ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️ (@alaksa10)の最新投稿

ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️ のテレグラム投稿

ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️
আমরা চাই আমাদের চ্যানেলের মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন আত্মাগুলো আলোকে ফিরে আসুক।ইবাদতে অনাগ্রহী আত্মাগুলোতে আগ্রহ সঞ্চার হোক।মৃতপ্রায় আত্মাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ুক প্রাণশক্তি। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় ইন শা আল্লাহ...

প্রয়োজনেঃ https://chithi.me/asifmuhammad
2,307 人の購読者
3,017 枚の写真
543 本の動画
最終更新日 11.03.2025 18:03

ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️ によってTelegramで共有された最新のコンテンツ

ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

24 Feb, 08:09

132

- নারীর সহশিক্ষা হারাম, পুরুষের হারাম না?
- সহশিক্ষা সবারই হারাম।

- তাহলে নারীদেরকে কেন বাধা দেয়া হয়, পুরুষদের দেন না কেন?
- কারণ, বাইরের জায়গাটা পুরুষের; নারীর জন্য ঘর। শিক্ষার কুব্যবস্থাপনার কারণে সেখানে নারী গিয়ে সহশিক্ষার পরিবেশে যুক্ত হচ্ছে।

- নারী কি তবে উচ্চশিক্ষিত হবে না?
- আলবৎ হবে। তার আগে সহশিক্ষা বর্জন করে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে বাধ্য করবে।

- পুরুষ তাহলে বর্জন করবে না কেন?
- কারণ, তার উপার্জনের দায়িত্ব আছে।

- সেটা তো রিকশা চালিয়েও হয়।
- রিকশা চালিয়ে শুধুমাত্র 'আজীবন' সুস্থ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি জীবিকা নির্বাহ করতে পারে; যদি তার পরিবারের দায়িত্ব না থাকে। এটা অসম্ভব। একজন পুরুষের উপর নিজ পরিবার, বৃদ্ধ বাবা-মা এবং স্বামীহীন বোনের দায়িত্ব থাকে। শরিয়াহ অনুযায়ী একজন নারীর উপর এ দায়িত্ব থাকে না। কাজেই, পুরুষের জন্য সহশিক্ষার পরিবেশ বর্জন করা অসম্ভব, কারণ শিক্ষা না থাকলে ভালো আয় অসম্ভব।

- যদি নারীও আয়ে বাধ্য হয়?
- বাধ্য হওয়ার অবস্থা ও মাসআলা ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয়। আমাদের মত সাধারণ মানুষ এ মাসআলা দিতে পারবে না। বাধ্য নারীগণ নিজ নিজ অবস্থা বিস্তারিত বলে একজন মুফতী থেকে নিজের সীমানা জেনে নিবেন।

- সহশিক্ষা আর ফ্রি-মিক্সিং এক না।
- কুরআন ও হাদীসে এই দুইটিকে আলাদা করার দলীল লাগবে। নাহলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উম্মাহকে ভ্রষ্ট করা যাবে না ও নিজে ভ্রষ্ট হওয়া যাবে না। অভিজ্ঞতা ও যুক্তি কোন দলীল না। শরীয়াহ কারো অভিজ্ঞতায় প্রতিষ্ঠিত হয় না।

নারী ও পুরুষ - সমস্তরের বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। নারী ও পুরুষ সাথী ও সহযোগী। মুখোমুখি না দাঁড়াই।

পুরুষদের জন্যও সহশিক্ষার পরিবেশে থাকাকালীন চোখের হেফাজতসহ শরীয়াহর সব ধরণের হুকুম মেনে চলা আবশ্যক। এর বাইরেও, এই ফিতনাযুক্ত পরিবেশ থেকে সত্বর বের হওয়ার উপায় খুঁজতে থাকা জরুরী এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নফসের তাড়নায় থেকে যাওয়া যাবে না। ব্যবসা ইত্যাদিসহ আরও অনেক উপায়ও আছে। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন।

~ ফারহীন আল মুনাদী
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

24 Feb, 08:09

73

তারাবীহর জন্য কয়েকটি মাদ্রাসায় ফোন করে মসজিদে হাফেজ ছাত্রদের আনা হয়েছে ইন্টারভিউ এর জন্য।

ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তিনজন। মসজিদ কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি এবং ইমাম সাহেব।

আমি অনেকগুলো অল্প বয়েসী মাদ্রাসা ছাত্রকে বসতে দেখে এগিয়ে গিয়ে উপরের তথ্যটুকু জানলাম। জেনে মসজিদ থেকে বের হয়ে চা খেলাম৷ সামান্য দূরে বইমেলায় ঢু মারলাম। আবার ফিরে এলাম আগের মসজিদে৷ ইচ্ছা এশার নামাজ পড়ে পল্টনের দিকে যাব৷

