Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান) @swami_someswar_anudhyan Channel on Telegram

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

@swami_someswar_anudhyan


১) ইউটিউব চ্যানেলঃ সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channel/UC6aChP4nw1k5YsrgywG5Kc

২) টেলিগ্ৰাম চ্যানেলঃ স্বামী সোমেশ্বরানন্দজীর প্রদর্শিত পথে দিব্যত্রয়ীর অনুধ্যান - "স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান।" প্রতিটি গ্রুপ বা চ‌্যানেলে একই পোস্ট করা হয়।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান) (Bengali)

স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম! এই চ্যানেলে আপনি পাবেন স্বামী সোমেশ্বরানন্দজীর প্রদর্শিত পথে দিব্যত্রয়ীর অনুধ্যান। যদি আপনি সাধনার পথে চলতে চান, তাহলে এই চ্যানেলটি আপনার জন্য আদর্শ। এখানে প্রতিটি গ্রুপ বা চ্যানেলে একই পোস্ট করা হয়, যা আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়। আপনি এই চ্যানেলে যোগ দিয়ে অনুধ্যানে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং আপনার বৈয়ক্তিক উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারেন। অতএব, স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান চ্যানেলে যোগ দিন এবং আপনার জীবনের একটি নতুন প্রকাশে পৌঁছান।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Jan, 03:19


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Jan, 00:26


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Jan, 00:24


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: সোমবার, ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২১:১৬
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:১৭:২০
তিথি: (পৌষ কৃষ্ণপক্ষ) ত্রয়োদশী দং ৩৫|৩৫ রাত্রি ঘ ৮|৩৫.
নক্ষত্রঃ মূলা দং ৬|৪৩ দিবা ঘ ৯|২.
শ্রীশ্রী রটন্তী কালিকা পূজা।
শ্রীশ্রী দেবীর রটন্তী যাত্রা।
রাত্রি ঘ ৪|৪৫ গতে রটন্তী চতুর্দশী স্নান।
মেরু ত্রয়োদশী (জৈন)।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 14:12


প্রশ্ন︎ অনেক সময় সঙ্কোচে প্রতিবাদ করতে পারিনা। আবার নিজের ভাল লাগার কাজও করতে দ্বিধা হয়। ভাবি লোকেরা কী বলবে।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●বেদান্ত একটা সুন্দর কথা বলেছে এ ব্যাপারে। আপনি কাজ করার সময় কি অন্তরের তাগিদে (ভেতরের শক্তিতে) করেন অথবা বাইরের প্রভাবে। আপনি কি বিবেক অনুসারে কিংবা অন্যের চাপে সিদ্ধান্ত নেন? বাইরের,তাগিদে মানুষ কাজ করে তখনই যখন সে চিন্তা করে "লোকে কী বলবে?" আর তখনই মনে সঙ্কোচ দেখা দেয়। মনে হয় এটাই আপনার সমস্যা।
কাজের আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য আপনার উন্নতি, অগ্রগতি। এইটি (অন্তর শক্তি) ভুলে গিয়ে যখন বাইরের শক্তিকে প্রাধান্য দেন ("লোক কী বলবে") তখনই সমস্যা দেখা দেয়। আপনার মালিক কে? আপনি না লোকেরা? আগে নিজের পায়ে দাঁড়ান। সবাইকে সবসময় খুশি করেই কি চলবেন? এ কি সম্ভব?
"লোকে কী বলবে!" এই চিন্তার পেছনে রয়েছে নিজের ভাবমূর্তি (image) বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা। কেউ যেন আমাকে খারাপ না বলে। কিন্তু যতই ভাল হন, সবাই আপনাকে প্রশংসা করবেনা। বরং মনে করতে পারে যে আপনি দুর্বল। তাই এ পথ মারাত্মক। পরনির্ভর নয়, আত্মনির্ভর হয়ে উঠুন মানসিক ভাবে।
এভাবে লোকের সাথে ব্যবহার করুন এক সপ্তাহ। অনুভব করতে পারবেন পার্থক্যটা।
====================
প্রশ্ন︎ বলা হয় ঈশ্বর সর্বত্র আছেন। তবে নর্দমার জলে থেকেও তিনি পবিত্র থাকেন কিভাবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●তিনি পবিত্র অপবিত্রের উর্ধ্বে। উদাহরণ দিয়ে বলি। গঙ্গাজল ও নর্দমার জল দুইই H-2 O (এইচ-টু ও)। পবিত্র গঙ্গাজলের অণু ও নর্দমা জলের অণু পবিত্র নয় অপবিত্র নয়। পবিত্র ও অপবিত্রের মধ্যে থেকেও, সর্বত্র অস্তিত্ববান হয়েও, অণু এই সবের উর্ধ্বে। ঈশ্বর তেমনি ভাল মন্দ সবের মধ্যে সবসময় থেকেও সবকিছুর উপরে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 08:45


প্রশ্ন︎ ঠাকুরকে এতো প্রার্থনা করি। তিনি শোনেন না কেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●তিনি শোনেন তবে চাইলেই দেননা। দেখেন আমরা এটা পাওয়ার যোগ্য কিনা। যেমন আপনার ছেলে যা চায়, সবই আপনি দেননা তাকে। যে প্রার্থনা আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ সেই প্রার্থনা বেশি ফল দেয়। হ্যাঁ ঠাকুর কৃপাময় কিন্তু তিনি বলেছেনঃ কৃ মানে করো, পা মানে পাবি। অর্থাৎ সাধনা করলে তবেই পাওয়া যায়। আপনি সাধনা করে যান। বুঝতে পারবেন তাঁর কৃপা। এ আমার মন-গড়া কথা নয়, জীবনের অনুভব।
একটা কথা জিজ্ঞেস করি। আপনি ঠাকুরের জন্য কী করেছেন? শুধু কি নিতেই চান, দিতে নয়? বাতাসা নকুলদানা দেওয়ার কথা বলছি না, তাঁর পথ বা আন্দোলনে আপনি কী দিয়েছেন বা দিচ্ছেন? রামকৃষ্ণের ফৌজে যোগ দিন। অর্থাৎ দীক্ষা নেওয়ার কথা বলছি না, তিনি যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন সেই উদ্দেশ্যে কি আপনিও পথ হাঁটছেন? মানুষের কল্যাণে কী করছেন?
====================
প্রশ্ন︎ শিবকে প্রলয়ের দেবতা কেন বলা হয়? শিব মানে তো কল্যাণ।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●শিব প্রলয়ের, মৃত্যুর দেবতা। কার মৃত্যু? মনের। তিনি সবসময় ধ্যানে রয়েছেন। আর ধ্যানের অর্থ মনের পারে যাওয়া। জীবভাবে প্রলয় ঘটে গেছে। শেষ হয়েছে তার। সাধক জেগে আছেন তার চৈতন্যময় সত্তায়।
শিবের শরীর থেকে একটু দূরে ত্রিশূল। জগৎ গড়ে ওঠে তিন গুণের মিশ্রণে -- সত্ত্ব, রজ, তম। ত্রিশূলের তিনটি শূল তারই প্রতীক। আর ডমরু নাদধ্বনি। শরীরে সাপ হলো কুণ্ডলিনী শক্তি। সামনে নন্দী (ষাঁড়) ধর্ম।
সাধককে বলা হয়েছেঃ আগে ধর্ম পালন করো। শরীর ও মনকে সংযত করে নিজ দিব্যতার প্রকাশ। আরো গভীরে গিয়ে তিন গুণকে অতিক্রম করা। এবার ধ্যানে আরো এগিয়ে যাওয়া, স্থিত থাকা চৈতন্যময় সত্তায়।
শিবের অর্ধাঙ্গিণী আদ্যাশক্তি বারবার প্রকাশিত হচ্ছেন বা জন্মাচ্ছেন। কখনো সতী রূপে, কখনো উমা, আবার কখনো কামাখ্যা, বিন্ধ্যবাসিনী ...। এর অর্থ কী? আদ্যাশক্তি সৃষ্টি করছেন, বিভিন্ন ভাবে নিজেকে প্রকাশ করছেন। তাই সতী দেহত্যাগ করেন, উমা জন্মান, দুর্গার বিসর্জন হয়। তিনি যেন এক নারীর মতোই সাজতে ভালবাসেন। নতুন নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। শক্তির বিভিন্ন রূপ, সৃষ্টি বৈচিত্র্যময়। অজ্ঞানীর চোখে জন্ম মূত্যু। কিন্তু শিব জন্মাননা, মরেনও না। তাঁর জন্মান্তর নেই। তিনি মৃত্যুকে অতিক্রম করেছেন। তাই শিব মৃত্যুর প্রলয়ের দেবতা।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 03:21


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 00:32


https://youtu.be/2D_V3Yc3MNg

*স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ* মহারাজের পূর্বনির্দেশিত আজকের অনুশীলনের অডিও /ভিডিও ক্লিপ।
Subtitles: English

পরিবেশনায়ঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 00:30


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Jan, 00:29


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: রবিবার, ১২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২১:৪২
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:১৬:৪৪
তিথি: (পৌষ কৃষ্ণপক্ষ) দ্বাদশী দং ৩৬|২৩ রাত্রি ঘ ৮|৫৫.
নক্ষত্রঃ জ্যেষ্ঠা দং ৫|১০ দিবা ঘ ৮|২৬.
*প্রজাতন্ত্র দিবস।*
শিক্ষাগ্রতি গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবির্ভাব দিবস।
শ্রীমৎ কেশবপ্রিয় ব্রহ্মচারীর তিরোভাব দিবস।
স্বামী সুতেজানন্দ যতি মহারাজের তিরোভাব দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Jan, 14:43


প্রশ্ন︎ ধর্মের প্রতি আমার আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু নিজেকে ঈশ্বরবিশ্বাসী বলতে পারি না। এখন আমার কী করণীয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ঈশ্বরে বিশ্বাস সাধকের কাছে অত্যাবশ্যক নয়। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে ঈশ্বর প্রসঙ্গ নেই। ধর্ম কী? চেতনার উত্তরণ। এর ফলে সাধক উঁচু থেকে উচ্চতর সত্যকে অনুভব করেন। বাইরে এর প্রকাশ নিঃস্বার্থপরতা, যাকে ত্যাগ বলা হয়। আসক্তি হলো সীমিত ক্ষেত্রে (বিষয়, জীব, চিন্তা) আবদ্ধ থাকা। আর এই ক্ষেত্র থেকে প্রসারিত চেতনা মুক্তির দিকে এগোয়। অতএব আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কি না এ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে দৃষ্টি দিন নিজের মানসিক উত্তরণে।
ভক্তিপথে ঈশ্বরবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বর কী তা না জেনেও বিশ্বাস করে সাধনা করা। লজিক একে বলে axiom. কিংবা বিজ্ঞানের কথা ধরুন। স্কুলের ছাত্র নিউটনের গতিসূত্র পড়ার সময় যদি বলেঃ স্যার, P=mf প্রমাণ করুন, তাহলেই মানবো। শিক্ষক বলবেনঃ এখন মেনে নাও, পরে বুঝবে। কিংবা শিশুর কোনো প্রশ্নে বাবা বলেনঃ বড় হও, তখন বুঝবে। ভক্তি সাধনায় তেমনি ঈশ্বর আছেন এ ধরে নিয়ে এগোতে হয়, পরে ঈশ্বরের প্রমাণ পান সাধক।
====================
প্রশ্ন︎ মোহের অর্থ কী? প্রেম ও মোহ দুইই কি আকর্ষণ নয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে করুন। তিনি বৃন্দাবনকে এতো ভালবাসতেন। বন্ধু, প্রতিবেশি, পাহাড়, নদী তাঁর আপনজন। রাক্ষস, অসুর, অতিবৃষ্টি, বিষধর সাপ, বিপদ থেকে বারবার বাঁচিয়েছেন মানুষদের। বৃন্দাবনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কিন্তু যে মুহূর্তে ডাক এলো মথুরা থেকে, তিনি উঠে বসলেন রথে। বৃন্দাবন ছেড়ে চলে গেলেন। জীবনে আর ফিরে আসেননি। অর্থাৎ বৃন্দাবনবাসীদের প্রতি তাঁর প্রেম ছিল, মোহ নয়। দুর্যোধনের প্রতি ধৃতরাষ্ট্রের মোহ ছিল কিন্তু গান্ধারীর মোহ ছিল না যদিও দু'জনই ভালবাসতেন দুর্যোধনকে।
ভালবাসা যখন বদ্ধ করে মানুষকে তখন তা মোহ (ব্রহ্ম সংকুচিত হওয়া)। আর যখন মুক্ত করে তখন তা প্রেম (ব্রহ্ম প্রসারিত)।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Jan, 09:19


প্রশ্ন︎ আপনি বলেছেন ট্রেনে বাসে যেতে যেতে জপ করা যায়। কিন্তু রোজ লোকাল ট্রেনে যাবার সময় জপ করতে করতে প্রায়ই তাল কেটে যায়। ভিড়, ধাক্কা, শব্দ, কথার আওয়াজ এত বেশি। এই অবস্থায় কী করবো?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●প্রতিকূল পরিবেশকে সুযোগে পরিণত করুন। ধাক্কা খেয়ে, ভিখারির গানে, ট্রেনের শব্দে আপনি বিরক্ত না হয়ে মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। এটাও সাধনা।
দু'বেলা গুরু-নির্দেশিত সাধনা করুন। অন্যান্য সমস্যা আপনার সুবিধেমতো কখনো জপ, কখনো বা গুণাগুণ করে ভজন গান। প্রার্থনা, মন শান্ত রাখা, নিঃস্বার্থভাবে কাউকে সাহায্য করা, কোনো শ্লোক নিয়ে মনে মনে চিন্তা, ধর্মগ্রন্থ পড়া, ইত্যাদি করুন যখন যেমন সুবিধে।
====================
প্রশ্ন︎ জগৎ কুকুরের লেজ। আজ যদি কারোর দুঃখ দূর করি তবে কাল আবার অন্য দুঃখ আসবে। আজ সমাজের উন্নতি করলাম, পরে আবার পতন ঘটবে। তাহলে এই সাময়িক সেবা করে লাভ কী?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আবার পেটও তো কুকুরের লেজ। সকালে ব্রেকফাস্ট খান, দুপুরে পেট খালি হয়ে যাবে। লাঞ্চ নিন, রাতে আবার ক্ষিদে পাবে। রাতে খান, পরদিন ভোরে চা বিস্কুট দরকার হবে। এখন প্রদীপবাবু, আপনার পেটও তাহলে কুকুরের লেজ, সাময়িক ভাবে সমাধান হতে পারে, চিরকালীন নয়।
গীতার উক্তিঃ যজ্ঞের ভাব নিয়ে কাজ করো। যজ্ঞে কী হয়? আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতে হলে মাঝে মাঝে কাঠ দিয়ে যেতে হয়। সব কাজই এমন। নিয়মিত করে যেতে হবে, না হলেই নষ্ট হয়ে যাবে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Jan, 03:07


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Jan, 00:37


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Jan, 00:36


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শনিবার, ১১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২১:৫৮
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:১৬:২
তিথি: (পৌষ কৃষ্ণপক্ষ) একাদশী দং ৩৫|২৫ রাত্রি ঘ ৮|৩২.
নক্ষত্রঃ অনুরাধা দং ১|৫৫ দিবা ঘ ৭|৮.
ষটতিলা একাদশীর উপবাস।
ব্রাহ্মসমাজে মাঘোৎসব।
অমৃতাক্ষর ছন্দের জাদুকর মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিবস।
জননেতা অশ্বিনী কুমার দত্তের জন্মদিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

24 Jan, 14:30


প্রশ্ন︎ ধ্যানের গভীরে অনুভবের কথা লিখেছেন চেতনার ব্যাপক হওয়া। শরীরের বাইরে যাওয়া। এটা কেন হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আপনি নিজের চেতনাকে শরীরের মধ্যে আবদ্ধ বলে অনুভব করছেন কারণ এখন নিজের দেহবুদ্ধিতে কাজ করছেন। অর্থাৎ চেতনাকে মনে করেন শরীরের মধ্যে আবদ্ধ। বিজ্ঞানের ভাষায় bottled-up energy. শক্তি (চেতনা) যেন বোতলে (দেহে) আটকে রয়েছে।
ধরা যাক বর্তমানে আপনি নিজেকে অনুভব করেন ৪১বছরের নারী, সেন পদবীধারী, বাঙালি, এম.এ ....ইত্যাদি। এসব ভাবনা আপনার দেহকে ভিত্তি করে। কিন্তু ধ্যানে যখন মন শান্ত হয়ে যায় তখন এই চিন্তা থাকেনা। অর্থাৎ দেহবুদ্ধি খুব কম থাকায় অন্তরের শক্তি (চেতনা) মুক্ত হয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে বাইরে। এটির অনুভব হয় এভাবে, চেতনা ব্যাপক হয়ে পড়ছে।
==================
প্রশ্ন︎ প্রাণময় কোষ কি? আমরা যে শ্বাস নিই ও ছাড়ি, সেটাই কি এটা?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●না। এটা অন্নময়ের এক ক্রিয়া। বাচ্চারা সবসময় ছোটাছুটি করে যে শক্তিতে সেটা প্রাণময় কোষের ক্রিয়া। অসুস্থ শরীরে বা বৃদ্ধ অবস্থায় যে কেউ কেউ খুব উৎসাহী থাকেন, রোগ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন না, আশাবাদী, এর কারণ এদের প্রাণময় কোষ শক্তিশালী।
Don't just survive, live. এখানে survive বা টিঁকে থাকা হলো প্রাণ। আর live বলতে প্রাণময় কোষে স্থিতি, উদ্যম উৎসাহ নিয়ে বেঁচে থাকা।
একটা উপমা দিয়ে বড় ছবিটা দেখুন। গাড়ি (car) যেন অন্নময় কোষ। প্রাণময় হলো পেট্রল। মনোময় কোষ ড্রাইভার। আর পেছনের সিটে আরামে বসে থাকা যাত্রী বিজ্ঞানময়।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Jan, 15:32


প্রশ্ন︎ হিন্দুধর্মে এত উচ্চ চিন্তা থাকা সত্ত্বেও ইসলাম বেশি প্রচারিত পৃথিবীতে। এ কিভাবে সম্ভব হলো? আজকালকার ছেলেমেয়েরা ধর্ম নিয়ে উদাসীন কেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মুসলমান তার ধর্মের জন্য প্রাণ দিতে পারে। কিন্তু আমি আপনি পারি কী? দেবদেবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ কুৎসা হলে আপনি তার প্রতিবাদ করেন? করেছেন কখনো? নিজের মনকে জিজ্ঞেস করুন। আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। "ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ" -- ধর্মকে রক্ষা করলে ধর্মও তাকে রক্ষা করে।
এবার আসি দ্বিতীয় প্রশ্নে। মনে করুন, আমি এক দোকানদার। এখন আমার দোকানের পণ্য যদি বিক্রি না হয় তবে এর জন্য দায়ী কে? ক্রেতা না পণ্য? আপনার ধর্মকথা যদি আপনার সন্তান না শোনে তাহলে দোষ কার?
কেন শুনছে না? সে তো স্বর্গ নরক নিয়ে চিন্তিত নয়। তার চিন্তা নিজের কেরিয়ার নিয়ে, নিষ্ঠুর পরিবেশে সৎভাবে বেঁচে থাকা নিয়ে, অস্থির বিশ্বে পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে। আপনার ধর্ম কী তাকে এসব দিতে পারে? সে উদ্বিগ্ন পরলোক নিয়ে নয়, ইহলোকের ব্যাপারে। আধ্যাত্মিক নয়, জাগতিক সমস্যাই তাকে চাপে রেখেছে, এ নিয়েই সে বেশি চিন্তিত। সে এর সমাধান আগে চায়।
স্বামী বিবেকানন্দ এ বিষয়েই সচেতন করলেন মানুষকে। তিনি ধর্ম বা বেদান্তকে শুধু আধ্যাত্মিক নয়, প্রচণ্ড জাগতিক শক্তি হিসেবে দেখালেন। বললেনঃ যে শক্তিতে ভবসাগর পার হওয়া যায়, তার সাহায্যে কি নদী খাল পার হওয়া যায়না? তাই তিনি চেয়েছেন বেদান্তকে নিয়ে যেতে ছাত্র শ্রমিক কৃষক গৃহবধূ ধনী গরিব .... সবার কাছে। দেখাতে চাইলেন, ধর্মের সাহায্যে জীবনের প্রতিটি পর্ব প্রত্যেক স্তরকে নবজীবন দিতে হয় কিভাবে। ধর্মকে "রুদ্ধদ্বারে দেবালয়ের কোণে" না রেখে কুরুক্ষেত্রের বিশাল প্রাঙ্গণে নিয়ে গেলেন তিনি।
আজকালকার ছেলেমেয়েরা ধর্মে আগ্রহী নয়, এ কথা ঠিক না। ভারতে সাধু-সন্ন্যাসী হতে আসে মূলত নবীনেরাই। রামকৃষ্ণ মিশনে তাদেরই নেওয়া হয় যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৮-এর মধ্যে। এবং দেখা যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রবল দেশের বিভিন্ন আশ্রম, সঙ্ঘ, মঠ ইত্যাদিতে। অর্থাৎ মিশন ছাড়াও যে নানান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানেও প্রায় একই চিত্র। গত কুম্ভমেলায় এক সার্ভে রিপোর্টে দেখলাম, নাগা সন্ন্যাসীদের মধ্যে ৩৮%-ই ইঞ্জিনিয়ার, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ছিলেন আগে।
ধর্মকে জীবনমুখী করে তোলা দরকার। নিজের সন্তানকে ধর্মশিক্ষা সরাসরি না দিয়ে তার সমস্যার সমাধান রূপে উপস্থাপিত করুন ধর্মকে। শুধু তত্ত্ব না বলে দেখান কিভাবে এর প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ theory-র সাথে plan of action দিন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Jan, 09:04


প্রশ্ন︎ কেউ যদি যুক্তি প্রয়োগ না করে শুধু বিশ্বাস করে সাধনা করে সেকি ধর্মে এগোতে পারে?

--- স্বামী সোমেশ্বরানন্দ

●●●শুধু ধর্মে নয়, বিজ্ঞানেও ছাত্রকে বই ও শিক্ষককে বিশ্বাস করেই অনেক এগোতে হয়। পাড়া, অফিস, সমাজেও অনেক মানুষকে বিশ্বাস করেই চলতে হয়। যুক্তি ও বিশ্বাস, দুইয়েরই প্রয়োজন আছে জীবনে।
বিশ্বাস মাত্রই খারাপ নয়। যে বিশ্বাস আপনার বিকাশ ঘটায়, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, আত্মনির্ভর করে তোলে, এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, এমন বিশ্বাস জীবনে দরকার। আর যে বিশ্বাসে আপনার দুর্বলতা বাড়ে, ক্ষতি হয়, সেই বিশ্বাস অপকারী।
আগে সেই বিশ্বাসকে কুসংস্কার বলা হতো যে বিশ্বাস অযৌক্তিক। কিন্তু বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানে বলা হচ্ছে -- বিশ্বাসকে বিচার করতে হবে তার কার্যকারিতা (function) দেখে। যে বিশ্বাসে উপকার হয়, যে বিশ্বাস গঠনমূলক, মানুষকে উন্নত করে, মানুষকে রক্ষা করে, তেমন বিশ্বাস অযৌক্তিক হলেও জীবনে প্রয়োজন। মেডিক্যাল সায়েন্সে বলে, রোগ নিরাময়ে ব্যক্তির অযৌক্তিক বিশ্বাসও সাহায্য করে সময় সময় (প্লেসিবো এফেক্ট)।
====================
প্রশ্ন︎ জপ করার সময় কী আঙ্গুলে সংখ্যা গুণে করতে হবে নাকি মনে মনে করে যাবো সংখ্যা না রেখে?

-- স্বামী সোমেশ্বরানন্দ

●●●দীক্ষা হয়ে থাকলে গুরুদেব যেমন বলেছেন তেমন করুন। আর দীক্ষা না হলে সাধনায় বসে প্রথমে কর-জপ করুন, অর্থাৎ জপের সময় আঙ্গুলে সংখ্যা গুণতে। সমস্যাঃ এভাবে সংখ্যা রাখার একটা নিয়ম আছে। যাই হোক্ দীক্ষা না হয়ে থাকলে আপনার যেমন সুবিধে তেমনিই করুন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Jan, 04:17


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Jan, 00:07


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Jan, 00:06


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শনিবার, ২৭ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২২:৫৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৬:১০
তিথি: (পৌষ শুক্লপক্ষ) দ্বাদশী দং ৪|৫৮ দিবা ঘ ৮|২২.
নক্ষত্রঃ রোহিনী দং ১৫|১৫ দিবা ঘ ১২|২৯.
দিবা ঘ ৮|২২ মধ্যে একাদশীর পারন।
কূর্মদ্বাদশী ব্রত।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়াণ দিবস।
স্বামী রামদাস কাঠিয়া বাবাজী মহারাজের প্রয়াণ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

10 Jan, 14:23


প্রশ্ন︎ দীর্ঘকালের শিক্ষক হয়ে জীবন একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। অথচ চাকরি ছাড়া সম্ভব নয়। কী করি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আপনি শিক্ষক নন, শিক্ষকের কাজ করেন। যেমন এক ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার নন, মেশিনের কাজ করেন মাত্র। গতানুগতিক দৃষ্টিতে দেখে মানুষ নিজের জীবনকে একমাত্রিক করে তোলে। ছোট বয়স থেকে সমাজের দ্বারা ব্রেনওয়াশড হয়ে সে ভুলেই গেছে যে সে মূলত বহুমাত্রিক। দিনের ৬ বা ৭ ঘন্টার পরিচয়কে সে নিজের সত্তা বলে মনে করে। এরই পরিণতি জীবন একঘেয়ে হয়ে ওঠা।
তার ধর্ম, শখ (hobby), আত্মীয়, রাজনীতি, দর্শন, ব্যবহার, খাওয়া ইত্যাদি মোটামুটি একই থেকে যায় সারা জীবন। সে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চায় না, অজানা রহস্যে ঝাঁপ দিতে ভয় পায়, নিজেকে নতুন করে ভাঙতে গড়তে ইতস্তত করে। আর এরই ফলে ছাঁচে ঢালা জীবনে বাঁধা পড়ে, মৌলিক চিন্তা থাকেনা। এমনকি অন্য কেউ ভিন্ন পথে চললে বা আলাদা দৃষ্টির পরিচয় দিলে সে উদ্বিগ্ন হয়।
আপনি শুধু শিক্ষক নন। আপনি গান গাইতে পারেন, বিজ্ঞানের ছাত্র হয়েও দর্শন পড়ে আনন্দ পান, ইচ্ছা হলে ২-১দিন রাস্তায় ভিক্ষা করতে অসুবিধে হয়না। দোকানে মাল বিক্রি, সিনেমায় অভিনয় করা, হাস্যকৌতুক শোনানো, রান্না, পুজোর প্যান্ডালে ধুনুচি নাচ .... অনেক কিছুই পারেন আপনি। বহুমাত্রিক মানুষ, শতদল পদ্ম, সূর্যালোকের মতো বহুবর্ণ, আকাশের নানা shade, নাটকের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র, এ সবই আপনি। হাঁসের মতো আপনিও জলে সাঁতার কাটতে পারেন, মাটিতে হাঁটতে জানেন, আকাশে উড়তে সক্ষম। কখনো চিন্তা করেছেন এ নিয়ে?
মানুষের এই প্রধান সমস্যা। বটগাছের মতো হয়েও সে নিজেকে বনসাই করে তোলে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করেনা 'পাছে লোকে কিছু বলে'। মনে আছে, বহু বছর আগে একটা বই লিখেছিলাম "ধ্যান ও শান্তি"। ধর্ম সাধনার ব্যাখ্যায় নিয়ে এসেছিলাম রসগোল্লা, বসন্ত কেবিন, জীবনানন্দর কবিতা, শ্রমিক নেতা, ফ্যাশনেবল তরুণী ... এদের উল্লেখ। ভেঙে গড়ে নিজে কিছু সৃষ্টি করা। অন্যরা কী বললো, চিন্তা করিনি। একটা এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছিলাম। ঠিক করলাম কি ভুল, সেটা বড় ছিল না আমার কাছে। আজও তাই করি বলে জীবনের শেষ পর্বেও আনন্দময় রয়েছি।
তাই আপনাকে নতুন কিছু বলছি না, নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। নিজের জীবনকে বহুমাত্রিক করে তুলুন। নতুন নতুন ভাবে দেখুন, করুন, বলুন। সমাজকে ভয় পাবেননা। কাজে ভুল হতে পারে? হোক্। ভুল তো সেই করে যে নতুন কিছু করতে চেষ্টা করে।
এমন কাজ করুন যা আপনার কাছে কঠিন বলে মনে হয়। তবেই তো ভেতরের সুপ্ত শক্তি বেরিয়ে আসবে। জীবন একমাত্রিকতার গণ্ডি পেরোবে। একটু চেষ্টা করুন তো অন্য রকম শিক্ষক হতে। অন্যরকম বাবা হতে। প্রতিবেশি হতে, বন্ধু আত্মীয় নাগরিক হতে।
বেদান্তে এই ইঙ্গিত রয়েছে। অন্তরের ব্রহ্মের বিস্তার ঘটছে। এক মাত্রা থেকে মানুষ বহুমাত্রিক হয়ে উঠছে। নতুন দৃষ্টি চিন্তা কাজ, সবকিছুতে নিজস্ব ছাপ, মৌলিক স্বাক্ষর।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

10 Jan, 08:26


প্রশ্ন︎ আপনি মাঝেমাঝে নতুন সাধনা দেন। ছুটিতে যাচ্ছি কিছুদিনের জন্য। সারাদিনে সময় সময় করা যায় এমন কিছু সাধনা দিতে পারেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আগে দেওয়া কিছু সাধনা মিলিয়ে নতুন কিছু করা যাক। তবে গুরুপ্রদত্ত সাধনার সাথে একে মেশাবেন না। ঐটি নিয়মিত দু'বেলা করে অন্য সময়ে নতুনটির অভ্যাস করতে পারেন সামান্য কিছু দিনের জন্য।
নিজের সুবিধেমতো সময়ে এক-একটা স্টেপ একেক বার করবেন।

১●ভোরে দেখুন আকাশে নতুন সূর্য। দু'হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলুনঃ আজকের দিনটা আমি নতুন ভাবে বাঁচবো। পজিটিভ মন নিয়ে সারাদিন থাকবো। আনন্দে রাখবো নিজেকে।
এরপর অন্তত ২ঘন্টা বাদে পরের স্টেপ ....।

২●নিঃসঙ্গ ভাব অভ্যাস করবো। সংসারে এক সন্ন্যাসী হয়ে থাকবো পরের ২ঘন্টা।

৩●দু'ঘন্টা পর এই তৃতীয় স্টেপে মাঝেমাঝেই লক্ষ্য করবোঃ এক পরিস্থিতি আসছে আবার কিছু বাদে চলে যাচ্ছে .... আরেক পরিস্থিতি এলো আর সেটিও ক্রমশ চলে যাচ্ছে .... অন্য পরিস্থিতি আসছে এবং পরে সেটাও সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে ...। আমি স্থির হয়ে দেখছি এই আসা যাওয়া। (১০-১২ মিনিট অভ্যাস করুন।)

৪●স্মৃতি থেকে মনে করুন আগের (৩নং) অভ্যাস। আপনি দ্রষ্টা। স্টেডিয়ামে স্থির হয়ে বসে খেলা দেখছিলেন। এবার ঐভাবে দেখুন বর্তমান কিছু পরিস্থিতি। আসছে .... যাচ্ছে। (১০ মিনিট)।

৫●দু'ঘন্টা পর একবার অভ্যাস করুন ঐটি ২-৩ মিনিটের জন্য। এবার অনুভব করুন নিজেকে। নিছক রক্ত মাংস নয়, আপনি যেন এক শক্তি, এক চেতনা। (২ মিনিটের জন্য। ৩০মিনিট গ্যাপ দিয়ে আবার ২ মিনিট অভ্যাস নিজেকে শক্তি বা চেতনা হিসেবে। আবার ৩০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে ...।)

৬●দু'ঘণ্টা বাদে অনুভবের চেষ্টা করুন, ঈশ্বর বা আপনার ইষ্টই বিভিন্ন রূপে চারদিকে রয়েছেন। দেখার চেষ্টা নয়, অনুভবের চেষ্টা করুন। এই চেয়ার, দেওয়াল, জানালা, টেবিল, ..... সবকিছুই তিনি। তিনিই ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়েছেন। (২-৩ মিনিট এভাবে অভ্যাস করে গ্যাপ দিন ৩০ মিনিট।) পরে আবার সেই অনুভবের চেষ্টা করুন ২-৩ মিনিট। গ্যাপ দিয়ে আবার অভ্যাস করুন।

৭●বসে প্রার্থনা করুন আপনার ইষ্টের কাছেঃ সবার কল্যাণ হোক .... সবাই ভাল থাকুক .... সকলের চেতনার উত্তরণ ঘটুক .....। (১০ মিনিট)।

একটি স্টেপ থেকে পরেরটির মধ্যে ২ ঘন্টা গ্যাপ দেবেন। অভ্যাসের সময় মাথা ধরা বা কোনোরকম অস্বস্তি হলে প্র্যাকটিস্ বন্ধ করে দিন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

10 Jan, 03:10


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

10 Jan, 00:31


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

10 Jan, 00:30


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শুক্রবার, ২৬ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২২:৪৯
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৫:২৯
তিথি: (পৌষ শুক্লপক্ষ) একাদশী দং ৯|৫৩ দিবা ঘ ১০|২০.
নক্ষত্রঃ কৃত্তিকা দং ১৮|২৮ দিবা ঘ ১|৪৬.
পুত্রদা একাদশীর উপবাস।
মহাযোগী শ্রীশ্রী ত্রৈলঙ্গস্বামী মহারাজের আবির্ভাব ও তিরোভাব তিথি।
জোব চার্ণকের প্রয়াণ দিবস।
স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের প্রয়াণ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

09 Jan, 14:59


প্রশ্ন︎ আপনার লেখায় অনেক উচ্চস্তরের সাধক ও মানুষের কথা জানতে পারি। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ প্রাণী তারা এই উঁচু স্তরে উঠতে পারি না। দৈনন্দিন জীবনে সংসার, অফিস, বাজার নিয়েই ব্যস্ত। দু'বেলা জপধ্যানের চেষ্টা করি শুধু। দুঃখ হয় নিজের জীবনকে যদি অন্যভাবে গড়ে তুলতে পারতাম!

