🌹জ্ঞানের পাঠশালা🌹

একটি ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতাঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا ‏.‏
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “দু'শ্রেণীর জাহান্নামী যাদেরকে আমি এখনও পর্যন্ত দেখিনি । তন্মধ্যে একশ্রেণী হচ্ছে যাদের সঙ্গে গরুর লেজের মত চাবুক থাকবে, তদ্দ্বারা তারা মানুষকে অন্যায়ভাবে মারবে ৷ আর একদল স্ত্রী লোক, যারা কাপড় পরিহিত উলঙ্গ, যারা অন্যদের আকর্ষণকারিণী ও আকৃষ্টা, তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো। ওরা জান্নাতে যেতে পারবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবে না ৷ অথচ এত এত দূর হতে তার সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।”
(সহিহ মুসলিম, হা/৫৪৭৫)

                     হাদিসটির বাস্তবতাঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুই শ্রেণীর জাহান্নামীর কথা উল্লেখ করেছেন যাদেরকে তিনি জীবদ্দশাই দুনিয়াতে দেখতে পাননি ৷ অর্থাৎ যাদের আগমন উনার জামানায় ঘটেনি ৷ উক্ত দু'শ্রেণীর একশ্রেণী হচ্ছে—পুরুষদের মধ্য হতে ৷ আরেক শ্রেণী হচ্ছে— নারীদের মধ্য হতে ৷

জাহান্নামী পুরুষ কারা? হাদিসের ভাষায় যাদের হাতে গরুর লেজের ন্যায় বেত/চাবুক থাকবে ৷ তদ্দ্বারা মানুষকে অন্যায়ভাবে মারবে, ন্যায়নীতির প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে না, মানুষের প্রতি অবিচার ও জুলুমে লিপ্ত থাকবে, দিনশেষে অসংখ্য মানুষের বদ-দোআ, লানত ও অভিশাপ নিয়ে বাড়ি ফিরবে ৷ এদের বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

‏قال رسول الله ﷺ : يَخرُج رِجَالٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ؛ مَعَهُم أسياط كَأَنَّهَا أَذْنَابُ الْبَقَرِ، يَغْدُون فِي سَخَطِ اللَّهِ، ويَروحونَ فِي غَضَبه . مُسنَدِ الْإِمَامِ أَحمَدُ ٥/ ٣١٥
“এই উম্মতের শেষ জামানায় একশ্রেণী লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যাদের সঙ্গে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে ৷ তারা আল্লাহর ক্রোধ/অসন্তুষ্টি নিয়ে সকালে বের হবে আর সন্ধ্যায় আল্লাহর গযব/শাস্তি নিয়ে ফিরে আসবে ৷” (মুসনাদ আহমদঃ ৫/৩১৫)

এই বৈশিষ্ট্যের মানুষ কারা?
উত্তর হচ্ছে- রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী আর পুলিশের বৈশিষ্ট্যবহন করে এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই উক্ত হাদিসের মাকসাদ ও উদ্দেশ্য ৷ আগলাবিয়্যাতের (أغلبية) দিক বিবেচনায় হাদিসে পুলিশের কথা এসেছে ৷ কারণ রাষ্ট্রযন্ত্রের পুলিশরাই সাধারণ মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে ৷ ফলে তারা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, দূর্নীতি ও মানুষের প্রতি অন্যায় অবিচার করার সুযোগটাও বেশি পায় ৷ সর্বপরি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসের শব্দে পুলিশের নামই উল্লেখ করেছেন—
‏قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: بَادِرُوْا بِالْمَوْتِ سِتًّا، إمْرَةَ السُّفَهَاءِ، وَكَثْرَةَ الشَّرْطِ... (الحديث)

“ছয়টি জিনিস আসার পূর্বে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও- মূর্খদের নেতৃত্ব গ্রহণ, পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি ৷” [আহমদ: হা/১৬০৮৩; সহীহুল জামে: হা/২৮১২]

উক্ত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শেষ জামানায় আগত পুলিশ শ্রেণী থেকে মানুষকে সতর্ক থাকার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন ৷

