সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে @sunnisalafiathari Channel on Telegram

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

@sunnisalafiathari


সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে (Bengali)

আপনি কি সালাফী ধারার সঠিক আকীদা এবং মানহাজ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে চান? তাহলে আপনার জন্য 'সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে' টেলিগ্রাম চ্যানেলটি একটি অত্যন্ত উপকারী উপায়। এই চ্যানেলে 'sunnisalafiathari' ব্যবহারকারীরা সঠিক আকীদা এবং মানহাজ সম্পর্কে উপদেশ, বিষয়বস্তু এবং সংবাদ শেয়ার করেন। এখানে আপনি ইসলামের প্রাচীন উপনিষদের এবং আমাদের প্রেমিক প্রতিষ্ঠানের মূল উপদেশের সাথে পরিচিত হতে পারেন। এছাড়াও, চ্যানেলে ইসলামী ইতিহাস, কোরান, হাদিস এবং আরও অনেক কিছু সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিক আকীদা এবং মানহাজ বিষয়ে আরও জানতে আগ্রহী হন তাহলে 'সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে' চ্যানেলটি আপনার জন্য সমৃদ্ধ সম্পদ। তাহলে এখনই যোগ দিন এই উপকারী চ্যানেলে এবং নিজেকে সঠিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ করুন।

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

07 Jun, 14:44


▌জিলহজ, কুরবানি ও ইদুল আজহা সম্পর্কিত পোস্টগুলোর লিংক

·
(১) মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানি দেওয়ার বিধান | ইমাম ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=504791016994903&id=200750680732273

(২) কুরবানিদাতার জন্য জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন নখ-চুল না কাটা ওয়াজিব

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=505375916936413&id=200750680732273

(৩) জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনে যা করণীয় | ইমাম ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=505959640211374&id=200750680732273

(৪) জিলহজ মাসের প্রথম নয়দিন রোজা রাখুন | ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=506274343513237&id=200750680732273

(৫) শরিকানা (ভাগা) কুরবানি প্রসঙ্গে কিছু কথা

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=506542403486431&id=200750680732273

(৬) জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন ইবাদতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করুন | ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=506899513450720&id=200750680732273

(৭) কুরবানির সংক্ষিপ্ত বিধিবিধান

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=507787093361962&id=200750680732273

(৮) বিশুদ্ধ শব্দের তাকবীর কোনটি? | ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ ‘আলী ফারকূস (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=508128803327791&id=200750680732273

(৯) ঋণ করে কুরবানির পশু ক্রয় করার বিধান | ইমাম ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=508488236625181&id=200750680732273

(১০) মহিষ কুরবানির বিধান | ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=508776609929677&id=200750680732273

(১১) আরাফার রোজা কোনদিন রাখব? | সৌদি ফতোয়া বোর্ড

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=509064519900886&id=200750680732273

(১২) কসাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে কুরবানির মাংস দেওয়ার বিধান | ইমাম আলবানী ও ইমাম ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=510052729802065&id=200750680732273

(১৩) আরাফার দিন রোজা রাখুন | ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=511544066319598&id=200750680732273

(১৪) কুরবানির গোশত তিনভাগে বণ্টন করা কি ওয়াজিব? | ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=511896256284379&id=200750680732273

(১৫) আজকে (১৪৪০ হিজরি) আরাফার মাঠে ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র কান্না এবং মুসলিম উম্মাহ’র জন্য দু‘আ

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=512066516267353&id=200750680732273

(১৬) গরুর এক সপ্তমাংশ দিয়ে ‘আক্বীক্বাহ হবে কি? | ইমাম ‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=512199916254013&id=200750680732273

(১৭) কুরবানির সব গোশত খেয়ে ফেলার বিধান | ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=512480709559267&id=200750680732273

(১৮) ইদের নামাজের আগে কুরবানির পশু জবেহ করা কি জায়েজ? | সৌদি ফতোয়া বোর্ড

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=512787096195295&id=200750680732273


·
অনুবাদক ও সংকলক: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

05 Jun, 13:31


বইয়ের নাম : আকিদা ওয়াসিতিয়্যা ও তার ব্যাখ্যা
মূল লেখক : শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ
ব্যাখ্যাকার : ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ
ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪১০

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

28 May, 14:11


প্রসিদ্ধ তাফসিরগ্রন্থগুলোর ব্যাপারে ইমাম গুদাইয়্যান রাহিমাহুল্লাহর মূল্যায়ন

·
সৌদি ফতোয়া বোর্ডের সাবেক সদস্য, ইলমের পর্বত, ইমাম আব্দুল্লাহ আল-গুদাইয়্যান রাহিমাহুল্লাহর কাছে একটি সেশনে প্রায় ষোলোটি তাফসিরগ্রন্থ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। তিনি তাফসিরগুলো সম্পর্কে তাঁর মূল্যবান অভিমত পেশ করেন। নিম্নে সেশনটির সরল বাংলা পেশ করা হলো।

প্রশ্নকারী : শাইখানা, তাফসিরুত তাবারির ব্যাপারে আপনার কী অভিমত?
শাইখ : এটা ভালো, বরং চমৎকারও বটে।

প্রশ্নকারী : তাফসিরুল কুরতুবি?
শাইখ : বিধিবিধানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো।

প্রশ্নকারী : ‘তাফসির মাআলিমুত তানজিল’ ওরফে ‘তাফসিরুল বাগাবি’?
শাইখ : এটাও অনুরূপ। ভালো তাফসির এটা।

প্রশ্নকারী : তাফসিরুল বাহরিল মুহিত?
শাইখ : আবু হাইয়্যানের তাফসিরুল মুহিত-ও ভালো।