মসজিদের বাহিরে মাদ্রাসা ছাত্রদের জটলা দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম ইন্টারভিউ দিতে আসা ছাত্ররা। মুখটা বেজায় কালো৷ জানলাম সেক্রেটারির ভাগ্নাকে কনফার্ম করা হয়েছে৷ আগে থেকেই নাকি ঠিক করা ছিলো। মাঝখানে মাদ্রাসার ছাত্রদের এনে নাটক করা হয়েছে।

ছাত্রদের উস্তাদ বললেন, এই মসজিদের ইমাম সাহেব কমিটির লোকদের এক্সট্রা গো লা মি করেন। তিনিই কয়েকটি মাদ্রাসায় ফোন করে ছাত্র এনেছেন। ছাত্রদের কোনো পড়াই শুনেননি। আগে থেকেই সব কনফার্ম করা ছিলো।

ইতিমধ্যে ইমাম সাহেব বের হয়ে ধমক দিলেন ওইসব ছাত্রদেরকে এবং তাদের শিক্ষকদেরকেও৷ আমার সামনেই বললেন, ভালো মানুষের মতো সোজা চলে যান। ঝামেলা কইরেননা। আলেমদের ইজ্জত ঠিক রাখেন।

ইমাম সাহেব আমাকে দেখে বললেন, হজরত এদেরকে বুঝান। আমাদেরকে এরা এখনো চিনেনি। আমাদেরকে মানে উনি ও কমিটির লোকজনের কথা বুঝালেন।

আমি একটু উচ্চস্বরে বললাম, ওরা না চিনলেও আমি চিনেছি আপনাদেরকে ৷ যারা আগে থেকে হাফেজ সাহেব ঠিক করেও ফাও ফাও মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে ইন্টারভিউয়ের জন্য এনে নাটক করে তারা মানুষ নয়। একেকটা উচ্চ পর্যায়ের সম্মানিত ইতর। আমার উদ্দেশ্য ঘটনাটা আরও মানুষকে শোনানো।

ইতিমধ্যে চিল্লাচিল্লি শুনে আশেপাশের আরও কয়েকজন জড়ো হয়ে গেছেন। ইমাম সাহেব ও কমিটির লোকজন কোনো কথা না বাড়িয়ে হুজুরের হুজরায় ঢুকে গেলেন।

~সাইমুন সাদী হাফিঃ
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

127

"তোমরা অতিমাত্রায় পানাহার করা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা তা শরীরকে খারাপ করে, রোগ-ব্যাধি ও সালাত আদায়ে অলসতার কারণ হয়। তোমাদের কর্তব্য হচ্ছে পানাহারের ক্ষেত্রে সংযত আচরণ করা, কেননা তা স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী এবং অপচয় থেকে অধিক দূরবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মেদবহুল জ্ঞানী ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন। যখন ব্যক্তির প্রবৃত্তি তার দ্বীনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে ফেলে তখন সে ধ্বংস হয়ে যায়"।
.
~ উমার ইবনুল খাত্তাব [রা.]
.
[ ইমাম আবু নুআইম (রাহ.), আত তিব্বুন নাওয়াউই, হা: ১২৭] p: 975
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

102

দাড়ি-টুপি ওয়ালা কিছু লোকও এই যিনা-ব্যভিচারে জড়িত। আসলে তাদের কথার সাথে কাজের মিল নেই। আপনি চাইলেই গাইরে মাহরামের সাথে একান্তে গল্প করতে পারেন না। হোক তা ভয়েস কলে অথবা চ্যাটিং-এর মাধ্যমে।  ফেসবুক অনেক মেয়ে আছে, যারা গায়ে পড়ে ছেলেদের পোস্টে কমেন্ট করে। একজন ভালো লিখলে বা গঠনমুলক আলোচনা করলে তার ইনবক্সে সরাসরি মেসেজ দেয়। রিপ্লে পেলে লাভ রিয়েক্ট দেয়। মেসেঞ্জারের এটা,-ওটা জিজ্ঞেস করে। কী দরকার এসবের? ওই ছেলেটা কি আপনার গাইরে মাহরাম নয়? তাহলে ওর ইনবক্সে কী করছেন?

একই কথাটা ভাইদের জন্যেও। কোনো গাইরে মাহরাম মেয়োে টেক্সট করার আগে শতবার ভাবা দরকার নয় কি? আপনি তাকে চিনেন না, জানেন না — প্রপেজ করে দিচ্ছেন মাসনার জন্যে?  আপনার আত্মসম্মানবোধ কবে থেকে এতটা তলানিতে গিয়ে ঠেকল?

বই: ভালোবাসা (যিনা) কারে কয়?
পৃষ্ঠা: ১২

বিঃদ্রঃ বইটার মাঝে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে যা আমাদের এই জামানায় থাকা সকল ছেলে মেয়ের জানা ও মানা উচিত।

©
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

133

Gaza
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

43

গুনাহ আছে..

