Nuruzzaman Nahid @nahidnuruzzaman Channel on Telegram

Nuruzzaman Nahid

@nahidnuruzzaman


Oficial Telegram Channel

Nuruzzaman Nahid (English)

Welcome to the official Telegram Channel of Nuruzzaman Nahid! If you are looking for a platform that provides valuable insights, inspiration, and updates on various topics, then look no further. Nuruzzaman Nahid, also known by his username @nahidnuruzzaman, has created this channel to connect with like-minded individuals who are passionate about personal growth, motivation, and success. Whether you are a student, entrepreneur, or simply someone who wants to learn and grow, this channel is for you. Nuruzzaman Nahid shares his thoughts, experiences, and knowledge on a wide range of subjects, including self-improvement, leadership, productivity, and more. Join the community today and start your journey towards a better and more fulfilling life. Subscribe now to stay updated on all the latest posts and join the conversation with fellow members. Nuruzzaman Nahid is here to help you unleash your full potential and achieve your goals. Don't miss out on this opportunity to be part of a supportive and empowering community. Take the first step towards your personal development journey with Nuruzzaman Nahid's official Telegram Channel!

Nuruzzaman Nahid

12 Feb, 06:44


আমাদের দেশের নিকাহনামাতে প্রচুর গোলমাল রয়েছে। ভারতের অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড প্রণীত এই নিকাহনামা ব্যবহার করলে অনেক সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যাবে।

Nuruzzaman Nahid

12 Feb, 06:43


نام کتاب :- نکاح نامہ
منظور کردہ :- آل انڈیا مسلم پرسنل لا بورڈ
~~~~join & share~~~~
✦───☆💎☆───✦
@quasmikitabghar
✦───☆💎☆───✦

Nuruzzaman Nahid

10 Feb, 16:25


আলহামদুলিল্লাহ, আমি তাওহিদি জনতার একজন। আমি আল্লাহর একত্বে ও এককত্বে বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র ইসলাম পারে সকল জুলুম বিদূরিত করতে। একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা দিতে পারে জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও উন্নতি। ইসলাম ছাড়া অন্য সকল তন্ত্র-মন্ত্র আর্থ-সামাজিক জটিলতা ও মানবিক বিপর্যয় ব্যতীত কল্যাণকর ভবিষ্যৎ দিতে অক্ষম। সুতরাং, ইসলাম বাদ দিয়ে অন্য সকল মত ও পথ গ্রহণ করা প্রকৃতপক্ষে জুলুম। ফলে লা তাযলিমুনা ওয়ালা তুযলামুন লেখার আগে তন্ত্র-মন্ত্রের জুলমাত থেকে বেরিয়ে আসা কর্তব্য।

আমার বাবা-মাকে গালি দিয়ে বই লিখে কেউ বইমেলায় পসরা সাজিয়ে বিক্রি করবে, একজন আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন সন্তান হিসেবে তা মেনে নেওয়া অসম্ভব। মুমিন মাত্র নিজের জীবন ও বাবা-মায়ের চেয়ে বেশী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অধিক ভালবাসে। ফলে কোনো নবীবিদ্বেষীর বইপত্র চোখের সামনে বিক্রি হতে দেখে স্থির থাকা ইমানি গাইরত ও আত্মমর্যাদাবোধের পরিপন্থী। প্রতিক্রিয়া হবেই। শয়তানের শয়তানি বন্ধ না করে উল্টো 'মব মব' জিগির তোলার মত কাপুরুষতা না দেখানো উচিত। মুরোদ থাকলে শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করো; শয়তানকে সাইজ করতে যাওয়া লোকজনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজের জাত চিনিয়ো না। বড় বড় হুমকি দেওয়ার আগে মাথায় রাইখো, জন্ম থেকেই আমরা জ্বলতেছি। বৃটিশ থেকে ফ্যাসিস্ট সবাই জ্বালাইছে। সুশীলগিরি দেখাইয়া আগুনে লাড়া দিয়ো না।

তাওহিদি জনতা বলে কেউ তাচ্ছিল্য করলে জায়গায় ওর ভূত ছাড়ায়া দিবেন।

Nuruzzaman Nahid

05 Feb, 07:47


এই দেশে এগারো বছর বয়েসী মেয়েদের ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে বেশকিছু সুবিধা আছে। আনন্দ-ফুর্তি সব হবে; বাট ধরা খেলে বিচার-আচার তেমন হবে না। উল্টো 'এগার বছরের একটা মেয়েকে আমরা কি মেরে ফেলবো' বলে সমর্থন ও সহযোগিতা করার মত কলামিস্ট বুদ্ধিজীবী পাওয়া যাবে। অল্প বয়েসে পাকিলে ....... বলে মেয়েটিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে করতে জনতা ছেলেটির কথা বেমালুম ভুলে যাবে। একবার চিন্তা করুন, এগারোর বদলে একুশ বছর বয়েসী কোনো তরুণীকে নিয়ে পালালে আর লোকজনের হাতে ধরা পড়লে উত্তম-মাধ্যমের পর বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার সমূহ রিস্ক ছিলো। উচ্চ মোহর গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা ছিল। উপরন্তু, প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলা খাওয়ারও জোর সম্ভাবনা ছিল। নিকট অতীতে এমন অনেক ঘটনা আমরা দেখেছি। মজা নেয় দুজনেই; কেস খায় বেচারা প্রেমিক। তাই, টুকটাক ফুর্তি করার লোভে এতো বড় রিস্ক কোনো ছেলে নিতে চাইতো না। মজনুদের কথা আমরা বলছি না। অবশ্য মজনুর ক্ষেত্রে রিস্কটা গড়াতো লাইলীর কোর্টে। তখন লাইলী মুখ লুকাতো। এমনই তো হচ্ছে, তাই না?

আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আগামীকাল যদি দেশে আইন করা হয়, প্রেম করে ধরা পড়লে, সে যে বয়েসের হোক, উচ্চ মোহরানা ধার্য করে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হবে এবং এক মাসের মধ্যে সেই মোহর যেকোনো উপায়ে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে। অন্যথায়, আদালত কঠোর ব্যবস্থা নেবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আশি শতাংশ প্রেম-পিরিতির খেলা বন্ধ হয়ে যাবে। সুযোগসন্ধানী ছেলে ও মেয়েরা এতো বড় রিস্ক নিতে কখনো সম্মত হবে না। বাকি বিশ শতাংশ বন্ধের জন্য লাগবে শ রি য়া আইন। পুরোপুরি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করলে এসব শয়তানি লেঙ্গুর তুলে পালাবে।

Nuruzzaman Nahid

01 Feb, 15:17


সকলের প্রতি দ্বীনি দাওয়াত রইল।

Nuruzzaman Nahid

31 Jan, 14:59


এক ভাই ছবি থেকে তৈরি করেছেন। অনেকের আগ্রহ দেখে আপলোড করে দিলাম। সম্পূর্ণ গ্রন্থটি অবশ্যই সংগ্রহ করুন।

Nuruzzaman Nahid

30 Jan, 18:29


আদিব হুজুর প্রণীত 'কোরআন কারীমের তরজুমানি'র ভূমিকা পড়ে শেষ করলাম। সাথে সুরা ফাতেহার অনুবাদ, সূরা বাকারার শুরুর অংশের অনুবাদ এবং সূরা ফালাকের অনুবাদ পড়ে দেখলাম।

দুটো কথা :
১. নিঃসন্দেহে এটি একটি চিন্তাশীল কর্ম। কোরআন কারিমের এই ধরনের একটি সৃজনশীল ও চিন্তাঋদ্ধ অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা ছিল। আহলে ইলম এবং তালিবুল ইলমরা অনুবাদটি থেকে সবিশেষ উপকৃত হতে পারবেন। সেজন্য অর্থানুবাদ গ্রন্থটির ভূমিকাংশ অবশ্যই পড়ে নিতে হবে। এবং অর্থানুবাদ পাঠের সময় আরবি ব্যাকরণিক বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। তাহলে একইসাথে কোরআন কারীমের মর্ম অনুধাবন ও সৌন্দর্যে অবগাহন সম্ভব হবে।

২. দ্বিতীয় কথাটির সাথে সবাই একমত হওয়া জরুরি নয়; আমার ব্যক্তিগত চিন্তা। যে সাধারণ পাঠকের কথা চিন্তা করে তিনি অর্থানুবাদ কর্মটি তৈরি করেছেন, আমার ধারনা, উর্দু-ফার্সি শব্দের অধিক ব্যবহারের ফলে তাদের অধিকাংশই এ থেকে উপকৃত হতে পারবে না। বাংলাদেশী ও বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অধিকাংশ ইংরেজির সাথে খানিকটা পরিচিত হলেও উর্দু ফার্সির সাথে তাদের পরিচয় নিতান্ত কম। এমনকি কওমি মাদ্রাসাসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী অধিকাংশ ছাত্র উর্দু ও ফার্সির সাথে ভালোভাবে পরিচিত নয়। অনেকের উর্দু ও ফার্সি জ্ঞান এতো কম যে, গ্রন্থটি তাদের কাছে নিতান্ত আজনবি মনে হতে পারে। ফলে যাদের জন্য তিনি এটি তৈরি করলেন তাদের অনেকে যথাযথ উপকৃত হতে পারবেন না।
উপরন্তু বাংলা ভাষার বয়ানে ও বাক্য নির্মাণে ইদানিং তিনি উর্দু ও আরবির মত প্রচুর জটিল বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। সাধারন পাঠকের জন্য যা পাঠ ও অনুধাবন অত্যন্ত আয়াসসাধ্য হতে পারে। হুজুরের সর্বশেষ প্রকাশিত অধিকাংশ গ্রন্থে এই সমস্যা প্রকটভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। কারণটা বোধগম্য নয়। বাংলা ভাষার সাধারণ পাঠক-পাঠিকা জটিল ও যৌগিক বাক্য পড়ে অভ্যস্ত নয়। বিষয়টি বিবেচনায় রাখলে হুজুরের গ্রন্থগুলো থেকে সাধারণের উপকৃত হওয়া; বিশেষত অর্থানুবাদ গ্রন্থটি থেকে উপকৃত হওয়া সহজ হতে পারতো। আবারো বলছি, এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। পুরো ভূমিকা ও কিছুটা অনুবাদ পড়ার পর আমার এমনটা মনে হয়েছে। আল্লাহু আ'লাম।

সুতরাং, আহলে ইলম ও তালিবুল ইলম ভাইয়েরা অবশ্যই গ্রন্থটি সংগ্রহ করবেন এবং উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করবেন। সম্ভব হলে গ্রন্থটি সামনে রেখে সহজ-সরল ভাষায় দরসের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে সর্বস্তরের মানুষ সুন্দর একটি অনুবাদ থেকে উপকৃত হতে পারবে।

Nuruzzaman Nahid

15 Dec, 01:44


