গল্পের শহর @golper_sohor2023 Channel on Telegram

গল্পের শহর

@golper_sohor2023


তোমার অব্যক্ত কথা এবং লিখাগুলোর ভিতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্তপ্রতিভা গুলো শেয়ার করতে পারো আমাদের সাথে । 🌼

লিখা পাঠানোর ঠিকানাঃ

1. @SadianurTithi☘️
2. @Maxrab☘️
3. @Imranul_islam_imran🍀

গল্পের শহর (Bengali)

গল্পের শহর হল একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল যেখানে তোমার অব্যক্ত কথা এবং লিখাগুলোর ভিতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্তপ্রতিভা গুলো শেয়ার করতে পারবে। চ্যানেলে লিখা পাঠানোর ঠিকানা দেয়া আছে এবং তারও মধ্যে থাকা সম্প্রদায়ে যোগ দেওয়া হয়েছে। এই চ্যানেলে যোগদান করে তুমি নিজের লেখার দরজা খুলে তুমি যেকোনো গল্প, কবিতা, অভিজ্ঞান বা কোনো অন্যকিছু শেয়ার করতে পারবে। যারা চান তারা যোগ হতে পারে এই চ্যানেলে এবং তারপর একই মধ্যে আপনির চিন্তা ও অভিজ্ঞান শেয়ার করতে পারবেন।

গল্পের শহর

21 Nov, 04:09


লেখায়ঃ অনিমেষ বৈশ্য

গল্পের শহর

20 Nov, 14:07


আমি তীব্রভাবে শীতকালপ্রেমী!ফুলকপি,পালংশাক,মটরশুঁটি, কম্বলের ওম,কুয়াশা,দীর্ঘরাত,রোদের তাপ,ঠান্ডা ভাতে জমাট ঝোলে টেংরা মাছ,খেজুরের রস,ঘামহীন হাটাহাটি,ইচ্ছেমতো পোশাক, শান্তিরঘুম -


আমার মতো এমন আর কে কে আছেন??

গল্পের শহর

20 Nov, 00:27


#৪৭৬৬

৫ তারিখের পর বেশ কিছুদিন আমার শ্বশুরবাড়ির দিকের কোন কোন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতজনদের বাসায় গেলে দেখতে পেতাম ফুলের তোড়া আর মিষ্টির বহর।

এই ফুল আর মিষ্টি কারা এনে দিয়েছিল?? সহজ, তদবিরবাজ সরকারী কর্মকর্তারা। উদ্দেশ্য, প্রমোশন।
হাসিনার বিদায়ের পরপরই প্রশাসনকে ইমিডিয়েটলি স্ট্যাবিলাইজ করার প্রয়োজন পড়ে, সেই প্রয়োজন মেটাতে প্রশাসনে ঢোকানো হয় প্রচুর রিটায়ার্ড আমলাদের, এবং তাদের সিংহভাগ আসে একটা রাজনৈতিক দলের সাথে লবিং করে। রাতারাতি কন্ট্রোলে নেয়া হয় পুলিশ প্রশাসন, দখল করা হয় শীর্ষস্থানীয় সব মিডিয়া। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, দলবদলের প্রতিযোগিতা চলছে মিড লেভেলে, টপ লেভেলে চলছে উড়ে এসে জুড়ে বসাদের রাজত্ব।

ফলে, প্রতিটা মন্ত্রনালয়ে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। সৎ, দেশপ্রেমিক জুনিয়র অফিসারদের কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।

কারা করতে দিচ্ছে না??
সিনিয়র আমলাদের একটা অংশ।

এই সিনিয়র আমলাদের কাদের প্রেসক্রিপশনে বসানো হয়েছে?? খুজলে কোন কোন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার নাম পাওয়া যায় যাদের ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সাথে খুব দহরম মহরম চলছে।

পুলিশ এবং মিডিয়াতেও একই অবস্থা। বাইরে থেকে খোল বদলেছে শুধু, ভেতরটা রয়ে গেছে একই রকম।

এখানেও একটু ভেতরটা ঘাটলেই ঐ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও একটা বিশেষ হাইকমিশনের সাথে তাদের যোগাযোগের বিষয়টা সামনে চলে আসে।

ফলে দেখা যাচ্ছে, সরকারের টপ প্রায়োরিটি এজেন্ডা যেগুলো, সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারকে দুর্বল ও ব্যর্থ মনে হচ্ছে। এতে করে সুবিধা হচ্ছে ওল্ড স্কুল পলিটিশিয়ানদের, তারা মনে করছেন দ্রুত নির্বাচন বাগিয়ে নিয়ে ক্ষমতায় চলে গেলেই খেল খতম। বাকিটা নিজেরা নিজেরা সামলে নেয়া যাবে।

সরকারকে এভাবে ব্যর্থ করে তোলার কারিগরদের মধ্যে একদম প্রথমেই যে দুজনের নাম আসে তারা হলেন ১)সিরাজুল ইসলাম সাথী, (মুখ্য সচিব) ও ২) মোখলেস উর রহমান। এর আগে এসবে নেতৃত্ব দিতেন ডিজি এডমিন ও ডিজি পিএমওতে থাকা দুই সচিব৷ যাদের ঐ দায়িত্ব থেকে অপসারন করা হয়েছে।

এখন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং মিডিয়া কোনকিছুই সংস্কার না করে, গনহত্যার বিচার না করে, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির বিচার না করে শুধু নির্বাচন দিয়ে দিলেই কি দেশ বদলে যাবে??

অবশ্যই না।

বরঞ্চ, পুরনো যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো তা অক্ষত থেকে যাবে, অক্ষত থাকবে ইন্ডিয়ান হেজিমনি। ক্ষমতায় থাকা নামগুলো বদলাবে শুধু, কিন্তু বাংলাদেশ রয়ে যাবে ইন্ডিয়ার সেই অঘোষিত কলোনিই।

এবং এটাই বাংলাদেশকে পুনর্দখলের ভারতীয় স্ট্র‍্যাটেজি।

এই স্ট্র‍্যাটেজির মাধ্যমে তারা বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে নিজেদের পছন্দের মানুষদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে এসেছে, ঐ নেতাদেরকে দিয়েই মিডিয়া-পুলিশ-সিভিল এডমিনে নিয়ে এসেছে এমন অফিসারদেরকে, যাদের প্রায়োরিটি বাংলাদেশ না, অন্য কিছু।

প্রশ্ন উঠতে পারে, তিন ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা কি করছেন তাহলে??

তারা যেদিন জয়েন করেন সেদিনই আমি বলেছিলাম, প্রায় অসম্ভব একটা কাজ তারা হাতে নিয়েছেন। তাদের যে জব রেস্পন্সিবিলিটি, সেটার ওপর কোন ইন্টার্নশিপ, কোন ট্রেইনিং তারা পান নাই, নাই তাদের কোন এক্সপেরিয়েন্স। শুধু মেধা আর দেশপ্রেম নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা। এটা বলার সুযোগ নেই যে তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থ ও সামষ্টিক স্বার্থে কিছু করে না, বরঞ্চ সেটা অবশ্যই এক্সিস্ট করে, করাটাই স্বাভাবিক, কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ তাদের নিতে দেখা যায় নি এবং সাহসের সাথে তারা ইন্ডিয়ান প্লটকে মোকাবিলা করে এসেছে।
আসিফ বা নাহিদরা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে, সেগুলোকে বারবার বাধাগ্রস্ত করছে এই আমলাতান্ত্রিক স্বৈরাচার ও তাদের সহায়তাকারী ইন্ডিয়ান কোলাবোরেটর পলিটিক্যাল ফোর্স।

ছাত্র উপদেষ্টাদের দক্ষতা, পরিপক্কতা ও অভিজ্ঞতার অভাব তাদের ভোগাচ্ছে, কিন্তু এরচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে, প্রশাসনে তাদের একান্ত নিজের বলে কেউ নাই। তাদের সততার যে অভাব নাই, এইটা দেশের মানুষ জানে। বিশেষভাবে তরুণদের একচেটিয়া সাপোর্ট এখনো আসিফ-নাহিদের প্রতি আছে এবং একই ভাবে তা আছে ড. ইউনুসের প্রতিও। কিছু বিতর্কিত কাজ না করলে আসিফ নজরুল স্যারও হয়তো এই সাপোর্ট পেতেন।

এই ব্যাপক জনসমর্থনের কারনে এরা এখন হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়ান দালালদের গলার কাটা। তাই ইন্ডিয়ান দালালরা আমলাতান্ত্রিক ফ্যাসিজমের মাধ্যমে আটকে দিচ্ছে ওদের ফাইল, আটকে দিচ্ছে ওদের দেয়া প্রমোশন। এই একই অবস্থা চলছে ফাওজুল কবির খান, ফরিদা আখতার, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সহ বেশ কজন উপদেষ্টার মন্ত্রনালয় সমুহে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন, সংবিধান ও পুলিশ প্রশাসন সংস্কারের কিছু উদ্যোগ নেয়ার ফলে এখন বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান হেজিমনির বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে মাহফুজ, আসিফ এবং নাহিদ। আধিপত্যবাদীদের দোসরেরা সরকারের ভেতরে থেকে সরকারকে অচল যেমন করছে তেমনি চেষ্টায় আছে বাংলাদেশের ওপর ইন্ডিয়ান হেজিমনি অটুট রেখে দেয়ার।

গল্পের শহর

20 Nov, 00:27


এই মুহুর্তে ইন্ডিয়া চায় কোন রকম সংস্কার না করে বাংলাদেশে একটা নির্বাচন। বাকিটা ক্ষমতাসীন দলের সাথে তারা বোঝাপড়া করে নিতে পারবে বলে তারা মনে করে। সেজন্য তাদের প্রথম কাজ হল আসিফ-নাহিদদের চরিত্র হনন এবং তাদের সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।

আজকে মুখ্য সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের আয়োজনে এমন কিছু ষড়যন্ত্রের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতু পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার নিয়ে আসিফ কাজ করছে, তাই প্রথম শিকার হবে সে। এরপর আসবে ধাপে ধাপে নাহিদ আর মাহফুজ।

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে হত্যা করার আয়োজনের প্রথম ধাপ হচ্ছে, মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সাথে ড. ইউনুস এবং ছাত্রজনতার দুরত্ব সৃষ্টি। আজকে বেলা ১২টা থেকে মিডিয়া ওয়ার শুরুর সম্ভাবনা আছে।

আসিফ, নাহিদদের পদত্যাগের পরের ধাপ হবে সরকারের লেজিটিমেসি হারানো এবং সরকার ইন্ডিয়ান হেজিমনির পুতুলে পরিনত হওয়া। ইতোমধ্যেই গতকাল দ্যা হিন্দুকে নেয়া ইন্টারভিউয়ে ডক্টর ইউনুস বলেছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহনে সরকার বাধা দেবে না। যেহেতু বড় রাজনৈতিক দলগুলো চায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক, বৃহত্তম রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে বাধা দিতে পারে না।

আশা করি বুঝতে পারছেন, বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান প্রক্সি কতটা ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে। অভ্যুত্থানের তিন মাসের মাথায় তারা অভ্যুত্থানের সরকারকে দিয়ে বলাচ্ছে যে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে বাধা দেয়া হবে না। এরপরের ধাপ হবে তারা বলবে আওয়ামী লীগের বিচার করা যাবে না। পরিস্থিতি সেদিকেই আগানোর তোড়জোড় চলছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের করনীয় কি??

আমাদের করনীয়, দালাল রাজনীতিবিদদেরকে চিহ্ণিত করা এবং প্রশাসন, মিডিয়া ও পুলিশে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোন নির্বাচন মানবো না, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া। দালাল আমলাদের তাৎক্ষনিক অপসারনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিতে সরকারকে বাধ্য করা এবং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পক্ষে যারা অবস্থান নিচ্ছে, তাদের পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দেয়া।

বাংলাদেশের স্বার্থের ওপরে কোন স্বার্থ নাই। হাসিনা সরকারের গুলির সামনে বুক পেতে দেয়ার সময় আমরা কোন আপোসে যাই নাই, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের ব্যাপারেও আমরা কোন আপোস করবো না।

এই স্বপ্ন বাংলাদেশের নব্বই পরবর্তী প্রজন্মের নন নেগোশিয়েবল কমন ড্রিম।

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!
ইনকিলাব জিন্দাবাদ!!

গল্পের শহর

19 Nov, 12:41


when you are old and grey and full of sleep,
And nodding the fire ,take down this book ,
And slowly read,and dream off the soft look
Your eyes had once,and off their shadows deep ;
হিমু …….

