Latest Posts from Arif Azad (@me_arifazad) on Telegram

Arif Azad Telegram Posts

Arif Azad
Official Telegram channel of author Arif Azad

Follow Me On Other Social Platform:

Facebook Page: https://www.facebook.com/arifazad.bd
Youtube Channel: https://www.youtube.com/@ArifAzad/
Instagram: https://www.instagram.com/me.arifazad/
52,051 Subscribers
79 Photos
3 Videos
Last Updated 01.03.2025 02:00

The latest content shared by Arif Azad on Telegram


আমাদের স্বপ্নের সবটা জুড়েই থাকে আমাদের সন্তানেরা। তাদের হাঁটি হাঁটি, পা পা করে হাঁটতে শেখার সাথে সাথে, তাদের আধো আধো বোল আর হেসে কুটি কুটি হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে উঠে আমাদের স্বপ্নগুলোও।


বাবা-মা সন্তানকে ভালোবেসে সবচেয়ে ভালো যে উপহারটা দিতে পারে তা হলো—দ্বীনের বুনিয়াদি জ্ঞান শিক্ষা।

আর, এই বুনিয়াদি জ্ঞান লাভের সবচেয়ে উত্তম উৎস হলো ভালো বই।


আমার লেখা ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প’ ঠিক এরকমই একটা সিরিজ। ছোটরা এই সিরিজ থেকে ইসলামের বুনিয়াদি বিশ্বাস আর ইতিহাসের হাতেখড়ি পাবে।


আলহামদুলিল্লাহ, সিরিজটি দেশের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। সিরিজটির অর্ডার লিঙ্ক— https://sukunpublishing.com/step/pobitro-masjider-golpo/

আপনি যদি ৭৫ বছরের হায়াত পান, তাহলে সাকুল্যে আপনি বেঁচে থাকবেন— ৩৬০০ টি সপ্তাহ।

আবারও পড়ুন— ৩৬০০ টি সপ্তাহ!!


এখন ভাবুন তো, আমাদের প্রতিটা সপ্তাহ কতো অবলীলায়, অবহেলা আর অযত্নে কেটে যায়।

একটা সপ্তাহ পার হয় মানে, ৩৬০০ সপ্তাহ থেকে একটা সপ্তাহ বিয়োগ হয়।


আপনার বয়স যদি এখন ৩০ বছর হয়, আর যদি ধরে নিই যে আপনি ৭৫ বছরের হায়াত পাবেন, তাহলে দুনিয়ায় আপনি আর বেঁচে থাকবেন কেবল ২১৬০ সপ্তাহ।


গত জুমুয়াহ পড়েছি মনে হয় দুই দিনও পার হয়নি৷ অথচ আরেকটা জুমুয়াহ দরোজায় এসে উপস্থিত৷ কতো দ্রুত ফুরোচ্ছে হায়াতের দিন। এটাও কিয়ামতের আলামত, যে—শেষ সময়ে সময়গুলো দ্রুত ফুরোবে। চোখের পলকে।


গত এক সপ্তাহে আমাদের আমলের পাল্লায়, কাজের পাল্লায়, শেখার পাল্লায়, সম্পর্ক উন্নয়নের পাল্লায় কী কী যোগ হলো, নাকি আগেও যা ছিল তাতেই স্থির হয়ে আছি আমরা, চলুন ভাবতে বসি।

সিদ্ধান্তসমূহ নেওয়ার আগে কিংবা নেওয়ার পর আমরা যদি ইস্তিখারার সালাত পড়ে আল্লাহর কাছে এভাবে চাইতে পারি, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সিদ্ধান্তগুলোকে কল্যাণকর করে দেবেন। কোনো অকল্যাণ থাকলে তা দূর করে দেবেন। অথবা—সেই অকল্যাণের দ্বারা আমাদের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই তিনি আমাদের তা থেকে বাঁচিয়ে নেবেন।


