Athari (Bengali) @bengalisalafipdf Channel on Telegram

Athari (Bengali)

@bengalisalafipdf


____________________

Athari PDF's(Bengali) (Bengali)

আপনি কি ইসলামিক বই পড়তে পছন্দ করেন? আপনি যদি একজন বাংলা ভাষার ভালো পাঠক হয়ে থাকেন, তাহলে একটি স্পেশাল টেলিগ্রাম চ্যানেল সম্পর্কে আপনি অবশ্যই আগ্রহী হবেন। চ্যানেলের নাম "Athari PDF's(Bengali)" এবং এর ইউজারনেম "bengalisalafipdf"।nnএই চ্যানেলটির মূল উদ্দেশ্য হল বাংলা ভাষায় ইসলামিক বই এবং পিডিএফ ডকুমেন্ট শেয়ার করা। আপনি এখানে পাবেন বিভিন্ন ধরণের ইসলামিক বই এবং পবিত্র কুরআনের বাংলা ট্রান্সলেশন অথবা তা৞সীর।nnচ্যানেল একটি সমৃদ্ধ সম্প্রদায়ের সকল সদস্যদের মাঝে প্রচারিত। এই চ্যানেলে যোগ দিয়ে আপনি আপনার আধ্যাত্মিক জীবনে নতুন পর্ব যোগ দিতে পারেন এবং আরো অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেতে পারেন।nnতাহলে এবারই যোগ দিন "Athari PDF's(Bengali)" চ্যানেলে এবং টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ইসলামিক জ্ঞান এর সমৃদ্ধতায় ভূমিকা খেলুন।

Athari (Bengali)

11 Jan, 03:01


قُلِ ٱدْعُوا۟ ٱللَّهَ أَوِ ٱدْعُوا۟ ٱلرَّحْمَٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوا۟ فَلَهُ ٱلْأَسْمَآءُ ٱلْحُسْنَىٰ وَلَا تَجْهَرْ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتْ بِهَا وَٱبْتَغِ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا

বল, ‘তোমরা (তোমাদের রবকে) ‘আল্লাহ’ নামে ডাক অথবা ‘রাহমান’ নামে ডাক, যে নামেই তোমরা ডাক না কেন, তাঁর জন্যই তো রয়েছে সুন্দর নামসমূহ। তুমি তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং তাতে মৃদুও করো না; বরং এর মাঝামাঝি পথ অবলম্বন কর।

Say (O Muhammad SAW): "Invoke Allah or invoke the Most Beneficent (Allah), by whatever name you invoke Him (it is the same), for to Him belong the Best Names. And offer your Salat (prayer) neither aloud nor in a low voice, but follow a way between.

Surah Al-Israa: Ayah No. 110

Athari (Bengali)

10 Jan, 18:11


https://youtu.be/MM8ApClsB80?si=Zz7MpSCTWO0eadrR

Athari (Bengali)

10 Jan, 15:08


শাইখ মুহাম্মদ আমান আল জামী বলেন:

" আমরা আমাদের যুবকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি- তোমরা রাজনীতির নাম ভাংগিয়ে তোমাদের জীবনের মূল্যবান সময়কে নষ্ট করো না। তোমরা রাজনীতির খুঁটিনাটি সম্পর্কে জানোই না, কাজেই সকল রাজনৈতিক আন্দোলন এবং দল কে পরিত্যাগ করো। এর চেয়ে বরং দীনি ইল্ম অর্জন করো। কেননা ইল্মই হলো মূলভিত্তি। বিভিন্ন সমাজ সংস্কারকদের ইতিহাস অধ্যয়ন করো। ইমাম আহমদ, ইবন তাইমিয়্যাহ, ১২ তম হিজরী শতাব্দীর সংস্কারক (মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব) এর ইতিহাস অধ্যয়ন করো "

উৎস: কুররাতু উয়ুনিস সালাফিয়্যাহ


الشيخ د. محمد أمان الجامي:

نقول لشبابنا: لا تضيعوا باسم السياسة
وأنتم لا تعرفون السياسة
واتركوا عنكم الحركات والجماعات
اطلبوا العلم،
العلم هو الأساس
ادرسوا تاريخ المصلحين، تاريخ الإمام أحمد وابن تيمية وتاريخ المجدد، مجدد القرن 12، الذي نعيش أثر تجديده

[محاضرة: قرة عيون السلفية]

Athari (Bengali)

07 Jan, 18:07


মুআয বিন জাবাল (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে দশটি বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো :

১. আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় বা জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

২. পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না, যদিও তারা তোমাকে তোমার পরিবার-পরিজন ও মালামাল ছেড়ে চলে যেতে বলে।

৩. ইচ্ছাকৃত ফরয ছালাত পরিত্যাগ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরয ছালাত পরিত্যাগ করবে, তার উপর আল্লাহর প্রদত্ত দায়িত্ব উঠে যাবে।

৪. কখনোও মদ পান করবে না। কেননা মদ সমস্ত অশ্লীলতার মূল।

৫. সাবধান! সর্বদা পাপ কাজ হতে বেঁচে থাকবে। কেননা পাপ মানুষকে আল্লাহর ক্রোধে নিক্ষেপ করে।

৬. খবরদার! জিহাদের ময়দান হতে পলায়ন করবে না, যদিও সকল লোক ধ্বংস হয়ে যায়।

৭. লোকদের মাঝে মহামারি দেখা দিলেও তুমি সেখানে অবস্থান করবে।

৮. সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের জন্য ব্যয় করবে।

৯. তাদেরকে আদব-কায়দা শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে শাসন হতে কখনো বিরত থাকবে না।

১০. আল্লাহ সম্পর্কে তাদের ভয় প্রদর্শন করতে থাকবে।

— মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০৭৫

Athari (Bengali)

02 Jan, 20:12


ইমাম ইবনুল কায়্যিম [رحمه الله] বলেন :

«فأهل الأرض كلهم في ظلمات الجهل والغي ، إلا من أشرق عليه نور النبوة.»

❝ দুনিয়ার প্রত্যেক অধিবাসীই অন্ধকার এবং অজ্ঞতায় নিমজ্জিত, কেবল সেই ব্যক্তি ব্যতীত যার উপর নবুয়তের বিকিরণকারী আলো
আছে ❞

[ হিদায়াতুল হায়ারা, পৃষ্ঠা ৪৪৮ ]

Athari (Bengali)

02 Jan, 20:04


ওয়াহাব ইবন মুনাব্বিহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

"সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য যার নিজের ভুলগুলো ই তাকে অন্যের ভুল ধরা থেকে কর্মব্যস্ত রাখে।"

সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৪/৫৫২

‏قال وهب بن منبه - رحمه الله :

طوبى لمن شغله عيبه عن عيب أخيه .

- سير أعلام النبلاء ( ٥٥٢/٤) -

Athari (Bengali)

02 Jan, 19:58


✍️ দুইজন একইরকম নন!!!

আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক رحمه الله তাঁর গ্রন্থ "আয যুহদ" এ উল্লেখ করেছেন যে,  তিনি আওযাঈ কে বলতে শুনেছেন, যিনি তাবেঈ হাসান ইবন আতিয়্যাহ আদ দিমাশকি থেকে বর্ণনা করেছেন। যিনি বলেছেন:

"নিশ্চয়ই কখনো কখনো দুইজন লোক একই সময়ে একই সালাত আদায় করে এবং তাদের মধ্যকার ফযিলতের পার্থক্য হলো আসমান-যমিনের পার্থক্যের সমান। কেননা এই দুজনের মধ্য থেকে একজন ব্যক্তি তার অন্তরকে আল্লাহ অভিমুখী করেছে, আর অন্যজন অমনোযোগী এবং অসচেতন।"


قال ابن المبارك في الزهد:

أنا الأوزاعي، عن حسان بن عطية (الدمشقي، تابعي) قال:

«إن الرجلين ليكونان في صلاة واحدة، وإن بينهما من الفضل لكما بين السماء والأرض» ثم فسر ذلك «أن أحدهما يكون مقبلا على الله بقلبه، والآخر ساه غافل».

Athari (Bengali)

02 Jan, 15:35


✍️ একই হাদিসের সনদে ৩ বড় ইমাম

ইবনু কাসির رحمه الله বলেন:

এমন দৃষ্টান্ত খুবই কম যেখানে ইমাম আহমদ ইমাম শাফেঈ এর সনদে হাদিস বর্ণনা করেছেন। এবং এরূপ বর্ণনার সংখ্যা ২০ টির বেশি হবে না। এসকল বর্ণনার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো এই সনদ যেখানে - ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন শাফেঈ থেকে, শাফেঈ বর্ণনা করেছেন মালিক ইবনু আনাস থেকে, তিনি আয যুহরি থেকে, যুহরি বর্ণনা করেছেন আব্দুর রহমান বিন কা'ব বিন মালিক থেকে, আর তিনি তার বাবার থেকে বর্ণনা করেছেন - রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

نسمة المؤمن طير يعلق في شجر الجنة حتى يرجعه الله إلى جسده يوم البعث.

" মুমিনের আত্মা হলো একটি পাখির মতো যা জান্নাতের গাছের সাথে ঝুলন্ত থাকবে যতক্ষণ অবধি আল্লাহ তা'আলা পুনরুত্থান দিবসে তার দেহে সেই আত্মা কে ফিরিয়ে না দিবেন।" (হাদিসটি সহিহ)

[আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১০/৩৫৯]

Athari (Bengali)

01 Jan, 10:01


#Winter

ইবনুল মুবারক বর্ণনা করেছেন সাফওয়ান ইবন আমর থেকে, আর সাফওয়ান বর্ণনা করেছেন সুলাইম ইবন আমির থেকে। তিনি বলেছেন:

যখন শীতকালের আগমন ঘটতো, তখন উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বি'আল্লাহু আনহু তার জনগণের ব্যাপারে যত্নশীল হতেন এবং তিনি তাদেরকে উপদেশনামা হিসেবে চিঠিতে লিখে দিতেন -

" শীতের আগমন ঘটেছে এবং এটি তোমাদের শত্রু। সুতরাং এর বিরুদ্ধে তোমরা প্রয়োজনীয় পশমি কাপড়, চামড়ার মোজা এবং সাধারণ মোজা নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করো। পশমি কাপড় দিয়ে তোমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বহি:আবরণ বানাও। কেননা, শীত হলো এমন শত্রু যা তাড়াতাড়ি আসে এবং দেরিতে যায়।"

[ ইবন রজব আল হাম্বলী, লাত্বায়িফুল মা'আরিফ, পৃষ্ঠা নং ৩৩০ ]"

মূলত উমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বি'আল্লাহু আনহু এই উপদেশনামা লিখেছিলেন শাম বা সিরিয়ার জনগণের উদ্দেশ্যে। উমরের যুগে সিরিয়া বিজয়ের পরে বহু সাহাবী সেখানে স্থানান্তরিত হন। তাই তারা সেখানকার আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা এ বিষয়ে তিনি শংকায় ছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে তিনি তাদেরকে অতি দ্রুত শীতের প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যাপারে উপদেশ দিলেন।

Athari (Bengali)

31 Dec, 07:06


উৎস:

http://www.alfawzan.af.org.sa/node/14748


https://drive.google.com/file/d/16xNyhHijABYSWbNA9-5gnwEXC0CXV_t5/view?usp=drivesdk

Athari (Bengali)

31 Dec, 07:05


প্রশ্ন ১: ঈদ এবং অন্যান্য দিন উপলক্ষে পটকা, আতশবাজি ব্যবহারের হুকুম কি?

শাইখ আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ: কোনো সন্দেহ নেই যে, যেসব বাচ্চারা এসব ব্যবহার করে তাদের জন্য সেগুলো ব্যবহারে ক্ষতি আছে। এটা সাধারণ লোকদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করা এবং তাদের স্বস্তি কেড়ে নেওয়ার কারণে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। এসবের বিরক্তিকর আওয়াজের কারণে সাধারণ লোক ঘুম এবং বিশ্রামের সময়ে নিরাপদে বিশ্রাম নিতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এগুলো মন্দকাজ। কাজেই এগুলো ব্যবহার করা যৌক্তিক নয়।


প্রশ্ন ২: আতশবাজি বিক্রি এবং এ থেকে প্রাপ্ত উপার্জনের মধ্যে কি পাপের কোনো ভাগ আছে??

শাইখ সালিহ আল ফাওযান: যদি এসকল আতশবাজি বা ফায়ার ওয়ার্কসগুলো ক্ষতিকর অথবা বিপজ্জনক হয় অথবা সেগুলো জনগণকে ভীত সন্ত্রস্ত করে, তাহলে তা বিক্রি করা কিংবা বিক্রয়মূল্য ভোগ করা জায়িয না

Athari (Bengali)

28 Dec, 15:22


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ সূরাতুল মাসাদ এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচা আবু লাহাব সম্পর্কে বলেন:

"কুরআনে আল্লাহ তা'আলা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগের কোনো কাফিরের নাম ধরে সমালোচনা করে আয়াত নাযিল করেন নি কেবল এই লোক (আবু লাহাব) এবং তার স্ত্রী ব্যতীত। এখানে আমরা একটা শিক্ষণীয় বিষয় এবং সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি পাই এ বিষয়ে যে, কোনো ব্যক্তির বংশমর্যাদা কখনো তার জন্য বিশেষ মূল্য বহন করে না। এর বিপরীতে, বরং উচ্চ বংশের অধিকারী কোনো ব্যক্তি যদি ঈমান এবং সৎকাজের দাবি পূর্ণ না করে তাহলে তার জন্য যে অপমান এবং শাস্তি নির্ধারিত আছে, তা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কঠিনতর হবে।"

জামিউল মাসাইল, ৯/১৯১

[ولم ينزل الله في القرآن ذم أحد من الكفار بالنبي ﷺ باسمه إلا هذا الرجل وامرأته، وفي هذا من العبرة والبيان أن الأنساب لا عبرة بها، بل النسيب الشريف يكون ذمه وعقابه على تخلفه عما يجب عليه من الإيمان والعمل الصالح أشد]

Athari (Bengali)

27 Dec, 13:47


#Winter
যুবাইদ আল ইয়ামামি রহিমাহুল্লাহ, যিনি ছিলেন সালাফদের অন্তর্ভুক্ত একজন লোক। সম্ভবত তার এই ইখলাসের কারণেই আল্লাহ তা'আলা তার কাহিনীকে আমাদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তিনি শীতকালে রাতের বেলায় বৃদ্ধলোকদের কাছে অগ্নিশিখা নিয়ে যেতেন। আর তাদেরকে বলতেন, "আপনার কি আগুনের দরকার আছে?

