সপ্তক-Saptak 🌿 @saptak2020 Channel on Telegram

সপ্তক-Saptak 🌿

@saptak2020


অব্যক্ত লিখাগুলোর সুপ্ত প্রতিভা শেয়ার করো সপ্তকের সাথে।লেখা মানসম্মত হলে অবশ্যই চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। 🌼

লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ

1. @rajin_the_boss ☘️

2. @MaxRab ☘️

ভয়েস পেজ : https://t.me/+38acMoVDu2hlNDg1

মিম পেজ: t.me/castaway_memes2020

সপ্তক-Saptak 🌿 (Bengali)

সাহিত্যিক প্রতিভা উদ্দিপনা করার জন্য একটি নতুন টেলিগ্রাম চ্যানেল, 'সপ্তক-Saptak 🌿', তৈরি করা হয়েছে। এই চ্যানেলে সপ্তক অব্যক্ত লিখাগুলোর সুপ্ত প্রতিভা ভাগ করার সুযোগ পেতেন। যদি আপনি মানসম্মত লেখা রচিত করেন তাহলে চ্যানেলে এ শেয়ার করতে পারেন। চ্যানেলে লেখার ঠিকানা প্রেরণ করার জন্য নিম্নলিখিত ব্যবহারকারীদের নাম দেওয়া আছে: @rajin_the_boss, @MaxRab। এছাড়া, ভয়েস পেজে পৌঁছানোর ঠিকানা: https://t.me/+38acMoVDu2hlNDg1 এবং মিম পেজে: t.me/castaway_memes2020। সপ্তক-Saptak 🌿 চ্যানেলটি সাহিত্যিক প্রেমীদের জন্য একটি গাহানী সাধনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

সপ্তক-Saptak 🌿

06 Jan, 13:29


মেজর ডালিমও আত্মপ্রকাশ করল, শুধু তুমি আত্মপ্রকাশ করলানা।

সপ্তক-Saptak 🌿

01 Jan, 09:08


অশুভ


- অনেক পাখি মরেছে, বুঝলি?

- হ্যাঁ, ভাই।

- পাখির মৃত্যু কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়।

- মানে?

- বিভিন্ন লোককথায়, ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশেও কিন্তু পাখির মৃত্যুকে অমঙ্গলের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তাই বলছি, কালকে রাতে অনেক পাখি মরেছে।

- আরে, ভাই! তুই এসবে বিশ্বাস করিস? পাখি তো মরে-ই। যদিও এভাবে মৃত্যুটা  আমরা মেনে নিতে পারি না। আর আতশবাজি ফোটানোয় শুধু পাখিই নয়, মানুষও তো মরেছে।

- মানুষের কথা হচ্ছে না। মানুষ যুদ্ধে মরে, মহামারীতে মরে। এক্সিডেন্ট করেও মরে। মানুষের মৃত্যুতে অমঙ্গলের ছাপ নেই। অমঙ্গলের ছাপ থাকে পাখির মৃত্যুতে। যেখানে মৃত্যু স্বাভাবিক হয় না। কোনো কোনো লোককথায় এটাও আছে, যে বাড়ির সামনে পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়, সে বাড়িতে বিপদ নেমে আসে। আর এখন তো গোটা শহর জুড়ে পাখিদের মৃত্যু হয়েছে।

- যাচ্ছে তাই। হাদিসে এইসব কুলক্ষণ এবং অশুভ জিনিসে বিশ্বাস করাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

- হাদিসের অনেক কথাকেই আমরা Literal হিসেবে ধরে নিই, যেগুলো উচিত নয়। হাদিসে আছে সংক্রামক কোনো ব্যাধিই নেই। আসলেই কি?

- আরে, তার মানে হচ্ছে রোগ অন্য কোনো কারণে নয় বরং আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়।

- আমি কখন বারণ করলাম? There are more things in Heaven and Earth, Horatio than are dreamt of in our philosophy.

- কী বোঝাতে চাইছিস এক্সাক্টলি? ঠিক করে বল।

- কিছুই বোঝাতে চাইছি না। আমি নিজেই কি কিছু বুঝি? ভাবছি শুধু। ভেবেই যাই।


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

28 Dec, 11:13


এই একটা প্রগ্রাম করে এই সংগঠনটা দেশের বিজ্ঞান অঙ্গনে এক ইতিহাস রচনা করবে । লিখে রাখেন ! বিজ্ঞান চর্চায় এই প্রজন্মকে এতটা আগ্রহী করবে যে, অন্যন্য সংগঠন এবং সুশীল সমাজ ইর্শান্বিত হবে । আসলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল পর্যন্ত প্রতিটি যায়গায় ছাত্র সংগঠন গুলোর আসল লক্ষ্যই হওয়া উচিৎ এগুলো। কলঙ্কিত  রাজনীতি করা ছাত্রদের কাজ নয়। রাজনৈতিক সমালোচনা করবে নির্দিষ্ট প্রজন্ম ঠিক আছে তবে জ্ঞান বিজ্ঞানে একটা গোষ্ঠী অবশ্যই সরব থাকতে হবে । নয়ত দেশের উন্নতি অসম্ভব ।

সপ্তক-Saptak 🌿

19 Dec, 18:25


শ্বাসরুদ্ধকর আলোচনা 🙂 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সপ্তক-Saptak 🌿

19 Dec, 13:32


এমন যদি হতো, আমার দেশের শাসক হতো, ওমরেরই মতো !

সপ্তক-Saptak 🌿

17 Dec, 17:37


I want to be,
The books she holds closest to her heart,
The breaths she takes in the quiet night,
The warmth that melts away her doubt,
The sun she lets kiss her skin,
The lyrics that linger in her mind,
The confidant in her silence,
The umbrella in the rain,
The comfort in the storm,
The whisper that calms her fear,
The promise that stays when even I'm not near.

I want to be the boy
Who is her home....

সপ্তক-Saptak 🌿

15 Dec, 18:25


২৪ হাতছানি দিয়ে জানিয়ে দিল, আমরা দেশকে কতটা ভালোবাসি ❤️

#victoryday2024 #i_love_mother_land@Saptak2020

সপ্তক-Saptak 🌿

14 Dec, 04:46


"বুদ্ধিজীবী" ডা. আলিম চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে নিজামী জড়িত। এই দাবীটা করেন আলিম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।

নিজামীর নামে যখন হাসিনার কোর্টে মামলা চলছিল তখন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী স্বাক্ষ্য দিতে আসে নিজামীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিতে।

শ্যামলী দাবী করেন আল বদরের লোকজন পরিচয় ঢাকতে মুখে কাপড় পরে তাদের বাসায় এসেছিল। কিন্তু শ্যামলী জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই তারা নিজেদের দলের নাম এবং দলের কমান্ডারের নাম বলে দেয়!

শ্যামলী নাকি এই ঘটনা ৪০ বছর নানান মানুষকে বলেছেন কিন্তু কেউ নাকি নিজামীর ভয়ে এটা পাবলিকলি বলে নাই।

শ্যামলী এই ঘটনা নিয়ে বইও লিখেছেন। কিন্তু সেই বইয়েও প্রথমে নিজামীর নাম নেন নাই। দোষ দিয়েছেন ডা. আলিমের বন্ধু মাওলানা মান্নানকে।

যখন শ্যামলীকে জিজ্ঞেস করা হয় যে কেন নিজামীর নাম সে বইয়ে প্রথমে উল্লেখ করে নাই, তখন শ্যামলী উত্তর দেয় যে লেখার বিষয়বস্তু তার স্বামী ছিল তাই সে নিজামীর প্রসঙ্গ আনে নাই। আরেকবার বলে যে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রকাশক নিজামীর নাম বাদ দিয়ে দেয়।

তখন আইনজীবীরা দেখায় এক্সে বইটার দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৯৬ সালে আসে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। শ্যামলী কোন উত্তর দিতে পারেন নাই।

এরপর শ্যামলী দাবী করেন যে তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নাকি নিজামীর ইনভলভমেন্টের ব্যাপারে বলেছেন। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তার কোর্টের জবানবন্দীতে বলে যে যে শ্যামলী তাকে এই ব্যাপারে কিছু জানায় নাই।

এরপর শ্যামলীকে জিজ্ঞস করা হয় যে নিজামী আল বদরের কমান্ডার এটা শ্যামলী কিভাবে জানলো। শ্যামলী জানায় যে দৈনিক সংগ্রামে সে পড়েছে ১৯৭১ সালে।

সরকার কোর্টে ১৯৭১ সালের দৈনিক সংগ্রামের সব কপি জমা দিয়েছিল। কিন্তু ঘেঁটে দেখা যায় যে কোথাও আল বদর কমান্ডার হিসাবে নিজামীর উল্লেখ নাই।

কিন্তু এই স্বাক্ষ্যের ওপর বেসিস করেই হাসিনার কোর্ট রায় দেয় যে নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যার মাস্টারমাইন্ড। এই স্বাক্ষ্যের ওপর বেসিসেই নিজামীর ফাঁসি হয়।

কোর্ট শ্যামলীর কথাকে বিশ্বাস করেছে কেন জানেন? কারণ শ্যামলী একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তাই তিনি মিথ্যা বলছেন এটা বিশ্বাসযোগ্য না! উনি যেহেতু বলেছেন যে সংগ্রামে আল বদত কমান্ডার হিসাবে নিজামীর নাম এসেছে তাই এসেছে। কোন পেপার কাটিং পর্যন্ত জমা দেওয়ার দরকার নাই। শ্যামলী নাসরিন বললেই হবে-

"The P.W. 13 [Shamoly Nasrin Chowdhury] is a most respectable person of the society. We find no reason to disbelieve her. We accept her evidence that during the Liberation War in 1971 news were published in different newspapers mentioning the accused appellant Motiur Rahman Nizami as leader/commander of Al-Badr Bahini."

শ্যামলী নাসরিন গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সমর্থন করেছেন। তার মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী গণতন্ত্রহীনতার জাস্টিফিকেশন দিয়েছেন।

অথচ স্বাধীন দেশে আমরা নিজামী হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারছি না। একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টপ রেজাল্ট করা পলিটিশিয়ানকে মেরে ফেলল শ্যামলী-নুজহাতরা এটা কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড না?

যারা আজও নিজামী হত্যাকাণ্ডের পক্ষে আছেন, তারা যেন জেনে রাখেন যে কালকে তাদের শত্রুরাও এরকম মিথ্যাচারের মাধ্যমে তাদের হত্যা করতে পারে।

আমাদের লড়াইটা শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে না। খুনী মিথ্যুক শ্যামলী-নুজহাতদের বিরুদ্ধেও। হাসিনা পালালেও শ্যামলী-নুজহাতরা পালায় নাই। আমাদের লড়াইও তাই জারি আছে।

আজ ১৪ই ডিসেম্বর শ্যামলী-নুজহাতদের শাস্তি না চাইলে আমরা কোনদিন বাংলাদেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। আলীম চৌধুরীর যেমন বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। নিজামীরও আছে। আলীম চৌধুরী ডাক্তার জন্য সে বুদ্ধিজীবী আর নিজামী ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র ছিল জন্য সে বুদ্ধিজীবী না তাই তাকে অপবাদ দিয়ে মেরে ফেলা জায়েজ এমন মনোভাব নিয়ে তো জাতি হিসাবে আমরা আগাতে পারব না।

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Dec, 17:15


আজ সেই ১২ ডিসেম্বর

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Dec, 09:41


A man with leprosy came and knelt before him and said, " Lord! If you are willing, you can make me clean. " Jesus reached out his hand and touched the man. "I am willing, " he said. "Be clean!" Immediately he was cleansed of his leprosy. ( Matthew 8: 2-3)

" I will heal the blind and the leper and raise the dead to life by Allah’s Will. " ( Imran 3 : 49)

সপ্তক-Saptak 🌿

10 Dec, 04:49


সবুজ বিজয়ের স্বপ্ন

বিলাল হোসাইন নূরী


গুলমোহরের লাল রঙে জ্বলে শহীনী উপাখ্যান
আত্মার পাখি কার নাম ধরে গায় বিজয়ের গান?
কোন সুদূরের অন্ত-লালিমা উদয়ের কথা বলে
কিসের গন্ধে মোহিত যুবক মৃত্যুর পথে চলে?

মৃত্যু। মৃত্যু। ঝাঁজালো মৃত্যু। দ্রোহের উপন্যাস
কালের গর্ভে লিখে রাখে বহু-বর্ণিল ইতিহাস।

এই তো এখানে শরীয়ত-দুদু মুক্তির দাঁড় টানে
নিসার আলীর বাঁশের কেল্লা ধ্বংস-প্রলয় আনে
গত হলো কত পূর্বপুরুষ, আসমানছোঁয়া নাম তেরশ নদীর কল-কল্লোলে সংগ্রাম। সংগ্রাম।
শতাব্দী যায়, শতাব্দী আসে আমরা করিনি ভয়
রক্ত-কাফন ভেদ করে জাগে প্রাণের অভ্যুদয়।

তবুও এখানে বারবার জাগে নব্য মীরজাফর
এ যেন শোকের আম্রকানন, পলাশীর প্রান্তর।

একনায়কের স্বৈরবিলাস আকাল এনেছে ডেকে
মানচিত্রের রেখায় রেখায় হতাশার জাল এঁকে।
তারপরও এক বিজয় এসেছে স্বস্তির নিঃশ্বাসে
নফল রোজার উৎসব নামে জনতার বিশ্বাসে।

নগ্ন-প্রতাপে ফ্যাসিবাদ ফেরে বয়ানের বিভ্রমে
এ মাটির যত সারনির্যাস শুষে নেয় ক্রমে ক্রমে
সত্য এবং মিথ্যার ভেদ নিঃশেষ হতে হতে
দেশ ও জাতির ভাগ্য গড়ায় অন্ধকারের স্রোতে।
তারুণ্য জাগে দীপ্ত আভায়, তুমুল তূর্য-বানে
দু'হাত ছড়িয়ে বুক পেতে দেয় দুরন্ত অভিযানে
নতুন বিজয়, নতুন সূর্য এনেছে আলোর দিন
কলিজার তাজা রং থেকে ফোটে স্বপ্ন অন্তহীন।

এবার একটি বিজয় আসুক- সবুজ
খুব সবুজ ততটা সবুজ- যেমন সোনার মদীনার গম্বুজ।

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Dec, 09:52


The Almighty Says to Moses, " With this STAFF, you shall do my wonders. "

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Dec, 09:48


Praise to the Lord of Moses who split the sea to make pathway through it and saved the believers...

সপ্তক-Saptak 🌿

28 Nov, 17:59


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব
[ https://t.me/MaxRab1/270 ]


[ দ্বাদশ পর্ব ]



যাওয়ার আগে সবাই সব বন্দোবস্ত করতে শুরু করলো। আয়ান এই প্রথম কোথাও ট্যুরে যাচ্ছে। এর আগে কখনও সেভাবে কোথাও যাওয়া হয়নি তার। সেজন্য নিতুলের ওপর সে যেমন খুশি, তেমনি বিরক্তও। রুমি ছেলেটার সাথে এর আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছে আয়ানের। তবে ছেলেটাকে দেখতে পারে না সে। অতি চটপটে স্বভাব আর মেয়েদের সাথে প্রচুর খাতির তার। যেখানে নাজিয়া আর প্রীতির মতো সুন্দরী মেয়েরা যাচ্ছে, সেখানে রুমির চলন বলন দেখে ওদের তার প্রতি ইমপ্রেস হয়ে যাওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। মেয়েরা এরকম ছেলেদেরই পছন্দ করে বেশি।

- ভাই, রুমির সাথে তোর অত অন্তরঙ্গতা কবে থেকে?

- কেন? কী হয়েছে?

- ছেলেটা খুবই বিরক্তিকর।

- কী করলো?

- বেশি কথা বলে।

- বেশি কথা বলতে পারা লোকজন একটু না থাকলে ভাই মজা পাওয়া যায় না। আসর জমানো লোক দরকার।

-  রুমি একটু বাড়াবাড়ি।

- তো আর কাকে আনতাম? তুই তো শালা সাইলেন্ট মোড একটিভেট করে বসে থাকিস চিরকাল। সবাই অমন চুপ করে বসে থাকলে   ভাই আমরা তোদের ছাদে গিয়েই না হয় একসাথে বসে নীরবতা পালন করবো'খন।

- কিন্তু....

- লোকজন দেখবে একসাথে পাঁচ সাতটে ছেলেমেয়ে বসে বসে শোকসভা পালন করছে। কারো দাফন বা দাহ করতে যাব আমরা?

- তুইও ভাই কম যাস না।

- আমি আবার কী করলাম?

- কবে প্রীতি, প্রীতির ভাই এমনকি প্রীতির ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডসুব্ধ খাতির করে ফেললি জানালিও না।

- যখন জানানোর দরকার তখনই তো জানালাম।

- হ্যাঁ, ভাই। কখন বিয়ে করে ফেলবি সেটাও জানাবি না। একেবারে বিয়ে শাদি করে বাচ্চা কাচ্চা স্কুলে যাওয়া শুরু করলে তখন জানাবি। তারপর জিজ্ঞেস করলে বলবি, স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জানানোর দরকার ছিল না।

- থাম, ভাই। থাম। রুমিকে তুই হিংসে করিস বুঝেছি।

- হিংসে করি? আমি কেন হিংসে করতে যাব। আমার শুধু ওর...  মানে ওকে ভালোই লাগে না ভাই। ওর আচরণ এমন কেন?

- দাঁড়া, দাঁড়া। ওকে বলা হয়ে গেছে অলরেডি। এখন আর ওকে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে না ভাই। তুই আমার সাথে সাথেই থাকিস বা আসিফের সাথে সাথে। তাহলে ওকে খুব একটা সহ্য করতে হবে না।

- আহা! খুব ভাবিস আমার জন্য। চললাম।

- যাওয়ার দিন লেট করিস না কিন্তু।


[ চলবে...... ]

©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

28 Nov, 06:19


Shared by : @OLOS_U_038

সপ্তক-Saptak 🌿

22 Nov, 08:14


দিন তো এভাবেই যাবে
কিছু দীর্ঘশ্বাসে,
আর কিছু গিলে নেওয়া কান্নায়

তুমিও তো ওভাবেই থাকবে
কিছু মলিন হাসিতে
আর কিছু নীরবতায়

🗒️১৯-১১-২৪

সপ্তক-Saptak 🌿

21 Nov, 17:50


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব
[ https://t.me/MaxRab1/256 ]


[ একাদশ পর্ব ]


সর্বসাকুল্যে ওরা আটজন যাবে ঠিক হলো। আয়ান, নাজিয়া, আসিফ, প্রীতি, প্রীতির বড় ভাই মাহিন, মাহিনের গার্লফ্রেন্ড জেরিন, নিতুল আর নিতুলের আরেক ফ্রেন্ড রুমি। প্রীতি আর প্রীতির ভাই সহ ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডকে নিতুল কীভাবে রাজি করালো সে কথা জিজ্ঞেস করেছিল আয়ান। সে অবশ্য আরেক ঘটনা। প্রীতির সাথে আরেকদিন এক জায়গায় দেখা হয়ে যায় নিতুলের। সেখানে প্রীতি, প্রীতির ভাই মাহিন আর মাহিনের গার্লফ্রেন্ড জেরিন ছিল। নিতুল দূর থেকেই প্রীতিকে চিনতে পেরে কাছে গিয়ে আলাপ জমায়। সেই আলাপ থেকেই বেশ খাতির হয়ে যায় নিতুলের সাথে ওদের। মাহিন ছেলেটাও দারুণ। ভীষণ অমায়িক। গান টানও গায়। গিটার নিয়ে ঘোরে। ও নিতুলদের থেকে বছর কয়েকের বড়। ওর গার্লফ্রেন্ড জেরিন মেয়েটিও দেখতে ভালোই। কিছুটা শ্যামবর্ণের। চুপচাপ থাকে সবসময়। বয়েস মাহিনেরই কাছাকাছি। প্রীতি নিতুলদের চেয়ে বছর দুয়েকের ছোট। তবু নিতুল প্রীতিকে ভাই টাই ডাকতে বারণ করে দিয়েছে। আর রুমি, যে ছেলেটা নিতুলের ফ্রেন্ড, সে দারুণ চটপটে ছেলে। বলা যায়, নিতুলের চেয়েও এক কাঠি বাড়া। মুখে কথার ফুলঝুরি ছোটে। আয়ান আর নিতুলের হাইট মোটামুটি একইরকম হলেও, রুমি তাদের চেয়ে দু-তিন ইঞ্চি খাটো। তবুও রুমি যথেষ্টই লম্বা। কারণ আয়ানদের উচ্চতা পাঁচ ফিট এগারোর মতো। অলমোস্ট ছ ফিট বলা যায়। আসিফ আর মাহিনের হাইট মোটামুটি একই; সাড়ে পাঁচ ফিটের মতো।

ঠিক হলো পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার পরেরদিনই ওরা রওনা দেবে। তবে যাওয়ার আগে সকলে দেখা করে আইস ব্রেকিং এর পালাটা সেরে নেওয়াটাও দরকার, যেহেতু একসাথে কয়েকদিন কাটাতে হবে। তাই একদিন একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করতে গেলো ওরা সবাই মিলে। পরিচয় হওয়ার পর সকলে আলোচনা করতে লাগল কীসে করে যাওয়া যায়।

রুমিঃ বেটার হবে ট্রেনে করে গেলে। আরে, যেহেতু ট্যুরই দিচ্ছি, তাহলে ট্রেনে যাওয়ার ফীলটা নেবো না কেন? কী বলেন নাজিয়া আপু?

