أحدث المنشورات من Arif Azad (@me_arifazad) على Telegram

منشورات Arif Azad على Telegram

Arif Azad
Official Telegram channel of author Arif Azad

Follow Me On Other Social Platform:

Facebook Page: https://www.facebook.com/arifazad.bd
Youtube Channel: https://www.youtube.com/@ArifAzad/
Instagram: https://www.instagram.com/me.arifazad/
52,051 مشترك
79 صورة
3 فيديو
آخر تحديث 01.03.2025 02:00

أحدث المحتوى الذي تم مشاركته بواسطة Arif Azad على Telegram


‘জয় শ্রী রাম’ একটা পলিটিক্যাল স্লোগান যা গুজরাটের কসাই খ্যাত মোদির দল ব্যবহার করে। ওই দেশের লোকজনও জানে যে এটা একটা রাজনৈতিক স্লোগান, এরসাথে রামের ধর্মীয় মর্যাদা সেভাবে জড়িত নাই।

কিছুদিন আগেই, সম্ভবত নির্বাচনের পর পর, সে দেশের সংসদে রাহুল গান্ধী কথা বলতে উঠা মাত্র মোদির দলের নেতারা তাকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। তাদের স্লোগানের বিপরীতে রাহুল বললো, ‘জয় সংবিধান’।

এতে কি রাহুল ধর্ম অবমাননা করেছে? রাহুল তো জানে এটা বিজেপির স্লোগান, হিন্দু ধর্মের কোনো স্লোগান নয়।

ওই দেশের হিন্দুরা বুঝে স্লোগানটা কার৷ সরকারি দলও বুঝে, বিরোধি দলও বুঝে জয় শ্রী রাম কারা বলে, কেন বলে।

তবে, শুধু বুঝে না আমাদের দেশের কিউট সেক্যুলার, হেভিওয়েট প্রগতিশীল আর সরলমনা (তারা নিজেদের যা ভাবে আর কী) হিন্দুরা।

মনে যখন এই বিশ্বাস গেঁথে নিবেন যে—যা কিচ্ছু হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে তার সবটাই আল্লাহর পরিকল্পনা, আপনার জন্য নির্ধারিত তাকদির, তখন দেখবেন—নিজেকে বা অন্যকে দোষারোপ করার মানসিকতা অনেকটাই কমে আসবে।

আপনার জন্য যা লেখা আছে তা-ই ঘটবে। একবিন্দু হেরফের কোথাও হবে না৷

সুতরাং, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করুন, তারপর অপেক্ষা করুন আল্লাহর ফয়সালার৷ তিনি যে ফলাফলই দেন, সেটা সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করুন।

একই মসজিদে গত জুমুয়াহ পড়েছি আমরা। এই জুমুয়াহতে তিনি হয়ে গেলেন কবরের বাসিন্দা।

এই জুমুয়াতে আমরা যারা ছিলাম, আগামি জুমুয়াহতে থাকবো তো?

‘লোকদের যেসব কাজ করতে দেখলে অপছন্দ করবে, একাকী অবস্থায় তুমি নিজে সেই কাজে ডুবে যেও না’।

— মুহাম্মাদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সিলসিলাহ আহাদিস সহীহাহ, ৩/৪৩

শীত শুরু হয়েছে৷ দিনগুলো ছোট হয়ে এসেছে, রাতগুলো দীর্ঘ হয়েছে আগের তুলনায়।

শীত ঋতুটাকে আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনের বসন্তকাল বলে উল্লেখ করেছিলেন। কারণ—


শীতকালে দিনগুলো তুলনামূলক ছোট হওয়ায় সিয়াম রাখা সহজ হয়৷ ক্লান্তি আর কষ্ট লাগে না।

শীতকালে রাতগুলো তুলনামূলক দীর্ঘ হওয়ায় পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে, শেষ রাতে কিয়ামুল লাইলের জন্য জাগা সহজ হয়৷ পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারার কারণে ঘুম থেকে কোনো ক্লান্তি শরীরে ভর করে না।


শীত তো উপস্থিত৷ রাখছেন তো আপনার প্রস্তুতি?