প্রশ্নকারী : শাওকানির তাফসির ফাতহুল কাদির?
শাইখ : শাওকানির তাফসির ফাতহুল কাদির বলতে গেলে ইবনু জারির আত-তাবারির তাফসির থেকেই নেওয়া। কিন্তু এটা ভালো তাফসির।

·
প্রশ্নকারী : তাফসিরুর রাজি?
উত্তর : না। তোমরা রাজির তাফসির বর্জন করবে। কেননা আকিদাগত দিক থেকে এই তাফসিরে স্খলন রয়েছে।

প্রশ্নকারী : ‘তাফসির আনওয়ারুত তানজিল ওয়া আসরারুত তাবিল’ ওরফে ‘তাফসিরুল বাইদাবি’?
শাইখ : আয়াতের প্রাসঙ্গিকতার প্রতি এই তাফসিরে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে; এই দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো।

প্রশ্নকারী : তাফসিরুল জালালাইন?
শাইখ : না। এটা প্রাথমিক তালিবুল ইলমের জন্য।

প্রশ্নকারী : তাফসিরু জিলালুল কুরআন?
শাইখ : না। এই তাফসিরের কোনো প্রয়োজন নেই তোমাদের।

প্রশ্নকারী : আলুসির তাফসির ‘রুহুল মাআনি ফি তাফসিরিল কুরআনিল আজিমি ওয়াস সাবয়িল মাসানি’?
শাইখ : এটা ভালো এবং সুন্দর।

·
প্রশ্নকারী : তাফসির তাইসিরুল কারিমির রহমান ফি তাফসিরি কালামিল মান্নান?
শাইখ : এটা ভালো। আমি চাই, তোমরা সতর্ক থাকবে। কেননা বেশকিছু তাফসিরে আকিদাগত ত্রুটিবিচ্যুতি আছে। কিন্তু আকিদাগত দিক থেকে এই ‘তাইসিরুল কারিমির রহমান’ খুবই ভালো। এই তাফসিরকে মূল হিসেবে গ্রহণ করা তোমাদের জন্য আবশ্যক। তোমরা যখন কোনো তাফসিরে এমনকিছু পড়বে, যা আকিদাগত দিক থেকে এই তাফসিরের বিপরীত, তখন তোমরা এই তাফসিরের কথার ওপরই নির্ভর করবে।

প্রশ্নকারী : তাফসির আইসারুত তাফাসির?
শাইখ : না। এই তাফসিরের কোনো প্রয়োজন নেই তোমাদের। এসব তাফসির বাদ দিয়ে তোমরা মূল্যবান তাফসিরের দিকে গমন করো। যেমন তাফসিরুল কুরতুবি, তাফসিরুত তাবারি প্রভৃতি।

প্রশ্নকারী : তাফসির জাদুল মাসির?
শাইখ : এটা সুন্দর।

প্রশ্নকারী : তাফসিরুল কাশশাফ?
শাইখ : জামাখশারির কাশশাফকে তোমরা বর্জন করো।

·
প্রশ্নকারী : তাফসির ইবনি কাসির?
শাইখ : তাফসির ইবনি কাসিরের একটি অতি সংক্ষিপ্ত ভার্শন আছে, যা মুবারকপুরি সংকলন করেছেন। কেননা তাফসির ইবনি কাসিরে ইসরায়িলি হাদিস আছে। মুবারকপুরিকে আল্লাহ উত্তম পারিতোষিক দিন এবং আমাদেরকে, তোমাদেরকে ও তাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন; তিনি উক্ত তাফসিরে উল্লিখিত হাদিসগুলোর বৃত্তান্ত ও সেসবের মান বর্ণনার প্রতি যত্নবান হয়েছেন এবং এসবের প্রতি অনেক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এই সংক্ষিপ্ত কিতাবটি যদি তোমরা সংগ্রহ করে পড়তে পার, তাহলে খুবই ভালো হবে।

প্রশ্নকারী : আজহারের উলামা পর্ষদ সংকলিত ‘তাফসিরুল মুনতাখাব’?
শাইখ : আল্লাহর কসম, আমি এই তাফসির সম্পর্কে কিছুই জানি না।

·
উৎস :
https://youtu.be/E3coLGjTREc?si=TYr8VyHorbPx-jYv।

·
অনুবাদক :
মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

28 May, 14:09


প্রসিদ্ধ তাফসিরগ্রন্থগুলোর ব্যাপারে ইমাম গুদাইয়্যান রাহিমাহুল্লাহর মূল্যায়ন

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

25 May, 14:04


গেমসের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী দাওয়াত...

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

22 May, 14:15


স্বচ্ছলতা ও টাকাপয়সা চান? এই মূলনীতি বাস্তবায়ন করুন।

·
সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও কিং সউদ ইউনিভার্সিটির অনুষদ সদস্য, আশ-শাইখ, আল-আল্লামা, আল-ফাকিহ, আল-উসুলি, ড. সাদ বিন নাসির আশ-শাসরি হাফিজাহুল্লাহ (জ. ১৩৮৭ হি.) বলেছেন—

❝তোমরা রিজিক চাও? তোমরা টাকাপয়সা চাও? যদি চাও, তাহলে দুনিয়া যেন তোমাদের প্রধান লক্ষ্য বা চিন্তার বিষয় না হয়। বরং পরকালই যেন তোমাদের প্রকৃত লক্ষ্য হয়; ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুনিয়া (পার্থিব ধনদৌলত) তোমাদের নিকটে এসে চলে আসবে। মহান আল্লাহ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেবেন। এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন, যা সে আশাও করতে পারে না।” [আল-কুরআনুল কারিম, ৬৫ (সুরা তালাক) : ২-৩]