নাজিয়াঃ আমার আপত্তি নেই।

নিতুলঃ তাহলে ট্রেনের টিকিট কেটে নেবো সবার? কারো অবজেকশন আছে?

কেউই আপত্তি জানালো না।

রুমিঃ আচ্ছা, নিতুল। শোন। তুই না বললি সিলেটের কার সাথে তোর আলাপ হয়েছে, যে নাকি আমাদের গাইড হতে পারে। কে সে?

নিতুলঃ ম্যাক্স র‍্যাব। এখানেই থাকে। বাড়ি সিলেট। যদি ও ফ্রী থাকে, তাহলে আমাদের সাথে দেখা হয়ে যেতেও পারে। সেও সিলেট যাবে ছুটিতে। আর দেখা নাও যদি হয়, তবুও গাইডের ব্যবস্থা করে দেবে। অসুবিধে হবে না।

রুমিঃ বাহ! তাহলে তো হয়েই গেলো।

মাহিনঃ গাইড না পাওয়া গেলেও অসুবিধা কী? আমরা যাচ্ছি ঘুরতে। নিজে থেকে অচেনা জায়গা ঘোরার মজাই আলাদা। নতুন কিছু এক্সপ্লোর করার অনুভূতির জন্যই ট্রাভেল করার এতো নেশা আমার। সিলেটই আগে কখনো যাইনি। এমনিতে অন্য অনেক জায়গায় যাওয়া হয়েছে।

রুমিঃ বলেন কী, ভাই! সিলেট যাননি? আমি তিনবার গেছি এর আগে।

মাহিনঃ বেশ তো। কভি না যানে সে, দের সে যানা হি সহী।

রুমিঃ তা ঠিক।

নিতুলঃ ঠিক আছে। সব মিটে গেলো তাহলে। আমরা সবাই তাহলে ট্রেনে করেই যাচ্ছি। আর, হ্যাঁ। কারো কোনো ব্যাপার নিয়ে অসুবিধে থাকলে আগেই জানিও কিন্তু। না হয় পরে মুশকিল হতে পারে। আমায় সবার নম্বর দিয়ে দাও। আমি একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে নিচ্ছি।

রুমিঃ হুম। সে-ই ভালো।

[ চলবে....... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

21 Nov, 04:09


লেখায়ঃ অনিমেষ বৈশ্য

সপ্তক-Saptak 🌿

20 Nov, 19:12


অসুস্থতা আসলে সুস্থতার চেয়েও বড় আশীর্বাদ। ম্যানিফেস্টেশন অফ গড- মায়ের যত্ন নেয়া, কিছু কিছু মানুষের খবর নেয়া- দেখতে পাই। "আপ্ হি  আগার্ না লেঙ্‌গে হামারি খাবার্, হাম মুসিবাত্ কে মারে কিধার্ যায়েঙ্গে..." 

নিজের সাথে কানেক্টেড হওয়ার যে সুযোগ এই সুযোগ সহজে পাওয়া যায়না। বালিশে মাথা রেখে সিলিং এর ফ্যানের দিকে তাকিয়ে "ঘুরন্ত ঘুর্নির ঐ লেগেছে পাক , এই দুনিয়া ঘুরে ভন ভন ভন কত রঙ বদলায় , রঙ বদলায়..." মাথায় আসে। ফির "আরে ছাড়ো ছাড়ো। এই দুনিয়া চুলোয় যাক।" হাচ্ছুউউ। "ইচ্ছে করে এভাবে কয়দিন আরো থাকি। কেউ ডাকলে যাবো না। ফোন দিলে ধরবো না। আমি এখন বনবাস এ।" হাচ্ছুউউ। এই রে। হাচি ব্যকফায়ার করেছে। টিস্যুর স্নান হচ্ছিলো না জলের অভাবে। দিলেম নাক  ঝারা(সুউউউউউ)। টিস্যু ফিক দিলাম। যা সালা। এ তো নিচে না পড়ে ভাসছে। ও না। টিস্যুর ঢিপের উপর সিংহাসনে বসে আছে সে। চুলোয় যাক।  টিস্যুর ঢিপ দেখে আবার অনেকে অনেক কিছু ভাববে । যাকগে। হাচি দিতে দিতে চোখের পাতায় পানিও জমে গেছে। পানি গাল বেয়ে পড়তে দেখে ইচ্ছে করে দুঃখ বিলাস করি। নিজেকে ভিখারির আসনে  বসিয়ে যেন খোদার কাছে চাই।

সপ্তক-Saptak 🌿

19 Nov, 05:40


হায়রে আমার বিবেক

👉আমি কলেজে ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট চাই।
👉আমি নার্সিং-এ ভর্তি হয়ে ডাক্তারের সমমর্যাদা চাই। 👉আমি পরীক্ষা না দিয়ে জিপিএ ৫ চাই।
👉আমি পরীক্ষায় ফেল করে আবার পাশের জন্য আন্দোলন করি ,কারন আমার লজ্জা নাই।
👉আমি দৈনিক ভিত্তিতে চাকুরিতে যোগদান করে চাকুরীর স্থায়ীকরণ চাই।
👉আমি আমার বেতন কত হবে সেটা জেনে চাকুরীতে যোগদান করে এখন বেতন বৃদ্ধি চাই।
👋কিন্তু আমি আমার যোগ্যতায় কোন পরিবর্তন আনতে চাই না। কারন আমার লজ্জা নাই আমি যেকোনো কাজ করতে পারি আমার বিবেক বলতে কিছুই নাই। আমি হুদাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারি ।

সপ্তক-Saptak 🌿

18 Nov, 17:46


এমনি ৫


আজ অনেকদিন পর টিভিতে একটা পুরো সিনেমা দেখলাম। টিভিতে সাধারণত কোন সিনেমা দেখা হয় না। দেখবই বা কীভাবে? আড়াই ঘন্টার একখানা সিনেমাকে এড দিয়ে সময় নষ্ট করে পাঁচ ঘন্টা - সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অব্দি টেনে নিয়ে যায়। আজকে দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়ার পর একটা বই নিয়ে বসেছি।  দু এক পাতা পড়াও হয়ে গেছে। বাইরের আবহাওয়া ভাল নয়। এরকম ওয়েদারে হয় সিনেমা দেখা উচিত না হয় রূপকথার বা ভূতের গল্প পড়া উচিত। বই-ই নিয়ে বসেছি। কিন্তু মন লাগছিল না। এ রুম থেকে সে রুমে যাচ্ছি। কে কী করছে দেখছি। আবার নিজের রুমে আসছি। শুচ্ছি, উঠে পড়ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। মা'র রুমে গিয়ে দেখি মা টিভি দেখছে। মা'কে একটু জ্বালানো যাক ভেবে মা'র কাছে গিয়ে বসলাম। টিভিতে একটা সিনেমা শুরু হয়েছে মাত্র। যেটার কথা শুরুতে বলছিলাম। বনি সেনগুপ্ত'র সিনেমা। জি বাংলায় হচ্ছিল। কিছু সময় দেখে খেয়াল করলাম ভালই লাগছে। মুভির ঘটনা আহামরি কিছু নয়। খুবই সিম্পল প্লট। কিন্তু দেখতে ভাল লাগছিল। সিনেমার গল্পটা মোটামুটি এরকম - একটা ছেলে আর একটা মেয়ে একই অফিসে কাজ করে। ছেলেটা মেয়েটাকে প্রথম দেখাতেই ভালবেসে ফেলে। কিন্তু ছেলেটা খুবই লাজুক আর কম কথা বলা স্বভাবের। সে মেয়েটাকে বলতে পারেনা কিছু। প্রতিদিনের ঘটনা সে তার বাবাকে শেয়ার করে। তার বাবা তার বন্ধুর মতই। তো নায়ক নায়িকা দুজনের মধ্যে কীভাবে ভালবাসা গ্রো করে, ভালবাসা গ্রো করতে গিয়ে কীভাবে ঝামেলা তৈরি হয়ে যায় তারপর কীভাবে তা থেকে উত্তরণ হয় সেটা নিয়েই পুরো গল্পটা। ছেলেটার সাথে আমি নিজেকে রিলেট করতে পারলাম। এ যেন আর্চির গল্প নয়, আমারই গল্প। আমার জীবনে এরকম ঘটনা ঘটেনি বটে, কিন্তু ঘটলে অমনই হবে। সিনেমাটা দেখতে দেখতে মা'কে জিজ্ঞেস করলাম, " আচ্ছা, আম্মু। হোয়াট ইফ আমিও একটা মেয়েকে পছন্দ করলাম আর তোমার কাছে এসে তার কথা জানালাম। তুমি কি নায়কের বাপের মত আমাকে কোপারেট করবে? "

মা এমন উত্তর দিল যে কী বলব। বললো,
" তুই মেয়েদের সাথে গিয়ে কথা বলতে পারিস? অত সাহস তোর থাকলে তো। "
" আরে আমি বললাম যদি হয়। হলে তখন কী করবে? "
" তোর দ্বারা তো ঠিকঠাক কোন কাজ হয়না কখনো। ঐ বরাবরের মত তোর বাপকে আর আমাকেই কিছু করতে হবে আরকি। "

একে তো জীবনে ভালমন্দ কিছু হচ্ছে না, তারপরে মা'র এইসব মন খারাপ করিয়ে দেওয়া কথা। মা আমাকে এখনো বাচ্চা মনে করে কেন? মনে মনে বললাম, তুমহারা বেটা কুছ করকে দিখায়েগা মা। কিন্তু কী যে করব তার আইডিয়া নেই। সিনেমা দেখা শেষ হলে বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম। আজ সারাদিনে একটুও রোদের দেখা নেই, উল্টে বৃষ্টিই হয়েছে সারাদিন। চারপাশের পরিবেশ ভিজে একসা। রাস্তাঘাট পানি আর কাদায় পরিপূর্ণ। ছাদে উঠলাম। ছাদে গিয়ে দু দিকে দু হাত বাড়িয়ে আড়মোড়া ভেঙে হাই তুললাম। আকাশে মেঘ করে আছে। কালো মেঘ। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বোঝা যাচ্ছে মেঘগুলো সরে যাচ্ছে একদিক থেকে অন্যদিক। অন্ধকার হয়ে আসছে চারদিকে। মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকলে মনের অজান্তেই কারো না কারো অবয়ব ফুটে ওঠে বলে মনে হয়। একটু আগে যে সিনেমায় দেখলাম সেই নীহারিকার ছবি ভেসে উঠল কি? নাকি অন্য কেউ? তার নামের আদ্যাক্ষর কি -? শশশ! বলা যাবে না। আর্চির গ্যালারিতে গল্পের তো হ্যাপি এন্ডিং হয়ে গেল। আমার জীবনের গ্যালারিতে কি হ্যাপি এন্ডিংওয়ালা রীল স্থান পাবে? কে জানে।

 
©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

14 Nov, 17:36


ভালোবেসেছি তাই



আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/241 ]


[ দশম পর্ব ]


আয়ান নাজিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বললো, "দাঁড়াও, দাঁড়াও। নিতুল এল কোথা থেকে? নিতুলকে পেলে কোথায় তোমরা?" আসিফ বললো, "আরে, ভাই! নিতুলই তো আমাদের মাথায় আইডিয়াটা দিল।" আয়ানের কৌতূহলের মাত্রা চরমে। জিজ্ঞেস করলো, "নিতুলকে চিনিস কীভাবে তুই?" আসিফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখটা প্যাঁচার মত করে দু হাত বুকের কাছে বেঁধে বললো, "কোথায় থাকিস ভাই? নিতুলের সাথে থেকেও একটু সোশ্যালাইজ করা শিখলি না। নিতুলকে এই পাড়ায় চেনে না এমন কেউ আছে?" নাজিয়া বললো, "তো এখন আমরা তো চাইছি ঘুরে আসব কোথা থেকে। যাবি তুই আমাদের সাথে?" আয়ান ঠিক করে নিল যাবে তাদের সাথে। প্রতিদিন একইরকম ভাবে দিন যাপন করে জীবনটা কেমন একঘেয়ে হয়ে গেছে। একটু বদল দরকার। সে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিল, "ওকে, ডান। আই এম ইন। আর কে কে যাচ্ছে?"
নাজিয়া বললো, "নিতুলকে জিজ্ঞেস কর।"
"আচ্ছা, যাব কোথায় সেটা ঠিক করেছ?"
"হ্যাঁ। সিলেট।"

নিচে নেমেই ঘরে গিয়ে নিতুলকে ফোন লাগায় আয়ান।

"হ্যালো, নিতুল?"

"হ্যাঁ। বল।"

"তুই শালা আমাকে না জানিয়ে আসিফ আর নাজিয়াপুর সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে নিলি আর আমায় জানালি না কিছু?"

"দাঁড়া, দাঁড়া। প্ল্যান তো করিনি।"

"তাহলে?"

"আমি নাজিয়া আপুর সাথে একটু আলোচনা করছিলাম একটু ঘুরতে যাওয়া যায় নাকি সেটা নিয়ে। তো আপুই বললো সিলেট যাওয়া যায়।"

"নাজিয়া আপুকে পেলি কোথায় তুই? আর তুই যে তাদের ভাইবোনকে চিনিস, বলিস তো কখনো?"

"আরে, বলার কী আছে? আসিফ আর আমি আগে একসাথে ফুটবল খেলতাম মিন্টু রোডের ঐদিকে মাঠটায়। সেই সূত্রে আলাপ।"

"আর নাজিয়া আপু?"

"সব কথা তোকে বলব কেন রে?"

"কেন ভাই? কী হবে বললে?"

"আরে, ভাই! নাজিয়া আপু আর আসিফকে বরাবরই চিনি আমি। স্কুলে থাকতে থেকেই নাজিয়া আপুকে চিনি। অনেকবার উপজেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা করতে গিয়েও দেখা হয়েছে। আমরা তো ফেসবুকেও এড আছি। মিউচুয়ালে দেখিস।"

"আচ্ছা, বেশ। আমাদের সাথে আর কে কে যাচ্ছে?"

"আপাতত আমরা চারজন যে যাব এটা ঠিক হয়েছে। আমম....দেখা যাক। কয়েকজন মাথায় আছে ; ওদের বলে দেখব। রাজি হলে সাথে নিয়ে নেব আর নাহলে আমরা আমরাই। তোর বাড়িতে আপত্তি করবে না তো?"

" না, না। আপত্তি কীসের?"

"দেখিস ভাই।"

"হ্যাঁ।"

ঘুরতে যাওয়ার কথায় আয়ান যতটা না খুশি হয়, তার চেয়ে বেশি খুশি হয় নাজিয়া আপুও তাদের সাথে যাবে ভেবে। সেদিন যে নাজিয়া আপু আর প্রীতিকে একইসাথে স্বপ্নে দেখল, সেই কথা মনে আসে তার। দুজনেই সুন্দরী। দুজন দুরকম। দুজনেরই হাসি সুন্দর। চেহারা সুন্দর। নাজিয়া আপুর চুল প্রীতির চেয়েও বেশি সুন্দর। আবার প্রীতির চোখ নাজিয়া আপুর চেয়ে বেশি সুন্দর। নাজিয়া আপুর গলার স্বর একটু ভারি ভারি। প্রীতির গলার স্বর মোলায়েম। নাজিয়া আপু উচ্চতায় একটু লম্বা আর প্রীতি একটু খাটো। আয়ান কি দুজনেরই প্রেমে পড়ে বসে আছে? একইসাথে কি দুজনকে ভালোবাসা যায়? ভালোবাসা আর প্রেম কি এক? প্রেমে পড়লে ভালোবাসা হয় নাকি ভালোবাসলে প্রেমে পড়া হয়? এ ধরনের অনুভূতিকে শব্দবন্দি করা যায়? কতরকমের প্রশ্ন আয়ানের মনে দানা বাঁধে।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Nov, 16:29


ভাবতেই অবাক লাগে, একদিন আমাদের বাড়ির লোক সবাই মরে যাবে। আত্মীয় স্বজন মরে যাবে। বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী সহ পরিচিত সবাই মরে যাবে। আমরা নিজেও মরে যাব। মরে কোথায় যাব সেটা জানি না। তবে মরে যে যাব, এটা জানি। আমাদের বাড়ি ঘরে তখন অন্য কেউ থাকবে। অন্য লোকজন। নাও থাকতে পারে। খালিই পড়ে থাকতে পারে। তবে আমাদের চির পরিচিত পাড়া, গ্রাম, শহর জুড়ে আমাদের বদলে অন্য লোকজনের বিচরণ থাকবে। আমাদের মনে করার মতো কেউ থাকবে না। আমরা তেমন তেমন বিশেষ কেউ না হলে কেউ মনে করবে না সেটাই স্বাভাবিক। আমরা কি তেমন বিশেষ কেউ হতে পারব? আমরা সেটা জানি না। ভবিষ্যৎ কে জানতে পারে, বলো তো? কেউই না। তবে লোকে আমাদের মনে রাখেও যদি, মরার পর তা কি আমাদের জন্য বিশেষ কোনো লাভ বয়ে আনবে? মৃত্যুর আগেই তো যতো লাভ লোকসানের হিসেব নিকেশ। মৃত্যুর পর তার গণনা হয় কি? শরীরী চাহিদা কি মৃত্যুর পরের অশরীরী অস্তিত্বকে কোনো প্রকার বিচলিত করতে পারে, যদি সত্যিকার অর্থেই মৃত্যুর পর মানুষ কোনো অশরীরী অবস্থা প্রাপ্ত হয় তাহলে?
কেমন হতো, যদি আমরা আমাদের মৃত্যুর সময়টা জানতে পারতাম? আমার তো মনে হয়, আমরা মৃত্যুকে ভুলে থাকতে পেরে খুবই কাজের কাজ করছি। প্রতিদিন নতুন নতুন স্বপ্ন বুনছি। এটা করব, সেটা করব। কালকে ওখানে বেড়াতে যাব, পরশু তাকে ফোন করব, তরশু অন্যজনকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলব। এমন চলতেই থাকে। অথচ আগামী এক ঘন্টার মধ্যে বাথরুমে পিছলে গিয়ে মাথাটা পাষাণ মেঝেতে ঠুকে গিয়ে মরে যাব কিনা তার নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে পা ফেলতে একটু ব্যতিক্রম হতেই একদম গিয়ে নিচে পড়ে ইহলীলার সাঙ্গ করব কিনা জানি না। দুপুরবেলা কলিং বেল শুনে দরজা খুলতেই কেউ গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে বাড়ির জিনিস লুটপাট করতে আসবে কিনা তাও জানি না। এই এতসব না জানার মধ্যেও কত ভাবনা চিন্তা আমাদের জীবন নিয়ে। কত পরিকল্পনা।

আচ্ছা, দেয়ালে মাথা ঠুকতে ইচ্ছে হয় না মাঝেমাঝে? মনে হয় না, জীবন এমন কেন? আমার সাথেই কেন এমন হল? আমিই কেন? এর উত্তর আমরা জানিও। হ্যাঁ। জানি তো। জানব না কেন বলতে পার? আচ্ছা, বলে দিচ্ছি। আমি না, তাহলে কে? সে কেন? তাহলে আমিই বা কেন না? কী কারণ? বুঝতে পারি কি আমরা? না বুঝলেও জীবন থেমে থাকে না। কিছু না কিছু করেও জীবন কেটে যায়। তবে মৃত্যুই যে সত্য তার ব্যাপারে তো সন্দেহ নেই। মৃত্যুর পর আর ফিরে আসা নেই। আপনজন চলে গেলে তাকে আর দেখতে পাওয়ার পথ নেই। মৃত্যুর পর কেউ এসে বলে যেতেও পারবে না সে কী অবস্থায় আছে। এই পৃথিবীতে আদতে জীবিত মানুষের চেয়ে মৃত মানুষই বেশি। মৃত্যুর ছায়া চারিদিকে ঘূর্ণায়মান। কাউকে না কাউকে পাকড়াও করেই চলেছে প্রতিনিয়ত। বড় বড় শিল্পপতি, চিত্রকর, অভিনেতা, সাহিত্যিক, গায়ক, বিজ্ঞানী, ধর্মগুরু কাউকেই মৃত্যু ছাড় দেয় না। পৃথিবীতে তাঁদের এত অবদান মৃত্যুর কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না। তাহলে এত কিছুর অর্থ কী? আমরা কীসের পেছনে ছুটে চলেছি? কেন করছি? আখেরে যে জীবনকে আমরা আশীর্বাদ হিসেবে ধরে নিচ্ছি, সেই জীবনই আমাদের কখন শেষ হয়ে যাবে তা তো আমরা বলতে পারি না। পরিকল্পনা করে রাখা অনেক কিছুকে মাঝপথে ফেলে রেখে, স্বজনদের ঠিকঠাক বিদায় অবধি না জানিয়ে আমাদের আচমকাই হয়তো চলে যেতে হবে। এমন আশীর্বাদের কী আবশ্যকতা ছিল?
এরূপ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে পার্থিব জীবনে কী কার্যোদ্ধার হচ্ছে?