কয়েক বছর আগের কথা। এক মাহফিলে গিয়েছিলাম। মাহফিলে দাওয়াত দিলে সাধারণত যাতায়াতের ইন্তেজাম আয়োজকদের করতে বলি। গাঁটের পয়সা খরচ করে গিয়ে মাহফিল করে আসবার মত অর্থবিত্ত আমার নেই। এক্ষেত্রে নিরাপদ পদ্ধতি হলো পথখরচ অগ্রীম গ্রহণ করা। যেতে অপারগ হলে কারণ জানিয়ে পুরো টাকা ফেরত দেওয়া। তো সেই মাহফিলের পথখরচ হিসেবে অগ্রীম কিছু টাকা আমাকে দেওয়া হয়। যথাসময়ে মাহফিলে উপস্থিত হয়ে ভাঙা গলায় অতি সাধারণ কিছু কথাবার্তা বলি।

আমি ছিলাম দ্বিতীয় বক্তা। প্রধান বক্তা ছিলেন দেশবরেণ্য একজন আলেম ও শাইখুল হাদিস। তিনিও যথাসময়ে সাড়ম্বরে ব্যক্তিগত গাড়ি ও খাদেম নিয়ে উপস্থিত হলেন। সাড়ে দশটায় আমি নেমে গেলে তিনি বয়ান শুরু করলেন এবং সাড়ে বারোটা অব্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করলেন লালিত্যভরা কণ্ঠে ও চিত্তাকর্ষক ঢঙে। আমার কাজ আগে শেষ হয়ে গেলেও ঘণ্টাখানেক থেকেছিলাম তার বয়ান শুনতে। ফিরবার সময় পাতলা একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে আয়োজকরা গদগদ কন্ঠে বললো, হুজুর, টাকা বেশী তুলতে পারি নি। মনে কিছু নিয়েন না।
আমি ততোধিক কোমল কণ্ঠে বললাম, কী দরকার ছিল! শুধু পথখরচ হলেই আমি চলে আসি।

সালাম-মুসাফাহার পর চলে এলাম। খামটা বাসায় এসে খুলেছি। যা দেখেছি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল; তবে রাগ-ক্ষোভ ছিল না। পথখরচের পর বাকিটুকু তো হাদিয়া; কম হোক বেশী হোক, হাদিয়া তো হাদিয়াই।

কয়েকদিন পর প্রধান বক্তার পিএসের ফোন। তেলেনা ভাজা শেষ করে জিজ্ঞেস করলো হাদিয়া বা পথখরচ আয়োজকরা দিয়েছে কি না। বললাম, পথখরচ আগেই নিয়েছি। হাদিয়াও কিছু পেয়েছি। পিএস দুঃখিত কণ্ঠে জানালো আয়োজকরা তাদের কানা কড়িও দেয় নি। বলেছে পরে বিকাশে দেবে। এতদিন চলে গেলো এখনও দেয় নি। বোঝাই যাচ্ছে, দেবার ন্যুনতম গরজ তাদের নেই। দশ-বারো হাজার খরচ করে গিয়ে যদি গড়ের মাঠ সঙ্গে করে ফিরতে হয়, কেমন লাগে? অতঃপর আয়োজন কমিটির চৌদ্দ গুষ্টির নাম নেওয়ার মাধ্যমে কথোপকথন সমাপ্ত হলো। শুনেছি এখনও বিকাশ কর্তৃপক্ষ সেই হাদিয়া পৌঁছানোর দায়িত্ব পায় নি।

গলাকাটা বক্তাদের নিয়ে অনেককথা হয়; কিন্তু বক্তাদের গলা যারা কাটে সাহস করে তাদের ধরা যায় না। কারণ বক্তাকে গালাগাল করে সেলিব্রেটি হওয়া যায়; আয়োজকদের সমালোচনা করলে দাওয়াত হারানোর শঙ্কা বাড়ে।

#মাহফিল #ওয়াজ

Nuruzzaman Nahid

13 Dec, 13:49


শাহ আবদুল আযিয দেহলভি রাহিমাহুল্লাহর দা রু ল হা র ব সংক্রান্ত ঐতিহাসিক ফতোয়াটি কেউ খণ্ডন করেন নি কথাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। সত্য হলো, ফতোয়া প্রদানের সময় থেকে পবরবর্তী সময়েও অনেক মুহাক্কিক আলেম, বরং অধিকাংশ হিন্দুস্তানি আলেম, এই ফতোয়ার পক্ষে মত দেন নি। এমনকি মাওলানা কাসেম নানুতবি, রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহি, আশরাফ আলি থানভি রাহিমাহুমুল্লাহ সহ তৎকালীন অনেক মুহাক্কিক আলেম ও মুফতি এর বিপরীত মত প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও কারামত আলি জৌনপুরি, আহলে হাদিস আলেম মাওলানা হুসাইন বাটালভিও বিপরীত মত প্রকাশ করেছেন। আবদুল হাই লাখনভি রাহিমাহুল্লাহর তাহকিকও ছিল শাহ আবদুল আযিয রাহিমাহুল্লাহর বিপরীত।

মানে এই নয় যে শাহ সাহেবের ফতোয়া কেউ গ্রহণ করেন নি; তৎকালীন অনেক মুহাক্কিক আলেম এই ফতোয়ার পক্ষে বলেছেন এবং এই ফতোয়ার ভিত্তিতেই বালাকোটের যু দ্ধ হয়েছে। নানুতবি রাহিমাহুল্লাহ তাহকিকের জায়গা থেকে ভিন্নমত প্রকাশ করলেও তার আগ্রহ ও আকর্ষণ ছিল শাহ সাহেবের ফতোয়ার দিকেই। পরবর্তী অনেক উলামায়ে কেরাম এই ফতোয়া প্রচার করেছেন ও এর ওপর আমল করেছেন। উপর্যুক্ত কথাগুলোর মর্ম হলো, ঐতিহাসিক এই ফতোয়াটির ওপর ইজমা ছিল না; অনেকে দ্বিমত করেছেন এবং দলিল-প্রমাণ সহ করেছেন। ‘কেউ একে খণ্ডন করে নি’ বলার দ্বারা ‘ইজমা’ বোঝার যে সম্ভাবনা তৈরী হয় সেটা সম্পর্কে সতর্কতা জরুরি। ফতোয়া প্রদান ও গ্রহণ-বর্জনের নীতিমালা ও সীমান-পরিধি রয়েছে; সেগুলো প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও অনুবর্তীতা আবশ্যক।