ইউটিউবে পাবলিশ হওয়া ভিডিও - https://youtu.be/PqKm7VfyF_0

'গোটা সৃষ্টিজগতে এমন একটা বিন্দু, এমন একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা নেই যা তাঁর দৃষ্টির অন্তরালে। সাগরের বুকে তৈরি হওয়া একটা ছোট্ট ঢেউ, সেই ঢেউয়ের আরো ভিতরে তৈরি হওয়া কম্পন, সেই কম্পনে ছিঁটকে যাওয়া একবিন্দু জল— সেই ঘটনাচিত্রও আল্লাহর দৃষ্টির আড়াল হতে পারে না।

গভীর সাগরতলে যে ক্ষুদ্র নুড়িকণা, সেই নুড়িকণার নিচে তার চেয়েও ক্ষুদ্র যে প্রাণী, সেই প্রাণীর গায়ে থাকা তারচেয়েও ক্ষুদ্র বালিকণা— সেটাও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা দেখেন।

ঘন গহীন অরণ্য, যেখানে আজতক কোন মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি, গাছেদের ডালপালার ঘনত্বকে ফুঁড়ে যেখানে পৌঁছাতে পারে না সূর্যের প্রখর রশ্মি, প্রকাশ্য দিবালোকেও অন্ধকারে ডুবে থাকা সেই জঙ্গলের একেবারে অবহেলিত কোণে বেড়ে উঠা একটা ছোট্ট আগাছা, যার ডগায় আজ নতুন একটা কুঁড়ি বের হয়েছে, যে কুঁড়ির সন্ধান হয়তো কোনোদিন কোন মৌমাছি পাবে না, যে কুড়ি থেকে প্রস্ফুটিত ফুলে কোনোদিন বসবে না কোন প্রজাপতি— সেই অজানা, অবহেলিত ফুলও আল্লাহর দৃষ্টির অন্তরালে নেই।


—‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বই থেকে।

আলহামদুলিল্লাহ! একটি সুখবর!

অবশেষে ছোটদের জন্য আমার লেখা ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প’ সিরিজটি পাঠকের হাতে পৌঁছাতে প্রস্তুত, আলহামদুলিল্লাহ।

ইসলামের ইতিহাসে তিনটি মাসজিদ অত্যন্ত পবিত্র, গুরুত্বপূর্ণ এবং মহিমান্বিত। মাসজিদ তিনটি হলো—বাইতুল্লাহ, আল মাসজিদ আল আকসা এবং মাসজিদ আন নববী। শুধু ইতিহাসের অংশই নয়, এই তিন মাসজিদ আমাদের ঈমানেরও অংশ।

এই তিন মাসজিদকে ঘিরে আবর্তিত এবং বিবর্তিত হয়েছে আমাদের ইতিহাস। ইতিহাস এবং ঈমানের অংশ হয়ে থাকা এই তিন পবিত্র স্থাপনার সাথে ছোটদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটা অভিপ্রায় থেকেই তৈরি করা হয়েছে ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প’ সিরিজটি।

এই সিরিজে আছে তিনটি বই:
০১. বাইতুল্লাহর গল্প
০২. মাসজিদ আল আকসার গল্প
০৩. মাসজিদ আন নববীর গল্প

মনোমুগ্ধকর গল্প ভাষ্যে লেখা এবং মনকাড়া সব ছবির সমন্বয়ে তৈরি এই সিরিজটি ছোটদেরকে দারুনভাবে আন্দোলিত করবে বলেই বিশ্বাস করি, ইন শা আল্লাহ

সিরিজটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এবং প্রি-অর্ডার করতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে-


https://sukunpublishing.com/step/pobitro-masjider-golpo/

গতকাল চিঠি দিবস ছিলো।

আমার একজন পাঠক আমাকে একটা চিঠি লিখেছেন৷ সেই চিঠির একটা জায়গায় তিনি লিখেন:


অনেকদিন হলো সাজিদকে খুব Miss করছি। তার নড়েচড়ে বসা, হালকা কেশে কথা শুরু করা—এসব অনেকদিন পড়ি না। অনেক হয়েছে, এবার পরের পর্বটা আনা যায়।