গল্পের শহর

18 Nov, 17:46


এমনি ৫


আজ অনেকদিন পর টিভিতে একটা পুরো সিনেমা দেখলাম। টিভিতে সাধারণত কোন সিনেমা দেখা হয় না। দেখবই বা কীভাবে? আড়াই ঘন্টার একখানা সিনেমাকে এড দিয়ে সময় নষ্ট করে পাঁচ ঘন্টা - সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অব্দি টেনে নিয়ে যায়। আজকে দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পর একটা বই নিয়ে বসেছি।  দু এক পাতা পড়াও হয়ে গেছে। বাইরের আবহাওয়া ভাল নয়। এরকম ওয়েদারে হয় সিনেমা দেখা উচিত না হয় রূপকথার বা ভূতের গল্প পড়া উচিত। বই-ই নিয়ে বসেছি। কিন্তু মন লাগছিল না। এ রুম থেকে সে রুমে যাচ্ছি। কে কী করছে দেখছি। আবার নিজের রুমে আসছি। শুচ্ছি, উঠে পড়ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। মা'র রুমে গিয়ে দেখি মা টিভি দেখছে। মা'কে একটু জ্বালানো যাক ভেবে মা'র কাছে গিয়ে বসলাম। টিভিতে একটা সিনেমা শুরু হয়েছে মাত্র। যেটার কথা শুরুতে বলছিলাম। বনি সেনগুপ্ত'র সিনেমা। জি বাংলায় হচ্ছিল। কিছু সময় দেখে খেয়াল করলাম ভালই লাগছে। মুভির ঘটনা আহামরি কিছু নয়। খুবই সিম্পল প্লট। কিন্তু দেখতে ভাল লাগছিল। সিনেমার গল্পটা মোটামুটি এরকম - একটা ছেলে আর একটা মেয়ে একই অফিসে কাজ করে। ছেলেটা মেয়েটাকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলে। কিন্তু ছেলেটা খুবই লাজুক আর কম কথা বলা স্বভাবের। সে মেয়েটাকে বলতে পারেনা কিছু। প্রতিদিনের ঘটনা সে তার বাবাকে শেয়ার করে। তার বাবা তার বন্ধুর মতই। তো নায়ক নায়িকা দুজনের মধ্যে কীভাবে ভালবাসা গ্রো করে, ভালবাসা গ্রো করতে গিয়ে কীভাবে ঝামেলা তৈরি হয়ে যায় তারপর কীভাবে তা থেকে উত্তরণ হয় সেটা নিয়েই পুরো গল্পটা। ছেলেটার সাথে আমি নিজেকে রিলেট করতে পারলাম। এ যেন আর্চির গল্প নয়, আমারই গল্প। আমার জীবনে এরকম ঘটনা ঘটেনি বটে, কিন্তু ঘটলে অমনই হবে। সিনেমাটা দেখতে দেখতে মা'কে জিজ্ঞেস করলাম, " আচ্ছা, আম্মু। হোয়াট ইফ আমিও একটা মেয়েকে পছন্দ করলাম আর তোমার কাছে এসে তার কথা জানালাম। তুমি কি নায়কের বাপের মত আমাকে কোপারেট করবে? "

মা এমন উত্তর দিল যে কী বলব। বললো,
" তুই মেয়েদের সাথে গিয়ে কথা বলতে পারিস? অত সাহস তোর থাকলে তো। "
" আরে আমি বললাম যদি হয়। হলে তখন কী করবে? "
" তোর দ্বারা তো ঠিকঠাক কোন কাজ হয়না কখনো। ঐ বরাবরের মত তোর বাপকে আর আমাকেই কিছু করতে হবে আরকি। "

একে তো জীবনে ভালমন্দ কিছু হচ্ছে না, তারপরে মা'র এইসব মন খারাপ করিয়ে দেওয়া কথা। মা আমাকে এখনো বাচ্চা মনে করে কেন? মনে মনে বললাম, তুমহারা বেটা কুছ করকে দিখায়েগা মা। কিন্তু কী যে করব তার আইডিয়া নেই। সিনেমা দেখা শেষ হলে বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। আজ সারাদিনে একটুও রোদের দেখা নেই, উল্টে বৃষ্টিই হয়েছে সারাদিন। চারপাশের পরিবেশ ভিজে একসা। রাস্তাঘাট পানি আর কাদায় পরিপূর্ণ। ছাদে উঠলাম। ছাদে গিয়ে দু দিকে দু হাত বাড়িয়ে আড়মোড়া ভেঙে হাই তুললাম। আকাশে মেঘ করে আছে। কালো মেঘ। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বোঝা যাচ্ছে মেঘগুলো সরে যাচ্ছে একদিক থেকে অন্যদিক। অন্ধকার হয়ে আসছে চারদিকে। মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনের অজান্তেই কারো না কারো অবয়ব ফুটে ওঠে বলে মনে হয়। একটু আগে যে সিনেমায় দেখলাম সেই নীহারিকার ছবি ভেসে উঠল কি? নাকি অন্য কেউ? তার নামের আদ্যাক্ষর কি -? শশশ! বলা যাবে না। আর্চির গ্যালারিতে গল্পের তো হ্যাপি এন্ডিং হয়ে গেল। আমার জীবনের গ্যালারিতে কি হ্যাপি এন্ডিংওয়ালা রীল স্থান পাবে? কে জানে।

 
©® Max Rab

গল্পের শহর

15 Nov, 08:29


🥲

গল্পের শহর

14 Nov, 17:36


ভালোবেসেছি তাই



আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/241 ]


[ দশম পর্ব ]


আয়ান নাজিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বললো, "দাঁড়াও, দাঁড়াও। নিতুল এল কোথা থেকে? নিতুলকে পেলে কোথায় তোমরা?" আসিফ বললো, "আরে, ভাই! নিতুলই তো আমাদের মাথায় আইডিয়াটা দিল।" আয়ানের কৌতূহলের মাত্রা চরমে। জিজ্ঞেস করলো, "নিতুলকে চিনিস কীভাবে তুই?" আসিফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখটা প্যাঁচার মত করে দু হাত বুকের কাছে বেঁধে বললো, "কোথায় থাকিস ভাই? নিতুলের সাথে থেকেও একটু সোশ্যালাইজ করা শিখলি না। নিতুলকে এই পাড়ায় চেনে না এমন কেউ আছে?" নাজিয়া বললো, "তো এখন আমরা তো চাইছি ঘুরে আসব কোথা থেকে। যাবি তুই আমাদের সাথে?" আয়ান ঠিক করে নিল যাবে তাদের সাথে। প্রতিদিন একইরকম ভাবে দিন যাপন করে জীবনটা কেমন একঘেয়ে হয়ে গেছে। একটু বদল দরকার। সে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিল, "ওকে, ডান। আই এম ইন। আর কে কে যাচ্ছে?"
নাজিয়া বললো, "নিতুলকে জিজ্ঞেস কর।"
"আচ্ছা, যাব কোথায় সেটা ঠিক করেছ?"
"হ্যাঁ। সিলেট।"

নিচে নেমেই ঘরে গিয়ে নিতুলকে ফোন লাগায় আয়ান।

"হ্যালো, নিতুল?"

"হ্যাঁ। বল।"

"তুই শালা আমাকে না জানিয়ে আসিফ আর নাজিয়াপুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে নিলি আর আমায় জানালি না কিছু?"

"দাঁড়া, দাঁড়া। প্ল্যান তো করিনি।"

"তাহলে?"

"আমি নাজিয়া আপুর সাথে একটু আলোচনা করছিলাম একটু ঘুরতে যাওয়া যায় নাকি সেটা নিয়ে। তো আপুই বললো সিলেট যাওয়া যায়।"

"নাজিয়া আপুকে পেলি কোথায় তুই? আর তুই যে তাদের ভাইবোনকে চিনিস, বলিস তো কখনো?"

"আরে, বলার কী আছে? আসিফ আর আমি আগে একসাথে ফুটবল খেলতাম মিন্টু রোডের ঐদিকে মাঠটায়। সেই সূত্রে আলাপ।"

"আর নাজিয়া আপু?"

"সব কথা তোকে বলব কেন রে?"

"কেন ভাই? কী হবে বললে?"

"আরে, ভাই! নাজিয়া আপু আর আসিফকে বরাবরই চিনি আমি। স্কুলে থাকতে থেকেই নাজিয়া আপুকে চিনি। অনেকবার উপজেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে গিয়েও দেখা হয়েছে। আমরা তো ফেসবুকেও এড আছি। মিউচুয়ালে দেখিস।"

"আচ্ছা, বেশ। আমাদের সাথে আর কে কে যাচ্ছে?"

"আপাতত আমরা চারজন যে যাব এটা ঠিক হয়েছে। আমম....দেখা যাক। কয়েকজন মাথায় আছে ; ওদের বলে দেখব। রাজি হলে সাথে নিয়ে নেব আর নাহলে আমরা আমরাই। তোর বাড়িতে আপত্তি করবে না তো?"

" না, না। আপত্তি কীসের?"

"দেখিস ভাই।"

"হ্যাঁ।"

ঘুরতে যাওয়ার কথায় আয়ান যতটা না খুশি হয়, তার চেয়ে বেশি খুশি হয় নাজিয়া আপুও তাদের সাথে যাবে ভেবে। সেদিন যে নাজিয়া আপু আর প্রীতিকে একইসাথে স্বপ্নে দেখল, সেই কথা মনে আসে তার। দুজনেই সুন্দরী। দুজন দুরকম। দুজনেরই হাসি সুন্দর। চেহারা সুন্দর। নাজিয়া আপুর চুল প্রীতির চেয়েও বেশি সুন্দর। আবার প্রীতির চোখ নাজিয়া আপুর চেয়ে বেশি সুন্দর। নাজিয়া আপুর গলার স্বর একটু ভারি ভারি। প্রীতির গলার স্বর মোলায়েম। নাজিয়া আপু উচ্চতায় একটু লম্বা আর প্রীতি একটু খাটো। আয়ান কি দুজনেরই প্রেমে পড়ে বসে আছে? একইসাথে কি দুজনকে ভালোবাসা যায়? ভালোবাসা আর প্রেম কি এক? প্রেমে পড়লে ভালোবাসা হয় নাকি ভালোবাসলে প্রেমে পড়া হয়? এ ধরনের অনুভূতিকে শব্দবন্দি করা যায়? কতরকমের প্রশ্ন আয়ানের মনে দানা বাঁধে।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

গল্পের শহর

14 Nov, 06:31


সম্বিৎ



একটা বেশ সিরিয়াস লেখা লিখবো ভাবছি। আসলে শুধু ভাবিইনি। খানিকটা কাজেও পরিণত হয়েছে ভাবনাটা। তবে লাইন দশেক লিখেই কেটে দিতে ইচ্ছে করছে। মনমতো হচ্ছে না। ল্যাপটপটা কোলের ওপর থেকে নামিয়ে রেখে দিলাম পাশে। উপরে হাত বাড়িয়ে পাখা বন্ধ করলাম। দুমিনিট পরে বাতিও নিভিয়ে দিলাম। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। চারিদিক নীরব৷ বাইরের রাস্তা থেকে মাঝেমধ্যে রিকশা আর বাইকের হর্ণের শব্দ কানে আসছে। শব্দগুলো খুব তীক্ষ্ণ। এতো দূর থেকেও স্পষ্ট শোনা যায়। গরমে ঘেমে উঠেছি একটু একটু। ঘরটা প্রথমে অন্ধকারে ঢেকে ছিলো। কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। ধীরে ধীরে চোখ সয়ে আসতেই ঘরের সবকিছু ঠাহর হতে লাগলো। ঐতো সামনে আলমারি, হাতের ডানদিকে টেবিল আর চেয়ার, বাঁদিকে বুকশেলফ। ভাবনায় ডুবে যাচ্ছিলাম হঠাৎ মোবাইলে টুং করে একটা শব্দ হলো। নোটিফিকেশন এসেছে। দেখবো না৷ যা খুশি আসুক।

এখন তাহলে রাত। রাত মানে অন্ধকার, ভূত, প্যাঁচা, বাঁদুড়, চোর, নাইটক্লাব, কান্না, সুখচিৎকার আরও কতো কী! কদিন আগে প্যাঁচা নিয়ে একজনের সাথে কথা বলছিলাম। প্যাঁচার কথা মনে হতেই আমার বাড়ির কথা মনে পড়ে। কারণ ছোটোবেলায় একবারই মাত্র সামনাসামনি প্যাঁচা দেখেছিলাম। প্যাঁচা আর বাড়ি দুটো একসাথে মনে পড়লে বর্ষাকালের কথা মনে পড়ে। বর্ষাকাল আমার খারাপও লাগে আবার ভালোও লাগে। মিশ্র অনুভূতি কাজ করে এই সময়ে। আমি ছোটো থাকতে বাড়িতে একটা ছেলে ছিলো আমাকে স্কুলে নিয়ে আসার জন্য আর দিয়ে আসার জন্য। সেই ছেলেটা বর্ষার সময় বেশ কৌশল করে জাল দিয়ে মাছ ধরতো। আমার নিজেরও ওরকম মাছ ধরার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু আমার জন্য বাসার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিলো না। অনেক অনুনয়, কান্নাকাটি করে বাসায় রাজি করিয়ে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিলাম ছেলেটার সাথে। সে এক বিচিত্র কথা। বর্ষায় গ্রামে গেলে বিপত্তির শেষ নেই। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা থাকে আর বৃষ্টি হলেই কাঁদায় ভরে যায়। হাঁটা মুশকিল হয়ে যায়। তবে প্রকৃতির অবর্ণনীয় অসামান্য রূপ বর্ষাকালে গ্রামে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। জেলেদের উল্লাস, ভেজা মাটির গন্ধ, আকাশের রং, গাছেদের প্রাণ পাওয়া,ছেলেপুলের কাঁদায় পড়ে খেলাধুলোর নামে দুষ্টুমি আর সাপে ব্যাঙে বাঁচামরার খেলাসহ কতো কী দেখতে পাওয়া যায়! কিন্তু শহরে বর্ষা বলতে কিছুই নেই। দেয়ালে জমে থাকা শ্যাওলা আর ছাতা মাথায় লোকজনের চলাফেরা ছাড়া আর কিছুই নেই শহরে। তবুও আমার গ্রামে যাওয়া হয় না এখন আর। শেষ কবে গ্রামাঞ্চলের বর্ষা দেখেছিলাম মনেই পড়ে না।

ভাবনার জাল আবার ছিঁড়ে গেলো। বাইরে থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে। কিন্তু আমার ঘরটার কী যেনো একটা বদল ঘটে গেছে। আজকে রুমমেট বাড়ি গিয়েছে। ফিরবে না। তবুও কার যেনো উপস্থিতি টের পাচ্ছি। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ হয়ে গেছে। আমি চোখ খুললাম। দেখি রোজমেরি আমার সামনে দাঁড়িয়ে। অন্ধকারেও বেশ বুঝতে পারছি। উপরে হাত বাড়িয়ে বাতিটা জ্বালাতে যাবো তক্ষুণি সে বলে উঠলো, " থাক না। অন্ধকার ভালো লাগছে। "
" আলো আঁধারির খেলাতেই আটকে আছি। "
" মিস করছিলে আমায়? "
" কখন এলে? টের পেলাম না তো। "
" এই মাত্রই। ঘরের দরজা খোলা রেখেছো তাই ঢুকে পড়তে পেরেছি। "
" দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলাই ছিলো। কিন্তু তুমি কখনো আসোইনি। "
" এইতো এলাম। "
" চলে যাও। তুমি ভ্রম। তুমি হ্যালুসিনেশন। তুমি ইল্যুশন। তুমি সত্যি নও। "
" পাগলামো ছেড়ে স্বাভাবিক হবে না? "
" আমি তো স্বাভাবিকই। আমার চেয়ে স্বাভাবিক আর কজন আছে বলতে পারো? আমি এখনও লিখি। কবিতা লিখি, গল্প লিখি। ছোটোবেলার গল্প লিখি। আমার ছোটোবেলাকার বর্ষার গল্প শুনবে? আমি ভালো থাকার গল্প লিখি। আমার গল্পে কোনো দুঃখ নেই। আমি ভালো আছি। স্বাভাবিক আছি। "
"তুমি কাঁদছো কেনো? "
" কাঁদছি? কই, নাতো। খামোখা কাঁদতে যাবো কেনো? কীসব আবোল তাবোল বকছো? অন্ধকার কতো কিছু পার পেয়ে যায় আর আমার চোখ পার পাবে না সেটা কীভাবে সম্ভব? "

রোজমেরি এগিয়ে এসে আমার সামনে ঝুঁকে আমার  দুগাল মুছে দেয় তার হাত দিয়ে। তারপর পাশে বসে হাত দুটো ধরে বলে, " এখানেই সব শেষ নয়। ঐ দেখো " বলে নিজের ডান হাতটা জানলার দিকে নির্দেশ করে। আমি তাকিয়ে দেখি একগাদা লোকজন হন্যে হয়ে ছুটছে একটা খোলা মাঠের দিকে। যেনো কোনো একটা অতি মূল্যবান সম্পদ রয়েছে ওদিকে। হঠাৎ কালো রঙের বেশ বড় একটা  সরীসৃপ দেখতে পেলাম যা মানুষকে অন্য দিকে থেকে ধেয়ে আসছে। তখনই প্রচন্ড বৃষ্টিপাত আর তার মধ্যে অনুভব করলাম আমার হাত দুটোতে যে রোজমেরির হাতের পরশ পাচ্ছিলাম তা আর পাচ্ছি না। রোজমেরি চলে গেছে। আবার। চলে গেছে সে।



আবার মোবাইল বেজে উঠলো। এবারে নোটিফিকেশন নয়। রিংটোন।  দেয়ালে হেলান দিয়ে ঘাড়টা একদিকে কাত হয়ে কখন যে চোখ লেগে গেছিলো টেরই পাইনি। ঘাড়টা খুব ব্যাথা করছে এখন। গরমে পুরো শরীরটাই ঘামে ভিজে গেছে। পাখাটা চালিয়ে দিয়ে ফোনটা ধরলাম।


©® Max Rab

গল্পের শহর

13 Nov, 16:59


May be, today, I walked in the way you walk daily, 
May be, I, did stand there in where you wait for bus usually ,
May be, I, was enjoying a view you enjoy occasionally. 

