ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁই ছুঁই একটু পরেই দিনের শেষ হবে। একই সাথে জীবনের শেষ হলে কেমন হয়? বিষাক্ত চিন্তা!
ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে এ বিষাক্ত চিন্তা প্রখর হচ্ছে টানটান উত্তেজনা এসবের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অস্তিত্ব সংকট। কে জিতবে বুঝতে পারছিনা এখনো, তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে মৃত্যু চিন্তা।
নাহ, আরেকটা দিন বাঁচি! আরেকটা রাত কাটাই এক্সিসটেনসিয়াল ক্রাইসিসে!
আমি মিথ্যা বলেছিলাম এবং বলেছিলাম আমি ব্যস্ত ছিলাম। আমি ব্যস্ত ছিলাম; কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ বুঝতে পারে নি!
আমি গভীর নিঃশ্বাস নিতে ব্যস্ত ছিলাম। অযৌক্তিক চিন্তা চুপ করতে ব্যস্ত ছিলাম। আমি একটি চঞ্চল হৃদয় শান্ত করতে ব্যস্ত ছিলাম। আমি ঠিক আছি বলতে ব্যস্ত ছিলাম।
মাঝে মাঝে, এই আমার ব্যস্ততা এবং আমি এর জন্য ক্ষমা চাইব না! 😊
ক্রমে ক্রমে যত দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে আমরা কেউ কোথাও সম্পূর্ণ রূপে ভালো নেই! আগে ব্যক্তিগত কারণে দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত ছিলাম আর এখন মনে হচ্ছে সমস্ত বিশ্ব জুড়েই দুশ্চিন্তা, অসুখ, অশান্তি এবং আমি-আমরা এই সবের অংশ বিশেষ। একটার পর একটা দুঃসংবাদ, বিপদ, ভয়াবহতা, মানসিক ভাবে আমরা অসুস্থ, গোটা জেনারেশনই অসুস্থ!
ইংরেজি, বাংলা, আরবি এই তিনটি মাসের মধ্যে একটি মাসে আমার জন্মদিন 🙂
জীবনে কখনো জন্মদিন পালন করিনি আমি। বলতে পারেন backdated ছেলে। আমার পরিবার ও এগুলো করতো না কিন্তু কেন করতো না জানতাম না। যখন বড় হলাম তখন এ বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে একটি তথ্য সামনে চলে আসে, বুঝতে আর বাকি রইল না কেন পরিবার এগুলো থেকে দূরে ছিলো। ( এখানে দিয়েছি ক্লিক করে দেখে নিন )
আমি মানুষ কে কখনো জন্মদিনে wish করতাম না (যার ফলে অনেকেই আমাকে বাকা চোখে দেখতো, অহংকারী ভাবতো) এবং নিজের জন্মদিনের তারিখও কাউকে কোনোদিন বলিনি যেন সে ভুলেও আমাকে wish করতে না পারে। 😊