Engineer's Diary @engineersdiary Channel on Telegram

Engineer's Diary

@engineersdiary


EngineersDiaryBD.com

Engineer's Diary (English)

Welcome to Engineer's Diary, the ultimate Telegram channel for engineers and tech enthusiasts! Our channel, also known as @engineersdiary, is your one-stop destination for all things related to engineering, technology, and innovation. Whether you are a student, a professional engineer, or simply someone who is passionate about the world of science and technology, this channel is for you

Who are we? We are a team of dedicated engineers and tech experts who are committed to sharing valuable insights, tips, and resources to help you excel in your field. From the latest industry news to practical engineering solutions, we cover a wide range of topics that will keep you informed and inspired

What can you expect from Engineer's Diary? Well, for starters, you will have access to a wealth of information that is curated specifically for engineers. Whether you want to stay updated on the newest developments in your industry or you are looking for tips on how to enhance your skills, this channel has got you covered. We also feature interviews with successful engineers, tutorials on popular engineering software, and discussions on current trends in technology

EngineersDiaryBD.com is another fantastic resource that complements our Telegram channel. This website is a treasure trove of articles, videos, and other content that will further enrich your knowledge and help you stay ahead of the curve in the ever-evolving world of engineering

In conclusion, if you are looking to connect with like-minded individuals, expand your knowledge, and stay informed about the latest trends in engineering and technology, be sure to join Engineer's Diary on Telegram. With our expertise and passion for all things engineering, we guarantee that you will find this channel to be an invaluable resource in your professional journey. Join us today and let's embark on this exciting engineering adventure together!

Engineer's Diary

07 Jan, 08:26


গতবছর এই দিনে যারা ভোট দিয়ে এসে ছবি আপলোড করে আমাদেরকে নিয়ে উপহাস করেছে, তারাই অনেকে এখন বৈষম্য বিরোধী সেজে আমাদেরকে প্রকৃত গণতন্ত্র শেখাচ্ছে।

Engineer's Diary

06 Jan, 21:54


আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংগঠনের জন্য বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) চলমান গণহত্যা, আগ্রাসন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধসমূহ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং পর্যলোচনা করে 'ট্রিগার হ্যাপি’ নামে একটি প্রতিবেদনের কাজ করেছিলাম; হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংগঠনের সাথে দুটি সহায়ক সংগঠন ছিল, বাংলাদেশ থেকে অধিকার এবং ভারতের কলকাতার সংগঠন মাছুম; আমার সাথে যোগাযোগ অধিকারের জন্য বা অধিকার সংগঠনের পক্ষে...

তখনকার বাস্তবতা এবং এখনকার বাস্তবতা পরিবর্তন হয় নাই, প্রতিবেদনটিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অধিকাংশ অপরাধসমূহ নথিভুক্ত করা হয়েছিল যখন ভারত সরকারের আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান, বিশেষ করে গবাদি পশু-পাচার মোকাবেলার প্রচেষ্টায় রত ছিল। এখানে উল্লেখ্য, অসংখ্য সাধারণ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকবৃন্দ বিএসএফ কর্তৃক চলমান গণহত্যা, আগ্রাসন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধসমূহ শিকার হয়েছেন, যা মৌখিক গালিগালাজ থেকে শুরু করে ভয় দেখানো, নির্মম শারীরিক নির্যাতন, গুলি করে হত্যা এবং হত্যার পরে লাশ গুম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

সীমান্ত এলাকার মধ্যে ভারতের এবং বাংলাদেশ অঞ্চল জনবহুল এবং অত্যন্ত দরিদ্র। দুই পাশে মূলত অনেক কৃষক এবং কৃষিজীবী পরিবার, এবং নদী ভাঙ্গনে সীমান্ত তাদের খামার ও জীবিকা হারিয়েছে। তথাকথিত অবৈধ আন্তঃসীমান্ত কার্যকলাপ, যেমন গবাদি পশু-পাচার, মানব পাচার এবং মাদকদ্রব্য পাচার হয়তো বৃদ্ধি পেয়েছে সময় সময় কিন্তু ঐ প্রতিবেদনে নথিভুক্ত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নিরুপায় ভুক্তভোগীবৃন্দ রাতে সীমান্ত দিয়ে 'গবাদি পশু পাচারের' সময় হত্যা করা হয়েছে কোন প্রকার সতর্কতা মূলক বার্তা ছাড়া। অনেক ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য বিএসএফ কর্তৃক আটক করা হয়, তারপর ঘুষ বাণিজ্যের জন্য আটক ব্যক্তিকে নির্যাতন করা হয়, অথবা শুধুমাত্র 'গবাদি পশু পাচারের' সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে হত্যা করা হয়। কথিত আছে, সনাক্তকরণের ঝুঁকি এড়াতে চোরাকারবারি দ্বারা শিশু নিযুক্ত হয়েছেন, এবং পরবর্তীতে শিশুদের একটি বড় অংশ শারীরিক নির্যাতন, মারধর এবং গুলি করে হত্যা শিকার হয়েছেন, এমন একজন সতেরো বছর বয়সী বাংলাদেশি শ্যামল কর্মকার, যিনি ভারতে ঢুকেছিলেন নিজের আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে। ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন একজনের দ্বারা এবং বিএসএফের কাছে শ্যামল ধরা পড়েন সীমান্তে, গ্রেফতারের চেষ্টা না করে অবিলম্বে বিএসএফ অফিসাররা শ্যামলকে গুলি চালিয়েছিল এবং হত্যা করেছিল। আন্তর্জাতিক আইনেও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার জন্য অভিযুক্তদের অভিপ্রায় সম্পর্কে একটি স্পষ্ট সতর্কবাণী এবং আত্মসমর্পণের পর্যাপ্ত সময় দিতে বাধ্য; কিন্তু এই সকল নীতি নৈতিকতা মানা হয় না বরং বলা হয়ে থাকে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি করে থাকে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে গুলি করে নাগরিকদের হত্যা করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাশের গাঁয়ে গুলির স্থান এবং চিহ্ন পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারা যাবে যে, গুলি নিরীহ ব্যক্তিদের পিছন থেকে করা হয়েছে কোন প্রকার সতর্কবাণী ছাড়া; বলে রাখা ভাল, নির্বিচারে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে হত্যাসমূহের ক্ষেত্রে অনেকসময় নিরীহ নিহত ব্যক্তিদের জঙ্গি সন্ত্রাসী হিশাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

উপরন্তু, দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময়, বিএসএফ কর্তৃক 'চলমান গণহত্যা, আগ্রাসন এবং মানবতা বিরোধী অপরাধসমূহ এবং আন্তর্জাতিক আইনসমূহ ও মানবাধিকারের নীতির অপব্যবহার এবং আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর জবাবদিহিতার ব্যবস্থার অনুপস্থিতি খুবই দৃশ্যমান এবং এমন কি নিজ দেশে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা সবচেয়ে গুরুতর অপরাধসমূহের বিচার বা শাস্তি হয় না। এই অপরাধসমূহ নির্ণয় এবং বিচার ও শাস্তি না হওয়া একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায় যে, ভারত সরকার এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার হরণ এবং অপরাধসমূহ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে, যা গণমানুষ বিরোধী, ভারতীয় সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

- রেজাউল করিম লেনিন

Engineer's Diary

06 Jan, 21:14


বিষয়ঃ জনাব তাজউদ্দিন এর সাথে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির গোপন সাতদফা চুক্তি, যা ভারত আর মুজিবনগর সরকারের চুক্তি নামে পরিচিত।

চুক্তির সময়কালঃ ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাস


চুক্তিসমূহঃ

১) প্রশাসনিক বিষয়ক - যারা সক্রিয় ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংসগ্রহন করেছে শুধু তারাই প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকতে পারবে। বাকিদের শুন্য জায়গা পুরন করবে ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।


২) সামরিক বিষয়ক - বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশে অবস্থান করবে। ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাস থেকে আরম্ভ করে প্রতিবছর এসম্পর্কে পুনরীক্ষণের জন্য দু’দেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।


৩) বাংলাদেশের নিজস্ব সেনাবাহিনী বিষয়ক - বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবেনা। অভ্যন্তরীণ আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য মুক্তিবাহিনীকে কেন্দ্র করে একটি প্যারামিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হবে।


৪) ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধ বিষয়ক - সম্ভাব্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অধিনায়কত্ব দেবেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান। এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তি বাহিনী ভারতীয় বাহিনীর অধিনায়কত্বে থাকবে।


৫) বাণিজ্য বিষয়ক - খোলা বাজার ভিত্তিতে (open market) চলবে দু'দেশের বাণিজ্য। তবে বানিজ্যের প্রমানের হিসাব নিকাশ হবে বছর ওয়ারী এবং যার যা প্রাপ্য সেটা স্টার্লিং এ পরিশোধ করা হবে।


৬) পররাষ্ট্র বিষয়ক - বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশ্নে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে এবং যতদূর পারে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা দিবে।


৭) প্রতিরক্ষা বিষয়ক - বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবে ভারত।


পরবর্তীতে এই সাত চূক্তি স্বল্প পরিমার্জিত রুপে ১৯৭২ সালের ১৯শে মার্চে ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধী সফরে এলে শেখ মুজিবের সাথে ২৫ বছরের " বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, ও শান্তি চুক্তি" তে রুপান্তরিত হয়। গড়ে তোলা হয় প্যারামিলিটারি রক্ষীবাহিনী। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০ মাইলের মধ্যে অবস্থিত এলাকায় অবাধ বাণিজ্যের লক্ষ্যে শেখ মুজিব ভারতের সাথে 'সীমান্ত অবাধ বাণিজ্য চুক্তি' সাক্ষর করেন ১৯৭২ সালের ২৭শে মার্চে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


উল্লেখ্য যে ৭১ এর অগাস্টে Indo–Soviet Treaty of Peace, Friendship and Cooperation চুক্তি আর অক্টোবর এ তাজউদ্দীনের সতদফা চুক্তির পরেই ভারত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সরাসরি যুদ্ধ করার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে।
অথচ আমাদের যুদ্ধ টা ছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ। অর্থাৎ অন্য কারো অধিনে না থা্কার জন্যই আমরা লড়াই করেছিলাম। অথচ তাজউদ্দিনের এই ৭ দফা ছিল ঠিক সেই স্বাধীনতার মুখে এক চপেটাঘাত।


আমাদের দেশ তিন দিকে ভারত দারা পরিবেষ্টিত। যদি আমাদের দেশ অন্য কোন দেশ দারা আক্রমনের আর ব্যবহৃত হওয়ার প্রশ্ন উঠে তাহলে তার উত্তরে ভারতের নাম আসবে সবচেয়ে প্রথমে। যার প্র্যাক্টিকাল প্রমান আমরা এই সময় দেখছি আর হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। অথচ তাজউদ্দীনের এই সাত দফা চুক্তিতে আমরা এমন সব চুক্তি দেখছি যাতে করে আমাদের স্বাধীনতার মুল উদ্দেশ্যটাই প্রশ্নবোধক হয়ে পড়ে।


একটি স্বাধীন দেশের প্রশাসনে কেমন করে অন্য দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ থাকতে পারে? থাকলে সেই স্বাধীনতার কি মুল্য? একটি স্বাধীন দেশের কেন তার নিজস্ব সেনা বাহিনি থাকবে না? অথচ তখন সেই সেনা বাহিনি বীর দর্পে যুদ্ধে লিপ্ত। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তার পররাষ্ট্র বিষয়ক আর প্রতিরক্ষা বিষয়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যদি প্রতিবেশি রাষ্ট্র থেকে গোপনীয়তা রক্ষা করতে নাই পারে তাহলে সে রাষ্ট্র কিভাবে স্বাধীন?


তাজউদ্দীন সাহেব এই চুক্তি করে ভারতকে সরাসরি যুদ্ধ ক্ষেত্রে নামাতে পেরেছেন, দেশ পাকিস্তান মুক্ত হয়েছে, কিন্তু তিনি একই সাথে দেশের স্বাধিনতাক ভারতের হাতে তুলে দিয়ে ভারতের দাসখতে সই করে দিয়েছিলেন।


আমার মতে তাজউদ্দীন তার হিসাবে ভুল করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে ভারত -পাকিস্তানের যুদ্ধের প্রতিশোধ আর দুর্বল প্রতিবেশী তাদের সেই সময়কার এজেন্ডায় সবচেয়ে প্রধান বিষয় ছিল। ভারত তার নিজ স্বার্থে পাকিস্তানের সাথে সরাসরি যুদ্ধ করতোই। আর সেই জন্য নিজের দেশের স্বাধিনতাকে এভাবে বিকিয়ে দেয়ার কোনই প্রয়োজন ছিল না। চুক্তি গুল অন্য রকম হতে পারত।



তথ্য সুত্রঃ (১) “জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫”, চতুর্থ সংস্করণ ফেব্রুয়ারী ২০০৪, পৃষ্ঠা-৪৩৩,৪৩৪; অলি আহাদ (২)বাংলাদেশঃ মারাত্বক অপপ্রচারণা, ষড়যন্ত্র ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের শিকার, পৃষ্ঠা ১২৪-১২৬ (৩)স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী

- Sabina Ahmed

Join Campus Connect 3.0

Engineer's Diary

06 Jan, 21:03


আপার সাথে এই ছবি তোলার পর থেকেই ঘোর অমানিশা এক সময়ের জনপ্রিয় মুখ জাস্টিন ট্রুডোর জীবনে। এই ছবির পর থেকেই কানাডার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়তে থাকে, যা এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

নিজ দেশে জনপ্রিয়তা হারিয়ে তলানিতে এখন ট্রুডো মহাশয়। কানাডার মানুষ তার বিপক্ষে চলে গেছে তাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ তকমা দিয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে গেছে ভাঙনের সূর। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে গেছে স্ত্রীর সাথে। অথচ একসময় মানুষ উদাহরণ টানত তার সুখী পরিবারের।

শেষ পর্যন্ত নিজের ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ ঘোষণা করলেন ট্রুডো। একটি ছবি কিভাবে মানুষের জীবনকে তছনছ করে দেয় তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।


- হাফিজুর রহমান

Engineer's Diary

04 Jan, 19:50


https://campus.engineersdiarybd.com/blog/mustahid-hossain-bhuiyan/

Engineer's Diary

04 Jan, 18:18


আপনি নটরডেম কলেজের সায়েন্স ১ এর একটা ছেলেকে দাড় করিয়ে দিবেন, একটা আর্টসের ৪.০০ সিজিপিএ এর ছেলেকে দাড় করিয়ে দিবেন। দেখিয়েন নটরডেম নিয়ে কার অহংকার বেশি।
আপনি ঢাকা ইউনিভার্সিটির IBA, জেনেটিক্স বা নিউক্লিয়ারে পড়ে এমন কারো সাথে সংস্কৃত টাইপ একটা সাবজেক্টের ছেলেকে দাড়া করিয়ে দেন, দেখিয়েন কে বেশি বলে : "আগে টিকে দেখান"
আপনি ঢাকা মেডিকেলের একটা ছাত্রকে দাড় করিয়ে দিবেন, আর কক্সবাজারের প্রাইভেট মেডিক্যালের একটা ছাত্রকে দাড় করিয়ে দিবেন। দেখবেন কে বেশি বলে: "আমি ডাক্তার, আমি ডাক্তার"
আপনি মদিনাহ ইউনিভার্সিটির একটা ছেলে দাড়া করিয়ে দিবেন, একটা এলাকার মাদ্রাসার ছেলেকে দাড় করিয়ে দিবেন। দেখবেন মদিনা ইউনিভার্সিটির ছাত্রকে কে বেশি জ্ঞান দেয়, আর কে মাদ্রাসা নিয়ে বেশি অহংকার করে।
সব ক্ষেত্রেই যে লোক ফাউল ওই বেশি লাফাবে।
এর কারণ যারা আসলেই ভালো, ওরা ভালোদের সাথে মিশত মিশতে জানে যে, সে এই দুনিয়ার কিট পতঙ্গের সমান। যে জানে অহংকার করে লাভ নাই, তার জীবন অনেক ছোট আর তার আশে পাশের সবাই তার থেকে বেটার।
প্লিজ, আপনার অহংকার প্রকাশ পায় আপনি যে ছোট, আপনি যে নিন্মমানের কেউ। নিন্ম মানের কেউ না হলে অহংকার করে না কেউ, কারণ কাজ কথা বলে।

- Mohidul Alam

Engineer's Diary

04 Jan, 17:23


এমআরটি ১ ছিল বিগত সরকারের একটি প্রায়োরিটি প্রকল্প। কারণ তাদের নেতা এবং সহযোগী আমলা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যবসায়ীদের জমি ঐ পূর্বাচলে। ধুধু প্রান্তরে করে রেখেছে বিরাট প্রশস্ত সব হাইওয়ে, রাস্তাঘাট। শ্রাদ্ধ করা হয়েছে জনগণের লক্ষ কোটি টাকা।

মেট্রোরেল লোকসান করছে এমআরটি ৬ এর মত জনবহুল রুটে। সেখানে এমআরটি ১ এর কাজ ধরাটা কতটা যুক্তিযুক্ত? যেখানে এমআরটি ২ ও এমআরটি ৫ এর মত জনবান্ধব দুটি লাইনের কাজ ধরার কথা ছিল সেখানে কাদের সুবিধা দিতে এমআরটি ১ এর কাজ ধরা হলো?

অধিকাংশ রুট মাটির নিচ দিয়ে যাওয়ায় এমআরটি ১ হতে যাচ্ছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রজেক্ট। এছাড়া নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পরে এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হবে অন্যসব লাইনের চেয়ে বেশি। কারণ সেখানে সর্বক্ষণিক বায়ু সরবরাহ ও লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।

এই ঋণ নিয়ে করা প্রকল্পের ব্যয় যাত্রী থেকে আসবে না। এর বড় কারণ হচ্ছে এই লাইনের শাখা পূর্বাচল অংশ এখনো বসবাসের উপযোগী নয়। এটি বসবাসের উপযোগী হতে আরো ১০-১৫ বছর লাগবে।

সেখানে নেই কোন স্কুল কলেজ, বাজার, হাসপাতাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক ভবন। সেগুলো নির্মাণ ও কার্যক্রম শুরু হতে আরো ১০ থেকে ১৫ বছর লাগবেই। এমনকি সরকার পতনের ফলে সেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি অনুমেয়।

সেখানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের জমি কেনা। তারা চাইবেই সেখানে মেট্রো রেলের মত আধুনিক সুবিধা আসুক। কিন্তু ভাবার কথা হচ্ছে যাত্রী ছাড়া লাইন দিয়ে সরকারের বা জনগণের কি লাভ?

পূর্বাচল একটা স্ক্যম ছাড়া এখন পর্যন্ত কিছুই না। জমিতে লাউ, করল্লা পটলের চাষ করে সেখানে, বসতি নেই। আবার বিক্রয় ওয়েবসাইটে সেই জমির মূল্য ১ কোটি টাকা প্রতি কাঠা এভারেজ!

বিগত সরকার পূর্বাচল কে এমন ভাবে পাবলিসিটি করেছে, সেখানে একটি প্লট পেতে মরিয়া ছিল সচিব, পুলিশ থেকে অভিনেতা অভিনেত্রী পর্যন্ত। জয়ের সেই পদলেহনীয় ভাইরাল চিঠির কথা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের। এছাড়াও বিগত সরকারকে যারা ক্ষমতায় রাখতে সাহায্য করেছে, তারা পুরস্কার পেয়েছে পূর্বাচলের লোভনীয় প্লট। অন্যদিকে প্রবাসীদের জন্য সেখানে বরাদ্দ রাজউকের প্লট নিয়ে হয়েছে অনিয়ম, প্লট তাদের বুঝিয়ে দেয়নি দিয়েছে ঐ পুরস্কারের প্রত্যাশীদের।

তো এমন একটি লাইনের কাজ এত উদ্যমে শুরু করে দিল কেন? করা করল?

এটা বলা বাহুল্য যে এ প্রজেক্ট পাশ হওয়া ছিল বিগত সরকারের সময়েই ডিপোর কাজও ভালই এগিয়ে ছিল। কিন্তু সরকার পতনের পরে লাইনের কাজ শুরু হলো গত মাসে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্যয় এবং ঋণ পরিশোধ ক্যাপাসিটি পর্যালোচনা না করে কেন এই প্রজেক্টের লাইনের কাজ শুরু করে দেয়া হলো?

পূর্বাচলের মত একটি জনমানবশূন্য এলাকায় মেট্রো চালিয়ে যে লস গুনবে, সেই ঋণের টাকার বোঝা জনগণের উপরেই পড়বে।


- হাফিজুর রহমান

Engineer's Diary

04 Jan, 05:51


খেয়াল করছেন? দেয়ালে" জয় বাংলা শ্লোগান" লিখলেও জয় বঙ্গবন্ধু লিখে না।
দুঃসময়ে মানুষ বাপেরেও ভুলে যায়..

-সোয়েব মাহমুদ

Engineer's Diary

03 Jan, 15:13


শুধু পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে খুনী ফ্যাসিস্ট হাসিনার নাম লেখা হয়নি তা নয়। নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে জুলাই আন্দোলনের ইতিহাস কেন্দ্রীক একটা গদ্য যুক্ত হয়েছে। ঐটাতেও খুনী হাসিনার নাম লেখা হয়নি। আওয়ামী লীগের নাম নেওয়া হয়নি। ছাত্রলীগের নাম নেওয়া হয়নি। নাম না নিয়েই এরা ইতিহাস লিখছে!

কী লিখছে দেখেন!

"মূলোৎপাটন করবে শাসনক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদী এক শাসককে। নিপীড়ক সরকারও প্রস্তুত। তার আছে দলীয় বাহিনী।"

দেখেন, হাসিনার নাম নেয় নি। দলীয় বাহিনী ইউজ করছে হত্যাযজ্ঞ চালাতে, কিন্তু এই দলীয় বাহিনী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নাম লিখতে জাত যায়! এরা ইতিহাস লিখতেছে কিন্তু আমরা কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি তার নাম লিখতেছে না, কারা শহীদদের খুন করছে, গুলি করছে, পঙ্গু বানাইছে, অন্ধ বানাইছে তাদের পরিচয় বলতেছে না! এইটা কেমন ইতিহাস?

"কিন্তু প্রতিরোধ গড়েছিল সরকারি দলের দুর্বৃত্তবাহিনী। তাদের পাশে ছিল রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর ক্ষুদ্র একটা বিপথগামী অংশ।"

সরকারি দলের দুর্বৃত্তবাহিনী বলতে পারতেছে। যেন বা এই বাহিনীর নাম নাই। এরপর দেখেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর একটা ক্ষুদ্র অংশ নাকি বিপথগামী ছিল। হায় সেলুকাস! যেইখানে আস্ত একটা পুলিশ বাহিনী, রেব, ডিজিএফআই, এনএসআই বাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াইছে সেইখানে ক্ষুদ্র একটা বিপথগামী অংশ বলে ইতিহাসের বিকৃতি করতেছে ইতিহাস ঘটার চার পাঁচ মাস হতে না হতেই! তাও গণঅভ্যুত্থানের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই। পরে কী হবে ভাবেন তো!

ওদের কাহিনী শুনলে মনে হবে পনের আগস্টের ইতিহাস যেভাবে লেখা হয় না একটা বিপথগামী সেনা অংশ শেখ মুজিবকে হত্যা করে, জুলাইয়েও রাষ্ট্রীয় বাহিনী না, একটা ক্ষুদ্র অংশ জনতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইছিল! জুলাইয়ের বিকৃতি এভাবেই ঘটতেছে। সবাই খালি তাকায়া দেখতেছে, জুলাইয়ের রক্তে লোভের স্রোত দিয়ে ভোটের রাজনীতি করতেছে! ছিঃ।

Engineer's Diary

03 Jan, 15:13


বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৌষ্য কোটা অতি সত্বর বাতিল করা হউক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে এটা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা কোনভাবেই অনগ্রসর বা পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে পরে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তানেরা কোটার সুবিধা নিয়ে ভর্তি হবে এটা হতেই পারে না। এটা ওই শিক্ষার্থীর জন্যও অপমানকর। কিছুটা কোটা রাখা যায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য। দুঃখজনক যে এই কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের আন্দলোন করতে হলো।

Engineer's Diary

03 Jan, 12:51


Monisha Mafruha আপার পোস্ট:
গত ৫ অক্টোবর ২৪ এর উত্তরার পক্ষ থেকে ২২৭ জনের তথ্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা চাকরীর কারনে ডাটা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল সে কারনে আমার এক কলিগ লাবন্য এর সহযোগিতায় আমরা বিভিন্ন তথ্য এমনভাবে সংগ্রহ করেছিলাম যে যারা কাজ করবেন তাদের বাড়তি কাজ করতে হবে না। যেমন : নাম ঠিকানা এনআইডির পাশাপাশি চিকিৎসার কাগজপত্র, আঘাতের সময়ে কোন ছবি ভিডিও, কোথায় কত তারিখে আহত হয়েছে, কিভাবে বুলেট, ছররা না অন্যকোন অস্ত্র দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া বর্তমান অবস্থা কি, কিধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটা চিকিৎসা, আর্থিক বা পূর্ণবাসন, এছাড়া পরিবারের বর্তমান অবস্থাসহ সার্বিক অবস্থার তথ্য গুগুল ড্রাইভে যুক্ত করে একটা ফাইল আমরা দিই।
এর পর বলা হয় এটা MIS এ দেওয়া হয়েছে। আমরা কিছুদিন পর পর ওনাদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকি আর MIS চেক করি কিন্ত আমরা দেখতে থাকলাম অনেক নামই আসছে না। তারপর আমরা সকলে মিলে একদিন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এ যাই গিয়ে পরিচয় দিয়ে আমাদের কাজ এবং শহীদ ও আহতরা কবে সহযোগিতা পাবে বা আমাদের দিক থেকে আর কি কি করণীয় আছে জানতো চাই। ওনারা বললেন ওনাদের একটা ফরম আছে সেটা ফিলাপ করলে তাড়াতাড়ি সহায়তা পাবে।
আমরা ফিরে এসে আবার সকলকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলি এর মধ্যে সকলের হোয়াটসঅ্যাপ না থাকায় বাকীদের প্রায় ৮০ জন এর কাছাকাছি তাদের ফোন করে তথ্য দেই যে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর ফরম সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করে ফিলাপ করলে তাড়াতাড়ি পাবেন। আমাদের এই গ্রুপে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর দুজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে যুক্ত করা হলো।
তারপর শুরু হলো সারাদিন মেসেজ আসা কিভাবে করব, ফরম পাঠান কাউকে ফোন, কাউকে মেসেজ এ আমরা বুঝাতে থাকলাম কিভাবে ফিলাপ করতে হবে।
পরে আমরা আরও একদিন মাইলস্টোন কলেজে বসে প্রায় ৬০ জনের মতো ফরম ফিলাপ করে দিই।
কারন আমাদের এখানে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগ শ্রমজীবী। ফলে তাদের বেশিরভাগ মানুষকে আমরা ভাগ করে করে প্রতিদিন অন্তত ১ ঘন্টা করে সকলে সময়ে দিয়ে কাজটা করছিলাম।
এর পর শুরু হলো হাসপাতাল থেকে সত্যায়িত করতে নানান জটিলতা। সেটাও নানান যোগাযোগ করে আস্ত আস্তে জমা দিতে থাকল।
জমা দেওয়ার জন্য কেউ গ্রামের বাড়ি থেকে সময় নিয়ে কয়েকদিন থেকে তারপর জমা দিতে হলো।
এর মধ্যে একজন দুজন করে টাকা পেতে থাকল। মোটামুটি পাচ্ছিল। যারা যারা জমা দিয়ে টোকেন পাচ্ছিল তাদের নাম্বার গুলো গ্রুপে দিচ্ছিল আর আমরা সেগুলো কম্পাইল করে আবার আলাদা করে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর কর্মকতা বরাবর পাঠাচ্ছিলাম।
এর পর দেখি আবার পাওয়ার গতি অনেক ধীর। আমরা জানতে চাইলাম বলল, MIS হয়নি।
তাহলে কি করতে হবে, MISএর জন্য অধিদপ্তরের আবার কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবার সকলে জমা দিতে থাকল।
এর মধ্যে আরাফাত মারা গেল। সেদিন খুব কষ্ট পেয়ে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর গুরুত্বপূর্ণ একজনকে মেসেজ দিলাম আরাফাত এর টোকেন নাম্বার ছিল এত ও আপনাদের সহযোগিতা পাইনি।
আমাকে বলা হলো আপনি কি জানেন আরাফাত এর MIS ছিল না। আপনি আমাদের এভাবে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না।
প্রথমত আমি কি চ্যালেঞ্জ করেছি সেটা বুঝলাম না
দ্বিতীয়ত একটা মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ওর কি MIS করতে হবে। আর ওরা তো সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছে সেটা করতে হলে আপনাদের করতে হবে।
দরকার পড়লে আহতদের বাড়ী গিয়ে খুঁজে খুঁজে সকল কাগজপত্র সত্যায়িত করে আপনাদের MIS করা দায়িত্ব।
এই যে আপনারা সারাক্ষণ MIS করছেন সেটা জানি এটা কি?? কারন আমি দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সেক্টরএ কাজ করেছি।
কিন্তু এই মানুষগুলো কয়জন এটা জানে এটা কি কেন লাগবে?? আমাকে অনেকে ফোন করে বলেছে আপা আমাকে MRI করতে বলেছে। উনি ভেবেছেন এটা MRI.
যাই হোক তারপর আরাফাতের মৃত্যুর পর ফেসবুকে লেখালেখি দেখে আপনারা বললেন আবার তথ্য দিতে ওনারা MIS করে দিবেন।
আবার দেওয়া হলো। এর মধ্যে বলা হলো ৩১ তারিখের মধ্যে বাকীরা টাকা পাবে। কিন্তু আবারও একটা লিস্ট দেওয়া হলো বাতিল। কেন বাতিল হলো কোন কারন নাই, আমরা আবার বললাম, কারন কি বলা হলো আবার কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবারও যদি একই কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেটা তো একই। আবার কাগজপত্র জমা দেওয়া হচ্ছে। এই হলো দীর্ঘ ৪ মাসের আহতদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
আমরা বলতে চাই
* গত ৪ মাসে আপনারা ২২২৯ জনে সহযোগিতা দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়া দেওয়া হলে আপনাদের হিসাব মতে ২০০০ শহীদ আর প্রায় ৩০ বা ৫০ হাজারের মতো আহত
কতদিন লাগবে??
* এই যে ১ লাখ বা আরও বেশি দিবেন সেটা তো পরিবারগুলো ধার বা চিকিৎসা খরচ বহন করতেই শেষ। তাহলে তারপর কি হবে??
*আমরা যেভাবে ক্যাটাগরি করে দিয়েছি যে কার দ্রুত চিকিৎসা দরকার কার জরুরি আর্থিক সহায়তা সেই অনুযায়ী আপনারা কিছু কাজ শুরু করলেও অনেকে আজকের এই অবস্থা হতো না।
* এই যে আপনাদের কাজের অদক্ষতার জন্য এতগুলো মানুষ জীবিত অবস্থাও থেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পরল এর দায় আপনাদের আছে। এটা

Engineer's Diary

03 Jan, 12:51


আপনারা এড়াতে পারেন না।
* আমরা যতদূর জানি অনেক ভলেন্টিয়ার গ্রুপ আহতদের নিয়ে কাজ করছে তারাও তো আপনাদের সহযোগিতা করতে চায় নিয়েছেন তাদের সহযোগিতা??
* আপনারা বলছেন অনেক ফ্রেড কেস পাওয়া যাচ্ছে এটা কয়টা ৪ / ৫ টা বা তারও বেশি। কিন্ত এটা সাধারণভাবে যে কেউ বুঝবে যে বুলেটের আঘাত সাজানো যায় না। আর আহতদের মধ্যে অধিকাংশ বুলেট, ছররা গুলিতে আঘাত প্রাপ্ত তাই একজন ডাক্তার সহ একটা জায়গায় টিম বসিয়ে দিতেন ওনাদের কাজ ছিল এগুলো এসেস করা তাহলে এই হয়রানি থেকে তারা খানিকটা বাঁচত।
আর সবশেষ মনে রাখা এই যে আমরা আমাদের কাজটা ঠিকমতো করতে পারছি না। যদি পারতেন তাহলে আহতরা কদিন পর পর শীতের রাতে রাস্তায় নামত না।
নত আর বিনয়ী হোন।

Engineer's Diary

03 Jan, 12:02


ইসলামের সত্যযুগে খলিফা উমর ফারুক রাতের বেলায় আম আদমির বেশে মদিনার অধিবাসীদের অবস্থা দেখতে বাহির হতেন। দরিদ্র মানুষের গৃহে খাবারের অভাব দেখে তিনি নিজে সেখানে খাবার পৌঁছিয়ে দিয়েছেন -- এমন বিবরণ আছে।

আব্বাসী খলিফা হারুনুর রশীদও নাকি উজীরদের সঙ্গে সাধারণের বেশে বের হতেন। মাঝেমাঝে প্রাণ বেচঈন হলে ফুজাইল ইবনে আয়াদের মতো সুফীদের ঘরেও রাত্রিবেলা যেতেন উপদেশের সন্ধানে। বকাবাদ্য-ঝাড়ি খেয়ে ফিরেও আসতেন, লিখেছেন ফরিদুদ্দীন আত্তার।

উপমহাদেশে পৌরাণিক রাজা বিক্রমাদিত্যের নামেও এইধরনের গল্প চালু আছে। বিদ্যাপতি লিখেছেন যে বিক্রমাদিত্য নিজের রাজ্যে চুরিডাকাতির অবস্থা এসেসমেন্ট করার জন্য রাত্রিকালে গরিব সেজে রাস্তার কোনায় বইসা থাকতেন।

ভাইসব, অবশেষে আমরাও এমন রাজপুরুষ পাইলাম।

আমাদের দেশের বিপ্লবী ভ্রাতা ইদানীং ভাইবেরাদরদের প্রাডো চড়ে রিকশাওয়ালাদের অবস্থা দেখতে বাহির হন।

