Neueste Beiträge von Focused (@banglafocused) auf Telegram

Focused Telegram-Beiträge

Focused
2,066 Abonnenten
417 Fotos
1 Videos
Zuletzt aktualisiert 06.03.2025 01:45

Der neueste Inhalt, der von Focused auf Telegram geteilt wurde.

Focused

05 Mar, 01:04

61

#পরিচিতি
সালাফী মানহাজ
===============
সালাফী মানহাজ হল ইসলামের একটি দর্শন ও পদ্ধতি, যা কুরআন ও সহিহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে ইসলামের মূল শিক্ষাকে বোঝার এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করে। এই পদ্ধতিতে সালাফে সালেহীন (আদি তিন প্রজন্ম—সাহাবা, তাবিঈন ও তাবে-তাবিঈন) এর বুঝ এবং আমলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।


সালাফী মানহাজের মূলনীতিঃ

১. শুদ্ধ আকিদা:

> তাওহীদকে (আল্লাহর একত্ব) সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
> শিরক ও বিদআত থেকে দূরে থাকা।

২. কুরআন ও সহিহ হাদিসের অনুসরণ:

> ইসলামের সমস্ত বিধান কুরআন ও রাসুল (ﷺ)-এর সহিহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
> দুর্বল ও জাল হাদিস পরিহার করা হয়।

3. সালাফে সালেহীনের অনুকরণ:

> ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা সাহাবা, তাবিঈন ও তাবে-তাবিঈনের বুঝ অনুযায়ী গ্রহণ করা।
> নতুন মতবাদ ও কল্পিত বিশ্বাস পরিহার করা।


4. বিদআত পরিহার:

> ইসলামিক ইবাদত ও বিশ্বাসে নতুন সংযোজন থেকে দূরে থাকা।
> শুধুমাত্র রাসুল (ﷺ) ও সাহাবাদের দেখানো পদ্ধতিই অনুসরণ করা।

5. শরিয়াহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা:

> ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ইসলামী আইন অনুসরণ করা।
> ইজতিহাদের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য আলিমদের ব্যাখ্যা গ্রহণ করা।

সালাফী মানহাজ নিজেকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ-এর অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে এবং সঠিক ইসলামের অনুসরণকারী হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করে।

সালাফী মানহাজ মূলত ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিশুদ্ধ শিক্ষা অনুসরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটি পথ। এটি ইসলামের মৌলিক শিক্ষাকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং মুসলিমদেরকে কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনার দিকনির্দেশনা দেয়।

(সূত্র: "শরহুস সুন্নাহ" - ইমাম আল বারবাহারি, "মাজমুউল ফাতাওয়া" - ইবনে তাইমিয়া, সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থসমূহ)
Focused

04 Mar, 08:24

449

Focused #169

এভাবেই দু'আ করতে হয়!
===================
যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।
_ শাইখ আব্দুল্লাহ আল কাসির (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে সংগৃহীত এই আর্টিকেলে আমরা জানব দু'আ কবুল হওয়ার কিছু উপায় যা আমাদের জীবনকে সহজ করবে ইনশাআল্লাহ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ألظوا ب-يا ذا الجلال والإكرام

“তোমরা ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’
অর্থ: হে মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী।
-কে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকবে (দু‘আয় বেশি বেশি বলবে)।”
[মুসতাদরাক হাকিম; ১/৬৭৬, মুসনাদ আবী ইয়ালা;, ৬/৪৪৫, সুনানুত তিরমিযী (আনাস থেকে); ৫/৫৩৯-৫৪০, (নং ৩৫২৪, ৩৫২৫), সহীহুল জামিয়িস সাগীর; ১/২৬৯, নং ১২৫০, সিলসিলাতুস সহীহাহ; ৪/৪৯-৫১। হাদিসটি সহীহ]

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেনঃ

“তোমরা সবসময়,
يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
(ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম।)
অর্থাৎ: হে মহিমময়, মহানুভব।
পাঠ করাকে অপরিহার্য করে নাও।”
[সুনান আত তিরমিজী;৩৫২৪, সহীহাহ হাঃ; ১৫৩৬]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে কঠিন কাজ হাযির হলে তিনি বলতেনঃ
يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ
উচ্চারণঃ “ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আস্‌তাগীস।”

অর্থ: হে চিরজীবি, হে চিরস্থায়ী! আমি তোমার রহমতের ওয়াসীলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি। [সুনান আত তিরমিজী;৩৫২৪]

আবু উমামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ لِلّٰهِ مَلَكًا مُوَكَّلًا بِمَنْ يَقُوْلُ: يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ، فَمَنْ قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ الْمَلَكُ: إِنَّ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ
قَدْ أَقْبَلَ عَلَيْكَ فَاسْأَلْ.

