ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life @islamisthecompletecodeoflife Kanal auf Telegram

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life
পরিপূর্ন মুসলামান হওয়ার জন্য প্রয়োজন ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করা। আর এর জন্য আল্লাহ কি বলেছেন দেখুন- হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্র। (বাকারা : ২০৮)
20,613 Abonnenten
999 Fotos
671 Videos
Zuletzt aktualisiert 01.03.2025 17:20

ইসলাম: জীবনবিধানের পূর্ণতা

ইসলাম, যা আরবি ভাষায় 'আসালামু আলাইকুম' অর্থাৎ 'শান্তি' শব্দ থেকে উদ্ভূত, মানবতার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এটি একটি ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও তার মূলনীতি, নির্দেশনা এবং নীতিমালা মানব জীবনের প্রত্যেকটি দিককে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ইসলামের মূল উৎস হলো কুরআন এবং হাদিস। কুরআন হলো আল্লাহর অবিসংবাদিত বাণী, যা নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ হয়েছে। ইসলামের মূল ভিত্তি হলো ঈমান, সালাত (নামাজ), রোজা, যাকাত এবং হজ। একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হওয়ার জন্য ইসলামের প্রতি পূর্ণ নিবেদন এবং এর নীতিমালা অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কুরআনের বাকারা সুরার ২০৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে, 'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না।' এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলামের পূর্ণতা এবং নিমন্ত্রণকে তুলে ধরা হয়েছে।

ইসলামের মূলনীতি কী কী?

ইসলামের মূলনীতি সাধারণত পাঁচটি স্তম্ভে বিভক্ত করা হয়। এ পাঁচটি স্তম্ভ হলো: ১. শাহাদাহ (ঈমানের সাক্ষ্য), যা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকে নির্দেশ করে। ২. সালাত (নামাজ), যা দৈনিক পাঁচ সময়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার নির্দেশ দেয়। ৩. রোজা, যা রমজান মাসে সিয়াম পালনের জন্য নির্দেশিত। ৪. যাকাত, যা দান বা দাতব্য সাহায্যের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে। ৫. হজ, যা সক্ষম মুসলমানদের জন্য একবার জীবনে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক।

প্রতিটি স্তম্ভের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শাহাদাহের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের বিশ্বাসের ঘোষণার মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করে। সালাত আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে এবং রোজা আত্মসংযম শেখায়। যাকাত সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার কাজে সহায়তা করে, এবং হজ মুসলমানদের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায় হিসাবে একত্রিত হওয়ার সুযোগ।

কিভাবে একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হওয়া যায়?

একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলমান হতে হলে প্রথমে ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যক। এটি ইসলামি শিক্ষার বই, কুরআন এবং হাদিস অধ্যয়ন করার মাধ্যমে করা যায়। এছাড়াও, ইসলামের নীতিমালা ও আদর্শ অনুসরণ করার মাধ্যমে জীবন যাপন করা জরুরি। একজন মুসলমানের জন্য তার প্রতিদিনের জীবনে ইসলামের নীতিগুলি প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

এছাড়াও, ধর্মীয় কার্যকলাপ যেমন নামাজ, রোজা, যাকাত এবং হজ পালন করা অপরিহার্য। এর মাধ্যমে মুসলমানরা ঈশ্বরের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে এবং নৈতিকতা, দয়া এবং ঐক্যের মূল্যবোধকে ধারণ করে। একজন মুসলমানের জন্য সমাজে ভালো আচরণ, সত্যনিষ্ঠা এবং সহানুভূতির সঙ্গে অন্যদের সাথে সম্পর্ক রাখা জরুরি।

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে পার্থক্য কী?

ইসলাম এবং অন্যান্য ধর্মের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো ঈশ্বরের ধারণা ও ধর্মীয় উপাসনার পদ্ধতি। ইসলামে এক আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা হয় এবং আল্লাহর বাণী কুরআনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, অন্যান্য ধর্ম যেমন হিন্দুizm এবং খ্রিস্টান ধর্মে বহু দেবদেবীর পূজা করা হয়। মুসলমানরা আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করে এবং নবী মুহাম্মদ (সা) কে শেষ নবী হিসেবে মান্য করে।

এছাড়া, ইসলামের নৈতিকতা এবং সামাজিক নীতিগুলোও ভিন্ন। ইসলাম মানুষের মধ্যে সমতা, ন্যায় এবং সহানুভূতির শিক্ষা দেয়, যা অনেক ধর্মে ব্যবহৃত নীতি ও আদর্শের সাথে মিলে যায়, তবে কিভাবে তা বাস্তবে প্রয়োগ হয় তাতে পার্থক্য রয়েছে।

ইসলাম ধর্মের ইতিহাস কী?

ইসলামের ইতিহাস শুরু হয় ৬২০ সালে, যখন মহানবী মুহাম্মাদ (সা) প্রথম আল্লাহর কবুল করে ও ইসলামের প্রচার শুরু করেন। তিনি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ৪০ বছর বয়সে নবুঅত লাভ করেন। প্রথমদিকে, ইসলামের প্রচার চলাকালীন মুসলমানরা ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন। ৬২২ সালে মুহাম্মদ (সা) মদিনায় অভিবাসিত হন, যেখানে ইসলাম একটি শক্তিশালী সম্প্রদায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

মদিনায় ইসলাম প্রসার লাভ করে এবং সেখানে ইসলামের প্রথম রাষ্ট্র গঠন হয়। পরবর্তী সময়ে, ইসলামের প্রসার পুরো আরব উপদ্বীপ এবং পরে অন্যান্য অঞ্চলে ঘটে। ইসলামের বিস্তারের ফলে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, যা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

ইসলামের সামাজিক নীতি কী?