কারণ কিছুলোকের হয়তো তাপ পোহানোর জন্য খড়ি আছে কিন্তু আগুন ধরানোর শিখা নেই। আর দিনের বেলায় তিনি বৃদ্ধাদের কাছে গিয়ে বলতেন," বাজার থেকে আপনার জন্য কি কিছু আনতে হবে? আপনার জন্য কিছু কিনব কি?"

সুতরাং, তারা তাকে জিনিসপত্র কেনার জন্য অর্থ দিতেন।এভাবেই তিনি লোকদের প্রয়োজনের দেখভাল করতেন এবং তাদেরকে সাহায্য করতেন!!!!!

Athari (Bengali)

25 Dec, 19:22


যখন উমর বিন খাত্তাব রাদ্বি'আল্লাহু আনহু ফিলিস্তিনে গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার এক খৃষ্টান পাদ্রী বা ধর্মযাজক উনাকে গীর্জার ভিতরে সালাত আদায়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু উমর রাদ্বি'আল্লাহু আনহু তা করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন এই আশংকায় যে- যদি তিনি গীর্জার ভিতরে সালাত আদায় করতেন, তাহলে সেখানকার মুসলিমরা এই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য গীর্জা টি অপসারণ করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করতো। একারণেই উমর গীর্জা থেকে কিছুটা দূরে হেঁটে গিয়ে সেখানে সালাত আদায় করলেন। আর বর্তমানে ঐ গীর্জা থেকে ৫০ ফুট দূরেই একটা মসজিদ আছে যেখানে এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিলো।


‎ ● [تاريخ ابن خلدون ٢/٢٢٥]

Athari (Bengali)

24 Dec, 17:02


هل يجوز الجمع عند الإنشغال؟
ومن أسباب الجمع أيضًا: إِذَا كَانَ هُنَاكَ شُغل يَشْغَلُ الإِنْسَانِ، بِحَيْثُ يَكُونُ مثلا - في دراسة، والحصة تكون في وَقْتِ الصَّلَاةَ، وَيَشُقُّ عَلَيْهِ أَنْ يَدَعَ ويذهب إِلَى الْمَسْجِدِ، أو أَنْ يَبْقَى يصلي ، فَلَهُ أَنْ يجمع، وهذا يحتاج الناس إليه في غير هَذِهِ البلاد؛ لِأَنَّ هَذِهِ البلاد - والله الحمد - إذا أُذن خرج الناس يُصَلُّونَ، لكن في بلاد أخرى، إِمَّا في بلاد كفر أو غيرها يكون وقت الدراسة فِي وَقْتِ الصَّلاة
الشرح المختصر على بلوغ المرام ابن عثيمين ٢٤/٢

Athari (Bengali)

24 Dec, 17:02


অতি ব্যস্ততার কারণে কি দুই ওয়াক্তের নামায একসাথে পরবর্তী ওয়াক্তে আদায় করা যাবে?

উত্তর: একাধিক ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করার কারণগুলোর মধ্যে অপর একটি কারণ হলো: যদি এমন কোনো বিষয় থাকে যা কোনো ব্যক্তিকে কর্মব্যস্ত রাখে উদাহরণস্বরূপ- যদি কোনো ব্যক্তি ক্লাসে অধ্যয়নরত থাকে এবং সালাতের ওয়াক্ত চলাকালীন ক্লাস চলমান থাকে এবং তার জন্য মসজিদে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয় অথবা উক্ত স্থানে অবস্থান করে সালাত আদায় করা কষ্টকর হয়, সেক্ষেত্রে তার পক্ষে পরবর্তী ওয়াক্তের সাথে এই সালাতকে একত্রিত করার সুযোগ আছে। এই দেশ (সৌদি আরব) ব্যতীত অন্যান্য ভূখণ্ডে যেসব জনগণ আছেন তারা অনেক সময় এই বিষয়টির মুখাপেক্ষী হয়ে যায়। কেননা, এই দেশ অর্থাৎ সৌদি আরবে সালাতের ওয়াক্তে লোকেরা দলে দলে বেরিয়ে গিয়ে সালাত আদায় করে। কিন্তু অন্যান্য ভূখণ্ডে হতে পারে কাফির রাষ্ট্রগুলোতে অথবা অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে,সেখানে সালাতের ওয়াক্তে স্কুল-কলেজের পাঠদান এর শিডিউল দেওয়া থাকে ।

শারহুল মুখতাসার আলা বুলুগিল মারাম, শাইখ ইবন উসাইমিন,২/২৪

Athari (Bengali)

22 Dec, 17:51


ধরুন, আপনার পাশ দিয়ে অতিক্রমকারী কোনো ব্যক্তি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলো, অথবা আপনার নামায পড়ার স্থানের পাশের কক্ষে আগুন লাগলো অথবা আপনার পাশের মুসল্লির উপর অতর্কিতভাবে কেউ আক্রমণ করলো এমতাবস্থায় আপনার করণীয় কি?

👉 শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন:

قال الشيخ ابن باز رحمه الله :
" قطع الصلاة لمصلحة مهمة ، أو لدرء خطر مثل إنقاذ حريق ، أو إنقاذ غريق ، أو دفع صائل أو ما أشبه ذلك : كل هذا لا بأس به " انتهى من " فتاوى نور على الدرب " لابن باز (9/ 303) .

কোন গুরুত্বপূর্ণ কল্যাণ সাধনে, কিংবা বিপদ দূরীকরণে, যেমন: আগুন থেকে কাউকে উদ্ধার করা, পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করা, কোন দুর্বৃত্তকে প্রতিহত করা, ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে সেই মুহূর্তে নামায ছেড়ে দিতে কোন বাধা নেই। [নুরুন আলাদ দারব (৯/৩০৩)

Athari (Bengali)

21 Dec, 14:50


🟥🇧🇩 রাসূলূল্লাহ ﷺ বলেছেন :

(( وَلاَ يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلاَّ مُؤْمِنٌ))

“ কেবল মুমিন ব্যক্তিই উযূর হিফাযত করে। ”

🖼 [ সূনান ইবনে মাজাহ : ২৭৭, সনদ হাসান ]


👉👉 উযূর হিফাযতের অর্থ হলো :

১] উযূর অঙ্গসমূহ সম্পূর্ণরুপে ধৌত করা,

২] উযূ করার সময় অঙ্গসমূহকে ভালোমতো ধৌত করা যাতে কোনো স্থানে শুষ্ক না থাকে,

৩] যতটুকু বেশী সময় সম্ভব উযূ অবস্থায় থাকা।

Athari (Bengali)

21 Dec, 06:07


Channel name was changed to «Athari (Bengali)»

Athari (Bengali)

21 Dec, 05:59


ইউনুস ইবন উবাইদ বলেন, আমাকে একদিন ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বললেন:

হে ইউনুস! যদি তোমার এমন কোনো বন্ধু থেকে থাকে (যে তোমাকে আল্লাহর আনুগত্যের ব্যাপারে সাহায্য করে), তাহলে তুমি তার হাত কে শক্ত করে আকঁড়ে ধরো। কেননা, কাউকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া কঠিন এবং তার থেকে বন্ধুত্ব ছিন্ন করা সহজ। "

[আবু নুয়াইম আল আসবাহানী, হিলইয়াতুল আওলিয়া, ৯/১২১]

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْبَغْدَادِيُّ الْوَرَّاقُ ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنُ زِيَادٍ النَّيْسَابُورِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ يُونُسَ بْنَ عَبْدِ الْأَعْلَى، يَقُولُ: قَالَ لِي الشَّافِعِيُّ ذَاتَ يَوْمٍ: " يَا يونُسُ إِذَا كَانَ لَكَ صَدِيقٌ فَشُدَّ يَدَيْكَ بِهِ فَإِنَّ اتِّخَاذَ الصَّدِيقِ صَعْبٌ وَمُفَارَقَتُهُ سَهْلٌ.


أبو نعيم الأصبهاني، حلية الأولياء وطبقات الأصفياء ٩/١٢١
ابن الجوزي، صفة الصفوة ١/٤٣٦

Athari (Bengali)

19 Dec, 08:16


১. ইমাম ইবনু সিরিন রহিমাহুল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই এই ইল্ম ই হলো দীন। অতএব তোমরা লক্ষ্য রেখো এ ব্যাপারে যে- তোমরা কার থেকে দীন গ্রহণ করছো।"

২. ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ বলেন:" নিশ্চয়ই এই ইল্ম হলো তোমাদের রক্ত - মাংসের মতো এবং কিয়ামতের দিন তোমরা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ এর মুখোমুখি হবে। কাজেই তোমরা লক্ষ্য রেখো কার থেকে তা গ্রহণ করছো।"

৩. যায়েদ আল মাদখালি বলেন:
"এই ইল্ম হলো দীন। সুতরাং সহিহ আকিদাহ এবং নিরাপদ মানহাজের অধিকারী ব্যতীত কারোর থেকে তা গ্রহণ করা যাবে না।"

Athari (Bengali)

19 Dec, 07:57


শাইখ ইবন উসাইমিন রহিমাহুল্লাহ বলেন:

«ومن أكبر الأسباب لاستقامة القلب وسلامته ، كثرة قراءة القرآن»

❝অন্তরকে দীনের উপর অটল এবং নিরাপদ রাখার অন্যতম বড় মাধ্যম হলো অধিক হারে কুরআন তিলাওয়াত করা ❞

[নুরুন আলাদ দারব, ২০/১২]

Athari (Bengali)

18 Dec, 19:09


হিল্লা বিয়ে স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাকে ফিরে পেতে ‘হালালা’ পন্থা (হিল্লা বিয়ে) অবলম্বন বৈধ নয়। অর্থাৎ, স্ত্রীকে হালাল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে কোন বন্ধু বা চাচাত-মামাতো ভায়ের সাথে বিবাহ দিয়ে এক রাত্রি বাস করে তালাক দিলে পরে ইদ্দতের পর নিজে বিবাহ করা এক প্রকার ধোঁকা এবং ব্যভিচার। যাতে দ্বিতীয় স্বামী এক রাত্রি ব্যভিচার করে এবং প্রথম স্বামী ঐ স্ত্রীকে হালাল মনে করে ফিরে নিয়েও তার সাথে চিরদিন ব্যভিচার করতে থাকে। কারণ, প্রকৃতপক্ষে স্ত্রী ঐভাবে তার জন্য হালাল হয় না।

যে ব্যক্তি হালাল করার জন্য ঐরূপ বিবাহ করে, হাদীসের ভাষায় সে হল ‘ধার করা ষাঁড়’। ৫৪৩ (ইরওয়াউল গালীল ৬/৩০৯) এই ব্যক্তি এবং যার জন্য হালাল করা হয়, সে ব্যক্তি (অর্থাৎ প্রথম স্বামী) আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের অভিশপ্ত। (মিশকাত ৩২৯৬)

Athari (Bengali)

18 Dec, 05:59


হাসান আল বাসরি  رحمه الله  বলেন :

حدثنا محمد بن أبي حاتم الأزدي، حدثنا داود بن المحبر، حدثنا الربيع بن صبيح، قال : سمعت الحسن رضي الله عنه يقول : والله للغيبة أسرع في دين المؤمن من الأكلة في جسده

" আল্লাহর কসম! রোগ যত দ্রুত কোনো মুমিনের দেহকে খেয়ে ফেলে, গীবত তার চেয়েও দ্রুত একজন মুমিনের দীনকে খেয়ে ফেলে। "

কিতাবুস সামত (১৯১)

Athari (Bengali)

16 Dec, 17:04


ইয়াহইয়া ইবন ইয়াহইয়া আল লাইসী - এর মতো যদি আমরা যেকোনো কাজে ফোকাস ধরে রাখতে পারতাম!!!

বর্ণিত আছে যে, একদিন ইয়াহইয়া আল লাইসী রহিমাহুল্লাহ ইমাম মালিক ইবন আনাস এবং তার ছাত্রদের মজলিশে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ একজন ছাত্র সবাইকে ডাক দিয়ে বললো: " ঐ দেখো! হাতি এসে গেছে "। এ ডাক শুনে উপস্থিত ছাত্রদের সবাই ই হাতি দেখার উদ্দেশ্যে বাইরে চলে গেলো৷ কিন্তু ইয়াহইয়া আল লাইসী বসে রইলেন। তখন ইমাম মালিক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, " তুমি কেন বাইরে গেলে না এবং হাতি দেখতে চলে গেলে না যেহেতু আন্দালুসিয়ায় (স্পেনে) সাধারণত হাতি চোখে পড়ে না? "। তখন ইয়াহইয়া উত্তরে বললেন: " আমি আমার দেশ ছেড়ে বহুদূর পথ পাড়ি দিয়ে শুধু একারণেই এসেছি যে- আপনার সাথে সাক্ষাৎ করবো, আপনার থেকে হিদায়াতের আলো নিবো, এবং ইল্ম নিবো। আমি তো এখানে হাতি দেখতে আসি নি।" ইমাম মালিক তার জবাব শুনে খুবই বিস্ময়াভিভূত হলেন এবং তাকে "আন্দালুসিয়ার সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি" হিসেবে আখ্যা দিলেন।

[ উৎস: তবাকাতুল ফুকাহা, আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবন আলী আস সিরাজী , খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৫২-১৫৩ ]

Athari PDF's(Bengali)

06 Dec, 17:29


[ শাসনভার অত্যন্ত কঠিন দায়িত্ব।এই দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে আল্লাহ পথপ্রদর্শন করুন,অন্যথায় পদস্খলন ঘটা অনিবার্য।......... ]

আবু কিলাবাহ কে ইরাকের বসরা শহরের কাযী (বিচারক)-র দায়িত্বভার অর্পণের জন্য তলব করা হলে তিনি পালিয়ে শামদেশ অর্থাৎ বৃহত্তর সিরিয়ায় চলে যান এবং সেখানে কিছুদিন অবস্থান করেন, যদিওবা পরবর্তীতে তিনি নিজ শহরে ফিরে আসেন। তখন আইয়ুব আস সাখতিয়ানি তাকে বললেন:

"যদি তুমি বিচারকার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে এবং লোকদের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে তাহলে তো তুমি এ কাজে দ্বিগুণ পুরষ্কারপ্রাপ্ত হতে !!!"

তখন আবু কিলাবাহ বললেন: "হে আইয়ুব! যদি কোনো সাঁতারু কে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে সে কতটুকু পথ আর সাঁতরে পার হবে, বলো তো??"

ইবন কুতাইবাহ, উয়ুনুল আখবার, ২/৪০২

طلب أبو قلابة للقضاء فلحق بالشام هربا، فأقام حينا ثم قدم البصرة؛ قال أيّوب؛ فقلت له: لو أنك وليت القضاء وعدلت بين الناس رجوت لك في ذلك أجرا؛ قال لي: يا أيوب، إذا وقع السابح في البحر فكم عسى أن يسبح؟.