‘আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন নির্ধারিত ফিরিশতা আছেন। কোনো বান্দা তিনবার ইয়া আরহামার র-হিমীন (হে সর্বাপেক্ষা দয়ালু সত্তা!) বললে সে ফিরিশতা বলেন, আরহামুর র-হিমীন তোমার প্রতি মনযোগী হয়েছেন। এখন তুমি চাও।’

(আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং : ১৯৯৬, সহীহ)।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই ভাবে দু'আ করার মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে আমাদের দরকারী ও কাঙ্খিত জিনিসগুলো চেয়ে নেওয়ার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
Focused

01 Mar, 15:33

159

Focused #168

আমরা কবে মানুষ হবো?
==================
১ কেজি গরুর মাংস আর ৭৫০ গ্রাম পোলাও চাল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী আর আমি ৪ জন মিলে খেতে বসছি দুপুরে।খাবার মুখে দেওয়ার আগেই আজে বা জে কমেন্ট করা শুরু করে দিছে মা ছেলে আর বাবা মিলে।

এটা খিচুড়ি নাকি বিরিয়ানি?মজা লাগে না।একটু মুখে দেওয়ার পর বলতেছে লবণ কম মজা লাগে না।এসব শুনে কষ্ট পেয়ে খাবার না খেয়ে উঠে আসছি চোখে টলমল পানি নিয়ে। তারা ৩ জন খেয়ে উঠছে। একটু আগে বলে রাগ করে লাভ নাই যাও খেয়ে নাও।খেতে গিয়ে দেখি শুধু বিরিয়ানি আর এক পিস হাড্ডির সাথে সামান্য মাংস লাগানো। বুক টা ফেঁটে কান্না চলে আসছে।মজা হয়নি খেতে কিন্তু ১ কেজি মাংস ৩ জন মিলে বেছে বেছে খেয়ে নিছে একবারো আমার কথা চিন্তা করেনি।

আমার জন্য অন্তত ১ পিস মাংস রাখতে পারতো?অনেকে বলবেন খাবার লোভী। এখানে লোভের কিছু না,কথা টা ভালবাসার। চোখের পানি থামছেই না কেন জানি।আম্মুকে মিস করতেছি অনেক।মা তো কখনো এমন করে না। পরের বাড়ির ভাতের এতই দাম !!!

-- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোন।

সংযোজন:
১. আপনি পুরুষ কিংবা মহিলা হন না কেন সবসময় চিন্তা করবেন আমাকে যদি কেউ কোন কাজের যথাযথ স্বীকৃতি না দিয়ে দোষারোপ করে এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তবে কেমন লাগবে সেই সময়?
২. আমাদের ইসলাম কারোর দোষ ত্রুটি কীভাবে দেখতে বলেছে সেটাও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।
৩. খাবার ভালো না লাগলেও খাবারের দোষ ত্রুটি ধরা অনুচিত। কেউই চায়না যে খাবার খারাপ হোক, তারপরও খারাপ হলে সেই সমস্যা না ধরে গোপনে নরম স্বরে খাবার আরো সুন্দর করার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
৪. স্ত্রীদের সাথে সুন্দর আচরণ করুন। কারণ আপনার বোন, মা বা আপনার মেয়েও কারো না কারো স্ত্রী। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের সাথে সবচেয়ে উত্তম আচরণ করতে বলেছেন।
৫. যাদের স্বভাবই এমন যে সে কোনো কিছুর খুঁত না ধরে থাকতে পারে না তার উচিত নিজেরই আগে নিখুঁত হওয়া।
৬. সর্বোপরি আল্লাহকে ভয় করুন। আপন জনকে ভালোবাসুন। কেউ আপনার কথায় যেন মনে দুঃখ না পান সেদিকে খেয়াল রাখুন।
Focused

