার জন্য উইপোকা। যা মানুষের ভেতরটাকে ধীরে ধীরে খেয়ে শেষ করে ফেলে।
মানুষের তখন মহৎ কোনো জীবনবোধ,মূল্যবোধ, দর্শন,মিশন-ভিশন থাকে না।
থাকে শুধু পশুর মত জৈবিক চাহিদা মেটানোর উন্মাদনা।

Masud Rana Sagor

28 Sep, 18:46


যারাই বাড়াবাড়ি করবেন। শুধুমাত্র একটা হিসাব মাথায় রাইখেন।

ছাত্রলীগ ১০০ টা অন্যায় করলে প্রতিবাদ, নিউজ,প্রচার হতো ১ টা মাত্র তাও কিছু সংখ্যাক মানুষ দ্বারা।
সেখানে এখন যারাই বাড়াবাড়ি করবেন তাদের ১ টা অপরাধের প্রতিবাদ,নিউজ,প্রচার করবে শত শত মানুষ।

তাহলে ছাত্রলীগের পচে যেতে যেখানে ১০ বছর লেগেছে সেখানে অন্যদের লাগবে মাত্র ১ বছর।

এখন দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।

Masud Rana Sagor

28 Sep, 17:40


গ্রামগুলো পিছিয়ে থাকার অন্যতম একটি মূল কারণ গোষ্ঠী আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন।
বড় বড় গোষ্ঠীগুলোর মাঝ থেকে কিছু পুঁজিপতি ও রাজনৈতিক নেতা তৈরি হয়।

অর্থের জোর,লোকবল,সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে তারা যেকোনো সরকারের আমলেই নিজেদের প্রভাবকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও গোত্রপ্রীতির কারণে তারা একে অপরকে সেল্টার দিয়ে নিরাপদ রাখে।যার ফলে সকল আগ্রাসন ও অপকর্মক চলমান থাকে। তাদেরকে এজন্য সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
এই পুঁজিপতিরা ও গোষ্ঠী আধিপত্যবাদীরা গ্রামের অন্যসব শ্রেণীর মানুষদের উপরেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে রাখে। যার ফলে এই বৈষম্য,অপকর্ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা দূর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই নাজুক অবস্থায় থাকে।

এই পুঁজিপতিরা হলো, জুয়া,মাদক,নারী,রাজনৈতিক-সামাজিক বৈষম্য ইত্যাদি সকল অবৈধ কর্মকান্ডের স্টেক হোল্ডার। তাছাড়া আরো একটি বড় সমস্যা হলো, তারা সাধারণ মানুষ ও ছোটো গোষ্ঠীগুলোর উপরে ছড়ি ঘোরানোর ঐতিহ্য বাচিঁয়ে রাখতে চরম আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কায়েম করে রাখে। এদের ভেতরে কিছু ব্যতিক্রম উন্নত মন-মস্তিষ্কের ব্যক্তি অবশ্যই আছে তবে তারা এসব সমস্যা মোকাবিলা করার মত ক্যাপাবল নয়।

গ্রামগুলোকে এই পুঁজিপতিদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হলে নতুন ধারার রাজনীতি ও নেতৃত্বের জন্ম নিতে হবে নতুবা এই বৈষম্য দূর হবে না।
যদিও এটা অনেক ডিফিকাল্ট তবে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা শুরু হলে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে অনেক উন্নত পরিবেশ তৈরি হওয়া সম্ভব।

বি দ্র: একটা বিষয় অবশ্যই সবসময়ই মাথায় রাখতে হবে।
এই পুজিপতি ও আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করতে যেয়ে যেনো আবার বড় গোষ্ঠীগুলোর প্রতি অন্যায়ভাবে ঘৃণার চর্চা তৈরি না হয়।
যারা অপকর্মে লিপ্ত ও তাদের সমর্থনকারী সচেতনভাবে তাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। দাওয়াহ, জ্ঞানচর্চা,সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে সামগ্রিকভাবে সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সাসটেইনেবল ফলাফল সম্ভব।