لابن قتيبة، عيون الأخبار ٢/٤٠٢

Athari PDF's(Bengali)

05 Dec, 17:30


আবু আব্দুর রহমান বর্ণনা করেছেন:


সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থেকে কুরআনের ১০ টি আয়াত এর তিলাওয়াত শিখতেন এবং তারা পরবর্তী ১০ আয়াত নিতেন না যতক্ষণ না এই ১০ আয়াতের মধ্যে থাকা ইল্ম এবং আমলকে আয়ত্ত করতেন এবং তারা বলতেন- "আমরা একই সাথে ইলম এবং আমল এর শিক্ষা লাভ করেছি"



[মুসনাদ আল আহমদ এর হাদিস নম্বর ২৩৪৮২। শাইখ শুয়াইব আল আরনাওত হাদিসটিকে "হাসান" বলেছেন।]

Athari PDF's(Bengali)

04 Dec, 15:12


এটাই হলো সেই দুর্গ

Athari PDF's(Bengali)

04 Dec, 15:10


#Aleppo

১.
" হালাব (আলেপ্পো, Aleppo) এর লোকেরা আচরণের দিক থেকে সর্বোত্তম, শারীরিক অবয়বের দিক থেকেও তারা সর্বাধিক সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী এবং তাদের আকিদাহ হলো প্রাচীনকালের শামদেশ এর অধিবাসীদের অনুরূপ, তবে ব্যতিক্রম হলো বাতিল আকিদায় পারদর্শী কতিপয় ব্যক্তিবর্গ। এবং তাদের কিবলাহ ছিলো প্রাচীন শামদেশের অধিবাসীদের কিবলাহ-র অনুরূপ।"

উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেছেন ইবনুল আদিম, তার লিখিত বই "বুগিয়াতুত তলাবি ফি তারিখি হালাব" এর ১ম খণ্ডের ৬০ পৃষ্ঠায়।

এ কথাগুলো দিয়ে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন: উনার যুগে এই অঞ্চলের লোকদের আকিদাহ ছিলো পূর্বযুগে শামদেশ তথা বৃহত্তর সিরিয়া অঞ্চলের জনগণের আকিদাহর অনুরূপ অর্থাৎ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আহ এর আকিদাহ। এবং এটাই তাদের মধ্যে বিরাজমান ছিলো ৩৫১ হিজরি পর্যন্ত। ৩৫১ হিজরিতে রোমান রা হালাব আক্রমণ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং বহু লোককে হত্যা করে। তখন সাইফুদ্দৌলা এই শহরকে হাররানের কতিপয় শিয়া মতাবলম্বীর কাছে হস্তান্তর করে। যার ফলশ্রুতিতে হালাবের লোকদের মধ্যে শিয়াবাদের প্রচলন শুরু হয়।

৪র্থ হিজরি শতাব্দীতে এই শহরটি রোমানদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিয়াদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে আল আযিযি এর যুগে এই দশার পরিবর্তন ঘটে এবং লোকেরা শিয়াবাদ থেকে পুনরায় দূরে সরে যায়।

২.
সুলতান সালাহউদ্দিন আল আইয়ুবী সিরিয়া অভিযানকালে হালাব (আলেপ্পো) এর দুর্গে আরোহণ করলেন এবং এই আয়াতটি পাঠ করলেন: " হে আল্লাহ! মালিকুল মুলক, তুমি যাকে ইচ্ছা তাকেই রাজত্ব দান করে থাকো "। তারপর তিনি বললেন: " আমি এই শহর বিজয় করা ব্যতীত অন্য কোনো শহর বিজয় করতে পেরে অধিক আনন্দিত হই নি। কেননা, এই শহর বিজয় করার পরে আমার কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, আমি যেন পুরো সিরিয়ার ভূখণ্ডকেই বিজয় করে ফেললাম এবং যেন আমার শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো।" [ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৬/৫৬৪]

পরবর্তীতে অবশ্য সালাহউদ্দিন আইয়ুবী সিরিয়ার বাকি শহরগুলোও বিজয় করেন এবং তিনি সমগ্র সিরিয়াকে একতাবদ্ধ করে ফেললেন যেন ক্রুসেডারদেরকে মোকাবেলা করা যায়।

Athari PDF's(Bengali)

03 Dec, 07:02


একজন নবী হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে নিজের সন্তানের দীনের ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন ইয়াকুব আলাইহিস সালাম...........

যখন ইউসুফ আলাইহিস সালামের সংবাদ নিয়ে একজন সুসংবাদ দাতা ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এর কাছে খবর নিয়ে আসলো, তখন ইয়াকুব আলাইহিস সালাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন: "তুমি ইউসুফ কে কেমন অবস্থায় ছেড়ে আসলে?"

লোকটি বললো: উনি তো এখন মিশরের বাদশাহ।

ইয়াকুব বললেন: বাদশাহী নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি বলছি, কেমন দীনদারিতার উপর তাকে পেলে?

লোকটি বললো: ইসলামী দীনের উপর।

ইয়াকুব তখন বললেন: তাহলে তো এখন থেকে নিয়ামত সম্পূর্ণ হয়ে গেলো।

[ তাফসিরে বাগাওয়ি, ২/৫৬৯ ]



روي أن البشير لما جاء إلى يعقوب بقميص يوسف عليهما السلام.
قال يعقوب: كيف تركت يوسف؟
قال: إنه ملِك مصر.
فقال يعقوب: ما أصنع بالمُلك! على أيِّ دينٍ تركته؟
قال: على دين الإسلام.
قال: الآن تمت النعمة.
"تفسير البغوي" (٢/ ٥٦٩).

Athari PDF's(Bengali)

30 Nov, 09:12


সূরা আল ইমরান এ ঈসা ইবন মারইয়াম সম্পর্কিত আয়াতের তাফসিরে ইমাম আল বাগাওয়ি লিখেছেন:

"ঐতিহাসিকগণ বলে থাকেন: মারইয়াম (Mary) ঈসা আলাইহিস সালামকে গর্ভে ধারণা করেন যখন উনার (মারইয়াম) বয়স ছিলো ১৩ বছর। এবং আলেকজান্ডার কর্তৃক ব্যাবিলন শহর বিজয়ের ৬৫ বছর পরে জেরুজালেমের অন্তর্ভুক্ত বেথেলহাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন ঈসা। অত:পর আল্লাহ তার অর্থাৎ ঈসার কাছে ওহি নাযিল করেন যখন তার বয়স ছিলো ৩০ বছর। এবং তিনি (আল্লাহ) ঈসাকে বায়তুল মাকদিস প্রাঙ্গণ থেকে আকাশে উঠিয়ে নিলেন এমন এক বছরের রমাদ্বান মাসের লাইলাতুল কদরে, যে বছরে তার বয়স হয়েছিলো ৩৩ বছর অর্থাৎ তার নবুয়তি দায়িত্বপ্রাপ্তির ৩ বছর পূর্ণ হবার পরে। এবং ঈসার ঊর্ধ্বগমনের আরও ৬ বছর পর পর্যন্ত তার মা মারইয়াম জীবিত ছিলেন। "


[قال أهل التواريخ : حملت مريم بعيسى ولها ثلاث عشرة سنة ، وولدت عيسى ببيت لحم من أرض أوري شلم لمضي خمس وستين سنة من غلبة الإسكندر على أرض بابل فأوحى الله إليه على رأس ثلاثين سنة ، ورفعه الله من بيت المقدس ليلة القدر من شهر رمضان ، وهو ابن ثلاث وثلاثين سنة فكانت نبوته ثلاث سنين ، وعاشت أمه مريم بعد رفعه ست سنين ]



[ তাফসির আল বাগাওয়ি, ২/৪৬, সূরা আল ইমরানের ৫৪ নং আয়াতের তাফসির ]

Athari PDF's(Bengali)

29 Nov, 11:18


ইমাম শামসুদ্দিন আয যাহাবী বলেন:

" খারিজি লোকেরা আহলুল জামা'আহ তথা মুসলিম জনতা কে তাকফির করে থাকে, যেমনিভাবে অধিকাংশ মু'তাযিলাগণ তাদের বিরোধীপক্ষকে তাকফির করে থাকে এবং অধিকাংশ রাফিদ্বি শিয়াগণ তাদের বিরোধীপক্ষকে তাকফির করে থাকে। যদি কোনো ব্যক্তি তাদের মতো করে বিরোধীপক্ষকে তাকফির না করে তাহলে তারা সেই ব্যক্তিকে ফাসিক (পাপী) হিসেবে গণ্য করে। একইভাবে অধিকাংশ আহলুল আহওয়া (প্রবৃত্তিপূজারী লোকেরা) যখন দীনের মধ্যে নতুন কোনো রায় বা দৃষ্টিভঙ্গির আমদানি করে তখন যারাই তাদের এই মতের বিরোধিতা করে তাদেরকে তাকফির করে। অন্যদিকে আহলুস সুন্নাহ তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আগত হক্ব এর অনুসরণ করে, যা নিয়ে রাসুল আগমন করেছেন। তারা তাদের বিরোধীপক্ষকে সচরাচর তাকফির করে না।বরং তারা হক্বের ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞানী এবং সৃষ্টিজগতের প্রতি সর্বাধিক দয়ালু। "

আল মুনতাকা, ১/৩২৮


الذهبي، المنتقى ١/٣٢٨

والخوارج تكفر أهل الْجَمَاعَة وَكَذَلِكَ أَكثر الْمُعْتَزلَة يكفرون من خالفهم وَكَذَلِكَ أَكثر الرافضة

وَمن لم يكفر فسق وَكَذَلِكَ أَكثر أهل الْأَهْوَاء يبتدعون رَأيا ويكفرون من خالفهم فِيهِ

وَأهل السّنة يتبعُون الْحق من رَبهم الَّذِي جَاءَ بِهِ الرَّسُول وَلَا يكفرون من خالفهم فِيهِ بل هم أعلم بِالْحَقِّ وأرحم بالخلق

Athari PDF's(Bengali)

29 Nov, 04:26


আরবি ভাষায় ইয়াতিম বা "অনাথ" শব্দের পরিচয় প্রেক্ষাপট ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন:

১. আল ইয়াতিম (اليتيم)*: এই শব্দটি দ্বারা এমন মানবশিশুকে বুঝানো হয় যে শৈশবে তার পিতাকে হারিয়েছে অর্থাৎ তার পিতা মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে ইয়াতিম দ্বারা বুঝানো হয়, যে ছোটোকালে তার মা কে হারিয়েছে।

২. আল ইজিঈ (العجي)*: এমন মানবশিশু কে বুঝানো হয়, যে শৈশবে তার মা কে হারিয়েছে।

৩. আল লাতিম (اللطيم)*: এমন মানবশিশু কে বুঝানো হয় যে শৈশবে তার পিতা-মাতা উভয় জনকেই হারিয়েছে।

Athari PDF's(Bengali)

28 Nov, 15:16


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

" বলা হয়ে থাকে- আল্লাহ তা'আলা ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখেন যদিও তা কাফির (অবিশ্বাসী) দের দ্বারা শাসিত হয়। কিন্তু তিনি এমন কোনো যালিম (অত্যাচারী) রাষ্ট্রব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখেন না যদিও তা মুসলিমদের দ্বারা শাসিত হয়। বলা হয়ে থাকে- দুনিয়া ইনসাফ আর কুফরি পাশাপাশি নিয়ে চলতে পারে, তবে যুলম আর ইসলাম একসাথে নিয়ে চলতে পারবে না। "

আল আমরু বিল মা'রুফ, ১/২৯

قال ابن تيمية رحمه الله قيل إنَّ اللَّهَ يُقِيمُ الدَّوْلَةَ الْعَادِلَةَ وَإِنْ كَانَتْ كَافِرَةً وَلَا يُقِيمُ الظَّالِمَةَ وَإِنْ كَانَتْ مُسْلِمَةً ويقال الدُّنْيَا تَدُومُ مَعَ الْعَدْلِ وَالْكُفْرِ وَلَا تَدُومُ مَعَ الظُّلْمِ وَالْإِسْلَامِ

1/29 الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر لابن تيمية.

Athari PDF's(Bengali)

28 Nov, 07:08


কতক সালাফ বলতেন:

"যদি কোনো দুনিয়াবি বালা-মুসিবত (এবং এর বিনিময়ে আল্লাহর পুরষ্কারের ঘোষণা) না থাকতো, তাহলে আমরা নি:স্ব হিসেবে আখিরাতে পদার্পণ করতাম।"

وقال بعض السلف لولا مصائب الدنيا لو لوردنا الآخرة مفاليس

ইবনুল কায়্যিম, উদাতুস সাবিরিন,১/৯১


ابن القيم، عدة الصابرين وذخيرة الشاكرين ١/٩١
https://shamela.ws/book/11274/98

Athari PDF's(Bengali)

27 Nov, 14:15


মাসলামাহ ইবনু আব্দিল মালিক (মৃত্যু ১২১ হিজরি) বলেন:

" একজন নেককার নারী (স্ত্রী) কোনো মুমিনের জন্য উপকারিতার ক্ষেত্রে তার দুই চোখ, দুই হাত এবং দুই পায়ের চেয়েও উত্তম "

আহসানুল মাহাসিন লিছ ছা'আলাবী, পৃষ্ঠা ৩৬৮

‏قال مسلمة بن عبدالملك:

"المرأة الصالحة خير للمؤمن من العينين واليدين والرجلين."

📚(أحسن المحاسن للثعالبي صـ 368)

Athari PDF's(Bengali)

27 Nov, 05:15


📕 সহিহ শামায়েলে তিরমিজি (বাংলা)

📝 মূল : মুহাম্মদ বিন ঈসা আত তিরমিজি রাহিমাহুমুল্লাহ।

তাহকিক : আল্লামা নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী রাহিমাহুল্লাহ।

প্রকাশনায় : ইমাম পাবলিকেশন

Athari PDF's(Bengali)

26 Nov, 18:02


আনাস বিন মালিক রাদ্বি'আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাঈল কে বললেন:
"আমি কেন কখনোই মিকাঈল কে হাসতে দেখি না?"