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●একবার রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ান। কত মানুষ হেঁটে যাচ্ছে, বাসের জন্য অপেক্ষা করছে, ট্রেন থেকে নামছে অফিস ফেরত। ফুটপাতে তেলেভাজা বিক্রি করছে, অটো চালাচ্ছে। ঠেলাগাড়ি নিয়ে চলেছে, হাসপাতালে রোগ সারাতে যাচ্ছে, বাড়িতে ছেলেকে হোমওয়ার্ক করাচ্ছে, বাজারে দামদর করছে। ওরা প্রত্যেকেরই জীবন সংগ্রামে ব্যস্ত। লড়াই করে চলেছে নিজের নিজের পথে, বিভিন্ন ভাবে। আঘাত আসছে, দুঃখ ব্যর্থতা। চাল ডালের দাম বাড়ছে, চাকরির নিরাপত্তা নেই, টাকা ধার করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে, দুধ ছাড়াই চা খাচ্ছে, সারাদিন পরিশ্রম করছে।
ওরা কিন্তু লড়াই করে চলেছে। কখনও হারছে, কখনও জিতছে, তবুও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আপনার জীবন তো তাদের মতোই। কলেজে ভাল রেজাল্টের জন্য সংগ্রাম করেছেন, পরে অর্থ উপার্জনের জন্য। অফিসে চাকরিতে, শাশুড়িকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে, কখনও স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি কখনও বা প্রতিবেশীর সাথে। আপনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। হার মানছেন না। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক, আপনি একে অতিক্রম করার চেষ্টা করে চলেছেন।
এটাই “অতিক্রমী চেতনা।” আপনার অন্তরের ব্রহ্ম প্রসারিত হতে চাইছে। ব্রহ্মকে হয়তো অনুভব করতে পারছেন না কিন্তু তার অতিক্রমী চেতনাকে প্রতিদিন অনুভব করছেন প্রতিটি কাজে। সেই ব্রহ্ম সেই পূর্ণতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আপনাকে, নিজের বিস্তার করে চলেছে।
আপনি এটা করে চলছেন দৈনন্দিন জীবনে, না জেনেই। আর না জেনেই যদি এত কিছু লাভ করতে পারেন জীবনে তাহলে ভাবুন এ সম্বন্ধে সচেতন থেকে কাজ করলে কত বেশি অর্জন করতে পারেন। ভুল করে একে জীবন-যুদ্ধ বলেন আপনি, এ তো সাধনা, ব্রহ্ম উপলব্ধির সাধনা। সচেতন থেকে এই সংগ্রাম করলে এটাই মোড় ফিরিয়ে দেবে জীবনের। এক পরম ইতিবাচক (পজিটিভ) কাজকে আপনি নেতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে এতদিন দেখে এসেছেন বলেই দুঃখ ব্যর্থতা এসেছে আপনার জীবনে। আপনারই ভুল দৃষ্টিভঙ্গি সমস্যা তৈরি করেছে। কারণ আপনি কর্মযোগে বিশ্বাস করতেন না।
জীবনে আপনার যে লড়াই সেটি প্রকৃতপক্ষে নিজের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা। ছোট বয়স থেকে এটাই করে চলেছেন আপনি। সব কঠিন বাধা, সব সমস্যা, সব প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম বারবার প্রমাণ করছে যে আপনি মুক্ত হতে চাইছেন, সাধারণ অস্তিত্বকে অতিক্রম করে আপনি অসাধারণ হতে চাইছেন। কেন? কারণ আপনি যে প্রকৃতপক্ষেই অসাধারণ। নিজের সেই প্রকৃত সত্তাকে ফিরে পেতে চাইছেন আপনি।
জীবন-সংগ্রাম নয়, জীবন-সাধনা। এই সত্য নিয়ে সচেতন ছিলেন না বলেই স্বপ্ন দেখছিলেন এতদিন, দুঃস্বপ্ন। এবার জেগে উঠুন, সচেতন হন। অনুভব করতে পারবেন যে আপনি অসাধারণ।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

09 Jan, 09:10


প্রশ্ন︎ চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। দুই বছর হল রামকৃষ্ণ ভাবনায় আকৃষ্ট হয়েছি। গ্রুপে যোগ দিয়ে খুব উপকার পাচ্ছি। আমার মা এটা পছন্দ করেছেননা। ধর্মীয় বই পড়লেই বকাবকি করেন। আমার কী করণীয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●বোধহয় তিনি ভয় পাচ্ছেন যে ছেলে সন্ন্যাসী হয়ে যেতে পারে। যতদিন মা বাবার উপর নির্ভরতা থাকবে ততদিন এমন সমস্যা থাকবে। আপাতত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মন দিন। মায়ের সামনে ধর্মীয় বই না পড়লে তার দুশ্চিন্তা হবেনা। অবশ্য ফোনে গ্রুপের পোস্টগুলি পড়া যেতে পারে লুকিয়ে। বাড়িতে ঝামেলা না করে একটু বুদ্ধি করে চলুন। ঠাকুরের কাছে রোজ প্রার্থনা করুন যাতে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়।
====================
প্রশ্ন︎ এক বাড়িতে গিয়ে দেখি সেকেণ্ড জেনারেশনের ছেলে, বউমা, নাতি খুব মদ আর সিগারেট খাচ্ছে। পেশায় শিক্ষক শিক্ষিকা। ফলে আমি মানসিক ভাবে আহত। এই কী আধুনিক সংস্কৃতি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এসবে আপনি দুঃখ পাচ্ছেন কেন? যে যা করতে চায়, করুক যদি সমাজের ক্ষতি না হয়। সবাই তো আমার আপনার ইচ্ছেমতো চলবেনা। স্বামীজি যখন ছোট ছিলেন, বিলে, তার বাবাকে প্রশ্ন করেছিলেনঃ এ জগতে কিভাবে থাকা উচিত? বাবা বিশ্বনাথ দত্ত উত্তর দেনঃ কোনকিছুতেই অবাক হবিনা।
আমাদের সমাজ তামসিক ভাব থেকে রাজসিক হওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা ভাল মন্দ সাফল্য ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। সবকিছু আপনার ভাল লাগবেনা। কিন্তু মানুষকে নিজের পথ বেছে নিতে হয়। তারাও সেই চেষ্টা করছে জেনে না-জেনে। এতে আঘাত না পেয়ে কৌতূহল নিয়ে দেখার চেষ্টা করলে মজা পাবেন, সমাজ ও মানুষের dynamics of change বুঝতে পারবেন। জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা হবে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

09 Jan, 03:44


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

09 Jan, 00:22


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

09 Jan, 00:20


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২২:৪২
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৪:৪৬
তিথি: (পৌষ শুক্লপক্ষ) দশমী দং ১|৫ দিবা ঘ ১২|২৩.
নক্ষত্রঃ ভরণী দং ২১|২৫ দিবা ঘ ৩|৭.
শাম্ব দশমী (ওড়িশা), শ্রীশ্রী লক্ষ্মী পূজা।
অমৃতযোগঃ দিবা ঘ ৭|৪৯ মধ্যে পুনঃ ১|৩১ গতে ২|৫৭ মধ্যে এবং বিবিধ।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 14:34


প্রশ্ন︎ বলা হয় শ্রীরামকৃষ্ণ নবযুগের অগ্রদূত। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তাঁর অবদান কী?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ধর্ম নিয়ে তিনি কথা বলেছেন আগামী যুগের দিকেও তাকিয়ে। এক-এক করে পয়েন্টগুলি দেখা যাক। তবেই বোঝা যাবে তাঁর দূরদৃষ্টি এবং ধর্ম নিয়ে নতুন তরঙ্গকে।
১●আগামী যুগে রাজনৈতিক গণতন্ত্রী ধারা বেয়ে ধর্মীয় গণতন্ত্রের দাবী জোরালো হবে। কোনো বিশেষ মতের বদলে সব ধর্মের সমান গুরুত্ব স্বীকৃতি পাবে। ধর্মে diversity প্রাধান্য হবে। সব ধর্মই যে চরম লক্ষ্যে নিয়ে যায় এ না মানলে সেই মানুষকে বা গোষ্ঠীকে সংকীর্ণমনা বলে ধরা হবে। ঠাকুরের "যত মত তত পথ" আধুনিকতার স্বীকৃতি পাবে।
২●বর্তমানে শুধু সমাজ-সচেতন মানুষদের বা যুব সমাজেই নয়, বাচ্চাদের মধ্যেও ব্যক্তি স্বাধীনতা জোরালো হচ্ছে, authority-কে চ্যালেঞ্জ করার প্রবণতা বাড়ছে। ধর্মীয় ক্ষেত্রেও এই আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ঠাকুর তন্ত্র ও বেদান্ত সাধনা করেন গুরুর দেখানো পথে।
কিন্তু প্রথম জীবনের সাধনা স্বাধীন ভাবে। উপবীত ফেলে ধ্যান করা, মেথরদের পায়খানা নিজের চুল দিয়ে পরিষ্কার করে সাধনা, পুজো করা, ইত্যাদি কোনো গুরু বা শাস্ত্র নির্দেশে নয়। তিনি নিজের পথেই সাধনা করে মা কালী বা ঈশ্বর লাভ করেন। এর তাত্পর্য কী? অথরিটি না মেনেও চরম সত্যকে লাভ করা যায়। অর্থাৎ নতুন যুগের স্বাধীন মানুষের আকুতিকে তিনি স্বীকৃতি দিলেন।
৩●সব ধর্মের সাধনা করে ঠাকুর এক মেসেজ দিলেন। বৈচিত্র্য বিরোধিতা নয়, এর মধ্যে ঐক্য রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে dialogue শুরু করার ভিত্তি স্থাপন করে গেলেন তিনি। মূলে যে একত্ব রয়েছে তাকে লক্ষ্য করে অনুসন্ধান করা কিভাবে সেই এক বিভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আজ পর্যন্ত বৈচিত্র্য জন্ম দিয়েছে সংঘর্ষের। ঠাকুর দেখালেন, কিভাবে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে সমন্বয়ের। শুধু ধর্মে নয়, বিজ্ঞান ও দর্শনে, রাজনীতি অর্থনীতি , প্রাচ্য পাশ্চাত্য, ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এই নীতির প্রয়োগ করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্বমানব গড়ে উঠবে তার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। প্রকৃত অর্থে জাতীয়তা ও আন্তর্জাতিকতার সমন্বয়ে নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার পথ খুঁজে নিতে হবে ঠাকুরের বাণীর পথ প্রদর্শনে।
৪●শিক্ষার প্রসার হবে, বিজ্ঞান চেতনার বিকাশ হবে, সাধারণ মানুষ এমনকি কিশোর সমাজও আরো প্রশ্নমুখর হবে। স্বর্গের লোভ বা নরকের ভয় দেখিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবেনা। এবং যুক্তি প্রাধান্য পেলে মানুষ অলৌকিক বিষয়গুলি নিয়ে ধর্মের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবে।
তাই কী ঠাকুরের মধ্যে দেখি অলৌকিকত্বের প্রতি বিতৃষ্ণা? নবযুগের আধুনিক মানুষের কাছে তিনি ধর্মকে রাখলেন পথিকৃতের মতোই।
৫●আগামী যুগে নারী পুরুষের সমান অধিকার শুধু পেশা ও সম্পত্তির ক্ষেত্রে নয়, ধর্মেও জোরালো দাবী তুলবে। আর তারই পথিকৃত্ হয়ে ঠাকুর নারীকে দিলেন প্রকৃত সম্মান। এক নারীর অধীনে চাকরি, নারীকে গুরু করা, ঈশ্বরকে নারীরূপে উপাসনা, এক নারীর পায়ে সাধনার ফল অঞ্জলি দেওয়া, ধর্মীয় ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। আর শিশু বয়সেই জমিদার লাহাবাবুকে বলেছিলেনঃ পর্দা দিয়ে নয়, শিক্ষা দিয়ে নারীকে শক্তিশালী করতে হয়।
Gender bias-কে চরম আঘাত দিয়ে ঠাকুর করে গেলেন আগামী যুগের আবাহন।
৬●মানুষকে তিনি #নিজস্ব_বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিকশিত হতে দিলেন। ধর্মের নামে একই মত চাপিয়ে দেওয়া সবার উপরে, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন ঠাকুর। ধর্মান্তরকরণের মাধ্যমে বুলডোজার চালানো সবরকম বৈচিত্র্যে নষ্ট করে দিয়ে, বাতিল করলেন তিনি।
কারণ তিনি পথ দেখাচ্ছেন আগামী নবযুগের মানুষদেরও। আর এটাই আজ আমরা দেখি যখন আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গরা তাদের roots খোঁজে, দেশে দেশে জাতীয়তাবাদের ডাক ওঠে, আদিবাসীরা তাদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে চায়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অসংখ্য মানুষদের নবজাগ্রত চেতনার কথাই বলে গেলেন ঠাকুর তাঁর ধর্মীয় ভাষায়।
৭●আর দেখালেন ধর্মের নব দিগন্ত। জগতকে অবহেলা নয়, আনন্দকে অস্বীকার নয়, পরলোকের জন্য ইহলোককে ছোট করা নয়। ধর্মের নামে গাম্ভীর্যকে বাতিল করে তিনি চাইলেন রসে বশে থাকতে। জীবনকে এক সঙ্গীত করে নিতে বললেন তিনি।
আগামী যুগের মানুষের জন্য ধর্মের নতুন ছবি দিয়ে গেলেন ঠাকুর।

নবযুগের মানুষদের জন্য ধর্মের আধুনিক রূপ তুলে ধরলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।
ধর্মীয় গণতন্ত্র, অথরিটিকে প্রশ্ন করা, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ডায়ালগ, অলৌকিকত্বের প্রতি উদাসীন, নারীর সম্মান ও স্বাধীনতা, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ, ধর্মে আনন্দ ও সৌন্দর্যের গুরুত্ব -- আগামী নবযুগের ধর্মকে রূপ দিয়ে গেলেন ঠাকুর।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 08:45


প্রশ্ন︎ জীবনে যদি কোনো পাপ করে থাকি প্রায়শ্চিত্তে কি খণ্ডন হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●অতীত থেকে শিক্ষা নিন কিন্তু এর জন্য হাহুতাশ করে লাভ কি? আপনার হাতে আছে বর্তমান, সামনে ভবিষ্যত। কাজে ঠিক ভুল, খারাপ ভাল ইত্যাদি থাকেই। এমন মানুষ ক'জন আছে এই বিশ্বে যারা কখনো অন্যায় বা পাপ করেনি? তবে এই অন্যায় আমাদেরই কষ্ট দেয় শেষপর্যন্ত। কেন? কারণ মানুষের বিবেক আছে, সে মূলত দিব্য সত্বা। আজ হোক কাল হোক, সে বুঝতে পারে নিজেকে।
আপনার মনে যে প্রায়শ্চিত্তের ভাব উঠেছে, এটাই প্রমাণ আপনার জাগ্রত বিবেকের। যদি এর জন্য শাস্তি পাওয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন তবে শ্রীশ্রীমা'র ফটোর দিকে তাকিয়ে বলুনঃ তুমিই শাস্তি দাও আমাকে, আমি এই শাস্তি ভোগ করতে প্রস্তুত।
====================
প্রশ্ন︎ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মনে হয় কী করছি? ধর্ম নিয়ে নতুন চিন্তা ভাবনা মনে ওঠে। ভাবি, এই চিন্তাগুলি কী ঠিক অথবা ভুল?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●● ধর্মের মূল কথাঃ চেতনার উত্তরণ। বিভিন্ন পথে এই লক্ষ্যে পৌঁছুনো যায়। বিচার করে দেখুন আপনার নতুন চিন্তা ভাবনা সেদিকে নিয়ে যায় কিনা। অতীতে নানান পথ আবিষ্কার হয়েছিল, ভবিষ্যতেও বিভিন্ন পথের উদ্ভব হবে।
আর এটাই তো ধর্মের প্রাণ। বিশ্বে অসংখ্য ধর্মীয় মত পথ এভাবেই এসেছে। বর্তমানে পাশ্চাত্যে এক নতুন প্রবণতা দেখা যায় spirituality without religion. এরা ধর্ম মানে কিন্তু বিধি প্রথা মানে না। এরা rituals নয়, চেতনার প্রসারতা উপর জোর দেয়। স্বামীজি তাঁর কয়েকটি বক্তৃতায় এমন সম্ভাবনার কথা বলেছেন, দেখিয়েছেন যে অতীতে ভারতে এমন এক গোষ্ঠী ছিল, বেদান্তেও এই সাধনার কথা আছে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 03:07


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 03:05


আজ যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কৃপাপ্রাপ্ত অন্যতম গৃহী ভক্ত শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ মজুমদারের শুভ জন্মদিবস।

দেবেন্দ্রনাথ ১২৫০ বঙ্গাব্দের ২৪শে পৌষ, ইং ৮ই জানুয়ারি ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে যশোহর জেলার নড়াইল মহকুমার জগন্নাথপুর গ্রামে ‘মজুমদার’ উপাধিধারী বন্দ্যোপাধ্যায় বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল প্রসন্ননাথ এবং মাতা বামাসুন্দরী দেবী। তাঁর জন্মের দুমাস আগেই তাঁর পিতা দেহত্যাগ করেন। প্রথম জীবনে তিনি দারিদ্রের মধ্যে থাকায় কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জমিদারী সেরেস্তায় চাকরি গ্রহণ করেন। তাঁর হস্তাক্ষর খুব সুন্দর ছিল এবং তিনি দর্শন ও সাহিত্য চর্চাও করতেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত যোগাভ্যাস করতেন, এই সময় বহু দেবদেবীর দর্শন হত। ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দে দক্ষিণেশ্বরে প্রথম শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন লাভ করেন। এই সময়ে প্রকাশিত একটি পুস্তকে ‘পরমহংস রামকৃষ্ণ’ কথা দুটি পড়ে তিনি এক মহা আকর্ষণে তৎক্ষণাৎ দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে উপস্থিত হন এবং শ্রীরামকৃষ্ণের দেবদুর্লভ আচরণে মুগ্ধ হন। কিন্তু সেইদিনই তিনি আকস্মিক অসুস্থতা নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। প্রবল জ্বরে শয্যাগত অবস্থায় তিনি শিওরে শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করতেন। এর পর বলরাম বসুর গৃহে ঠাকুরকে পুনরায় দর্শন করে তিনি তখন বাড়ি থেকে মাঝে মাঝেই দক্ষিণেশ্বরে যেতে আরম্ভ করেন। বাল্যকাল থেকে দীর্ঘ সাধনার ফলে ধ্যান অবস্থায় তাঁর বিবিধ দর্শন হত এবং সাত্ত্বিক বিকার প্রকাশ পেত। কিন্তু শৈশবে পিতৃহারা হওয়ায় এবং তাঁর পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম থাকায় শ্রীশ্রী ঠাকুর একদিন তাঁর হয়ে শ্রীশ্রীজগদম্বার কাছে প্রার্থনা করেন, "মা, ওকে এত দিস না। আহা, ও ছা-পোষা লোক, ওর মুখ চেয়ে অনেকগুলি রয়েছে।"

এই সময়ে কলকাতায় নিজের বাড়িতে দেবেন্দ্রনাথ একদিন ঠাকুরকে সেবা করেছিলেন। দেবেন্দ্রনাথ ‘সন্ন্যাস’ গ্রহণের জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা জানালে ঠাকুর তাতে সম্মত হন নি। কিন্তু একদিন ঠাকুর আঙুল দিয়ে দেবেন্দ্রর জিহবায় কি যেন লিখে দিলে তাঁর বিশ্বাস জন্মায় যে ঠাকুর তাঁতে শক্তি সঞ্চার করেছেন। বরানগর মঠ প্রতিষ্ঠার পর দেবেন্দ্র প্রায়ই সেখানে যেতেন। ১৮৯৪ সালে জমিদারির কাজ ত্যাগ করে তিনি প্রায় এক বছর বেকার ছিলেন। কিন্তু মাতা, সহধর্মিনী এবং ভাতৃজায়ার অন্ন সংস্থানের প্রয়োজনে পুনরায় কলকাতার এন্টালি অঞ্চলে মহেন্দ্র বাবুর জমিদারিতে চাকরি গ্রহণ করেন। এন্টালিতে থাকাকালীনই পরবর্তীকালে তিনি “শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ অর্চনালয়” প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানে প্রতিদিন তাঁর স্বরচিত শ্রীরামকৃষ্ণ ভজন কীর্তনাদি পরিবেশনের ব্যবস্থা করেন এবং এই গানগুলিই পরে ‘দেবগীতি’ নামক পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। তাঁর বিখ্যাত “ভব সাগর তারণ কারণ” ইত্যাদি গুরুবন্দনা ও অন্যান্য ভক্তিমূলক ভজন বহুল প্রচলিত। এছাড়া প্রতি বছর অর্চনালয় মহাসমারোহে শ্রীরামকৃষ্ণ উৎসব অনুষ্ঠিত হত।

বর্তমান এন্টালি অদ্বৈত আশ্রমের অতি নিকটবর্তী দেবেন্দ্রনাথ মজুমদার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত “শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ অর্চনালয়” শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবধারার একটি উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। স্বামী সারদানন্দ একসময় প্রায় দুমাস প্রতি শনিবার এখানে শাস্ত্রপাঠ করেছিলেন। যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দের এখানে শুভাগমন হয়েছিল। স্বামী ব্রহ্মানন্দ, স্বামী প্রেমানন্দ, স্বামী শিবানন্দ, ভক্তভৈরব গিরিশ ঘোষ, মাস্টার মহাশয় (শ্রীম) প্রভৃতি বিশিষ্ট মহাজীবন এখানে প্রায়শই আসতেন। স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে ছিল তাঁর এক অপূর্ব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। স্বামী অখন্ডানন্দের সারগাছি আশ্রমের জন্য দেবেন্দ্র বাবু নিয়মিতভাবে অর্থ সংগ্রহ করতেন। একবার রথযাত্রার সময় শ্রীশ্রীমা “শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ অর্চনালয়”-এর উৎসবে উপস্থিত হন। সেদিন উপস্থিত বালকদের মুখে দেবেন্দ্র বাবু লিখিত "এলো তোর দুষ্টু ছেলে, তুষ্টু করে নে মা তুলে" গানখানি শুনে শ্রীশ্রীমা অতিশয় আনন্দিত হন এবং দেবেন্দ্র বাবুকে প্রাণ খুলে আশীর্বাদ করেন।

শেষ বয়সে মজুমদার মহাশয়ের স্বাস্থ্য মোটেই ভালো ছিল না। ৬৮ বছর বয়সে তিনি ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট এবং সায়েটিকার যন্ত্রণায় ভুগতে থাকেন। অবশেষে ১৪ ই অক্টোবর ১৯১১ সাল (২৭ আশ্বিন ১৩১৮ বঙ্গাব্দ, শনিবার) শ্রীরামকৃষ্ণনাম শ্রবণ করতে করতে তিনি বাঞ্ছিত লোকে মহাপ্রয়াণ করেন।

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কৃপাপ্রাপ্ত অন্যতম গৃহী ভক্ত শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ মজুমদারের জন্মদিবসে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রণাম।
~~~~~
যদিও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পরম্পরায় শ্রীশ্রীঠাকুর এবং পার্ষদগন ব্যতীত জন্মতিথি / জন্মদিবস পালন করা হয় না কিন্তু বিশিষ্ট মহাজীবনের স্মৃতিচারণা সাধারণের অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সেজন্যই স্বল্প পরিসরে স্মরণ-মণনের প্রয়াস।
~~~~~

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 00:24


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Jan, 00:22


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বুধবার, ২৪ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২২:৩৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৪:৫
তিথি: (পৌষ শুক্লপক্ষ) নবমী দং ২০|৮ দিবা ঘ ২|২৬.
নক্ষত্রঃ অশ্বিনী দং ২৫|১৮ সন্ধ্যা ঘ ৪|৩০.
সাহিত্য সাধিকা আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম দিবস।
ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের তিরোভাব দিবস।
স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজের মহাপরিনির্বাণ দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Jan, 14:33


প্রশ্ন︎ সূর্য উপাসনা খুবই প্রাচীন। বিহারে ছট্ পুজোর মতো উপনিষদেও আছে। সূর্য পূজার কারণ কী? আকাশে সবচেয়ে বড় জ্যোতিষ্ক হিসেবে? মিশরে যে কারণে এই পুজো ছিল, ভারতেও কী সেই কারণেই?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ঋষিরা বিভিন্ন ধর্মীয় ধারার সমন্বয় করে ঐক্য সাধনে চেষ্টা করেছিলেন। আদিবাসী ধারাগুলিকে ধ্বংস না করে স্থান দিয়েছেন। তবে তারা অনেক প্রতীককে জীবনের অঙ্গ করে ব্যাখ্যা করেছেন। সূর্য প্রসঙ্গে একই কথা। তিনটি দিক এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

১●সূর্য সবসময়ই গতিশীল কিন্তু চাঁদের মতো তার ক্ষয় বৃদ্ধি হয়না। মানুষেরও তেমনি নিজের মধ্যে শান্ত এক স্থিরভূমি রেখে জীবনকে সর্বদা গতিশীল রাখতে হয়।

২●সূর্য সব গ্রহকে আলো দিয়ে চলেছে। জীব ও তার আলোতে সঞ্জীবিত। সবকিছুকে বাঁচিয়ে রেখেছে সূর্য নিজেকে তিলতিল করে শেষ করে দিতে দিতে। এ-রকম মানুষও বেঁচে থাকুক সমাজের কল্যাণের জন্য। বহুজন হিতায় বহুজন সহায়, জীবন এক আহুতি মানব কল্যাণের জন্য।

৩●সূর্য নিজের জ্যোতিতে দীপ্তিমান। ধার করা আলো নয়, প্রতিফলিত রশ্মি নয়, নিজস্ব আলোকে উজ্জ্বল। মানুষও তেমনি ভিক্ষার সাহায্যে নয়, নিজস্ব শক্তিতে উঠে দাঁড়াক। বই পড়া জ্ঞানের বদলে নিজের অনুভূতির কথা বলুক। অন্যদের হাততালি নয়, অনুকরণের বদলে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে গুরুত্ব দিক।
সূর্য নিছক এক নক্ষত্র না হয়ে মানুষের কাছে জীবনের প্রতীক হয়ে উঠুক, এই বক্তব্য ঋষির।
====================
প্রশ্ন︎ গ্রুপে দেওয়া অনুশীলনগুলি রোজ পালন করি। কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আগের মতো মানসিক আঘাত পাইনা। সমস্যার মধ্যেও পজিটিভ দিক খুঁজে পাই। আশীর্বাদ করুন।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ঠাকুরের আশীর্বাদ আছে আপনার উপর। তাই অনুশীলনগুলির ফল পাচ্ছেন তাড়াতাড়ি। অভ্যাস চালিয়ে যান। অনেকে ভাল কাজ শুরু করেও কিছুদিন বাদে উৎসাহ হারিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে যতটুকু এগিয়ে ছিল সেটুকুও নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ভাল কাজে লেগে থাকা শেষ পর্যন্ত, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ আবার কিছুদিন করে কোনো ফল না পেয়ে কাজ ছেড়ে দেয়। এদের ধৈর্য কম। এই দুটি বাঁধা মনে রেখে অভ্যাস চালিয়ে যান। অনেক এগিয়ে যেতে পারবেন।
আমার শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Jan, 08:45


~ স্বামী উমানন্দ মহারাজ ~
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ
====================
পরমেশ্বর মহারাজ নামেই বেশি জনপ্রিয়। মিশনের স্কুল বিদ্যাপীঠে (পুরুলিয়া) তাঁকে কাছে থেকে দেখেছি, অনেক কথা ও আলোচনা হয়েছে। তিনি ছিলেন প্রধান শিক্ষক। সকাল ও সন্ধ্যায় ছাত্রদের পড়া ও দুর্বল ছাত্রদের জন্য বিশেষ ক্লাস, এ ছিল আমার কাজ। তখন মহারাজের অফিসেই এক কোণায় বসতাম। প্রথমদিকে তিনি থাকতেন, আমার কোনো দরকার হলে যাতে সাহায্য করতে পারেন। দু-তিন মাস পরে আর থাকতেন না, পুরো স্বাধীনতা দিতেন কাজে। জিজ্ঞেস করলে বলেনঃ পড়ানোর দায়িত্ব শিক্ষকদের, আমার দায়িত্ব হলো to produce performers.অর্থাৎ পরবর্তী নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
উমানন্দজী সবসময় জপ করতেন মনে-মনে। মুখ দেখলেই বোঝা যেত তিনি যেন এই জগত থেকে দূরে। কিন্তু দেখা হলেই এক গাল হাসি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেনঃ কেমন আছো? বা, কোথায় যাচ্ছো? আমি তখন ব্রহ্মচারী। সৌভাগ্য হয়েছিল এক কর্মযোগীকে দেখার। কখনও উপদেশ দিতেন না, আধ্যাত্মিক বা জাগতিক। বলতেনঃ কাজ করতে করতে শেখো নিজে নিজে।
প্রচুর অভিজ্ঞতা তাঁর। বেলুড়মঠের বিদ্যামন্দির থেকে পাস করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ। মিশনে যোগ দিয়ে নরেন্দ্রপুর আশ্রম গড়ে তোলার কাজে যুক্ত ছিলেন। পরে জুনিয়ার সেকশন, ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমী, লোকশিক্ষা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ও কাজ করে বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। সেসব কথা শুনতাম তার কাছে। তার একটা কথা খুব ভাল লেগেছিল। বলেছিলেনঃ দায়িত্ব নাও, ঝুঁকি নাও, আর জনসংযোগ, তবেই তো বড় বড় কাজ করতে পারবে।
পুরুলিয়া থেকে মহারাজ বাংলাদেশে ঢাকা আশ্রমের অধ্যক্ষ হন। পরে ফিরে রামহরিপুর আশ্রমের অধ্যক্ষ। শেষে ১৯৮১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পুরুলিয়া বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ। ১৯৯৩ সালে বিদ্যাপীঠ ছাত্রকল্যাণে রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পায়। বিভিন্ন গ্রামে মিশনের উন্নয়ন কাজ চলছিল আগে থেকেই। উমানন্দজী একে ছড়িয়ে দেন, কর্মহীন যুবকদের গ্রাম উন্নয়নে জড়িত করে স্বাবলম্বী গ্রাম গড়ে তোলার ব্যাপক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

মহারাজের কাছে অনেক জেনেছি। প্রশ্ন করলে তবেই তিনি বলতেন। একবার জিজ্ঞেস করিঃ কী প্রার্থনা করেন ঠাকুরের কাছে? হো হো করে হেসেছিলেন তিনিঃ না চাইতেই এতো দিচ্ছেন, আর চাইবো কী? আরেকবারঃ আপনি সবসময় জপ করেন কেন? তার উত্তরঃ ঈশ্বর সর্বদা আমাকে মনে রাখেন, তাই আমিও তাকে মনে রাখি। ছাত্র বনাম শিক্ষক, ক্রিকেট ম্যাচ। আমি প্যাড্ ও গ্লাভস পরে বসে আছি, পাশে ব্যাট হেলান দিয়ে চেয়ারে। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ ছোট শক্ত বল্, মিস্ করে শরীরে লাগলে ব্যথা হয় না? বলিঃ মহারাজ, খেলতে গেলে এসব থাকেই, এতে ভয় পেলে কি চলে? তিনি সঙ্গে সঙ্গে কথাটাকে আধ্যাত্মিক দিকে নিয়ে গেলেনঃ ঠিক বলেছ, জীবনে দুঃখ আঘাত তো থাকবেই, এজন্য কি ভয় পেলে চলে? এসব থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে চলো।
বিদ্যাপীঠে কবি সম্মেলন হচ্ছে। নীরেন চক্রবর্তী, মনীন্দ্র রায়, সুনীল গাঙ্গুলী, পূর্ণেন্দু পত্রী ও অনেকে এসেছেন। দু'দিনের প্রোগ্রাম। আমার খুব উৎসাহ। উমানন্দজীকে গিয়ে জিজ্ঞেস করি তিনি আসবেন কিনা। তার উত্তরঃ আধুনিক কবিতা বুঝি না। বলিঃ না বোঝার এক বিশেষ আনন্দ আছে মহারাজ। তিনি হো হো করে হেসে উত্তর দেনঃ তাহলে চলো, আনন্দটা মিস্ করে লাভ কী?