Masud Rana Sagor

27 Sep, 21:50


শুধুমাত্র জ্ঞান,বুদ্ধি,ইন্টেলেকচুয়ালিটি দিয়ে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারবেন না। তার জন্য হেদায়াত অপরিহার্য।
সকল বুদ্ধিজীবী, চিন্তকদের ইসলামের পক্ষেই থাকাটা স্বাভাবিক ছিলো। কারণ তারা তো সত্যকে খুজতে চেষ্টা করে আর এই দুনিয়াতে সকল সত্যের উৎস হলো ইসলাম। তবুও তারা সারাজীবন হাতড়ে বেড়ায় কিন্তু সত্যের শেকড়ে পৌছাতে পারে না। তার একমাত্র কারণ হেদায়াত প্রাপ্ত না হওয়া।

Masud Rana Sagor

27 Sep, 09:58


এই দৃশ্য দেখে আপনি আপ্লূত না হলে বুঝে নিয়েন আপনার ভেতরে দেশপ্রেম নাই অথবা আপনি রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিত্ব নন।
সাংবাদিক Mahmudur Rahman - মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশের জন্য আমি একা লড়াই করবো,ইসলামের জন্য আমি জীবন দিবো- মাহামুদুর রহমান।

দিল্লির দাসত্ব, আগ্রাসন বিরোধী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও মহানায়ক।

দেশের সত্যিকারের সন্তানেরা দেশের বুকে এভাবে ফিরে আসা আনন্দের ও আবেগে আপ্লূত হওয়ার মত। তিনি রক্তাক্ত হয়ে দেশ ছেড়ে ছিলেন এবং ফিরে আসলেন বীরের বেশে।

বারাকাল্লাহ ফি হায়াতি স্যার!

Masud Rana Sagor

25 Sep, 10:15


সব যদি বাদও রাখি, ছাত্রদল করে ওমুক ৫ জন ছেলে এমন কোনো পরিচিত মুখ বা বয়ান বিন্দুমাত্র ছিলো না। আর তারা কিছু কর্মকাণ্ড করেছে এমন কিচ্ছু তো ছিলোইনা এলাকায়।
তাদের উপরে জুলুম তো বহুদূর। যারা এক্সজিস্ট করতো না তাদের উপরে আবার জুলুম কোথা থেকে আসবে।
বি এন পি আর ছাত্রদলকে এক করে ভুল মানে নিয়েন না আবার। বি এন পির আগের কিছু পরিচিত নেতাকর্মী ও মুখ ছিলো যারা জেলও খেটেছে আবার বাড়ি ছাড়াও হয়েছে যেমনটা জামায়াতও হয়েছে।

সব আলাপ যদি বাদ দিয়ে দেয়। তবুও আমার এলাকায় ওমুক ১০ জন ছেলে শিবির করে এই জিনিসটা ছিলো। তাদের কর্মকাণ্ডও ছিলো। তাদেরকে বাধা,হুমকি,পুলিশী হয়রানি সবকিছু করাও হয়েছিলো।
এটা আর অন্যদের বেলায় ছিলো না।

সো, সব ইতিহাস মাথায় রেখে আর শাহবাগীদের পাল্লায় পড়ে আর ভুল কইরেন না। আসল বন্ধুদের চিনতে শিখুন।

Masud Rana Sagor

25 Sep, 10:15


শিবিরের বিষয়ে যে পয়েন্টটি ক্লারিফাই না হওয়াতে অনেকেই শাহবাগী বয়ান গিলতেছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীরা ফাদে পা দিয়েছে অলরেডি সে আলাপও শেষে করেছি।

১) শিবির তো শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল নয়। তারা পূর্ণাঙ্গ একটি ছাত্রসংগঠন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইসলামি আন্দোলনকারী,বিপ্লবকামী দল। তাদের একটি মাত্র সাবজেক্ট হলো প্রচলিত রাজনীতি। এই রাজনীতিটা পরিস্থিতির আলোকে তারা বেশিরভাগ সময় হিডেন অবস্থায় করেছে কিন্তু করেছে।
তাছাড়া দ্বীনের দাওয়াতি কাজ করা, কর্মী বৃদ্ধি করা, কর্মীদের মান-উন্নয়ন করে প্রোপার শিবিরে পরিণত করা, সাধারণ ছাত্রদের মাঝে শিক্ষামূলক কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা, সামাজিক কাজ করা এগুলোতো তারা সবসময়ই করে আসছে তাদের মত।

মাঠে,ঘাটে,গ্রামে,কলেজে সব জায়গায় শিবির দাওয়াতি কাজ করেছে তবে কৌশলে। যেখানে শিবির সন্দেহে ছাত্রদের পিটিয়ে মেরা ফেলা হয়েছে সেখানে শিবির ওপেনে কাজ করতো কিভাবে?

