Dernières publications de Sadiq Farhan (@sadiqfarhan58) sur Telegram

Publications du canal Sadiq Farhan

Sadiq Farhan
سنفطر في القدس عاصمة فلسطين
1,568 abonnés
279 photos
61 vidéos
Dernière mise à jour 26.02.2025 00:16

Le dernier contenu partagé par Sadiq Farhan sur Telegram


একটি দেশ যেমন জর্ডান, ইসরায়েলের দাসে পরিণত হয়েছে, তার কারণ জর্ডানের শাসক ইসরায়েলের প্রতি কোনো ভালোবাসা পোষণ করেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের অনুগত হয়ে আছেন, তা নয়।

মূল কারণ হলো, ইসরায়েল জর্ডানের ওপর এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছে যে, জর্ডানের শাসকদের বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের নির্দেশ মেনে চলতে হচ্ছে।

জর্ডানি শাসকদের যে বড় ভুল ছিল, তা হলো ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করা। এই চুক্তির মাধ্যমেই ইসরায়েল ধাপে ধাপে তার প্রভাব বাড়ানোর সুযোগ পায়, যা বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জর্ডান কার্যত সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

এই একই প্রক্রিয়া এখন নতুন সিরিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটছে। প্রথম থেকেই ইসরায়েল কৌশলগত অঞ্চলগুলো দখল করেছে এবং এখন গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আমরা ইসরায়েলের এই ক্ষমতা দখলের কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি না। তুরস্কও তেমন কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করছে না।

এর অর্থ, খুব শিগগিরই সিরিয়া পুরোপুরি ইসরায়েলের করুণায় নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, যদি ইতিমধ্যে হয়ে না গিয়ে থাকে।

- হাকিকাতজু

দর্শনের কোনো কোনো শিক্ষক বলেন, প্রাচীন কালামের (বিশেষত আশআরি মতবাদের) উচিত ধর্মীয় জ্ঞানের সামনে বিনম্র হওয়া। তাদের মতে, ইম্যানুয়েল কান্টের ‘ক্রিটিক অব পিওর রিজন’-এ যে পরীক্ষা দেখানো হয়েছে তা প্রমাণ করে যে, যুক্তি দিয়ে ঈশ্বর-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। অর্থাৎ যুক্তির দ্বারা এসব বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না—না ইতিবাচকভাবে প্রমাণ করা যায়, না নেতিবাচকভাবে অস্বীকার করা যায়। বরং এখানে যুক্তির অবস্থান হলো বিরত থাকা, কারণ প্রমাণ ও পাল্টা প্রমাণ উভয়েরই ওজন সমান।

‘বিনম্রতা’ বা ‘বিনয়’ শব্দটি এখানে এক প্রকার ভদ্ররূপে ব্যবহৃত। আসল কথা হলো—তারা মনে করেন, মানব মস্তিষ্ক ঈশ্বর (খোদা), বিশ্ব সৃষ্টি, এবং ধর্মের মৌলিক প্রশ্নগুলো সম্পর্কে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে অযোগ্য। তবে তারা এটি সরাসরি না বলে ভদ্রভাবে ‘বিনম্রতা’ শব্দটি দিয়ে বোঝাতে চায় যে, এসব বিষয়ে বিচার করার ক্ষমতা মানুষের নেই। এরপর তারা যুক্ত করেন যে, ধর্মের মহত্ত্বকে সম্মান জানানো উচিত এবং তার গুরুত্ব স্বীকার করা উচিত।

কিন্তু আমি বুঝতে পারি না, যদি আমরা বলি যে মানুষ ধর্মীয় কোনো বিষয় যুক্তি দিয়ে বুঝতে সক্ষম নয় এবং তার বিপরীত দাবিগুলোর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না, তাহলে ধর্মের মহত্ত্ব কোথায় রইল? বিভিন্ন ধর্মে বিরোধী যে দাবিগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কীভাবে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নির্ণয় করব?

এটি এক ধরনের ধোঁকাবাজি। একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বোঝা যায়, কুরআনের বহু আয়াতে আল্লাহ বারবার মানুষকে আহ্বান করেছেন চিন্তা-ভাবনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতি ও মহাবিশ্ব থেকে জ্ঞান আহরণ করতে। এর মাধ্যমে কিছু মৌলিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব, যা ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

তাদের এই দাবি প্রকৃতপক্ষে ধর্মকেই অস্বীকার করার সমতুল্য—তারা বুঝুক বা না-ই বুঝুক।

- সাইদ ফুদা হাফি.

চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় এক ছাত্রকে জবাই করা হয়েছে।

গত পরশু ঢাকার মুহাম্মদপুরে এবং কয়েকদিন আগে সাতক্ষীরায় মামুনুল হক সাহেব যে বয়ান করেছেন, একেই সত্যিকারার্থে অগ্নিঝরা বক্তব্য বলা যায়। সেই একুশ সালের আগের রূপ। এই একটা লোক মাহফিলের সিজনে সারা বাংলায় ইসলামের স্পিরিট ছড়িয়ে দিতে যথেষ্ট।

ওদিকে বিভিন্ন মজলিসে অসাধারণ আলোচনা করছেন মাওলানা জসিমুদ্দিন রাহমানি সাহেব। আগামি কিছুদিন জামিয়া রাহমানিয়ার এ দুই কৃতিসন্তানকে শুনুন। একই উসতাদদের কাছে পড়াশোনা করা দুই দিকপাল। রাহমানিয়ার সন্তান হিসেবে আমিও গর্ববোধ করি। আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন। খাদেম হিসেবে আমাকেও সঙ্গে রাখুন।

ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের এলিট পুলিশ ফোর্স GCPSU (জেনারেল কমান্ড অফ পুলিশ স্পেশাল ইউনিটস) সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন কিছু ছবি!

ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অবস্থিত খলিল ওয়েইদা স্কুলে হামলা চালিয়েছে। এই স্কুলে বহু বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন প্যালেস্টাইনীয় নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। গত রাতে গাজায় বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় আরও বহু মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুইজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন যে, রবিবার বেত হানুনের খলিল ওয়েইদা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।

আল্লাহর নবি সা. সাহাবিদের লাগাতার রোজা রাখতে নিষেধ করে বলেছিলেন, ‘আমাকে আল্লাহ তায়ালা খাওয়ান পান করান, তাই আমি পারি। তোমরা পারবে না।’ আসলেও, আল্লাহ তায়ালা নবিদের আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষুধামুক্ত রাখতেন। নৈকট্যশীল বান্দাদের অনেককেও তিনি এ নিয়ামত দিয়েছিলেন।

সালাফের অনেকেই খাওয়া-দাওয়া না করে দীর্ঘ সময় ধরে মজবুত থাকতে পারতেন। এতে তাদের কোনো অসুবিধা হতো না। ইবনে জুবায়ের আট দিন পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া না করে থাকতে পারতেন। আবুল জাওযা সাত দিন পর্যন্ত লাগাতার রোজা রাখতেন। তারপরও কোনো যুবকের বাহু এমন জোরে ধরতে পারতেন যে, তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হতো।

ইব্রাহিম আত-তাইমি দুই মাস পর্যন্ত শুধু মিষ্টি পানি পান করে কাটাতে পারতেন। হজ্জাজ ইবনে ফারাফিসা দশ দিনের বেশি সময় খাওয়া-দাওয়া না করে, না ঘুমিয়ে থাকতে পারতেন।

তাদের কেউ কেউ তো প্রচণ্ড গরম বা তীব্র ঠান্ডায়ও কোনো অসুবিধা বোধ করতেন না। যেমন, হযরত আলি রাদি. গ্রীষ্মকালে শীতের পোশাক এবং শীতকালে গ্রীষ্মকালের পোশাক পরে থাকতেন; তার কোনো সমস্যা হতো না। নবি কারিম সা. তার জন্য দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ যেন তাকে গরম ও ঠান্ডা থেকে মুক্ত রাখেন।

- মুসনাদে আহমাদ ১/৯৯, ইবনে মাজাহ ১১৭, হিলইয়া ১০/১৯৫

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা লাতাকিয়ার উত্তরের কারদাহ শহরে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পিতা হাফেজ আল-আসাদের কফিন পুড়িয়ে দিয়েছে।

হাইয়াতু তাহরিরিশ শামের নেতা আহমেদ আল-শারা আসাদ-শাসনের কুখ্যাত কারাগারগুলো বন্ধ করার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্রের সাইটগুলো সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সিরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশির বলেছেন, তার প্রথম লক্ষ্য হবে বিদেশে থাকা লক্ষ লক্ষ সিরিয়ান শরণার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় চালু করা।

সিরিয়ায় ইসরায়েলি আক্রমণ অব্যাহত, ১ লাখ মানুষ নিরাপত্তাহীন

ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। লাতাকিয়া ও তরতুসে বন্দর ও ক্ষেপণাস্ত্র গুদামগুলোকে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে তারা। একই সাথে, সিরিয়ার গোলান হাইটসে তাদের স্থল বাহিনী আরও গভীরে ঢুকে পড়েছে, যা কার্যত তাদের দখলকে আরও বিস্তৃত করছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার অবস্থার অবনতি নিয়েও সতর্ক করেছে। তুরস্ক সমর্থিত বাহিনী এবং কুর্দিশ বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে ১ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে।

- খবর আল-জাজিরার

হুজুর বলতেন, পাওয়ার কথা বলে। আজ তারা পাওয়ারে, তাই কোর্ট-প্যান্ট-বেল্ট-টাই পরে লোকে নিজেদের জেন্টেলম্যান ভাবে। অথচ একবার ভাবো, গলায় রশি কোমরে দড়ি পরা কি সম্মানের চিহ্ন হতে পারে? এ তো গোলামের পোশাক। কিন্তু বেকুবের দল সেটাকেই ভদ্রতা মনে করে। পাওয়ার বদলাও, নবম হিজরির মতো, দলে দলে সবাই কোর্ট-প্যান্ট খুলে পাঞ্জাবি-জুব্বা পরবে। পাগড়ির মতো শৌর্যপোশাক মাথায় জড়িয়ে নিজেদের সত্যিকার জেন্টেলম্যান ভাববে।

সেদিন বেশি দূরে নয়, পাগড়িওয়ালারা জেগেছে...