- সহশিক্ষা সবারই হারাম।
- তাহলে নারীদেরকে কেন বাধা দেয়া হয়, পুরুষদের দেন না কেন?
- কারণ, বাইরের জায়গাটা পুরুষের; নারীর জন্য ঘর। শিক্ষার কুব্যবস্থাপনার কারণে সেখানে নারী গিয়ে সহশিক্ষার পরিবেশে যুক্ত হচ্ছে।
- নারী কি তবে উচ্চশিক্ষিত হবে না?
- আলবৎ হবে। তার আগে সহশিক্ষা বর্জন করে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে বাধ্য করবে।
- পুরুষ তাহলে বর্জন করবে না কেন?
- কারণ, তার উপার্জনের দায়িত্ব আছে।
- সেটা তো রিকশা চালিয়েও হয়।
- রিকশা চালিয়ে শুধুমাত্র 'আজীবন' সুস্থ ও কর্মক্ষম ব্যক্তি জীবিকা নির্বাহ করতে পারে; যদি তার পরিবারের দায়িত্ব না থাকে। এটা অসম্ভব। একজন পুরুষের উপর নিজ পরিবার, বৃদ্ধ বাবা-মা এবং স্বামীহীন বোনের দায়িত্ব থাকে। শরিয়াহ অনুযায়ী একজন নারীর উপর এ দায়িত্ব থাকে না। কাজেই, পুরুষের জন্য সহশিক্ষার পরিবেশ বর্জন করা অসম্ভব, কারণ শিক্ষা না থাকলে ভালো আয় অসম্ভব।
- যদি নারীও আয়ে বাধ্য হয়?
- বাধ্য হওয়ার অবস্থা ও মাসআলা ব্যক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয়। আমাদের মত সাধারণ মানুষ এ মাসআলা দিতে পারবে না। বাধ্য নারীগণ নিজ নিজ অবস্থা বিস্তারিত বলে একজন মুফতী থেকে নিজের সীমানা জেনে নিবেন।
- সহশিক্ষা আর ফ্রি-মিক্সিং এক না।
- কুরআন ও হাদীসে এই দুইটিকে আলাদা করার দলীল লাগবে। নাহলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে উম্মাহকে ভ্রষ্ট করা যাবে না ও নিজে ভ্রষ্ট হওয়া যাবে না। অভিজ্ঞতা ও যুক্তি কোন দলীল না। শরীয়াহ কারো অভিজ্ঞতায় প্রতিষ্ঠিত হয় না।
নারী ও পুরুষ - সমস্তরের বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। নারী ও পুরুষ সাথী ও সহযোগী। মুখোমুখি না দাঁড়াই।
পুরুষদের জন্যও সহশিক্ষার পরিবেশে থাকাকালীন চোখের হেফাজতসহ শরীয়াহর সব ধরণের হুকুম মেনে চলা আবশ্যক। এর বাইরেও, এই ফিতনাযুক্ত পরিবেশ থেকে সত্বর বের হওয়ার উপায় খুঁজতে থাকা জরুরী এবং সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নফসের তাড়নায় থেকে যাওয়া যাবে না। ব্যবসা ইত্যাদিসহ আরও অনেক উপায়ও আছে। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন।
~ ফারহীন আল মুনাদী