Now, Guess what?

May be, I, came to your city,
May be, to feel you in air,
May be, just to feel loved,
May be, to give you a surprise.

You know,

May be, I used to stumbled before,
May be, then, I learned how to compartmentalise,
May be, I discerned how incredulous thing can happen when a man in love...

May be, you know, I know nothing...


©® Max Rab

গল্পের শহর

11 Nov, 15:42


সফর


আমাদের জীবনটা একটা সফর। একটা Journey. আমাদের জীবনের করা বিভিন্ন কাজগুলোও একেকটা সফরের মত। সফর কখনো অনন্তকাল অব্দি চলে না ; এক না এক সময় থামতে হয়। শরৎ তার নির্দিষ্ট স্টেশন এলেই বাক্স-পেটরা, কাঁধ ব্যাগ নিয়ে নেমে পড়ে। ব্যস, ঐ অব্দিই। এবার গন্তব্যে পৌঁছনো গেল। তবে সফরের উদ্দেশ্য যে সবসময় একটা গন্তব্যে পৌঁছনোই হবে তার কোন মানে নেই। চল, একটু হেঁটে আসি - এটাও একটা সফরই। কিন্তু এর কোন গন্তব্য নেই। ইতস্তত এদিক সেদিক পদব্রজে ঘুরে বেড়ানো। আবার, সফর শুরু হলেই যে গন্তব্যে পৌঁছনো যায় তারও কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। সেটা নিয়তির ওপর। হিন্দীতে সফর নিয়ে অনেক গান আছে। তাতে ভালবাসার সফরের কথার উল্লেখ থাকে। থাকবেই তো। সেটাও একটা সফর বৈকি।

শরৎ ট্রেনে যতবারই চড়ে ততবারই ভাবে - আমাদেরও জীবনটাও এই ট্রেন জার্নির মতই। একেকজন একেক স্টেশনে উঠছে, একেকজন নেমে যাচ্ছে। কারো সাথে কারো খুব খাতির হয়ে যাচ্ছে, কারো সাথে ঝগড়া। বন্ধুত্বেরও একটা সফর আছে। সেটা অন্যরকম। গোটা হাই স্কুল যার সাথে একই বেঞ্চে বসে দুষ্টুমি করেছি তার সাথে হয়তো ক্বচিৎই দেখা হয়। তখনকার বন্ধুত্বের সফর স্কুল পাশ করার পরেই শেষ হয়ে গেছে। এখন দেখা হলে,  " হাই, হ্যালো! ভাল আছিস? বাইরে চলে যাবি? অনার্সের পর? এখন? একসাথে বসে শেষবার স্পাইডারম্যান মুভি দেখেছিলাম মনে পড়ে? " এর বেশি কনভারসেশন এগোয় না। এভাবে গোটা জীবনটাকে আমরা একটা সফর হিসেবে ধরতে পারি আবার জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় কাজকে আমরা সফর হিসেবে ধরতে পারি। পড়াশোনার সফর, স্কুল কলেজের সফর, সাইকো থেরাপির সফর, রোমান্টিক রিলেশনশিপের সফর, ক্লাবে কাজ করার সফর - এরকম হাজার হাজার উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। চাইলে নিজেদের মত করে নিজেদের অভিজ্ঞতানুসারে তালিকা সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

কোন কোন সফর এমন থাকে যেখানে গন্তব্যে নিজের ইচ্ছেয় পৌঁছনো যায় না ; কিছু একটার ওপর নির্ভর করতে হয়। অন্যদিকে, কিছু সফর থাকে যেখানে নিজের ইচ্ছেয় সফরের পথ নির্ধারণ করে গন্তব্য অব্দি পৌঁছনো যায়। রেলগাড়ি আর প্রাইভেট গাড়ির মধ্যে যেরকম পার্থক্য থাকে আরকি। কোন কোন সফর এরকম থাকে যেগুলোতে ইতি টানতে কষ্ট হয়, তবুও টানতে হয়। মেনে নিতে হয় অনেক কিছু। এক পাড়াগাঁয়ের খেত-খামার করা লোক জীবনের পুরো সফরকে যেভাবে বুঝতে পেরেছে সেভাবে শরৎ নিজেও বুঝতে পারেনি ভাল করে। শরৎ লোকটার নাম দিয়েছে জন ডেনভার। লোকটা জীবনেও স্টোয়িক ফিলোসোফি পড়েনি, পড়ার ধার দিয়েও যায় না। স্টোয়শিজম কী সেটা নিয়েও তাঁর মাথাব্যাথা নেই। তবুও স্টোয়শিজমের মূল কথাটুকু কীভাবে যেন জীবনে ধারণ করে দিব্যি সুখে দিন কাটাচ্ছে। ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে কাজে যায় আর বিকেল হলে কাজ থেকে ফেরে। বয়েস পঞ্চাশের অনেক উপরে।
লোকটা বলে,
"  Dukkhor khota khou aar shukor khota khou, hokholta ou aaibo aar jaibo. Ita loiya khanokha fereshanit na foriya dekhte takho jibono kita oy.  basbay aar khodin, mora to lagbou. Khandibay, aashibay, khatiyat khori lash boibay, hokholtau dekhtay oibay khali durbol oizio na. Khali mainchor loge emon baabe solio jaate morar badey zonozat duya khorar mainchor obaab na oy... "

অর্থাৎ, দুঃখের কথাই বল আর সুখের কথাই বল, সবই আসবে আর যাবে। এসব নিয়ে খামোখা পেরেশানিতে না পড়ে দেখতে থাক জীবনে কী হয়। বাঁচবে আর কদিন, মরতে তো হবেই। কাঁদবে, হাসবে, খাটিয়ায় করে লাশ বয়ে নিয়ে যেতে হবে, সবকিছুই দেখতে হবে জীবনে - এতে দূর্বল হয়ে পড় না যেন। শুধু মানুষের সাথে এমনভাবে আচরণ কর যাতে মরার পরে জানাজায় দু'আ করার লোকের অভাব না হয়।

©® Max Rab

গল্পের শহর

11 Nov, 02:24


"যে থাকার সে এমনিতেই থাকবে"
এইটা কখনোই ম্যাচিউরিটি না ব্রো!!
গেলে যাক থাকলে থাক মানে কি হ্যাঁ?
বিপরীত মানুষটা কি এতটাই ফেলনা? যে সে থাকলেও ভালো,আর গেলেও আপনার জীবনে কোনো প্রভাব পরবে না?
গেলে যাক এই চিন্তা থাকলে কেউই থাকবে না। এইরকম মনোভাবই বরং মানুষ কে যেতে বাধ্য করে।।
ম্যাচিউরিটিইইইই আর ইররেসপন্সিবিলিটি এর মাঝের থিক লাইন টা বোঝেন আগে প্লীজ।
Don't care মুডে থাকা টা কুল না।। Effort দেয়া টাই কুল।। ভালোবাসতে পারাটাই কুল।। ওইটাই Maturity 🌸

(অন্তত আমার কাছে)

গল্পের শহর

09 Nov, 18:43


Jo abhi hai woh hai yaar...
Whatever the hell I have, I got, these are either by choice or not, these things belong to me and I belong to them. If I cry all day long or if I despise my parents, nothing will change. So,
Live it to the limit and enjoy it. 🌚

গল্পের শহর

09 Nov, 11:18


প্রচুর হাসতে হবে। লবঙ্গ আর আর দারুচিনির ঘ্রাণের মতো নিজেকে তাজা রাখতে হবে। হাওয়াই মিঠাই এর মতো রঙীন থাকতে হবে। আরো অনেক পড়তে হবে। লেখক, কবি, শিল্পীদের প্রতি আরো দরদী হতে হবে। জীবনের সমস্ত উঠোন জুড়ে শুদ্ধদের প্রিয় বানিয়ে রাখতে হবে। মিনিমালিস্ট লাইফ লিড করতে হবে।

নর্দান লাইট দেখার জন্য নরওয়ে যেতে হবে। জীবনের মধ্যে আরো অসংখ্য নদী, সাগর, পাহাড়, ফরেস্ট, মহাদেশ এনে ঢুকাতে হবে।

অল্পতেই দমে যায় যারা, তাদেরকে আরো সাহস দিতে হবে। মনোবল বাড়াতে সরল মানুষদের সুন্দর সুন্দর কমপ্লিমেন্টস দিতে হবে। আগের জেনারেশনের জাত, পাত, বংশ, সার্টিফিকেট, সম্পদ, স্ট্যাটাস দেখে জাজ করার ভুলভাল এপ্রোচকে ‘নো মোর’ বলে বেরিয়ে আসতে হবে।

অনেক গাছ লাগাতে হবে, সবুজের যত্ন নিতে হবে। প্লাস্টিকের ইউজ কমাতে হবে। নদী আর সাগর ক্লিন রাখার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। দুনিয়া খুব সুন্দর করে আগামী প্রজন্মের জন্য গুছিয়ে রেখে যেতে হবে। আর…শেষ দিন পর্যন্ত রবের কাছে এই ব্লেসড লাইফটার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে….!

*ম্যানিফেস্টিং এ পিসফুল লাইফ ❤️❤️❤️

Sharmeen Shoheli
November, 2024.

গল্পের শহর

09 Nov, 06:04


Rizzlord 😌

গল্পের শহর

07 Nov, 17:56


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব
[https://t.me/MaxRab1/227]


[ নবম পর্ব ]


এই ঘটনার কিছুদিন পর আয়ানদের ইউনিভার্সিটিও খুলে যায়। পড়াশোনা আর ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় সে। প্রীতির কথাও ক্রমশ মন থেকে মুছে যেতে থাকে তার। মাঝে একদিন প্রীতি তার ফেসবুক স্টোরিতে একটা ছবি পোস্ট করেছিল। সেটা দেখে আয়ান শুধু এক দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল। সে ধরেই নিয়েছে, অন্য সব মেয়ের মতো প্রীতিও তার আউট অব লীগ।


কবি বলেছেন,

"না কোই গিলা, না শিকায়াত কা রঙ্গ,
আকেলে পান মে ভী জিন্দেগী কা হ্যায় ঢঙ্গ।
ম্যাঁয় মুকাম্মাল হুঁ, য়ুঁ হি, বে কিসি কে,
আপনি দুনিয়া মে আজাদ, খুশি সে ভারি।"

কোন কবি বলেছেন কে জানে। আয়ান নিজেই লিখেছে বোধ হয়। সবই নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার বাহানা। পরিস্থিতি মোতাবেক গান আর কবিতায় ডুবে থাকা গেলে ব্যাপারটা থেরাপির মতো কাজ করে। বেশি বেশি কাজে-কম্মে থাকলে এসব বিষয় ভুলে থাকা যায়। কাজ-কম্ম বলতে পড়াশোনা আর গল্পের বই পড়া ছাড়া আর কিছুই করে না আয়ান। বাসা থেকে ইউনিভার্সিটি আর ইউনিভার্সিটি থেকে বাসা, এরই মধ্যে তার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে রইল। ভীষণ বোরিং জীবন!

একবার এক উইকেন্ডের দুপুরবেলা সামনে লম্বা কোনো ছুটি আছে কিনা তাই চেক করছিলো আয়ান। হঠাৎ তার ফোনটা বেজে উঠল। আয়ান ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে একটা অপ্রত্যাশিত গলা শোনা গেল।

"হ্যালো, আয়ান?"
"আসিফ নাকি রে?"
"হ্যাঁ, রে।"
"কী খবর?"
"ছাদে আয়। বলছি।"


আয়ান অবাক হল। এই ভরদুপুরবেলা আসিফ অপরিচিত এক নম্বর থেকে কল করে তাকে ছাদে যেতে বলছে কেন? প্রচন্ডরকম কৌতূহল দানা বাঁধল তার মনে। অপেক্ষা না করে আয়ান দৌড়ে চলে যায় সে ছাদে। গিয়ে দেখে আসিফ আর নাজিয়া তাদের ছাদের যে দিকটায় ছায়া পড়ে সেদিকটায় দাঁড়িয়ে গল্প করছে। আয়ানকে দেখতেই তার দিকে দৃষ্টি দেয় তারা। আয়ান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকাতেই নাজিয়া বলে, "এদিকে আয়। শুনে যা।" আয়ান ছাদের কিনারায় পাঁচিলে হাত দিয়ে দাঁড়ায়। আসিফ বলে, "সামনে পুজোর ছুটি আছে। জানিস তো?" আয়ান ভ্রুকুটি করে তাকায় আসিফের দিকে। বলে, "হ্যাঁ। জানি তো।" নাজিয়া বলে, "কদিন ছুটি থাকবে তোদের?" "মোটামুটি দশ-বারো দিন তো থাকবেই। কেন?" নাজিয়া বলে, "শোন। পুজোয় যেহেতু তোর আর আসিফের মোটামুটি বড়সড় ছুটি আছে। তাই ভাবছি আমরা কোথা থেকে একটা ঘুরে আসব। আমিও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নেব। নিতুলের সাথে আমাদের কথা হয়েছে।
গোট ঘটনায় এমনিতেই আয়ান হকচকিয়ে গিয়েছিল। তারওপর নিতুলের কথা শুনে তার অবাক হওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে গেল।

[ চলবে...... ]


