পর্ব ২
ক্রিপ্টো মুদ্রা বিপ্লব এর পিছে কারা, কি চায়, কেমন এর মেকানিজম? এবং আমাদের করণীয় কী?
আপনাকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পাঠাইতে বললে, কোন পদ্ধতির নাম মাথায় আসবে? ধারণা করে নিচ্ছি, এতক্ষনে বিকাশের নাম আপনার মাথায় এসেও গেছে। বিকাশ ছাড়াও আরো কিছু মাধ্যম আছে। তো ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল টাকা রাখার জন্যে যে এত লাগে, সেই অভাব টাই পূরণ করে থাকে বিকাশ, নগদ, রকেট, ট্যাপ, উপায় ইত্যাদি।
এবার যদি প্রশ্ন করি, বাংলাদেশের বাইরে টাকা পাঠাইতে চাইলে এক্ষুনি, আপনি কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন?
অনেক ধরনের উত্তর আসতে পারে। না না, আগেই ক্রিপ্টোর কথা মাথায় আইনেন না।
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, বিদেশে তো আর টাকা চলে না। আপনি ফ্রান্সে টাকা (actually অর্থ) পাঠাতে চাইলে, সেটা প্রথমে ডলার এ কনভার্ট করা লাগবে। এরপর তা পাঠাতে হবে। পাঠানোর বিভিন্ন মাধ্যম আছে। যেমন পেপাল। এরপর ফ্রান্সের লোকটা ওই ডলার ইউরো তে কনভার্ট করবে। এরপর ও ওই টাকাটা চলবে। পেপাল ছাড়াও আরো কিছু আছে। যেমন পেজা, স্ক্রিল ইত্যাদি।
এবার আসি প্রসঙ্গের প্রশ্নে। ধরলাম আপনি জঙ্গি কোন গোষ্ঠীকে, কিংবা ইন্টারন্যাশনাল সাংশন প্রাপ্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কে অর্থ পাঠাতে চান। কিংবা আপনার অবৈধ আয় কে বিদেশে পাঠাতে চান, সেকেন্ড হোম বানানোর জন্যে কিংবা, সিটিজেনশিপ পাওয়ার জন্যে। কিংবা আপনি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বিদেশে টাকা পাঠাতে চান (বলে রাখি ট্যাক্স জিনিষটা হারাম। এটা ফাঁকি দিলে আপনার কোনো দোষ নাই। আরও বিস্তারিত জানতে আলেমদের সোহবতে যান)। সেক্ষেত্রে আপনি কিভাবে টাকা পাঠাবেন?
আলোচ্য জিনিসটাই এর উত্তর।
ক্রিপ্টোর মাধ্যমে। ক্রিপ্টো মুদ্রায় আপনি অর্থ ঠিকমতো পাঠালে, এর কোন ট্রেস থাকবে না (এইজন্যে কারিগরি নলেজ দরকার। স্বল্প জ্ঞান এ এসব কেও করতে যাইয়েন না। ধরা খাইলে আমার দোষ না)।
তো কেমনে কি পাঠাবেন?
দেশে পাঠাইতে গেলে বিকাশ লাগছে, বিদেশে পাঠাইতে গেলে পেপাল লাগছে। আর এক্সপ্লিসিট জায়গায় পাঠাইতে এরকম কিছু একটা লাগবে। কি সেটা?
ক্রিপ্টো ওয়ালেট। কিছু বিখ্যাত ক্রিপ্টো ওয়ালেট হলো বিনান্স, কয়েনবেজ, bitget ইত্যাদি। সহজেই একাউন্ট খুলা যায়। জাস্ট KYC verify করা লাগে; এটাই একটু পেরা। এটাতে আপনারা বিকাশের মাধ্যমেই টাকা ঢুকাতে পারবেন। খুব কম transaction fee দিয়ে টাকা পাঠাতেও পারবেন। উল্লেখ্য, এখান থেকে পরে আবার ক্রিপ্টো মুদ্রা কে বাংলা টাকা করতে চাইলে অনেক ঝামেলা হয়। অনেক এজেন্সি আছে, ফেসবুক বা whatsapp বেজড। তারা ক্রিপ্টো মুদ্রার বিনিময়ে আবার বাংলা টাকা দেয়। কিন্তু অনেক বেশি চার্জ/ফি কেটে রাখে।
এই সমস্যার একটা গোপন সমাধান আছে, আমি নিজেই ভেবে বের করছি । সেটাও ইলিগ্যাল। তাও বলি। ক্রিপ্টো মুদ্রা সহজেই 1xbet বা সম ধরনের জুয়ার সাইট এ ডিপোজিট করা যায়। আবার ওই টাকা সহজেই জুয়ার সাইট গুলা থেকে বিকাশে তুলে ফেলা যায়। খুবই কম চার্জ কাটে এতে করে।
এগুলা হলো জ্ঞান, জ্ঞান কিভাবে কাজে লাগাতে হয়, সেইটা হইলো হিকমাহ। এখন হেকমত না থাকলে এসব কাজ করে ধরা খাইয়া যাইতে পারেন। তাই প্রো লেভেল এর নলেজ না থাকলে বা কারিগরি ব্যাপারে দক্ষ না হলে এগুলা করতে জাইয়েন না।
এগুলা কেও করলে আমিও দায়ী না। শুধু জিনিষটা বুঝাইলাম। কাউকে কোনো খারাপ কাজে উৎসাহ ও দিচ্ছি না।
(To be continued with some interesting facts InshaAllah, stay tuned)
ফলো: @daruljalem
https://t.me/daruljalem