নতুন
আইন বানাতে হবে। পুরাতন আইনে আইনসিদ্ধ দেখলে হবেনা।
এইটা রেভেলুশানারি পিরিয়ড। এই সময়কে সেই ভাবে ডিল করতে হবে।
৩। জেলায় জেলায় বিশেষ ট্রাইবুনাল করে, আওয়ামি দুর্নীতির বিচার করা প্রয়োজন। এই ট্রাইব্যুনাল করলে, প্রতিটা এলাকায় আপনি অভিজোগ পাবেন যে, কীভাবে কত লক্ষ লক্ষ মানুষকে লুট করা হয়েছে।
শেখ হাসীনা, দরবেশ বাবা,বা এস আলমের মত হাই প্রফাইল ক্রাইম গুলোর জন্যে আলাদা কোর্ট হবে। বাংলাদশের প্রথাগত প্রক্রিয়ায় এদের বিচার করা মানে এদের মুক্তি প্রদান। কারন, আপনি জেভাবেই সাজাননা কেনো, মামলা প্রক্রিয়ার দুর্বলতায় এরা মুক্তি পাবে।
তাছাড়া পুলিশ বা প্রসিকিউশান অফিসাদের অধিকাংশই আওয়ামি লীগ, ফলে এই লোক গুলোকে দিয়ে এখন যেভাবে এইটা সেইটা ধারায় শত শত মামলা দিচ্ছে তা আওয়ামি লীগকে ইতোমধ্যেই মুক্তি দিচ্ছে, বা তাঁদেরকে অপরাধির বদলে আন্তর্জাতিক বিশ্বের চোখে ভিক্টিম হিসেবে চিহ্নিত করছে।
১/১১ এর সময়ে যেভাবে দুর্নীতি দমনের স্পেশাল ট্রাইবুনাল করা হয়েছিল,মেকশিফট ক্যাম্পের মাধ্যমে কোর্ট স্থাপন করা হয়েছিল। সেই একই ভাবে আওয়ামি লীগের এমপি, নেতা ও তাঁদের পরিবারদের বিচারে এই ভাবে স্পেশাল ক্যাম্প স্থাপন করে তাঁদের বিচার করতে হবে।
এই আলাপটা করলে, অনেকেই ভয় পান এই বলে যে, ১/১১ রিপিট করা যাবেনা। ১/১১ এর সম্পর্কে ভুল রিডিং এই সব ধারনার পেছনে দায়ী। ১/১১ এর অপরাধ ছিল, পলিটিকাল স্যাটেল্মেনট, ব্যাল্যান্স অফ পাওয়ার ও জন সমর্থন বাদে মাইনাস টু করা। বাংলাদেশের ১০ বছর ধরে গণতন্ত্র ধ্বংস কারি ও ১০০০ নারী পুরুষ ও শিশুর হত্যাকারি আওয়ামি লীগকে বিচারের বিষয়ে পূর্ণ জন সমর্থন রয়েছে।
এইটা এখুনি করতে হবে।
এদেরকে বিশেষ ট্রাইবুনালে দ্রুত বিচারের আয়তায় না এনে, বাংলাদেশের দীর্ঘ সুত্র রেল গাড়ি ধমাধম বিচার প্রক্রিয়াই বিচার করলে , আওয়মি লীগ ফেরত আসবে।
৪। গণতন্ত্র হত্যার অপরাধে ২০১৪ থেকে নমিনেশান নেওয়া সকল আওয়ামি লীগ এমপির তিন টার্ম পর্যন্ত নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
নিশ্চয়ই এইটার জন্যে আইন নাই, তবে, আইন বানান।
এই আওয়ামি লীগ তিন টা নির্বাচন করেছে, আমাদের পারটিসিপেসন বাদে, এখন তাঁদেরকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার আইন তৈরি করেন। আওয়ামি লীগকে নিষিদ্ধ করে কোন লাভ হবেনা। আওয়ামি লীগ অন্য নামে ফেরত আসবে।
কিন্তু আওয়ামি ক্ষমতা কাঠামোকে যদি আমরা নিষিদ্ধ করি, তারা ফেরত আসতে পারবেনা। এরা পরিবার কেন্দ্রিক দল, প্রতিটা কন্সটিটিউনেসিতে যদি পরিবার গুলোকে আমরা আইন করে, রাজনীতি থেকে বাহিরে রাখতে পারি, তবে, আওয়ামি ক্ষমতা কাঠামো দুর্বল হবে।
৫। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদিচি, জাতীয় কবিতা পরিষদ টাইপের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্টদের অর্থের সুত্র চেক করা এবং তাঁদেরকে চেজ করার কাজটা অনৈতিক মনে হইলেও অনৈতিক না।
এই ফ্যাসিস্ট কাঠামো শেখ হাসিনার ক্ষমতার পাটাতহ্ন নির্মাণ করেছে। তাঁদের ফিনান্সিয়াল নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে দেখেন, এরা বিভিন্ন ভাবে আওয়ামি লুটপাটের অংশ ছিল। এদেরকে দৌড়ের উপরে রাখলে, এরা সামনে এসে বিষের ছোবল দিতে ভয় পাবে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যে টেমপ্লেট ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধীদের সেই করেছে, সেই একই প্রক্রিয়ায় আমাদের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের পেছনে লেগে থাকতে হবে। ঘাতক দালাল রা কে কোথায় বই বানাতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে একটি সাংস্কৃতিক লড়াই জারি রাখতে হবে ।
শেখ হাসীনা মোটেও কোন দুর্বল বা ডাম্ব শাসক ছিলনা। সে মোটেও শুধু মাত্র ভয় বা অস্ত্র দিয়ে শাসন করে নাই।
সে বিভিন্ন খাতে এই ভাবে বিভিন্ন ভাবে চাপ তৈরি করেছে। এইটা লুজ করলে, আরেকটা টাইট করেছে। আমাদেরকে একই ভাবে বিভিন্ন মুখী চাপ তৈরি করতে হবে ।একটা লুজ হলে আরেকটা টাইট দিতে হবে ।
এই স্টেপ গুলো আওয়ামি লীগের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পাটাতনটাকে ভেঙ্গে দেবে।
এই গুলো যদি না করেন , তবে, বিভিন্ন ভাবে আওয়ামি লীগ ফেরত আসবে, যার ফলে এক দিন হাসিনা ঠিকই চট করে ঢুকে পড়বে।
অনেকেই ভেবে ভেবে বের করতেছেন নির্বাচনের পর বিএনপি একক আধিপত্য কীভাবে কাউন্তার দেবেন । তারা ধরেই নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়ে গেছে,
সরি ডারলিং, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রধান প্রতিপক্ষ এখনও আওয়ামি লীগ ও শেখ হাসীনা।
তাঁদেরকে ক্ষমতা কাঠামো ভাঙ্গার জন্যে কিছুই করা হয় নাই।
তাঁদের বিষদাত যদি এখনই না ভেঙ্গে দেন, শেখ হাসীনা ফেরত আসবে।
~ Zia Hassan