کانال Tahlil-তাহলীল @tahlil2122 در تلگرام

Tahlil-তাহলীল

Tahlil-তাহলীল
আমাদের সকল কাজ একমাত্র মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আমাদের পেইজের সকল কনটেন্ট কপিরাইট ফ্রি। কনটেন্ট নিতে কখনো কোনোপ্রকার ক্রেডিট অথবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। 💚
2,842 مشترک
744 عکس
135 ویدیو
آخرین به‌روزرسانی 01.03.2025 16:33

کانال‌های مشابه

Hujur's Thought
3,248 مشترک
Message of Hidayah
3,218 مشترک
Shibir DCW
2,552 مشترک

তাহলীল: ইসলামী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন

তাহলীল একটি ইসলামী ধর্মীয় অনুশীলন যা বিশেষভাবে মৃতদের স্মরণে এবং তাদের জন্য দোয়া করার প্রক্রিয়া। সাধারণত এটি একটি শোকসভার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবরা মিলিত হয়ে মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করেন। এটি মুসলিম সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সাধারণত, তাহলীলের সময় কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ এবং বিভিন্ন দোয়ার মাধ্যমে মৃতদের জন্য সৎকর্মের প্রার্থনা করা হয়। ইসলামের যে পরম পরম্পরা রয়েছে, সেই অনুযায়ী, এটি একটি পবিত্র কার্যক্রম যা মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনে। তাহলীলের মাধ্যমে জনগণ একত্রিত হয় এবং মৃতদের জন্য তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। এটি শুধুমাত্র মৃতদের স্মরণ নয়, বরং জীবিতদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সামাজিক সম্পর্কও দৃঢ় করে।

তাহলীলের মূল উদ্দেশ্য কী?

তাহলীলের মূল উদ্দেশ্য হলো মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করা। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, মৃতদের জন্য করা দোয়া তাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। এতে মৃত ব্যক্তির সৎকর্মের ফলস্বরূপ তাদের আল্লাহর কাছে পৌঁছানোর পথে সহায়তা হয়। এছাড়া, এটি একটি সামাজিক কার্যক্রম হিসেবে কাজ করে, যেখানে পরিবারের সদস্যরা এবং বন্ধু-বান্ধব একত্রিত হয়ে শোকের সময় একে অপরকে সমর্থন করে।

তাহলীলের মাধ্যমে মুসলিম সমাজের মানুষ একসাথে মিলিত হয়ে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করে। এটি কেবল ধর্মীয় দায়বদ্ধতা নয়, বরং একটি মানবিক দায়িত্বও। মৃতের স্মরণে করা দোয়া এবং করুণার মাধ্যমে সমাজে সহযোগিতা ও ঐক্যের সৃষ্টির সুযোগ হয়।

তাহলীলের প্রথা কোথা থেকে এসেছে?

তাহলীলের প্রথাটি ইসলামের যুগ থেকে শুরু হয়। যদিও এটি কুরআন বা হাদিসে একটি নির্দিষ্ট নির্দেশনা হিসাবে উল্লেখ নেই, তবে মুসলিম সমাজে এটি এক ঐতিহ্য হিসেবে দিন দিন গড়ে উঠেছে। এটি মূলত মৃতদের জন্য সৎকর্মের স্মারক হিসেবে গণ্য হয় এবং এর মাধ্যমে জীবিতদের নিজেদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেয়।

বিভিন্ন মুসলিম সংস্কৃতিতে এর অনুশীলন বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে, তবে এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য একই। ইসলামের শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করাই এর মূল লক্ষ্য।

তাহলীলের আয়োজন কিভাবে করা হয়?

তাহলীলের আয়োজন সাধারণত পরিবারের সদস্যদের দ্বারা করা হয়। এটি সাধারণত মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তৃতীয়, সপ্তম, বা চৌদ্দতম দিনে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনের ক্ষেত্রে কোরআন থেকে নির্দিষ্ট আয়াত ও সূরা পাঠ করা হয় এবং দোয়া করা হয়। কিছু মুসলিম টোস্ট রাতের খাবারের আয়োজন করেন, যেখানে আত্মীয়স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও, অনেক জনতা তাহলীলের সময় কিছু বিশেষ খাবার প্রস্তুত করে যাতে সকলে একত্রে ভোজন করতে পারে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কার্যক্রম নয়, বরং সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি মাধ্যমও।

তাহলীলের সময় কি বিশেষ কিছু পাঠ করা হয়?