জাহান্নামী নারী কারাঃ এই শ্রেণী নারীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেছেনঃ
وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ
“একদল নারী— যারা কাপড় পরিহিত উলঙ্গ, যারা অন্যদের আকর্ষণকারিণী ও আকৃষ্টা, তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের মতো।”

** কাপড় পরিহিত উলঙ্গের ব্যাখ্যাঃ
১. বোরকা পরিহিত, কিন্তু মূখমন্ডল খোলা রাখা ৷ চেহারাকে বলা হয় مجمع الجمال তথা সৌন্দর্যের মূল ৷ তাই হিজাব/বোরকা পড়েও চেহারা খোলা মানে— কাপড় পড়েও উলঙ্গ ৷
২. বোরকা পরিহিত, কিন্তু শর্ট বোরকা ফলে নারীর স্তনদ্বয় ও নিতম্ব বাহিরে ফোকাস করে ৷
৩. বোরকা পরিহিত, কিন্তু শর্ট বোরকা ফলে নারীর শরীর মানুষকে আরোও বেশি আকৃষ্ট করে ৷
৪. বোরকা পরিহিত, কিন্তু কাপড় পাতলা ফলে ভিতরের সবকিছু দেখা যায় ৷

বিঃদ্রঃ উল্লেখিত হাদীসের বাস্তবতা আজ সুস্পষ্ট এবং দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত ৷ বর্তমানে এই অভিশপ্ত চাকরীর প্রতি মানুষেরা খুব লালায়িত ৷ আর নারীরা শর্টকাট বোরকা/হিজাব/কাপড় পড়ার প্রতি খুব উৎসাহিত ৷ কারণ দু'টাই জাহান্নামে যাওয়ার প্রতীকী চিহ্ন৷

কখনো কখনো স্বপ্নগুলো দেরিতে পূরণ হয়, যাতে পাওনাটাও বড় হয়ঃ

ইউসুফ (আঃ) এর সাথে কারাগারে আরো দু'জন যুবক ছিল। তাদের মধ্যে ইউসুফ (আঃ) ছিলেন সবচেয়ে সুন্দর হৃদয়ের অধিকারী। কিছুদিন পর সেই দুই যুবক জেল থেকে বের হয়ে যায় আর ইউসুফ (আঃ) কারাবন্দি হিসেবে জেলেই থেকে যান। প্রথমজনকে জেল থেকে বের করে চাকর বানানো হয় এবং দ্বিতীয়জনকে বের করে শূলে চড়ানো হয়। অতঃপর কয়েক বছর পর ইউসুফ (আঃ) জেল থেকে বের হয়ে মিশরের গভর্নর নির্বাচিত হোন।

তাই কখনো কখনো স্বপ্নগুলো দেরিতে পূরণ হতে পারে, যাতে করে পাওনাটাও বড় হয়।

নতুন কারিকুলাম এর পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্যাটেলাইট হতে পাওয়া ছবি

যে হাতগুলো একদিন ইউসুফকে কূপে ফেলেছিল, সে হাতই পরে ভিক্ষা চেয়ে ইউসুফকে বলেছে تصدق علينا আমাদেরকে সদকা দাও। তাকদীরের ফয়সালা।

মুনাফিকের সান্নিধ্য থেকে বেঁচে থাকবে। সে খুবই কৌশলী। সে বাঘের সাথে খায়, কুকুরের সাথে ঘেউ ঘেউ করে আর রাখালের সাথে কান্নাকাটি করে!

