ফি‌লি‌স্তি‌নের আপ‌ডেট

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস:

হামাসের কাছে পর্যাপ্ত যোদ্ধা ও গোলাবারুদ রয়েছে, যা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে একটি ধীর, ক্লান্তিকর এবং কঠিন যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

উত্তর গাজায় হামাসের রাস্তার লড়াইয়ের কৌশলের কারণে তাদের পরাজিত করা কঠিন করে তুলেছে।
mh/9

পাঁচ দিন ধরে বোমাবর্ষণের পর, সিভিল ডিফেন্স ইউনিট তল আল-হাওয়া মহল্লায় হাবিব পরিবারের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে  এক নারীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এই বাড়িটি গাজা সিটির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলা করে ধ্বসিয়ে দিয়েছিলো।

গাযযার ইসমাইলকে কুকুরগুলো ভুলে নি। যদিও এদের সাথে ইসমাইলের সম্পর্ক ছিলো একটু খাবার খাওয়ানোর!!!

বর্তমান পৃ‌থিবী‌তে মানু‌ষের চে‌য়ে কুকুরগু‌লো বে‌শি মানবিক!

আরেকটি দৃশ্য। খুবই কাছ থেকে।

একটা বোমা কতটা শক্তিশালী হলে এভাবে একটি বাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে চিন্তা করুন!

কিছুক্ষণ পূর্বে লেবাননে ইজরায়েলের বিমান হামলার দৃশ্য।

গাযযাহ্
ইয়া রব!

আমাদের কি এ সব দৃশ‌্য স্ব‌য়ে গি‌য়ে‌ছে! এগু‌লো কি স্বাভা‌বিক লা‌গে!

অপরাধ স্ব‌য়ে যাওয়া অপরাধ। নিজ‌নিজ যায়গা থে‌কে অন‌্যা‌য়ের প্রদিবাদ করুন।

جيش الاحتلال يراقب بطائراته حركة السكان بعد تهديهم بالإخلاء من جباليا وبيت لاهيا. المواطنون يتحركون وسط الدبابات في مشاهد مرعبة.

----------------------
বাইতে লাহিয়া থেকে সাধারণ মানুষদেরকে সরে যাবার ঘোষণা দেয়ার পর দখলদাররা বিমান থেকে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। হাজার হাজার মানুষ। তারা নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না। কিন্তু জাবালিয়ার মতো বোমা মেরে, বাড়িঘর বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে তাদেরকেও হয়তো বাধ্য করা হবে। সামনে আসবে জাবালিয়ার মতো আরেকটি গণহত্যা!!

এই স-ব কিছুই হচ্ছে সারা বিশ্বের মানুষদের চোখের সামনে।

এই জুলু‌মের শেষ কোথায়!

আল্লাহ্

আজ‌কে সকাল থে‌কে উত্তর গাযযায় ৩৪ জন শহীদ।

ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী এলি কোহেন বলেছে:

❝আমেরিকা সৌদি আরব 🇸🇦, আমিরাত 🇦🇪 এবং বাহরাইন 🇧🇭 থেকে আমেরিকার সাথে যোগাযোগ করে। তারা আমেরিকাকে ইসরায়েলকে সমর্থন করতে বলে (এর বিনিময়ে তারা অর্থ প্রদান করবে) কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সঠিক কাজ।❞

ইজরায়েল নিজে এই কথা স্বীকার করার পর আর কী বাকি থাকে বলুন?

হায়রে গাদ্দার মুনাফিক আরব।

সাধারণ ছেড়াফাড়া জুতা পরে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সেনাকে হত্যা। এটাই ঈমান আর কুফুরের ব্যবধান।

এরা সন্ত্রাসী তাই না?

হায় বিশ্বমানবতা!

মিশরের সামরিক শক্তি প্রদর্শন

হায় ভীরু কাপুরুষের দল! এত অস্ত্রসস্ত্র থাকা সত্ত্বেও নিরীহ গাজাবাসীরা মারা যাচ্ছে।

আল্লাহ তায়ালা সব হিসাব নিবেন।

গাজায় চলছে ভয়াবহ মানবিক সংকট!

গত ১৬ দিনের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত  ইসরায়েলি হামলার ফলে কয়েক  হাজার ফিলিস্তিনি বেইত লাহিয়ায় আটকা পড়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম গোলাবর্ষণের ফলে  তারা জাবালিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হন।

এছাড়াও, চলমান অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের ফলে চিকিৎসা সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তেলের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।

এই অবস্থা মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলছে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ গোলাবর্ষণ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫.২ বিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা পেতে যাচ্ছে ইসরায়েল।

এই সহায়তা ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে ব্যবহার হবে।

এর মধ্যে আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং এবং একটি উন্নয়নাধীন লেজার সিস্টেম শক্তিশালী করা হবে।

ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে ইয়াহইয়া সিনওয়ার

ইয়াহইয়া সিনওয়ার রহিমাহুল্লাহ এর উপর হামলা এবং প্রতিরোধের কাল্পনিক ভিডিও চিত্র

জাবালিয়া ইহুদিদের জন্য জাহান্নাম ছিল।

আরেকটি ভিডিও। আল কাসসাম ব্রিগেড এর অতর্কিত হামলায় দিশেহারা ইহুদীরা।

আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহু আকবর

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে এখন একটি দ্বিতীয় নাকবা ঘটছে, যেখানে মানুষের কাছে জীবন বাঁচানোর জন্য দুটি বিকল্পই রয়েছে: একদিকে তারা অনাহারে মারা যাবে অথবা দক্ষিণ দিকে গাজা সিটি যাওয়ার জন্য পূর্ব নির্ধারিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্টে যেতে বাধ্য হবে।

জাবা‌লিয়া, উত্তর গাযযা।

‌যেন কিয়াম‌তের এক দৃশ‌্য! জালেমরা ঘরবাড়ী সব শেষ ক‌রে এখন যারা বে‌চে আ‌ছে তা‌দের উপরও গণহত‌্যা চালা‌চ্ছে!

অসহায় নারী শি‌শু‌দের একত্র ক‌রে জাবা‌লিয়া ত‌্যাগ কর‌তে বাদ্ধ কর‌ছে!
খাবার কিছু নেই। থাকার কিছু নেই।

আমরা আমা‌দের ভাই‌বোন‌দের জন‌্য দুআ, সহ‌যো‌গিতা, তা‌দের প‌ক্ষে কথা বলা, শত্রুপণ‌্য বর্জণ করা চালু রাখ‌বো।