সুন্দরভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে না পারার কারণে নয়, অনেকসময় আপনার অনেক দোয়া কবুল হয় না আপনার গোনাহর কারণেও।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কতো অসীম দয়ালু, সেটা কুরআনের পাতায় পাতায় পাওয়া যায়।

হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহ তাঁর দয়াকে একশো ভাগে ভাগ করেছেন৷ তন্মধ্যে শুধু একভাগ দয়া উনি সমস্ত সৃষ্টিরাজির মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন৷ ওই এক ভাগের বদৌলতেই মা তার সন্তানকে ভালোবাসে। জীবজন্তু তাদের সন্তানাদির প্রতি মায়া দেখায়।

শুধু এক ভাগ দয়ার কারণে যদি সৃষ্টিজগত একে অন্যের প্রতি এতোটা দয়াদ্র হয়, যে নিরাব্বই ভাগ দয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজের জন্য রেখে দিয়েছেন, তাঁর দয়ার সীমানাটা তাহলে কেমন চিন্তা করে কূলানো সম্ভব?

সেই পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন—বান্দার সকল গুনাহ তিনি ক্ষমা করে দিতে রাজি, শুধু শিরকের গুনাহ ছাড়া।

এতো দয়া আর ক্ষমার আধার যিনি, যিনি সমস্ত গুনাহকে ক্ষমা করে দেবেন বলে ঘোষণা করেন, তিনি কেন এটাও স্পষ্ট বলে দেন যে—শিরকের গুনাহ তিনি ক্ষমা করবেন না?

আপনার কি একবারও মনে হয়েছে, সেই মহান রব কেন শিরকের গুনাহকে অমার্জনীয় অপরাধ হিশেবে রেখে দিয়েছেন?

কারণ, শিরক সরাসরি আল্লাহর একত্ববাদকে আঘাত করে। বান্দার কৃত আর কোনো অপরাধ এতোটা সীমালঙ্ঘন করে না, যতোটা শিরক করে। আল্লাহ সবকিছু ক্ষমা করবেন, সবকিছু মেনে নিবেন, কিন্তু অন্য কাউকে তাঁর সমকক্ষ বানালে সেই অপরাধ তিনি ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা আল্লাহর পাশাপাশি অন্য কাউকে ডাকা, অন্য কারো কাছে নিজের মস্তক সঁপে দেওয়াকে আল্লাহ ঘৃণা করেছেন। যুগে যুগে যতো নবি আর রাসুল দুনিয়ায় এসেছেন, তাদের সকলের দাওয়াতের মূল দাবিই ছিল এটা—তাওহিদ তথা একত্ববাদ৷ আল্লাহ ব্যতীত অন্য সকল ইলাহ মিথ্যা৷ আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্য ত্যাজ্য।

যে জিনিসটাকে আমাদের রব স্বয়ং ঘৃণা করেন, যে জিনিসটাকে আল্লাহর নবি রাসুলেরা ঘৃণা করেছেন, সেই জিনিসটাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করা আমাদেরও ঈমানের দাবি।

আল্লাহ কিন্তু শিরককে ঘৃণা করেন, কিন্তু কোনো মুশরিকের জন্য তিনি সূর্যের আলো, বৃষ্টির পানি, বাতাসের অক্সিজেন বন্ধ করে দেন না। তিনি তাদেরকেও রিযিক দেন। তাদের জীবিকারও বন্দোবস্ত করেন।

কারণ, তিনি ‘আর রহমান’। সমস্ত সৃষ্টিকূলের ওপরে তিনি দয়াদ্র। সে যতো পাপী, তাপী, সীমালঙ্ঘনকারীই হোক—তাকে তিনি বঞ্চিত করেন না। তার সাথে হিশেবাদি তিনি চুকোবেন আখিরাতে, কিন্তু দুনিয়ার জীবনে তার চেষ্টার ফল, তার পরিশ্রমের বিনিময় তিনি প্রদান করেন।

যারা শিরক করে তাদের সাথে আমাদের সম্প্রীতি থাকবে৷ সম্প্রীতি মানে আমাদের দ্বারা তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। সম্প্রীতি মানে তাদের স্বাভাবিক জীবন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে না৷ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেমন তাদেরকে আলো, হাওয়া, অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত করেন না, আমরাও তাদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার, ধর্ম পালনের অধিকার, নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারি না।

কিন্তু, সম্প্রীতির নামে তাদের সংস্কৃতির মাঝে নিজেদের ডুবিয়ে ফেলা, তারা যে শিরক করে সেই শিরকের মধ্যে নিজেদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে ফেলা—সেটা যেকোনোভাবেই হোক, তারা যে শিরক করে সেই শিরককে নিজের জন্য ঘৃণা না করা, এসব স্পষ্ট বিচ্যুতি।