©® Max Rab

গল্পের শহর

07 Nov, 01:32


শিক্ষা সংস্কার ও ভবিষ্যৎ ভাবনা

নূরুল ইসলাম সাদ্দাম


ত ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ২০২৪ ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন এক অগ্রযাত্রার । ঢাকায় থাকার সুবাদে পুরো আন্দোলনকেই দেখার সুযোগ হয়েছে খুব কাছ থেকে। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই বঙ্গ প্রদেশের ইতিহাস অনেক পুরাতন। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এ মাটির বিবর্তন এবং পালাবদল খুবই তাৎপর্যবহ  নদীবিধৌত অঞ্চল হওয়ায় মানবিক বৈচিত্রা রয়েছে এ বঙ্গে। এ মাটির ওপর যারাই জুলুমতন্ত্র চালিয়েছে তারাই অপমানচনার পরিণতি বরণ করেছে। সেটি দ্রাবিড়রা হোক , আর্যরা হোক, সেনরা হোক, পালরা হোক কিংবা ইংরেজরা। সর্বশেষ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে এ মাটি থেকে লাঞ্ছিত হয়ে।

বাঙালির আচরণের সাথে বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমের মিল রয়েছে। আসুন জানি বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম আসলে কী? বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম একটা জনপ্রিয় মেটাফোর। একটা ব্যাঙকে যদি আপনি একটি পানি ভর্তি গাত্রে রাখেন এবং পাত্রটিকে উত্তপ্ত করতে থাকেন তবে ব্যাঙটি পানির তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যে রাখতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে সে পানির উত্তাপ সহ্য করতে থাকে, লাফ দিয়ে বের হওয়ায় পরিবর্তে।

কিন্তু একসময় পানির প্রচণ্ড তাপমাত্রা ব্যাঙের শরীর আর মানিয়ে নিতে পারে না। যখন সে আর পানির প্রচণ্ড তাপমাত্রায় তার শরীরের তাপমাত্রার সমতায় আসতে পারে না, তখন ব্যাঙটি ফুটন্ত পানির পাত্র থেকে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হায়। সে লাফ দিতে পারে না তখন, কারণ সে তার সমস্ত শক্তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করে ফেলেছে। অতঃপর সে ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ হতে থাকে। তার মৃত্যুর কারণটা আসলে গরম পানি না, বিপজ্জনক পরিস্থিতির শুরুতে সেই পরিস্থিতি অস্বীকার করে লাফ না দেওয়াটা তার মৃত্যুর কারণ। যে ভুলটা আওয়ামী লীগ করেছে। জনগণ বা ইয়াং জেনারেশনের পালস না বুঝে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেছে বারবার।

বাঙালি জাতিকে জুলুম করলে সে প্রাথমিক পর্যায়ে সহ্য করে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী মনে করে সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে, মানুষ সব মেনে নিচ্ছে এবং তাদের এ অপকর্মকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই সে তার ইচ্ছেমতো সরই চাপাতে থাকে জনগণের ওপর। লুটপাট করে স্বর্গরাজ্য তৈরি করে শাসকেরা। তারা মনে করে তারা চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু জালিমেরা ভুলে যায় যে, মানুষ নিরুপায় হয়ে গেলে মৃত্যুর কথা ভাবে না। জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। অবসান হয় জুলুমতন্ত্রের।

এটা বড় দুর্ভাগ্যের যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। লিবিয়ায় গাদ্দাফি, মিসরে হোসনি মোবারক, তিউনিসিয়ার আল-আবিদিন বেন আলির ইতিহাস আওয়ামী লীগের নিশ্চয়ই জানা ছিল। বাংলাদেশের স্বৈরশাসক এরশাদের পরণতিও তারা দেখেছে। কিন্তু কীভাবে তারা আবার সে পথেই হেঁটেছে। জানি না পরবর্তী শাসনভার যাদের হাতে যাবে তারা কতটুকু সতর্ক হবে।

এখন আসি মূল কথায়, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনুস সরকার ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা সংস্কার কমিশন । এ কমিশনের যাদের সদস্য করা হয়েছিল তাদের নামের ব্যাপারে আলেমদের আপত্তি উঠায় কমিটি আবার বিলুপ্ত করতে হয়েছে। চিন্তা ভাবনা ছাড়া এমন বিতর্কিত সদস্যদের নিয়ে কমিশন গঠন করাটা নিন্দনীয়। মনে রাখতে হবে ২০২৪- এর আন্দোলনে অনেক ইসলাম পন্থী ও মাদরাসার ছাত্রদের জীবন গিয়েছে। ফ্যাসিবাদ দীর্ঘদিন আমাদের ঘাড়ে চেপে আলেম সমাজ ও ইসলামী আদর্শের মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করেছে। ব্যমদেরকে তারা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ১৫ বছরের নির্যাতন- নিষ্পেষণ তিলে তিলে আগ্নেয়গিরিতে রূপ নিয়েছে। সেখানে শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আলেমের অংশগ্রহণ নাই। সেটি ভাবাই দুষ্কর। এ দেশের মূল ধারার শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাস অনেক পুরাতন। স্বাধীন সুলতানি আমলে এ দেশে ৮০,০০০ মাদরাসা ছিল। তখন বঙ্গ প্রদেশে এটাই ছিল মূল শিক্ষাব্যবস্থা। ব্রিটিশদের আমলে ধীরে ধীরে ১৯০ বছর ধরে এ নৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তাদের অনুগত লোক তৈরির প্রজেক্ট হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে।

এখনো এদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাদরাসা শিক্ষার সাথে জড়িত। এটি প্রমাণিত যে, যারা মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত তারা সমাজের অপকর্ম থেকে জেনারেল শিক্ষিতদের তুলনায় অনেক বেশি বিরত থাকে। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতি গঠন অসম্ভব। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ববোধের বিকাশ ঘটানো। কিন্তু এ দেশের শিক্ষা কারিকুলাম যারা প্রণয়ন করেছে তারা মানুষকে ভোগের সামগ্রী হিসেবেই শুধু বিবেচনা করে থাকে। তাই লেখাপড়া করে মানবিক হওয়ার চাইতে অর্থবান হওয়াকেই আমাদের সমাজ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

গল্পের শহর

07 Nov, 01:32


প্রচলিত শিক্ষা যদি মানুষ তৈরি করতে পারত তবে স্বাধীনতার পরে শিক্ষার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্ষণ, লুটপাট, মাদক, ইভটিজিং, খুন, ঘুষ, সম্পদ দখল থেকে শুরু করে সকল অপকর্ম কমার কথা ছিল। শিক্ষকদের হওয়ার কথা ছিল এ সমাজের সবচেয়ে আদর্শবান মানুষ। কিন্তু আমরা দেখতে পাই এর সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। হয়তো আপনারা বলবেন ইউরোপ, আমেরিকাতে শিক্ষার কারণে মানুষ ভালো আছে দুর্নীতিবাজ না। এটা একটা পয়েন্ট। তবে মনে রাখতে হবে ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া বা চীনে বাহ্যিকভাবে চোখধাঁধানো বড় বড় বিল্ডিং বা মেশিনারি তৈরি করেছে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীতে তাদের দ্বারা সবচেয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে। বিংশ শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কোল্ড ওয়ার, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, রুয়ান্ডার গণহত্যা, ইন্দোনেশিয়ার গণহত্যা ঘটিয়ে কোটি কোটি মানুষকে কারা মেরেছে?।

একুশ শতকে আফগানিস্তানে রক্তপাত, ইউক্রেনে রক্তপাত, গাজায় হামলা, মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞ কারা চালিয়েছে বা চালাচ্ছে তা সবার কাছেই পরিষ্কার। নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য অন্য মানুষকে পশু মনে করে তারা হত্যা করে, এটাই তাদের আধুনিক বিশ্ব আর আধুনিক শিক্ষার আলটিমেট লক্ষ্য।

এটাতো গেল বাহ্যিক দিক। পশ্চিমারা সভ্যতার কথা বলে সবচেয়ে অসভ্য এবং নোংরামি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। লিভ টুগেদার, মদ্যপান, পরকীয়া, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, অবাধ যৌনাচার ইত্যাদির রোগে লিপ্ত হয়ে মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করছে তারা। সিংগেল মাদার কনসেন্ট ডেভেলপ করে বিকৃত যৌনতাকে একটা আর্টে পরিণত করা হয়েছে পশ্চিমা সমাজে। ইউরোপের পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় তরুণ প্রজন্ম বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক সন্তানের জন্ম হয় সেখানে কিন্তু তারা তাদের পিতৃপরিচয় জানে না। কতটা জাহেলিয়াতের মধ্যে তারা আছে ভাবাও যায় না। দিন দিন ইউরোপে নেগেটিভ পপুলেশন হচ্ছে, আর মেয়েদেরকে স্বাধীনতার নামে কর্মক্ষেত্রে এক চেটিয়া নামানো হয়েছে। আর তাদেরকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সমাজে। পুরুষের কাপড়ের বিজ্ঞাপনেও নারী ছাড়া চলে না। তাছাড়া নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে কিন্তু এদিকে যে পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে সেদিকে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপই নাই।

একটি পরিবারে মায়ের ভূমিকা অনেক বেশি। নারীদের গৃহস্থালি কার্যক্রমের অর্থনৈতিক প্রভাবও অনেক বিস্তৃত। একজন নারীকে পরিবার পরিচালনায় অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। একজন নারী একটি পরিবারের জন্য একজন মা, একজন স্ত্রী, একজন ম্যানেজার হিসেবে ভূমিকা রাখে। আসুন, এবার দেখা যাক ৫ জনের একটি পরিবারে একজন নারীকে কী পরিমাণ কাজ করতে হয়। দৈনিক রান্নাবান্না করা, সন্তান লালন-পালন করা, ঘর পরিপাটি রাখা, সন্তানদের লেখাপড়া করানো, পরিবারের বয়োবৃদ্ধদের সেবা যত্ন করা। এ সকল কাজে তাকে অন্তত দিনের ১৫ ঘণ্টা ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এসকল কাজ অত্যধিক কষ্টসাধ্য। এ সকল কাজের জন্য যদি কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয় তবে মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। কিন্তু তার পরেও মন মতো কাজগুলো করা অসম্ভব। আপনার সন্তানকে অন্য কেউ মমত্ববোধ দিয়ে গঠন করে দেবে না। কিন্তু নারীদের গৃহস্থালি এ কাজগুলোর মর্যাদা সমাজ দেয় না। ফলে নারীরা বাসার বাহিরে কাজ করাকে আত্মসম্মানের অংশ মনে করে। আর এজন্য সামাজিকীকরণ নষ্ট হচ্ছে। ধর্মহীন শিক্ষা মানুষকে ভোগের পণ্য হিসেবে তৈরি করে, মনুষ্যত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে না। যাইহোক, পশ্চিমারা তাদের শিক্ষাকাঠামো এবং আইনের প্রয়োগ এমন পর্যায়ে নিয়েছে যাতে কেউ ঘুষ খাবে না বা দুর্নীতি করবে না ঠিকই কিন্তু শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তাদের দিয়ে বাস্তবায়নও হবে না। যদি তাই হতো তাহলে এই পৃথিবীটা সাম্যে ভরে যেত।

এখন দেখার চেষ্টা করব স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষাকাঠামো কেন এত দুর্বল। এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদেরকে ভৌগোলিক সমীকরণের দিকে চোখ রাখতে হবে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন একটি অবস্থানে আছে যেখানে তিন দিক আধিপত্যবাদী
ভারত কর্তৃক ঘেরাও করা। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে মুসলিম মেজরিটির এ দেশটি মূলত হাজার মাইল দূরের পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়। তখন থেকেই শুরু হয় ভারতের ষড়যন্ত্র। এখানে একটি প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে না গিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারতের অঙ্গরাজ্য হতো তবে স্বাধীন হওয়া এ দেশের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব ছিল?

যেমন পরণতি বরণ করেছে হায়দারাবাদ, জুনাগর, মানভাদর, গোয়া, সিকিম আর কাশ্মির। হায়দারাবাদের আয়তন ছিল ৮২ হাজার বর্গমাইল অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়েও বড়। ব্রিটিশ আমলেও মুসলিম শাসিত এ অঞ্চলটি ছিল স্বাধীন কিন্তু ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতার মাত্র এক বছর পরেই হায়দারাবাদকে ষড়যন্ত্র করে দখল করে নিয়েছে ভারতীয়রা। আজাদির জন্য এ অঞ্চলের মানুষেরা রক্ত দিলেও ভারত নেহেরু ডকট্রিনের অধীনে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সেখানে কীভাবে স্বাধীনতার আশা করত?

গল্পের শহর

07 Nov, 01:32


বরং কাশ্মির বা সিকিমের পরিণতিই বরণ করতে হতো এ দেশটিকে। আজও সেভেন সিস্টার্সের বঞ্চিত, অনুন্নত আর অবহেলিত জনপদগুলো স্বাধীনতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পূর্বদিকে ভারতের সেভেন সিস্টার্স আর পশ্চিমে বিশাল ভারতের অংশ। আর এই পূর্ব পশ্চিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একমাত্র মাধ্যম ২০-২২ কিলোমিটারের এই সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর। বাংলাদেশ যদি সত্যিই ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত হয় আর শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর বাহিরে থেকে শক্ত আঘাত আসে তবে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। এটা তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। তাই মুসলিম সেন্টিমেন্ট নিয়ে ভাগ হওয়া বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২৩ বছরের চক্রান্তের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে পুঁজি করে পাকিস্তান থেকে আলাদা করা হয়। আর নিজেদের পুতুল সরকার কায়েমের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ও মেধা খরচ করে এ দেশে তাদের আশীর্বাদপুষ্ট সরকারকে বসিয়ে কয়েকটি কাজ তারা শক্তভাবে করে থাকে-

১. কালচারাল হেজিমনি

২. দুর্বল শিক্ষাকাঠামো

৩. জাতিগত বিভেদ তৈরি

৪. নির্ভরশীল ও দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো

এগুলো করতে পারলে যুগ যুগ ধরে তারা এদেশের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করতে পারবে। আর আওয়ামী লীগকে তারা নিজেদের জন্য সবচেয়ে পরীক্ষিত বন্ধু মনে করে থাকে। এ কারণে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, "ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা কখনো ভুলবে না।" অথচ ক্ষমতার মসনদে থাকাকালীন দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি।

