Neueste Beiträge von Arif Azad (@me_arifazad) auf Telegram

Arif Azad Telegram-Beiträge

Arif Azad
Official Telegram channel of author Arif Azad

Follow Me On Other Social Platform:

Facebook Page: https://www.facebook.com/arifazad.bd
Youtube Channel: https://www.youtube.com/@ArifAzad/
Instagram: https://www.instagram.com/me.arifazad/
52,051 Abonnenten
79 Fotos
3 Videos
Zuletzt aktualisiert 01.03.2025 02:00

Ähnliche Kanäle

Hope Design Cloud
9,822 Abonnenten
Mayeen Editz
3,543 Abonnenten

Der neueste Inhalt, der von Arif Azad auf Telegram geteilt wurde.


গোটা সৃষ্টিজগতে এমন একটা বিন্দু, এমন একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা নেই যা তাঁর দৃষ্টির অন্তরালে। সাগরের বুকে তৈরি হওয়া একটা ছোট্ট ঢেউ, সেই ঢেউয়ের আরো ভিতরে তৈরি হওয়া কম্পন, সেই কম্পনে ছিঁটকে যাওয়া একবিন্দু জল—সেই ঘটনাচিত্রও আল্লাহর দৃষ্টির আড়াল হতে পারে না।

গভীর সাগরতলে যে ক্ষুদ্র নুড়িকণা, সেই নুড়িকণার নিচে তার চেয়েও ক্ষুদ্র যে প্রাণী, সেই প্রাণীর গায়ে থাকা তারচেয়েও ক্ষুদ্র বালিকণা—সেটাও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা দেখেন।

ঘন গহীন অরণ্য, যেখানে আজতক কোন মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি, গাছেদের ডালপালার ঘনত্বকে ফুঁড়ে যেখানে পৌঁছাতে পারে না সূর্যের প্রখর রশ্মি, প্রকাশ্য দিবালোকেও অন্ধকারে ডুবে থাকা সেই জঙ্গলের একেবারে অবহেলিত কোণে বেড়ে উঠা একটা ছোট্ট আগাছা, যার ডগায় আজ নতুন একটা কুঁড়ি বের হয়েছে, যে কুঁড়ির সন্ধান হয়তো কোনোদিন কোন মৌমাছি পাবে না, যে কুড়ি থেকে প্রস্ফুটিত ফুলে কোনোদিন বসবে না কোন প্রজাপতি—সেই অজানা, অবহেলিত ফুলও আল্লাহর দৃষ্টির অন্তরালে নেই।

আজ থেকে শুরু হলো একুশে বইমেলা। চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে।

আমার নতুন বই দুটো, ‘উমরাহ সফরের গল্প’ এবং ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ পাওয়া যাবে ঢাকা বইমেলায় ২৯ নম্বর স্টলে এবং চট্টগ্রাম বইমেলায় ২৭ নম্বর স্টলে। সুকুন পাবলিশিংয়ের স্টলে।

আমার বইগুলো পাওয়া যাবে আগামি ৭ ই ফেব্রুয়ারি থেকে৷ ইন শা আল্লাহ।

আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে হাজির হয়েছি আসন্ন বইমেলায় প্রকাশ হতে যাওয়া আমার বই দুটির প্রি-অর্ডার ঘোষণা নিয়ে।

প্রিয় পাঠক, এতোদিন অপেক্ষা করে ছিলেন কবে শুরু হবে প্রি-অর্ডার আর কবে আপনি নিশ্চিত করে রাখবেন অধীর অপেক্ষায় থাকা প্রিয় বই দুটো।

আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের অপেক্ষার প্রহর ফুরিয়েছে।

‘উমরাহ সফরের গল্প’ এবং ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ আপনারা প্রি-অর্ডার করতে পারবেন আপনাদের পছন্দের যেকোনো অনলাইন বুকশপে। দেশের কয়েকটা শীর্ষস্থানীয় অনলাইন বুকশপ থেকে অর্ডারের লিঙ্ক আমি এই পোস্টে যুক্ত করে দিচ্ছি।