লেইট ক্যাপিটালিস্ট সত্যযুগের বৈষম্যবিরোধিতার স্বরূপ এইটা, নিঃসন্দেহে।

- তাহমিদাল জামি

Engineer's Diary

03 Jan, 11:15


সিজি ডাজেন্ট ম্যাটার! এইটাইপের একটা কথা আমাদের সিনিয়র মহলে খুবই আলোচিত। আসলে কথাটা আংশিক সত্য। যেমন ধরেন আপনার যদি উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে থাকে তাহলে কথাটা পুরাটাই উল্টা। কিন্তু এই বিষয় গুলো সিনিয়ররা কখনো আমাদের ভেঙে বলে না। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড এর সিনিয়রদের মুখে এ ধরনের কথা খুব বেশি শোনা যায়। সিজি .60/.70 আপ করা সিনিয়র যখন জব মার্কেটে গিয়ে দেখে একাডেমি পড়াশুনা এক রকম আর জবের পড়ারশুনা অন্যরকম, উপরোক্ত কথাটা ঠিক তখনই চলে আসে। যদি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে দেশে সরকারি চাকরির ইচ্ছে থাকে তাহলে আমার মনে হয় একাডেমি লাইফে হাই সিজি তোলার পিছনে এতো প্রেশার না দিয়ে জব কেন্দ্রীক পড়াশোনা করা উচিত।[ For EEE,CSE Related Field ]. বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরের বেশকিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা থাকে At least CGPA 3.00 on the scale of 4.00। সোজা কথায় 4 এর ভিতর 3 না থাকলে আপনি এপ্লাই ই করতে পারবেন না। তাই সিজি 3 আপ রাখা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। এমন না যে 3 আপ না করতে পারলে আপনি সরকারি চাকরি পাবেনই না।

অন্যদিকে যদি বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে থাকে তাহলে হায়ার সিজি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্টাইপেন পাওয়া থেকে শুরু করে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, ভালো সাবজেক্ট সব কিছুতে একটা আলাদা সুবিধা পাবেন৷ যদিও ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি ও অনেক বড় একটা ভূমিকা রাখে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়ার ক্ষেত্রে। যখন একটা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করা হয় তখন তারা প্রথমে দেখে আপনি যে সাবজেক্টে এপ্লাই করছেন সেই রিলেটেড ফিল্ডে আপনার জিপিএ কেমন এবং ওভারল জিপিএ আর ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি স্কোর। [ For Bachelor Candidate ] যদি স্নাতকোত্তর জন্য এপ্লাই করে তাহলে উপরের তিনটা বিষয়ের সাথে যুক্ত হবে রিসার্চ পেপার, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি, জব এক্সপেরিয়েন্স ইত্যাদি। এমনটা না যে আপনার সিজি লো মানে আপনার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন শেষ। এমন অনেক দেখা যাই যে লো সিজি নিয়ে অনেকে অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাই। যদিও তাদের বাকি দিক গুলা অনেক স্ট্রং থাকে। [ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি স্কোর, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি , জব এক্সপেরিয়েন্স, রিসার্চ পেপার ইত্যাদি ]

[ আসিফ ইকবল Rptx: 03-01-25 ]

Engineer's Diary

03 Jan, 09:40


একটা কথা শোনা যায়, ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সিন্ডিকেটের অধীনে ডাকসু নির্বাচন করা যাবে না। কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগের চুপ্পু আর সংস্কারহীন সংবিধানের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দ্রুত করতে চায়।

এই বক্তব্যের মধ্যে কিছু ফ্যালাসি আছে।

সংবিধান সংস্কার করতে পারবে কেবল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যেকোনো ধরনের সংবিধান সংশোধন এর আগেই নির্বাচনের প্রয়োজন - গণপরিষদ নির্বাচন বা সংসদ নির্বাচন।

সংবিধানে আওয়ামী লীগের আমলে যুক্ত হওয়া পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হয়ে গেছে সুপ্রিম কোর্ট এর রায়ে। ২০০১-০৬ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে যেরকম সংবিধান ছিল, এখন প্রায় সেরকমই। কেয়ারটেকার সরকার এর অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নাই।

নতুন করে ফ্যাসিস্ট হওয়া ঠেকানোর জন্য যারা নতুন মডেলের সংবিধান চাচ্ছে, ক্ষমতার বিভাজন - বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাচ্ছে, তাদের সংবিধান বিষয়ে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব আছে। প্রেসক্লাব আর টকশোর বক্তব্য শুনে তারা রাষ্ট্র ও সংবিধান সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছে। নতুন সংবিধান রচনা করলে একটা লাভ হবে, যে কারণে আমি নিজেও নতুন সংবিধান করার পক্ষে, সেটা হচ্ছে পার্লামেন্ট এর ক্ষমতা বাড়বে। সুপ্রিম কোর্ট এর রিভিউ পাওয়ার কমবে। তখন বেসিক স্ট্রাকচারের এত ঝামেলা থাকবে না। কিন্তু টকশো আর প্রেসক্লাব, শহিদ মিনারের নেতারা এই টেকনিক্যাল বিষয় খুব একটা বুঝবে না। তারা চাচ্ছে সংবিধান দিয়ে ইডিওলজিক্যাল বায়াস এর মীমাংসা, যেটা জাতীয় ঐক্যের জন্য অন্তর্ঘাতমূলক হবে। আর যারা সংবিধান পুনর্লিখন করে ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে চায় তারা মূলত ভ্যাকসিন নিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চায়।

ডাকসু একটা সমিতি। ডাকসুর কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নাই। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ছাত্রলীগের ইশতেহার ঢুকানো। কোর্টে রিট করে এই গঠনতন্ত্র সংশোধন করা যাবে না। ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারে সিন্ডিকেট। বর্তমানে সিন্ডিকেটে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ। প্রথমে সিন্ডিকেট ঠিক করতে হবে। এরপরে গঠনতন্ত্র, এরপরে নির্বাচন কমিশন ও তফসিল।

অন্যদিকে, জাতীয় নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আছে, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, নির্বাহী আদেশে প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগের কিছু রদবদল করলেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। ডাকসু নির্বাচন এর জন্য আমরা যেমন সব নীলদল এর শিক্ষক বা আওয়ামী লীগ এর কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে বলছি না, তেমনি জাতীয় নির্বাচনের জন্যও আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগকৃত সব কর্মচারীকে বরখাস্ত করতে বলছি না।

দেশের রাষ্ট্রপতি ও ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর চুপ্পুকে আমরা কোনো জায়গা থেকেই সরাতে বলছি না। নির্বাচিত সংসদ গঠিত হলে চুপ্পুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Engineer's Diary

03 Jan, 09:39


আওয়ামী লীগের রাজনীতি জিন্দা রাখতেছে জামাত। লীগও দাবি করে আন্দোলন জামাত শিবির করছে, মুক্তিযুদ্ধ লীগের বাপ একাই করছে, বাকি সব ধৈঞ্চা। জামাতও দাবি করে আন্দোলন জামাত শিবির করছে, মুক্তিযুদ্ধ লীগের বাপ একাই করছে, বাকি সব ধৈঞ্চা। দুইটার কমন এনিমি এখন বিএনপি হইছে।

এখন বিএনপিকে সবার আগে একাত্তর প্রশ্নে নিজেদের স্বতন্ত্র বয়ান দাঁড় করাতে হবে। এটা করার আগে ডাইনে বায়ে একাত্তর একাত্তর করলে লীগের বয়ানে ঢুকে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। বিএনপিকে কিন্তু এখন জাতীয় দুশমন বানানো হইতেছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে যত কসম কেটে মিথ্যা বলতে পারে সে তত বড় হিরো। আর লীগ তো বসেই আছে বিএনপির নামে মিঠা মিঠা কথা বলতে, যাতে সবাই বিএনপিকে ঘেন্না করে।

এই ফাঁদে পা না দিয়ে সামনের দিনের প্রিপারেশন নেয়া লাগবে। মুক্তিযুদ্ধও বিএনপির, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও বিএনপির, বেগম খালেদা জিয়াও বিএনপির - এসবকে ক্লেইম না করে বাজে কাজে সময় নষ্ট করতে থাকলে নিজেদের পার্টি অফিসের তালাটা পর্যন্ত খোলার সাহস দেখাইতে না পারা জামাত বড় জাতীয়তাবাদী সাজবে আর জানাক বলবে - ম্যাডামকে তো আমরাই বের করে আনছি।

Engineer's Diary

28 Dec, 18:35


ভারত কি জানে যে শেখ হাসিনা আর ছাত্রলীগ / যুবলীগ / আওয়ামী লীগ কর্মীদের ইন্ডিয়াতে পাঠানো যে আমাদের মাস্টার প্লান এর অংশ?
হাজার হাজার সেনা সদস্য আওয়ামী লীগ/ যুব লীগ/ ছাত্র লীগ কর্মীর ছদ্মবেশে ভারতের বিভিন্ন স্থানে পজিশন নিয়েছে।
আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিম বাংলা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৩০ তারিখ রাতেই তারা খেলা শুরু করবে।
৩১ তারিখ সকাল ০৬ টার আগে আমরা কলকাতা দখল করবো।
১২ টার আগে আসাম।
১৫ টার আগে ত্রিপুরা।
৩১ তারিখে শহীদ মিনার থেকে অবিভক্ত বাংলার সেই ঘোষণাই আসবে।
এটাই পলিটিক্স।
হা হা।
#the_bangladesh_scam


- M Hassan

Engineer's Diary

28 Dec, 11:36


আজিজ খান সিংগাপুরে এক্সপোর্ট হইছে অনেকদিন আগে, এই নিয়ে আমাদের গর্ববোধ আছে, সিংগাপুরের অর্থনীতি চাংগা রাখতে বাংলাদেশ অবদান রাখছে- এই ব্যাপারটা আনন্দের ছিলো, সেই আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, এতে আফসোসের কিছু নেই তবে হালকা দু:খবোধ হচ্ছে যে আজিজ খানের ভবিষ্যৎ সাফল্যে আমাদের হিস্যা থাকছে না, এখন আমাদের সামনে পরবর্তী আজিজ খান তৈরির চ্যালেঞ্জ, কতদ্রুত এই কাজে সফলতা আসে সেটাই দেখার বিষয়।

- রাশেদুল ফরহাদ

Engineer's Diary

28 Dec, 05:13


আমলা cdi!

প্রশাসনের আমলাদের প্রতিটার লিস্ট ধরে ধরে দ্যাখেন আওয়ামী লীগের সাথে কবে কোথায় কিভাবে কোলাবরেট করসে। কার পোলামাইয়া বিদেশে পড়ে, কার বেগমপাড়ায় বাড়ি, কার বউয়ের নামে কয় কাঠা জমি! এইগুলা বাইর করে দুদক দিয়ে বাটি চালান দেন।

এই আমলারা হচ্ছে সবচাইতে বড় সাপ! ১৫ বছর আরামে লুটপাট করে এখন ছোবল দিতে আসছে। কী করে এরা? বিদেশ ভ্রমণ, দুই নাম্বারি, লালফিতায় প্রজেক্ট আটকায়া ঘুষ খাওয়া আর লীগের পা চাটতে চাটতে হাউন আংকেল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কী করসে?

এরা পদে না থাকলে কিছু চলবে না, প্রশাসন থেমে যাবে, এইগুলা লেওড়ার আলাপ। দুইপাতা রেগুলেশান জানা কোন ব্যাপার না। এই আমলাগুলারে হোগায় লাথি মাইরা বাইর করে নিচে থেকে যারা অলরেডী জানে তাদের তুলে আনেন। দেশে এনাফ ট্যালেন্টেড পোলাপান আছে, মাস দুয়েক ট্রেনিং পাইলে এন্ট্রি লেভেল সিভিল চাকরি অনায়াসে করতে পারবে।

প্রপার চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট প্রসেস ফলো করে হিউম্যান রিসোর্স গ্যাপ পূরণ করা চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু অসম্ভব না।

এই কেউটে সাপগুলারে সরান আগে৷ নাইলে কোন সংস্কার বা উন্নয়ন, সব এরাই স্যাবোটাজ করবে (অলরেডী ইন একশান!)

Again, আমলা cdi!


- Rakib Hussein

Engineer's Diary

27 Dec, 06:00


জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব সরব হয়ে উঠেছে। আমি ইউটিউবে প্রশাসন ক্যাডারের লোকজনের সাম্প্রতিক সমাবেশের বক্তব্য শুনলাম। ফেসবুকে অনেকের লেখা পড়লাম। বুঝলাম যে তারা উপসচিব এবং প্রশাসনের কোর লিডারশিপ রোলগুলিতে তাদের বর্তমান আধিপত্য ছাড়তে চাইছেন না।
তাদের পদোন্নতির সুযোগ কমে যাবে এবং অন্য ক্যাডার থেকে এসে কর্মচারীরা অনেকগুলো পদ নিয়ে নিতে পারে- এই সংকীর্ণ গোত্র মানসিকতার বাইরে
১। পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের পলিসি ডিজাইন সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া
২। দুর্নীতি হ্রাস এবং
৩। জনসেবার মান উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে
উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্য কী অবদান রাখবে, আর ৫০% উপসচিব পদ অন্যদের ছেড়ে দিতে হলে তাতে জনগণের কী ক্ষতি হবে, নাগরিক হিসেবে এই উত্তর আমি এখনও পাইনি।
এটা পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের বহু পুরনো generalist বনাম specialist বিতর্ক। প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন generalist, তারা বিভিন্ন specialist সার্ভিসের লোকজনকে লিডারশিপ রোলে জায়গা ছাড়েন না, এটাই বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের গত ৫৩ বছরের ইতিহাস।
সুতরাং, এই বিতর্কটাকে ফোকাসড রাখতে হলে এবং যুক্তি দিয়ে জিততে হলে- প্রশাসন ক্যাডারের নেতাদের আহবান জানাই-
আপনারা প্রমাণ করেন যে
- উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২৫% পদ অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে আনুপাতিকভাবে বণ্টন করে কোটা পদ্ধতি চালুর ফলে প্রশাসনের পলিসি ও প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্টের সার্বিক পরিস্থিতির অবনমন ঘটেছে, আগে যখন সেটা ১০০% প্রশাসন ক্যাডারের জন্য রক্ষিত ছিল তখন জনপ্রশাসন সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সোনার দেশ নির্মাণ করেছিল, এবং এখন ৫০% অন্য ক্যাডার থেকে পদোন্নতি দেয়া হলে জনপ্রশাসন তথা দেশের নাগরিকগণ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আমি এক্ষেত্রে উপাত্তভিত্তিক প্রমাণ দেখতে চাই, যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে generalist রাই জনপ্রশাসনের নেতৃত্বে ভালো পারফর্ম করে, এবং আগামীতে রাষ্ট্র আরও ভালোভাবে চালাতে তাদের জন্য পদের প্রাপ্যতা বেশি রাখা তাই যৌক্তিক।
এখন আমি আমার কিছু যুক্তি এখানে তুলে ধরবো…
জনপ্রশাসনকে agile করতে হলে এর মানব সম্পদের কম্পোজিশন রাষ্ট্রকে সময়ের সাথে সাথে বদলাতে হয়, কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী। পাবলিক সেক্টরের বদলে প্রাইভেট সেক্টরের একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝাই-
ধরেন, আমি একটা সফটওয়ার ফার্ম প্রতিষ্ঠা করলাম, যেখানে আমি এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং সফটওয়ার বানাবো এবং বেচবো। প্রথম বছরে আমি ৫০ জন সফটওয়ার ডেভেলাপার নিয়োগ দিলাম, এবং ১০ জন সেলস এক্সিকিউটিভ রাখলাম। এক বছর পর আমার সল্যুশন মোটামুটি দাঁড়িয়ে গেল, এরপর শুধু মেইনটিন্যান্স ও আপগ্রেড এর জন্য আমার ১৫ জন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার লাগে, কিন্ত সেলস টিম বাড়িয়ে করতে হবে ৫০ জনের।
আমার সংগঠনের প্রয়োজন অনুযায়ী এখন আমি ৩৫ জন ডেভেলাপার ছাঁটাই করে দেবো, এবং সেই বাজেট দিয়ে নতুন সেলস এক্সিকিউটিভ হায়ার করবো।
এখন যদি শুরুতে জয়েন করা ৫০ জন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে যে আজীবন চাকরি থাকা ও পদোন্নতি তাদের অধিকার, এবং সেলস লিডারশিপেও তাদের প্রতিনিধি রাখতে হবে, তাহলে সেটা হাস্যকর শোনাবে না?
বাংলাদেশে প্রশাসন ক্যাডার এইসব আপাত হাস্যকর কর্মকান্ডকে জনপ্রশাসনের সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে। জাস্ট তিনটা উদাহরণ দেবো-
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত দুই দশকের একাধিক গভর্নর এসেছে প্রশাসন ক্যাডার থেকে, যিনি সর্বশেষ ৫ আগস্টের পর পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি অর্থসচিব থাকাকালীন তার সিরিয়াল রক্ষার্থে এবং তার আগের জনকে কন্টিনিউ করতে বয়সের সংশোধনী এনে বাংলাদেশ ব্যাংক আইন সংশোধন করা হয়েছিল পার্লামেন্টে। জীবনেও মনিটারি পলিসির ‘ম’ ও না বোঝা, ক্যারিয়ারে ফিসক্যাল পলিসি সামলানো কর্মচারীদের কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর করতে হয়, দেশে এবং বিদেশে অনেক মেধাবী ফিনান্সিয়াল ইকোনমিস্ট, মনিটারি পলিসি স্পেশালিস্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পাল ক্যারিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকার থাকার পরও?
কেন সোনালী, জনতা, রূপালী ইত্যাদি ব্যাংকের চেয়ারম্যান করতে হয় জীবনেও একদিনের জন্য ব্যাংকিং না করা জেনারেলিস্ট প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক সচিব/ অতিরিক্ত সচিবদের?
দেশে এবং বিদেশে এসএমই ফিন্যান্স কিংবা ডেভেলপমেন্ট এর অনেক স্পেশালিস্ট থাকার পরও কেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মত একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান করতে হয় সাবেক প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই? যুক্তিটা কী?
পিকেএসএফ এ ক্যারিয়ার পার করা অনেক কর্মী আছেন, বাংলাদেশে রুরাল ডেভেলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষ বহু প্রফেশনাল আছেন। তারপরও কেন এর অধিকাংশ চেয়ারম্যানই আসেন প্রশাসন ক্যাডারের অবসরে যাওয়া জেনারেলিস্ট কর্মচারীরা?
প্রশাসন ক্যাডারের জেনারেলিস্টদের নেতৃত্বে এইসব সংগঠনের ইতিহাসে কী গুণগত উত্তরণ ঘটেছিল, যা ভবিষ্যতে স্পেশালিস্টদের হাতে ছেড়ে দিলে ক্ষয়ে যাবে? আমার জানা নেই! এমন অন্তত শ’খানেক উদাহরণ নানা খাতে আছে।
আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করেছি এই মাসগুলোতে। সাম্প্রতিক

Engineer's Diary

27 Dec, 06:00


সংস্কারের সুযোগ আমাদের প্রশাসন ক্যাডারের জন্যও এনে দিয়েছিল নিজেদের নানা পর্যায়ের কার্যক্রমে অনেক পেইন পয়েন্ট, ইনএফিশিয়েন্সির সমস্যা ইত্যাদি তুলে ধরার, এবং সেগুলোকে অতিক্রম করার। আমরা প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাতে পারিনি, আমাদের প্রশাসন ক্যাডারের বন্ধুরা তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে এইসব নানা বিজনেস প্রসেস এর অদক্ষতার জন্য সাফার করেন, তাদের কাজ দুরূহ হয়ে ওঠে। আড্ডায় সেসব হতাশা প্রায়ই শুনি নানাজনের কাছে।
কিন্ত আপনাদের কেউ তো সেইসব বিষয়ে বদল আনার জন্য উদ্ভাবনী চিন্তার দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন কিংবা মিছিল মিটিং এর ডাক দিলেন না। ফেসবুকে কাউকে লিখতে দেখিনি- ভাই এই কাগজের ফাইল ঠেলাঠেলি কিংবা প্রজেক্ট ডেলিভারির প্রাগৈতিহাসিক ধারা এইভাবে না করে ঐভাবে করলে আমাদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হত।
এমনকি চাকরি শেষে আপনাদের নিজেদের পেনশন তোলার প্রক্রিয়াটাও দুর্নীতিতে ভরা, এবং আপনাদেরই কাঁদিয়ে বেড়ায়। সেগুলোও তো সংস্কার করতে হবে, নাকি?
নিজেদের এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধির প্রস্তাব কিংবা উদ্ভাবনী জনপ্রশাসন তৈরির আইডিয়া হান্টের বদলে আপনারা উচ্চকিত নিজেদের কোটা রক্ষা নিয়ে। আপনাদের আগ্রহের জায়গা আসলে কোথায়, জনগণ সেটা লক্ষ্য করছে।
জেনারেলিস্ট বনাম স্পেশালিস্ট এই বিতর্কে কোন বাইনারি অবস্থানের সুযোগ নাই।
প্রতিষ্ঠান, খাত এবং তার কাজের স্কোপ অনুযায়ী দুই ধরনের কর্মীর সন্নিবেশই আমাদের জনপ্রশাসনে দরকার। আমার কর্মজীবনে দেখেছি বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড, বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা ইন্টারডিসিপ্লিনারি টিমে ব্যতিক্রমী চিন্তা, উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা ভালো হয়।
আবার পদ বন্টনের ক্ষেত্রে কোন কিছুই জনপ্রশাসনে কনস্ট্যান্ট নয়, কোনটাই কোন ক্যাডারের আজীবন অধিকারও নয়।
রাষ্ট্রের যদি জেনারেলিস্ট কর্মী ২০% এর বেশি না লাগে, নাগরিকের ট্যাক্সের টাকায় তাদের পালারও কোন যৌক্তিকতা নেই, অবসর ও পেনশন দিয়ে গণ ছাঁটাই দুনিয়ার বহু দেশেই প্রশাসনে নিয়মিত হয়।
আমাদেরও ছোট, agile, জেনারেলিস্ট ও স্পেশালিস্টের অপটিমাম কম্পোজিশনের প্রশাসন নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।
যেখানে স্কিল সেট কোনটা দরকারি এবং সেটা জনগণের জন্য কী কাজে লাগবে তার ভিত্তিতে জনপ্রশাসনে রিসোর্স এলোকেশন হবে, আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব এবং কিছু গোত্রের আধিপত্যের ঐতিহাসিক প্রবণতাকে দমন করে।

- Galib Ibn Anwarul Azim

Join @Campus Connect 2.0

Engineer's Diary

26 Dec, 20:20


কাক কখনো কাকের মাংস খায় না।

এডমিন ক্যাডার এডমিন ক্যাডারের মাংস খাবে না। গত ১৭ বছরে বিএনপি/জামাত পন্থী আমলারা তাদের দলের কোন কাজে আসে নি। বরং আমলারা রাজনীতিতে এসে বিএনপির ক্ষতি করেছে। বিএনপির অর্গানিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সর্বনাশের অন্যতম কারণ ছিলো অতিরিক্ত আমলা নির্ভরতা।

বিএনপি পন্থী আমলারা যদি আমলাতন্ত্র সংস্কারের বিপক্ষে দাঁড়ান সেটা বোধগম্য। কারণ ক্ষমতা কমলে শুধু লীগ পন্থী আমলাদের কমবে না...সব আমলাদের কমবে। বিএনপি পন্থী/ জামাত পন্থীরাও তাই সংস্কার চাবে না।

এক্ষেত্রে দলের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা নিতে হবে। যদি দলীয় শৃংখলার কারণে সরাসরি বিপক্ষে কথা বলা নাও যায়, পক্ষে বলা থেকে চুপ থাকতে হবে।

ছাত্রদের সরকারকে এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। পুরো পাব্লিক পালস আমলাতন্ত্র সংস্কারের পক্ষে আছে। আমলা ছাড়া সারা দেশ আপনাদের পক্ষে।

আঘাত হানুন। এটাই সুযোগ আপনাদের যোগ্যতা প্রমাণ করার।

সংস্কার গুলো নিশ্চিত করেন। এটাই হবে আপনাদের দেশ চালাবার যোগ্যতার সার্টিফিকেট।

যদি আমলারা কোন খেলা খেলতে চায়...

ওদেরকে সচিবালয়ের সামনে আনসার বাহিনীর ট্রিটমেন্টের কথা মনে করিয়ে দেওয়া লাগবে।

আমরা লাঠি কিন্ত এখনো জমা দেই নাই।

মাইর একটাও মাটিতে পরবে না।

হয় এবার না হয় কখনোই না।

- M Hassan

Engineer's Diary

26 Dec, 20:18


৩. কোভিড মহামারীর সময় শেখ হাসিনার সরকার লকডাউন ঘোষণা করলো। সব যেহেতু বন্ধ, সেহেতু গরীব কর্মজীবী মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী সাহায্য হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলো। কিন্তু সমস্যা হলো, গরীব মানুষ কারা? কীভাবে নির্ধারণ হবে কে গরীব, আর কে বড়লোক। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। মজুরী গ্রহণ করেন নগদ টাকায়। সরকারের পক্ষে এই মানুষের প্রকৃত আয় নির্ধারণ করা অসম্ভব। কাজেই শত শত কোটি টাকার প্রণোদনা গরীব মানুষ যে ভোগ করতে পারেনি, তা বলাই বাহুল্য।

এই একই কারণে বাংলাদেশের কোনো সরকারের পক্ষেই প্রোগ্রেসিভ অনেক পলিসি নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না। হেলথ ইনস্যুরেন্স, বেকার ভাতা বা দারিদ্র্য ভাতা বা অন্যান্য সোশ্যাল প্রোটেকশন স্কিম সঠিকভাবে চালু করা সম্ভব হবে না। আয়কর, সাধারণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এমনভাবে প্রয়োগ হয় যাতে গরীবদের বেশি ক্ষতি হয়।

মানুষের আয় নির্ধারণ তো দূরের কথা, বাংলাদেশের সরকার জানে না দেশে নাগরিকের সংখ্যা আসলে কত জন। একজন নাগরিকের একেবারে মৌলিক রেকর্ড, তার জন্ম নিবন্ধন বাংলাদেশে ১৭ বছর আগে শুরু হয়েও আজ পর্যন্ত ঠিকঠাক হয়নি। সার্ভার নাকি নষ্ট হয়ে যায়!

৪. আমাদের ভূমির রেকর্ড দেখেন। এই এক ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাংলাদেশের নিম্ন আদালত মামলার পাহাড়ে নিমজ্জিত হয়ে আছে। প্রত্যেক শহরে, জেলায়-উপজেলায় খাস জমি, নদীনালা ও গরীব মানুষের জমি কেড়ে নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছে কিছু নির্দিষ্ট ভূমিদস্যু। লক্ষ-কোটি টাকার জনসম্পদ দখলে যাচ্ছে ক্ষমতাবানদের কাছে। অর্থাৎ দেশের যেই আয় ও সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য, তার সঙ্গে এর সরাসরি সম্পর্ক আছে।

শেখ হাসিনার আমলে বিভিন্ন প্রকল্পের দাম বেড়ে হওয়ার একটি কারণ ছিল ভূমি অধিগ্রহণে তিনগুণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি। বিভিন্ন চক্র মৌজার দামে কারসাজি করে বহু অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আগেই প্রকল্পের খবর জেনে গিয়ে গরীব মানুষের জমি আগেভাগে কিনে নিয়েছে। অথচ, বিশ্বের বহু দেশ বহু আগেই এই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে। কৃত্রিম উপগ্রহ দিয়ে প্রত্যেক ইঞ্চি পরিমাণ জমির রেকর্ড এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে। আমাদের সমস্ত ভূমি রেকর্ড ও মালিকানা ব্যবস্থা যদি ডিজিটাল হতো, সরকার চাইলে কোনো প্রকল্প অধিগ্রহণের আগে পরে জমি ক্রয় বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারতো। করদাতাদের অনেক অর্থ প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যেত।

ভূমি রেকর্ড ঠিক না রাখার অপরচুনিটি কস্ট অনেক বেশি। যেমন, ভূমি সংক্রান্ত মামলা জট যদি কম থাকতো, আমাদের বিচারালয়গুলো অন্যান্য সিভিল মামলাগুলো দেখাশোনার সুযোগ পেতো, যেটা এখন তারা পারছে না। সমাজে জোর প্রয়োগের বড় একটা ইনসেন্টিভ কমে যেতো।

এমনকি বাংলাদেশের ব্যাংক লুটের সঙ্গে ভূমি রেকর্ডের একটা সম্পর্ক আছে। হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়া হয়েছে ভুয়া জমির দলিল দেখিয়ে। জমির দাম নিয়ে স্বচ্ছতা না থাকায় নামকাওয়াস্তে জমি জামানত রেখে গ্রাহকের লক্ষ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেয়া সম্ভব হয়েছে।

অর্থাৎ এক ভূমির কারণে বহু ধরণের সমস্যা হচ্ছে। বলছি না, এই ভূমি রেকর্ডে স্বচ্ছতা আসলে সব দুর্নীতি চলে যাবে। কিন্তু দুর্নীতি করা কঠিন হয়ে পড়বে। দুর্নীতি একেবারে দূর করে দেয়া সম্ভব নয় — কিন্তু দুর্নীতি করার সুযোগ কঠিন করে দেয়া সম্ভব।

কাজেই বাংলাদেশে ভূমি রেকর্ড, আদালতের নথিপত্র ও সরকারি আমলাতান্ত্রিক নথিপত্র যদি ডিজিটাইজ না করা হয় এবং কোনো নথিই মুছে না ফেলার বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশের দুর্নীতি প্রতিরোধের সব রকম চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।

- নাজমুল আহাসান

edy.pw/EdHud

Engineer's Diary

26 Dec, 20:18


সচিবালয়ে আগুন লাগার আগ থেকেই বাংলাদেশের রেকর্ডকিপিং ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। এই দেশে যুগে যুগে দুর্নীতি টিকে থাকার সঙ্গে এই দুর্বল রেকর্ডকিপিং-এর সরাসরি সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কটা এতই গাঢ় যে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অত্যন্ত সৎ ও আন্তরিক একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিলেও এই কারণেই তাদের পক্ষে টেকসই সংস্কার করা সম্ভব হবে না।

কিছু বাস্তব উদাহরণ দিলে এই সমস্যাটা কী অবিশ্বাস্য মাত্রার ভয়াবহ তার কিছুটা আঁচ পাওয়া যাবে:

১. ২০১৯-২০ সালের ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারি কার্যালয়। দায়িত্বে একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তি। ওই কার্যালয়ের নতুন ভবন গড়ে উঠছে। আগে সেখানে ছিল জাকের পার্টির কার্যালয়, কিন্তু ভবন গড়ে উঠতে দেখে পড়িমরি করে মসজিদ বানিয়ে ফেলা হয়। খাস জমি। ফলে মামলা হলো। মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সরকারের পক্ষে রায় হয়। কিন্তু মজার বিষয় হলো, সুপ্রিম কোর্টের মামলার নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দখলদারদেরও উৎখাত করা যাচ্ছে না। মন্ত্রী সাহেব সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন, এটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ব্যবহার করেও কাগজ খুঁজে পাচ্ছেন না। কল্পনা করা যায়? হাসিনার দোর্দণ্ড আমলে তারই অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠানের মামলা খোদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া যাচ্ছে না!

অগত্যা তিনি গেলেন প্রধান বিচারপতির কাছে। তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে অনুরোধ করে আসার কয়েক মাস পর নথির সন্ধান পাওয়া গেলো। অর্থাৎ সামান্য একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আরেকটা এথিক্যাল হ্যাজার্ড তৈরি হয়ে গেলো। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একজন নির্বাহী মামলা সংক্রান্ত কাজে কীভাবে সাক্ষাৎ করেন? আজকে তিনি না হয় সরকারি কাজে গেলেন, কালকে যে তিনি ব্যক্তিগত কারণে যাবেন না, সেটার নিশ্চয়তা কী? আর মামলায় সরকারও তো একটা পার্টি: মামলার একটা পক্ষ যদি বিচারকের সঙ্গেই দেখা করে আসেন আড়ালে, তাহলে আর কিছু থাকে?