মহান আল্লাহ তাঁর ওয়াদার ক্ষেত্রে সত্যবাদী, না মিথ্যাবাদী? তোমরা উত্তর দাও! [অডিয়েন্স উত্তর দিচ্ছেন, ‘তিনি সত্যবাদী।’] তিনি অক্ষম, না সক্ষম? [অডিয়েন্স উত্তর দিচ্ছেন, ‘তিনি সক্ষম।’] আচ্ছা, তাহলে কেন এমন হচ্ছে? তোমার রিজিক কম হলে তুমি কেন এমন হয়ে যাও যে, তুমি যেন মহান আল্লাহর ওয়াদার ক্ষেত্রে সন্দেহ ও অবজ্ঞা করছ? তুমি সামান্য ধৈর্য ধর। ব্যস! আল্লাহ তোমার রিজিক বাড়িয়ে দেবেন।❞

·
ভিডিয়ো-সোর্স :
@Mustey_1 (টুইটার)।

·
অনুবাদক :
মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

16 May, 14:47


স্ত্রী বেগানা পুরুষের সামনে মুখ ঢাকতে চায় না; করণীয় কী?

·
সৌদি ফতোয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাকিহ আশ-শাইখুল আল্লামা ইমাম সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান হাফিজাহুল্লাহ (জ. ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.) প্রদত্ত ফতোয়া—

প্রশ্ন : “আমার স্ত্রী নিকাব (মুখ ঢাকার বস্ত্রবিশেষ) পরতে অস্বীকার করে। আমি দীর্ঘদিন তার এ কাজের প্রতি ধৈর্যধারণ করেছি এবং তাকে নিকাব পরার নসিহত করেছি। এই কারণে আমি যদি তাকে তালাক দিই, তাহলে আমি কি পাপী হব?”

উত্তর : “না। বরং আল্লাহ চাইলে এই কাজের জন্য আপনি সওয়াব পাবেন। সে যদি নিজেকে পর্দাবৃত করতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে তালাক দেওয়া আপনার জন্য ওয়াজিব। আর আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে উত্তম কারও ব্যবস্থা করে দেবেন।”

.
নোট : ইসলামি শরিয়তে যে পুরুষের সাথে একজন নারীর বিবাহ বৈধ, সেই পুরুষই তার জন্য গাইরে মাহরাম বা বেগানা পুরুষ। অর্থাৎ পিতা, আপন চাচা, আপন ভাই, আপন মামা, আপন শ্বশুর প্রমুখের মতো যাদের সাথে একজন নারীর চিরতরে বিবাহ হারাম, তারা ছাড়া সবাই তার জন্য বেগানা পুরুষ। এমন পুরুষদের সামনে পর্দা মেইন্টেইন করা উক্ত নারীর জন্য ফরজ।

·
ভিডিয়ো-সোর্স : https://x(ডট)com/FawaidAlUlama/status/1790393711441928503

.
অনুবাদক : মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
fb.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

09 Apr, 12:04


❝আমরা আল্লাহর কাছে চাইছি— তিনি যেন আমাদের ভালো আমলগুলো কবুল করেন, তিনি যা ভালোবাসেন ও যে বিষয়ের প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, আমাদেরকে তা বাস্তবায়নের তৌফিক দেন এবং গাজ্জায় আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর আপতিত দুর্যোগকে উঠিয়ে নেন। আমরা আরও চাইছি, তিনি যেন বানর ও শুয়োরদের ভাইদের পরিকল্পনাকে তাদের নিজেদেরই বিনাশের কারণ করে দেন এবং তাদের ওপর আপতিত করেন দুর্ভাগ্য ও বিপর্যয়। আমরা প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে পরিত্রাণ দেন, তাঁদের ওপর আপতিত দুর্যোগকে উঠিয়ে নেন; যাতে করে তাদের নিকটে আনন্দ ও প্রফুল্লতার সাথে ইদের আগমন ঘটে, যেমনভাবে অন্য সকল মুসলিমের নিকটে ইদের আগমন হয়। আর এটা তো আল্লাহর কাছে কঠিন নয়; বস্তুত তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।❞

— মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফাকিহ, আশ-শাইখ, আল-আল্লামা, ড. মুহাম্মাদ বিন সায়িদ রাসলান হাফিজাহুল্লাহ (জ. ১৯৫৫ খ্রি.)।

·
ভিডিয়ো-সোর্স : @Salafguidance (টুইটার)।

·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari
https://t.me/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

