Abdullah bin bashir (@abdullahbinbashir) Kanalının Son Gönderileri

Abdullah bin bashir Telegram Gönderileri

Abdullah bin bashir
প্রয়োজনীয় পিডিএফ ও ব্যক্তিগত নোট
7,352 Abone
165 Fotoğraf
64 Video
Son Güncelleme 01.03.2025 06:52

Abdullah bin bashir tarafından Telegram'da paylaşılan en son içerikler


রমাদান মাস কুরআন তিলাওয়াতের মাস। তাই প্রতিটি মুসলিম এই মাসে প্রধান কর্ম ব্যস্থতা কুরআনই রাখবো। তবে মাদরাসার তালেবে ইলম ভাইরা, বিশেষত উপরের দিকের তালেবে ইলম ভাইরা এই মাসে কুরআনের মাসগালার পাশাপাশি নিজেদের জাহালাত কাটানোর পিছনে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষত, আমাদের নেসাবে যে বিষয়গুলো অবহেলিত, কিন্তু বিষয়গুলোর জাহালাত কাটানো সময়ের চাহিদানুযায়ী একান্ত জরুরি হয়ে গিয়েছে, সেগুলোতে যদি এই একমাস সময় দেই আমরা তাহলে একটা প্রাথমিক জাহালাত আমাদের কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমি কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

১। ইসলামি সিয়াসাত। এই বিষয়ের জাহালাত কাটাতে এই রমাদানে মারকাযুস সাহওয়ার সিয়াসাত বিষয়ক তাদরিবটা করতে পারেন৷

২। আকিদা। এই বিষয়ে জাহালাত কাটাতে মারকাযু আহলিস সুন্নাহের তাদরিবটা করা যেতে পারে।

৩। উলুমুল কুরআন। উলুমুল কুরআন নিয়ে রমাদান মাস ব্যাপি কোথাও তাদরিব হচ্ছে কি না জানা নেই। তবে না হলেও ব্যক্তি উদ্যোগে এটা জরুরি।

৪। উচ্চতর আরবী ভাষা শিক্ষা। আরবী ভাষা দ্বারা ইবারত পড়তে পারি আর তরজমা তুলতে পারি, এটাকে যথেষ্ঠ মনে করা বর্তমান সময়েত অন্যতম ধোঁকা। এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখব ইনশাআল্লাহ।

৫৷ ইংরেজি ভাষা শিক্ষা।

আজ আমাদের এলাকায় মাগরিবের নামাজের পর পাটেরবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে দাওয়াতে তাবলিগ ও এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষ থেকে এলাকার সকল হোটেল, চা-বিড়ির দোকানে গাশত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিলো, পবিত্র রমাদান উপলক্ষ্যে দিনের বেলা যেনো এই সকল দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়। আলহামদুলিল্লাহ, দোকানদারদের পক্ষ থেকে বেশ ইতিবাচক সারা পাওয়া গিয়েছে।
.
আল্লাহ, আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের এই কাজটি কবুল করে নিক। এলাকার পঞ্চায়েত কমিটিকে দ্বীনের জন্য আরো কাজ করার তাওফিক দান করুন।

#এই_দ্বীন_আমার
#এই_জমিন_আমার

এইযে সংস্কার চলছে। সংস্কারের প্রথম সাড়ির কাজগুলোর মধ্যে একটা হলো, রসূল অবমাননাকারী, ধর্ম অবমাননাকারী, ইসলামের কোনো একটা নিদর্শনের অবমাননাকারীদের বিচারকে নিশ্চিত করা। এটা সবচে বড় সংস্কার। সবকিছু করা হলো কিন্তু এটা করা হলো না তাহলে হবে না।
এটা মনে রাখতে হবে যে, স্বাধীনতার ভুল ব্যবহার এটা জাহান্নামের রাস্তা। এবং ধ্বংসের রাস্তা। ৭১ এর যুদ্ধের রক্তের অবমাননা হয়েছে কিনা এদেশে? হয়েছে। যারা অবমাননা করেছে ওরা রক্ষা পেয়েছে? রক্ষা পায়নি। জুলাই-আগস্টের যে শহীদ, তাদের রক্তের যদি অবমাননা করা হয় , যেই করবে সে রক্ষা পাবে না। আবু সাঈদসহ যারা ছিল এরা কি ধর্ম অবমাননাকারী ছিল! না। ইসলামের নিদর্শনগুলোর অবমাননাকারী ছিল? না। তাহাজ্জুদের নামাযের বা আখেরী নবীর অবমাননাকারী ছিল! না। না তারা ধার্মিক ছিল? ধার্মিক ছিল। ইসলামের শরীয়তের অনুসারী ছিল। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত ছিল। তো তাদের রক্তের ফলে যা কিছু অর্জিত হয়েছে তার সাথে গাদ্দারি করে কোনো কিছু টেকানো যাবে না। ঐটা কখনো থাকবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন। নবীর মুহাম্মাদ দান করুন। ইসলামের নিদর্শনগুলোর মুহাব্বাত দান করুন। অমীন।

#মিম্বারের ধ্বনি
#বায়তুল মোকাররম
২৮।০২।২৫

কাফেরদের মসজিদে প্রবেশের বিধান

কাফেরদের জন্য মুসলমানদের মসজিদে প্রবেশের অধিকার রয়েছে কি না, এই বিষয়ে মুজতাহিদ আলেমদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে।