এভাবেই সামান্য রেকর্ডকিপিং-এর অভাব পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে আরও দুর্নীতিমুখী করে তোলে।

আদালতের নথিপত্র অত্যন্ত জরুরী ও মৌলিক। অথচ, সেটা ডিজিটাইজ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো না। এখনও মানুষকে ঘুষ দিয়ে রেকর্ড তুলতে হয়। অথচ, কে কোন রেকর্ড ক্লাউডে আপলোড করছে, আর সরিয়ে ফেলছে, তার বিবরণ সহ একটা ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরি করা এই যুগে মামুলী একটা ব্যাপার। বাংলাদেশের অসংখ্য ওয়েব ডেভেলপারই সেটা করে দিতে পারবেন। অথচ, এই সামান্য বিষয়টা আমাদের দেশে হতে দেয়া হয় না।

২. ২০২১ সালে আমার দেশছাড়ার সময় তৎকালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে নিয়ে নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায়, বিপুর মন্ত্রণালয়ের প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের জন্য এমন একটি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে, যার আংশীদার ছিলেন বিপুর মামা। এই মামাকে ফোন দেয়া হলে তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে তার ভাগিনারাই তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। অপরদিকে বিপু এই প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সভায় সভাপতিত্ব করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন। এই ধরণের বেশ কয়েকটি নথিতেই সরকারি স্মারক ও সূত্র উল্লেখ ছিল। এই সূত্র ব্যবহার করে চিঠির অনুলিপি এখনও পাওয়ার কথা। কিন্তু পাওয়া হয়তো যাবে না। পেলেও হয়তো পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

অর্থাৎ, আজকে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই প্রকল্পে সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্ত করতে যায়, তাদের পক্ষে সেই পুরোনো নথি পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠবে। এভাবেই যুগে যুগে সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের দুর্নীতির রেকর্ড লুকিয়ে রাখতে পেরেছেন।

কীভাবে সেটাও বলছি। সরকারি বহু চিঠিতেই স্মারক নম্বরের ক্রমধারা বজায় রাখা হয় না। মনগড়া স্মারক নম্বর বসিয়ে দেয়া হয়। চিঠির অনুলিপি কোনো রেকর্ডকিপারের কাছে পাঠানোও হয় না। জনপ্রশাসনে নিয়োগ, পদায়নের রেকর্ড ভালোভাবে রাখা হয়; মন্ত্রীপরিষদের রেকর্ড ভালোভাবে হয়তো রাখা হয়। এর বাইরে অভ্যন্তরীণ চিঠি চালাচালির রেকর্ড নিয়ে আমার আস্থা কম।

একটা সেন্ট্রাল সিস্টেমে সব ধরণের চিঠির (অফিস আদেশ, অনুশাসন থেকে শুরু করে সভার মিনিটস, আন্তঃমন্ত্রণালয় চিঠি) টেম্পলেট সহকারে, প্রত্যেক চিঠির খসড়া থেকে শুরু করে, স্বাক্ষরকারী আর চেইন অব কাস্টডি মেইন্টেইন করা অত্যন্ত সাধারণ মৌলিক দাপ্তরিক কাজ। অথচ, এই আধুনিক যুগে এসেও এই ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যাচ্ছে না।

এই বিষয়টি বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইনও অকার্যকর রয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ; অথচ এই আইন হতে পারতো সরকারি দুর্নীতি রোধের অন্যতম কার্যকরী হাতিয়ার।

সামান্য কিছু পদক্ষেপের অভাবে, সামান্য কিছু রেকর্ডকিপিং না থাকায় বাংলাদেশে দুর্নীতি করে পার পাওয়া অত্যন্ত সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Engineer's Diary

26 Dec, 06:36


আমলালীগ, কোটায় নিয়োগ পাওয়া কামলালীগ সবগুলোর বিরুদ্ধে অলআউট এ্যাকশনে না গেলে এদের আস্ফালন বাড়বে। এডমিন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র*লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সমাবেশ ডেকেছে। ওদের হাসি-নাগিরি থামাইতে হবে শক্ত হাতে। তুরস্কে এরদোগানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ ক্যু করার ষড়যন্ত্রের পরপরই ৫০ হাজার সরকারি আমলা-কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিলো। আর আমরা দেখাইলাম সুশীলতা! বাস্টার্ডের সাথে বাস্টার্ডগিরি না দেখাইলে বাস্টার্ডের দাঁত বড় হয়ে যায়, সবাইকে কামড়াতে চায়। এদের বাস্টার্ডগিরি আগে ছুটাইতে হবে।

- Abdullah Hil Baki

Engineer's Diary

26 Dec, 06:01


৯৬'তে আওয়ামীলীগের তত্ত্ববধায়ক সরকার আন্দোলনে সফল হওয়া এবং ক্ষমতায় আসার অন্যতম ক্রীড়ানক ছিলেন আমলারা। মহিউদ্দিন খান আলমগীরের নেতৃত্বে আমলারা 'জনতার মঞ্চে' এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারা তৎকালীন 'অবৈধ' সরকারের অধীনে কাজ করবেন না।

যারা ৯৬-এর আন্দোলনের গতিবিধি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকবেন, তারা বুঝতে পারবেন, আমলাদের এই অংশগ্রহণই পুরো আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

২০০৮-০৯ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ সেই মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিল।

আওয়ামীলীগের সাথে আমলাদের এই সম্পর্কের ইতিহাস ও গতিবিধি ধরতে না পারলে বুঝা যাবে না কীভাবে ১৯৯৬ সালের 'অবৈধ' সরকারের অধীনে কাজ করতে অপারগ আমলারা ২০১৪-২০২৪ সাল পর্যন্ত সরকারকে 'বৈধ' কল্পনা করে সরকারকে সহায়তা করে যান।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নানান পেশাজীবীরা অংশ নিলেও কেবল আমলারা একটা টু'শব্দও উচ্চারণ করেননি। অনেকেই বলেছেন, আমলারা তো সরকারি চাকরি করেন, তারা কীভাবে আন্দোলনে অংশ নিবেন। এটা তো চাকরিবিধির লঙ্ঘন। আমি সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আবার ভাবেন, ১৯৯৬ সালে আমলারা আন্দোলনে অংশ নিতে পারেন, কিন্তু ২০২৪ সালে পারেন না।

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে আমলাদের অংশগ্রহণ চাকরিবিধির লঙ্ঘন। আর আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকলে আমলাদের অংশগ্রহণ হয়ে যায় 'প্রতিবাদ'।

বিগত পনের বছরে অর্থনৈতিক লুটপাটে বারেবারে নাম উঠে এসেছে আমলাদের। আওয়ামীলীগের সাথে পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের একটা সিম্বায়োটিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অর্থনৈতিক লুটপাট বহাল তবিয়তে রাখার জন্য একে অপরকে সক্রিয় সমর্থন প্রদান করেছে। ভোটচুরি থেকে শুরু করে প্রায় সকল অপকর্মেই তারা হাত ধরাধরি করেই চলেছে।

বাংলাদেশে এই যে যত সংস্কার আলাপ চলতেছে, বিশ্বাস করেন, আমলাতন্ত্রের সংস্কার প্রবল 'অসম্ভব' হয়ে দাঁড়াবে। এই একটা ক্ষেত্রের সংস্কারে হাত দিতে গেলে দেশ অচল হয়ে যাইতে পারে। আমাদের কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে থাকা 'আমলাতন্ত্র'কে কীভাবে সংস্কার করা যেতে পারে, তা ভেবে আসলেই আমি কুল পাই না।

ছবি : ২৬ মার্চ ১৯৯৬, জনকণ্ঠ

- সহুল আহমেদ মুন্না

[Join our টেলিগ্রাম t.me/EngineersDiaryfamily
টুইটার x.com/engineersdiaryb/ ]

Engineer's Diary

23 Dec, 17:56


Abhi Datta এর পোস্টের কারণে নির্যাতনের শিকার Saeed Ahmed ভাইয়ের স্টেটমেন্ট :

আসসালামু আলাইকুম। এই আইডিটা আমার ছিলো। 2021 সালে এই আইডিটা নষ্ট হয়ে যায়। আমি জাফর ইকবালকে আগে থেকেই দেখতে পারতাম আইডোলজিকাল কারণে। যখন জাফর ইকবালের উপর হামলা হয় তখনো আমাদের ক্লাস শুরু হয় নাই। তো কোন একটা পেজে জাফর ইকবালকে গ্লোরিফাই করে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছিলো। সেখানেই আমি এই কমেন্টটা করি। যাই হউক এরপর ওইদিন রাতে ১৫ এর এক সিনিয়র আপু আমার আইডিতে মেসেজ দেয়। এরপর সরাসরি কল দেয়। বলে সিনিয়র আপু। ক্যাম্পাসে আসলে আমাকে নিয়ে চা খাবে। এরপর ১৬ এর কয়েকজন নক দেয়। ক্যাম্পাসে গেলে আমাকে নিয়ে চা খেতে চায়। তো আমি বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই নেই। যেহেতু আমার সিনিয়র। পরে ম্যাকানিকালের ১৫/১৬ এর এক বড় ভাই মোস্ট প্রোভাবলি তাবলীগ করতো কথাবার্তা শুনে এবং ওনার প্রোফাইল ঘেটে তাই বুজতে পারছিলাম) আমাকে নক দিয়ে বলে যে তুমি ভাইয়া আপাতত ফেসবুকে কোন কিছু লিখো না। তোমাকে নিয়ে আমাদের একটা পেজ আছে (আড়িপেতে শোনা) ওইখানে কথা হচ্ছে। তুমি ক্যাম্পাসে আসলে সাবধানে থেকো এবং পারলে ক্লাস ছুটির সাথে সাথেই চলে যেয়ো ক্যাম্পাসে থেকো না।

আর আমার সাথে কথা হইছে এই কনভারসেশনটাও ডিলেট করে দিও। কারণ আমার প্রব্লেম হবে। (এইটা পড়েই বুঝতে পারছিলাম তখন আসলে বুয়েটের কি অবস্থা ছিলো। আমাকে সাবধান করার জন্য বুয়েটের আরেক সিনিয়র বিপদে পড়তে পারে।

তারপর নিজের মনের ভিতর একটা আতঙ্ক ঢুকে যায়। যাই হউক তখনো ক্লাস শুরু হতে আরো ৩-৪ সপ্তাহের মতো বাকি ছিলো আমার যতটুকু মনে পড়ে। তো আমি ভাবছি এতদিনে সবাই ভুলে যাবে।তো প্রথম দিন ভয়ে ভয়ে গেলাম কিছুই হলো না। এইভাবে প্রথম উইক চলে গেলো। পরে দ্বিতীয় উইকের বুধবার ক্লাস শেষে আমার ডিপার্টমেন্টের অন্য সেকশনের সিয়ার এসে বলে আমাকে সিনিয়র বড় ভাইরা ডাকতেছে। পরে আমাকে ওইখান থেকে সোহরাওয়ার্দীতে নিয়ে গেলো। পরে সবাই তিন তলায় একটা রুমে নিয়ে গেলো। ওইখানে প্রায় ১০-১২ জনের মতো ছিলো। পরে আমাকে প্রশ্ন করতে থাকে জাফর ইকবালকে নিয়ে কেন বাজে কথা বলছি, কেন আমি সরকারের সমালোচনা করি। বাংলাদেশে জাফর ইকবালের মতো আর কোন প্রফেসর আছে কিনা। যে আমেরিকা কেন্ট্যাক ছেড়ে বাংলাদেশকে ভালোবেসে চলে আসছে। আমি নাকি রাজাকার। কারণ আমি জাফর ইকবালের

এগেইনস্টে কেন বলছি। পরে আমার মোবাইল নেয়। ফেসবুক সব জায়গায় ঢুকে। ঢুকার পর আমি কেন ইসলামিক পেজে লাইক দিছি, কেন ফলো করি এই জন্য আমি নাকি জামাত শিবির করি, আমি নাকি জংগী। অনেক এলিগেশন দেয়া হয়। কিন্তু কোনটার সত্যতা পায় নাই। আমারে পুলিশে দিয়ে দিবে তারা জংগী ট্যাগ দিয়ে। একজন একজন করে আসতেছিলো কোশ্চেন করতেছিলো। এর মাঝে উত্তর ওদের পছন্দ না হলে মারতেছিলো। আমি ওরা যেভাবে চায় ওই ভাবে দাড়াইনা কেন এইসব বিভিন্ন কারণে মারতেছিলো স্ট্যাম্প দিয়ে, কেউ মুখে চড়থাপ্পড় মারতেছিলো। আর তাদের মুখে যা আসতেছিলো তা তারা বলতেছিলো।। একজনের পর আরেকজন। পরে আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড জিজ্ঞাসা করলে আমার জেঠা ছিলো আওয়ামী লীগের নেতা। পরে এটা শুনার পর আরো কিছুক্ষণ মারধর করে। পরে বলে কাউকে যাতে কিছু না বলি। পরে সেখান থেকে চলে আসি।

যাই হউক আমি ওইখানে শুধু তিনজনকে চিনতে পারছি। দুইজন সিভিল ১৬ এর (একজন ছিলো আববার, আর আরেকজনের ফেস চিনি বাট নামটা মনে নাই)। আর আরেকজন ১৪/১৫ ব্যাচ ক্যামিকেলের ছিলো (ওনারও নাম মনে নাই, কিন্তু ফেস মনে আছে)।

যাই হউক ওইদিন রিকশা দিয়ে আসার সময় চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তেছিলো। আর আল্লাহর কাছেই বিচার দিছি। ইনশাআল্লাহ এই দুনিয়াতে এইটার প্রাপ্য আমি নিবো না। কিয়ামতের মাঠেই নিবো রিকশাতেই ডিসিশন নিয়েছিলাম। এই ঘটনার পর আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখন ঢাবি অলরেডি ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়ে গিয়েছিলো। যার ফলে বুয়েট ছাড়তে চেয়েও পারি নাই। আর বুয়েটের প্রতি যে একটা ঘৃণা জন্মাইছিলো সেটা বুয়েট লাইফের শেষ দিন পর্যন্ত ছিলো। আমি বুয়েটের প্রতি ভালোবাসা আনতে পারি নাই। যার ফলে আমার একাডেমিক লাইফে এইটার প্রভাব পড়েছে।

যাই হউক আমি এই ঘটনা কোনদিন বলি নাই কাউকে ডিটেইলসে, আর বলার ইচ্ছাও ছিলো না। ওদের বিচার ইনশাআল্লাহ আল্লাহ করবে কিয়ামতের ময়দানে।

অনেক বড় লিখা আর অনেক জায়গায় অগোছালোও লাগতে পারে। কারণ লিখার মাঝে অনেক কিছুই স্মৃতিতে আসতেছিলো। ওইগুলা লিখতেছিলাম।

Engineer's Diary

23 Dec, 17:54


আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আগের বুয়েটের চিত্র।

#কনটেক্সট- বুয়েটে জয়েন করারো আগে ১৭ ব্যাচের এক ভাই, জাফর ইকবাল কে রাজাকার বলে একটি পোস্টে কমেন্ট করে। সেই কমেন্টের উপর ভিত্তি করে, বুয়েটিয়ানদের গ্রুপে মানুষজনের রিয়েকশনের খণ্ডচিত্র।
আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের হয়তো সবাই চিনে, তবে তাকে হত্যা করার মতো পরিবেশ বুয়েটে কারা তৈরি করেছে তাদের অনেকে চিনেনা।
মজার কথা হলো, এদের মধ্যে সবাই ছাত্রলীগ না, এদের অনেকে বুয়েটের টিচার নইলে অনলাইনে জনপ্রিয় সেলিব্রেটি।

Engineer's Diary

23 Dec, 14:17


https://youtu.be/caAs-bL4thw?si=kc8UgnsVV1EdnyvX

Engineer's Diary

23 Dec, 09:16


কে এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু? আমি একই গ্রামের হয়ে আল্লাহর কসম করে সাক্ষ্য দিচ্ছি।

আব্দুল হাই কানু, যার পরিচয় দেওয়া হয় একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, আসলে সে ছিলো এলাকার এক ভয়ঙ্কর অপরাধী। পয়সা দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট বানিয়ে মানুষের সহানুভূতি কুড়ালেও তার পুরো জীবনটাই ছিলো সন্ত্রাস ও কুকর্মে ভরা।

তার অপকর্মগুলো ছিল এমন:

১. লুদিয়ারা, কুলিয়ারা, পাতড্ডা, আমজাদের বাজার, সারপটি, বেরলা, হিংগুলা—এই সব এলাকার সন্ত্রাসীদের গডফাদার ছিলো কানু। ফ্যাসিবাদের শাসনামলে এসব এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চুরি, ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসা ছিলো তার প্রধান উপার্জনের উৎস।

২. কোমলমতি শিশুদের কলমের বদলে অস্ত্র তুলে দিতো। কোরআন শপথ করিয়ে তাদের দলে ভিড়িয়ে মাদকের সাথে জড়িত করত।

৩. সেই শিশুদের দিয়ে এলাকার বয়োবৃদ্ধ ও নিরীহ মানুষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাতো। তার এই ভয়ঙ্কর কৌশলে অনেক ছেলেই জীবনের সঠিক পথ হারিয়ে ফেলে।

৪. পাতড্ডা ও আমজাদের বাজার এলাকায় মাদকের ডিলার হিসেবে পরিচিত ছিলো সে। এলাকার শত শত যুবককে মাদকের সাথে জড়িত করেছে এই কানু।

5. জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িছাড়া করেছে। নিরপরাধ মানুষও তার এই অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি।

৬. জামায়াত নেতা মরহুম আব্দুল হালিম মজুমদারকে কুলিয়ারা স্কুলের সামনে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলো।

৭. আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন, রানা এবং সোহাগ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো সে।

৮. পাতড্ডা বাজার থেকে শিবিরের থানা শাখার হুন্ডা এবং আমির হামজার হুন্ডা নিজের গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে তুলে নিয়ে যায়।
৯. নিজের কর্মী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলে তাকে খুন করতে দ্বিধা করতো না।

কানুর অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি আওয়ামী লীগ পরিবার, সাধারণ মানুষ, নারী, বৃদ্ধ কেউই। নিরীহ মানুষকে ভয় দেখানো, চাঁদাবাজি, দখল, এবং সন্ত্রাস ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ।

আজ যারা কানুর জন্য মায়াকান্না করছেন, তাদের জন্য প্রশ্ন:

আপনারা যদি তার অত্যাচারের শিকার হতেন, তাহলে আজ এই মায়াকান্না করতেন না। তার অতীতের সব অপকর্মের ফল সে এখন ভোগ করছে। মুক্তিযোদ্ধার নামের আড়ালে বছরের পর বছর যে সন্ত্রাস কায়েম করেছে, তার মুখোশ খুলে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই চিনুন। মানুষের সাথে আর প্রতারণা নয়!

- শাহরিয়ার হোসেন

Engineer's Diary

23 Dec, 08:48


পিলখানা কমিশনের চিফ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ফজলুর রহমান।
এর মাধ্যমে ভারতের চোখ রাঙানি আরো একবার উপেক্ষা করলো বাংলাদেশ। ফজলুর রহমান বিডিআরের হেড থাকার সময় বিএসএফের ১৬ টারে ফালাইয়া দিছিলেন। (এটা ভারতের বয়ান। বাট প্রচলিত আছে, বিএসএফ সদস্যদের লাশ নিতে তিনটা ট্রাক লেগেছিল)
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত যুদ্ধ একটাই হয়েছে। ২০০১ সালে। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশ ভারতের বড় ধরণের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়।
কথিত আছে, সেই সীমান্ত যুদ্ধের প্রতিশোধ হিসেবেই ভারত আমাদের ৫৮ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করে।
ফজলুর রহমানের জন্য শুভকামনা।
এই কমিশনের জন্য উনার চেয়ে গুড চয়েজ আর কেউ হতে পারতো না।
আজ থেকে ২৩ বছর আগে একটা যুদ্ধে ফজলুর রহমানের বাহিনী ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। আশা করি, ভারতের বিরুদ্ধে এবারের এই তদন্ত যুদ্ধেও উনি শেষপর্যন্ত বাংলাদেশকে জিতিয়ে আনবেন।

- Sadiqur Rahman Khan

Engineer's Diary

22 Dec, 20:48


বুয়েটের পোলাপান,

তোমরা ন্যায়বিচার চাইছো। কিন্তু এইখানে সেই ন্যায়বিচার টা কি?

৫ বছরের কারাদণ্ড? আইন অনুযায়ী এইটাই সর্বোচ্চ সাজা। "পরিকল্পিত" খু*ন নাহলে এক্সিডেন্টে এইটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।যেহেতু পুরো ঘটনাটা যে পরিকল্পিত তা মাসুদের বাপমাও হয়তো দাবি করবে না।
আবার, সর্বোচ্চ শাস্তিই যে হবে, এমনও তো কোনো কথা নাই। দুয়েক বছর বা ছ'মাস দিয়েও ছেড়ে দিতে পারে। তারপরও ধরলাম "সর্বোচ্চ" শাস্তিটাই হয়তো নিয়ে আসবা তোমরা। তো সর্বোচ্চ শাস্তি তো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। এইটা চাচ্ছো তোমরা?
এরপরে মুবিন-শাহনাজের ছেলে এ লেভেল কমপ্লিট করে ইউএস/অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর করে লাক্সারিয়াস লাইফ চালাবে, এইটাই?

সব জায়গায় নিজের ব্যক্তিগত বার্ডেন টেনে ঢুকানো খুব বিশ্রী ব্যাপার। কিন্তু আমি টানতে বাধ্য হইতেছি কারণ এইটা এইখানে রেলিভ্যান্ট।‌
আমার নিজের বাপকে ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই গাড়ি চাপা দিয়ে হ*ত্যা করা হয়।
তো মামলা করতে আমাকে এতো স্ট্রাগল করতে হয় নাই। চুয়াডাঙ্গার তত্কালীন এডিশনাল এসপি বেশ যত্ন সহকারে মামলার ব্যবস্থা করে দেন।

মামলা উকিলের কাছে দেওয়ার পর আমাকে উকিল বুদ্ধি দিলো, "ঐ সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দিয়ে ১০ বছর কোর্টে কোর্টে ঘুরে কিছু ই হবে না। সর্বোচ্চ ২/৩ বছরের জেল হবে। এর চাইতে ৩০২ ধারায় পরিকল্পিত হ*ত্যাকাণ্ডের মামলা দেও। আমি মামলা এমনভাবে সাজিয়ে দেবো, ৩০২ ধারায় নিতে বাধ্য"
কিন্তু আমার নিজের কাছে মনে হয় নাই এইটা পরিকল্পিত হ*ত্যাকাণ্ড। একটাই কারণ, এতো গতিবেগের গাড়ি চলন্ত অবস্থায় একদম কারেক্ট টাইমে কারেক্ট এঙ্গেলে ঘুরিয়ে ঠিক আমার বাবাকে মারার মতো পরিকল্পিতভাবে ঘটানোর মতো প্রিসিশন প্র্যাক্টিকালি বিশ্বাসযোগ্য না।
উকিল চাচ্ছিল, মামলাটা জটিল হোক এবং তার দুয়ারে আমার ঘোরাঘুরিটা বেশি হোক। যাহোক, আমরা মনে করি বিচারের কোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে এইরকম ভ্রান্ত মামলা উপস্থাপন করা আমার মৃত বাবাকে অপমান করার সমতূল্য হবে‌। তাই আমরা ৩০২ ধারায় না গিয়ে সড়ক পরিবহন আইনেই মামলা করি।‌

সে মামলা এখনও চলছে। শুনানির পর শুনানি। আমলী আদালত থেকে সিজেএম কোর্ট। এই আদালত থেকে সেই আদালত।

এইটা আমার ব্যক্তিগত বিষয় হওয়ায় বুয়েট কমিউনিটির কাছ থেকে ও খুব বেশি সাহায্য চাওয়া শোভনীয় হতো না। এরপরও কয়েকজনের কাছ থেকে টুকটাক সাহায্য পেয়েছি। তবে আর বেশি কিছু করতে পারিনি।
টাকা দিয়ে মীমাংসার প্রস্তাবটা অপমান করে প্রত্যাখ্যান করে মামলা চালিয়ে যাচ্ছি - এইটুকুই আরকি।

সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। এই সর্বোচ্চ শাস্তি ভিকটিমের প্রতি একটা তামাশা মাত্র।

ফারদিনের ঘটনা দেখেছি। যদিও ওটা সড়ক দুর্ঘটনা না। কিন্তু উদাহরণটা টানলাম এইজন্য যে, বিচারের দাবিতে ওর পরিবারের সাথে কিছুদিন আমরা বুয়েটের ছাত্ররা সাথে ছিলাম। এরপর তার পরিবার একাই সয়ে যাচ্ছে। আমার মতো বহু পরিবার আছে, যাদের স্বজনদেরকে সড়কে হত্যা করা হয়েছে। এরা ক্ষোভ চেপে বেঁচে আছে।

ধরলাম তোমরা "ন্যায়বিচার" নিশ্চিত করলা। সেই ন্যায়বিচার হলো ৫ বছর কারাদণ্ড । একজন মানুষের জীবনের এইটুকু দাম?
একটা গাড়ি/বাস/ট্রাকের মতো বিশাল ভর আর প্রচন্ড গতির বাহন কত সহজে একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে, সেটা জেনে বুঝেও বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, আনফিট, নষ্ট গাড়ি চালানো - এইটা কি মা*র্ডার না?
মানে ধরো তুমি বিপদজ্জনক ধারালো একটা অস্ত্র হাঁকাইতে হাঁকাইতে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলা। তুমি জানো এইভাবে মানুষের ভিড়ে অস্ত্র ঘুরাইলে খুব সহজেই মানুষ আহত-নিহত হতে পারে। সবকিছু জেনে শুনে এই কাজ করলা। এখন যদি মানুষ মারা যায়, সেটা কি মা*র্ডার না? এইখানে আন-ইন্টেনশনালের কি আছে?
একটা দেড় টনের গাড়ি, ১২০ কিলোমিটার বেগে চালাইলে সেটা ব্রেকফেল করলে আশেপাশের মানুষের কি হতে পারে সেটা চালক জানে না? জেনেশুনে করে না? এইটা আন-ইন্টেনশনাল?

আগে থেকে দীর্ঘ প্ল্যান না করা থাকলে সেটাকে আন-ইন্টেনশনাল বলে চালিয়ে দেওয়া হবে?

এই ক্ষেত্রে কি ৩০২ এর মতো কঠোর কোনো ধারা থাকা উচিত না? এই মা*র্ডারকে "এক্সিডেন্ট" হিশেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে আইনে, যেই আইনের বেসিসে তোমরা "ন্যায়বিচার" চাচ্ছো।

তোমরা যে ন্যায়বিচার চাচ্ছো, সেই ন্যায়বিচার কি যথেষ্ট? তার আগে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করা দরকার। কঠোর শাস্তি দরকার। এই আইন সংশোধনের জন্য কি আওয়াজ তোলা দরকার না?

- প্লাবন শেখ

Engineer's Diary

21 Dec, 21:36


জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস এর নাম তো শুনেছেন।
এই লোক যখন রানীর অনুমতি নিয়ে ডাইরেক্ট বৃটিশ প্রীভি কাউন্সিলের আন্ডারে ইন্ডিয়ার মুসলিমদেরকে শাসন করার জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন বানানো মানে কোডিফাই করার কমিশন অনুমোদন করলো, তার একটা বিখ্যাত উক্তি আছে-
ক্যানোনাইজেশান অফ মুসলিম ল’ নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই উক্তিটা পেয়ে যাবেন, খুব বিখ্যাত উক্তি, সে বলেছিলো- মুসলিমদের আইন খুব বেশী লেনিয়েন্ট আর ফ্লেক্সিবল!
শুধু তাইই না, তার কথা ছিলো মুসলিমদের আইন রক্ত ঝরানো পছন্দ করেনা। এইভাবে অপরাধীদেরকে লঘু শাস্তি দিলে তো দেশে আইন কানুন বলে কিছু থাকবেনা! মানুষ যা ইচ্ছা তা করবে! অপরাধ বেড়ে যাবে!
অথচ তাদের আগে মুসলিমরা ইন্ডিয়াতে সেই তেরশ’ শতাব্দী থেকে পাঁচশো বছর ধরে শাসন করেছে কোনো কোডিফাইড ল’ ছাড়া!
ল’ ছিলো হাইলি পার্সোনালাইজড।
এবং যে কথাটা ইতিহাসে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে- লোকাল ‘আলেমরা, মুফতিরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে – আবারো বলছি ‘বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে’ ফতোয়া খুঁজে খুঁজে মেয়েদের ফেভারে যায় এমন ফতোয়া বের করে আনতেন।
কোডিফাইড ল’ ছিলোনা তাই জেনারেল হেষ্টিংস মুসলিমদেরকে “বর্বর” “অসভ্য” ডেকেছিলো।
অথচ কোডিফিকেশানের মধ্য দিয়ে বৃটিশরাই পৃথিবীর সবচে’ অসভ্য কাজটা করেছে। মুসলিমদের আইনে যে আনপ্রিসিডেন্টেড প্লুরালিজম ছিলো- সেটার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনারা যারা ভাবেন, এখন আমাদের যে ‘মুসলিম পারিবারিক আইন’ আছে- এটা অলঙ্ঘনীয়, এটা চেইঞ্জ করা যাবেনা, তারা একটু সময় নিয়ে ইতিহাস পড়ে দেখবেন প্লীজ।
বৃটীশরা আসার আগে আমাদের এইরকম কোন “মুসলিম পারিবারিক আইন” বলে কোনো আইন ছিলো না।
বৃটীশরা বেঁছে বেঁছে “হেদায়া” আর “ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া/আলমগিরিয়্যাহ” থেকে সিলেক্টভলি নিজের পছন্দ মত নিয়ে নিয়ে মুসলিম পারিবারিক আইন বানিয়েছে।
এই বানানোর কাজ যেসব বৃটিশ আইনজীবিরা করেছে তখন, তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে Neil Benjamin Edmonstone Baillie। তার লেখা বইয়ের শুরুতেই স্পষ্ট লেখা আছে বৃটিশরা কীভাবে শুধু হেদায়া আর ফতোয়া আলমগিরিয়া থেকে বেঁছে বেঁছে মুসলিম পারিবারিক আইন বানিয়েছে!
মজার কথা হচ্ছে বৃটিশরা এই কাজ করার পরে তাদের থেকে ধার নিয়েছে ডাচ্‌, ফ্রান্স এইরকম আরো যত কলোনাইজাররা আছে যারা মুসলিম দেশগুলো দখল করে রেখেছিলো।
মূলতঃ আপনারা মুসলিম দেশে দেশে যে পারিবারিক আইন দেখেন, এগুলো সব কলোনাইজারদের বানানো। তারা সিলেক্টিভলি বেঁছে বেঁছে যা যা তাদের পছন্দ হয়েছে, মনমত হয়েছে, এবং অভিয়াসলি সবচে’ কনজারভেটিভ আর সবচে’ এক্সট্রীম মতটা দিয়ে বানিয়েছে।
এজন্যেই তিউনিসিয়াতে আলেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করেই মুসলিম পারিবারিক আইন চেইঞ্জ করা সম্ভব হয়েছে।
কারণ বৃটিশরা মুসলিম স্কলারশিপের সমুদ্র থেকে এক ফোঁটা পানি নিয়ে আইন বানিয়েছিলো। বাকী পুরা সমুদ্রের মত জ্ঞান বাইরেই পড়ে আছে। জাস্ট আপনাকে সেখানে খুঁজে দেখতে হবে।
অথচ এই আইন নিয়ে কথা বললে আপনারা যেভাবে আঁতকে উঠেন, তাই দেখে আমি উল্টা আঁতকে উঠি।
মানুষের অজ্ঞতারও তো একটা সীমা থাকা উচিত!
আপনারা তো সেই অজ্ঞতার কারণে বৃটিশদের বানানো আইনকে আনটাচেবল্‌ বানিয়ে দিচ্ছেন!
আমি এখন বুঝতে পারছি পোষ্ট-কলোনিয়াল কলোনাইজেশান কাকে বলে। অজ্ঞতার কারণে গোলামী করতে থাকা গোলামদের গোলামীকে বলে।

- Farjana Mahbuba

Engineer's Diary

21 Dec, 21:30


নাগরিক কমিটিকে রাজনৈতিক দল হইতে হইলে সংঘাতের মাঝে দিয়েই আগাইতে হবে। বিএনপি যদি ফিল্ড লেভেলে মিনিমাম বিরোধীতাও না করে... প্রতিরোধ না করে...এইটা দিনের শেষে আরেকটা গণজাগরণ মঞ্চ হইয়া থাকবে।
বিএনপি'র প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিকল্প হইতে পারবে না। আমি বলতেছি না এর মানে বিএনপিকে আরো বেশি মারধর করলে নাগরিক কমিটি আরো দ্রুত লীগের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে...কিন্ত আসলে সেটাই সত্য।
বিএনপি'র সাথে নাগরিক কমিটির বরিশালে যেটা ঘটছে...যদি সেখানে লীগের লোকজন থেকেও থাকে...সেইটা নাগরিক কমিটির জন্য ভালো হইছে।
_____
আমার ধারণা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাওয়া হবে। তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নাগরিক কমিটির খুব সম্ভবত টার্গেট থাকবে শিবিরের সাথে সমন্বয় এর মাধ্যমে ক্যাম্পাস গুলোর ছাত্র সংসদ গুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। এরপর টার্গেট থাকবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া।।স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সারা দেশে প্রার্থী দিতে পারলে নাগরিক কমিটির মোটামুটি একটা সাংগঠনিক কাঠামো দাঁড়িয়ে যাবে।
কিন্ত সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার/উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে খেলতে গেলে এরা জাতীয় নির্বাচনের সময় চোখ বন্ধ করে বিএনপি/আওয়ামী লীগের দিকে পল্টি খাবে।
নাগরিক কমিটির থাকবে না।
_____
আমার মতো অনেক বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসীই চান নাগরিক কমিটির মতো দলগুলো আওয়ামী লীগের জায়গা দখল করুক। শক্ত অবস্থান নিক।
রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে ( বর্তমানের মতো থাকলে) বিএনপি একটু মন খারাপ করে হলেও পরের টার্মে প্রধান বিরোধী দলের রোলে রাজনীতি মেনে নিবে।
_______
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে...নাগরিক কমিটি তাদের রাজনীতিটা ডিফাইন করতে পারে নাই। তাদের কর্মসূচি সাজাইতে পারে নাই ( কর্মসূচি মানে মিছিল-মিটিং না)।
একথা সত্য তারা তরুণ প্রজন্মের মাঝে একটা ফলোয়িং সৃষ্টি করতে পারছে। সোস্যাল।মিডিয়াতে তাদের ভালো দখল আছে।
কিন্ত ৭২ পরবর্তী তরুণদের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল জাসদ কিন্ত হারিয়ে গেছে।
এনিওয়ে....আমার হিসাব বলে নাগরিক কমিটি ভুল রাস্তায় হাটছে। একজন বিএনপি সিমপ্যাথাইজার এর কাছ থেকে এধরণের অবজার্ভেশন উনারা সিরিয়াসলি নিবেন না জানি...
কিন্ত জাস্ট রেকর্ড কিপিং এর জন্য রেখে গেলাম।
_____
রাজনীতির অন্দর মহল না...সদর দরজায় যারা ঘোরা-ফেরা করেন তারাও জানেন...যে একটা ১/১১ কায়েমের চেষ্টা সব সময় ছিল। এখন ও আছে।
আর সরকারের মধ্যে যে অংশটা এতোদিন ১-১১ কায়েমের স্বপ্ন দেখেছেন...এখনো নানান কায়দায় দেখছেন...আশা করি নাগরিক কমিটি তাদের খপ্লড়ে পরেন নাই...বা পরলেও বের হয়ে আসবেন।
১/১১ এর সময়ের কিংস পার্টি গুলোর কারো রাজনীতিই শেষ পর্যন্ত টিকে নাই। আসলেই রাজনৈতিক ভিশন থাকলে এই ১/১১ এর বাটপার গুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি।
____
তাইলে কি করা উচিত?
রাজনৈতিক দল হইতে গেলে নাগরিক কমিটির উচিত রাজনীতি করা। তারা নামে-বেনামে সভা-সেমিনার করছে, দুই-চারটা মিছিল সমাবেশ করছে...অনলাইনে বিএনপিকে মেরে লাল করে দেবার চেষ্টা করছে...কিন্ত রাজনীতি করছে না।
নাগরিক কমিটি এখন যেটা করছে সেটা এক্টিভিজমের এডভান্স ধাপ। রাজনীতি কোন ভাবেই না।
সবার আগে তাদের নিজেদের রাজনীতিটা ফিক্স করতে হবে। কর্মসূচিটা ডিফাইন করতে হবে।
____
যদি নাগরিক কমিটি শেষ পর্যন্ত ফেইল মারে...আমার চেয়ে বেশি হতাশ খুব সম্ভবত খুব কম মানুষই হবে।
যদিও পার্সোনালি আমি উনাদের খুব একটা ভালো পাই না।
স্টিল...ফ্যাসিস্টের চেয়ে সবই ভালো।
#ইতিহাস_ঘটছে