কিতাব পরিচিতি :
.................................
কিতাবের নাম : رفع اليدين في الصلاة
লিখক: আবু আব্দিল্লাহ মুহাম্মদ বিন আবি বাকর বিন আইয়্যুব ইবনে কাইয়্যুম আল জাওঝী রা:

তাহক্বিক করেছেন : আলী বিন মুহাম্মাদ আল ইমরান

মুরাজায়া করেছেন :সালমান বিন আব্দুল্লাহ আল উমাইর

কিতাব প্রকাশনা : বইরুতে অবস্থিত ইবনে হাঝাম মাকতাবা থেকে

প্রকাশনির সময়: ১৪৪০ হি: ২০১৯ ঈসায়ী

কিতাবের মোট পৃষ্টা ৩৮৪

কিতাবটিতে মুকাদ্দামা, সূচি পত্র, ৬ অধ্যায় ও এক পরিশিষ্ট রয়েছে।

👉১ম অধ্যায়ে رفع اليدين এর সকল হাদিস একত্রিত করেছেন
প্রায় ১৪ জন সাহাবি থেকে ও অনারবির বক্তব্য যিনি রাসূলকে দেখেছেন رفع اليدين করতে এবং পরিশেষে সালাফদের আছার বর্ননা করে শেষ করেন এই অধ্যায়।
১৪ জন সাহাবাদের নামের তালিকা👇👇

১)আবু বকর রা:
২)ওমর রা:
৩)আলী রা:
৪)ইবনে ওমর রা:
৫)আবু মুসা আশয়ারী রা:
৬)আবু হুরাইরা রা:
৭)মালেক বিন হুয়াই রা:
৮)জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা;
৯)বারো বিন আঝেব রা:
১০)সাহাল বিন সাদ রা:
১১)ওমাইর বিন হাবিব আল লাইছী রা:
১২)ইবনে আব্বাস রা:
১৩)আবু হুমাইদ আস সাআ'দী রা:
১৪)ওয়েল বিন হুজর রা:

👉 ২য় অধ্যায়ে যারা رفع اليدين করেনা তাদের দলিলের রদ
এই অধ্যায়ে প্রায় ১১ টি জবাব নিয়ে আসেছেন।

এক নজরে জিবাব গুলির সূচিপত্র👇

১)
الم ترى الذين قيل لهم كفوا ايديهم এই দলিল দ্বারা যারা নাকচ করেন তাদের জবাব
২)আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: এর হাদীস দ্বারা যে জবাব দেওয়া হয় তার রদ
২)ওমর ও আলী রা: এর আছার দ্বারা যে দলিল দেওয়া হয় তার রদ
৩)মুজাহিদের রেওয়াতে এবং ওমর রা: থেকে رفع اليدين ছেড়ে দেওয়ার বিষয় দ্বারা যারা দলিল দেয় তাদের রদ
৪)উতাইয়া আওফি এর রেওয়ায়েত এর জবাব
৫)ইবনু আবি লাইলার রেওয়াতের জবাব
৬)আনাস রা: থেকে ঝুহরির রেওয়ায়েত যেখানে আছে যারা রফয়ুল ইদাইন করেন তাদের নামায হয়না এই বিষিয়ের রদ
৭)ইমাম জুহরির থেকেই ইবনে ওমর রা: এর রেওয়ায়েতের জবাব
৮)ইবনু জুবাইর রা: এর হাদিস এর জবাব
৯)যারা বলে আবু হুরাইরা রা: কে দিয়ে দলিল দিয়ে বলেন যে,তিনি উম্মাহের সংরক্ষণকারী আর তিনি রফয়ুল ইয়াদাইন করতেন না তাদের এই কথার জবাব
১০)যারা কিয়াসি দলিল দ্বারা বলেন রফুল ইয়াদাইন করা যাবেনা তাদের জবাব
১১)তাদের এই নিন্দনীয় কিয়াসের বিরুদ্ধে সালাফদের আছার

👉৩য় অধ্যায়: যারা رفع اليدين করার বিষয় দলিল দেন তাদের জবাবে যারা না করার দলিল তাদের দলিলের জবাব। এই অধ্যায়ে প্রায় ১৬ টি জবাব নিয়ে এসেছেন।

👉৪র্থ অধ্যায় :যারা রফয়ুল ইয়াদাইন করেননা তাদের বিষয়ে যে জবাব দিয়েছে যারা রফয়ুল ইয়দাইন করেন। এই বিষিয়ে প্রায় ১৮ টি অধ্যায় আনেন।

