Latest Posts from Focused (@banglafocused) on Telegram

Focused Telegram Posts

Focused
2,066 Subscribers
417 Photos
1 Videos
Last Updated 06.03.2025 01:45

The latest content shared by Focused on Telegram

Focused

24 Jan, 15:30

166

জীবনের আসল মানে বোঝার সময় কি এখনো হয়নি?
Focused

23 Jan, 04:00

220

#দুইজন মিলে নখ কেটে দিচ্ছে। আরেকজন পায়ের তলা পরিষ্কার করছে। কার? একজন কাস্টমারের। ৩ জন প্রগতিশীল কর্মঠ স্বনির্ভর সফল নারী!

এই হল তথাকথিত নারী স্বাধীনতার বাস্তবতা। নিজের স্বামীর জন্য রান্না-বান্না করা, নিজের ঘর পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করা ও নিজ সন্তানের লালন- পালন করাকে পরাধীনতা মনে করে। অথচ পর পুরুষের পায়ের তলা পরিষ্কার করা আর ময়লা, দুর্গন্ধময় নখ কেটে দেয়াকে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে।

বাস্তবতা হল- পশ্চিমাদের বানানো নারী স্বাধীনতা নিছক্ ধোঁকা ছাড়া কিছুই না। ঠিক মরীচিকার মতো; দূর থেকে দেখতে পানি জ্বলমল করছে মনে হলেও কাছে গেলে বিভীষিকাময় শুষ্ক মরুভূমির বালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।

অথবা বলতে পারেন- ঠিক মরুভূমির চোরা বালির মত। ভরসার মনে করে পা' দিবে তো অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে।

হ্যাঁ, তথাকথিত নারী স্বাধীনতার এটাই বাস্তবতা।
Focused

22 Jan, 15:15

190

Focused #163

নেশাদার বস্তু হারাম
==============
নেশাদার বস্তু (মাদক দ্রব্য) সম্পর্কে ইসলামে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কুরআন ও হাদিসে এটি স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। কেন হারাম তা জানুন বিশুদ্ধ রেফারেন্স থেকে -

১. নেশাদার বস্তু সবই হারাম

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু হারাম।"
📖 (সহিহ মুসলিম: ২০০৩)

২. অল্প হলেও হারাম

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"যার অধিক সেবনে নেশা হয়, তার সামান্য পরিমাণও হারাম।"
📖 (সুনান আন-নাসাঈ: ৫৬৭০)

৩. নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবে না

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"নেশাদার দ্রব্য পানকারী ব্যক্তি যদি তওবা না করে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।"
📖 (সুনান ইবনে মাজাহ: ৩৩৭৫)

৪. নেশাদার দ্রব্য অভিশপ্ত

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
"নেশাদার দ্রব্য ও যে এটি পান করে, বিক্রি করে, কিনে, বহন করে, তৈরিতে সহায়তা করে— তাদের সকলের প্রতি আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়।"
📖 (সুনান আবু দাউদ: ৩৬৭৪)

৫. নেশা ঈমান ধ্বংস করে

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"নেশার ঘোরে থাকাকালীন বান্দার ঈমান থাকে না।"
📖 (সহিহ বুখারি: ৫৫৭৮)


নেশাদার দ্রব্যের কুফল শুধু দুনিয়াতেই নয়, আখিরাতেও আছে। এটি শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতির পাশাপাশি আল্লাহর রহমত থেকেও বঞ্চিত করে। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের অবশ্যই মাদক থেকে দূরে থাকা উচিত।

আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, আমিন!
Focused

11 Jan, 10:36

311

Focused #162

নিরব থাকার ফজিলত
================
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, নিরবতা বা কম কথা বলা অনেক মূল্যবান গুণ হিসেবে বিবেচিত। একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।"
(বুখারি, হাদিস: ৬০১৮; মুসলিম, হাদিস: ৪৭)