‘আমরা আল্লাহর রঙ গ্রহণ করেছি। আর, আল্লাহ অপেক্ষা কার রঙ অধিক সুন্দর? আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী’— আল বাকারা, ১৩৮

জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোতে, স্বাপ্নিক সুখের সময়গুলোতে আপনার কি আল্লাহর কথা বেশি বেশি মনে পড়ে? খুব মন চায় আল্লাহর কাছে বারংবার কৃতজ্ঞতা জানাতে? বাড়তি সালাত আদায় করতে? বাড়তি সাদাকা করতে?

যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে অভিনন্দন। আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্কটা অনন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।

সুনান ইবন মাজাহ এর একটা হাদিসে পাওয়া যায়,

একবার আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে একজন মহিলা তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে আসলেন। আম্মাজান আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা মহিলার হাতে তিনটি খেঁজুর দিলেন যাতে তারা তিনজন খেতে পারে।

তিনটি খেঁজুর থেকে মহিলা তার দুই মেয়ের হাতে দুইটি খেঁজুর দিলেন এবং একটা রাখলেন নিজে খাওয়ার জন্য।

মেয়েরা নিজেদের ভাগে পাওয়া খেঁজুর দুটো খেয়ে আবার খেঁজুর চাইলে, নিজের জন্য রাখা খেঁজুরটা দুই ভাগ করে মহিলা তার দুই মেয়ের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেন।

এই ঘটনাটা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বিস্মিত করে এবং নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরলে তাঁকে ঘটনাটা জানান।

ঘটনা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অবাক হচ্ছো কেন? এই কাজটার জন্য উক্ত মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করবে’।


কতো ছোট ছোট কাজের বিনিময়েই যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দাদের জান্নাত দিয়ে দেন! আল্লাহু আকবার!


একটা খেঁজুর নিজে না খেয়ে, নিজের আপন বাচ্চাদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু এতোটুকুই। একজন মা তার নিজের সন্তানের প্রতি দয়া দেখিয়েছে। শুধু একটা ছোট্ট খেঁজুর নিজে না খেয়ে বাচ্চাদের খেয়ে দিয়েছে—এতোটুকুই।

তাহলে, যারা নিজের সবটুকু দিয়ে বাবা-মা’র সেবাযত্ন করে, যারা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে ভাই-বোন আর  আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করে, যারা প্রতিবেশির হক আদায়ে সর্বোচ্চ সতর্ক, তাদের বিনিময়টা কতো বিশাল হবে?

বিপদে, আপদে, দূর্যোগ দূর্ভোগের সময়ে যারা মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যায়, বন্ধুর বিপদে যারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়, যারা মানুষের মাঝে দ্বন্ধ দূর সম্পর্ক জোড়া লাগায়, যারা ভালো কাজের উৎসাহ দেয় আর মন্দ কাজ হতে মানুষকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় জীবনভর—তাদের বিনিময় কেমন হবে?

একটা ছোট্ট খেঁজুরের বিনিময়ে যেখানে জান্নাত পাওয়া যায়, দুনিয়ার কোন সে প্রতিবন্ধকতা যা আপনাকে এই জান্নাত লাভ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে?
.

রেফারেন্স:
(১) সুনান ইবন মাজাহ, ৩৬৬৮

অস্থিরতা এসে ভর করলে, জীবনটাকে ভীষণ উদ্দেশ্যহীন মনে হলে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এমনভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা যে এগুলো আপনার মস্তিষ্কের ডোপামিন খরচ করে সাময়িক বিনোদনের বিনিময়ে আপনাকে আরো বেশি অস্থির আর উদ্দেশ্যহীন করে রাখবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার চাইতে বড় কোনো ডিস্ট্রাকশান সৃষ্টিকারী টুলস প্রযুক্তি তৈরি করতে পারেনি।

জীবনের অস্থির আর উদ্দেশ্যহীন সময়গুলোতে বেশি করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে ফিরে যান। জায়নামাযে সময় কাটান বেশি। যিকিরে নিমগ্ন হোন এবং বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করুন, কুরআনের অনুবাদ পড়ুন কিংবা বেশি বেশি তিলাওয়াত শুনুন।