22 Feb, 01:19

275

Focused #167

আমরা কেন সাহাবীদের মত শিক্ষা গ্রহণ করিনা?
===========================
কুরআনুল কারীম হল আমাদের হৃদয়ের খোরাক, অন্ধকারের আলো এবং আখিরাতের কঠিন সময়ের বিশ্বস্ত সাথী। এই কারণে কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সবচেয়ে গভীর সম্পর্ক হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাল নয়। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশ সম্বলিত আয়াতাবলি আমাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনা। ভীতির আয়াতসমূহ তিলাওয়াতে আমরা ভীত হইনা, খুশি এবং সুসংবাদের আয়াত তিলাওয়াতে আনন্দিত হইনা।
.
অথচ সাহাবায়ে কেরামের অবস্থা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। তাঁরা ছিলেন কুরআনুল কারীমের জীবন্ত নমুনা। কুরআনুল কারীম তাদের জীবনকে পুরো পালটে দিয়েছিল। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশনার আলোকে তাঁরা পুরো জীবনকে সাজিয়েছিলেন। কুরআনের একেকটি আয়াত তাদের জীবনে যে প্রভাব ফেলতো তা আমাদের জন্য অকল্পনীয়।

বুখারী এবং মুসলিমে সাবিত ইবনে কায়েস রাদিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ جَلَسَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ فِي بَيْتِهِ وَقَالَ أَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ وَاحْتَبَسَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا أَبَا عَمْرٍو مَا شَأْنُ ثَابِتٍ أَشْتَكَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَعْدٌ إِنَّهُ لَجَارِي وَمَا عَلِمْتُ لَهُ بِشَكْوَى ‏.‏ قَالَ فَأَتَاهُ سَعْدٌ فَذَكَرَ لَهُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ثَابِتٌ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْفَعِكُمْ صَوْتًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَلْ هُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ

আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন এই আয়াত নাযিল হলো,

‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ

অর্থাৎ হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করোনা। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। এমনটা করলে তোমাদের নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু তোমরা একটু টেরও পাবে না। - সূরা হুজুরাত ২
.
তখন সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজের ঘরে বসে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, আমি তো জাহান্নামী। এরপর থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মজলিসে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ ইবনু মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, হে আবূ আমর! সাবিতের কি অবস্থা, সে কি অসুস্থ? সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি আমার প্রতিবেশী, তার কোন অসুখ হয়েছে বলে তো জানিনা।
.
বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, পরে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গেলেন এবং তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোঁজ নিয়েছেন বলে জানালেন। শুনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এ আয়াত নাযিল হয়েছে, আর আপনারা তো জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর আমার কণ্ঠস্বরই সবচেয়ে উঁচু হয়ে যায়, সুতরাং আমি তো জাহান্নামী। তখন সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এই কথা বললেন। শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ না, বরং সে তো জান্নাতী। মুসলিম – ১১৯
.
আল্লাহু আকবার! এই ছিল সাহাবায়ে কেরামের কুরআনুল কারীমের আয়াত শুনে ভীত হওয়ার নমুনা। আয়াত নাযিল হওয়ার পর উঁচু আওয়াজের কারণে তিনি এত বেশি ভয় পেয়েছিলেন যে, ঘর থেকেই বের হতে পারছিলেন না। এই ভয়টা ছিল প্রকৃত ভয়। এর ফলে আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে দুনিয়াতেই তাকে এই ভয় থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষনা শুনিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাবিত জান্নাতী।
.
এবার একটু আমরা নিজেদের দিকে দৃষ্টি দেই, আমরা কি কখনো কোন আয়াত পড়ার পর নিজের ভুলের দিকে তাকিয়ে এভাবে ভীত হয়েছি?