_ M Hassan

Engineer's Diary

09 Dec, 14:58


ভারতে যাইয়াও আওয়ামীলীগের ৪ নেতা ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে।
এটাই প্রথম না।
৭১এর মুক্তিযুদ্ধে আমাদের আওয়ামীলীগের জাতীয় নেতারাও কোলকাতায় আরেক যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন। মাঠ যুদ্ধ না, খাট যুদ্ধ।
১৯৭১ এ কোলকাতার বিখ্যাত সোনাগাছীতে ভারতের পুলিশ রেইড দিলো। লুঙ্গি পরা অবস্থায় আমাদের জাতীয় চার নেতার এক নেতা পতিতা পল্লী থেকে গ্রেফতার হলো।
কোলকাতার পুলিশ জিহ্বায় কামড় দিয়ে বললো,আপনারা এখানে আসবেন কেন স্যার? আগে বললে তো আপনার ফ্ল্যাটেই পাঠানো যাইতো।
১৯৭১ থেকে এখন ২০২৪।
আবারও আওয়ামীলীগ আশ্রয় নিয়েছে ভারতে।
আবারও চারজন ধরা পড়েছে।
মুজিব সেনাদের এই জিনিসটা খুব ভালো।
সেই আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত, এরা যেখানেই যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মুজিবের আদর্শ সেখানেই প্রচার করতেই থাকে। করতেই থাকে।
গ্রেফতার হয়, মার খায়, জেলে যায়, পালায়। বাট আওয়ামী ধর্মের প্রধান এবাদত, ধর্ষণাব্রত পালনে তাদের কোন ক্লান্তি নাই। ছিলোও না কখনও।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম।।


- Sadiqur Rahman Khan

Join @engineersdiaryfamily

Engineer's Diary

07 Dec, 14:59


বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত গাইলে রয়েলটি ফি দিতে হবে এমন দাবী উঠলো পশ্চিমবঙ্গে।

#চালাইদেন

Engineer's Diary

06 Dec, 19:22


ভারতের চিকেন নেকের পাশে বিশ্বের সর্বাধুনিক ড্রোন বায়েরাক্তার TB2 মোতায়েন করছে বাংলাদেশ
সোর্স : G TV

Engineer's Diary

06 Dec, 18:11


সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভোগীদের মধ্যে কারা ভুয়া, সে তালিকা করা হচ্ছে। ভাতা হিসেবে তারা যে টাকা পেয়েছেন, সেই অর্থ ফেরত নেয়া হবে।

Engineer's Diary

05 Dec, 03:33


এখন পর্যন্ত আমার কাছে সব থেকে ব্যর্থ মনে হয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়াকে। ইউনূস কোটায় অধিভুক্ত এই উপদেষ্টার অধীনে তেমন কোন পরিবর্তন আমার চোখে পড়ে নাই।

দেশের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্থ ও বিশৃঙ্খল এই সেক্টরে উনার কোন পদক্ষেপ আপনাদের জানা থাকলে আমাকেও জানানোর অনুরোধ রইল।

Engineer's Diary

04 Dec, 18:15


চাকরির পরীক্ষার ফি কমানোর মাধ্যমে বেকারদের নিয়ে অশ্লীল ব্যবসাটা বন্ধ হলো।

সরকারকে ধন্যবাদ।

এবার দয়া করে সকল ইউনিভার্সিটির সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ২০০ নির্ধারণ করে দেন।

শুধু বেকাররা না, ইন্টারের বাচ্চা পোলাপাইনদের নিয়েও এডমিশনের সিজনে রমরমা ব্যবসা চলে। একেকটা ইউনিভার্সিটি এক ঘন্টার একটা পরীক্ষার জন্য ৮০০-১২০০ করে চার্জ করে।

এই অশ্লীল ব্যবসাও বন্ধ হওয়া দরকার।


- সাদিকুর রহমান খান

Engineer's Diary

04 Dec, 12:04


বিসিএসসহ সব সরকারি চাকরির আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা

Engineer's Diary

04 Dec, 12:04


কমিটি অর্থনীতির শ্বেতপত্র দিয়েছে। আমি বলেছি, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল। আমি মনে করি এটা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো উচিত।

- প্রধান উপদেষ্টা, যমুনায় শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়ের সময়

Engineer's Diary

04 Dec, 12:04


ডলারের বিপরীতে আজ ভারতীয় রুপির দাম ইতিহাসের সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমেছে আজ। এই বিপর্যয় থেকে ভারতের জনতার মনযোগ সরাতে আগামী কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশ নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখাবে গেরুয়া বাহিনী।

কোনোভাবেই সে উত্তেজনার ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।

Engineer's Diary

03 Dec, 19:14


প্রথম দফা মারার পর আমাকে দীর্ঘ সময় ঝুলিয়ে রাখা হয়। স্বাভাবিকভাবে ঝোলানো অবস্থা থেকে বসালে ব্যথা আরও বেড়ে যায়, ঝোলানো থেকে হাত খোলার পর হাঁটতে তাই খুব কষ্ট হচ্ছিল, হাঁটতে গিয়ে দেখি পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে দুজনের কাঁধে দুই হাতের ভর দিয়ে অনেক কষ্টে রুমে গেলাম। ওখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের একজন বললেন, ‘সুস্থ একটা মানুষকে নিয়ে দেখো কী করে দিছে, এদের আল্লাহ মাফ করবে না!’

আবু বাকের মজুমদার: সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

©প্রথম আলো

Engineer's Diary

03 Dec, 19:14


ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বড় হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে রাজনৈতিক পরিসরে নাহিদ ইসলাম, মাহফুজ আলমসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে। এরপর গুরুবার আড্ডায় রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, ইতিহাস—এসব নিয়ে যাত্রা শুরু হয়, লক্ষ্য ছিল নতুন রাজনীতি নির্মাণে রাজনৈতিক বোঝাপড়া তৈরি করা। একপর্যায়ে গুরুবার থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। পরে চলতে চলতে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের সাক্ষী হওয়া—বলা যায় একদম সামনে থেকে।

‘আর্ট অব মুভমেন্ট’

৫ জুন যখন কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় আসে, সেদিনই সন্ধ্যায় শুরু হয় আন্দোলন। ৫, ৬ ও ৯ জুন আমরা আন্দোলনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত করি; ৯ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে পরিপত্র বহালের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। পুরো আন্দোলনের নেপথ্যে আলটিমেটামের এই ২১ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত এই সময়ের ঈদের ছুটিতে দেশব্যাপী আন্দোলন সংগঠিত করা হয়।

৯ জুন রাতেই রিফাত রশীদ ও হাসিবুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বিস্তর পরিকল্পনা করি। সে রাতে আমরা যেসব পয়েন্ট মাথায় নিয়ে আমাদের ‘আর্ট অব মুভমেন্ট’ সাজিয়েছিলাম, সেই পয়েন্টেই পরে আন্দোলন জোরদার হয়। এ সময় ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে থাকি। ঢাকার বাইরে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে পাঁচ–সাতজনের একটা দল গঠন করা হয়েছিল। এর নেতৃত্ব ছিল আমার ওপরে। ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেশের যতগুলো স্থানে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তার প্রায় প্রতিটিতেই যুক্ত ছিলাম। ওই সময়ই—১৩ জুন আবু সাঈদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।

মূলত মাঠের রাজনীতিতে মানুষকে সংগঠিত করা এবং এর কৌশলের জায়গায় বেশি কাজ করতে হয়েছে আমাকে। এ ক্ষেত্রে সান জুর বই দ্য আর্ট অব ওয়ার মাঠের রাজনীতিতে কৌশল সাজাতে বেশ সাহায্য করেছে। আমি ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় বাংলাদেশের ভূগোল নিয়ে বোঝাপড়া, পাশাপাশি সান জুর কিছু ধারণা–কৌশল এবং মাঠের বাস্তবতা—সব একসঙ্গে করে সিদ্ধান্ত নিতে হতো। বাংলা ব্লকেডের সময় কোন কোন স্থানে ব্লকেড হবে, ঠিক করতাম। পয়েন্টগুলো এমনভাবে নির্বাচন করা হতো, যেন সর্বোচ্চ ফলাফল আসে। আন্দোলনের পয়েন্টগুলো আগে থেকেই ফেসবুক ও গণমাধ্যমে জানিয়ে দিতাম।

‘হাসিনাকে ফেলে দেব’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম গুলি চলে ১১ জুলাই—কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রাত ১১টা অবধি অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দুই পাশ মিলিয়ে প্রায় ২০০ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয় সেদিন। ঘটনার আগের দিন আমার সঙ্গে অনলাইনে তাঁদের একটা মিটিং হয়, পরদিন হামলা হতে পারে—তাঁরা এমন আশঙ্কা করছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু কৌশল ঠিক করি।

১৩ জুলাই সন্ধ্যায় আমার ভাতিজা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রাতে জানাজার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা রওনা হই। ১৪ জুলাই সকালে জানাজা শেষে ফ্রিজিং ভ্যানেই ঢাকায় ফিরি। সেদিন ‘মার্চ টু বঙ্গভবন’ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা। ঢাকায় পৌঁছে দেখি, মিছিল গুলিস্তান জিপিওর কাছে। স্টেডিয়াম মোড়ে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ; জিপিও ও পুলিশি ব্যারিকেডের মাঝখানে কিছু গাড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছে, যাতে মিছিল সামনে আসতে বাধা পায়। কিন্তু পুলিশ চাইলেই গাড়িগুলো সেদিন ছেড়ে দিতে পারত, তা না করে তারা বরং শান্তিপূর্ণ মিছিলটি বাধাগ্রস্ত করে।

আমার মনে হয়েছিল, পুলিশ চাইছিল উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা যেন বাস-গাড়িতে আঘাত করে তাদের ফাঁদে পা দেন। কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি, যাঁরা যাঁরা মাইকের দায়িত্বে ছিলেন, দৌড়ে গিয়ে সবাইকে সতর্ক করি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।

কিন্তু না, সেদিন তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে সম্বোধন করেন। কথাটি আমাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত করে।

তখন আমি ছিলাম চানখাঁরপুলের একটি বাসায়। লুৎফর রহমান নামের এক বড় ভাইকে সেদিন বলেছিলাম, ‘ভাই, আমার কাছে মাত্র ১০ টাকা আছে। ৫০০ টাকা দেন, ফেস্টুন বানাতে হবে।’ তিনি বলেন, তাঁর কাছে খুব বেশি টাকা নেই। তখন বললাম, ‘আপনি ৫০০ টাকা দিলে হাসিনাকে ফেলে দেব। আর না দিলে পড়বে না।’ তিনি ১০০০ টাকা বের করে দিলেন। এ সময় সামনে নাহিদ ভাইও ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার কাছে মাত্র ৫০–৬০ টাকা আছে। আমাকে ৫০০ দাও, তুমি ৫০০ নাও।’

লুৎফর ভাই ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত। ওই দিন যেহেতু হাসিনার বক্তব্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামার অবস্থা তৈরি হয়েছিল, এটা আমাদের আশা জুগিয়েছিল, তাই লুৎফর ভাইকে অমন করে বলেছিলাম। ভেবেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে দেন, তাহলে তাঁর আর বেশি সময় নেই।

Engineer's Diary

03 Dec, 19:14


১৪ জুলাই রাতে নাহিদ, আসিফ ভাইসহ আমরা কয়েকজন চানখাঁরপুলের বাসা থেকে একটা হ্যান্ডমাইক নিয়ে হলপাড়ায় যাই। সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে স্লোগান ধরি। একপর্যায়ে বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগ বাধা দিলে আমি আর আসিফ ভাই সামনে দাঁড়িয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু আমার আর আসিফ ভাইয়ের ওপর আক্রমণ চালায় ছাত্রলীগ। পরে হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে সূর্য সেন, মুহসীন, এফ রহমান, জহুরুল হক ও রোকেয়া হল হয়ে টিএসসিতে আসি।

আক্রমণের মুখে

১৫ জুলাই দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছিল বিক্ষোভ সমাবেশ। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। আনুমানিক বেলা একটার দিকে খবর আসে, হলপাড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিই, হলপাড়ায় যথারীতি আগের মতো যেতে হবে, নিয়ে আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। নাহিদ ও আসিফ ভাই আমাকে দায়িত্ব দিয়ে টিএসসিতে থাকলেন।

আনুমানিক দুই থেকে আড়াই শ শিক্ষার্থী নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে হলপাড়ায় যাই আমরা। মূল স্লোগান ছিল, ‘বাধা দিলে বাধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে।’ ছাত্রছাত্রীরা এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল হয়ে আমরা যখন বিজয় একাত্তর হলে, তখন ছাত্রলীগের বাধার মুখোমুখি হলাম।

আগের রাতেও এ হলের শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই রাতে আমি আর আসিফ ভাই ছাত্রলীগের বাধা পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের হলের ভেতর থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তারা আমাদের আক্রমণ করে, হ্যান্ডমাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যে ছেলেটা হ্যান্ডমাইক টান দেয়, তাকে আমি পাল্টা টানে পেছনে নিয়ে আসি। আমাদের সহযাত্রী শিক্ষার্থীরা তাকে জসীমউদ্​দীন হলের মাঠে নিয়ে যান। অন্যদিকে আসিফ ভাই হল গেটে একা হয়ে পড়লে আক্রমণ চলে তাঁর ওপর। তিনি মাটিতে পড়ে যান।

‘জনগণ, নেমে আসুন’

১৬ জুলাই শহীদ মিনারে বিক্ষাভ ও ১৭ তারিখে গায়েবানা জানাজার আগে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে সবার প্রতি আহ্বান রাখি, ‘বাংলাদেশের জনগণ, নেমে আসুন, নেমে পড়ুন।’ ভিসি চত্বরে তখন আমি টানা দেড় ঘণ্টা স্লোগান দিই।

১৯ জুলাই ধানমন্ডি থেকে তুলে নেওয়া হয় আমাকে। সেবার আমাকে তেমন কিছু করেনি। জিজ্ঞাসা করেছে, কীভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছি, জানতে চেয়েছে টাকার উৎস। তাদের বলেছি, মাইক ও রিকশাভাড়া, ব্যানার প্রিন্ট করা আর অল্প কিছু পানি ছাড়া আমাদের কোনো খরচ নেই। চাইলে মাইকের দোকানে খবর নিতে পারেন, এখনো টাকা বাকি আছে। মূলত আমাদের টাকার উৎস ছিল গণচাঁদা।

২৪ জুলাই আমাকে ছেড়ে দেয়। এরপর ২৬ জুলাই গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে নাহিদ, আসিফ ভাইসহ আবার আমাদের তুলে নেওয়া হয়, ডিবি অফিসে।

‘হারুনের ভাতের হোটেলে’

ডিবি অফিস মানেই ছিল ‘হারুনের ভাতের হোটেল’। ডিবি হেফাজতের দ্বিতীয় দিন নাহিদ, আসিফ ভাই ও আমার সঙ্গে হারুনের দেখা হলো, তখন তিনি খাচ্ছিলেন, আমাদের বললেন, ‘আমি নেতা ছোট করি, নেতা বানাই না! দেখোস নাই, নুরুরে কী করে ছেড়ে দিছি! নুরু এখন রিমান্ডে কান্নাকাটি করে।’ হারুনের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত বাজে।

আমরা দৃঢ়ভাবে কথা বলছিলাম তাঁর সঙ্গে। একপর্যায়ে আমাকে বললেন, ‘তুই শিবির’! আমি বললাম, ‘না, আমি শিবির না।’ তখন একটু উচ্চ স্বরে বললেন, ‘না, তুই শিবির।’ এ সময় আমি তাঁর চেয়ে আরও একটু গলা চড়িয়ে বললাম, ‘না…।’ তখন তিনি আমাকে দেখিয়ে নাহিদ–আসিফ ভাইকে বললেন, ‘দেখ, সে কীভাবে কথা বলে!’

হারুনের কথার মাঝখানে গলা আরেকটু উঁচিয়ে বলতে থাকি, ‘আমার পুরো বাড়ির মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প করেছিলেন। আমি সেই বৃহত্তর পরিবারের সন্তান।’

ডিবি হারুনের সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলব—এটা তিনি মানতে পারেননি। খাবার থালাটি ছুড়ে ফেলে এক অফিসারকে ইশারায় বললেন আমাদের নিয়ে যেতে। তিনজনকে তিনটি আলাদা রুমে নেওয়া হলো।

রুমে যাওয়ার তিন–চার মিনিট পর দুজন লোক এসে দরজায় আসতে বলল আমাকে। তাদের হাতে ছিল জমটুপি ও হাতকড়া। বুঝে গেলাম, হারুনের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার ফল খারাপ হতে যাচ্ছে।

খারাপ হয়েছিলও। আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো অন্য এক রুমে। ওদের কথায় বুঝতে পারছিলাম, ওরা মোটামুটি আমাদের সবই জানে। শুরুতেই আমাকে বলল, ‘তুই তো জুনের ৯ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সারা দেশকে সংগঠিত করতে লিড দিছস, তোর তো আন্দোলন বড় করার অনেক খায়েশ! তোরে এগুলো কে শিখাইছে?’ কথাবার্তার একপর্যায়ে আমার হাত ওপরে ঝুলিয়ে বাঁধা হয়। আমি বলি, পিঠে মারলে মরে যাব, বাঁ পায়ে একটু সমস্যা আছে, বাঁ পা–টা ভেঙে যাবে। ওরা কিছু বলে না। নিতম্বে মোটা শক্ত লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে, করতেই থাকে। চিৎকার করে উঠি। ওরা বলে, ‘প্রাইম মিনিস্টারকে ধন্যবাদ দিয়ে বিবৃতি দিবি?’ বলি, ‘না।’ চলতে থাকে এভাবেই। বেধড়ক মার। হাত ওপরে ঝোলানো হলেও পায়ের আঙুল মেঝেয় লাগিয়ে একটুখানি ভর দেওয়া যাচ্ছিল।

Engineer's Diary

03 Dec, 16:19


মুরুব্বীরা ঠিকই বলতো। সুন্দর জামা কাপড়, বেলায় বেলায় ভালো খাওয়া দাওয়া, চাকর বাকর, দামি গাড়ি আর আলিশান বাড়ি থাকলেই জীবনে সুখে থাকা যায় না।

এর সবচাইতে বড় উদাহরণ শাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

Engineer's Diary

03 Dec, 16:19


ভারতের পেটের ভেতর স্বাধীন-সার্বভৌম এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ সবসময়ই অখন্ড ভারতের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রজেক্টটি যদি আসলেই সফল হয়ে যায় তাহলে নাগা ল্যান্ড থেকে কাস্মীর...সিকিম থেকে হায়দ্রাবাদ এমনকি গোটা দক্ষিণ ভারতেও মানুষ স্বপ্ন দেখা শুরু করবে।

স্বাধীনতার স্বপ্ন।

____

আপনি যদি ইতিহাস দেখেন...ইন্ডিয়া নামের রাষ্ট্রটা বৃটিশদের তৈরি। বৃটিশদের আগে ভারত নামে আলাদা কোন দেশ ছিলো না। ব্রিটিশরা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলো দখল করে বানাইছে একটা কৃত্রিম রাষ্ট্র: ভারত।

যে ভারতের এক প্রদেশের সাথে আরবক প্রদেশের সংস্কৃতির কোন মিল নাই, আচার-আচরণে কোন মিল নাই। ইভেন হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের মাঝেও কৃষ্টি আলাদা।

দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গাতেই রাবণকে সম্মানের চোখে দেখা হয় বলে কোথাও পড়েছিলাম। যেটা আবার উত্তর ভারতে পুরো উলটা।

পুরো ভারতকে এক সুতায় বেঁধে রেখেছে এক্টাই জিনিস- সেটা হচ্ছে ক্রিকেট। এর বাইরে ভারতের কোন ইউনিফাইং ফ্যাক্টর নাই।

___

তো ভারত নামক প্রজেক্টটার ভবিষ্যত কি?

আসেন...আমরা কল্পনার জগতে চলা যাই। এই উপমহাদেশে বৃটিশদের আগমন ঘটে নাই।

তিনটা না...অসংখ্য জাতি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয়েছে এই অঞ্চল। স্বাধীন আসাম।এবং ত্রিপুরার সাতগে আমাদের ব্যবসা চলে। মুসলিম অধ্যুষিত স্বাধীন কাস্মীরে ব্যবসা জমজমাট। শিক্ষা-বিজ্ঞানে এবং চলচিত্রে সবচেয়ে জম জমাট দক্ষিণ ভারতের তিন স্বাধীন রাষ্ট্র তামিল ল্যান্ড, তেলেগু ল্যান্ড, ল্যান্ড অফ মালায়লাম।

হ্যা। ভারতের ভবিষ্যত ও এটা।

আজ হোক...আর কাল হোক...ভারত ভাংবেই। ভারত ভেংগে জন্ম নিবে অসংখ্য জাতি রাষ্ট্র। সেই ভাংগনের যন্ত্রনা হবে প্রসব বেদনার মতোই ভয়ংকর।

___

স্বাধীন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ তাই ভারতের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আবার নানা কারণে দিল্লী এটাকে দখল করার ঝামেলাতেও যাবে না। দিল্লী চাবে এই বাংলাদেশকে দুর্বল করে রাখতে। নির্ভরশীল রাখতে। যাতে তার অধিকৃত পাঞ্জাব-কাস্মীর- নাগা ল্যান্ড সহ অন্যদের দেখাতে পারে...দেখো...স্বাধীনতার পরিণতি কি হয়।

হ্যা...দিল্লীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে সে চেষ্টা করবে রংপুর-চট্টগ্রামের দিকে গেঞ্জাম তৈরি করতে। কিন্ত বাংলাদেশের সংকট পাহাড়েও না। রংপুরেও না।।এমন এক জায়গায় যেটা আমরা অনেকেই ভাবছি না। সে অন্য আলাপ।

যাই হোক।

আবারো অনুরোধ- সচেতন ভাবে আগ্রাসী শক্তিকে বুঝাতে ভারতের জায়গায় দিল্লী ব্যবহার করুন।

___

সেদিন আরে বেশি দূরে নয়...অসংখ্য স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রকে নিয়ে আমরা " লীগ অফ সাইথ এশিয়ান/ ইন্ডিয়ান নেশনস" গঠন করবো।

হয়তো আমাদের জীবদ্দশাতেই আমরা এটা দেখে যেতে পারবো।

আজাদির বেহেশতি সুবাস ছড়িয়ে যাবে সব জায়গায়।

সেই আজাদী হবে হিন্দু-মুসলিম-খৃষ্টান-বৌদ্ধ - শিখ-আদিবাসী সবার।

স্বাধীন এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশই পথ দেখাবে।

তাই স্লোগান হোক...

দিল্লী না নাগা...নাগা...নাগা...

দিল্লী না কাস্মীর...কাস্মীর..কাস্মীর...

দিল্লী না পাঞ্জাব...পাঞ্জাব...পাঞ্জাব.....

দিল্লী না মনিপুর...মনিপুর...মনিপুর

দিল্লী না ঢাকা...ঢাকা...ঢাকা....

দিল্লী না আজাদী?

আজাদী...আজাদী....

#স্বাধীনতা_স্বাধিকার_সার্বভৌমত্ব

#ইতিহাস_ঘটছে

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

Engineer's Diary

03 Dec, 16:19


বাস্তব অর্থে সমগ্র ভারতই দিল্লীর উপনিবেশ।
দক্ষিণ ভারত থেকে শুরু করে নাগা ল্যান্ড,কাস্মীর থেকে শুরু করে পাঞ্জাব...পুরো ভারতকে শাসন করছে দিল্লী। সেভেন সিস্টার্সে রক্ত ঝড়াচ্ছে..সিকিম-হায়দ্রাবাদ দখল করছে।
আমাদের সংগ্রাম তাই ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে না। দিল্লীর বিরুদ্ধে।
একবাট টিএসসি তে স্লোগান তুলে দেখেন:
দিল্লী না আসাম...আসাম...আসাম...
দিল্লী না নাগা...নাগা...নাগা...
দিল্লী না কাস্মীর...কাস্মীর..কাস্মীর...
দিল্লী না পাঞ্জাব...পাঞ্জাব...পাঞ্জাব.....
দিল্লী না ঢাকা...ঢাকা...ঢাকা....
দেখবেন দিল্লীদাসী দের হালুয়া টাইট হয়ে গেছে।
আর নাগা থেকে ঢাকা পর্যন্ত জনতার ঐক্য তৈরি হবে।
আমি আগ্রাসী অর্থে তাই ভারতের বদলে দিল্লী ব্যবহারের পক্ষপাতী।

- M Hassan

Join @camCampus Connect 3.0

Engineer's Diary

03 Dec, 13:15


ভারত দুঃখ প্রকাশ করার পরেও ভারতীয় হাইকমিশনকে তলব করা সরকারের একটা বোল্ড মুভ।

এইটা এড়ানোর জন্য ভারত তড়িঘড়ি করে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৩ জন পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করেছে।

বাট আজকেও উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বেশ হুমকির সুরেই কথা বলেছেন। বলেছেন, আমাদের অন্য ছোট দেশের মতো মনে করলে ভুল করবেন।

আসিফ মাহমুদ কালকেই ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, যদি নিজের দেশে কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা দিতে পা পারেন, তাহলে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষী বাহিনীর সহায়তা নিতে পারেন।

এইটা ছিলো সবার সামনে ভারতকে রীতিমত অপমান করা।

আর আজকে তো হাই কমিশনারকেই তলব করা হলো।

ওদিকে ভারতের কংগ্রেসের কিছু নেতাদের অবস্থান মেইবি পাল্টাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের এতো কথা বলা উচিত না। মমতাকে খোঁচা মেরে বলেছেন, মমতা মেইবি জানেই না, শান্তি রক্ষী বাহিনী কী কাজে ব্যবহার করা হয়।

ভারতের দিক থেকে সাময়িক পিছু হটার লক্ষণ স্পষ্ট হচ্ছে।

বাট বাংলাদেশ সরকার আরো একটা বোল্ড মুভ নিতে যাইতেসে।

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিবেন। এই জাতীয় ঐক্য হবে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য।

ছাত্রনেতা, সকল রাজনৈতিক দল সাথে সকল ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করে সবার সহযোগিতা চাওয়া হবে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ভারতের বিরুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো জাতীয় ঐক্য হতে যাচ্ছে। মহান আল্লাহ তাআলা এই ঐক্যকে সুদৃঢ় করুন।

ভারত আমাদের উপর চড়াও হয়েছিলো আমাদের দুর্বল করার জন্য।

অথচ এই মুহূর্তে গোটা বাংলাদেশ আবারও ভারতের বিরুদ্ধে এক হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ কাবজাব আবারও নাই হয়ে গেছে।

এই যে ভালো সময়ে একে অন্যের সাথে কাবজাব করা আর কোন বিপদ আসলে সবাই লাঠি হাতে শত্রুকে মারার জন্য তৈরি হয়ে যাওয়া, এইটুকু যতদিন আমরা করতে পারবো, ততদিন আমাদের দেশের গায়ে কেউ একটা টোকাও দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

- সাদিকুর রহমান খান

Engineer's Diary

03 Dec, 13:15


The Foreign Ministry of Bangladesh has summoned Indian High Commissioner Pranay Verma to protest against the recent attack on its consulate in Agartala. Bangladesh has also halted consular services in that region. Indian High Commissioner apologized for such a horrendous attack.

@Chief Adviser GOB

Engineer's Diary

03 Dec, 10:00


India acting like the ex who had you in an abusive relationship, but after you managed to get out of it somehow, it goes all Harpic Majumder.আমি

Engineer's Diary

03 Dec, 04:03


ভারত প্রশ্নে ব্রেকিং ভিউজ

ভারতের উদ্দেশ্য মোটেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো নয়। যদি হতো তাহলে তারা দলটিকে বাংলাদেশের জনগণের সামনে দালাল প্রমাণ করতো না। আমি সব সময় দাবি করে আসছি হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে জিম্মি হয়ে গেছে, ভারত তাকে আটকে রেখেছে এবং তাকে ব্যবহার করে ভারত বাংলাদেশে গত ১৬ বছর তৈরি করা স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে।।এ চেষ্টা হাসিনার ফেরার থ্রেট দিয়ে সফল হচ্ছে না বলেই ভারত সংখ্যালঘু কার্ড খেলছে। বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা করে হেডম দেখাতে চাচ্ছে৷

কিন্তু ভারত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়। তাদের কোনো ভেটো পাওয়ার নাই। তাদের মু্দ্রা রুপিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা নয়। ফলে বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে ঘায়েল করার কোনো ক্ষমতাই ভারতের নাই। আর নিরাপত্তা প্রশ্নে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের চ্যালেঞ্জই বেশি।

এ অবস্থায় আমরা সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জনগণকে বলব তীব্র ভারত বিরোধী দৃঢ়তা প্রদর্শন করুন, কোথাও আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

দ্বিতীয়ত সরকারকে বলব ভারতের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদসহ সকল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিযোগ তুলুন। ভারত বিএনপি জামায়াত নেতাদের ফাঁসি, গুমখুন অপহরণ, জঙ্গীবাদ ও অর্থ পাচারে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল, পিলখানায় তারাই জড়িত ছিল- এসব সরকারি ভাবে বলুন। ভারত থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করুন। ভারতীয় নাগরিকদের ওপর ভিসা রেস্ট্রিকশন দিন।

তৃতীয়তঃ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলব, পাগলামি বাদ দিয়ে ফ্যাসিবাদ কবর দিয়ে ভারতের দালালি ছেড়ে ভালো হয়ে যান
- খোমেনি এহসান

Engineer's Diary

03 Dec, 04:03


একটা স্টাডিতে দাবি করা হয়েছিল ব্রিটেন গোটা ভারতবর্ষ থেকে ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার চুরি করেছে।
যদি এই হিসাব সত্যি ধরে নেই, তাহলে মোট ২০০ বছরে ব্রিটেন ভারত থেকে প্রতি বছর সরিয়েছে ২২৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের আয়তন গোটা ভারতবর্ষের ২২ ভাগের ১ ভাগ। মোটাদাগে ধরে নেয়া যাইতে পারে ব্রিটেন বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করেছে প্রতি বছর।
(এই পুরো হিসাবটা প্রমাণিত না, ব্রিটেন ভারতবর্ষে যেই শোষণ চালিয়েছে এবং ক্ষতি করেছে তার একটা সম্ভাব্য ইনফ্লেশন এডজাস্টেড হাইপোথিসিস, কারণ ঐ সময়কালীন যথেষ্ট ডাটা নাই।এই সংখ্যাটা এতই এক্সট্রিম যে অনেকেই মনে করেন আসল আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ খুব সম্ভবত আরো অনেক কম।)

এইদিকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে যেই শ্বেতপত্র জমা দেয়া হয়েছে কয়েকদিন আগে, সেই ডকুমেন্ট অনুযায়ী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
(বাংলাদেশের রিজার্ভের সাইজও এই ১৫-১৬ বিলিয়ন ডলারের মতই। তার মানে আওয়ামী লীগ প্রতি বছর আমাদের রিজার্ভের সমপরিমাণ অর্থ পাচার করেছে প্রতি বছর)

আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে যেই পরিমাণ লুটপাট করেছে, ব্রিটেন ভারতবর্ষকে কলোনি বানিয়েও সেই পরিমাণ লুটপাট করতে পারে নাই।

- আজহার উদ্দিন অনিক

Engineer's Diary

25 Nov, 19:31


সকল ছাত্র সংগঠন আগামী এক সপ্তাহ
“জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ” পালন করবে।
দেশের প্রশ্নে ছাত্ররা এক হও!

Engineer's Diary

25 Nov, 18:41


"১। ইমপেরিয়াল কলেজ লনডন ও
২। কিংস কলেজ

এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে কলেজ যুক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি পর্যন্ত নাই।

কিন্তু THE বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং এ সমগ্র বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এদুটি কলেজ ৮ম ও ৩৮ তম। অথচ এই র‍্যাংকিং এ বিশ্বের ৭০০তম এর ভিতরে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও নাই।

অপরদিকে বাংলাদেশে একটি বিল্ডিংয়ের মধ্যেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলে এমন উদাহরণও আছে।

সার্টিফিকেটের মান কি তাহলে শুধু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এই নামকরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

বর্তমান বাস্তবতায় পড়াশোনার মানে আগামী এক হাজার বছরেও কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা এই দেশের যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজকে টপকে যেতে পারবে?

কাজের কাজ নাই, ক্লাসে আসার নাম, পড়াশোনা নাই, ক্লাসরুম নাই, ল্যাব নাই, ভালো শিক্ষক নিয়োগ নাই, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নাই, ফ্যাসিলিটি নাই, বাজেট নাই।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বানাও, দুর্নীতি কর, টাকা কামাও, চাকরি নাও, আত্নীয়স্বজনকে চাকরি দাও, সার্টিফিকেট ছাপাও এভাবেই চলছে উচ্চ শিক্ষার হাল হকিকত।

আমার এই জীবনে বিনা পরীক্ষায় অটোপাশের আন্দোলন কয়েকবার দেখেছি কিন্তু শিক্ষার মান বৃদ্ধির একটা দাবীও আজ পর্যন্ত শুনিনি।"

— Mayeen Uddin

Engineer's Diary

25 Nov, 10:00


GRE ও পেপার পাব্লিকেশন ছাড়া, ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার আন্দোলন কোথাও হলে জানাবেন।

Engineer's Diary

25 Nov, 09:30


আমরা সাহায্য চাইলে ভিসি বললেন-

"তোমরা দরজা লাগিয়ে ঘুমায় থাকো"

- বুটেক্স শিক্ষার্থী

Engineer's Diary

25 Nov, 09:30


সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের
৩ শিক্ষার্থী নি'হ'ত !