নিরব থাকার মাহাত্ম্য কেন ইবাদতের চেয়ে উত্তম হতে পারে:
১. অপ্রয়োজনীয় কথা ও পাপ থেকে বাঁচা: কম কথা বললে গুনাহর সম্ভাবনা কমে যায়, যেমন মিথ্যা বলা, গীবত করা বা অন্যকে কষ্ট দেওয়া।
২. মনের প্রশান্তি বৃদ্ধি: নিরবতা মানুষের মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এবং অহেতুক ঝগড়া-বিবাদ থেকে রক্ষা করে।
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও তাকওয়া অর্জন: নিরবতা ব্যক্তিকে আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়।
৪. উপদেশ গ্রহণের সুযোগ: চুপ থাকলে শোনা যায় বেশি, যা জ্ঞানার্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নবী করিম (সা.) এর আরেকটি বাণী:
"মানুষের পাপের মধ্যে অধিকাংশ পাপ তার জিহ্বার কারণে হয়।"
(তিরমিজি, হাদিস: ২৪১২)

অতএব, নিরবতা একজন ব্যক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।
Focused

08 Jan, 17:25

660

Focused #161

এটাই প্রকৃত সদকা
==============
মদিনার আনসার সাহাবিদের মধ্যে হজরত আবু তালহা (রা.) ছিলেন ধনী। তিনি থাকতেন মসজিদে কুবার পাশের এলাকায়। বাইরুহা নামে সেখানে তাঁর সুন্দর একটি বাগান ছিল। সেখানে ছিল অসংখ্য খেজুরগাছ। এক সময়ে পবিত্র কোরআনে সুরা আল ইমরানের ৯২ নম্বর আয়াত নাজিল হলো। সেই আয়াতে আল্লাহ বললেন,

যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের ভালোবাসার জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করবে, তোমরা পুণ্য লাভ করতে পারবে না। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় করো, আল্লাহ তো সে সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন।’

আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর আবু তালহা (রা.) ছুটে গেলেন নবী করিম (সা.)–এর কাছে। বললেন,
‘হে আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তো আমাদের নিজেদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস থেকে ব্যয় (সদকা) করার আদেশ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বললেন, ‘বাইরুহা আমার সবচেয়ে প্রিয় বাগান। আজ থেকে এ বাগানের মালিক আপনি। হে আল্লাহর রাসুল। আপনি যেভাবে চান, যেভাবে আল্লাহ হুকুম করেন, আপনি এ বাগান এবং বাগানের সম্পদকে সেভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।’

রাসুল (সা.) আবু তালহা (রা.)–এর কথা শুনে বললেন, ‘তুমি এই বাগানকে তোমার পরিবারের জন্য ব্যয় করো।’

আবু তালহা (রা.) রাসুল (সা.)–এর কথা মেনে নিলেন। বাগানটিকে তিনি তিন ভাগ করলেন। একটি অংশ পরিবারের জন্য, একটি আত্মীয়স্বজনের জন্য, আর বড় অংশটি নিজের গোত্রের জন্য।

হজরত আবু তালহা (রা.)–র এই ঘটনার তিনটি তাৎপর্য:
১. সাহাবিরা তাঁদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস দান করতে উৎসুক ছিলেন।
২. রাসুল (সা.) চাইতেন না তাঁর সাহাবিরা দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করুক।
৩. কাউকে দান করতে হলে নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস দান করতে হবে।

দান করতে গিয়ে অনেকেই সবচেয়ে পুরোনো বা পরিত্যাজ্য জিনিস দান করেন। এটি প্রকৃত দানশীলতার পরিচয় নয়। দান তত উত্তম, যা দান করতে গিয়ে ত্যাগের অনুভূতি তীব্রতর হয়।
Focused

07 Jan, 17:07

302

ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ (রা.)
আচরণে যিনি নবীজির সদৃশ ছিলেন
==============================
কন্যাদের ভেতর নবীজি (সা.)-এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিলেন সাইয়েদা ফাতিমা (রা.)। নবীজি (সা.) তাঁকে অত্যধিক ভালোবাসতেন। তাঁকে সব সময় কাছে রাখতেন। মহানবী (সা.)-এর এই প্রিয় কন্যার মধ্যে আল্লাহ অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন, যা অন্য কাউকে দেননি।

