ইসলামি বই @islamiboibd Channel on Telegram

ইসলামি বই

ইসলামি বই
বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞানের আঙিনা
1,855 Subscribers
481 Photos
28 Videos
Last Updated 10.03.2025 00:13

ইসলামি বই: বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞানের আঙিনা

ইসলামি বইগুলি মুসলমানদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এই বইগুলি শুধুমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান নয় বরং মুসলিম সমাজের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধের একটি গতি-রেখা। বিশেষ করে, ইসলামি বইগুলো ধর্মীয় নির্দেশনা, নৈতিকতা, আইন এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইসলামি বইয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি, মানবাধিকার, এবং সামাজিক ন্যায়-নিয়ম সম্পর্কে গভীরতর ধারণা অর্জন করতে পারে। বৈজ্ঞানিক এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এই গ্রন্থগুলির মূল্য অপরিসীম। মূলত, ইসলামি বইগুলি মুসলমানদের জীবনের এক অমূল্য অংশ, যা তাঁদের চিন্তা, মূল্যবোধ এবং চিন্তাধারা গঠনে সহায়তা করে।

ইসলামি বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

ইসলামি বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা। এই বইগুলো ইসলামের মৌলিক নীতি, বিধান এবং আইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে। পাশাপাশি এটি মুসলমানদের নৈতিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করে।

এছাড়া, ইসলামি বইগুলি মুসলমানদের জন্য আত্ম-উন্নয়ন ও সংশোধনের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের দোষত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধনের সুযোগ পান।

কোন ধরনের ইসলামি বইগুলি সবচেয়ে জনপ্রিয়?

ইসলামি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বইগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেমন কোরআন, হাদিস, ফিকাহ ও ইসলামী দর্শন সম্পর্কিত বইগুলি মুসলমানদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদদের লেখা বই, যেমন ইমাম গাজ্জালি ও ইমাম নকশিবন্দির গ্রন্থগুলোও মুসলিম সমাজে অনেক মূল্যবান।

ইসলামি বই পড়ার উপকারিতা কী?

ইসলামি বই পড়ার মাধ্যমে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করে এবং তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এটি তাকে ইসলামের মৌলিক নীতি ও শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করে।

এছাড়া, এসব বই পড়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আত্ম-উন্নয়ন ঘটে, যেহেতু এটি মানুষকে মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা সম্পর্কে সচেতন করে।

বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞান অর্জনের উপায় কী?

বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞান অর্জনের অন্যতম উপায় হচ্ছে সিলেবাসভিত্তিক ইসলামী বই পড়া। এটি মুসলমানদের কোরআন ও হাদিসের ভালোভাবে বোঝার সহায়তা করে।

অন্যদিকে, ইসলামি সমাবেশ ও ধর্মীয় পাঠে অংশগ্রহণ করাও উপকারী। এখানে বিভিন্ন আলেমের বক্তৃতা শোনার মাধ্যমে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।

ভারতের মুসলিম সমাজে ইসলামি বইয়ের গুরুত্ব কী?

ভারতের মুসলিম সমাজে ইসলামি বইয়ের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। এটি মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনকে সমৃদ্ধ করে এবং তাঁদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ধরে রাখে।

মুসলিম সমাজে ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ইসলামি বইগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইসলামি বই Telegram Channel

ইসলামি বই চ্যানেলটি ইসলামি সাহিত্য ও শিক্ষা প্রবাহের অনলাইন মাধ্যম। চ্যানেলটির আঙিনা হল 'বিশুদ্ধ ইসলামি জ্ঞানের আঙিনা'। এখানে আপনি ইসলামের সঠিক ধারণা পেতে পারবেন এবং ঈমানদারিতার সাথে আরও পরিচিত হতে পারবেন। ইসলামি বই চ্যানেলে বিভিন্ন ইসলামি লেখকের লেখা, ইসলামের সঠিক ধারণা, নামাজের পদ্ধতি, কুরআন ও হাদিসের বিষয়বস্তু, ইসলামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখার সাথে পরিচিত হতে পারবেন। যদি আপনি ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে এবং এটির সঠিক প্রচার করতে আগ্রহী হন, তাহলে 'ইসলামি বই' চ্যানেলটি আপনার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।

