AL Furqan

🫀🥀

- নারীর সহশিক্ষা হারাম, পুরুষের হারাম না?
- সহশিক্ষা সবারই হারাম।

- তাহলে নারীদেরকে কেন বাধা দেয়া হয়, পুরুষদের দেন না কেন?
- কারণ, বাইরের জায়গাটা পুরুষের; নারীর জন্য ঘর। শিক্ষার কুব্যবস্থাপনার কারণে সেখানে নারী গিয়ে সহশিক্ষার পরিবেশে যুক্ত হচ্ছে।

- নারী কি তবে উচ্চশিক্ষিত হবে না?
- আলবৎ হবে। তার আগে সহশিক্ষা বর্জন করে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে বাধ্য করবে।

- পুরুষ তাহলে বর্জন করবে না কেন?
- কারণ, তার উপার্জনের দায়িত্ব আছে।

- সেটা তো রিকশা চালিয়েও হয়।
- রিকশা চালিয়ে শুধুমাত্র 'আজীবন' সুস্থ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি জীবিকা নির্বাহ করতে পারে; যদি তার পরিবারের দায়িত্ব না থাকে। এটা অসম্ভব। একজন পুরুষের উপর নিজ পরিবার, বৃদ্ধ বাবা-মা এবং স্বামীহীন বোনের দায়িত্ব থাকে। শরিয়াহ অনুযায়ী একজন নারীর উপর এ দায়িত্ব থাকে না। কাজেই, পুরুষের জন্য সহশিক্ষার পরিবেশ বর্জন করা অসম্ভব, কারণ শিক্ষা না থাকলে ভালো আয় অসম্ভব।

- যদি নারীও আয়ে বাধ্য হয়?
- বাধ্য হওয়ার অবস্থা ও মাসআলা ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয়। আমাদের মত সাধারণ মানুষ এ মাসআলা দিতে পারবে না। বাধ্য নারীগণ নিজ নিজ অবস্থা বিস্তারিত বলে একজন মুফতী থেকে নিজের সীমানা জেনে নিবেন।

- সহশিক্ষা আর ফ্রি-মিক্সিং এক না।
- কুরআন ও হাদীসে এই দুইটিকে আলাদা করার দলীল লাগবে। নাহলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উম্মাহকে ভ্রষ্ট করা যাবে না ও নিজে ভ্রষ্ট হওয়া যাবে না। অভিজ্ঞতা ও যুক্তি কোন দলীল না। শরীয়াহ কারো অভিজ্ঞতায় প্রতিষ্ঠিত হয় না।

নারী ও পুরুষ - সমস্তরের বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। নারী ও পুরুষ সাথী ও সহযোগী। মুখোমুখি না দাঁড়াই।

পুরুষদের জন্যও সহশিক্ষার পরিবেশে থাকাকালীন চোখের হেফাজতসহ শরীয়াহর সব ধরণের হুকুম মেনে চলা আবশ্যক। এর বাইরেও, এই ফিতনাযুক্ত পরিবেশ থেকে সত্বর বের হওয়ার উপায় খুঁজতে থাকা জরুরী এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নফসের তাড়নায় থেকে যাওয়া যাবে না। ব্যবসা ইত্যাদিসহ আরও অনেক উপায়ও আছে। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন।

Farheen Al Munadi

"উবাদা ইবনে সামিত রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি রাত্রে নিদ্রা ভঙ্গ হলে বলে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ‏.‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ‏.

অর্থাৎ, আল্লাহ্ ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই। তিনি এক ও একক। তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আল্লাহ্‌রই সমস্ত প্রশংসা। তিনি পূত-পবিত্র ও মহান। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কারো ভাল কাজ করার ও মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকার শক্তি নেই।তারপর সে যদি আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে,

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي‏.

“হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দাও\"অথবা অন্য দুয়া করে, তাহলে তার দু’আ কবুল হয়।

সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৫৪ (ফুআদ আবদুল বাকী তাহকীককৃত) ১০৮৭ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)"

সৌদিতে প্রায় প্রতিদিন দুআর মধ্যে একটা কথা বলে, "আল্লাহ আমি ছাড়া তোমার আরও বান্দা আছে। কিন্তু আমার তুমি ছাড়া আর কোন রব নাই। আর কোন চাওয়ার জায়গা নাই।"

আরেক জায়গায় দুআ শুনেছিলাম,
"আল্লাহ! তুমিই তো অভাবীদেরকে তাড়িয়ে দিতে নিষেধ করেছো। তাহলে এই অভাবীকে খালি হাতে কেন ফিরিয়ে দিবা?

অদ্ভুত লাগে! আল্লাহর কিছু বান্দা তার রবের সাথে কীভাবে বন্ধুর মত মন খুলে কথা বলে। কত সুন্দর করে চাইতে থাকে।

আর সেই মহান রবের ঘোষনা তো আছেই-
'কতই না উত্তম বন্ধু তিনি, কতই না উত্তম সাহায্যকারী।' - সুরা হাজ্জ:৭৮

সুবহান আল্লহ ❤

আজ গাজওয়াতুল হিন্দের দামামা বেঁজে ওঠেছে। পতাকা উত্থোলিত হয়েছে,কাতারগুলো সারিবদ্ধ হয়েছে এবং যুদ্ধ তার হুংকার শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছে। আগামিকালের তান্ডব থেকে যদি অব্যাহতি চাই তবে আজই কাফেলাবদ্ধ হতে হবে এবং পথ অতিক্রম করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আর এই জিহাদের জন্যে আল্লহর পর মুমিনরাই মুমিনদের একমাত্র অবলম্বন। অতএব কান পেতে শুনো তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লা থেকে ভেসে আসা জিহাদের ডাক। আগামিকালের ভোর সম্পূর্ণ নতুন বার্তা নিয়ে আসবে, আজই তোমাকে যা করার করে নিতে হবে! আজ এই জিহাদ সম্পূর্ণ গুরাবাদের জিহাদে পরিণত হয়েছে! এবং
আল্লহ ও গুরাবারা ব্যতীত হিন্দের গুরাবাদের সবাই এমনকি মসজিদের ঈমাম, মাদরাসার উস্তাদ, আর সামর্থ্যবান উলামারাও পরিত্যাগ করেছে।

কে আছে তাদের আজ অবশিষ্ট, যে তাদের হয়ে সত্যকে ঘোষণা করবে?

কে আছে তাদের আজ যে নিজেদের জান মাল ব্যয় করে দিবে নিঃসঙ্কুচে?

কে আছে তাদের আজ যে মদীনার আনসারদের অনুকরণে তাদের সাহায করবে?

কে আছে তাদের আজ যে মাথায় আঁমামা বেঁধে হিজরতের পথে ধৈর্যধারণ করবে?
----------

[ তথ্যসূত্র : গাজওয়াতুল হিন্দ কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে]

[আন-নিসা ৪:৩১]

তোমাদেরকে যেই বড় বড় গুনাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তোমরা যদি তা পরিহার করে চল, তবে আমি নিজেই তোমাদের ছোট ছোট গুনাহ তোমাদের থেকে মিটিয়ে দেব এবং তোমাদেরকে এক মর্যাদাপূর্ণ স্থানে দাখিল করব।

বিজ্ঞরা বলেন, তিনটি বিষয় নিয়ে বেশী চিন্তা করবেন না -

(১) অভাব নিয়ে চিন্তা করবেন না। তাহলে আপনার দুশ্চিন্তা ও দুর্দশা বেড়ে যাবে, অন্তরে লোভ তৈরী হবে।

(২) আপনার উপর জুলুম হয়েছে, সেটা নিয়ে বেশী ভাববেন না। তাহলে আপনার অন্তর কঠোর হয়ে যাবে, হিংসা-বিদ্বেষ বেড়ে যাবে, ক্রোধ দীর্ঘস্থায়ী হবে।

