আমি ব্যক্তিগতভাবে ইশরাকের সাথে একমত। আমিও মনে করি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরে দুটো মেজর ধারা তৈরি হয়েছে। একটা হলো রিফর্মিস্ট মডারেট ধারা। যারা আধুনিক ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র ধরণের কিছু চায়। একইসাথে এরা কাওয়ালি করে, নারীদেরকে শিবিরে আনতে চায়। তারা চায় শিবির আরো "উদার" ও "আধুনিক" হয়ে উঠুক। যাদের কাছে পূজায় শ্লোকপাঠের চেয়ে আসিফ আদনানের নাশীদ গাওয়া বেশি বড় সমস্যা। সংগঠনের বক্তব্যে এদের কন্ঠস্বরই বেশি উঁচু।
.
আরেক অংশ আছে যারা আল্লাহর আইন চায়। মানুষ ফিতরাহগতভাবে দ্বীন বলতে যা বোঝে, তার জন্যই তারা শিবির করে। এরা সত্যিকার অর্থেই দ্বীন কায়েম করতে চায়। এরা মাওলানা মাওদূদী ও স।ইয়েদ কুতুবকে ধারণ করতে চায়। পূজায় শ্লোক পাঠের, গান করার মত কাজ তাদেরকে কষ্ট দেয়। সাংগঠনিক বক্তব্য-বিবৃতিতে এদের কণ্ঠ অতো উঁচু না হলেও এরা সংগঠনের একটা বড় অংশ ।
.
সত্য বলতে, ইশরাকের সাথে সুর মিলিয়ে বলবো, এটাই শিবিরের প্রধান ক্রাইসিস।
.
এটা আদর্শের দ্বন্দ্ব। যেকোনো সংগঠন কিছু মৌলিক মূলনীতি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের ব্যাপারে ঐক্যমতে আসতে হয়। নয় সে সংগঠন টিকে থাকা সম্ভব হয় না। শিবিরকে ঠিক করতে হবে তারা কোন পথে যাবে। তারা কি এরদোয়ান, রশীদ ঘানুসির পদাঙ্ক অনুসরণ করে দ্বীন ছেড়ে দেবে? নাকি স।ইয়েদ কুতুব, মাওলানা মাওদূদির বৈপ্লবিক পথ বেছে নেবে, বর্জন করবে সকল গাইরুল্লাহকে?
.
যতক্ষণ না এ প্রশ্নের সমাধান না হচ্ছে, ছাত্রশিবির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোতে পারবে না।
-ইরফান সাদিক