ইসলামী সামাজিক নীতিগুলো মানবতার মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। ইসলাম নারী ও পুরুষ উভয়কে সমান অধিকার প্রদান করে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে। একে অপরকে সাহায্য করা, অসহায়দের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা এবং সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এছাড়াও, ইসলামে পারিবারিক সম্পর্ক এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলাম পরিবারকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে এবং সম্পর্কগুলোর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life Telegram-Kanal

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life নামক চ্যানেলটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান স্থান যা ইসলাম এবং মুসলিম জীবনে আলোকিত করে। এই চ্যানেলে আপনি ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য এবং সূত্র পাবেন। ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করার জন্য সঠিক নির্দেশিকা এবং মার্গনির্দেশনের সাথে পরিচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই চ্যানেলে পাবেন ইসলামি তথ্য, কোরানের বিভিন্ন আয়াত এবং দীনি উপদেশ যা আপনাকে পূর্ণাঙ্গ মুসলামান হওয়ায় সাহায্য করবে। তারা যারা ইসলামে উদ্যোগশীল এবং আগ্রহী, এই চ্যানেল তাদের জন্য অবিচ্ছিন্ন জ্ঞানোদয়। চ্যানেলে একটি নিখুত সাথী এবং মার্গনির্দেশক পাবেন যিনি আপনাকে ইসলামের সঠিক মার্গে পযন্ত নিয়ে যাবেন। আসুন, চ্যানেলে যোগদান করুন এবং ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান সম্পর্কে উপকারিতা পেতে শুরু করুন!

 ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান-Islam is the complete code of life Neuste Beiträge

Post image

ইবাদতের স্পেশাল মাস রমাদান 

01 Mar, 04:51
741
Post image

সূরা আল-বাকারা : ১৮৩-১৮৭ আয়াত

01 Mar, 03:53
796
Post image

গুরুত্বপূর্ণ কিছু দুআ:


🔹 রমাদ্বান আগমনের প্রাক্কালে সালাফদের দু'আ ছিল -

اَللَّهُمَّ سَلِّمْنـِيْ إِلَى رَمَضَانَ وَسَلِّمْ لِـيْ رَمَضَانَ وَتَسَلَّمْهُ مِنِيْ مُتَقَبَّلاً.

হে আল্লাহ! রমাদ্বান পর্যন্ত আমাকে সহিহ সালামতে রেখো, রমাদ্বানকে আমার জন্য সহিহ সালামতে রেখো, আর আমার থেকে তা কবুল করো।

- লাতা'ইফুল মা'আরিফ, ১৪৮, ইবনু রজব হাম্বলী رحمه الله


🔹 ’উবাদাহ ইবনু সামিত (রা.) বলেন, রমাদ্বান এলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দু’আ পড়তেন—
.
اَللَّهُمَّ سَلِّمْنِي لِرَمَضَانَ وَسَلِّمْ رَمَضَانَ لِي وَتَسَلَّمْهُ مِنِّي مُتَقَبَّلاً
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লি-রামাদ্বানা ওয়া সাল্লিম রামাদ্বানা লি ওয়া তাসাল্লামহু মিন্নি মুতাক্বাব্বালা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমাদ্বান দান করুন। রমাদ্বানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। রমাদ্বানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।

[কিতাবুদ দু’আ—ত্বাবারানি; হায়াতুস সাহাবাহ্, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৮২]


🔹 রমযান বা যে কোন নতুন মাসের চাঁদ দেখে পড়ার দুয়াঃ

اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আ’লাইনা বিলআমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ।

অর্থঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।

🔹 ইফতারের সময় রোযাদারের দুয়াঃ

ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ

উচ্চারণঃ যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ’রূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু।

অর্থঃ পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীগুলো সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইন শা’ আল্লাহ।
(আবু দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন, সহীহুল জামে’ ৪/২০৯)

🔹 রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবেঃ

إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ
উচ্চারণঃ ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন।

অর্থঃ নিশ্চয় আমি রোযাদার, নিশ্চয় আমি রোযাদার।
[বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং ১১৫১]

🔹 লায়লাতুল ক্বদরের বিশেষ দুয়াঃ

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আ’নহা হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন,
“হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লায়লাতুল ক্বদর, তাহলে তখন কোন দুয়াটি পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি বলঃ

اَللهم إنَّكَ عَفُوٌ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنّي

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউ’উন তুহি’ব্বুল আ’ফওয়া ফাঅ’ফু আ’ন্নী।

অর্থঃ হে আল্লাহ!
তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাসো। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
( মুসনাদে আহমদঃ ৬/১৮২ )

28 Feb, 16:53
1,145
Post image

রমাদান কড়া নাড়ছে দুয়ারে। এটা ঈমানকে রিচার্জ করার মাস। লজিস্টিকস বা সংখ্যা মুমিনের বড় শক্তি না, মুমিনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ঈমান৷

রমাদানের সাথে সিরাত ও কুরআন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আল্লাহ ও নবীজির কটুক্তির প্রতিবাদে আন্দোলন জোরদার করার ঈমানি রসদ সংগ্রহ করতে হবে এই রমাদান থেকে৷

নবীজির প্রশংসা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা করেন। আমাদের প্রশংসার তাঁর দরকার নেই। শানে রেসালাতে আঘাতের প্রতিবাদ করতে হবে দায় এড়ানোর জন্য, ভালোবাসার নজরানা পেশ করার জন্য।

ইন্টেরিম যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে, তবে কড়া মূল্য দিতে হবে। ঈমান যে বুকে খুশবু ছড়ায়, সে বুকে আল্লাহ ছাড়া আর কারো ভয় থাকে না।

~ ডা.মেহেদি হাসান

28 Feb, 15:21
1,108