যাই হোক, বাংলাদেশকে ডমিনেট করার অংশ হিসেবে এ দেশের শিক্ষাকে তারা দুর্বল করার জন্য অনেক কাজই করেছে। সেক্যুলার ও অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করার সকল ফর্মুলা আওয়ামী লীগ ভারতের কাছ থেকে নিয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে দেশে ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড থাকার পরেও কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো সদিচ্ছা আওয়ামী সরকারের মধ্যে ছিল না। দক্ষ শ্রমশক্তি গঠন করে বিদেশি মুদ্রা আয়ের সুযোগও তারা কাজে লাগায়নি। বরং আমরা দেখেছি দেশে যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব আর চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চরম হতাশা। ফলে কোটা আন্দোলন একটি অভ্যুত্থানেই রূপ নিল। বাংলাদেশ যদি উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার দিক দিয়ে এগিয়ে যায় আর যুবকদের মধ্যে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার মানসিকতা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয় তবে এ দেশ তাইওয়ানের মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর এমনটি হলে ভারতের রক্ত চক্ষুর তোয়াক্কা বাংলাদেশ করবে না। এটাই ভারতের মূল চিন্তার কারণ।

তাই ২৪-এর চেতনাকে ধারণ করে সরকারের উচিত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য মানবিক মূল্যবোধ ও কারিগরি উপাদানে ভরপুর একটি শিক্ষাকাঠামো জাতিকে উপহার দেওয়া। যারা আগামীর বাংলাদেশকে মর্যাদাসম্পন্ন ও সার্বভৌম ভিত্তির ওপর টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর থাকবে।

লেখক: কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

ছাত্র সংবাদ। নভেম্বর ২০২৪

গল্পের শহর

06 Nov, 17:01


Once Zakir Bhai said 😌

গল্পের শহর

06 Nov, 11:51


আপনাকে প্রচন্ড কষ্ট দিয়ে, আপনার সাথে বেইনসাফী করে যদি কেউ বাহ্যিক ভাবে সুখে থাকে, খারাপ লাগে আপনার। রাগ হয়, অভিমান হয়। কিন্তু করার থাকে না তখন কিছুই।

“কারো সুখ সহ্য হয় না কেন তোমার” - এসব কথাও শোনা লাগে উল্টো নিজেরই। বোঝানো যায় না কাউকে, এ কষ্ট কারো সুখে থাকা নিয়ে নয়, নিজের সাথে হওয়া প্রতারনার।

চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার পর যখন কেউ বিশ্বাসের সব দেয়াল ভেঙে দেয়, প্রতারক মানুষটি হাসতে থাকে থাকে তখনো। সে ভাবে জিতে গেলো সে, হেরে গিয়েছি ভাবতে থাকেন তখন আপনিও।

দোর্দন্ড প্রতাপে জালিম হেটে বেড়ায় সগর্বে, মাথা নীচু করে থাকে মাজলুম এক কোনায়।

কুরআনের ছোট্ট একটি সান্তনার বাণী-

“আপনি ধৈর্য ধরুন যতক্ষন না আল্লাহ বিচার করেন” - সুরা ইউনুস:১০৯

অভিশাপ দিবেন না। বলবেন না কোন কটু বাক্য। নিশ্চিত জানুন “যখন আল্লাহ বিচার করেন” কথাটির ওজন এত বেশি, কোন পাহাড়ের চুড়ায় রেখে দিলে, তা থরথর করে কেপে উঠতো।

অপেক্ষা সেদিনের, যেদিন “আল্লাহ বিচার করবেন”। হার জিতের দিন যেদিন, অপেক্ষা সেদিনের।©️

গল্পের শহর

05 Nov, 08:59


Love means understanding, supporting each other, caring, loyalty, peace of heart.If the partner is right then love means happiness, butterfly feelings. If the partner is wrong then love means destroy.

গল্পের শহর

01 Nov, 11:17


"আজ যে পথে হাটছি,কাল হয়তো সেই পথেই একটা নতুন গল্পের সূচনা হবে"

মহিউদ্দিন

গল্পের শহর

01 Nov, 09:20


ব্যোমকেশ যদি ফেসবুকীয় ট্রেন্ডের প্রশ্নগুলোর জবাব দিতো 😃


১. নাম?
উ: শ্রী ব্যোমকেশ বক্সী।

২. ডাকনাম?
উঃ ব্যোমকেশই ডাকে লোকজন। আর প্রাইভেট ডিটেকটিভ না বলে সত্যান্বেষী বললে খুশি হবো বেশি।
 
৩. চুলে রং করেছেন?
উঃ চারিদিকে যা রং দেখছি, তাতে আর আলাদা করে চুলে রং দেবার কোনো আগ্রহ পাইনি।

৪. হাড় ভেঙ্গেছে কোনোদিন?
উঃ না না। তবে একবার হাড় ভাঙার জোগাড় হয়েছিল বৈকি।

৫. একপাক্ষিক ভালোবেসেছেন কাউকে?
উঃ উঁহু। দেবদাস মার্কা জীবন আমি কাটাইনি কোনোদিন। যাকে ভালবেসেছি, তাকেই বিয়ে করেছি।

৬. কাউকে মারা যেতে দেখেছেন?
উঃ অনেকবার। আমাদের কাজকারবারই তো এরকম। আর লোক মরলেই তো আমাদের সংসার চলে। হে হে।

৭. সব থেকে প্রিয় ফুল?
উঃ আমার সত্যই তো আস্ত একটা ফুল।

৮. অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন?
উঃ নিজে উঠিনি বটে তবে আমার সংস্পর্শে থাকা অনেক লোকই উঠেছেন।

৯. পোষা প্রাণী আছে?
উ: না হে। আমি নিজেই সত্যর পোষ্য হয়ে আছি।

১০. হাসপাতালে থেকেছেন?
উঃ হাসপাতালে থাকিনি। তবে মর্গে মড়া সেজে পড়ে থাকতে হয়েছিল অনুকূল ডাক্তারকে ধরার জন্য।

১১. ঘোড়ায় চড়েছেন?
উঃ  নাহ। চড়তে হয়নি কোনদিন। ভবিষ্যতে দরকার হলে ভেবে দেখা যাবে এখন।

১২. ভালোবাসেন?
উঃ সত্যই আমার একমাত্র ভালোবাসা। কী বললেন? সত্যবতীর কথা বলছি কিনা? কথার মারপ্যাঁচ কষবেন না তো।

১৩. টিকিট ছাড়া ভ্রমন করেছেন?
উঃ না, মশাই। ক্রাইম বন্ধ করার স্বার্থে কাজ করে চলেছি, বুঝলেন? ক্রাইম করতে নয়।

১৪. প্রেম পত্র লিখেছেন?
উঃ লিখতে হয়নি। ওসব লেখালেখিতে আমি নেই। ওসব অজিতে কাজ। তবুও বেচারা সারাজীবন একলাই থেকে গেল। আমি যা বলার সোজাসুজিই গিয়ে বলে দিয়েছি।

১৫. রাস্তায় নেচেছেন কখনো?
উঃ আমি নাচি না, মশাই। অপরাধীদের নাচাই।

১৬. জীবনে কয়টা প্রোপোজাল পেয়েছেন?
উঃ বিয়ে শাদি হয়ে গেছে। এখন আর এসব জিজ্ঞেস করে লাভ কী বলুন?

১৭. বাড়ি থেকে পালিয়েছেন?
উঃ পালাইনি। তবে হ্যারিসন রোডের বাড়ি থেকে অজিতদের মেসে গিয়ে বেশ কয়েকদিন থাকতে হয়েছিল। সবই তদন্তের স্বার্থে।

১৮. চুরি করেছেন?
উঃ করতে হয়েছে, মশাই। করতে হয়েছে। তবে রহস্য সমাধানের জন্য করতে হয়েছে। অন্য কোন অভিসন্ধি ছিল না আমার।

১৯.ভূত দেখেছেন?
উ: নাহ! বরদার সাথে যেবার দেখা হয়েছিল, ভেবেছিলাম হয়তো দেখে টেখে ফেলব। কিন্তু না। যুক্তি দিয়ে যা বিচার করা যায় না তা নিয়ে আমি বিশেষ মাথা ঘামাই না।

২০. বেস্টফ্রেন্ড আছে?
উঃ অজিত ভায়াই তো আমার বেস্টফ্রেন্ড।

২১. কাউকে ভালো লাগে?
উঃ আপনি আজকে বাড়িতে ঝগড়া লাগিয়ে ছাড়বেন দেখছি।

২২. প্রিয় খাবার?
উঃ কচুরি। আর সত্য ভালোবেসে যা রেঁধে খাওয়ায় তা-ই প্রিয়।

২৩. আপনি কেমন?
উঃ আমি একজন সত্যসন্ধিৎসু। সত্যান্বেষী। সত্যের প্রেমিক। আর নেহাতই একজন ছাপোষা বাঙালি ভদ্রলোক। ব্যস!

২৪. প্রিয় জায়গা?
উঃ সত্যর মন। ইয়ে মানে.... এই যে এই কেয়াতলার যে বাড়িটায় আছি সেটাই এখন প্রিয় জায়গা। আর হ্যারিসন রোডের যে বাড়িটার তেতলায় থাকতাম সেই বাড়িটাও। অনেক স্মৃতি আছে বাড়িটাকে ঘিরে।

২৫. বড় কোন ইচ্ছা আাছে ?
উঃ না মশাই। আমি যেমন আছি, যেমন চলছে তেমনই কাটিয়ে দিতে চাই। আর খোকা পড়াশোনা করে মানুষ হোক। খুব বড় ইচ্ছে টিচ্ছে নেই তেমন আর। তবে অজিতের বড় ইচ্ছে আছে। সে তার বইয়ের ব্যবসা আরও বড় করতে চায়।  

২৬. প্রিয় পোশাক?
উঃ  ধুতি আর পাঞ্জাবি। সাহেবদের পোশাক পরতে আমার আপত্তি নেই। তবে ধুতি পাঞ্জাবি পরে যা আরাম, তা আমি ওসবে পাইনে।

২৭. নিজেকে কত দিতে চান?
উ:  কেন লজ্জা দিচ্ছেন বলুন? সত্য আর অজিতকে জিজ্ঞেস করুন। ওরা যত দেয়, দেবে।

২৮. রান্না করেছেন?
উঃ না, বাপু! আমি রান্না করতে গেলে লোকজনকে সেদিন উপোস করে থাকতে হবে। ভাগ্য করে পুঁটিরাম আর সত্যকে আমার জীবনে পেয়েছি। বুঝলেন?

২৯. একাকীবোধ করেন?
উঃ আগে হয়তো করতাম। কিন্তু অজিতের মত বন্ধু আর সত্যর মত বউ পাওয়ার পর থেকে আর করিনা।

৩০. কবে বিয়ে করবেন?
উঃ সাত খন্ড রামায়ণ পড়ে সীতা কার বাপ জিজ্ঞেস করলে তো হবে না মশাই।

©® Max Rab

গল্পের শহর

31 Oct, 17:20


হ্যালোইন পর্ব


" হ্যাপি হ্যালোইন! "
" কে? "
চমকে পেছনে ফেরে রিয়া।
" ট্রেভর! "
" ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস যে? আজ পার্টি হচ্ছে না?"
" তোকে ছাড়া পার্টির আমেজ আসবে কোত্থেকে? "
" গত বছরের এই দিনটার কথা মনে আছে? তুই সেজেছিলিস হোয়াইট ল্যাডি আর আমি স্বয়ং লুসিফার, " এ কথা বলেই ট্রেভর হাতটা বাড়িয়ে দেয় রিয়ার দিকে।
" চল না বাগানের দিকটায় যাই৷ ওখানে গেলে মাটির কাছাকাছি যাওয়া যাবে। মাটির গন্ধটা নাকে এলেই শান্তি পাওয়া যায়৷ মাটির আশ্রয়েই যে থেকেছি অ্যাদ্দিন। কীরকম যেনো মায়া পড়ে গেছে৷ "
রিয়া ট্রেভরের বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরতেই চমকে ওঠে। সে যেনো কোনো মানুষের হাত না ধরে কোনো বরফের খন্ড চেপে ধরেছে৷ ট্রেভর এগোতে থাকে। রিয়াও। অতি ঠান্ডায় হাত জ্বালা করলেও ট্রেভরের হাতটা ছেড়ে দেয়না সে। চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে তার৷
ট্রেভর একসময় থামে। তাকায় রিয়ার দিকে। রিয়াও তাকায় ট্রেভরের দিকে। রিয়া বলে, " কখনো ছেড়ে যাবিনা তো আমায়? "
" তোকে নিতেই তো এসেছি আমি৷ "



রিয়ার বড় ভাই রাহুল এসেছিলো বোনকে ডিনারে ডাকতে। দেখলো রিয়া একা একা বাগানের দিকে হেঁটে চলেছে৷ তাদের বাড়িতে অন্য সব বছরই হ্যালোইন পার্টি হতো। আজ হয়নি। রিয়ার জন্যই৷ রিয়ার ফিয়ঁসে (fiancé) ট্রেভর দু সপ্তাহ আগে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।  তারপর থেকে সে নাওয়া খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে প্রায়৷ দিনে দিনে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷ ডাক্তার বলেছে ট্রেভরের শোক কাটিয়ে উঠতে না পারলে আর কোনো আশা নেই। এতোদিন দরজা বন্ধ করে ঘরেই বসে থাকতো। আজ বিকেলের দিকে বেরিয়ে বারান্দায় হেঁটেছিলো কিছু সময়। তারপর সন্ধ্যে থেকে এখানেই উঠোনটায় একা বসেছিলো৷ থাক, হাঁটুক বাগানের দিকটায়। এতে যদি কিছুটা ভালো বোধ করে। একটু পরেই না হয় ডাকা যাবে৷ এই ভেবে রাহুল চলে গেলো।

©® Max Rab

গল্পের শহর

31 Oct, 17:16


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/217 ]


[ অষ্টম পর্ব ]