ইসলামি বই Latest Posts

Post image

বর্তমান আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে প্যানিক বা হিস্টেরিয়া তৈরি করা অর্থহীন। এতে সমস্যার কোনো সমাধান আসবে না। তারচেয়ে বড় কথা, এধরনের আচরণ শুধু বিরক্তিকর না, বরং বিপজ্জনকও।
.
সমাজের মধ্যে প্যানিক সৃষ্টি করে দমনমূলক পদক্ষেপ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টার ইতিহাস বহু পুরনো। কার্ল শ্মিটের “State of Exception” নিয়ে আলোচনা আছে, আগ্রহীরা দেখে নিতে পারেন।
.
তত্ত্বতালাশ ভালো না লাগলে করো ন।র সময় প্যানিক ছড়িয়ে কী ধরনের রেসট্রিকশান চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল ভেবে দেখুন। সমাজের মধ্যে এধরণের হিস্টেরিয়া গুম-খুনের সংস্কৃতি বা সেনা শাসন জারির গ্রাউন্ড তৈরি করে।
.
সেক্যুলার রাষ্ট্র এক অতিকায় দানব যা সব কিছুকে নিজের কুক্ষীগত করতে চায়। সিস্টেম্যাটিকালি কমিউনিটিকে দুর্বল করে। সমাজের কাছ থেকে সব ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে, সবাইকে সে তার ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। তারপর সেটাকে নিয়ন্ত্রনে পরিণত করে। সবার ওপর নজরদারি করতে চায়, নিয়ন্ত্রন করতে চায় সবাইকে। এগুলো এমন বৈশিষ্ট্য যা সরকার বদলালে দূর হয় না। কাজেই এধরণের পরিস্থিতির সবগুলো দিক বিবেচনা করা জরুরী।
.
রাষ্ট্র কী করবে বা না করবে এ নিয়ে এতো দেনদরবার করার দরকার নেই। এগুলো নিয়ে অনন্তকাল পর্যন্ত কথা বলার, জাবর কাটার অনেক লোক আছে। আমরা নিজের জায়গা থেকে কী কী করতে পারি, সেটাতে মনোযোগ দেয়া কার্যকরী। হাহুতাশ করার চেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা বেশি প্রয়োজন।
.
.
দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি খারাপ। ঠিক আছে। সমাধান করতে হবে। প্যানিক, হিস্টেরিয়া কিংবা হাহুতাশ করে লাভ নেই। যদি আদৌ ইমোশন এখানে প্রাসঙ্গিক হয় তাহলে সেই ইমোশনগুলো হল সংকল্প, ইস্তিকামাত আর রাইচাস অ্যাঙ্গার। আর কিছু না।
.
লোকাল পর্যায়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করুন। কমিউনিটি পুলিসিং করুন। এগুলো আপনাদের কাছে অপরিচিত কিছু না। হাসিনা পালাবার পর এ দেশের মানুষ এই কাজটা করেছে। সফলভাবেই করেছে। কাজগুলো খুব কঠিন কিছুও না:
.
.
এলাকাবাসীকে নিয়ে গণপ্রতিরোধ কমিটি তৈরি করুন। গণপ্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক টহল পরিচালনার ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে ভোরের সময়টাতে।
.
অপরাধ বা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাহায্যের জন্য একটা অ্যালার্ম ব্যবস্থা (যেমন হুইসেল, সংকেত, মসজিদ) চালু করুন। এতে মানুষ দ্রুত সাড়া দিতে পারবে।
.
একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টীম তৈরি করুন। যারা যে কোনো ধরনের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত সক্রিয় হতে পারবে। এই টীম ফার্স্ট এইড থেকে শুরু করে, প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম (যেমন টর্চলাইট, হুইসেল, লাঠি) ইত্যাদি নিয়ে প্রস্তুত থাকবে। ইউস ইওর ইম্যাজিনেইশান।
.
গণপ্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের জন্য WhatsApp গ্রুপ বা অন্য কোন মাধ্যম ব্যবহার করুন।
.
একটা কমিউনিকেশন সেল রাখুন যেটা মিডিয়াসহ বিভিন্নসহ সমাজের বিভিন্ন সেগমেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়াকে লেভারেজ করবে।
.
নিজেদের আত্মরক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা, অগ্নি নির্বাপন, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয়- এরকম প্রাইমারি কিছু বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন করুন।
.
নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিন। আবারও বলছি, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিন।
.
প্রতি সপ্তাহে এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়ন সভা আয়োজন করুন। ঝুঁকি চিহ্নিত করুন এবং সেই অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।
.
নিয়মিতভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালু করুন, যাতে জরুরি মুহূর্তে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত তার কিছু বেইসিক আইডিয়া মানুষের থাকে।
.
মুরুব্বী, ৩০-৪৫ বছর বয়েসী এবং কিশোর-তরুণ, এই তিন গ্রুপকে ইনভলভ করুন। মুরুব্বীরা সার্বিক পরামর্শ দেবেন, ৩০-৪৫ বছর বয়েসীরা ম্যানেজমেন্ট করবেন, কিশোর-তরুণরা অন দা গ্রাউন্ড কাজের মূল শক্তি হিসেবে থাকবে। প্রথম দুই গ্রুপের মধ্যে অবশ্যই শুধু ডায়নামিক লোকজনকে নেবেন। খাওয়া, ঘুম, চাকরি, টিভি/নেটফ্লিক্স/গসিপের বাইরে যে কিছু বোঝে না ঐসব লোক বাদ রাখবেন।
.
অপরাধের মনস্তত্ত্ব বুঝুন। অপরাধী থামে ডেটারেন্সের কারণে। সে যখন বোঝে অপরাধ করার পরের লাভ আর অপরাধ করে ধরে পড়ার ক্ষতির মধ্যে ক্ষতির পাল্লা অনেক বেশী ভারী এবং ধরা পড়ার সম্ভাবনা সিগনিফিক্যান্ট তখন অপরাধীদের বড় একটা অংশ অপরাধ থেকে বিরত থাকে। এখানে কী ওয়ার্ড হলো *ডেটারেন্স*। ক্রিয়েট স্ট্রং ডেটারেন্স।
.
.
এগুলো একদম বেইসিক কথাবার্তা। ৩০ মিনিট চিন্তা করলে এমন অনেক কিছু আপনারা নিজেরাই বের করতে পারবেন। সেটাই করুন।
.
রাষ্ট্র কী করবে বা করবে না, সেটাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে আপনার ক্ষমতা খুবই সামান্য। কিন্তু এলাকাভিত্তিক উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আমার-আপনার করার আছে অনেক কিছুই।