রকমারি ডট কম:

‘উমরাহ সফরের গল্প’— https://rkmri.to/J1R1UVPGBUKW

‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’— https://rkmri.to/1O8GNMURI08T

দুটো একসাথে অর্ডার করতে চাইলে— https://rkmri.to/1MREH2K05SDN

.
ওয়াফিলাইফ ডট কম:


উমরাহ সফরের গল্প’— https://www.wafilife.com/?p=1204286

‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’— https://www.wafilife.com/?p=1204290

দুটো একসাথে অর্ডার করতে চাইলে— https://www.wafilife.com/?p=1204313


নতুন বছরের মুখরিত সময়গুলো, ‘উমরাহ সফরের গল্প’ এবং ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ এর সাথে অসম্ভব ভালো কাটবে বলেই বিশ্বাস করি 💚

আলহামদুলিল্লাহ!! সমস্ত প্রশংসা আমার রবের৷

একুশে বইমেলা ২০২৫ এ প্রকাশ হতে যাচ্ছে আমার দুটো বই আলহামদুলিল্লাহ। এমন ধারার দুটো কাজ, যে ধারা নিয়ে আগে আমার কাজ করা হয়নি।

‘উমরাহ সফরের গল্প’ হলো আমার উমরাহ সফরনামা। এটাকে শুধু সফরনামা বললে ভু হবে, এই সফরনামায় পাঠককে আমি ঘুরিয়ে আনতে চেষ্টা করে সাড়ে চৌদ্দ’শ বছর আগের সেই নববি যুগ থেকে৷ সফরনামাটির পাতায় পাতায় পাঠক খুঁজে পাবেন সীরাতের স্বাদ৷ পাঠকদের মনে হবে, যেন আমরা হাজির আছি নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায়। যেন আমাদের চোখের সামনে দিয়েই সব ঘটছে।

দ্বিতীয় বইটি আমার প্র‍থম কাব্যগ্রন্থ। নানান সময়ে লেখা আমার কবিতাগুলো বহু পাঠককে ছুঁয়ে গেছে বলে জেনেছি৷ অনেক পাঠক জানিয়েছেন, তারা কবিতা খুব একটা পড়েন না, কিন্তু আমার কবিতা তাদের অনেক পছন্দ৷ ‘কথা বলো যয়তুন বৃক্ষ’ আমার সেই স্বপ্নের কবিতা সংকলন।

আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ, তিনি যেন আমার এই কাজগুলোকে কবুল করেন। আমার নাযাতের উসিলা করেন। পাঠকদের জন্যেও যেন উপকারি করে তুলেন।


এই বইদুটো আগামি ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হবে Sukun Publishing থেকে, ইন শা আল্লাহ।

ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লাবিল্লাহ 💚

কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত হয়ে যাবে, আর কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত ছুটে যাবে—আমরা কেউ বলতে পারি না৷ তাই তাচ্ছিল্য কিংবা অহংবোধ, কোনোটাকেই জীবনে জায়গা দেবেন না।

মাঝে মাঝে কিছু মন খারাপের কারণ খুঁজে পাই না।

মন হয়তো খারাপ, কিন্তু জানিই না যে ঠিক কী কারণে মন এমন বিচ্ছিন্ন আর উদাস হয়ে আছে। পূর্বাপর সব ঘটনাগুলোতে চোখ বুলিয়েও কোন যুতসই কারণ বের করা যায় না।

এমন অ-কারণ মন খারাপের একটা কারণ হতে পারে সালাতের প্রতি আমাদের উদাসীনতা। আমরা আমাদের সালাতের ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নশীল নই।


আপনি হয়তো বলবেন, 'কই, আমি তো সালাত ত্যাগ করি না ভাই। কিন্তু তা-ও কেনো আমার মাঝে মাঝে অ-কারণ মন খারাপ হয়?'