👉৫ম অধ্যায় : ৪ স্থানে যারা رفع اليدين এর মত দেন তাদের বিষয়ে। এই অধ্যায়ে ৪ ভাগে আলোচনা করেন।

👉৬ষ্ঠ অধ্যায় :যেই মাসয়ালাগুলি رفع اليدين শুরু,শেষ ও পদ্ধতির সাথে সম্পৃক্ত সেই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এই অধ্যায়েও প্রায় ১৮ টি ভাগে আলোচনা করেন।

তিনদিন পরে জমির দলিল হবে সে রাতেই বাবা অনেকটা বেশি অসুস্থ হয়ে যায়, বাবাকে হসপিটালে নিলে ভোররাতের দিকে বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মা সারাজীবন একটা আপসোস নিয়ে বাঁচবে টাকার অভাবেই কেবল বাবার চিকিৎসা হলো না। মামারা যদি শুরুতে জমিটা কিনতো এমন কিছু হয়তো হতো না, মা নিজেকে অন্তত স্বান্তনা দিতে পারতো!

বাবা মৃত্যুর দুদিন আগে চিংড়ি মাছ দিয়ে নারিকেল খেতে চাইলো, মায়ের কাছে তখন চিংড়ি মাছ কিনবার মতো টাকা ছিলো না। মা ভেবে রেখেছিলো জমির দলিল হলে চিংড়ি মাছ কিনবে। তবে বাবার সে নারিকেল দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না আর খাওয়া হয়নি। এরপর আমাদের বাসায় আর কখনো চিংড়ি মাছ কেনা হয়নি।

তীব্র ক্ষোভে মা তাঁর ভাগের জমি সেই কর্ণেল সাহেবের কাছেই বিক্রি করলো দুই কোটি তেরে লাখ টাকায়। মা জমি বিক্রি করবার পরে মামারা আমাদের সাথে সব যোগাযোগ বন্দ করে দেয়।

বোনের হক
মুস্তাকিম বিল্লাহ

মায়ের সাথে বড় মামার বাসায় বসে আছি। মা মামীকে জিজ্ঞেস করলো,
- 'ভাইজান কি বাসায় নেই ভাবি?'

মামী চোখেমুখে বিরক্তি নিয়ে বললো,
- 'না বের হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে।'

মা জিজ্ঞেস করলো,
- 'কোথায় গেছো?'

মামী একটু তিক্ততা নিয়ে উত্তর দিলো,
- 'সে আমি জানি নাকি, পুরুষ মানুষ ঘরের বাহিরে গেলে কি বউয়ের কাছে বলে যাবে।'

মামী মায়ের প্রশ্নে বিরক্ত হচ্ছে, সে বিরক্ত তাঁর চোখেমুখে এবং কথার উত্তর শুনেই মা বুঝলো তারপরও মামীকে আবার জিজ্ঞেস করলো,
- 'ফিরবে কখন জানেন কিছু?'

মামী বললো,
- 'আমি কি করে বলবো।'

*

মামা বাসায় ফিরলো যোহরের আজানের পরে। বাসায় মাকে দেখে মামা যেনো একটু বিরক্ত হলো, সামান্য জিজ্ঞেস করলো না মা কেমন আছে। মায়ের আদর যত্ন যেনো কিছুদিনের ভিতরে কমে গেলো, অন্যসব সময় হলে মামী ফ্রিজ থেকে কিছু বের করে খেতো দিতো। কিন্তু সেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে থাকলাম এক গ্লাস পানি ছাড়া কিছুই দিলো না।

মা মামার কাছে বললো,
- 'ভাইজান জমির বিষয়ে একটু কথা বলতে চাইছিলাম।'

মামা বললো,
- 'দেখে জমি তো আর আমার হাতের মুঠোয় না বললাম আর হয়ে গেলো, এইসব বিষয়ে সময় লাগবে।'

মা বললো,
- 'আর কতো সময় লাগবে, দুই মাস ধরে একই কথা বলছেন।'

মামা একটু রাগ করে বললো,
- 'আমার কাছে আসবার দরকার কি তোর, বাহিরে যেয়ে যার কাছে পারিস বিক্রি কর।'