(৩) দুনিয়ায় দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আশা করবে না। তাহলে জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, আজ নয় কাল নেক আমল করবো, এই চিন্তায় থাকতে থাকতে মৃত্যুর ফেরেশতা এসে যাবে।
.
[ তানবীহুল গাফেলীন, পৃ: ৫৭২ ]
মুসলিম কমিউনিটি

আল-ইমরান ৩:১৪ [তাওযীহুল কুরআন]

মানুষের জন্য ওই সকল বস্তুর আসক্তিকে মনোরম করা হয়েছে, যা তার প্রবৃত্তির চাহিদা মোতাবেক অর্থাৎ নারী, সন্তান, রাশিকৃত সোনা-রুপা, চিহ্নিত অশ্বরাজি, চতুষ্পদ জন্তু ও ক্ষেত-খামার। এসব ইহ-জীবনের ভোগ-সামগ্রী। (কিন্তু) স্থায়ী পরিণামের সৌন্দর্য কেবল আল্লাহরই কাছে।

হাদিসে আছে, যে তার সমস্ত চিন্তাকে একি চিন্তায় আখেরাতের চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে,আল্লাহ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট 🍀
-ইবনে মাজা

শরীরের সদকা করছেন তো?

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য সদকা রয়েছে। এটি কেবল দান বা অর্থসম্পর্কিত নয়, বরং বিভিন্ন সৎ কাজও সদকার অন্তর্ভুক্ত। নীচে শরীরের সদকার কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলো:

১. সালাম দেওয়া:
সালাম বিনিময় করা সদকার একটি রূপ। এটি সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব তৈরি করে।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 2989)

২. সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে বারণ করা:
অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করাও সদকা।
রেফারেন্স: (সহিহ মুসলিম: 1009)

৩. কোনো কষ্টদায়ক জিনিস পথ থেকে সরিয়ে ফেলা:
রাস্তা থেকে কোনো কাঁটা, পাথর বা অন্য কোনো বিপদজনক বস্তু সরিয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে গণ্য হয়।
রেফারেন্স: (সহিহ মুসলিম: 1009)

৪. ভালো কথা বলা:
মিষ্টি কথা বা কারও প্রতি সদয় হওয়া, ভালো পরামর্শ দেওয়া, এবং কাউকে উৎসাহিত করা — এসব কাজও সদকা।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 2989)

৫. মুসকান বা হাসি:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "তোমার ভাইয়ের প্রতি হাসি হলো সদকা।"
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 1956)

৬. কেউকে পথ দেখানো:
যদি কেউ পথ হারিয়ে ফেলে বা দিকনির্দেশনা চায়, তাকে পথ দেখানোও সদকা।
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 1956)

৭. পানির ব্যবস্থা করা:
কাউকে পানি পান করানো বা পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করাও সদকার মধ্যে গণ্য।
রেফারেন্স: (আবু দাউদ: 1677)

৮. নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য খরচ করা:
আপনি যদি আপনার পরিবারের জন্য খরচ করেন, তা-ও সদকা হিসেবে গণ্য হবে।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 4006)

৯. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা:
খারাপ অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করা এবং নিজের আবেগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণ করাও সদকা।
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 2024)

এই কাজগুলো সহজে করা যায় এবং এগুলোর প্রতিটি মানুষের দেহের সদকার অন্তর্ভুক্ত।এসবের বিপরীতে ফজর নামাজের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত জিকির আজকারে সময় দিয়ে পরবর্তীতে দুই রাকআত সালাতুল এশরাক পড়লেও শরীরের সমস্ত জোড়ার সদকা আদায় হয়ে যায়।

অনেকের প্রশ্ন এশরাক ও দুহা'র নামাজ কি একই? তাদের জন্য বলা যেতে পারে
হ্যাঁ, এশরাকের নামাজ এবং সালাতুত দুহা (দুহার নামাজ) মূলত একই ধরনের নামাজ, তবে এর সময়ের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন নামে পরিচিত হয়।