তখন জিবরাঈল আলাইহিস সালাম বললেন: " যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তখন থেকে মিকাঈল আর হাসে নি "।

[ সিলসিলাতুস সহিহাহ, সনদ হাসান, ২৫১১ ]


নোট: এই হাদিস থেকে জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও এই হাদিসে মিকাঈল ফিরিশতার একটি বিশেষ গুণ "হাসি" সম্পর্কে জানা যায়, জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে মিকাঈল আর এ বৈশিষ্ট্যের প্রয়োগ ঘটান নি। এই হাদিস থেকে আরেকটি ইংগিত পাওয়া যায় যে, জাহান্নাম সৃষ্টির পূর্বে মিকাঈল ফিরিশতাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।

Athari PDF's(Bengali)

26 Nov, 13:00


শাইখ ইবনে উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
“ইসলাম ন্যায়ের ধর্ম, সাম্যের নয়।

আল্লাহ ন্যায়বিচারের আদেশ দেন, সাম্য নয়!”

শারহুল ওয়াসিতিয়্যাহ, ১, পৃ. ২২৯

Athari PDF's(Bengali)

26 Nov, 08:07


أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ ٱلَّذِينَ خَلَوْا۟ مِن قَبْلِكُم مَّسَّتْهُمُ ٱلْبَأْسَآءُ وَٱلضَّرَّآءُ وَزُلْزِلُوا۟ حَتَّىٰ يَقُولَ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَعَهُۥ مَتَىٰ نَصْرُ ٱللَّهِ أَلَآ إِنَّ نَصْرَ ٱللَّهِ قَرِيبٌ

নাকি তোমরা ভেবেছ যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে অথচ এখনো তোমাদের নিকট তাদের মত কিছু আসেনি, যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল কষ্ট ও দুর্দশা এবং তারা কম্পিত হয়েছিল। এমনকি রাসূল ও তার সাথি মুমিনগণ বলছিল, ‘কখন আল্লাহর সাহায্য (আসবে)’? জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।

Al-Baqara: Ayah No. 214

Athari PDF's(Bengali)

25 Nov, 17:46


📌 প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা, সতর্ক- সাবধান থাকুন..................................


ফিকহের একটা মূলনীতি আছে: "বড় ক্ষতি এড়াতে ছোটো ক্ষতি মেনে নেওয়া"।

প্রথম আলো বা ডেইলি স্টার বরাবর জঙ্গি-জঙ্গি খেলা খেলে থাকে এবং ইসলামকে বিভিন্নভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটা তাদের নতুন কোনো বিষয় নয়।
কিন্তু প্রথম আলোর বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে কি প্রথম আলোর তেমন কিছু হবে? এর আগে বহুবার প্রথম আলো কেন্দ্রিক এমন হয়েছে, কিন্তু তাদের কিছুই হয়নি। অথচ এসব পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে পতিত ও ইসলামবিদ্বেষী আওয়ামীলীগের অপতৎপরতা দেখতে পাচ্ছেন এবং সরকারকে বিপর্যস্ত করার পায়তারা টের পাচ্ছেন। প্রথম আলোকে কেন্দ্র করে কোনো পদক্ষেপ নিতে হলে আরও পরেও তো নেওয়ার চিন্তা করা যেতো। বরং এখন যে পরিস্থিতি এমন সময়ে এসব পদক্ষেপ এই সরকারকে বহির্বিশ্বে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং এগুলো জঙ্গিদের উত্থান বলে প্রচার করার সুযোগ পাবে। আর আওয়ামিলীগ এমনটাই চাচ্ছে।


লেখক: আব্দুল্লাহ মাহমুদ ভাই
(সাবেক শিক্ষার্থী, জামিয়া সালাফিয়া বেনারস)

Athari PDF's(Bengali)

25 Nov, 09:23


"যারা ইমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন।

আর যারা কুফরি করে, তাদের অভিভাবক হল তাগূত (আল্লাহদ্রোহী, সীমালঙ্ঘনকারী শক্তি)। তারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের দিয়ে নিয়ে যায়। তারাই জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।"

[ সুরা আল-বাকারাহ, ২ : ২৫৭ ]

Athari PDF's(Bengali)

24 Nov, 09:38


সুওয়াইদ ইবন সাঈদ বলেন:

"আমি আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারককে মক্কায় দেখেছি। তিনি যমযম কূপের নিকটে গেলেন এবং সেখান থেকে পানি পান করার মনস্থ হলেন। তারপর তিনি কাবাঘরের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেন: হে আল্লাহ! ইবনুল মাওয়ালি আমাদের কাছে মুহাম্মদ ইবনুল মুনকাদির থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি জাবির থেকে বর্ণনা করেছেন, আর জাবির নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, " যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হবে সেজন্যই ফলপ্রসূ হবে " এবং আমি তা পান করলাম বিচার দিবসে আমার তৃষ্ণা নিবারণের উদ্দেশ্যে।" তারপর তিনি সেখান থেকে পানি পান করলেন। "

(সিফাতুস সাফওয়াহ, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩২৫)

Athari PDF's(Bengali)

23 Nov, 02:15


©️ আব্দুর রাফি জয়

Athari PDF's(Bengali)

23 Nov, 02:15


ইমাম আয যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) তার গ্রন্থ "সিয়ার" এ দুইজন হাম্মাদ এর জীবনী পর পর উল্লেখ করেছেন। তারা দুজনই ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বসরা নগরীর বিখ্যাত আলিম ছিলেন। তারা উভয়েই একাধিক শিক্ষকের অধীনে ইল্ম অর্জন করেছেন। ইমাম আয-যাহাবীর মতে, তারা দুজনই ছিলেন হাদিস বর্ণনাকারীদের ৭ম স্তরের ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। প্রথম হাম্মাদ হলেন হাম্মাদ ইবন সালামাহ এবং দ্বিতীয় হাম্মাদ হলেন হাম্মাদ ইবন যায়িদ।

প্রথম হাম্মাদের দাদা ছিলেন দিনার, আর দ্বিতীয় হাম্মাদের দাদা ছিলেন দিরহাম। সুতরাং তারা ছিলেন যথাক্রমে হাম্মাদ ইবন সালামাহ ইবন দিনার এবং হাম্মাদ ইবন যায়িদ ইবন দিরহাম। পূর্ব যুগের কিছু মুরুব্বী তাদের নাম নিয়ে কৌতুক করতেন এই বলে যে, "হাম্মাদ ইবন সালামাহ-র শ্রেষ্ঠত্ব হাম্মাদ ইবন যায়িদের তুলনায় এমনই, যেমন দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিরহামের (রৌপ্যমুদ্রা) তুলনায় শ্রেষ্ঠ।"

1.
কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাম্মাদ ইবন সালামাহ ছিলেন হাম্মাদ ইবন যায়েদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ, আবার অন্য ক্ষেত্রে ইবন যায়িদ ছিলেন ইবন সালামাহ-র তুলনায় শ্রেষ্ঠ। আকিদাহ-র ক্ষেত্রে ইবন সালামাহ ইবন যায়িদের চেয়ে শক্তিশালী ছিলেন, আর ইবন যায়িদ ছিলেন স্মৃতিশক্তিতে ইবন সালামাহর তুলনায় শক্তিশালী। ইমাম আহমদ বলতেন," ইবন যায়েদ আমার কাছে অধিক প্রিয়, তবে যে কেউ ইবন সালামার সমালোচনা করলো, সে যেন নিজের দ্বীনকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো।" তিনি আরও বলতেন, "ইবন সালামাহ ছিলেন বিদআতীদের বিরুদ্ধে কঠোর", যা ইমাম আহমদ খুবই পছন্দ করতেন।

2.
হাম্মাদ ইবন সালামাহ ও হাম্মাদ ইবন যায়িদ দুজনেই সাবিত আল-বুনানি এবং আইয়ুব আস-সাখতিয়ানি থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন সালামাহ সাবিত থেকে (আনাস ইবন মালিকের পক্ষ থেকে) বর্ণনায় বেশি নির্ভরযোগ্য ছিলেন, আর ইবন যায়িদ আইয়ুব থেকে (নাফি, মাওলা ইবন উমরের পক্ষ থেকে) হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে বেশি নির্ভরযোগ্য ছিলেন।

3.
তাদের মধ্যে এতই মিল ছিল যে, ইমাম আয যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) এই দুজনের জীবনী উল্লেখ করার পরে এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করার জন্য একটি পৃথক অধ্যায় রচনা করেছেন। আবদুর রহমান ইবন মাহদী বা ওয়াকি ইবন জাররাহ যখন বলতেন, "হাদ্দাসানা হাম্মাদ..." তখন বুঝতে সমস্যা হতো যে, তিনি কোন হাম্মাদ এর কথা বলছেন। একারণেই তাদের প্রত্যেকের নামের সাথে পিতার নাম যুক্ত করে হাদিসের সনদ উল্লেখ করা হতো।

কিন্তু আলী ইবন মাদিনি, আহমদ ইবন আব্দাহ, খালাফ ইবন হিশাম প্রমুখ ব্যক্তিদের হাম্মাদ থেকে বর্ণনায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হতো না, কারণ তারা কেউ জীবদ্দশায় হাম্মাদ ইবন সালামাহর সাক্ষাৎ পাননি, বরং শুধু হাম্মাদ ইবন যায়িদের সাক্ষাৎ পেয়েছেন।

4.
প্রসিদ্ধ ৬ হাদিস সংকলকের সবার কিতাবে শুধুমাত্র ইবন যায়িদের বর্ণনাগুলো লিপিবদ্ধ আছে, কিন্তু তাদের সবার কিতাবে ইবন সালামাহর থেকে হাদিসের বর্ণনা নেই । শুধুমাত্র ইমাম বুখারির কিতাবুর রাকা'ইকে ইবন সালামাহর একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, ইমাম মুসলিম এর কিতাবে কিছু বর্ণনা আছে এবং আর ইমাম ইবন মাজাহও ইবন সালামাহর হাদিস বর্ণনা করেছেন।

5.
ইবন সালামাহর শেষ বয়সে স্মৃতিভ্রম দেখা দিয়েছিল। তিনি একজন ইবাদতগুজার বান্দা ছিলেন, প্রচুর পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত, যিকর এবং নফল ইবাদত করতেন। এমনকি তার অভ্যাস ছিল এরূপ : কারোর কাছে হাদিস বর্ণনা করার আগে তিনি প্রথমে কুরআনের প্রায় ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করতেন। এছাড়াও তিনি আসিম এর কিরা'আত এবং আব্দুল্লাহ ইবন কাছির আদ-দারী এর কিরা'আত ভালোভাবে জানতেন।

ইবন সালামাহকে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হতো যিনি তার নিয়তের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতেন। ইবন সালামাহ একবার বলেছিলেন: "যে কেউ আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর উদ্দেশ্য হাদিসের ইল্ম অর্জন করবে, সে অপমানিত হবে।"

6.
ইবন সালামাহ কে বলা হতো মুস্তাজাবুদ দাওয়াহ (দু'আ কবুলযোগ্য ব্যক্তি), কিন্তু তার জীবনের বিরল ঘটনা হলো- তিনি প্রায় ৭০ জন নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও আল্লাহ তাকে কোনো সন্তান দেন নি।

7.
ইবন যায়িদকে ইল্মের ক্ষেত্রে ইমাম মালিকের সাথে তুলনা করা হয়। তিনি বলতেন: "আমি আইয়ুব আস সাখতিয়ানির সাথে বিশ বছর তার মজলিশে বসেছি"। তিনি অন্ধ ছিলেন, তাই তিনি নিজের মুখস্থ অনুযায়ী স্মৃতি থেকেই হাদিস বর্ণনা করতেন। এবং এক্ষেত্রে তিনি কখনও ভুল করেন নি।

ইবন মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) তার সম্পর্কে বলেছিলেন: "হে তলিবুল ইল্ম, তুমি হাম্মাদ ইবন যায়িদের সাথে সাক্ষাৎ করো। তাহলে তুমি ধৈর্য এবং ইল্ম লাভ করতে পারবে, যা তোমার কাজে লাগাতে পারবে।"

আবদুর রহমান ইবন মাহদী বলেছিলেন: "আমি হাম্মাদ ইবন যায়িদের মতো আর কাউকে দেখি নি, এমনকি সুফিয়ান বা মালিককেও না।"

8.
হাম্মাদ ইবন সালামাহ ১৬৭ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন, কিছু বর্ণনায় বলা হয়েছে তিনি মসজিদে সিজদারত অবস্থায় মারা যান। হাম্মাদ ইবন যায়িদ ১৭৯ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন।

আল্লাহ তাদের উভয়ের ওপর রহমত বর্ষণ করুন।

[সিয়ার ৭: ১০৩-১১৭]

Athari PDF's(Bengali)

23 Nov, 02:07


ইবনুল জাওযী রহিমাহুল্লাহ বলেন:

"হে আমার ভাইয়েরা! সুন্নাহর বিরোধিতা করা থেকে তোমরা বেঁচে থাকো। কেননা এটি তোমাকে জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে দিবে।"

[বুস্তানুল ওয়ায়িযিন]

قال الإمام ابن الجوزي رحمه الله:
إخواننا: إياكم و مخالفة السنة؛ فإن ذلك يبعدكم من الجنة

بستان الواعظين

Athari PDF's(Bengali)

22 Nov, 14:35


শাইখ যায়িদ ইবন মুহাম্মদ আল মাদখালী কে "সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ (আমাদের সর্দার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)" শব্দগুচ্ছটি বলা সঠিক কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছেন:

" কোনো সমস্যা নেই সেই ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি বলে: "সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম"। কিন্তু দুরুদে ইবরাহীম পাঠ করার সময় এই শব্দগুচ্ছ টি বলা যাবে না। কেননা এখানে "সায়্যিদ" শব্দটির উল্লেখ নেই। আর নামাযের অন্তর্ভুক্ত বক্তব্যগুলো এবং কর্মগুলো তাওকিফি অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহর দলিলের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। "

س/ قول (سيِّدنا) محمد ﷺ هل هي مشروعة؟

‏ج/ لا حرج على من قال: سيدنا محمد عليه الصلاة والسلام، لكن لا يقال في الصلاة الإبراهيمية؛ لأن لفظ (سيد) لم يرد فيها،
‏والأقوال والأفعال في الصلاة توقيفية.

📕التعليق المتين للشيخ زيد المدخلي  رحمه الله (ص62)

Athari PDF's(Bengali)

22 Nov, 05:43


প্রিয় দীনের প্রচারকগণ! আপনারা ইখলাস অবলম্বন করুন।


শাইখ সালিহ আল ফাওযান বলেন:

«...فبعض الناس، إذا لم يُمدَح ويُشَجَّع  ترك الدعوة، وهذا دليل على أنه لا يدعو إلى الله، وإنما يدعو إلى نفسه...»