মামা রাগ করে মায়ের সামনে থেকে ঘরের ভিতরে চলে গেলেন। মা আর কোনো কথা বললো না, আমাকে নিয়ে বের হয়ে গেলো মামার বাসায় থেকে।

আমি বুঝলাম মা যখন নানার সম্পত্তির ভাগের কথা বললো তখন থেকেই আমার মামাদের আচরণ বদলে গেলো। এই যে এখন দুপুরের খাবার সময়, আমরা মা, মেয়ে মামার বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম মামা মামী একটাবারও বললো না দুপুরে ভাত খেয়ে যেতে।

মা বাসায় ফিরে ভাত বসিয়ে দিলো, বাবাকে গোসল করালো। আমার বাবা সাতমাস হয় বিছানায় প্যারালাইসড হয়ে আছেন, বাবা ছিলেন একজন কলেজের শিক্ষক, রিটায়ার্ডের সময় বাকি ছিলো তিনবছর তাঁর আগেই বাবা বিছানায় পড়ে যান৷ যে জমানো টাকা ছিলো সেসব বাবার চিকিৎসায় শেষ। আমার বড় আপার জামাই বুলবুল ভাই কিছু টাকা মাস শেষে দেন, সাথে বাবার জমানো কিছু টাকা এইসব দিয়েই আমাদের তিন সদস্যের পরিবার এখন চলে।

.

বাবার কলিগ আলতাফ আংকেল বললো তাঁর মেয়ের শ্বশুরের এই রোগ হয়েছিলো। উনারা যখন ভারত নিয়ে দেখালো সে নাকি এখন অনেকটা সুস্থ। মা ঠিক করলো বাবাকে একবার ভারত নিয়ে দেখাবে, তবে সতেরো লাখ টাকা দরকার। এতো টাকা এখন জোগাড় করা আমাদের পক্ষে কোনোভাবে সম্ভব না। মা তখন ভাবলো তাঁর বাবার বাড়ির ভাগের জমিটা বিক্রি করবে। কিন্তু যখনই মামাদের কাছে জমি বিক্রির কথা বললো মামারা তাঁদের আচরণ বদলে নিলো। জমি বিক্রির কথা বলেই মা তাঁদের কাছে এখন চোখের বিষ হয়ে গেছে। মা যদি মামাদের ফোন দেয় ফোন তুলে না, বাসায় গেলে এমন আচরণ করে যেনো অনেক বড় ক্ষতি মা করে ফেলেছে।

মা অনেক দৌড়াদৌড়ি করে জমির কিছু দলিল জোগাড় করে। আমার নানা বাড়ি সিটি শহরের ভিতরে হওয়াতে জমির দাম অনেক, মায়ের ভাগে যে জমি তাঁর দাম প্রয় দুই কোটি টাকা। মা মামাদের বললো তাঁরা অন্তত কিছু জমির টাকা যেনো মাকে দেয়। কিন্তু মামারা মায়ের সব কথাই উড়িয়ে দিতেছে, প্রতিদিন ছোটো মামা, বড় মামার বাসায় একবার যাচ্ছে আর তাঁদের তিক্ত আচরণ নিয়ে ফিরে আসে, কাজের কাজ কিছুই হয়না।

*

মা ঠিক করলো জমি বাহিরের লোকদের কাছে বিক্রি করবে। যখন মামারা জানলো মা জমি বাহিরের মানুষের কাছে বিক্রি করবে, তখন মামারা সেই লোকের কাছে যেয়ে বললো আমার মায়ের কোনো জমিই নেই, সব জমি তাঁদের দুই ভাইয়ের নামে নানা লিখে দিয়ে গেছে। যদিও মামারা মিথ্যা কথা বললো তাঁর কাছে যেনো মা জমি বিক্রি করতে না পারে।

শেষে এসে মায়ের কাছ থেকে এক কর্ণেল সাহেব জমি কিনতে রাজি হলেন৷ কর্ণেল সাহেব চায়ে চুমুক দিতে দিতে বললেন,
- 'তা তোমার ভাইয়েরা জমি কিনতে রাজি হয়নি?'