দিব্যলোকে চলে গেছেন তিনি, কিন্তু তাঁর কথা মনে থাকবে চিরকাল।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Jan, 00:25


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Jan, 00:24


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:২২:২২
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৩:২৩
তিথি: (পৌষ শুক্লপক্ষ) অষ্টমী দং ২৫|১৩ দিবা ঘ ৪|২৭.
নক্ষত্রঃ রেবতী দং ২৮|৪০ সন্ধ্যা ঘ ৫|৫০.
অমৃতযোগঃ দিবা ঘ ৭|৪ মধ্যে পুনঃ ৭|৪৭ গতে ১১|২১ মধ্যে এবং বিবিধ।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Jan, 14:21


জীবনকে খেলা বা নাটক কিভাবে ভাববো? কখনও চেষ্টায় ব্যর্থ হই, কখনো ক্লান্ত, আনন্দ উচ্ছাস সত্ত্বেও মাঝে-মাঝে একঘেয়ে লাগে। এতো উঁচু নীচু জীবনের পথ চলা।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এটাই তো জীবনের সৌন্দর্য। অসীম সম্ভবনাময় জীবনে কখনো গ্রীষ্ম কখনো শীত, আবার কোনো সময় বর্ষা বা বসন্ত। জীবন তো ICU-তে শুয়ে থাকা নয়, এ হলো মেলায় ঘুরে ঘুরে রঙ দেখা।

"চলতে চলতে" লেখাটা পড়ছেন? সব ঘটনাই আমার জীবনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়ে গেছে। প্রতিটি ঘটনার মধ্য দিয়ে যাওয়াটা যে ছবির মতো ছিল সেটা বুঝতে পারছি আজ। কিন্তু ঐ সময় তা বুঝতে পারিনি। আপনি কি নিজ জীবনের ঘটনাকে এভাবে (সচেতনভাবে) দেখতে পারেন ছবি বা খেলা কিংবা নাটকের মতো? আজ যদি আপনি নিজের জীবন কথা লেখেন তবে আজ সন্ধ্যায় এই পোস্ট পড়া ও তার অনুভূতিকে কিভাবে প্রকাশ করবেন?

জীবনের এই ঘটনাকে আর পাঁচটি ঘটনার মতোই দেখবেন, নাকি এক শিল্পীর চোখে দেখার চেষ্টা করবেন? এক নারী, সাধারণ গৃহবধূ, কিভাবে দৈনন্দিন ঘটনাগুলিকে দেখেন, কেমন অনুভব করেন, তার হাসি কান্না আনন্দ দুঃখ প্রকাশ করতে পারেন লিখে? এভাবে ৮-১০ দিন সংক্ষেপে লেখার চেষ্টা করুন তো। পরে কোনো ঘটনার সময় নিজেকে দেখুন, অনুভব করুন। যেন খেলা চলছে, নাটকে একের পর এক দৃশ্য সামনে আসছে। আর আপনি যেন দর্শক হয়ে দেখছেন। হাসি আনন্দ দেখুন, দুঃখ ব্যর্থতাও দেখুন। কিছুটা করে দেখুন না। ধীরে-ধীরে অনুভব করতে পারবেন এক নতুন দিগন্ত, নিজেই নায়িকা ও দর্শক।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Dec, 14:27


প্রশ্ন︎ আপনার লেখা পড়ে আমি বিভ্রান্ত। আপনি এক বইতে ছাত্রদের উৎসাহিত করেছেন জীবনে খুব বড় হতে, ইতিহাস রচনা করতে। কিন্তু পোস্টে লিখেছেন পরের জন্য কাজ করতে। আমি তাহলে কী করবো? উচ্চাকাঙ্ক্ষী হব না ত্যাগী হব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●দুয়ের সমন্বয় করো। নিজের শক্তি, দক্ষতা, প্রতিভাকে প্রকাশ করো জীবনে। বড় হও, আরো বড়, অনেক বড়। আর এই শক্তিকে লাগাও জনগণের উন্নয়নে। "স্বর্গ হতে বিশ্বাসের ছবি" নিয়ে এসো, আর মানুষের কাছে এসে বলো "আমি তোমাদেরই লোক"।
কলেজে পড়ছো, কেন? এই অর্জিত জ্ঞান দিয়ে মানুষের সেবা করার জন্য। অর্থ উপার্জন, কেন? এই পৃথিবীকে আরেকটু সুন্দর করে তোলার উদ্দেশ্যে। ছোটবেলা থেকেই এই আদর্শ মনে গেঁথে নাওঃ মানব সেবার জন্যই তুমি পড়ছো, বড় হচ্ছো, চাকরি ব্যবসা করছো, বেঁচে আছো।
একটা বিষয় লক্ষ্য করো। কাজ (পেশা) করার সময় তোমার মানসিকতা দু'রকম হতে পারেঃ
১●মূল উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন // ঘটনাক্রমে সেবা।
২●মূল উদ্দেশ্য সেবা // ঘটনাক্রমে অর্থ উপার্জন।
অনেক মানুষ প্রথমটিতেই অভ্যস্ত। কিন্তু তুমি যদি দ্বিতীয়টিকে প্রাধান্য দাও তাহলে উচ্চাকাঙ্ক্ষা কোন বাধা হয়না জীবনে।
দেবী শেট্টি (ডাক্তার), নারায়ণ মূর্তি (ইঞ্জিনিয়ার), রতন টাটা (শিল্পপতি), ভার্গিস কুরীয়ন (পশুবিদ), এলা ভট (শ্রমিক নেত্রী), বরুণ সেনগুপ্ত (সাংবাদিক) প্রমুখ এরই উদাহরণ। জীবনে বড় কিছু করতে হলে বড় আদর্শ বাছো। আধ্যাত্মিক ও জাগতিক, দুয়ের সমন্বয় করা যায়।
====================
শ্রীলা_সেন●ঈশ্বরের ইচ্ছায় সবকিছু হলে প্রার্থনা করে লাভ কী? মানুষের ইচ্ছা কিভাবে কোনো ঘটনাকে বদলে দিতে পারে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●কথামৃতে ঠাকুর কী বলেছেন? গরুকে দড়ি দিয়ে খোঁটায় বাঁধা আছে। ঐ দড়ি যত লম্বা ততটা সে স্বাধীন। কিন্তু গরু ঘাস খেয়ে হাম্বা হাম্বা করে মালিককে ডাকলে তিনি এসে দড়িটাকে আরেকটু লম্বা করে দেন। তখন গরুর স্বাধীনতা বাড়ে। তেমনি প্রার্থনাও। প্রার্থনার তাত্পর্য ঈশ্বরকে ডেকে কিছু চাওয়া। আর তিনি তখন দড়িটা লম্বা করে দেন। এভাবে মানুষ আন্তরিকতার সাথে তীব্র প্রার্থনা করলে কোনো ঘটনা বদলাতে পারে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Dec, 08:50


প্রশ্ন︎ দুবেলা নিয়ম মেনে জপধ্যান করছি কিন্তু এগোচ্ছি কিনা বুঝতে পারছিনা।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সাধনার প্রাথমিক অবস্থায় অগ্রগতি হচ্ছে কিনা সেটা কীভাবে বুঝবেন এই বিষয়ে ৭টি লক্ষণের আলোচনা করেছি এক ভিডিও'তে। এটি পেতে হলে ইউটিউবে স্বামী_সোমেশ্বর_অনুধ্যান সার্চ করুন। প্রচুর ভিডিও'র মধ্যে থেকে খুঁজে নিন। আরেকটি ভিডিওতে রয়েছে সাধনার পরবর্তী স্তরে অগ্রগতির লক্ষণগুলি।

আজ এক ছোট্ট পদ্ধতি বলি সাধনায় অগ্রগতি নিয়ে। এটা আপনি মাপুন (measure) অতীতের সাথে তুলনা করে। ধরুন, কাজের সময় বিরক্ত করলে আপনার রাগ হয়। কাল বা পরশু এই পরিস্থিতিতে আপনার কতটা বা তীব্র রাগ হচ্ছে সেটা লক্ষ্য করুন। এবার চিন্তা করুন, এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বা মাসে আপনার যত তীব্র রাগ হতো বর্তমানে কী তার চেয়ে কম রাগ হয়? এমন হলে আপনি এগোচ্ছেন, বেশি শান্ত থাকতে পারছেন। এভাবে অতীতের সাথে তুলনা করে নিজের অগ্রগতি বুঝুন। রাগের মতো দুঃখ বা অন্য নেতিবাচক ভাব নিয়েও এই পরীক্ষা করতে পারেন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Dec, 03:16


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Dec, 00:23


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Dec, 00:22


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শুক্রবার, ১২ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:১৯:৪
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৫৬:২২
তিথি: (পৌষ কৃষ্ণপক্ষ) দ্বাদশী দং ৩৫|২৫ রাত্রি ঘ ৮|২৯.
নক্ষত্রঃ বিশাখা দং ৩৫|২৫ রাত্রি ঘ ৮|২৯.
দিবা ঘ ৭|৩০ গতে ৯|৫১ মধ্যে একাদশীর পারন।
শ্রী নারায়ন বাবার আবির্ভাব দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 14:42


প্রশ্ন︎ অন্যের উপকার করাই নিজের উপকার করা। বইয়ে পড়লাম। কিন্তু আমি যদি সবসময় এটা করি লোক আমাকে বোকা ভাবতে পারে। আমাকে ঠকাতে পারে।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●উপকার করা মানে যে সবসময়ই টাকা দিয়ে সাহায্য করতে হবে তা নয়। মরাল সাপোর্ট দেওয়াও বড় সাহায্য। সান্ত্বনা দেওয়া, সাহস বা অনুপ্রেরণা দেওয়া, শান্তি বা উৎসাহ দেওয়া, দুঃখ বা বিপদে পাশে দাঁড়ানো ....। অনেকভাবেই পরের উপকার করা যায়। শুরু করুন তো কাল থেকে। এক মাস করে দেখুন। বৃদ্ধ বা রোগীর খবর নেওয়া প্রায়ই। আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী ..পরিচিত মানুষদের সাথে এমন ব্যবহার করতে থাকুন। কাছে গিয়ে, ফোন করে, মেসেজ পাঠিয়ে ...।
লোকেরা আপনাকে বোকা ভাববে? আপনি যাই করুন বা যেভাবেই থাকুন, কিছু লোক আপনাকে বোকা ভাববে কয়েকজন আপনাকে বুদ্ধিমান মনে করবে। কেউ ভাল বলবে, কেউ শয়তান। কেউ বলবে সরল, কেউ ধূর্ত। কারোর মতে প্রতিভাশালী আর কারোর মতে অশিক্ষিত। সবাইকে তো সন্তুষ্ট করা যায় না। এজন্য নিজের ভাবে বাঁচুন, নিজের মতো। যেটা ঠিক মনে করেছেন সেটা করুন। শুধু লক্ষ্য রাখুন, অন্যের যাতে অকারণে ক্ষতি না হয় আপনার দ্বারা।
====================
প্রশ্ন︎ ঠাকুর বলেছেন দরকার হলে ফোঁস করতে। কিন্তু এ করেও পরে মন খারাপ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কী করলে ভাল হবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ তো ভাল লোকের লক্ষণ। অনুশোচনার দরকার নেই। প্রয়োজনে ফোঁস করতেই হবে। তবে ফোঁস করার সময় সচেতন থাকবেন আবেগে ভেসে না গিয়ে। রাগ দেখান, ভঙ্গিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করুন। পরে অন্য জায়গায় গিয়ে লম্বা শ্বাস নিন ও ছাড়ুন ২-৩ মিনিট। দরকার হলে চোখেমুখে জলের ছিটে দিন।
পরে এমন পরিস্থিতি আবার হলে একইভাবে ব্যবহার করুন। রাগকে নিজের আয়ত্ত্বে রেখে তার প্রতি রাগ দেখানো অভ্যাস করতে পারেন? ব্যর্থ হলেও বারবার চেষ্টা করুন। এতে লাভ কী? মনে রাগ ওঠার সাথেসাথেই আপনি ভেতরে সংযম রাখার চেষ্টা করছেন। এরফলে এক নতুন সংস্কার তৈরি হবে আপনার মধ্যে। রাগ উঠলেই সংযম নিজেই উঠে আসবে। পতঞ্জলি মুনি যোগশাস্ত্রে একে বলেছেনঃ বিপরীতপক্ষভাবনা।
আরেকটা কাজ করুন। রাতে ঘুমের আগে মনে-মনে ক্ষমা চেয়ে নিন তাদের কাছে যাদের আপনি দুঃখ দিয়েছেন সেদিন। এভাবে মন হালকা করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 08:32


প্রশ্ন︎ ঠাকুর বলেছেন দাস আমি হবার কথা। কীভাবে এটা অভ্যাস করব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ বিষয়ে গ্রুপে একটা পোস্ট দেওয়া হয়েছিল কয়েক মাস আগে। আজ আরেকটা পথ বলি। 'দাস' অর্থে সৈনিকও (স্বামীজির কথায়)। অর্থাত্ রামকৃষ্ণ-আন্দোলনের বিস্তারে কাজ করা।
এই যে আপনি কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন ও দু'দিন আগে বিবেক সংবাদ শেয়ার করেছেন, এও সৈনিকের কাজ। অন্য কাজ হলো নিজের প্রতিভা বা ক্ষমতাকে এতে ব্যবহার করা। যেমন মুম্বাইয়ের শুভদা বিখ্যাত ভরতনাট্যমে। সে তার নাচের মাধ্যমে স্বামীজির বাণীকে প্রকাশ করে। কোয়েম্বাতুরে সত্যমূর্তি পথনাটিকা করে এই ভাবে। বনগাঁর প্রতিমাদি শ্রীশ্রীমা'র পাঁচালী লিখে পড়তেন বৃদ্ধাদের জন্য। বিভূতি মঃ দিব্যত্রয়ীর উপর রাগাশ্রয়ী গান লিখে গাইতেন বিভিন্ন সভায়। রামানন্দ ব্যানার্জী ছবিতে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেন।
এই রকম আপনিও চিন্তা করুন কী করতে পারেন। নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে দিব্যত্রয়ীর ভাব কিভাবে ছড়াতে পারেন। স্কুল বা সমিতিতে কুইজ প্রতিযোগিতা ঠাকুর স্বামীজির উপর। উদ্বোধন থেকে বই পাবেন এ-বিষয়ে প্রচুর প্রশ্নের।
প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো দক্ষতা, হবি, ট্যালেন্ট, সুযোগ ইত্যাদি থাকে। সোসাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মঞ্চ রয়েছে। কাজে লাগান। এতে আপনি যেমন আনন্দে থাকবেন তেমনি দিব্যত্রয়ীর সৈনিক হয়ে উঠতে পারবেন। নিজেকে রামকৃষ্ণ আন্দোলনের সৈনিক ভেবে কাজ করলে জীবনই বদলে যাবে।
====================
প্রশ্ন︎ ধ্যানে কখনো নানারকম রঙ দেখি। এসবের অর্থ কী?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●প্রতিটি রঙই মনের স্তর দেখায়। কিংবা কোন চক্রে আপনার স্থিতি সেটি বলে। যেমন লাল রঙ দেখায় রাজসিক গুণ, কিংবা মণিপুর চক্রে মনের স্থিতি। এরকম নানান গুণ বা স্থিতিকে বোঝায় রঙগুলি। এর বিশদ আলোচনা এখানে করছিনা।
যে রঙই দেখুন, সেদিকে নজর না দিয়ে, একে গুরুত্ব না দিয়ে আপনি নিজের সাধনা চালিয়ে যান। ধ্যানের প্রথম স্তরে দুই রকম অনুভব হতে পারে। এক, কোনো দৃশ্য বা বিষয় রূপে। আপনি যেন #দেখতে পাচ্ছেন এমন কিছু। দুই, হৃদয়ে কিছু #অনুভব করা। যেমন সুখ দুঃখ অনুভব করেন। প্রথমটিতে আপনি যেন আলাদা বা একটু তফাতে থেকে ঐ দৃশ্য বা বিষয় দেখছেন। কিন্তু দ্বিতীয়টিতে যে ভাব বা অনুভূতি হচ্ছে সেটা থেকে আলাদা নন, বরং ঐ ভাবের সঙ্গে আপনি যেন একাত্ম।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 04:01


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 03:57


শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সংঘাধ্যক্ষ স্বামী তপস্যানন্দ মহারাজ (পূর্ব নাম কে. পি. বালকৃষ্ণ মেনন) ১৯০৪ সালে কেরলের ওট্টাপনামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কিন্তু তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায় না। ১৯২৪ সালে স্বামী শিবানন্দজীর (মহাপুরুষ মহারাজ) জন্মদিনে তাঁর থেকে বালকৃষ্ণণ মন্ত্রদীক্ষা গ্রহণ করেন। সেজন্য শিবানন্দজীর জন্মতিথির দিনেই তাঁরই সুযোগ্য শিষ্য স্বামী তপস্যানন্দ মহারাজের স্মৃতিচারণা। প্রাসঙ্গিক একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রে তপস্যানন্দজী লিখেছিলেন, "আমার জীবনের কোন তথ্যপঞ্জি নেই। আমার একমাত্র পরিচয় হলো, আমি শ্রীরামকৃষ্ণের একজন দাস।"

মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনার সময় বালকৃষ্ণণ শ্রীরামকৃষ্ণের নাম ও তাঁর শিক্ষার সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন। তারপর থেকে ধীরে-ধীরে তিনি রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবধারার ঐতিহ্যে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন। পরবর্তীকালে তিনি সর্বপ্রথম স্বামী নির্মলানন্দজীর (তুলসী মহারাজ) সাথে পরিচিত হন। এরপরে ক্রমে ক্রমে তিনি স্বামী বিবেকানন্দ প্রমূখ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সব সন্ন্যাসী শিষ্যদের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে এসেছিলেন।

১৯২৪ সালে মহাপুরুষ মহারাজ মাদ্রাজে এলে মহাপুরুষদের জন্মদিনে বালকৃষ্ণন তাঁর কাছে মন্ত্রদীক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর ১৯২৬ সালের এম. এ. পড়া সমাপ্ত করে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন স্টুডেন্ট হোমে যোগদান করেন। ১৯২৮ সালে মহাপুরুষ মহারাজ তাঁকে ব্রহ্মচর্য ব্রতে দীক্ষিত করেন, নাম হয় ব্রহ্মচারী পূর্ণচৈতন্য। এরপর তিনি স্টুডেন্ট হোম থেকে রামকৃষ্ণ মঠ মাদ্রাজে স্থানান্তরিত হন এবং 'বেদান্ত কেশরী' পত্রিকার সম্পাদক পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে ব্রহ্মচারী পূর্ণচৈতন্য তাঁর গুরুর কাছ থেকেই সন্ন্যাসদীক্ষা লাভ করেন, নাম হয় স্বামী তপস্যানন্দ।

আট বছর পর, ১৯৪০ সালে স্বামী তপস্যানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ত্রিবান্দ্রম কেন্দ্রের ভার গ্রহণ করেন। পরবর্তী তিন দশক ধরে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মঠের অছি পরিষদ এবং গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি পুনরায় মাদ্রাজ মঠের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার উদ্যোগে ১৯৮৩-৮৪ সালে তামিল ভাষায় অনূদিত Gospel of Sri Ramakrishna প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি শ্রীমদ্ভাগবতের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন।

তপস্যানন্দজীর কাছে ভক্তদের অবারিত দ্বার ছিল। তাঁর অফিসে ভক্তেরা অনুমতি ছাড়াই দেখা করতে পারত। তিনি ছেলে-মেয়েদের ভালবাসতেন, কাছাকাছি স্কুলের ছেলে-মেয়েরা প্রতি সপ্তাহে তাকে প্রণাম জানাতে মঠে আসত। ১৯৮০ সালে বেলুড় মঠে আয়োজিত রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় মহা সম্মেলনে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং একটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন। 'ব্যবহারিক বেদান্ত'-এর উপর তাঁর ভাষণ খুবই প্রশংসিত।

১৯৯১ সালের শুরু থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি আরম্ভ হয়। তাঁর মহাসমাদের একমাস আগে সেবককে ডেকে বলেন, যারা তাঁর কাছে দীক্ষা নেবে বলে আবেদন করেছে তারা যেন দীক্ষার জন্য বেলুড়মঠে আবেদন করে। অবশেষে ১৯৯১ সালের ৩-রা অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সন্ধ্যা আরতির সময় স্বামী তপস্যানন্দজী মহাসমাধি লাভ করেন।

আজ স্বামী তপস্যানন্দজী মহারাজের স্মরণে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রণাম।
~~~~~
তথ্যসূত্রঃ শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ, মাইলাপোর, চেন্নাই থেকে প্রকাশিত 'Swami Tapasyananda' পুস্তিকার বঙ্গানুবাদ। ~~~~~
শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পরম্পরায় শ্রীশ্রীঠাকুর এবং পার্ষদগন ব্যতীত জন্মতিথি / জন্মদিবস পালন করা হয় না, কিন্তু বিশিষ্ট মহাজীবনের স্মৃতিচারণা সাধারণের অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সকলের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের প্রয়াস।
~~~~~

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 03:05


আজ যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পার্ষদগণের মধ্যে অন্যতম স্বামী শিবানন্দ (তারকনাথ) মহারাজের শুভ জন্মতিথি।

তারকনাথ ঘোষাল ১২৬১ সালের (১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দ) পৌষ মাসের চান্দ্র অগ্ৰহায়ণ কৃষ্ণ একাদশী তিথিতে রানী রাসমণির কাছারী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তারকনাথের আদি নিবাস ছিল চব্বিশ পরগণার বারাসত গ্রামে। পিতা শক্তিসাধক রামকানাই ঘোষাল রানী রাসমণির মোক্তার নিযুক্ত হয়ে তাঁরই কাছারী বাড়িতে বসবাস করতেন। মাতা বামাসুন্দরী তারকেশ্বরের বরে পুত্র লাভ করেন। তারকনাথের ৯ বৎসর বয়সে মাতৃবিয়োগ হয়।

তারকের পিতা ঘোষাল মহাশয় একদিকে যেমন প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেন, অপরদিকে তেমনই মুক্ত হস্তে ব্যায় করতেন। মাতা বামাসুন্দরী খুবই ধর্মপ্রাণা ছিলেন। বিদ্যালয় শিক্ষার শেষে তারকনাথ চাকরি গ্রহণ করেন।

১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে ভক্ত রামচন্দ্র দত্তের বাড়িতে প্রথম শ্রীরামকৃষ্ণকে দর্শন করেন। প্রথম দর্শনেই তারকনাথের মন-প্রাণ শ্রীরামকৃষ্ণ-চরণে অর্পিত হল। ইতিমধ্যে তারকনাথ ব্রাহ্মসমাজের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় দর্শনে সাক্ষাৎ জননীজ্ঞানে ঠাকুরের কোলে মাথা রেখে প্রণাম করলেন। ঠাকুরও তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগিলেন। ঠাকুরের চোখে করুণা ঝরে পড়ছে। ক্রমে ক্রমে তারকনাথ তাঁর নিজের স্থান বুঝে নিয়ে দক্ষিণেশ্বরে রাত্রিবাসও করতে লাগলেন। তারকনাথ দেখেন আর শেখেন। একসময়ে ঠাকুরের কথা টুকে রাখতে আরম্ভ করেন, হঠাৎ একদিন ঠাকুর বললেন, “তোর ওসব কিছু করতে হবে না — তোদের জীবন আলাদা।” সেদিন হতে এই সঙ্কল্প বিদায় দিলেন।

শ্রীশ্রীঠাকুরের মহাসমাধি লাভের পর তারকনাথ বরানগর মঠে যোগদান করেন এবং সন্ন্যাসগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজি যখন আমেরিকায় তখন তিনি স্বামীজীর নির্দেশেই আলমোড়ায় আসেন এবং মিস্টার র্স্টাডির সঙ্গে পরিচিত হন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে স্বামীজীর নির্দেশে তিনি শ্রীলঙ্কায় শ্রীরামকৃষ্ণের ভাব প্রচারের কাজে নিযুক্ত হন। তারপর তিনি বারাণসীতে অদ্বৈত আশ্রম প্রতিষ্ঠার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং সেখানে একটানা সাত বৎসর অধ্যক্ষ হিসাবে আশ্রম পরিচালনা করেন। ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে স্বামী প্রেমানন্দজী মহারাজের দেহত্যাগের পর তিনি স্থায়ী ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে স্বামী ব্রহ্মানন্দ (রাখাল মহারাজ) -এর দেহত্যাগের পর তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দ্বিতীয় অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ব্রহ্মানন্দজীর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা এতটাই ছিল যে তিনি নিজেকে কখনো সংঘাধ্যক্ষ ভাবতেন না। তিনি বলতেন, আমরা তাঁর দাস এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করছি।

রামকৃষ্ণ মিশনে তিনি মহাপুরুষ মহারাজ নামে খ্যাত ছিলেন। নিজেকে সংঘাধ্যক্ষ হিসেবে দেখেননি বা নিজেকে একজন গুরু হিসেবে ভাবতেন না, যদিও তিনি বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও সন্ন্যাসীকে আধ্যাত্মিক জীবনে দীক্ষিত করেছিলেন। মহান সহনশীলতা এবং ভক্ত ও তরুণ সন্ন্যাসীদের প্রতি অসীম দয়া তাঁর অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার শরীরের অর্ধেক ভাগ প্যারালাইসিস হয়ে যায়। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২০শে ফেব্রুয়ারি তিনি মহাসমাধি লাভ করেন।

