Dernières publications de Sadiq Farhan (@sadiqfarhan58) sur Telegram

Publications du canal Sadiq Farhan

Sadiq Farhan
سنفطر في القدس عاصمة فلسطين
1,568 abonnés
279 photos
61 vidéos
Dernière mise à jour 26.02.2025 00:16

Le dernier contenu partagé par Sadiq Farhan sur Telegram


মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার মুহূর্তেও সিনওয়ার শত্রুকে লক্ষ্য করে দুর্বল হাতে লাঠি ছুঁড়ে মারেন। সিনটা দেখে সহ্য করতে পারছি না। আল্লাহু আকবার। বীরপুরুষ একেই বলে। ইনশাআল্লাহ, সিনওয়ারের ছোঁড়া এই লাঠিই, নবি মুসা আ.-এর লাঠির মতো মুক্তির পথ শুরু হবে।

যে উম্মতের নেতা সিনওয়ার, সেই উম্মত হারবে না...

আউটফিট, চেহারা, বডিশেইপ, দাঁত - সবগুলো মিলে যায় সিনওয়ারের সাথে।

জুলাই-আন্দোলনে প্রায় একশোজনের মতো মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক মারা গেছেন। সংখ্যাটা এত বেশী কেন? এই প্রশ্নটা করা জরুরি। তুলনা নয়, বুঝার জন্য বলি, আন্দোলনে নিহত হিন্দুর সংখ্যা হয়ত নয়জনের মত। বামপন্থী রাজনীতি করেন এমন নিহতের সংখ্যা হয়তো পাঁচজনও হবে না—অথচ সংখ্যাগত দিক থেকে কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের সংখ্যা এক কোটির চেয়েও কম।

আমার মতে এর প্রধান কারণ দু’টি :

ক) গত পনের বছরে হুজুর শ্রেণীর বিরুদ্ধে যে সম্মিলিত ঘৃ ণা উৎপাদন করা হয়েছে, সেটা অকল্পনীয়। আমার বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে এমন একজনও নেই, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়নি। কাজেই, মাদরাসার ছাত্ররা ছিল পুলিশের সহজ টার্গেট। ঠিক একই কারণে এলিট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিহতের সংখ্যা নাই বললেই চলে।

খ) অব্যাহত নির্যাতনের মুখে মাদরাসার ছাত্ররা রাজনীতিতে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়েছেন, বাধ্য হয়েছেন। দুই হাজার তেরোতে মাদানীনগর মাদরাসাকে বাঁচাতে এলাকার মানুষরা নেমে এসেছিলেন, ত্রিশজনের মত শহীদ হয়েছেন। কাজেই, এলাকার ছেলেদের বিপদে মাদরাসার ছাত্রদেরকেও মাঠে নামতে হয়েছে।

যাত্রাবাড়ি-সাভারের প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাকে বলেছেন, মাদরাসার ছাত্ররা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বদলে শক্তি প্রদর্শন করেছেন, কাজেই হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখানে কিছু আশংকার জায়গা আছে, সম্ভাবনাও আছে। মসজিদ-মাদরাসাকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা জরুরি। ইলমচর্চা সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস : ইমামতি, ফতোয়া, দরস—এগুলো যে কোন মুসলিম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাজেই, চিকিৎসার মত ইলমচর্চাকেও ‘রাজনৈতিক’ বানানো যাবে না। কে কীভাবে দেখেন জানি না, মনে রাখবেন, শারীরিক অসুখের চেয়ে মনের অসুখ-মতাদর্শিক অসুখ কোনঅংশেই কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সেনাবাহিনী যু দ্ধ করে সীমান্তে-সমরাস্ত্রে—আলেম/চিন্তাবিদরা যু দ্ধ করেন মাথায়-মগজে-দর্শনে।

মসজিদ-মাদরাসার বাইরে আলেমরা অবশ্যই রাজনীতি করবেন—বাংলাদেশে ঐতিহ্যপন্থী রাজনীতির বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জামায়াত লিবারেল হবার প্রেক্ষিতে দেশের পনের-বিশ শতাংশ মানুষ এখন ‘রিপ্রেজেন্টেশনহীন’। এদেরকে রিপ্রেজেন্ট করতে আলেমদেরকে এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি মাথাতে রাখতে হবে দেশের বাকি আশি শতাংশ আপাতত আলেমদেরকে সমর্থন করবে না।