মা মাথা নেড়ে বললো, 'না।'

কর্ণেল সাহেব মায়ের কাছ থেকে সব শুনে বললেন,
- 'বুঝলা মা, আজকাল মেয়ে মানুষের পর্দা নিয়ে যতোটা ওয়াজ করা হয় বোনেদের জমির ভাগের অংশ দেওয়া নিয়ে তেমন বলে না হুজুররা, কিভাবে বলবে বলো দেখা যাবে খোঁজ করলে দেখবে তাঁরাও বোনের ভাগের জমির অংশ দিতে কৃপণতা করেছে৷ অথচ দেখো আমাদের ইসলাম বলে, ‘বোনের সম্পত্তির অংশ তাকে যেনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়’ , ইসলাম আমরা এখন মানি কেবল নিজেদের সুযোগ সুবিধা মতো।'

কর্ণেল সাহেব জমি নিয়ে কথায় বললেন এসব নিয়ে আমাদের রাসুলের একটা সুন্দর হাদিস আছে,

– “রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো উত্তরাধিকার সম্পত্তি গ্রাস করে, অন্য বর্ণনামতে, যে ব্যক্তি কারো উত্তরাধিকারী সম্পত্তি নিয়ে পলায়ন করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের অংশ থেকে বঞ্চিত করবেন।”

কর্ণেল সাহেবের কথাটা কেন যেনো আমার খুব মনে ধরলো। আমার মামারা আর্থিক দিক থেকে সবাই ভালো অবস্থানে আছে, দুই মামা মিলে দুই বছর আগে সদর হাসপাতালের পাশে সাত কোটি টাকার জমি কিনলো। তবে মায়ের জমি কিনতে তাঁদের এতো অজুহাত, যদি ফ্রি খেতে পারে সে সুযোগ কে হাতছাড়া করে?

*

ভুলটা নিজের হলে দাম্পত্য সঙ্গীর হাত ধরে চোখে চোখ রেখে ‘স্যরি’ বলতে দ্বিধা থাকা উচিত নয়। এটা করার অর্থ শুধু ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ঝগড়া মীমাংসা করা নয় বরং ঘোষণা ছাড়াই “তার হৃদয় জয় করে ফেলা”। অতি আত্মসম্মানবোধ শয়তান প্রবেশের রাজপথ। ইগো দূরত্ব বাড়ায়, বিনয় কাছে আনে।

৩ কাজের ৩ শাস্তি!

অশ্লীলতার জন্য মহামারী।
ওজনে কারচুপির জন্য দুর্ভিক্ষ। যাকাত না দেয়ার জন্য অনাবৃষ্টি।

__ ইবনে মাজাহ-৪০১৯

একজন মেয়ের গায়ের পোষাক মানুষের চোখে বইয়ের পৃষ্ঠার মতো। সে কতটুকু লজ্জাশীলা নারী তার একটা বিবরণ তার পোষাকে লেখা আছে। তাকে দেখা মাত্রই সে লেখা পড়া যায়।
"يُقرأ حياءُ المرأةِ من ثِيابها"

কীভাবে সম্ভব!

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

ছেলে-মেয়েদের বিবাহকে আগেই কঠিন করে ফেলা হয়েছে অনেকটা আইনীভাবে, অনেকটা সামাজিকভাবে। এই বাঁধা অতিক্রম করে কেউ যদি বিবাহ করেও ফেলে তখন তার জন্য এবার সংসার জীবনকে কঠিন করে ফেলার একটা সাম্ভাব্য বড় কারণ হবে বলে মনে করি এ ধরণের আইন। তরুণ-তরুণীরা চিন্তা করবে -বিবাহ কঠিন এবং বিবাহ পরিবর্তী জীবনও কঠিন; তাই সমাধান হলো পশ্চিমাদের মত লীভটুগেদার করে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া।