যেমন আচার-আচরণে তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সদৃশ, তাঁর মাধ্যমেই নবীজি (সা.)-এর বংশের বিস্তার ঘটেছে ইত্যাদি। পরকালেও এই মহীয়সী নারী অনন্য মর্যাদার অধিকারী হবেন।

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.)-এর স্ত্রীরা সবাই তাঁর কাছে ছিল। এর মধ্যে ফাতিমা (রা.) হেঁটে (আমাদের কাছে) এলেন।

তাঁর চলন এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর চলনের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না। অতঃপর নবী (সা.) তাঁকে দেখে স্বাগত জানালেন এবং বললেন, ‘আমার কন্যার শুভাগমন হোক।’ অতঃপর তিনি তাঁকে নিজের ডান অথবা বাঁ পাশে বসালেন। তারপর তিনি তাঁকে কানে কানে গোপনে কিছু বললেন।

ফাতিমা (রা.) জোরেশোরে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। সুতরাং তিনি তাঁর অস্থিরতা দেখে পুনর্বার তাঁকে কানে কানে কিছু বললেন। এবার তিনি হাসতে লাগলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘অতঃপর আমি ফাতিমাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে (তাঁদের বাদ দিয়ে) তোমাকে গোপনে কিছু বলার জন্য বেছে নিলেন, অথচ তুমি কাঁদছ? তারপর রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন উঠে গেলেন, তখন আমি তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) তোমাকে কী বললেন? সে বলল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর গোপন কথা প্রকাশ করব না। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুবরণ করলে আমি ফাতিমা (রা.)-কে বললাম, তোমার প্রতি আমার অধিকার রয়েছে।

তাই আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি যে তুমি আমাকে বলো, রাসুলুল্লাহ (সা.) তোমাকে কী বলেছিলেন? সে বলল, এখন বলতে কোনো অসুবিধা নেই। আল্লাহর রাসল (সা.) প্রথমবারে কানাকানি করার সময় আমাকে সংবাদ দিয়েছিলেন যে জিবরাইল (আ.) প্রত্যেক বছর একবার করে কোরআন শোনান। কিন্তু এখন তিনি দুইবার শোনালেন। সুতরাং আমি বুঝতে পারছি যে আমার মৃত্যু সন্নিকটে। সুতরাং তুমি (হে ফাতিমা!) আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্য ধারণ করো। কেননা আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগামী। সুতরাং আমি এ কথা শুনে কেঁদে ফেললাম, যা তুমি দেখলে। অতঃপর তিনি আমার অস্থিরতা দেখে দ্বিতীয়বার কানে কানে বললেন, হে ফাতিমা! তুমি কি এটা পছন্দ করো না যে মুমিন নারীদের তুমি সর্দার হবে অথবা এই উম্মতের নারীদের সর্দার হবে? সুতরাং এমন সুসংবাদ শুনে আমি হাসলাম, যা তুমি দেখলে।’

(রিয়াজুস সালিহিন, হাদিস : ৬৯২)

হাদিসের শিক্ষা

উল্লিখিত হাদিস থেকে কয়েকটি বিষয় শিক্ষণীয়—

১. মানুষকে ব্যথিত করে এমন কথা গোপন করা যায়।

২. সন্তানকে বিপদে-আপদে ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেওয়া জরুরি।

৩. মানুষের গোপন কথা গোপন রাখা জরুরি। কেননা এটা আমানতস্বরূপ।

৪. ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর গোপন কথা প্রকাশ করা যায়, যদি না তাতে মৃত ব্যক্তির সম্মানহানি হয় অথবা কোনো ফিতনার আশঙ্কা থাকে।

