Admission Informer Telegram Posts

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট পাবে এই চ্যানেলের মাধ্যমে
10,119 Subscribers
3,398 Photos
9 Videos
Last Updated 09.03.2025 02:36
Similar Channels

12,256 Subscribers

11,470 Subscribers

2,442 Subscribers
The latest content shared by Admission Informer on Telegram
২০২৩-২০২৪ সেশনে GST গুচ্ছের যে সকল শিক্ষার্থী PSTU তে চূড়ান্ত ভর্তির পরে GST Migration এ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাদেরকে আগামী ০৯-০৩-২০২৪ এর মধ্যে ভর্তির অবশিষ্ট ফেরতযোগ্য টাকা গ্রহণ করতে https://admission.pstu.ac.bd/RefundPayment লিংক এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য আপডেট নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
সফলতা হোক বা ব্যর্থতা, স্বীকার করতে হবে তিক্ত সত্য; মেনে নিতে হবে বাস্তবতা আর এগুতে হবে সম্মুখসমরে দৃপ্তপথে, বুকে সাহস নিয়ে
কৃষি শিক্ষা আর কৃষি বিজ্ঞান দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে; কৃষিশিক্ষা একটা বিষয় যা উচ্চ মাধ্যমিক লেভেল পর্যন্ত পড়ানো হয় আর এটা এক ধরণের কারিগরি শিক্ষা কিন্তু কৃষি বিজ্ঞান ভিন্ন; এখানে পদার্থ, রসায়ন,গণিত, জীববিজ্ঞান,পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, সামাজিক বিজ্ঞান সব কিছুরই মিশ্রণ রয়েছে এবং সব ধরণের বিষয়ই পড়তে হয় পুরো স্নাতক পর্যায়ে।
⛔ সচেতনতামূলক পোস্ট ⛔
অনেকের কাছে এমন মেসেজ আসতেছে। প্রতারণা থেকে সাবধান🚨
অনেকের কাছে এমন মেসেজ আসতেছে। প্রতারণা থেকে সাবধান🚨
রমজান ও ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তায় ‘অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স’ নিয়োগ দিয়েছে ডিএমপি। ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা এই ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলে নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা অক্সিলিয়ারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতাও থাকবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একবার এক ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম "এত ভালো ভার্সিটিতে পড়ো! বাবা মা খুশি! এর পর ও এত ডিপ্রেশনে কেমনে থাকো! "!!
Then He Replied "আর একটা বছর! তখন তোমাকে আমি বলবো " welcome to university Life"!
.
ফ্রাস্ট্রেশন -ডিপ্রেশন ওয়ার্ড দুইটা আমার ডিকশনারিতে ছিলোনা বললেই চলে!
.
শুধু প্রেমে ছ্যাকা খাইলেই ডিপ্রেশন আসেনা। সেপারেশন আসলেই ফ্রাস্টেশন আসেনা!
.
ফ্রাস্ট্রেশন তখন আসে যখন তুমি তোমার আশেপাশের টুফেসড মানুষ দের চিনবা!যে তোমাকে সবচেয়ে ভালো বন্ধু বানাবে, মুখে বলা বোন বানাবে, তোমাকে ফিল করাবে তোমাকে পেয়ে সে বা তারা ধন্য! তারপর তোমার সবকিছু জেনে তোমাকে ব্যাকবাইট করবে! তোমার প্রতি জেলাসি নিয়ে তোমার সবকিছু কেড়ে নিবে! তখন তোমার মনে হবে একটু বন্ধুত্ব ছাড়া তো কিছু চাইনি! এতকিছু পেলাম কেন তাহ্লে! তখন তোমার ফ্রাস্ট্রেশন আসবে।
.
যখন তোমার আশেপাশের মানুষের কাছে স্বার্থপরতা আর জেলাসি ছাড়া আর কিছুই দেখবানা তখন তোমার ফিল হবে ব্যাপারটা এমন হলো কেনো! ব্যাপারটা সুন্দর হলেও তো পারতো।তখন তুমি ডিপ্রেশনে ভুগবা।
.