আমরা হামেশা নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক মতাদর্শ, পছন্দের ধর্মীয় মতবাদ অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি সেটাই সত্য। সেই মতবাদে বিশ্বাস করলেই প্রকৃত মুক্তি। আমরা কিছুই নিশ্চিতরূপে জানি না। আমরা যা বিশ্বাস করি, তা অন্যেও বিশ্বাস করুক এমনটা চেয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাই; যাতে নিজের আত্মাভিমানী মন প্রফুল্ল হয়। অথচ ঐ মতবাদে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে কী ফল পাচ্ছি, তা ভেবে দেখার অবসর পাই না। নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে, আমাদের আপনজনদের তাতে কী উপকার হচ্ছে তা ভেবে দেখার ফুরসত পাই না। বস্তত, আমরা নিজের আত্মীয় স্বজনের কথা চিন্তা অবধি করি না। বিশাল বিত্তশীল লোকেরা বাহবা কুড়নোর জন্য, সুশীলদের সভা-মজলিসে দান দক্ষিণার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গুরুগম্ভীর বুলি আওড়ান। অথচ তাদেরই গ্রাম্য কুটুম, গেল হপ্তায় মাত্র দেড় হাজার টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে ব্যাংকের মাঠ কর্মীর কাছে যে পরিবারসুদ্ধ অপমানিত হয়েছেন, সে খবরটুকু রাখেন না। এ তো কোনো বানানো কথা নয় যে, আমি বলে দিলাম আর আপনারা তা আমি বলছি বলে বিশ্বাস করবেন। এমন ঘটনা আকছার হচ্ছে। খবরের কাগজের পাতা ওল্টালে হয়তো পাওয়া যাবে না। খুন জখমের খবর না হলে এসব খবর লোকে ছাপবে কেন? কিন্তু মানুষ হয়ে মানুষের জন্য বাঁচলে, অন্য মানুষের খবর ঠিকই কর্ণগোচর হয়।

[ বাকিটুকু নিচে ]

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Nov, 16:29


আমার কথায় হয়তো বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছেন। একবার বলছি, পৃথিবীতে যা-ই করি না কেন তার কোনো মূল্য নেই। মৃত্যু এসে হয়তো প্ল্যান করে রাখা কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আমাদের গ্রাস করে ফেলবে। আবার বলছি, বাঁচলে মানুষ হয়ে মানুষের মতো বাঁচতে। তাতে পূর্বোক্ত ব্যাপারটার সমাধা কীভাবে হচ্ছে তার উত্তর পাচ্ছেন না। দেখুন, আমি তো সবাইকে একযোগে আত্মহত্যা করার পরামর্শ দিতে পারি না। দিলেও আপনারা আমার কথা মানবেন কেন? আমরা নিজের ইচ্ছায় পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ না করলেও, নিজের ইচ্ছায় কজনেই বা মৃত্যুবরণ করতে চাই? আমরা মৃত্যুকে ভয় পাই একথা তো সত্য। আমরা কেউ বললেই এখন দশতলার ছাদ থেকে গিয়ে লাফ দিয়ে দেব না নিশ্চয়ই। প্রকৃতপক্ষে, যে পরকালে বিশ্বাস করে না সেও এমন কাজ করবে না কখনো। কেন করবে না এর পেছনে ওরা যা যুক্তিই দেয়, তা বুঝতে পারি কিন্তু তেমন একটা পছন্দ করি না৷ তবে স্বেচ্ছায় না মরলেও, মরতে তো হয়ই একদিন। বেঁচে যদ্দিন থাকা যায়, তদ্দিন সবার মাঝে একটা শুভ প্রভাব রেখে যেতে পারলে মৃত্যুর পরও তা পরবর্তী প্রজন্মকে প্রভাবিত করতে পারবে। পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে কোনো সুখের জায়গা তো নয়৷ লোকজন এই ধ্রুব সত্য সম্পর্কে অবগত থাকার পরেও নতুন প্রাণ পৃথিবীতে এনে তাদের জীবনকে দূর্বিষহ করায় উদ্যত হন। এই প্রক্রিয়াকে থামানোর কোনো উপায় তো নেই। তাই লোকের ভালো করতে পারলেই নিজের সাথে সাথে অন্যেরও মঙ্গল। অন্তত, আমি তো এটাই বিশ্বাস করি।


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Nov, 18:43


Jo abhi hai woh hai yaar...
Whatever the hell I have, I got, these are either by choice or not, these things belong to me and I belong to them. If I cry all day long or if I despise my parents, nothing will change. So,
Live it to the limit and enjoy it. 🌚

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Nov, 06:04


Rizzlord 😌

সপ্তক-Saptak 🌿

07 Nov, 17:56


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব
[https://t.me/MaxRab1/227]


[ নবম পর্ব ]


এই ঘটনার কিছুদিন পর আয়ানদের ইউনিভার্সিটিও খুলে যায়। পড়াশোনা আর ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় সে। প্রীতির কথাও ক্রমশ মন থেকে মুছে যেতে থাকে তার। মাঝে একদিন প্রীতি তার ফেসবুক স্টোরিতে একটা ছবি পোস্ট করেছিল। সেটা দেখে আয়ান শুধু এক দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল। সে ধরেই নিয়েছে, অন্য সব মেয়ের মতো প্রীতিও তার আউট অব লীগ।


কবি বলেছেন,

"না কোই গিলা, না শিকায়াত কা রঙ্গ,
আকেলে পান মে ভী জিন্দেগী কা হ্যায় ঢঙ্গ।
ম্যাঁয় মুকাম্মাল হুঁ, য়ুঁ হি, বে কিসি কে,
আপনি দুনিয়া মে আজাদ, খুশি সে ভারি।"

কোন কবি বলেছেন কে জানে। আয়ান নিজেই লিখেছে বোধ হয়। সবই নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার বাহানা। পরিস্থিতি মোতাবেক গান আর কবিতায় ডুবে থাকা গেলে ব্যাপারটা থেরাপির মতো কাজ করে। বেশি বেশি কাজে-কম্মে থাকলে এসব বিষয় ভুলে থাকা যায়। কাজ-কম্ম বলতে পড়াশোনা আর গল্পের বই পড়া ছাড়া আর কিছুই করে না আয়ান। বাসা থেকে ইউনিভার্সিটি আর ইউনিভার্সিটি থেকে বাসা, এরই মধ্যে তার জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে রইল। ভীষণ বোরিং জীবন!

একবার এক উইকেন্ডের দুপুরবেলা সামনে লম্বা কোনো ছুটি আছে কিনা তাই চেক করছিলো আয়ান। হঠাৎ তার ফোনটা বেজে উঠল। আয়ান ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে একটা অপ্রত্যাশিত গলা শোনা গেল।

"হ্যালো, আয়ান?"
"আসিফ নাকি রে?"
"হ্যাঁ, রে।"
"কী খবর?"
"ছাদে আয়। বলছি।"


আয়ান অবাক হল। এই ভরদুপুরবেলা আসিফ অপরিচিত এক নম্বর থেকে কল করে তাকে ছাদে যেতে বলছে কেন? প্রচন্ডরকম কৌতূহল দানা বাঁধল তার মনে। অপেক্ষা না করে আয়ান দৌড়ে চলে যায় সে ছাদে। গিয়ে দেখে আসিফ আর নাজিয়া তাদের ছাদের যে দিকটায় ছায়া পড়ে সেদিকটায় দাঁড়িয়ে গল্প করছে। আয়ানকে দেখতেই তার দিকে দৃষ্টি দেয় তারা। আয়ান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকাতেই নাজিয়া বলে, "এদিকে আয়। শুনে যা।" আয়ান ছাদের কিনারায় পাঁচিলে হাত দিয়ে দাঁড়ায়। আসিফ বলে, "সামনে পুজোর ছুটি আছে। জানিস তো?" আয়ান ভ্রুকুটি করে তাকায় আসিফের দিকে। বলে, "হ্যাঁ। জানি তো।" নাজিয়া বলে, "কদিন ছুটি থাকবে তোদের?" "মোটামুটি দশ-বারো দিন তো থাকবেই। কেন?" নাজিয়া বলে, "শোন। পুজোয় যেহেতু তোর আর আসিফের মোটামুটি বড়সড় ছুটি আছে। তাই ভাবছি আমরা কোথা থেকে একটা ঘুরে আসব। আমিও অফিস থেকে ছুটি নিয়ে নেব। নিতুলের সাথে আমাদের কথা হয়েছে।
গোট ঘটনায় এমনিতেই আয়ান হকচকিয়ে গিয়েছিল। তারওপর নিতুলের কথা শুনে তার অবাক হওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে গেল।

[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

07 Nov, 01:31


বরং কাশ্মির বা সিকিমের পরিণতিই বরণ করতে হতো এ দেশটিকে। আজও সেভেন সিস্টার্সের বঞ্চিত, অনুন্নত আর অবহেলিত জনপদগুলো স্বাধীনতার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পূর্বদিকে ভারতের সেভেন সিস্টার্স আর পশ্চিমে বিশাল ভারতের অংশ। আর এই পূর্ব পশ্চিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একমাত্র মাধ্যম ২০-২২ কিলোমিটারের এই সংকীর্ণ শিলিগুড়ি করিডোর। বাংলাদেশ যদি সত্যিই ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত হয় আর শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর বাহিরে থেকে শক্ত আঘাত আসে তবে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। এটা তাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। তাই মুসলিম সেন্টিমেন্ট নিয়ে ভাগ হওয়া বাংলাদেশকে দীর্ঘ ২৩ বছরের চক্রান্তের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে পুঁজি করে পাকিস্তান থেকে আলাদা করা হয়। আর নিজেদের পুতুল সরকার কায়েমের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ও মেধা খরচ করে এ দেশে তাদের আশীর্বাদপুষ্ট সরকারকে বসিয়ে কয়েকটি কাজ তারা শক্তভাবে করে থাকে-

১. কালচারাল হেজিমনি

২. দুর্বল শিক্ষাকাঠামো

৩. জাতিগত বিভেদ তৈরি

৪. নির্ভরশীল ও দুর্বল অর্থনৈতিক কাঠামো

এগুলো করতে পারলে যুগ যুগ ধরে তারা এদেশের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করতে পারবে। আর আওয়ামী লীগকে তারা নিজেদের জন্য সবচেয়ে পরীক্ষিত বন্ধু মনে করে থাকে। এ কারণে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, "ভারতকে যা দিয়েছি তা তারা কখনো ভুলবে না।" অথচ ক্ষমতার মসনদে থাকাকালীন দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে পারেনি।

যাই হোক, বাংলাদেশকে ডমিনেট করার অংশ হিসেবে এ দেশের শিক্ষাকে তারা দুর্বল করার জন্য অনেক কাজই করেছে। সেক্যুলার ও অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করার সকল ফর্মুলা আওয়ামী লীগ ভারতের কাছ থেকে নিয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে দেশে ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড থাকার পরেও কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান সৃষ্টির কোনো সদিচ্ছা আওয়ামী সরকারের মধ্যে ছিল না। দক্ষ শ্রমশক্তি গঠন করে বিদেশি মুদ্রা আয়ের সুযোগও তারা কাজে লাগায়নি। বরং আমরা দেখেছি দেশে যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব আর চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চরম হতাশা। ফলে কোটা আন্দোলন একটি অভ্যুত্থানেই রূপ নিল। বাংলাদেশ যদি উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার দিক দিয়ে এগিয়ে যায় আর যুবকদের মধ্যে উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ার মানসিকতা বৃদ্ধি পায় এবং সরকারের সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয় তবে এ দেশ তাইওয়ানের মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর এমনটি হলে ভারতের রক্ত চক্ষুর তোয়াক্কা বাংলাদেশ করবে না। এটাই ভারতের মূল চিন্তার কারণ।

তাই ২৪-এর চেতনাকে ধারণ করে সরকারের উচিত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার জন্য মানবিক মূল্যবোধ ও কারিগরি উপাদানে ভরপুর একটি শিক্ষাকাঠামো জাতিকে উপহার দেওয়া। যারা আগামীর বাংলাদেশকে মর্যাদাসম্পন্ন ও সার্বভৌম ভিত্তির ওপর টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর থাকবে।

লেখক: কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

ছাত্র সংবাদ। নভেম্বর ২০২৪

সপ্তক-Saptak 🌿

07 Nov, 01:31


শিক্ষা সংস্কার ও ভবিষ্যৎ ভাবনা

নূরুল ইসলাম সাদ্দাম


ত ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ২০২৪ ছাত্র- জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন এক অগ্রযাত্রার । ঢাকায় থাকার সুবাদে পুরো আন্দোলনকেই দেখার সুযোগ হয়েছে খুব কাছ থেকে। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই বঙ্গ প্রদেশের ইতিহাস অনেক পুরাতন। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এ মাটির বিবর্তন এবং পালাবদল খুবই তাৎপর্যবহ নদীবিধৌত অঞ্চল হওয়ায় মানবিক বৈচিত্রা রয়েছে এ বঙ্গে। এ মাটির ওপর যারাই জুলুমতন্ত্র চালিয়েছে তারাই অপমানচনার পরিণতি বরণ করেছে। সেটি দ্রাবিড়রা হোক , আর্যরা হোক, সেনরা হোক, পালরা হোক কিংবা ইংরেজরা। সর্বশেষ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে এ মাটি থেকে লাঞ্ছিত হয়ে।

বাঙালির আচরণের সাথে বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমের মিল রয়েছে। আসুন জানি বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম আসলে কী? বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোম একটা জনপ্রিয় মেটাফোর। একটা ব্যাঙকে যদি আপনি একটি পানি ভর্তি গাত্রে রাখেন এবং পাত্রটিকে উত্তপ্ত করতে থাকেন তবে ব্যাঙটি পানির তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যে রাখতে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে সে পানির উত্তাপ সহ্য করতে থাকে, লাফ দিয়ে বের হওয়ায় পরিবর্তে।

কিন্তু একসময় পানির প্রচণ্ড তাপমাত্রা ব্যাঙের শরীর আর মানিয়ে নিতে পারে না। যখন সে আর পানির প্রচণ্ড তাপমাত্রায় তার শরীরের তাপমাত্রার সমতায় আসতে পারে না, তখন ব্যাঙটি ফুটন্ত পানির পাত্র থেকে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হায়। সে লাফ দিতে পারে না তখন, কারণ সে তার সমস্ত শক্তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করে ফেলেছে। অতঃপর সে ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ হতে থাকে। তার মৃত্যুর কারণটা আসলে গরম পানি না, বিপজ্জনক পরিস্থিতির শুরুতে সেই পরিস্থিতি অস্বীকার করে লাফ না দেওয়াটা তার মৃত্যুর কারণ। যে ভুলটা আওয়ামী লীগ করেছে। জনগণ বা ইয়াং জেনারেশনের পালস না বুঝে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেছে বারবার।

বাঙালি জাতিকে জুলুম করলে সে প্রাথমিক পর্যায়ে সহ্য করে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী মনে করে সব কিছুই তার নিয়ন্ত্রণে, মানুষ সব মেনে নিচ্ছে এবং তাদের এ অপকর্মকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই সে তার ইচ্ছেমতো সরই চাপাতে থাকে জনগণের ওপর। লুটপাট করে স্বর্গরাজ্য তৈরি করে শাসকেরা। তারা মনে করে তারা চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু জালিমেরা ভুলে যায় যে, মানুষ নিরুপায় হয়ে গেলে মৃত্যুর কথা ভাবে না। জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। অবসান হয় জুলুমতন্ত্রের।

এটা বড় দুর্ভাগ্যের যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। লিবিয়ায় গাদ্দাফি, মিসরে হোসনি মোবারক, তিউনিসিয়ার আল-আবিদিন বেন আলির ইতিহাস আওয়ামী লীগের নিশ্চয়ই জানা ছিল। বাংলাদেশের স্বৈরশাসক এরশাদের পরণতিও তারা দেখেছে। কিন্তু কীভাবে তারা আবার সে পথেই হেঁটেছে। জানি না পরবর্তী শাসনভার যাদের হাতে যাবে তারা কতটুকু সতর্ক হবে।

এখন আসি মূল কথায়, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনুস সরকার ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা সংস্কার কমিশন । এ কমিশনের যাদের সদস্য করা হয়েছিল তাদের নামের ব্যাপারে আলেমদের আপত্তি উঠায় কমিটি আবার বিলুপ্ত করতে হয়েছে। চিন্তা ভাবনা ছাড়া এমন বিতর্কিত সদস্যদের নিয়ে কমিশন গঠন করাটা নিন্দনীয়। মনে রাখতে হবে ২০২৪- এর আন্দোলনে অনেক ইসলাম পন্থী ও মাদরাসার ছাত্রদের জীবন গিয়েছে। ফ্যাসিবাদ দীর্ঘদিন আমাদের ঘাড়ে চেপে আলেম সমাজ ও ইসলামী আদর্শের মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করেছে। ব্যমদেরকে তারা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ১৫ বছরের নির্যাতন- নিষ্পেষণ তিলে তিলে আগ্নেয়গিরিতে রূপ নিয়েছে। সেখানে শিক্ষা সংস্কার কমিশনে আলেমের অংশগ্রহণ নাই। সেটি ভাবাই দুষ্কর। এ দেশের মূল ধারার শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাস অনেক পুরাতন। স্বাধীন সুলতানি আমলে এ দেশে ৮০,০০০ মাদরাসা ছিল। তখন বঙ্গ প্রদেশে এটাই ছিল মূল শিক্ষাব্যবস্থা। ব্রিটিশদের আমলে ধীরে ধীরে ১৯০ বছর ধরে এ নৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে তাদের অনুগত লোক তৈরির প্রজেক্ট হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে।

এখনো এদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাদরাসা শিক্ষার সাথে জড়িত। এটি প্রমাণিত যে, যারা মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত তারা সমাজের অপকর্ম থেকে জেনারেল শিক্ষিতদের তুলনায় অনেক বেশি বিরত থাকে। নৈতিক শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতি গঠন অসম্ভব। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ববোধের বিকাশ ঘটানো। কিন্তু এ দেশের শিক্ষা কারিকুলাম যারা প্রণয়ন করেছে তারা মানুষকে ভোগের সামগ্রী হিসেবেই শুধু বিবেচনা করে থাকে। তাই লেখাপড়া করে মানবিক হওয়ার চাইতে অর্থবান হওয়াকেই আমাদের সমাজ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

সপ্তক-Saptak 🌿

07 Nov, 01:31


প্রচলিত শিক্ষা যদি মানুষ তৈরি করতে পারত তবে স্বাধীনতার পরে শিক্ষার হার বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্ষণ, লুটপাট, মাদক, ইভটিজিং, খুন, ঘুষ, সম্পদ দখল থেকে শুরু করে সকল অপকর্ম কমার কথা ছিল। শিক্ষকদের হওয়ার কথা ছিল এ সমাজের সবচেয়ে আদর্শবান মানুষ। কিন্তু আমরা দেখতে পাই এর সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। হয়তো আপনারা বলবেন ইউরোপ, আমেরিকাতে শিক্ষার কারণে মানুষ ভালো আছে দুর্নীতিবাজ না। এটা একটা পয়েন্ট। তবে মনে রাখতে হবে ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া বা চীনে বাহ্যিকভাবে চোখধাঁধানো বড় বড় বিল্ডিং বা মেশিনারি তৈরি করেছে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীতে তাদের দ্বারা সবচেয়ে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে। বিংশ শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কোল্ড ওয়ার, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, রুয়ান্ডার গণহত্যা, ইন্দোনেশিয়ার গণহত্যা ঘটিয়ে কোটি কোটি মানুষকে কারা মেরেছে?।