দাবি কর্তৃপক্ষের..

Engineer's Diary

24 Nov, 21:08


আমি একশ বার আর্মিকে ফোন দিয়েছি তারা আশে নাই। সোহরাওয়ার্দী কলেজের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই -
অধ্যক্ষ কাকলি মুখোপাধ্যায়

Engineer's Diary

24 Nov, 07:31


IUT tragedy 👏

উন্নত বিশ্বে সংশ্লিষ্ট কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন কোন দপ্তরে বড় কিংবা ছোট আকারের দুর্ঘটনার দায় সেই মন্ত্রণালয় বা দপ্তর প্রধান মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে;আর আমাদের দেশে ঘটে উল্টো ঘটনা।যত বড় ট্রাজেডি ঘটুক,দায়ভায় বড় স্যার'দের থাকুক নাহ কেন;সব অপরাধ এসে যেন নিচের দিকে গড়াবে।
কেন'রে ভাই;দেশে এতবড় একটা বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এসেও এসব কেন দেখতে হবে?
সাবেক মন্ত্রী /প্রতিমন্ত্রীর কার্যক্রম যদি বর্তমান উপদেষ্টার সাথে মিলে যায়;তবে কেন এই বিপ্লব, কেন এই রক্তের গঙ্গা?


এইবার আসি,কিছু বিষয় মিলাতে..

বাংলাদেশের অধিকাংশ ডিস্ট্রিবিউশন (১১/৩৩কেভি)লাইনগুলো ওভারহেড হয়ে থাকে,তবে ইতোমধ্যে ঢাকার মধ্যে(ডিপিডিসি,ডেসকো)আন্ডারগ্রাউন্ড কাজ শুরু করছে।
ওভারহেড ১১কেভি লাইনের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রুরাল এরিয়ায় ১৮-২০ ফিট অন্যদিকে শহরের বাইরে যেটা ১৭/১৮ফিট হওয়ার কথা।যেখানে বিটিআরসির একটা ডাবল লেকের বাসের হাইট ১৪/১৫ফিট হয়ে থাকে।
এই দুর্ঘটনার তদন্তে গেলে দেখা যাবে,ঠিকঠাক গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়নি।কথা হলো যারা লাইন কনস্ট্রাকশান /লাইন নির্মানের সাথে ছিল পিডি(প্রজেক্ট ডিরেক্টর) তাকে কি খুঁজে বের করা হইছে?এই লাইন সম্মন্ন হওয়ার পর যখন লাইন ইন্সপেকশনে যে সকল উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা'রা ছিল,তাদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হইছে?

আইইউটি'র উচিত বিআরইবি'র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা।একই সাথে সংশ্লিষ্ট সচিব/উপদেষ্টার জবাবদিহি'তা নিশ্চিত করা।

আজকে শুনলাম ৯জন কর্মকর্তা /কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হইছে(এর মধ্যে একজন লাইনম্যানও আছে)কিরে ভাই,লাইনম্যান কি নিজের ইচ্ছেই কাজ করে নাকি?সে তো আদেশের গোলাম।।স্বচ্চ তদন্ত করলে দেখা যাবে,এদের অধিকাংশ'ই এটার সাথে জড়িত নাহ্।শুধুমাত্র এদের বহিষ্কারাদেশ দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।


--মহসিন
ডেসকো।

Engineer's Diary

24 Nov, 05:32


২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের গণহত্যায় শহিদ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রেহান আহসান। তাঁকে স্মরণ করে বুয়েট সিএসই ২০০৯ ব্যাচের আয়োজনে ২৩শে নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সিএসই বিভাগের IAC সেমিনার রুমে একটি শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ডঃ মোঃ আল আমিন সিদ্দিক এবং বুয়েট সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ মোঃ ইউনুস আলীসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। এছাড়া রেহানের মা ইফফাত আরা বেগম এবং বোন ফারিয়া সরণি এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৫ই মের ঘটনাগুলো উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন রেহানের বন্ধু মোঃ তানভীর উল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রিফাত শাহরিয়ার। বক্তারা রেহানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আর কোন ফ্যাসিবাদের চক্রান্তে যাতে এভাবে কারো ভাইকে, কারো সন্তানকে চলে যেতে না হয়, এই আশাবাদ সবাই ব্যক্ত করেন। রেহানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা রাশেদুর রহমান। বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা থাকা রেহানের একাডেমিক ডকুমেন্টগুলো রেহানের আম্মার হাতে তুলে দেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ মোঃ ইউনুস আলী।
এই আয়োজনে রেহানের স্মৃতি রক্ষার্থে বুয়েট সিএসই ২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছেঃ
১। রেহানের স্মৃতিকে সমুন্নত রাখতে ডিপার্টমেন্টের একটি ফ্যাসিলিটি রেহানের নামে নামকরণ করা।
২। রেহানের নামে ডিপার্টমেন্ট / বুয়েট থেকে একটি বৃত্তি চালু করা এবং এ ব্যাপারে ডিপার্টমেন্টের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা।
৩। রেহানের হত্যাকাণ্ডের জন্য একটি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি যে, এই মামলার পরিচালন ব্যয় যেন বুয়েট কর্তৃপক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসাবে তার পরিবারকে দেওয়া হয়।
৪। এই ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ভবিষ্যতে কেউ নিহত হলে যেন বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও ডিপার্টমেন্ট অভিভাবক হিসাবে তার দায়িত্ব পালন করে সে ব্যাপারে অঙ্গীকার করা। একইসাথে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর যেকোনো প্রকার অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ এবং সর্বোপরি বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাঁর ন্যায়সঙ্গত দায়িত্ব পালন করবেন এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে অফিশিয়ালি এবং নন-অফিশিয়ালি ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবেন এই মর্মে অঙ্গীকার করা।

Engineer's Diary

24 Nov, 05:31


বেগম খালেদা জিয়ার সেনাকুঞ্জ সফরের অনেক ভিডিও দেখলাম গতকাল! আমি যেহেতু চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র - আমি ওনার ভিডিও গুলো দেখেছি অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে!

প্রথমত কাল দেখলাম হাসছেন - এবং স্বাস নেয়ার জন্য না থেমে এবং না হাপিয়ে গিয়ে মোটামুটি লম্বা সময় কথা বলতে পারছেন| আরেকটা ব্যাপার লক্ষ করলাম ওঁনার অক্সিজেন লাগছে না!

এই পুরো ব্যাপারটা একটা মিরাকল ছাড়া আর কিছু না | এই কিছুদিন আগে ৮০ বছর বয়েসী ৬-৭ মাস টানা আইসিইউ তে কাটালেন| ওনার কিডনি ফেইল করেছিল; হার্ট ফেইলিউর ছিল; লিভার পুরো ফেইল করেছে| লিভার ফেইলিউর এর জীবনঘাতী কমপ্লিকেশন যা যা হতে পারে সব ই তাঁর ছিল - সারা শরীরে পানি, পায়ে পানি, পেতে পানি, ফুসফুসে পানি! প্রতিদিন পেট আর ফুসফুস এর পাশ থেকে থেকে সুই ঢুকিয়ে লিটার কে লিটার কে পানি ড্রেইন করতে হতো|
ওনার দুই চেষ্টা এই চেষ্টা টিউব ঢোকানো ছিল কন্টিনিউয়াস পানি ড্রেইন করানোর জন্য| ঘাড়ের মধ্যে বিশাল মোটা ডায়ালাইসিস লাইন ছিল|
আরো কিছু কঠিন সমস্যা ছিল যেমন রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস তার কথায় পরে আসছি|

পৃথিবীর সবচেয়ে এডভান্সড আইসিঊ গুলোতে তে আমি কাজ করছি গত ২০ বছর ধরে|

আশি বছর বয়েসী একজন মানুষ এডভান্সড রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস যার লিভার ফেইল করেছে - কিডনি ফেইল করেছে; সিভিয়ার পালমোনারি হাইপারটেনশন আছে - এইদেশে আমরা আশা ছেড়ে দিতাম! বলে দিতাম প্যালিয়েটিভ কেয়ার নাও - হসপিসে চলে যাও|

৮০ বছর বয়েসী একজন মানুষের লিভার ফেইলিউর একটা ওয়ানওয়ে জার্নি| বাকি সব অর্গান ডোমিনোর মতো ফেইল করা শুরু করে| রুগী বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি|

মিসেস খালেদা জিয়া যে সাত মাস আইসিঊ থেকে কাল সেনা কুঞ্জে এসে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন - আবারো বলছি এটা মেডিকেল মিরাকল| উপরিওয়ালা কোথাও কেউ নিশ্চয় আছেন; যিনি সম্ভব - অসম্ভবের কারিগর - উনিই হয়তো চেয়েছেন অসম্ভবের ঘড়ির কাটা টাকে হাত দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে| কেউ ওনাকে এই দিনটা দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন! করোও কোনো পুন্য আছে কোথাও এই সম্ভব-অসম্ভবের উল্টোচালে|

আপনারা কেউ কি ওনার হাত দুটো খেয়াল করেছেন? কি ভাবে বেঁকে গিয়েছে? কনট্রাক্টেড হয়ে গিয়েছে? আমরা মেডিকেল কলেজে পড়েছি সোয়ান নেক ডিফর্মিটি; বাটোনেআর ডিফর্মিটি| গত শতব্দীর টার্ম! এই শতাব্দীর মেডিকেল স্টুডেন্ট রা এগুলো খুব একটা দেখে না এখন| রিউমাটয়েড আর্থরাইটিস এর চিকিৎসা না হলে বার্ন্ট আউট হয়ে যায়| এডভান্সড রিউমাটোয়েড আর্থরাইটিস এর শেষ পর্যায়ে গিয়ে হাত গুলো এভাবে শক্ত হয়ে কুঁকড়ে যায়| দুটো হাতই শুধু অচল হয় না - অবর্ণনীয় যন্ত্রনা হয় - হাই ডোজ ইম্মিউনিটি সাপ্রেস করা মেডিসিন এ না থাকলে|

আপনি কি খেয়াল করেছেন উনি পা লম্বা করে হুইল চেয়ার এ বসে ছিলেন? উনি পা ভাঁজ করতে পারেন না! ওনাকে স্ট্র্যাপ দিয়ে হুইল চেয়ার এর সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল| যাতে পরে না যান| আমি খেয়াল করছিলাম ওঁনার ছোট পুত্রবধূ প্রতিটা মুহূর্ত শ্বাশুড়ির দিকে চোখ রাখছেন - কখন কি হয়ে যায়!
একটা জীবন চিন্তা করুন তো? অবর্ণনীয় ব্যাথার কারণে পা ভাঁজ করা যায় না - স্টিফ হয়ে গিয়েছে - হাত দুটো অচল! পুরো পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে ওনাকে! হ্যা আমি বলছি "দেয়া হয়েছে" -

এমনি এমনি হয় নি!

আগে ওনাকে যখন টিভি তে দেখেছি- তখন তো এতো খারাপ অবস্থা ছিল না| উনি এই হাত দিয়ে করমর্দন করতেন - সারাদিন ফাইল স্বাক্ষর করতেন! একটু খুঁড়িয়ে হলে হাটতে পারতেন| ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৯ ঘন্টা ক্যাম্পেইন করেছেন - সারারাত পথসভা করেছেন|

আজকাল আমরা এই ধরণের রিউমাটয়েড ডিফর্মিটি খুব কম দেখি | কারণ আজকাল রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস এর অনেক ডিজিজ মোডিফাইয়িং ঔষধ আছে| এই ঔষধ টা কন্ট্রোল করে রাখা যায়! একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান রিউমাটয়েড আর্থ্রাটিস কি এখন আর ওই পর্যায়ে পৌঁছতে দেয় না|

কিন্তু উনি যেই চার পাঁচ বছর জেলে ছিলেন - তখন তাঁর উপর গরুর চিকিৎসা হয়েছে - মানুষের চিকিৎসা হয়নি| উনি আধুনিক কোন চিকিৎসা পান নি! যেই ঔষধ দেয়া হয়েছে - তাতে ওনার ডিজিজ কন্ট্রোল তো হয়ই নি - লিভার - কিডনি ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে|
২০০৭ এর পর থেকে ওনার পরিবারের উপর যা গিয়েছে যা ট্র্যাজিক মহাকাব্য| বড় ছেলেকে মেরে তার কোমর ভেঙে দেয়া হয়েছিল - তার দশ বছর লেগেছে স্বাভাবিক ভাবে হাটতে! আরেক ছেলের উপর ( যে রাজনীতির র এর সাথে জড়িত ছিল না) তার উপর কি ঝড় গিয়েছে আল্লাই জানে - ছাড়া পাবার কিছুদিন পর ৪৫ বছরের সুষ্ঠ তরুণ ক্রিকেট প্লেয়ার মানুষ টা ধুম করে মরে গেলেন|

এই কাজগুলো যারা করেছেন - যাদের সিদ্ধান্তে হয়েছে - যারা এক্জিকিউট করছেন - তাদের কে জিয়া পরিবার ক্ষমা করলেও এই দেশের একটা বিশাল অংশ মানুষ কোনোদিন ই ক্ষমা করবে না!

আরেকটা কথা -
মিসেস খালেদা জিয়ার এখন কি উচ্চও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া উচিত? আমার মতে এখন এটা পলিটিকাল ও পারিবারিক ডিসিশন;মেডিকেল ডিসিশন না|

Engineer's Diary

24 Nov, 05:31


ওনার যে মেডিকেল টিম - তাঁদের অনেক কে আমি চিনি! ওঁদের উপর আমার ১০০% আস্থা আছে| আমি মনে করি উনারাই যথেষ্ট| ওনাকে টেনে হিঁচড়ে বিদেশে নেবার কোন যুক্তি বা মেডিকেল নেসিসিটি আমি দেখি না| এটা আমার ব্যক্তিগত মত| ওনার পরিবার আরো ভালো বুঝবেন|

আশা করি মিসেস জিয়া দীর্ঘজীবী হন! আরো অনেক দিন বেঁচে থাকুন| এবং টানা হেঁচড়া ধাক্কা ধাক্কি ছাড়া নিজের বাড়িতে একটু শান্তিতে থাকুন|

She served her nation with the last bit of her strength| She has done her duty. And she has done that darn well. Let her rest now!

রুমি আহমেদ
অধ্যাপক, ডেল মেডিকেল স্কুল
ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অস্টিন

কনভেনার
BRAIN (Bangladesh Research Analysis Information Network brainbd.org)
.
.
.
.

Engineer's Diary

23 Nov, 21:01


ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য দিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক দারুন কাজ করেছেন। রাশিয়ার ভান্ডারে নুতন কি ছিলো জানার সু্যোগ করে দিলেন। ঘটনা এমনই, ইউক্রেনকে আমেরিকা মিসাইল দিতেই তা রাশিয়ার উপর পরীক্ষা করতে নামলো জেলেনস্কি। কোন কিছু একতরফা হয় না- রাশিয়া নুতন আইসিবিএম (ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল) ছুড়ে বুঝালো মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার খরচের মিসাইল কি করতে পারে।

মাত্রই বললাম, কারন তাদের পরীক্ষার দরকার ছিলো- ৭ শত মাইল দূরে মিসাইল পাঠালো যেটাতে পারমানবিক বোমা ছাড়াই পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে এর আওতা ৫ হাজার মাইল বা পুরো ইউরোপের যেকোন অবস্থান টার্গেট করে ছুঁড়তে ও পৌছাতে সক্ষম। আমেরিকা অন্যদিকে, এখান থেকে বোঝালো ন্যাটোর কোন স্থাপনাই আওতার বাইরে নাই।

এর আগে উত্তর কোরিয়াও মিসাইল পরীক্ষা করে দেখিয়েছে নিউইয়র্ক হোক বা ফ্লোরিডা, যেকোন শহরে তাদের নাগালের মধ্যে। যে কোন মূহুর্তে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, আমেরিকার বা ইউরোপের কোন শহরই পারমানবিক আওতার বাইরে না। উত্তর কোরিয়ার খরচ পরেছে রাশিয়ার ৪ গুন। এখানে না বললেও বুঝবেন উত্তর কোরিয়া রাশিয়া থেকেই টেকনোলজি আর সাহায্য নিচ্ছে, লাভ রাশিয়ার- বদনাম উত্তর কোরিয়ার।

আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ আজ শেষ হচ্ছে। উন্নয়নশীল ও বিপদজনক রাস্ট্রগুলো যে অর্থনৈতিক সাহায্য চাইছিলো তার ৫ ভাগের ১ ভাগও দেয়া হবে না। বাংলাদেশসহ যেসব রাস্ট্রের দরকার ছিলো ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার, ধনীদেশগুলো ২৫০ বিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। এমনকি বাকী টাকা স্বল্পসুদে ঋন হিসাবে চেয়েও পাওয়া যায়নি। তাদের হাতে টাকা নাই।

আমেরিকা সুপারপাওয়ার, ৬৬ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেন ও ইসরাইলকে সাহায্য দিতে খরচ করলো, কিন্তু কপ-২৯ এ দেবার ডলার নাই। টাকা খরচ করবে মৃত্যু ঘটাতে, জীবন বাঁচাতে বাইডেনের হাতে ডলার নাই। সামনে ডনাল্ড ট্রাম্প আসছে, আগের বারও কপ থেকে বের হয়ে আসেন, কারন এখানে ইনভেস্ট করে কোন রিটার্ন নাই। এবারও দেখার বাকী, কি করেন। একমাত্র ভরসার কথা হলো, বাইডেন যেখানে আপত্তি করেছে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারের ব্যাপারে, ট্রাম্প কি করে। ট্রাম্প আগেই নেতানিয়াহুকে বলে দিয়েছেন “ফিনিশ আপ বাই জানুয়ারি, এলস ইজরেইল উড লুজ রেস্ট অফ দ্যা ওয়ার্ল্ডস সাপোর্ট”। নেতানিয়াহু খুব খুশি মনে গতকাল গাজায় আজ বৈরুতে হামলা চালিয়েছে, ধরে নিয়েছেন জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাওয়া গেছে।

ডেমোক্রেটরা দেশকে কোথায় রেখে যাচ্ছে জানুয়ারি নাগাদ বোঝা যাবে। কামালা হ্যারিস নির্বাচিত না হওয়া আমেরিকার জন্য ভালো হয়েছে, ট্রাম্পের মতো জানা পাগলের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারবে, কামালা ছিলো পুরোই অজানা পাগল।

এই হলো দুনিয়ার বর্তমান অবস্থা। মানুষ বাঁচানোর জন্য ধনী দেশের হাতে ডলার নাই, মারবার জন্য অনেক ডলার রাখা আছে।

- কাজী এম মুর্শেদ

Engineer's Diary

23 Nov, 20:55


Central Digital Library of Jahangirnagar University (Constructing)

ছবি: কৃষ্ণ প্রসাদ মন্ডল
২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Engineer's Diary

23 Nov, 20:54


সবই কি তাহলে মেটিকিউলাস ডিজাইন?

ইচ্ছা করেই কি ১লা মার্চ থেকে বিহারী গণহত্যা শুরু হল যেন আর্মি ক্র‍্যাকডাউনে যেতে বাধ্য হয়?

২৫শে মার্চ কি আর্মির ইউনিফর্ম পরে আওয়ামী লীগই তাহলে গুলি চালালো?

জাহানারা ইমাম তো পাকিস্তান সরকারের অনুগত ছিল। এ কারণেই কি তাহলে ওর ছেলে রুমীকে তুলে নিয়ে গেল?

মানুষের আবেগকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই কি ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হল?

৭১ কি তাহলে জনগনের না বরং একজন মাস্টারমাইন্ডের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন ছিল?

যদি মুক্তিযুদ্দারা ভালই হয় তাহলে ৭৩ সালে কেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হল?

- ইশরাক

Engineer's Diary

23 Nov, 18:02


বাংলাভিশনের 'ফাঁস হওয়া' ভিডিওটা দেখলাম।

আপনার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েছে, আপনার মায়ের বেডরুম ভেঙে ফেলেছে, এরপর আপনার মা প্রতিবাদ করলে তাকে 'কোলে করে তুলে আনা হবে' ধরনের অশালীন, অসভ্য, অভব্য হুমকি দিয়েছে। অবশেষে সত্যি সত্যিই টেনেহিঁচড়ে বের করেছে।

অথচ বাড়ির মালিক আপনি। ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন।

খালেদা জিয়ার সাথে এগজ্যাক্টলি সেইম ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে।

কোনো নারীবাদী, কোনো বুদ্ধিজীবী, কোনো সুশীলের বাচ্চা সেদিন প্রতিবাদ জানায়নি। মুখে রীতিমতো তালা মেরে বসে ছিল বছরের পর বছর।

হাসিনা অন্ধ আক্রোশে বলেছে - আমার বাবার জন্যই তো এই দেশ পেয়েছে, বাড়ি পেয়েছে। বলেছিলাম বের করে দিবো, ঠিকই বের করে দিয়েছি।

এই কথায় কেউ ফ্যাসিজম খুঁজে পায়নি। জুলাই মাসে দুই হাজার লাশ পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ফ্যাসিজমের গন্ধ পেতে।

এরকম একটা সাইকোপ্যাথ, একটা থার্ডক্লাস ইতরকে দিনের পর দিন গদিতে সহ্য করতে হয়েছে আমাদের। পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় বড় বড় করে ছাপা হয়েছে, 'শুভ জন্মদিন, প্রধানমন্ত্রী।'

কী ভয়াবহ বিভীষিকা আমরা পার করে এসেছি, ভাবলে অবাক লাগে।

- তাজরিয়ান আলম আয়াজ

Engineer's Diary

23 Nov, 17:46


বাংলাভিশনের ভিডিওটা প্রমাণ করলো, বেগম খালেদা জিয়া এক বর্ণও মিথ্যা বলেননি।

খালেদা জিয়া সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলেছিলো, উনাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে আসো। উনাকে কোলে তুলে নিয়া আসো।

সত্যিই বাংলাভিশনের ভিডিওতে দেখা যাইতেছে, একজন বলতেছে, আরে উনারে জোর করে তুলে নিয়া আসো না?

ম্যাডাম যখন বারবার বলছিলেন, শুনানি হোক। সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত তো আপনারা সময় দিবেন আমাকে!!

তখন মূর্খগূলা বলতেছিলো, রায় হয়ে গেছে, আপনি বের হন।

পুরো ভিডিওতে এতো বাড়াবাড়ি আর দুর্ব্যবহারের পরেও খালেদা জিয়া একবারের জন্যও খারাপ ব্যবহার করেন নাই। অভিজাত মেয়ে মানুষ এই পৃথিবীতে রেয়ার, খালেদা জিয়া সত্যিকারের অভিজাত একজন নারী ছিলেন।

অবশ্য তৃতীয় শ্রেণির ছোটলোকও এই পৃথিবীতে রেয়ার। যেটা ছিলো শেখের বেটি হাচিনা।

কতটা ছোটলোক হলে প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে, ওয়াদা করেছিলাম বের করে দিবো, বের করে দিয়েছি। আরে আমার বাপের জন্যই তো এই দেশ, এই ক্যান্টনমেন্ট.....

একটা প্রাণী কতটা থার্ডক্লাস হলে এভাবে চিন্তা করতে পারে?

খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে উচ্ছেদের পুরো ভিডিও আর রেকর্ডস যাতে সংরক্ষণ করা হয়।এইটা ইতিহাস হয়ে থাকুক।

উদাহরণ হয়ে থাকুক।

যে দেশে সাবেক ফার্স্টলেডি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে এতোটা জঘন্যতম উপায়ে নির্যাতন করা হয়েছিলো, সেই দেশে সাধারণ মানুষদের অবস্থা ঠিক কতটা করুণ ছিলো, এটা বোঝানোর জন্য হলেও এই ঘটনাটার রেকর্ড থাকা দরকার।

- সাদিকুর রহমান খান

Engineer's Diary

23 Nov, 15:59


'বিপদ' নামে হুমায়ূন আহমেদের একটা গল্প আছে। এই গল্পে আফসার সাহেবের একটা অদ্ভুত অসুখ হয়। তিনি তার বাসায় থাকা বিড়ালের কথাবার্তা শুনতে পান। একটা মা বিড়াল তার বাচ্চাদের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলে আর আফসার সাহেব সব বুঝতে পারেন স্পষ্ট।

আফসার সাহেবের অসুস্থতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। তিনি বিড়াল নিয়ে অবসেসড হয়ে পড়েন। চারপাশে রটিয়ে যায় তিনি বিড়াল হয়ে গেছেন, তার লেজ গজাচ্ছে। প্রচণ্ড বাস্তববাদী, রগচটা আফসার সাহেব আচমকাই যেন পরিণত হোন অন্য মানুষে। একটু ভীত, অসহায় আর মায়ায় টলটলে একজন মানুষ।

আফসার সাহেবের অসুস্থতা যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়, তার স্ত্রী তখন বস্তায় ভরে বিড়াল আর বাচ্চা দু'টোকে কোথাও ফেলে আসেন। কিন্তু বিড়ালগুলো চলে আসে তারপরও বাসায়। আর আফসার সাহেব আবার মেতে উঠেন বিড়াল নিয়ে।

'বিপদ' গল্পটা শেষ হয় মিসির আলি দিয়ে। মিসির আলি জটিল এই সমস্যার কোনোরকম একটা আংশিক অনুমান সম্পন্ন সমাধান নিয়ে যখন আফসার সাহেবের বাসায় পৌঁছান, তখন বিড়ালগুলো বেঁচে নেই। বস্তাভরে ফেলে আসার পরও যখন মা বিড়াল তার বাচ্চা নিয়ে বাসায় ফেরত এসেছিল, আফসার সাহেবের স্ত্রী তখন প্রচণ্ড রেগে হুঁশ হারিয়ে একটা হাঁড়িতে পানি গরম করে পুরোটাই ওদের গায়ে ঢেলে দিয়েছিলেন।

বিড়ালগুলো মারা যায় হসপিটালে নেওয়ার পর। রিকশায় করে ওদের হসপিটালে নিয়ে যান আফসার সাহেবের স্ত্রী-ই। গায়ে গরম পানি ঢালার পর হঠাৎ করে তার হুঁশ আসে, কী করেছেন তিনি। তখন তিনি ওদের বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি।

'বিপদ' শেষ হয়েছে একটা আনসলভড মিস্ট্রি দিয়ে। সমস্ত গল্পজুড়ে আফসার সাহেবের অসুখ নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ, বিমর্ষ আর রেগে থাকা তার স্ত্রী যখন মৃতপ্রায় বিড়াল আর তার বাচ্চাটিকে নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন হসপিটাল, তখন স্ত্রী আচমকা ওই বিড়ালের কথা স্পষ্ট বুঝতে পারেন। তিনি শুনতে পান, মা বিড়ালটা তাকে বলছে- আমি আপনার পায়ে পড়ছি, আপনি আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান। এই বেচারা সুন্দর পৃথিবীর কিছুই দেখল না।

আফসার সাহেবের স্ত্রী মিসির আলিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা তিনি কেন শুনলেন? মিসির আলি উত্তর দিয়েছিলেন, এটা আপনার কল্পনা। বিড়ালের গায়ে পানি ঢেলে তিনি তীব্র অপরাধবোধে ভুগছিলেন। মস্তিষ্ক তখন ওই অপরাধবোধ সামলাতে এমন একটা দৃশ্য তৈরী করেছে। মানুষ কি আর বিড়ালের কথা বুঝতে পারে?

গতকাল রাতে জাপান গার্ডেন সিটির লোকজন ছয়টা কুকুর ও পাঁচটা বিড়াল মেরে ফেলেছে বিষপ্রয়োগ করে। 'বিপদ' গল্পে আফসার সাহেবের স্ত্রী রিকশায় করে যাওয়ার সময় বিড়ালের কথা শুনতে পেয়েছিলেন। মিসির আলি ওই ভাষাকে ভ্রম বলে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। ওটি ভ্রম ছিল না বলেই 'বিপদ' আনসলভড মিস্ট্রি। কিন্তু আপনি আশপাশ তাকালে দেখবেন- ওটা ভ্রম। আনসলভড মিস্ট্রি বলতে কিছু নাই দুনিয়ায়। কুকুর-বেড়াল স্পষ্ট বোঝে; খালি মানুষের বাচ্চাই কোনোদিন কুকুর-বেড়ালের ভাষা বোঝে নাই।

-সাখাওয়াত হোসেন

Engineer's Diary

23 Nov, 13:07


বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাসের হাইট প্রায় ১৪ ফুটের মতো হয়ে থাকে। আর বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে 11kV লাইনের ভার্টিক্যাল হাইট Rural এরিয়াতে কমপক্ষে ১৭-১৮ ফুট থাকা উচিত৷ অর্থাৎ এই সেফটি হাইট মানা হলে বাস থেকে বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের কমপক্ষে ৩-৪ ফুট গ্যাপ থাকতো।

ঐ এরিয়ায় ইলেকট্রিক পোল স্থাপনের ক্ষেত্রে এই সেইফটি হাইট মেইনটেইন করা হয়নি বলেই বুঝা যাচ্ছে। নয়তো বাসের সাথে তারের সংস্পর্শ হওয়ার সুযোগ থাকতো না। এছাড়া তারগুলোর ক্ষেত্রে সেফটি কভারও ছিল না।

এই বিষয়গুলোকে হাইলাইট করে পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ড এর বিরুদ্ধে IUT অথোরিটি থেকে স্টেপ নেওয়া প্রয়োজন।

[ উল্লেখ্য, 11 kV লাইনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স শহরাঞ্চলে ১৮-২০ ফুট, Rural এরিয়াতে ১৭-১৮ ফুটের কম হয় না কখনোই। পল্লীবিদ্যুতের অফিসিয়াল সাইটে ৬৩৬ Mcm এবং ৭৯৫ Mcm কন্ডাক্টরের জন্য Rural এরিয়াতে ২১ ফুট ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স থাকার নিয়ম রাখা হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মের কোনো কিছুই তারা সঠিকভাবে ফলো করেনি ]

-Mubammad Abu Abdullah, IUT

Engineer's Diary

23 Nov, 09:36


মুগ্ধ নামে কেউ নাই, এটা শুনতে এখন যতটা হাস্যকর লাগছে, আর ১০ বছর পর ততটা লাগবে না।

বরং তখন অনেকের মনেই একটা খোঁচা লাগবেই।

যেমন মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি শুনলে লাগে।

অথচ মুজিব যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি, এইটা তাজউদ্দীন বলেছেন। যার নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধটা হয়েছে।

অথচ পুরো একটা জেনারেশন বিশ্বাস করে, মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করাতে পেরেছে। পুরো শাহবাগ, ছায়ানট, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এই মিথ্যার সাথে থেকেছে।

অথচ এরা কি জানতো না যে স্বাধীনতার ঘোষণা মজিবর দেয় নাই? সবাই জানতো। জেনে শুনেই ওরা এই মিথ্যার পক্ষ নিয়েছিলো।

যেমন সবাই জানবে যে মুগ্ধ শহীদ হয়েছিলো। কিন্তু আজ থেকে দশ বছর পর জানানো হবে, মুগ্ধ বলে কেউ ছিলোই না।

ঢাকার কোন স্কুল থেকে দেখলাম জুলাই এর গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কেউ কোন প্রতিবাদ করে নাই।

এভাবেই কখনও সৌন্দর্যের নামে, কখনও রঙ করার নামে জুলাই এর সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।

কারণ, জুলাই শুধু আওয়ামীলীগের জন্য আতঙ্ক না। জুলাই পুলিশের জন্য আতঙ্ক। জুলাই দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের জন্য আতঙ্ক। জুলাই ইউনিভার্সিটির ভিসিদের জন্য আতঙ্ক। জুলাই প্রথম আলো ডেইলি স্টার আর মুজিববাদের জন্য আতঙ্ক। জুলাই ভারতের জন্যও আতঙ্ক।

জুলাইকে বাঁচাতে কেউ আসবে না।

কারণ জুলাই মানেই বিপ্লব। জুলাই মানেই একটা গুলি করি স্যার,একটাই মরে, একটাই যায়, বাকিডি যায় না।

এই জুলাইকে শুধু আওয়ামীলীগ না, বিএনপিও ভয় পাবে। জামায়াতও ভয় পাবে। পুলিশও ভয় পাবে।

কারণ গুলি করেও যাদের সরানো যায় না, তারা ভয়ঙ্কর মানুষ।

জুলাইকে তাই সবাই ইউজ করবে। বাট কেউ ওউন করবে না।

আজ মুগ্ধকে নাই করা হবে, কাল গ্রাফিতি মোছা হবে, ১০ বছর পর বিশ্বাস করানো হবে, সাজানো গোছানো একটা দেশকে জুলাই মাসে ছাত্ররা ধ্বংস করে দিয়েছিলো।

বিপ্লব সফল নাকি ব্যর্থ, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগেই যে বিপ্লব মুছে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে, আমরা কি সেটা খেয়াল করেছি?


