Sadiq Farhan @sadiqfarhan58 Channel on Telegram

Sadiq Farhan

@sadiqfarhan58


سنفطر في القدس عاصمة فلسطين

سنفطر في القدس عاصمة فلسطين (Arabic)

قناة "سنفطر في القدس عاصمة فلسطين" هي قناة تيليجرام تهدف إلى تعزيز الوعي والروحانية خلال شهر رمضان المبارك. تستضيف القناة محاضرات ومواضيع تفسيرية حول القرآن الكريم والإسلام، بالإضافة إلى نشر أذكار وأدعية يومية لتعزيز الروحانية والتقرب إلى الله خلال هذا الشهر الفضيل. يمكن للمشتركين في القناة الاستمتاع بأجواء رمضانية مميزة وتعزيز المعرفة الدينية من خلال المحتوى المميز الذي تقدمه. إذا كنت ترغب في قضاء رمضان بطريقة مميزة وبناءة على المعرفة والروحانية، فإن قناة "سنفطر في القدس عاصمة فلسطين" هي القناة المثالية لك. انضم إلينا اليوم واستمتع بمحتوى ديني قيم ومفيد يساعدك على تعزيز إيمانك وتقربك إلى الله.

Sadiq Farhan

23 Oct, 17:15


ঈদ মোবারক। আলহামদুলিল্লাহ!

Sadiq Farhan

19 Oct, 17:12


মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার মুহূর্তেও সিনওয়ার শত্রুকে লক্ষ্য করে দুর্বল হাতে লাঠি ছুঁড়ে মারেন। সিনটা দেখে সহ্য করতে পারছি না। আল্লাহু আকবার। বীরপুরুষ একেই বলে। ইনশাআল্লাহ, সিনওয়ারের ছোঁড়া এই লাঠিই, নবি মুসা আ.-এর লাঠির মতো মুক্তির পথ শুরু হবে।

যে উম্মতের নেতা সিনওয়ার, সেই উম্মত হারবে না...

Sadiq Farhan

17 Oct, 14:35


আউটফিট, চেহারা, বডিশেইপ, দাঁত - সবগুলো মিলে যায় সিনওয়ারের সাথে।

Sadiq Farhan

13 Oct, 13:21


জুলাই-আন্দোলনে প্রায় একশোজনের মতো মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক মারা গেছেন। সংখ্যাটা এত বেশী কেন? এই প্রশ্নটা করা জরুরি। তুলনা নয়, বুঝার জন্য বলি, আন্দোলনে নিহত হিন্দুর সংখ্যা হয়ত নয়জনের মত। বামপন্থী রাজনীতি করেন এমন নিহতের সংখ্যা হয়তো পাঁচজনও হবে না—অথচ সংখ্যাগত দিক থেকে কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের সংখ্যা এক কোটির চেয়েও কম।

আমার মতে এর প্রধান কারণ দু’টি :

ক) গত পনের বছরে হুজুর শ্রেণীর বিরুদ্ধে যে সম্মিলিত ঘৃ ণা উৎপাদন করা হয়েছে, সেটা অকল্পনীয়। আমার বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে এমন একজনও নেই, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়নি। কাজেই, মাদরাসার ছাত্ররা ছিল পুলিশের সহজ টার্গেট। ঠিক একই কারণে এলিট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিহতের সংখ্যা নাই বললেই চলে।

খ) অব্যাহত নির্যাতনের মুখে মাদরাসার ছাত্ররা রাজনীতিতে অংশ নিতে উৎসাহিত হয়েছেন, বাধ্য হয়েছেন। দুই হাজার তেরোতে মাদানীনগর মাদরাসাকে বাঁচাতে এলাকার মানুষরা নেমে এসেছিলেন, ত্রিশজনের মত শহীদ হয়েছেন। কাজেই, এলাকার ছেলেদের বিপদে মাদরাসার ছাত্রদেরকেও মাঠে নামতে হয়েছে।