আমরা প্রতিদিন যে আলো, বাতাস গ্রহণ করি তার মূল্য নির্ধারণ যেমন সম্ভব নয় তেমনিভাবে স্ত্রী এবং মায়েদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণও সম্ভব নয়। ২৪ টি ঘন্টা আমাদের জীবন ধারণে যেমন আলো বাতাসের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে অনুরূপভাবে স্ত্রী এবং মায়েদেরও একটি পরিবার গড়ে তোলার পেছনে চব্বিশ ঘন্টার এক গুরুত্বপূর্ণ অতুলনীয় অবদান রয়েছে। যেটাকে অর্থনৈতিক বিচারে মূল্যায়ণ করাটাই বোকামী।

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণী সুপারিশটির আইনীরূপ কেমন হতে পারে আমরা একটু কল্পনা করিঃ
নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য শহর ও গ্রাম এবং কাজের ধরণভেদে আলাদা হতে পারে। ধরুন গড়ে পনের হাজার টাকা নির্ধারণ করা হল এবং বলা হল, নারীরা তাদের স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিবে কি নিবে না- এটি তাদের মাঝে বোঝাপড়ার বিষয়। তবে স্ত্রীকে তালাক দিলে বা স্ত্রী যদি কখনো এটি দাবী করে তাহলে তার সাংসারিক জীবনের সকল মাসের টাকাগুলো পরিশোধ করতে স্বামী বাধ্য থাকবে।

এরকম একটা আইন-ই বিবাহ ভীতি তৈরিতে যথেষ্ট নয় কি?
https://t.me/GenerPadsala2022

"যারাই এই গরমে বাইরে গিয়ে কাজ করবে, তাদের অবশ্যই অন্তত দুই ঘন্টা পরপর ছায়ায় বসে ১৫-২০ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতে হবে। নয়ত তাদের হিট স্ট্রোক হতে পারে।"
...ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত ৷ ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন ৷ হুমকির মুখে ফল ও ফসল ৷ এসময়ে প্রয়োজন রহমতের বৃষ্টি ৷

প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন অনাবৃষ্টিতে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইস্তিসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত আদায় করতেন। (বুখারি, মুসলিম)

আমরা দেশের সকল ইমাম-খতীব ও দায়িত্বশীলদের প্রতি সালাতুল ইস্তিসকার সুন্নাহ জিন্দা করার বিনীত আহ্বান জানাই ৷

আলী হাসান ওসামা-এর প্রতি. . .

বিপক্ষীয় হলেও লোকটিকে গতকাল পর্যন্ত জ্ঞানী ভেবেছি, চক্ষুস্মান ভেবেছি, ব্রাদার রাহুলের কাছে বির্তকে হারুক বা জিতুক কিচ্ছু যাই-আসে না। কিছু বিতর্কের পর তিনি এমন-এমন আপত্তি তুলছে তা নেহায়েতই উনার অপরিপক্বতা প্রকাশ হচ্ছে।

ডাঃ নাবিল কুরাইশী-কে চিনেন কেউ? খ্রিষ্টান মিশনারী হলেও বাগ্মীষ তুখোড় বক্তা। তিনি পাঁচ মিনিটের ভিডিওতে ডাঃ জাকির নায়েকের ২৫টি ভুল বের করেন। যে ভুলগুলোর অধিকাংশই উচ্চারণ সংশ্লিষ্ট।

প্রথমত জাকির নায়েক তোতলা হলেও উচ্চারণগত প্রচুর সমস্যা আর ধারাবাহিক আলোচনা প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত বচনে এরূপ হওয়া স্বাভাবিক, এরূপ অশুদ্ধ উচ্চারণে কী মূল টপিক পরিবর্তন হয়ে যায়? বরং একই থাকে।

তদ্রুপ, আলী হাসান ওসামার সাথে ব্রাদার রাহুলের প্রতি একই আপত্তি টানেন। একাজটি প্রথম করেছিল মূসা(আঃ) প্রতি স্বয়ং ফেরাউন। (সূরা যুখরুফ) মূসা অশুদ্ধ উচ্চারণ করলেও ফেরাউনের কাছে তাওহীদের দাওয়াত বুঝা অসুবিধা ছিল না। মূলত সে পাবলিককে বুঝ দিয়েছে, 'যেই মূসা কথা বলতেই এত অস্পষ্ট, সেই মূসা কিভাবে ঈশ্বরপ্রদত্ত নবী হয়?'।