স্পষ্ট ভুলের উপর থাকার পরও কেউ সেই সম্পর্কিত আয়াত স্মরণ করিয়ে দিলে ভীত হয়ে কাজটি ছেড়ে দিয়েছি নাকি নিজেকে বড় মনে করে ঔদ্ধত্ব প্রকাশ করেছি?
Focused

13 Feb, 06:32

339

ما لي في الدنيا -
মা লি ফিদ্দুনিয়া।

শব্দটা বলতেন সেই মানুষটি যার এক কথায় পাহাড়ের ফেরেশতারা এসে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল তায়েফ। যার আঙ্গুলের ইশারায় দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল চাঁদ।

কুরাইশরা যার পায়ের কাছে এনে দিতে চেয়েছিল যাবতীয় ধন সম্পদ।

এই তিনিই বলেছিলেন,
ما لي في الدنيا

অর্থাৎ- “এই দুনিয়াতে আমার কি আছে।” এই দুনিয়া তো তাঁর কাছে একটি গাছের ছায়ায় কাটানো পথিকের একটু বিশ্রামের জায়গার মত ছিল।

একবার উমার (রাঃ) তাঁর ঘরে এসে নিজের অশ্রু ধরে রাখতে পারলেন না। অন্যান্য দেশের রাজা বাদশাহদের তুলনায় তাঁর যে কিছুই নেই। এই ব্যাপারটাই উমার (রাঃ) মেনে নিতে পারছিলেন না। উমার (রাঃ) এর কথার উত্তরে তিনি বললেন, "তুমি কি চাও না যে তাদের জন্য থাকুক দুনিয়া আর আমাদের জন্য হোক আখিরাত?"

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটা ক্ষুধার জ্বালায় পেটে পাথর বেঁধে রাখতেন। কখনও যদি ঘরে ফিরে খাবার না পেতেন; মিষ্টি করে বলতেন - "তাহলে আজ আমি সিয়াম থাকলাম"। কোনো হুমকি ধামকি নেই। কোনো উচ্চবাচ্য নেই। কত সহজ ছিল তাঁর জীবন। মুসাফিরের মত জীবন কাটিয়ে গিয়েছেন তিনি।

আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ!!

(সংগৃহীত)
Focused

06 Feb, 01:07

394

Focused #166

খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই নামাজ!
গুরুত্ব দিচ্ছেন তো?!
======================
আমাদের সমাজে একটা ভুল আমলের প্রচলন রয়েছে। তা হচ্ছে মসজিদে প্রবেশ করে আগে বসা। এরপর উঠে নামায আদায় করা। এই কাজটা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনার বিপরীত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করে অন্তত দুই রাকাত নামায আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন। অথচ আমরা অনেকেই এর বিপরীত কাজটা করে থাকি।

মসজিদের হক্ব হচ্ছে সেখানে প্রবেশের পর নামায আদায় করা। একে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায নামে অভিহিত করা হয়। এ নামাযের জন্য বিশেষ কোনো সূরা বা পদ্ধতি নাই। স্বাভাবিক দুই রাকাত সুন্নত বা নফল নামাযের মতোই এ নামায। শুধু মনে মনে নিয়ত থাকবে যে, মসজিদে প্রবেশ করার পর নবী (সা) অন্তত ২ রাকাত নামায আদায় করতে বলেছেন। সেই নামাযটি আদায় করছি। অন্তরের intention-ই নিয়ত।

যেসব ফরয নামাযের আগে দুই বা চার রাকাত সুন্নত পড়তে হয় সেসব নামাযের আগে মসজিদে প্রবেশ করলে ঐ সুন্নতগুলো আদায় করলেই তা তাহিয়্যাতুল মাসজিদ হিসাবে গণ্য হবে। আর যদি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আর ফরজের আগের সুন্নত আলাদা করে পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটা আরও ভালো। কারণ এতে বেশি পরিমাণ নামায আদায়ের সুযোগ হয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতের উপর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

তবে যখন নফল নামায পড়া যায় তখনই কেবল তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়া যাবে। যে সময় নফল বা সুন্নত নামায পড়া নিষিদ্ধ, তখন যদি কেউ মসজিদে যায় তবুও সে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায পড়তে পারবে না। যেমন, ফজরের ফরজ নামায পড়ার পর থেকে সূর্যোদয়ের পর পর্যন্ত এবং আসরের ফরজের পর থেকে মাগরিবের ফরজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো নফল বা সুন্নত পড়া যায় না। একইভাবে সূর্য যখন মধ্য আকাশে থাকে তখনও কোনো প্রকার নামাযই পড়া যায় না। আর ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর থেকে ফজরের ফরজ পড়ার আগ পর্যন্ত সময়টাতে কেবল দুই রাকাত ফজরের সুন্নত পড়া যায়। অন্য কোনো সুন্নত বা নফল পড়া যায় না। তাই এ সময়গুলোতে তাহিয়্যাতুল মাসজিদের নিয়তে কোনো নামায পড়া যাবে না।