আপনার মস্তিষ্ককে সালাম জানাতে হয়। ১৬ বছরের জুলুমের পরিবেশ কি ভুলে গেছেন? সেই ১৬ বছরে আপনি সুশীল কি এভাবে লীগের হাজার হাজার অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা শব্দ বলতে পেরেছিলেন? ১৬ বছরের জুলুমের দিকে আঙুল না তুলে তুলছেন শিবির কেনো গোপনে ছিলো। হাও রাবিশ!

শিবির সবসময়ই রাজপথেই ছিলো তবে পরিস্থিতির কারণে ব্যাপকভাবে নয়। হাতেগোনা কয়েকজন পরিস্থিতির কারণে আন্ডারগ্রাউন্ড ছিলো। সেজন্য পুরো সংগঠনকে আন্ডারগ্রাউন্ড বানানো প্রথম ভুল ও অবিচার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যদি বলি অরাজনৈতিক ছাত্ররাও পরিবেশের কারণে ছাত্রলীগের মিছিলে যুক্ত হয়েছে, পাশাপাশিও থেকেছে। একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
তাহলে সেই একই কাজটি তো শিবিরের ছেলেরাও করতে বাধ্য ছিলো। এখন কতিপয় শিবিরের ছেলেরা একটু বেশি গভীরে ঢুকেছিলো। এটাতো অন্যায়ের জন্য নয় বরং অন্যায়কে প্রতিহত করে ন্যায়কে প্রতিষ্টার জন্য। সেক্ষেত্রে এরা তো হিরো বাট বানিয়ে ফেলছেন ভিলেন।
ভিলেনটা আপনারা বানাচ্ছেন না। বরং আপনারা শাহবাগীদের চক্রান্তে আবারো ভুল করতেছেন।
যারা ছিলো ১৬ বছর লীগের দালাল এবং লীগের জুলুমের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সাপোর্টকারী, জাস্টিফাইকারী।

ছাত্রদলের যে ভাইয়েরা খুব হিরোগিরি দেখাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়া বাড়িতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ অবরুদ্ধ ছিলো। একটা মাত্র বালুর ট্রাক আপনারা কি সরাতে সক্ষম হয়েছিলেন?
তারেক জিয়ার মত জাতীয় একজন প্রধান নেতা, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েরও মানুষ। তিনিও কি দেশে থাকতে পেরেছে? আপনারা ১৬ বছরে ছাত্রলীগকে কোথায় পরাজিত করেছিলেন? আপনাদের অবস্থা তো শিবিরের মত ছিলো না তাই না? ছাত্রদল বললে গ্রেফতার হতে হতো না কিন্তু শিবির পরিচয় জানলেই গ্রেফতার হতে হতো।
ছাত্রদল সন্দেহে ওমুক জায়গা থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার হতে হয়নি কিন্তু শিবির সন্দেহে গ্রেফতার তো হতে হয়েছেই এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ছাত্রদলের মিছিলে গুলি চালানো হতো না,গ্রেফতারও করতো না দুই একবার ছাড়া। কিন্তু শিবিরের মিছিল মানেই গুলি ও গ্রেফতার অনিবার্য ছিলো দুই একবার ব্যতিক্রম ছাড়া।
তাহলে শিবিরের তুলনায় আপনাদের জন্য পরিবেশ তো সহনশীল ছিলো অধিক। তাহলে আপনাদের নজরকাঁড়া কোনো পারফরম্যান্স জাতি দেখতে পায়নি কেনো?