পাঠকের এই ভালোবাসা আমার এক জীবনের পরম প্রাপ্তি 💚

অনেক সময় পরিস্থিতি এত বিরূপ আর বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকে যে—এতটুকু আলাপচারিতা চালিয়ে যাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়ে। কথা বলে যদি সান্ত্বনা না দেওয়া যায়, একটা কাজ কিন্তু আমরা তাদের জন্য ঠিক ঠিক করতে পারি। সেটা হলো দুআ। আমাদের একান্ত, নিভৃতের দুআগুলোতে আমরা স্মরণ করতে পারি তাদেরকে। আমরা আল্লাহকে বলতে পারি, ‘ইয়া রব, হয়তো-বা তার মন ভালো নেই, আপনি তার অশান্ত মনকে শান্ত করে দিন। পরিস্থিতিকে তার অনুকূলে এনে দিন।’

ইউটিউবে পাবলিশ হওয়া ভিডিও - https://youtu.be/9YE2f0rEXns

আমার যা কিছু যোগ্যতা, সব আল্লাহর পক্ষ থেকেই। ওয়ামা তাওফিক্বী ইল্লাবিল্লাহ।

‘হঠাৎকরে আপনার সন্তানের আচরণের পরিবর্তন ঘটছে কি না, নজর রাখুন। যেমন সে হঠাৎ করে আগের বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে মিশছে না, খানিকটা একা হয়ে গেছে—নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হয়েছে, কথাবার্তা কম বলছে, স্বভাবটি চাপা হয়ে গেছে, পুরোনো বইপত্র, গানের সরঞ্জাম ফেলে দিয়ে নতুন নতুন বইপত্র পড়া শুরু করেছে ইত্যাদি।


নিজস্বসংস্কৃতির চর্চায় শিশুকে উৎসাহিত করুন। নববর্ষ, জাতীয় দিবস ইত্যাদিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। তার নাট্যচর্চা, নাচ, গানকে উৎসাহিত করুন। বাংলা গান, কবিতাকে ব্যঙ্গ করবেন না—ধর্মের নামে এই দেশীয় সংস্কৃতির চর্চাকে বাধা দেবেন না।

‘আমার সন্তান নেশা করে না, প্রেম করে না—কেবল একটু বেশি বেশি ধর্মচর্চা করে’ এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পাবেন না। মাদকের নেশা ছাড়াও তার মধ্যে জঙ্গিবাদের নেশা থাকতে পারে। বিষয়টি মাথায় রাখুন।’


উপরের অংশটুকু নেওয়া হয়েছে প্রথম আলোর ‘আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো?’ নামের একটা আর্টিকেল থেকে। আর্টিকেলটা প্রকাশ হয় ২০ জুলাই, ২০১৬ সালে।

মুসলমানের ছেলেপেলেদের ধর্মচর্চা, ধর্মের প্রতি নিবিষ্টতাকে জঙ্গিপনা হিশেবে যারা বয়ান তৈরি করেছে, প্রথম আলো সেই তালিকার সম্মুখ সারির পত্রিকা। তাদের সেই বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই  দাড়িওয়ালা নামাযি ছেলেদের জীবনকে বিষিয়ে তোলা হয়েছিল এতোগুলো বছর৷ ক্যাম্পাসে, স্কুলে আর কলেজে দাড়ি রাখার কারণে যে সকল ছেলেদের জেল, মামলা, হত্যা, খুন আর গুম হতে হয়েছে, তার দায় আওয়ামিলীগের যতোটুকু, ঠিক ততোটুকু প্রথম আলোরও।

জীবনের দুঃখ আর যন্ত্রণার দিনগুলোতে আমরা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো হাপিত্যেশ করব না। আল্লাহর ব্যাপারে সামান্যতম সন্দেহ আর অবিশ্বাসকে জায়গা দেবো না অন্তরে। আমাদের বিশ্বাস হবে নবি আইয়্যুব আলাইহিস সালামের মতো, মরণব্যাধিতে জীবন বিপন্ন হওয়ার মুখেও যিনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার ওপর থেকে একটা মুহূর্তের জন্যও ভরসা হারাননি। অন্তরের সবটুকু বিশ্বাস আর ভালোবাসা থেকে যিনি বলেছিলেন—‘(রব আমার,) দুঃখ-কষ্ট আমাকে স্পর্শ করেছে। আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

ইউটিউবে পাবলিশ হওয়া ভিডিও - https://youtu.be/fvKXoIPKO5A