শিবানন্দ বাণী, শ্রীশ্রীমহাপুরুষ মহারাজের স্মৃতিকথা, মহাপুরুষজীর পত্রাবলী প্রভৃতি গ্রন্থ ভক্তসমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আজ স্বামী শিবানন্দজী মহারাজের পূণ্য জন্মতিথিতে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রণাম।
~~~~~

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 00:09


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

26 Dec, 00:07


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:১৮:৩৯
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৫৫:৪৯
তিথি: (পৌষ কৃষ্ণপক্ষ) একাদশী দং ৪৬|৩ রাত্রি ঘ ১২|৪৫.
নক্ষত্রঃ স্বাতী দং ২৯|৩৮ সন্ধ্যা ঘ ৬|১০.
সফলা একাদশীর উপবাস।
শ্রীমৎ স্বামী শিবানন্দ মহারাজের জন্মতিথি।
শ্রী দেবানন্দ পন্ডিতের প্রয়াণ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

25 Dec, 14:17


প্রশ্ন︎ বই পড়ে মনে হয় ঠাকুর ও স্বামীজি ভিন্ন প্রকৃতির ছিলেন। তাদের মধ্যে মিল কোথায়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●প্রথমে এটাই মনে হয় এবং আপনার কথা ঠিক। শ্রীরামকৃষ্ণ ও নরেন্দ্রনাথ ছিলেন দুই আলাদা ভারতের উজ্জ্বল দুই পৃথক প্রতিনিধি। প্রথমজন প্রাচীন ভারতের প্রতিনিধি; লোকসংস্কৃতির ধারক ও সহজ জ্ঞানের বাহক। আর নরেন্দ্রনাথ আধুনিক ভারতের প্রতিনিধি; যুক্তি তর্ক বিজ্ঞানে আস্থাশীল, পাশ্চাত্য প্রভাবে দীপ্যমান। স্বাভাবিক ভাবেই আলাদা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ইতিহাসের প্রেক্ষিতে এঁদের দেখুন। পার্থক্যের মধ্যে আবিষ্কার করতে পারবেন এক মহামিলন।
দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে পার্থক্যটা বিরোধী না হয়ে পরস্পরের পরিপূরকও হতে পারে। ঠাকুর ও স্বামীজির ক্ষেত্রে এটাই হয়েছিল। ইতিহাসের দেবতা যেন এক গভীর সত্যকে তুলে ধরেছেন এই দু'জনের পার্থক্যের মধ্য দিয়ে। একই সত্যে পৌঁছানোর বিভিন্ন বিকল্প তুলে ধরলেন।
আসুন, দেখি এই আপাত ভিন্নতাকে।

১●ঠাকুরের বাইরেটা ভক্তি, ভেতরে জ্ঞান। আর স্বামীজির বাইরে জ্ঞান, ভেতরে ভক্তি। দু'জনই ভক্তি ও জ্ঞানের সমন্বয় করেছেন নিজস্ব মৌলিক পথে।

২●ঠাকুর নতুন মানুষের সন্ধান দিয়েছেন গৃহী ও সন্ন্যাসীর সমন্বয়ে। (এ-বিষয়ে কিছুদিন আগে এই গ্রুপে আলোচনা করেছি।) স্বামীজি নতুন মানুষের সন্ধান দিলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে। নতুন যুগের নতুন মানুষঃ সে সংসারে থাকে সন্ন্যাসীর মন নিয়ে, আর সন্ন্যাসী হয়েও লোকসমাজ থাকে বৃহতের পূজায়; সে নিজের মধ্যে প্রাচ্যের আধ্যাত্মিকতার সাথে মেলায় পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানকে।

৩●ঠাকুর লীডার (leader) তৈরি করেছেনঃ শ্রীশ্রীমা, নরেন, রাখাল, শরত্ , শ্রীম, গিরিশ ঘোষ, নাগ মহাশয় ....। স্বামীজি অনুপ্রাণিত করলেন লোকশক্তিকে (masses)। দু'জনে দিয়ে গেলেন নতুন যুগের মন্ত্রঃ doctrine of man & masses.
শেষ সময়ে ঠাকুর গড়ে তোলেন সঙ্ঘ, আর স্বামীজি জোর দিলেন লিডার তৈরিতে।

৪●ঠাকুর প্রচার করছেন একা। নিজেই যাচ্ছেন ঘোড়ার গাড়ি করে। নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। যেন মানুষকে শেখাচ্ছেনঃ কেউ আসে না আসে, তুমি একাই এগিয়ে যাও। আর স্বামীজি চেষ্টা করছেন গ্রুপ তৈরি করে, সমিতি গড়ে কাজ করতে। এই দুই পথ পরস্পর বিরোধী নয়, পরিপূরক।

৫●ঠাকুর আধ্যাত্মিকতার উপর জোর দিয়ে দেখান যে বিভিন্ন পথে বিভিন্ন সাধনা থাকলেও নিজস্ব মানসিকতা অনুসারে চলতে হয়। স্বামীজি বললেনঃ পাশ্চাত্যে ধ্যান ও প্রাচ্যে নিষ্কাম কর্ম একই লক্ষ্যে নিয়ে যাবে।
পাশ্চাত্যে জ্ঞান ভক্তি যোগ প্রচার করে স্বামীজি ভারতে ফিরে শোনালেন "ওঠো জাগো"-র মন্ত্র। বেদান্তের অধিকারী সূত্রের এক রূপ দেখান ঠাকুর, আরেক রূপ দেখালেন স্বামীজি।

৬●ঠাকুর বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে শেখালেন ঐক্যের মন্ত্র। স্বামীজি বিভিন্ন দেশের মানুষকে শেখালেন এটি।

ঠাকুর ও স্বামীজির বক্তব্য তাই আলাদা নয়, একই মন্ত্রের একই সত্যের নানা প্রকাশ। সূর্য ভোরে একরকম, দুপুরে আরেক ছবি, বিকেলে অন্য সৌন্দর্য। তাঁরা দু'জনে সেই বৈচিত্র্যময় সত্যের সন্ধান দিয়ে গেলেন। পরস্পরের পরিপূরক সেই বর্ণময় ছবিটা দেখলে সন্দেহ চলে যায়। বোঝা যায় স্বামীজি কেন ঠাকুরের সম্পর্কে বলেছেনঃ অনন্ত ভাবময়।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Dec, 00:37


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

08 Dec, 00:36


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: রবিবার, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:৮:৪০
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৮:২৫
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) সপ্তমী দং ৯|০ দিবা ঘ ৯|৪৫.
নক্ষত্রঃ শতভিষা দং ২৪|৪৫ দিবা ঘ ৪|৩.
মিত্র সপ্তমী ব্রত।
শ্রীশ্রী সূর্য পূজা।
দেশসেবক রাজা গোপালাচারীর জন্মদিবস।
নটরাজ উদয়শঙ্করের জন্মদিবস।
শহীদ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘাযতীন) জন্মদিবস।
শহীদ বাদল দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 14:30


প্রশ্ন︎ আপনার মধ্যে সবসময় পজিটিভ মন দেখি। কিন্তু চারদিকের পরিবেশ যে রকম কিভাবে এভাবে থাকি? বাস্তবকে এড়িয়ে থাকা সম্ভব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আপনি কি পজিটিভ কিছু দেখেন না সমাজে? ইন্ডিয়ান আইডল টিভি প্রোগ্রামে কত গরীব ছেলেমেয়ে কী অসাধারণ প্রতিভা দেখাচ্ছে, লক্ষ্য করুন। সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বন্ধ করে দিচ্ছে বহু সেলিব্রিটির ফিল্ম ও অনুষ্ঠান। গ্রামের মেয়ে অলিম্পিক গেমসে কৃতিত্ব দেখাচ্ছে। বিশ্বের বড়, ধনী, উন্নত দেশগুলি ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা চমক দেখাচ্ছেন আকাশে, নতুন ওষুধ তৈরিতে। গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত মহিলারা ব্যবসা করছেন। দেশে নিত্য নতুন আবাস ও পরিকাঠামো গঠন। চারদিকে তাকিয়ে দেখুন কী অভাবনীয় পরিবর্তন চলেছে। নারী ও অনুন্নত মানুষ নিজের প্রতিভা দেখিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
বহু বছর আগে, আমি তখন ছাত্র, এক সাধু বলেছিলেনঃ অন্যরা কি করছে না তার চেয়ে বেশি করে দেখ তুমি কী করছো? কর্তব্য কী তোমার? তোমার অবদান কী দেশগঠনে? তিনি আমাকে এক মাস এ অভ্যাস করতে বলেছিলেন। আর তখন থেকেই আমার জীবনে এক পরিবর্তন আসে।
এই নীতি তিনভাবে সাহায্য করেছে আমাকে।
● এক, জাগতিক সাফল্যে নতুন নতুন পথ খুলে দিয়েছে। সমাজ আগ্রহী নয় আমার বিদ্যা বা শক্তি নিয়ে, সে দেখতে চায় তার জন্য আমি কী করতে পারি। এ নীতি অসংখ্য লাইন খুলে দিয়েছে আমার সামনে।
● দুই, ধর্মক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। অহঙ্কার দূর করার অর্থ নিঃস্বার্থ হওয়া। আর এটা সহজ হয় পরের মঙ্গলে কাজ করলে।
● তিন, এটি অভ্যাস করতে করতে অনুভব করেছি যে মনে পজিটিভ দৃষ্টি ও আনন্দ নিজেনিজেই ওঠে।
আপনি বাস্তবকে এড়ানো'র কথা তুলেছেন। কে বাস্তবকে এড়াচ্ছে? বাস্তবকে আগে বুঝুন। এর গতি, সূত্র, ছবি, বা dynamics-টা দেখুন। এর চিরন্তন ও সাময়িক নীতি এবং ব্যবহার লক্ষ্য করুন। আপনার তথাকথিত বাস্তববাদ আপনাকে কোথায় এনেছে, এটা অনুভব করুন।
সমাজে যে সংঘর্ষ অন্যায় দুর্বলতা দেখতে পান তা চলছে পুরনো চিন্তা ও কাজের ফলে। ধর্ম, বিশেষত বেদান্ত, যে নীতিগুলির কথা বলে সেটা মানুষকে বাস্তববাদী করার জন্যই।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 08:52


প্রশ্ন︎ বেদের বাঙলা অনুবাদ পড়ছিলাম। সেখানে উচ্চস্তরের আত্মা আলোচনার সাথে-সাথে নিম্নস্তরের প্রার্থনাও রয়েছে। আমার শত্রুনাশ কর, প্রচুর ধনসম্পত্তি দাও, এই ধরণের প্রার্থনা কেন শাস্ত্রে রয়েছে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●অন্যান্য ধর্ম স্থাপিত হয়েছে বিশেষ বিশেষ স্থানে ও সময়ে। বেদ তা নয়। প্রাচীনকালে ভারতে অনেক ধর্মীয় মত-পথ ছিল। বৈদিক ঋষিরা এগুলির সমন্বয় করলেন। আর এভাবে যে মত-পথ সৃষ্টি হলো তাকেই হিন্দুধর্ম বলা হয়েছে পরে। এই ধর্ম গড়ে উঠেছে ক্রমবিকাশের পদ্ধতিতে। এবং এই "বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা"ই হিন্দুধর্ম।
বেদ বলেছে "সত্য এক, বিপ্ররা তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করেছেন।" এই নীতিকে আশ্রয় করে নানা পথের সমন্বয় করা হলো। যোগ, তন্ত্র, শৈব, সৌর, গাণপত্য, শক্তি উপাসনাই শুধু নয়, আদিবাসী লৌকিক দ্রাবিড় অস্ট্রিক ইত্যাদি ধর্মীয় মত পথকেও স্বীকৃতি দেওয়া হলো। অন্য মত পথকে ধ্বংস করে নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে সবার উপর চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং সবাইকে সম্মান দেওয়া, এটাই হিন্দুধর্মের বৈশিষ্ট্য। আর তাই আত্মজ্ঞান থেকে দৈনন্দিনের সাধারণ চাহিদা, সবই রয়েছে বেদের মধ্যে।
ব্যাসদেব তাই বেদ সংকলনে সবাইকে স্থান দিয়েছেন। যত রকম ধর্ম হতে পারে, মুনি ঋষিদের অনুভব থেকে সাধারণ প্রার্থনা, সবই মানুষকে নিয়ে যায় ঈশ্বরের কাছে, এ কথাই তিনি বললেন।

২● বিভিন্ন মত পথকে স্বীকৃতি দিয়ে বেদ মানুষকে উদার হতে সাহায্য করেছে। নিজের ধর্মে নিষ্ঠা রেখেও পুরো আকাশকে দেখা। শুধু ধ্রুবতারা বা লুব্ধক নয়, অসংখ্য নক্ষত্রের সৌন্দর্য অনুভব করা। রামধনুর সাত রং দেখা।

৩● কোনো প্রশ্নের উত্তর যে একটাই হবে, এর বদলে নানান বিকল্প খুঁজতে সাহায্য করে বেদ। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নানা বিকল্প খুঁজতে উৎসাহ দেয়।

৪● বেদ চায় প্রত্যেক মানুষ নিজের পথ নিজে বেছে নিক। ধর্মীয় স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক। ব্যক্তি স্বাধীনতা, মতের স্বাধীনতা, বিকাশের স্বাধীনতা, বেদ তুলে ধরেছে ৫ হাজার বছর আগেই। আর তাই কোনো মতকেই, কোনো ধর্মকেই চেপে না দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

৫● প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে যতরকম ধর্মীয় ধারা দেখা গেছে, ধর্মচেতনা যে বিভিন্ন রূপ নিয়েছে, সবকিছুকে স্থান দেওয়া হয়েছে বেদে। এমনকি পরবর্তী যুগে যে নতুন ধর্মীয় মত পথ গড়ে উঠবে তাকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছে। শাস্ত্রের ভবিষ্যত্ যুগোপযোগী ব্যাখ্যার স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন মুনি ঋষিরা। শাস্ত্রের কোনো কথার একই ব্যঞ্জনা চিরকাল ধরে রাখলে শাস্ত্র প্রাণহীন হয়ে পড়ে, মানুষ মতান্ধ হয়ে ওঠে, সমাজে ধর্মের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।

আর হিন্দুধর্ম এভাবেই হয়ে উঠেছে সৃজনশীল।
পুরোহিত তন্ত্র থেকে মুক্ত হয়ে বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে এই ধর্ম।
অসাধারণ উদার মনের মানুষ ছিলেন ব্যাসদেব। নির্গুণ সাধনা থেকে ছোট চাহিদার প্রার্থনা, সবকেই স্থান দিয়েছেন তিনি।
বেদ তাই হয়ে উঠেছে ধর্মের বিশ্বকোষ (encyclopedia) মানুষের কাছে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 04:08


বলরামবাবুর আত্মীয়দের মধ্যে অন্যতম তাঁর শ্যালক বাবুরাম, পরবর্তী সময়ে শ্রীরামকৃষ্ণ সংঘে স্বামী প্রেমানন্দ নামে সুপরিচিত। তাঁর সহধর্মিনী কৃষ্ণভাবিনী দেবী সম্বন্ধে ঠাকুর একদিন বলেছিলেন, তিনি "শ্রীমতী (রাধারানীর) অষ্টসখীর প্রধানা।" একবার কৃষ্ণভাবিনী দেবীর অসুখের সময় ঠাকুর শ্রীশ্রীমাকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতায় গিয়ে রোগিনীকে দেখে আসতে বলেন।

ঠাকুরের কাশীপুরে অবস্থানকালে একদিন তিনি বলরামকে বলেন যে তিনি যেন খাওয়ার খরচটা দেন। বলরাম বাবু মহানন্দে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ঠাকুরের দেহত্যাগের পর তাঁর ত্যাগী সন্তানরা অনেক বিষয়েই বলরাম বাবুর উপর নির্ভর করতেন। ত্যাগী যুবকগন প্রায়ই চিকিৎসা বা অন্যান্য কারণে তাঁর বাড়িতে বাস করতেন। বস্তুতঃ সব বিষয়ে তিনি ছিলেন মঠের অকৃত্রিম বন্ধু। বরানগর মঠে ঠাকুরের ত্যাগী সন্তানদের খাওয়ার কষ্টের কথা জানবার পর থেকে তিনি নিয়মিত সাহায্য করতেন এবং বাবুরাম মহারাজকে বলে রেখেছিলেন যে মঠের সব খবর তিনি যেন বলরাম বাবুকে দেন।

বলরাম বাবু যখন শেষবার শয্যাগ্রহণ করেন তখন এসব কথা স্মরণ করে স্বামী বিবেকানন্দ অবিলম্বে কাশীধাম থেকে কলকাতায় ছুটে আসেন এবং স্বামী শিবানন্দ প্রভৃতিরা তাঁর সেবায় নিযুক্ত হন। কিন্তু অবশেষে বলরামবাবু পয়লা বৈশাখ ১২৯৭ বঙ্গাব্দ, ১৩ই এপ্রিল ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে অল্প বয়সে দেহত্যাগ করেন।
আজ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কৃপাপ্রাপ্ত অন্যতম গৃহী ভক্ত শ্রীযুক্ত বলরাম রসুর জন্মদিবসে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রণাম।
~~~~~
যদিও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পরম্পরায় শ্রীশ্রীঠাকুর এবং পার্ষদগন ব্যতীত জন্মতিথি / জন্মদিবস পালন করা হয় না কিন্তু বিশিষ্ট মহাজীবনের স্মৃতিচারণা সাধারণের অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সেজন্যই স্বল্প পরিসরে স্মরণ-মণনের প্রয়াস।
~~~~~

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 04:08


আজ যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কৃপাপ্রাপ্ত বলরাম বসু মহাশয়ের জন্মদিবস। ১২৪৯ বঙ্গাব্দের ২১শে অগ্রহায়ন (১৮৪২ সালের ৬-ই ডিসেম্বর -- ১৮৪২ সালের ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুসারে) বলরাম বসু জন্মগ্রহণ করেন। বৈষ্ণব বংশোদ্ভূত বলরাম স্বয়ং পরম বৈষ্ণব ছিলেন। তাঁর পিতা রাধামোহন স্বনামধন্য কৃষ্ণরাম বসু মহাশয়ের সুযোগ্য বংশধর। তাঁদের গৃহে শ্রীশ্রী রাধা শ্যামচাঁদ জীউর মন্দির প্রতিষ্ঠার সুবাদে বিগ্রহের নাম অনুসারে পল্লীর নাম হয় শ্যামবাজার। শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর পশ্চিমে কৃষ্ণ রাম বসু স্ট্রিট আজও গৌরবময় স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করে।

ঠাকুরের কাছে আসার আগে তিনি রোজ সকালে চার পাঁচ ঘন্টা পুজা-পাঠে ব্যস্ত থাকতেন। অহিংসা ধর্মপালনে তিনি এতটাই যত্নবান ছিলেন যে কীটপতঙ্গদেরও কখনও কোনো কারণে আঘাত করতেন না। যৌবনে ক্রমাগত অজীর্নরোগে ভুগতে থাকায় তাঁকে একনাগাড়ে ১২ বছর তিনি অন্ন ত্যাগ করে যবের মন্ড ও দুধ পান করে কাটাতে হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে ১১ বছর ভগ্নস্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য তিনি পুরীধামে কাটিয়েছিলেন। পুরীতে থাকাকালীন শ্রীভগবানের নিত্য দর্শন, পূজা, জপ ও সাধুসঙ্গ করেই তাঁর দিন কাটত। প্রথম কন্যার বিবাহের সময় অনেক বছর পরে কলকাতায় তাঁকে আসতে হয়েছিল। এরপর ঠাকুরের দর্শন লাভের পরবর্তী সময়ে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করেছিলেন।

কেশব চন্দ্র সেনের সংবাদপত্র থেকেই বলরাম প্রথম দক্ষিণেশ্বরে মহাপুরুষের আবির্ভাব সম্বন্ধে জানতে পারেন। প্রথম দর্শনে তিনি ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেন "মহাশয়, ভগবান আছেন কি?" উত্তরে ঠাকুর বলেন, "তিনি যে শুধু আছেন তাই নয়, আপনার ভেবে ডাকলে তিনি দর্শন দেন। নিজের সন্তান-সন্ততিতে যেমন মমত্ববোধ আছে, তাঁকেও সে রকম ভাবেই ডাকতে হয়।।" বলরাম এই কথায় এক নতুন আলো পেলেন এবং পরদিন সকালে পায়ে হেঁটে পুনরায় দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তাঁকে দেখে ঠাকুর বলেন, "ওগো, মা বলেছেন তুমি যে আপনার জন। তুমি যে মার একজন রসদদার। তোমার ঘরে এখানকার অনেক জমা আছে।" তারপর থেকে বলরাম নিয়মিতভাবে দক্ষিণেশ্বর যেতে লাগলেন এবং প্রতি মাসে প্রভুর প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ডালি সাজিয়ে পাঠাতে লাগলেন।

ঠাকুরের শ্রীমুখ থেকে শোনা, এক সময় ঠাকুরের শ্রীচৈতন্যদেবের সংকীর্তন করতে করতে নগর প্রদক্ষিণ করা দেখবার সাধ হলে ভাবাবস্থায় সেরূপ দর্শন হয়। সে এক অদ্ভুত ব্যাপার, অসীম জনতা। হরিনামের উদ্দাম উন্মত্ততা আর সেই উন্মাদ তরঙ্গের ভিতর শ্রীগৌরাঙ্গের আকর্ষণ। ঠাকুর বলতেন, তার ভিতর যে কয়েকখানি মুখ ঠাকুরের স্মৃতিতে চির-অঙ্কিত ছিল, বলরাম বাবুর ভক্তি জ্যোতিপূর্ণ স্নিগ্ধোজ্জল মুখখানি তাদের অন্যতম। বলরাম বাবু যেদিন প্রথম ঠাকুরকে দর্শন করতে দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িতে উপস্থিত হন সেদিন ঠাকুর তাকে দেখামাত্র চিনেছিলেন - এই সেই লোক।

বলরাম বাবু দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার পর থেকে প্রতি বছর রথের সময় শ্রীশ্রী ঠাকুরকে বাগবাজার রামকান্ত বসু স্ট্রিটে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসতেন। দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়িকে ঠাকুর কখনও 'মা কালীর কেল্লা' বলে নির্দেশ করতেন। লীলাপ্রসঙ্গকারের ভাষায় বলরাম বাবুর বোস পাড়ার এই বাড়িকে ঠাকুরের 'দ্বিতীয় কেল্লা' বলে নির্দেশ করলে অত্যুক্তি হবে না। ঠাকুরের কৃপায় বলরামের মন নানা রূপে পরিবর্তিত হয়ে আধ্যাত্মিক রাজ্যে দ্রুত অগ্রসর হয়েছিল। তিনি এবং তাঁর পরিবারবর্গ ঠাকুরকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা-ভক্তি করতেন। বাস্তবিক ঠাকুরের এত ভক্তের ভিতর বলরামবাবুর অন্নই (ভাত) ঠাকুর স্বেচ্ছায় গ্রহণ করতেন। কলকাতায় ঠাকুর যেদিন সকালে আসতেন সেদিন মধ্যান্হ-ভোজন বলরামের বাড়িতেই হতো।

১৮৮২ সালের শুরু থেকে ঠাকুরের দেহত্যাগ পর্যন্ত বলরামের বাড়ি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও তাঁর ভক্তদের জন্য অবারিত দ্বার ছিল। ঠাকুর স্বচ্ছন্দে এই 'কেল্লাতে' যেতেন এবং সেই খবরে ভক্তেরাও সম্মিলিত হওয়ায় বাড়িখানি প্রায়ই আনন্দ মুখরিত থাকতো। ১৮৮৫ সালের রথযাত্রা উপলক্ষে ঠাকুর বলরামের বাড়িতে একাধিক দিন বাস করেছিলেন। ঠাকুর গলরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর ভক্তরা ডাক্তারের পরামর্শে ঠাকুরকে কলকাতায় রেখে চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্যে বাগবাজারে দুর্গাচরণ মুখার্জি স্ট্রিটের ক্ষুদ্র একটি বাড়ি ভাড়া করে তাঁকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঠাকুর সে সময় পায়ে হেঁটে বলরাম বসুর বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে সপ্তাহখানেক বাস করেছিলেন। বলরামের উপর ঠাকুরের অপূর্ব ভালোবাসা ও বিশ্বাসপূর্ণ নির্ভরতা ছিল। ঠাকুরের ভক্তবৃন্দও বিভিন্ন সময়ে বসু মহাশয়ের কলকাতার বাড়িতে এবং বৃন্দাবনের কুঞ্জে অথবা পুরীর আবাসে নিঃসংকোচে বাস করতেন। শ্রীশ্রী মাতাঠাকুরানীও ঠাকুরের দেহত্যাগের পর বিভিন্ন সময়ে এই বাড়িতে বাস করেছিলেন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 04:03


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 00:21


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

07 Dec, 00:20


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শনিবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:৮:৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৮:৯
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) ষষ্ঠী দং১২|২৮ দিবা ঘ ১১|৭.
নক্ষত্রঃ ধনিষ্ঠা দং ২৬|৪৮ সন্ধ্যা ঘ ৪|৫১.
মূলক রূপিনী ষষ্ঠী।
শ্রীশ্রী কৃষ্ণের শ্রাবরণোৎসব।
শ্রীল দ্বিজপদ গোস্বামীর তিরোভাব তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Dec, 14:46


প্রশ্ন︎ করোনা আসা থেকে আমার মনে একটা চিন্তা মাঝে-মাঝেই আসে। এত বদলে যাওয়া পরিস্থিতি, সমাজ, মানুষ, জীবনযাত্রা। ভয় হয়। ভবিষ্যতে যদি আবার এমন বড় কিছু আসে! আমূল পরিবর্তনকে বারবার সামাল দেব কিভাবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●করোনা আসুক কি নাই আসুক, ছোটবেলা থেকে তো বারবার পরিবর্তন এসেছে আপনার জীবনে। স্কুল জীবন, কলেজ, চাকরি, বিয়ে, সন্তান। আপনি ভয় পাননি তো। বরং প্রতিটি পর্বেই সাফল্য দেখিয়েছেন। অর্থাত্ বারবার পরিবর্তন এলেও আপনি তার মোকাবিলা করতে পারেন সহজেই। এই শক্তি রয়েছে আপনার মধ্যে। তাহলে আজ ভয় পাচ্ছেন কেন? এই ভয় কাল্পনিক।
আপনি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলেছেন। এই খেলার পরিস্থিতি মুহূর্তে মুহূর্তে পাল্টাচ্ছে। কখনো এগিয়ে কখনো পিছিয়ে খেলে যাচ্ছেন আনন্দে। ভয় পাননি তো। অর্থাত্ খেলার মাঠেও প্রমাণ করেছেন যে পরিবর্তনের মোকাবিলা আপনি অনায়াসে করতে পারেন।
মেয়েদের দেখুন। বিয়ের পর আমূল পরিবর্তন। নতুন পরিবেশ, লোক সম্পর্ক জীবন কাজ রুটিন ব্যবহার ইত্যাদি সবকিছু পাল্টে যায়। এ-সত্বেও তারা কি সুন্দর অ্যাডজাস্ট করেন।
আপনি কলেজে অফিসে খেলায়, স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে যে প্রতিভা দেখান তার রহস্য কী? মনের দিক থেকে পরিবর্তনকে গ্রহণ করে নেওয়া। তবে আজ আপনার সমস্যা কী?

১●আপনি স্থিতাবস্থায় থাকতে চান। পুরনো ছন্দকে ধরে রাখতে চান। এ থেকে বেরুতে চান না। কেন এমন করছেন? ঘরের বাইরে এসে দেখুন তো, আরো ভাল পরিবেশ পেতে পারেন। কেন খাঁচার মধ্যে থাকতে চাইছেন? জীবনের অসীম সম্ভাবনাকে দেখুন, জানুন, উপভোগ করুন।

২●ধরা-বাঁধা যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে আসুন। সৃজনশীল হয়ে নিজের জীবনকে ইচ্ছেমতো রূপ দিন, গড়ে তুলুন।.... এই শক্তি আপনার আছে। একে ব্যবহার করুন। পুরনো জ্ঞান, কাজ, চিন্তা, সব বাতিল হয়ে যাচ্ছে। জ্ঞান-সংগ্রাহকদের দিন শেষ, আজ জ্ঞান-স্রষ্টাদের যুগ। আজ ডিগ্রিধারীরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে কারণ ইন্টারনেট গুগল রয়েছে হাতের কাছে। আজ তাই ডিগ্রি নয়, স্ট্র্যাটেজি বেশি প্রয়োজনীয়। সমাজে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। একে সুযোগ করে নিন, নিজের উন্নতিতে লাগান।
আরো বড় কথা। এ জন্মেই এই নতুন সংস্কার গড়ে তুলুন। পরজন্মে এ আরো বেশি দরকার হবে। আর এর বিকাশ না করলে পরজন্মে বেশি সময় লাগবে এর অভ্যাস ও প্রয়োগে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Dec, 08:36


প্রশ্ন︎ দিনে প্রায় ২-৩ ঘন্টা জপ-ধ্যান করি। এভাবে ভগবান লাভ করতে কতদিন লাগতে পারে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মনে করুন আপনার ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সে দিনে ২-৩ঘন্টা পড়ে। এভাবে সে কোন্ ডিভিশনে পাশ করতে পারে? ঈশ্বরলাভেও একই কথা। গভীর যেতে সময় লাগে। এইটুকুতে ভগবানলাভ কঠিন যদি না গত জন্মে অনেক করা থাকে। তবে ২-৩ঘন্টা করেও এগুনো যায় অনেক। কতটা এগোবেন সেটা নির্ভর করে সাধনার কতটা গভীরে যাচ্ছেন।
এক ভিডিওতে "অগ্রগতির ৭টি মাইলস্টান" দিয়েছি আমরা। সেটি দেখে বুঝতে পারবেন কতটা এগিয়েছেন। পরবর্তী অগ্রগতির লক্ষণও বলা হয়েছে আরেকটি ভিডিওতে। এভাবে একটু একটু করে এগিয়ে একদিন নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবেন লক্ষ্যে।
====================
প্রশ্ন︎ উপনিষদ সম্বন্ধে জানতে চাই। কোন বই পড়বো?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●যদি প্রত্যেক শ্লোকের প্রতিটি শব্দের অর্থ ও অনুবাদ পড়তে চান তবে স্বামী গম্ভীরানন্দ মহারাজের লেখা "উপনিষদ গ্রন্থাবলী" দেখুন। আর যদি শুধু আলোচনা পড়তে চান তাহলে গোবিন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বই পড়ুন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Dec, 03:22


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Dec, 00:35


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

06 Dec, 00:34


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শুক্রবার, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:৭:২২
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:৫৮
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) পঞ্চমী দং১৫|৩ দিবা ঘ ১২|৮.
নক্ষত্রঃ শ্রবণা দং ২৮|০ সন্ধ্যা ঘ ৫|১৯.
বিভা পঞ্চমী।
মহামহোপাধ্যায় ডঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্মদিবস।
ডঃ বি আর আম্বেদকরের প্রয়াণ দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

05 Dec, 14:23


প্রশ্ন︎ মেডিকেলে সম্ভব না হওয়ায় কলেজে অঙ্ক নিয়ে ভর্তি হই। ইচ্ছে আছে সামনের বছর আবার চেষ্টা করি। কিন্তু মা বাবা ভাবেন যে আমি চান্স পাব না। কেউ বলেন ঈশ্বরের ইচ্ছে বলে এ মেনে নাও। আমার স্বপ্ন কি পূরণ হবে না?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●পরের বার আবার চেষ্টা করো মেডিকেলে। নিজের যোগ্যতা না দেখালে মা বাবা কিভাবে বিশ্বাস করবেন? একবার চান্স পেয়ে গেলে পড়ার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। আর পরীক্ষার খরচ এমন কিছু নয়, অন্যের সাহায্য পাওয়া সম্ভব।

এমন কেউ যাকে মা বাবা মানেন, তার কথা শোনেন, তাকে দিয়ে চেষ্টা করো মা বাবার অনুমতি পেতে পরীক্ষায় বসার। প্রীপারেশনের জন্য সময় ও টাকা তো বেশি লাগেনা।....এবার কিছু কথা বলি।

১●কেন মেডিক্যাল পড়া স্বপ্ন তোমার? সমাজের চোখে বড় হওয়া? পেশাতে বেশি টাকা? গরিবের সেবা করা? মেডিক্যাল পড়তে ভাল লাগে? আগে এ ঠিক করো। মানুষের সেবা হলে হোমিওপ্যাথি কেন পড়ছোনা? আর সম্মান/অর্থ হলে এ অনিশ্চিত কারণ অধিকাংশ ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বার নেই। আর তথ্য অনুযায়ী এই রাজ্যে প্রায় দেড় হাজার ডাক্তার ও ৫হাজারের উপর ইঞ্জিনিয়ার কর্মহীন।

২●জীবনে যা চাই তা পাওয়া যাবেই এমন কথা নেই। এজন্য বিকল্প পথের চিন্তা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।

৩●সম্মান/টাকা সব লাইন বা পেশাতেই আছে। অঙ্কের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে ফিজিক্স, CA, স্ট্যাটিস্টিক্স, সেফোলজি, বিজনেস, অর্থনীতি ...। বস্তুত অঙ্ক ছাড়া আধুনিক সমাজ ও বিশ্ব অচল। শুধু এই বিষয়কে ভিত্তি করেই অসংখ্য লাইন/পেশা খুলে যায়। এক বিষয় বা ডিগ্রি কিভাবে অনেক ক্ষেত্র খুলে দেয় সে-কথা বিশদ ভাবে আলোচনা করেছি "কেরিয়ার গঠনে বেদান্ত নীতি" বইয়ে। নানা উদাহরণ দিয়েছি সেখানে।

৪●দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও জেদ, এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। জেদ কেন্দ্রিত থাকে একটি বিষয়ে। আর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির মানুষ খোলা মন নিয়ে সুযোগ খোঁজে বাধাগুলিকে জয় করতে করতে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

03 Dec, 14:46


প্রশ্ন︎ ঈশ্বরকে অনেক পূজা প্রার্থনা করেও তাঁর সাড়া পাই না। দূরেই থেকে যাই। একাকীত্ব দুশ্চিন্তা দুঃখ কেন তিনি দেন আমাকে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এর জন্য তো তিনি দায়ী নন। আপনিই তাঁকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। বৈকুন্ঠে কৈলাসে, নিজের কাছে_নয়। ভাবছেন তাঁকে লাভ করতে হবে, পেতে হবে। যেতে হবে অনেকটা পথ। আপনি তাঁকে খুঁজছেন। ঈশ্বর বলেছেন, তিনি আছেন খুব কাছে, আপনার হৃদয়ে, চারপাশে তিনিই। আপনি বিশ্বাস করেননি তাঁর কথায়। তাঁকে তাই কল্পনা করেছেন অনেক উঁচু আকাশে।
তাঁকে খুঁজেছেন_দূরে, কাছে অনুভব করার চেষ্টা করেননি। তিনি তো আপনার কাছেই, এই ফোনে চেয়ারে টেবিলে ঘরে বারান্দায় ফুলদানিতে গাছে রাস্তায়.....সর্বত্র। ঈশ্বরকে খুঁজতে হয়না, অনুভব করতে হয়।
সেই ঈশ্বরই তো খেলা করছেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড জুড়ে। সেই বিরাট আনন্দ-যজ্ঞের বাইরে দাঁড়িয়ে কেন আপনি? কেন নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন? তাঁর আমন্ত্রণ তো সবার জন্যই। তবু কেন বাইরে দাঁড়িয়ে আপনি? অনুভব করতে না পারেন, কল্পনা কেন করছেন না সেই আনন্দ যজ্ঞের? যান যোগ দিন ঐ যজ্ঞে। বাইরে একা দাঁড়িয়ে আছেন বলেই আপনার নিঃসঙ্গতা, একাকীত্ব। ঐ বিশ্ব লীলায় যোগ দিন। আপনিই তো নিজেকে আলাদা ভেবে ভয়ে ভয়ে রয়েছেন।
আপনি এই জীবন-লীলায়, জীবনের খেলায় #সবসময়_জেতার_চেষ্টা করেছেন। এজন্যই খেলার আনন্দ কখনো উপভোগ করেননি, হার-জিত নিয়ে দুশ্চিন্তায় কষ্ট পেয়েছেন বারবার। না পেলেন ঈশ্বর, না পেলেন জাগতিক সুখ। জেতার টেনশন মনে রেখে ভয়ার্ত ছিলেন সবসময়, হারের মুখে পড়ে নিজেকে অসহায় ভেবেছেন বারবার।
আজ থেকে খেলুন। যোগ দিন ঈশ্বরীয় লীলায়। হার জিত্ ভুলুন, খেলুন আনন্দে। সাধনার অর্থ তো বিশ্বলীলায় যোগ দেওয়া, ঈশ্বরের সাথে খেলা। প্রতিটি কাজই সেই সুযোগ এনে দিচ্ছে আপনাকে। খেলার মন নিয়ে, হার জিত্ ভুলে, মহানন্দে খেলতে থাকুন, উপভোগ করুন প্রতিটি মুহূর্ত।
কখনো কখনো হারবেন। হারলেই বা! হারছেন তো ঈশ্বরের কাছেই। প্রতিকূল পরিবেশে ভয় পাচ্ছেন কেন? "নরক, সেও তো মায়েরই কোল।" রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, একা? "নগর ফের মনে করো প্রদক্ষিণ শ্যামা মা'রে।" আজ রান্না ভাল হয়নি? মনে করুন, এও মায়েরই প্রসাদ। আজ রসগোল্লা নয়, নকুলদানা প্রসাদ পাঠিয়েছেন মা। "আহার করো মনে করো আহুতি দিই শ্যামা মা'রে।"
ঈশ্বরকে পেতে হয় না, তিনি তো সবসময় কাছেই। তাঁকে লাভ করবেন কী? তিনি তো কখনো হারিয়ে যাননি। তাঁকে খুঁজতে হয়না, সামনে তো তিনিই রয়েছেন। সাধনা এক খেলা। এ খেলতে হয় আনন্দ করে।
সবসময় না হোক, দিনে মাঝেমাঝে ২-৩ বার এভাবে খেলতে পারেন কিছুক্ষণ?
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

03 Dec, 08:44


প্রশ্ন︎ গত মাসে হাসপাতালে ছিলাম ৮দিন। এত দুর্বল ছিলাম যে বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছিল। সকাল সন্ধ্যা উপাসনা করতে পারিনি। কোন রকমে ১০৮বার মন্ত্র জপ করেছি। মনটা খুব খারাপ লেগেছে। আমার বয়স হয়েছে। ভবিষ্যতেও যদি এভাবে হাসপাতালে থাকতে হয় তবে সাধনা করতে পারবনা। এই অবস্থায় কি করে উচিত?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●যেটুকু সম্ভব সেটুকুই করবেন। চেষ্টা করুন ১০৮ বার ইষ্টমন্ত্র জপ ছাড়া আর কী করা সম্ভব।
১●চোখ বন্ধ করে মনেমনে জপ করুন ইষ্টকে মানসনেত্রে দেখতে দেখতে।
২●কল্পনা করুন, ইষ্টের ছবির সামনে আপনি নেচে নেচে গাইছেন। বা বৈষ্ণবদের মতো কীর্তন করছেন। ইষ্টের স্মরণ মনন করুন।
৩●সামনের দেয়ালে বা টেবিলে ইষ্টের ছবি রেখে জপ করা মনেমনে।
৪●বাড়ি থেকে কেউ আপনার সাথে থাকলে তাকে বলুন কথামৃত পড়ে শোনাতে আপনাকে।
এভাবে চিন্তা করে দেখুন আর কী কী ভাবে আপনি ইষ্টের স্মরণ মনন করতে পারেন বিছানায় শুয়ে।
====================
প্রশ্ন︎ কয়েক সপ্তাহ আগে ধ্যানে মন শান্ত হয়ে অপূর্ব অনুভূতি হয়েছিল। মনে চিন্তা নেই। শুধু আমি রয়েছি দেহহীন হয়ে। এটি কী ঠিক না কল্পনা? পরে আর কখনো এমন অনুভব হয়নি। চেষ্টা করেও পারিনি।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ঠিক অনুভবই হয়েছিল আপনার। ওটা কল্পনা নয়। পরে আর এমন হয়নি বলে দুঃখ করবেন না। এমন অনুভূতি মাঝেমাঝেই হয় প্রথম দিকে। রোজ হয়না কারণ ধী এখনও পুরো তৈরি নয়। এজন্য শুধু ঝিলিক (glimpse) দিয়ে চলে গেল। ধ্যান নিয়মিত অভ্যাস করে গেলে এই অনুভূতি মাঝেমাঝেই হবে। পরে ঘনঘন হবে। আর এরও পরে আপনি মনের আরো গভীরে যেতে পারবেন।
ধ্যানে নানারকম অনুভূতি হয় তবে এতে আসক্ত হতে নেই। যা অনুভব হচ্ছে সব ইষ্টের কৃপাতে হচ্ছে এই ভাব মনে রাখবেন। কোনো অনুভূতির জন্য বিশেষ আগ্রহী হবেননা।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

03 Dec, 02:58


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

03 Dec, 00:37


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

03 Dec, 00:36


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:৫:২১
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:৩০
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া দং১৭|৪৩ দিবা ঘ ১|১০.
নক্ষত্রঃ পূর্বাষাঢ়া দং ২৭|৫৩ দিবা ঘ ৫|১৫.
বীর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস।
ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্মদিবস।
সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

02 Dec, 14:31


প্রশ্ন︎ ধ্যান করতে করতে কখনও এমন অবস্থা আসে যে মনে চিন্তা নেই আবার কোন রকম অনুভবও নেই। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ সচেতন হই। ঐ আগের অবস্থার কিছু মনে থাকে না। এটি কী? কোনো বাধা?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●যোগশাস্ত্রে "লয়" বলে এক অবস্থা আছে। মন যেন হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ে। সাধারণত বসে ঘুমোলে মাথা ঢুলে পড়ে, কিন্তু এই অবস্থায় সেই ঢুলুনি আসে না। এ একরকম বাধা। ধীরে-ধীরে এ ঠিক হয়ে যাবে।
আপনি সতেজ (fresh) মন নিয়ে ধ্যান করতে বসুন। দরকার হলে গরম চা খান বসার আগে। ঠিক-ঠিক ধ্যানে একরকম সচেতন ভাব থাকেই মনে। এমনকি মন যখন একেবারে শান্ত, কোনো চিন্তা বা ভাব নেই, তখনও চেতন আমি বোধ থাকে যা ক্রমশ গভীরে যেতে থাকে, আমি-বোধও সূক্ষ্ম হতে থাকে। নিজের শরীর মন পরিবেশ ইত্যাদি কোনো কিছুই থাকে না, অতীত ভবিষ্যতে নয়, শুধু চেতনা জেগে থাকে কোনো বিষয় ছাড়াই।
====================