এ কদিনের ভিতর কোথায় পড়েছিলাম ঠিক মনে নেই। ভাষ্যটা ছিল অনেকটা এমন...

ঘুমানোর আগে সূরা মূলক পড়ার তওফিক না জুটলে বুঝবেন গুনাহ আছে। আর তওফিক জুটলে বুঝবেন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে... ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

66

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি খোলা চিঠি

বিষয়: আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রেরিত রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা দেখে একে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

বিশেষভাবে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির একজন সদস্যের বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তার বিতর্কিত ভূমিকা জনমনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সাম্প্রতিক আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।

একই ধরনের কর্মকাণ্ড পৌনঃপুনিক হওয়ায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে যৌক্তিক ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের স্ফূরণ ঘটলে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। সেরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আন্তরিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আশু কর্তব্য। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে তা জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে দেবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
সব সমাজেরই কিছু আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। তা রক্ষা করা, তাকে সম্মানের চোখে দেখা, নিদেনপক্ষে তাকে অবজ্ঞা না করাই সামাজিক রীতি এবং সাংবিধানিক কর্তব্য। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত এর উল্টোটাই করে চলেছে। এ কারণে এ দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হয়। নতুন বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।

বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আবু সাঈদসহ অভ্যুত্থানের শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক। এই বিপ্লবে ইসলামপ্রিয় মানুষদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা ছিল মুখ্য। ইসলাম ধর্মের সাম্যের বাণী তাদেরকে আন্দোলনের প্রেরণা যুগিয়েছে। এজন্য এই সরকারের প্রতি ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা অনেক। আশা করি—সরকার জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে, মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে, সরকার এরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করবে, যা দেখে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে পারবে। মানুষ যদি দেখে তাদের আবেগ-অনুভূতিতে নিয়মিত আঘাত করা হচ্ছে, জন-প্রত্যাশাকে পদদলিত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দেয়া হচ্ছে কিন্তু সরকার তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না—তাহলে তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দেশের মানুষ যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারায়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। অতএব সময় থাকতেই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন।

আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যাশা করি—সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করবে, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ধর্ম অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে সরকারি কোনো প্রকল্পে যুক্ত করবে না, যুক্ত করে থাকলে বরখাস্তপূর্বক শাস্তির আওতায় আনবে এবং এ ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করবে।

অতএব,
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ—অনতিবিলম্বে এই ধরনের কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করুন যে, তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট থাকবে।

মহান আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন এবং আপনাকে জাতির সেবায় নিয়োজিত রাখুন।

বিনীত
আহমাদুল্লাহ
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:22

47

মীর্জা গালিব একদিন মসজিদে বসে মদপান করছিলেন। মুসল্লীরা তাকে বাধা দিলো। তারা বললো, "মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়, পিনে কে লিয়ে নেহি।" মসজিদ খোদার ঘর, পানশালা নয়।

গালিব তাকালেন মুসল্লীদের দিকে। তারপর আরেক চুমুক খেয়ে বললেন।

"শরাব পিনে দে মসজিদ মে ব্যায়ঠ কার,
ইয়া ও জাগা বাতা যাঁহা খুদা নেহি।"

আমাকে মদ খেতে দাও, মসজিদে বসেই। নাহয় এমন জায়গা দেখাও যেখানে আল্লাহ নেই।

মুসল্লীরা লা জবাব! কী জবাব দেবেন? খোদা নাই এমন জায়গার কথা বলা শক্ত বইকি!

তবে জবাব দিলেন আল্লামা ইকবাল। বহু বছর পর। তার শের দিয়ে। তখন মীর্জা গালিব আর বেঁচে নেই।

“ইয়া গালিব, মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়
পিনে কি জাগা নেহি,
কাফির কে দিলমে যা
ওঁয়াহা খুদা নেহি”।

হে গালিব, মসজিদ খোদার ঘর পানশালা নয়। কাফেরের দিলে যাও, সেখানে খোদা নেই।

আহমদ ফারাজ নামের আরেকজন কবি এর প্রতিউত্তর লিখলেন৷

“কাফির কে দিল সে
আয়া হু দেখ কার
খুদা মওজুদ হ্যায় ওঁয়াহা
উসসে পাতা নেহি”

কাফিরের মনে উঁকি দিয়ে এসেছি দেখে। সেখানেও আল্লাহ আছেন, কিন্তু সে কাফির তা জানে না।

তার জবাবে কবি ওয়াসি লিখলেন,
“খুদা তো মওজুদ
দুনিয়া মে হার জাগা
তু জান্নাত মে যা
ওঁয়াহা পিনে সে মানা নেহি”

