Engineer's Diary

@engineersdiary


EngineersDiaryBD.com

Engineer's Diary

23 Oct, 15:16


জুলাই গনবিপ্লবের সময় যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান করেছিলো এবং ছাত্র নির্যাতনের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের কুয়েটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা।

Engineer's Diary

23 Oct, 05:56


এই যে ফেইসবুক আবার ছেয়ে যাবে ইলন মাস্ক বলছে কলেজ ডিগ্রীর দরকার নাই, কিন্তু এলন মাস্ক যে মাঝে বলছে: We need more Polytechnic Education with all these 4 years degree ওইটা আমরা বুঝি নাই।

আসেন এই সেইম এলন মাস্কের একটা জব ডেস্ক্রিপশন খুলেন? খুললে দেখবেন; Tesla mostly hires:

- Stanford
- UC Berkley
- UMich
- Carnegie Mellon grads

Tesla job information session এ জয়েন করলে রিক্রুটার সবার আগে জিজ্ঞাসা করে major and CGPA?

They take 20% employees from San Jose State Uni and San Fransisco State Uni কারণ ওদের work culture adoptation is like সারাদিন কামলা দিবি। Also their D&I agenda, Diversity and Inclusion agenda.

Media is media, they will propagate - "4 years degree লাগে না, কিন্তু জায়গা বরাবর গেলে সবার আগে জিজ্ঞাসা। Which major, uni and CGPA?"

যতদিন জব এপ্লাই না করছেন ততদিন এইগুলো দেখবেন না। এখন বলবেন উদ্যোক্তা হতে?

Bruh, VCs are more stupidly baised with college names and ex-internships. Just check কত পার্সেন্ট ড্রপ আউট got funded and কত পার্সেন্ট grads.

-Mohidul Islam

Engineer's Diary

23 Oct, 04:05


সিম অব্যবহৃত রাখার মেয়াদ কমছে, বাড়বে ফি দিলে!

ফি দিয়ে সিম অব্যবহৃত রাখার বাড়তি মেয়াদ কেনা যাবে। ফলে একজন গ্রাহক তার অব্যবহৃত সিম অপারেটরদের পুনরায় বিক্রি বা রিসাইক্লিং সময়ের পরও নিজ নামে রাখতে পারবেন।

তবে সাধারণভাবে সিম অব্যবহৃত রাখার যে মেয়াদ, তা বেশ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এরমধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন।

মোবাইল অপারেটরদের আবেদন ও প্রস্তাবে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও অপারেটরগুলো এই মেয়াদ কমিয়ে মোট ৩৯৫ দিন করতে চেয়েছিল। বিটিআরসি তার চেয়ে বেশি কমিয়ে দিয়েছে।

বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সিম নম্বর জাতীয় সম্পদ। এটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে সরকারও রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়। অপারেটররাও আয় করতে পারে না। এছাড়া গ্রাহক চাহিদায় নতুন নম্বর বন্টনে চাপ বাড়বে।

গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এই মেয়াদ কমানোর দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই সিম এতো লম্বা সময় অব্যবহৃত রাখার বিষয়টি দেখা যায় না।

সিম নিস্ক্রিয় থাকার এই সময়ে তারা সেটি হতে কোনো আয়ও পান না।‘যেমন যুক্তরাষ্ট্রে এই মেয়াদ ৯০ দিন, ভারতে ১০৫ দিন, মালেশিয়ায় ৬০ দিন, পাকিস্তানে ১৮০ দিন’ উল্লেখ করেন তারা।

সিম অব্যবহৃত রাখার বাড়তি মেয়াদ কিনতে ফি কতো :

সাধারণ হিসেবে নতুন ঠিক করা সিম রিসাইক্লিংয়ের মেয়াদ ১১ মাসের পর হতে সিম নিস্ক্রিয় বা অব্যবহৃত রেখেও নিজ নামে রাখতে হলে ২ বছরের জন্য ফি হবে ৩০০ টাকা। সঙ্গে যোগ হবে কর।

আর গ্রাহক এই মেয়াদ যদি ৩ বছর করতে চায় তাহলে গুনতে হবে ৪৭৫ টাকা, সঙ্গে কর।অপারেটররা এই মেয়াদ বৃদ্ধির চার্জের সঙ্গে কোনো ডেটা বা কলের অফার দিতে পারবে না।