মুশকিল হল, পনের/বিশ শতাংশ দূরে থাকুক, আলেমরা বড়জোর পাঁচ-সাত শতাংশের বেশী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করেন না। বাকি, তেরো/পনের শতাংশকে আলেমরা যদি মোবিলাইজ না করতে পারেন, তবে দেশে উগ্র পন্থা ছড়িয়ে পড়ার ভালো আশংকা আছে।

- ইফতি ভাই

পূজোয় ইসলামী সংগিত গাওয়া সেক্যুলার আইনে অপরাধ কি না, সে নিয়ে কর্তৃপক্ষ ভাবুক। কিন্তু ইসলামী আইনমতে শিরকের স্থান থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখাই মুমিনের দায়িত্ব। সেখানে গিয়ে ইসলামী সংগিত গাওয়া অনেকটা তাদের শিরককে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার নামান্তর। তাদের উৎসবে যোগ দিয়ে, সেটাকে ইসলামের সাংঘর্ষিক মনে না করার অনুরূপ।

যারা এটা করেছেন, তারা গর্হিত কাজ করেছেন। নিজেদের দৈন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। ইসলাম নিয়ে আপনারা কতটা হীনম্মন্য এবং ধর্মীয় রূহানিয়াত থেকে কতখানি বঞ্চিত, সেটার প্রমাণ দিয়েছেন। শিরক এতটা নিকৃষ্ট অপরাধ, কোনো মুমিন-মুসল্লি এটা সহ্য করতে পারে না। সিগারেট না খেলে যেমন সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য হয় না, তেমন। এটা ইমানী অনুভবের ব্যাপার। যারা সেখানে ইসলামী সংগীত গেয়েছে, আমি মনে করি তাদের সেই অনুভবটুকু নেই।

তবে সেক্যুলার সমাজ যেমন জাত গেল জাত গেল ভাব করেছে, আইনের মাধ্যমে এর সমাধানের চিন্তা করছে, তাদের বলব, কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া কি একাজ হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের অপরাধ মুসলিম হয়েও পূজায় ঘুরতে যাওয়া লোকগুলোর চেয়ে গুরুতর কেন? উৎসবকে সার্বজনীন ঘোষণাকারী লোকদের চেয়ে, সেখানে ঘুরতে যাওয়ার চেয়ে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সংগীত গাওয়া সেক্যুলার আইনে কীভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে?

পূজার সময় কেন বেশি সচেতন হবেন?

জাদু মুলত শয়তানের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে আর শয়তানকে খুশি করার মাধ্যম হচ্ছে পূজা-অর্চনা।

বছরের সবচেয়ে বেশি পূজা সম্পন্ন হয় আশ্বিন এর শেষ দিকে ও কার্তিক মাসে তথা পুরো অক্টোবর জুড়ে।

এ সময়ে যেসকল পূজা অনুষ্ঠিত হয় তন্মদ্ধ্যে রয়েছে —

• নবরাত্রি
• দুর্গাপূজা
• বিজয়া দশমী
• কোজাগরী লক্ষী পূজা
• কালীপূজা ও দীপাবলি

তান্ত্রিক-জাদুকরেরা জাদু রিনিউ করতে বিভিন্ন তিথি বেছে নেয়। এসকল পূজার তিথি তাদের জন্য মোক্ষম সুযোগ। চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন, বৈশাখের প্রথম দিন, শিবরাত্রি, বিভিন্ন অমাবস্যা, পূর্নিমা, আশ্বিন মাসের পূজাসমূহ তাদের কাঙ্খিত সময়। নতুন জাদু করা, পুরাতন জাদু রিনিউ করা এসকল কাজ জাদুর খাদেম জ্বীনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে অথবা কালোজাদুর আসবাব বিভিন্ন কবরে পুতে, শবসাধনা করে জাদু চর্চা করে শয়তানি সাধনার মাধ্যমে। এছাড়াও অনেক সময় জ্বীনেরা নিজে থেকে মানুষের শরীরে জাদুর গিট বেঁধে নিজের আবাস তৈরি করে নেয়। এরাও এসমস্ত তিথিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালায়।

এই কারণে অনেক জ্বীন/ জাদুগ্রস্থ রোগি দীর্ঘ পরিশ্রমের সাথে রুকইয়াহ্, আমল করার মাধ্যমে শেফার কাছাকাছি পৌছেছে তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি। যারা আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিপূর্ণ শেফা লাভ করেছে তাদেরকেও আমল এ কঠোর হতে হবে।

সতর্কতা স্বরুপ আপনাদের করনীয়ঃ

● ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত যথাযথভাবে পালন করা
● সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবেনা
● আসরের পর বিসমিল্লাহ বলে দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া
● সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বের না হওয়া
● যথাসম্ভব মন্দির, পূজামন্ডপ এরিয়ে চলা
● বাসা থেকে বের হওয়ার সময় চার কুল, আয়াতুল কুরসি পড়ে শরীর বন্ধ করা, ঘর থেকে বের হওয়ার দু'আ পড়া
● মন্দির/পূজা এরিয়া অতিক্রম করার সময় চারকুল পড়তে থাকা ও “বিসমিল্লাহিলাজি লা ইয়া দুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বী ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম” পড়া (আরবি দেখে শিখে নেবেন)
● বাসায় সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা
● যাদের রুকইয়াহ্/সেলফ রুকইয়াহ্ চলমান তাদের বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসলেও রুকইয়াহ্ সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া
● বেশি বেশি কার্স মোনাজাত করা (এটি জাদুকরের জাদু তার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জাদুসহ জাদুকর ধ্বংসের জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত)
● যারা সদ্য সুস্থতা লাভ করেছে তাদের উচিত কমন রুকইয়াহ্ আয়তগুলো তেলাওয়াত করা
● পূজার প্রসাদ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না

এই পুরো অক্টোবর মাস জুড়েই কিন্তু রয়েছে বিভিন্ন পূজো তাই সচেতন থাকবেন, আমলে জিকিরে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

© Hijama Planet : Cupping & Ruqyah Center

❗️🇮🇱/🇮🇷 NEW: 'Israel's response against Iran is imminent' – Channel 13

তেলাবিবের আকাশে আতশবাজির মতো ফুটছে ইরানের মুহুর্মুহু মিসাইল

জাতিসংঘে দেয়া ড ইউনুসের বক্তব্য প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব টপিকে কথা বলেছেন। বিশেষ করে গাজায় চলা গণহত্যাকে তুলে ধরেছেন। যদিও ইসরাইলের নাম তিনি উচ্চারণ করেননি। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। উপস্থিত শ্রোতারা করতালি দিয়ে তাতে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি উন্নয়নশীল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলেছেন। সকল রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ঘোষণাও জরুরী ছিল, যাতে ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা বাংলাদেশের নীতি বুঝতে পারে। তিনি বৈশ্বিক দক্ষিণের পক্ষে কথা বলেছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার নাম উচ্চারণ না করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। AI বিষয়ে তার বক্তব্য বেশ সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর ছিল। জাতিসংঘের (SDG) এজেন্ডা ২০৩০, এর সফলতা মাত্র ১৭%। এনিয়ে তিনি আফসোস করেছেন। কিন্তু আমি এতে খুশি। এই এজেন্ডা ব্যর্থ হচ্ছে ও হবে। এমনকি পুরো জাতিসংঘ ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে। ইন শা আল্লাহ। শিক্ষিত- প্রতিষ্ঠিত-গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সামনে বক্তব্য দিতে তিনি বেশ দক্ষ ও অভিজ্ঞ। তাই এমন বক্তব্যই তার থেকে আশা করছিলাম। পুরো বক্তব্য শোনার সময় কেন জানি বার বার মোদীর কথা মনে পরছিল।

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে সর্বমোট ৫৭ কোটি (৫৭০ মিলিয়ন) মুসলিম বাস করে। জনসংখ্যার বিচারে প্রথমে পাকিস্তান, তারপর ভারত, তারপর বাংলাদেশ। সুতরাং, যখন এ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে ভাববেন বা কথা বলবেন, নিশ্চয়ই পুরো হিন্দুস্তান মাথায় রেখে বলবেন। কারণ আমরা কেউ আলাদা নই। ‍আমাদের আবেগ, অনুভূতি, শিক্ষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস হুবহু এক। অপরাজনীতির শিকার হয়ে আপাতত আলাদা আছি, তবে আমাদের ভবিষ্যতই একই সুতোয় গাঁথা।

ভারতীয় মুসলিমরা দেখিয়ে দিয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন হিন্দুস্তানের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মতো, তাদেরও সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যত মুক্তির বাহিনীতে সংযুক্ত হওয়ার। উপমহাদেশ বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অঞ্চল। আরবের চেয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমরা বেশি প্রাসঙ্গিক। তালিবরা তো সেটা হাতে-কলমে প্রমাণ করল। অন্তত মুসলিম আধিকারিক আন্দোলনে আমরা বিশ্বের সর্বোত্তম জাতি হিসেবে বিবেচিত।

জেগে ওঠো হিন্দুস্তান

কওমি সিলেবাসে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অন্তর্ভূক্ত হোক

ভারতের মাদরাসাগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ও হবে, বাংলাদেশেও এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। একে কোনভাবেই নেসাব-সংস্কার মনে করা যাবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি নেসাব সংস্কারের বিপক্ষে। কেন বিপক্ষে, সেটা আগে খুলে বলি।

দরসে নেজামি মূলত স্কলাসটিকস শিক্ষাধারার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে নির্দিষ্ট আকরগ্রন্থ (মুতুন) পড়ানো হয়, তথ্যের চেয়ে কিতাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ( ইসতে'দাদ), এখানে উসতাজ ভিত্তিক পড়াশোনায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এখন, এই ধারাকে আধুনিক শিক্ষাদর্শন দিয়ে সংস্কার করলে আলিয়া মাদরাসার পরিণতি বরণ করতে বাধ্য। বিশেষত কাফিয়ার পরে কোন কিতাব পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

একটু দৃষ্টান্ত দিয়ে বললে বুঝতে সুবিধা হবে। কওমি মাদরাসায় যদি পুঁজিবাদ পড়ানো হত, তবে এড্যাম স্মিথ ও ম্যাকিয়াভেলি অবশ্যই পাঠ্যক্রমে ঢুকে যেত। সমাজতন্ত্র পড়ালে ঢুকত মার্কসের ডাসক্যাপিটাল। এখন, এড্যাম স্মিথ বা কার্ল মার্কসের বদলে নোটস-সহজ সংস্করণ পড়ানো দরসে নেজামির দর্শনের বিরোধী।

এখন, তাহলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অন্তর্ভূক্তিতে দরসে নেজামিতে কোন রকমের পরিবর্তন আনতে হচ্ছে না। যতটুকু পরিবর্তন হচ্ছে, মাদানি নেসাব এরচেয়ে বেশি পরিবর্তন করে রেখেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তি কেন প্রয়োজনীয়?

ক) আমাদের সমাজ ব্যাপকভাবে পশ্চিমাচিন্তায় প্রভাবিত। আপনি যদি এই সমাজকে বুঝতে চান, একে পরিবর্তন করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই এর ভাষা জানতে হবে। সমাজ-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-ইতিহাস আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে। খ) কওমি মাদরাসাগুলো হয়ে ওঠবে কলেজের বিকল্প। ছাত্রসংখ্যা আগামী পাঁচবছরের মধ্যে দিগুণে পরিণত হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে-রাষ্ট্রীয় চাকরীতে যাবে, তারাও পেয়ে যাবে ধর্মীয় মৌলিক শিক্ষা।

এখানে কিছু জটিলতাও আছে। সম্পূর্ণ উন্মূক্ত করে দিলে কওমি মাদরাসার আলিয়ার পরিণতি ঘটবে, মেধাবী ছাত্রদেরকে ধরে রাখতে পারবে না, এতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটবে, পাশাপাশি দরসে নেজামিতে জেনারেল সাবজেক্ট ঢুকাতে হলে স্বতন্ত্র বই লাগবে, কেননা প্রচলিত বইগুলোতে চিন্তাগত অনেক ত্রুটি বিদ্যমান।

আমি এভাবে দেখি। আপনি কি আমার সাথে একমত?