আমি সব বাদ দিচ্ছি, আমার গ্রামের কথা বলছি; চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি আমার গ্রামে তো এখন সব জায়গায় "বি এন পির" নেতা দেখতে পাচ্ছি। তারা পারলে আমার কথা মিথ্যা প্রমাণ করুক দেখি।

লাস্ট ১০ বছরে ছাত্রদল বলে আমার গ্রামে কিছু কি ছিলো? একটা সিঙ্গেল প্রোগ্রাম ছাত্রদল কি করেছে? একজন ছাত্রদলের নেতা হিসেবে কেউ পরিচিত ছিলো? কোনো ভূমিকা ছিলো?
আমার বাবা,চাচারাই সব বি এন পির নেতাকর্মী। তাদের ১% কর্মকাণ্ড ছিলো না মাঠে। শুধুমাত্র ভোটের সময় কিছু দেখা গেছে তাও টিকে থাকতে পারেনি বেশিক্ষণ। যদি বলে আমরাও গোপনে করেছি কিছু কাজ তাহলে আর কিছু বলার নাই।

এবার আসুন লাস্ট ১০ বছরে আমার গ্রামে শিবিরের ভূমিকা। প্রতি শীতে তারা কম্বল বিতরণ করেছে, ঈদ-কুরবানিতে দরিদ্র মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছে, করোনায় পুরো গ্রামকে এককভাবে বললেও বাড়াবাড়ি হবে না তারাই আগলে রেখেছিলো। চিকিৎসা জন্য অর্থদান থেকে বিভিন্ন সাপোর্ট, ব্লাড ডোনেট, দরিদ্র মানুষের ঘর নির্মাণ, বেকারত্ব দূর করতে ব্যবসায় সহযোগিতা, ভ্যান কিনে দেওয়া, দরিদ্র ছাত্রদের সহযোগিতা করা, খেলার সামগ্রী বিতরণ, হিন্দুদের মাঝে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান, টিউবওয়েল বসানো থেকে এমন কোনো পজিটিভ কাজ নাই যে তারা করিনি।
আর দাওয়াতি কাজ, বই বিতরণ এটা ছিলো নিয়মিত কাজ। প্রতিটি মসজিদেও তারা প্রোগ্রাম করেছে নিয়মিত। এই কাজগুলো করতে বহু ত্যাগ ও কষ্টের শিকার হতে হয়েছে।
প্রায় প্রতিদিনই হুমকি,ধামকি,পুলিশের ভয় তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। বাবা-মাকে ভয় দেখানো হয়েছে। কোনো কিছু করেই তারা সফল হয়নি। শিবির শত কৌশলে টিকে থেকে কাজ করেগেছে।

Masud Rana Sagor

23 Sep, 18:31


লেখাটা ছাত্রদলের মাঝে প্রচার হওয়া দরকার। তাদেরকে মেইনশন ও শেয়ার করা যেতে পারে


https://www.facebook.com/share/p/oTJcuSoDy3AQSQCg/?mibextid=oFDknk

Masud Rana Sagor

22 Sep, 19:21


শত আলোচনার মাঝেও এই বিষয়টি ঠিক রাখতে হবে।
এই আন্দোলন সবার। এই আন্দোলনে যাদের পক্ষে কথা বলার লোক সবচেয়ে কম, একেবারে নাই বললেই চলে সেই টোকাই, বস্তীবাসী, রিক্সাওয়ালা, খেটে খাওয়া মানুষেরাই ফ্রন্টলাইনার হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছে।তারা পঙ্গু হয়েছে বেশি, মারাও গেছে বেশি।

ছাত্রদলের অবদানও অনস্বীকার্য। তারা অনেকই পঙ্গু হয়েছে,মারা গেছে, দুর্দান্ত লড়াই করেছে । ছাত্র অধিকার পরিষদের অনেক পরিচিত ভাইকে দেখেছি মিছিলের সামনে অবস্থান করে লড়তে।

ছাত্রশিবিরকে ধন্যবাদ তারা আন্দোলনের শেকড়ে ও রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বারবার বলেছে আন্দোলন সবার। এমনকি নিজেদের শহীদের তালিকাও প্রকাশ করেনি।

এই মনোভাব, ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠিত হোক। এই বিজয়ের ক্রেডিট দেশের প্রতিটি ছাত্র-জনতার শুধুমাত্র আওয়ামিলীগ ব্যতীত।

Masud Rana Sagor

22 Sep, 04:31


প্রোফাইলে লাল রঙ ধারণ করার আইডিয়া ছিলো ছাত্রশিবিরের। যা ছিলো গেমচেঞ্জিং আইডিয়া। ফ্যাসিবাদীদেরকে চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান করার আন্দোলন। (ঠান্ডা যুদ্ধ)