এখন গ্রাহক ফি দিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সময়কালে রিচার্জ করলে, ফি দিয়ে বাড়ানো মেয়াদ বা রিচার্জের মধ্যে যে মেয়াদ বেশি হবে সেই সময়ে অপারেটরা ওই সিম রিসাইক্লিং করতে পারবে না।

#BTRC #MOCB #Robi #Grameenphone #banglalink #Airtel #internetservice #Teletalk #skitto #GP

Engineer's Diary

22 Oct, 22:37


দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য চলে যেতো ভারতের কাছে।
.
এতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে ভারত হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও ছিলো হুমকির মুখে।

কয়েক যুগ পর অবশেষে নতুন রাডার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসেব নিকেষ। সর্বশেষ রাডার সংযুক্ত করা হয়েছিলো ১৯৮০ দশকের শুরুতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়।
সূত্র- একুশে টেলিভিশন

Engineer's Diary

22 Oct, 21:41


রিয়াল মাদ্রিদ আজকেও ক্যামব্যাক করলো।

BAL এর কামব্যাক কখন?

Engineer's Diary

22 Oct, 21:33


এসআই ব্যাচের লিডার কে?
- স্কাই ব্রো।
এসআই ব্যাচের গ্যাঞ্জাম লিডার কে?
- স্কাই ব্রো এন্ড 69 আদার্স।
কথা হপে নে ভাইয়্যে। শুধু মা ই র হবে যে!

Engineer's Diary

22 Oct, 21:31


বাদ পড়া একজন ট্রেইনি এসআই। যিনি ২০১৮ সাল থেকেই সবাইকে প্রতিহত করে আসতেছিলেন। ধন্যবাদ মাদার অব হিউম্যানিটি, এরকম বাচ্চা-কাচ্চাদের রেখে পালিয়ে যাওয়ার জন্য।

Engineer's Diary

22 Oct, 13:42


গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম
গবেষণার ক্ষেত্রটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং সঠিকভাবে নিজের গবেষণা প্রচার ও সহযোগিতা গড়ে তোলা আজকের দিনে অনিবার্য। নতুন গবেষকদের জন্য এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলা জরুরি, যা তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং গবেষণার সুযোগকে আরো প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যে কেউ চাইলে বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
𝐆𝐨𝐨𝐠𝐥𝐞 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐥𝐚𝐫
গবেষণার জন্য গুগল স্কলার (https://scholar.google.com/) একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখানে গবেষকরা তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র আপলোড করতে পারেন এবং অন্যরা কিভাবে তাদের কাজ সাইট করছে তা দেখতে পারেন। এটি গবেষণার তথ্য জানার এবং নিজের কাজকে ছড়িয়ে দেওয়ার সহজ মাধ্যম।
𝐎𝐑𝐂𝐈𝐃
ORCID (https://orcid.org/) গবেষকদের একটি অনন্য (Unique) আইডি প্রদান করে, যা তাদের প্রকাশনা ও গবেষণা অবদান সঠিকভাবে চিহ্নিত করে। এটি গবেষকদের অবদান ট্র্যাক এবং তাদের কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে সহায়ক, ফলে গবেষণার মান উন্নয়ন এবং সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয়।
𝐑𝐞𝐬𝐞𝐚𝐫𝐜𝐡𝐆𝐚𝐭𝐞
রিসার্চগেট (https://www.researchgate.net/) গবেষকদের জন্য একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র শেয়ার করতে, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করতে এবং অন্যান্য গবেষকদের সাথে প্রশ্নোত্তর করতে পারেন। এটি গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার একটি চমৎকার মাধ্যম।
𝐀𝐜𝐚𝐝𝐞𝐦𝐢𝐚
অ্যাকাডেমিয়া (https://www.academia.edu/) আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষকরা তাদের কাজ শেয়ার করতে পারেন। এটি গবেষণার আপডেট পেতে এবং নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
𝐏𝐮𝐛𝐥𝐨𝐧𝐬
পাবলন্স (https://publons.com/wos-op/account/unified-auth/) গবেষকদের পিয়ার রিভিউ কার্যক্রম পরিচালনা এবং তা সনদপ্রাপ্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যারা গবেষণাপত্র রিভিউ করেন, তারা এখানে তাদের কাজের রেকর্ড রাখতে পারেন এবং এই কাজের ভিত্তিতে সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
𝐒𝐜𝐨𝐩𝐮𝐬 𝐀𝐮𝐭𝐡𝐨𝐫 𝐈𝐃
স্কোপাস (https://www.elsevier.com/products/scopus/author-profiles) গবেষকদের গবেষণা প্রকাশনা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে এবং গবেষণার মেট্রিক্স প্রদান করে। গবেষকরা স্কোপাস প্রোফাইলে তাদের গবেষণার আপডেট রাখতে পারেন এবং এটি তাদের কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
𝐋𝐢𝐧𝐤𝐞𝐝𝐈𝐧
লিংকডইন (https://www.linkedin.com/) একটি পেশাগত নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষকরা তাদের কাজ এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেন। গবেষকরা এখান থেকে বিভিন্ন পেশাগত সুযোগ এবং সহযোগিতার সুযোগ পেতে পারেন।
এছাড়াও গবেষণা সম্পর্কিত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন:
𝐌𝐞𝐧𝐝𝐞𝐥𝐞𝐲 (https://www.mendeley.com/)
𝐙𝐞𝐧𝐨𝐝𝐨 (https://zenodo.org/)
𝐅𝐢𝐠𝐬𝐡𝐚𝐫𝐞 (https://figshare.com/)
𝐚𝐫𝐗𝐢𝐯 (https://arxiv.org/)
𝐛𝐢𝐨𝐑𝐱𝐢𝐯 (https://www.biorxiv.org/)
𝐒𝐒𝐑𝐍 (https://www.ssrn.com/index.cfm/en/)
𝐉𝐒𝐓𝐎𝐑 (https://www.jstor.org/)
𝐇𝐲𝐩𝐨𝐭𝐡𝐞𝐬𝐞𝐬 (https://hypotheses.org/)
𝐗 (https://x.com/)