"... কতিপয় লোক এমন আছে - যখন তাদের প্রশংসা না করা হয় অথবা অনুপ্রেরণা না দেওয়া হয়, তখন তারা দাওয়াতী কাজ ছেড়ে দেয়। এটাই তাদের বিরুদ্ধে দলিল যে: তারা আল্লাহর দিকে লোকদেরকে দাওয়াত দেয় না, বরং নিজেদের দিকে দাওয়াত দেয়।"

[ইয়ানাতুল মুস্তাফিদ, ১/১০২]

Athari PDF's(Bengali)

21 Nov, 19:57


الٓر كِتَٰبٌ أَنزَلْنَٰهُ إِلَيْكَ لِتُخْرِجَ ٱلنَّاسَ مِنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذْنِ رَبِّهِمْ إِلَىٰ صِرَٰطِ ٱلْعَزِيزِ ٱلْحَمِيدِ


Alif-Lam-Ra. [These letters are one of the miracles of the Quran, and none but Allah (Alone) knows their meanings]. (This is) a Book which We have revealed unto you (O Muhammad SAW) in order that you might lead mankind out of darkness (of disbelief and polytheism) into light (of belief in the Oneness of Allah and Islamic Monotheism) by their Lord's Leave to the Path of the All-Mighty, the Owner of all Praise.

আলিফ-লাম-রা; এই কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্বপ্রশংসিতের পথের দিকে।

Surah Ibrahim: Ayah No. 1

Athari PDF's(Bengali)

21 Nov, 04:56


কুরআন হতে কিছু উপদেশ
===================

কুরআনে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ এবং তাদের রেফারেন্স উল্লেখ করা হলো:

1. সত্যবাদিতা:

আল্লাহ বলেন: "হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।" (সুরা তাওবা: 119)

2. সবর ও ধৈর্য:

আল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং তোমাদের সম্পদ, প্রাণ ও ফল-ফসলের অভাব দ্বারা। এবং যারা ধৈর্য ধারণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে রহমত এবং সৎ পথপ্রদর্শন রয়েছে।" (সুরা বাকারা: 155-156)

3. ন্যায়পরায়ণতা:

আল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা ন্যায়পরায়ণ হও।" (সুরা নিসা: 58)

4. মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা:

আল্লাহ বলেন: "তোমার প্রভু আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তারই ইবাদত করবে এবং মা-বাবার প্রতি সদয় আচরণ করবে।" (সুরা ইসরা: 23)

5. দুঃখে ধৈর্য ধারণ করা:

আল্লাহ বলেন: "আর আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও প্রিয়জনের অভাব দ্বারা। আর যারা ধৈর্যধারণ করে তাদের জন্য রয়েছে মহান পুরস্কার।" (সুরা বাকারা: 155)

6. জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা:

আল্লাহ বলেন: "হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।" (সুরা তাহরীম: 6)

7. অন্যদের সাথে সদাচার:

আল্লাহ বলেন: "তুমি অন্যদের সাথে সদাচার করো এবং খারাপ কাজে প্রবৃত্ত হওয়া থেকে বিরত থাকো।"
(সুরা আল আনকাবুত: 46)

8. বক্তব্যে সততা:

আল্লাহ বলেন: "তোমরা নিজেদের বক্তব্যে সততা অবলম্বন করো।" (সুরা আল বাকারা: 283)

9. আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা:

আল্লাহ বলেন: "তুমি আল্লাহর উপর ভরসা করো।" (সুরা আল ইমরান: 159)

10. ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা:

আল্লাহ বলেন: "নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা ন্যায়পরায়ণ হও।" (সুরা নিসা: 58)

এই উপদেশগুলো মুসলমানদের জন্য দৈনন্দিন জীবনে প্রযোজ্য এবং তাদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নে সাহায্য করে।

Athari PDF's(Bengali)

20 Nov, 13:47


মুতাম্মল ইবন ফাদল (রহঃ) ..... সালমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের রব চিরঞ্জীব ও মহান দাতা। যখন কোন বান্দাহ হাত উঠিয়ে দু’আ করে, তখন তিনি তার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (তিরমিযী, ইবন মাজা)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২/ সালাত (নামায) (كتاب الصلاة)

Athari PDF's(Bengali)

18 Nov, 16:35


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:

যিকর এর ক্ষেত্রে লোকেরা ৪ স্তরে বিভক্ত।

১. অন্তর এবং মৌখিকভাবে যিকর: আর শরীয়তে এরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২. শুধু অন্তর দিয়ে যিকর: যদি তা কথা বলার অসামর্থ্যের কারণে হয়ে থাকে, তবে তা ভালো। কিন্তু যদি কথা বলার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অন্তর দিয়ে যিকর করা হয়, তবে তা হবে উত্তম আমল (অর্থাৎ মৌখিক যিকর) কে ছেড়ে দেওয়া।

৩. শুধু মৌখিক যিকর: এটা তখনই ঘটে যখন কোনো ব্যক্তির জিহবা আল্লাহর যিকরে সিক্ত থাকে।

৪. মৌখিক এবং আন্তরিক যিকরের অনুপস্থিতি: আর এটাই হলো ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা।

[মাজমু' আল ফাতাওয়া, ১০/৫৬৬, সংক্ষেপিত]

Athari PDF's(Bengali)

17 Nov, 19:34


মৃত্যুর কথা স্মরণ করা

যে জিনিসের কথা অধিক পরিমাণ স্মরণ করা সুন্নাহ, তা হলো মৃত্যু। মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। দুনিয়ার ভালোবাসা হৃদয় থেকে বিদায় হয়। পরকালমুখী হওয়া যায়। এ কারণে বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী উপদেশ ও নসীহত হচ্ছে, মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। অথচ আজকাল মানুষ মৃত্যুর মতো এমন ধ্রুবসত্য বিষয়ের কথাও স্মরণ করে না। মানুষের অবস্থা দেখে মনে হয়, তাদের যেন মৃত্যু স্পর্শ করতে পারবে না। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকহারে মৃত্যুর কথা স্মরণ করার আদেশ দিয়েছেন। আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বেশি পরিমাণে জীবনের স্বাদ হরণকারীর অর্থাৎ মৃত্যুর কথা স্মরণ করো।[1]

আবূ হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ, মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো। কারণ, যে-ব্যক্তি কোনো সঙ্কটে তা স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সে সঙ্কট সহজ হয়ে যাবে এবং যে-ব্যক্তি তা কোনো সুখের সময়ে স্মরণ করবে, সে ব্যক্তির জন্য সুখ তিক্ত হয়ে উঠবে।[2]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে অধিক পরিমাণ মৃত্যুর কথা স্মরণ করতেন এবং তাঁর সাহাবীদের স্মরণ করিয়ে দিতেন। উবাই ইবন কাব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের দুই-তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে দাঁড়িয়ে বলতেন, হে মানবগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করো। কম্পনসৃষ্টিকারী প্রথম শিঙাধ্বনি এসে পড়েছে এবং এর পরপর আসবে পরবর্তী শিঙাধ্বনি। মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।[3]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআয ইবন জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, ‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো যেন তাঁকে দেখছো। তুমি নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত রাখো। প্রত্যেক পাথর ও গাছের কাছে আল্লাহকে স্মরণ করো। কোনো পাপকাজ করলে তার সঙ্গে সঙ্গে নেকির কাজ করো: গোপন পাপ হলে গোপন নেকি এবং প্রকাশ্য পাপ হলে প্রকাশ্য নেকি।’[4]



[1] সুনানুত তিরমিযী, ২৩০৭; সুনান ইবন মাজাহ, ৪২৫৮; সহীহুল জামি, ১২১০;
[2] বাইহাকী, ১০০৭৬; সহীহ ইবন হিব্বান, ২৯৯৩; সহীহুল জামি, ১২১১;
[3] সুনানুত তিরমিযী, ২৪৫৭; সহীহুল জামি, ৭৮৬৩;
[4] মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ, ৩৪৩২৫; তাবারানী, ৩৭৩; সহীহুত তারগীব, ২৮৭০;

Athari PDF's(Bengali)

16 Nov, 17:44


https://binbaz.org.sa/fatwas/17500/%D8%AD%D9%83%D9%85-%D8%A7%D9%82%D8%A7%D9%85%D8%A9-%D8%A7%D9%84%D8%AF%D8%B1%D9%88%D8%B3-%D8%A7%D9%84%D8%B9%D9%84%D9%85%D9%8A%D8%A9-%D9%81%D9%8A-%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B3%D8%A7%D8%AC%D8%AF-%D8%A8%D8%B9%D8%AF-%D8%A7%D9%84%D8%B5%D9%84%D9%88%D8%A7%D8%AA?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR0Avt9kNlE2-d9VpnT6RmGrcxPAkxRIkGDhsP85fe2QVVZN3ylNTADYd5A_aem_G5vub6pgxvXPjoI4o6SIcQ

Athari PDF's(Bengali)

16 Nov, 17:42


সামাহাতুশ শাইখ! প্রশ্নকারী এই প্রশ্নটিতে বলছেন: " কিছু কিছু মসজিদে বিশেষ করে আসরের সালাতের পরে ইমাম সাহেব অথবা কোনো একজন দীনী ভাই প্রত্যেক রাতেই "রিয়াদুস সালিহিন" কিতাব থেকে কয়েকটি হাদিস পাঠ করে থাকেন। এই কাজটি কি বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে?

উত্তর:

এটি বিদ'আত নয়। বরং এটি তাযকিরা (স্মরণিকা) এবং তা'লিম (শিক্ষাদান) এর অন্তর্ভুক্ত। কেননা এটি জামা'আতবদ্ধভাবে শিক্ষাদান এবং তাদের জন্য উপযুক্ত এমন কিছুর দিকে তাদেরকে পথপ্রদর্শন করার উপায়। আসরের সালাতের পরে অথবা ইশার সালাতের পরে অথবা যেকোনো ওয়াক্তে জামা'আতবদ্ধ লোকদেরকে শিক্ষাদান অথবা উপস্থিত লোকদেরকে শিক্ষাদানের জন্য মসজিদে দুরুস বা শিক্ষা কার্যক্রম আয়োজন করা ইত্যাদি সবকিছুই কাম্য। হ্যাঁ, এটি তা'লিম বা শিক্ষাদানেরই একটি উপায়।

শাইখ আব্দুল আযিয ইবন বায।

السؤال:

سماحة الشيخ! هذا السائل عيظة يقول في هذا السؤال: في بعض المساجد، وخاصة بعد صلاة العصر يقرأ الإمام أو أحد الإخوة عدة أحاديث من رياض الصالحين في كل ليلة، فهل هذا العمل من البدعة؟

الجواب:

ليس هذا بدعة، هذا من التذكير والتعليم؛ لأن هذا من باب تعليم الجماعة وإرشادهم إلى ما ينبغي لهم، الدروس في المسجد بعد العصر، أو بعد العشاء، أو في أي وقت لتعليم الجماعة وتعليم الحاضرين هذا كله مطلوب، نعم، هذا من باب التعليم.

المقدم: جزاكم الله خيرًا يا سماحة الشيخ.

Athari PDF's(Bengali)

15 Nov, 19:52


শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

" যা উপার্জন সূত্রে হারাম তা শুধু উপার্জনকারীর জন্যই হারাম। (যেমন সুদ) সুদী কারবার কারী ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন উক্ত সম্পত্তি তার ওয়ারিছদের জন্য হালাল। কিন্তু যার মূলই হারাম, যেমন: মদ, তা মালিকের জন্যও হারাম এবং উত্তরাধিকারীদের জন্যও হারাম। অনুরূপভাবে চুরি বা ডাকাতির মাল, তা ওয়ারিছদের জন্যও হালাল নয়। মূল মালিকের সন্ধান পাওয়া গেলে তা তার নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে, আর সন্ধান পাওয়া না গেলে তার নামে ছাদাক্বাহ করে দিতে হবে (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, ১/৩০৪ ও ১৩/১৮৮; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৩/৪৫২; আল-ক্বাউলুল মুফীদ আলা কিতাবিত-তাওহীদ, ৩/১১২ পৃ.)।


অন্যত্র তিনি বলেন, ‘উপার্জন সূত্রে হারাম, যেমন ঘুষের মাধ্যমে অথবা সুদের মাধ্যমে অথবা মিথ্যা ও প্রতারণার মাধ্যমে অথবা এ জাতীয় অন্য কোন মাধ্যমে। এটি শুধু উপার্জনকারীর জন্যই হারাম, সে ছাড়া অন্য কারোর জন্য তা হারাম নয় (তাফসীরু সূরাতিল বাক্বারাহ, ১/১৯৮ পৃ.)

[ গোলাম রাব্বি ]

Athari PDF's(Bengali)

15 Nov, 15:07


সন্তানদের জন্য বদদোয়া করার বিধান

▶️ প্রশ্ন: (100260)

পিতা যদি ভুলের উপর থাকেন এবং ছেলে সঠিক হয় তাহলে সন্তানের বিরুদ্ধে পিতার বদদোয়া কবুল হবে কী?

▶️ উত্তর:

আলহামদু লিল্লাহ।.

সন্তান হক্বের উপর থাকলে এবং পিতা ভুলের উপর থাকলে (সন্তানের জন্য) পিতামাতার বদদোয়া কবুল হয় না। কারণ আল্লাহ্‌ তার দোয়া কবুল করবেন না। কারণ পিতামাতার প্রতি সন্তানের অবাধ্যতা হল তাদের অধিকার আদায় না করা কিংবা তাদের অধিকার আদায়ে কসুর করা। পক্ষান্তরে, নিছক পিতার কোন নির্দেশ কিংবা পিতার কোন নিষেধ যাতে কোন কল্যাণ নেই ­এমন কিছু মানা সন্তানের জন্য আবশ্যক নয়। অনুরূপভাবে পিতা যদি তার ছেলেকে বলে: কোন কারণ ছাড়া তোমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দাও। তাহলে সন্তানের এমন জন্য পিতামাতার এমন নির্দেশে সাড়া দেয়া অনিবার্য নয়। তাই, এমন কিছু পালনে অসম্মতি জানালে সেটা অবাধ্যতা হিসেবে গণ্য হবে না। এমনকি তারা যদি তার জন্য বদদোয়া করে সেক্ষেত্রে ছেলে গুনাহগার হবে না; এতে ইনশাআল্লাহ্‌ কোন অসুবিধা নেই। আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

শাইখ আব্দুল্লাহ্‌ বিন হুমাইদ (রহঃ) এর ফতোয়াসমগ্র; পৃষ্ঠা-৩০

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

Athari PDF's(Bengali)

15 Nov, 12:54


ইমাম আল মাওয়ারদী কর্তৃক মু'তাযিলাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে যখন হাফিয ইবনুস সালাহ তার সমালোচনা করলেন, তখন হাফিয আয যাহাবি এ প্রসঙ্গে বলেন:

" প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই যদিওবা তার (মাওয়ারদী) সাথে কিছু বিদ'আত আছে, তারপরও তিনি কিবারুল উলামা (বড় আলিমগণ) এর অন্তর্ভুক্ত। যদি আমরা প্রত্যেক আলিমকেই তাদের ভুলের জন্য ত্যাগ করতাম, তাহলে খুব কম সংখ্যক আলিমই আমাদের সাথে থাকতো। অতএব, হে আমার ভাই! নি:শর্তভাবে আলিমদের সমালোচনা করো না অথবা নি:শর্তভাবে তাদের প্রশংসায় আগ বাড়িয়ে যেও না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো যেন তিনি তোমাকে তাওহীদের উপর মৃত্যুদান করেন। "

[তারিখুল ইসলাম, ৩০/২৫৬]

عندما اتهم الحافظ ابن الصلاح الإمامَ الماوردي بالاعتزال علق عليه الحافظ الذهبيّ قائلاً:

وبكل حال هو مع بدعة فيه من كبار العلماء، فلو أننا أهدرنا كل عالم زل لما سلم معنا إلا القليل، فلا تحط يا أخي على العلماء مطلقا ولا تبالغ في تقريظهم مطلقا واسأل الله أن يتوفاك على التوحيد

📕 تاريخ الإسلام ٢٥٦/٣٠

Athari PDF's(Bengali)

14 Nov, 12:00


Surah Aal-i-Imraan: Ayah No. 12-13

قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَىٰ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ ٱلْمِهَادُ

Say (O Muhammad ﷺ) to those who disbelieve: "You will be defeated and gathered together to Hell, and worst indeed is that place to rest."