তাহিয়্যাতুল মাসজিদ সম্পর্কে দুটি প্রসিদ্ধ হাদীস নিচে তুলে ধরা হলো।

হাদীসঃ ১
-------------
আবূ কাতাদা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ

"তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন দু’রাক’আত নামায (তাহিয়্যাতুল–মসজিদ ) আদায় করার পূর্বে না বসে।"

(বুখারী ১১৬৭)

হাদীসঃ ২
-------------
আবূ কাতাদাহ্‌ সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

"তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকা’আত নামায আদায় করে নেয়।"

(বুখারী ৪৪৪)

তথ্যসূত্রঃ
১। মাসিক আলকাউসার, আর্টিকেল - ৭৬৪
Focused

01 Feb, 16:25

326

আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
السَّحُورُ أَكْلُهُ بَرَكَةٌ، فَلَا تَدَعُوهُ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جُرْعَةً مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ
“সেহেরী খাওয়া বরকতের বিষয়। অত:এব তোমরা তা পরিত্যাগ করিও না। এমনকি এক ঢোক পানি পান করে হলেও। কারণ আল্লাহ তায়ালা যারা সেহেরী খায় তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলীও তাদের জন্য দুয়া করেন।” (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং ১১৮৭, শামেলা। হাসান লি গাইরেহী, দেখুন: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/২৫৮)

◈ ৭) রোগীর সেবা-যত্ন করা:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
" مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا إِلَّا ابْتَعَثَ اللهُ لَهُ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ أَيَّ سَاعَةٍ مِنَ النَّهَارِ كَانَتْ حَتَّى يُمْسِيَ، وَأَيَّ سَاعَةٍ مِنَ اللَّيْلِ كَانَتْ حَتَّى يُصْبِحَ "
“কোন মুসলিম যদি অন্য কোন মুসলিম রোগীর সেবা-যত্ন করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার নিকট সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরণ করেন যারা তার জন্য দুয়া করতে থাকে। সে ব্যক্তি দিনের যে কোন সময় রোগীর পরিচর্যা করতে যাক না কেন সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরেশতা মণ্ডলী তার জন্য দুয়া করে অনুরূপভাবে রাতের যে কোন সময় রোগীর পরিচর্যা করতে যাক না কেন সকাল পর্যন্ত তারা তার জন্য দুয়া করতে থাকে।”
(হাকেম ও ইবনে হিব্বান মারফূ সূত্রে। সহীহ, শাইখ আলবানী- দেখুন: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/১৯৭)

◈ ৮) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ পেশ করা:

عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَر: مَا مِنْ عَبْدٍ يُصَلِّي عَلَيَّ صَلاةً إِلا صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلائِكَةُ ، مَا دَامَ يُصَلِّي عَلَيَّ ، فَلْيُقِلَّ ذَلِكَ أَوْ لِيُكْثِرْ
আব্দুল্লাহ বিন আমের বিন রাবিয়া তার পিতা (আমের) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মিম্বারে বক্তব্য দিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পেশ করবে ফেরেশতা মণ্ডলী তার জন্য দুয়া করবে। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত দুয়া করতে থাকবে যতক্ষণ সে দরুদ পেশ করতে থাকে। সুতরাং কম হোক বেশী হোক যা ইচ্ছা সে দরুদ পেশ করতে পারে।” (মুসনাদ তায়ালুসী, হাদিস নং ১২২৫, হাসান, আলবানী। দেখুন: সহীহুল জামে হাদিস নং ৫৭৪৪)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত নেক কাজ সমূহ করার মাধ্যমে ফেরেশতা মণ্ডলীর দোয়ার ভাগীদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদি আরব।
Focused