24 Feb, 23:00
204
Post image

.
চিন্তা করুন, নিয়্যাত করুন, উদ্যোগ নিন, লেগে থাকুন। কমিউনিটিকে শক্তিশালী করার কাজটা একটা ধারাবাহিক প্রজেক্ট হিসেবে চালু রাখুন। গণশক্তিকে তুচ্ছ করবেন না। এই শক্তি হাসিনার রিজিমকে ফেলে দিয়েছে। খুচরা অপরাধ মোকাবেলা করা কঠিন কিছু হবে না, ইন শা আল্লাহ।

— আসিফ আদনান

24 Feb, 23:00
216
Post image

বাসে যে কোনো ধরণের ছিনতাই, ডাকাতি, হ্যারাসমেন্ট হইলে ধরে রাখবেন এটাতে ড্রাইভার-হেল্পার জড়িত। কেন সেটা ব্যাখ্যা করি।

আপনারা অনেকেই ঢাকার লোকাল বাসগুলায় রেগুলার যাওয়া আসা করেন, করেন না? যাদের অফিস বা ভার্সিটি তাদের একই বাসে ৪-৫ বছর টানা যাওয়া আসা করা লাগে। সে হিসেবে আপনাদের ঐ বাসের হেল্পার ড্রাইভারদের চেহারা পরিচিত হয়ে যাওয়ার কথা। মানুষ এক মসজিদে ৩ দিন গেলে মসজিদের রেগুলার নামাজি সবকয়টাকে চিনে ফেলে। কিন্তু বাসের হেল্পার ড্রাইভার কয়জনকে চিনেন আপ্নারা সেভাবে?

বিষয়টা আপনাদের চোখে সহজে খেলবে না। আমার চোখে পড়ার কারণ আমি এদেরকে দিয়ে সোর্সিং করার চেস্টা করছিলাম এককালে। এরা সবসময় রোটেশনের মধ্যে থাকে। একরুটে টানা কেউ বাস চালায় না।

এর অনেকগুলা কারণ আছে। এরা চান্সে থাকে কখন হুট করে লাখ খানেক টাকাওয়ালা কাউকে পাওয়া যায়। রাতে মেয়ে পাওয়া যায় অলমোস্ট ফাঁকা বাসে। এরা অনেকে নেশাজাতীয় দ্রব্য ডিস্ট্রিবিউশন রিংয়ের সাথে জড়িত। এদের অপারেশনাল মেথড যদি আপনাদের এক্সপ্লেইন করি আপনার মনে হবে তামিল মুভি।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এরা প্রত্যেকে আওয়ামী শ্রমিক লীগে ছিল। নাইলে বাস চালাইতেই দিত না। লীগের মিটিং মিছিলে যাওয়া লাগতো। এরাই মেট্রোরেল দুইটা নস্ট করছিল জুলাই অভ্যুত্থানের সময়।

লীগের শেষ তিন বছর, এই গুন্ডারা অতিরিক্ত চালু ও পাওয়ারফুল হয়। পুলিশকে ছাড়া চলতে শিখে। দিনের বেলায় এরা কাজ করে, ভান ধরে থাকে পরিশ্রমী শ্রমিকের, যাতে কখনো ধরা পড়লে দুই একটা লেজিট সাক্ষী দেখায় চট করে বের হয়ে যাইতে পারে। আর সারারাত ক্রাইম করে বেড়ায়৷

এদের ফুল অপারেশনাল মেথড, মেক্সিকান কার্টেলগুলার লাইট এন্ড সলিডিফাইড ভার্সন। কিন্তু এদেরকে ডিল করা সোজা। কিন্তু এই সোজা কাজ করার মতো এক্সপারটিজ বা ইচ্ছা সরকারের নাই।

— তানযিরুল ইসলাম নিবির

21 Feb, 21:24
517
Post image

বাসে যেকোনো ধরণের ছিনতাই, ডাকাতি, হ্যারাসমেন্ট হলে....

21 Feb, 21:23
212