ঐতিহাসিক ফতোয়াটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং দা রু ল ইসলাম ও দা রু ল হা র ব বিষয়ে পরিচ্ছন্ন ধারণা অর্জনের জন্য পড়া যেতে পারে দারুল উলুম দেওবন্দের কৃতি সন্তান মুহাদ্দিসে কাবির মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, সুনানু সাইদ বিন মানসুর, মুসনাদে হুমাইদি সহ অনেক হাদিসগ্রন্থের মুহাক্কিক মাওলানা হাবিবুর রহমান আজমি রাহিমাহুল্লাহ রচিত ‘দা রু ল ইসলাম ও দা রু ল হা র ব’ গ্রন্থটি।

Nuruzzaman Nahid

13 Dec, 13:46


দারুল ইসলাম ও দারুল হারব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গ্রন্থটি সহযোগিতা করবে।

Nuruzzaman Nahid

16 Nov, 15:06


https://youtu.be/hlocu_PMPuY

Nuruzzaman Nahid

16 Nov, 02:25


নারীশিক্ষা নিয়ে ডু হালাল ডিজাইনে একটা পোস্ট পড়লাম। পড়তে পড়তে একটা সত্য ঘটনা মনে পড়লো। বলে ফেলি।

বেশ দীর্ঘ একটা প্রশ্ন এসেছিল। ঘটনা সবিস্তারে লেখা হয়েছে। প্রায় দুই ফর্মা। আপনারা অধৈর্য হয়ে যাবেন। কিন্তু, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মত পুরো উপাখ্যান আমার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হয়েছে। সংক্ষেপে ঘটনা হলো, মেয়েটা পারিবারিকভাবে দ্বীনদার। তার বক্তব্য অনুযায়ী পর্দা মেইনটেইন করে চলে। কলেজ শেষ করে ঢাবিতে চান্স পেয়েছিল। বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে পড়া কঠিন; তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট দরকার ছিল। সিট পাওয়া নিয়ে ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল। তখন অল্প পরিচিত এক সিনিয়র ভাই এগিয়ে আসেন। তার সহযোগিতায় সিট হয়। এবং এই সুবাদে মাঝেসাঝে কথাবার্তা হয়।

আলাপচারিতা এক সময় প্রেমে রূপ নেয়। যেহেতু মেয়েটি পারিবারিকভাবে দ্বীনদার, হারাম সম্পর্কে সে থাকতে চাইছিল না। তাছাড়া যেকোনো সময় ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তারা করছিল। ফলে, মেয়েটির পীড়াপীড়িতে সম্পর্ক হালাল করতে বন্ধুদের উপস্থিতিতে তারা বিয়ে করে নেয়। সম্পর্ক হালাল করার পর বেশ কয়েকবার তারা অন্তরঙ্গ হয়েছে।

মাস কয়েক যাওয়ার পর সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। ছেলেটি খারাপ আচরণ করতে থাকে। তাকে গালমন্দ, মারধোর করে। অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে। ইত্যাকার অনেক অভিযোগ। অপরদিকে বাসা থেকে পাত্র ঠিক করে ফেলেছে। সরকারি ভাল চাকরি করে। দেখতেও ভাল। হায়ার এডুকেটেড। বাসা থেকে বিয়ের প্রেসার চলছে। আগের বিয়েটির কথা বাসায় বলা অসম্ভব। জানে মেরে ফেলবে। টিপিক্যাল দ্বীনদার পরিবারে যা হয়। তাছাড়া, ওই ছেলের কাছ থেকে তালাক নেওয়া হয় নি। তালাক সে দিতেও চাইবে না।

এখন প্রশ্ন হলো, তাদের পূর্বের বিয়েটি কি হয়েছে? যেহেতু মেয়ের অভিভাবক জানে না। হয়ে থাকলে মেয়েটি কি পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবে? ইদ্দত পালন করতে হবে কী? মেয়েটি যদি বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে তাহলে পূর্বের বিয়ের কথা ছেলেটিকে জানাতে হবে? কাবিননামায় নিজেকে কুমারী লিখলে কি গুনাহ হবে?

পুরো উপাখ্যান পড়ে বেশ খানিকটা সময় চুপ করে বসে ছিলাম। না জানি এমন কত দ্বীনদার পরিবার মহাপাপের এই অথই সাগরে দুনিয়াবি সার্টিফিকেট অর্জনের আকাঙ্ক্ষায় ছেলে-মেয়েকে ঠেলে দিচ্ছে! গাইনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া কত মেয়ে নিয়মিত জন্মনিরোধক ব্যবহার করছে! গাইনির শরণ নিয়ে এবোরশান করছে! অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। যারা হারাম ও গুনাহ সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের দুর্বলতা বোধগম্য; যারা দ্বীন প্র্যাকটিস করে তাদের এই বেপরোয়া ভাব বোধগম্য নয়। উল্টো ফিকহ-ফতোয়াকে কটাক্ষ করে ঈমান নষ্ট করা! এদের তো ইহকাল-পরকাল সব বরবাদ!