তুমি কাফিরদেরকে বল, ‘তোমরা অচিরেই পরাজিত হবে এবং তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। আর সেটি কতইনা নিকৃষ্ট আবাসস্থল’!

قَدْ كَانَ لَكُمْ ءَايَةٌ فِى فِئَتَيْنِ ٱلْتَقَتَا فِئَةٌ تُقَٰتِلُ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَأُخْرَىٰ كَافِرَةٌ يَرَوْنَهُم مِّثْلَيْهِمْ رَأْىَ ٱلْعَيْنِ وَٱللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِۦ مَن يَشَآءُ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّأُو۟لِى ٱلْأَبْصَٰرِ

There has already been a sign for you (O Jews) in the two armies that met (in combat i.e. the battle of Badr): One was fighting in the Cause of Allah, and as for the other (they) were disbelievers. They (the believers) saw them (the disbelievers) with their own eyes twice their number (although they were thrice their number). And Allah supports with His Victory whom He pleases. Verily, in this is a lesson for those who understand. (See Verse 8:44). (Tafsir At-Tabari)

নিশ্চয় তোমাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে দু’টি দলের মধ্যে, যারা পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিল। একটি দল লড়াই করছিল আল্লাহর পথে এবং অপর দলটি কাফির। তারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাদেরকে ওদের দ্বিগুণ দেখছিল। আর আল্লাহ নিজ সাহায্য দ্বারা যাকে চান শক্তিশালী করেন। নিশ্চয় এতে রয়েছে চক্ষুষ্মানদের জন্য শিক্ষা।

Athari PDF's(Bengali)

13 Nov, 14:42


আয়িশা (আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট)

সাহাবিদের নামের শেষে রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-আনহা এজন্য লেখা হয়। শুধুমাত্র গাধার থেকে নিকৃষ্ট প্রাণীগুলো তাদের দোষ খুঁজে বেড়ায় আর অপবাদ দেয়।


[আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাতসমূহ, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহাসাফল্য।]

At-Tawba, Ayah no. 100

[এরাই, যাদের উৎকৃষ্ট আমলগুলো আমি কবুল করি এবং তাদের মন্দ কাজগুলো ক্ষমা করে দেই। তারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদেরকে যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা সত্য ওয়াদা।]

Al-Ahqaf, Ayah no. 16

Athari PDF's(Bengali)

13 Nov, 08:50


কুরআনুল কারীমের দুটি আয়াত, যা পড়লে আমরা লজ্জিত হতে বাধ্য :

"আমি যখন মানুষের উপর কোনো অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টা দিকে ধাবিত হয়। আবার যখন কোনো বিপদ এসে তাকে স্পর্শ করে তখন সে দীর্ঘ দোয়া নিয়ে আমার কাছে হাজির হয়।"

(সুরা-হামীম সিজদাহ, আয়াত-৫১)

“মানুষের অবস্থা হচ্ছে যখন সে কোনো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয় তখন সে দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আমাকে ডাকে। কিন্তু যখন আমি তার বিপদ দুর করে দিই তখন সে এমনভাবে চলতে থাকে যেনো সে কখনও তার নিজের কোনো খারাপ সময়ে আমাকে ডাকেই নি। ঠিক তেমনিভাবে সীমা অতিক্রমকারীদের জন্য তাদের কার্যক্রমকে সুশোভিত করে দেওয়া হয়েছে।”

(সুরা ইউনুস, আয়াত-১২)

Athari PDF's(Bengali)

12 Nov, 17:01


কিভাবে মানবজাতির মধ্যে থেকে শয়তান চিনবেন | শাইখ ইবনে উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ

শাইখ ইবনে উসাইমীনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল মানবজাতির মধ্যকার শয়তানদের কিভাবে চেনা যাবে?

তিনি রাহিমাহুল্লাহ, সুন্দরভাবে উত্তর দিলেন এবং বললেনঃ "যে তোমাকে মন্দ ও নির্লজ্জতার দিকে ডাকে, সে শয়তান (মানুষের মধ্য থেকে)।"

 ● [لقاء الباب المفتوح 67]

উত্তম বিবেচনার মাধ্যমে আপনি বন্ধু বেছে নিন এবং মানব শয়তানের সহচার্য নেবেন না, বারাকাল্লাহু ফিকুম!

Athari PDF's(Bengali)

12 Nov, 16:47


আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তোমরা তাকে পাত্রের মাঝে সম্পূর্ণরূপে ডুবিয়ে দেবে। কেননা, তার এক ডানায় রোগ এবং অপর ডানায় শিফা থাকে। আর মাছি খাবারে পতিত হওয়ার সময় ঐ ডানা নিক্ষেপ করে, যাতে রোগ-জীবাণু থাকে। কাজেই তোমরা তাকে পাত্রের মধ্যে ডুবিয়ে দেবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
পুনঃনিরীক্ষণঃ 
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২১/ খাদ্যদ্রব্য (كتاب الأطعمة)

Athari PDF's(Bengali)

12 Nov, 08:15


শাইখ আব্দুল কারিম আল খুদাইর হাফিযাহুল্লাহ বলেন:

"যে ব্যক্তি কুরআন তিলাওয়াতরত আছে তার উচিত হলো যখন সে আযান শুনতে পায় তখন কুরআন তিলাওয়াতে থেমে যাওয়া এবং মুআযযিনের বাক্যগুলোর জবাব দেওয়া। এর কারণ এটি নয় যে, আযান আল্লাহর কালাম (কুরআন) এর চেয়েও উত্তম। বরং এর কারণ হলো মুআযযিনের জবাব দেওয়া সংশ্লিষ্ট যিকর টি ঐ সময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট। যদি সে সময়টি শেষ হয়ে যায়, তাহলে এর যিকরটি আদায়ের সুযোগও শেষ হয়ে যাবে।"

শারহুল মুহাররার, ২/১২৯

‏قال الشيخ عبدالكريم الخضيرحفظه الله:
والذي ينبغي على قارئ القرآن إذا سمع الأذان أن يتوقف عن القراءة ويجيب المؤذن
لا لأن الأذان أفضل من كلام الله، وإنما لأن إجابة المؤذن ذكر مخصوص بوقت، فإذا فات فات هذا الذكر.
شرح المحرر ٢/ ١٢٩

Athari PDF's(Bengali)

11 Nov, 09:07


"আহলুল ইল্ম তথা আলিমদের উপর অবশ্য কর্তব্য হলো জনসমাজে সক্রিয় থাকা এবং বাতিলপন্থীরা যেন তাদের চেয়ে অধিক সক্রিয় না হয়। বরং তারা যেন হক্ব প্রকাশের ক্ষেত্রে এবং এর দিকে আহবানের ক্ষেত্রে বাতিলপন্থীদের চেয়েও অধিক সক্রিয় হয়৷ সেটা যেখানেই হউক না কেন যেমন: পথেঘাটে, গাড়িতে, বিমানভ্রমণে, মহাকাশযানে, বাড়িতে এবং যেকোনো স্থানে। তাদের উচিত সর্বোত্তম পদ্ধতিতে মন্দের বিরোধিতা করা এবং লোকদেরকে নম্রতা, ভদ্রতা সহকারে ভালো জিনিসের শিক্ষা দেওয়া।"

فالواجب على أهل العلم أن ينشطوا وأن لا يكون أهل الباطل أنشط منهم. بل يجب أن يكونوا أنشط من أهل الباطل في إظهار الحق والدعوة إليه أينما كانوا: في الطريق وفي السيارة وفي الطائرة وفي المركبة الفضائية وفي بيته وفي أي مكان، عليهم أن ينكروا المنكر بالتي هي أحسن، ويعلموا بالتي هي أحسن، بالأسلوب الطيب والرفق واللين.

"আহলুল ইল্মের জন্য জায়িয নয় চুপ থাকা এবং- মন্দ লোক, বিদ'আতি এবং অজ্ঞ লোকদেরকে যাচ্ছেতাই বলার সুযোগ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া। কেননা এটি একটি বড়সড় ভুল এবং সমাজে মন্দ জিনিস ও বিদ'আত প্রসার, ভালো জিনিসের দুষ্প্রাপ্যতা ও তার হ্রাস এবং সুন্নাহ গোপন হয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। আহলুল ইল্ম এর জন্য আবশ্যক হলো হক্ব কথা বলা ও এর দিকে আহবান করা এবং মন্দের বিরোধিতা করা ও এর বিরুদ্ধে লোকদেরকে সতর্ক করা। এবং তা হতে হবে জ্ঞান এবং দূরদর্শিতা সহকারে।"

فلا يجوز لأهل العلم السكوت وترك الكلام للفاجر والمبتدع والجاهل فإن هذا غلط عظيم، ومن أسباب انتشار الشر والبدع واختفاء الخير وقلته وخفاء السنة. فالواجب على أهل العلم أن يتكلموا بالحق ويدعوا إليه وأن ينكروا الباطل ويحذروا منه، ويجب أن يكون ذلك عن علم وبصيرة

শাইখ আব্দুল আযিয ইবন বায, মাজমু' ফাতাওয়া, ৬/৫৩

Athari PDF's(Bengali)

10 Nov, 19:18


১. নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"যে সম্প্রদায় তাদের নেতৃত্বের দায়িত্বভার কোনো নারীর উপর অর্পণ করে সেই সম্প্রদায় কখনোই সফল হবে না"
[সহিহ আল বুখারী, ৭০৯৯]

২. ইবন হাযম বলেন:
"এ বিষয়ে কোনো ইখতিলাফ নেই যে- একজন নারীকে খলিফাহ বা শাসক হিসেবে নিযুক্ত করা জায়িয নয় "
[আল ফাসল ফিল মিলাল ওয়ান নিহাল, ৪/১২৯]

৩. ইমাম আল মাওয়ারদী বলেন: "একজন নারীর জন্য জায়িয নয় শাসকের ভূমিকা পালন করা"
[আহকামুস সুলতানিয়্যাহ, পৃষ্ঠা ৪৬]

৪. ইমাম আশ শাওকানী বলেন:
"এই হাদিস নির্দেশ করে যে, নারীরা শাসনক্ষমতার উপযুক্ত নন এবং জনগণের জন্যও জায়িয নয় তাদেরকে শাসক হিসেবে নিযুক্ত করা"
[নায়লুল আওতার, ৮/৩০৫]

৫. শাইখ ইবন বায বলেন:
"কোনো নারীকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা অথবা নির্বাচন করা জায়িয নয়। এ বিষয়টি কুরআন, সুন্নাহ এবং আলিমদের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত"
[মাজাল্লাতুল মুজতামা', ৮৯০]

আব্দুর রাফি জয়

Athari PDF's(Bengali)

10 Nov, 06:58


সালাফদের মধ্যে কতিপয় আলিম ছিলেন খৃষ্টান সন্ন্যাসীদের সন্তান অথবা তাদের বংশদ্ভূত।

যখন খালিদ বিন ওয়ালিদ রাদ্বি'আল্লাহু আনহু "আইনে তামর" এর যুদ্ধাভিযানে গেলেন, তিনি আইনে তামর নামক জায়গার এক গীর্জার ভিতরে ৪০ জন সন্ন্যাসীকে পেলেন যারা ইঞ্জিল অধ্যয়ন করছিলো। তাদের মধ্যে ছিলেন সিরিন, ইয়াসার এবং নুসাইর এবং তারা পরবর্তীতে মুসলিম হয়েছিলেন।

১. সিরিন ছিলেন তাবেঈদের মধ্যে অন্যতম আলিম মুহাম্মাদ ইবনু সিরিন এর পিতা।
২. ইয়াসার ছিলেন প্রাচীন সিরাহ (জীবনী) লেখক মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক্ব এর দাদা।
৩. নুসাইর ছিলেন আন্দালুস বিজয়ী বীরযোদ্ধা মুসা ইবনু নুসাইর এর পিতা।

উক্ত ৪০ জন এর অবশিষ্টরা এমন সন্তানের জনক ছিলেন যাদেরকে মদিনার উলামাদের মধ্যে গণ্য করা হতো।

Athari PDF's(Bengali)

10 Nov, 04:36


আব্দুর রহিম বিন সুলাইমান আর রাযী বলেন:
আমরা সুফইয়ান আস সাওরীর নিকটে উপস্থিত ছিলাম। যখনই কেউ তার কাছে ইল্ম অর্জনের উদ্দেশ্যে আসতো, তখন সুফইয়ান তাকে জিজ্ঞেস করতেন, " তোমার কি জীবিকা অর্জনের অবলম্বন আছে? " যদি উক্ত লোকের পক্ষ থেকে বলা হতো যে, তার কাছে জীবিকার যথেষ্ট অবলম্বন আছে, তিনি (সুফইয়ান) তাকে ইল্ম অর্জনের নির্দেশ দিতেন। আর যদি তার কাছে যথেষ্ট জীবিকা না থাকতো, তাহলে তিনি (সুফইয়ান) তাকে জীবিকা অন্বেষণের নির্দেশ দিতেন।
আবু হাতিম আর রাযী, আয যুহদ, ১/৬৬
الرازي، أبو حاتم، الزهد ١/٦٦ #٧٥

Athari PDF's(Bengali)