31 Mar, 22:12


লাইলাতুল কদরে দোয়া করার ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কীকরণ
·
আলজেরিয়ার সালাফি দাওয়াতের ইমাম আল্লামা আব্দুল হামিদ মুহাম্মাদ ইবনু বাদিস আস-সানাহিজি রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ১৩৫৯ হি.) বলেছেন—
❝লাইলাতুল কদর দুনিয়ার জন্য নয়, বরং দিন পালনের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণ মানুষদের অনেকেরই আকাঙ্ক্ষা— দুনিয়াবি বিষয় চেয়ে নেওয়ার জন্য সে যদি লাইলাতুল কদর পেত! যার মনে এমন কুচিন্তা এসেছে, সে যেন আল্লাহর কাছে তওবা করে। কেননা মহান আল্লাহ তাঁর মহিমান্বিত কিতাবে বলেছেন,
مَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الْآخِرَةِ نَزِدْ لَهُ فِي حَرْثِهِ ۖ وَمَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ نَصِيبٍ
“যে ব্যক্তিই আখেরাতের প্রতিদান কামনা করে, তার জন্য আমি তার ফসল বর্ধিত করে দিই। আর যে ব্যক্তিই দুনিয়ার প্রতিদান কামনা করে, আমি তাকে সেটারই কিছু অংশ দিই; কিন্তু আখেরাতে তার জন্য কিছুই থাকবে না।” [আল-কুরআন, ৪২ (সুরা শুআরা) : ২০]
দুনিয়াবি বিষয়ের যেসব মাধ্যম মহান আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন, সেসব মাধ্যমযোগে কেউ দুনিয়া চাইলে আমরা তাকে তিরস্কার করি না। বরং আমরা কেবল তাকেই তিরস্কার করি, পরকাল ব্যতিরেকে দুনিয়াই যার প্রধান লক্ষ্য হয়ে গেছে। এমনকি সে লাইলাতুল কদরের জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতে থাকে, যেন সেই রজনীতে সে পরকাল থেকে গাফেল থেকে দুনিয়া চেয়ে নিতে পারে। এরপর যে ব্যক্তি পার্থিব ধনদৌলত পেয়েছে, কিন্তু কোন মাধ্যমের দরুন পেয়েছে সেটা ‘শবেকদরে দুনিয়াকামনার প্রতীক্ষায় রত থাকা’ ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট না হওয়ায় সে মনে করে, এসব ধনদৌলত নিশ্চয় লাইলাতুল কদরে প্রার্থনার কারণে অর্জিত হয়েছে!❞
·
উৎস : আব্দুল হামিদ মুহাম্মাদ ইবনু বাদিস আস-সানাহিজি, আসারু ইবনি বাদিস, তাহকিক : আম্মার তালিবি (আলজেরিয়া : দারু ওয়া মাকতাবাতুশ শারিকাতিল জাজায়িরিয়্যা, ১ম প্রকাশ, ১৩৮৮ হি./১৯৬৮ খ্রি.), খ. ২, পৃ. ৩২৯।
.
অনুবাদক: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
fb.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

17 Mar, 16:24


প্রবন্ধের নাম : জনমানুষের মাঝে বিদাত-কুফর প্রচারকারী ব্যক্তির তওবা করার সঠিক পদ্ধতি

অনুবাদ ও সংকলন : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা

পৃষ্ঠাসংখ্যা : ২৩

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

17 Mar, 13:13


এবং তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও সেই বিদাত প্রভাব বিস্তার করেছে। বস্তুত আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তুমি কখনোই তার জন্য পথপ্রদর্শনকারী পৃষ্ঠপোষক পাবে না।
দুই. যদি সে বিদাতের প্রতি উৎসাহ দিয়ে, বিদাতের সমালোচকদের নিন্দা করে কিংবা বিদাতের দায়ি ও প্রচারকদের সমালোচনা করে লিখে থাকে, তাহলে নিজের কথার খণ্ডন করতে হবে তাকে। আর নিজের ওপরেই কৃত সেই খণ্ডন হতে হবে এমন সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য, যে প্রত্যেক পাঠক বা শ্রোতা তা বুঝতে পারে। এসবই করতে হবে নিজের জিম্মাদারি পালন করার জন্য, সুন্নাহর পৃষ্ঠপোষকতা করা জন্য এবং সুন্নাহপন্থিদের প্রতি ভালোবাসার জন্য। এরপর এ বিষয়ের ওপরেই তাকে অটল থাকতে হবে তার রবের তরফ থেকে মৃত্যু না আসা পর্যন্ত।
তিন. তার কাছে যত মাধ্যম আছে, যেগুলোতে এসব বিদাত সংরক্ষিত আছে, সবগুলোই তাকে ধ্বংস করতে হবে এবং পুড়িয়ে ফেলতে হবে। যাতে তার কোনো অবশিষ্টাংশ বলতে কিছু না থাকে; যা থেকে কারও ফেতনাগ্রস্ত হতে পারে, চাই বিদাতকারীর জীবদ্দশায় হোক কিংবা তার তিরোধানের পরে।” [জাইদ বিন হাদি আল-মাদখালি, আল-আজবিবাতুল আসারিয়্যা আনিল মাসায়িলিল মানহাজিয়্যা (আলজেরিয়া : আল-মিরাসুন নাবাবি, ১ম প্রকাশ, ১৪৩৩ হি./২০১২ খ্রি.), পৃ. ১০৪-১০৫]

·
মিশরের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সায়িদ রাসলান হাফিজাহুল্লাহ (জন্ম: ১৯৫৫ খ্রি.) বলেছেন :
وليعلم هؤلاء أنهم صاروا دعاة للبدعة، وأن توبتهم تتطلب شرطا لا بد منه في توبة المبتدع الداعي، وهو أن يصلح بدل إفساده، وأن يعتصم بالله بدل اعتصامه بالمبتدعة وأهل الأهواء، وأن يبين أن ما كان يدعو إليه بدعة وضلالة.
“আর ওরা যেন জেনে রাখে, তারা বিদাতের প্রতি আহ্বানকারী হয়ে গেছে। এজন্য তাদের তওবায় একটি শর্ত পূরণ হওয়া জরুরি; একজন বিদাতি আহ্বায়কের তওবায় যেই শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। শর্তটি হলো— সে যেই ক্ষতি করেছে, তার বদলে সেটাকে সংশোধন করতে হবে, বিদাতি ও প্রবৃত্তির অনুসারীদের আঁকড়ে ধরার পরিবর্তে আল্লাহকে (তাঁর শরিয়তকে) আঁকড়ে ধরতে হবে এবং তাকে স্পষ্ট করে ব্যক্ত করতে হবে, ইতঃপূর্বে যে বিষয়ের প্রতি সে আহ্বান করত, তা ছিল বিদাত ও ভ্রষ্টতা।” [মুহাম্মাদ বিন সায়িদ রাসলান, দাআয়িমু মিনহাজিন নুবুয়্যাহ (২য় প্রকাশের অন্তর্জালিক সংস্করণ, তাবি), পৃ. ৪৬২-৪৬৩]