ফেরাউন চলে গেলেও তার সিলসিলা এখনও ওসামার মতো ব্যক্তিরা জারি রেখেছে। মানুষ সত্য পাশ কাটাতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। ২+২ = ৪, ওহ আপনি কালো, তারমানে এটা ভুল। অংকটি সঠিক নয়, কারণ আপনি তো গণিতে পি এইচ ডি করা নাই। এরকম আরও হাস্যকর দাবী উপস্থাপন করা।

আমাদের চ্যানেল লিংক👇
https://t.me/GenerPadsala2022

*خروج المهدي ، وخروج الدجال*
الخوارج لا يزالون يخرجون حتى يقاتل آخرهم مع الدجال ، الحذر الحذر يا عباد الله من فتنة الدجال ومن الوقوف في صف إيران والإخوان المفسدين في التحريض على بلادكم فتكونو قد خربتم بيوتكم بأيديكم.

কালবে সালীম বা নিরোগ আত্মা তখনি হবে যখন কোনো মানুষের অন্তর তিনটি ব্যাধি থেকে মুক্ত হবেঃ

১- শির্ক থেকে মুক্ত হবে। তাওহীদ আঁকড়ে ধরবে। অন্তর শুধু আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হবে।

২- বিদআত থেকে মুক্ত হবে। শুবুহাত তথা সন্দেহ-সংশয়ে পতিত হওয়া থেকে মুক্ত হয়ে সুন্নাহর উপর অটল থাকবে।

৩- গুনাহ থেকে মুক্ত হবে। শাহওয়াত তথা কু-প্রবৃত্তির চাহিদামুক্ত হয়ে আনুগত্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রাখবে।

শয়তান কিভাবে সম্পর্ক নষ্ট করে:

◾প্রেক্ষাপট ১
উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক যুবককে প্রশ্ন করলো,
- তুমি কোথায় চাকুরি করো?

- একটা কোম্পানিতে।

- স্যালারি কতো?

- ১০০০০ টাকা।

- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা, তাতে হেসে খেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।

যুবকের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে বেতন বাড়ানোর কথা জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো। এখন যুবকটি বেকার!

◾প্রেক্ষাপট ২
- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?

- হ্যাঁ।

- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয়নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু?

- না। কেন দিবে? এতো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন?

- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?

স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা।

সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো।

স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। রেগে গেলো দু’জনে, কথা কাটাকাটি ঝগড়া আর ঝগড়া। পরে হাতাহাতি, অবশেষে পরিস্থিতি বিচ্ছেদ পর্যন্ত গিয়ে গড়ালো!

◾প্রেক্ষাপট ৩
- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে, বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসেনা!

- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনেও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত।

- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয়না?

- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়!

- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে।

আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?

বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো।
স্ত্রীও বাধা দিল,
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।

- নাহ, সেকি কি মিথ্যা বলতে পারে?

আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম। এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক!

◾এবার আসি মূল কথায়ঃ
কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে তুলতে সক্ষম।

আমাদের সমাজে ছদ্মবেশী দরদীরা নিরন্তর শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে দেয়।

ছদ্মবেশী শয়`তানগুলো নিজের থেকে কিন্তু আপনাকে কিছুই দিবেনা। কিন্তু অন্যের থেকে অবৈধভাবে আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে আপনাকে জিতিয়ে দেয়ার নামে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। দাবানল ছড়িয়ে দিবে।

◾গল্পের হিতোপদেশঃ
জীবনে ৩য় ব্যক্তি কে প্রবেশ করার সুযোগ দেবেন না। আর যদিও কোন ভাবে ঢুকে যায় তাহলে যথা সম্ভব তার কথা কানে তুলবেন না। ৩য় ব্যক্তি হতে সবসময় সাবধান!