10 Nov, 04:35


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন:
" যখন কোনো একব্যক্তির মধ্যে ভালো-মন্দ, পাপ- আনুগত্য, সুন্নাহ -বিদ'আত এর সমাবেশ ঘটে তখন সেই ব্যক্তি তার মধ্যে থাকা ভালো গুণগুলোর অনুপাতে বন্ধুত্ব এবং পুরষ্কারের হকদার হয়। এবং সে তার মধ্যে থাকা মন্দের অনুপাতে শত্রুতা এবং শাস্তির হকদার হয়ে থাকে। এভাবেই কোনো ব্যক্তি একইসাথে সম্মান এবং তিরস্কারের হকদার হয়। এ বিষয়টি অনেকটা সেই ফকির চোরের মতো, চুরির শাস্তিস্বরূপ যার হাত কাটা হয় - আবার বায়তুল মাল বা রাষ্টীয় কোষাগার থেকে তার অভাব পূরণের জন্য তাকে অর্থসাহায্য দেওয়া হয়।"
মাজমু' আল ফাতাওয়া, ২৮/২০৯
وإذا اجتمع في الرجل الواحد خير وشر وفجور وطاعة ومعصية وسنة وبدعة: استحق من الموالاة والثواب بقدر ما فيه من الخير واستحق من المعادات والعقاب بحسب ما فيه من الشر فيجتمع في الشخص الواحد موجبات الإكرام والإهانة فيجتمع له من هذا وهذا كاللص الفقير تقطع يده لسرقته ويعطى من بيت المال ما يكفيه لحاجته

Athari PDF's(Bengali)

09 Nov, 09:37


‎আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ কর । কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে ।”

ফুটনোট: (মুসলিম ৮০৪, আহমাদ ২১৬৪২, ২১৬৫৩, ২১৬৮১, ২১৭১০)

রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৯৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Athari PDF's(Bengali)

09 Nov, 06:01


শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আল বদর বলেন:

"এটা বর্ণিত আছে যে, কতিপয় সালাফ বলতেন- তুমি যে আল্লাহর কাছে ঘৃণিত তার আলামত হলো তুমি সময়কে নষ্ট করো। "

مقالات رمضانية (٤٢)

Athari PDF's(Bengali)

09 Nov, 04:18


সুফইয়ান ইবন উয়াইনাহ  (رحمه الله) বলেন :

“ যে ব্যক্তির পাপ ঘটে প্রবৃত্তির তাড়নায় তার (তওবার) ব্যাপারে আশা রাখো ; আর যে ব্যক্তির পাপ ঘটে অহংকার এর কারণে, তার (ধ্বংসের) ব্যাপারে ভয় করো। কেননা আদম (عليه السلام) প্রবৃত্তির তাড়নায় পাপ (সগিরা) করেছিলেন, এবং পরবর্তীতে তিনি ক্ষমাপ্রাপ্ত হন ; আর ইবলিশ পাপ করেছে অহংকারবশত এবং সে লা'নত প্রাপ্ত হয়েছে ”

[সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৮/৪৭১]

Athari PDF's(Bengali)

09 Nov, 02:30


সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাহ বলেন: মিস'আর ইবনু কিদামকে বলা হয়েছিলো- "আপনি কি এটা পছন্দ করবেন যে, কোনো ব্যক্তি এসে আপনাকে আপনার ভুলত্রুটিগুলো জানিয়ে দিক?"

তিনি বললেন: " যদি সে নসিহতবশত জানায়, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু সে যদি এর মাধ্যমে আমাকে দোষারোপ করতে চায় এবং তিরস্কার করতে চায়, তাহলে "না".


أبو نعيم الأصبهاني، حلية الأولياء وطبقات الأصفياء ٧/٢٨٢

https://shamela.ws/book/10495/11290

Athari PDF's(Bengali)

08 Nov, 18:09


নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে উপদেশ
শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসির আল বাররাক

Athari PDF's(Bengali)

08 Nov, 07:26


18:48
وَعُرِضُوا۟ عَلَىٰ رَبِّكَ صَفًّۭا لَّقَدْ جِئْتُمُونَا كَمَا خَلَقْنَـٰكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍۭ ۚ بَلْ زَعَمْتُمْ أَلَّن نَّجْعَلَ لَكُم مَّوْعِدًۭا ٤٨

And they will be set before your Lord in (lines as) rows, (and Allâh will say): "Now indeed, you have come to Us as We created you the first time. Nay, but you thought that We had appointed no meeting for you (with Us)."


আর তাদেরকে তোমার রবের সামনে উপস্থিত করা হবে কাতারবদ্ধ করে। (আল্লাহ বলবেন) ‘তোমরা আমার কাছে এসেছ তেমনভাবে, যেমন আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম; বরং তোমরা তো ভেবেছিলে আমি তোমাদের জন্য কোন প্রতিশ্রুত মুহূর্ত রাখিনি’।



18:49
وَوُضِعَ ٱلْكِتَـٰبُ فَتَرَى ٱلْمُجْرِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَـٰوَيْلَتَنَا مَالِ هَـٰذَا ٱلْكِتَـٰبِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةًۭ وَلَا كَبِيرَةً إِلَّآ أَحْصَىٰهَا ۚ وَوَجَدُوا۟ مَا عَمِلُوا۟ حَاضِرًۭا ۗ وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًۭا ٤٩

And the Book (one’s Record) will be placed (in the right hand for a believer in the Oneness of Allâh, and in the left hand for a disbeliever in the Oneness of Allâh), and you will see the Mujrimûn (criminals, polytheists, sinners), fearful of that which is (recorded) therein. They will say: "Woe to us! What sort of Book is this that leaves neither a small thing nor a big thing, but has recorded it with numbers!" And they will find all that they did, placed before them, and your Lord treats no one with injustice.


আর আমলনামা রাখা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে ভীত, তাতে যা রয়েছে তার কারণে। আর তারা বলবে, ‘হায় ধ্বংস আমাদের! কী হল এ কিতাবের! তা ছোট-বড় কিছুই ছাড়ে না, শুধু সংরক্ষণ করে’ এবং তারা যা করেছে, তা হাযির পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলম করেন না।

সূরা আল-কাহফ, আয়াত [৪৮-৪৯]

*ইংরেজি অনুবাদের মান ভালো হওয়ায় এবং বোঝার সুবিধার জন্য যোগ করা হয়েছে।

Athari PDF's(Bengali)

08 Nov, 02:30


জুমু'আর দিনে সাদাকাহ করা

ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন:

"আমি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (আল্লাহ তার রুহকে পবিত্র করুন) কে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, জুমু'আর সালাতের উদ্দেশ্যে যখন তিনি বের হতেন, তখন তিনি বাড়িতে যা পেতেন তা ই সাথে নিয়ে বের হতেন, হউক তা সামান্য রুটি অথবা অন্যকিছু। এবং পথে চলার সময় তিনি তা গোপনে দান করে দিতেন। আমি তাকে বলতে শুনেছি: যেহেতু আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে অর্থাৎ মুসলিম উম্মতকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে গোপনে আলাপচারিতার পূর্বে সাদাকাহ করার আদেশ দিয়েছেন, তাহলে আল্লাহর সাথে গোপন আলাপচারিতা (মোনাজাত) করার পূর্বে সাদাকাহ করাটা বেশি ফযিলতপূর্ণ এবং ফযিলত প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অধিক অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত৷"

📚 যাদুল মা'আদ, ১/৩৯৪


قال ابن القيم رحمه الله تعالى: "وشاهدتُ شيخ الإسلام ابن تيمية قدس الله روحه إذا خرج إلى الجمعة يأخذ ما وجَد في البيت من خبز أو غيره، فيتصدق به في طريقه سرًّا، وسمعتُه يقول: إذا كان الله قد أمرَنا بالصدقة بين يدي مناجاة رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم؛ فالصدقة بين يدي مناجاته تعالى أفضلُ وأولى بالفضيلة"
زاد المعاد ١/٣٩٤

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 13:30


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মু'আয ইবনু জাবাল রাদ্বি'আল্লাহু আনহুর সর্বশেষ কথোপকথন:


যখন নবীজী মু'আযকে ইয়ামানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করে পাঠাচ্ছিলেন, সেই বিদায়ী মুহুর্তে তিনি মু'আযকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য কিছুদূর হেঁটে গেলেন। এসময়ে মু'আয তার বাহনের পিঠে আরোহী হিসেবে  ছিলেন, আর নবীজী তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনি মু'আযকে উদ্দেশ্য করে বেশ কিছু উপদেশ দিচ্ছিলেন, তারপর তিনি তার কথা শেষ করলেন এভাবে:

"হে মু'আয! সম্ভবত আজকের পরে তোমার সাথে আমার আর সাক্ষাৎ হবে না। হয়তো একদিন তুমি আমার মসজিদ (মসজিদে নববী) অথবা আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে।"

এ কথা শোনামাত্রই মু'আয রাদ্বি'আল্লাহু আনহু নবীজীর ইন্তিকালের কথা স্মরণ করে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন। নবীজী তাকে স্বান্তনা দিয়ে তখন বললেন: "মু'আয, তুমি কান্না করো না। কান্না করারও একটা সময় আছে। তাছাড়া এরকম অতি কান্না শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।"

এ কথা বলে নবীজী তাকে বিদায় দিয়ে মদিনার দিকে পথ চলা শুরু করলেন। আর বলতে লাগলেন: " আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে মুত্তাকীগণ (আল্লাহভীরু), তারা যেই হউক না কেন, যেখানেই থাকুক না কেন "।

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 13:30


উৎস: মাজমু' আয যাওয়ায়িদ, ৯/২২। হাইছামী বলেছেন, এই হাদিসের সমস্ত বর্ণনাকারীই বিশ্বস্ত। শাইখ আলবানী তার সংকলিত সিলসিলাতুল আহাদিস আস সাহিহাহ গ্রন্থে (২৪৯৭) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। শাইখ মুকবিল বিন হাদী তার  সহিহুল মুসনাদ মিম্মা লাইসা ফিস সাহিহাইন গ্রন্থে (১১০৮) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।  এছাড়া এই হাদিসটি মুসনাদ আহমাদ (২২০৫২), সহিহ ইবন হিব্বান (৬৪৭) এ উল্লেখ আছে।

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 09:32


'আতা ইবন দিনার رحمه الله (মৃত্যু ১২৬ হিজরি) বলেন :

"সমস্ত প্রশংসা জ্ঞাপন করি সেই আল্লাহর জন্য যিনি বলেছেন:

والكافرون هم الظالمون

"এবং কাফিররাই হলো যালিম" [সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৫৪]

এবং তিনি কিন্তু বলেন নি যে- "যালিমরাই কাফির'".

[তাফসিরে কুরতুবি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২৬২]


قال عطاء بن دينار: والحمد لله الذي قال{والكافرون هم الظالمون}
ولم يقل الظالمون هم الكافرون

[تفسير القرطبي ٤/٢٦٢]

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 06:31


শাইখ ইবন তাইমিয়্যাহ  رحمه الله বলেন:

“ বীরত্ব কোনো শারীরিক শক্তির নাম নয়, এবং কখনো কখনো এমন হয়ে থাকে যে - কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে শক্তিশালী, অথচ অন্তরের দিক থেকে দুর্বল। অতএব, বীরত্ব হলো অন্তরের শক্তি এবং এর দৃঢ়তার নাম।"

[মাজমু' আল ফাতাওয়া, খণ্ড ২৮, পৃষ্ঠা ১৫৮]

‏قال ابن تيمية رحمه الله :

الشجاعة ليست هي قوة البدن،
وقد يكون الرجل قوي البدن ضعيف القلب
و إنما هي قوة القلب وثباته .

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 03:01


অনুবাদ: আব্দুর রাফি জয়

Athari PDF's(Bengali)

07 Nov, 03:01


ইমাম মুসা আল হাজ্জাওয়ি (৮৯৫ হিজরি-৯৬০ হিজরি) বলেন:


" ঈমানের দৃষ্টান্ত হলো এমন এক শহরের মতো যাতে ৫ টি দুর্গ আছে। এর মধ্যে ১ম দুর্গটি স্বর্ণের তৈরি, ২য় টি রূপার তৈরি, ৩য় টি লোহার তৈরি, ৪র্থ টি পোড়া ইটের তৈরি এবং ৫ম টি কাদামাটির তৈরি।

যতক্ষণ অবধি শহরের লোকেরা কাদামাটির তৈরি দুর্গটিকে প্রতিরক্ষা করতে পারবে, ততক্ষণ অবধি শত্রু পরবর্তী দুর্গের নাগাল পাবে না। কিন্তু তারা যদি এই দুর্গটিকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শত্রুরা পরবর্তী দুর্গে প্রবেশ করবে এবং তারপর এরপরের দুর্গে প্রবেশ করবে, এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না সমস্ত দুর্গগুলো ধ্বংস হচ্ছে।

একইভাবে ঈমান হলো ৫ টি দুর্গের মতো। এর ১ম টি হলো ইয়াকিন, ২য় টি হলো ইখলাস, ৩য় টি হলো ফরয ইবাদতসমূহ পূর্ণরূপে আদায় করা, ৪র্থ টি হলো সুনান (সুন্নাহ) এবং ৫ম টি হলো আদব (শিষ্টাচার)।

যতক্ষণ অবধি কোনো লোক তার আদব কে হিফাযত করে চলবে, ততক্ষণ অবধি শয়তান তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। কিন্তু সে যদি তার আদব ছেড়ে দেয়, তাহলে শয়তান তার সুন্নাহর নাগাল পেয়ে যাবে, তারপর ফরয ইবাদতসমূহ, তারপর ইখলাস এভাবে চলতেই থাকবে যতক্ষণ না সে (শয়তান) তার ইয়াকিনের নাগাল পায়। "

📚 [غذاء الألباب (1/37 )]

Athari PDF's(Bengali)

06 Nov, 09:07


ইমাম ইবন কুদামা এবং অন্যান্য কিবার হাম্বলি আলিম হাত্তিনের যুদ্ধে (১১৮৭ সাল) অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা সকলেই সুলতান সালাহউদ্দিন আল আইয়ুবীর নেতৃত্বে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ইবন কুদামার সহোদর "আবু উমার আল মাকদিসি"-র জীবনী উল্লেখ করতে গিয়ে হাফিয ইবন কাসির রহিমাহুল্লাহ বলেন:

وكان هو وأخوه وابن خالهم الحافظ عبد الغني وأخوه الشيخ العماد: لا ينقطعون عن غَزاة يخرج فيها الملك صلاح الدين إلى بلاد الفرنج، وقد حضروا معه فتح القدس الشريف وغيرها

" তিনি (আবু উমার আল মাকদিসি) এবং তার ভাই (ইবন কুদামা) এবং তার মামাতো ভাই হাফিয আব্দুল গণি আল মাকদিসি এবং তার ভাই শাইখ আল 'ইমাদ এমন কোনো যুদ্ধে অংশ নিতে পিছপা হন নি, যে যুদ্ধে বাদশাহ সালাহউদ্দিন ফ্রাংকদের ভূমিতে (ক্রুসেডারদের ভূমিতে) অভিযানে গিয়েছেন। তারা সকলেই তার (সালাহউদ্দিন আল আইয়ুবী) সাথে কুদস শরীফ বা বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয় এবং অন্যান্য যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন " [আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ১৭/২১]

Athari PDF's(Bengali)

06 Nov, 05:52


1. মাইমুন ইবন মিহরান বলেন:

"একজন নারীর কক্ষে প্রবেশ করো না, যদিওবা তুমি বলো যে: আমি তো তাকে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) শিখাবো" [সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৫/৭৭]

2. হিকাম ইবন সালাম বলেন:

আমি সুফইয়ান আস সাওরী রহিমাহুল্লাহর নিকটে ছিলাম। তখন এক নারী তার কাছে এলো। সে বললো: " আমি আপনাকে কিছু মাস'আলা জিজ্ঞেস করতে চাই "। তখন সুফইয়ান উত্তর দিলেন: " দরজার আড়ালে যাও এবং দরজার পিছন থেকে কথা বলো "
[যাম্মুল হাওয়া,১৩৫]

Athari PDF's(Bengali)

04 Nov, 14:54


ইয়াস বিন আমির বলেন: আলী ইবনু আবি তালিব আমার হাত ধরলেন এবং বললেন:

"যদি তুমি আমার পরে জীবিত থাকো, তাহলে তুমি ৩ শ্রেণির লোককে দেখতে পাবে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে। এক শ্রেণির লোক কুরআন তিলাওয়াত করবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে, অপর শ্রেণির লোক তিলাওয়াত করবে তর্ক-বিতর্কের উদ্দেশ্যে এবং তৃতীয় আরেক শ্রেণির লোক তিলাওয়াত করবে দুনিয়াবি স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এদের মধ্যে যে যা অন্বেষণ করবে তা-ই অর্জন করবে।"

সুনান আদ দারিমি, ৩৩৭২, সনদ সহিহ

Athari PDF's(Bengali)

01 Nov, 13:01


শাইখ আল ফাওযান (আল্লাহ তাকে রহম করুন) বলেছেন,
অসুস্থ হৃদয়ের চিকিৎসা পাওয়া যায়
- কুরআনে
- তওবা করা
- নেক আমলে

ইমাম ইবনুল কাইয়িম (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) এর আদ দা'আ ওয়াদ দা'ওয়া' এর ব্যাখ্যা।

উসামা বিন শুরাইক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী (ﷺ) বলেছেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন কোনো অসুখ নির্ধারণ করেননি, যদি না তিনি তার চিকিৎসাও নির্ধারণ করে থাকেন। যারা তা জানে, তারা জানে; আর যারা অজ্ঞ, তারা অজ্ঞ থাকে।”

- ৪/ ২৭৮ [মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১৮৪৫৬]


 'আদ দা'আ ওয়াদ দা'ওয়া' (الْدَاعَةُ وَ الدَّوَاءُ) এর উপর নোট

Athari PDF's(Bengali)

23 Oct, 12:23


উৎস: উলামাউন নাজদ, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বাসসাম।

©Abdur Rafi Joy

Athari PDF's(Bengali)

23 Oct, 12:22


শাইখ আব্দুর রহমান ইবন নাসির আস সি'দি এর জীবনী থেকে জানা যায়, তিনি তার প্রবন্ধে এবং খুতবায় মুসলিমদের সমসাময়িক বিষয় এবং তাদের দুর্দশার ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। এবং তার জুমু'আর খুতবাগুলো ছিলো খুবই বাস্তবধর্মী এবং মুসলিমদের বাস্তব অবস্থা এবং দুর্দশার আলোচনা কেন্দ্রিক।

যখন ১৩৭৫ হিজরিতে (অর্থাৎ ১৯৫৬ সালে) মিশরের বিরুদ্ধে ত্রিশক্তি-র (ফ্রান্স, ইংল্যান্ড এবং ইযরাঈল) আগ্রাসন ঘটে, শাইখ এই আগ্রাসনের মাত্রা আঁচ করতে পেরেছিলেন। তিনি জুমু'আর দিনে এই বিষয়ে লোকদেরকে খুতবা দিলেন এবং তার সাথে সাথে লোকেরা মুসলিমদের বিজয়ের জন্য এবং কাফির শক্তির চক্রান্তকে নস্যাৎ করার জন্য আল্লাহর কাছে তাদের দু'আর আর্জি জ্ঞাপন করে। আল্লাহ তা'আলা তাদের সেই দু'আ কবুল করেছিলেন।

পরবর্তী শুক্রবারে শাইখ মুসলিমদেরকে অভিনন্দন এবং সুসংবাদ জানিয়ে আরেকটি খুতবা দিলেন এবং তাদেরকে আল্লাহর এই বাণীটি স্মরণ করিয়ে দিলেন :

“আর আল্লাহ কাফিরদেরকে তাদের রাগের অবস্থাতেই ফিরিয়ে দিলেন, তারা কোন কল্যাণ লাভ করতে পারেনি। যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, মহাপরাক্রমশালী”

[সূরা আহযাব, আয়াত ২৫]

Athari PDF's(Bengali)

22 Oct, 04:37


আজকের আয়াত/হাদিস

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

“বড় বড় বিপদ-মুসীবাতের পরিণাম বড় পুরস্কার। আল্লাহ তা’আলা কোনো জাতিকে ভালোবাসলে তাদেরকে বিপদাপদ দিয়ে পরীক্ষা করেন। যারা এতে সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত থাকে তাদের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি রয়েছে।
আর যে জাতি এতে অসন্তুষ্ট হয়, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি”।


রেফারেন্স:
তিরমিযী ২৩৯৬; ইবনু মাজাহ্ ৪০৩১; শু‘আবুল ঈমান ৯৩২৫; শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৩৫; সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ১৪৬; সহীহ আত্ তারগীব ৩৪০৭; মিশকাত ১৫৬৬

হাদিসের মান: হাসান (Hasan)
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=56126

Athari PDF's(Bengali)

16 Oct, 12:28


ইমাম আহমদকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল এবং একজন মানুষ তার কাছে এসে বলল: "আমার কানে ফিসফিস করে বলুন যে, কুরআন সৃষ্ট, যাতে আমি আপনাকে খলিফার চাবুক থেকে বাঁচাতে পারি!"
তাই ইমাম আহমদ ফিরে উত্তর দিলেন: "আমার কানে ফিসফিস করে বলুন যে, কুরআন সৃষ্ট নয়, এটি আল্লাহর বক্তব্য, যাতে আমি আপনাকে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারি!"

[المنهج الأحمد ١/٣٥]

Athari PDF's(Bengali)

26 Sep, 12:35


জাহমীদের জন্য সবচেয়ে কঠিন হাদিস.............

তাদের অন্তরে সবচেয়ে কঠিন এবং আঘাতকারী বিষয় হলো "আল্লাহ আযযা ওয়াজাল এর সিফাত বা গুণাবলী সাব্যস্ত করা"। একারণেই উসমান ইবনু সাঈদ রহিমাহুল্লাহ তার "নাকদু আলা বিশর" কিতাবে
যখন হাদিসুন নুযুল (আল্লাহ তা'আলার নিকটতম আকাশে অবতরণ সম্পর্কিত বর্ণনা) এর আলোচনা এসেছে যেখানে বিবৃত আছে: " আল্লাহ তা'আলা প্রতিরাতের শেষ এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতেই দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, এবং বলেন- এমন কেউ আছে কি যে আমার কাছে দু'আ করবে, আর আমি তাতে সাড়া দিব??...... (হাদিসের শেষ পর্যন্ত)"

উসমান বলেন: এটি হলো জাহমীদের জন্য সবচেয়ে কঠিন হাদিস। তারা এই হাদিস শোনা টা সহ্য করতে পারে না। তাদের জন্য বিষয়টা কঠিন। তারা আকাঙ্খা করে, "আহা রে, যদি এই হাদিস টা উল্লেখ না করা হতো!! "

কেন, বলুন তো?? এর কারণ হলো- এই হাদিসটি আল্লাহর অবতরণ, আল্লাহর ঊর্ধ্বে থাকা এবং কথা বলার গুণকে সাব্যস্ত করে। এটা এমন কিছু যা তারা সহ্য করতে পারে না। অনেকটা এমন যে, তাদের কানে এবং অন্তরে যেন বজ্রপাতের আওয়াজ আঘাত করছে, যখন এই হাদিসটা পড়া হয়। আর আহলুস সুন্নাহ, আলহামদুলিল্লাহ, এসকল দলিলগুলো শুনে তাদের ঈমান এবং আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণের মনোভাব বেড়ে যায়।
আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা তাদের বেড়ে যায় ,যখন এই নসগুলো পাঠ করা হয়। এর কারণ হলো - তাদের অন্তরগুলো খাঁটি- তাদের বক্ষ নিরাপদ, বিদ্বেষমুক্ত - তাদের অন্তরে কোনো প্রতারণা নেই।
তারা পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে এসকল দলিলগুলো গ্রহণ করে।

" অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।" (সূরা নিসা, আয়াত ৬৫)

-শাইখ সালিহ আস সিন্ধি

Athari PDF's(Bengali)

20 Sep, 13:18


ইবনুল কায়্যিম বলেন:

“অন্তরের রোগ হয়ে থেকে শুবুহাত (সন্দেহ) এবং শাহাওয়াত (প্রবৃত্তির অনুসরণ) - এই ২ জিনিসের কারণে।  আর কুরআন হলো এই দুই জিনিসের প্রতিষেধক” (ইগাসাতুল লাহফান)

‎● [إغاثة اللهفان  ١\٧٠]

Athari PDF's(Bengali)

20 Sep, 10:23


আজকের আয়াত/হাদিস

আবূ হুরায়রাহ্ রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

“মানুষের সামনে এমন একটি যুগ আসবে, যখন কেউ কী উপায়ে ধন-সম্পদ উপার্জন করবে, হারাম না হালাল উপায়ে- এ ব্যাপারে কেউ কোনো প্রকার পরোয়া করবে না।”



রেফারেন্স:
বুখারী ২০৫৯, ২০৮৩; নাসায়ী ৪৪৫৪; সহীহ আল জামি‘ ৮০০৩; সহীহ আত্ তারগীব ১৭২২; মিশকাত ২৭৬১

হাদিসের মান: সহিহ (Sahih)

http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=68088

Athari PDF's(Bengali)

20 Sep, 05:24


اللهم صَل وسلم على نبينا محمد

আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম 'আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ

❝আমি মনে করি না এমন কেউ আছে যে আল্লাহ এবং তার রাসুলকে ভালোবাসে অথচ সম্মানিত নবী ﷺ এর উপর দরুদ পাঠ করা ছেড়ে দিবে❞ 

-শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমিন
● [لقاء الباب المفتوح ٢٣٤]

Athari PDF's(Bengali)

19 Sep, 20:04


শাইখ সালিহ আল ফাওযান বলেন:

"চিন্তা করে দেখো, কেন তোমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তুমি কোন দিকে যাচ্ছো?? নিশ্চয়ই বিবেকবান লোকেরা চিন্তামগ্ন থাকে যাতে তারা লিপ্ত আছে এবং এর সামনে কি কি আছে। সুতরাং তারা আগামীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এই দুনিয়া হলো অস্থায়ী জায়গা কিন্তু আখিরাত হলো চিরস্থায়ী নিবাস। এই দুনিয়া হলো কাজ করার জায়গা, আর আখিরাত হলো প্রতিদান পাওয়ার জায়গা।সুতরাং নিজের বাস্তবতাকে চিনতে শিখো। আল্লাহ তোমার উপর রহম করুক। প্রত্যেক মানুষই যেন ভেবে দেখে তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ এর জন্য কি প্রস্তুত করেছে।

" আর যে ব্যক্তি তার রব্বের সাথে সাক্ষাৎ কামনা করে সে যেন ভালো কাজ করে এবং তার রব্বের ইবাদতে কাউকে শরিক সাব্যস্ত না করে "
(সূরা কাহফ, ৮:১১০)


[ ইউটিউবে শাইখের এক বক্তব্যের অনুবাদ ]

Athari PDF's(Bengali)

19 Sep, 20:01


আমর ইবনুল আস রাদ্বি'আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:

"কথা হলো ওষুধের মতো।এর পরিমাণ অল্প হলে উপকার বয়ে আনে কিন্তু অতিরিক্ত হলে মরণঘাতী রূপ লাভ করে"

● {ربيع الابرار ١/٣٩٢}

Athari PDF's(Bengali)

19 Sep, 19:59


ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেন :

❝পাপের বহু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো এগুলো তোমার থেকে ইল্ম ছিনিয়ে নিবে❞

‎● {الداء والدواء صحفة ٦٥}

Athari PDF's(Bengali)

18 Sep, 17:20


সাঈদ ইবন 'আমের আদ্ব-দ্বুবা'ঈ (২০৮ হিজরী)

দুইশত শতাব্দীর শুরুতে বসরাবাসীর ইমাম সা'ঈদ ইবন 'আমের আদ্ব-দ্বুবা'ঈ থেকে বর্ণিত, তার নিকটে জাহমিয়্যাদের আলোচনা করা হলে তিনি বলেন,

اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عَلَى الجَهْمِيَّةُ أَشَرُّ قَوْلًا مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، قَدِ اجْتَمَعَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، وَأَهْلُ الْأَدْيَانِ أَنَّ

الْعَرْشِ، وَقَالُوا هُمْ لَيْسَ عَلَى الْعَرْشِ شَيْءٌ .

“তাদের মতবাদ ইয়াহুদী খ্রিষ্টানদের চেয়েও জঘন্য। সমস্ত ধর্মের অনুসারীরা মুসলিমদের সাথে একমত যে, আল্লাহ আরশের উপরে রয়েছেন। আর তারা বলে, 'আরশের উপর কিছুই নেই।"(১)

(১) এটি ইবন আবী হাতিম স্বীয় কিতাবে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ বুখারী, খলকু আফ'আলিল 'ইবাদ, পৃ. ৩০; ইবন তাইমিয়্যাহ, ফাতাওয়া(৫/৫২); যাহাবী, আল-'উলূ, পৃ. ১১৭; আল-'আরশ ২/২৬৪, অনুবাদ: আব্দুল্লাহ মাহমূদ।