সিস্টেমকে মেনে নিলে বিপ্লব হয় না; সিস্টেমের দুর্বলতা বুঝে তারচেয়ে উত্তম বিকল্প প্রস্তাব করতে হয় এবং আন্দোলন জোরালো করতে হয়। আমাদের তো উত্তম বিকল্প আছে; প্রয়োজন শক্তিশালী আন্দোলন ও কুরবানি। তাহলেই সহশিক্ষার এই ভয়ঙ্কর সিস্টেম থেকে মুক্তি সম্ভব।

Nuruzzaman Nahid

03 Nov, 12:42


https://youtu.be/PU1e1ysHZLk

Nuruzzaman Nahid

27 Oct, 01:17


একুশে বইমেলায় সবচেয়ে ভোগান্তি হয় নামাজ পড়া নিয়ে। অতি ক্ষুদ্র সাইজের একটি নামাজঘরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পালাক্রমে নামাজ আদায় করতে গিয়ে মাগরিব কাজা হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ, ইফাবা ইসলামি বইমেলায় সবচেয়ে সহজে, আরামে ও প্রশান্তচিত্তে নামাজ আদায় করা যায়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদে পবিত্র আবহে নির্ঝঞ্ঝাটে রব্বে কারীমের সামনে সিজদাবনত হয়ে হৃদয় কৃতজ্ঞতায় বিগলিত হয়।

একুশে বইমেলায় যেখানে ইমাম নির্বাচন হয়ে যায় জটিল এবং কোনো কোনো সময় ইমামের অশুদ্ধ কিরাআত হয়ে দাঁড়ায় পীড়াদায়ক সেখানে ইসলামী বইমেলায় গিয়ে জাতীয় মসজিদের সম্মানিত ইমাম সাহেবের ইকতিদা ও শ্রুতিমধুর বিশুদ্ধ তিলাওয়াত হৃদয় আন্দোলিত করে।

সবচেয়ে বড় কথা, একুশে বইমেলায় গিয়ে দৃষ্টির হিফাজত হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণ অনেক সময় বেশী হয়ে যায়। বিপরীতে ইসলামী বইমেলায় নজর হিফাজত নিয়ে ভাবতে হয় না। রিল্যাক্স মুডে হাঁটাচলা করা যায়। দুএকজন নারী-পাঠক যারা আসেন পরিপূর্ণ পর্দা করে মাহরাম সহ আসেন। এটা পরকালে বিশ্বাসীদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক।

ফলে, আমাদের কাছে প্রাণের বইমেলা মানে ইফাবার ইসলামী বইমেলা। প্রশান্তির বইমেলা। দ্বীনদার ভাইদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্কোন্নয়নের বইমেলা।

বইমেলাতে আসুন। অন্যকে আসতে উৎসাহিত করুন।

Nuruzzaman Nahid

21 Oct, 15:03


যেকোন ক্ষেত্রে সফল হতে তিনটি জিনিসের দরকার :
১. দক্ষতা।
২. নিষ্ঠা।
৩. ধারাবাহিকতা।

আপনার মধ্যে কোন জিনিসটির অভাব আছে বলে মনে করেন?

Nuruzzaman Nahid

05 Oct, 07:25


https://youtu.be/5_vlDIGcJuo?si=g2p6yj7QEB3WlFY5

Nuruzzaman Nahid

04 Oct, 13:39


ایک بات تو یہ ہے کہ یہ انقلاب شیخ مجیب الرحمن اور ان کے مخصوص حواریوں کی اس پالیسی کا رد عمل ہے جس نے بنگلہ دیش کو بھارت کے ہاتھ گروی رکھ دیا تھا۔ ہمیں سیاست میں بصیرت رکھنے کا کبھی دعوی نہیں ہوا لیکن جو راستہ شیخ مجیب اور ان کے حواریوں نے اختیار کیا تھا وہ سیدھا اسی انجام تک جاتا تھا چنانچہ سقوط مشرقی پاکستان کے فورا بعد جب بنگال میں مجیب کے نام کا کلمہ پڑھا جا رہا تھا، ہم نے اسی وقت لکھ دیا تھا کہ :۔
ابھی تو مکتی باہنی اور اس کے لیڈر ہندوستانی سنگینوں کے سایہ میں فروکش ہیں جب یہ سایہ چھٹے گا، حقائق نکھریں گے اور عوام کو فریاد کی آزادی ملے گی، اس وقت یہ فیصلہ تو تاریخ ہی کرے گی کہ اہل بنگال کے لئے اعظم خان او ٹکا خان زیادہ بڑے ظالم تھے یا مکتی باہنی اور اس کے ہم نوا؟ بنگالی عوام کا استحصال باہر کے لوگوں نے زیادہ کیا تھا یا ان بنگالیوں نے جنہوں نے پورے بنگال کو ہندوستان کا غلام بنا کر اسے نصف صدی پیچھے دھکیل دیا ہے۔ (البلاغ ربیع الاول ۱۳۹۲ھ )