খোদা তো দুনিয়ার সবখানেই উপস্থিত আছে। তুমি জান্নাতে যাও, ওখানে মদ খেতে কোনো বাধা নেই।

(সংগৃহীত ও পরিমার্জিত)
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:21

49

অভিযুক্ত ধর্ষক আলেপ উদ্দিনের কীভাবে বিচার হবে? কী বিচার হওয়া উচিত? এই পুলিশ, এই র‍্যাবের কাছেই সে আটক থাকবে? এটাই তার বিচার? আদৌ কি তার কোনো বিচার হবে? তার স্বজাতির বর্তমান-সাবেক ভাইয়েরা একটুও কি তাকে বিব্রত করবে? মাঝেমধ্যে খুব হতাশ লাগে!

চরম ও ভয়ঙ্কর অপরাধীকে আটক হতে দেখলে লোকজন যে খুশি হয়, কেন হয়? আটকের পরও সেটিং/ ফিটিংয়ের মধ্য দিয়ে ভেতরে তো তারা হাসিখুশি দিনই পার করে! কোর্টে আনা-নেওয়ার সময়ের দৃশ্যগুলো দেখলেই অনেক কিছু বুঝবেন। পুরনো সম্পর্ক, টাকা-পয়সার লেনাদেনা, আরো কত রসায়ন কাজ করছে; কে দেখবে এসব?

এই বীভৎস ভয়ংকর অপরাধী আলেপকে এবং তার মতো 'পশুজন'কে মনোযোগ ও ইনসাফের সাথে এক দেড় মাসের মধ্যেই পুরো বিচারটা বুঝিয়ে দেওয়া যায় না? আইন কানুনের মারপ্যাঁচগুলি ঠিকঠাক বুঝি না!
ইসলাম ও ইসলামী বিশ্বের বার্তা....(AAHR10 NEWS)...⚔️

22 Feb, 11:21

38

আমি দুনিয়া ও আখেরাত নিয়ে চিন্তা করলাম। দেখলাম, দুনিয়ার বিষয়াবলি মানুষের অধিকতর ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য এবং স্বভাবগত। আর আখেরাতের বিষয়গুলো ঈমান ও বিশ্বাসগত।
আকর্ষণ ও প্রভাবের দিক দিয়ে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়গুলোই প্রাধান্য লাভ করে; যদি না সে মানুষের ইলম ও ইয়াকিন অতি দৃঢ় হয়।
দুনিয়ার সকল বিষয়ের প্রভাবই নির্ভর করে তার উপকরণের আধিক্যের ওপর। চারদিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ইন্দ্রিয়-আকর্ষণের উপকরণ। এ কারণে সাধারণ মানুষদের সাথে মেলামেশা, নয়নাভিরাম জিনিসের প্রতি দৃষ্টিপাত এবং সুখ-উপভোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে লিপ্ত থাকা ইন্দ্রিয়ানুভবকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

অন্য দিকে নির্জনতা, আল্লাহর নিয়ামত নিয়ে চিন্তা-ফিকির এবং ইলম ও জানের চর্চা আখেরাতের প্রভাবকে শক্তিশালী করে তোলে।
এটি বোঝা যাবে এভাবে যে, মানুষ যখন বাজায়ে হেঁটে বেড়ায়, দুনিয়ার বিভিন্ন মানুষের প্রাচুর্য ও শোভা-সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, এরপর সে যখন কবরস্থানে যায় এবং নিজের অন্তরের শ্বেতপত্রের দিকে তাকায়, তখন সে তার আগের বাজারে অবস্থানকালে অন্তরের অবস্থা এবং এই সময়ে অন্তরের অবস্থার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবে।

এটির একমাত্র কারণ হলো, এ সময় দুনিয়ার প্রভাব ও আকর্ষণ থেকে ভার দূরে অবস্থান।

সুতরাং হে বন্ধু, তোমার নফসের সংশোধনের জন্য এবং তাকে আখেরাতমুখী করার জন্য নির্জনতা অবলম্বন করা, আল্লাহর জিকির করা এবং বেশি বেশি ইলম চর্চা করা কর্তব্য।

কেননা নির্জনতা হলো নিয়ামক পথ্য। জিকির ও ইলম হলো ওষুধ

সাধারণ মানুষদের সাথে মেলামেশা করে জ্বরাক্রান্ত হয়ে ওষুধ ব্যবহারে কোনো উপকার আসবে না। তাই মেলামেশাহীন নির্জনতার সাথে যখন জিকির ও ইলম সংযুক্ত হবে, রোগ সেরে ওঠার মতোই তোমার অন্তরও পরিশুদ্ধ হয়ে উঠবে। আখেরাতের দিকে ধাবিত হবে।

মূল : ইবনুল জাওযী রহ.