ছোটবেলা থেকে স্কুল কলেজ লাইফে এই জিনিস্টাই আমরা সবচেয়ে কম পাই। স্বার্থপরতা জিনিস টা। ফ্রেন্ডশিপ গুলো অনেক নিষ্পাপ হয়! স্বার্থহীন হয়!
কিন্তু আমার ভাগ্য এতোটাই মারা খাওয়া যে এই স্কুল লাইফ টাও ৫-৬ টা স্কুলে ভাগ হয়ে যাওয়ায় খন্ডবিখন্ড মেমোরিজ নিয়ে আছি।
.
আমি মানুষ চিনি খুব দেরীতে! কিন্তু এখন চিনি! প্রতিনিয়ত কাউকে না কাউকে চিনতেছি। বড় হচ্ছি ধীরে ধীরে!
.
আমি যখন ছোট ছিলাম ভাবতাম বড় হবো কবে! বড় হওয়ার তীব্র ইচ্ছায় ছোটবেলা টা পার করেছি। এখন নিজের উপর রাগ হয়! কেনো বড় হতে চেয়েছিলাম!
.
আমাকে কিছুদিন আগে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড কয়জন! অদ্ভুতভাবে বিনা দ্বিধায় উত্তর দিয়েছিলাম "একজন ও নাহহ"!
.
আসলেই একসাথে চিল করলে বন্ধু হওয়া যায়না! সেল্ফি তুলে চেকইন দিলেই ক্লোজ হওয়া যায়না। অনেক অনেক ট্যুর আর হ্যাংগাউট এরেঞ্জ করলেই বেস্টবাডিজ হওয়া যায়না!
.
তুমি যখন একজনের ঘাড়ে নিজের চোখের পানি ফেলে কমফোর্ট খুজতে যাবা আর পরক্ষণেই বুঝবা তার কাছে তোমার চোখের পানির বিন্দুমাত্র দাম নাই।সবকিছুই "শো অফ" তখন মনে হবে "বন্ধুবান্ধবী" শব্দগুলা শুধুই হাইলেভেলের একটা ব্যাডবাজ।ভার্সিটির ক্ষেত্রে এটা একটু বেশিই হাইলেভেলের।
.
তারপরও একটা কথা আছেনা? দেয়ার উইল বি এ হোপ অলওয়েজ?
.
সেই হোপ টা হলো ফ্যামিলি আর দূর্ভাগ্যক্রমে পাওয়া হাতে গোণা দু একজন কাছের মানুষ!💜
.
লিখা: Moosarrat Haque Labiba
Then He Replied "আর একটা বছর! তখন তোমাকে আমি বলবো " welcome to university Life"!
.
ফ্রাস্ট্রেশন -ডিপ্রেশন ওয়ার্ড দুইটা আমার ডিকশনারিতে ছিলোনা বললেই চলে!
.
শুধু প্রেমে ছ্যাকা খাইলেই ডিপ্রেশন আসেনা। সেপারেশন আসলেই ফ্রাস্টেশন আসেনা!
.
ফ্রাস্ট্রেশন তখন আসে যখন তুমি তোমার আশেপাশের টুফেসড মানুষ দের চিনবা!যে তোমাকে সবচেয়ে ভালো বন্ধু বানাবে, মুখে বলা বোন বানাবে, তোমাকে ফিল করাবে তোমাকে পেয়ে সে বা তারা ধন্য! তারপর তোমার সবকিছু জেনে তোমাকে ব্যাকবাইট করবে! তোমার প্রতি জেলাসি নিয়ে তোমার সবকিছু কেড়ে নিবে! তখন তোমার মনে হবে একটু বন্ধুত্ব ছাড়া তো কিছু চাইনি! এতকিছু পেলাম কেন তাহ্লে! তখন তোমার ফ্রাস্ট্রেশন আসবে।
.