১. এশরাকের নামাজ:
এশরাকের নামাজ সূর্যোদয়ের পর কিছুটা সময় (প্রায় ১৫-২০মিনিট) অপেক্ষা করে আদায় করা হয়।এটি নফল নামাজ এবং দুটি বা চার রাকাত পড়া হয়

অতীত দামী হয় ইস্তিগফারের দ্বারা,
বর্তমান দামী হয় জিকিরের দ্বারা,
ভবিষ্যত দামী হয় তওবার দ্বারা ।

-মুফতি মুশতাকুন্নবী হাফিযাহুল্লাহ

Focused #214

মুসলিম জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু হালাল ব্যবসা
==============================
মুসলিম জীবনে হালাল ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইসলামের নিয়ম মেনে জীবিকা নির্বাহের একটি পবিত্র উপায়। কিছু প্রয়োজনীয় হালাল ব্যবসার উদাহরণ হলো:

1. কৃষি ও পশুপালন: খাদ্য উৎপাদন যেমন শস্য, ফলমূল চাষ এবং হালাল পশুপালন (যেমন গরু, ছাগল ইত্যাদি) একটি পবিত্র ও হালাল পেশা।

2. খাদ্য ব্যবসা: হালাল খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত ও বিক্রয়, যেমন হালাল মাংস, দুধ, মাছ, এবং অন্যান্য খাবার সরবরাহ একটি প্রচলিত ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা।

3. কাপড় ও পোশাক ব্যবসা: ইসলামী পোশাক যেমন জুব্বা, বোরকা, স্কার্ফ ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রি করা একটি জনপ্রিয় হালাল ব্যবসা।

4. প্রযুক্তি ও ই-কমার্স: তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কমার্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং হালাল ক্ষেত্র।

5. পুস্তক ও প্রকাশনা: ইসলামী বই, পুস্তক, পবিত্র কোরআন শরিফ বিক্রি এবং ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যবসা।

6. সেবা খাত: হালাল সেবা প্রদান যেমন আইনি পরামর্শ, ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং পরামর্শ, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, এবং স্বাস্থ্যসেবা।

7. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধে ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে ধর্মীয় এবং সাধারণ শিক্ষা একসাথে প্রদান করা হয়।

এইসব ব্যবসাগুলি শুধু হালাল নয়, বরং মুসলিমদের জন্য আখিরাতেও সওয়াব অর্জনের মাধ্যম হতে পারে, যদি সঠিক নিয়ত এবং পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

হিদায়াহ অনেক দামি জিনিস।
সবাই পায় না।
যারা পায়, তারাও সবাই ধরে রাখতে পারে না।

খুব ভয় পাওয়া উচিত। প্রচন্ড রকম বিনয়ী হওয়া উচিত। মাথানত করে সিজদাহয় পড়ে কাঁদা উচিত। দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে নিলেও, আল্লাহ যেন হিদায়াহটা কেড়ে না নেন।

@HarunIzharBD

Focused #210

দাড়ি রাখার ফজিলত
================
ইসলামে দাড়ি রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং এতে অনেক ফজিলত রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফজিলত তুলে ধরা হলো:

1. সুন্নত পালন: দাড়ি রাখা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নত। তিনি নিজে দাড়ি রাখতেন এবং উম্মতদেরকে দাড়ি রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সুন্নত পালন করা মানে রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করা।

2. আল্লাহর নৈকট্য: দাড়ি রাখা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি মাধ্যম। দাড়ি রাখা হলে একজন মুসলিম আল্লাহর নির্দেশনা এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করে থাকেন।

3. পৃথক পরিচয়: দাড়ি একজন মুসলিমকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। এটি মুসলিমদের একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য হয়, যা তাদের পরিচয়কে প্রকাশ করে।

4. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ইসলামে দাড়ি রাখা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ তাআলা পুরুষদের জন্য দাড়ি সৃষ্টি করেছেন এবং এটি তাদের স্বাভাবিক অবস্থার প্রতীক।

5. আখিরাতে পুরস্কার: ইসলামী মতে, যারা আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর নির্দেশ পালন করেন, তাদের আখিরাতে পুরস্কৃত করা হবে। দাড়ি রাখা সেই সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত যা আখিরাতে সুফল দিতে পারে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "দাড়ি লম্বা করো এবং গোঁফ ছোট করো।" (সহীহ বুখারী, হাদিস: ৫৮৯২)

মহান আল্লাহ আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত ভালোবেসে পালন করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

Focused

https://www.facebook.com/share/p/UWyLWeBbBWzK3hqX/?mibextid=oFDknk

আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে Muslim's deed এখন ৫০+ হাজার সদস্যের পরিবার। এই উপলক্ষ্যে আমরা জানিয়েছিলাম যে আমরা একটি কুইজ প্রতিযো'গিতা আয়োজন করবো। আল্লাহর রহমতে আমরা কুইজ প্রতিযো'গিতা করার জন্য সকল ব্যবস্থা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

আমাদের প্রতিযো'গিতার মূল উদ্দেশ্য হলো, "মুসলিম উম্মাহর ঐক্য" সম্পর্কে গভীর সচেতনতা তৈরি করা। আজকের দিনে উম্মাহর ঐক্যই আমাদের সফলতার মূল চাবিকাঠি। "বিদআত, যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবন, আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করছে। এর ফলে আমাদের ইমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

"জু'লুম ও নির্যাতন একটি মারাত্মক সমস্যা, যা মানবতার শ'ত্রু এবং ইসলামিক নীতির পরিপন্থী। ইসলামে জু'লুমের কোন স্থান নেই এবং প্রতিটি নির্যা'তিত মানুষ আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদা পায়। যারা জু'লুম ও নি'র্যাতন করে, তাদের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন।

জা'লি'মের শেষ পরিণতি কী হবে, তা কুরআন ও হাদিসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি জা'লি'মকে একদিন তার অপকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।

কুইজ প্রতিযো'গিতার টপিক সমূহঃ
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, বিদআত ও বিদআতের ভয়াবহতা, জু'লুম ও নি'র্যাতন এবং জা'লি'মের পরিনতি।

🔴 শর্তসমূহঃ

১. এই পোস্টের কমেন্টে ১৫ জনকে মেনশন করতে হবে।

২. Muslim's deed পেজে ৫০ এবং গ্রুপে ৫০ জনকে ইনভাইট করতে হবে।

৩. এই মূল পোস্টটি নিজ টাইমলাইনে শে'য়ার অথবা কপি করে পোস্ট করতে হবে।

বিঃদ্রঃ প্রতিযো'গিতায় অংশগ্রহণের জন্য শর্ত গুলো পালন করা বাধ্যতামূলক। তবে কারো সমস্যা থাকলে Muslim's deed পেজে ইনবক্সে জানাবেন।

🎁 পুরষ্কারঃ

আমরা মোট ১০ জনকে হাদিয়া দিব ইন শা আল্লাহ।

নিয়মাবলিঃ পুর'ষ্কারের ক্ষেত্রে কোন ক্যাটাগরী (১ম, ২য় ও স্থান) থাকবে না। মোট ১০ জন বিজয়ী করা হবে, এবং ১০ জন্যকেই সমপরিমাণ মূল্যের তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটা বই বিজয়ীকে দেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ।

প্রতিযো'গিতার পি'ডিএফ
https://drive.google.com/file/d/1ZrVtTysZ0fX9BUIhBew3L0QlJ5BRGWCU/view?usp=drivesdk