- সাদিকুর রহমান খান

Engineer's Diary

16 Nov, 05:49


নলেজ নাও থাকতে পারে-- তাই তাদের সাথে কমিউনিকেট করতে হলে সহজ ও তাদের বোধগম্য ভাষায় করতে হয়। আগেই বলেছি আমাদের এক্টিভিস্টরা ফিয়ার মংগারিং স্টাইলটা বেছে নেয়।।কারণ এটা ইজি রাউট আর আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য মানুষ ফিয়ার মংগারিং স্টাইলে অভ্যস্ত।।মানুষের সেন্স অব ইনসিকিউরিটি ও ইন্সটিংটিভ ফিয়ার হচ্ছে তাকে সচেতন করার সহজ ও কমদামী টেকনিক। সেইভাবে দেখলে উপদেষ্টা তার এক্টিভিজম মোডে ভুল বলেননি কিংবা উনার উদ্দেশ্যে ও সমস্যাজনক নয়। কিন্ত এখানে সায়েন্স কম্প্রোমাইজ হয়ে গেছে। একজন পরিবেশ এক্টিভিস্ট রিজওয়ানা ও একজন উপদেষ্টা রিজওয়ানার অডিয়েন্স সে এখন এক না- সমস্যা সেখানে দেখা দিছে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানার অডিয়েন্স বিজ্ঞানী, পলিসিমেকার, আন্তর্জাতিক কমিউনিটি, সাধারণ মানুষ সবাই।।তাই এই পদে থেকে কথা বলতে হলে তাকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পলিটিকালি, সায়েন্টিফিকালি, পলিসিগতভাবে যথাসম্ভব কারেক্ট হতে হয়। যেহেতু একজন সাধারণ মানুষ থেকে একজন মন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টার এক্সেস টু ক্লাসিফায়েড ইনফরমেশন বেশি থাকে, তার এডভাইজারি প্যানেল থাকে, তাই সঠিক তথ্য দেয়া তার পক্ষে অন্যদের থেকে সহজ এবং উচিতও।
কোরাল ক্ষয় হয় ওশান এসিডিফিকেশনের কারণে।।কারণ ওশান এডিফিকেশন হলে সাগরের কার্বন ডাই অক্সাইড এবসর্বশন বেড়ে যাওয়া। এতে সাগরে কার্বনিক এসিড বেশি তৈরি হতে পারে যেটা সাগরে কার্বনেট আয়ন এভেলএবেলিটি কমিয়ে দেয় ও পিএইচ র মাত্রা ও কমিয়ে দেয়। এতে কোরাল রা তাদের আউটার শেল যেটা ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি সেটা ঠিকমত তৈরি করতে পারে না। তাদের কোরাল রীফের স্ট্রাকচার দূর্বল হয়। অর্থাৎ গ্রীনহাউজ গ্যাস নি:সরণ বেড়ে গেলে ওশান এসিডিফিকেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ও কোরাল স্ট্রাকচার দূর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। কিন্ত উপদেষ্টা এই সায়েন্সকে সাধারণের ভাষায় ও ফিয়ার মংগারিং স্টাইলে বলতে গিয়ে যেভাবে বললেন সেন্টমার্টিনের সব কোরাল ২০৪৫ এর মধ্যে ক্ষয়ে যাবে এতে সেন্ট মার্টিন ডুবে যাবে কিংবা বিলিন হয়ে যাবে - এতে সায়েন্স কম্প্রোমাইজ হয়ে গেছে। একই সাথে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে-- উপদেষ্টা এই তথ্য কই পেলেন? সেন্ট মার্টিন নিয়ে এমন কোন রিসার্চ হলে সেটার রেফারেন্স কি? বংগোপসাগরে ওশান এসিডিফিকেশনের মাত্রা কি রকম? এটা কি ডেড কোরাল স্ট্রাকচারেও ক্ষতি করে কিনা? এখানে সি লেভেল রাইস এর ভুমিকা কতটুকু? একজন সায়েন্টিস্টের কাছে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ছাড়া উপদেষ্টার কথাটা হঠাত শুনলেও হাস্যকর মনে হতে পারে।
আমার কাছে উনার বক্তব্য শুনে মনে হলো-- বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডে এবং এই দেশের মানুষের তথ্য রিসিভ করার যে স্টাইল ( ফিয়ার মংগারিং ছাড়া সে গুরুত্ব দিতে চায় না) তাতে একজন এক্টিভিস্ট হিসাবে উপদেষ্টার বক্তব্য ঠিকই আছে।।কিন্ত উনাকে এক্টিভিস্ট হিসাবে না দেখে যদি একজন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দেখি- তখন এই ধরনের গ্রস কথা প্রবলেমেটিক৷ সমস্যা এখানে রিজওয়ানা হাসান না,সমস্যা আমাদের দেশের সায়েন্স কমিউনিকেশন ও এনভায়রনমেন্টাল এক্টিভিজমের পলিটিকাল কালচার।
- বাতেন মোহাম্মদ

Engineer's Diary

16 Nov, 05:49


পরিবেশ উপদেষ্টার সেন্টমার্টিনের কোরাল নিয়ে একটা বক্তব্য শুনলাম। একজন পরিবেশ এক্টিভিস্টের বক্তব্য হিসাবে দেখলে ঠিকই আছে। তাহলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা সায়েন্স কমিউনিকেশনে। আমাদের দেশে যারা সায়েন্টিফিক গবেষণা করে তাদের পাবলিক কমিউনিকেশন দূর্বল। তাদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজন উচ্চমানের জার্নালে প্রকাশ করলেও, বেশির ভাগ মধ্য ও নিম্নমানের জার্নালে যা প্রকাশ করে সেটাও সাধারণের বোধগম্য ভাষায় সাধারণের কাছে পৌছাতে পারে না। তাই যারা পরিবশ এক্টিভিজম করে তাদের তথ্য ও জ্ঞানের উৎস পত্রিকা। আর পত্রিকার সাংবাদিক সহজ ভাষায় সংবাদ লিখতে ও চটকদার শিরোনাম দিতে গিয়ে ( অনেকক্ষেত্রে সায়েন্টিফিক অজ্ঞতার কারণে) সায়েন্স কম্প্রোমাইজ হয়ে যায়। এরপর যা থাকে সেটা হয় পরিবেশ রোমান্টিসিজম নয়তো ফিয়ার মংগারিং। পরিবেশ এক্টিভিস্টরা তাই এই স্পেক্ট্রামেই অপারেট করে। ফিয়ার মংগারিং টাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মত অধিক জনসং্খ্যা ও সুশাসনের অভাব-ভিত্তিক দেশে পরিবেশ এক্টিভিজমের মুল ফাউন্ডেশন হয়ে দাড়িয়েছে।
এই জায়গায় সায়েন্টিফিক এবং একাডেমিক কমিউনিটির সাথে এক্টিভিস্ট কমিউনিটির একটা ইগো যুদ্ধ ও আছে। একাডেমিক কমিউনিটি মনে করে এক্টিভিস্টরা সায়েন্সের কি বুঝে? আর এক্টিভিস্টরা মনে করে একাডেমিক কমিউনিটি যেসব রিসার্চ করে এইগুলোর মান যেমন ভালো না, তেমন সাধারণ মানুষের কাছে আপিল নাই। এই ডিসকানেক্ট হয়ে উঠেছে আমাদের পরিবেশ চর্চার মুল প্রাকটিস।
এইক্ষেত্রে পত্রিকার ও একটা ভুমিকা আছে।।এক্টিভিস্টদের যেহেতু পাবলিক ডিলিং বেশি, তাই তাদেরকেই পরিবেশবিদ হিসাবে মানুষের সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমাদের দেশে তাই পরিবেশ চ্যাম্পিয়ান বলতে যাদের দেখি ও বুঝি তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সায়েন্টিফিক ব্যাকগ্রাউন্ডের না। এছাড়া সর্বক্ষন আলোচনায় থাকতে তারাও রাজনীতিবিদদের মত ফিয়ার মংগারিং করতে থাকে। চটকদার কথাবার্তা বলে। যেহেতু তাদের সায়েন্টিফিক ট্রেনিং দূর্বল কিংবা থাকে না- তাই তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবেশকে দুই একটা BUzz ওয়ার্ডে সরলীকরণ করে ফেলে। এক অর্থে এটা তাদের পাবলিক কমিউনিকেশনে সুবিধা হয়।।মানুষ সহজে কানেক্ট হয়।, আরেক অর্থে এটা সত্যিকারের পরিবেশ চর্চা হয় না।
এর ফলে গত ত্রিশ বছরে আমাদের দেশে নানা ক্ষেত্রে স্পেশালাইজড পরিবেশ এক্টিভিজম গ্রুপ গড়ে উঠলেও ( নদী, খাদ্য, গাছ, বন, শব্দ দূষণ, প্লাস্টিক দুষণ, পানি, বন্যপ্রানী রক্ষা, বায়ুমান, আবর্জনা) সত্যিকারের পরিবেশ উন্নয়ন হয়েছে কিনা সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
আর সায়েন্টিফিক কমিউনিটি তাদের জ্ঞান ও গবেষণা সহজ ভাষায় সাধারণের কাছে তুলে ধরতে পারছে না। এই গ্যাপটাই ফিল আপ করছে এমন সব এক্টিভিস্ট যাদের সায়েন্টিফিক আন্ডারস্টান্ডিং থেকেও এই এক্টিভিজম হয়ে উঠে রুটি রুজির প্রশ্ন।।তাই এই ফিল্ডে টিকে থাকার জন্য তাকে সব সময় চটকদার আলোচনায় থাকতে হয়।
ডেভিড এটেনবরা, রিচার্ড ডকিন্স কিংবা নিল ডিগ্রেস টাইসনের মত সায়েন্টিফিক কমিউনিকেটর আমাদের দেশে নাই।।যারা একই সাথে সায়েন্টিস্ট ও এক্টিভিস্ট। তারা সায়েন্সটা জানে এবং সাধারণ মানুষের সাথে কিভাবে তাদের বোধগম্য ভাষায় এনগেজ হবে সেই টেকনিকটাও জানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পত্রিকা, ম্যাগাজিনে যেমন তাদের বিচরণ,তেমনি সায়েন্টিফিক জার্নালেও তাদের বিচরণ। তাই তাদের আন্ডারস্টান্ডিং টা যেমন সলিড, তেমনি ডেসিমিনেশন টাও কারেক্ট সায়েন্স।
এখন দেখবেন জার্নালগুলো অথরের কাছে গ্রাফিকাল এবস্টার্ক্ট চায়।।ফেসবুকে, টুইটার ( বর্তমান এক্স) এ তারা এইগুলো ডেসিমিনেট করে। নানা সায়েন্স ম্যাগাজিন বের হচ্ছে সেখানে সায়েন্টিস্টরা লিখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা গ্রুপ সায়েন্স কমিউনিকেশন করছে। কিন্ত আমাদের দেশে সায়েন্স ও এক্টিভিজমের মধ্যে ডিসকানেক্ট এখনো আশংকাজনক পর্যায়েই আছে।।আমাদের শিক্ষিত সমাজ ও পরিবেশ এক্সপার্ট বলতে পরিবেশ এক্টিভিস্টকেই বুঝে। যাদের পড়ালেখা ট্রেনিং থেকে শুরু করে কার্য্যক্রম কোনটাই হয়তো পরিবেশ সংরক্ষন রিলেটেড না।।বরং ফিয়ার -মংগারিং বিজনেস তার এক্টিভিজমের ও এই ফিল্ডে টিকে থাকার একমাত্র টেকনিক। বাস্তব জীবনে তার চাল চলন হয়তো পরিবেশ বিধ্বংসী। এসি রুমের সেমিনার, এক মিটিং থেকে বের হয়ে দামী পাজেরোতে আরেক মিটিং এ যাচ্ছে। দামী হোটেলে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে জেলেদের নিয়ে আর জেলেরা না খেয়ে ধুকে ধুকে মরতেছে। এই হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। পরিবেশ এক্টিভিজমের এই বিজনেস মডেল আমাদের দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।
মাননীয় উপদেষ্টার কথায় ফিরে আসি। উনি কি কোরাল নিয়ে ভুল বলেছেন? যেকোন সায়েন্টিস্ট শুনলে প্রথমেই টাস্কি খাবে। কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন ডুবে যাবে এই তথ্য কি আসলেই সঠিক? উনি যেভাবে বলেছেন সেটা কোরাল বায়োলজিস্ট শুনলে হাসবে। আবার জলবায়ু বিজ্ঞানী শুনলেও হাসবে।।অন্তত ক্লিপটা শুনলে হাসবে। কিন্ত একজন এক্টিভিস্ট হিসাবে উনি কি ভুল বলেছেন? আমি মনে করি উনি ভুল বলেননি।
কারণ এক্টিভিস্টদের কাজ যেখানে সচেতনতা তৈরি করা এবং তাদের টার্গেট অডিয়েন্স সাধারণ মানুষ যাদের সায়েন্টিফিক

Engineer's Diary

09 Nov, 13:24


রওশন জামিলের কথা মনে আছে? ওইযে বাংলা সিনেমায় সবসময় খলচরিত্রে অভিনয় করতেন, সিনেমায় দেখতাম উনি শুধু প্যাঁচ লাগাতেন। কার সংসার ভাঙা যায়, কাকে খাবারে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়ে, এই দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো যায়- এসব অভিনয়ে তিনি একেবারেই কিংবদন্তী পর্যায়ে ছিলেন বলা যায়।

তবে সিনেমায় যতই কূটচাল দিতেন না কেন, শেষবেলায় এসে পরিচালক তাকে ঠিকই ধরিয়ে দিতেন, কখনো পুলিশের হাতে, কখনো আত্মীয়স্বজনদের বিচারের কাঠগড়ায়।

লোভী, বেহায়া, ষড়যন্ত্রকারী অপরাধীও শেষদৃশ্যে লজ্জিত হন, নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হন, আর কখনো এমনটা করবেন বা বলে চোখে জল এনে ক্ষমা চান, আমরা দর্শকরাও একটু আগে রাগ পুষে রাখলেও সিনেমার চরিত্রের মতো ক্ষমা করে দেই। ভুলে যাই তার সব অপরাধের কাহিনি।

এইটা সিনেমা, কিন্তু বাস্তবের অপরাধীর মধ্যে লজ্জা নেই, অনুশোচনা নেই, অনুতাপ নেই; আছে শুধু ষড়যন্ত্র, দেখে নেবার হুমকি, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা, মিথ্যা দম্ভ।

- পলাশ সরকার

Engineer's Diary

07 Nov, 15:09


পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ করা এক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছাএলীগের প্রতিবাদ করতে পারি নাই বলে কি ছাত্রদলের প্রতিবাদ করতে পারবো না?

সাংবাদিক বলেন, ছাত্রদল তো হলে পোস্টার লাগায় আর ছাত্রলীগ তো আপনাদের লাগাতো। দুইটা কি এক হলো?

©️ Monirul Islam Shohag

Engineer's Diary

06 Nov, 11:33


লীগের পেজে ট্রাম্পের জয়ের ক্যাপশনে লিখেছে ধর্মীয় উগ্রবাদ বন্ধ হোক 😂😂

Engineer's Diary

06 Nov, 05:52


চট্টগ্রামে পুলিশকে এসিড মারার ঘটনায় স্পষ্ট যে আক্রান্ত মুসলিম ব্যবসায়ীকে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিতেই সেখানে গিয়েছিল ইসকন ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।

ফলে এটি স্পষ্ট যে, পুলিশ ও সেনবাহিনী সময়মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে একটা বড় সাম্প্রদায়িক দাঙা লাগতো।

এখন কথা হলো ইসকন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন দাঙা লাগাতে চেয়েছিল।

কারণ দাঙা লাগলেই ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতি বিপ্লবী অভ্যুত্থান ও ভারতীয় হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হতো।

খেয়াল করে দেখুন ঘটনাটি ৫ নভেম্বর ঘটলো। আজ ৬ নভেম্বর। সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০তম দিন। সাংবিধানিকভাবে ৯০দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন দিতে না পারার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করার মোক্ষম সময়। এবং সংবিধান রক্ষার কথা বলে অভ্যুত্থান ঘটানোর মহা সুযোগ।

কিন্তু এটিতো স্পষ্ট যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একটু কঠোর হওয়াতেই সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। যা ষড়যন্ত্রকারীদের দুর্বলতা প্রকাশ করে দিছে।

তবে তারা একেবারে ব্যর্থ হয়নি। তাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে গেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মিডিয়া ইসকন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে ভিক্টিম হিসাবে তুলে ধরবে। আবার সরকারে থাকা দালালেরাও সুশীলতা করবে। মাঝখানে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যাগুরু মুসলমানদের আস্থা ও সমর্থন হারিয়ে দুর্বল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ল।

এখন আমাদের কথা হলো, জনগণ কি বুঝতে পারছে ইসকন আওয়ামী লীগ কী চায়? তারা দাঙা চায়, সঙ্ঘাত চায়। যদি এটি সবাই বুঝেই থাকে তাহলে আমাদের দায়িত্ব হলো সঠিক স্ট্রাটেজিতে এদের মোকাবিলা করা।

এই স্ট্রাটেজি হলো, ইসকন ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে কারো উস্কানিতে সঙ্ঘাতে না যাওয়া। এরা উত্তেজনা তৈরি করলেও চুপ থাকা। ধরেন এরা ইসলাম অবমাননা করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না দেখানো। বরং কয়েক দিন চুপ থেকে প্রতিবাদ করা। তাহলে দেখবেন এদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।

আরেকটা স্ট্রাটেজি হলো, কোনো বিতর্কিত ইউটুবার, ফেসবুকার, সংগঠনের কথায় মাঠে না নামা ও প্রতিক্রিয়া না জানানো। কারণ এরা হারু পার্টি ও হটকারি। এদের কথায় মাঠে নামলে ইসকন ও আওয়ামী লীগের মতলবই বাস্তবায়িত হবে।

মূলতঃ ইসলাম অবমাননা, সাম্প্রদায়িকতার ঘটনায় আইন আদালতের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে হবে। এভাবেই বছর দুই কাটতে দেন।

ওরা সফল হতে পারবে না।

- খোমেনি এহসান

Engineer's Diary

05 Nov, 23:08


বিএনপি একটা ভালো কাজ করেছে।

৭ ই নভেম্বর উপলক্ষে তারা র‍্যালি করছে ৮ ই নভেম্বর। শুক্রবার।

পাবলিকের দূর্ভোগের কথা ভেবে তারা যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে ধন্যবাদ।

তবে এই মুহুর্তে বিএনপির এইসব দিবস কেন্দ্রিক কর্মসূচিগুলোতে আরো স্মার্ট, আরো ডাইভার্ট, আরো নতুন কিছু করা উচিত।

তাদের এখন সবচেয়ে জরুরী যেটা তা হলো ইয়াংদেরকে টার্গেট করা।

বিএনপিকে বুঝতে হবে, তারা শেষবার নির্বাচনের মতো নির্বাচন করেছে ২০০৮ এ। (২০১৮ কে গোনায় ধরার কোন কারণ নেই)

এরপর ১৬ বছরে প্রায় ৩/৪ কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে।

বিএনপি না চেনে এদেরকে ভালো করে, এরাও না চেনে বিএনপিকে ভালো করে।

এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হয়তো শহীদ জিয়া তো দূরের কথা বেগম খালেদা জিয়াকেও ভালো করে জানে না।

এদের কাছে রিচ করাটাই এখন বিএনপির প্রধান দায়িত্ব।

কিন্তু এসব গৎবাঁধা মিছিল টিছিল দিয়ে এদেরকে খুব একটা রিচ করা যাবে কি?

যেখানে এই জেনারেশন জানেই না ৭ ই নভেম্বর কী, কেন, কীভাবে এলো... সেখানে একটা র‍্যালি দিয়ে এদেরকে কি ৭ ই নভেম্বর বোঝানো যাবে?

আর র‍্যালিতে যারা আসবে তারা তো পদের লোভে। আসবে। কর্মীরা আসবে।

আপামর সাধারণ ইয়াং জেনারেশন তো আসবে না।

সেদিন আমি মোবাইল স্ক্রল করতে করতে একজন বড় নেতার সংসদে দেয়া একটা বক্তৃতার পুরোনো একটা ভিডিও দেখছিলাম।

সেটা দেখে আমার ছেলে পাশ থেকে বলে উঠেছে, এই লোকটার সমস্যা কী? এইভাবে কথা বলছে কেন? ক্রিঞ্জ।

এই জেনারেশন কিন্তু আমাদের মতো না।

এরা ফালতু কথা কম বলে, ফালতু কথা কম শুনে। এরা চায় টু দি পয়েন্ট কথা।

কারণ এদের হাতে অনেক অপশন- মোবাইল, কম্পিউটার, ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হাতে যেহেতু অপশন বেশি, তাই এদের হাতে সময়ও কম।

তিন সেকেন্ডের মধ্যে এদের এটেনশন গ্র‍্যাব করতে হয়৷ তা না হলে জাস্ট একটা আঙ্গুলের ছোয়ায় এরা অন্য অপশনে চলে যায়।

এদেরকে টার্গেট করতে হলে বিএনপিরও এখন যা করা দরকার মার্কেটিং এর ভাষায় একে বলে ব্র‍্যান্ড রি-লঞ্চ।

আর এই ব্র‍্যান্ড রিলঞ্চ করার জন্য বিএনপির জন্য সেরা দিনটি ছিলো ৭ ই নভেম্বর। তারা সেটা মিস করে ফেললো।

৭ই নভেম্বরকে নিয়ে ম্যাসিভ একটা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন দরকার ছিলো।

নতুন একটা গান লঞ্চ করা যেতো।

'প্রথম বাংলাদেশ আমার জীবন বাংলাদেশ' গান দিয়ে এই জেনারেশনের কাছে কতদূর পৌছানো যাবে আমি শিওর না।

এরা পছন্দ করে 'দেশটা তোমার বাপের নাকি?' কিংবা 'আওয়াজ ওঠা' টাইপ র‍্যাপ গান।

বিএনপি এদের জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কনসার্ট করতে পারতো।

হাতিরঝিলে একটা মিনি ম্যারাথন করতে পারতো।
(ইদানীং পোলাপানের মাঝে এই ম্যারাথন জিনিসটা বেশ পপুলার হয়েছে।)

আরো অনেক কিছু করা যেতো।

সিরিয়াসলি আমি ভেবেছিলাম এবছর ৭ ই নভেম্বরে বিএনপি ব্যাপক ধামাকা কিছু করবে। যে ধামাকা ইয়াং জেনারেশনকে গুগলে ঢুকে 'History of 7th November' লিখে সার্চ করাতে বাধ্য করবে।

হ্যা, ওদেরকে ইতিহাস বক্তৃতা দিয়ে শেখানো যায় না। ওদের মাঝে গুগলে সার্চ করার আগ্রহটা জাগাতে হয়, ব্যস। বাকীটা ওরা নিজেরাই জেনে নেয়।

কিন্তু হতাশ হয়ে দেখলাম তারা কেন জানি আগের মতো গৎবাঁধা কর্মসূচিতেই আটকে আছে।

নতুন কিছু ভাবার, নতুন কিছু করার লোক কি বিএনপিতে নাই?

ফ্রি_এডভাইস_লেনা_হে_তো_লো_নেহি_তো_জানে_দো 😛

- যোবায়েদ আহসান

Engineer's Diary

05 Nov, 22:23


Savoy Ice Cream নামের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন পদে ভাইবা দিতে আসা যারা সিলেক্ট হয়নি তাদের ভাইবা শেষে এই খামটি হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। এই নিউজটা আমাকে সত্যিই স্বস্তি দিয়েছে।

একজন বেকার যুবক পরীক্ষা দিতে আসা যাওয়ার টাকা ম্যানেজ করতে হিমশিম খায়। অনেকে খুব কষ্টে পরীক্ষা দিতে এসে চাকরী না পেলে অনেক কষ্ট পায়।

Savoy Ice Cream এই কোম্পানিটির HR Practice সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করলো। দেশের প্রত্যেকটা কোম্পানি কিছুটা হলেও বেকারদের সাহায্য করা উচিত।

You deserve respect Savoy Ice Cream.

#interview #jobexam #job

Engineer's Diary

05 Nov, 22:23


সকালে থেকে তো অনেক সমালোচনা দেখলাম! এবার ভালো কাজগুলোকে ও তুলে ধরতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাবলীগের সদস্যরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার করছেন দায়িত্ব নিয়ে।

সাময়িক জনদুর্ভোগের ব্যাপারটি দৃষ্টিগোচর হলে তাবলীগ জামায়াতের সমর্থকরা দুপুরের মাঝে সভাস্থল ত্যাগ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যাওয়ার পূর্বে তারা বিভিন্ন স্থানে ফেলা বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেন। বিকালের মধ্যে ক্যাম্পাস ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ধন্যবাদ, প্রিয় আলেমসমাজকে!

- মসিউর রহমান

[HSC 22/23 আমাদের writing টিমে জয়েন করতে আবেদন করো এই লিংকে https://edy.pw/cmpscntr ]

Engineer's Diary

05 Nov, 22:20


মীর মুগ্ধর ভাই কেন বিদেশে গেছে, এ নিয়ে দেখলাম দেশবাসীর ঘুম হারাম। নিজের আপন ভাই মারা গেলে কে কি করতো সেটাই মুগ্ধর ভাইয়ের কাছে বয়ান করছেন একেকজন। একজন বললেন উনার ভাই মারা গেলে তিনি কিছুতেই এক বছরের আগে বিদেশে যেতেন না। উনার কথা প্রমান করার সুযোগ করে দেয়া যায়না?
আরেকজনের দাবি, ভাইকে "বিক্রি করে" সরকারি, বেসরকারি সংস্থা থেকে টাকা পেয়ে সে বিদেশে গেছে।
স্নিগ্ধ বেচারা স্টেটমেন্ট দিতে বাধ্য হয়েছে যে ওদের পরিবার কারোর কাছ থেকেই একটা টাকা সাহায্য নেয় নাই।
কিন্তু কে শুনে কার কথা! কমেন্ট করেই যাচ্ছে।
ইন্টারনেটের দুনিয়া। টাকা নিয়েছে কি নেয়নি, সেটা অতি সহজেই প্রমান করা সম্ভব। কিন্তু পাবলিক সেদিকে না গিয়ে ও কেন ভাইয়ের সাথে এখনও কবরে শুয়ে পড়ে নাই, সেটা নিয়েই ব্যস্ত।

এদিকে আরেকদল লোক মেতে আছে একটা সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী কিভাবে বেশ কিছু আইফোন, ইউরো ও ডলার ছাড়াও দেড় কোটি টাকা নগদ জমিয়েছে তা নিয়ে।
আমি বুঝলাম না এতেও লোকে এত হাউকাউ করছে কেন! মহিলাতো বলেছেনই, বাজার থেকে দশ-বিশ টাকা জমিয়ে জমিয়ে তিনি এত টাকা জমিয়েছেন। জীবনেও দশ টাকারও দুর্নীতি করেন নাই।
মানে ভদ্রমহিলা যদি দৈনিক তিরিশ টাকা করে জমান, তাহলে দেড়কোটি টাকা জমাতে উনার মাত্র তেরো হাজার সাতশো বছর লাগবে। এতে অবাক হওয়ার বা অবিশ্বাস করার কি আছে? উনি গত তের হাজার বছর ধরে টাকা জমিয়েছেন। পাবলিকেরই স্বভাব নষ্ট। সব কিছুতে বিরোধিতা করতেই হবে। সব ভাইরাল হওয়ার ধান্দা!

- মানযুর চৌধুরী

Engineer's Diary

05 Nov, 08:01


সচিবের বউ বললো ১০/২০ টাকা বাজার থেকে রেখে উনি ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জমিয়েছে। এভারেজ ১৫ টাকা করে প্রতিদিন জমালে সময় লাগে প্রায় ২০০০ বছর। উনি কি তাহলে ঈসা নবীর উম্মত?

- সৌরভ আহমেদ

Engineer's Diary

04 Nov, 13:38


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিটিং রুমে ঐতিহ্যগতভাবে সব সাবেক মন্ত্রীদের ছবি রাখে।

সেখানে এজন্য হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানের ছবি আছে।

তবে এই প্রথা ভেঙেই এদের ছবি সরাতে হবে।

Engineer's Diary

04 Nov, 13:23


সন্ধ্যার পর মোহাম্মদপুর গেলাম। নূরজাহান রোডে যাবার পর একটা কমবয়সী ছেলে পাশাপাশি হাঁটা শুরু করল। কাঁধে হাত দিয়ে বলল, আজকে গরমটা একটু বেশি, না ভাই?
আমি আগ বাড়াইয়াই বললাম, ভাই সাইডে যাব নাকি হাঁটতে হাঁটতেই কাজ সেরে ফেলবেন?

ছেলেটা বলল, আপনি দেখি বুদ্ধিমান লোক। ক্লায়েন্টরা বুদ্ধিমান হলে জবে আরাম আছে। যাই হোক, সাইডেই আসেন। সাইডে নিয়ে যাওয়া আমাদের মোহাম্মদপুরের ঐতিহ্য।

আমি রাস্তার সাইডে গেলাম। সে তার পকেটে হাত দিল। আমি বললাম, ভাই বুঝতে পারছি ছুরি দেখাবেন। আপনার প্রতি বিশ্বাস আছে। দেখানোর দরকার নাই। এমনিই দিয়ে দিচ্ছি।

ছেলেটা বলল, বাহ ভাই! আপনি তো মহান মানুষ। যাই হোক, ছুরি দেখানোও আমাদের ঐতিহ্য। ঐতিহ্যকে সম্মান করা উচিত।

সে ছুরি বের করে আমার পেটে ধরল। আমি ততক্ষণে মানিব্যাগ বের করে ফেলেছি। তাও সে দাঁত খিঁচিয়ে বলল, খা*কির পোলা যা আছে সব বাইর কর।
আমি অবাক হয়ে বললাম, আমি তো বের করেই রেখেছি। হুদাই গালি দিচ্ছেন কেন?
ছেলেটা আমার হাত ধরে বলল, ভাই এইটাও ঐতিহ্য। ছিনতাই আমাদের কাছে ইবাদত। আর গালি দেয়াটা এক ধরনের দোয়া বা নিয়ত বলতে পারেন। স্যরি কিছু মনে করিয়েন না ভাই। এখন জিনিস তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন। আপনার ফাইলের কাজ শেষ হলে আমরা চা খাব। আপনাকে ক্লায়েন্ট হিসেবে আমার অনেক পছন্দ হইছে।

নাভির উপরে ছুরির খোঁচা খেয়ে নির্ভার থাকা কঠিন। আমি দ্রুত মানিব্যাগ ও ফোন তার হাতে দিয়ে দিলাম। সে কেবল হাতে নিয়েছে এমন সময় দেখি একজন পেছন থেকে তার কলার ধরল। কলার টেনে ফিরিয়েই দিল এক থাপ্পড়।

থাপ্পড় দেয়া লোকটা মধ্যবয়সী। উনি চিৎকার করে বললেন, "শু*রের বাচ্চা, তুই আবার এই কাজ করতেছিস? কতদিন বলছি এসব ভুল করবি না। বাপের কথা শুনতে ভালো লাগে না? তোকে আমি থানায় দেব।"

ছেলেটা তখন অনুনয় বিনয় করে বলছে, আর ভুল হবে না আব্বা। আমি আর কোনোদিন এসব করব না। আজকের মতো মাফ করে দাও।

আরো কয়েকটা থাপ্পড় ও দুইটা লাত্থি মেরে ছেলেটাকে দৌড়ে পালিয়ে গেল। এসব ঝামেলার ফাঁকে ছেলের হাত থেকে মানিব্যাগ ও ফোন পড়ে গিয়েছিল। আমি সেগুলো তুলে হাতে নিয়ে নিলাম। ভদ্রলোকের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মন ভরে গেল আমার। এমন বাবা এখনো আছে? একদম হাতেনাতে বিচার আমি এই প্রথম দেখলাম।

আমি বললাম, আংকেল আপনি অনেক ভালো মানুষ। আপনি এখন যা করলেন এটা খুব কম মানুষই করে।

ভদ্রলোক বললেন, আরে ওর বিচার তো শেষ হয়নি এখনো। বাসায় ফেরার পর খবর আছে ওর। এবার না শোধরালে থানায় দেব। আমার একটা নীতি আছে। নীতি মানলে আমার ঘরে থাকবে নইলে সোজা থানা।

আমি আরেকবার অভিভূত হলাম। পায়ে ধরে সালাম করতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু মহান মানুষটা তাতে বিব্রত হয় কিনা ভেবে করা হলো না। আমি বিনয়ের সাথে বললাম, আপনার কথা আমার আজীবন মনে থাকবে আংকেল। থ্যাংক ইউ। এখন যাই। জরুরি কাজ আছে।

আমি ফোন ও মানিব্যাগ পকেটে ঢুকাব, উনি আমার হাত ধরলেন। তারপর বললেন, ফোন মানিব্যাগ নিয়ে কই যাও বাবা? এইগুলা দিয়ে দাও।

আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, কী বলছেন আংকেল? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। একটু আগে বিচার... মানে...

আংকেল হাসতে হাসতে বললেন, আসলে এখন যাকে দেখলেন সে আমার ছোট ছেলে। আমার ছেলে মোট তিনজন। ছিনতাইয়ের জন্য তাদের এলাকা ভাগ করা আছে। নূরজাহান রোড আমার বড় ছেলের আন্ডারে। ছোটটার শের শাহ রোড। ছোট ছেলেটা বেশি লোভ করে এখানে চলে এসেছিল। আমি বেঁচে থাকতে এক ভাইয়ের ব্যবসায় আরেকজন হাত ঢুকাবে এটা তো হয় না।

আমি মুখ হা করে দাঁড়িয়ে রইলাম।

আংকেল বললেন, তোমার জিনিসগুলা উদ্ধার করে বড়টাকে দিয়ে দেব। বাবা হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। ছোট ছেলেটা তোমাকে একবার ছুরি দেখাইছে। আমারও কি আবার দেখাইতে হবে বাবা? প্লিজ বাবা কোনো ঝামেলা করিও না...খা*কির পোলা।

- জয়নাল আবেদিন

[HSC 22/23 আমাদের writing টিমে জয়েন করতে আবেদন করো এই লিংকে https://edy.pw/cmpscntr ]

Engineer's Diary

30 Oct, 20:09


বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন একই নামে আছে?