ইমাম মালেক, শাফেয়ি ও আরও বেশ কিছু আলেমের মত হলো, কাফেররা মুসলমানদের মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না। মুসলমানদের দায়িত্ব হলো, কাফেরদের মসজিদে প্রবেশ থেকে দূরে রাখবে। অন্যদিকে ইমাম আবু হানিফা ও অন্য ইমামদের মত হলো, কাফেরদের মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ নয়। তবে মসজিদে প্রবেশে তাদেরকে মসজিদের পূর্ণ আদব ও সম্মানের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে এবং কোনোরকম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা না থাকতে হবে।

হানাফি ফকিহ ইমাম কাসানি রহিমাহুল্লাহ লেখেন,

ولا بأس بدخول أهل الذمة المساجد عندنا وقال مالك رحمه الله والشافعي لا يحل لهم دخول المسجد الحرام. (بدائع الصنائع ٨٢١/٥، كتاب الاستحسان، ط. دار الكتب العلمية)

আমাদের হানাফি উলামায়ে কেরামের নিকট জিম্মিদের মসজিদে প্রবেশে কোনো সমস্যা নেই। ইমাম মালেক ও শাফেয়ি বলেন, জিম্মিদের মসজিদে হারামে প্রবেশ বৈধ নয়।

বই: মুসলিম অমুসলিম সম্পর্ক
লেখক : মুফতি উবাইদুর রহমান
অনুবাদ : আব্দুল্লাহ বিন বশির
চেতনা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত

আমাদের মুরব্বি হযরত Ismail Bin Abdul Wahhab সাহেব দা.বা.-এর এই আলোচনাটি আমাদের সকলের হৃদয়ঙ্গম করা দরকার।
.
আল্লাহ হযরতকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইলিয়াসের ভিডিও দেখলাম। ৫৭ জন আর্মির মৃত্যুর কথা জানলেও, এর পরবর্তী সময়ে হাজারো বিডিআর ও তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিষয়ে আমরা কজনই বা জানি!
.

https://youtu.be/L8kEtIZCXXY?si=ehRixqBUms-wxpS6

মাওলানা আবরার সিদ্দিকি সাহেব রচিত ইসলামি সিয়াসাত বইটির শর্ট পিডিএফ।

মাওলানা আবরার সিদ্দিকি সাহেবের সময়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ বইটা চলে এসেছে। এই খণ্ডটা মাদরাসা আর ভার্সিটি—সকলের জন্যই জরুরি।
.
এই বইটা মূলত মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ সাহেবের ‘রাষ্ট্র-রাজনীতি’ বইয়ের খন্ডনে লেখা প্রথম খণ্ড।
.
আচ্ছা, মাওলানা আবরার সিদ্দিকি সাহেবের তত্ত্বাবধানে এই রমাজানে সিয়াসাত বিষয়ে বিশদিন ব্যাপি গুরুত্বপূর্ণ মুহাজারা হবে৷ আগ্রহী তালেবে ইলম ভাইরা মিস দিয়েন না।

একজন মানুষ, একজন চিন্তক, একজন উম্মাহের প্রতি দরদ রাখা ব্যক্তি উম্মাহের বিভিন্ন বিষয়ে আপনার সাথে শত শত মাসআলায় একমত। এক দুই মাসআলায় হয়তো দ্বিমত রাখে, বা তার অবজারভেশন ভিন্ন, এতটুকুতেই যদি তাকে আমরা বিরোধি বানিয়ে ফেলি, তাহলে এটা খুবই বাজে একটা চর্চা! এই চর্চা আপনার দাওয়াতের ময়দানকে, আপনার বিজয়ের রাস্তাকে সংকীর্ণ করে ফেলবে।

এই বিষয়টিতে আমরা খুবই সতর্ক হই ভাই। খুবই মানি খুবই। বিশেষত যারা উম্মাহের সামগ্রিক বিজয় চান, উম্মাহকে এই কু*ফ*রি জীবনব্যবস্থা থেকে বের করে আনতে চান তাদের জন্য তো অন্যদের তুলনায় এটা আরো বেশি জরুরি।

সাথে, এটাও মনে রাখতে হবে, কেউ আমার কোনো কথা বা কাজের বিরোধিতা করলেই বা শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালেই তাকে আমার দুশমন ভাবাটাও ঠিক না৷

আমার ভুল ধরতে গিয়ে হয়তো ভাইতা কিছুটা বাড়াবাড়ি করছে, আমি নসিহার সাথে ভাইদের সাথে বিষয়গুলো ডিল করতে পারি।

আল্লাহ আমাদের উম্মাহের স্বার্থে আল্লাহর জন্য এক বানিয়ে দিক। আমীন।

কথিত আছে, একবার সুলতান গিয়াস আল-দীন আযম শাহের তীর নিক্ষেপকালে একজন বিধবার পুত্র নিহত হয়। পুত্রহারা মা কাযির দরবারে নালিশ করলে সুলতান সাধারণ বিবাদীর মতো কাযির বিচারালয়ে হাজির হন। বিচারের রায়
সুলতানের বিপক্ষে গেলে বিধবা সন্তুষ্ট হয়। কাযির এমন দুঃসাহসিকতা দেখে সুলতান খুশি হয়ে তাকে পুরষ্কৃত করেন। এই ঘটনা তৎকালীন বাংলায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। দ্র. রিয়াজ-উস সলাতীন, পৃ. ১০৬-১০৮; M. A. Rahim,
.
সূত্র : সুলতানি আমলে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা, পৃ. ১০৬, ড. আবু নোমান, প্রকাশকাল: ২০২৪