ছাত্রশিবিরের এই আন্দোলনে মোটাদাগে দুইটা সফলতা পেয়েছে। এক, হাসিনা পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। দুই, তাদের কৌশলের মাধ্যমে সারাদেশের ছাত্র জনতাকে একোমোটেড করতে পেরেছে।
সারাদেশের সর্ব স্তরের জনতা,বুদ্ধিজীবী, লেখক,সাংবাদিক,ইনফ্লুয়েন্সার,নায়ক-নায়েকা পর্যন্ত সবাই এই আইডিয়ার কারণেই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়েছিলো। নিদিষ্ট সাইড তৈরি হয়েছিলো।

ষড়যন্ত্র ও কৌশলের মধ্যে পার্থক্য যারা জানে না তারাই ছ্যাঁকা খাচ্ছে ও তাদের মন মস্তিষ্কের চিকিৎসা প্রয়োজন। মানে ভাবখানা এমন, যুগ যুগ ধরে জালিম হাসিনার পা চাটবো কিন্তু শিবিরের সহযোগিতা আছে জানলে আন্দোলনে যেতাম না। এদের মস্তিষ্ক নিয়ে আসলেই গবেষণার প্রয়োজন আছে।

আইডিয়ার মাস্টারমাইন্ড, ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি আলী আহসান জুনায়েদ।

তথ্য: আরেফিন মুহাম্মদ

Masud Rana Sagor

22 Sep, 03:07


আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ভাইয়ের পোস্টের পর সব ক্লিয়ার। আসলে আন্দোলনে ছাত্র-জনতা সবাই ছিল তা ঠিক তবে আন্দোলন শুরু করেছে শিবির, বাচিয়ে রেখেছে শিবির, কোর্ডিনেট করেছে শিবির, শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে শিবির, সফলতাও দেখিয়েছে শিবির। ক্রেডিট নেয়ার জন্য যারা দৌড়াদৌড়ি করেছেন এক রাতেই সব শেষ। আপনারা আন্দোলনে ছিলেন ঠিকই তবে শিবিরের নের্তৃত্বে। শিবির এক জায়গায় খুবই সফল হয়েছে যে সে পরিচয় গোপন করে ছাত্র-জনতা সবাইকে তার নের্তৃত্বে শামিল করতে পেরেছে।

জবিয়ানস - JnU'ins

Masud Rana Sagor

21 Sep, 18:26


কিন্তু পত্রিকাগুলো জাতিকে বলেছে তারা শুধু রগকাটে।

Masud Rana Sagor

21 Sep, 18:13


৯ দফা ও আন্দোলন সরকার পতনের দিকে ধাবিত হওয়ার আসল ইতিহাস।

সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিগুলো পেশ করার কথা ছিলো। সাথে মন্ত্রীদের সাথে আলাপের একটা সংবাদও ভেসে বেড়াচ্ছিলো। সময় তখন বিকেল ৫ টার একটু পর। Md Abu Shadik ভাইয়ের বাসায় একটা নতুন মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলাম উনার জন্য। তখন মাত্র দুপুরের খাবার নিয়ে বসেছিলেন তিনি। খাবারের পর সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দাবিগুলোর খসড়া লিখছিলেন। এমন সময় এক সমন্বয় কল দিয়ে সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়ে ভাইয়ের পরামর্শ চাইলেন। সাদিক ভাই বলেছিলেন, আলোচনায় বসলে জাতীয় হিরো থেকে জিরো হয়ে যাবে, শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী হবে। এমন কাজ করা যাবে না। সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের দফা ঘোষণা করতে হবে। আমি খসড়া তোমাকে পাঠাচ্ছি। তারপর দিন সেই খসড়ার সাথে আরো কিছু বিষয় যুক্ত হয়ে চুড়ান্ত নয় দফা দেখলাম মিডিয়ায়। এবারে মাস্টারমাইন্ড কে এ সম্পর্কে আপনারা যেটা ভালো মনে করেন।

মামুন আব্দুল্লাহ্ ভাই

1,819

subscribers

78

photos

3

videos