‘হঠাৎকরে আপনার সন্তানের আচরণের পরিবর্তন ঘটছে কি না, নজর রাখুন। যেমন সে হঠাৎ করে আগের বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে মিশছে না, খানিকটা একা হয়ে গেছে—নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হয়েছে, কথাবার্তা কম বলছে, স্বভাবটি চাপা হয়ে গেছে, পুরোনো বইপত্র, গানের সরঞ্জাম ফেলে দিয়ে নতুন নতুন বইপত্র পড়া শুরু করেছে ইত্যাদি।
নিজস্বসংস্কৃতির চর্চায় শিশুকে উৎসাহিত করুন। নববর্ষ, জাতীয় দিবস ইত্যাদিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। তার নাট্যচর্চা, নাচ, গানকে উৎসাহিত করুন। বাংলা গান, কবিতাকে ব্যঙ্গ করবেন না—ধর্মের নামে এই দেশীয় সংস্কৃতির চর্চাকে বাধা দেবেন না।
‘আমার সন্তান নেশা করে না, প্রেম করে না—কেবল একটু বেশি বেশি ধর্মচর্চা করে’ এই ভেবে আত্মতৃপ্তি পাবেন না। মাদকের নেশা ছাড়াও তার মধ্যে জঙ্গিবাদের নেশা থাকতে পারে। বিষয়টি মাথায় রাখুন।’
উপরের অংশটুকু নেওয়া হয়েছে প্রথম আলোর ‘আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো?’ নামের একটা আর্টিকেল থেকে। আর্টিকেলটা প্রকাশ হয় ২০ জুলাই, ২০১৬ সালে।
মুসলমানের ছেলেপেলেদের ধর্মচর্চা, ধর্মের প্রতি নিবিষ্টতাকে জঙ্গিপনা হিশেবে যারা বয়ান তৈরি করেছে, প্রথম আলো সেই তালিকার সম্মুখ সারির পত্রিকা। তাদের সেই বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই দাড়িওয়ালা নামাযি ছেলেদের জীবনকে বিষিয়ে তোলা হয়েছিল এতোগুলো বছর৷ ক্যাম্পাসে, স্কুলে আর কলেজে দাড়ি রাখার কারণে যে সকল ছেলেদের জেল, মামলা, হত্যা, খুন আর গুম হতে হয়েছে, তার দায় আওয়ামিলীগের যতোটুকু, ঠিক ততোটুকু প্রথম আলোরও।