Engineer's Diary

22 Oct, 10:48


১৭ জুলাইয়ের ঢাবির মল চত্বর, কফিন মিছিলে পুলিশী বাধার সময়....।
মাঝে মাঝে পেছন ফিরে তাকানো জরুরি।
--
ছবি: আনিসুর রহমান

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নির্বাচনপদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বড় অংশ বিদ্যমান পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবর্তে ভোটের আনুপাতিক হারে বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এখনো অজানা আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি।

#আনুপাতিক_হারে_নির্বাচন_পদ্ধতির_বৈশিষ্ট্যঃ

১) আনুপাতিক পদ্ধতির ভোটে ব্যালটে প্রার্থী থাকবেন না এবং দলীয় প্রতীকে ভোট হবেঃ
সারাদেশের ৩০০ টি আসনে আসন ভিত্তিক কোন প্রার্থীতা থাকবে নাহ বরং ভোটাররা দলগুলোকে ভোট দিবে।

২) একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে আসন বণ্টন হবেঃ
একটি দল শতকরা যত শতাংশ ভোট পাবে সে অনুযায়ী সংসদে দলটির আসন বন্টন করা হবে। ধরুন কোন দল সারাদেশে ১৫ শতাংশ ভোট পেলো। সেক্ষেত্রে সারাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে দলটি শতাংশের হিসেবে ৪৫ টি আসন পাবে। যে দল যতবেশি ভোট সেদল ততবেশি আসন পাবে।

৩) সকল দলের সংসদে অবস্থানঃ
এ পদ্ধতিতে ছোট- বড় সবগুলো দলের ভোট প্রাপ্তি অনুযায়ী আসন পেয়ে থাকে

৪) শক্তিশালী বিরোধীদল তৈরি হওয়া।

বর্তমান বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রচলিত। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আনুপাতিক হারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের প্রতিবেশী নেপালও আনুপাতিক হারে নির্বাচন হয়।

#আনুপাতিক_পদ্ধতির_সুবিধাসমূহঃ

১) সরকারদল এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারী মনোভাব দূর করেঃ

এ পদ্ধতি কোন দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন। ফলে সরকারকে অন্যান্য দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করতে হয়। এতে করে সরকারদল এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব দূর হয়।

২) সংসদে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণঃ

দেশের প্রতিটি মানুষের ভোটের রায়ের মাধ্যমে সংসদে আসন বন্টন। বাংলাদেশের ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বের ৪ দলীয় জোট প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে আসন পেয়েছিল মাত্র ৩২ টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় ভোট ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে আয় পায় ২৬৩ টি। একটু চিন্তা করেন সারাদেশে যত শতাংশ ভোট পেয়ে তার সমসংখ্যক আসনও পায়নি বিরোধীদল। অন্য দিকে ছোট ছোট দলগুলো সারাদেশে ছড়ানো ছিটানো ভোট পেলেও সংসদে আসতে পারে নাহ কোন আসনে সর্বোচ্চ ভোট না পাওয়ায়। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচনে দেশের প্রত্যেক দলের মানুষ নিজ নিজ পছন্দের দলকে সংসদে আনতে পারবে।