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়, জনমানুষের মাঝে বিদাতি ও ভ্রান্ত আকিদা প্রচারকারীকে তওবা করতে হলে অবশ্যই পাবলিকলি নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে এবং প্রকাশ্যে বলতে হবে, ‘আগে যা প্রচার করেছি, তা ভুল বা ভ্রান্তি ছিল’। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ বিষয়টি উত্তমরূপে বোঝার এবং এ অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।

·
অনুবাদক ও সংকলক : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা
fb.com/SunniSalafiAthari

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

17 Mar, 13:13


·
সৌদি আরবের আলিমদের সম্পর্কে আব্দুর রহমান আব্দুল খালিক যখন ভ্রষ্টতাপূর্ণ কথাবার্তা প্রচার করেছিল, তখন সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি ইমাম আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৪২০ হি.) তার খণ্ডন ও সমালোচনা করে তার উদ্দেশে বলেছিলেন, ولا شك أن ما قلته عن علماء السعودية غير صحيح، وخطأ منكر، فالواجب عليك الرجوع عن ذلك، وإعلان ذلك في الصحف المحلية في الكويت والسعودية “নিঃসন্দেহে সৌদি আরবের আলিমদের সম্পর্কে তুমি যা বলেছ তা বেঠিক এবং জঘন্য ভুল। সুতরাং এ থেকে ফিরে আসা এবং সৌদি আরব ও কুয়েতের স্থানীয় পত্রপত্রিকায় ভুল থেকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রচার করা তোমার জন্য আবশ্যক।” [আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ ইবনু বাজ, মাজমুউ ফাতাওয়া ওয়া মাকালাতুম মুতানাওয়্যা (রিয়াদ : দারুল কাসিম, ১ম প্রকাশ, ১৪২০ হি.), খ. ৮, পৃ. ২৪২]

একই ব্যক্তির ব্যাপারে কিছুদূর এগিয়ে শাইখ ইবনু বাজ রাহিমাহুল্লাহ আরও বলেছেন, فالواجب عليكم الرجوع عن هذا الكلام، وإعلان ذلك في الصحف المحلية في الكويت والسعودية، وفي مؤلف خاص يتضمن رجوعكم عن كل ما أخطأتم فيه “সুতরাং তোমার জন্য ওয়াজিব— উক্ত কথা থেকে ফিরে আসা, সৌদি আরব ও কুয়েতের স্থানীয় পত্রপত্রিকায় ভুল থেকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রচার করা এবং স্বতন্ত্র একটি লেখায় এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া, যেখানে তোমার কৃত প্রতিটি ভুল থেকে ফিরে আসার কথা উল্লিখিত থাকবে।” [ইবনু বাজ, মাজমুউ ফাতাওয়া, খ. ৮, পৃ. ২৪৪]

·
ইমাম ইবনু উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৪২১ হি.) তওবা নিয়ে আলোচনা করতে যেয়ে বলেছেন :
ولهذا لو تاب المرتد قبلنا توبته ورفعنا عنه القتل، ولو تاب الزاني بعد وصوله إلى القاضي لا تنفعه التوبة، مع أن المرتد تنفعه التوبة حتَّى عند القاضي.
استثنى بعض العلماء من هذا مسائل:
أولًا: صاحب البدعة قالوا: المبتدع ولو تاب لا تقبل توبته، ولكن يقال: أين الدليل على خروجه من العمومات؟
قالوا: لأن مفسدته متعدية، فنقول في الجواب عن هذا: هذه المفسدة المتعدية يمكن إصلاحها بأن يقول هذا الذي ابتدع: إنه رجع عن بدعته وأن الصواب كذا وكذا، مثل ما جرى لأبي الحسن الأشعري رحمه الله، فأبو الحسن الأشعري كان في أولى أمره معتزليًّا تمامًا، معتزليًّا جلدًا لا يلين، وبقي على ذلك مدة طويلة من الزمن ثم تاب، وأعلن توبته في المسجد الجامع وخلع عمامته وقال: من كان يعرفني فهو يعرفني، ومن لا يعرفني فأنا فلان، ثم أنكر إنكارًا شديدًا على المعتزلة، هذه توبة، وربما يكون أجره على إنكار البدعة أعظم من عقوبته على هذه البدعة، مع أن العقوبة انمحت بالتوبة.
كذلك أيضًا: لا بد لتحقيق توبة المبتدع من أن يكتب ما يبطل بدعته، حتَّى يكون صادقًا في توبته.
فإن قال قائل: أرأيت لو أن الذين أخذوا ببدعته أَبوا أن يرجعوا برجوعه؛ فهل يأثم بإثم بقاء هؤلاء على البدعة؟
الجواب: لا يأثم؛ لأنه أدى ما يجب عليه من التوبة وبَيَّنَ الحق، وإذا أصر هؤلاء على باطلهم فهم على باطلهم.
“এজন্য কোনো ইসলামধর্ম-ত্যাগকারী তওবা করলে আমরা তার তওবা কবুল করব এবং তার মৃত্যুদণ্ড উঠিয়ে নেব। কোনো ব্যভিচারীর বিষয় বিচারক পর্যন্ত পৌঁছার পরে ব্যভিচারী তওবা করলে সেই তওবা তার কোনো উপকারে আসবে না। যদিও একজন ইসলামধর্ম-ত্যাগকারীর তওবা তার কাজে আসবে, বিচারকের কাছে পৌঁছার পরেও। এই বিধান থেকে উলামাগণ কয়েকটি বিষয়কে ব্যত্যয় করেছেন। যথা:

এক. বিদাত সংঘটনকারী ব্যক্তি। উলামাগণ বলেছেন, ‘বিদাতকারী তওবা করলেও তার তওবা গ্রহণ করা হবে না।’ কিন্তু এক্ষেত্রে (জবাব হিসেবে) বলা হয়, ‘বিদাতি যে স্বাভাবিক ব্যাপকতার অন্তর্গত হবে না’ তার দলিল কী? উলামাগণ বলেন, কেননা তার অনিষ্ট অন্যের কাছেও পৌঁছে যায়। আমরা এ কথার জবাবে বলব, এই অন্যের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মতো অনিষ্টকে সংশোধন করা সম্ভব, যেই ব্যক্তি বিদাতে নিপাতিত হয়েছে তার এরূপ কথা বলার মাধ্যমে যে, ‘সে তার বিদাত থেকে ফিরে এসেছে, এক্ষেত্রে সঠিক বিষয় হবে এটা-এটা।’

যেমনটি আবুল হাসান আল-আশারি রাহিমাহুল্লাহর ক্ষেত্রে সংঘটিত হয়েছিল। কেননা আবুল হাসান আল-আশারি প্রথমে বিলকুল মুতাজিলি ছিলেন। একদম খাঁটি মুতাজিলি, যে কিনা এক্ষেত্রে সামান্যতমও ছাড় দেয় না। তিনি এ আদর্শের ওপরেই দীর্ঘ সময়কাল প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি তওবা করেন। তিনি জামে মসজিদে এসে নিজের তওবার ঘোষণা দেন এবং তদীয় পাগড়ি খুলে ফেলেন। তিনি বলে ওঠেন, যে আমাকে চেনে, সে তো আমাকে চেনেই। আর যে আমাকে চেনে না, সে যেন জেনে রাখে, আমি অমুক। এরপর তিনি মুতাজিলি গোষ্ঠীর তীব্র সমালোচনা করেন। এটা হলো তওবা। হয়তো বিদাতের বিরুদ্ধে তাঁর এই সমালোচনার প্রতিদান উক্ত বিদাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার শাস্তির (পাপের) চেয়েও বড়ো; যদিও তওবার মাধ্যমে তাঁর শাস্তি পাওয়ার পাপ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

17 Mar, 13:13


অনুরূপভাবে বিদাতকারী ব্যক্তিকে তওবা কার্যকর করতে হলে অবশ্যই লিখে জানাতে হবে, যা তার বিদাতকে বাতিল সাব্যস্ত করে; যাতে করে সে স্বীয় তওবায় সত্যবাদী হিসেবে সাব্যস্ত হয়। কেউ বলতে পারেন, আপনার কী অভিমত? যারা তার বিদাত গ্রহণ করেছে, তারা যদি তার ফিরে আসার কথা শুনেও ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তাহলে ওরা ওই বিদাতে বহাল থাকার কারণে তওবাকারীও কি পাপী হবে? উত্তর হচ্ছে : না, তিনি পাপী হবেন না। কেননা তার ওপর যে দায়িত্ব ছিল—অর্থাৎ তওবা করা এবং সত্যকে বিশদভাবে তুলে ধরা—তা তিনি আদায় করেছেন। এখন তারা যদি তাদের বাতিলের ওপর অটল থাকে, তাহলে তারা নিজেদের বাতিলের ওপরই অটল আছে বলে বিবেচনা করা হবে।” [মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন, তাফসিরুল কুরআনিল কারিম : সুরাতিল মায়িদা (সৌদি আরব : দারু ইবনিল জাওজি, ২য় প্রকাশ, ১৪৩৫ হি.), খ. ২, পৃ. ৩৫]

·
যুগশ্রেষ্ঠ ফাকিহ, সৌদি ফতোয়া বোর্ডের প্রবীণ সদস্য, ইমাম সালিহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান হাফিজাহুল্লাহ (জ. ১৩৫৪ হি.) প্রদত্ত ফতোয়া—
السؤال: هل تقبل توبة المبتدع لأن له أتباعاً يسيرون على بدعته بعد توبته؟
الجواب: إذا أعلن إذا تاب وأعلن فإنه برئت ذمته وأبو الحسن أعلن كما سمعتم في كتبه أعلن براءته ورجوعه فهو برئت ذمته رحمه الله.
প্রশ্ন : “বিদাতির তওবা কি কবুল করা হবে, যেহেতু তার অনুসারী গোষ্ঠী আছে, যারা তার তওবার পরেও তার বিদাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে?”
উত্তর : “যদি সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যদি সে তওবা করে এবং প্রকাশ্যে তা জানিয়ে দেয়, তাহলে তার দায়িত্ব থেকে সে মুক্ত হয়ে যায়। তোমরা যেমন শুনেছ, আবুল হাসান (আশারিদের ইমাম আবুল হাসান আশারি) তাঁর কিতাবপত্রে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন; তিনি বিদাতি আকিদা থেকে তাঁর মুক্ত হওয়া এবং ফিরে আসার কথা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। এজন্য তাঁর জিম্মাদারি আদায় হয়ে গেছে। আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন।” [সালিহ আল-ফাওজান, “[785 -1024] হাল তুকবালু তাওবাতুল মুবতাদি ওয়া কদ সারা লাহু আতবাউন ইয়াসিরুনা আলা বিদআতিহি বাদা তাওবাতিহি”, ইউটিউবে প্রকাশকারী চ্যানেল : العلامة الدكتور صالح الفوزان, ভিডিয়ো প্রকাশের তারিখ : ৮ই মে, ২০২১ খ্রি., এডুকেশনাল ভিডিয়ো, ০:০০ মিনিট থেকে ০:২৬ মিনিট পর্যন্ত, https://youtu.be/35dz0gVe3s0?si=FKguRm-MAsrR7C3y]