৫. দুঃসংবাদ শুনে ব্যথিত হওয়া এবং সুসংবাদ শুনে আনন্দিত হওয়া উত্তম।

আল্লাহ সবাইকে সুপথে পরিচালিত করুন। আমিন।
Focused

04 Jan, 17:27

322

Focused #160

সুখে কিংবা দুঃখে
আলহামদুলিল্লাহ বলার ফজিলত
======================
"আলহামদুলিল্লাহ" আল্লাহর প্রশংসাসূচক বাক্য। এর অর্থ সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। পবিত্র কোরআনের শুরুই হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দিয়ে। এছাড়া আরও কয়েকটি সুরা এই বাক্য দিয়ে শুরু হয়েছে, যা এই বাক্যের তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার প্রমাণ বহন করে।

মহানবী (স.) "আলহামদুলিল্লাহ" বলার অসংখ্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

এটিকে বলা হয় সর্বোত্তম দোয়া। আল্লাহ তাআলার মাহাত্ম্য বর্ণনা ও প্রশংসার জন্য আলহামদুলিল্লাহর চেয়ে উত্তম বাক্য আর নেই।

নবীজি মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,
‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বোত্তম ফজিলতপূর্ণ বাক্য এবং সর্বোত্তম দোয়া হলো আলহামদুলিল্লাহ।’
(তিরমিজি: ৩৩৮৩)

এক হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি নিজের প্রশংসা পছন্দ করেন, এজন্য তিনি নিজের প্রশংসা করেছেন এবং আমাদেরও তাঁর প্রশংসার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি, ২/১৮১৭)

নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, "আলহামদুলিল্লাহ" মিজানকে পূর্ণ করে দেয়। আর সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ শব্দ দুটি আসমান ও জমিনের খালি জায়গা পূর্ণ করে দেয়।
(সহিহ মুসলিম: ২২৩)

আলহামদুলিল্লাহর ফজিলত বর্ণনায় নবীজি মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,

"যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল (সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে) এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো, অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০টি গাজওয়া বা অভিযানে শরিক হলো..।’

(তিরমিজি: ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসায়ি, সুনানুল কুবরা: ৬/২০৫; সহিহুত তারগিব: ১/৩৪৩)

সুবহানাল্লাহ। কত ফজিলতপূর্ণ আমল এটা।

হাদিসে আরও এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

‘যদি আমার কোনো উম্মতকে পুরো দুনিয়া দিয়ে দেওয়া হয় আর সে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে তাহলে এই বাক্য বলা পুরো দুনিয়া থেকে উত্তম।

অর্থাৎ, পুরো পৃথিবী পেয়ে যাওয়া এত বড় নেয়ামত নয়, যা আলহামদুলিল্লাহ বলার মধ্যে রয়েছে। কারণ এই পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু আলহামদুলিল্লাহর সওয়াব থেকে যাবে। (ইবনে মাজা)

হাদিসে আরও এসেছে, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রিয় বাক্য চারটি—
> সুবহানাল্লাহ,
> আলহামদুলিল্লাহ,
> লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ,
> আল্লাহু আকবর...
(সহিহ মুসলিম: ২১৩৭; ইবনে মাজাহ: ৩৮১১; আবু দাউদ: ৪৯৫৮; মেশকাত: ২২৯৪)

মূলত 'আলহামদুলিল্লাহ' বাক্যটি মুমিনের সফলতার সোপান। কেননা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার জন্য আলহামদুলিল্লাহ পাঠ কর হয়। আর শুকরিয়া আদায়কারীদেরকে শুধু নেয়ামতের ওপরই রাখা হয়। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,

‘যদি তোমরা (আমার) শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের (নেয়ামত) বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড়ই কঠিন।’
(সুরা ইবরাহিম: ০৭)


প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,
যখন তুমি আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করবে তখন আল্লাহ তায়ালা নেয়ামতে বরকত দেবেন। খাওয়া-দাওয়ার পরে, সকল খুশির খবরে, বাথরুমের কাজ সেরে, হাঁচি দিয়ে, যেকোনো কাজ-কর্ম শেষ করার পরে এবং আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সবসময় আলহামদুলিল্লাহ বলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য।

আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,

"নিশ্চয় আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে (অর্থাৎ আলহামদুলিল্লাহ) পড়ে।"
(মুসলিম: ২৭৩৪, তিরমিজি: ১৮১৬)

তার মানে, সবকিছুতেই 'আলহামদুলিল্লাহ' পাঠ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি প্রিয়বস্তু হারানোর পরও আলহামদুলিল্লাহ বলতে অভ্যস্ত বান্দার জন্য জান্নাতে বিশেষ নেয়ামতের ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)।

আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন,

‘যখন কোনো বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন মহান আল্লাহ (জান কবজকারী) ফেরেশতাদের বলেন, ‘তোমরা আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ হরণ করেছ কি? তারা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমরা তার হৃদয়ের ফলকে হনন করেছ? তারা বলেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘সেসময় আমার বান্দা কী বলেছে?’ তারা বলেন, ‘সে আপনার হামদ (প্রশংসা) করেছে ও ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রা-জিউন পাঠ করেছে।’

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমার (সন্তানহারা) বান্দার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করো, আর তার নাম রাখো ‘বায়তুল হামদ’ (প্রশংসাভবন)।’ (তিরমিজি: ১০২১)

সুবহানাল্লাহ।

অসুস্থ ব্যক্তির আলহামদুলিল্লাহ বলা সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে এসেছে- মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আমার মুমিন বান্দাকে রোগাক্রান্ত করি, আর বান্দা সে অবস্থায় আমার প্রশংসা করে আলহামদুলিল্লাহ বলে; তবে সে বিছানা থেকে এমনভাবে ওঠে দাঁড়ায়; যেন তার মা তাকে ভূমিষ্টকালে যেমন জন্মদান করেছিল।’ (হাদিসে কুদসি)

আলহামদুলিল্লাহ বলার প্রচলন থাকবে জান্নাতেও।
Focused

04 Jan, 17:27

315

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের অন্তরে যা কিছু মালিন্য (দুঃখ ও ঈর্ষা) ছিল, তা বের করে দেব। তাদের তলদেশে ঝরনাধারা প্রবাহিত হবে। (এসব দেখে) তারা বলবে, আলহামদুলিল্লাহ, যিনি আমাদের এ পর্যন্ত (জান্নাতে) পৌঁছিয়েছেন। আমরা কখনো (এ পর্যন্ত) পৌঁছতে পারতাম না, যদি আল্লাহ আমাদের না পৌঁছাতেন...।’ (সুরা আরাফ: ৪৩)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সুসময়ে-দুঃসময়ে বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
Focused

29 Dec, 14:01

309

Focused #159

ইসলামে খাতনা করার গুরুত্ব
====================
সহীহ বুখারী 6298 (বাংলা হাদিস)

হাদিস:
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

"ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) আশি বছর বয়সে কাদূম নামক স্থানে খাতনা করেন।"
(সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বর: ৬২৯৮)।
---

হাদিসের ব্যাখ্যা ও শিক্ষা:

১. খাতনার গুরুত্ব ও ইতিহাস:

খাতনা করা নবী ইবরাহীম (আ.)-এর সুন্নত। ইসলাম ধর্মে খাতনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং এটি পুরুষদের জন্য সুন্নত মুয়াক্কাদাহ (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত যা জোরালোভাবে পালনীয়)।

নবী ইবরাহীম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে আশি বছর বয়সে নিজের হাতে খাতনা করেন, যা তাঁর আনুগত্য এবং আল্লাহর নির্দেশের প্রতি তাঁর নিষ্ঠার পরিচায়ক।


২. আত্মত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য:

ইবরাহীম (আ.)-এর আশি বছর বয়সে নিজ হাতে খাতনা করা প্রমাণ করে যে, আল্লাহর আদেশ পালন করতে বয়স বা পরিস্থিতি কোনো বাধা নয়।

এটি মুমিনদের জন্য উৎসাহজনক যে, আল্লাহর হুকুম মানতে কখনও দেরি করা উচিত নয়।


৩. খাতনার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন:

ইসলাম ধর্মে খাতনার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। এটি স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

খাতনা পুরুষদের শারীরিক পবিত্রতা রক্ষা করে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
---

খাতনার বিধান (ইসলামে):

বাধ্যতামূলক (ওয়াজিব) বা সুন্নাত মুয়াক্কাদাহ: অধিকাংশ আলেমের মতে, খাতনা পুরুষদের জন্য সুন্নত মুয়াক্কাদাহ। তবে কিছু ইমাম (যেমন: ইমাম শাফেয়ী) খাতনাকে বাধ্যতামূলক মনে করেন।

উম্মতের ঐক্যমত্য: খাতনা মুসলিম উম্মতের মধ্যে একটি সর্বসম্মত আমল। এটি ইসলামী সংস্কৃতির অংশ এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাতনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।


কাদূম স্থানের পরিচয়:

হাদিসে উল্লেখিত "কাদূম" শব্দটি একটি স্থান বা সরঞ্জাম হিসেবে বোঝানো হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ব্যাখ্যায় এটিকে একটি জায়গার নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে ইবরাহীম (আ.) অবস্থানকালে খাতনা করেন।


আলেমদের ব্যাখ্যা:

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) তাঁর "ফাতহুল বারী" গ্রন্থে বলেন:

"ইবরাহীম (আ.)-এর এই খাতনা আল্লাহর প্রতি চূড়ান্ত আনুগত্যের প্রকাশ। নবীগণ সবসময় আল্লাহর আদেশ যথাযথভাবে পালন করে থাকেন। এটি প্রমাণ করে যে, আল্লাহর হুকুম পালন করতে কোনো বয়সসীমা নেই।"
---

হাদিসের শিক্ষা:

1. আল্লাহর নির্দেশ প্রতিপালন করা প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব।

2. খাতনা একটি সুন্নত এবং পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম।

3. নবীদের জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

4. আত্মত্যাগ ও ধৈর্য মুসলিম জীবনের অন্যতম প্রধান গুণ।

সহীহ বুখারীর এই হাদিস মুসলিমদের খাতনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বোঝায়। এটি শারীরিক পরিচ্ছন্নতা, সুন্নতের অনুসরণ এবং আল্লাহর আনুগত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Focused

28 Dec, 10:47

335

Focused #158

পুরুষাঙ্গে স্পর্শ লাগলে কি উযু ভেঙে যায়?
============================
পুরুষাঙ্গে হাত দিলে উযু ভাঙার বিষয়ে ইসলামি ফিকহে আলেমদের মধ্যে ভিন্ন মত আছে। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত হলো—

১. যদি লিঙ্গে সরাসরি স্পর্শ করা হয় (ত্বকের সংস্পর্শে) এবং সে সময় কোনো পর্দা বা কাপড় না থাকে, তাহলে উযু ভেঙে যায়।

দলিল/প্রমাণ:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের কেউ যদি তার লিঙ্গ স্পর্শ করে, তাহলে সে যেন উযু করে।”
(তিরমিজি: ৮২, আবু দাউদ: ১৮১, ইবনে মাজাহ: ৪৮৩)


২. যদি কাপড় বা কোনো আবরণের উপর দিয়ে স্পর্শ করা হয়, তাহলে উযু ভাঙে না।

দলিল/প্রমাণ:
রাসূলুল্লাহ ﷺ আরও বলেছেন:
“লিঙ্গ তো তোমার শরীরেরই একটি অংশ।”
(তিরমিজি: ৮৫)

সারসংক্ষেপ:

সরাসরি স্পর্শ (ত্বক টেনে নিলে বা কাপড় ছাড়া স্পর্শ করলে) — উযু ভেঙে যায়।

আবরণের মাধ্যমে স্পর্শ করলে — উযু ভাঙে না।

এটি হানাফি, শাফেয়ি, মালিকি ও হাম্বলি মাজহাবের নির্দিষ্ট ফিকহের ওপর নির্ভর করে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। তবে সতর্কতার জন্য সরাসরি স্পর্শ করা হলে উযু করে নেওয়া উত্তম।