সেদিন রাতে আয়ান খেয়েদেয়ে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমিয়ে এক বিচিত্র স্বপ্ন দেখে সে। সে দেখে, প্রীতি মেয়েটা একটা বড় অডিটোরিয়ামের মতো জায়গার স্টেজের একদম মাঝখানে একটা চেয়ারে একলা বসে আছে। তার দেহ অনড়। দৃষ্টি স্থির। দর্শক সারিতে রাশি রাশি চেয়ার রাখা। কিন্তু চেয়ারগুলোতে কেউ বসে নেই। পুরো ফাঁকা। শুধু প্রচন্ড অট্টহাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কারা যেন একসাথে দল বেঁধে নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে হাসছে। আয়ান শব্দের দিকটা অনুসরণ করে তাকাতেই দেখতে পায় নিতুল আরও কয়েকটা ছেলে আর মেয়ের সাথে অডিটোরিয়ামের এক কোণায় দাঁড়িয়ে হাসছে। কেন হাসছে ওরা? কিছুই বুঝতে পারে না আয়ান। তার খুব রাগ হতে থাকে। সে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। গিয়ে স্টেজের সামনে একদম প্রীতির সামনাসামনি দাঁড়ায়। প্রীতির কিন্তু কোনো বিকার থাকে না। সে আগের মতোই বসে থাকে। আয়ান নিতুলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, "হয়েছে টা কী? এত হাসছিস কেন তোরা?" প্রশ্ন শুনে নিতুল আর তার দলবল হাসি থামিয়ে  একসাথে অত্যন্ত গম্ভীর দৃষ্টি নিয়ে আয়ানের দিকে তাকায়। নিতুল বলে, "ম্যাক্স র‍্যাব বেশ একটা মজার কৌতুক শুনিয়েছে রে। তাই না হেসে পারছি না", বলেই ওরা ফের দম ফাটা হাসি হাসতে শুরু করে। আয়ান এবার অবাক হয়। সে কীভাবে যেন বুঝতে পারে আর কিছু জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর পাবে না। সে তার বাঁদিকের একটা দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে। বেরোতেই দেখে সে তার বাসার ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ছাদটা আলোয় ঝলমল করছে। কে যেন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করেছে ছাদে। সেখানে একটা গোল আকৃতির টেবিল আর দুটো চেয়ারও এনে রাখা হয়েছে দুদিকে। টেবিলের দুদিকে রয়েছে প্লেট, কোল্ড ড্রিংকসের বোতল আর গ্লাস। সে চমকায়। তখন দেখে নাজিয়া আপু মুচকি হেসে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নাজিয়া আপু তার হাতটা ধরে বলে, "দুঃখ করিস না। জীবনে অনেক কিছুই চাওয়া অনুসারে হয় না। চল, আজকের রাতটা সেলিব্রেশন করি আমরা। দুঃখ ভোলার সেলিব্রেশন।"


ঘুম ভেঙে যায় আয়ানের। চোখ খুলে সে কোথায় আছে তা বোঝার চেষ্টা করে। স্বপ্নের কথা বুঝতে পেরে আরও কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে সে। স্বপ্নের ব্যাপারগুলো মনে করার চেষ্টা করতে থাকে। তারপর বালিশের পাশে রাখা ফোনটা হাতে নিয়ে সময় দেখে নেয়। রাত তিনটে ষোল। খুব তেষ্টা পায় যেন তার। সে উঠে টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে পানি খেতে থাকে ঢোকের পর ঢোক। অদ্ভুত স্বপ্ন বটে! গত দুদিনে যাদের যাদের সাথে তার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তারা সকলেই স্বপ্নে এসে হাজির হয়েছে। শুধু ম্যাক্স র‍্যাব ছাড়া। সে সশরীরে আসেনি। কে এই ম্যাক্স র‍্যাব? নিতুলের কাছে একবারই নাম শুনেছিলো সে। তাতেই সে স্বপ্নে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেল যেন। অবচেতন মস্তিষ্কের হিসেব নিকেশ বোঝাও দায়।


[ চলবে........ ]


©® Max Rab

গল্পের শহর

31 Oct, 14:42


[ বছর চারেক আগের লেখা ]


আজ সন্ধ্যেবেলা বারান্দায় একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে আর আরেকটা চেয়ারে পা দুটো তুলে দিয়ে বসে আছি৷ বারান্দার বাতি নেভানো৷ ভেতরকার ঘরগুলোর আলোও জ্বালাইনি৷ আজ বোধহয় পূর্ণিমা। আকাশে বেশ বড়সড় চাঁদ উঠেছে। সেই চাঁদের আলো গ্রিল পেরিয়ে বারান্দার মেঝেতে এসে পড়েছে। বাইরে থেকে ঝিঁঝির আওয়াজ আসছে৷ আর কোনো আওয়াজ নেই। কিছুই করার নেই তাই বসে বসে ভাবছি কেউ যদি অনেকদিন পর বিরিয়ানি খেতে বসে আর তখনি যদি তার প্লেটে কেউ একটা ব্যাঙ ছুঁড়ে দিয়ে দৌড় দেয় তাহলে তার রিয়াকশনটা কী হবে৷ এসব ভাবছি হঠাৎ খেয়াল হলো বারান্দার গেটের বাইরে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। একটা ছায়া৷ মুখ দেখা যাচ্ছেনা। আমি ভয় পেয়ে গিয়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, " অ্যাই কে রে কেরে? " কোনো আওয়াজ পেলাম না। দেখি ঐ ছায়ামূর্তিটা কোনো এক আশ্চর্য কায়দায় বন্ধ গেট গলে ভেতরে চলে এলো৷ আমার তো চক্ষুস্থির৷ চেয়ার ছুঁড়ে মারবো নাকি দৌড়ে উঠে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না৷ আমি শুধু তাকিয়ে আছি৷ বিরিয়ানি আর ব্যাঙ ততক্ষণে মাথা থেকে চলে গেছে। ছায়ামূর্তিটা আস্তে আস্তে সামনে এসে দাঁড়ালো। এসেই পরিচিত গলায় বললো, " হে হে ভয় পেলি নাকি? আমি অনিক। " মুহূর্তে মনে পড়ে গেলো অনিকের কথা৷ অনিক আমাদের পাড়ায় থাকতো৷ আমারই বয়েসী। বিকেলে ক্রিকেট খেলতাম ওর সাথে৷ ভয় কিছুটা কেটে গেলো৷ জিজ্ঞেস করলাম, " হতভাগা তুই না মরে গেছিলি৷ এলি কী করে ? " অনিক হেসে আমার যে চেয়ারে পা রাখা ছিলো তা টান মেরে টেনে নিয়ে বসে পড়লো৷ আর বললো, " সাধে মরেছি নাকি৷ কে জানতো পেয়ারা পাড়তে গিয়ে ছাদ থেকে পড়েই মরে যাবো৷ হাত টাত ভাঙতো তো এক কথা ছিলো। " বললাম, " মরবি নাতো কী? মাথাটা যেভাবে ইটে গিয়ে ঠুকেছিলো বাপরে বাপ! খুব মিস করছিলাম তোকে৷ তাই বলে তোর এভাবে ফিরে আসাটা কিন্তু আমি বরদাস্ত করতে পারছিনা৷ যেভাবে এন্ট্রি মারলি যদি হার্ট ফেল করে মরে যেতাম ? " অনিক ( বা অনিকের ভূত) বললো, " ভালোই হতো৷ দুজন একসাথে ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। " আমি রেগে গিয়ে বললাম, " দরকার নেই বাপ আমার। জীবনে অনেক কিছু করার বাকি আছে। এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাইনা। আচ্ছা একটা কথা বলতো। মরেছিলি তো হপ্তাখানেক আগে। আসতে এতো দেরি হলো কেন? জ্যামে আটকে গিয়েছিলি নাকি?" অনিক (বা তার ভূত) বললো, " ধুর ঐ জগত থেকে আসা এতো সোজা নাকি। আমাদের কি ইউরোপের ভূত পেয়েছিস নাকি যে যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবো? এখানে ব্রহ্মদত্যির কাছে দরখাস্ত করে অনুমতি পেলে তবেই আসা যায়৷ আজ এলাম৷ হ্যালোউইন তো৷ একা বসে বোর হবি জানি। তাই একটু কম্পানি দিতে এলাম।"
আমার কপালে এসবই জোটে।

গল্পের শহর

30 Oct, 17:14


"জীবন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাবি
যদি হতেম আমি নদী....!"🌊

জীবনকে যদি নদীর সাথে তুলনা করি,,,,
নদী কিন্তু কখনও তার সরল পথে চলতে পারেনা,
নদী বাঁক নেয়,কখনো স্রোতের টানে তীব্র হয়,কখনোবা শান্ত।🌊

নদী কিন্তু কখনোই তার গতিপথের বাঁক বা স্রোতের প্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেনা, এই স্রোত আছে বলেই বর্ষায় তার ভয়ংকর রূপ, শীতের নীরবতা। স্রোতের টানে বাক নিতে নিতেই একটি সময় জন্ম নেয় আরেকটি শাখা নদীর,,সেখান থেকে সামনে গিয়ে আরেকটু বাক নিয়ে তৈরি হয় উপনদী...এভাবেই রচিত হয়েছে হাজারো কাব্য মহাকাব্য এই নদীকে নিয়ে.....📖📖

নদী যদি এই স্রোতের টানে বাক না নেয় তবে নদী তার প্রবাহ হারিয়ে ফেলবে। আস্তে আস্তে সরু হতে থাকবে,হারিয়ে ফেলবে তার বর্ষার চিরচেনা রূপ....কালের পরিনতিতে একটা সময় নদী তার নাব্যতা অর্থাৎ অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে। 🔕

যেমন মহাস্থানের কোলঘেষা বাংলার এককালের বানিজ্যিক নৌরুট হিসেবে বিবেচিত করতোয়া তার সেই মহাকব্যিক জৌলস হারিয়ে আজ ইতিহাসের অংশ মাত্র
🗾

ঠিক এভাবে আমরাও যদি প্রতিটি পরিবর্তনের মুহূর্তকে না মানিয়ে নিয়ে সেটা নিয়ে চিন্তিত/ভেঙ্গে পরি তবে কেবা জানে এভাবেই হয়তো হারিয়ে যেতে হবে আমদেরও...।

তাই,পরিবর্তনকে মেনে নেয়াটাকে জীবনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করলে মন্দ হয়না😇

একই সাথে প্রতিটি মুহূর্তকে জীবনের নতুন সম্ভাবনা হিসেবে গ্রহণ করার চেষ্টা করি,কেননা পরিবর্তনই ভবিষ্যতের দুয়ার খুলে দিতে পারে,হতে পারে সেটা আশার .....😇

এই পরিবর্তনশীলতাকে মানিয়ে নিতে পারাটাই হয়তো আপনার লাইফের
🅒🅗🅐🅢🅘🅝🅖 🅜🅞🅜🅔🅝🅣A

https://www.facebook.com/share/p/19PXbsXx6N/

কলমে:এ,এইচ,এম মহিউদ্দিন

গল্পের শহর

30 Oct, 05:23


Photography is a love affair with life,,,,,🌻🌻🌻

গল্পের শহর

29 Oct, 16:15


শ্রান্তি


মনের বিরাম নেই। একের পর এক অবাঞ্ছিত ধাঁধাঁয় মনে তোলপাড় হয়।

ঘুম নেই চোখে। না রাতে। না দিনে। সকাল সন্ধ্যা রেডিওর মত অনবরত কী যেন বকে চলেছে কোথাও কে একটা। শব্দটা ঠিকঠাক ঠাহর হচ্ছে না। কিন্তু মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। শব্দের উৎসও ধরা যাচ্ছে না। তবু খুঁজতে বেরোই না। আশঙ্কা হয়, যদি খুঁজতে খুঁজতে আর বাড়ি ফেরা না হয়? বাড়িতে সকলের খাওয়া হয়ে যাবে। আমি ফিরছি না দেখে মাও না খেয়ে খাবার ঢাকা দিয়ে রেখে আমার পথ চেয়ে বসে থাকবে। এ ঘর ও ঘর করবে। ফোন করলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন দেখাবে। বাবাকে বলবে। বাবা বলবে,"টেনশনের কী আছে? ফিরে আসবে। ও আর কচি খোকাটি নয়।" তবু মা ফেরার পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ভালো লাগার মতো ব্যাপার নয়।


এর মধ্যে কিছু লোক থাকে। তিলকে তাল করার দায়িত্ব তারা নেয়। তারা রহস্য নিয়ে আসে। আবার রহস্য নিয়ে ফিরে যেতে চায়। নিজেকে কেউকেটা প্রমাণ করতে গেলে অমন করতে হয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবুও পাশের বাসায় জোর ভলিউমে গান বাজালে তা কানে না এসে তো পারে না।

"তোমাকে আমি একটা গোঁজামিল দেওয়া কথা বলবো। তুমি তা সত্য বলে ধরে নিও। বুঝলে?"
" ঠিক আছে। এ আর এমন কাজ কী?"

না। হাসা যাবে না। বিরক্ত হওয়া যাবে না।
রেগে যাওয়া যাবে না। রেগে যাওয়া মানে নাকি হেরে যাওয়া। হয়তো। মিথ্যে কথাকে মেনে নিতে হবে। নিতে হয়। প্রশ্ন করা যাবে না। গেলেও সদুত্তর পাওয়া যাবে না।

"প্রশ্ন করলে কী হবে?"
"অন্যজন রেগে যাবে না?"
"তাতে কী হলো? আমি কারো খাই না পরি?"

খাওয়া-পরার প্রশ্ন নয়। আবার, মনে ধাঁধাঁ নিয়ে বসে থাকাও ভালো কাজ নয়। পারলে অবিশ্বাস করতে হয়। না হয় মনকে বলতে হয়, "আমি জানি না", "তাতে আমার কী?" দেখো। শেষ ব্যাপারটাই সবচেয়ে কাজের। নিজের মনে যোগ না এলে অন্যের থেকে মনোযোগের অভিপ্রায় প্রকাশ পায় লোকের। কিছু না কিছু করে হোক। একটুখানি। ঐ রান্নার পরে যখন দেখা যায়, তরকারিতে নুন দেওয়া হয়নি। তখন উনুনে ফের বসিয়ে এক চিমটে ছড়িয়ে নাড়ানোর মতো একটুখানি মনোযোগ। বেশি তো চায় না কেউ। তবে ঐ অমুক দিলেই চলবে। তমুক না। অমুকই। তমুককে কে চাইছে? এ এখানে কেন? ধুস! একে হটাও।

তারপর কী হয় জানো? চার দেয়ালের মধ্যে আটকে থাকা। মনের ভেতরে হতে থাকা শব্দের পুনরাবৃত্তি। পাহাড় থেকে পা হড়কে খাদে পড়ার সময় কোনোকিছু আঁকড়ে বেঁচে থাকার প্রয়াস করার মতো মনের কী একটা অবলম্বন যেন লাগে। ঐ অবলম্বন থাকলেই যেন শব্দটা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা মনে হয় আরকি। কিন্তু কোথাও থই পাওয়া যায় না। অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার মতো অশেষ রিক্ততা এসে গ্রাস করে। অন্ধকার সুযোগ পেয়ে দানা বাঁধে। জলের স্পর্শ কোথা থেকে যেন পাওয়া যায়। চোখের থেকে বোধ হয়।


©® Max Rab

গল্পের শহর

29 Oct, 15:31


গল্পের শহর pinned «Your family doesn’t realize how much stress and difficulty you face every day, both at home and work. -Your job/ educational institution doesn’t see what’s happening in your personal life. -Your friends and loved ones don’t understand the many responsibilities…»

গল্পের শহর

29 Oct, 15:31


Your family doesn’t realize how much stress and difficulty you face every day, both at home and work.

-Your job/ educational institution doesn’t see what’s happening in your personal life.
-Your friends and loved ones don’t understand the many responsibilities you have.
-Your partner expects your love and support but may not get how much pressure you’re under, no matter how much you explain.