প্রশ্ন︎ বিপদের সময় প্রার্থনা করলে অধিকাংশ সময় কোনো উত্তর পাই না, ঈশ্বর সাহায্য করেন না আমাকে। মা হিসেবে তাঁর কি কর্তব্য নয় সন্তানকে সাহায্য করা?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●কিছুদিন আগে ফেসবুকে মা দুর্গাকে ব্যঙ্গ করে একটা লেখা বেরিয়েছিল। আপনি কি তার প্রতিবাদ করেছিলেন, কমেন্টে বা অন্য কোনোভাবে? মা'র অপমান আপনি সহ্য করেছিলেন সন্তান হয়ে আর এখন বলছেন মা তাঁর কর্তব্য করেননি সন্তানের প্রতি!

আপনি ধর্মকে রক্ষা করুন, ধর্মও আপনাকে রক্ষা করবে, এটাই শাস্ত্র বলে। বনবাসে যাবার আগে রাম এসেছিলেন মা কৌশল্যার আশীর্বাদ নিতে। মা কিন্তু আশীর্বাদ করেননি। বলেছিলেন, তুমি যদি ধর্মকে রক্ষা করো তবে ধর্মও তোমাকে রক্ষা করবে। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে প্রতিদিন সকালে যুদ্ধে যাবার আগে দুর্যোধন আসতো মা গান্ধারীর আশীর্বাদ নিতে। মা কিন্তু কখনো আশীর্বাদ করেননি, প্রতিদিনই বলতেনঃ ধর্মের জয় হবে। তাহলে দেখুন, রামায়ণ মহাভারতে মা দুজনেই সন্তানকে আশীর্বাদ না করে স্পষ্ট বলে দেন যে ধর্মকে রক্ষা করলেই নিজে রক্ষা পাবে।
এটাই হিন্দুধর্মের কথা। ঈশ্বরকে সমালোচনা করার আগে শাস্ত্র ও ধর্মকে জানুন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

02 Dec, 08:32


প্রশ্ন︎ বেদান্তের মতে জগৎ মিথ্যা। জগৎ যদি না থাকে তাহলে একে দেখছি কিভাবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●"জগৎ নেই" এ-কথা তো বেদান্ত বলেনি। শঙ্করাচার্য যে "মিথ্যা" বা "মায়া" শব্দ ব্যবহার করেছেন তার অর্থ "নেই" (non-existent, ন অস্তি) নয়। তিনি বলেছেন "যৎ কিঞ্চিত ইতি", অর্থাৎ কিছু একটা আছে। জগত যে ব্যবহারিক সত্য, এও তিনি লিখেছেন। এমনকি এই জগৎ ও স্বপ্ন, দুয়ের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটাও পরিষ্কার বলেছেন। তাঁর ব্যবহৃত "মায়া" শব্দের অর্থ বুঝতে না পেরে অনেকে তাঁকে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ দেখলে "আছে" কিন্তু বিচার করলে "নেই" এটাই মায়া। "যৎ কিঞ্চিত", কিছু একটা আছে। "অনির্বচনীয়", ঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।

বিজ্ঞানও তো একই কথা বলছে। এই যে আপনার হাতে ফোন, এটা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে হলো mathematical figure. এই ফিগার কি? বিজ্ঞান বলেঃ কতগুলি তল (plane) সাজিয়ে প্লেন তৈরি হয়। "তল" কি? অনেক রেখা পরপর সাজালে এ তৈরি হয়। রেখা কি? অসংখ্য বিন্দু (geometrical point) পরপর সাজালে রেখা তৈরি হয়। এখন যদি বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করেনঃ বিন্দু কি? উত্তরঃ যার অস্তিত্ব আছে কিন্তু মাত্রা (dimension) নেই। মজার ব্যাপার, এটা বিজ্ঞান-বিরোধী কথা। মাত্রা না থাকলে অস্তিত্ব কিভাবে সম্ভব?....আরেক মজার বিষয়। বিন্দুর যদি মাত্রা না থাকে তবে অসংখ্য বিন্দু পরপর রাখলেও সেটা মাত্রাহীন হবে। আর এভাবে প্রশ্ন করে গেলে "তল" এবং "বস্তু"ও মাত্রাহীন হওয়া উচিত। তাহলে আপনি ফোন ধরে আছেন কিভাবে? এই তো মজা। ফোনটা দেখলে "আছে" কিন্তু বিচার করলে "নেই"।....এ-রকম আরও উদাহরণ দিতে পারি বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা থেকে।
শঙ্করাচার্য হাজার বছর আগে যা বলেছেন, আজ বিজ্ঞানেও সেটাই দেখি।
====================
প্রশ্ন︎ আমি সকাল সন্ধ্যা সাধনার সময় মালা জপি। অসুবিধা হয় যখন ট্রেনে করে ট্যুরে যাই। সীটে বসে মালা জপ করলে অন্য যাত্রীরা তাকিয়ে দেখে। কি করতে পারি এই ক্ষেত্রে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●দেখুক না, ওদেরই পুণ্য হবে। আপনার এতে সঙ্কোচ হলে গায়ে চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে নিন। আর চাদরের ভেতরে মালা জপ করুন। চোখ বন্ধ করে সাধনা করুন। অন্য যাত্রীদের অতো গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করে যান। ধীরে-ধীরে সঙ্কোচ কেটে যাবে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

02 Dec, 02:56


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

02 Dec, 00:05


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

02 Dec, 00:04


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৬:৪:৪৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:২৫
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ দং১৬|৪৮ দিবা ঘ ১২|৪৪১.
নক্ষত্রঃ জ্যেষ্ঠা দং ২৪|৪৮ দিবা ঘ ৩|৪৬.
মতান্তরে মনোরথ দ্বিতীয়া ব্রত।
শিক্ষাব্রতী গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

01 Dec, 14:42


প্রশ্ন︎ সংকটের মধ্যে আত্মবিকাশের সুযোগ লুকিয়ে আছে এটা বুঝব কিভাবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এই আত্মবিকাশ দু'রকমই, আধ্যাত্মিক ও জাগতিক। কিভাবে এটা বুঝে এগিয়ে যাবেন?

১●বিপদে বা প্রতিকূল পরিবেশে সাধারণত মানুষ ভয় পায় বা ঘাবড়ে যায়। আপনি চিন্তা করে দেখুন, এতে সমস্যার সমাধান না হয়ে আরো বেড়ে যায়। তাই প্রথমেই মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। সহজ না হলেও চেষ্টা করলে আগের চেয়ে ২% বা ৫% বেশি সফল হতে পারেন। ক্রমাগত অভ্যাসে এ আরো বাড়তে থাকবে। এভাবে শান্ত থাকা শুধু জাগতিক নয়, আধ্যাত্মিক বিকাশও।

২●এবার এই সমস্যার কি কি সমাধান হতে পারে তা নিয়ে ভাবুন। অর্থাত্ বিকল্প সমাধানগুলি খুঁজুন। এই অভ্যাস আপনার সৃজনশীলতা বাড়াবে।

৩●এবার এই বিকল্পগুলি থেকে সবচেয়ে সহজটা বেছে নিয়ে প্রয়োগ করুন সমস্যাটির সমাধান করতে। ঐটি দিয়ে না পারলে আরেকটি বিকল্প প্রয়োগ করুন। যেন আপনার হাতে অনেকগুলি চাবি, আর আপনি এক-একটি লাগিয়ে দেখছেন কোন্ চাবিতে তালা খোলে। এই অভ্যাস আপনাকে সাহায্য করবে প্র্যাক্টিক্যাল হতে।

এভাবে করলে আপনার মধ্যে তিনটি গুণের বিকাশ হবে। বিপদে মন শান্ত রাখা; সৃজনশীলতা; বাস্তব প্রয়োগশীল মানসিকতা। জাগতিক ক্ষেত্রে এ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আধ্যাত্মিক সাধনায়ও। জপে মন এদিক ওদিক গেলে তাকে শান্ত রাখা। ধ্যানে ইষ্ট চিন্তায় সৃজনশীলতা। তৃতীয়ত, ধর্মীয় নীতিকে বাস্তব জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে সেই বিষয়ে দক্ষতাবৃদ্ধি।
অবসর সময়ে বসে চিন্তা করুন কিভাবে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেন এভাবে। মনে করুন, সকালে কাজের মেয়ে (ঝি) আসেনি। কিন্তু আপনার অনেক কাজঃ বাচ্চাদের খাইয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে, রান্না করা, ঠেলাগাড়িতে সব্জি ফল নিয়ে আসা লোকের কাছ থেকে কিছু কেনা, ইত্যাদি। কিংবা আশ্রমে আজ জপযজ্ঞে আপনি যাবেন কিন্তু বাড়িতে কেউ অসুস্থ বলে ডাক্তার আসবেন, আলো নেই বলে বাথরুমে গীজার বন্ধ, রান্নাঘরে আলু পেঁয়াজ ছাড়া কিচ্ছু নেই। এভাবে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভাবুন কিভাবে ঐ তিনটি কাজে লাগাবেন।
তাছাড়া ছেলেমেয়েকেও শেখান এটা। ভূগোল, ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য শেখানোর ব্যবস্থা আছে স্কুলে কিন্তু এই তিন টেকনিক যা সারাজীবন কাজে লাগবে তা শেখার সুযোগ পাচ্ছে না তারা। এজন্য তাদের শেখা খুব দরকার এগুলি। আর এভাবেই কোনো সংকটকে করে তোলা যায় আত্মবিকাশের সুযোগ।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

01 Dec, 09:11


প্রশ্ন︎ আমি দীক্ষা নিইনি। সন্ধ্যায় চোখ বুঁজে বসে মা মা জপ করি। এ কী ঠিক হচ্ছে? নাকি দীক্ষা নিয়ে গুরুর দেয়া মন্ত্র জপ করা উচিত?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●দীক্ষার জন্য অন্তর থেকে একটা তাগিদ না আসা পর্যন্ত এভাবেই জপ করে যান। আপাতত মন্ত্র নিয়ে চিন্তা করবেন না। রত্নাকর "মরা মরা" জপ করে এগিয়ে ছিলেন। আসল কথাঃ ঈশ্বরকে আকুলভাবে ডাকা, তাঁকে মন-প্রাণ দেয়া। যেভাবেই তাঁকে ডাকুন, তিনি বুঝতে পারেন। এই ব্যাকুলতাই সাধনার মূল কথা। পরে তিনিই আপনাকে জোগাড় করে দেবেন যা দরকার সাধনার গভীরে যেতে। কখন কোথায় দীক্ষা নেবেন এ জানার জন্য তাঁকেই প্রার্থনা করুন।
আপনি মা মা জপ করুন। এরসাথে আরেক কাজ করতে পারেন। ঈশ্বরের কোনো মাতৃরূপ কল্পনা করতে পারেন জপের সময়। মা কালী, দুর্গা, মা সারদা, যে রূপই আপনার ভাল লাগে তা চোখ বন্ধ করে কল্পনা করতে করতে মা মা জপ করুন। এমন ভাব নিয়ে জপ করবেন যেন আপনি তাঁকে ডাকছেন।
====================
প্রশ্ন︎ কথামৃত পড়তে খুব ভাল লাগে। সবকিছু বুঝি না। তখন কি অন্য পৃষ্ঠায় চলে যাব? এই বই পড়াও কি সাধনা?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●নিশ্চয়ই। তাঁর চিন্তা করাই সাধনা। তবে মাঝে-মাঝে এমন করতে পারেনঃ পড়ার সময় ঐ দৃশ্যটি কল্পনা করুন যেমন কথামৃতে লেখা রয়েছে। আস্তে আস্তে পড়ুন, মনে করুন যেন আপনিও সেখানে বসে ঠাকুরের কথা শুনছেন।
মাঝে-মাঝে একটু অন্যভাবে পড়া। করে দেখুন তো কেমন লাগে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

01 Dec, 03:12


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

01 Dec, 00:58


https://youtu.be/2D_V3Yc3MNg

*স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ* মহারাজের পূর্বনির্দেশিত আজকের অনুশীলনের অডিও /ভিডিও ক্লিপ।
Subtitles: English

পরিবেশনায়ঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

24 Nov, 08:03


প্রশ্ন︎ মানুষ যখন সুখ-দুঃখ পায় তখন তার অন্তর্নিহিত ব্রহ্মও কী প্রভাবিত হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এই যে ব্যক্তির অন্তর্নিহিত ব্রহ্ম তাকে জীবাত্মা বলা যায়। এই জীবাত্মার প্রবণতা হলো ক্রমশ প্রসারিত হতে হতে পরমাত্মায় মিলে যাওয়া। যখন এই কাজ সুষ্ঠুভাবে চলে তখন ব্যক্তি বা মানুষ শান্তি পায় বা আনন্দ থাকে। আর এ-কাজে বাধা পেলে অশান্ত হয়ে ওঠে।
অন্নময় কোষ বা দেহবোধ থেকে প্রাণময়ে যাওয়া অর্থাৎ প্রসারিত হলে নিজেকে সুস্থ বোধ করে। আর অসুখ হয়ে শয্যাশায়ী থাকলে দেহবোধ সত্ত্বেও হাঁটাচলার শক্তি (প্রাণময়) কমে যায়। ফলে জীবাত্মা প্রসারিত হতে পারে না। এজন্য দুঃখ। আবার দেখুন, আপনার সৃজনী শক্তি (মনোময়) থাকা সত্বেও অফিসে সেটা প্রয়োগের সুযোগ নেই। ফলে আপনার জীবাত্মা প্রসারিত হতে না পেরে আটকে যায়। ফলে আপনি দুঃখ পান।
আধ্যাত্মিক সাধকেরা সুখ দুঃখের মূল কারণ এভাবে আবিষ্কার করে ফেলেছেন হাজার হাজার বছর আগেই। কিন্তু আমরা জাগতিক মানুষেরা এই প্রসারণ সঙ্কোচনের রহস্য বুঝতে না পেরে কোনো বস্তু বা বিষয়কে আঁকড়ে ধরে আনন্দ পেতে চাই। বুঝতে পারি না যে এভাবে আঁকড়ে ধরে আমরা ঐটিতে বদ্ধ হয়ে পড়ি এবং প্রসারণে বাধা দিই।
====================
প্রশ্ন︎ আমি সাধনপথে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য আপনার আশীর্বাদ চাই। কৃপা করে একটু আশীর্বাদ করুন।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আমার আশীর্বাদে কাজ হলে তো প্রথমে আমি নিজেকেই আশীর্বাদ করতাম। তবে আপনি চিন্তা করবেন না। ঠাকুরের আশীর্বাদ রয়েছে আপনার উপর। তাছাড়া দীক্ষার পর গুরুশক্তির সাহায্য তো আছেই। অতএব নিশ্চিন্তে সাধনা করে যান।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

24 Nov, 03:03


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

24 Nov, 00:42


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

24 Nov, 00:40


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫৯:১৪
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:২৬
তিথি: (কার্ত্তিক কৃষ্ণপক্ষ) নবমী দং ৪০|৫৩ রাত্রি ঘ ১০|২০.
নক্ষত্রঃ পূর্ব ফাল্গুনী দং ৪০|৫৫ রাত্রি ঘ ১০|১৭.
শ্রীশ্রী ইতু পূজা।
আচার্য ক্ষিতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবির্ভাব দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Nov, 14:28


প্রশ্ন︎ কর্মফল থিওরীকে বিজ্ঞান কী মানবে? আজ আমি কোনো কাজ করলে পরজন্মে ভোগ কীভাবে সম্ভব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●একদল মানুষ যেমন সবকিছুতে ঈশ্বরকে টানে, আপনারা তেমনি বিজ্ঞানকে টেনে অপযুক্তি তোলেন। মনে রাখবেন, কোনো বিষয়কে বুঝতে হলে তার scope & limitation জানতে হবে। অর্থাৎ ঐ বিষয়টির নিজস্ব ক্ষেত্র এবং সীমাবদ্ধতা। যেমন ফিজিক্সের ক্ষেত্র শক্তি, অর্থ (money) নয়। আর ইতিহাসের ক্ষেত্র অতীত ঘটনাবলী, সৌন্দর্যতত্ব (aesthetics) নয়। তেমনি কর্মফল বিষয়টি বিজ্ঞানের ক্ষেত্র নয় যদিও নিউটনের গতি সূত্রে অন্যরকম action reaction-এর কথা বলা হয়েছে। তবে এখানে আমরা বিজ্ঞানের কিছূ কথা বলতে পারি যা দিয়ে কর্মফল প্রসঙ্গ বুঝতে পারেন আপনি।

বিজ্ঞানীরা আকাশে এক নক্ষত্রের পাশে হঠাৎ আরেক নক্ষত্র দেখতে পেলেন যা সেখানে থাকার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে তারা বুঝলেন, প্রথমটির আলো সারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ঘুরে উৎসে ফিরে এসেছে। এবং নতুন নক্ষত্র বলে ঐ আলোকেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ••• যোগীরা বহুকাল আগেই লক্ষ্য করেছিলেন, তন্মাত্রা উৎস থেকে বেরিয়ে অনেক ঘুরে আবার ফিরে আসে সেখানে। অর্থাৎ কর্মতরঙ্গ উৎসে ফিরে আসে। কোনো তরঙ্গ তাড়াতাড়ি ফিরে আসে, কোনোটি দেরীতে।

বিজ্ঞানে আলো একই গতিতে চললেও ধর্মীয় এই তরঙ্গ বিভিন্ন গতিতে চলে। এই গতি নির্ভর করে উৎস ও তীব্রতার উপর। এ নিয়ে এখানে বিশদ আলোচনায় যাচ্ছি না আজ। এই তীব্রতা অনুযায়ী কোনো কোনো কর্মতরঙ্গ উৎস ফিরে আসতে এত বেশি সময় নেয় যে মানুষ পুনর্জন্মে চলে যায়।
তাছাড়া মানুষ সচেতন ভাবে নিত্যনতুন কর্ম করায় নানারকম কর্মতরঙ্গ খেলা করছে সবসময়। ফলে জটিলতাও বাড়ে। অনেকটা যেন ফিজিক্সের parallelogram of forces. আপনি সাঁতার কেটে নদী পার হতে চেষ্টা করছেন কিন্তু নদীর জলপ্রবাহে আপনার গতি কিছুটা বেঁকে যাচ্ছে, দেরী হচ্ছে ওপারে যেতে। ••• আরেকটা ব্যাপার। কর্মতরঙ্গ ফিরে এসেছে উৎসে কিন্তু ফল সঙ্গে সঙ্গে দিতে না পেরে অপেক্ষা করছে উপযুক্ত সময়ের। অর্থাৎ দিল্লি থেকে প্লেন এসে গেছে কলকাতায় কিন্তু ল্যান্ড করার রানওয়ে পাচ্ছেনা ভিড়ের জন্য। তাই পাইলটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আকাশে কিছুক্ষণ চক্কর লাগাতে। সমাজে নানান কর্মতরঙ্গ থাকায় জাতকের দেরি হচ্ছে ফল পেতে।

কেউ বলে প্রারব্ধ ফল দেবেই। আর শ্রীশ্রীমা বলেছেন, ঈশ্বরের নাম নিলে প্রারব্ধের ফল অনেক কমে যায়। কে ঠিক? মনে হয় মা'ই সঠিক। কেন? দেখুন, আপনি যদি এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দেন আকাশে তবে সেটা লক্ষ্যবস্তুতে যাবেই। কিন্তু কিছু পরে আপনি আরো দ্রুতগতির অন্য মিসাইল ছুঁড়ে আগের ক্ষেপণাস্ত্রকে পূর্বের লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।
যাই হোক, এই বিষয়টা খুব বড়। কিন্তু আজ আর অতো বাড়িয়ে লাভ নেই।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Nov, 08:34


প্রশ্নঅফিস ও সংসারের চাপে সাধন ভজনের সময় পাইনা। কি করে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবো?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●কমন সেন্স ব্যবহার করে। জীবনের ৯৫% সমস্যা দূরের এটাই সহজ উপায়। খাওয়া, ঘুম, স্নানের জন্য যেমন সময় করে নেন, তেমনি সাধনার জন্যও সময় খুঁজে নিতে হবে। যখন কোনো কাজকে মনে-প্রাণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি তখনই সেটা যেভাবেই হোক, করার চেষ্টা করি আমরা। যখন সাধনাকে এমন গুরুত্ব দেব তখনই সমাধান হবে। দীক্ষা হয়ে থাকলে এ ব্যাপারে কোনো আপোষ করলে তো চলবে না।
কিন্তু শুধু এটা করলেই হবে না। সাধনাকে চালিয়ে যেতে হবে অন্য সময়েও। বাসে করে যাওয়ার সময় বসে নিজের শ্বাস প্রশ্বাসকে অনুভব করতে থাকুন। নাক দিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন ও ছাড়ছেন।
অফিসে কাজ করছেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে জপ করুন, যেটুকু হয়। বাজারে আলু পটল কিনতে গেছেন। চারদিকে হৈ হট্টগোল। আপনি মনকে শান্ত রাখুন এই পরিস্থিতিতে। বাড়িতে স্ত্রী কিছু বললেন রেগে গিয়ে। শান্ত থাকুন আপনি। মনে রাগ উঠতে দেবেননা। রোববারে বা ছুটির দিনে কিছু সময় করে কোনো নির্জন জায়গায় গিয়ে জপধ্যান করুন ঘন্টাখানেক।
এভাবে সময় করে নিয়ে সাধ্যমতো সাধনা করার চেষ্টা করুন।
====================
প্রশ্ন︎ আপনি আমাদের সবসময়ই বলেন নিজের কৃতিত্ব দেখাতে, প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে। কিন্তু এ করলে আমাদের মনে অহংকার হইতে পারে। এ কী আধ্যাত্মিক পথে ভাল?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আধ্যাত্মিক অবস্থা হলো সাত্ত্বিক। এতে উঠতে হয় রাজসিক ভাবকে অতিক্রম করে। কিন্তু রাজসিক গুণ অর্জন করেই এটা সম্ভব। নাহলে আমরা তামসিক ভাবেই পড়ে থাকবো। নিজস্ব প্রতিভার বিকাশ, কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়া, শক্তি ও গুণের উন্নতি, এসব সাহায্য করবে আপনাকে রাজসিক অবস্থায় যেতে।
তাছাড়া অহংকারের নানা রূপ আছে। আমি বিনয়ী, আমার মন সাত্ত্বিক, আমি খুব নম্র, আমি বিরাট সাধক, ইত্যাদি ভাবও অহংকার থেকেই আসে। অহংকার দূর হয় সাধনা করলে। জোর করে নিজেকে ছোট ভাবার দরকার কী? মনে ভারসাম্য রাখলে, superiority or inferiority complex বাদ দিয়ে স্বাভাবিক ব্যবহার বজায় রাখলে অহংকার কম করা সহজ হয়।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Nov, 03:02


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Nov, 00:31


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Nov, 00:29


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫৮:৪৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:৩২
তিথি: (কার্ত্তিক কৃষ্ণপক্ষ) অষ্টমী দং ৩৫|৪৮ রাত্রি ঘ ৭|৫৮.
নক্ষত্রঃ মঘা দং ৩৩|৪০ সন্ধ্যা ঘ ৭|২৭.
কালাষ্টমী, প্রথমাষ্টমী (ওড়িশা)।
বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর প্রয়াণ দিবস।
প্যারীচাঁদ মিত্রের (টেকচাঁদ ঠাকুরের) প্রয়াণ দিবস।
শহীদ সত্যেন্দ্রকুমার বসুর আত্মবলিদান দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Nov, 14:50


প্রশ্ন︎ এই জগতে কেউ বেশি শক্তিশালী কেউ কম। ঈশ্বর কি তবে কাউকে কম ও কাউকে বেশি দেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সব বিষয়ে ঈশ্বরকে নিয়ে টানাটানি করেন কেন? আপনার ডান হাতের শক্তি বেশি বাঁ হাতের চেয়ে। কেন? কারণ ছোটবেলা থেকে আপনি ডান হাত বেশি ব্যবহার করেছেন বাঁ হাতের চেয়ে। যার ব্যাখ্যা সহজে পাওয়া যায় সেখানে ঈশ্বরকে নিয়ে এসে জটিল করে লাভ কী? বাড়িতে রাতে দরজা বন্ধ করে শোন কেন? সবকিছুই যদি ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয় তবে আপনি নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ কেন করেন? শ্রীশ্রীমা যে বলেছেন "ঈশ্বরের ইচ্ছা" তার তাৎপর্য কী এ নিয়ে আমরা আগে আলোচনা করেছি। ইউটিউবে সোমেশ্বর_অনুধ্যান সার্চ করলে এই বিষয়ে একটা ভিডিও পাবেন।

আর ঈশ্বরের কথাই যদি বলেন তিনি তো সবই দিয়েছেন আমাদের। চিন্তা করার জন্য মাথা, কথা বলার মুখ, কাজের হাত, চলার জন্য পা...। এবার আমাদের দায়িত্ব এগুলির সঠিক ব্যবহার করা। কিন্তু আমরা কী তা করি? জার্মানী-ফ্রান্সের এক গ্রুপ শিক্ষাবিদ প্রথম গবেষণা করে বলেন, মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ৬ - ৮ শতাংশ শক্তি কাজে লাগায়, বাকিটা এমনিই পড়ে থাকে। তাহলে বুঝুন অসীম শক্তি ফ্রিতে পেয়েও আমরা ব্যবহার করিনা। এজন্য ঈশ্বরকে দোষ দিয়ে লাভ কী?

আত্মবিকাশের পদ্ধতি ধর্ম শিখিয়ে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে। এখন তো নানা সংস্থাও শেখায় এসব। মনের শক্তিবৃদ্ধি, কল্পনা শক্তি বাড়ানো, সাহসী হওয়া, শান্ত থাকা, বুদ্ধি ও দক্ষতা উন্নত করা, ইত্যাদি। নিজের দায়িত্ব নিজে নিন।

দোষ আমাদেরই। ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য হলো মাধ্যমিকে ৯৫% মার্ক্স পাওয়া। খেলা, গান, নাটক, গল্প-কবিতা....গৌণ হয়ে গেল। নেতৃত্ব গুণ, সমস্যা সমাধান, পরিকল্পনা, যৌথ প্রয়াস..... শিখলাম না। নিজের সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম নিয়ে জানলামনা। অন্তরের শক্তিকে বাইরে প্রয়োগ করিনা। দায়ী আমরা নিজেরাই, ঈশ্বর নন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Nov, 08:38


প্রশ্ন︎ এম,এ করার পর কম্পিটিটিভ পরীক্ষা দেব ভাবছি। বাইরে দারিদ্র্য, নিষ্ঠুর বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে হচ্ছে। কিভাবে উত্তীর্ণ হব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে। অনেক বইও আছে। "আত্মশক্তি বিকাশে", "স্বাবলম্বী", "কেরিয়ার গঠনে" ইত্যাদি। এছাড়া ছাত্র যুবকদের বিভিন্ন সমস্যার ২৮টি কেসস্টাডী। অনেক সমাধান দেওয়া আছে এগুলিতে। আর মনের শক্তি বৃদ্ধির জন্য গ্রুপে রোজ অনুশীলন দেওয়া হয়। এগুলি পড়ুন ও অভ্যাস করুন। এ ধরণের সমস্যা অনেকেরই।
====================
প্রশ্ন︎ চলতে_চলতে লেখায় পড়লাম যে জীবনের তাত্পর্য বুঝতে পারাটা খুব দরকার। আপনি কোন তাত্পর্য খুঁজে পেয়েছেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ-কথা ঐ লেখাতেই আছে। তবে আপনার জীবনের তাত্পর্য আপনাকেই ঠিক করতে হবে। অন্যের অনুকরণ লাভ নেই।
জীবনের কোনো তাত্পর্য নেই সাধারণ দৃষ্টিতে। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে লক্ষ কোটি ঘটনার মতো জীবনের আবির্ভাবও অন্যতম। তবে জীবনের এক বৈশিষ্ট্য আছে। এর কোনো তাত্পর্য না থাকলেও একে এক তাত্পর্য দেওয়া যায়। কারণ জীবন অসীম সম্ভাবনাময়। এ যেন মাটির তাল যাকে ইচ্ছেমতো রূপ দেওয়া যায়।
আর এখানেই বেঁচে থাকার আনন্দ। ইচ্ছেমতো ভেঙেচুরে নতুন নতুন রূপ দেওয়া, জীবনের আরেক বৈশিষ্ট্য। এটাই সৃজনশীলতা। মানুষ একঘেয়ে অনুভব করে এ না জানা না বোঝার জন্য।
জীবনের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন ভাবে নানা বস্তু ও বিষয়ের সাথে যুক্ত হতে পারা। সে কখনো মা, কখনো কবি, অন্য সময়ে ডাক্তার, আবার কখনো সাধক। নিত্য নতুন অনুভব তাকে বর্ণময় করে তোলে। আর এভাবেই জীবন হয়ে ওঠে সঙ্গীত। সে তরোয়াল হাতে যুদ্ধ করতে পারে, আবার অসীম অনন্ত ঈশ্বরকে ছুঁতে পারে।
সে ভালবাসতে পারে, আবার অজস্র মানুষকে হত্যা করতেও পারে। হিমালয়ে ওঠে, সাগরের নীচে যায়। সে বুদ্ধ হয়, হিটলারও। জীবনের এই বহু মাত্রা মৌলিক করে তুলেছে মানুষকে। জীবন তাই এক বহুমূল্য সম্পদ। এ অনুভব করতে পারাই বিরাট সৌভাগ্য।
~
পূ
র্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~
সু
স্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Nov, 02:53


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Nov, 00:34


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Nov, 00:32


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫৭:৫৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৭:৪১
তিথি: (কার্ত্তিক কৃষ্ণপক্ষ) সপ্তমী দং ৩২|৫৫ রাত্রি ঘ ৬|৮.
নক্ষত্রঃ অশ্লেষা দং ২৮|০ সন্ধ্যা ঘ ৫|১০.
কৌল সাধক পরমানন্দ পরমহংসদেবের সহধর্মিনী উষারানী দেবীর আবির্ভাব তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Nov, 14:49


প্রশ্ন︎ চতুর্দশ ভুবনের ৭টির কথা জানলাম। কিন্তু পাতালের স্তরগুলির এমন আলোচনা করলে ভাল হয়।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এগুলি সেই স্তর যাকে সহজ ভাষায় ‘নরক’ বলা হয়। এর সংখ্যা ৭(সাত) -- অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল, পাতাল।

১●মৃত্যুর পর জীব কোনো বিশেষ আসক্তিতে বদ্ধ হয়ে কোথাও আটকে গেলে সেই স্থিতিকে ‘অতল’ বলা হয়। সে নিজের বাড়ি বা সম্পদ কিংবা কোনো স্থান ছাড়তে চায় না। ফলে তার আর গতি হয় না। সে ঐ জায়গায় থাকে অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে। আগের মতো ভোগ করতে পারে না কিন্তু চেষ্টা করে। এই ব্যর্থতা তাকে কষ্ট দেয় অথচ মোহবশত সে ছাড়তে পারে না।

২●এর নীচে রয়েছে ‘বিতল’ নরক। আরো কঠোর। মৃত ব্যক্তি একা ঘুরে বেড়ায়। কখনো সে নিজেকে অনুভব করে মরুভূমির গরম বালিতে চলতে থাকা পথিক হিসেবে, মাথার উপর সূর্য। কেউ নেই চারদিকে। কিংবা পাহাড়ে বা জঙ্গলে একা থাকা। কেউ-কেউ বলেন, মহাভারতের অশ্বত্থামা আজও এভাবে রয়েছেন।

৩●এরপর ‘সুতল’ স্তর। এখানে জীবের মনে অকারণে হঠাত্ দুঃখ, ভয়, রাগ, বিষাদ ইত্যাদি নেতিবাচক ভাব ওঠে। কিন্তু সমাধান না জানা থাকায় তাকে ঐসব সহ্য করতে হয়।

৪●এরও নীচে ‘তলাতল।’ এখানে জীব কোনো পশু বা পাখির রূপ পায় কিন্তু আগের সংস্কার থাকে। অর্থাত্ শরীরটা পশু বা পাখির অথচ মনটা মানুষের। এমন এক দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থা নিয়ে থাকে।

৫●এ-রকম শরীরটা জীবাণু থেকে কীট-পতঙ্গের মধ্যে কোনোটা হয় ‘মহাতল’ নরকে। ভাবুন কী দুরবস্থা! শরীরটা আরশোলার ও মনটা মানুষের। এখানে যে বলা হচ্ছে "মানুষের মন" এই মন কী তবে আপনার আমার মতো? না। পৃথিবীতে কর্মের ফলে খারাপ কাজে তার মন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এই সঙ্কুচিত মন + আরশোলার দেহ। মহাতল = মহা + অতল।

৬●এর নীচে ‘রসাতল’ নরক। এখানে গাছ (tree) হিসেবে অস্তিত্বের রূপ। লক্ষ্য করুন, মন এখানে আরো সঙ্কুচিত।

৭●শেষ স্তর ‘পাতাল।’ এই নরকে জড় অস্তিত্ব, যেমন পাহাড়, পাথর ইত্যাদি। রামায়ণে অহল্যা কিছু সময় এই স্তরে ছিলেন। পরে রাম তাকে উদ্ধার করেন।

ভাল কাজ বা পুণ্য কর্মে ব্যক্তির মন প্রসারিত হয়, খারাপ কাজে সঙ্কুচিত। পরীক্ষা করে দেখুন। কাজ যত বেশি খারাপ হয় (পাপ কাজ) মন ততই বেশি করে সঙ্কুচিত হতে থাকে। এবার লক্ষ্য করুন, পাপ যতই বাড়ে, মন ততই নীচের দিকে নামতে থাকে নরক বিষয়ে।
আসক্তির জন্য অতল নরক। বহু সংখ্যক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলে বিতল। জীবনে অনেক মানুষকে দুঃখ দিলে সুতল। মানুষকে পশুপাখির মতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করলে তলাতল নরক। আর কীটপতঙ্গ মনে করে এমন ব্যবহার করলে মহাতল। অসহায় মানুষদের তুচ্ছ মনে করে তাদের কষ্ট দিলে ব্যক্তি যায় রসাতল নরকে। আর ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়ে যদি কেউ কোনো সরল বিশ্বাসী মানুষকে ঠকায় তবে পাতাল।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

14 Nov, 03:27


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

14 Nov, 00:04


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

14 Nov, 00:03


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫২:৩৭
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৯:৩৪
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) ত্রয়োদশী দং ৯|৩৮ দিবা ঘ ৯|৪৪.
নক্ষত্রঃ অশ্বিনী দং ৪৬|৪০ রাত্রি ঘ ১২|৩৩.
বৈকন্ঠ চতুর্দশী ব্রত।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।
শ্রীমৎ কালীকৃষ্ণানন্দ গিরিজির আবির্ভাব তিথি
শ্রীমৎ দ্বারিক নাথ সাধুবাবার জন্মতিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

13 Nov, 14:33


প্রশ্ন︎ জীবনে অনেক সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে কষ্ট পেয়েছি। তবে কি চুপ করে থাকা উচিত এই ক্ষেত্রে? বিশেষ করে আপনজনের কাছে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করলে কষ্ট হয়। কিন্তু মাথা নিচু করে চুপ থাকলে কি কষ্ট হয়না ? দুই ক্ষেত্রেই যখন কষ্ট হয় তখন মাথা উঁচু করেই কষ্ট পেলে ভাল। তাই নয় কি? সবাই যদি চুপ করে থাকে তবে তো ইতিহাস তৈরি হতোনা। ফরাসী বিপ্লব, রুশ চীন মার্কিন বাঙলাদেশ মুক্তি, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্পার্টাকাস, ম্যান্ডেলা, ক্ষুদিরাম, নেতাজি, গ্যালিলিও .....। মানুষ যদি মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ না করতো যুগে যুগে তবে তো ইতিহাস তৈরি হতোনা। আর ইতিহাস রচনা করে এমন মানুষেরাই।
মহাভারতে এই প্রসঙ্গ বারবারই উঠেছে, আর এ আজও প্রাসঙ্গিক। আপনার দৈনন্দিন জীবনের ছবি দেখতে পাবেন সেখানে।
শ্রীকৃষ্ণ তার মামা কংসের অন্যায় সহ্য করেননি, পুত্র শাম্ব, যদুবংশ, এমনকি জামাই দুর্যোধনেরও নয়। (তাঁর মেয়ের সাথে দুর্যোধনের ছেলের বিয়ে হয়েছিল।)
অর্জুন রাজি নন পূজ্য পিতামহ, আচার্য, ভাই, মামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাজ্য বা সম্পত্তির জন্য তিনি রাজি নন এদের মারতে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের কী উপদেশ ছিল?
দ্রোণের সমস্যাটা ছিল একটু অন্যরকম। যার চাকরি করি, যার নুন খেয়েছি, তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো কিভাবে? অতএব তার নির্দেশ মানা আমার কর্তব্য। কিন্তু মহাভারতে ঋষিরা এই মনোভাবকে সমর্থন না করে অন্যায় বলেছেন। আজ যে কোথাও কোথাও পুলিশের সামনে সমস্যা দেখা যায় অনেকটা সে-রকম।
কর্ণের সমস্যাও অদ্ভুত। আমার খারাপ সময়ে যে ব্যক্তি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল, তার বিপদে আমার কর্তব্য কী? বিশেষ করে সে যদি দোষী হয়? উপকারী দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত?
ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারীর সমস্যাও স্পর্শকাতর। সন্তান যদি অন্যায় করে তবে কী করা উচিত? দু'জন আলাদা আলাদা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এক অভাবনীয় দৃশ্য রামায়ণ মহাভারতে। সন্তান এসেছে মায়ের আশীর্বাদ নিতে। কিন্তু কৌশল্যা রামকে আর গান্ধারী দুর্যোধনকে সেই আশীর্বাদ করলেননা। দু'জনই বললেন "ধর্মের জয় হোক।"
যুধিষ্ঠির ধর্মপুত্র। তিনি যে সবসময় ধর্মকে মেনে চলতে পেরেছেন তা নয়। শকুনির সাথে পাশা খেলায়, যুদ্ধের শেষদিকে দুর্যোধন সাথে, তিনি ভুল করেছিলেন। কিন্তু তিনি সারাজীবন সব কাজে প্রশ্ন তুলেছেন, বুঝতে চেষ্টা করেছেন ধর্মকে, বিচার করেছেন ন্যায় অন্যায়কে। সমগ্র জীবন দিয়ে তিনি ধর্মের খোঁজ করে গেছেন।

উপরের সমস্যাগুলি হয়তো কোনো-না-কোনো ভাবে আপনার জীবনেও আসে। উভয় সংকট দেখা দেয়। চুপ করে থাকুন কি প্রতিবাদ করুন, কষ্ট। তাই মাথা নিচু করে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে মাথা উঁচু করে কষ্ট সহ্য করাই ভাল।
তবে কোথায় কখন কিভাবে প্রতিবাদ করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা আপনার রয়েছে। কেউ ত্রুটিহীন নয়। আজ যদি আপনি ১০% নির্ভীক হন, চেষ্টা করুন এক মাসের মধ্যে ১৫% নির্ভীক হতে। এভাবে এগিয়ে চলুন। দেড় বছরের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারেন ৮৫%-এ। কারণ আপনি জানেন, অধিকাংশ ভয়েই কাল্পনিক।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

13 Nov, 08:58


প্রশ্ন︎ কোনো দলিত ব্যক্তি পুরোহিতের কাজ করতে পারে কী? এ বিষয়ে শাস্ত্রের বিধান কী?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●নারী ও শূদ্রদের পুরো অধিকার রয়েছে এ ব্যাপারে। বিখ্যাত তিরুপতি মন্দিরে পুরোহিত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সব জাতির মানুষই আছেন। গত বছর ২৫০০ জন ওবিসি-দলিতকে ট্রেনিং দিয়ে বিভিন্ন মন্দিরে পুরোহিতের কাজ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাসদেবের মা-বাবা বিবাহিত ছিলেন না। অর্থাত্ আজকের ভাষায় অবৈধ সন্তান। দলিতের নীচে। তিনি বেদ শাস্ত্রের অথরিটি ছিলেন বলে বেদের সংকলক ছিলেন। গুরু হিসেবে তিনি হিন্দু সন্ন্যাসী সমাজের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন। তাঁর জন্মতিথি পালন করা হয় গুরুপূর্ণিমা হিসেবে। ছান্দোগ্য উপনিষদে ঋষি তাঁর এক শিষ্যকে বলছেনঃ হে শূদ্র, আমি তোমাকে ব্রহ্মজ্ঞান দিচ্ছি, তুমি এ গ্রহণ করো।
=====================
প্রশ্ন︎ বৃদ্ধবয়সেও মানসিক শক্তি ধরে রাখার উপায় কি? কিভাবে আনন্দে বেঁচে থাকতে হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●বার্ধক্য শরীরে আসে, মনে নয়। সাধারণত কোনো বৃদ্ধকে দেখলে বোঝা যায় তিনি যৌবন কিভাবে কাটিয়েছেন, আর এক যুবককে দেখলে ধারণা করা যায় তার বার্ধক্য কেমন হবে।
বার্ধক্যেও চেষ্টা করুন নিজের মনকে আনন্দে রাখার, তারুণ্যের ভাবে থাকার। কারণ এ বয়সে যেভাবে থাকবেন, মৃত্যুর সময় সেই মানসিকতা নিয়ে চলে যেতে হবে। যদি নেতিবাচক ভাব নিয়ে দেহত্যাগ করেন তবে সূক্ষ্মদেহের গতিও ঐরকম হবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী জন্ম এবং পরিবেশও সেরকমই হবে। ঐ জন্মে বারবার প্রতিকূল পরিবেশের সামনে পড়তে হবে। এজন্য এখনই সতর্ক হয়ে যান। জীবনে পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করুন।
বার্ধক্যে কীভাবে আনন্দে থাকতে হবে, সৃজন শক্তির সাহায্যে জীবন কাটাতে হবে এ-কথা বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে "আনন্দে থাকা" বইয়ের শেষ অধ্যায়ে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

13 Nov, 02:54


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

13 Nov, 00:02


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

13 Nov, 00:01


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বুধবার, ২৭ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫১:৫৬
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৪৯:৫৬
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) দ্বাদশী দং ১৭|৫৫ দিবা ঘ ১|২.
নক্ষত্রঃ রেবতী দং ৫৩|১৮ রাত্রি ঘ ৩|১১.
দিবা ঘ ৯|৩১ মধ্যে একাদশী ব্রতের পারণ।