Engineer's Diary

30 Oct, 17:29


বেরোবির পাঠ্যক্রমে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত

Engineer's Diary

30 Oct, 17:07


সাগর দাপিয়ে বেড়ানো রণতরি বা এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার কিছু উপরিভাগ দেখলেও আমরা এর ভিতরের এবং নিমজ্জিত অংশের ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না । চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু:

ফ্লাইট ডেক: ফ্লাইট ডেক হল জাহাজের শীর্ষে অবস্থিত বিস্তৃত, সমতল পৃষ্ঠ যেখানে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ করে। এটি শক্তিশালী উপাদান দিয়ে নির্মিত এবং এটি অত্যাধুনিক আটকানোর যন্ত্র দ্বারা সজ্জিত, যা দ্রুত আগত বিমানগুলোকে নিরাপদে থামাতে সহায়তা করে।

হ্যাঙ্গার ডেক: ফ্লাইট ডেকের ঠিক নিচে অবস্থিত, হ্যাঙ্গার ডেক একটি বড়, আবদ্ধ এলাকা যেখানে বিমান সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এই স্তরটি বিমান এবং ফ্লাইট ডেকের মধ্যে পরিবহনের জন্য উত্তোলন যন্ত্র দ্বারা সজ্জিত, যা কার্যকরী অপারেশনকে সহজ করে।

প্রোপালশন সিস্টেম: প্রোপালশন সিস্টেম বিমানবাহী জাহাজকে চালিত করে, যাতে এটি পানিতে নেভিগেট করতে পারে। এটি সাধারণত বড় ডিজেল ইঞ্জিন বা গ্যাস টারবাইন সহ একাধিক প্রোপেলার নিয়ে গঠিত, যা প্র所্ট গতি এবং নেভিগেশন ক্ষমতা প্রদান করে।

রক্ষনাবেক্ষণ সিস্টেম: সম্ভাব্য হুমকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, বিমানবাহী জাহাজে বিভিন্ন রক্ষনাবেক্ষণ সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত থাকে। এগুলোর মধ্যে অগ্রিম রাডার সিস্টেম, বিমান-বিধ্বংসী মিসাইল, এবং নিকটবর্তী প্রতিরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের বন্দুক অন্তর্ভুক্ত।

আবাসন: একটি ভাসমান শহরের মতো, বিমানবাহী জাহাজকে তার ক্রুদের জন্য বসবাস এবং কাজের স্থান প্রদান করতে হবে, যা হাজার হাজার হতে পারে। আবাসনে ঘুমানোর স্থান, খাবারের সুবিধা, মেডিকেল সেন্টার এবং বিনোদন এলাকা অন্তর্ভুক্ত, যা দীর্ঘ মিশনে কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
মোটের ওপর, ফ্লাইট ডেক, হ্যাঙ্গার ডেক, প্রোপালশন সিস্টেম, রক্ষনাবেক্ষণ সিস্টেম এবং আবাসন বিমানবাহী জাহাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলি একসঙ্গে বিমানগুলি সফলভাবে লঞ্চ এবং পুনরুদ্ধার করতে, হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দিতে এবং ক্রুর প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করে, যা এটিকে নৌবাহিনীর অপারেশনে একটি অপরিহার্য সম্পদ তৈরি করে।

Engineer's Diary

30 Oct, 13:28


বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয় ১৯৬৭ সালে। ড. সুরত আলী খান নতুন বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের প্রকল্পপ্রধান ছিলেন। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখে। প্রথম উপাচার্য হিসাবে ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ দেন অধ্যাপক ড. মফিজউদ্দিন আহমদ।নভেম্বর মাসে ছাত্রভর্তি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। তার আগের সপ্তাহে ৪ জানুয়ারি থেকে ১৫০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে ক্লাস শুরু হয়।

১৯৭৩ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।[৯] ঢাকা শহরের মুঘল আমলের নাম "জাহাঙ্গীরনগর" থেকে এই নামকরণ করা হয়। প্রথম ব্যাচে ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে ৪ টি বিভাগ চালু হয়; বিভাগগুলো হচ্ছে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত এবং পরিসংখ্যান।

বিভিন্ন সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত কবি সৈয়দ আলী আহসান, লোকসাহিত্যবিদ মজহারুল ইসলাম, লেখক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আ ফ ম কামালউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, আলাউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়, লেখক হায়াত্‍ মামুদ,নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ইতিহাসবিদ বজলুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে পুরোদমে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ক্রমে বিভাগের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে দুইটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা করলেও পরের বছর কলা ও মানবিকী অনুষদ খোলা হয়। আইন অনুষদের অধীন আইন ও বিচার বিভাগ ২০১১ সালে পদচারনা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যক্রম শুরু করে।

Engineer's Diary

29 Oct, 15:02


চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী থেকে অন্তত ১৬টি জেলা থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুর যাবার কোন রাস্তা নাই। সব ট্রাফিক ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুট দিয়ে যায়। সায়েদাবাদ-মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, বনশ্রী-স্টাফকোয়ার্টার এসব রোড এয়ারপোর্ট গামী, আন্তঃজেলা যাত্রী এবং বিশেষভাবে পণ্য ও মালবাহী পণ্যের জন্য অনুপযুক্ত। সবগুলা রোড রামপুরা ব্রিজে এসে সিংগেল পয়েন্ট অফ ফেইলিউরে পড়ে। ঠিক এই জায়গায় এসে বনশ্রী, আফতাব নগর, মহানগর প্রজেক্টের এন্ট্রান্স। এখানে আছে তিনটি বড় বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। রামপুরা ডিআইটি রোড বাড্ডায় এসে সব রুটের ব্লকেড পয়েন্ট। উপরন্তু এই রাস্তাগুলো নিজেরাই শহরের অভ্যন্তরীণ গাড়ির ভারে বিপর্যস্ত।

প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা এয়ারপোর্ট ট্রাফিককে নগর ট্রাফিক থেকে আলাদা করার পরিকল্পনা হবে কি? উপরন্তু বাণিজ্যিক রাজধানী চট্রগ্রাম, নৌ বন্দর ও শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জকে দেশের অন্য শিল্প এলাকা টঙ্গী/গাজীপুরের সাথে সংযোগের সড়ক নিয়ে পরিকল্পনা কি? এসব জঞ্জাল এভাবেই থাকবে? ১/১১ সিভিল সরকার ঢাকার ভিতরে দুটা নতুন সড়ক বের করেছে (প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে থেকে আইডিবি, বনানী-১১)। বর্তমান সরকারকেও নিউ রোড, নিউ রেল এবং নৌপথ নিয়ে ভাবতে হবে।

যেখানে বিকল্প সহ একাধিক ডেডিকেটেড সড়ক নেটওয়ার্ক দরকার সেখানে ঢাকার নিজস্ব ট্রাফিকে বিপর্যস্ত রাস্তায় বিমানবন্দর ট্রাফিক, শিল্প অঞ্চলের পণ্য ও যাত্রী ট্রাফিক মেলানোর বিষয়ে আর কত চুপ থাকা হবে?

আমরা কি এই বিকল্প সড়কের এলাকায় অঞ্চলে গড়ে ওঠা আবাসন ব্যবসায়ীদের ইচ্ছার কাছে, যদি ও খাল দখলকারীদের ইচ্ছার কাছে পরাস্ত থেকে যাব?

উপরন্তু মেট্রো রুট গুলোকে ঢাকার একাধিক প্রবেশ পথের আন্তঃসংযোগে রিডিজাইন করা লাগবে। কাজটা এখনই করুন প্লিজ।

ঢাকায় কোন খরচে মডার্ণ ট্রাম ও বৈদ্যুতিক ট্রাম বাস নিয়ে ভাবুন।

ঢাকায় সাকসেসফুল ও সাশ্রয়ী ট্রান্সপোর্ট মডেল করা গেলে চট্রগ্রামেও সেসব নেয়া যাবে।

ঢাকার জলপথ ব্যবহার করে সোনারগাঁও থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত নৌ রুট রি-ডিসকভার করাও সম্ভব।

ঢাকার সার্কুলার নৌ পথ নিরাপত্তার কারণে একটিভ করা যায়নি, বিকল্প বাস রুটের দৌরাত্বে সচল করা যায়নি। এসব নিয়ে কাজ করার আছে।

ঢাকার প্রবেশ পথ গুলোকে সাধারণ সার্কুলার ট্রেনে কানেক্ট করা সম্ভব।

ঢাকার অভ্যন্তরীন ট্রাফিক, আন্তঃজেলা মালবাহী যাত্রীবাহী কমিউটেশনের ঢাকা বাইপাসের সড়ক এবং ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক নিয়ে এক্সপার্টদের সাথে আলোচনা টেবিলে বসুন। বিদ্যমান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক কিছু করা সম্ভব।

প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং ভিশন দরকার। সমাধানের পথ কিন্তু এখনও আছে। অনেকেই এগুলা চোখে দেখে না।

- ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

Engineer's Diary

29 Oct, 12:32


সাধারণ মানুষের প্রতি বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনে বক্তৃতা, যুক্তি, মানুষ এবং বিশেষত বাচ্চাদের স্বরভঙ্গি ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই দুর্বলতার কাছাকাছি, যেন দর্শক এক ছোট বাচ্চা বা তার মানসিক ভাবে ঘাটতি রয়েছে।

দর্শককে প্রতারিত করার জন্য একজন যতই বেশি চেষ্টা করে, ততই সে তাকে শিশু হিসেবে উপস্থাপন করার পদ্ধতি অবলম্বন করে।

কেন?

“যদি কোনো ব্যক্তি কারো কাছে গিয়ে তাকে মাত্র ১২ বছর বয়সী বা তার চেয়ে ছোট শিশু গণ্য করার ভাব দেখায়, তখন যার কাছে যাওয়া হয়েছে সেই মানুষটিও নিজের অজান্তেই নিজেকে শিশুই ভাবা শুরু করে এবং কোনো বিচার-বিবেচনামূলক প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৬. বুদ্ধির চেয়ে আবেগের দিকটি বেশি ব্যবহার করা

যুক্তিসঙ্গত বিশ্লেষণে শর্ট সার্কিট তৈরির জন্য আবেগের অস্ত্র ব্যবহার করা একটি ক্ল্যাসিক কৌশল। যার মাধ্যমে ব্যক্তির সমালোচনামূলক বোধকেও দাবিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়া আবেগের ব্যবহার করে অবচেতন মনের দরজা খুলে তাতে নানা ধারণা, আকাঙ্ক্ষা, ভয় এবং উদ্বেগ, অযৌক্তিক আচরণের তাড়না বা প্ররোচনার বীজ বপণ করে দেওয়া হয়।

৭. জনগণকে অজ্ঞ ও জ্ঞানগতভাবে অবিকশিত অবস্থায় রাখা

নিয়ন্ত্রণ ও দাসত্বের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও পদ্ধতির বুঝ সম্পর্কে জনসাধারণকে অজ্ঞ করে রাখা। “সমাজের নিচুতলার মানুষদেরকে দেওয়া শিক্ষার মানও নিচু করে রাখা, যাতে নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে জ্ঞানের যে পার্থক্য আছে, তা অতিক্রম করা নিম্ন শ্রেণীর পক্ষে সবসময়ই অসম্ভব হয়েই থাকে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

৮. মাঝারি মান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে জনগণকে উৎসাহিত করা

জনগণকে বিশ্বাস করতে প্ররোচিত করা যে, সত্য হলো বোকা, অশ্লীল এবং অশিক্ষিত…।

৯. নিজেকে দোষ দেয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা

জনগণের মধ্যে তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য তাদের নিজেদের বুদ্ধিমত্তার ব্যর্থতাকে, তাদের সক্ষমতা এবং তাদের প্রচেষ্টাকে দোষ দেওয়ার প্রবণতাকে শক্তিশালী করা। সুতরাং, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিবর্তে জনসাধারণ অসহায়ত্ব এবং অপরাধবোধে নিমজ্জিত হয়ে যায়, যা হতাশার সৃষ্টি করে, যার প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল তার মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা সৃষ্টি করা। আর সক্রিয়তা ছাড়া কোনো বিপ্লব হয় না!

১০. লোকে নিজেকে যতটা জানে, তার চেয়েও তাকে বেশি জানা

গত ৫০ বছরে অ্যাকসিলারেটেড সায়েন্সে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তার ফলে জনসাধারণের জ্ঞান এবং ক্ষমতাবান অভিজাতদের জ্ঞানের মধ্যে এমন এক ফারাক তৈরি হয়েছে, যা উত্তোরত্তর বেড়ে চলেছে। জীববিজ্ঞান, স্নায়ুজীববিজ্ঞান এবং প্রায়োগিক মনোবিজ্ঞানের দরুন এই সিস্টেম শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক থেকে মানবসত্তার এক দারুণ এবং উন্নত বুঝ অর্জন করেছে। এই সিস্টেম সাধারণ মানুষকে তাদের নিজেদের চেয়ে বেশি চেনে, বোঝে এবং জানে।

এর অর্থ হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, সিস্টেমটি ব্যক্তির ওপর ব্যক্তির নিজের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

- খন্দকার জাবেদ জিলানি

Engineer's Diary

29 Oct, 12:32


নোম চমস্কি—মিডিয়ার মাধ্যমে “মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার ১০টি কৌশল”

এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, নির্বুদ্ধিতাকে উৎসাহিত করা, অপরাধবোধ তৈরি করা, বিভ্রান্ত করা বা মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া এবং কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে এরপর যাদুকরি ভাবে সেগুলির সমাধান প্রস্তাব করা।
বিশ্বখ্যাত সমালোচক, এমআইটি’র আজীবন ভাষাতত্ত্ববিদ ও গত এক দশকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিন্নমতের অন্যতম সেরা কণ্ঠ নোম চমস্কি মিডিয়ার মাধ্যমে কারসাজি করে গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মন ও মগজ নিয়ন্ত্রণের ১০টি কমন কৌশলের তালিকা করেছেন।

ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যায়, গণমাধ্যম জনমত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। মিডিয়ার নানা ধরনের লেখালেখি ও প্রচারণার ফলে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে, অন্যায্য যুদ্ধ ন্যায্যতা পেয়েছে, অর্থনৈতিক মন্দা গোপন হয়েছে, নানা আদর্শিক আন্দোলন অনুপ্রেরণা পেয়েছে, এমনকি গণমাধ্যম সামষ্টিক চেতনায় বাস্তবতার উৎপাদক হিসাবেও কাজ করেছে।

কিন্তু নিজেদের অজান্তে আমরাও অংশ নেই, এমন মনস্তাত্ত্বিক টুলগুলি বোঝার জন্য সবচেয়ে কমন কৌশলগুলি আমরা কীভাবে শনাক্ত করব?

সৌভাগ্যক্রমে, চমস্কি নিজেই তার কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। তিনি এই প্র্যাকটিসগুলির সংশ্লেষণ এবং মুখোশ উন্মোচন করেছেন। এসবের কিছু আছে খুবই স্পষ্টভাবে বোঝা যায় এবং কিছু আছে গোপন। তবে সবগুলিই সমানভাবে কার্যকর এবং বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হীনকরও বটে।

এসব কৌশলের মধ্যে রয়েছে, নির্বুদ্ধিতাকে উৎসাহিত করা, অপরাধবোধ তৈরি করা, বিভ্রান্ত করা বা মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া এবং কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে এরপর যাদুকরি ভাবে সেগুলির সমাধান প্রস্তাব করা।

১. মনোযোগ ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া

জনসাধারণের মন ও মগজ নিয়ন্ত্রণের একটি মৌলিক কৌশল হল বিভ্রান্তির কৌশল বা মানুষের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার কৌশল।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনবরত সংবাদ প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অভিজাতরা নিজেদের স্বার্থে যেসব পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, সেগুলি থেকে জনগণের নজর ভিন্নদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এই কৌশলে।

বিজ্ঞান, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান এবং সাইবারনেটিক্সের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের প্রতি জনগণের আগ্রহ প্রতিরোধ করার জন্যও মনোযোগ বিক্ষিপ্ত করার এই কৌশল ব্যবহার করা হয়।

“জনসাধারণের মনোযোগ সত্যিকারের সামাজিক সমস্যা থেকে দূরে সরে গেছে, প্রকৃতপক্ষে কোনো গুরুত্ব নাই এমন জিনিস নিয়ে তাদেরকে ব্যস্ত রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে ব্যস্ত, ব্যস্ত, ব্যস্ত, ভাবার সময় নাই, খামার এবং অন্যান্য প্রাণীদের কাছে ফিরে যাও এমন ভাবে রাখতে হবে।” (Silent Weapons for Quiet War বইয়ের একটি উদ্ধৃতি)

২. সমস্যা সৃষ্টি করে সমাধান প্রস্তাব করা

এই পদ্ধতিকে ‘সমস্যা-প্রতিক্রিয়া-সমাধান’ পদ্ধতিও বলা হয়।

এই পদ্ধতিতে একটি সমস্যা তৈরি করা হয় এমন একটা ‘পরিস্থিতি’ তৈরি করে, যা জনসাধারণের মধ্যে কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, সুতরাং আপনি যে পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে চান সেসবের মধ্যে এটিই প্রধান। উদাহরণস্বরূপ: শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে যেতে ও তা তীব্রতর হতে দেওয়া বা রক্তাক্ত হামলার ব্যবস্থা করা, যাতে জনগণ নিজেরাই তাদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিরাপত্তা আইন এবং নীতি বাস্তবায়নের আবেদন জানায়। অথবা, অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে দরকারি মন্দকাজ হিসেবে সামাজিক অধিকার এবং সরকারের জনসেবামূলক কর্মসূচী স্থগিত করার প্রেক্ষাপট তৈরি করা।

৩. ধীরে ধীরে গ্রহণ করানোর কৌশল

অগ্রহণযোগ্য জিনিসকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সেটি ধীরে ধীরে একটানা কয়েক বছর ধরে প্রয়োগ করা। এই কৌশলেই মূলত ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা (নিওলিবারেলিজম) আরোপ করা হয়েছিল, যার বৈশিষ্ট্যগুলি হলো—রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ শিথিল, বেসরকারিকরণ, অনিশ্চয়তা, নমনীয়তা, ব্যাপক বেকারত্ব, কম মজুরি এবং ভাল আয়ের গ্যারান্টি না থাকা।

ধীরে ধীরে এতগুলি পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছিল বলে আমাদের চোখে লাগে নি। কিন্তু সেগুলি যদি একবারে প্রয়োগ করা হতো, তাহলে তা একটি বিপ্লব হিসেবে গণ্য হত।

৪. সময়ক্ষেপণ কৌশল

কোনো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করানোর আরেকটি উপায় হলো সেটিকে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন না করে ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের কথা বলা এবং ভবিষ্যতের জন্য ‘বেদনাদায়ক ও প্রয়োজনীয়’ হিসাবে উপস্থাপন করা।

তাৎক্ষণিক ভাবে জবাই হওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার বদলে ভবিষ্যতের উৎসর্গ মেনে নেওয়া সহজ।

প্রথমত, কারণ তাৎক্ষণিকভাবে তা ব্যবহার করা হয় নি। তারপরে, জনসাধারণ, জনগণের মধ্যে সবসময় নির্লিপ্ত ভাবে এই প্রত্যাশা করার প্রবণতা আছে যে, ‘আগামিকাল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে’ এবং যে ক্ষতি প্রয়োজন, তা হয়তো এড়ানো যাবে।

এই কৌশলের মাধ্যমে জনসাধারণকে পরিবর্তনের ধারণায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয় এবং যখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় আসে, তখন বিনা প্রতিরোধে গ্রহণ করার জন্য মানসিকভাবে তৈরি করা হয়।

৫. অবুঝ শিশু হিসেবে জনসাধারণের কাছে যাওয়া

Engineer's Diary

29 Oct, 12:02


আমি জাস্ট চিন্তা করি একটা মানুষ কী পরিমাণ প্যাথলজিক্যাল লায়ার হতে পারলে তার প্রতিটা কাজে বিশুদ্ধ ভণ্ডামি আর নির্ভেজাল মিথ্যাচার মিশে থাকতে পারে - এমনকি যেখানে সেগুলোর আদৌ কোনো প্রয়োজনই নেই!

খেয়াল করেন, ছবিতে চিতল মাছটার ওজন কমপক্ষে ৫-৬ কেজি তো হবেই; হয়তো এরচেয়েও আরো বেশি।
অথচ যে বরশীটা দিয়ে মাছটা ধরার সস্তা মেলোড্রামাটা করা হয়েছে সেটা কতো হালকা - বড়জোর পুঁটিমাছ অথবা কইমাছ ধরা যাবে। আবার যেই লেক থেকে এই মাছ ধরার নাটক করা হচ্ছে, এমন লেকে এই জাতের চিতল মাছের চাষ করাও সম্ভব না।

অথচ তাকে নাটক করতেই হবে...

- তারেক হাসান রুদ্র

Engineer's Diary

29 Oct, 11:14


এই পতাকার ডিজাইন এল-কায়িদার সাথে মিলে। এটা ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে টানানো হয় কিছু পোলাপাইনের অতি উৎসাহে।

অধ্যক্ষ সাহেব নামানোর ব্যবস্থা করেন। অনেকের মতো হয়তো তিনিও মনে করেছেন— এটি জটিলতা বাড়াবে। এখন একটা স্মুদ ট্রানজিশন প্রসেসে আছে দেশ।

এটাকে কেন্দ্র করে কিছু পোলাপাইন অধ্যক্ষকে জোর করে পদত্যাগ করায়। তাকে ইসলামোফোব আখ্যা দেয়। অথচ পতাকার সাথে এল-কায়িদার পতাকার সাদৃশ্য আছে এবং অযথা ঝামেলা ডেকে আনতে পারে।

এখন এই পতাকা নিয়ে যারা ভিন্ন মত পোষণ করেন, যারা মনে করেন— লাল সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডে কালেমা না লিখে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে লেখাটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তারা যদি এদের ব্যাপারে প্রতিরোধী হয়, তাইলে কেমন হবে?

একটা বিশৃঙ্খলা হবে এবং এটাই চাওয়া হচ্ছে। সরকার কিন্তু এসব ইস্যুতে হার্ড লাইনে যাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। নিজেদের স্টুপিডিটির কারণে গ্রেফতার-রিমান্ডের শিকার হওয়ার পসিবিলিটি তৈরি করবেন না।

যদি কালেমাই ফোকাস হতো, তাহলে কালো ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করতে দ্বিধা হতো না আপনাদের। এরকম গো ধরে থাকতেন না।

যা বললাম সত্যি। ব্যাপক ক্র‍্যাকডাউনের শিকার হবেন। অন্তত তদন্তের স্বার্থেও গ্রেফতার-রিমান্ডের শিকার হতে পারেন, যেহেতু নিবর্তনমূলক আইনি ধারায় এই বিধান আছে।

এই আরকি।

- খালিদ মোহাম্মদ

Engineer's Diary

25 Oct, 04:52


৭৫ এরপর সংবিধান বাতিল না করায় ১৫ আগস্টের ২য় মুক্তির নায়কদের হারাতে হয়েছে।

এজন্য এই সংবিধান সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন সংবিধান লিখতে হবে, যাতে কোনো একটা অধ্যাদেশ বাতিল করে দিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে না যাওয়া যায়।

নাহলে ৫ আগস্টের জয়ীদেরকেও ১৫ আগস্টের পরিণতি নিতে হতে পারে।

Engineer's Diary

25 Oct, 03:10


লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়া আপাকে রাখা হয়েছে দিল্লীর 'লুটিয়েন্স' বাংলো তো।

বাস্তব মাঝে মাঝে কৌতুকের চেয়েও মজাদার।

😛

Engineer's Diary

25 Oct, 03:10


নানকের বক্তব্য শুনলাম। ঠান্ডা মাথায় অবলীলায় একের পর এক মিথ্যা বলে গেল। ২ হাজার মানুষকে হত্যা, ৩৫ হাজার মানুষকে আহত করা নিয়ে এদের বিন্দুমাত্র অনুতাপ নাই, অনুশোচনা নাই, সামান্য খেদও নাই।

কি ক্রুর মনোভাব! আওয়ামী লীগের এই আয়ডিয়োলজিটা ভয়ংকর। জার্মানির না-ৎ-সিদেরও এই ধরনের উগ্র মতাদর্শ ছিল না।
Mir Salman samil

Engineer's Diary

25 Oct, 03:04


প্রথম আলো র যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান একটি দুষ্টু মন্তব্য করেছে। সে লিখেছে, ৭ মার্চের ভাষণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমণ্বয়কদের পক্ষ থেকে এই লেখার প্রতিবাদ জানানো উচিত।

Engineer's Diary

24 Oct, 16:23


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে আমার পরিচয় হয় মাস্টার্সে পড়া এক বড় ভাইয়ের সাথে। উনার নাম শামীম (ছদ্মনাম)! খুবই আন্তরিক মানুষ। আমাকে স্নেহ করতেন অনেক। বিকেলা বেলা হলের সামনে আমাকে দেখলেই ধরে নিয়ে নাস্তা করাতেন। কিছু না খেতে চাইলেও জোড় করে নিয়ে যেতেন। ভালো ছাত্র ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে থার্ড পজিশনে ছিলেন। পড়াশোনার বাইরে উনার সবচেয়ে পছন্দ ছিলো কবিতা আবৃত্তি করা। কিন্তু কন্ঠ ভরাট না থাকায় উনি হতাশ হতেন। আমাকে মজা করে বলতেন "কবিতা এমন চিকনা কন্ঠে হয় না। তোমার কন্ঠটা আমার দরকার ছিলো। কত দিতে হবে বলো!" আমি সেকেন্ড ইয়ারে উঠার আগেই উনার মার্স্টার্স শেষ হয়ে যায়। উনি চলে যান ঢাকায়। এরপর বহুদিন যোগাযোগ ছিলো না। ২০১৭ সালে উনাকে আমি ফেসবুকে পাই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে অষ্ট্রেলীয়াতে সেটেলড হয়েছেন। এরপর থেকে টুকটাক মেসেঞ্জারে কথাবার্তা হতো। এখনো হয়। গতকাল ছাত্রলীগ সম্পর্কিত একটা পোস্ট দেখে উনি আমাকে মেসেজ দিলেন। কথা কথায় উনি আমাকে একটা ঘটনা বললেন উনার।
২০২৩ সালে স্ত্রী সন্তান নিয়ে উনি বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। উনার ১৩ বছরের মেয়ের কাছে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গল্প করেছেন। বাবার গল্প শুনে মেয়ে খুবই অবাক হয়। বাংলাদেশে এত সুন্দর ক্যাম্পাস থাকতে পারে সে বিশ্বাস ই করতে চায় না। ফেসবুক ইউটিউবে ক্যাম্পাসের ভিডিও দেখে দেখে মেয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেখার জন্য। উনি অবশেষে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন! স্ত্রী সন্তানকে পুরো ক্যাম্পাস দেখালেন। হলের যে রুমে থাকতেন সেখানেও ঘুরিয়ে দেখালেন। মেয়ে খুবই অবাক হয়েছে হলের বাসস্থান দেখে। "এভাবেও থাকা যায়!"
পাহাড়, জংগল, বিচিত্র নানান সব ফুল, পাখি ঝুপড়ী সব দেখা শেষ করে সন্ধ্যায় শহীদ মিনারের পাশে বসে তারা ফুচকা খাচ্ছিলেন। এমন সময় একটা ছেলে এসে উনাকে শহীদ মিনারের দিকে দেখিয়ে বলে "ভাই আপনাকে ডাকছে?" উনি অবাক হলেন। এত বছর পর ক্যাম্পাসে তো তার পরিচিত কেউই নেই। উনি ফুচকা হাতে নিয়েই সেখানে গেলেন। ৬/৭টা ছেলে লাইন ধরে সিঁড়িতে বসে আছে। তখন প্রায় অন্ধকার হয়ে আসছে। সবার চেহারা ঠিক মতো দেখাও যাচ্ছে না। একজন জিজ্ঞাসা করলো "ভাইয়ের বাসা কোথায়?" উনি বললেন, উনি অস্ট্রেলীয়াতে থাকেন। এই ক্যাম্পাসের ই সাবেক ছাত্র। ২০০০/২০০১ সেশন। এটা শুনে পাশ থেকে একটা ছেলে এসে বললো, "প্রমান কি আপনি সাবেক ছাত্র?" শামীম ভাই বিরক্ত হলেন। কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বললেন "প্রমান কেন করতে হবে? আপনারা কে? আপনাদের কাছে কেন আমার প্রমান করতে হবে!?" এই কথা বলার সাথে সাথে একজন উঠে থাপ্পড় মারলো। সাথে সাথে আরও কয়েকজন উঠে কিল ঘুসি মারতে লাগলো। হৈচৈ শুনে উনার স্ত্রী এবং মেয়ে সেখানে ছুটে গেলেন। তারা তাদেরকেও গালাগালি করা শুরু করলো। তারপর স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনাকে কান ধরে উঠবস করালো। এবং চিৎকার করে বলতে লাগলো " খা* পো* শিবির! এই ক্যাম্পাস থেকে তুই জীবিত যাইতে পারবি না।" শামীম ভাই গাড়ীর ড্রাইভারকে ডাকতে লাগলেন। ড্রাইভার আশেপাশে ই চা খাচ্ছিলো হয়তো। উনি তাকে কল দেয়ার জন্য ফোন বের করতে পকেটে হাত দিয়ে দেখলেন ফোনটা পকেটে নাই। উনার মানিব্যাগও নাই। ওরা নিয়ে নিয়েছে।
শামীম ভাইকে কান ধরে উঠবস করেই তারা শান্ত হয় নি। মাটিতে উপর হয়ে নাকে খত দিয়ে বলতে বললো "আমি শিবির। আমি আর এই ক্যাম্পাসে কখনো আসব না।" তা না হলে স্ত্রী সন্তান সহ সবাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী এবং মেয়ের সামনেই উনি বাধ্য হোন নাকে খত দিতে।" সব সময় মনে রাখবি চবি ছাত্রলীগ থাকতে এই ক্যাম্পাসে কখনো তোরা শিবির পা দিতে পারবি না!" এই বলে তারা উনাকে ছেড়ে দিলো। শামীম ভাই ড্রাইভারকে খুঁজে পেয়ে এরপর কোনরকম গাড়ীতে উঠে দ্রুত ক্যাম্পাস ছাড়েন।
পুরোটা পথ উনার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসেছে। লজ্জায় ঘৃনায় অপমানে স্ত্রী সন্তানের দিকে তাকাতেও পারছিলেন না তিনি। মেয়ের কাছে কত গল্প করেছিলেন এই ক্যাম্পাস নিয়ে। উনি অষ্ট্রেলিয়া ফিরে যান। কোন আইনি ব্যাবস্থাও নেন নি। কাউকে জানানও নি। এরকমভাবে অসম্মানিত হবার ঘটনা উনি সম্মানের ভয়ে কাউকেই বলেন নি। আর বলেই বা কি হবে! ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কে কথা বলার আছে তখন! আর এই অপমান কি আর মুছে যাবে! উনি চুপ হয়ে গেলেন। সেদিনের পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গল্প তো দূরে থাক আর একটা শব্দও কখনো মেয়ের সাথে করেন নি।
আমাকে উনি বারণ করেছেন উনার পরিচয় প্রকাশ না করতে যেহেতু ব্যাপারটা উনার জন্য অসম্মানজনক। তাই উনার পরিচয় আমি দিলাম না। নিজের স্ত্রী সন্তানের সামনে, নিজের ই ক্যাম্পাসে একজন মোস্ট সিনিয়র সাবেক ছাত্র হয়ে যদি এভাবে অপমানিত হতে হতো আপনাদের কেমন লাগতো?
এই ছাত্রলীগকে শুধু নিষিদ্ধ করাই কি যথেষ্ট?