একুশ শতকে আফগানিস্তানে রক্তপাত, ইউক্রেনে রক্তপাত, গাজায় হামলা, মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞ কারা চালিয়েছে বা চালাচ্ছে তা সবার কাছেই পরিষ্কার। নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য অন্য মানুষকে পশু মনে করে তারা হত্যা করে, এটাই তাদের আধুনিক বিশ্ব আর আধুনিক শিক্ষার আলটিমেট লক্ষ্য।

এটাতো গেল বাহ্যিক দিক। পশ্চিমারা সভ্যতার কথা বলে সবচেয়ে অসভ্য এবং নোংরামি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। লিভ টুগেদার, মদ্যপান, পরকীয়া, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, অবাধ যৌনাচার ইত্যাদির রোগে লিপ্ত হয়ে মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করছে তারা। সিংগেল মাদার কনসেন্ট ডেভেলপ করে বিকৃত যৌনতাকে একটা আর্টে পরিণত করা হয়েছে পশ্চিমা সমাজে। ইউরোপের পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় তরুণ প্রজন্ম বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক সন্তানের জন্ম হয় সেখানে কিন্তু তারা তাদের পিতৃপরিচয় জানে না। কতটা জাহেলিয়াতের মধ্যে তারা আছে ভাবাও যায় না। দিন দিন ইউরোপে নেগেটিভ পপুলেশন হচ্ছে, আর মেয়েদেরকে স্বাধীনতার নামে কর্মক্ষেত্রে এক চেটিয়া নামানো হয়েছে। আর তাদেরকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সমাজে। পুরুষের কাপড়ের বিজ্ঞাপনেও নারী ছাড়া চলে না। তাছাড়া নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে কিন্তু এদিকে যে পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে সেদিকে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপই নাই।

একটি পরিবারে মায়ের ভূমিকা অনেক বেশি। নারীদের গৃহস্থালি কার্যক্রমের অর্থনৈতিক প্রভাবও অনেক বিস্তৃত। একজন নারীকে পরিবার পরিচালনায় অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। একজন নারী একটি পরিবারের জন্য একজন মা, একজন স্ত্রী, একজন ম্যানেজার হিসেবে ভূমিকা রাখে। আসুন, এবার দেখা যাক ৫ জনের একটি পরিবারে একজন নারীকে কী পরিমাণ কাজ করতে হয়। দৈনিক রান্নাবান্না করা, সন্তান লালন-পালন করা, ঘর পরিপাটি রাখা, সন্তানদের লেখাপড়া করানো, পরিবারের বয়োবৃদ্ধদের সেবা যত্ন করা। এ সকল কাজে তাকে অন্তত দিনের ১৫ ঘণ্টা ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এসকল কাজ অত্যধিক কষ্টসাধ্য। এ সকল কাজের জন্য যদি কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া হয় তবে মাসে অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। কিন্তু তার পরেও মন মতো কাজগুলো করা অসম্ভব। আপনার সন্তানকে অন্য কেউ মমত্ববোধ দিয়ে গঠন করে দেবে না। কিন্তু নারীদের গৃহস্থালি এ কাজগুলোর মর্যাদা সমাজ দেয় না। ফলে নারীরা বাসার বাহিরে কাজ করাকে আত্মসম্মানের অংশ মনে করে। আর এজন্য সামাজিকীকরণ নষ্ট হচ্ছে। ধর্মহীন শিক্ষা মানুষকে ভোগের পণ্য হিসেবে তৈরি করে, মনুষ্যত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে না। যাইহোক, পশ্চিমারা তাদের শিক্ষাকাঠামো এবং আইনের প্রয়োগ এমন পর্যায়ে নিয়েছে যাতে কেউ ঘুষ খাবে না বা দুর্নীতি করবে না ঠিকই কিন্তু শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তাদের দিয়ে বাস্তবায়নও হবে না। যদি তাই হতো তাহলে এই পৃথিবীটা সাম্যে ভরে যেত।

এখন দেখার চেষ্টা করব স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষাকাঠামো কেন এত দুর্বল। এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদেরকে ভৌগোলিক সমীকরণের দিকে চোখ রাখতে হবে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন একটি অবস্থানে আছে যেখানে তিন দিক আধিপত্যবাদী
ভারত কর্তৃক ঘেরাও করা। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে মুসলিম মেজরিটির এ দেশটি মূলত হাজার মাইল দূরের পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়। তখন থেকেই শুরু হয় ভারতের ষড়যন্ত্র। এখানে একটি প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে না গিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারতের অঙ্গরাজ্য হতো তবে স্বাধীন হওয়া এ দেশের পক্ষে কি আদৌ সম্ভব ছিল?

যেমন পরণতি বরণ করেছে হায়দারাবাদ, জুনাগর, মানভাদর, গোয়া, সিকিম আর কাশ্মির। হায়দারাবাদের আয়তন ছিল ৮২ হাজার বর্গমাইল অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়েও বড়। ব্রিটিশ আমলেও মুসলিম শাসিত এ অঞ্চলটি ছিল স্বাধীন কিন্তু ভারত-পাকিস্তান স্বাধীনতার মাত্র এক বছর পরেই হায়দারাবাদকে ষড়যন্ত্র করে দখল করে নিয়েছে ভারতীয়রা। আজাদির জন্য এ অঞ্চলের মানুষেরা রক্ত দিলেও ভারত নেহেরু ডকট্রিনের অধীনে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সেখানে কীভাবে স্বাধীনতার আশা করত?

সপ্তক-Saptak 🌿

06 Nov, 17:01


Once Zakir Bhai said 😌

সপ্তক-Saptak 🌿

04 Nov, 18:08


আমার প্রিয় ৫টি ইসলামিক চ্যানেল

Noman Ali khan/Nakinbangla👉 বছরখানেক আগে প্রিয় একজন মানুষ এই চ্যানেলের সাথে আমায় পরিচয় করে দিয়েছিলো। দেখলাম নোমান আলী খান নামের এক ব্যক্তির বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তব্য। প্রথমদিকে মন দিয়ে শুনিনি, তাই খুব একটা ভালো লাগেনি। বহুদিন পর এক 'মন খারাপের সন্ধ্যায়' বিষন্ন, অবসন্ন হৃদয় নিয়ে ইউটিউব ঘাটানোর সময় হঠাত উনার একটা ভিডিও চোখে পড়লো। ভিডিও প্লে করে চোখ বুঝে শুনতে লাগলাম। লেকচারটা ছিলো কুরআনের একটি আয়াতের জীবনমুখী ব্যাখ্যা নিয়ে। আমি এর আগে কখনো কুরআন শরীফের কোনো আয়াতকে এভাবে অনুভব করিনি সেদিন যেভাবে করেছিলাম। সেদিন একটার পর একটা লেকচার শুনতে থাকলাম। কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াতের গভীরতা আমাকে রীতিমতো obsessed করে দিয়েছিলো সেদিন। আমি অন্যরকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা শুরু করেছিলাম।
সেটিই ছিলো শুরু। That was the turning point of my life. গত একটা বছর যাবত আমার ডেইলি রুটিনের মতো হয়ে গিয়েছে এই চ্যানেলের লেকচার শোনা। কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াতের চমৎকার সব ব্যাখ্যা, বাস্তব জীবনের সাথে এর সংশ্লিষ্টতা.. এই ব্যাপারগুলো প্রতিনিয়ত আমায় মুগ্ধ করে। Nouman ali khan চ্যানেলের ইংলিশ বক্তব্যগুলো বাংলায় ডাবিং করে nakinbangla চ্যানেলে আপ্লোড করা হয়। ডাবিং গুলো খুব উচ্চমানের এবং অসাধারণ!

Freequraneducation👉 এই চ্যানেলে প্রখ্যাত ইসলামিক বক্তা এবং দাঈ দের বিভিন্ন লেকচার এনিমেটেড ভিডিওর সাথে আপ্লোড করা হয়৷ দেখতে বেশ ভালো লাগে। Versatile অনেক বক্তার সাথে পরিচয় হয়েছে এই চ্যানেলের কল্যাণে।

Ahmadulla👉 দেশীয় ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে উনাকে সবচে ভালো লাগে। উনার ধর্মীয় জ্ঞান যেমন প্রখর, তেমনি কথা বলার ধরণ সুন্দর। বিভিন্ন মাস'আলা জানার ক্ষেত্রে প্রায়শই তার ইউটিউব চ্যানেলের শরণাপন্ন হই।
Hujurtv24👉 এই চ্যানেলে বাংলায় বিনামূল্যে খুব সহজভাবে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়। চাইলে ছোটখাটো সূরা এখান থেকে সহী শুদ্ধভাবে শেখা যায়।

Baseera👉 রিসেন্টলি এই চ্যানেলের পডকাস্ট শোনা হচ্ছে। বিভিন্ন নবীর জীবনী, সীরাহ, মৃত্যু, কেয়ামত, আধ্যাত্মিকতা, জীবনঘনিষ্ঠ আলোচনা- কি নেই এখানে! তাদের স্ক্রিপ্ট এবং ডাবিং খুবই স্ট্যান্ডার্ড। তাই শুনতেও ভালো লাগে।

সপ্তক-Saptak 🌿

01 Nov, 07:44


অনেকটা বিষন্নতা আর ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে জুম্মার নামাযে গেলাম। অন্যমনস্ক হয়ে নামাযে দাঁড়িয়ে আছি, হঠাত কানে আসলো ইমাম বলছেন, "আলাম নাশরহ লাকা সাদ্বরক"। সাথে সাথে সারা শরীরে কিছুটা ঝাকুনির মতো অনুভব হলো।

'আলাম নাশরহ লাকা সাদ্বরক', 'ওয়াওয়াদা'না আংকা উইজরক'। সূরা ইনশিরাহের এই লাইনগুলো আমার অসম্ভব প্রিয়। এখানে আল্লাহ নবী(স:) কে উদ্দেশ্য করে বলছেন, "আমি কি তোমার হৃদয়কে প্রশস্ত, প্রজ্বলিত করিনি? আমি তোমায় ভারমুক্ত করেছি, যে ভার তোমায় ভেঙে দিচ্ছিলো" কি অসম্ভব সুন্দর আয়াত! আর এরপরেই সেই ম্যাজিক্যাল আয়াতটি, "ফা-ইন্না মা'আল 'উসরি ইউসরা"- নিশ্চই, কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ, স্বস্তি! এরচে লজিক্যাল শক্তিশালী মোটিভেশান পৃথিবীতে আর কিইবা হতে পারে?

আমাদের কত স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়, আমাদের চারপাশের মানুষেরা নানাভাবে আমাদের কষ্ট দেয়, আমাদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়, আমাদের বুকে এক পাহাড়সম ওজন চেপে বসে- কিন্তু কেউ একজন আছেন আমাদের হৃদয়ের ভার লাঘবের জন্য। নইলে এত ঘাত-প্রতিঘাতের পরেও কে আমাদের বারবার বাঁচিয়ে তোলেন, কে আবারো স্বপ্ন দেখান? তিঁনি আছেন বলেই কষ্ট বুকে নিয়ে আমরা শেষ হয়ে যাইনা, কারণ আমরা জানি সাথে স্বস্তি আসবে, ভালো সময় আসবে।

নামায শেষ হলো। বাইরে এসে হাটছি, হঠাত সবকিছু সুন্দর মনে হতে থাকলো। After all, What else do you need to be happy when you have the Almighty One by your side?

সপ্তক-Saptak 🌿

31 Oct, 17:20


হ্যালোইন পর্ব


" হ্যাপি হ্যালোইন! "
" কে? "
চমকে পেছনে ফেরে রিয়া।
" ট্রেভর! "
" ওভাবে দাঁড়িয়ে আছিস যে? আজ পার্টি হচ্ছে না?"
" তোকে ছাড়া পার্টির আমেজ আসবে কোত্থেকে? "
" গত বছরের এই দিনটার কথা মনে আছে? তুই সেজেছিলিস হোয়াইট ল্যাডি আর আমি স্বয়ং লুসিফার, " এ কথা বলেই ট্রেভর হাতটা বাড়িয়ে দেয় রিয়ার দিকে।
" চল না বাগানের দিকটায় যাই৷ ওখানে গেলে মাটির কাছাকাছি যাওয়া যাবে। মাটির গন্ধটা নাকে এলেই শান্তি পাওয়া যায়৷ মাটির আশ্রয়েই যে থেকেছি অ্যাদ্দিন। কীরকম যেনো মায়া পড়ে গেছে৷ "
রিয়া ট্রেভরের বাড়িয়ে দেয়া হাতটা ধরতেই চমকে ওঠে। সে যেনো কোনো মানুষের হাত না ধরে কোনো বরফের খন্ড চেপে ধরেছে৷ ট্রেভর এগোতে থাকে। রিয়াও। অতি ঠান্ডায় হাত জ্বালা করলেও ট্রেভরের হাতটা ছেড়ে দেয়না সে। চোখ বেয়ে জল পড়তে থাকে তার৷
ট্রেভর একসময় থামে। তাকায় রিয়ার দিকে। রিয়াও তাকায় ট্রেভরের দিকে। রিয়া বলে, " কখনো ছেড়ে যাবিনা তো আমায়? "
" তোকে নিতেই তো এসেছি আমি৷ "



রিয়ার বড় ভাই রাহুল এসেছিলো বোনকে ডিনারে ডাকতে। দেখলো রিয়া একা একা বাগানের দিকে হেঁটে চলেছে৷ তাদের বাড়িতে অন্য সব বছরই হ্যালোইন পার্টি হতো। আজ হয়নি। রিয়ার জন্যই৷ রিয়ার ফিয়ঁসে (fiancé) ট্রেভর দু সপ্তাহ আগে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।  তারপর থেকে সে নাওয়া খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে প্রায়৷ দিনে দিনে চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে৷ ডাক্তার বলেছে ট্রেভরের শোক কাটিয়ে উঠতে না পারলে আর কোনো আশা নেই। এতোদিন দরজা বন্ধ করে ঘরেই বসে থাকতো। আজ বিকেলের দিকে বেরিয়ে বারান্দায় হেঁটেছিলো কিছু সময়। তারপর সন্ধ্যে থেকে এখানেই উঠোনটায় একা বসেছিলো৷ থাক, হাঁটুক বাগানের দিকটায়। এতে যদি কিছুটা ভালো বোধ করে। একটু পরেই না হয় ডাকা যাবে৷ এই ভেবে রাহুল চলে গেলো।

©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

31 Oct, 17:16


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/217 ]


[ অষ্টম পর্ব ]


সেদিন রাতে আয়ান খেয়েদেয়ে একটু আগেই ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমিয়ে এক বিচিত্র স্বপ্ন দেখে সে। সে দেখে, প্রীতি মেয়েটা একটা বড় অডিটোরিয়ামের মতো জায়গার স্টেজের একদম মাঝখানে একটা চেয়ারে একলা বসে আছে। তার দেহ অনড়। দৃষ্টি স্থির। দর্শক সারিতে রাশি রাশি চেয়ার রাখা। কিন্তু চেয়ারগুলোতে কেউ বসে নেই। পুরো ফাঁকা। শুধু প্রচন্ড অট্টহাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কারা যেন একসাথে দল বেঁধে নিজের সর্বশক্তি ব্যয় করে হাসছে। আয়ান শব্দের দিকটা অনুসরণ করে তাকাতেই দেখতে পায় নিতুল আরও কয়েকটা ছেলে আর মেয়ের সাথে অডিটোরিয়ামের এক কোণায় দাঁড়িয়ে হাসছে। কেন হাসছে ওরা? কিছুই বুঝতে পারে না আয়ান। তার খুব রাগ হতে থাকে। সে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। গিয়ে স্টেজের সামনে একদম প্রীতির সামনাসামনি দাঁড়ায়। প্রীতির কিন্তু কোনো বিকার থাকে না। সে আগের মতোই বসে থাকে। আয়ান নিতুলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, "হয়েছে টা কী? এত হাসছিস কেন তোরা?" প্রশ্ন শুনে নিতুল আর তার দলবল হাসি থামিয়ে  একসাথে অত্যন্ত গম্ভীর দৃষ্টি নিয়ে আয়ানের দিকে তাকায়। নিতুল বলে, "ম্যাক্স র‍্যাব বেশ একটা মজার কৌতুক শুনিয়েছে রে। তাই না হেসে পারছি না", বলেই ওরা ফের দম ফাটা হাসি হাসতে শুরু করে। আয়ান এবার অবাক হয়। সে কীভাবে যেন বুঝতে পারে আর কিছু জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর পাবে না। সে তার বাঁদিকের একটা দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে। বেরোতেই দেখে সে তার বাসার ছাদে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ছাদটা আলোয় ঝলমল করছে। কে যেন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করেছে ছাদে। সেখানে একটা গোল আকৃতির টেবিল আর দুটো চেয়ারও এনে রাখা হয়েছে দুদিকে। টেবিলের দুদিকে রয়েছে প্লেট, কোল্ড ড্রিংকসের বোতল আর গ্লাস। সে চমকায়। তখন দেখে নাজিয়া আপু মুচকি হেসে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নাজিয়া আপু তার হাতটা ধরে বলে, "দুঃখ করিস না। জীবনে অনেক কিছুই চাওয়া অনুসারে হয় না। চল, আজকের রাতটা সেলিব্রেশন করি আমরা। দুঃখ ভোলার সেলিব্রেশন।"


ঘুম ভেঙে যায় আয়ানের। চোখ খুলে সে কোথায় আছে তা বোঝার চেষ্টা করে। স্বপ্নের কথা বুঝতে পেরে আরও কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে সে। স্বপ্নের ব্যাপারগুলো মনে করার চেষ্টা করতে থাকে। তারপর বালিশের পাশে রাখা ফোনটা হাতে নিয়ে সময় দেখে নেয়। রাত তিনটে ষোল। খুব তেষ্টা পায় যেন তার। সে উঠে টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে পানি খেতে থাকে ঢোকের পর ঢোক। অদ্ভুত স্বপ্ন বটে! গত দুদিনে যাদের যাদের সাথে তার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, তারা সকলেই স্বপ্নে এসে হাজির হয়েছে। শুধু ম্যাক্স র‍্যাব ছাড়া। সে সশরীরে আসেনি। কে এই ম্যাক্স র‍্যাব? নিতুলের কাছে একবারই নাম শুনেছিলো সে। তাতেই সে স্বপ্নে এসে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়ে গেল যেন। অবচেতন মস্তিষ্কের হিসেব নিকেশ বোঝাও দায়।


[ চলবে........ ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

31 Oct, 14:42


[ বছর চারেক আগের লেখা ]


আজ সন্ধ্যেবেলা বারান্দায় একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে আর আরেকটা চেয়ারে পা দুটো তুলে দিয়ে বসে আছি৷ বারান্দার বাতি নেভানো৷ ভেতরকার ঘরগুলোর আলোও জ্বালাইনি৷ আজ বোধহয় পূর্ণিমা। আকাশে বেশ বড়সড় চাঁদ উঠেছে। সেই চাঁদের আলো গ্রিল পেরিয়ে বারান্দার মেঝেতে এসে পড়েছে। বাইরে থেকে ঝিঁঝির আওয়াজ আসছে৷ আর কোনো আওয়াজ নেই। কিছুই করার নেই তাই বসে বসে ভাবছি কেউ যদি অনেকদিন পর বিরিয়ানি খেতে বসে আর তখনি যদি তার প্লেটে কেউ একটা ব্যাঙ ছুঁড়ে দিয়ে দৌড় দেয় তাহলে তার রিয়াকশনটা কী হবে৷ এসব ভাবছি হঠাৎ খেয়াল হলো বারান্দার গেটের বাইরে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। একটা ছায়া৷ মুখ দেখা যাচ্ছেনা। আমি ভয় পেয়ে গিয়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, " অ্যাই কে রে কেরে? " কোনো আওয়াজ পেলাম না। দেখি ঐ ছায়ামূর্তিটা কোনো এক আশ্চর্য কায়দায় বন্ধ গেট গলে ভেতরে চলে এলো৷ আমার তো চক্ষুস্থির৷ চেয়ার ছুঁড়ে মারবো নাকি দৌড়ে উঠে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না৷ আমি শুধু তাকিয়ে আছি৷ বিরিয়ানি আর ব্যাঙ ততক্ষণে মাথা থেকে চলে গেছে। ছায়ামূর্তিটা আস্তে আস্তে সামনে এসে দাঁড়ালো। এসেই পরিচিত গলায় বললো, " হে হে ভয় পেলি নাকি? আমি অনিক। " মুহূর্তে মনে পড়ে গেলো অনিকের কথা৷ অনিক আমাদের পাড়ায় থাকতো৷ আমারই বয়েসী। বিকেলে ক্রিকেট খেলতাম ওর সাথে৷ ভয় কিছুটা কেটে গেলো৷ জিজ্ঞেস করলাম, " হতভাগা তুই না মরে গেছিলি৷ এলি কী করে ? " অনিক হেসে আমার যে চেয়ারে পা রাখা ছিলো তা টান মেরে টেনে নিয়ে বসে পড়লো৷ আর বললো, " সাধে মরেছি নাকি৷ কে জানতো পেয়ারা পাড়তে গিয়ে ছাদ থেকে পড়েই মরে যাবো৷ হাত টাত ভাঙতো তো এক কথা ছিলো। " বললাম, " মরবি নাতো কী? মাথাটা যেভাবে ইটে গিয়ে ঠুকেছিলো বাপরে বাপ! খুব মিস করছিলাম তোকে৷ তাই বলে তোর এভাবে ফিরে আসাটা কিন্তু আমি বরদাস্ত করতে পারছিনা৷ যেভাবে এন্ট্রি মারলি যদি হার্ট ফেল করে মরে যেতাম ? " অনিক ( বা অনিকের ভূত) বললো, " ভালোই হতো৷ দুজন একসাথে ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াতাম। " আমি রেগে গিয়ে বললাম, " দরকার নেই বাপ আমার। জীবনে অনেক কিছু করার বাকি আছে। এতো তাড়াতাড়ি মরতে চাইনা। আচ্ছা একটা কথা বলতো। মরেছিলি তো হপ্তাখানেক আগে। আসতে এতো দেরি হলো কেন? জ্যামে আটকে গিয়েছিলি নাকি?" অনিক (বা তার ভূত) বললো, " ধুর ঐ জগত থেকে আসা এতো সোজা নাকি। আমাদের কি ইউরোপের ভূত পেয়েছিস নাকি যে যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে পারবো? এখানে ব্রহ্মদত্যির কাছে দরখাস্ত করে অনুমতি পেলে তবেই আসা যায়৷ আজ এলাম৷ হ্যালোউইন তো৷ একা বসে বোর হবি জানি। তাই একটু কম্পানি দিতে এলাম।"
আমার কপালে এসবই জোটে।