১ . মোট তিনটি বিষয়ে ৫০ টি কুইজ দেওয়া হবে । সময় থাকবে ৫০/৫৫ মিনিট ।

২. পরীক্ষাটি গুগোল ফর্মের মাধ্যমে হবে ইন শা আল্লাহ।

৩. পরীক্ষার সময়ঃ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় অথবা ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ফজর বাদ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ( ২৫ তারিখের মধ্যে আমরা ফাইনাল জানিয়ে দিব পরিক্ষার তারিখ ও সময়)

🟢 প্রতিযো'গিতা স্প ন্সার করেছে দুজন দ্বীনি ভাই। এমন একটি মহৎ কাজে তাদের অবদান টুকু আল্লাহ কবুল করুক। এবং দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তায়ালা তাদের উত্তম প্রতিদান দিক। আমিন

এই প্রতিযো'গিতা কেবল জ্ঞান অর্জনের জন্য নয়, বরং ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুযায়ী জীবনে সঠিক পথে চলার জন্য। ইসলামের আলোকে সমাজের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে, আমরা আমাদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনকে আরও পরিশুদ্ধ ও উন্নত করতে পারি। তাই নিজে অংশ নিন এবং অন্যকে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। এর ফলে আল্লাহ উভয়কে উত্তম প্রতিদান দেবেন ইন শা আল্লাহ।

Siraat Institute এর বিলিভার্স ক্যালেন্ডারের বিশেষত্ব জানতে চেয়েছিলেন যারা,

এই ডেস্ক ক্যালেন্ডারে _
সোম ও বৃহস্পতিবার, আইয়ামে বীদ্বের দিন, আরাফাহর দিন সহ বছরের সুন্নাহ সিয়াম ও অন্যান্য আমলের দিনগুলো মার্ক করা থাকবে। এছাড়া সকলের সুবিধার্থে দেশের জাতীয় ছুটির দিনগুলোও মার্ক করা থাকবে। যদি তন্মধ্যে কোনো দিবস পালন হারাম হয় তাতে ক্রস দেয়া থাকবে।

প্রতিদিনের আমল ট্রাকিং চলবে এক ক্যালেন্ডারেই। যেমন,
✅ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়।
✅ কুরআন তিলাওয়াত হয়েছে কিনা।
✅ ইসলামী বই পাঠ করা।
✅ সাদাকাহ করা।
✅ মাসনুন আমল।
✅ দুরুদ পাঠ।
✅ ইস্তিগফার।

এই ক্যালেন্ডারে কভার পেইজ সহ ৭টি পৃষ্ঠায় প্রতি পৃষ্ঠার দুই দিকে একটি করে মাস রয়েছে, ডেস্কে রাখার উপযোগী করে।

প্রতিটি পেইজে রয়েছে,
✅ একটি করে দুআ।
✅ একটি করে দুরুদ শরীফ ।

এছাড়া প্রতিদিন কোনো গুনাহ হলো কিনা খেয়াল রাখতে রয়েছে নিজের জন্য কিছু প্রশ্নের চ্যালেঞ্জ,
✅ আজ কোনো মিথ্যা বলে ফেলেছি কিনা।
✅ গিবত হয়েছে কিনা।

একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম হিসেবে মাস শেষে নিজের আমলে উন্নতি কতটুকু হয়েছে সেটির দিকে খেয়াল রাখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। দিনদিন আপনি হয়ে উঠবেন একজন উত্তম মুসলিম! এছাড়া মাসে মাসে আপনার সাদাকাহ, সত্যবাদিতা, প্রতিদিনের দুরুদ পাঠ, মাসনুন আমল করেছেন কিনা সেটাও হিসাব রাখতে পারবেন এই ক্যালেন্ডারে। সাথে হাদিয়া থাকবে,

🔹 সবার প্রিয় পালস ক্যান্ডি।
🔸 অনেকগুলো বুকমার্ক।
🔹 চল্লিশ দিনের আমল চেকলিস্ট।

▪️Belivers Calendar 2025
▪️রেগুলার মূল্য ৪০০৳
▪️৫০% ছাড়ে প্রি-অর্ডার মূল্য মাত্র ২০০৳