·
সৌদি আরবের প্রখ্যাত ফাকিহ আশ-শাইখুল আল্লামা জাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদি আল-মাদখালি রাহিমাহুল্লাহকে (মৃত: ১৪৩৫ হি.) এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন :
شروط توبة المبتدع هي الشروط المعروفة بالتتبع والاستقراء لقبول توبة كل مذنب :
الأول : الإقلاع عن الذنب.
ثانيا: الندم على ما فعله.
الثالث: العزم على عدم العود فيه.
ويزيد المبتدع على هذه الثلاثة الشروط ما يلي :
١- البراءة المعلنة ظاهرا وباطنا لا سيما في الأماكن التي كان ينفث فيها سموم بدعته وعلى سمع الأفراد الذين دعاهم ليعتنقوها ويتعصبوا لها ويقوموا بنشرها ، حتى تصبح البدعة وتمسي كأنها سنة نبوية كريمة يحرص على الدعوة إليها والعمل بها ممن امتلأت بها قلوبهم ، وتفاعلت معها جوارحهم ، ومن يضلل الله فلن تجد له وليّا مرشدا.
٢- أن يرّد على نفسه إن كان قد ألّف في الترغيب فيها ، وفي ذم من ينتقدها أو ينتقد دعاتها والمروجين لها ويكون الرد صريحا وجليّاً يفهمه كل من قرأه أو سمعه براءة للذمة ونصرا للسنة ومحبة لأهلها وأن يستمر على ذلك حتى يأتيه من ربه اليقين.
٣- أن يحرق ويتلف مابين يديه من الوسائل التى دوّنت فيها البدع حتى لا يبقى لها باقية يفتتن بها من يفتتن سواء في حياة محدثها أو بعد مماته.
وأخيرا فاعلم أيها السائل أن المبتدع شر مستطير على نفسه و على مجتمعه و أمته ، فإن أعرض عن نصيحة الناصحين وجب هجره ، والفرار من مجالسته و صحبته.
وقلت أيها السائل : وهل تطبق على الحزبيين في هذا العصر ؟
والجواب : يجب أن تطبق الشروط على كل صاحب بدعة ،و لا شك أن الحزبيين أصحاب بدع متعددة و متنوعة ، إذ منهم الخوارج ، ومنهم الصوفية، ومنهم الجهال المقلدون لهؤلاء و ألئك ، و الواجب على الجميع التوبة إلى الله المستوفية لشروطها كل بحسب حاله.
“বিদাতির তওবা করার শর্তাবলি সেগুলোই— যা গবেষণা ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রত্যেক পাপী ব্যক্তির তওবা কবুলের শর্ত হিসেবে বিদিত হয়েছে। যথা:
এক. পাপকাজ বর্জন করা।
দুই. নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচিত হওয়া।
তিন. উক্ত পাপের পুনরাবৃত্তি না করার সংকল্প করা।
বিদাতির ক্ষেত্রে এই শর্তত্রয়ের সাথে অতিরিক্ত যুক্ত হবে নিম্নোক্ত শর্তাবলি—
এক. প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে নিজের কৃত বিদাত থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া; বিশেষত ওই সকল জায়গায়, যেখানে সে তদীয় বিদাতের বিষ ছড়াত। আর তাদের কর্ণকুহরেও নিজের বিদাতমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া, যাদেরকে বিদাত গ্রহণ করতে, বিদাতের জন্য গোঁড়ামি করতে ও বিদাতের প্রচার করতে ডাকত। যাতে বিদাত হয়ে ওঠে একটি উত্তম নববি সুন্নাতে, যেই সুন্নাতের প্রতি দাওয়াত দিতে এবং বিদাতি আমল করতে তারা উৎসাহী হয়, যাদের অন্তর সেই বিদাতে ভরপুর হয়ে গেছে

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

17 Mar, 13:13


জনমানুষের মাঝে বিদাত-কুফর প্রচারকারী ব্যক্তির তওবা করার সঠিক পদ্ধতি

·
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। কেউ যদি বিদাত, আকিদাগত ভ্রান্তি ও কুফর-শির্কে পতিত হয়, তাহলে তাকে শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী তওবা করতে হবে, যে নিয়ম আমাদের আহলুস সুন্নাহর ন্যায়নিষ্ঠ উলামাগণ কুরআন-সুন্নাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। আমি এ বিষয়ে বড়ো বড়ো উলামার কয়েকটি বক্তব্য পেশ করব, যেখানে তাঁরা দলিলের আলোকেই তওবা করার পদ্ধতি ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম আবু হাতিম আর-রাজি রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ২৭৭ হি.) বলেছেন :
وَلَقَدْ ذُكِرَ لأَبِي عَبْدِ اللهِ أَحْمَدَ بنِ حَنْبَلٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ العِلْمِ كَانَتْ لَهُ زلَّةٌ، وَأَنَّهُ تَابَ مِنْ زَلَّتِهِ، فَقَالَ: لَا يَقْبَلُ اللهُ ذلِكَ مِنْهُ حَتَّى يُظْهِرَ التَّوْبَةَ وَالرُّجُوْعَ عَنْ مَقَالَتِهِ، وَلْيُعْلِمَنَّ أَنَّهُ قَالَ مَقَالَتَهُ كَيْتَ وَكَيْتَ، وَأَنَّهُ تَابَ إِلَى اللهِ تَعَالَى مِنْ مَقَالَتِهِ وَرَجَعَ عَنْهُ، فَإِذَا ظَهَرَ ذلِكَ مِنْهُ حِيْنَئِذٍ تُقْبَلُ، ثُمَّ تَلَا أَبُو عَبْدِ اللهِ: ﴿إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا﴾.
“একবার আবু আব্দুল্লাহ আহমাদ বিন হাম্বালের (মৃ. ২৪১ হি.) কাছে জনৈক আলিমের কথা বলা হলো, যার ভ্রান্তি ছিল, কিন্তু তিনি তওবা করে নিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে প্রকাশ্যে তওবা করছে এবং প্রকাশ্যে তার আগের বক্তব্য থেকে ফিরে আসার কথা জানাচ্ছে। আর সে যেন এটাও জানিয়ে দেয় যে, ইতঃপূর্বে সে এমন এমন কথা বলেছিল, কিন্তু সে পরবর্তীতে ওই কথাবার্তা থেকে মহান আল্লাহর দিকে ফিরে গেছে এবং ওই কথা থেকে প্রত্যাবর্তন করেছে। তার কাছ থেকে যখন এসব বিষয় প্রকাশিত হবে, তখন তার তওবা কবুল হবে।’ এরপর আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম আহমাদ) এ আয়াত আবৃত্তি করেন, ‘তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা তওবা করেছে, নিজেদেরকে সংশোধন করেছে এবং সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬০)” [আব্দুর রহমান বিন আহমাদ ইবনু রজাব, জাইলু তাবাকাতিল হানাবিলা, তাহকিক : আব্দুর রহমান বিন সুলাইমান আল-উসাইমিন (রিয়াদ : মাকতাবাতুল উবাইকান, ১ম প্রকাশ, ১৪২৫ হি./২০০৫ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ৩০০]