সপ্তক-Saptak 🌿

30 Oct, 17:14


"জীবন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাবি
যদি হতেম আমি নদী....!"🌊

জীবনকে যদি নদীর সাথে তুলনা করি,,,,
নদী কিন্তু কখনও তার সরল পথে চলতে পারেনা,
নদী বাঁক নেয়,কখনো স্রোতের টানে তীব্র হয়,কখনোবা শান্ত।🌊

নদী কিন্তু কখনোই তার গতিপথের বাঁক বা স্রোতের প্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেনা, এই স্রোত আছে বলেই বর্ষায় তার ভয়ংকর রূপ, শীতের নীরবতা। স্রোতের টানে বাক নিতে নিতেই একটি সময় জন্ম নেয় আরেকটি শাখা নদীর,,সেখান থেকে সামনে গিয়ে আরেকটু বাক নিয়ে তৈরি হয় উপনদী...এভাবেই রচিত হয়েছে হাজারো কাব্য মহাকাব্য এই নদীকে নিয়ে.....📖📖

নদী যদি এই স্রোতের টানে বাক না নেয় তবে নদী তার প্রবাহ হারিয়ে ফেলবে। আস্তে আস্তে সরু হতে থাকবে,হারিয়ে ফেলবে তার বর্ষার চিরচেনা রূপ....কালের পরিনতিতে একটা সময় নদী তার নাব্যতা অর্থাৎ অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে। 🔕

যেমন মহাস্থানের কোলঘেষা বাংলার এককালের বানিজ্যিক নৌরুট হিসেবে বিবেচিত করতোয়া তার সেই মহাকব্যিক জৌলস হারিয়ে আজ ইতিহাসের অংশ মাত্র
🗾

ঠিক এভাবে আমরাও যদি প্রতিটি পরিবর্তনের মুহূর্তকে না মানিয়ে নিয়ে সেটা নিয়ে চিন্তিত/ভেঙ্গে পরি তবে কেবা জানে এভাবেই হয়তো হারিয়ে যেতে হবে আমদেরও...।

তাই,পরিবর্তনকে মেনে নেয়াটাকে জীবনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করলে মন্দ হয়না😇

একই সাথে প্রতিটি মুহূর্তকে জীবনের নতুন সম্ভাবনা হিসেবে গ্রহণ করার চেষ্টা করি,কেননা পরিবর্তনই ভবিষ্যতের দুয়ার খুলে দিতে পারে,হতে পারে সেটা আশার .....😇

এই পরিবর্তনশীলতাকে মানিয়ে নিতে পারাটাই হয়তো আপনার লাইফের
🅒🅗🅐🅢🅘🅝🅖 🅜🅞🅜🅔🅝🅣A

https://www.facebook.com/share/p/19PXbsXx6N/

কলমে:এ,এইচ,এম মহিউদ্দিন

সপ্তক-Saptak 🌿

29 Oct, 22:18


জামায়াতের আমিরকে সাংবাদিক জিগাইলো, জীবনে কী হতে চেয়েছিলেন?

ডাক্তার শফিকুর রহমান এতক্ষণ খুব সাবলীল থাকলেও এবার বেশ করুণ মুখে বললেন, ইচ্ছা ছিলো একজন কৃষক হবো। হতে পারলাম না তো।

পুরুষ মানুষের জাতটা খুব অদ্ভুত।

এদের হাতে দুনিয়া আইনা দিলেও এরা দুইটা গরু, একটা ধান ক্ষেত, কয়েকটা ছাগল আর এক পুকুর মাছের জন্য আফসোস করতেই থাকবে, করতেই থাকবে।

বাবা আদমের এই কৃষি কাজ করার নেশাটা সম্ভবত আমাদের ডিএনএতেই আছে, আমির হোক আর ফকির, কৃষক হওয়ার স্বপ্ন পুরুষের চিরন্তন।

সপ্তক-Saptak 🌿

29 Oct, 16:15


শ্রান্তি


মনের বিরাম নেই। একের পর এক অবাঞ্ছিত ধাঁধাঁয় মনে তোলপাড় হয়।

ঘুম নেই চোখে। না রাতে। না দিনে। সকাল সন্ধ্যা রেডিওর মত অনবরত কী যেন বকে চলেছে কোথাও কে একটা। শব্দটা ঠিকঠাক ঠাহর হচ্ছে না। কিন্তু মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। শব্দের উৎসও ধরা যাচ্ছে না। তবু খুঁজতে বেরোই না। আশঙ্কা হয়, যদি খুঁজতে খুঁজতে আর বাড়ি ফেরা না হয়? বাড়িতে সকলের খাওয়া হয়ে যাবে। আমি ফিরছি না দেখে মাও না খেয়ে খাবার ঢাকা দিয়ে রেখে আমার পথ চেয়ে বসে থাকবে। এ ঘর ও ঘর করবে। ফোন করলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন দেখাবে। বাবাকে বলবে। বাবা বলবে,"টেনশনের কী আছে? ফিরে আসবে। ও আর কচি খোকাটি নয়।" তবু মা ফেরার পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ভালো লাগার মতো ব্যাপার নয়।


এর মধ্যে কিছু লোক থাকে। তিলকে তাল করার দায়িত্ব তারা নেয়। তারা রহস্য নিয়ে আসে। আবার রহস্য নিয়ে ফিরে যেতে চায়। নিজেকে কেউকেটা প্রমাণ করতে গেলে অমন করতে হয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবুও পাশের বাসায় জোর ভলিউমে গান বাজালে তা কানে না এসে তো পারে না।

"তোমাকে আমি একটা গোঁজামিল দেওয়া কথা বলবো। তুমি তা সত্য বলে ধরে নিও। বুঝলে?"
" ঠিক আছে। এ আর এমন কাজ কী?"

না। হাসা যাবে না। বিরক্ত হওয়া যাবে না।
রেগে যাওয়া যাবে না। রেগে যাওয়া মানে নাকি হেরে যাওয়া। হয়তো। মিথ্যে কথাকে মেনে নিতে হবে। নিতে হয়। প্রশ্ন করা যাবে না। গেলেও সদুত্তর পাওয়া যাবে না।

"প্রশ্ন করলে কী হবে?"
"অন্যজন রেগে যাবে না?"
"তাতে কী হলো? আমি কারো খাই না পরি?"

খাওয়া-পরার প্রশ্ন নয়। আবার, মনে ধাঁধাঁ নিয়ে বসে থাকাও ভালো কাজ নয়। পারলে অবিশ্বাস করতে হয়। না হয় মনকে বলতে হয়, "আমি জানি না", "তাতে আমার কী?" দেখো। শেষ ব্যাপারটাই সবচেয়ে কাজের। নিজের মনে যোগ না এলে অন্যের থেকে মনোযোগের অভিপ্রায় প্রকাশ পায় লোকের। কিছু না কিছু করে হোক। একটুখানি। ঐ রান্নার পরে যখন দেখা যায়, তরকারিতে নুন দেওয়া হয়নি। তখন উনুনে ফের বসিয়ে এক চিমটে ছড়িয়ে নাড়ানোর মতো একটুখানি মনোযোগ। বেশি তো চায় না কেউ। তবে ঐ অমুক দিলেই চলবে। তমুক না। অমুকই। তমুককে কে চাইছে? এ এখানে কেন? ধুস! একে হটাও।

তারপর কী হয় জানো? চার দেয়ালের মধ্যে আটকে থাকা। মনের ভেতরে হতে থাকা শব্দের পুনরাবৃত্তি। পাহাড় থেকে পা হড়কে খাদে পড়ার সময় কোনোকিছু আঁকড়ে বেঁচে থাকার প্রয়াস করার মতো মনের কী একটা অবলম্বন যেন লাগে। ঐ অবলম্বন থাকলেই যেন শব্দটা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা মনে হয় আরকি। কিন্তু কোথাও থই পাওয়া যায় না। অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার মতো অশেষ রিক্ততা এসে গ্রাস করে। অন্ধকার সুযোগ পেয়ে দানা বাঁধে। জলের স্পর্শ কোথা থেকে যেন পাওয়া যায়। চোখের থেকে বোধ হয়।


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

27 Oct, 18:21


সকালের ডায়েরি




খুব সকালে ঘুম ঘুম চোখে বই নিয়ে বসেছি। অঙ্কের বই। চাইলেই ঘুমোতে পারতাম। কিন্তু আজকে স্যারের পড়া করা হয়নি। অঙ্ক না করে রাখলে উদোম ক্যালাবে। আব্বু পাশের ঘরে টিভি অন করে বারান্দায় চলে গেছে নখ কাটতে। ব্লেড নিয়ে তাও। আমি সাহস করেও ব্লেড হাতে নিই না। নেল কাটার থাকতে কেনো খামোখা এতো ঝামেলা পোহাতে যাবো? টিভিতে রবীন্দ্র সঙ্গীত হচ্ছে। সকালে অমনটা হয়। বিরক্ত লাগে ওসব ঝিম ধরা রবীন্দ্র সঙ্গীত। রান্নাঘরে আম্মু কিছু একটা নাস্তার ব্যবস্থার করছে। বাসন কড়াইয়ের টুং টাং আওয়াজ আসছে। সাথে খুব জোর খিদে পাওয়ানো গন্ধ। পানি খাওয়ার বাহানায় উঠে গিয়ে একবার দেখে এলাম কী নাস্তা রেডি হচ্ছে। ওদিকে আবার পাশের বাসার মোটকা লোকটা গেট খুলে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছে আর আমার মনে হচ্ছিল আমাদের গেট খুলে যেনো কেউ আসছে। দিনে নব্বইবার অন্তত এটা হয়। খালিই মনে হয় এই যেনো কেউ আসছে। এই যেনো স্যার চলে আসছে। শুধু আমার একারই মনে হয় না। আম্মুরও মনে হয়। এতোবার গেট খুলে বেরোনোর কী আছে রে বাবা! মোটকা লোকটা একদিন আমায় বকেছিলো কোনো কারণ ছাড়াই। আমি নাকি ওর হিসেবের খাতায় কাটাকুটি করে হিসেব নষ্ট করে দিয়েছি। কী সুন্দর কার্টুন এঁকেছিলাম সেটার প্রশংসা না করেই বকাঝকা করলো। লোকটাকে পছন্দ করি না আমি। তবে মোটকা লোকটার একটা মেয়ে আছে। দেখতে সুন্দর। ইন্ডিয়ান সিঙ্গার মোনালি ঠাকুরের মতো দেখতে লাগে। আমার থেকে কয়েক বছরের বড়। তাতে কী? সেদিন আমার গাল টিপে দিয়ে বলেছিলো, আমি কত্তো কিউট!  আমি জেএসসি পরীক্ষাটা দিয়ে দিলেই তো বেশ বড় হয়ে যাবো। তখন গিয়ে প্রপোজ করবো। এখন না। মাত্র দুবছরের ব্যাপার। অপেক্ষাই তো করতে হবে। সে না হয় করে নেবো। আমাদের আরেক প্রতিবেশী হলেন সুনীল আঙ্কেল। সে লোকটার একটা ছেলে,  আরেকটা মেয়ে। ছেলেটা কলেজে পড়ে। হোস্টেলে থাকে। মেয়ে পড়ে ক্লাস এইটে। দেখতে তো ভালো নয়ই, উল্টে ভীষণ দেমাকি। আমি মিশি না ওর সাথে। তবে সুনীল আঙ্কেল ভালো। আমাকে ডেকে নিয়ে গল্প করে এটা সেটা নিয়ে। বাসায় কিছু রান্না হলে আমাকে ডেকে নিয়ে খাওয়ায়। লোকটার সাথে বসে টিভিও দেখি মাঝেমধ্যে। একদিন একটা সিনেমা চলছিলো। যথারীতি আমি আর আঙ্কেল বসে দেখছি আর অমনি কীসব উল্টোপাল্টা সিন চলে এলো। আমার অমনি হঠাৎ মনোযোগ পড়ে গেলো আঙ্কেলের বেড়ালের দিকে। সে দরজার পাশে চার ঠ্যাং চার দিকে ছড়িয়ে শুয়েছিলো। আমি নাম ধরে ডাক দিচ্ছি " রাইটু, কাম হেয়ার, আয়, আয় এদিকে "। আড়চোখে আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে দেখি তিনি রিমোটের ব্যাটারি ঠিক করতে ব্যস্ত। মানে,  ব্যাটারি খুলে আবার ঢোকাচ্ছেন। অল্পক্ষণ পরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর আঙ্কেল ক্রিকেটের চ্যানেল দিয়ে দিলেন।

" আজ ধোনি কতো রান করবে বল তো? "
" সেঞ্চুরি। "


ধুর অঙ্ক করতে ভালো লাগছে না। একটু হাঁটি গিয়ে বারান্দায়। সকালের রোদ বারান্দার মেঝেতে এসে পড়ছে। সাড়ে সাতটা বাজে। তাও কী কড়া রোদ! আজ হেব্বি গরম পড়বে সারাদিন বোঝাই যাচ্ছে। আমি বারান্দার কোণার দিকে গেলাম।
কোণার দিকে গ্রিলের ওপাশে উঠোনে অনেকগুলো গাছ আছে। কয়েকটা গাছ চিনি না কারণ ওগুলোতে ফল টল ধরে না। চেনার দরকারও নেই। ফলই ধরে না তো চিনে করবো টা কী?  তো একটু বড়সড় রকমের গাছে একটা কাক এসে বসেছে। কেনো বসেছে জানি না। দৌড়ে যেতেই উড়ে গেলো। কয়েকটা চড়ুই দেখলাম এই ডাল থেকে ওই ডালে ছুটোছুটি করছে। আরও কয়েকটা কালো রঙের পাখি। নাম জানি না। কিচিরমিচির শব্দে ভরে উঠেছে চারিদিক। গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে মোটকা আঙ্কেলের বাসার দিকে তাকালাম। তাদের বাসার ডান দিকে আরেকটা বাসা আছে। সেখানে তেতলার ছাদে উঠে একটা ছেলে রোজ সকাল বিকেল ডাম্বেল নিয়ে এসে ব্যায়াম করে। আসলে ব্যায়াম ট্যায়াম কিছু না। সবই ঐ মোটকা আঙ্কেলের মেয়েকে ইম্প্রেস করার ধান্দা। সব বুঝি। এই যে দেখতে পাচ্ছি ছাদে দাঁড়ানো। কী করছে ঠাহর হচ্ছে না। হঠাৎ উঠোনের দিকে কেউ একটা দৌড়ে গেলো বলে মনে হতেই দেখি সুনীল আঙ্কেলদের বেড়াল। একটা ব্যাঙকে নাকানিচুবানি দিচ্ছে। ভারি মজা!  আমি ব্যাঙ ভালোবাসিনে। ঘেন্না করে দেখলে। আম্মু ডাকছে। খাবার রেডি। খেয়ে নিয়ে তখন পড়তে বসবো ভালো করে। যাই। 



©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

26 Oct, 15:49


ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের নিয়ে এখন থেকে না, বরঞ্চ বহু আগে থেকেই কাজ করছে।

আমাদের বুঝতে হবে— হুকুমতে ইলাহিয়া বা মহান আল্লাহর আইন কায়েম হয়ে গেলেও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষরা ইসলামী খিলাফত বা ইমারাতে বা রাষ্ট্রে বাস করবে।

শরীয়া কায়েমের মাক্বসাদ এটা নয় যে— ইসলামী শরীয়া কায়েম হয়ে গেলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিবে অথবা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।

ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যে শরীয়ার কথা বলে, হুকুমতে ইলাহিয়ার কথা বলে, এসব শুনে বাংলাদেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মনে করে— শরীয়া কায়েম হলে আমাদের 'না-মানুষ' গণ্য করা হবে।

এই যে তাদের বুঝ, এই বুঝকে ভাঙ্গাতে না পারলে তারা আজীবন বুঝে যাবে— ইসলাম অন্য সকল ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচারী একটা জীবন ব্যবস্থা।

অনেকে বলবেন, তাদের নিয়ে কাজ করলে কি তাদের এই ধারণা ভাঙবে? আল্লাহ তো বলেছেন— য়িহুদী ও ক্রিশ্চানেরা  ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবেনা, যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্ম গ্রহণ করছো। আল্লাহ এই কথা বলার পরেও তাদেরকে নিয়ে কাজ করার কি অর্থ হতে পারে?

সুবহানাল্লাহ! তাদের নিয়ে কাজ করার মুখ্য উদ্দেশ্য তাদের ধর্ম গ্রহণ করে তাদের সন্তুষ্ট করা নয় বরঞ্চ ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা। এতে তাদের অনেকে ইসলাম কবুল করে চলেছেন— আলহামদুলিল্লাহ।

যদি তারা ইসলাম কবুল না-ও করেন— তবুও তাদেরকে যাতে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায়, উ-গ্র-বা-দ থেকে হেফাজত করা যায়— এই মিনিমাম লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা।

হতে পারে তাদের বেশিরভাগই ইসলামের মূল ভাষ্যের সাথে পরিচিত হয়ে বিদ্বেষ কমিয়ে আনবেন, অথবা আনবেন না। এই সংখ্যাটা বেশিরভাগ না হয়ে স্বল্প সংখ্যার হলেও কাজে দেবে, ইন শা আল্লাহ।

সম্প্রতি AP Aditya নামের একজন হিন্দু ব্যক্তি লিখেছেন— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইসলামী রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদেরকে নির্যাতন থেকে বাচিয়েছেন। আদিবাসী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছাত্রদের নিরাপত্তা ও লেখাপড়ার মতো মৌলিক অধিকারে সাহায্য করেছেন।

এতে যে বার্তাটা পৌঁছেছে— এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামপন্থীদের উপর প্রধানতম অপবাদ ও অপপ্রচার 'খতম' হয়ে গেছে।

একাডেমিয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হুকুমতে ইলাহিয়া বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আহবান কররে গেলে, সেক্যুলার ও লেফটিস্ট সংগঠনগুলোর বুদ্ধিজীবী ও নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা ও বিতর্কে গেলে কমন একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়—

❝আপনারা তো ইসলামী রাষ্ট্রকল্প নিয়ে এগুচ্ছেন। এতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের আশংকা আছে। 'ইসলামী' বললে তো রাষ্ট্রটা সবার থাকেনা।❞

এই প্রশ্ন ঢাবি শিবিরের নেতা S M Farhad -কে করা হয়েছে। মোট ৫ জন বক্তার দুজন বক্তাই এই প্রশ্নে ইসলামী রাষ্ট্রকল্পকে বৈষম্যমূলক জ্ঞান করে বলেছেন— ইসলামী রাষ্ট্রকল্প নিয়ে তাদের আশংকার জায়গা আছে।

এই যে প্রশ্নগুলো— এগুলোর জবাব আসলে বই লিখে দিতে পারবেন বা পৌঁছাতে পারবেন? ধরেন— আল্লামা ইউসুফ আল কারযাবি বই লিখেছেন— “মুসলিম দেশে অমুসলিম অধিকার”, শুধু উনি না— আরও অনেকে লিখেছেন।

এইসব বই কি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পড়েন বা তারা পড়তে আগ্রহী?  তারা ইসলামী বইমেলায় যান কিংবা একুশে বইমেলায় ইসলামী স্টল থেকে বই কিনেন? উত্তর হল— না।

তাহলে— ইসলামী রাষ্ট্রকল্প যে সকলের নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা প্রদান করে, সেই বিষয়টা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে আপনি কিভাবে পৌছাবেন? আলেমদের বক্তব্য তারা শোনেন না, তাদের লেখা বইপত্র তারা পড়েন না। তাদের সেমিনার ও সভায়ও অংশ নেন না তারা।

তাহলে ইসলামের সুমহান বার্তা, ইসলাম যে সকলের জন্য কল্যাণকর, এটা যে সকলের জন্য এসেছে, এই কথাগুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপায় থাকল একটাই— তাদের সাথে এঙ্গেইজ হতে হবে।

আমরা বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনগুলোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করতে অভ্যস্ত। কখনো কখনো আমরা ট্রল কিংবা হাস্যরসের উপায় বেছে নেই সমালোচনা করতে।

অথচ হুকুমতে ইলাহিয়ার সৌন্দর্য ও উদ্দেশ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছাড়া এবং হুকুমতে ইলাহিয়া বাস্তবায়নের কাজ করা ছাড়া তাদের আর কি উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যেখানে তারা হুকুমতে ইলাহিয়া বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে?