چنانچہ آج شیخ مجیب الرحمن اور ان کے پورے خاندان کا صفایا کرنے والے ایوب خان ، بیٹی خان، یا ذوالفقار علی بھٹو نہیں، بلکہ اسی "سونار بنگلہ " کے باسی ہیں جسے شیخ مجیب یا ان کی مکتی باہنی نے " بیرونی حکمرانوں " سے "نجات" دلائی تھی۔ پھر اس سے زیادہ عبرت ناک بات یہ ہے کہ آج بنگلہ دیش کی مجیب کی موت پر آنسو بہانے والوں کی تعداد آٹے میں نمک کے برابر بھی نہیں ہے۔

Nuruzzaman Nahid

04 Oct, 13:38


১৫ই আ গ স্টে শেখ মুজিবের হত্যার পর শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকি উসমানি হাফিজাহুল্লাহর প্রতিক্রিয়া :

“একটি বিষয় হলো, এই বিপ্লব শেখ মুজিবুর রহমান ও তার বিশেষ সহযোগীদের ওই পলিসির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া, যা বাংলাদেশকে ভারতের হাতে বন্ধক রেখেছিল। আমি কখনো রাজনীতিতে অন্তর্দৃষ্টি রাখার দাবি করি না, তবে শেখ মুজিব ও তার সহযোগীরা যে পথ গ্রহণ করেছিল, তা সরাসরি এই পরিণতিই বরণ করতো। সুতরাং, পূর্ব পাকিস্তানের পতনের পর যখন বাংলাদেশে শেষ মুজিবের নামে কালিমা পড়া হচ্ছিল, তখনই আমি লিখে দিয়েছিলাম:
“এখন তো মুক্তিবাহিনী ও তার নেতা ভারতীয় বন্দুকের ছায়ায় অবস্থান করছে। যখন এই ছায়া সরে যাবে, সত্যগুলো প্রকাশিত হবে এবং জনগণ মুক্তির আওয়াজ তোলার অধিকার পাবে তখন ইতিহাসই নির্ধারণ করবে, বাঙালি জনগণের জন্য আযম খান ও টিক্কা খান বড় অত্যাচারী ছিলেন নাকি মুক্তিবাহিনী ও তাদের সহযোগীরা?” (আল-বালাগ, রবিউল আউয়াল, ১৩৯২ হিজরি)

অতএব, আজ শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পুরো পরিবারকে সমূলে হত্যাকারী আইয়ুব খান, বেটি খান, জুলফিকার আলি ভুট্টো নন, বরং সেই "সোনার বাংলা"র বাসিন্দা, যাদের শেখ মুজিব ও তার মুক্তিবাহিনী “বহিরাগত শাসকদের” থেকে “মুক্ত” করেছিল। এরচেয়েও করুণ বিষয় হলো, আজ বাংলাদেশে মুজিবের মৃত্যুর জন্য শোক কাটানোর লোকের সংখ্যা আটার খামিরার মধ্যে লবণ পরিমাণও নয়। প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশী জনগণের সামগ্রিক বিবেক মুজিবের ভারতপন্থী নীতিগুলোর বিরুদ্ধে তীব্রভাবে বিরক্ত এবং অসন্তুষ্ট ছিল।”
(ইসলাম আওর সিয়াসাতে হাজেরা, পৃষ্ঠা : ১২৬)

Nuruzzaman Nahid

02 Oct, 13:13


ইসলামের জন্য প্রথম প্রাণোৎসর্গকারী শহীদের নাম কি?

Nuruzzaman Nahid

24 Sep, 00:44


ভাইয়েরা আমার, সচেতন হোন। কথা বলেন। দেখেন, কী কী হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রে।

আজকের মানবজমিনের খবর। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের ধারা সংশোধনের জন্য ৮টি প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।

সংশোধনীগুলো দেখেন :
"৮ খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব
১ম সংশোধনটি ধারা-৩ সংক্রান্ত। রেড কালারে মার্কড অংশটুকু সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধের সংজ্ঞায় একটি ব্যাপক ও সিস্টেমেটিক আক্রমণের অংশ হিসেবে গুম, লিঙ্গভিত্তিক সহিসংতা, যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক যৌনকর্ম, জোরপূর্বক গর্ভধারণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনীর কারণে জেন্ডার ও কালচারাল গ্রাউন্ডেও যদি কোনো সিভিলিয়ানের ওপর ব্যাপক ও সিস্টেমেটিক আক্রমণ করা হয় তাহলে তা মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, যা পূর্বের আইনে ছিল না।"

এখানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দ্বারা উদ্দেশ্য কী? সমকামিতার বিরুদ্ধে বলা অপরাধ?

যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক যৌনকর্ম, জোরপূর্বক গর্ভধারণ দ্বারা কী বোঝানো হচ্ছে? বুঝতে পারছেন? সম্পূর্ণ নেড়িবাদী ম্যানুফেস্টো সাজানো হচ্ছে।

এই আইন বাস্তবায়ন হলে ট্রা ন্স গন্ডার ও স ম কা মের বিরোধিতার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তথাকথিত বৈবাহিক ধ র্ষ ণের ছুতোয় পরিবারব্যবস্থা কঠিন হয়ে যাবে।

এখন যেমন তথাকথিত নারী নির্যাতনের ছুতোয় মহিলাদের উস্কে দিয়ে পরিবার ভাঙছে, তখন জোরপূর্বক সহবাস ও গর্ভধারণের ছুতোয় ভাঙবে। মহা সর্বনাশ এগিয়ে আসছে।

পাঠ্য পুস্তক সংস্কারে যে দুই ইবলিস বসানো হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে সবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা অপরিহার্য।

এনজিওদের শয়তানি থেকেই পরিবার ভাঙা আর স ম কা ম প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত।

এখন কথা না বললে রক্ত ঝরাতে হবে যুগ যুগ ধরে। কথা বলুন। অন্তত পোস্ট শেয়ার বা কপি করে ছড়িয়ে দিন। প্লিজ।

Nuruzzaman Nahid

22 Sep, 12:47


ছাত্র ভাইয়েরা, গুমনাম বুযুর্গ হওয়ার চেষ্টা করেন। সেলিব্রেটি হওয়ার পথে হাঁটবেন না। সেলিব্রেটিদের কোনো ফজিলত কুরআন-সুন্নাহতে নাই; গুমনাম বুযুর্গদের ফজিলতের কথা আছে। আমাদের আকাবিররা গুমনাম থাকার চেষ্টা করেছেন। আমরা যারা অনিচ্ছায় এই পরীক্ষায় পড়ে গেছি, দুআ করবেন, যাতে এই বিপদসংকুল পথ পার করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জায়গাতে পৌঁছুতে পারি।

মাওলানা মা মু নু ল হক হাফিজাহুল্লাহ
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্থান : জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম রূপগঞ্জ

Nuruzzaman Nahid

21 Sep, 05:57


পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত শরীফার গল্পের পক্ষে অনলাইন-অফলাইনে সবচেয়ে বেশী সরব প্রাণীকুলের অন্যতম সামিনা লুৎফাকে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য করা হয়েছে। শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়া হয়েছে। এরচেয়ে বড় মশকরা এদের মানুষের সাথে আর কী হতে পারে? ফাজলামির তো একটা লিমিট থাকা উচিত।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উত্থান হয়েছিল তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নারীনীতি ও শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে। আশা করি এই ইতিহাস হেফাজতে ইসলাম আবারও স্মরণ করবে।

যারা লগবত সাপোর্ট করে বা তাদের অধিকার আদায়ের পক্ষে লড়াই করে দেশের ১৬ কোটি মুসলমান এদের রাষ্ট্রের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখতে চায় না। এদেরকে সুযোগ দিলে দেশে কেবল অরাজকতা বাড়বে। প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহ, প্রতিমাসে রাজপথে আন্দোলন হবে। উন্নয়নের গতিরোধ হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বিষয়টি তাদের মাথায় থাকা উচিত। ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেশে অশান্তি তৈরি হলে এর দায় তাদেরকেই নিতে হবে।

ছবিতে সামিনা লুৎফার অতীত পাপের কিছু চিত্র।

Nuruzzaman Nahid

20 Sep, 14:42


জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানের সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের সাথে প্রায় আটান্ন মিনিটের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার আদ্যোপান্ত শুনলাম।

রাজনীতি ও আধুনিক রাষ্ট্র চিন্তা নিয়ে তিনি বেশ সাবলীল ও সুন্দর কথা বলেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সাবলীল ঢঙে ও প্রতুৎপন্নমতিত্বের সাথে দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ ও রাজাকার প্রশ্নের তীর যতটা স্মার্টভাবে তিনি প্রতিহত করেছেন সেটা তার রাজনৈতিক দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিমত্তাকে প্রমাণ করে।

তবে, ই স লা ম, খি লা ফা হ, সুদি অর্থব্যবস্থা ও সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে তার বক্তব্য ও আচরণ হতাশাজনক ছিল। আমি জানি না এটা তার জ্ঞানগত দৈন্য কিংবা একমুখী পাঠের কুফল কি না। খি লা ফা হ ও খলিফাদের যুগকে গণতন্ত্রচর্চার সেরা সময় ও খি লা ফা হ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি একজন সাধারণ আলেমও কখনো বলবে না, বলতে পারে না। উপরন্তু, ড. ইউনুসের সুদি কারবারের বিরুদ্ধে বলাকে তিনি "ফতোয়াবাজি" আখ্যা দিয়েছেন। ক্ষুদ্র ঋণের সুদি পদ্ধতি সম্পর্কেও থেকেছেন নীরব। ইসলামী নাম ধারণকারী একটি দলের আমিরের ইসলামী জ্ঞানের এমন দীনতা দুঃখজনক।

কৌতূহল জাগে, ইসলাম ও খি লা ফা হ সম্পর্কে সত্য বলতে তাদের এতো দ্বিধা কেন? নাকি মওদুদী মরহুমের মত তারাও এসব সত্য গোপন করাকে "হেকমতে আমলি" মনে করেন? নাকি আদর্শগতভাবেই তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন? আমিরের আজকের বক্তব্য আমাদের সে-ই ইঙ্গিত কি দিচ্ছে না? তাদের কর্মীদের বক্তব্য ও আচরণও কি এই বার্তাই বহন করে না?