৩) শক্তিশালী বিরোধীদল ব্যবস্থা তৈরি গণতন্ত্রের জন্য অন্যতম বেশি প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধীদলের সংসদে উপস্থিত। কিন্তু বর্তমান ভোটিং সিস্টেমে আসনভিত্তিক ভোট গ্রহণ হওয়ায় সামান্য সরকারদল ও বিরোধীদলের মধ্যে আসনপ্রাপ্তিতে আকাশপাতাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে সরকারদল ইচ্ছামতো সংবিধান পরিবর্তন অথবা আইন প্রণয়ন করে স্বৈরাচারী শাসন তৈরি করতে পারে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে ভোটপ্রাপ্তির ভিত্তিতে হওয়ায় কোন দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া অনেক কঠিন। ফলে শক্তিশালী বিরোধী দল তৈরি হয় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়।

৪) স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হয়ঃ

বর্তমানে এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় একচ্ছত্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশন ভিত্তিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেকটাই অকার্যকর। স্থানীয় এমপিতে মতামত ছাড়া এসকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোন বরাদ্দ কিংবা টেবিলের ফাইলও নড়ে নাহ। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে আসনভিত্তিক সাংসদ হবে নাহ। ফলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়ে স্থানীয় উন্নয়নে কাজ করতে পারবে।

৫) এলাকাভিত্তিক এমপিদের পারিবারিক রাজত্ব সংস্কৃতির পতনঃ

বাংলাদেশের অধিকাংশ এমপি তার নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের রাজা মনে করে। এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন সাংসদবৃন্দ। তাছাড়া সাংসদদের এধরনের ক্ষমতা অর্জনের কারণে স্থানীয় বড় ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীরা এমপি হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ বিনিয়োগ এবং সন্ত্রাসী সহায়তা প্রদান করে। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে এমপিরা তখন কেবল আইনপ্রণয়ন এবং সরকারের কাজের পর্যালোচনা করবেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে এমপিদের একক রাজত্বের পতন ঘটবে। এতে করে অপরাধী এবং লোভী ব্যক্তিরা এমপি হতে চাইবে নাহ।

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের অসুবিধাঃ

১) বাংলাদেশের বিদ্যমান নির্বাচনী সংস্কৃতির সাথে মিল না থাকা।
২) সুবৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ না থাকা।
৩) সংবিধান পরিবর্তনে দুই তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন আদায় করা কঠিন।
৪) স্থানীয় পর্যায় থেকে স্বতন্ত্র এমপি হওয়া কঠিন।

লেখকঃ মোঃ ফাহাদ হোসেন
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


ব্যারিস্টার সুমন,

খুব তো বলেছিলেন- "ব্যারিস্টার সুমন পালায় না!"

এরপর পালিয়ে গিয়েছিলেন! (কই পালিয়ে ছিলেন জানা নেই!) এখন আবার ফিরে এসে খুব ভাব নিতে চাইছেন?

আজ আদালতের গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেছেন- "স্যার আমি খুব সরি!"

আপনার সরি তখন কোথায় ছিল? আপনি তো সরকারি দলের সাংসদও ছিলেন না। আপনার তো সংসদ সদস্য পদও যেত না, যদি আপনি ওই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু সেটা আপনি করেন নাই। উল্টো সাফাই গেয়েছেন।

আপনাদের মত দোসরদের জন্যই একটা দল দিনের পর দিন লুটপাট করতে পেরেছে। গু*ম, খু*ন করতে পেরেছে। আন্দোলনের সময় এমনকি আমাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল!

ঠিক আছে, আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তেমন কিছু করে নাই। কারন আমার একটা পরিচিতি আছে। তাছাড়া আমি ইউরোপের নাগরিক। কিন্তু আমাদের মত মানুষদেরও ভয় দেখানো হয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন ছিল?