হ্যাঁ, তাসবিহ, দোয়া এবং কোরআনের বিভিন্ন সূরা পাঠ করা হয়। সাধারণত ফাতিহা ও ইখলাসের সূরা বিশেষভাবে পাঠ করা হয়, যা মৃত ব্যক্তির আত্মার জন্য বরকতের আশা করা হয়। এই পাঠগুলির মাধ্যমে মৃতের সৎকর্মের স্মরণ করা হয় এবং আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

মুলত, তাহলীলের সময় পাঠ করা বিষয়বস্তু গুলি মৃত ব্যক্তির আত্মার জন্য দয়া ও মঙ্গলের প্রতীক। এটি মৃতের জন্য সহানুভূতি এবং শক্তি প্রদানের সাক্ষ্য।

তাহলীলের সামাজিক প্রভাব কী?

তাহলীলের সামাজিক প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মৃতের পরিবারের জন্য এক ধরনের সামাজিক সমর্থন প্রদান করে। যখন পরিবারের সদস্যরা, বন্ধু-বান্ধব, এবং পরিচিতরা একত্রিত হয়ে গুরুত্ব সহকারে তাহলীলের আয়োজন করেন, তখন তারা একে অপরের সঙ্গে সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদর্শন করেন। এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং শোকের সময় একত্রে থাকার অনুভূতি জাগায়।

এছাড়া, তাহলীলের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে একতার সৃষ্টি হয়। এটি সকলকে একত্রিত করে এবং বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে। এই কারণেই তাহলীলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য করা হয়।

کانال تلگرام Tahlil-তাহলীল

তাহলীল-এর মধ্যে আপনি পাবেন একটি অনন্য এবং সমৃদ্ধ সম্প্রদায়। আমাদের পেজে আপনি পাবেন ভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট যা সবসময় স্বতন্ত্র এবং উদ্ভাবনশীল। আমাদের লক্ষ্য হল মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন করা, এবং সে জন্য আমরা পুরো দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সকল কন্টেন্ট কপিরাইট ফ্রি এবং এর ব্যবহার করার জন্য কোনো অনুমতি ছাড়া দেয়া হয়। তাহলীল-এ আপনার জন্য আলাদা একটি পরিবেশ নিয়ে উঠুক এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন। আমরা আপনাকে অভিযোগ, পরামর্শ, এবং মন্তব্যের জন্য উৎসাহিত করছি। এখানে প্রকাশিত 💚 চিন্হটি আমাদের হৃদয়ের সাথে নক্ষত্র।

آخرین پست‌های Tahlil-তাহলীল

Post image

জীবনে আরেকটি রমাদ্বানের বাতাস বয়া শুরু আলহামদুলিল্লাহ। নতুন চাঁদ দেখে দু'আটি পড়ে নিতে পারি ইনশাআল্লাহ!

01 Mar, 12:05
81
Post image

সহজে কুরআন খতম দেয়ার জন্য একটা টিপস-

রমাদ্বানে অন্তত একবার কুরআন খতম দেয়া উচিৎ। এটা কুরআনের হক। রাসুলুল্লাহ ﷺ আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘‘তুমি (অন্তত) ৪০ দিনে কুরআন পাঠ (শেষ) করবে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ২৯৪৭; হাদিসটি সহিহ]

.
প্রতিদিন এক পারা করে শেষ করবেন। এক পারাকে ভাগ করে নিবেন ৫ দ্বারা এবং প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে ভাগ করা অংশটুকু পরে নিবেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো- একনাগাড়ে কুরআন তিলাওয়াত করতে গিয়ে আলসেমি আসার সুযোগ নেই এবং পিঠে ব্যথা হওয়ারও সুযোগ নেই ইনশাআল্লাহ।

.
ধরুন এক পারায় ২০ পৃষ্ঠা। ভাগ করলেন ৫ দিয়ে।
২০÷৫=৪
সুতরাং প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা কুরআন তিলাওয়াত করবেন।

.
বোনেদের ক্ষেত্রে হায়েজের দিনগুলি বাদ দিয়ে হিসাব করবেন। এক্ষেত্রে ভালো হয়, হায়েজের দিনগুলো শুরু হওয়ার আগে বা পরে কুরআন আরেকটু বেশি করে পড়া। অর্থাৎ প্রতিদিন দেড় পারা করে পড়তে পারেন। সে হিসেবে ডেইলি প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পরে ৪ পৃষ্ঠা না পরে ৬ পৃষ্ঠা পড়তে পারেন। (১ পারা = ২০ পৃষ্ঠা হলে)