01 Feb, 16:25

225

Focused #165

ফেরেশতাদের দু'আয় ধন্য যাঁরা!
======================
যে ৮টি আমলের কারণে ফেরেশতা মণ্ডলী মানুষের জন্য দুআ করে:
▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
নি:সন্দেহে ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে মানুষের দুআ পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা নিষ্পাপ ও পূত-পবিত্র। তারা কখনও আল্লাহর অবাধ্যতা করে না। সুতরাং তাদের দুআ কবুলের সম্ভাবনা খুব বেশি।
● সহিহ বুখারির ভাষ্যকার ইবনে বাত্তাল বলেন,
" ومعلوم أن دعاء الملائكة مجاب " انتهى من " شرح صحيح البخارى " (3/ 439)
“এটা জানা কথা যে, ফেরেশতাদের দুআ কবুল হয়।” (শারহু সহিহিল বুখারি ৩/৪৩৯)

● সিন্ধি বলেন,
" دُعَاءُ الْمَلَائِكَةِ يُرْجَى اسْتِجَابَتُهُ " انتهى من " حاشية السندي على سنن ابن ماجه " (2/ 224) .
”ফেরেশতাদের দুআ কবুলের আশা করা যায়।” (ইবনে মাজাহ এর পাদটীকা হাশিয়াতুস সিন্দী ২/২২৪)

● মোবারক পুরী মিশকাতুল মাসাবিহ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন,
" دعاء الملائكة مستجاب " انتهى من " مرعاة المفاتيح " (5/ 309)

”ফেরেশতাদের দুআ কবুল হয়।” (মিরআতুল মাফাহিত শরহু মিশকাতুল মাসাবিহ ৫/৩০৯)

সুতরাং আমাদের জানা দরকার যে, কোন কোন আমল করলে ফেরেশতা মণ্ডলী আমাদের জন্য দুআ করবে। এ মর্মে বেশ কিছু আমল বর্ণিত হয়েছে। সে গুলো থেকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ৮টি আমল নিম্নে উপস্থাপন করা হল:

◈ ১) মানুষকে দীনের জ্ঞান ও কল্যাণকর বিষয় শিক্ষা দান করা:

আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا، وَحَتَّى الْحُوتَ فِي الْبَحْرِ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ"
“নিশ্চয় আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলী এমন কি গর্তের পিপীলিকা এবং সাগরের মাছ ঐ ব্যক্তির জন্য রহমত ও মাগফেরাতের দুয়া করে যে মানুষকে কল্যাণকর বিষয় (তথা দীনের জ্ঞান) শিক্ষা প্রদান করেন।” (তিরমিযী, হাদিস নং ২৬০৯, তিনি বলেন হাদিসটি হাসান গরীব। শাইখ আলবানি বলেন, হাসান। দ্রষ্টব্য: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব)

◈ ২) জামায়াতের ১ম কাতারে সালাত আদায় করা:

বারা ইবনে আযিব রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি:
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ
“নিশ্চয় আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলী রহমতের দুয়া করেন প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারীদের জন্য।” (সুনান ইবনে মাজাহ, অনুচ্ছেদ: প্রথম কাতারে মর্যাদা, হাদিস নং ৯৮৭, সনদ হাসান-আলবানী, দ্রষ্টব্য: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব ১/১১৮)

◈ ৩) কাতারে ডান দিকে সালাত আদায় করা:

আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى مَيَامِنِ الصُّفُوفِ
“নিশ্চয় আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলী রহমতের দুয়া করেন ঐ সকল লোকের জন্য যারা কাতারের ডান পাশে সালাত আদায় করে।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৭৮, সনদ হাসান-আলবানী)

◈ ৪) কাতারের সাথে মিলে ফাঁকা জায়গা পূরণ করা:

আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ الله عَزَّ وَجَلَّ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً
“নিশ্চয় আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতা মণ্ডলী রহমতের দুয়া করেন ঐ সকল লোকের প্রতি যারা কাতারের সাথে মিলিত হয়ে সালাত আদায় করে এবং যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে আল্লাহ তায়ালা এর কারণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।” (সুনান ইবনে মাজাহ, অনুচ্ছেদ, কাতার সোজা করা, হাদিস নং ৯৮৫। সনদ হাসান-আলবানী। দ্রষ্টব্য: সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব ১/১২১)

◈ ৫) নামাযের স্থানে বসে থাকা:

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا تَزَالُ الْمَلائِكَةُ تُصَلِّي عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَسْجِدِهِ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ، مَا لَمْ يُحْدِثْ
“তোমাদের কোন ব্যক্তি যতক্ষণ মসজিদের ভেতরে (অন্য বর্ণনায়, তার নামাজের স্থানে) অবস্থান করতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতা মণ্ডলী তার জন্য এ বলে দুয়া করতে থাকে যে, হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করে দাও, তার প্রতি রহম কর। তার ওযু না ছুটে যাওয়া পর্যন্ত তারা তার জন্য এভাবে দুয়া করতে থাকে।”
হাজরা মাউতে এক লোক এ হাদিস শুনে আবু হুরায়রা রা. কে জিজ্ঞেস করল, হে আবু হুরায়রা, ওযু ছুটার অর্থ কী? তিনি বললেন, আল্লাহ সত্যের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। ওযু ছুটে যাওয়া মানে বায়ু বের হওয়া। [আল মুজামুল কাবীর (আল জুযউল মাফকূদ) তবরানী, হাদিস নং ১৪, শামেলা]

◈ ৬) রোযার জন্য সেহেরী খাওয়া:
Focused

31 Jan, 00:48

243

Focused #164

গুনাহ ত্যাগ করার উপকারিতা
======================
মানুষ মাত্রই ভুল করে। কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয়। তবে আন্তরিক ভাবে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ তো খুশি হয়ে যান এবং বান্দার পূর্বকৃত সব পাপ নেকিতে পরিণত করে দেন!
সুবহানাল্লাহ।
পাপকাজ বা গুনাহ ত্যাগ করলে বহুবিধ উপকার পাওয়া যায়।

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
গুনাহ বা পাপকাজ ত্যাগ করার উপকারিতা হলো-

(১) সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
(২) মানুষের অন্তরে মর্যাদা লাভ হয়।
(৩) পূর্বে লোকেরা ক্ষতি করে থাকলে লোকদের কাছ থেকে সাহায্য এবং নিরাপত্তা।
(৪) লোকেরা যদি গীবত করে থাকে, তাহলে তার সম্মান রক্ষা পায়।
(৫) আল্লাহ তার দুয়া কবুল করেন।

(৬) আল্লাহ তাআ’লার নৈকট্য।
(৭) ফেরেশতাদের নৈকট্য।
(৮) মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে যারা শয়তান তারা দূরে সরে যায়।
(৯) লোকেরা তাকে সাহায্য করার জন্য, তার চাহিদা পূরণ করার জন্যে এবং তার সাহচর্য ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা করবে।
(১০) সে মৃত্যুকে ভয় করবেনা, বরং আল্লাহ তাআ’লার সাথে সাক্ষাত লাভের জন্য ও তাঁর কাছ থেকে পুরষ্কার পাওয়ার জন্যে আগ্রহী হবে।

(১১) এই দুনিয়া তার দৃষ্টিতে তুচ্ছ মনে হবে এবং পরকালকে অনেক মূল্যবান মনে করবে।
(১২) পরকালে অনেক বড় রাজত্ব ও মর্যাদা পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করবে।
(১৩) আল্লাহর আনুগত্যের স্বাদ ফিরে পাবে।
(১৪) ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করবে।
(১৫) আরশ বহনকারী ফেরেশতা ও আরশের চারপাশে আল্লাহর প্রশংসাকারী ফেরেশতাদের দুয়া লাভ করবে।

(১৬) কেরামান কাতেবীন (সম্মানিত ফেরেশতাগণ) তার উপরে খুশি থাকবে এবং তারা তার জন্যে দুয়া করবে।
(১৭) জ্ঞান, বুদ্ধি ও ঈমান বৃদ্ধি পাবে।
(১৮) আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হবে।
(১৯) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত কামনা করবে।
(২০) তওবাহ করে পবিত্র জীবন-যাপনের উপরে সন্তুষ্ট থাকবে।
(২১) আল্লাহ তাকে এমন সুখ ও শান্তি দান করবেন, যা সে যখন পাপ কাজে লিপ্ত ছিলো তা থেকে বঞ্চিত ছিলো।

📖আল-ফাওয়ায়েদ, পৃষ্ঠা: ২৫৫
Focused

26 Jan, 15:46

328

এর চেয়ে অসাধারণ হাদিস আর কি কিছু হতে পারে?