❤️ ৫০০ টা ক্যালেন্ডার অর্ডার আসলে, ইয়াক্বীন মার্টের ফলোয়ারদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে ক্যালেন্ডার ফ্রি দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

#belivers_calender #স_তে_সিরাত
#yaqin_mart #স_তে_সিরাত

নাশিদ থেকে কিভাবে মিউজিক রিমোভ করতে হয় টিউটোরিয়াল
Afifa Nizami

Sheikh Tawhid
PixelLab Tutorial

Nisat Sal Sabil
PixelLab Tutorial

আমার উম্মাতের দুরুদ প্রতি জুম্মাহ'র দিন আমার নিকট পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আমার উপর সবচেয়ে বেশি দুরুদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলনায় আমার বেশি নিকটবর্তী।

এই তো উত্তম সুযোগ। আখওয়াতি দুরুদ পড়ুন দুরুদ। দুরুদ, ইস্তিগফার আর দুআ জারি রাখুন।
দুরুদ সমাধানের বারুদ!

----------

[৯ রবিউল আউয়াল, ইয়াওমুল জুমু'আ
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর]

اللهم صل على محمد و على ال محمد كما صليت على إبراهيم و على ال إبراهيم إنك حميد مجيد.
اللهم بارك على محمد و على ال محمد كما باركت على إبراهيم و على ال إبراهيم إنك حميد مجيد.

স্মরণ করুন নবীজী ﷺ যেদিন মু'আয رضي الله عنه-কে ক্ষীণ কন্ঠে বললেন, "মু'আয, তুমি এই বছরের পর হয়তো আর আমার দেখা পাবে না। হয়তো তুমি আমার এই মাসজিদ আর আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে।"

এ কথা শুনে মু'আয رضي الله عنه -এর হৃদকম্পন থেমে গেলো। অশ্রু এসে জমা হলো মু'আয رضي الله عنه -এর চোখের কোণে।

একবার ভেবে দেখুন কতটা কষ্ট, প্রিয় নবীজী ﷺ-কে হারানোর বেদনা লুকিয়ে আছে এ কথাটির মাঝে! কেমন লাগছিল তাঁর ইয়েমেনে যাওয়ার সময়? একদিকে নবীজীর ﷺ হুকুম, অন্যদিকে ইয়েমেন থেকে ফিরে এসে নবীজীকে ﷺ দেখতে না পারার ভয়। যতই না পা সামনে বাড়াচ্ছিলেন, আহা! তাঁর মনটা পড়েছিল নবীজীর ﷺ দিকেই।

কেমন ছিলো তাঁর কান্নার সেই ভাষা? কেমন ছিলো সেই হৃদকম্পন থেমে যাওয়া বেদনার ভাষা?

اللهم صل على محمد وعلى ال محمد

আল্লাহ কুরআন মাজীদ নাযিল করে যেমন যাবতীয় নির্দেশনা দান করেছেন, তেমনি মুহাম্মাদ ﷺ কে প্রেরণ করে কুরআন মাজীদের বাস্তব নমুনা তিনি মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছেন। অতএব, সঠিক পন্থায় আল্লাহ তা'আলার পূর্ণাঙ্গ শরীয়াত অনুসরণের জন্য রসুল ﷺ এর আনুগত্য ও অনুকরণ অপরিহার্য। উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আল্লাহর রসূলের চরিত্র ছিল কুরআন’।*

*. মুসনাদু আহমাদ : ২৫৮১৩
বইঃ দৈনন্দিন জীবনে রসূলের সুন্নাহ

আল্লহ প্রদত্ত একমাত্র শরীয়াহ হচ্ছে ইসলাম। ব্যক্তির চিন্তা, মনন, বিশ্বাস, কর্ম থেকে শুরু করে সমাজ ব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা ও রাষ্ট্রনীতি সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা।

বই: দৈনন্দিন জীবনে রসূলের সুন্নাহ