যখন তোমার আশেপাশের মানুষের কাছে স্বার্থপরতা আর জেলাসি ছাড়া আর কিছুই দেখবানা তখন তোমার ফিল হবে ব্যাপারটা এমন হলো কেনো! ব্যাপারটা সুন্দর হলেও তো পারতো।তখন তুমি ডিপ্রেশনে ভুগবা।
.
ছোটবেলা থেকে স্কুল কলেজ লাইফে এই জিনিস্টাই আমরা সবচেয়ে কম পাই। স্বার্থপরতা জিনিস টা। ফ্রেন্ডশিপ গুলো অনেক নিষ্পাপ হয়! স্বার্থহীন হয়!
কিন্তু আমার ভাগ্য এতোটাই মারা খাওয়া যে এই স্কুল লাইফ টাও ৫-৬ টা স্কুলে ভাগ হয়ে যাওয়ায় খন্ডবিখন্ড মেমোরিজ নিয়ে আছি।
.
আমি মানুষ চিনি খুব দেরীতে! কিন্তু এখন চিনি! প্রতিনিয়ত কাউকে না কাউকে চিনতেছি। বড় হচ্ছি ধীরে ধীরে!
.
আমি যখন ছোট ছিলাম ভাবতাম বড় হবো কবে! বড় হওয়ার তীব্র ইচ্ছায় ছোটবেলা টা পার করেছি। এখন নিজের উপর রাগ হয়! কেনো বড় হতে চেয়েছিলাম!
.
আমাকে কিছুদিন আগে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড কয়জন! অদ্ভুতভাবে বিনা দ্বিধায় উত্তর দিয়েছিলাম "একজন ও নাহহ"!
.
আসলেই একসাথে চিল করলে বন্ধু হওয়া যায়না! সেল্ফি তুলে চেকইন দিলেই ক্লোজ হওয়া যায়না। অনেক অনেক ট্যুর আর হ্যাংগাউট এরেঞ্জ করলেই বেস্টবাডিজ হওয়া যায়না!
.
তুমি যখন একজনের ঘাড়ে নিজের চোখের পানি ফেলে কমফোর্ট খুজতে যাবা আর পরক্ষণেই বুঝবা তার কাছে তোমার চোখের পানির বিন্দুমাত্র দাম নাই।সবকিছুই "শো অফ" তখন মনে হবে "বন্ধুবান্ধবী" শব্দগুলা শুধুই হাইলেভেলের একটা ব্যাডবাজ।ভার্সিটির ক্ষেত্রে এটা একটু বেশিই হাইলেভেলের।
.
তারপরও একটা কথা আছেনা? দেয়ার উইল বি এ হোপ অলওয়েজ?
.
সেই হোপ টা হলো ফ্যামিলি আর দূর্ভাগ্যক্রমে পাওয়া হাতে গোণা দু একজন কাছের মানুষ!💜
.
লিখা: Moosarrat Haque Labiba
বন্ধুকে শীট না দিয়ে সদ্য পরিচিত বান্ধবীকে নোটসহ পরীক্ষায় খাতা খুলে দেখানো সব ছেলেদের প্রতি রইল নারী দিবসের শুভেচ্ছা 🥱
পুরুষ মানুষের মন খারাপের অনেক কারণ থাকে। টাকা পয়সা তার একটি। এই জিনিষ টা ছাড়া পুরুষ হয়ে যায় হাফ লেডিস।
..
ইন্টার্নীতে থাকার সময় যশোর থেকে এক টি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাত্রীর ধনী বাবা আমাদের বাড়ী দেখতে এসে বাড়ির পথ থেকে পালিয়েছিল, ভিতরে আর আসে নি। এই বয়সে বিয়ের কোন আগ্রহ ছিল না আমার, সেটা চাইও নি, পাত্রীকেও চিনি না। তবুও একটা অদ্ভুত কষ্ট হয়েছিল সেদিন। কষ্টটা আমার জন্য নয়। আমাদের গোলপাতার বাড়িটার জন্য।
....
এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল সেদিন। চেহারা শুকিয়ে গেছে, চোখ কোটরে ঢুকেছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল, কোর্ট ম্যারেজ। পরিবার মেনেও নিয়েছিল। নবম মাসের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স হয়েছে উনি নিজেও জানতেন না। খবর টা শুনেছে অন্যের কাছে। একটা বিশাল অপরাধ করেছিলেন উনি::: জুলাইতে এফসিপিএস চান্স হয় নাই, 35 তম বিসিএস প্রিলি হয় নাই।
35 তম বিসিএস রিটেন দেওয়া রংপুর মেডিকেলের এক ছেলের সাথে নতুন করে শুরু করেছে মেয়েটা।
কারো চাই টাকা, আর কারো চাই স্ট্যাটাস। ভালবাসা এখানে সান্তনা ।
ভাইটাও এখন সান্তনা পায়। মেয়েটির উপর তার কোন অভিযোগ নেই। " ও ভেবেছিল আমি ভাল মেডিকেলে পড়ি, অনেক ব্রিলিয়ান্ট কেউ। আমি যে গড় পড়তামানের স্টুডেন্ট পরে বুঝেছে । বোঝার পর চলে গেছে। ওর কোন দোষ নেই।" এভাবেই বলেছিলেন উনি।
.....
আপনি পুরুষ মানুষ হয়েছেন, আর আপনার বিসিএস নাই, এফসিপিএস নাই আবার টাকাও নাই। ভুলেও নিজেকে পুরুষ ভাববেন না। যেদিন বউ চলে যাবে সেদিন ই বুঝবেন নিজেকে ভুল জেনেছেন। 'ভালবাসার সাথে টাকার সম্পর্ক নেই' এই কথা যে বলে তার দুই গালে কষে থাপ্পড় দিন। নিকৃষ্টতম মিথ্যাটি সে আপনাকে বলেছে।
....
টাকা সবারই লাগে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি থাকে পুরুষের পকেটে। এর ওজন ও ব্যাথা প্রতিটা পুরুষকে বইতে হয়। টাকা না থাকলে কোন মেয়ে অমানুষ হয়ে যায় না, কিন্তু একটি পুরুষ মহিলা হয়ে যায়।
টাকা আসে, আবার চলে যায়। মাঝ থেকে ভালবাসাটা নিয়ে গেলে আর কষ্টের সীমা থাকে না।
..
যতবার বিয়ের কথা উঠেছে, ততবার ই আমি ভয় পেয়েছি। টাকা আমাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তাই বিয়ে - ভালবাসার কথা শুনলে ভয় পাই। ফার্স্ট ইয়ারে কেরানীগঞ্জ এর ওপারে যখন দেড় হাজার টাকার টিউশুনি করতাম, নদী পার হওয়ার ছয় টাকা আমার থাকত না। আধা কিলোমিটার হেটে ব্রিজ পার হতাম। আর আজ হাজার হাজার টাকা আয় করেও দেখি ঈদে বাড়ি যাওয়ার টাকা থাকে না। জীবন আসলে একই থাকে, শুধু সময় আর চক্র টা বদলায়।
...
একজন বিখ্যাত প্রফেসরের সাথে কথা বলতেছিলাম। উনি যখন ইন্টার্নীতে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তখন দুই হাজার টাকা ঘাটতি থাকত। এখন বিশ লাখ টাকা আয় করেও দুই লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। কাকে কি বলব??
...
সতের শ টাকায় যখন মাস চলত। তখনও পকেটে একটা টি শার্ট কেনার মত টাকা থাকত না। আর আজ নিজের খরচই হয় ষোল হাজার টাকা। আজও টি শার্ট কেনার টাকা নাই।
...
আমি এই হিসেব বুঝি না।এই হিসাব বোঝা দুঃসাধ্য....
©আবদুর রব
..
ইন্টার্নীতে থাকার সময় যশোর থেকে এক টি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাত্রীর ধনী বাবা আমাদের বাড়ী দেখতে এসে বাড়ির পথ থেকে পালিয়েছিল, ভিতরে আর আসে নি। এই বয়সে বিয়ের কোন আগ্রহ ছিল না আমার, সেটা চাইও নি, পাত্রীকেও চিনি না। তবুও একটা অদ্ভুত কষ্ট হয়েছিল সেদিন। কষ্টটা আমার জন্য নয়। আমাদের গোলপাতার বাড়িটার জন্য।
....
এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল সেদিন। চেহারা শুকিয়ে গেছে, চোখ কোটরে ঢুকেছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল, কোর্ট ম্যারেজ। পরিবার মেনেও নিয়েছিল। নবম মাসের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স হয়েছে উনি নিজেও জানতেন না। খবর টা শুনেছে অন্যের কাছে। একটা বিশাল অপরাধ করেছিলেন উনি::: জুলাইতে এফসিপিএস চান্স হয় নাই, 35 তম বিসিএস প্রিলি হয় নাই।
35 তম বিসিএস রিটেন দেওয়া রংপুর মেডিকেলের এক ছেলের সাথে নতুন করে শুরু করেছে মেয়েটা।
কারো চাই টাকা, আর কারো চাই স্ট্যাটাস। ভালবাসা এখানে সান্তনা ।
ভাইটাও এখন সান্তনা পায়। মেয়েটির উপর তার কোন অভিযোগ নেই। " ও ভেবেছিল আমি ভাল মেডিকেলে পড়ি, অনেক ব্রিলিয়ান্ট কেউ। আমি যে গড় পড়তামানের স্টুডেন্ট পরে বুঝেছে । বোঝার পর চলে গেছে। ওর কোন দোষ নেই।" এভাবেই বলেছিলেন উনি।
.....
আপনি পুরুষ মানুষ হয়েছেন, আর আপনার বিসিএস নাই, এফসিপিএস নাই আবার টাকাও নাই। ভুলেও নিজেকে পুরুষ ভাববেন না। যেদিন বউ চলে যাবে সেদিন ই বুঝবেন নিজেকে ভুল জেনেছেন। 'ভালবাসার সাথে টাকার সম্পর্ক নেই' এই কথা যে বলে তার দুই গালে কষে থাপ্পড় দিন। নিকৃষ্টতম মিথ্যাটি সে আপনাকে বলেছে।
....
টাকা সবারই লাগে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি থাকে পুরুষের পকেটে। এর ওজন ও ব্যাথা প্রতিটা পুরুষকে বইতে হয়। টাকা না থাকলে কোন মেয়ে অমানুষ হয়ে যায় না, কিন্তু একটি পুরুষ মহিলা হয়ে যায়।
টাকা আসে, আবার চলে যায়। মাঝ থেকে ভালবাসাটা নিয়ে গেলে আর কষ্টের সীমা থাকে না।
..
যতবার বিয়ের কথা উঠেছে, ততবার ই আমি ভয় পেয়েছি। টাকা আমাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তাই বিয়ে - ভালবাসার কথা শুনলে ভয় পাই। ফার্স্ট ইয়ারে কেরানীগঞ্জ এর ওপারে যখন দেড় হাজার টাকার টিউশুনি করতাম, নদী পার হওয়ার ছয় টাকা আমার থাকত না। আধা কিলোমিটার হেটে ব্রিজ পার হতাম। আর আজ হাজার হাজার টাকা আয় করেও দেখি ঈদে বাড়ি যাওয়ার টাকা থাকে না। জীবন আসলে একই থাকে, শুধু সময় আর চক্র টা বদলায়।
...
একজন বিখ্যাত প্রফেসরের সাথে কথা বলতেছিলাম। উনি যখন ইন্টার্নীতে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তখন দুই হাজার টাকা ঘাটতি থাকত। এখন বিশ লাখ টাকা আয় করেও দুই লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। কাকে কি বলব??
...
সতের শ টাকায় যখন মাস চলত। তখনও পকেটে একটা টি শার্ট কেনার মত টাকা থাকত না। আর আজ নিজের খরচই হয় ষোল হাজার টাকা। আজও টি শার্ট কেনার টাকা নাই।
...
আমি এই হিসেব বুঝি না।এই হিসাব বোঝা দুঃসাধ্য....
©আবদুর রব