যাত্রাবাড়ি-সাভারের প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাকে বলেছেন, মাদরাসার ছাত্ররা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বদলে শক্তি প্রদর্শন করেছেন, কাজেই হতাহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখানে কিছু আশংকার জায়গা আছে, সম্ভাবনাও আছে। মসজিদ-মাদরাসাকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা জরুরি। ইলমচর্চা সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস : ইমামতি, ফতোয়া, দরস—এগুলো যে কোন মুসলিম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাজেই, চিকিৎসার মত ইলমচর্চাকেও ‘রাজনৈতিক’ বানানো যাবে না। কে কীভাবে দেখেন জানি না, মনে রাখবেন, শারীরিক অসুখের চেয়ে মনের অসুখ-মতাদর্শিক অসুখ কোনঅংশেই কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়। সেনাবাহিনী যু দ্ধ করে সীমান্তে-সমরাস্ত্রে—আলেম/চিন্তাবিদরা যু দ্ধ করেন মাথায়-মগজে-দর্শনে।

মসজিদ-মাদরাসার বাইরে আলেমরা অবশ্যই রাজনীতি করবেন—বাংলাদেশে ঐতিহ্যপন্থী রাজনীতির বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জামায়াত লিবারেল হবার প্রেক্ষিতে দেশের পনের-বিশ শতাংশ মানুষ এখন ‘রিপ্রেজেন্টেশনহীন’। এদেরকে রিপ্রেজেন্ট করতে আলেমদেরকে এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি মাথাতে রাখতে হবে দেশের বাকি আশি শতাংশ আপাতত আলেমদেরকে সমর্থন করবে না।

মুশকিল হল, পনের/বিশ শতাংশ দূরে থাকুক, আলেমরা বড়জোর পাঁচ-সাত শতাংশের বেশী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করেন না। বাকি, তেরো/পনের শতাংশকে আলেমরা যদি মোবিলাইজ না করতে পারেন, তবে দেশে উগ্র পন্থা ছড়িয়ে পড়ার ভালো আশংকা আছে।

- ইফতি ভাই

Sadiq Farhan

12 Oct, 10:15


পূজোয় ইসলামী সংগিত গাওয়া সেক্যুলার আইনে অপরাধ কি না, সে নিয়ে কর্তৃপক্ষ ভাবুক। কিন্তু ইসলামী আইনমতে শিরকের স্থান থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখাই মুমিনের দায়িত্ব। সেখানে গিয়ে ইসলামী সংগিত গাওয়া অনেকটা তাদের শিরককে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার নামান্তর। তাদের উৎসবে যোগ দিয়ে, সেটাকে ইসলামের সাংঘর্ষিক মনে না করার অনুরূপ।

যারা এটা করেছেন, তারা গর্হিত কাজ করেছেন। নিজেদের দৈন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। ইসলাম নিয়ে আপনারা কতটা হীনম্মন্য এবং ধর্মীয় রূহানিয়াত থেকে কতখানি বঞ্চিত, সেটার প্রমাণ দিয়েছেন। শিরক এতটা নিকৃষ্ট অপরাধ, কোনো মুমিন-মুসল্লি এটা সহ্য করতে পারে না। সিগারেট না খেলে যেমন সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য হয় না, তেমন। এটা ইমানী অনুভবের ব্যাপার। যারা সেখানে ইসলামী সংগীত গেয়েছে, আমি মনে করি তাদের সেই অনুভবটুকু নেই।

তবে সেক্যুলার সমাজ যেমন জাত গেল জাত গেল ভাব করেছে, আইনের মাধ্যমে এর সমাধানের চিন্তা করছে, তাদের বলব, কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া কি একাজ হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে, তাহলে তাদের অপরাধ মুসলিম হয়েও পূজায় ঘুরতে যাওয়া লোকগুলোর চেয়ে গুরুতর কেন? উৎসবকে সার্বজনীন ঘোষণাকারী লোকদের চেয়ে, সেখানে ঘুরতে যাওয়ার চেয়ে, কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সংগীত গাওয়া সেক্যুলার আইনে কীভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে?

Sadiq Farhan

09 Oct, 16:21


পূজার সময় কেন বেশি সচেতন হবেন?

জাদু মুলত শয়তানের সাহায্য নিয়ে করা হয়ে থাকে আর শয়তানকে খুশি করার মাধ্যম হচ্ছে পূজা-অর্চনা।

বছরের সবচেয়ে বেশি পূজা সম্পন্ন হয় আশ্বিন এর শেষ দিকে ও কার্তিক মাসে তথা পুরো অক্টোবর জুড়ে।

এ সময়ে যেসকল পূজা অনুষ্ঠিত হয় তন্মদ্ধ্যে রয়েছে —

• নবরাত্রি
• দুর্গাপূজা
• বিজয়া দশমী
• কোজাগরী লক্ষী পূজা
• কালীপূজা ও দীপাবলি

তান্ত্রিক-জাদুকরেরা জাদু রিনিউ করতে বিভিন্ন তিথি বেছে নেয়। এসকল পূজার তিথি তাদের জন্য মোক্ষম সুযোগ। চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন, বৈশাখের প্রথম দিন, শিবরাত্রি, বিভিন্ন অমাবস্যা, পূর্নিমা, আশ্বিন মাসের পূজাসমূহ তাদের কাঙ্খিত সময়। নতুন জাদু করা, পুরাতন জাদু রিনিউ করা এসকল কাজ জাদুর খাদেম জ্বীনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে অথবা কালোজাদুর আসবাব বিভিন্ন কবরে পুতে, শবসাধনা করে জাদু চর্চা করে শয়তানি সাধনার মাধ্যমে। এছাড়াও অনেক সময় জ্বীনেরা নিজে থেকে মানুষের শরীরে জাদুর গিট বেঁধে নিজের আবাস তৈরি করে নেয়। এরাও এসমস্ত তিথিতে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার চেষ্টা চালায়।

এই কারণে অনেক জ্বীন/ জাদুগ্রস্থ রোগি দীর্ঘ পরিশ্রমের সাথে রুকইয়াহ্, আমল করার মাধ্যমে শেফার কাছাকাছি পৌছেছে তাদের আরও বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি। যারা আল্লাহর অশেষ রহমতে পরিপূর্ণ শেফা লাভ করেছে তাদেরকেও আমল এ কঠোর হতে হবে।

সতর্কতা স্বরুপ আপনাদের করনীয়ঃ

● ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত যথাযথভাবে পালন করা
● সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমল কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবেনা
● আসরের পর বিসমিল্লাহ বলে দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়া
● সন্ধ্যার সময় বাসা থেকে বের না হওয়া
● যথাসম্ভব মন্দির, পূজামন্ডপ এরিয়ে চলা
● বাসা থেকে বের হওয়ার সময় চার কুল, আয়াতুল কুরসি পড়ে শরীর বন্ধ করা, ঘর থেকে বের হওয়ার দু'আ পড়া
● মন্দির/পূজা এরিয়া অতিক্রম করার সময় চারকুল পড়তে থাকা ও “বিসমিল্লাহিলাজি লা ইয়া দুররু মা আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বী ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম” পড়া (আরবি দেখে শিখে নেবেন)
● বাসায় সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা
● যাদের রুকইয়াহ্/সেলফ রুকইয়াহ্ চলমান তাদের বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসলেও রুকইয়াহ্ সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া
● বেশি বেশি কার্স মোনাজাত করা (এটি জাদুকরের জাদু তার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জাদুসহ জাদুকর ধ্বংসের জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত)
● যারা সদ্য সুস্থতা লাভ করেছে তাদের উচিত কমন রুকইয়াহ্ আয়তগুলো তেলাওয়াত করা
● পূজার প্রসাদ কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না

এই পুরো অক্টোবর মাস জুড়েই কিন্তু রয়েছে বিভিন্ন পূজো তাই সচেতন থাকবেন, আমলে জিকিরে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

© Hijama Planet : Cupping & Ruqyah Center

Sadiq Farhan

07 Oct, 19:02


❗️🇮🇱/🇮🇷 NEW: 'Israel's response against Iran is imminent' – Channel 13

Sadiq Farhan

01 Oct, 17:39


তেলাবিবের আকাশে আতশবাজির মতো ফুটছে ইরানের মুহুর্মুহু মিসাইল

Sadiq Farhan

27 Sep, 18:09


জাতিসংঘে দেয়া ড ইউনুসের বক্তব্য প্রশংসার দাবী রাখে। তিনি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব টপিকে কথা বলেছেন। বিশেষ করে গাজায় চলা গণহত্যাকে তুলে ধরেছেন। যদিও ইসরাইলের নাম তিনি উচ্চারণ করেননি। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। উপস্থিত শ্রোতারা করতালি দিয়ে তাতে স্বাগত জানিয়েছে। তিনি উন্নয়নশীল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলেছেন। সকল রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ঘোষণাও জরুরী ছিল, যাতে ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা বাংলাদেশের নীতি বুঝতে পারে। তিনি বৈশ্বিক দক্ষিণের পক্ষে কথা বলেছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার নাম উচ্চারণ না করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। AI বিষয়ে তার বক্তব্য বেশ সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর ছিল। জাতিসংঘের (SDG) এজেন্ডা ২০৩০, এর সফলতা মাত্র ১৭%। এনিয়ে তিনি আফসোস করেছেন। কিন্তু আমি এতে খুশি। এই এজেন্ডা ব্যর্থ হচ্ছে ও হবে। এমনকি পুরো জাতিসংঘ ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে। ইন শা আল্লাহ। শিক্ষিত- প্রতিষ্ঠিত-গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সামনে বক্তব্য দিতে তিনি বেশ দক্ষ ও অভিজ্ঞ। তাই এমন বক্তব্যই তার থেকে আশা করছিলাম। পুরো বক্তব্য শোনার সময় কেন জানি বার বার মোদীর কথা মনে পরছিল।

Sadiq Farhan

24 Sep, 18:50


পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে সর্বমোট ৫৭ কোটি (৫৭০ মিলিয়ন) মুসলিম বাস করে। জনসংখ্যার বিচারে প্রথমে পাকিস্তান, তারপর ভারত, তারপর বাংলাদেশ। সুতরাং, যখন এ অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে ভাববেন বা কথা বলবেন, নিশ্চয়ই পুরো হিন্দুস্তান মাথায় রেখে বলবেন। কারণ আমরা কেউ আলাদা নই। ‍আমাদের আবেগ, অনুভূতি, শিক্ষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস হুবহু এক। অপরাজনীতির শিকার হয়ে আপাতত আলাদা আছি, তবে আমাদের ভবিষ্যতই একই সুতোয় গাঁথা।

ভারতীয় মুসলিমরা দেখিয়ে দিয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন হিন্দুস্তানের ইতিহাস রচিত হতে পারে না। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মতো, তাদেরও সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যত মুক্তির বাহিনীতে সংযুক্ত হওয়ার। উপমহাদেশ বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম অঞ্চল। আরবের চেয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমরা বেশি প্রাসঙ্গিক। তালিবরা তো সেটা হাতে-কলমে প্রমাণ করল। অন্তত মুসলিম আধিকারিক আন্দোলনে আমরা বিশ্বের সর্বোত্তম জাতি হিসেবে বিবেচিত।

জেগে ওঠো হিন্দুস্তান

Sadiq Farhan

19 Sep, 07:01


কওমি সিলেবাসে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অন্তর্ভূক্ত হোক

ভারতের মাদরাসাগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ও হবে, বাংলাদেশেও এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। একে কোনভাবেই নেসাব-সংস্কার মনে করা যাবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমি নেসাব সংস্কারের বিপক্ষে। কেন বিপক্ষে, সেটা আগে খুলে বলি।

দরসে নেজামি মূলত স্কলাসটিকস শিক্ষাধারার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এখানে নির্দিষ্ট আকরগ্রন্থ (মুতুন) পড়ানো হয়, তথ্যের চেয়ে কিতাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ( ইসতে'দাদ), এখানে উসতাজ ভিত্তিক পড়াশোনায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এখন, এই ধারাকে আধুনিক শিক্ষাদর্শন দিয়ে সংস্কার করলে আলিয়া মাদরাসার পরিণতি বরণ করতে বাধ্য। বিশেষত কাফিয়ার পরে কোন কিতাব পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।

একটু দৃষ্টান্ত দিয়ে বললে বুঝতে সুবিধা হবে। কওমি মাদরাসায় যদি পুঁজিবাদ পড়ানো হত, তবে এড্যাম স্মিথ ও ম্যাকিয়াভেলি অবশ্যই পাঠ্যক্রমে ঢুকে যেত। সমাজতন্ত্র পড়ালে ঢুকত মার্কসের ডাসক্যাপিটাল। এখন, এড্যাম স্মিথ বা কার্ল মার্কসের বদলে নোটস-সহজ সংস্করণ পড়ানো দরসে নেজামির দর্শনের বিরোধী।

এখন, তাহলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অন্তর্ভূক্তিতে দরসে নেজামিতে কোন রকমের পরিবর্তন আনতে হচ্ছে না। যতটুকু পরিবর্তন হচ্ছে, মাদানি নেসাব এরচেয়ে বেশি পরিবর্তন করে রেখেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তি কেন প্রয়োজনীয়?

ক) আমাদের সমাজ ব্যাপকভাবে পশ্চিমাচিন্তায় প্রভাবিত। আপনি যদি এই সমাজকে বুঝতে চান, একে পরিবর্তন করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই এর ভাষা জানতে হবে। সমাজ-অর্থনীতি-বিজ্ঞান-ইতিহাস আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করবে। খ) কওমি মাদরাসাগুলো হয়ে ওঠবে কলেজের বিকল্প। ছাত্রসংখ্যা আগামী পাঁচবছরের মধ্যে দিগুণে পরিণত হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে-রাষ্ট্রীয় চাকরীতে যাবে, তারাও পেয়ে যাবে ধর্মীয় মৌলিক শিক্ষা।

এখানে কিছু জটিলতাও আছে। সম্পূর্ণ উন্মূক্ত করে দিলে কওমি মাদরাসার আলিয়ার পরিণতি ঘটবে, মেধাবী ছাত্রদেরকে ধরে রাখতে পারবে না, এতে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটবে, পাশাপাশি দরসে নেজামিতে জেনারেল সাবজেক্ট ঢুকাতে হলে স্বতন্ত্র বই লাগবে, কেননা প্রচলিত বইগুলোতে চিন্তাগত অনেক ত্রুটি বিদ্যমান।

আমি এভাবে দেখি। আপনি কি আমার সাথে একমত?

Sadiq Farhan

14 Sep, 07:16


অনুবাদকের কথা

দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি যাঁর জীবনী লেখা হয়েছে, তিনি মহানবি মুহাম্মাদ সাঃ। এমন কোনো সময় নেই, যখন তাঁকে স্মরণ করা হয়নি। এমন কোনো ভাষা নেই, যে ভাষায় তাঁর স্তুতিগাথা রচিত হয়নি। এমন কোনো জনপদ নেই, যেখানে তাঁর জীবনকথা আলোচিত হয়নি। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। তিনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তিনি মনুষ্যত্বের পথিকৃৎ। তিনি রিসালাতের আলোকবর্তিকা।

মহানবির মহাজীবনের আখ্যান নিয়ে যুগ যুগ ধরে এই যে এত এত গ্রন্থরচনা, এটি বিশ্বসাহিত্যে তৈরি করেছে নতুন এক ধারা। এ ধারার নাম সিরাতসাহিত্য। পূর্বসূরি মনীষী সিরাত-লেখকদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমি বলতে চাই, ড. আয়িজ আল কারনির মুলহিমুল আলাম আবহমান সিরাতসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এতে কাহিনি বর্ণনা মুখ্য নয়, কাহিনি ছেঁকে তার তলা থেকে দার্শনিক তাৎপর্য তুলে আনাও লক্ষ্য নয়—এই গ্রন্থ চিরায়ত রীতিপ্রথাভাঙা এক গভীর আবেগসঞ্জাত কাব্যধর্মী সিরাতগ্রন্থ। এ গ্রন্থ নবিজীবন সম্পর্কে পাঠককে যতটা-না জ্ঞান দেয়, তার চেয়ে ঢের বশি দেয় নিবিড়, গভীর, প্রবহমান, জীবন্ত ও উচ্ছল অনুভূতি।

প্রকাশের পরপরই ব্যতিক্রমী এ সিরাতগ্রন্থটি আরববিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছে। সাহিত্য-সমালোচকেরা বলছেন, মুলহিমুল আলামই আয়িজ আল কারনির শ্রেষ্ঠ রচনা। সংগত কারণেই বাংলাদেশের কালান্তর প্রকাশনী গ্রন্থটির বাংলা করতে দেরি করা ঠিক মনে করেনি। লেখকের তরল আলংকারিক ছন্দোময় কল্লোলিত গদ্যকে সরল কথ্যগদ্যে তরজমা করতে অনুবাদক হিসেবে আমাকে পদে পদে বেগ পেতে হয়েছে। তরজমায় মূলের রসসঞ্চারের ঘাটতি ঘটল কি না, এ নিয়ে আমার চিন্তার অন্ত ছিল না। এ-ই শুধু আশ্বস্ত করতে পারি, সেই চেষ্টায় আমি কোনো কসুর করিনি।

একটি ‘সাহিত্যিক রচনা’ হিসেবে লেখক তাঁর গ্রন্থে অজস্র তথ্য-উপাত্ত বলে গেলেও সেসবের সূত্র উল্লেখ করেননি। আমরা সেটা করেছি, পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় পাদটীকায় সকল উদ্ধৃতির উৎস জুড়ে দিয়েছি। এমনকি যেখানে তিনি তাঁর গদ্যপ্রবাহে নিজস্ব ধরনে বিশেষ কোনো হাদিসের একটিমাত্র শব্দ উল্লেখ করে সেই হাদিসের দিকে বিজ্ঞ পাঠককে ইশারা করেই বাক্যের স্রোত অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, আমরা সেই হাদিসটিরও সূত্র পাদটীকায় তুলে দিয়েছি। কালান্তরের প্রামাণ্যতার দায় মেটাতেই এটা করতে হয়েছে। এতে লাভ শেষমেশ অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরই।

সিরাত রচনায় নতুন মাত্রা যোগ করা এ গ্রন্থটির অনুবাদে আমরা কতটা সফল হয়েছি, কতখানি মূলানুগ ও প্রাণবন্ত হলো কাজটা, সেই বিচারের ভার রইল জ্ঞানী পাঠকের ওপরই। তবে অনুবাদক হিসেবে আমার বড় পাওনাটা আমি পেয়ে গেছি—সে হলো আনন্দ। গ্রন্থটি পড়তে পড়তে, বাংলা করতে করতে বার বার আমার চোখ ভিজে উঠেছে, গভীর আবেগের উচ্ছ্বাসে আমি কেঁপে উঠেছি, নবিজীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসায় হৃদয় আমার আর্দ্র হয়েছে। অসামান্য এ গ্রন্থটির সামান্য অনুবাদের কাজে ডুবে থাকা দিনগুলো আমার জীবনের উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে রইল। ব্যতিক্রমী এ গ্রন্থটি তার বিষয়বস্তুর মতোই সম্মান ও সমাদর পাক, এ-ই আমার কামনা।

সাদিক ফারহান
০৮-০৩-১৪৪৬ হিজরি

Sadiq Farhan

14 Sep, 06:14


ইউনুস মাদানি রহ. বলেন: 

‘আমি ইমাম শাফিয়ির চেয়ে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান লোক দেখিনি। একবার কোনো প্রসঙ্গে তার সাথে আমার মতানৈক্য হলে ব্যাপারটি বিতর্ক পর্যন্ত গড়ায়। তারপর আমি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। বহুদিন বাদে তার সাথে হঠাত দেখা হলে খুব বিচলিত বদনে তিনি আমার হাত ধরে বসেন। বলেন, আবু মুসা! বিষয়টি কি এমন না যে, আমাদের ভেতর মাসআলাগত কিছু মতবিরোধ থাকলেও ব্যক্তিজীবনে আমরা পরস্পর খুব কাছের? ধর্মীয় ব্যাপারে খানিক দ্বিমত পোষণ করলেও, আমরা কি বেশ ভালো বন্ধু নই? আমি তার এমন উদ্বেগ দেখে বিমোহিত হয়ে যাই; তার মহত্বের উচ্চতা পরিমাপ করতে চেষ্টা করি।’

- সিয়ারু আলামিন নুবালা ১৭/১০ 

একেই তো বলে আদাবুল ইখতিলাফ!

Sadiq Farhan

14 Sep, 06:11


ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন—

শুকরিয়া মূলত পাঁচ কাজের সমন্বিত বাস্তবতা। যদি এর কোনোটি অনাদায়ী থাকে, তাহলে শুকরিয়া যথাযথ হয় না। পাঁচ কাজ হলো: 

১. নিয়ামতদাতার শতভাগ আনুগত্য
২. নিয়ামতদাতার প্রতি নিখাদ মুহাব্বত
৩. নিয়ামতের জবানি শুকরিয়া আদায়
৪. নিয়ামতের প্রেক্ষিতে তাঁর প্রশংসাজ্ঞাপন
৫. নিয়ামত অন্যায্য খাতে ব্যবহার না-করণ 

বান্দা তাঁর নিয়ামতদাতা সত্তার প্রতি কৃতজ্ঞ তখনই হবে, যখন তার ভেতর এই পাঁচ বিষয় বাস্তব হয়ে উঠবে। যদি এর কোনো একটা ছুটে যায় আর সে দাবি করে যে রবের শুকরিয়া আদায় করেছে, তাহলে সে মিথ্যা বলল। 

মাদারিজুস সালিকিন ২/২৩৪ 

Sadiq Farhan

13 Sep, 18:55


‘বাইনারি-ইনক্লুসিভ’ প্রসঙ্গে

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠছে উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার। পশ্চিমা দেশগুলোর সাথেও তাদের ভালো সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাটিগুলোর একটি কাতারে। তাদের ভালো সম্পর্ক আছে ইসলামি দলগুলোর সাথেও। আরব বিশ্বে ইখওয়ানপন্থী আলেমদের সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে পেশাদার ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম আল জাজিরাও এগিয়ে যাচ্ছে কাতারের হাত ধরে।

বছরখানিক আগে কাতার ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। সর্বোপরি আফগান-ফিলিস্তিন সংকটে বিশেষ ভূমিকা রাখার প্রেক্ষিতে কাতারের গুরুত্ব এখন সবার কাছেই সমাদৃত। অবশ্য জনসংখ্যা, সামরিক শক্তি ও আয়তনের বিচারে কাতারের কখনোই আঞ্চলিক শক্তি হয়ে উঠার মতো সামর্থ্য নেই। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কাতারের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবার মতো অনেক কিছুই আছে।

আমাদের সমাজে অনেকে মনে করেন, ‘বাইনারি’ ভাঙতে হবে। মৌলবাদ-মডারেটদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে হবে, উভয় পক্ষের সমালোচনা করে নিজেকে মধ্যপন্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন হচ্ছে, বাস্তব জীবনে কার্যত মধ্যপন্থা বলে কিছু নেই। সবাই নিজের ডান দিককে মনে করে মৌলবাদী, বামদিককে মনে করে শিথিলপন্থী, আর নিজে মধ্যপন্থী। বাস্তবতা হচ্ছে, আপনার দুইপাশের দুইজনও নিজেদেরকে মধ্যপন্থীই মনে করে।

আমার কথা হচ্ছে, ‘বাইনারি’র সমালোচনা করা যেতে পারে, এর সাময়িক ও সীমিত গুরুত্ব আছে, তবে দুই বাইনারি মিলিয়ে মিথস্ক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষ/ শক্তি বানানোর কোন উপযোগিতা নেই। কোন মহাপুরুষ অলৌকিক দক্ষতায় এমন কাজে সক্ষম হলেও এখন জনে জনে নন-বাইনারি-ক্রিটিকাল হয়ে উঠার চেষ্টা করছেন। দিনশেষে এতে লাভবান হচ্ছে ক্ষমতাসীন-সুশীল গোষ্ঠীগুলোই, ধরেন, হুজুরের সমালোচনা করা যতটা সহজ, জাতীয় নেতাকে নিয়ে ততটা সহজে সমালোচনা করতে পারবেন? পারবেন না। সমীকরণে হুজুরের সমালোচনটাই প্রধান হয়ে উঠবে।

ইসলামপন্থী/হুজুরদের ইলমি/কৌশলগত সমালোচনা করাই যেতে পারে, তবে যারা একেই নিজেদের ব্রত বানিয়ে নেন, তারা দিনশেষে নিজেদেরকে ভুল যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলেন, নিজেদেরকে দাড় করিয়ে দেন নিজেদের জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আবার যারা সেকুলারদের সংশোধন/খণ্ডনে মনোনিবেশ করেন, তারাও একপর্যায়ে ইসলামি ব্যাখ্যা দান করতে শুরু করেন। এর খুব ভালো দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফরহাদ মজহার। সেকুলারদের সমালোচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও একসময় এসে দেখা যাচ্ছে তিনি ইসলামের নতুন ব্যাখ্যা কায়েম করতে চাচ্ছেন।

কাতারের দিকে দেখেন, বাইনারি/ননবাইনারি/ এনটি-থিসিসে না গিয়েও প্রকল্প আকারে এর উপযোগিতা অনেক বেশী। ইসলামপন্থীদের ‘মোডারেট’ বানানোর চেষ্টাগুলো ব্যর্থ হবে, সেকুলাররাও কখনোই ‘ইসলামপন্থী’ হবে না, তাই তাদেরকে ‘ইসলামি’ বানানোর প্রচেষ্টার অর্থ পিনাকী ভট্টাচার্যকে কমেন্ট সেকশনে ইসলামের দাওয়াত দানের মতই। যোগাযোগ, কূটনীতি, বোঝাপড়া অনেকবেশী জরুরী।

সেকুলারদের ইসলামপন্থীদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেন, প্রতিষ্ঠানে রাত কাটানোর আমন্ত্রণ জানান। ভয় কাটাতে সাহায্য করেন। সেকুলার প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তিত্বের সাথে বসেন, একসাথে চা খান, তাদের বই কিনেন, আড্ডা মারেন। তবে মূল কথাটা আগের মতই রইল, ইসলামপন্থী ও সেকুলারদের ‘উদার’ বানিয়ে তৃতীয় শক্তি গঠনের প্রচেষ্টাটা অর্থহীন, কখনো বিপদজনক।