At the end, no one truly understands you. The hustle you go through, the long hours, the sacrifices, the loneliness, or the sleepless nights.

Additionally and most importantly if you are a mother of a toddler Then nothing to explain here. Noone can feel your pain.... Everyone only can judge you no matter what is happening on your regular lifestyle..and you have to act like a robot....no sickness can't be excused, they just want your service and don't want to give you any space..

At the end of the day u r just alone though everybody exist.

গল্পের শহর

27 Oct, 18:21


সকালের ডায়েরি




খুব সকালে ঘুম ঘুম চোখে বই নিয়ে বসেছি। অঙ্কের বই। চাইলেই ঘুমোতে পারতাম। কিন্তু আজকে স্যারের পড়া করা হয়নি। অঙ্ক না করে রাখলে উদোম ক্যালাবে। আব্বু পাশের ঘরে টিভি অন করে বারান্দায় চলে গেছে নখ কাটতে। ব্লেড নিয়ে তাও। আমি সাহস করেও ব্লেড হাতে নিই না। নেল কাটার থাকতে কেনো খামোখা এতো ঝামেলা পোহাতে যাবো? টিভিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত হচ্ছে। সকালে অমনটা হয়। বিরক্ত লাগে ওসব ঝিম ধরা রবীন্দ্র সঙ্গীত। রান্নাঘরে আম্মু কিছু একটা নাস্তার ব্যবস্থার করছে। বাসন কড়াইয়ের টুং টাং আওয়াজ আসছে। সাথে খুব জোর খিদে পাওয়ানো গন্ধ। পানি খাওয়ার বাহানায় উঠে গিয়ে একবার দেখে এলাম কী নাস্তা রেডি হচ্ছে। ওদিকে আবার পাশের বাসার মোটকা লোকটা গেট খুলে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছে আর আমার মনে হচ্ছিল আমাদের গেট খুলে যেনো কেউ আসছে। দিনে নব্বইবার অন্তত এটা হয়। খালিই মনে হয় এই যেনো কেউ আসছে। এই যেনো স্যার চলে আসছে। শুধু আমার একারই মনে হয় না। আম্মুরও মনে হয়। এতোবার গেট খুলে বেরোনোর কী আছে রে বাবা! মোটকা লোকটা একদিন আমায় বকেছিলো কোনো কারণ ছাড়াই। আমি নাকি ওর হিসেবের খাতায় কাটাকুটি করে হিসেব নষ্ট করে দিয়েছি। কী সুন্দর কার্টুন এঁকেছিলাম সেটার প্রশংসা না করেই বকাঝকা করলো। লোকটাকে পছন্দ করি না আমি। তবে মোটকা লোকটার একটা মেয়ে আছে। দেখতে সুন্দর। ইন্ডিয়ান সিঙ্গার মোনালি ঠাকুরের মতো দেখতে লাগে। আমার থেকে কয়েক বছরের বড়। তাতে কী? সেদিন আমার গাল টিপে দিয়ে বলেছিলো, আমি কত্তো কিউট!  আমি জেএসসি পরীক্ষাটা দিয়ে দিলেই তো বেশ বড় হয়ে যাবো। তখন গিয়ে প্রপোজ করবো। এখন না। মাত্র দুবছরের ব্যাপার। অপেক্ষাই তো করতে হবে। সে না হয় করে নেবো। আমাদের আরেক প্রতিবেশী হলেন সুনীল আঙ্কেল। সে লোকটার একটা ছেলে,  আরেকটা মেয়ে। ছেলেটা কলেজে পড়ে। হোস্টেলে থাকে। মেয়ে পড়ে ক্লাস এইটে। দেখতে তো ভালো নয়ই, উল্টে ভীষণ দেমাকি। আমি মিশি না ওর সাথে। তবে সুনীল আঙ্কেল ভালো। আমাকে ডেকে নিয়ে গল্প করে এটা সেটা নিয়ে। বাসায় কিছু রান্না হলে আমাকে ডেকে নিয়ে খাওয়ায়। লোকটার সাথে বসে টিভিও দেখি মাঝেমধ্যে। একদিন একটা সিনেমা চলছিলো। যথারীতি আমি আর আঙ্কেল বসে দেখছি আর অমনি কীসব উল্টোপাল্টা সিন চলে এলো। আমার অমনি হঠাৎ মনোযোগ পড়ে গেলো আঙ্কেলের বেড়ালের দিকে। সে দরজার পাশে চার ঠ্যাং চার দিকে ছড়িয়ে শুয়েছিলো। আমি নাম ধরে ডাক দিচ্ছি " রাইটু, কাম হেয়ার, আয়, আয় এদিকে "। আড়চোখে আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি রিমোটের ব্যাটারি ঠিক করতে ব্যস্ত। মানে,  ব্যাটারি খুলে আবার ঢোকাচ্ছেন। অল্পক্ষণ পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর আঙ্কেল ক্রিকেটের চ্যানেল দিয়ে দিলেন।

" আজ ধোনি কতো রান করবে বল তো? "
" সেঞ্চুরি। "


ধুর অঙ্ক করতে ভালো লাগছে না। একটু হাঁটি গিয়ে বারান্দায়। সকালের রোদ বারান্দার মেঝেতে এসে পড়ছে। সাড়ে সাতটা বাজে। তাও কী কড়া রোদ! আজ হেব্বি গরম পড়বে সারাদিন বোঝাই যাচ্ছে। আমি বারান্দার কোণার দিকে গেলাম।
কোণার দিকে গ্রিলের ওপাশে উঠোনে অনেকগুলো গাছ আছে। কয়েকটা গাছ চিনি না কারণ ওগুলোতে ফল টল ধরে না। চেনার দরকারও নেই। ফলই ধরে না তো চিনে করবো টা কী?  তো একটু বড়সড় রকমের গাছে একটা কাক এসে বসেছে। কেনো বসেছে জানি না। দৌড়ে যেতেই উড়ে গেলো। কয়েকটা চড়ুই দেখলাম এই ডাল থেকে ওই ডালে ছুটোছুটি করছে। আরও কয়েকটা কালো রঙের পাখি। নাম জানি না। কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠেছে চারিদিক। গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে মোটকা আঙ্কেলের বাসার দিকে তাকালাম। তাদের বাসার ডান দিকে আরেকটা বাসা আছে। সেখানে তেতলার ছাদে উঠে একটা ছেলে রোজ সকাল বিকেল ডাম্বেল নিয়ে এসে ব্যায়াম করে। আসলে ব্যায়াম ট্যায়াম কিছু না। সবই ঐ মোটকা আঙ্কেলের মেয়েকে ইম্প্রেস করার ধান্দা। সব বুঝি। এই যে দেখতে পাচ্ছি ছাদে দাঁড়ানো। কী করছে ঠাহর হচ্ছে না। হঠাৎ উঠোনের দিকে কেউ একটা দৌড়ে গেলো বলে মনে হতেই দেখি সুনীল আঙ্কেলদের বেড়াল। একটা ব্যাঙকে নাকানিচুবানি দিচ্ছে। ভারি মজা!  আমি ব্যাঙ ভালোবাসিনে। ঘেন্না করে দেখলে। আম্মু ডাকছে। খাবার রেডি। খেয়ে নিয়ে তখন পড়তে বসবো ভালো করে। যাই। 



©® Max Rab

গল্পের শহর

27 Oct, 02:27


ছোট ছোট প্রয়োজনে যদি আপনি আপনি নিজের উপর ডিপেন্ডেট না হয়ে আপনার আশেপাশের মানুষের উপর ডিপেন্ড করতে থাকেন আপনি চরম ভাবে hurt হবেন & it’s true...!

আজ বিকেলের দিকে টুকটাক জিনিসপত্র আনার জন্য বাহিরে বের হবার ছিল..! স্বাভাবিক ভাবেই একলা বের হতে ভাল্লাগছিল না, এর আগে যে একা বের হই নি এমন টা নয়। যখন থেকে হলে থাকতে শুরু করি তখন থেকেই অনেক সময় অনেক কাজেই একা একা কত অচেনা জায়গায় যেতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। পুরো অচেনা একটা শহরে নিজের প্রয়োজনে একা একা ঘুরে বেড়িয়েছি। তখন অবশ্য এখানে আমার পরিচিত মানুষের সংখ্যা কম ছিল, সময়ের পরিক্রমায় সেই সংখ্যা বেড়েছে সাথে বেড়েছে এক্সপেকটেশন ও..!

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে উপলব্ধি করছি এক্সপেকটেশন এর মতো বাজে জিনিস আর দ্বিতীয় টি হয় না। আজ বের হবার সময় সম্ভাব্য যাকে যাকে বলার মত মনে হয়েছে সবাইকেই বলেছি সময় হবে কিনা বের হবার জন্য কিন্তু একজনের থেকেও আমি পজিটিভ রেসপন্স পাই নি, তবে এখানে মজার ব্যাপার হচ্ছে যাদের বলেছিলাম তাদের মাঝে দুই একজন (তাদের বের না হতে পারার আসলেও যৌক্তিক কারন ছিল) বাদে বাকিরা একদম ফ্রি ই ছিল...! তবুও! আসলে এই তবুও এর কোন উত্তর বোধ করি হয় না। হলেও আমি খুঁজতে চাই না। এই যে শুধু কতগুলো মানুষকে রিকুয়েষ্ট করে নিজের এনার্জি লস করে নিজের এক্সপেকটেশন কে hurt করলাম, এক্সপেকটেশন না রাখলে এটা আর হতো না। তবে কিছু কিছু জায়গায় আসলেও খারাপ লাগে প্রচন্ড রকমের খারাপ লাগে এটা ভেবে আমিও কি তাদের এভাবেই ট্রিট করি...? কত কত ব্যস্ততার দিনেও প্রিয় বান্ধবীর আবদার মেটাতে কিংবা প্রয়োজনে হাজির হয়ে গিয়েছি সে সব এর ফিরিত্তি খোলবার ইচ্ছে কিংবা মানসিকতা কোন টাই আসলে নেই। আমাদের এক চিরা চারিত প্রথা রয়েছে, নিজের এক্টিভিটি কখনো নিজে৷ হাজির করতে হয় না তাই আমিও করলাম না। তবে তারাও কোথাও না কোথাও জেনে রাখুক এই তাদের প্রয়োজনে এগিয়ে যেতে পারি যখন যখন তখন তখন আমার মানসিক শান্তি হয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি তখন। আর যখন যখন পারি না খারাপ ও লাগে। আই রিয়েলি রেসপেক্ট দেয়ার বিজি টাইম শুধু আমিও কোথাও না কোথাও তাদের প্রয়োজন অনুভব করি....! এইটা যখন থেকে বাদ দিতো পারবো আই থিংক সেদিন থেকে আর খারাপ লাগবে না।

আজ কিন্তু বের হয়েছিলাম, একাই বের হলাম, মার্কেটে একা একাই ঘুরলাম প্রয়োজনীয় টুকটাক বেশ কিছু জিনিস নিলাম। একা একা দোকানী মামাদের সাথে বারগেনিং করছিলাম এসব এক্সপেরিয়েন্স আমার আগেও বহুত হয়েছে কিন্তু আজকে সবকিছু যেভাবে এনজয় করেছি সেটা এর আগে কখনো হয় নি। ওহ্ ফেরার পথে এক বৃদ্ধার সাথে দেখা হয়েছিল দেখে আসলেও নিডি মনে হচ্ছিল, তার সাথে বসে বেশ কিছু সময় কথা বললাম। নিজের সাধ্য মত যতটা পারলাম তাকে সাহায্য করলাম। শেষমেশ সেই বৃদ্ধা চলে যাবার সময় আমাকে বলে গেল তোমার সংসার আল্লাহ্ শান্তি রাখুক বরকতে রাখুক, এই বলেই উনি উনার মতো চলে গেল। আর আমার উনাকে জানানোও হলো না যে আমার সংসার জীবন এখনো শুরুই হয় নি..! অতঃপর একা একাই হাসতে হাসতে হাটি হাটি পায়ে চলে আসলাম হলে।

বিদ্র: অনুরোধ রইলো কেউ এটিকে স্যাড পোস্ট মনে করিবেন না প্লিজ। আমার কোন আক্ষেপ নেই আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া প্রতিটি মুহুর্ত আজকাল এনজয় করি। আমার বাবা সব সময় একটা কথা বলেন যে জীবন কখনো স্থির নয় জীবন কখনো কারো জন্য থেমেও থাকে না, এই দুনিয়ায় সবই ক্ষনস্থায়ী। তাই নিজেই নিজের আনন্দ খুঁজে নিতে হয় & আই ক্যান ডু ইট ( আলহামদুলিল্লাহ)

১০ কার্তিক,১৪৩১।

গল্পের শহর

26 Oct, 17:27


গল্পের শহর pinned «একটা সম্পর্ক সেখানেই সুন্দর যেখানে বিশ্বাস,ভরসা, ভালোবাসা আর সম্মান আছে। আছে একে অপরের প্রতি, শ্রদ্ধাবোধ, যত্নশীলতা, দায়িত্বশীলতা। সম্পর্কের মানে এই নয় সবসময় একে অপরকে বুঝতেই হবে। মাঝে মাঝে ছাড় দিতেও শিখতে হয়। মূলত সম্পর্কের কদর করাটা ভীষণ জরুরি। একটা সম্পর্কে…»

গল্পের শহর

26 Oct, 17:27


একটা সম্পর্ক সেখানেই সুন্দর যেখানে বিশ্বাস,ভরসা, ভালোবাসা আর সম্মান আছে। আছে একে অপরের প্রতি, শ্রদ্ধাবোধ, যত্নশীলতা, দায়িত্বশীলতা। সম্পর্কের মানে এই নয় সবসময় একে অপরকে বুঝতেই হবে। মাঝে মাঝে ছাড় দিতেও শিখতে হয়। মূলত সম্পর্কের কদর করাটা ভীষণ জরুরি। একটা সম্পর্কে ভালোবাসার সাথে মান- অ'ভিমান হবে,কথা কা'টাকাটি হবে, হঠাৎ রা'গে দুরত্ব তৈরি হবে। কিন্তু এই দূ'রত্ব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুঁ'চিয়ে নিতে হবে।

সম্পর্কে একে অপরকে ভালো রাখাটা যেমন মুখ্য বিষয়। তেমনি মানসিক শান্তির কারণ হওয়াটাও বিশাল ব্যাপার। প্রতিটি সম্পর্কে কথা ছো'ড়াছুড়ি হয়,অ'ভিযোগের ঝুড়ি নিয়ে বসে যাওয়া হয়। হয়তো ভালোবাসার কমতিতে এমনটা ঘটে। অধিকারের জায়গা থেকে অ'ভিযোগ আসে। এটুকু না ঘটলে অপরদিকের মানুষটা কি করে বুঝতে পারতো তার জন্য কতটা ভালোবাসা আছে প্রিয়জনের মনে! যে ভালোবাসার সামান্য কমতিতেই হু'লুস্থুল কান্ড পর্যন্ত বেঁধে যায়।

একটা সম্পর্ক শুধু সম্পর্কই হয়না। সেখানে আত্মিক টান থাকলে সম্পর্কটা অন্যরকম সুন্দর হয়। আর আত্মিক সম্পর্কগুলোতে ভালোবাসার গভীরতা সবসময়ই বেশি থাকে। এই সম্পর্কগুলো গড়ে ওঠে মূলত বিশ্বাসের জায়গা পাকাপোক্ত হলেই। তাই সম্পর্কের বোঝাপড়া দিন দিন বাড়তে থাকে। সামান্য ঝড় এই ভালোবাসার গল্প থামিয়ে দিতে পারেনা। যত দিন যায় ভালোবাসা তত বৃদ্ধি পায়, কমেনা।

গল্পের শহর

26 Oct, 17:24


@Solace_Sirius একা একা খাওয়া কি ঠিক?