শ্রীমৎ স্বামী সুবোধানন্দজীর আবির্ভাব তিথি।
যোগাচার্য পন্ডিত পঞ্চানন ভট্টাচার্যের আবির্ভাব তিথি।
সাধক প্রবল শ্রীশ্রী চন্ডীদাসের প্রয়াণ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

12 Nov, 15:03


প্রশ্ন︎ আপনি বলেন প্রত্যেকেরই মধ্যে অসীম শক্তি রয়েছে। কিন্তু আমার মত সাধারণ মানুষ কিভাবে এটা বুঝবে? সবার মধ্যে এত শক্তি থাকলে মানুষে মানুষে এত পার্থক্য কেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●প্রত্যেকের মধ্যে অসীম শক্তি রয়েছে, এ কথা বেদান্ত বলেছে কয়েক হাজার বছর আগে। আর ঠাকুর বলেছেন ১৫০ বছর হলো। সাধনার মাধ্যমে যে-কোনো মানুষ এই অসীম শক্তিকে অনুভব করতে পারে। কিন্তু আরেকটা পথ আছে, দৈনন্দিন জীবনে এর কিছুটা বুঝতে পারার।

কী সেই পথ যার সাহায্যে আপনিও অনুভব করতে পারেন এই সত্যের কিছুটা? কাগজ ও পেন নিয়ে লিখতে থাকুন কী-কী কাজ আপনি করতে পারেন। নাম্বার দিয়ে লিখে যান। রান্না, পড়ানো, গান, কবিতা আবৃত্তি, বাগান করা, অতিথি আপ্যায়ন, কাউকে সাহায্য করা, সান্ত্বনা দেওয়া, ঘর গুছনো, প্রসাধন ......... ।

গল্প করা, তাস বা ভিডিও গেম খেলা, কিটি পার্টি বা পিকনিকের ব্যবস্থা করা, সন্তানকে মানুষ করে তোলা, বাজারে দর-দাম করা, হিসাব রাখা...... ।
বই পড়া, পুজো, আশ্রমে শান্ত হয়ে ধর্মকথা শোনা, ভিক্ষা দেয়া, কল্পনা দেওয়া ...... ।

এভাবে লিখে যান তো। কত বড় বা লম্বা হবে এই কাজের লিস্ট? বিশাল। তাই না? আপনি বাঙালি হলেও ইংরেজি বলতে পারেন, হিন্দি বোঝেন, কারোর মুখ দেখে মনের ভাব (বডি ল্যাঙ্গুয়েজ) বুঝতে পারেন, সাইকেল চালানো, ফেসবুক পোস্টে কমেন্টস করতে পারেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার বুঝতে পারছেন কী বিশাল শক্তি রয়েছে আপনার?

মানুষে মানুষে পার্থক্য কেন অসীম শক্তি সত্ত্বেও? মানসিকতায় পার্থক্যের জন্য। একটা কঠিন কাজ করতে দিন। তামসিক মনের লোক বলবে "এ সম্ভব নয়"। রাজসিক ব্যক্তি বলবে "হ্যাঁ পারবো", ঝাঁপিয়ে পড়বে সে কাজটি করতে। আর সাত্ত্বিক মানুষ বলবে "করে দেখছি কাজটা সম্ভব কিনা।" কিছু গ্রহণ বা বাতিল করার আগে সে বিচার ও পরীক্ষা করে দেখে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

12 Nov, 08:10


প্রশ্ন︎ সংসারে ঝামেলা লেগেই আছে। আজ এই সমস্যা তা কাল আরেক সমস্যা। স্ত্রী বিনা কারণে রাগ করে তো ছেলে বায়না ধরে। ওদিকে অফিসে কাজের চাপ। সাধনা করব কীভাবে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আপনি কতটা ধার্মিক বা আধ্যাত্মিক হতে পেরেছেন সেটা বোঝা যায় বিপদের সময়, ঝামেলা বা দুঃখের পরিস্থিতিতে। সমস্যা হলো থার্মোমিটার যার সাহায্যে আপনি নিজের অগ্রগতির মূল্যায়ন করতে পারেন। সংকটের মধ্যে আত্মবিকাশের সুযোগ খুঁজতে পারাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ।

একটা পরীক্ষা করে দেখুন তো। সকাল সন্ধ্যা জপে বসার আগে মনে মনে জগন্মাতাকে চ্যালেঞ্জ করে বলুন "আয় মা সাধন সমরে / দেখি মা হারে কী পুত্র হারে।" এবার শুরু করুন আপনার সাধনা। চারদিকে হৈচৈ, হট্টগোল, ধুমধাড়াক্কা? আপনি এরই মধ্যে চালিয়ে যান নিজের সাধনা। পরে দেখবেন, আপনার মন ধীরেধীরে শান্ত হচ্ছে। সব মা বাবাই সন্তানের কাছে হারতে চান। প্রথমে কিছুটা জেতার অভিনয় করলেও শেষে হেরে যান, হেরে যেতে চান। জগন্মাতাও হারতে চান আপনার কাছে। পরীক্ষা করে দেখুন।

আর অন্য সময়ে, বাড়ি বা অফিসে? পরিবেশ যত প্রতিকূলই হোক্ আপনি নিজের মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। কখনো সফল, কখনো ব্যর্থ হবেন। দেখুন তো অফিসে যাবার সময় বাসে বা ট্রেনে ক'বার সফল হলেন? প্রতিটি সাফল্যের জন্য +১০ পয়েন্ট, আর ব্যর্থতার জন্য -১০ পয়েন্ট। হিসেব রাখুন। অফিসে গিয়ে লিখে রাখুন নোটবইয়ে। ফেরার সময় সন্ধ্যায় আবার খেলুন। বাস থেকে নেমে টোটাল কত পয়েন্ট পেলেন সেটা লিখে রাখুন।••• এবার সন্ধ্যা থেকে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে এভাবে পয়েন্টের খেলা খেলুন। একমাস এভাবে খেলে দেখুন তো কতটা এগিয়েছেন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

12 Nov, 03:14


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

12 Nov, 00:12


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

12 Nov, 00:11


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ২৬ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৫১:১৯
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৫০:১৯
তিথি: (কার্ত্তিক শুক্লপক্ষ) একাদশী দং ২৫|৩৫ রাত্রি ঘ ৪|৫.
নক্ষত্রঃ পূর্ব ভাদ্রপদ দং ৫|৩ দিবা ঘ ৭|৫২ পরে উত্তর ভাদ্রপদ দং ৫৯|৩৩ শেষ রাত্রি ঘ ৫|৪০.
উত্থান একাদশীর উপবাস।
গোস্বামীমতে শ্রীশ্রী হরির উত্থান।
সমাজ সংস্কারক পন্ডিত মদনমোহন মালব্যের প্রয়াণ দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Nov, 14:45


প্রশ্ন︎ সমাজে এতো অন্যায় অনাচারের মধ্যে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট থেকে রক্ষা পাবার উপায় কী?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●বিশ্বের ইতিহাস থেকে কোনো সময়ের কথা বলুন তো যখন অন্যায়, অবিচার, সংকট ছিল না। ইতিহাস কাদের কথা লিখেছে? যারা সংকট তৈরি করে এবং যারা এ থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখান। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন, আমার দৃষ্টিভঙ্গি তা থেকে আলাদা। আপনি চাইছেন অন্য কেউ এর সমাধান করুক। ফলে আপনার বক্তব্যে অভিযোগ ও অজুহাত বেশি চোখে পড়ে। আপনি বলেন, অন্যদের কি করা উচিত। আমি এসব বোঝার চেষ্টা করলেও জোর দিই "আমার কী করা উচিত" তার উপর। চিন্তায় গুরুত্ব পায় "আমি কী করতে পারি" তার উপর। অতএব আমার উত্তরে আপনি সন্তুষ্ট নাও হতে পারেন। আমার বক্তব্য আপনার কাজে নাও লাগতে পারে।
এ-ধরণের প্রশ্নে আমি উত্তর খুঁজি অন্য পথে। শ্রীশ্রীমা যে বলেছেন (অন্যের দোষের বদলে নিজের দোষ দেখা) এই নীতি আমার কাছে বেশি practical মনে হয়েছে। এবং বেশি উপকার পেয়েছি। ফলে আমার বইগুলিতে প্রাধান্য দিয়েছি "আমাদের ভূমিকা"-র উপর। আমরা কী করতে পারি, সে-বিষয়ে। আমার কথা আপনাকে মানতে হবেনা, আপনি নিজের মত-পথে চলুন। এখানে শুধু একটা ঘটনার কথা বলি।

২০০৮ সালে আমেরিকায় যখন আর্থিক বিপর্যয় দেখা দেয়, বড়বড় পন্ডিত ও নেতারা দোষ দিয়েছেন সরকারকে। অনেক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় তারা ব্যাঙ্কগুলির দুর্নীতিকে দায়ী করেছিলেন। এবং ঐ বিশেষজ্ঞরা উপদেশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সরকার, অর্থনীতিবিদ, ও দেশবাসীকে।
ঐ-সময় কিন্তু আমেরিকার শিক্ষকেরা, বিশেষত ম্যানেজমেন্ট প্রফেসার, অন্য পথে হেঁটেছিলেন। "হারভার্ড বিজনেস রিভিউ" ম্যাগাজিনে প্রচুর চিঠি বেরুতে লাগলো। বিশেষ করে শিক্ষকেরা জোর দিয়েছিলেন আত্মবিশ্লেষণে। তারা প্রশ্ন তুলতে লাগলেনঃ আমাদের প্রাক্তন ছাত্ররাই তো আজ ব্যাঙ্ক ও ব্যবসা জগতের নেতা। তারা এমন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লো কেন? আমরা কি তাহলে অর্থলোভী মূল্যবোধহীন মেধাবী ছাত্র গড়ে তুলছি? দেশের হাতে তুলে দিচ্ছি selfish giant (স্বার্থপর দৈত্য)-দের বছরের পর বছর? এই কী আমাদের অবদান?
সারা দেশ জুড়ে শিক্ষকেরা শুরু করলেন নানা আলোচনা সভা। সংকটের সমাধান খুঁজতে লাগলেন। শেষে তারা সিদ্ধান্তে এলেন যে ছাত্র ও শিক্ষকদের জীবনদর্শন ও মূল্যবোধ দুটিই ভুল। অর্থ নয়, মানবিকতা ও আধ্যাত্মিকতাই পেশাদার মানুষদের সঠিক পথে চালাতে পারে।
২০১০ সাল থেকে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল নতুন পাঠ্যসূচি শুরু করলো ম্যানেজমেন্ট ছাত্রছাত্রীদের জন্য। অধ্যাপক ক্লেটন ক্রীশ্চনসেনের অধ্যক্ষতায় তিনটি নীতির ভিত্তিতে চালু হলো নতুন শিক্ষা।
প্রথম, জীবনের উদ্দেশ্য। অর্থ নয়, সমাজকে আমি কী দিচ্ছি। আমার এই দেওয়ার মাধ্যমে সমাজ কতটা উপকৃত হচ্ছে? এটাই আমার সাফল্যের মানদণ্ড, সম্পদ বা গদী নয়।
দ্বিতীয়, সাময়িক ও তাৎক্ষণিক দৃষ্টিকোণকে ছেড়ে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি নেওয়া জীবন সম্পর্কে। আমি কী এক তাৎপর্যপৃর্ণ জীবন কাটাচ্ছি?
তৃতীয়, আমি কী সততাকে প্রাধান্য দিচ্ছি? বিনম্রতার সাথে আমি কী দেশবাসীর উন্নয়নে সাহায্য করছি?

আমার বক্তব্য বা পথ আপনাকে মানতে হবে না। আমি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাতে এক উদাহরণ দিলাম শুধু। জীবনে দীর্ঘকাল ধরে সরকার ও অন্যান্য ক্ষেত্রের আলোচনা করলেও জোর দিয়েছি "আমার কর্তব্য"-এর উপর। তা সে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, নারী, দরিদ্র বা বা যে-কোনো ক্ষেত্রেই হোক।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

11 Nov, 08:39


প্রশ্ন︎ দুঃখে বিপদে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে অনেক সময়ই উত্তর পাই না। তখন তাঁর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলে বিপদ কাটবে? সমর্পণ কীভাবে করব?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আমার নিজস্ব টেকনিক কী তা বলি। কখনো কখনো এটা আমি করি। একবার প্রচণ্ড মাথা ধরেছে। ওষুধ খাবো কিনা ভাবছি। তখন এই টেকনিক'টার কথা মনে এলো। চিন্তা করলাম, এই ব্যাথা তো শ্রীশ্রীমা'রই দেওয়া। অতএব একে দূর না করে সহ্য করতে লাগলাম। কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু একে মায়ের দান বলেই গ্রহণ করলাম, প্রসাদ হিসেবে।
ভাবলাম, মা যখন এই কষ্ট দিচ্ছেন আমাকে তখন নিশ্চয়ই এর কোনো তাৎপর্য বা উদ্দেশ্য আছে। কিছুক্ষণ পর অনুভব করলাম, আমার ব্যাথা সহ্য করার শক্তি বেড়ে গেছে। আরো পরে দেখি যে ব্যাথাটা কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ঐটি মিলিয়ে গেল।
এটা আমি কখনো কখনো করি। আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তবে প্রথমদিকে সব দুঃখে কষ্টে এটা করবেন না। দরকার হলে ওষুধ খাবেন।
===================
প্রশ্ন︎ আপনার ধারাবাহিক লেখায় পড়ছি যে জীবনে অনেক সামাজিক রাজনৈতিক বাধার সামনে আপনি পড়েছেন। এ সত্ত্বেও কিভাবে আজও আপনি লড়াকু রয়েছেন? আমাদের অভিজ্ঞতা সমাজের বাধাগুলি এতো বেশি যে কিছু করে ওঠা যায় না সৎ উদ্দেশ্য থাকলেও।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●দুটি বিষয়ে জোর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমত, জীবনটা ফুটবল খেলার মতো। কেউ আপনাকে বাধা দেবে, কেউ ফাউল করবে, ল্যাঙ মেরে ফেলে দেবে কেউ, কেউবা আপনাকে রাগিয়ে দিয়ে একাগ্রতা নষ্ট করবে। এসবকে মেনে নিয়ে খেলুন লক্ষ্য স্থির করে। কেউ আপনাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেও আপনি মাথা ঠান্ডা রেখে উঠে দাঁড়ান। বল্ নিয়ে গোলের দিকে যেতে থাকুন।
দ্বিতীয়ত, প্রথমে আত্মবিশ্বাস রেখে নিজেকে শক্তিশালী করুন। পরে মানুষের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন আরো শক্তি বৃদ্ধি করতে। যেমন আমি গড়ে তুলেছি। পুলিশ, যুবক, নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী প্রভৃতি অনেকের সাথে যোগাযোগ রেখেছি যারা আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেন যখনই দরকার হবে। আপনিও এভাবে বন্ধু ও পরিচিত মানুষদের নিয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। ফুটবল খেলায় যেমন নিজস্ব দক্ষতা ও টীম্ দুইয়েরই প্রয়োজন, জীবনেও তাই। খেলায় হার জিত দুইই থাকে, এটা মাথায় রেখে খেলতে হয়। আজ হারলেও কাল জিততে হবে, এই চিন্তা রেখে খেলুন।
এ-বিষয়ে উদাহরণ সহ বিশদ আলোচনা করেছি "স্বাবলম্বী মানুষ হওয়া" বইয়ে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

29 Oct, 14:26


প্রশ্ন︎ ঠাকুরকে কি আমিষ ভোগ দেওয়া যায়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●বেলুড়মঠ, কামারপুকুর, জয়রামবাটিতে প্রতিদিন (রবিবার বাদে) ঠাকুরকে মাছ ভোগ দেওয়া হয়।
আরো কয়েকটি প্রশ্ন এসেছে বাড়িতে ঠাকুরকে ভোগ দেওয়া নিয়ে। তাদের নাম না দিয়ে শুধু উত্তর দিই এখানে। আপনার মন খুঁতখুঁত করলে ঠাকুরের জন্য রান্না আলাদাভাবে করতে পারেন সম্ভব হলে। না হলে নিজেদের জন্য যে রান্না করেন তার অগ্রভাগ অন্য পাত্রে রেখে দেবেন। পরে ঠাকুরকে ভোগ দেবেন। তবে ঠাকুরকে নিবেদন করার পাত্র আলাদা রাখবেন, ছোট প্লেট বা থালা গ্লাস। দীক্ষিতা না হলেও এ করতে পারেন। ঠাকুরের ফটোর সামনে ভোগ রেখে মনেমনে তাঁকে অনুরোধ করুন খেতে। আর আপনি চোখ বন্ধ করে ৫-৭ মিনিট ॐ জপ করুন। এবার উঠে ঐ পাত্রের প্রসাদ আপনাদের খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন। শান্ত মনে স্বচ্ছ পরিবেশে পরিষ্কার পাত্রে নিবেদন করুন, তাহলেই হবে।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ জীবনে সুখ-দুঃখ আছেই। কিন্তু নিজগুণে জীবন স্বর্গসমান হয়। তবু আমরা মুক্তি চাই কেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●যে এমন চায় সেই বলতে পারবে। হয়তো জীবনকে স্বর্গের মতো করতে হলে মনের আসক্তি থেকে কিছুটা মুক্ত হতে হয়। যেমন জাগতিক প্রেমে সফল হতে গেলে ত্যাগ দরকার। শান্তির জন্য নিঃস্বার্থ ভাব চাই। আনন্দ পেতে হলে কপটতা দূর করতে হবে।
অর্থাত্ মনের আসক্তি, স্বার্থপরতা, দ্বেষ ইত্যাদি বন্ধন যত কমবে জীবন ততই স্বর্গ হয়ে ওঠে। এরই পরিণতিতে চরম মুক্তি। আর এই পূর্ণ মুক্তিই মানুষের পরম সত্তা বলে সে জীবনে নানাভাবে এরই আকুতি অনুভব করে অজান্তে বা সজান্তে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

29 Oct, 08:46


ধনতেরস থেকে কালীপূজা
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ
====================
ধনতেরস ○ শব্দটা এসেছে ধন-ত্রয়োদশী থেকে। এই দিনে সমুদ্রমন্থনে আবির্ভূত হয়েছিলেন মা লক্ষ্মী, সম্পদের দেবী। সমুদ্রমন্থনের তাৎপর্য কি? প্রকৃতিতে (ভবসাগর) সবই রয়েছে। কিন্তু বিনা শ্রমে কিছু পাওয়া যাবে না। মন্থন মানে কঠোর পরিশ্রম। কালকূট বিষ থেকে অমৃত, সবই লাভ করা যায়। মা লক্ষ্মী সম্পদ দেন। কিন্তু কেউ তা ভাল কাজে লাগায়, কেউ বা অপপ্রয়োগ করে। সম্পদ পেয়ে মানুষ যাতে অহঙ্কারী হয়ে না ওঠে সেজন্য অনুষ্ঠান ভূত-চতুর্দশীর।

ভূত চতুর্দশী ○ ভূত বলতে কেউ মনে করেন প্রেত, ghost, যেমন ভূত-প্রেত। অন্য অর্থে ভূত মানে অতীত, past, যেমন ভূত-ভবিষ্যত্। এই রাতে ১৪ প্রদীপ জ্বালতে হয়। সাত পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে ৭ দীপ, আর দেব-দেবীদের উদ্দেশ্যে ৭টি। এর তাৎপর্য? যে সম্পদ লাভ হয়েছে তার ফলে মানুষ যেন অহঙ্কারী না হয়, সম্পদের অপপ্রয়োগ না করে, সেজন্য বিনীত হওয়া। পূর্বপুরুষদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যে বংশের মর্যাদা রক্ষা করবো। আর দেবদেবীদের আশীর্বাদ চাওয়া এই কাজে।

দীপাবলী ○ ভূত-চতুর্দশীর পরদিন অমাবস্যায় এই অনুষ্ঠান। দশমীর দিন রাবণ বধ হয়, রাম জয়ী হন। তাই এদিন বিজয়া দশমী। এরপর রাবণের শেষকৃত্য ও বিভীষণের রাজ্য-অভিষেক। ১৮ দিন পরে রাম স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে অযোধ্যায় ফেরেন। তাঁর আগমনের আনন্দে নগরবাসীরা ঘরে-ঘরে প্রদীপ জ্বালায়, সারা অযোধ্যা আলোকিত হয়ে ওঠে। সেই স্মৃতিতেই দীপাবলী আজও।

কালীপূজা ○ দীপাবলীর রাতেই কালীপূজা কেন? ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের মধ্যে। বৈদিক ধারার পাশাপাশি যোগ ও তান্ত্রিক ধারা ছিল সুদূর অতীতে। আদিবাসীদের শক্তি উপাসনাকে গভীরে নিয়ে গিয়ে তান্ত্রিক ধারা যে সাধনা গড়ে তুলেছিল তার সাথে মিলন হলো বৈদিক ধারার (অস্ট্রিক বা সাঁওতালদের মধ্যে শক্তি পূজা আজও আছে)। ভারতীয় সংস্কৃতির মূল কথা সমন্বয় -- "একই সত্যকে মনীষীরা নানাভাবে বলেন।"
বৈদিক ধারার দীপাবলী ও তান্ত্রিক ধারার কালী পূজা তাই একই রাতে। দুই নদী মিলে গেল। একে অন্যকে আরও সবল করে তুলে নতুন ধারার সৃষ্টি করলো।
এমনিভাবে বৈদিক ধারার পার্বতী (দক্ষের যজ্ঞ বৈদিক) ও যোগের শিব হলেন স্বামী-স্ত্রী। তন্ত্রের কালী (১০ মহাবিদ্যার প্রথম রূপ) ও যোগের পশুপতি বা আদিনাথও স্বামী-স্ত্রী। ধর্মের মাধ্যমে সব ধারার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের সংস্কৃতি।

দক্ষিণাকালী ○ মা কালীর দুই রূপ পূজিত। এক, দক্ষিণাকালী -- যে প্রতিমায় মায়ের ডান (দক্ষিণ) পা আগে, শিবের বুকে। মূলত গৃহী সাধক এই রূপের উপাসনা করেন কারণ মা এখানে কিছুটা সৌম্য রূপে।
বামাকালী ○ যে প্রতিমায় মায়ের বাঁ পা সামনে, শিবের বুকে। প্রধানত তান্ত্রিকেরা শ্মশানে এর সাধনা করেন। এই রূপ উগ্র। শক্তি অর্জনে এ বেশি ফলদায়ী, কিন্তু কঠোর সংযম দরকার হয় এই সাধনায়।

কালীর ভয়ংকর রূপ কেন? সুন্দরের মতো অসুন্দরেও মা, ভালোর মতো মন্দেও, সুখের মতো দুঃখেও, স্বর্গের মতো নরকেও, জয় পরাজয়ে, হাসি ও কান্নায়.... মা কালীই তো বিভিন্ন রূপে রয়েছেন সর্বত্র। কিন্তু আমরা শুধু সুখ চাই, আনন্দ চাই, জয় চাই। আর এভাবেই মায়ের সার্বিক রূপকে এড়িয়ে যাই। ফলে আমাদের আধ্যাত্মিক চেতনা অপূর্ণ থাকে।
তাই কালী-উপাসনার অর্থ ভয়ংকরের মধ্যেও মাকে দেখার চেষ্টা। দেওঘরে স্বামী বিবেকানন্দ একবার শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এক ভদ্রলোক বললেন, আপনি তো ইচ্ছা করলেই এই কষ্ট থেকে মুক্ত হতে পারেন। স্বামীজি উত্তর দিলেনঃ "কেন? এও তো মায়েরই আশীর্বাদ। শুধু স্বর্গ নয়, নরকও তো মায়েরই কোল।"
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

29 Oct, 02:57


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

29 Oct, 00:22


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

29 Oct, 00:21


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ১২ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৪৩:১৬
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৫৭:৩০
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) দ্বাদশী দং ১২|৩ দিবা ঘ ১০|৩২.
নক্ষত্রঃ উত্তর ফাল্গুনী দং ৩২|৮ রাত্রি ঘ ৬|৩৪.
দিবা ঘ ৯|২৮ মধ্যে একাদশীর পারন।
ধন ত্রয়দোশী (রাত্রিব্যাপী - উত্তর ভারত)।
ধনতেরাস।
প্রজ্ঞা ভারতী ডঃ ধ্যনেশনারায়ণ চক্রবর্তী তথা কিংকর শাশ্বতানন্দের আবির্ভাব তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 14:32


প্রশ্ন︎ ধর্ম পালন করলে মানুষের উন্নতি হয় কি? সমাজও কি লাভবান হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●যুক্তি নয়, আজ আরো বড় তথ্য দেখা যাক। দেখি সংখ্যাতত্ত্ব কি বলছে। প্রথমে দেখবো, ধর্ম মেনে কি হয়েছে। পরে দেখবো, ধর্মের প্রভাব কম হওয়ার পরিণতি কি। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য থেকে এই তথ্য নেবো ছবিটাকে পরিষ্কার করতে।

প্রথমে The American Paradox বই থেকে বলি। লেখক David G Myers গ্রাফ দিয়ে বলছেন, 1977 সাল থেকে মার্কিন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জীবনদর্শনের আকর্ষণ কমে আর্থিক ও ভোগী সুবিধের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। ফলে 1985 থেকে অন্যদের প্রতি অবিশ্বাস বেড়ে চলে যেখানে 1981সালেই স্বার্থপরতা বাড়তে দেখা গিয়েছিল।এবং 1980 থেকেই বিবাহ-বিচ্ছেদ দ্রুত বেড়ে চলে। আর 1985 সাল থেকে বেআইনী কাজে নাবালক ছেলেমেয়ে গ্রেফতারের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
আরেকটা তথ্য খুবই কৌতূহল উদ্দীপক। লেখক দেখিয়েছেন, যারা চার্চে যায়না তারা যত দান করে সমাজসেবায়, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি দান করে যারা নিয়মিত চার্চে যায়।

এবার আসুন ভারতের ক্ষেত্রে। আজকাল বলিউড নিয়ে সর্বত্র বিতর্ক। এই বলিউডের অবস্থা নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে IIM থেকে। বিবেক অগ্নিহোত্রী এটা আলোচনা করেছেন এক ভিডিওতে। ধর্মের প্রভাব কমলে কি হতে পারে তার একটা ছবি পাওয়া যায় এখানে।
1960-র দশকে বলিউডের 68% ফিল্মে ধর্ম প্রসঙ্গ ছিল কোন-না-কোনভাবে। 1980-তে এ কমে হয় 60%, 1990-এ 48%, 2000-এ 20% এবং 10-এ 12% । গবেষণায় দেখা যায়, ধর্মীয় প্রভাব কমার সাথে দেশাত্মবোধ কমে আসে ফিল্মগুলির গল্পে। মূল্যবোধ নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়। ডন্ ও মাফিয়াদের glorify করা হতে থাকে, বলা হয় যে তারা অত্যাচারিত হবার জন্যই এ পথে এসেছে, কিন্তু এদের মন খুব বড়। অর্থাৎ রবিনহুড করে এদের ছবি দেখানো হতে থাকে।
2000 থেকেই সাংস্কৃতিক অবনমন শুরু হয়। গানে অশালীন কথা ও শব্দ ব্যবহার হতে থাকে। তু চীজ্ বড়ি, চোলি কে পিছে, লড়কী আঁখ মারে..। নাচে ভারতীয় ভঙ্গির বদলে হিপহপ ও র‌্যাপ, বিশেষ করে আইটেম নাচ গান অত্যাবশ্যক হয়ে ওঠে।
অন্য এক গবেষণায় দেখা যায় 1980-র দশক থেকে কাস্টিংকৌচের অভিযোগ জোরালো হয়। এবং 2000-এর পর ড্রাগস নিয়ে অভিযোগ। 2010 সালে নেপোটিজমের বিরুদ্ধে প্রথম খোলাখুলি অভিযোগ ওঠে।
আমি মন্তব্য না করে তথ্য রাখলাম। এবার আপনি নিজে সিদ্ধান্ত নিন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 08:46


প্রশ্ন︎ অবসর জীবনে আছি। ছেলে পরিবার নিয়ে সঙ্গে রয়েছে। মাঝে-মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিশেষ করে পুত্রবধূর সাথে। এর সমাধান কী ?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তর কিছুদিন আগে দেওয়া হয়েছে। আপনি তো কয়েকজন সাধুকে চেনেন, আশ্রমেও যান। অবসর জীবন ঠাকুরের কোনো আশ্রমে কাটান না। মিশনের অনেক আশ্রমে এমন ব্যবস্থা আছে। পুরুলিয়া, হরিদ্বার, অদ্বৈত আশ্রম, মুম্বাই ইত্যাদি আশ্রমে দেখেছি অবসর জীবনে অনেককে থাকতে। অফিসের কিছু কাজ করে দিতেন। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আশ্রমের। কোথাও আবার অর্থ উপার্জনের সুবিধাও আছে। এছাড়া ভক্তদের পরিচালিত অনেক আশ্রম রয়েছে যেখানে এমন সুবিধা আপনি পাবেন।
খোঁজখবর নিয়ে দেখুন এমন কোনো আশ্রমে নিজের ব্যবস্থা করতে পারেন কিনা। মাঝে-মাঝে বাড়িতে গিয়ে থাকলেন কয়েক দিনের জন্য। এতে ছেলের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকবে, আর আপনার শেষ বয়সটাও আনন্দ কাটবে।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ আমি খুব পরিশ্রম করে নিজের কেরিয়ার গড়েছি। ভাল উপার্জন করছি। ছাত্র জীবন থেকেই এই লক্ষ্য রেখে এগিয়েছি। আর আপনার “চলতে চলতে” লেখায় দেখি যে এ দিকে আপনি ছোটবেলা থেকে দৃষ্টি দেননি। তাহলে কীভাবে আপনি বেশি কৃতিত্ব দেখালেন ও আনন্দে রয়েছেন ?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●আপনি কৃতিত্বকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এবং এ অর্জন করে আনন্দকে চেয়েছেন। আর আমি ঠিক উল্টোটি করেছি। আনন্দকে গুরুত্ব দিয়েছি। ফলে কৃতিত্ব নিজে নিজেই এসেছে। রহস্যটা হলো, যে কোনো কাজ আনন্দের সাথে করলে তবেই ঐ কাজে কৃতিত্ব দেখাতে পারা যায়। You can show excellence when do something you love. আপনার কাছে excellence আগে, আমার কাছে love (আনন্দ) আগে। যে কোনো কাজেই কৃতিত্ব দেখিয়ে প্রচুর উপার্জন করা যায়।
আপনি চলেছেন গতানুগতিক পথে, অন্য পথ বা বিকল্প নিয়ে চিন্তা করেননি। ফলে কৃতিত্ব দেখালেও জনপ্রিয়তা সেই অনুসারে পাননি, এবং ৬০ বছরের পর এও থাকবেনা সম্ভবত। আমার ক্ষেত্রে কিন্তু সারা জীবনের গ্যারান্টি। কারণ জীবনের বিভিন্ন পর্বে সেটাই করেছি যা করতে আমি ভালবাসি। সমাজের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিজের ইচ্ছামতো পথে চলার চেষ্টা করেছি।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 02:58


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 02:53


আজ মহিয়সী ভগিনী নিবেদিতা-র শুভ জন্মদিবস।

১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা স্যামুয়েল রিচমন্ড নোবেল ছিলেন ধর্মযাজক। মায়ের নাম ছিল মেরি ইসাবেলা। মাত্র দশ বছর বয়সে মার্গারেটের বাবা মারা যান। তারপর তাঁর দাদামশাই তথা আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হ্যামিলটন তাঁকে লালন-পালন করেন। লন্ডনের স্কুলে মার্গারেটের শিক্ষালাভ। সতেরো বছর বয়সে শিক্ষা শেষ করে মার্গারেট শিক্ষিকার পেশা গ্রহণ করেন। কিছুদিন পরে উইম্বলডনে নিজের একটি স্কুল খোলেন। পাশাপাশি নানা পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতে ও চার্চের হয়ে নানা সেবামূলক কাজও শুরু করেন।

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডনের এক পরিবারের পারিবারিক আসরে মার্গারেট স্বামী বিবেকানন্দের বেদান্ত দর্শন ব্যাখ্যা শোনেন। বিবেকানন্দের ধর্ম-ব্যাখ্যা ও ব্যক্তিত্বে তিনি মুগ্ধ হন। তাঁর প্রতিটি বক্তৃতা ও প্রশ্নোত্তরের ক্লাসে উপস্থিত থাকেন। তারপর বিবেকানন্দকেই নিজের গুরু বলে বরণ করে নেন।

১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি পরিবার-পরিজন ত্যাগ করে মার্গারেট চলে আসেন ভারতে। এই সময় বিবেকানন্দের কাছে ভারতের ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, জন-জীবন, সমাজতত্ত্ব, প্রাচীন ও আধুনিক মহাপুরুষদের জীবনকথা শুনে মার্গারেট ভারতকে চিনে নেন। ভারতে আসার কয়েক দিন পর শ্রীরামকৃষ্ণ সহর্ধমিনী সারদা দেবীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। এর কিছুদিন পর স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে ব্রহ্মচর্য ব্রতে দীক্ষা দেন। তিনিই মার্গারেটের নতুন নাম রাখেন ‘নিবেদিতা’।

মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য নিবেদিতা উত্তর কলকাতার বাগবাজার অঞ্চলে ১৬ নম্বর বোসপাড়া লেনে নিজ নিবেদিতা গার্লস স্কুল খোলেন। ১৮৯৯ সালে কলকাতায় প্লেগ মহামারী দেখা দিলে তিনি স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় রোগীদের সেবা ও পল্লী-পরিষ্কারের কাজ করেন।

১৯০২ সালের ৪ জুলাই, নিবেদিতার জীবনের পথপ্রদর্শক স্বামী বিবেকানন্দের দেহাবসান হয়। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় গোপনে বিপ্লবীদের সাহায্য করতে শুরু করেন নিবেদিতা। এই সময় অরবিন্দ ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জগদীশচন্দ্র বসু প্রমুখ বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। এসবের পাশাপাশি তিনি সাহিত্য কর্মে ব্রতী হয়েছিলেন, তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলি হলঃ কালী দ্য মাদার, ওয়েব অফ ইন্ডিয়ান লাইফ, ক্রেডল টেলস অফ হিন্দুইজম, দ্য মাস্টার অ্যাজ আই শ হিম ইত্যাদি।

কিন্তু ভারতের গ্রীষ্মপ্রধান আবহাওয়ায় অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিবেদিতা। ১৯১১ সালে হাওয়া বদলের জন্য জগদীশচন্দ্র বসু ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দার্জিলিঙে বেড়াতে গিয়ে ১৩ অক্টোবর সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিবেদিতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর।

স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত, ভারতমাতার প্রতি নিবেদিত প্রাণ ভগিনী নিবেদিতার শুভ জন্মদিবসে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রনাম।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 00:14


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

28 Oct, 00:12


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: সোমবার, ১১ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৪২:৪০
সূর্যাস্ত: বিকাল ৪:৫৮:১৪
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) একাদশী দং পরে দিবা ঘ ৭|৫১.
নক্ষত্রঃ পূর্ব ফাল্গুনী দং ২৪|১৩ দিবা ঘ ৩|২৪.
রমা একাদশীর উপবাস।
সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Oct, 14:06


প্রশ্ন︎আমি জপ করি কিন্তু দীক্ষা নিইনি। আমার কি নিরামিষ খাওয়া উচিত?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●যদি ভালো লাগে, খাবেন। তবে এ নিয়ে বেশি চিন্তা করবেন না। রাম ও কৃষ্ণ নিরামিষাষী ছিলেন না, শ্রীরামকৃষ্ণও নন। অহিংসা বৌদ্ধধর্মের নীতি। হিন্দুধর্মে সাম, দান, ভেদ, দণ্ডের কথা আছে। প্রথম তিনটি ব্যর্থ হলে দণ্ড আবশ্যক হয়ে পড়ে। এজন্যই হিন্দু দেবদেবীর হাতে অস্ত্র। তাছাড়া আরেকটি কথা, যারা খাবারে ভেজাল দেয়, দুর্নীতি করে, তাদের অনেকেই নিরামিষ খায়।
শাস্ত্রের কোনো কথা অন্ধভাবে পালন করবেন না। বলা হয়েছে -- শাস্ত্র, যুক্তি, অনুভব, এই তিনের মিল হচ্ছে কিনা তা দেখুন। অর্থাত্ শাস্ত্রের একটা উক্তি পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন। পরে দেখুন একে যুক্তি দিয়ে মানতে পারছেন কিনা। এবারে লক্ষ্য করুন বাস্তব জীবনে এটি প্রয়োগ করা যাবে কিনা। যদি তিনটির সমন্বয় ঘটানো যায় তবেই একে গ্রহণ করুন। শাস্ত্রের সব বাণী সবার জন্য নয়।
অন্ধভাবে ঠাকুর বা মায়ের কথাও নেবেননা। তাদের যে কোনো কথারই তাত্পর্য বুঝতে চেষ্টা করুন। যেমন, মা বলেছেন "পরের দোষ দেখ না।" তাহলে আপনি কি শিক্ষক হিসেবে সব ছাত্রকেই পুরো নম্বর দেবেন পরীক্ষায়? অঙ্কে ভুল করলেও নম্বর কাটবেননা? বাড়িতে চোর এলে তাকে ধরে থানায় নিয়ে যাবেন না? শ্রীশ্রীমা কেন তবে হরিশকে মেরেছিলেন?
এক প্রবীণ মহারাজ বলেছিলেনঃ মন্দিরে যাবার সময় শুধু জুতোটা বাইরে রেখো, মাথা নয়। কেউ কেউ জুতো ও brain দুটোই বাইরে রেখে মন্দিরে যায়। কথার তাত্পর্য হলো, ধর্ম পালনে যুক্তিকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন। ঠাকুর বলেছেন, ভক্ত হবি তো বোকা হবি কেন?
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ মৃত্যুর পর যদি আমরা রামকৃষ্ণ লোকে যাই তাহলে জপ-ধ্যান কেন করবো? এই গ্যারান্টি থাকা সত্ত্বেও কেন চিন্তা করি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ঐ লোকে শুধু গেলেই তো হবে না, টিঁকে থাকতেও হবে। এই হাই-ডোজ্ আধ্যাত্মিক পরিবেশে থাকার শক্তি অর্জন করতে হবে তো! এই দেখুন না, মঠে দীক্ষিত বলে আপনি মায়াবতী আশ্রমে যাবার সুযোগ পেলেন। এমনকি বেশিদিন থাকারও। কিন্তু ৪দিন হতে-না-হতেই বাড়ির চিন্তা শুরু হলো। নাতি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, বউমা আমার ঘর খুলে দেখছে না তো, ছেলে অফিস থেকে ফিরে ব্ল্যাক কফি পাচ্ছে কী? ব্যাস্ আশ্রমে বেশিদিন থাকার সুযোগ পেলেও ভাল লাগছেনা। অতএব আপনার সাধনভজন করার অর্থ হলো নিজেকে রামকৃষ্ণ লোকে থাকার উপযুক্ত করে তোলা।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

27 Oct, 08:06


প্রশ্ন︎ শকুনি, দুর্যোধন টাইপ বস্ সম্পর্কে জানতে চাই। আপনি এর উল্লেখ করেছেন। একটু বলবেন?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ শুধু অফিসের বস্ নয়, রাজনেতা, বয়স্ক আত্মীয়, পাড়ার দাদা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক। সংক্ষেপে কিছুটা বলি এ বিষয়ে।
১● রাবণ টাইপঃ তর্জন গর্জন করা এর স্বভাব। নিজের ক্ষমতা দেখায়। পদ ও শক্তি নিয়ে গর্বিত।কিন্তু ইনি কর্মকুশল ও সফল ব্যক্তি। কারোর উপর রাগলে তাকে শেষ করে দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্তাবকের সাত খুন মাপ। এরসাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হবে?
¤মৌখিক আনুগত্য দেখান, কিন্তু তার কাছে বেশি যাবেন না।
¤তিনি জীবনে কর্মকুশলতায় ও সফল বলে তার কাছে শিখুন। তিনিও খুশি হবেন।
¤তার সাথে সরাসরি তর্ক করবেন না। অপছন্দ হলেও শান্ত থাকুন (dignified silence), তিনি বুঝবেন।

২●দুর্যোধন টাইপঃ ইনিও তর্জন গর্জন করেন তবে ভীতু। কর্মকুশল নন কিন্তু পদ-ক্ষমতা পছন্দ করেন। অনিশ্চয়তায় ভোগেন যদিও বাইরে সাহস দেখানোর চেষ্টা করেন। চাপের মুখে ভেঙে পড়েন।
আপনার ব্যবহারঃ
¤ভদ্রভাবে কথা বলুন কিন্তু দৃঢ়ভাবে।
¤অনিশ্চয়তার মুখে তাকে ফেলবেননা কারণ ভয় পেলে নিজে বাঁচার জন্য তিনি যা-ইচ্ছে করতে পারেন।
¤মাঝে-মাঝে তাকে সাহস দিন, প্রশংসা করুন। তবে তার প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করবেন না।
¤আপনি নতুন কিছু করতে চাইলে বলুন যে এটা তারই আইডিয়া। তিনি অনুমতি দেবেন।

৩● শকুনি টাইপঃ ইনি খুব বুদ্ধিমান কিন্তু ধূর্ত। নৃশংস অথচ সবসময়ই হাসিমুখে। আচরণে ভদ্র। সরাসরি উঁচু পদে না গিয়ে ইনি চেষ্টা করেন পর্দার পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়তে।
আপনি কি করবেন?
¤আপনাকে যেটুকু কাজ করতে বলেন তিনি, শুধু সেটুকুই করুন।
¤তার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন কিন্তু তার দলে বা গ্রুপে যোগ দেবেননা।
¤তৈলমর্দনের চেষ্টা করবেননা কারণ আপনি যখন তার সাথে কথা বলেন তখন তিনি তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে আপনাকে দেখে বোঝার চেষ্টা করেন আপনার আসল উদ্দেশ্য কি।
¤তিনি কিছু অনৈতিক কাজ করতে বললে আপনি কোন-না কোন অজুহাতে সময় নিন কিংবা লিখিত অর্ডার চান কায়দা করে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 03:15


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 00:25


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 00:24


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বুধবার, ৬ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৪০:১৮
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:১:৪৪
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) সপ্তমী দং ৪৯|৮ রাত্রি ঘ ১|১৯.
নক্ষত্রঃ পূর্ণবসু অহোরাত্র।
দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী অন্নদা ঠাকুরের জন্মতিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 14:33


প্রশ্ন︎ জীবনে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ, প্রতিকূল পরিবেশ। ভয় ও দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা। কোনো দিশা পাইনা।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●তোমার বড় চিঠিতে অনেক প্রশ্ন। সংক্ষেপে তাই মুল প্রশ্নটি তুলে দিলাম। আর গ্রুপের ওয়ালে উত্তর দিচ্ছি কারণ অনেকেরই উপকার হতে পারে।

নিজের দৈনন্দিন জীবনের দিকে তাকাও। কখন চা খাবে, বাজারে গিয়ে কি কিনবে, অফিসে বাসে যাবে না ট্রামে, কাজ করতে করতে কখন একটু বিশ্রাম নেবে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবে সুশান্ত নিয়ে কিংবা ভারত-চীন নিয়ে, এই সিদ্ধান্তগুলি তুমিই নিয়েছিলে এবং সেই অনুসারে কাজ করেছ। অর্থাৎ অধিকাংশ সময় তুমি স্বাধীন ভাবে থাকো। তাহলে তোমার সমস্যা কি? অহেতুক দুশ্চিন্তা ও কল্পিত হীনভাব নিজের সম্বন্ধে।
তরে মাঝে-মাঝে জীবনে সমস্যা আসতেই পারে, ভয় দুঃখ স্বাভাবিক। সবার জীবনেই আসে। যখন তুমি ভেঙে পড়ো, প্রশ্ন করো এই জীডন কি অন্যের নির্দেশে চলবে না তোমার নির্দেশে? তোমার পথ কি অন্যে ঠিক করে দেবে? রোজ প্রায় সব কাজে তুমি যখন নিজেই সিদ্ধান্ত নাও এবং কাজে সফল হও, তখন আজ এই পরিস্থিতিতে অন্যরকম ভাবছ কেন? সব কাজেই তুমি মালিকের মতো কাজ করে এখন অন্যের দাস হতে চাইছো কেন? কল্পিত ভয়ে?
সোসাল মিডিয়ায় আমি প্রায়ই গালাগালি খাই। দু-একদিন আগে আমার পোস্ট পড়ে একজন কমেন্ট করেছিল "ছাগল"। মাসখানেক আগে একজন সরাসরি গাধা না বলে লিখেছিল "শীতলা মাতার বাহন"। দেখে ভাবলাম যে আমি তো নিজের মালিক, অতএব কমেন্ট পড়ে রাগ করবো না হাসবো সেটা আমিই ঠিক করবো। অন্যের হুকুমে আমি চলতে রাজি নই। আমি সম্রাট, আর সম্রাটকে কেউ অর্ডার দিতে পারেনা।
সম্রাটের মতো বাঁচো আনন্দ। ক্ষত্রিয়ের জন্ম তো লড়াই করার জন্যই। আর এই যুদ্ধের মাধ্যমেই সে নিজের প্রতিভা দেখাতে পারে। তার কাছে যুদ্ধ এক সুযোগ, বিপদ নয়। ক্ষত্রিয়ের শ্রেষ্ঠ ভূষণ তার অস্ত, তার তরোয়াল। আপদ বিপদ দেখলে ওঠাও তোমার তরবারি, প্রকাশ করো ক্ষত্রিয়ের তেজ, বাঁচো সম্রাটের মতো।
আসল সমস্যা কি জানো, আনন্দ? আমরা চাই আমার হয়ে অন্য কেউ লড়ুক। নিজের লড়াইয়ের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই অন্যের হাতে। আর এ ভাবেই নিজের স্বাধীনতা হারাই, নিজের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিই অন্যকে। ক্রীতদাসে পরিণত হই।
ভাবছো হয়তো, যদি ভুল করি সিদ্ধান্ত নিতে, কাজে ব্যর্থ হই যদি? আনন্দ, মানুষের সবচেয়ে বড় মৌলিক অধিকার হলো ভুল করার অধিকার। ব্যর্থতাই প্রমাণ করে যে তুমি চেষ্টা করেছিলে, পালিয়ে যাওনি। ব্যর্থতাই বলে দেয় যে তুমি ক্ষত্রিয়ের মতো বাঁচতে চেয়েছ, স্বভাবে সম্রাট বলেই লড়েছ মাথা নত না করে।
অভিযোগ আর অজুহাত দিয়ে নিজের অক্ষমতা লুকোতে চেওনা। নিজের অন্তরাত্মাকে দেখ, পথ খুঁজে পাবে। বিবেকের কথা শোন, দিশা পাবে। নিজের দৈনন্দিন জীবনকে লক্ষ্য করো, সাহস ফিরে পাবে। সিদ্ধান্ত নাও, তোমার জীবনের মালিক কি তুমি হবে অথবা অন্য কেউ? তুমি কি সম্রাটের মতো বাঁচতে চাও কিংবা ভিখারির মতো?
নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজে নাও। অন্যকে impress করার জন্য তুমি জন্মাওনি। তুমি বেঁচে আছো নিজের অসীম সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে, নিজের প্রতিভাকে প্রকাশ করার জন্য।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 08:39


প্রশ্ন︎ সমাজসেবামূলক কাজে যে স্কুলটি গড়ে তুলছি সেই কাজে বাধা আসছে। এ চিন্তায় অস্থির আছি। এমনকি ঘুমের সময়ও চিন্তা চলে। মায়ের উপর ছেড়ে দিয়েও মন শান্ত হচ্ছেনা। কি যে করি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সবার জীবনেই এমন অবস্থা আসে কখনো কখনো। তোমার জীবনেও আগে এমন হয়েছে নিশ্চয়ই? একে পরীক্ষা হিসেবি নাও। অস্থির মনকে শান্ত করার নানা পদ্ধতি এই গ্রুপে আলোচনা করা হয়েছে। "টেনশন কমানোর উপায়" বইয়েও রয়েছে অনেক টেকনিক।
ভাল চিন্তা ও কাজ আটকে থাকেনা, তবে দেরী হতে পারে কখনো কখনো। মন শান্ত করার কিছু টেকনিক অভ্যাস করো, মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে থাকো, সমস্যা দূর করার কিছু বিকল্প পথ নিয়ে ভাবো। সব ঠিক হয়ে যাবে। ধৈর্য রাখো।
তুমি লিখেছ "মায়ের উপর ছেড়ে দিয়েছি"। প্রার্থনা ও সমর্পণের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে কিছু চাওয়া হয়, ঈশ্বরকে বলা হয় কী করতে হবে, কী চাই। আর সমর্পণে তাঁর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তিনি দিতে হয় তো দিন, না দিলে তাই সই। কৌরব সভায় দ্রৌপদী যতক্ষণ প্রার্থনা করছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ সাড়া দেননি। কিন্তু সমর্পণ করার সাথে সাথে তিনি এগিয়ে এলেন।
সমর্পণ খুব কঠিন। আমি চেষ্টা করে হয়তো ১০% সমর্পণ করতে পারি। এবার চেষ্টা করবো একে ১৫% করতে। এভাবে ক্রমেক্রমে এ বাড়িয়ে ২৫%, ৪৮%, ৭৬% ....বাড়িয়ে যেতে হবে। যাই হোক, তুমি চেষ্টা করো, এরসাথে প্রার্থনা, বিভিন্ন মানুষের সাহায্য ইত্যাদি বিভিন্ন পথ। আর ভাবো অন্যান্য বিকল্প সমাধানের কথা। যুদ্ধ করতে হলে শুধু আর্মি নয়, আর্মি এয়ার নেভি সবের ব্যবহার করো।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ভারতের মতো গ্রীসেও বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো হতো। তাহলে কি এই দুই ধর্মের মধ্যে মিল ছিল?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●না। গ্রীসে বহু দেববাদ। প্রত্যেকের নিজস্ব অস্তিত্ব ছিল। এবং সবার রাজা একজন, জিউস। ভারতে একই সত্ত্বা বিভিন্ন দেবদেবী রূপে প্রকাশিত। গ্রীসে জিউস উপাস্য। কিন্তু ভারতে দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো পরে বন্ধ হয়ে যায়। গ্রীসে জিউস এক সত্তা কিন্তু ভারতে ইন্দ্র এক বিশেষ স্থান যেখানে মানুষ বসতে পারে সাধনা করে।
গ্রীসে দেবদেবীরা স্বর্গে চিরকাল থাকেন। ভারতীয় চিন্তায় স্বর্গ সাময়িক, এবং দেবদেবী ঐ এক ত্ত্বায় মিশে যান নাম-রূপের উর্ধ্বে উঠে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 03:27


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 00:02


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 00:01


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ৫ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৯:৫০
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:২:৩০
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) ষষ্ঠী দং ৪৯|৩৫ রাত্রি ঘ ১|৩০.
নক্ষত্রঃ মৃগশিরা দং ০|২৮ প্রাত ঘ ৫|৫১ পরে আদ্রা দং ৫৯|৫৮ শেষ রাত্রি ঘ ৫|৩৯.
দক্ষিণায়ন হেমন্ত ঋতু প্রথম মাস আরম্ভ।
কবি সাহিত্যিক জীবনানন্দ দাশের তিরোভাব দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 14:47


প্রশ্ন︎ যে মানুষ বলে ধ্যান-দর্শন করি তার মধ্যে পরিবর্তন কোথায়? তার মনে লোভ, ঈর্ষা, হিংসা কেন? ধ্যান-দর্শন কি মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারছে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এর উত্তর ঠাকুর দিয়েছেন। গাছে দড়ি বাঁধা অবস্থায় থাকলে সারারাত নৌকো বাইরেও এগুনো যায়না। কেউ যদি সাধনা করেও লোভ ঈর্ষা হিংসা থেকে কিছুটা মুক্ত না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার কিছু হয়নি, সাধনায় অগ্রগতি হচ্ছেনা। শুধু দাবী করলে তো হবেনা, আচরণে তার প্রকাশ চাই। এজন্যই স্বামীজি কর্মের উপর এতো জোর দিয়েছেন।
ধ্যান সত্যি সত্যি হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবো? আর দর্শন তো ড্রাগস খেলেও হয়। গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে স্থিতপ্রজ্ঞের লক্ষণ হিসেবে তার আচরণের কথাই বলা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন, ধ্যান ও দর্শন মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে কিনা? তাহলে এ প্রশ্নও উঠবে, শিক্ষা নিয়েও কারণ উচ্চশিক্ষিত শয়তান দেখা যায়। এ প্রশ্ন বিজ্ঞান নিয়েও কারণ মারণাস্ত্র তৈরি করেন বড়বড় বিজ্ঞানীরা। সবকিছু নিয়েই এমন সন্দেহ উঠবে। রাবণ, ভস্মাসুর, হিরণ্যকশিপু, মহিষাসুর ইত্যাদি বড়বড় অসুরের অনেক তপস্যা করছিল। এদের মন পবিত্র হলো না কেন? আজকের যুগেও ছোটখাটো অনেক অসুর আছে। দেখতে হবে, এরা কেন জপধ্যান করছে? মুল উদ্দেশ্য কি? বিদ্যুৎ এক শক্তি। কিন্তু যে এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তার উদ্দেশ্য কি? আলো জ্বালা না মানুষ মারা? রাবণ, কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ, একসঙ্গে তপস্যা করা সত্ত্বেও প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ফল পেলেন। কারণ তাদের উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য ছিল।
তবে সুযোগেই এমন লোক ছিল, আছেও। এ নিয়ে চিন্তা না করে নিজের শক্তি বাড়ালে এদের সাথে যুদ্ধ করা সহজ হয়।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ওম্ (ॐ) এবং ওং, এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ওম্ হলো মূল প্রণব। একে যখন কোনো নামের সাথে যুক্ত করা হয় তখন এই যোগ বা সন্ধি হয় ব্যাকরণের সূত্র অনুসারে। আর তখন ম্ স্থানে অনুস্বার বসে। যেমন ইতি+আদি =ইত্যাদি (ইকোযনচি সূত্র অনুসারে, অর্থাত্ তি'র ই এবং আদি'র আ যোগ বা সন্ধি করে য'ফলা হয়েছে।)
ওম্ জপ করেন অনেকে। কিন্তু শিব নামের সাথে যোগ করে মন্ত্র তৈরি হলে তখন ওং নমঃ শিবায় হবে। ॐ নিয়ে আলোচনা করেছি ইউটিউবে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 08:48


~ অন্যরকম ~
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ
====×====×====×====
২০ বছরে কর্মজীবন শুরু। আর ২৫ বছরে বয়সে নিজের কোম্পানী। মনোজ জৈন। মারোয়াড়ি, ধর্মে জৈন। বাবা কাকা সবাই ছিলেন সরকারী চাকুরে। কিন্তু মনোজ হাঁটলো অন্যপথে। LIC-র এজেন্ট হয়ে। এক জৈন সাধুর আশীর্বাদ নিতে গেলে মুনিজী বলেছিলেন, গ্রাহকদের স্বার্থকে আগে দেখবি, তাদের সুখ-দুঃখকে নিজের সুখ-দুঃখ বলে মনে করবি। ঐ নীতি নিয়ে শুরু। পাঁচ বছরেই নিজের কোম্পানি "মানি ম্যানেজার"। বাবা কি ব্যাঙ্ক থেকে কোনও সাহায্য না নিয়েই। আজ ৪৫ বছরের মনোজ। নিজের ক্ষেত্রে সুখ্যাত, শুধু ব্যবসায়ী নয়, মানুষ হিসেবেও। অন্যরকম ব্যক্তিত্ব। প্রায়ই আসে। কিছুক্ষণ কাটিয়ে যায়। গত রোববারও এসেছিল। দেখলাম, করোনা বা লকডাউনে ব্যবসায় ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। সেই বার্তালাপ.....।

●লকডাউনে তিন মাসের ওপর কারবার বন্ধ। কি রকম লাগছে?
¤তেমন কিছু নয়। জীবনে এমন তো হয়ই। আগেও হয়েছে, পরেও হবে।
‌●কিভাবে সামলাও এমন পরিস্থিতি?
¤জীবনে ভালমন্দ অবস্থা থাকেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নিজের পথ খুঁজে নেওয়া, এটাই তো বুদ্ধিমানের লক্ষণ। এর আগে নোটবন্দি হয়েছে, সরকার পাল্টেছে, করোনা এসেছে। এ তো চলতে থাকেই।
●GST-র সময় তুমি ঘাবড়াও নি। রহস্যটা কি?
¤বন্যা, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি, সাইক্লোন ইত্যাদি যেমন জীবনের অঙ্গ, নোটবন্দি করোনাও তেমনি। এ নিয়ে দুঃখ করে লাভ কি? সমস্যা এসেছে তো সমাধান করো। আমি এই নীতি নিয়েই চলি। ধর্ম তো এ-কথাই বলে, তাইনা? আপনি শুনিয়েছিলেন গীতার বাণী। লাড-ক্ষতি জয়-পরাজয় সবকিছুতে সমান থাকা। ধর্ম মেনে চললে সব ঠিক চলে।
‌●জৈন হয়ে তুমি যা পারো, হিন্দু হয়েও অনেকে তা পারেনা।
¤মানুষ যত ধার্মিক হয় তত বেশি প্র্যাক্টিক্যাল হয়। জৈন মুনি বহু আগে যা বলেছিলেন আমাকে, কাজ করতে গিয়ে তার সত্যতা বুঝেছি।
●কারোর কাছে অর্থসাহায্য না নিয়ে নিজের কোম্পানি তৈরি করলে কিভাবে?
¤মুনিজীর কথা শুনে। তিনি বলেছিলেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করো, তারাই সব দেবে তোমাকে। গ্রাহকদের স্বার্থেকে আমি নিজের স্বার্থ ভাবি। আর এভাবেই বীমাএজেন্সি থেকে পোস্টাপিস, ব্যাঙ্ক, প্রাইভেট ফাইনান্সিয়াল সংস্থা, কোম্পানি, শেয়ার। ব্যবসা বাড়িয়েছি। গ্রাহকদের টাকাকে নিজের টাকা মনে করে তাদের নিয়মিত বলি কোন টাকা তুলে নিতে হবে, কোথায় নিবেশ করা দরকার, কখন অপেক্ষা করতে হবে। কখনো তারা বাইরে থাকলে আমি নিজেই পেমেন্ট করে দিই। পরে ফেরৎ পাই।
‌●ব্যাঙ্ক বা কোম্পানি যেখানে আজ ৬-৭% সুদ দিচ্ছে সেখানে তোমারকোনো গ্রাহক ১২-১৫% কিভাবে পাচ্ছেন?
¤প্রাইভেট সংস্থা যারা স্বল্প মেয়াদে টাকা নিবেশ করে তাদের কেউ কেউ দেয়।
‌●এতে টাকা মার যায়না?
¤না কারণ এই লেনদেন চেক মারফত হয়। মানছি যে এই ক্ষেত্রে অনেক খারাপ লোক আছে, কিন্তু ভাল লোকও রয়েছে। চিট ফান্ড নিয়ে অনেক হৈচৈ। কিন্তু চেন্নাইয়ের শ্রীরাম ট্র্যান্সপোর্ট, কলকাতার পিয়ারলেস, এরা তো বিশ্বাসযোগ্য ও বিখ্যাত। সমাজে ভালমন্দ দুইই আছে।।
‌●একটা খবর শুনলাম। তোমার মেয়ে কলেজ থেকে বিদেশ ভ্রমণে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু টাকা থাকলেও তুমি তা দিতে রাজি হওনি।
¤আসল ব্যাপারটা এরকম। আমি বলেছিলাম, টাকা ধার হিসেবে দেব। ভ্রমণ থেকে ফিরে সে আমার অফিসে দিনে তিন ঘন্টা করে ৮ মাস কাজ করে শোধ দেবে। এই শর্ত মেনে সে টাকা পেয়েছে।
‌●বাবা হয়ে মেয়েকে টাকা ধার দিলে? অথচ তুমি খুব পয়সাওলা মানুষ !
¤ব্যাপার কি জানেন স্বামীজি? টাকার দাম সেই বোঝে যে নিজে উপার্জন করে। তাই মেয়ের ভবিষ্যত্ চিন্তা করেই এই স্টেপ নিয়েছিলাম। আমি চাই সে নিজের শক্তিতে দাঁড়াক, বাবার শক্তিতে নয়।
‌●কারোর সাহায্য না নিয়ে নিজের চেষ্টায় তুমি বড় হয়েছ। তোমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? টাকা তো অনেক কামিয়েছে!
¤মুনিজী বলেছিলেন, ব্যবসা নয়, সেবা কর্। এটাই তোর সাধনা। আমি আজও তাঁর উপদেশ মেনে চলেছি।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 02:55


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 00:05


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 00:04


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: সোমবার, ৪ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৯:২১
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৩:১৭
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) পঞ্চমী দং ৫|২৮ রাত্রি ঘ ২|৩০.
নক্ষত্রঃ রোহিনী দং ৩|০ দিবা ঘ ৬|৫১.
সৎসঙ্গ সংঘের প্রধান আচার্যের আবির্ভাব দিবস।
আনন্দমার্গ সংঘগুরু শ্রী আনন্দমুর্তিজীর প্রয়াণ দিবস।
শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের তিরোভাব তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

20 Oct, 14:21


প্রশ্ন︎ প্রাপ্তমনস্ক (matured) ব্যক্তি কাকে বলব? ম্যাচিওরিটির লক্ষণ কি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●গীতা পড়ুন। এ বিষয়ে শ্রীকৃষ্ণ সুন্দর কতগুলি পয়েন্ট বলেছেন। এবং নিজের ব্যবহারে দেখালেন ম্যাচিওরড্ ব্যক্তির আচরণ। এখানে আমরা কয়েকটির উল্লেখ করি।
প্রথমত, সব পরিস্থিতিতে তিনি মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখেন। শ্রীকৃষ্ণের ভাষায়, সুখ-দুঃখ লাভ-ক্ষতি জয়-পরাজয়ে মনকে শান্ত রাখা।
দ্বিতীয়ত, তিনি অন্যকে সাহস ও উৎসাহ দেন, তাকে সাহায্য করেন বড় হতে।
তৃতীয়ত, ব্যক্তির মানসিকতা অনুযায়ী পথ দেখান তিনি। অন্যের level of understanding দেখে উপদেশ দেন।
চতুর্থত, যে কোনো কাজ করার সময় তিনি ঐ কাজের পরিণতি নিয়ে চিন্তা করেন। সমাজে ঐ কাজের প্রভাব বিচার করেন।
পঞ্চমত, নিজের স্বার্থ নয়, নীতি ও সত্যই তার লক্ষ্য।
এই পাঁচটি আমরা দেখতে পাই গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে। সংক্ষেপে আজ এটুকুই উল্লেখ করলাম।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ধ্যান গভীর হলেই কি সাধক সমাধি পান? এই অবস্থায় কি অনুভব হয়?


#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সমাধি নানারকম আছে। সবিতর্ক, নির্বিতর্ক, সবিচার, নির্বিচার, সানন্দ, সাস্মিত সমাধি। এর মাধ্যমে মনের অশুদ্ধতা চলে যায়। এর পরে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি হলে মনের শুদ্ধতাও চলে যায়। অর্থাৎ গোলাপ গাছ থেকে প্রথমে কাঁটা বিলীন হলো, পরে ফুলও।
কিন্তু কাঁটা ও ফুল বিলীন হলেও গাছ থেকে যায়। আর এ থেকে আবার কাঁটা ও ফুল সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি দুই রকম -- সবীজ ও নির্বীজ। এই বীজ তাই জ্বালিয়ে দিতে হয়। আর তখনই ঘটে নির্বীজ অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি।
এ বিষয়ে আর আলোচনা করবোনা। আপনি কৌতূহলী হলে "ধ্যান শেখার ক্লাস" বইটি দেখতে পারেন (পৃষ্ঠা ৩১-৩৫)।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

20 Oct, 08:07


প্রশ্ন︎ রোগ কি আমাদের কর্মের ফল? আমার এক আত্মীয়, খুব ভালমানুষ, ক্যান্সারে মারা গেছেন। ভাল ও খারাপ কর্মের সংজ্ঞা কি?
.
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। ঠাকুরও ক্যান্সারে দেহত্যাগ করেছিলেন। অনেকে বলেন, সঙ্ঘ তৈরির জন্য তিনি স্বেচ্ছায় রোগ নেন অন্তরঙ্গ ভক্তদের সম্মিলিত করার জন্য। কেউ বলেন, গিরিশ ঘোষের পাপ গ্রহণ করার ফলে। আর এও পড়েছি যে যাদের শেষ জন্ম তাদের কর্মফল তাড়াতাড়ি কেটে যাবার জন্য কঠিন রোগ বা কষ্ট হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাই না। ছোটবেলায় ডাক্তার যখন বলেন চোখ খারাপের জন্য আমায় চশমা নিতে হবে, আমি চিন্তা করিনি গত জন্মের কোন পাপের ফলে আমার চোখ খারাপ হলো অল্প বয়সেই। বরং ডাক্তারের কথা শুনে চশমা নিলাম। এখনও অসুখ হলে কর্মের চিন্তা না করে ওষুধ খেয়ে নিই।
ভাল কাজ করলে কোনো অসুখ হবে না বা জীবনে দুঃখ কষ্ট আসবে না, এমন কথা শাস্ত্রে পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে না করলেও সামূহিক কর্মের ফলও জীবনে আসে। শান্তিপ্রস্তাব ব্যর্থ হবার পর শ্রীকৃষ্ণ যখন ফিরে যাচ্ছেন তখন বলেছিলেন ভীষণ যুদ্ধ হবে, অসংখ্য লোক মরবে। একজন প্রশ্ন করেন, এতে তো নির্দোষ মানুষও মরবে! শ্রীকৃষ্ণ তার উত্তরে বলেন, দুর্যোধনের অন্যায় দেখেও যারা চুপ করে ছিল তারা নির্দোষ নয়। অন্যায়কে সহ্য করাও পাপ। অর্থাৎ আজ সমাজে অনাচার দেখেও যে অসংখ্য মানুষ চুপ করে আছেন, গীতার ভাষায় তারাও পাপী। সেই কবিতাটা শুনেছেন? "আমি বাপু সাতেপাঁচে থাকি না / বারান্দা হতে আমি নামি না।"
এবার প্রশ্ন, ভাল কাজ ও খারাপ কাজের সংজ্ঞা কি? যে কাজে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হয় সেটা খারাপ কাজ। এরকম ভাল কাজে সমাজের উপকার হয়।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ অফিসে আমার টেবিলে ঠাকুর ও মায়ের ফটো দেখে অনেকে জানতে চান এদের সম্বন্ধে। এমন লোকদের কিভাবে বললে ভাল হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষায় এদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও উপদেশ পাওয়া যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে এই ছোট বইগুলি পাওয়া যায়। অফিসে জিজ্ঞাসু সহকর্মী বা গ্রাহকদের উপহার দিতে পারেন। কেউ বেশি আগ্রহ দেখালে স্থানীয় আশ্রমে নিয়ে যান তাকে। অবাঙালি হলে তাকে পড়তে দিন রোমাঁ রোলাঁ কিংবা ঈশারউডের লেখা বই। আশ্রমের লাইব্রেরিতে পাবেন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

18 Oct, 08:36


প্রশ্ন︎ আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছি। এখন এক ছোট দোকান চালিয়ে সংসার চালাই। এই গ্রুপের লেখা রোজ পড়ি। কিন্তু পড়াশোনা না থাকায় কোন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভয় হয়। ঠিক সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে পারি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সাধারণ বুদ্ধি (কমন সেন্স) ও বিবেক'ই যথেষ্ট সিদ্ধান্ত নেবার ব্যাপারে। আপনি কি ভাবেন যে M.Sc এবং PhD-রাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেন? তাহলে সমাজের এমন অবস্থা হোতো না। তাই আপনি চিন্তা করবেন না। ঠাকুরের নাম নিয়ে বড় বড় সিদ্ধান্ত নিন কমন সেন্স ও বিবেক আশ্রয় করে।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ বলা হয় যে জপের সময় ইষ্ট নামের ভাবনা করতে হবে। আমার এটা হয়না। জপ করার সময় ইষ্টের রূপেই শুধু মনে আসে।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এ নিয়ে চিন্তা করবেন না। মনে ইষ্ট মূর্তি বা রূপ কল্পনা করতে করতেই মন্ত্র জপ করুন।
ভাবনা বলতে বোঝায় ইষ্টের ভাবনা। যেমন শিব বলতে শান্ত ভাব, কালী শব্দে সর্বব্যাপী শক্তি, বিষ্ণু পালনকর্তা। প্রথমদিকে এতে অসুবিধে অনেকেরই হয়। আপনি বরং আপাতত ভাবনার বদলে ইষ্ট রূপ কল্পনা করতে করতেই জপ করুন। আর "ভাবনা" নিয়ে কৌতূহল হলে "উপাসনা ও প্রার্থনার শক্তি" বইটি দেখুন (পৃষ্ঠা ৫৯)।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

18 Oct, 03:00


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

18 Oct, 00:13


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

18 Oct, 00:12


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: শুক্রবার, ১ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৮:৩
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৫:৩৯
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) প্রতিপদ দং ১৯|৫ দিবা ঘ ১|১৬.
নক্ষত্রঃ অশ্বিনী দং ১৯|৩০ দিবা ঘ ১|২৬.
মরমী বাউল লালন ফকিরের তিরোধান দিবস।
শীতলচন্দ্র দাস বাবাজী মহারাজের তিরোভাগ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 15:21


প্রশ্ন︎ দুবেলা জপধ্যান করছি । কিন্তু আপনি যে দর্শন অনুভূতি বলেন বই ও ভিডিওতে সেসব আমার হয় না।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এতে মন খারাপ করবেন না। সবার একই রকম অনুভূতি হয়না। সাধনার সময় রাখাল, কালী, নরেন....ভিন্নভিন্ন রকম অনুভব হতো। আপনি হয়তো মনে করেছেন যে বই বা ভিডিওর ধরণে দর্শন হবে। এবং এই আশা নিয়েই হয়তো সাধনা করেন। অতীতের জ্ঞান বা ধারণা বাধার সৃষ্টি করে সাধনায়।
এর পরিবর্তে খোলা মন নিয়ে জপধ্যান করুন। আপনি যেন কোনো রহস্যের উন্মোচন করতে চলেছেন, এই ভাব নিয়ে সাধনা করুন। যেন নতুন দেশভ্রমণে বেরিয়েছেন, অজানা এক গুহার ভেতর ঢুকে দেখতে চলেছেন কি আছে, এমন কৌতূহল নিয়ে সাধনায় বসুন। মনকে খোলা রেখে করুন। যদি কিছু দেখতে না পান তবে চোখ বন্ধ করে অন্ধকারকে দেখতে থাকুন। পরীক্ষা করে দেখুন।
গুরুদেব যেমন বলেছেন সেভাবে আগে সাধনা করে নিন। পরে আমাদের দেওয়া পদ্ধতিতে ১০-১২ মিনিট করুন। এক-দেড় সপ্তাহ এভাবে অভ্যাস করে দেখতে পারেন।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ জীবনে এত বেশি এডজাস্ট করতে হয় যে কষ্ট হয়। কিভাবে এ থেকে মুক্ত হওয়া যায় ?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মানুষ সাধারণত এডজাস্ট করে বাধ্য হয়ে। এ অবস্থায় তার খারাপ লাগে। কারণ তার মনে তখন হীনভাব জেগে ওঠে। আরেক রকম ভাবে এডজাস্ট করতে পারা যায়। উদাহরণ দিয়ে বলি। কেউ এমন কাজ করছে যা আপনার অপছন্দ। এ সময় আপনি প্রতিবাদ করতে পারেন। কিন্তু তিনি আপনার স্ত্রী হলে আর দামী শাড়ি অপ্রয়োজনে কিনলে আপনি চুপ করে থাকেন বাধ্য হয়ে। তখন কি করবেন?
নিজেকে পরীক্ষা করুন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন কিনা। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ যেমন বলেছেন, সুখ-দুঃখ লাভ-ক্ষতি জয়-পরাজয়ে মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে, এটা আপনি পারেন কি? এতে কি হবে? প্রতিকূল পরিস্থিতিকে আত্মবিকাশের কাজে লাগাতে পারছেন। এভাবে অফিস পাড়া ক্লাব সমাজে আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
তার মানে এ নয় যে চুপ করে সব সহ্য করবেন। বলতে চাইছি, যেখানে প্রতিবাদ করতে অসুবিধা সেখানে এভাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে আত্মবিকাশের সুযোগ নিন। শুধু দুঃখ না করে পরিস্থিতিকে কাজে লাগান।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 08:33


~ উকীলের সাথে ~
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ
====×====×====×====

জীবনের পথে অসংখ্য লোকের দেখা পেয়েছি। নানারকম চরিত্র। এমনই এক মানুষ রণবীর সিং। উকীল। প্রথম দেখা জয়পুরে, রাজস্থান। পরে খেত্রী। তখন তাকে জানতে পারি ঘনিষ্টভাবে। মিশনের সাথে যুক্ত। প্রায়দিন বিকেলে কোর্টের পর আশ্রমে আসতেন। ঐ অঞ্চলের কংগ্রেস নেতা। বহুদিন নানা প্রসঙ্গে আলোচনা হতো। পণ্ডিত মানুষ। কিন্তু তার বড় বৈশিষ্ট্য সত্যনিষ্টা। খুব আগ্রহ ছিল আমার জানতে, কিভাবে তিনি এই পেশায় ধরে রাখেন আদর্শকে। তার বাধা, সংগ্রাম, প্রচেষ্টা। সেসব আলোচনার কিছু অংশ ••••••

‌‍‍●আচ্ছা বণবীরজী, আপনি সারাজীবন নিম্ন আদালতেই রয়ে গেলেন কেন? ইচ্ছা করলেই তো উচ্চ আদালতে প্র্যাকটিস করতে পারতেন!
¤না মহারাজ, একে আমি পেশা হিসেবে গ্রহণ করিনি কখনো। গরীব মানুষেরা মামলার জন্য উচ্চ আদালতে যায়না টাকা ও সময়ের অভাবে। আর আমি চেয়েছিলাম এদের সাহায্য করতে। তাই লোয়ার কোর্টেই রয়ে গেলাম সারাজীবন।
‌●শুনেছি আপনি সব কেস্ নেন না।
¤ঠিকই শুনেছেন। কেউ এলে জানতে চেষ্টা করি সে দোষী বা নির্দোষ। তার দলিল দেখি, গোপনে খোঁজ নিই ঐ অভিযোগের বিষয়ে। ক্লায়েন্ট যদি নির্দোষ হয়, নির্যাতিত হয়, তবেই তার কেস নিই। উকীল হিসেবে আমার ধর্ম ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহায্যে করা। তাই ক্লায়েন্ট দোষী হলে তার কেস নিইনা। বচনামৃতে ঠাকুরে বলেছেন, সত্যি কথা কলির তপস্যা। (কথামৃতের হিন্দি অনুবাদের নাম হলো রামকৃষ্ণ বচনাণৃত। আর হিন্দিভাষীরা অনেকেই তাঁকে ঠাকুরজী বলে।)
●কিন্তু এভাবে কি গরীব নির্দোষকে ন্যায় দিতে পারেন? কারণ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রমাণ, যুক্তি, দলিল। তাছাড়া ধনী ক্লায়েন্ট বড় উকীলকে নিযুক্ত করতে পারে। গরিবের পক্ষে এটা কঠিন।
¤এই অসুবিধে তো আছেই। কিন্তু আমি খুব চেষ্টা করি যাতে সত্যের জয় প্রমাণ করতে পারি। একবার হলো কি আমার ক্লায়েন্ট নির্দোষ হলেও মামলায় হার হলো প্রমাণের অভাবে। সেদিন রাতে ঠাকুরজীকে খুব প্রার্থনা করলাম। বললাম, পথ দেখান ঠাকুরজী, নাহলে সত্যের জয় হবেনা, নির্দোষ হেরে যাবে। রাতে শুয়েশুয়েও প্রার্থনা করে চলেছি। হঠাত্ মাথায় আইডিয়া এল যে আমি এক নেতা হিসেবে সাহায্য করতে পারি। পরদিন পার্টি অফিসে গিয়ে বন্ধু নেতাদের বললাম সাহায্যের জন্য। কোর্টে আপিল করলে কয়েক বছর লাগবে রায় আসতে। কিন্তু কৃষককে তো প্রতি বছর চাষ করতে হয়। জমি চলে গেলে সে কি করবে? পরে ঐ বদমাসকে খবর পাঠালাম, অন্যায়ভাবে জমি নিলে পলিটিক্যাল চাপ আসবে তোমার উপর। সে তখন ভয়ে জমি ছেড়ে দেয়। আমার বিশ্বাস, ঠাকুরজীই এই বুদ্ধি দিয়েছিলেন আমাকে। উকীল হিসেবে না পারিস তো নেতা হিসেবে গরীব নির্দোষকে ন্যায় দে।

রণবীরজীর প্রসঙ্গে অনেকের কাছেই শুনেছি। তার সত্যনিষ্ঠা, নিঃস্বার্থ ভাব, গরিবের প্রতি ভালবাসা। কোর্টের এক বিচারপতি আশ্রমে গল্প করতে করতে বলেছিলেন, রণবীরজী উকীল হলে আমাদের চিন্তা থাকেনা। জানি যে তিনি কখনো অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াবেন না, আর খোঁজ নেন কেস নেবার আগে। ক্লায়েন্ট নির্দোষ হলে তবেই তিনি কেস নেন। তার এই সুনাম এই সত্যনিষ্ঠা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে তাকে।

●একটা প্রশ্ন রণবীরজী, এত সত্যনিষ্ঠ হয়ে জীবনে কী পেলেন এ যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন তবে কি উত্তর দেবেন?
¤বাইরের সব সম্পদের চেয়েও দামী আত্ম সম্মান। বাড়ি গাড়ির থেকেও প্রিয় সাধারণ মানুষের ভালবাসা। এই দুটি যে পায়নি সে পেল কি জীবনে? মানুষের সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ তার মনুষ্যত্ব। আর যে মনে করে মনুষ্যত্বের চেয়েও বেশি দামী টাকা ও গ্ল্যামার, তাদের মানসিকতা নিয়ে সন্দেহ জাগে। আমি গরীব নই মহারাজ, আমি আত্মসম্মান ধনী।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 02:48


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 02:44


আজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ-সংঘাধ্যক্ষ স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজের পূণ্য জন্মদিবস। স্বামী প্রভানন্দজী তিপ্পেরা জেলার আখাউড়া গ্রামে (অধুনা বাংলাদেশ) ১৭ই অক্টোবর ১৯৩১ খ্রীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন । রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সপ্তম অধ্যক্ষ স্বামী শঙ্করানন্দজী মহারাজের কাছ থেকে তিনি মন্ত্রদীক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৫৮ খ্রীষ্টাব্দে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘে যোগদান করেন নরেন্দ্রপুর আশ্রমে। ১৯৬৬ খ্রীষ্টাব্দে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দ মহারাজের কাছ থেকে তিনি সন্ন্যাস-দীক্ষা লাভ করেন।

নরেন্দ্রপুর, সারদাপীঠ ও সেবাপ্রতিষ্ঠানে তিনি নানা সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নরেন্দ্রপুরে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকরূপে কিছুকাল সেবা করেন। নরেন্দ্রপুরে থাকাকালীন দুই বছর তিনি Institute of Social Education and Recreation (বর্তমানে লোকশিক্ষা পরিষদ)–এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের অন্তর্গত বিদ্যামন্দির কলেজের তিনি অধ্যক্ষ ছিলেন কয়েকবছর। কোলকাতায় স্থিত রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠান হাসপাতালের সহকারী সম্পাদকরূপে তিনি তিন বছর সেবা করেন। পরবর্তীকালে প্রভানন্দজী পুরুলিয়া বিদ্যাপীঠ এবং দক্ষিণ কোলকাতায় অবস্থিত Ramakrishna Mission Institute of Culture–এর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৮৩ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে প্রভানন্দজী রামকৃষ্ণ মঠের অছি পরিষদ ও রামকৃষ্ণ মিশনের পরিচালন সমিতির সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ খ্রীষ্টাব্দ থেকে দীর্ঘ এগার বছর তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সম্পাদক ছিলেন। ২০০৭ থেকে তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন পাঁচ বছর। ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের জুন মাসে প্রভানন্দজী রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ঐ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

ইংরাজী এবং বাংলা ভাষায় বহু গ্রন্থের রচনা করেন প্রভানন্দজী। বাংলা বইয়ের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য শ্রীরামকৃষ্ণের অন্ত্যলীলা (দুই খণ্ডে), ব্রহ্মানন্দ চরিত, সারদানন্দ চরিত ও রামকৃষ্ণ মঠের আদিকথা। ইংরাজী ভাষায় তাঁর লেখা First Meetings with Sri Ramakrishna এবং Early History of Ramakrishna Movement শীর্ষক গ্রন্থাবলী সুপ্রসিদ্ধ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা ইংরাজী ও বাংলা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সুবক্তা প্রভানন্দজী বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেছেন। মহারাজের সুচিন্তিত বক্তৃতাবলী তাঁর মেধা ও পাণ্ডিত্যের সাক্ষ্য বহন করে।

বেলুড় মঠে অবস্থিত রামকৃষ্ণ সংগ্রহ-মন্দিরটিতে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবান্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বহু মূল্যবান জিনিস ও নথিপত্র সংরক্ষিত রয়েছে। এটি প্রভানন্দজীর একক প্রচেষ্টা ও দীর্ঘকালীন শ্রমের নিদর্শন।

সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষরূপে প্রভানন্দজী ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ ও নেপালের বিভিন্ন স্থলে গিয়ে বহু অধ্যাত্ম পিপাসু মানুষকে মন্ত্রদীক্ষা দান করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া, ফিজি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকা পরিদর্শনে যান এবং রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ভাবধারা ও বেদান্তের প্রচার-প্রসার করেন।

স্বামী প্রভানন্দজীর জ্ঞানস্পৃহা ও গবেষণাস্পৃহা সর্বজনবিদিত। তাঁর অসাধারণ মেধা, পাণ্ডিত্য, সেবাপরায়ণতা ও ত্যাগ-তপস্যাপূতঃ জীবনের জন্য তিনি ছিলেন বহুমানিত। সর্বোপরি সঙ্ঘসেবায় তিনি ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। পূজনীয় স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজ ৯১ বছর বয়সে ১-লা এপ্রিল ২০২৩ সন্ধ্যা ৬.৫০ মিনিটে কোলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজের পূণ্য জন্মদিবসে আমরা জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সংখ্যাতীত প্রণাম।
~~~~~
যদিও রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পরম্পরায় শ্রীশ্রীঠাকুর এবং পার্ষদগন ব্যতীত জন্মতিথি / জন্মদিবস পালন করা হয় না কিন্তু বিশিষ্ট মহাজীবনের স্মৃতিচারণা সাধারণের অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সেজন্যই স্বল্প পরিসরে স্মরণ-মণনের প্রয়াস।
~~~~~
তথ্যসূত্রঃ ‘স্বামী প্রভানন্দ’ জীবনী পুস্তিকা।
~~~~~