'সালাতে যত্নশীল হওয়া' বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে— সালাত ত্যাগ না করা। কিন্তু, এটুকুই কেবল সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার জন্যে যথেষ্ট নয়।


ঠিক সময়ে আমি সালাত আদায় করছি কি-না, সালাতে আমার খুশুখুযু তথা মনোযোগ ঠিকঠাক রাখতে পারছি কি-না এসবও সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার অন্তর্ভুক্ত।


ফযরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে এলো প্রায়। ঘড়িতে আর মিনিট পাঁচেক বাকি। তড়িঘড়ি করে উঠে আমি বুলেটের গতিতে ওযু করে জায়নামাজে দাঁড়ালাম৷ হাতে আমার সময় কেবল সাড়ে তিন মিনিট। সুন্নাহ তো বাদ-ই গেলো, এই তিন মিনিটে আমাকে শেষ করতে হবে দুই রাক'আত ফরয সালাত!

সাড়ে তিন মিনিট সময়ে দুই রাক'আত সালাত কতোখানি যত্ন আর আন্তরিকতার সাথে আদায় করা যায় ভাবুন তো!


এই ঘটনা যদি আমার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়, যদি আসর আর মাগরিবেও আমাকে এমন হুলস্থুল করে নিয়মিত সালাত আদায় করতে হয়, তাহলে সালাতের ব্যাপারে আমাকে জরুরিভাবে ভাবতে হবে বৈকি!


সালাতের সময় নিয়ে যদি আমাকে রোজ এভাবে দৌঁড়ঝাপ করতে হয়, তাহলে আমি সালাত-সমাপ্তকারী হবো বটে, আদায়কারী হয়ে উঠতে পারবো না।

হাসান আল বাসরী রাহিমাহুল্লাহর একটা সুন্দর উক্তি আছে৷ তিনি বলেছেন:


'যখনই আপনি আপনার সালাতকে ঠিক করতে পারবেন, দেখবেন আপনার জীবনটাও ঠিক হতে শুরু করেছে। যদি আপনার মনে হয়— কেনো আপনার রিযক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, কেনো আপনার বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, কেনো আপনার কাজে বারাকাহ কমে যাচ্ছে, কেনো দিন দিন খারাপ হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য, তাহলে আপনাকে বলবো আপনার সালাতের দিকে নজর দিন। দেখুন তো— সালাত আদায়ে আপনি দেরি করেন না তো?'


আমার অ-কারণ মন খারাপের কারণ হয়তো এখানেই যে— যথার্থ সময়ে এবং যথাযথ ভাবে আমি সালাত আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছি।

কমেন্ট অপশান বন্ধ রাখা হলো


আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ’আরিফ আজাদ’ টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলার পর থেকে আমরা উন্মুক্ত আলোচনার জন্য কমেন্ট করার অপশন রেখেছিলাম যাতে পাঠক-লেখকের একটা সরাসরি ইন্টেরেকশান তৈরি হয়।

কিন্তু মুশকিল হলো, এখানে অনেক বোনেরাও কমেন্ট করেন। তাতে সমস্যা ছিল না৷ সমস্যা হলো—এখানে কমেন্ট করলে টেলিগ্রাম আইডি শো করে এবং যেকেউ ইচ্ছা করলে তার প্রাইভেট প্রোফাইলে গিয়ে তাকে ম্যাসেজ করতে পারে। আরো মুশকিলের ব্যাপার হলো—ফেইসবুকের মতো সেই ম্যাসেজ ফিল্টার হয়েও আসে না। ইউজারের প্রোফাইলে সরাসরি চলে আসে।

এতে করে অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা বোনদের হ্যারাসমেন্টের একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।

নানাবিধ বিষয় মাথায় রেখে আমরা এখানে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ রাখলাম।

সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জা’যা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার একটি পবিত্র নাম হলো আল গাফুর।

মোনাজাতে আমরা আল্লাহকে ‘ইয়া আল গাফুর’ বলে ডাকি, কিন্তু কখনো কি ভেবেছি—আল্লাহর এই পবিত্র নামটা আসলে কোন বিশেষ অর্থ বহন করে?