- খালিদ মুহম্মদ ( ঢাবি)

সপ্তক-Saptak 🌿

26 Oct, 04:34


যদি এমন হয়? না মানে, যদি এমন হয়? ধরো, দুজন বন্ধু রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় খেয়াল করলো আকাশে মেঘ করতে শুরু করেছে। অতি দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আকাশে মেঘের রঙ ক্রমশ ঘন হতে হতে বিশালাকার দানবের আকার নিয়েছে। দিনের আলো ঢাকা পড়ে গিয়ে চারিদিকটা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করেছে। মেঘ যেন নিচে আসতে আসতে দিগন্ত ছাড়িয়ে ক্রমশ অন্যদিকে গতিশীল হতে হতে পুরো পৃথিবী ছাপিয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে লোকের কোলাহল শুরু হয়েছে। পাড়ার পঁচাশি বছরের বৃদ্ধও নাকি তার গোটা জীবনে প্রকৃতির এমন রূপ দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন। আসন্ন মহাপ্রলয়ের ভয়ে পৃথিবীর হয়তো এই শেষ দিন বলে লোকজন ভীষণভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শেষবার নূহ নবীর আমলে হয়তো এমন মহাপ্রলয় ঘটেছিল বলে ধার্মিক লোকেরা বলাবলি করতে থাকে। মাটি যেন কেঁপে উঠতে লাগলো। ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে মনে হয়। আর বোধ হয় রক্ষা নেই। এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল! রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ভূমির প্রচন্ড কম্পনে লোকজন এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। আশেপাশে থাকা দৃঢ় জড়বস্তু অবলম্বন করে রাস্তায় ক্রমশ বড় হতে থাকা ফাটলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে থাকে কেউ কেউ। কেউ কেউ এই ভীষণ মুহুর্তে স্বজনদের মুখটা শেষবার দেখার অভিপ্রায়ে বাড়ির দিকে ছুট দেয়। রাস্তার ফাটল বড় হওয়ার সাথে উপস্থিত লোকজনের হৃৎকম্প বাড়িয়ে দিয়ে অতিকায় এক সরীসৃপের মাথা বেরিয়ে আসে। কৃষ্ণকায় বিশালাকার মূর্তিমান আতঙ্ক, যার চোখ জ্বলজ্বল করছে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো, প্রকট হতে থাকে নিজের সর্বাঙ্গকে ভূমির নিচ থেকে উত্তোলন করতে করতে। উপস্থিত লোকজন চিৎকার করতে করতে উক্ত স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হয়। এই প্রাণীটি দেখতে রূপকথার দানবাকৃতি ভুজঙ্গদের মতো মনে হলেও,  আদতে তা নয়। তার চেয়েও বীভৎস এবং ভয়ঙ্কর। সব ধরনের বিভীষিকাময় বিশেষণ যেন ফিকে হয়ে আসে এই ভীষণদর্শন জীবটির সামনে। এ মোটেই পাতালপুরী থেকে উঠে আসা জীব নয়। এ অন্য কোনো মহাবিশ্বের জীব, যে কিনা কোনো এক আশ্চর্য জাদুবলে পৃথিবীর চির ধরিয়ে, পৃথিবীর নিম্নগর্ভ থেকে উদিত হওয়ার অবকাশ পেয়েছে। প্রথমেই উল্লিখিত দুই বন্ধু ছাড়া কেউই নিজের ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে নেই। ত্রিসীমানায় অন্য কোনো জনপ্রাণীর আওয়াজ কর্ণগোচর হলো না। জীবটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেই নিজের সমস্ত জোর খাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে প্রচন্ড জোরে এক গর্জন দিলো। সেই গর্জনে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার জোগাড় হতে লাগলো আশেপাশের কিলো দশেক অবধি অবস্থান করা লোকের। সকলেই নিজের বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা জানালা এঁটে দিয়ে স্বজনদের সাথে নিঃশব্দে বসে নিজ জীবনের অন্তিম ক্ষণ অতিবাহিত করার চেষ্টায় রত। কেউ কেউ তুমুল আলোচনায় রপ্ত। যারা স্বচক্ষে জীবটিকে দর্শন করেছে, তাদের গলা দিয়ে রা সরছে না। এই জীব যদি একবার স্বীয় ক্ষুধা নিবারণে উদ্যত হয়, তাহলে সমগ্র পৃথিবীর সাড়ে আটশো কোটি মানুষকে ভক্ষণ করতে তার খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে না। তবে মানুষের নিকট বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রাদিও তো রয়েছে। এই প্রাণীটিকে হত্যা করা কি খুব শক্ত হবে? মানুষ পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হানিকারক অস্ত্র তৈরি করে নিয়েছে ইতোমধ্যেই। তবে কে বলতে পারে যে, এই প্রাণীর সাথে পৃথিবীর নিম্নদেশ থেকে অন্য সদৃশ প্রাণী মাথাচাড়া দেবে না? যদি একের পর এক প্রাণী বের হয়ে আসতে থাকে, তবে? যদি মানুষের তৈরি সব হাতিয়ার কম পড়তে থাকে এদের সামনে? আর প্রয়োগকৃত অস্ত্র যে শুধু ঐ প্রাণীদেরই ধ্বংস করবে এমনও তো নয়। সাথে মানুষেরও জীবনহানি ঘটবে। কিন্তু ঐ দুই বন্ধুর কথা মনে আছে, যারা তখনও ভূমি আঁকড়ে দাঁড়িয়েছিল? তারা নির্ভয়ে চোখ দুটো প্রাণীটার দিকে স্থির করে তাকিয়ে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই কেন? তারা কি অমরত্ব প্রাপ্ত? তারা কি আসলে মানুষই? নাকি তারাও অন্য কোনো মহাবিশ্ব থেকে  আগমনকারী জীব?


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

25 Oct, 15:57


এই যে!
তুমি নিজেকে জাহান্নামের এক কোণে কল্পনা করে দেখো!

তুমি চিরকাল কাঁদছ! জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ! ছাদগুলো একের উপর একটা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে! চারদিকে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার!

নেই কোনো সঙ্গী, যার সাথে তুমি সময় কাটাবে! নেই কোনো বন্ধু, যার কাছে অভিযোগ করবে!

না আছে ঘুম আর না আছে নিঃশ্বাসের সুযোগ যে তুমি শান্তি পাবে! কা‘ব বলেন, “জাহান্নামবাসীরা তীব্র অনুশোচনায় কামড়ে নিজেদের হাতটা কাঁধ পর্যন্ত খেয়ে ফেলবে তবু টের পাবে না”!

ওহে, দরজা থেকে প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তি! তুমি যদি আমাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করতে, তাহলে আমরা তোমাকে এভাবে বাধা দিতাম না! তুমি যদি আমাদেরকে তোমার অনুতাপের অশ্রু পাঠাতে, তাহলে আমরা আগের সব কিছু ক্ষমা করে দিতাম!

— ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)
[আল-মুদহিশ : ১/১৮৫]

সপ্তক-Saptak 🌿

24 Oct, 17:03


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/205 ]


[ সপ্তম পর্ব ]


তিনটে বই নিয়ে বাড়ি ফেরে আয়ান। নিতুল নেয় দুটো। বাড়ি ফিরে আয়ানের মন বেশ ফুরফুরে লাগে। বিকেলটা ভালোই কেটেছে। মেয়েটার ব্যাপারে ভাবতে বসে সে। মেয়েটা প্রকৃতপক্ষেই সুন্দরী। প্রেমে পড়ার মতো। শুধু আয়ান বলেই নয়। যে কেউ পড়বে, এমন। আয়ান বেশ ক'টা ছবি তুলে দিয়েছিল তাদের। ছবি তোলা তার এক রকমের নেশাই বলা যায়। আর তোলেও ভালো। মেয়েরা আয়ানের ছবি তোলার বেশ তারিফও করেছে। নিতুল ছেলেটা কাজের বটে। আয়ান একলা হলে মোটেই ওদের সাথে আলাপ জমাতে পারতো না। নিতুল কৌশলে তাদের ফেসবুক আইডিও জুটিয়ে নিয়েছিলো। বলেছিল, "আপনারা আপনাদের ফেসবুক আইডি দেন না কেন? এখনকার যুগে নেটওয়ার্কিং যে বিশাল একটা ব্যাপার সে'টা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না আপনাদের। আমরা কানেক্ট হয়ে থাকি, চলুন।" তারাও আপত্তি না করে নিজেদের আইডি শেয়ার করেছিল। সেই থেকেই আয়ান মেয়েটার নাম জানতে পেরেছিল। প্রীতি। কয়েকবার নামটা বিড়বিড় করে সে।

"গড! প্রীতি ইজ প্রিটি।"


মেয়েটাকে মেসেঞ্জারে "হ্যালো, হাই" লিখতে ইচ্ছে হয় আয়ানের। কিন্তু মুহূর্তেই নিজেকে "এর চেয়ে খারাপ ইমপ্রেশন আর কিছু হতে পারে না" বলে মনকে শান্ত করে। ইমপ্রেশন খারাপ করা যাবে না কিছুতেই। কী করা যায়? নিতুলকে ফোন দেয় সে।

- ভাই! কী করছিস?

- কী করবো? কিছুই না। তুই কী করছিস?

- শোন। মেয়েটাকে মেসেঞ্জারে নক দিলি?

- পাগল?

- হাত নিশপিশ করছে।

- তাহলে -------

- ছি, ছি! ভুল হয়ে গেছে এ কথা বলে।

- হা হা হা।

- শোন না, ভাই।

- বল না।

- ক্রাশ খেয়ে গেছি ভাই।

- আস মোমেন্ট।

- ধুর! তুই প্রীতির বান্ধবীদের যেকোনো একটাকে নিয়ে নে। আপত্তি করবো না।

- সেইম টু ইউ।

- সে মুসলিম। তুই কেন এত উৎসাহী, শালা?

- ভালোবাসা মানে না কোনো জাত, ধর্ম, বর্ণ  লিঙ্গ।

- তুই আমার বন্ধু না?

- তো?

- কিছু একটা কর।

- রোসো, বৎস। রোসো। এত অধৈর্য হলে চলে না। সবুরে মেওয়া ফলে। এখন ফোন রাখ। খিদে পেয়েছে। খাবো।


নিতুল ফোন কেটে দেয়। আয়ান নতুন কেনা বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখে। পড়তে ইচ্ছে হয় না তার। বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। তারপর, ফোন হাতে নিয়ে প্রীতির ফেসবুক আইডিটা স্ক্রল করতে থাকে। প্রীতির ফিচার করা স্টোরিগুলো থেকে শুরু করে আপলোড করা সব প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো সহ যাবতীয় পোস্টগুলো দেখতে থাকে সে। ভুলে আঙুলের ছোঁয়া লেগে পুরনো কিছুতে রিয়েক্ট যাতে না পড়ে, সেদিকে সতর্কও থাকে সে। কোনো কোনো ছবিতে কোনো কোনো ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি দেখে মন খারাপ হতে থাকে তার। বেশ অনেকক্ষণ ধরে আইডি ঘাঁটাঘাঁটি করে নিশ্চিত হয় যে, মেয়েটা কারো সাথে রিলেশনশিপে নেই। সিঙ্গেলই।



[ চলবে..... ]

©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Oct, 05:29


জরুরিভিত্তিতে ৮ ব্যাগ AB- ('এবি' নেগেটিভ) রক্তের প্রয়োজন

⚠️ রোগের ধরণ: কোলন ক্যান্সার (colon cancer)
🩸 রক্তের গ্রুপ: AB(-ve) ('এবি' নেগেটিভ)
💉 রক্তের পরিমাণ:  ৮ ব্যাগ
📆 রক্তদানের তারিখ: ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে
🏥 রক্তদানের স্থান: আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল, প্লট-০৩, এমব্যাংকমেন্ট ড্রাইভ ওয়ে, সেক্টর-১০, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা
☎️ যোগাযোগ: 01717384575

সপ্তক-Saptak 🌿

17 Oct, 17:09


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/196 ]

[ ষষ্ঠ পর্ব ]


আয়ান আর নিতুল দুজনেই তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মেয়েটা আর তার সাথের দুটো মেয়ে অবাক হয়ে তাকায় তাদের দিকে। আয়ানের পা কাঁপছিল। নিতুল বলে উঠলো, "আপনারা ব্যোমকেশ বক্সীর কমিক্স পড়েছেন? নতুন এসেছে। ঐ পেছনের সেকশনে গেলে দেখবেন।" মেয়েরা কিছু না বলে তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে। তাদের চোখ মুখের চাহনি দেখে কস্মিনকালেও ব্যোমকেশ বক্সীর নাম শুনেছে বলে মনে হয় না। এমব্যারেসমেন্টের চূড়ান্ত। আয়ান এমন ভান করে থাকে যে সে নিতুলের পাশে দাঁড়ানো হলেও, নজর তার অন্যদিকে। সে আরেক দিকে তাকিয়ে "কী যেন দেখছে" এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে রইল। মেয়েদের "কিংকর্তব্যবিমূঢ়" অবস্থা দেখে নিতুল ফের বলে ওঠে,"সেকী! আপনারা ব্যোমকেশ বক্সী পড়েননি কখনো?" মেয়েদের মধ্যে একটা মেয়ের গায়ের রঙ একটু শ্যামলা। সে উত্তর দিলো,"না, শুনিনি। কেন?" নিতুল দু হাত জোড় করে হাত নাড়িয়ে বললো, "ইউ ডোন্ট নো হোয়াট ইউ হ্যাভ মিসড। আপনাদের তাহলে ব্যোমকেশের নভেল ট্রাই করতে হবে আগে।"  এবার সেই মেয়েটা কথা বললো।

"কীরকম বই ওটা?"
"গোয়েন্দা গল্প। অসাধারণ। হোমস পড়েছেন? হোমস ভালো লাগে ব্যোমকেশও ভালো লাগবে। গ্যারান্টি দিচ্ছি।"
" না, সরি। গোয়েন্দা টোয়েন্দায় ইন্টারেস্ট নেই। আমরা হুমায়ুন আহমেদের বই খুঁজছি।"
"তাই? আরে, বি মাই গেস্ট। আমার প্রিয় সাহিত্যিক। সবক'টা বই পড়া আমার। এদিকে আসুন দেখাচ্ছি আমাদের।"

এই কথা বলেই নিতুল সামনের দিকে পা বাড়ালো আয়ানের দিকে না তাকিয়েই। যেন নিতুল এই লাইব্রেরির মালিক বা ওয়ার্কিং স্টাফ এমন কেউ। আয়ান এইবার নিতুলের চলে যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে মেয়েদের দিকে আরেকবার তাকালো। মেয়েরা হয়তো ভাবছে নিতুলের পেছন পেছন যাবে কিনা। আয়ান একটু সংকোচ কাটিয়ে বললো, "যান ওর সাথে। ও ভালো বইয়েরই সন্ধান দেবে আপনাদের।" নিতুল পেছন ফিরে হাত নেড়ে তার দিকে যাওয়ার জন্য ইশারা করলো। মেয়েরা আর দাঁড়ালো না। আয়ানও চললো তাদের পেছন পেছন।

লাইব্রেরিটা বিশাল। একেকটা সেকশনে বিশাল সংখ্যক বই রাখা রয়েছে। নিতুল আর আয়ান প্রায়শই লাইব্রেরিতে আসে বলে লাইব্রেরির প্রতিটি কোণা তাদের নখদর্পণে। একটা কর্নারে গিয়ে নিতুল থমকে দাঁড়ালো এবং শেলফে রাখা বইগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে বইগুলো দেখতে লাগলো। নিতুল চশমা পরে। উচ্চতায় আয়ানের মতই। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চেহারা জুড়ে একটা চটপটে ভাব। সে বই দেখতে দেখতে চট করে দুটো বই তুলে আনলো শেলফ থেকে। বললো, "এই নিন। এই দুটো পড়ে দেখুন। আমি বলছি, ওর্থ ইট হবে। দাঁড়ান, আগে পড়া নেই তো আবার?"
মেয়েটা বললো, "না, এগুলো পড়া হয়নি।"
"বেশ, বেশ। তাহলে মাস্ট রীড। আর কিছু দেখবেন? কোন জনরা চাই বলুন?"
"আপনি কি এখানের কেউ? মানে কাজ টাজ করেন? না মানে বলছি, কারণ আমাদের এভাবে হেল্প করছেন তাই।"
"দেখুন এখানে আমি আর আমার বন্ধু আয়ান ক'দিন পর পরই এসে বই কিনি। তাই এই জায়গাটা খুব আপন হয়ে গেছে। নিজের ভাবতে কোনো দ্বিধা নেই।"
"আচ্ছা, আচ্ছা।"

আয়ান নিতুলের পাশে এসে দাঁড়ালো। নিতুল আর আয়ান মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো একবার। এর মধ্যে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কী যেন কথা বলতে লেগে যায়। নিতুল ফের তাদের কথায় বাঁধা দিয়ে ওঠে। "বাই দ্য ওয়ে, আমার নাম নিতুল। আর এ হচ্ছে আমার বন্ধু আয়ান। আপনারা ছবি তুলবেন তো? আয়ানকে দিন। ও খুব ভালো ছবি তুলতে পারে। বেস্ট ফটোগ্রাফার ইন দ্য টাউন।"


[ চলবে..... ]

©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

16 Oct, 18:43


যারা ৩৫ এর পক্ষে তাদের বেশিরভাগ হলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করে বয়স খেয়েছে, হলে থাকার জন্য ছাত্রলীগের চামচামি করেছে অথবা নিজেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে, এইভাবে ৪ বছরের অনার্স ৬/৭ বছরে নিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পায়নি। এখন সুযোগ পাইছে, আর এমনিই ৩৫ করে নিলো।
আর একটা কথা ৩৫ করাতে লাভ হবে বেশিরভাগ দলীয় লোকদের জন্য, রাজনীতি করে বয়স শেষ করেছে আর এখন ক্যাডার হবে।

সপ্তক-Saptak 🌿

15 Oct, 10:54


স্বপ্ন


আমি বরাবরই অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নগুলোর কোনো অর্থ থাকে না। একদিন দেখি, আমি আর শাহরুখ খান ট্রেনে করে কোথায় একটা যাচ্ছি। জানলা দিয়ে বাইরে তাকালে বোঝাই যাচ্ছিল যে, আদতে সেটা ট্রেনই। কিন্তু যখন ভেতরে চারিদিকে চোখ ঘোরালাম, দেখি আমি একটা ক্লাসরুমে বসে আছি। ভেতরে অনেকগুলো বেঞ্চ। সামনে বড়সড় একটা ব্ল্যাকবোর্ড দেয়ালের সাথে সাঁটা। টিচারের টেবিল আর চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। ক্লাসরুমও ফাঁকা। যখনই ক্লাসরুম ফাঁকা কেন ভাবছি, দেখি দু তিনটে ছেলে এসে ঢুকেছে। চিনতে পারিনি তাদের। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিচিত কয়েকজনের মুখ দেখতে পেলাম, যারা বসে ছিল সামনের বেঞ্চগুলোতে। এখানেও একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখলাম। যাদের কখনই একসাথে থাকার কথা না, তারা একসাথে বসে আছে। গল্পও করছে। আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে। বিনিময়ে আমিও হাত নাড়ছি। কিন্তু আমার পাশে যে শাহরুখ খান বসে আছে,  সেদিকে তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। শাহরুখ খানের সাথে বাংলায় কথা বলেছি না হিন্দিতে, তা মনে পড়ছে না।


আরেকদিন দেখি, আমি একটা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সাথে একটা মেয়ে। মেয়েটাকে আমি মনে মনে ভালোবাসতাম একসময়। মেয়েটা আমার পাশাপাশিই হাঁটছিল। দিনের বেলার জঙ্গল ছিল ওটা। চারিদিকে কীসব পাখি-টাখির কিচিরমিচির আর বুনো জন্তুর ডাক শোনা যাচ্ছিল। বাঘের গর্জনও শুনেছিলাম কিনা, মনে পড়ে না। আমি কেন যেন একটা কারণে ঘাবড়ে গেছিলাম। সে আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, "ভয় নেই। আমি আছি।" আমার পুরুষত্বে একটুও আঘাত লাগেনি তখন। মেয়ে হয়ে আমাকে ভরসা দিচ্ছে। এটা কোনো কথা? জেগে থাকলে হয়তো লাগতে পারতো। জানি না। স্বপ্নের আরও অনেক কিছু মনে নেই। একাংশ মনে আছে, যেখানে সে আর আমি নদীর ধারে ডাঙায় রাখা একটা ভাঙা নৌকোর ওপরে বসেছিলাম। বসে গল্প করছিলাম কিছু একটা নিয়ে। তখন সূর্যাস্তের সময় ছিল। সূর্যাস্তের সময় চারিদিকটা কেমন মায়াময় হয়ে পড়ে এটা যারা ঠিকঠাক সূর্যাস্ত দেখেছে, তারা বলতে পারে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় পশ্চিমকাশ বিভিন্ন রঙে রঙাচঙা হয়ে ওঠে। মেয়েটার মুখেও কেমন একটা রঙ দেখতে পেয়েছিলাম আমি। মনে হচ্ছিল, চুমু খাই ওর গালে। কিন্তু বাস্তবে যেমন ঐ কাজটি করার সাহস হতো না, স্বপ্নেও হয়নি। তবে ঘুম ভেঙে মনটা ভালো হয়ে গেছিল। রোজ রোজ তো আর অমন স্বপ্ন আসে না।


আরেকটা স্বপ্ন আমি ফ্রিকুয়েন্টলি দেখি। মানে, ঐ একই ধরনের স্বপ্ন। দেখি কী, আমি  এক্সামের আগের রাতে বই খুলে বসে আছি কিন্তু কোনো পড়াই শেষ হয়নি। সব বাকি। পাগলের মত করে পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছি আর এটা ওটা দেখছি। প্ল্যান করছি, কী কী আসতে পারে আর কী কী বাদ যেতে পারে। প্ল্যান করে খুশি হয়ে পড়ি। স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী,  সারারাত এটা ওটা পড়ি। কিন্তু ভোর পাঁচটা হতেই এত প্রবলভাবে ঘুম আমাকে পেয়ে বসে যে, আমি টেবিলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। আটটার দিকে মা জাগিয়ে দেয় এসে। দেখি পড়া অর্ধেকই শেষ হয়নি। আর দেরিও হয়ে গেছে। পরীক্ষার হল বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তাড়াহুড়ো করে বের হই কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে ভুলে যাই। ফের ফিরে আসি। আবার প্রবেশপত্র নিয়ে বের হই। আরও দেরি হয়ে যায়। এর মধ্যে রাস্তায়ও থাকে জ্যাম। ষোলকলা হয় পূর্ণ! এক্সাম হলে গিয়ে পৌঁছই এক্সাম শুরুর আধঘন্টা পরে। গিয়ে আরও অবাক হয়ে যাই। আমার প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির সব ক্লাসমেট-বন্ধুবান্ধবরা একই জায়গায় পরীক্ষা দিতে এসেছে। কেন কে জানে। এর মধ্যে আমি আবার আমার সীট খুঁজে পাই না। হল জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি দেখে স্যার ডেকে পাঠায়। বলে, "তুমি খালি গায়ে পরীক্ষা দিতে এসেছ কেন?" তখন খেয়াল হয়, তাড়াহুড়ো করে শার্টটাও গায়ে দিইনি। শুধু প্যান্ট পরে এসেছি। ভাগ্যক্রমে, ব্যাগেই একটা শার্ট ছিল। সেটাই গায়ে দিই।


আজ সকালে যে স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙেছে সেটা বলছি। দেখি, আমি শুয়ে আছি। তখনই প্রচন্ড জোরে কী একটা ভাঙার শব্দ হয়। মাথা তুলে দেখি আমার পায়ের কাছে উইলিয়াম বুচার বসে আছে আর ভাঙা দরজার কপাট হাতে দাঁড়িয়ে আছে স্বয়ং হোমল্যান্ডার। উইলিয়াম বুচার তখন আমার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলছে, "Oi, mate! Still sleeping, eh?"


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Oct, 18:01


মেয়েদের চাকরির বয়সসীমা ৩৭ ঠিক আছে। তবে সেটা ঊর্ধ্বসীমা না হয়ে নিম্নসীমা হলে ভালো হতো। তাহলে আর চাকরির সাথে বিয়ের কনফ্লিক্ট হতো না। বিয়ে করে, বাচ্চাকাচ্চা বড় করে, তাদের বিয়ে দিয়ে, এরপর নিশ্চিন্তে চাকরিতে ঢুকতে পারত।
স্যরি।🙂

-ত্বহা ভাইর দোষ

সপ্তক-Saptak 🌿

10 Oct, 17:02


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/185 ]


[ পঞ্চম পর্ব ]


লাইব্রেরির কাছে এসে এক জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে আয়ান আর নিতুল নেমে পড়ে। আজ শুক্রবার হওয়ায় লাইব্রেরিতে ভীড় বেশি। ভীড় বেশি হলে কী হবে, বেশিরভাগ লোকই লাইব্রেরিতে এসেছে শুধু ফটোশ্যুট করতে। বই হাতে নিয়ে "মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছি" এমন ভাব করে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাই তাদের কাজ। এরচেয়ে বেশি বইয়ের সাথে তাদের আর সম্পর্ক নেই। এস্টেথিক লাগে না কী দেখতে। অনেকে স্যুডো বিবলিওফাইলও সাজে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অমুক বই পড়ে ফেলেছে, অমুক বইয়ের তমুক ক্যারেক্টার তার পছন্দ, অমুক লেখকের নামে কেউ কিছু বললে সে রেগে যায় তো তমুক লেখককে দেখতেই পারে না - এসব চলে তাদের মাঝে। যখন সত্যি সত্যি তাদের জিজ্ঞেস করা হয় - তাদের পছন্দ বা অপছন্দের কারণ, তখনই তব্দা খেয়ে যায়। এমন লোককে বিরক্ত লাগে আয়ানের। সে গম্ভীর ভাবে লাইব্রেরির শেলফগুলোর দিকে দেখতে থাকে। তার চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। লাইব্রেরিতে ঢুকেই আয়ান আর নিতুল আলাদা হয়ে পড়ে। দুজনেই ভাগ হয়ে নিজ নিজ পছন্দের সেকশনে খোঁজ চালায়।

আয়ান একটা বই হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে দেখছিলো। নিতুল ততক্ষণে তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে তার কাঁধে হাত রেখে বললো, "ভাই, শোন। এদিকে আয়।" নিতুলের ইশারায় মুখে কিছু না বলেই তার পেছন পেছন যেতে থাকে আয়ান। নিতুল এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে বলে, "ডান দিকে তাকা।" ডান দিকে তাকিয়ে কী দেখবে সেটা কিন্তু সে বলে না। আয়ান তাকায় সেদিকে। দেখে, একটা মেয়ে। নীল শাড়ি পরা। মেয়েটার সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে যেন সৌন্দর্যের ঢেউ বইছে। মেয়েটার উচ্চতা পাঁচ ফিট তিনের মত হবে। খোলা চুল পেছন দিকে কাঁধ পেরিয়ে পিঠ অবধি গেছে।
এছাড়া মেয়েটার চওড়া কপাল, সরু নাক, গোল চোয়াল আর পাতলা ঠোঁট। শাড়ির সাথে ম্যাচ করে কানে নীল রঙের ঝুমকোও আছে। সাথে দুটো মেয়ে আছে, যাদের সাথে কথা বলছে আর থেকে থেকে মুচকি হাসছে। আশেপাশের সবার দৃষ্টি যে আকর্ষণ করেছে সেটা লোকজনের মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছিল। ওপাশ থেকে নিতুল আয়ানকে একটা চিমটি দিল।

- কীরে! চোখ দেখি সরছেই না, হ্যাঁ?

- এ তো সাক্ষাৎ নীল পরী!

- তাতো বটেই। চল, আলাপ করি।

- অ্যাঁ?

- হ্যাঁ, চল।

- সেকী, ধুর! না, না। ছ্যাঁচড়া ভাববে।

- আরে ভাবলেই বা কী? পাত্তা না দিলে চলে আসব। ব্যস!

- না, ভাই। মাফ কর। বই কিনতে এসেছি। বই কিনে চলে যাব। মেয়েদের ডিস্টার্ব করা ঠিক না।

- এত ভয় আর লজ্জা নিয়ে জীবনে বাঁচা যায় না, বুঝলি? আর আলাপ করতে যাওয়া আর ডিস্টার্ব করা এক নয়।

- না, ভাই।

- আরে, চল তো।

আয়ানের হাত ধরে টান দিয়ে সামনের দিকে এগোলো নিতুল।


[ চলবে......... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

10 Oct, 03:13


একটি আদর্শ কন্যা সন্তানের পিতা দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে গর্বিত পিতা।

যে দিন আমার বন্ধু সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মেয়ের মাথায় নাইন এমএম পিস্তল ঠেকিয়ে জামায়াতের নেতাদের রায় নেওয়া হয়। সেদিন রাত আনুমানিক ২ টা বাজে সিনহা আমাকে কল দিয়ে পুরো ঘটনা টা বলে এবং সে আপসোস করে আমাকে বলে (বন্ধু আজ তারা পুরো মুসলিম জাতির কাছে আমাকে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে। তখন আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি তাদের পরের টার্গেট আমি। আমার মেয়েটা ছোট তখন সে ক্লাস নাইনে পড়ে তাই এনিয়ে আমি আমার মেয়েকে সাবধান করতে গিয়েছিলাম। তখন আমার এ-ই ছোট্র মেয়েটি আমাকে বলে..



বাবা আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছো। বাবা আমি এটাও জানি সিনহা আঙ্কেলের মেয়ের মতো কেউ হয়তো আমার মাথায়ও পিস্তল ঠেকিয়ে তোমাকে অন্যায় রায় লিখতে বাধ্য করতে পারে।
কিন্তু বাবা জানো.? আমার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ​​যখন সবার সামনে এসে তোমার প্রশংসা করতে থাকে তখন আমার এত ভালো লাগে যে বলে বোঝাতে পারব না।
বাবা কখনো যদি এমন হয় তুমি রায় লিখার সময় কেউ আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তোমাকে তাদের ইচ্ছে মতো রায় লিখতে বলে তুমি তাদের কথা শুনবে না।
বাবা তুমি তোমার রায়'ই লিখবে। যদি তখন ওই খারাপ লোকেরা আমাকে মেরে ফেলে তাহলে তখন তো আমি আল্লার কাছে চলে যাব। আর যখন আল্লাহর কাছে থাকব তখন আল্লাহকে আমি বলবো আল্লাহ যেন তোমার হায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তুমি যেন তাদের বিচার করতে পারো।

.

আমি খুব শক্ত মনের মানুষ আমার চোখের পানি কখনো আমার সহধর্মিণীও দেখেনি কিন্তু সেদিন আমার মেয়ের মুখে এ-ই কথা টা শুনে ভাবতে লাগলাম জীবনে কোন ভালো কাজের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহ আমাকে এই মেয়ে দিলেন।..আর নিজের অজান্তেই চোখের পানি বেরিয়ে আসে অনবরত।

- জাস্টিস এম রহমান

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 18:25


কতবার'ই তো পালাতে চাই সব কিছু ছেড়ে,
চক্রাকারে ওই একই দিন, একই সন্ধ্যা, একই রাত একই চিন্তা।

এবার ঠিক পালিয়ে যাবো, ভাবতে ভাবতে আর পালানো হয় না কোথাও।

©️prionty

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 18:15


আড্ডা গল্প ১০


মোহনঃ প্রতিবছর প্ল্যান করি ১০০ খানা মুভি দেখবো আর ১০০ খানা বই পড়বো। কিন্তু ঐ প্ল্যান করা পর্যন্তই ব্যাপারটা আটকে থাকে ; তা আর কাজে পরিণত করা হয় না।

সিরাজঃ ঠিকই বলেছিস।

মোহনঃ আমি হিসেব করে দেখলাম মাত্র তেরোখানা বই পড়েছি এই বছরে।

ম্যাক্সঃ আমার একুশটা হলো এই অবধি।

সিরাজঃ দারুণ! আমার তো একদম কম।  তিনটে মাত্র।

ম্যাক্সঃ বলিস কী! এত কম কেন ভাই?

সিরাজঃ হয় না ভাই সময়। যখন সময় হয় তখন আবার পড়ার মুড থাকে না।

মোহনঃ ফেসবুকটা বাদ দিতে হবে ভাই, যা বুঝছি।

ম্যাক্সঃ এখনও দিতে হবে ভাবছিস? এত মায়া কেন ভাই ফেসবুকের প্রতি?

মোহনঃ মায়া বড়ই ভয়ংকর!

ম্যাক্সঃ তুই ক'খানা বই পড়লি রাজু?

রাজুঃ আটচল্লিশটা।

মোহনঃ উসকি মা কি!!

সিরাজঃ সেরা ভাই।

ম্যাক্সঃ স্যালুট, গুরু। আর মুভি ক'টা দেখলি?

রাজুঃ বেশি না। ত্রিশটার মতো হবে আর সিরিজ তিনটা।

ম্যাক্সঃ আটচল্লিশ ভাই!! কী করে পারলি? অসাধারণ। তোর লিস্টটা দে তো।

রাজুঃ দিয়ে দেবো। কিন্তু কবীর আমার চেয়ে এগিয়ে।

মোহনঃ হোয়াট দ্য হেল!! কত?

রাজুঃ ওর বই হয়েছে আটাত্তরটা,  মুভি হয়েছে পঁয়ত্রিশটা আর সিরিজ দুটো মনে হয়।

মোহনঃ ও মাই.... [ সেন্সরড ]।

সিরাজঃ তোরা মানুষ না ডোরেমন ভাই?

ম্যাক্সঃ যাই হোক, মুভি আর সিরিজে তোদের বীট করতে পেরেছি। আমার মুভি হয়েছে ছাপ্পান্নটা আর সিরিজ সাতটা।

মোহনঃ ড্রিম, ভাই। ড্রিম।

রাজুঃ ওয়াও! খাওয়া।

সিরাজঃ একাডেমিক পড়াশোনায় মন দে ভাই তোরা। মুভি দেখনেসে ঘর নেহি চলতা।


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 10:14


তিনি হবেন আমার তিলোত্তমা । সৌন্দর্য ধারণার সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে সে গড়া ।

সপ্তক-Saptak 🌿

08 Oct, 15:53


সকাল অবধি

হোঁচট খেয়েও পড়ে যাইনি। সামলে নিয়েছি কোনোরকম। কী একটা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিলাম। হোঁচটের সাথে সাথে ভাবনাটাও হারিয়ে গেছে। সূর্য এখনো ওঠেনি। কুয়াশায় ভরা চারদিকটা দেখতে আলাদাই ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু ঠান্ডায় কানটা জমে গেছে যেনো। হাত দুটো জ্যাকেটের পকেটে ঢুকিয়ে গরম রাখছি আর একটু পর পর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কানে হাত রাখছি। জ্যাকেট পরার পরও শরীরটা কেঁপে উঠছে একটু পর পর। অথচ একটা পাগল প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চিতে গায়ে একটা কাপড় জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। কাপড়টা একটু মোটা যদিও তবে আমার জ্যাকেটের কাছে ওটা কিছুই নয়। কীভাবে ঘুমাচ্ছে ও? ওর শীত করে না? রাস্তায় ঠান্ডার মধ্যে যাদের ঘুমোতে হয় তাদের কথা ভাবলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।

প্ল্যাটফর্মের বাতিটা এখনো জ্বলছে। স্টেশনটা তিন বছর হতে চললো পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। আবার কবে রেল চলাচল শুরু হবে কেউ জানে না। স্টেশন মাস্টার আছে কিনা জানি না৷ একদিন বিকেলবেলা স্টেশন মাস্টারের চেম্বারে একটা লোককে ঢুকে কীসব করতে দেখেছি। সম্ভবত ঐ লোকটাই স্টেশন মাস্টার। তবে কি লোকটা কিছু না করেই বেতন পাচ্ছে? কে জানে! কবীর হাই তুলে বললো, " চল ভাই, সামনে বেঞ্চটাতে গিয়ে একটু বসি। "
আমার এখন বসতে ইচ্ছা করলো না। বললাম, " না না। সামনে যে পুলটা আছে ওটা পার হই আগে। তারপর বসা যাবে। "

কবীর কিছু না বলেই হাঁটতে থাকলো। হঠাৎ আমাদের পেছন দিক থেকে খসখস করে হাঁটার শব্দ পেলাম। কেউ হেঁটে আসছে। দুজনে একসাথেই ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম। একটা সাদা মতো কী যেনো ভেসে আসছিলো। ভয় পাওয়া উচিত?
কিন্তু ভয় পেলাম না কারণ দুজন আছি। সাথে একজন থাকলে ভয় টয় লাগে না সাধারণত। প্ল্যাটফর্মে যে বাতিটা জ্বলছিলো সেটার সামনে সাদা জিনিসটা আসতেই বোঝা গেলো একটা লোক আসছে। আরেকটু কাছে আসতেই চিনতে পারলাম লোকটাকে। একটা লম্বা সাদা পাঞ্জাবি পরে রেলওয়ে মসজিদের ইমাম হেঁটে আসছেন। মসজিদের ইমামদের যতোই ঠান্ডাই লাগুক বা যতোই ঝড়-তুফান হোক মসজিদে হাজিরা দিতেই হয়। ওঁদের কাছ থেকে মোটিভেশন নিয়ে পড়াশোনাটা ঠিকঠাক করতে পারলে ভালো হতো। শুধু উনিই না, আমাদের সমাজে এমন অনেক কিছু আছে যেসব থেকে মোটিভেশন নেয়া যায়। কিন্তু নিই না। আমরা সামনের দিকে হাঁটা দিলাম। প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে রেল লাইন ধরে এগোতে লাগলাম। প্ল্যাটফর্মের বাতিটার আলো কিছু দূর হাঁটতেই ক্ষীণ হয়ে এলো। কবীর ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বাললো। ঠান্ডা আরও বাড়ছে।রেললাইনের একপাশে খোলা জমি। অন্য পাশে ছোটো ছোটো ঝুপড়ি ঘর আছে। ঘরগুলোর মাথার উপরে একেকটা গাছ গলা বাড়িয়ে সামান্য ঝুঁকে আছে। দুএকটা গাছের কঙ্কালসার পাতাহীন দেহ। গাছ টাছ চিনি না খুব একটা তাই নামগুলো বলতে পারছি না।
তখনই মসজিদ থেকে আজানের শব্দ শোনা যেতে লাগলো। আজানের শব্দ শুনে কেমন একটা ঘোর লেগে গেলো যেনো। হাঁটছি ঠিকই। আগের মতো অন্যমনস্ক হয়ে। ঐ যে হোঁচট খেয়েছিলাম যখন। মনে পড়ে গেলো এক রাতের কথা। একবার রাত্রিরবেলা এরকম ভোররাতের সময় প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বারান্দায় বসে ছিলাম। কদিন খুব গরমের পরেই ওরকম ঝড় হচ্ছিলো তাই বারান্দায় বসায় ঠান্ডা হাওয়ায় শরীরটা ফুরফুরে লাগছিলো। তখনই এরকম আজানের শব্দ শোনা যেতে লাগলো। মনোযোগ দিয়ে শুনতে শুনতে আমার মনে কেমন যেনো একগাদা বিষণ্নতা এসে ভীড় করেছিলো তখন। কারণ জানি না। কান্না পেয়েছিলো তখন খুব। কেঁদেওছিলাম। আসলে আমার মনে হয়, আমাদের মন যখন খুব ভারি হয়ে যায় তখন প্রকৃতি আমাদের ওপর সদয় থাকলে মন হালকা করার কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে দেয়। ঐদিন আমার কান্নাটা দরকার ছিলো। প্রকৃতিতে একটা বিশেষ উপাদান আছে যা এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কবীর বলে, " একটা বিশেষ শক্তি প্রকৃতিতে আছে। এই শক্তির একটা উৎস আছে। সেই উৎস কোথা থেকে কীভাবে কাজ করে তা আমাদের বোঝার মতো জ্ঞান নেই। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে এই শক্তির প্রকাশ অনুভব করতে পারি মাঝেমাঝে। "