যারা গণতন্ত্রকে কুফরি ও বাতিল মতবাদ মনে করে তাদের উচিত মুগ্ধতা প্রকাশের আগে এসব বিষয় বিবেচনা করা। অবশ্য কেউ যদি হাওয়া বদলের সাথে সাথে বুলি বদলায় ও আদর্শ ত্যাগ করে তার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। যার চরিত্র নাই তার সম্ভ্রম হারানোর ভয়ও নাই।

Nuruzzaman Nahid

16 Sep, 00:39


যা বুঝলাম :

১. গতকাল সিচুয়েশানটাই এমন ছিল যে, সুবিধাভোগীরা সুযোগ পেয়ে গেছে। একই স্থানে দুইটা অনুষ্ঠান চলতে থাকলে ভুল বোঝানো সহজ হয়ে যায়।

২. পিএস রিয়াদ সাহেব আন্তরিক হলেও পুরাতন আমলাদের রাজনীতি বুঝে উঠতে পারেন নাই। সচেতন না হলে ওই আমলারা তারে ঘোল খাওয়াবে।

৩. ধর্ম উপদেষ্টা ও তার পিএস কওমি মাদ্রাসার হওয়ায় কিছু জামাতি ভাইয়ের গাত্রদাহ নিদারুণ। ফলে বিভক্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে নারাজ।

৪. খলিলুর রহমান মাদানি ও নুরুজ্জামান নোমানী সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রাখতে। এসব কালপ্রিটের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।

৫. দাবি উত্থাপনকারীদের যেহেতু উপদেষ্টা ও তার পিএস আগে থেকেই চেনেন তাই সাধারণভাবে আকাঙ্ক্ষা ছিল তাদের সহযোগিতা লাভের। অবশ্য পরিচিত না হলেও এটা তাদের প্রাপ্য ছিল। অজ্ঞাত কোনো কারণে সেটা হয় নি। দায়িত্বশীল হিসেবে এই দায় তারা এড়াতে পারেন না।

৬. ফেসবুকে লেখালেখি ও লাইভ ছিল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এতে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। এটা দরকার ছিল। তবে, এখানেও কিছু জামাতি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। মন্দির-পূজা ইত্যাদি তুলে গালমন্দ করেছে। বিভেদ বাড়াতে চেয়েছে। এদের চিনে রাখা দরকার।

৭. আজ লেখক-পাঠকের সাথে উপদেষ্টা সাহেব বৈঠক আহ্বান করেছেন। এখন পর্যন্ত তাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে। আশা করছি আজও ব্যতিক্রম হবে না।

নিজেদের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি না করে আসুন দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হই। মাদানি ও নোমানীর মত চিহ্নিত ফেতনাবাজদের উচিত শিক্ষা দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মত ওরাও জঙ্গি ট্যাগ দিয়েছে; আওয়ামী লীগের ভূত ওদের ঘাড় থেকে নামানোর যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

Nuruzzaman Nahid

14 Sep, 16:46


মেয়ে বললো, তোমাকে একটা আরবি শব্দ জিজ্ঞেস করি; বাংলা বলো।
- আচ্ছা।
- বলো, فِراشٌ।
- একটি বিছানা।
- হুম। পেরেছো। মাশাআল্লাহ।

- এবার তুমি বলো, فَراشٌ মানে কী?
প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত করে চোখ পিটপিট করলো সে। "পারছি না" বলতে রাজি নয়।
- মানে প্রজাপতি। গোল ة যোগ করে فَراشةٌ পড়া যায়। আচ্ছা বলো তো فُراشٌ অর্থ কী?

আবারও চিন্তিত চোখের পলকে অব্যক্ত "পারছি না"।
- অর্থ, ব্রাশ। ঘুম থেকে উঠে দাঁত সাফাই করার যন্ত্র। فُراشةُ الأَسنان বলা যায়। আবার ছোট্ট করে فُراشةٌও বলা যায়।
- দারুণ তো। এক শব্দ দিয়ে এতগুলো অর্থ!
বলেই খাতা আর পেন্সিল নিয়ে লিখতে বসে গেলো। আমি লেখা দেখতে দেখতে ভাবছি وضوء শব্দের রূপগুলোও ধরিয়ে দেবো নাকি?

وَضوء را در وِضوء کردہ وُضوء کن۔

#আরবির_মজা

Nuruzzaman Nahid

08 Sep, 00:22


মন্দির পাহারা দেওয়ার কারণ কী ছিলো? মন্দির রক্ষা করা? মন্দির রক্ষা করা কি বৈধ? মন্দিরে যা কিছু হয় তার সবই কি একজন মুমিনের নিকট গর্হিত অপরাধ নয়? তাহলে পাহারা দেওয়া হয়েছিল কেন?

কোনকিছুর আগাপাশতশা না বুঝে মন্তব্য করা অনুচিত। বিশেষত বয়োজ্যেষ্ঠ কেউ মন্তব্য করলে তাকে আক্রমণের আগে কারণ ও অনুঘটক বুঝবার চেষ্টা করা কর্তব্য। নোংরা শব্দে কটাক্ষ তো সম্পূর্ণ অবৈধ; সেটাকে যতই হাজ্জাজি কলম বলা হোক। আল্লাহ তাআলা বোঝার তাওফিক দান করুন।

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যেকোনো রকম বিশৃঙ্খলা পরাজিত শক্তিকে সংঘটিত হওয়ার এবং সুযোগসন্ধানীদের আগ্রাসী হওয়ার মওকা দিয়ে দেবে। মূলত এই ধরণের অস্থিরতার আকাঙ্ক্ষাই তারা করছে। ফলে আন্দোলনোত্তর সময়ে উলামায়ে কেরাম মন্দির পাহারা দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছেন। আকীদাগত মৌলিক বিরোধ থাকার পরও। শিরক সবচেয়ে বড় জুলুম, জেনেও। একই কারণে এখন তারা মাজার পাহারা দেওয়ার আহ্বান করছেন। আকীদাগত বিরোধ থাকার পরও। বিদআত সুনিশ্চিত ভ্রষ্টতা, জেনেও। এই দুই আহ্বানে না শিরক-বিদআতের প্রতি নমনীয়তা আছে আর না মুগ্ধতা। বরং ঘৃণা সত্ত্বেও বিদ্যমান অস্থিরতা হেতু এই পদক্ষেপ গ্রহণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এই সরল বয়ানটুকু যেকেউ বুঝবার কথা। কিন্তু, বুঝমান লোক যখন অবোধ প্রাণীর মত আচরণ করে তখন নিয়ত ও এরাদা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

সর্বোপরি সকলের প্রচেষ্টা থাকা উচিত, সদ্য অর্জিত মুক্তিকে যথাযথ উপায়ে ব্যবহার করে ই স লা মি বিজয়ের পথে আগুয়ান হওয়া; অযথা নিজেদের ভেতর কোন্দল তৈরী করে উদ্যোগ ভণ্ডুল করা থেকে বিরত থাকা। নতুবা আগামীর বাংলাদেশ ই স লা ম পন্থীদের জন্য হবে আরও ভয়াবহ, আরও বিপদসংকুল।