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 00:19


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

17 Oct, 00:17


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বৃহস্পতিবার, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৭:৩৭
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৬:২৭
তিথি: (আশ্বিন শুক্লপক্ষ) পূর্ণিমা দং ২৩|১৫ দিবা ঘ ৪|৫৬.
নক্ষত্রঃ রেবতী দং ২৬|৪৫ দিবা ঘ ৪|২০.
জলবিষুব সংক্রান্তি।
পূর্ণিমার ব্রত উপবাস।
প্রদোষে সন্ধ্যা ঘ ৫|৫৬ মধ্যে শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ ব্রত।
কাবেরী সংক্রমন স্নান।
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস।
শ্রীমৎ কাশীশ্বর পন্ডিতের প্রয়াণ তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

16 Oct, 14:31


প্রশ্ন︎ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায় কেন? লাভম্যারেজ হলেও আজ আমি একা। দেবত্ব যদি মানুষের অন্তর্নিহিত স্বভাব হয় তবে সে কেন তার পরিচয় দেখি না তার ব্যবহারে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মানুষ কি শিখছে ছোটবেলা থেকে? কিভাবে পরীক্ষায় বেশি মার্কস পাবে, ঢাল চাকরি পেতে হয়, অফিসে প্রমোশন পেতে পারে, বেশি সম্পদ অর্জন করবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ শেখার মূল লক্ষ্য "পাওয়া"। তার চরিত্রে দৃষ্টিভঙ্গিতে এই অ্যাপ্ ইনস্টল করছে সে। এবং এটাই সে জীবনে ব্যবহার করছে অধিকাংশ সময়। এমনকি বিভিন্ন সম্পর্কও সে নিয়ন্ত্রণ করছে এই অভ্যাস দিয়ে, অজান্তে বা সজান্তে। এটাই তার সংস্কার। পরিবারে, অফিসে, পাড়ায়, পেশাতে, সমাজে এভাবেই সে চলছে। এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকেই practical বলে মনে করছে শুধু সেই নয়, বন্ধু ও আত্মীয়রা।
আমরা #পাওয়া'র উপর গুরুত্ব দিচ্ছি, #দেওয়া'র উপর নয়। ফলে সেই সম্পর্ককেই বাঁচিয়ে রাখতে উৎসাহী যেখান থেকে কিছু পাই। গতানুগতিক চিন্তায় পড়ে থাকি, প্রশ্ন না তুলে। অথচ বিচার করলে বোঝা যায়, দিলেই পাওয়া যায় বেশি। এ নিয়ে আমরা এই গ্রুপে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছি। কিন্তু আমাদের সমাজ সভ্যতা সংস্কৃতিকে গড়ে তুলছি "কি পাবো" চিন্তার উপর। তাই সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে।
ধর্ম এ কথা বারবার বলেছে। চাহিদা, কামনা, বাসনা আমাদের দুঃখ বাড়ায়। মুক্ত করেনা বন্ধন থেকে। মুক্তি বলতে শুধু মোক্ষ বা নির্বাণ নয়, দৈনন্দিন জীবনের বাধা থেকেও মুক্তি চাই।
এখন আপনি কি করবেন? দৈনন্দিন জীবনে ছোট্ট একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন। সিদ্ধান্ত নিন যে আজ দু'ঘন্টা সময় "চাওয়া বা "পাওয়া" নয়, শুধু "দেওয়া"-র উপর দৃষ্টি রাখবেন। অর্থাত্ ঘরে অফিসে পাড়ায় মানুষদের শুধু দেবেন প্রতিদানের কোনো আশা না রেখে। এটা কালও করুন, পরশু .... দুই সপ্তাহ অভ্যাস করে দেখুন তো।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন, মানুষের মধ্যে দেবত্ব থাকলেও তা দেখতে পাননা কেন? বিজ্ঞানের সাহায্যে উত্তর দিই। কার্বন ডাই-অক্সাইডে জীবনদায়ী অক্সিজেন থাকলেও আপনি বুঝতে পারেন না, বরং ঐ গ্যাসে শ্বাস নিলে মৃত্যু হবে। কেন? ঐ গ্যাসে কার্বন থাকায় অক্সিজেনের প্রাণদায়ী শক্তি কাজ করতে পারেনা। তেমনি মানুষের মধ্যে দেবত্ব থাকলেও পশুত্ব বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সাধনার উদ্দেশ্য পশুত্বকে লুপ্ত করে দেবত্বের প্রকাশ। যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে কার্বন সরিয়ে দিয়ে অক্সিজেন ব্যবহার করে সতেজ হওয়া।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

16 Oct, 09:00


প্রশ্ন︎ রোজ যে অভ্যাস দেওয়া হয় গ্রুপে সেটা আগ্রহ নিয়ে করার চেষ্টা করি। কিন্তু শুরুতে ভাল হলেও পরে ভুলে যাই। ৫-৬ ঘন্টা ধরে করতে পারিনা। এর সমাধান কী? সন্ধ্যার সময় বাড়িতে অভ্যাস করবো?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●না, এটা কাজের সময় অভ্যাস করতে হবে। শান্ত পরিবেশে সাধনা করা সহজ। অফিসে, রান্না করার সময়, টিভি দেখতে দেখতে, আড্ডায়.... যদি অভ্যাস করতে পারেন তবে বেশি সুফল পাবেন।
আপনার মতো সমস্যা অনেকেরই হয়। তাহলে কি করবেন? অভ্যাসটা একটু পাল্টে নিন। ধরুন, গ্রুপে অভ্যাস দেওয়া হয়েছে "আনন্দে থাকবো বেলা ১০টা থেকে ৪টে।" কি করবেন আপনি? সিদ্ধান্ত নিন যে অফিসে যাওয়ার সময় এটা অভ্যাস করবেন। এবার বাড়ি থেকে ৯.১৫-তে বেরোবার সময় থেকেই ঠিক করুন যে ঐ সময় থেকে ৯.৫০-এ অফিসে পৌঁছুনো পর্যন্ত আপনি আনন্দে থাকবেন পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন। কিংবা অভ্যাস দেওয়া হয়েছে "আজ ৭ ঘন্টা যথাসম্ভব কম কথা বলবো।" আপনি অফিসে লাঞ্চ টাইমে এটা অভ্যাস করুন। এভাবে সুবিধেমতো এডজাস্ট করে কাজের সময় অভ্যাস করতে থাকুন।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ কিছু বন্ধু আছে যারা শুধু দুঃখের সময়ই আমার সাহায্য চায়। আমাকে শুধু তখনই মনে পড়ে। অন্য সময়ে নয়। এরা কি সুবিধেবাদী? এদের বন্ধু হিসেবে রাখবো কি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●মানুষ তো অন্ধকার হলেই প্রদীপ খোঁজে। তাই না? আপনি তাদের কাছে এমনই এক প্রদীপ, আলোর দিশারী। বিপদে মানুষ তার কাছেই যায় যার উপর সে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে, যাকে সবচাইতে বেশি বিশ্বাস করে। আপনি এমনই এক দেবদূত তাদের কাছে। আপনার মতো সৌভাগ্য ক'জনের?
তবে একটু সচেতন থাকুন। আপনাকে যেন তারা বোকা বলে না ভাবে, আপনাকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার না করতে পারে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

16 Oct, 03:03


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

16 Oct, 00:24


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।