এভাবে নিজেদের কুরআনের প্রতিটি পারার পৃষ্ঠা হিসাব করে ঝটপট আপনার দৈনন্দিন কুরআন তিলাওয়াত করাকে সহজ করে ফেলুন ইনশাআল্লাহ।

.
প্ল্যানমাফিক একটা ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আর ধারাবাহিক, নিয়মিত আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, 'মনে রেখো, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের আমল হলো যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা পরিমাণে হয় অল্প।’ (মুসলিম : ২৮১৮)

লিখা: Tahlil- তাহলীল

[ Nusus পেইজটি থেকে নেয়া আইডিয়া অনুসারে। আল্লাহ তাদের উত্তম বিনিময় দান করুন আমিন..]

01 Mar, 09:22
129
Post image

Tahlil-তাহলীল pinned «দরুদের ফজিলত অনেক যেমন বেশি বেশি দরুদ পাঠকারী নবীজির সাফায়াত লাভ করবেন, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু দরুদের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত দেয়া হলো। যেহেতু আজ জুমার দিন তাই আসুন আজকে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করি। ❑ একজন সাহাবি রাসূলকে বলেছিলেন, তিনি…»

28 Feb, 05:56
0
Post image

দরুদের ফজিলত অনেক যেমন বেশি বেশি দরুদ পাঠকারী নবীজির সাফায়াত লাভ করবেন, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন ইত্যাদি। এর মধ্যে কিছু দরুদের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত দেয়া হলো। যেহেতু আজ জুমার দিন তাই আসুন আজকে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করি।

❑ একজন সাহাবি রাসূলকে বলেছিলেন, তিনি তাঁর উপর সর্বদা দরুদ পাঠ করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘যদি তুমি তাই করো, তবে তোমার সকল চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করা হবে (প্রয়োজন পূরণ হবে) এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।’’

[তিরমিযি: ২৪৫৭, হাকিম: ২/৪৫৭]
.
❑ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন।”

[সহিহ মুসলিম: ৪০৮]
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০ টি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার জন্য ১০ টি স্তর উন্নীত করবেন।’

[নাসায়ি: ১২৯৭, মুসতাদরাক হাকিম: ১/৫৫০, সহিহ ইবনু হিব্বান: ৯০৪]
.
অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ্ ৭০ বার তার প্রতি রহমত পাঠাবেন এবং ফেরেশতাগণ ৭০ বার রহমতের দু‘আ করবেন।

[মুসনাদ আহমাদ: ২/১৭২, আত তারগিব: ৬৮০]
.
❑ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার উপর দরুদ পড়ো। কেননা এটা তোমাদের জন্য যাকাতস্বরূপ।’’ [মুসনাদ আহমাদ: ৩/৩৬৫, ইবনু আবি শাইবাহ: ৮৭৯৬]
.
❑ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি সব লোকের চাইতে আমার বেশি নিকটবর্তী হবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমার উপর দরুদ পড়বে।”

[সুনানে তিরমিযি: ৪৮৪, সহিহ আত তারগিব: ২/১৩৬]
.
❑ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমুআর দিন। সুতরাং এই দিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে দরুদ পড়ো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার কাছে উপস্থাপন করা হয়।”

[আবু দাউদ: ১০৪৭, নাসায়ি: ১৩৭৪]
.
❑ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দরুদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফা‘আত (সুপারিশ) লাভ করবে।’’

[মাজমাউয যাওয়াইদ: ১৭০২২, সহিহ আত তারগিব: ১/২৭৩, জামি‘উস সগির: ৬/১৬৯]
.
❑ একবার ইবনু মাস‘উদ (রা.) সালাতের বৈঠকে বসে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করেন, অতঃপর রাসূলের উপর দরুদ পাঠ করেন, তারপর নিজের জন্য দু‘আ করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘এখন চাও, তোমার (প্রার্থিত বস্তু) তোমাকে দেওয়া হবে; এখন চাও, তোমার (প্রার্থিত বস্তু) তোমাকে দেওয়া হবে।’’ [তিরমিযি: ২/৪৮৮]
.
❑ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা আমার উপর দরুদ পড়ো। কেননা, আমার উপর দরুদ পড়া তোমাদের জন্য কাফফারা (প্রায়শ্চিত্য)।’’ [ইবনু আবি আসিম, আস সলাতু ‘আলান নাবিয়্যি: ৭৮, ইবনু হাজারের মতে, সনদের রাবিগণ সহিহ হাদিসের রাবি]

-সংগৃহিত

28 Feb, 05:56
205