কুয়াশার জন্য সামনেটা ঝাপসা। কুয়াশা ভেদ করে চলেছি আমরা। পুলের কাছে এসে পড়তেই মাথার উপর দিয়ে একটা পাখি উড়ে গেলো। অন্ধকার কেটে গিয়ে আকাশটা গাঢ় নীল রঙে পরিণত হচ্ছে ধীরে ধীরে। পুলের ওপর বেশিক্ষণ বসা গেলো না। ঠান্ডা যেনো আরও বেশি জাঁকিয়ে ধরছে। আবারও উঠে সামনের দিকে পা বাড়ালাম দুজনে। আমাদের দুজনের কেউই হয়তো অগাস্ট সি দুপাঁর মতো নই। তবে শখ জাগতেই পারে। প্যারিসে হাঁটতে না পারলেও নিজ দেশেই এরকম নিশিযাপন করা যায়। আলো ফুটতে লাগলো একটু একটু করে। একটা গ্রামের মতো জায়গায় এসে পড়েছি। সামনে কবরস্থান আছে। সারারাত হেঁটে এলাম অথচ সামনে একখানা কবরও পড়েনি। দিনের আলোয় অনেক কিছুর ভয়ই তো কেটে যায়। দিনের আলো হচ্ছে স্বচ্ছ আলো। অকৃত্রিম আলো। দিনের আলো রোজ নিশ্চয়তা দেয় অন্ধকার কেটে যাওয়ার। অন্ধকার যতোই ঘনীভূত হোক, তারপরে আলো আসেই। তবে দিনও সবসময় রোদেলা হয় না। মেঘলাও হয়। রোদেলাও হয় তো। আশা রাখতে হবে। কার ওপর? নিজের অন্তরাত্মার ওপর। ঐ যে একটা শক্তি আছে নিজের মধ্যে, তার ওপর। আমি আর কবীর হাঁটতে হাঁটতে একটা খোলা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াই। সূর্য আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। আশীর্বাদ করছে।

সপ্তক-Saptak 🌿

08 Oct, 15:53


উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার করছে। নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত নক্ষত্র যেনো নিজ তেজের অহংকারে আরও উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে। কবীর বললো, "দিনের বেলায়ও তারা দেখতে চাস?"
জিজ্ঞেস করলাম, "কীভাবে?"
"ঐ যে সূর্য। একটা তারা।"
"লেইম।"


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

05 Oct, 15:06


ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি: “A World of Three Zeros” বইটির আলোকে আরেকটি নোবেল পুরস্কার যে কারণে পেতে পারেন!
ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি বিশ্বের কাছে “ড. ইউনিভার্স” নামে পরিচিত, তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। এই কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর অবদান এখানেই শেষ নয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই “A World of Three Zeros” এ, ড. ইউনুস একটি নতুন এবং সাহসী ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যা তিনি “Three Zeros” থিয়োরি নামে পরিচিত করেছেন। এই থিয়োরি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়ে গঠিত: Zero Poverty, Zero Unemployment, এবং Zero Net Carbon Emissions। এই ধারণা বাস্তবায়িত হলে এটি আবারও ড. ইউনুসকে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে নিয়ে আসতে পারে, এবং কেননা এই থিয়োরি আমাদের বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির সমাধান হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
Zero Poverty: দারিদ্র্যের অবসান
ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরির প্রথম লক্ষ্য হল Zero Poverty, অর্থাৎ দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান। তিনি বিশ্বাস করেন যে দারিদ্র্য কেবল অর্থনৈতিক সমস্যার ফল নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সমস্যা যা সঠিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে ছোট ঋণ মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারে। এই মডেলটি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কার্যকর একটি উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং ড. ইউনুস এখন আরও বড় পরিসরে এই ধারণাকে প্রসারিত করতে চান, যাতে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান সম্ভব হয়।
Zero Unemployment: কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা
Three Zeros থিয়োরির দ্বিতীয় লক্ষ্য হল Zero Unemployment, অর্থাৎ বেকারত্বের সম্পূর্ণ অবসান। ড. ইউনুস বিশ্বাস করেন যে প্রত্যেক মানুষের কর্মসংস্থান একটি মৌলিক অধিকার, এবং এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তিনি সোশ্যাল বিজনেস মডেলগুলোর ওপর জোর দেন। এই মডেলগুলো লাভের পরিবর্তে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়, যা কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়ক। ড. ইউনুস মনে করেন যে এই মডেলগুলো যদি বৈশ্বিকভাবে গৃহীত হয়, তাহলে বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
Zero Net Carbon Emissions: পরিবেশের রক্ষা
Three Zeros থিয়োরির তৃতীয় এবং সর্বশেষ লক্ষ্য হল Zero Net Carbon Emissions, অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণকে সম্পূর্ণভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে হলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস একটি জরুরি পদক্ষেপ। ড. ইউনুস বিশ্বাস করেন যে সোশ্যাল বিজনেস মডেলগুলোর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলোর প্রসার ঘটানো সম্ভব, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যদি এই মডেলগুলি বৈশ্বিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে পৃথিবীকে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ড. ইউনুস ইতিমধ্যে তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণার জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন, এবং তিনি দেখিয়েছেন যে একজন ব্যক্তি কীভাবে বৈশ্বিক পরিবর্তন আনতে পারে। তাঁর “A World of Three Zeros” বইয়ে প্রস্তাবিত Three Zeros থিয়োরি, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব, এবং কার্বন নিঃসরণের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান প্রদান করে, নোবেল পুরস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী প্রার্থীতা হতে পারে। এই থিয়োরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি টেকসই, ন্যায়সংগত, এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি আমাদের সময়ের জন্য একটি প্রয়োজনীয় সমাধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদি এটি বৈশ্বিকভাবে গৃহীত এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি তাকে আরও একবার নোবেল পুরস্কারের সম্মান এনে দিতে পারে। তাঁর এই সাহসী এবং প্রয়োজনীয় ধারণা বিশ্বকে একটি নতুন পথে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ, দারিদ্র্যমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব পৃথিবী সম্ভব হবে।
ড. ইউনুস তাঁর কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে ইচ্ছুক একজন ব্যক্তি কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন। তাঁর “A World of Three Zeros” বইয়ে উল্লিখিত Three Zeros থিয়োরি শুধুমাত্র একটি ধারণা নয়; এটি একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা যা আমাদের ভবিষ্যতকে পরিবর্তন করতে পারে। এই থিয়োরির জন্য তাঁর নোবেল পুরস্কারের যোগ্যতা নিঃসন্দেহে প্রাপ্য, এবং আমরা আশা করি যে বিশ্ব এটি গ্রহণ করবে এবং এই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করবে।
Yusuf Chowdury

সপ্তক-Saptak 🌿

03 Oct, 16:40


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/177 ]


[ চতুর্থ পর্ব ]


আয়ানদের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে একটা বড়সড় লাইব্রেরি পড়ে। সেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যায়। বইটই পড়ার অভ্যেস আছে আয়ানের।  হাতে কিছু টাকাকড়ি এলেই এই বই ঐ বই কিনে খরচা করে ফেলে। কাল রাতে নাজিয়াকে কোথাও একটা যে যাওয়ার কথা বলেছিল আয়ান - সেটা ঐ লাইব্রেরিতেই। দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে নিতুলকে ফোন দেয় সে।

- কীরে! কোথায়? কখন বেরোবি?

- ভাই, সবেতো খেয়ে উঠলাম। বিছানায় গড়িয়ে নিই খানিক।

- না, না। তাহলেই আর যাওয়া হবে না। এখন ঘুমোলে আর সন্ধ্যের আগে তোর ঘুম ভাঙবে না।

- আরে ভাঙবে, ভাঙবে।

- বিশ্বাস করি না। তুই এক্ষুণি রেডি হয়ে বের হ। আমিও রেডি হয়ে নিচ্ছি।

- ধ্যেত!

ফোন কেটেই তৈরি হয়ে নিতে লাগলো আয়ান। প্রথমে গায়ে একটা বাদামি রঙের শার্ট চড়ালো আর নিচে পড়লো সিলভার রঙের প্যান্ট। কেমন যেন বেমানান লাগছে ভেবে ঐ প্যান্টটা খুলে একটা কালো রঙের প্যান্ট পরলো সে। ব্যস! কালো রঙের প্যান্ট সব রঙের শার্টের সাথে মানিয়ে যায়। আয়ান দেখতে কেমন তার একটা বর্ণনা দিয়ে নিই। আয়ান দেখতে ফর্সা, মাথার চুল ঘন-শক্ত-খাড়া করা, চওড়া কপাল, মুখে গোঁফ-দাড়ি সমান করে ছাঁটা আর জিম করা শক্তপোক্ত শরীর। অত অবাক হবার কিছু নেই। আয়ান এমনিতে গোবেচারা ধরনের নিরীহ হলেও, মনে মনে ভারি সেয়ানা। ফিটনেসের দিকে খুব খেয়াল আছে। নিঃসন্দেহে সুদর্শনই বলা যায়। খালি ওর মুখচোরা স্বভাবের জন্যই ও নানান জায়গায় মার খেয়ে যায়।


রেডি হতে হতেই আরও দুবার ফোন করে নিতুলকে তাড়া দেয় আয়ান। নিতুল বিরক্ত হয়ে বলে, "শালা, আর একবার ফোন করেছিস তো নম্বর ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দেবো।" আয়ান মনে মনে হাসে। আয়ানের বাইক আছে। নিতুল আয়ানদের বাসার নিচে পৌঁছতেই, নিতুলকে পেছনে বসিয়ে বাইক স্টার্ট করে দেয় আয়ান। মাঝেমাঝেই নিতুলকে নিয়ে বাইকে করে বেরিয়ে পড়ে আয়ান। আয়ান মনে করে বাইক রাইডিং এ দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দেবার যে মজাটা আছে, সেটা নর্মাল প্রাইভেট কার দিয়ে লং ড্রাইভে নেই। নিতুলকে নিয়েই বেরোয় কারণ নিতুল ছেলেটা বেশ রসিক আর মিশুকে। ওর সাথে কথা বলতে, ওর কথা শুনতে ভালো লাগে তার। নিতুলের সাথে ওর আলাপ হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে ঐ বইয়ের দোকানেই, যেখানে তারা যাচ্ছে। আয়ান আর্নেস্ট হেমিংওয়ের "দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী" বইটা উল্টে পাল্টে দেখছিল দেখে নিতুলই আগ বাড়িয়ে এসে কথা বলেছিলো। ঐ বইটা নাকি তার প্রিয় ছিল।  সেই থেকেই আলাপ। আয়ান নিজে থেকে জীবনে যেচে কারো সাথে আলাপ করে না। যেতে যেতে নিতুল কথা বলে ওঠে।


- রাতে বৃষ্টি হলেও এখন আকাশটা কী পরিষ্কার, দেখেছিস?

- হুম।

- আজকে কী বই নিবি?

- সায়ক আমানের একটা বই নেবো ভাবছি।

- আমি খালি ওঁর অডিও স্টোরিই শুনেছি। বই পড়া হয়নি। পড়বো কিনা ভাবছি।

- আমি কিনে নিই। আমারটা নিয়ে নিস। তুই কী কিনবি ঠিক করেছিস?

- নাহ! আগে যাই।

- সে-ই ভালো।

- হুম। আচ্ছা, আরেকটা কথা।

- কী?

- সেদিন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ম্যাক্স র‍্যাব নামক একজনের সাথে আলাপ হলো।

- কে ম্যাক্স র‍্যাব?

- তেমন করে তো চিনিনা। সেদিনই প্রথম আলাপ। কথায় কথায় জানতে পারলাম, ওদের নাকি একটা ক্লাব আছে। যারা ক্লাবের সদস্য সবাই বই পড়ুয়া। আমাকে জয়েন করতে বললো।

- কোথায় ক্লাবটা?

বাইকের সামনের দিকেই মুখ করে প্রশ্নটা করায় নিতুল আর সে'টা শুনতে পেলো না।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

26 Sep, 15:49


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/169 ]

[ তৃতীয় পর্ব ]


একপ্রকার বাধ্য হয়েই নীরবতা ভঙ্গ করতে প্রশ্ন করে আয়ান, " কী ভাবছো এত? "
নাজিয়া তার দিকে ফেরে। বলে, " না। তেমন কিছু না। "
আয়ান কী বলবে আর কিছু ভেবে পায় না। সময় কাটতে থাকে। দুজনেই আকাশের দিকে তাকিয়ে। নাজিয়ার হাতের সিগারেটটা ফুরিয়ে এসেছে প্রায়। আয়ান জিজ্ঞেস করে, " কাল তো ছুটি। কী প্ল্যান আছে কালকের? "
নাজিয়া উত্তর দেয় না কিছু। আয়ান দমে যায়। সে বুঝতে পারে নাজিয়া হয়তো একা থাকতে চাইছে। তাই বিরক্ত না করে ওখান থেকে সরে পড়তে চায়। তখনই নাজিয়া বলে ওঠে, " কী বললি শুনিনি। " আয়ান ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় ফের। বলে, " বললাম কাল তো ছুটি। কী প্ল্যান কালকের? " নাজিয়া বলে, " ও! নারে, ভাই। তেমন কোনো প্ল্যান নেই। তোর কী প্ল্যান? "
আয়ান বলে, " আমারও নেই তেমন কোনো।
আমাদের পাশের পাড়ার একটা ছেলে আছে। নিতুল নাম। ওর সাথে একটা জায়গায় যাওয়ার আছে। বিকেলের দিকে বেরোবো। "

নাজিয়ার সিগারেটটা ফুরিয়ে আসায় নিচের দিকে ফেলে দেয় সে। বলে, " তুই আসিফের সাথে এখন আর কথা বলিস না কেন রে? ঝগড়া হয়েছিল কোনো বিষয় নিয়ে? "
আয়ান মৃদু হাসির শব্দ করে বলে, " না, না। ঝগড়া কেন হবে? আসলে ওর লাইফ অন্য ট্র্যাকে চলে তো। আমার অন্য। তাই দুজন যে দুজনের সাথে সময় কাটাবো, কথা বলবো, সেটা আর হয় না এখন। "

নাজিয়া ফের একটা সিগারেট ধরায়। আয়ান সরে আসে ঐদিক থেকে। সরে এসে কোন এক পরিচিত হিন্দি গান গুনগুন করতে থাকে। আসলে সরে এসে ভালোই করেছে। কারো কারো একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার পথ থাকে না আবার কারো কারো একা থাকার অবসর থাকে না। একটু একলা থাকার স্পেস নিতেই বোধহয় নাজিয়া ছাদে এসেছিল। থাকুক সে। আর কথা বলে ডিস্টার্ব না করাই সমীচীন। নাজিয়া মেয়েটা ভালো। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছে সে। আচ্ছা, নাজিয়া যদি তার গার্লফ্রেন্ড হতো তাহলে কেমন হতো? এলাকার সব ছেলেরা জ্বলে পুড়ে মরে যেত তখন। তার সকল পরিচিত হিংসুটে ক্লাসমেট, যাদের সে এতকাল বন্ধু ভাবতো, কিন্তু পরে দেখেছে সবাই তাকে হিংসে করে, সক্কলে তাকিয়ে থাকতো শুধু আর তাদের ভেতরটা জ্বলে পুড়ে আঙার হয়ে যেত। কী মজাটাই না হতো তখন! কিন্তু সে হওয়ার নয়। বয়সে বড় একটা মেয়ে তার গার্লফ্রেন্ড কী করে হবে? তার ওপর নাজিয়া তাকে ভাইয়ের নজরেই দেখে সবসময়। খামোখা এসব ভেবে কাজ নেই। সব সুন্দরী মেয়েদের নিজের গার্লফ্রেন্ড করে পাওয়ার চিন্তা তার মাথায় আসেই বা কেন ভেবে পায় না সে। তার চরিত্র কি খারাপ হতে শুরু করেছে? ছি, ছি! না। ভালো হতে হবে।

আচমকা একটা শীতল কিন্তু মৃদু বাতাস বইতে শুরু করে। দু একবার আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখেও আয়ান। বৃষ্টি শুরু হবে বলে। নাজিয়ার দিকে তাকায় সে। কিন্তু ওর কোনো হেলদোল নেই। সে গলা উঁচিয়ে বলে, " বৃষ্টি শুরু হবে। " গলা উঁচিয়ে বলতে হলো কারণ ছাদের ঐ প্রান্ত থেকে অনেকটা সরে এসেছিল সে। নাজিয়াও জোরে বলে, " হ্যাঁ রে। থাকবি নাকি চলে যাবি? আমি যাই ঘুমোতে। " আয়ান বলে, " আমিও চলে যাব। " নাজিয়ার দ্বিতীয় সিগারেটও শেষ হয়েছে। এটাও নিচের দিকে ফেলে দিয়ে আয়ানের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে চলে যায় সে। আয়ানও বিনিময়ে হাত নাড়ায়। নাজিয়া চলে যাওয়ার পর আয়ানেরও আর ছাদে থাকতে ইচ্ছা করে না। সেও চলে যায় নিচে।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Sep, 18:30


How lucky they are 🥹

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Sep, 07:18


আড্ডা গল্প ৯


মোহনঃ ভাই, জীবনে এত স্ট্রেস আর অশান্তি! এসব থেকে মুক্তি কীভাবে পাব?

ম্যাক্সঃ পানি খা আর নয়-দশ ঘন্টা করে ঘুমা। সব সর্ট হয়ে যাবে।

মোহনঃ ভাই.... না, থাক। কিছু বললাম না।

কবীরঃ কী আর বলবি? ম্যাক্স ঠিকই বলেছে।

মোহনঃ এক্সামের টেনশন, এই টেনশন, ঐ টেনশন সব পানি খেলেই সেরে যাবে? আর এত টেনশনে ঘুম হয়? ইয়ার্কি হচ্ছে? তোরা ভাই ভাল ছাত্র সবাই তাই আমার মত খারাপ ছাত্রকে নিয়ে খিল্লি ওড়াচ্ছিস। ঠিক আছে, ভাই। ঠিক আছে। মনে রাখব।

সিরাজঃ ভাই, তুই সাস্টের সফটওয়্যার নিয়ে পড়ছিস। মাথায় আছে তো? তারপরও নিজেকে খারাপ ছাত্র বলবি?

মোহনঃ তুই যদি আমার সিজি দেখতিস ভাই, তাহলে এ কথা বলতিস না।

ম্যাক্সঃ আর, হ্যাঁ আরেকটা কথা। ভুলেই গেছিলাম। দিনে কমসে কম একটা আপেল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কবীরঃ ইয়ে মানে, আই লাভ ডক্টরস, দ্যাটস হোয়াই আই হেইট এপলস।

মোহনঃ একেই বলে কিসমত, ভাই। বুয়েট সিএসইও পেয়ে গেলি, সাথে ডাক্তার জিএফ। আহা! ষোলোকলা পূর্ণ।

কবীরঃ নজর দিস না [সেন্সরড]। তুই কাল রাতে নওশিনকে কী মেসেজ করেছিস আমাকে বলেনি ভেবেছিস?

সিরাজঃ কীরে, কীরে?

মোহনঃ আরে ক্যাজুয়্যালি দু চারটে কথা বলেছি।

কবীরঃ স্টোরির রিপ্লাইয়ে উর্দু শায়েরি লিখেছিলিস। নওশিন স্ক্রিনশট দিয়েছিল আমায়।

মোহনঃ ওটাকে সৌন্দর্যের প্রশংসা করা বলে।

কবীরঃ তোর অত করতে হবে না। ওর সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য আমি আছি।

মোহনঃ তুই কি ভয় পাচ্ছিস আমার উর্দু স্কিল দেখে নওশিন তোকে ছেড়ে আমাকে চুজ করে ফেলবে?

কবীরঃ নওশিন অত গবেট হলে ওকে আমিই চুজ করতাম না।

মোহনঃ তাহলে আর তোর ভয় কীসের?

ম্যাক্সঃ সেটাই তো। কবীর ভয় পাচ্ছিস কেন?

কবীরঃ আমি ভয় পাচ্ছি না [সেন্সরড]।



©® Max Rab