Jayef Khan Nadim
Vocal Artist at ADekhA

Engineer's Diary

24 Oct, 13:36


নিষিদ্ধ সংগঠনের কোন সদস্য প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত হতে পারবে না। যেসব নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে সেখান থেকেও তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে। পরবর্তী সার্কুলারে শুন্যপদ গুলোতে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ফলে আসন্ন সার্কুলার গুলোতে সংখ্যাগত দিক থেকে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগের সুযোগ তৈরী হবে। ঘুষ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। নিয়োগের জন্য ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

Engineer's Diary

24 Oct, 13:00


রন্টু দাস ইন্টারে ২.৯২ পেয়ে চবির শিক্ষক হইছে কেমনে যাদের প্রশ্ন তাদের জন্য সহজ উত্তর হচ্ছে ডাবল মার্ডারের পুরস্কার পাইছে। খুনের পুরস্কার শিক্ষকতা👏👏

Engineer's Diary

24 Oct, 12:59


বিসিএস তিনবার দিতে পারার নতুন নিয়মের পেছনের আসল কারণটা বলি।
একটা ব্যাচ আছে সমাপনী পরীক্ষায় প্রথমবার জিপিএ পদ্ধতির আওতাভুক্ত হয়েছিল। এই ব্যাচকে দিয়ে নতুন নিয়মের এই হলো শুরু।
তারপর জেএসসিতে প্রথমবারের মতো গণিতে সৃজনশীল শুরু হলো তাদেরকে দিয়েই।
এসএসসিতে এসে স্ট্যান্ডার্ডাইজেইশ্যান পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়নের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো সাত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরের নিয়মও শুরু হয় এই ব্যাচ দিয়ে।
তারপর কলেজে এসে খুব সম্ভবত নতুন কোনো নিয়ম পায়নি তারা। তবে এইচএসসিতে ৫০ হাজারের নিচে এ প্লাস পাওয়া এবং অটোপাশের ছোবল থেকে মুক্ত সর্বশেষ ব্যাচও এরাই। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও এই ব্যাচের জন্য এলো নতুন নিয়ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো লিখিত অংশের সংযোজন।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বরণ করলো মহামারী করোনা দিয়ে। দীর্ঘ পাঁচ বছরে অনার্স যখন শেষদিকে, এখন বিসিএস পরীক্ষায় এলো আবার অনধিক তিনবার পরীক্ষা দিতে পারার নিয়ম।
হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় যে ব্যাচটি প্রথমবার অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে, সেটিই ২০১১ সালের সমাপনী পরীক্ষার ব্যাচ, ২০১৪ সালের জেএসসি ব্যাচ, ২০১৭ সালের এসএসসি ব্যাচ, ২০১৯ সালের এইচএসসি ব্যাচ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ব্যাচ।😐
Most Experiment Batch of BD
রাশেদ খান আদিব

Engineer's Diary

24 Oct, 06:31


এখন যদি কেউ ছাত্রলীগের সদস্য হিসাবে প্রমাণিত হয় তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার সর্বচ্চ শাস্তি কি হতে পারে দেখে নিনঃ
১. ২০০৯ এর সন্ত্রাস বিরুধী আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী কোন প্রকার সদস্য হলেই ৬ মাসের কারাদন্ড।
"যদি কোন ব্যক্তি কোন নিষিদ্ধ [সত্তার] সদস্য হন বা সদস্য বলিয়া দাবী করেন, তাহা হইলে তিনি অপরাধ সংঘটন করিবেন এবং উক্তরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য তিনি অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড, অথবা অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।"
২. ২০০৯ সন্ত্রাস বিরুধী আইন ৮ এর ১ এবং ২ উপধারা অনুযায়ী যদি কেউ কোন প্রকার নিষিদ্ধ সংসঠন সমর্থন করেন এবং তা মিটিং, মিছিল বা ইলেকট্রিক মিডিয়ামে বা প্রিন্ট মিডিয়ামে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন তাহলে তার ৭ বছরের কারাদন্ড এবং অতিরিক্ত আরও ২ বছর বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
৩. ২০০৯ সন্ত্রাস বিরুধী আইনের ১০ এবং ১১ ধারা অনুযায়ী কেউ অপরাধের ষড়যন্ত্র বা অপরাধ ঘটানোর চেষ্টা করলেই তার মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন বা ১৪ বছরের জেল হবে।
৪. ২০০৯ সন্ত্রাস বিরুধী আইনের ১২-১৩ ধারা অনুযায়ী কেউ অপরাধীকে কোন প্রকার সাহায্য করলে তারও নিম্নে ৪ বছরের জেল বা যাবজ্জীবন হবে।

Engineer's Diary

24 Oct, 06:20


তখন কলেজে পড়ি।

একদিন রাত একটার দিকে আব্বার ফোন। এই সময়ে ফোন মনের ভিতরে আতংক ঢুকায়ে দেয়। কোনো দূর্ঘটনা ছাড়া তো এই সময়ে ফোন আসার কথা না। ওই ফোনটা ছিলো আতংকিত হওয়ার মতোই ফোন। ফোন ধরে বললাম—হ্যালো।
আব্বা বললেন—ঘুমাস নাই?
বললাম—না। এখনো ঘুমাইনি।
"আচ্ছা। শুন। মাসুম মারা গেছে।"

মাসুম ভাই আমাদের মামাতো ভাই। খুলু মামার বড় ছেলে। আমার নানার বাড়িতে সবচাইতে ডিসেন্ট, সবচাইতে স্নিগ্ধ ছেলেটার নাম মাসুম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। যখনই বাড়িতে আসতো দেখতাম হয় পেপার পড়ছে, নয়তো কোনো ম্যাগাজিন। বেশিরভাগ সময় দেখতাম Carrier নামে একটা ম্যাগাজিন পড়তো। মাসুম ভাই মারা গেছেন। আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেলো। উনি তো কোনো রকম অসুস্থ ছিলেন না।

আব্বারে বললাম—মাসুম ভাই, কেমনে মারা গেছে?
আব্বা বললেন—আমি তো এতো কিছু জানি না। মাত্র খবর পাইলাম। ষোলশহর কারা জানি ছুরি মারছে!
"এখন কোথায় আছে?"
"পাঁচলাইশ থানায়। তোর দুধু মামারে ফোন দিয়ে সকালে যাইস।"

আমি আর অপেক্ষা করলাম না। দুধু মামারে ফোন দিলাম। মামা কয়েকবার ফোন ধরলেন না। পরে ফোন ব্যাক করে বললেন—ভাইগ্না, মাসুম তো খুন হইছে। আমরা পাঁচলাইশ থানায় আছি।
আমি বললাম—আচ্ছা মামা। আমি আসতেছি।
মামা বললেন—আয়।

আমি তখন থাকি বহদ্দারহাট, চেয়ারম্যান ঘাটা। বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিলাম। পাঁচলাইশ থানায় গিয়ে দেখলাম মামাতো ভাই, খালাতো ভাই, মামা, সবাই চলে আসছেন ইতোমধ্যে। দুধু মামা আর বড় মামা ওসির রুমে। বাকিরা সবাই রুমের বাইরে দাঁড়ায়ে আছে। জালাল ভাইয়ারে বললাম, ঘটনা কি ভাইয়া?
জালাল ভাইয়া বললেন—ছাত্রলীগের পোলাপাইন মাসুমরে ষোলশহর স্টেশনে কোপাইছে।

বিস্তারিত শুনলাম ভাইয়ার কাছে। মাসুম ভাই টিউশনি শেষ করে এসে ভার্সিটিতে ফিরার জন্যে স্টেশনে বসছেন। ট্রেনের জন্যে ওয়েট করছেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ এসে এলোপাতাড়ি কোপাইলো। মাসুম ভাই ওইখানেই শহীদ হয়ে গেলেন। স্টেশনের লোকজন উনারে হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখে অলরেডি উনি মারা গেছেন। পরে থানায় আনা হইছে উনাকে। থানার একপাশে একটা স্ট্রেচারে শোয়ায় রাখা হইছে। একটা সাদা চাদর উপরে দেওয়া। ওই চাদরটা রক্তে ভেসে গেছে। চাদর উল্টায়া চেহারাটা একবার দেখলাম। কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে এই চেহারাটা দেখা সম্ভব না। ঠোঁটের ডানপাশের একটা অংশ দাঁতসহ ঝুলে গেছে। আর সারা শরীরে সব কোপের দাগ। গলা জবাই করা। আমি ছিটকে দূরে সরে আসলাম। এই লাশ দেখা সম্ভব না।

আমরা সবাই সারারাত থানায় দাঁড়ায়ে দাঁড়ায়ে কাটায়া দিলাম। সকালে লাশ নেওয়া হলো চট্টগ্রাম মেডিকেলে। পোস্টমর্টেম হলো। তারপর লাশ নিয়ে আমরা রওয়ানা দিলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। আমার মামীকে এই লাশ দেখতে দিইনি আমরা। দেখানো অবস্থা ছিলো না। আমার মামী গড়াগড়ি দিয়ে শুধু বলছেন—আমার সোনারে আমি একটু দেখি। আমার সোনারে আমি একটু দেখি। মুরব্বীরা উনারে উনার সোনারে দেখানোর সাহস পাননি। আমি নিজে মামীরে ধরে দাঁড়ায়ে ছিলাম।

ওইদিন আমি জীবনে প্রথম লাশ গোসল করানোর কাজ করলাম। লাশের বর্ণনা এই এত বছর পরেও আমি দিবো না। দেওয়া সম্ভব না। ওইদিনের পরে আমি অনেকদিন আর রাতে একা ঘুমাতে পারতাম না। ভয় পেতাম। ওইদিনের পর থেকে আমি আর কোনোদিন ছাত্রলীগরে মানুষের সন্তান মনে করতাম না। আজকেও করি না।

শহীদ মহিউদ্দিন মাসুম। আমার আপন মামাতো ভাই। আমার মামা-মামী কোনোদিন এই খুনের বিচার পর্যন্ত চাইতে পারেনি।

আজকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের এই রাতে চোখের সামনে শুধু মাসুম ভাইয়ের লাশের ছবি ভাসছে। উরুসন্ধিসহ সারা শরীতে কোপের দাগ। ঠোঁটের একটা অংশ ছিড়ে ঝুলে গেছে। গলাটা জবাই করা! আহারে আমার মাসুম ভাই!

শহীদ মহিউদ্দিন মাসুম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

-

Engineer's Diary

24 Oct, 06:13


২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। রাজশাহী সিটি কলেজে ছাত্রলীগের নিয়মিত কার্যকলাপের অংশ হিসেবে, তারা প্রায়ই জোর করে ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করত। একদিন মেইন গেট বন্ধ করে ঘোষণা দিল, সবাইকে মিছিলে থাকতে হবে। বাধ্যতামূলক মিছিলে অংশ নিতে না চেয়ে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মীর কাছে গিয়ে বললাম, “আমাকে বাসায় যেতে হবে।” কিন্তু সে আমার কথা না শুনে, উল্টো ধাক্কা দিয়ে আমাকে ভিতরে পাঠিয়ে দিল। প্রচন্ড রাগ হলো। বাসায় ফিরে ফেসবুকে লিখলাম, “ছাত্রছাত্রীদের জোর করে মিছিলে বাধ্য করা, গেট আটকে দাঁড়িয়ে রাখা—এটাই সিটি কলেজ ছাত্রলীগ।”

পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেল। তখন আমাদের পরীক্ষা চলছিল। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিটের মাথায় ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী পরীক্ষার হলে ঢুকল। একজন জোরে জিজ্ঞেস করল, “তানভীর আখতার শাকিব কে?” আমি উঠে দাঁড়ালাম। তারা শিক্ষককে আমার উত্তরপত্র নিয়ে নিতে বলল। একজন বলল, “ওর পরীক্ষা শেষ, খাতা নিয়ে নেন।” তারপর দুইজন এসে আমাকে দুই পাশ থেকে ধরে হল থেকে বের করে কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়ে গেল।

ওরা জিজ্ঞেস করল, “তুই ছাত্রদল না শিবির?” আমি বললাম, “আমি সাধারণ ছাত্র।” তাদের একজন আমার ফেসবুক পোস্টটি দেখিয়ে বলল, “তাহলে ছাত্রলীগ সম্পর্কে এমন কথা কেন লিখেছিস? ফোন বের কর।” আমি আপত্তি করলাম, “ফোন তো আমার ব্যক্তিগত জিনিস, কেন দিব?” আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই একজন আমার ফোন কেড়ে নিয়ে পোস্টটি ডিলিট করে দিল। এর পরপরই হঠাৎ করে একজন প্রচণ্ড জোরে আমার গালে থাপ্পড় দিল, আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। এরপর আবারও আমাকে টেনে তুলে বলল, “কান ধরে মাফ চা, হাঁটু গেড়ে বসে, তা না হলে তোকেও মেরেই ফেলব।”

মনের ভেতরে তখন ঝড় বইছিল। আমি নিজেকে বললাম, “মরতে হলে মরব, কিন্তু মাফ চাইব না।" আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম, “তোমরা মারতে মারতে মেরেও ফেললেও মাফ চাইবো না।” এরপর তারা আমাকে অমানুষিকভাবে মারধর শুরু করল। চারপাশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল। এক কোনায় পুলিশের ভ্যান দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ চুপ চাপ তাকিয়ে দেখছিল। একসময় টের পেলাম, শরীরে আঘাত লাগছে, কিন্তু ব্যথা পাচ্ছি না—মুখটা যেন অবস হয়ে গেছে। একজন বলল, “মাফ চাইবি না? তোকে মারতে মারতে মেরেই ফেলব।”

ঠিক সেই মুহূর্তে একজন শিক্ষক এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। তিনি বললেন, “বাবারে, আর মারিস না, ছেলেটাকে অনেক মেরেছিস।” কয়েকটা আঘাত শিক্ষকের গায়েও লাগল। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে কলেজ গেটের বাইরে নিয়ে এলেন এবং একটি রিকশা করে বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।

ভালোবাসা দিবসে লাল গোলাপ নিয়ে নয়, আমি ফুলে যাওয়া মুখ নিয়ে বাসায় ফিরলাম। আমার পরিবার আতঙ্কে পড়ে গেল। আমার বাবা বললেন, “কলেজেই যদি এই অবস্থা হয়, ভার্সিটিতে গেলে তো ওকে মেরেই ফেলবে।" সেই ভীতি, কষ্ট, ঘৃণার কারণেই ২০১৯ সালে এইচএসসি পাস করে আমি বিদেশে পাড়ি জমালাম।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে আমি প্রচন্ড খুশি হয়েছি। ব্যক্তিগত বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, এ নিষেধাজ্ঞা ন্যায়সংগত।

- তানভীর আখতার সাকিব

Engineer's Diary

23 Oct, 20:10


নিষিদ্ধের রাতে রাজধানী থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা গ্রেফতার
---
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

Engineer's Diary

23 Oct, 16:11


যেসব বিসিএস কর্মকর্তাকে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাএলীগ করার কারণে সুপারিশ করা হয়েছিল, তারা কি চাকরিতে বহাল থাকবে? সিরিয়াস প্রশ্ন।

- Toha

Engineer's Diary

23 Oct, 16:03


সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার, এখন থেকে ছাত্রলীগ পরিচয় এর কাউকে পেলে আইনের হাতে সোর্পদ করবেন। আওয়ামীলীগকে ও দ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে।

Engineer's Diary

23 Oct, 15:16


জুলাই গনবিপ্লবের সময় যে সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারি ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান করেছিলো এবং ছাত্র নির্যাতনের সাথে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো তাদের কুয়েটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা।

Engineer's Diary

23 Oct, 05:56


এই যে ফেইসবুক আবার ছেয়ে যাবে ইলন মাস্ক বলছে কলেজ ডিগ্রীর দরকার নাই, কিন্তু এলন মাস্ক যে মাঝে বলছে: We need more Polytechnic Education with all these 4 years degree ওইটা আমরা বুঝি নাই।

আসেন এই সেইম এলন মাস্কের একটা জব ডেস্ক্রিপশন খুলেন? খুললে দেখবেন; Tesla mostly hires:

- Stanford
- UC Berkley
- UMich
- Carnegie Mellon grads

Tesla job information session এ জয়েন করলে রিক্রুটার সবার আগে জিজ্ঞাসা করে major and CGPA?

They take 20% employees from San Jose State Uni and San Fransisco State Uni কারণ ওদের work culture adoptation is like সারাদিন কামলা দিবি। Also their D&I agenda, Diversity and Inclusion agenda.

Media is media, they will propagate - "4 years degree লাগে না, কিন্তু জায়গা বরাবর গেলে সবার আগে জিজ্ঞাসা। Which major, uni and CGPA?"

যতদিন জব এপ্লাই না করছেন ততদিন এইগুলো দেখবেন না। এখন বলবেন উদ্যোক্তা হতে?

Bruh, VCs are more stupidly baised with college names and ex-internships. Just check কত পার্সেন্ট ড্রপ আউট got funded and কত পার্সেন্ট grads.

-Mohidul Islam

Engineer's Diary

23 Oct, 04:05


সিম অব্যবহৃত রাখার মেয়াদ কমছে, বাড়বে ফি দিলে!

ফি দিয়ে সিম অব্যবহৃত রাখার বাড়তি মেয়াদ কেনা যাবে। ফলে একজন গ্রাহক তার অব্যবহৃত সিম অপারেটরদের পুনরায় বিক্রি বা রিসাইক্লিং সময়ের পরও নিজ নামে রাখতে পারবেন।

তবে সাধারণভাবে সিম অব্যবহৃত রাখার যে মেয়াদ, তা বেশ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এরমধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন।

মোবাইল অপারেটরদের আবেদন ও প্রস্তাবে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও অপারেটরগুলো এই মেয়াদ কমিয়ে মোট ৩৯৫ দিন করতে চেয়েছিল। বিটিআরসি তার চেয়ে বেশি কমিয়ে দিয়েছে।

বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সিম নম্বর জাতীয় সম্পদ। এটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে সরকারও রাজস্ব হতে বঞ্চিত হয়। অপারেটররাও আয় করতে পারে না। এছাড়া গ্রাহক চাহিদায় নতুন নম্বর বন্টনে চাপ বাড়বে।

গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এই মেয়াদ কমানোর দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই সিম এতো লম্বা সময় অব্যবহৃত রাখার বিষয়টি দেখা যায় না।

সিম নিস্ক্রিয় থাকার এই সময়ে তারা সেটি হতে কোনো আয়ও পান না।‘যেমন যুক্তরাষ্ট্রে এই মেয়াদ ৯০ দিন, ভারতে ১০৫ দিন, মালেশিয়ায় ৬০ দিন, পাকিস্তানে ১৮০ দিন’ উল্লেখ করেন তারা।

সিম অব্যবহৃত রাখার বাড়তি মেয়াদ কিনতে ফি কতো :

সাধারণ হিসেবে নতুন ঠিক করা সিম রিসাইক্লিংয়ের মেয়াদ ১১ মাসের পর হতে সিম নিস্ক্রিয় বা অব্যবহৃত রেখেও নিজ নামে রাখতে হলে ২ বছরের জন্য ফি হবে ৩০০ টাকা। সঙ্গে যোগ হবে কর।

আর গ্রাহক এই মেয়াদ যদি ৩ বছর করতে চায় তাহলে গুনতে হবে ৪৭৫ টাকা, সঙ্গে কর।অপারেটররা এই মেয়াদ বৃদ্ধির চার্জের সঙ্গে কোনো ডেটা বা কলের অফার দিতে পারবে না।

এখন গ্রাহক ফি দিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর সময়কালে রিচার্জ করলে, ফি দিয়ে বাড়ানো মেয়াদ বা রিচার্জের মধ্যে যে মেয়াদ বেশি হবে সেই সময়ে অপারেটরা ওই সিম রিসাইক্লিং করতে পারবে না।

#BTRC #MOCB #Robi #Grameenphone #banglalink #Airtel #internetservice #Teletalk #skitto #GP

Engineer's Diary

22 Oct, 22:37


দুর্বল রাডার ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর তথ্য চলে যেতো ভারতের কাছে।
.
এতে বছরের পর বছর ধরে নেভিগেশন চার্জের নামে ভারত হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত ১ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও ছিলো হুমকির মুখে।

কয়েক যুগ পর অবশেষে নতুন রাডার যুক্ত হওয়ায় বদলে গেছে অনেক হিসেব নিকেষ। সর্বশেষ রাডার সংযুক্ত করা হয়েছিলো ১৯৮০ দশকের শুরুতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়।
সূত্র- একুশে টেলিভিশন

Engineer's Diary

22 Oct, 21:41


রিয়াল মাদ্রিদ আজকেও ক্যামব্যাক করলো।

BAL এর কামব্যাক কখন?

Engineer's Diary

22 Oct, 21:33


এসআই ব্যাচের লিডার কে?
- স্কাই ব্রো।
এসআই ব্যাচের গ্যাঞ্জাম লিডার কে?
- স্কাই ব্রো এন্ড 69 আদার্স।
কথা হপে নে ভাইয়্যে। শুধু মা ই র হবে যে!

Engineer's Diary

22 Oct, 21:31


বাদ পড়া একজন ট্রেইনি এসআই। যিনি ২০১৮ সাল থেকেই সবাইকে প্রতিহত করে আসতেছিলেন। ধন্যবাদ মাদার অব হিউম্যানিটি, এরকম বাচ্চা-কাচ্চাদের রেখে পালিয়ে যাওয়ার জন্য।

Engineer's Diary

22 Oct, 13:42


গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম
গবেষণার ক্ষেত্রটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং সঠিকভাবে নিজের গবেষণা প্রচার ও সহযোগিতা গড়ে তোলা আজকের দিনে অনিবার্য। নতুন গবেষকদের জন্য এমন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলা জরুরি, যা তাদের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং গবেষণার সুযোগকে আরো প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যে কেউ চাইলে বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
𝐆𝐨𝐨𝐠𝐥𝐞 𝐒𝐜𝐡𝐨𝐥𝐚𝐫
গবেষণার জন্য গুগল স্কলার (https://scholar.google.com/) একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখানে গবেষকরা তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র আপলোড করতে পারেন এবং অন্যরা কিভাবে তাদের কাজ সাইট করছে তা দেখতে পারেন। এটি গবেষণার তথ্য জানার এবং নিজের কাজকে ছড়িয়ে দেওয়ার সহজ মাধ্যম।
𝐎𝐑𝐂𝐈𝐃
ORCID (https://orcid.org/) গবেষকদের একটি অনন্য (Unique) আইডি প্রদান করে, যা তাদের প্রকাশনা ও গবেষণা অবদান সঠিকভাবে চিহ্নিত করে। এটি গবেষকদের অবদান ট্র্যাক এবং তাদের কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে সহায়ক, ফলে গবেষণার মান উন্নয়ন এবং সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয়।
𝐑𝐞𝐬𝐞𝐚𝐫𝐜𝐡𝐆𝐚𝐭𝐞
রিসার্চগেট (https://www.researchgate.net/) গবেষকদের জন্য একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্র শেয়ার করতে, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করতে এবং অন্যান্য গবেষকদের সাথে প্রশ্নোত্তর করতে পারেন। এটি গবেষণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলার একটি চমৎকার মাধ্যম।
𝐀𝐜𝐚𝐝𝐞𝐦𝐢𝐚
অ্যাকাডেমিয়া (https://www.academia.edu/) আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষকরা তাদের কাজ শেয়ার করতে পারেন। এটি গবেষণার আপডেট পেতে এবং নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
𝐏𝐮𝐛𝐥𝐨𝐧𝐬
পাবলন্স (https://publons.com/wos-op/account/unified-auth/) গবেষকদের পিয়ার রিভিউ কার্যক্রম পরিচালনা এবং তা সনদপ্রাপ্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যারা গবেষণাপত্র রিভিউ করেন, তারা এখানে তাদের কাজের রেকর্ড রাখতে পারেন এবং এই কাজের ভিত্তিতে সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
𝐒𝐜𝐨𝐩𝐮𝐬 𝐀𝐮𝐭𝐡𝐨𝐫 𝐈𝐃
স্কোপাস (https://www.elsevier.com/products/scopus/author-profiles) গবেষকদের গবেষণা প্রকাশনা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে এবং গবেষণার মেট্রিক্স প্রদান করে। গবেষকরা স্কোপাস প্রোফাইলে তাদের গবেষণার আপডেট রাখতে পারেন এবং এটি তাদের কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
𝐋𝐢𝐧𝐤𝐞𝐝𝐈𝐧
লিংকডইন (https://www.linkedin.com/) একটি পেশাগত নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষকরা তাদের কাজ এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেন। গবেষকরা এখান থেকে বিভিন্ন পেশাগত সুযোগ এবং সহযোগিতার সুযোগ পেতে পারেন।
এছাড়াও গবেষণা সম্পর্কিত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন:
𝐌𝐞𝐧𝐝𝐞𝐥𝐞𝐲 (https://www.mendeley.com/)
𝐙𝐞𝐧𝐨𝐝𝐨 (https://zenodo.org/)
𝐅𝐢𝐠𝐬𝐡𝐚𝐫𝐞 (https://figshare.com/)
𝐚𝐫𝐗𝐢𝐯 (https://arxiv.org/)
𝐛𝐢𝐨𝐑𝐱𝐢𝐯 (https://www.biorxiv.org/)
𝐒𝐒𝐑𝐍 (https://www.ssrn.com/index.cfm/en/)
𝐉𝐒𝐓𝐎𝐑 (https://www.jstor.org/)
𝐇𝐲𝐩𝐨𝐭𝐡𝐞𝐬𝐞𝐬 (https://hypotheses.org/)
𝐗 (https://x.com/)

Engineer's Diary

22 Oct, 10:48


১৭ জুলাইয়ের ঢাবির মল চত্বর, কফিন মিছিলে পুলিশী বাধার সময়....।
মাঝে মাঝে পেছন ফিরে তাকানো জরুরি।
--
ছবি: আনিসুর রহমান

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নির্বাচনপদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বড় অংশ বিদ্যমান পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবর্তে ভোটের আনুপাতিক হারে বা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এখনো অজানা আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি।

#আনুপাতিক_হারে_নির্বাচন_পদ্ধতির_বৈশিষ্ট্যঃ

১) আনুপাতিক পদ্ধতির ভোটে ব্যালটে প্রার্থী থাকবেন না এবং দলীয় প্রতীকে ভোট হবেঃ
সারাদেশের ৩০০ টি আসনে আসন ভিত্তিক কোন প্রার্থীতা থাকবে নাহ বরং ভোটাররা দলগুলোকে ভোট দিবে।

২) একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে আসন বণ্টন হবেঃ
একটি দল শতকরা যত শতাংশ ভোট পাবে সে অনুযায়ী সংসদে দলটির আসন বন্টন করা হবে। ধরুন কোন দল সারাদেশে ১৫ শতাংশ ভোট পেলো। সেক্ষেত্রে সারাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে দলটি শতাংশের হিসেবে ৪৫ টি আসন পাবে। যে দল যতবেশি ভোট সেদল ততবেশি আসন পাবে।

৩) সকল দলের সংসদে অবস্থানঃ
এ পদ্ধতিতে ছোট- বড় সবগুলো দলের ভোট প্রাপ্তি অনুযায়ী আসন পেয়ে থাকে

৪) শক্তিশালী বিরোধীদল তৈরি হওয়া।

বর্তমান বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রচলিত। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আনুপাতিক হারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের প্রতিবেশী নেপালও আনুপাতিক হারে নির্বাচন হয়।

#আনুপাতিক_পদ্ধতির_সুবিধাসমূহঃ

১) সরকারদল এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারী মনোভাব দূর করেঃ

এ পদ্ধতি কোন দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন। ফলে সরকারকে অন্যান্য দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার পরিচালনা করতে হয়। এতে করে সরকারদল এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব দূর হয়।

২) সংসদে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণঃ

দেশের প্রতিটি মানুষের ভোটের রায়ের মাধ্যমে সংসদে আসন বন্টন। বাংলাদেশের ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বের ৪ দলীয় জোট প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে আসন পেয়েছিল মাত্র ৩২ টি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় ভোট ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে আয় পায় ২৬৩ টি। একটু চিন্তা করেন সারাদেশে যত শতাংশ ভোট পেয়ে তার সমসংখ্যক আসনও পায়নি বিরোধীদল। অন্য দিকে ছোট ছোট দলগুলো সারাদেশে ছড়ানো ছিটানো ভোট পেলেও সংসদে আসতে পারে নাহ কোন আসনে সর্বোচ্চ ভোট না পাওয়ায়। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচনে দেশের প্রত্যেক দলের মানুষ নিজ নিজ পছন্দের দলকে সংসদে আনতে পারবে।

৩) শক্তিশালী বিরোধীদল ব্যবস্থা তৈরি গণতন্ত্রের জন্য অন্যতম বেশি প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধীদলের সংসদে উপস্থিত। কিন্তু বর্তমান ভোটিং সিস্টেমে আসনভিত্তিক ভোট গ্রহণ হওয়ায় সামান্য সরকারদল ও বিরোধীদলের মধ্যে আসনপ্রাপ্তিতে আকাশপাতাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে সরকারদল ইচ্ছামতো সংবিধান পরিবর্তন অথবা আইন প্রণয়ন করে স্বৈরাচারী শাসন তৈরি করতে পারে। কিন্তু এ পদ্ধতিতে ভোটপ্রাপ্তির ভিত্তিতে হওয়ায় কোন দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া অনেক কঠিন। ফলে শক্তিশালী বিরোধী দল তৈরি হয় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়।

৪) স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হয়ঃ

বর্তমানে এমপিরা নিজ নিজ এলাকায় একচ্ছত্র ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলশ্রুতিতে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশন ভিত্তিক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেকটাই অকার্যকর। স্থানীয় এমপিতে মতামত ছাড়া এসকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোন বরাদ্দ কিংবা টেবিলের ফাইলও নড়ে নাহ। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে আসনভিত্তিক সাংসদ হবে নাহ। ফলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়ে স্থানীয় উন্নয়নে কাজ করতে পারবে।

৫) এলাকাভিত্তিক এমপিদের পারিবারিক রাজত্ব সংস্কৃতির পতনঃ

বাংলাদেশের অধিকাংশ এমপি তার নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের রাজা মনে করে। এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট তৈরির মাধ্যমে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন সাংসদবৃন্দ। তাছাড়া সাংসদদের এধরনের ক্ষমতা অর্জনের কারণে স্থানীয় বড় ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীরা এমপি হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ বিনিয়োগ এবং সন্ত্রাসী সহায়তা প্রদান করে। কিন্তু আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে এমপিরা তখন কেবল আইনপ্রণয়ন এবং সরকারের কাজের পর্যালোচনা করবেন। ফলে স্থানীয় পর্যায়ে এমপিদের একক রাজত্বের পতন ঘটবে। এতে করে অপরাধী এবং লোভী ব্যক্তিরা এমপি হতে চাইবে নাহ।

আনুপাতিক হারে নির্বাচনের অসুবিধাঃ

১) বাংলাদেশের বিদ্যমান নির্বাচনী সংস্কৃতির সাথে মিল না থাকা।
২) সুবৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ না থাকা।
৩) সংবিধান পরিবর্তনে দুই তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন আদায় করা কঠিন।
৪) স্থানীয় পর্যায় থেকে স্বতন্ত্র এমপি হওয়া কঠিন।

লেখকঃ মোঃ ফাহাদ হোসেন
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


ব্যারিস্টার সুমন,

খুব তো বলেছিলেন- "ব্যারিস্টার সুমন পালায় না!"

এরপর পালিয়ে গিয়েছিলেন! (কই পালিয়ে ছিলেন জানা নেই!) এখন আবার ফিরে এসে খুব ভাব নিতে চাইছেন?

আজ আদালতের গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেছেন- "স্যার আমি খুব সরি!"

আপনার সরি তখন কোথায় ছিল? আপনি তো সরকারি দলের সাংসদও ছিলেন না। আপনার তো সংসদ সদস্য পদও যেত না, যদি আপনি ওই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু সেটা আপনি করেন নাই। উল্টো সাফাই গেয়েছেন।

আপনাদের মত দোসরদের জন্যই একটা দল দিনের পর দিন লুটপাট করতে পেরেছে। গু*ম, খু*ন করতে পেরেছে। আন্দোলনের সময় এমনকি আমাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল!

ঠিক আছে, আমাকে সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তেমন কিছু করে নাই। কারন আমার একটা পরিচিতি আছে। তাছাড়া আমি ইউরোপের নাগরিক। কিন্তু আমাদের মত মানুষদেরও ভয় দেখানো হয়েছে। তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন ছিল?

আমরা তো কোন রাজনীতি করি না। কোন দলেও নেই। স্রেফ লেখক হিসাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করছিলাম। অথচ এই আমাদেরও রাজাকার বলা হয়েছে! আমরা তখনও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এখনও করছি।

আজ পর্যন্ত আপনার দল ভুল স্বীকার করে নাই। আপনার দল এখনও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজে ফিরছে। যে দাম্ভিকতা এখনও করে বেড়াচ্ছে- সেটা যে এদের কোথায় নিয়ে নামাচ্ছে; এরা বুঝতেও পারছে না।

আর আপনি ফিরে এসে আদালতে কেঁদে কেঁদে বলছেন - "স্যার, আমি খুব সরি!"

আপনার দল কি দুঃখিত হয়েছে? যে দলের হয়ে আপনি সাফাই গেয়ে বেড়াচ্ছিলেন?

আদালত আপনাকে ক্ষমা করবে কি করবে না; সে আদালতের ব্যাপার। কিন্তু এই আমার মত মানুষগুলো কি কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে?

আমারা তো সাধারণ নাগরিক ছিলাম। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি মাত্র। এমন লাখো-কোটি মানুষ প্রতিবাদ করেছে। রাস্তায় নেমেছে। এদের কাছে আপনি কি জবাব দেবেন?

এখন পলাতক থেকে ফিরে এসে আপনি নিজেকে বীর ভাবতে পারেন। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ আপনাকে আর কিছু না- স্রেফ নর্দমার কীটই মনে করবে।

- আমিনুল ইসলাম

Engineer's Diary

22 Oct, 10:39


জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া ৮-১০ জনের রেজাল্ট দেখেছিলাম। এ প্লাস পাওয়া কাউকে দেখলাম না। SSC এর সাথে মার্জিন না করলে তাদের রেজাল্ট আরো কম হতো হয়তো।

নিশ্চিতভাবে বলা যায় এরা কেউ টপার না,ফার্স্ট বেঞ্চার না। একজন ফরাসি শাস্ত্রীর একটা প্রবাদ মনে পড়লো France was saved by her idlers. অর্থাৎ যারা পড়াশোনায় ভালো না,তারাই ফ্রান্সকে রক্ষা করেছিলো।

মানুষের ইতিহাসে এমন মিডিয়োকোর ব্যাক বেঞ্চাররাই ঐতিহাসিক মুহুর্তে জীবন উৎসর্গ করতে সবার আগে এগিয়ে আসে। মেধাবীরা হয়তো তার সম্ভবনা স্বপ্ন অনেক হিসাব মিলায়।

অমেধাবীদের অতো মেধা নাই, হুট করে এসে বুলেটের সামনে বুক মেলে দাঁড়িয়ে যায়। ইন্টার পরীক্ষার্থী তারা। কতই বা বয়স হলো তাদের। মনে হয় শুধু জীবনটা টুক করে দিয়ে দিতেই এসেছিলো দুনিয়ায়।

© আরিফ মঈনুদ্দিন

Engineer's Diary

22 Oct, 09:49


মানতে কষ্ট হলেও সত্য যে, মুক্তিযুদ্ধের পরপর যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল, তাতে বিভিন্ন ধারায় স্ববিরোধীতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বপ্নের রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার পরিবর্তে আদর্শিক বা ইউটোপীয় চিন্তাধারাকে প্রাধান্য দেয়া ছিল এই ত্রুটির মূল কারণ।

গোড়ায় গলদ থাকার ফলে সংবিধানকে খুশিমতো কাঁটাছেঁড়া করা সহজ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে শেখ মুজিবের আমল থেকেই ক্ষমতাসীনরা নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছেমতো সংবিধানকে কাঁটাছেড়া করেছেন, কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে তারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকবেন না।

গত ষোলো বছরে শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে শেখ পরিবারের অলিখিত রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানকে "বুক অব ম্যাডনেস" বা 'পাগলামির গ্রন্থে' পরিণত করা হয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সংবিধান থেকে ইচ্ছা মতো ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমান সংবিধানের সাথে নাগরিক ও বাস্তবতার সংযোগ নাই। যারা এই ত্রুটিপূর্ণ 'পাগলামির গ্রন্থ' বা 'বুক অব ম্যাডনেস'কে চিকিৎসা দিয়ে ঠিক করতে চান, তারা হয় সরল, না হয় অতি ধুরন্ধর।

নিরাময়অযোগ্য পাগলামিতে আক্রান্ত ‘বুক অব ম্যাডনেস’কে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার আশায় সময় নষ্ট করার পরিবর্তে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা অধিক যুক্তিসঙ্গত ও সহজ সমাধান।

- আবু সাঈদ আহমেদ