আরবি ‘আল-গাফুর’ শব্দটার মূল উৎস শব্দ হলো গফারা (غ-ف-ر) যার অর্থ হলো কোনোকিছু লুকিয়ে ফেলা, ঢেকে দেওয়া, আচ্ছাদিত করা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দার গুনাহসমূহ গোপন রাখেন। বান্দা নিজের ভুলে যদি নিজের গুনাহকে প্রকাশ করে না ফেলে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সেগুলোকে প্রকাশ্যে আনেন না।

তিনি আমাদের দিনের বেলার গুনাহের কথা জানেন। তিনি আমাদের রাতের বেলার গুনাহের কথাও জানেন। তিনি আমাদের প্রকাশ্য গুনাহের কথা জানেন। আমাদের অপ্রকাশ্য গুনাহের কথাও তিনি জানেন।

যদি আল্লাহ চাইতেন, আমাদের গুনাহের তালিকা আমাদের কপালে ভেসে উঠতে পারতো। যদি তিনি ইচ্ছা করতেন, গুনাহের কারণে আমাদের শরীর থেকে গন্ধও বের করতে পারতেন।

এমন যদি হতো, আমাদের দ্বারা কি সম্ভব হতো বেঁচে থাকা?

কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এমনটা হতে দেন না৷ তিনি বান্দার গুনাহগুলোকে ঢেকে দেন, লুকিয়ে ফেলেন, আচ্ছাদিত করে দেন বলে তিনি হলেন—আল গাফুর।


আমাদের গুনাহ আল্লাহ প্রকাশ করে দেন না, এটাও আল্লাহর এক বিরাট দয়া আর রহমত বান্দার প্রতি।

কুয়াশায় ঢাকা শীতের দিনগুলো শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।

রাতগুলো হয়েছে বেশ দীর্ঘ। এমন দীর্ঘ রাতে, হালকা চেষ্টা করলে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে শেষ রাতে উঠে কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ আদায় করা যায়।

শীতকালের এই সুবর্ণ সুযোগের কারণেই, আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শীতকালকে মুমিনদের জন্য ‘বসন্তকাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বইটিতে রয়েছে নবি-রাসুল, উম্মাহাতুল মুমিনীন, সাহাবি, তাবেয়ি এবং তাবে-তাবেয়িগণ সহ, অনেক ইমাম, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরদের জীবন থেকে নেওয়া তাহাজ্জুদের ঘটনাবলী। এসকল ঘটনা তাহাজ্জুদে জাগতে আমাদেরকে দারুনভাবে উদ্দীপ্ত করতে পারে, ইনশা আল্লাহ।

উপকারি এই বইটি পড়বার জন্য তাঁর পাঠকদের উৎসাহিত করেছিলেন পাঠকনন্দিত লেখক আরিফ আজাদ ভাইয়াও।

প্রিয় পাঠক, এই শীতে ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ বইটি হয়ে উঠুক আপনার পড়া এবং তার উপর আমল করা সেরা বই।

অর্ডার করতে কিংবা বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন - https://sukunpublishing.com/book/jemon-cilo-boroder-tahajjud/

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার এক নাম হলো—আল ক্বারিব। আল ক্বারিব নামের অর্থ হলো—অধিকতর নিকটবর্তী।

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন যে—ঘাঁড়ের শাহী রগ, যে রগটা মস্তিষ্কের সাথে পুরো শরীরের সংযোগ মাধ্যম হিশেবে কাজ করে, সেই রগের চাইতেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দার নিকটে থাকেন।


আমাদের রব আমাদের এতো নিকটবর্তী, কিন্তু আমাদের জীবনপদ্ধতি দেখলে কে বলবে যে—রবের এই নিকটবর্তী থাকাটাকে আদৌ আমরা উপলব্ধি করি?