গল্পের শহর

26 Oct, 15:49


ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের নিয়ে এখন থেকে না, বরঞ্চ বহু আগে থেকেই কাজ করছে।

আমাদের বুঝতে হবে— হুকুমতে ইলাহিয়া বা মহান আল্লাহর আইন কায়েম হয়ে গেলেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষরা ইসলামী খিলাফত বা ইমারাতে বা রাষ্ট্রে বাস করবে।

শরীয়া কায়েমের মাক্বসাদ এটা নয় যে— ইসলামী শরীয়া কায়েম হয়ে গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিবে অথবা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।

ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যে শরীয়ার কথা বলে, হুকুমতে ইলাহিয়ার কথা বলে, এসব শুনে বাংলাদেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মনে করে— শরীয়া কায়েম হলে আমাদের 'না-মানুষ' গণ্য করা হবে।

এই যে তাদের বুঝ, এই বুঝকে ভাঙ্গাতে না পারলে তারা আজীবন বুঝে যাবে— ইসলাম অন্য সকল ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচারী একটা জীবন ব্যবস্থা।

অনেকে বলবেন, তাদের নিয়ে কাজ করলে কি তাদের এই ধারণা ভাঙবে? আল্লাহ তো বলেছেন— য়িহুদী ও ক্রিশ্চানেরা ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবেনা, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্ম গ্রহণ করছো। আল্লাহ এই কথা বলার পরেও তাদেরকে নিয়ে কাজ করার কি অর্থ হতে পারে?

সুবহানাল্লাহ! তাদের নিয়ে কাজ করার মুখ্য উদ্দেশ্য তাদের ধর্ম গ্রহণ করে তাদের সন্তুষ্ট করা নয় বরঞ্চ ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা। এতে তাদের অনেকে ইসলাম কবুল করে চলেছেন— আলহামদুলিল্লাহ।

যদি তারা ইসলাম কবুল না-ও করেন— তবুও তাদেরকে যাতে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায়, উ-গ্র-বা-দ থেকে হেফাজত করা যায়— এই মিনিমাম লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা।

হতে পারে তাদের বেশিরভাগই ইসলামের মূল ভাষ্যের সাথে পরিচিত হয়ে বিদ্বেষ কমিয়ে আনবেন, অথবা আনবেন না। এই সংখ্যাটা বেশিরভাগ না হয়ে স্বল্প সংখ্যার হলেও কাজে দেবে, ইন শা আল্লাহ।

সম্প্রতি AP Aditya নামের একজন হিন্দু ব্যক্তি লিখেছেন— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইসলামী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদেরকে নির্যাতন থেকে বাচিয়েছেন। আদিবাসী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের নিরাপত্তা ও লেখাপড়ার মতো মৌলিক অধিকারে সাহায্য করেছেন।

এতে যে বার্তাটা পৌঁছেছে— এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামপন্থীদের উপর প্রধানতম অপবাদ ও অপপ্রচার 'খতম' হয়ে গেছে।

একাডেমিয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হুকুমতে ইলাহিয়া বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আহবান কররে গেলে, সেক্যুলার ও লেফটিস্ট সংগঠনগুলোর বুদ্ধিজীবী ও নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা ও বিতর্কে গেলে কমন একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়—

❝আপনারা তো ইসলামী রাষ্ট্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছেন। এতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের আশংকা আছে। 'ইসলামী' বললে তো রাষ্ট্রটা সবার থাকেনা।❞

এই প্রশ্ন ঢাবি শিবিরের নেতা S M Farhad -কে করা হয়েছে। মোট ৫ জন বক্তার দুজন বক্তাই এই প্রশ্নে ইসলামী রাষ্ট্রকল্পকে বৈষম্যমূলক জ্ঞান করে বলেছেন— ইসলামী রাষ্ট্রকল্প নিয়ে তাদের আশংকার জায়গা আছে।

এই যে প্রশ্নগুলো— এগুলোর জবাব আসলে বই লিখে দিতে পারবেন বা পৌঁছাতে পারবেন? ধরেন— আল্লামা ইউসুফ আল কারযাবি বই লিখেছেন— “মুসলিম দেশে অমুসলিম অধিকার”, শুধু উনি না— আরও অনেকে লিখেছেন।

এইসব বই কি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পড়েন বা তারা পড়তে আগ্রহী? তারা ইসলামী বইমেলায় যান কিংবা একুশে বইমেলায় ইসলামী স্টল থেকে বই কিনেন? উত্তর হল— না।

তাহলে— ইসলামী রাষ্ট্রকল্প যে সকলের নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা প্রদান করে, সেই বিষয়টা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে আপনি কিভাবে পৌছাবেন? আলেমদের বক্তব্য তারা শোনেন না, তাদের লেখা বইপত্র তারা পড়েন না। তাদের সেমিনার ও সভায়ও অংশ নেন না তারা।

তাহলে ইসলামের সুমহান বার্তা, ইসলাম যে সকলের জন্য কল্যাণকর, এটা যে সকলের জন্য এসেছে, এই কথাগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপায় থাকল একটাই— তাদের সাথে এঙ্গেইজ হতে হবে।

আমরা বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনগুলোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করতে অভ্যস্ত। কখনো কখনো আমরা ট্রল কিংবা হাস্যরসের উপায় বেছে নেই সমালোচনা করতে।

অথচ হুকুমতে ইলাহিয়ার সৌন্দর্য ও উদ্দেশ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছাড়া এবং হুকুমতে ইলাহিয়া বাস্তবায়নের কাজ করা ছাড়া তাদের আর কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যেখানে তারা হুকুমতে ইলাহিয়া বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে?

- খালিদ মুহম্মদ ( ঢাবি)

গল্পের শহর

26 Oct, 09:04


You can only win.
When your mind is stronger than your emotions.

গল্পের শহর

26 Oct, 05:11


বিপ্লবের পরে হিন্দু ভাইদের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দেয়া হল। পূজার সময় ইসলামী দলের নেতারা গিয়ে আশ্বস্ত করে আসলেন— প্রকৃত মুসলমান মন্দিরে হামলা করেনা এবং যেকোনো হামলার বিরুদ্ধেই আমাদের অবস্থান।

অথচ হিন্দু ভাইদের সমাবেশ থেকে বলা হচ্ছে— বাংলাদেশ থেকে নাকি হিন্দুদের উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মুসলমানরা তাদেরকে নিরাপত্তা দানের প্রতিশ্রুতিই দেয় নাই, বরঞ্চ তাদের রীতিমতো পাহারা দিয়েছে। তবুও হিন্দু ভাইরা তাদের তথাকথিত গুরু ও নেতাদের উত্তেজনা ও উস্কানিতে পা দিচ্ছেন।

দেখা গেছে— হামলাগুলোর সাথে হিন্দুরা নিজেরাই জড়িত, কিংবা তাদেরই প্রিয় আম্লীগ ও সহযোগী সংগঠন। বিভিন্ন নিউজ মারফ্র এবং একাডেমিক গবেষণা থেকেও প্রমাণিত—এই দলটিই হিন্দুদের জমি ও সম্পদের দখল করছে প্রতিনিয়ত।

এরপরেও, কোন কারণে চট্টগ্রামের লালদিঘী থেকে মিথ্যাচার করা হচ্ছে? বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে গে'রু'য়া পতাকা উড়ানো হচ্ছে? কেন ঢাকায় লংমার্চ ডাকা হচ্ছে?

আমি আহবান করব— বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দুরা সচেতন হবেন। তথাকথিত হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, ইসকন বা অন্য যেকোনো সংগঠনের নেতাদের ফাঁদে পা দেবেন না।

এরা আপনাদেরকে এমন খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে, যে খাদে আগুন ছাড়া কিছু নাই। সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং উত্তেজনা থেকে বিরত থাকুন। আওয়ামীলীগের দাস হিসেবে ভূমিকা না রেখে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখুন।

এদেশের মুসলমানেরাই আপনাদের নিরাপত্তা দেবে। এজন্য এদেশের আলেম-ওলামা, ইসলামী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সকল সংগঠন কাজ করছে।

-খালিদ মুহম্মদ (ঢাবি)

গল্পের শহর

26 Oct, 04:34


যদি এমন হয়? না মানে, যদি এমন হয়? ধরো, দুজন বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় খেয়াল করলো আকাশে মেঘ করতে শুরু করেছে। অতি দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের রঙ ক্রমশ ঘন হতে হতে বিশালাকার দানবের আকার নিয়েছে। দিনের আলো ঢাকা পড়ে গিয়ে চারিদিকটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করেছে। মেঘ যেন নিচে আসতে আসতে দিগন্ত ছাড়িয়ে ক্রমশ অন্যদিকে গতিশীল হতে হতে পুরো পৃথিবী ছাপিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে লোকের কোলাহল শুরু হয়েছে। পাড়ার পঁচাশি বছরের বৃদ্ধও নাকি তার গোটা জীবনে প্রকৃতির এমন রূপ দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন। আসন্ন মহাপ্রলয়ের ভয়ে পৃথিবীর হয়তো এই শেষ দিন বলে লোকজন ভীষণভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শেষবার নূহ নবীর আমলে হয়তো এমন মহাপ্রলয় ঘটেছিল বলে ধার্মিক লোকেরা বলাবলি করতে থাকে। মাটি যেন কেঁপে উঠতে লাগলো। ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে মনে হয়। আর বোধ হয় রক্ষা নেই। এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল! রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ভূমির প্রচন্ড কম্পনে লোকজন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। আশেপাশে থাকা দৃঢ় জড়বস্তু অবলম্বন করে রাস্তায় ক্রমশ বড় হতে থাকা ফাটলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে থাকে কেউ কেউ। কেউ কেউ এই ভীষণ মুহুর্তে স্বজনদের মুখটা শেষবার দেখার অভিপ্রায়ে বাড়ির দিকে ছুট দেয়। রাস্তার ফাটল বড় হওয়ার সাথে উপস্থিত লোকজনের হৃৎকম্প বাড়িয়ে দিয়ে অতিকায় এক সরীসৃপের মাথা বেরিয়ে আসে। কৃষ্ণকায় বিশালাকার মূর্তিমান আতঙ্ক, যার চোখ জ্বলজ্বল করছে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো, প্রকট হতে থাকে নিজের সর্বাঙ্গকে ভূমির নিচ থেকে উত্তোলন করতে করতে। উপস্থিত লোকজন চিৎকার করতে করতে উক্ত স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হয়। এই প্রাণীটি দেখতে রূপকথার দানবাকৃতি ভুজঙ্গদের মতো মনে হলেও,  আদতে তা নয়। তার চেয়েও বীভৎস এবং ভয়ঙ্কর। সব ধরনের বিভীষিকাময় বিশেষণ যেন ফিকে হয়ে আসে এই ভীষণদর্শন জীবটির সামনে। এ মোটেই পাতালপুরী থেকে উঠে আসা জীব নয়। এ অন্য কোনো মহাবিশ্বের জীব, যে কিনা কোনো এক আশ্চর্য জাদুবলে পৃথিবীর চির ধরিয়ে, পৃথিবীর নিম্নগর্ভ থেকে উদিত হওয়ার অবকাশ পেয়েছে। প্রথমেই উল্লিখিত দুই বন্ধু ছাড়া কেউই নিজের ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে নেই। ত্রিসীমানায় অন্য কোনো জনপ্রাণীর আওয়াজ কর্ণগোচর হলো না। জীবটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেই নিজের সমস্ত জোর খাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে প্রচন্ড জোরে এক গর্জন দিলো। সেই গর্জনে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার জোগাড় হতে লাগলো আশেপাশের কিলো দশেক অবধি অবস্থান করা লোকের। সকলেই নিজের বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা জানালা এঁটে দিয়ে স্বজনদের সাথে নিঃশব্দে বসে নিজ জীবনের অন্তিম ক্ষণ অতিবাহিত করার চেষ্টায় রত। কেউ কেউ তুমুল আলোচনায় রপ্ত। যারা স্বচক্ষে জীবটিকে দর্শন করেছে, তাদের গলা দিয়ে রা সরছে না। এই জীব যদি একবার স্বীয় ক্ষুধা নিবারণে উদ্যত হয়, তাহলে সমগ্র পৃথিবীর সাড়ে আটশো কোটি মানুষকে ভক্ষণ করতে তার খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। তবে মানুষের নিকট বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রাদিও তো রয়েছে। এই প্রাণীটিকে হত্যা করা কি খুব শক্ত হবে? মানুষ পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হানিকারক অস্ত্র তৈরি করে নিয়েছে ইতোমধ্যেই। তবে কে বলতে পারে যে, এই প্রাণীর সাথে পৃথিবীর নিম্নদেশ থেকে অন্য সদৃশ প্রাণী মাথাচাড়া দেবে না? যদি একের পর এক প্রাণী বের হয়ে আসতে থাকে, তবে? যদি মানুষের তৈরি সব হাতিয়ার কম পড়তে থাকে এদের সামনে? আর প্রয়োগকৃত অস্ত্র যে শুধু ঐ প্রাণীদেরই ধ্বংস করবে এমনও তো নয়। সাথে মানুষেরও জীবনহানি ঘটবে। কিন্তু ঐ দুই বন্ধুর কথা মনে আছে, যারা তখনও ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়েছিল? তারা নির্ভয়ে চোখ দুটো প্রাণীটার দিকে স্থির করে তাকিয়ে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই কেন? তারা কি অমরত্ব প্রাপ্ত? তারা কি আসলে মানুষই? নাকি তারাও অন্য কোনো মহাবিশ্ব থেকে  আগমনকারী জীব?


©® Max Rab

3,543

subscribers

408

photos

83

videos