আমরা তো কোন রাজনীতি করি না। কোন দলেও নেই। স্রেফ লেখক হিসাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছিলাম। অথচ এই আমাদেরও রাজাকার বলা হয়েছে! আমরা তখনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখনও করছি।

আজ পর্যন্ত আপনার দল ভুল স্বীকার করে নাই। আপনার দল এখনও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজে ফিরছে। যে দাম্ভিকতা এখনও করে বেড়াচ্ছে- সেটা যে এদের কোথায় নিয়ে নামাচ্ছে; এরা বুঝতেও পারছে না।

আর আপনি ফিরে এসে আদালতে কেঁদে কেঁদে বলছেন - "স্যার, আমি খুব সরি!"

আপনার দল কি দুঃখিত হয়েছে? যে দলের হয়ে আপনি সাফাই গেয়ে বেড়াচ্ছিলেন?

আদালত আপনাকে ক্ষমা করবে কি করবে না; সে আদালতের ব্যাপার। কিন্তু এই আমার মত মানুষগুলো কি কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে?

আমারা তো সাধারণ নাগরিক ছিলাম। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি মাত্র। এমন লাখো-কোটি মানুষ প্রতিবাদ করেছে। রাস্তায় নেমেছে। এদের কাছে আপনি কি জবাব দেবেন?

এখন পলাতক থেকে ফিরে এসে আপনি নিজেকে বীর ভাবতে পারেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ আপনাকে আর কিছু না- স্রেফ নর্দমার কীটই মনে করবে।

- আমিনুল ইসলাম

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া ৮-১০ জনের রেজাল্ট দেখেছিলাম। এ প্লাস পাওয়া কাউকে দেখলাম না। SSC এর সাথে মার্জিন না করলে তাদের রেজাল্ট আরো কম হতো হয়তো।

নিশ্চিতভাবে বলা যায় এরা কেউ টপার না,ফার্স্ট বেঞ্চার না। একজন ফরাসি শাস্ত্রীর একটা প্রবাদ মনে পড়লো France was saved by her idlers. অর্থাৎ যারা পড়াশোনায় ভালো না,তারাই ফ্রান্সকে রক্ষা করেছিলো।

মানুষের ইতিহাসে এমন মিডিয়োকোর ব্যাক বেঞ্চাররাই ঐতিহাসিক মুহুর্তে জীবন উৎসর্গ করতে সবার আগে এগিয়ে আসে। মেধাবীরা হয়তো তার সম্ভবনা স্বপ্ন অনেক হিসাব মিলায়।

অমেধাবীদের অতো মেধা নাই, হুট করে এসে বুলেটের সামনে বুক মেলে দাঁড়িয়ে যায়। ইন্টার পরীক্ষার্থী তারা। কতই বা বয়স হলো তাদের। মনে হয় শুধু জীবনটা টুক করে দিয়ে দিতেই এসেছিলো দুনিয়ায়।

© আরিফ মঈনুদ্দিন

Engineer's Diary

22 Oct, 09:49


মানতে কষ্ট হলেও সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পরপর যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তাতে বিভিন্ন ধারায় স্ববিরোধীতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বপ্নের রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার পরিবর্তে আদর্শিক বা ইউটোপীয় চিন্তাধারাকে প্রাধান্য দেয়া ছিল এই ত্রুটির মূল কারণ।

গোড়ায় গলদ থাকার ফলে সংবিধানকে খুশিমতো কাঁটাছেঁড়া করা সহজ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে শেখ মুজিবের আমল থেকেই ক্ষমতাসীনরা নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছেমতো সংবিধানকে কাঁটাছেড়া করেছেন, কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন না।

গত ষোলো বছরে শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে শেখ পরিবারের অলিখিত রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানকে "বুক অব ম্যাডনেস" বা 'পাগলামির গ্রন্থে' পরিণত করা হয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সংবিধান থেকে ইচ্ছা মতো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমান সংবিধানের সাথে নাগরিক ও বাস্তবতার সংযোগ নাই। যারা এই ত্রুটিপূর্ণ 'পাগলামির গ্রন্থ' বা 'বুক অব ম্যাডনেস'কে চিকিৎসা দিয়ে ঠিক করতে চান, তারা হয় সরল, না হয় অতি ধুরন্ধর।

নিরাময়অযোগ্য পাগলামিতে আক্রান্ত ‘বুক অব ম্যাডনেস’কে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার আশায় সময় নষ্ট করার পরিবর্তে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা অধিক যুক্তিসঙ্গত ও সহজ সমাধান।

- আবু সাঈদ আহমেদ