·
ইমাম মুওয়াফফাকুদ্দিন আবু মুহাম্মাদ ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ৬২০ হি.) বলেছেন,
وأمَّا البِدْعةُ، فالتَّوبة منها بالاعْترافِ بها، والرُّجوعِ عنها، واعْتقادِ ضِدِّ ما كان يَعْتَقِدُ منها.
“পক্ষান্তরে বিদাতের তওবা হবে— তা স্বীকার করে নেওয়া, তা থেকে ফিরে আসা এবং যেই বিদাতি আকিদা আগে পোষণ করত তার বিপরীত আকিদা পোষণ করার মাধ্যমে।” [আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ ইবনু কুদামা আল-মাকদিসি, আল-মুগনি, তাহকিক : আব্দুল্লাহ আত-তুর্কি ও আব্দুল ফাত্তাহ মুহাম্মাদ আল-হুল্‌উ (রিয়াদ : দারু আলামিল কুতুব, ৩য় প্রকাশ, ১৪১৭ হি./১৯৯৭ খ্রি.), খ. ১৪, পৃ. ১৯৪]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওজিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৭৫১ হি.) বলেছেন :
من توبة الداعي إلى البدعة أن يبين أن ما كان يدعو إليه بدعة وضلالة، وأن الهدى في ضده؛ كما شرط تعالى في توبة أهل الكتاب الذين كان ذنبهم كتمان ما أنزل الله من البينات والهدى ليضلوا الناس بذلك: أن يصلحوا العمل في نفوسهم، ويبينوا للناس ما كانوا يكتمونهم إياه، فقال: ﴿إن الذين يكتمون ما أنزلنا من البينات والهدى من بعد ما بيناه للناس في الكتاب أولئك يلعنهم الله ويلعنهم اللاعنون (١٥٩) إلا الذين تابوا وأصلحوا وبينوا فأولئك أتوب عليهم وأنا التواب الرحيم (١٦٠)﴾ [البقرة: ١٥٩، ١٦٠].
“বিদাতের প্রতি আহ্বানকারী ব্যক্তির তওবার অন্তর্গত বিষয় হলো— তিনি যেই বিষয়ের দাওয়াত দিতেন, তা যে বিদাত ও ভ্রষ্টতা ছিল এবং এর বিপরীত বিষয়েই যে হেদায়েত রয়েছে, সেটা স্পষ্টরূপে ব্যক্ত করা। যেমন কিতাবধারীদের তওবার ক্ষেত্রে আল্লাহ শর্তারোপ করেছিলেন। যেই কিতাবধারীদের অপরাধ ছিল— আল্লাহর নাজিলকৃত দলিলপ্রমাণ ও হেদায়েতকে গোপন করা, যাতে করে তারা এর মাধ্যমে লোকদেরকে পথভ্রষ্ট করতে পারে। এদের ক্ষেত্রে আল্লাহ শর্ত দিয়েছিলেন, তারা নিজেদের মধ্যকার আমলকে সংশোধন করবে এবং মানুষদের থেকে যা গোপন করত, তা জনগণের কাছে প্রকাশ করে দেবে। আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমরা যেসব সুস্পষ্ট নিদর্শন ও হেদায়েত নাজিল করেছি, সেসবকে যারা গোপন করে, মানুষের জন্য কিতাবে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরে, তাদেরকে আল্লাহ লানত করেন (রহমত থেকে বিতাড়িত করেন) এবং লানতকারীগণও তাদেরকে লানত করেন । তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা তওবা করেছে, নিজেদেরকে সংশোধন করেছে এবং সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছে। এজন্য এদের তওবা আমি কবুল করব। আর আমি অধিক তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা: ১৫৯-১৬০)” [মুহাম্মাদ বিন আবু বাকার ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওজিয়্যা, উদ্দাতুস সাবিরিন ওয়া জাখিরাতুশ শাকিরিন, তাহকিক : ইসমায়িল বিন গাজি (রিয়াদ : দারু আতাআতিল ইলম, ৪র্থ প্রকাশ, ১৪৪০ হি./২০১৯ খ্রি.), পৃ. ১২৩]

সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে

16 Mar, 13:45


বইয়ের নাম : যেসব আমলের সওয়াব মৃত্যুর পরেও জারি থাকে

মূল লেখক : আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক বিন আব্দুল মুহসিন আল-বদর হাফিজাহুল্লাহ

ভাষান্তর : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা