Focused @banglafocused قناة على Telegram

Focused

Focused
2,066 مشترك
417 صورة
1 فيديو
آخر تحديث 06.03.2025 01:45

The Rise of Focused Marketing in Bangladesh

বাংলাদেশে ফোকাসড মার্কেটিংয়ের ধারণাটি গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। এখানে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রধানত সামাজিক মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে, প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মার্কেটিং কৌশলগুলি পুনর্মূল্যায়ন করছে। ফোকাসড মার্কেটিং কৌশলগুলি ক্রেতাদের নিখুঁত চাহিদা ও আগ্রহের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, যা তাদের জন্য নির্দিষ্ট বার্তা প্রবাহিত করে। এই প্রক্রিয়ায় সংস্থাগুলো তাদের উৎপাদন ও পরিষেবাগুলির সঠিক বাজার খুঁজে পাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে বাজারের সম্পর্ককে পুনর্নবীকরণ করছে।

ফোকাসড মার্কেটিং কি?

ফোকাসড মার্কেটিং হলো একটি কৌশল যা ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য শ্রোতা বা গ্রাহক গোষ্ঠীর প্রতি তাদের মার্কেটিং প্রচেষ্টা কেন্দ্রিত করতে সাহায্য করে। এটি বাজারে একটি নির্দিষ্ট স্থান পেতে এবং গ্রাহকদের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করে।

ফোকাসড মার্কেটিং মার্কেটিংয়ের ঐতিহ্যবাহী কৌশলগুলির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরী হতে দেখা গেছে, কারণ এটি ব্যক্তিগতকৃত অভিজ্ঞতা তৈরি করে এবং গ্রাহকদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে।

বাংলাদেশে ফোকাসড মার্কেটিংয়ের প্রভাব কি?

বাংলাদেশে ফোকাসড মার্কেটিংয়ের প্রভাব বেশ ইতিবাচক। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কৌশলগুলো পুনর্গঠনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে আরও বেশি পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এটি তাদের ব্যবসায়িক বৃদ্ধি এবং লাভের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া, ফোকাসড মার্কেটিং স্থানীয় ব্যবসায়ীগুলোর জন্য প্রশিক্ষণেরও সুযোগ তৈরি করছে, যাতে তারা তাদের পণ্য বা পরিষেবাগুলির প্রচারে আরও কার্যকরী হতে পারে।

কিভাবে ফোকাসড মার্কেটিং কার্যকরী হয়?

ফোকাসড মার্কেটিং কার্যকরী হয় যখন ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য শ্রোতার আচরণ এবং পছন্দ বুঝতে পারে। লক্ষ্য শ্রোতাদের গবেষণা করার মাধ্যমে, তারা তাদের বার্তা এবং অফারগুলি কাস্টমাইজ করতে পারে যা তাদের জন্য আকৃষ্ট হয়।

এছাড়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করা ফোকাসড মার্কেটিংয়ের আরও শক্তিশালী উপায়।

ফোকাসড মার্কেটিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশল কি?

ফোকাসড মার্কেটিংয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা, ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করা, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকা।

এছাড়া, গ্রাহকদের সঠিক সেগমেন্টেশন এবং তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু তৈরি করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ফোকাসড মার্কেটিং কোন পণ্য বা সেবা জন্য সবচেয়ে উপকারী?

ফোকাসড মার্কেটিং সাধারণভাবে আমদানিকারক পণ্য, ডিজিটাল পরিষেবা, এবং ছোট ব্যবসায়ের জন্য উপকারী। এই ধরনের পণ্য ও পরিষেবাগুলি নির্দিষ্ট গ্রাহক গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে সহায়ক।

বিশেষ করে, বিপণন পণ্য এবং প্রযুক্তিগত পরিষেবাগুলির ক্ষেত্রে ফোকাসড মার্কেটিংয়ের প্রভাব বেশি দেখা যায়।

قناة Focused على Telegram

Are you looking for a community that is dedicated to self-improvement and personal growth? Look no further than 'Focused' on Telegram! With the username '@banglafocused', this channel is designed to provide you with daily motivation, inspiration, and guidance to help you become the best version of yourself. Whether you are struggling with setting goals, staying motivated, or just need a little push in the right direction, 'Focused' has got you covered. The content shared in this channel is curated to help you develop a positive mindset, cultivate good habits, and achieve your full potential. Join 'Focused' today and start your journey towards a more focused and fulfilling life!

أحدث منشورات Focused

Post image

#পরিচিতি
সালাফী মানহাজ
===============
সালাফী মানহাজ হল ইসলামের একটি দর্শন ও পদ্ধতি, যা কুরআন ও সহিহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে ইসলামের মূল শিক্ষাকে বোঝার এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এই পদ্ধতিতে সালাফে সালেহীন (আদি তিন প্রজন্ম—সাহাবা, তাবিঈন ও তাবে-তাবিঈন) এর বুঝ এবং আমলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।


সালাফী মানহাজের মূলনীতিঃ

১. শুদ্ধ আকিদা:

> তাওহীদকে (আল্লাহর একত্ব) সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
> শিরক ও বিদআত থেকে দূরে থাকা।

২. কুরআন ও সহিহ হাদিসের অনুসরণ:

> ইসলামের সমস্ত বিধান কুরআন ও রাসুল (ﷺ)-এর সহিহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
> দুর্বল ও জাল হাদিস পরিহার করা হয়।

3. সালাফে সালেহীনের অনুকরণ:

> ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা সাহাবা, তাবিঈন ও তাবে-তাবিঈনের বুঝ অনুযায়ী গ্রহণ করা।
> নতুন মতবাদ ও কল্পিত বিশ্বাস পরিহার করা।


4. বিদআত পরিহার:

> ইসলামিক ইবাদত ও বিশ্বাসে নতুন সংযোজন থেকে দূরে থাকা।
> শুধুমাত্র রাসুল (ﷺ) ও সাহাবাদের দেখানো পদ্ধতিই অনুসরণ করা।

5. শরিয়াহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা:

> ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ইসলামী আইন অনুসরণ করা।
> ইজতিহাদের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য আলিমদের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা।

সালাফী মানহাজ নিজেকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ-এর অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে এবং সঠিক ইসলামের অনুসরণকারী হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করে।

সালাফী মানহাজ মূলত ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিশুদ্ধ শিক্ষা অনুসরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটি পথ। এটি ইসলামের মৌলিক শিক্ষাকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং মুসলিমদেরকে কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনার দিকনির্দেশনা দেয়।

(সূত্র: "শরহুস সুন্নাহ" - ইমাম আল বারবাহারি, "মাজমুউল ফাতাওয়া" - ইবনে তাইমিয়া, সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থসমূহ)

05 Mar, 01:04
61
Post image

Focused #169

এভাবেই দু'আ করতে হয়!
===================
যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
_ শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাসির (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে সংগৃহীত এই আর্টিকেলে আমরা জানব দু'আ কবুল হওয়ার কিছু উপায় যা আমাদের জীবনকে সহজ করবে ইনশাআল্লাহ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ألظوا ب-يا ذا الجلال والإكرام

“তোমরা ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’
অর্থ: হে মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী।
-কে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকবে (দু‘আয় বেশি বেশি বলবে)।”
[মুসতাদরাক হাকিম; ১/৬৭৬, মুসনাদ আবী ইয়ালা;, ৬/৪৪৫, সুনানুত তিরমিযী (আনাস থেকে); ৫/৫৩৯-৫৪০, (নং ৩৫২৪, ৩৫২৫), সহীহুল জামিয়িস সাগীর; ১/২৬৯, নং ১২৫০, সিলসিলাতুস সহীহাহ; ৪/৪৯-৫১। হাদিসটি সহীহ]

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ

“তোমরা সবসময়,
يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
(ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।)
অর্থাৎ: হে মহিমময়, মহানুভব।
পাঠ করাকে অপরিহার্য করে নাও।”
[সুনান আত তিরমিজী;৩৫২৪, সহীহাহ হাঃ; ১৫৩৬]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে কঠিন কাজ হাযির হলে তিনি বলতেনঃ
يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ
উচ্চারণঃ “ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আস্‌তাগীস।”

অর্থ: হে চিরজীবি, হে চিরস্থায়ী! আমি তোমার রহমতের ওয়াসীলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি। [সুনান আত তিরমিজী;৩৫২৪]

আবু উমামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ لِلّٰهِ مَلَكًا مُوَكَّلًا بِمَنْ يَقُوْلُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ، فَمَنْ قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ الْمَلَكُ: إِنَّ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
قَدْ أَقْبَلَ عَلَيْكَ فَاسْأَلْ.

‘আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন নির্ধারিত ফিরিশতা আছেন। কোনো বান্দা তিনবার ইয়া আরহামার র-হিমীন (হে সর্বাপেক্ষা দয়ালু সত্তা!) বললে সে ফিরিশতা বলেন, আরহামুর র-হিমীন তোমার প্রতি মনযোগী হয়েছেন। এখন তুমি চাও।’

(আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং : ১৯৯৬, সহীহ)।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই ভাবে দু'আ করার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে আমাদের দরকারী ও কাঙ্খিত জিনিসগুলো চেয়ে নেওয়ার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

04 Mar, 08:24
449
Post image

Focused #168

আমরা কবে মানুষ হবো?
==================
১ কেজি গরুর মাংস আর ৭৫০ গ্রাম পোলাও চাল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী আর আমি ৪ জন মিলে খেতে বসছি দুপুরে।খাবার মুখে দেওয়ার আগেই আজে বা জে কমেন্ট করা শুরু করে দিছে মা ছেলে আর বাবা মিলে।

এটা খিচুড়ি নাকি বিরিয়ানি?মজা লাগে না।একটু মুখে দেওয়ার পর বলতেছে লবণ কম মজা লাগে না।এসব শুনে কষ্ট পেয়ে খাবার না খেয়ে উঠে আসছি চোখে টলমল পানি নিয়ে। তারা ৩ জন খেয়ে উঠছে। একটু আগে বলে রাগ করে লাভ নাই যাও খেয়ে নাও।খেতে গিয়ে দেখি শুধু বিরিয়ানি আর এক পিস হাড্ডির সাথে সামান্য মাংস লাগানো। বুক টা ফেঁটে কান্না চলে আসছে।মজা হয়নি খেতে কিন্তু ১ কেজি মাংস ৩ জন মিলে বেছে বেছে খেয়ে নিছে একবারো আমার কথা চিন্তা করেনি।

আমার জন্য অন্তত ১ পিস মাংস রাখতে পারতো?অনেকে বলবেন খাবার লোভী। এখানে লোভের কিছু না,কথা টা ভালবাসার। চোখের পানি থামছেই না কেন জানি।আম্মুকে মিস করতেছি অনেক।মা তো কখনো এমন করে না। পরের বাড়ির ভাতের এতই দাম !!!

-- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোন।

সংযোজন:
১. আপনি পুরুষ কিংবা মহিলা হন না কেন সবসময় চিন্তা করবেন আমাকে যদি কেউ কোন কাজের যথাযথ স্বীকৃতি না দিয়ে দোষারোপ করে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তবে কেমন লাগবে সেই সময়?
২. আমাদের ইসলাম কারোর দোষ ত্রুটি কীভাবে দেখতে বলেছে সেটাও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।
৩. খাবার ভালো না লাগলেও খাবারের দোষ ত্রুটি ধরা অনুচিত। কেউই চায়না যে খাবার খারাপ হোক, তারপরও খারাপ হলে সেই সমস্যা না ধরে গোপনে নরম স্বরে খাবার আরো সুন্দর করার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
৪. স্ত্রীদের সাথে সুন্দর আচরণ করুন। কারণ আপনার বোন, মা বা আপনার মেয়েও কারো না কারো স্ত্রী। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের সাথে সবচেয়ে উত্তম আচরণ করতে বলেছেন।
৫. যাদের স্বভাবই এমন যে সে কোনো কিছুর খুঁত না ধরে থাকতে পারে না তার উচিত নিজেরই আগে নিখুঁত হওয়া।
৬. সর্বোপরি আল্লাহকে ভয় করুন। আপন জনকে ভালোবাসুন। কেউ আপনার কথায় যেন মনে দুঃখ না পান সেদিকে খেয়াল রাখুন।

01 Mar, 15:33
159
Post image

Focused #167

আমরা কেন সাহাবীদের মত শিক্ষা গ্রহণ করিনা?
===========================
কুরআনুল কারীম হল আমাদের হৃদয়ের খোরাক, অন্ধকারের আলো এবং আখিরাতের কঠিন সময়ের বিশ্বস্ত সাথী। এই কারণে কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সবচেয়ে গভীর সম্পর্ক হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাল নয়। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশ সম্বলিত আয়াতাবলি আমাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনা। ভীতির আয়াতসমূহ তিলাওয়াতে আমরা ভীত হইনা, খুশি এবং সুসংবাদের আয়াত তিলাওয়াতে আনন্দিত হইনা।
.
অথচ সাহাবায়ে কেরামের অবস্থা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। তাঁরা ছিলেন কুরআনুল কারীমের জীবন্ত নমুনা। কুরআনুল কারীম তাদের জীবনকে পুরো পালটে দিয়েছিল। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশনার আলোকে তাঁরা পুরো জীবনকে সাজিয়েছিলেন। কুরআনের একেকটি আয়াত তাদের জীবনে যে প্রভাব ফেলতো তা আমাদের জন্য অকল্পনীয়।

বুখারী এবং মুসলিমে সাবিত ইবনে কায়েস রাদিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ جَلَسَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ فِي بَيْتِهِ وَقَالَ أَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ وَاحْتَبَسَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا أَبَا عَمْرٍو مَا شَأْنُ ثَابِتٍ أَشْتَكَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَعْدٌ إِنَّهُ لَجَارِي وَمَا عَلِمْتُ لَهُ بِشَكْوَى ‏.‏ قَالَ فَأَتَاهُ سَعْدٌ فَذَكَرَ لَهُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ثَابِتٌ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْفَعِكُمْ صَوْتًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَلْ هُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ

আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন এই আয়াত নাযিল হলো,

‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ

অর্থাৎ হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করোনা। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। এমনটা করলে তোমাদের নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু তোমরা একটু টেরও পাবে না। - সূরা হুজুরাত ২
.
তখন সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজের ঘরে বসে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, আমি তো জাহান্নামী। এরপর থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মজলিসে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ ইবনু মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, হে আবূ আমর! সাবিতের কি অবস্থা, সে কি অসুস্থ? সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি আমার প্রতিবেশী, তার কোন অসুখ হয়েছে বলে তো জানিনা।
.
বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, পরে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গেলেন এবং তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোঁজ নিয়েছেন বলে জানালেন। শুনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এ আয়াত নাযিল হয়েছে, আর আপনারা তো জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর আমার কণ্ঠস্বরই সবচেয়ে উঁচু হয়ে যায়, সুতরাং আমি তো জাহান্নামী। তখন সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এই কথা বললেন। শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ না, বরং সে তো জান্নাতী। মুসলিম – ১১৯
.
আল্লাহু আকবার! এই ছিল সাহাবায়ে কেরামের কুরআনুল কারীমের আয়াত শুনে ভীত হওয়ার নমুনা। আয়াত নাযিল হওয়ার পর উঁচু আওয়াজের কারণে তিনি এত বেশি ভয় পেয়েছিলেন যে, ঘর থেকেই বের হতে পারছিলেন না। এই ভয়টা ছিল প্রকৃত ভয়। এর ফলে আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে দুনিয়াতেই তাকে এই ভয় থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষনা শুনিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাবিত জান্নাতী।
.
এবার একটু আমরা নিজেদের দিকে দৃষ্টি দেই, আমরা কি কখনো কোন আয়াত পড়ার পর নিজের ভুলের দিকে তাকিয়ে এভাবে ভীত হয়েছি?

স্পষ্ট ভুলের উপর থাকার পরও কেউ সেই সম্পর্কিত আয়াত স্মরণ করিয়ে দিলে ভীত হয়ে কাজটি ছেড়ে দিয়েছি নাকি নিজেকে বড় মনে করে ঔদ্ধত্ব প্রকাশ করেছি?

22 Feb, 01:19
275