সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

@tanveerislam10june2020


একজন মুসলমানের জন্য বিবাহ করা হচ্ছে অর্ধেক দ্বীনের সমান।সমাজে বিবাহ যত কঠিন হবে জেনা-ব্যভিচার তত বেড়ে যাবে ।
তাই আসুন আমরা বিবাহের মাসায়েল জানি ও বিবাহকে সহজ করি এবংঅন্যকে বিবাহ করতে উৎসাহিত করি।
বিবাহ একটি ইবাদাত যদি তা কোরআন সুন্নাত অনুযায়ী করা হয় ।

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

12 Oct, 02:12


এক বোনের কথা শুনলাম, বিয়ের পর যখন তিনি হিজাব পরার স্বাধীনতা পেলেন, খুশিতে বলে উঠেছিলেন, আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। সারাজীবন শুকরিয়া আদায় করলেও এর কৃতজ্ঞতা আদায় হবে না।
.
আরেক ভাই থুঁতনির নিচে উঠা সামান্য কয়টি দাড়ি নিয়ে গর্ব করতেন। বলতেন, কবরে যাওয়ার পর আল্লাহর কাছে বলবো, রাসুলের একটি সুন্নাহ সাথে করে নিয়ে এসেছি। এই উসিলায় আমাকে ক্ষমা করে দিন, ইয়া আল্লাহ।
.
এক বন্ধুর গায়ের রঙ ছিল কুচকুচে কালো। তার মনে হতো, রাসুলের প্রিয় সাহাবী বিলাল (রাঃ) এর গায়ের রঙ তো কালো ছিল। নাক বোঁচা, অসুন্দর। আর কোন দিক দিয়ে মিল না থাক, তাঁর সাথে গায়ের রঙে তো মিল আছে।
.
অদ্ভুত না! কারো কাছে হলিউড বলিউডের নায়ক নায়িকারা, কারো কাছে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা অনুকরণীয়। আর কারো স্টার চৌদ্দশ বছর আগের মানুষেরা। আবু বকর, উমর কিংবা ফাতিমা বা 'আইশাহ (রদিআল্লাহু আনহুম আজমাঈন)।
.
যে দাড়ি কারো কাছে খ্যাঁত, সেই দাড়িই কারো কাছে সবচেয়ে প্রিয়। যে পর্দা কারো কাছে প্রগতির অন্তরায়, সেই পর্দাই কারো ভালোলাগা, ভালোবাসা। গায়ের রঙে মিল থাকাও তাদের কাছে গর্ব, কপালে দাগ পড়ে যাওয়াও তাদের কাছে সৌভাগ্য।

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

30 Sep, 05:47


*স্বামী-স্ত্রী : একজনের প্রতি অন্যজনের হকসমূহ:-*

বিবাহের মাধ্যমে যে দাম্পত্য সম্পর্কের সূচনা হয় তা অটুট থাকা এবং আজীবন স্থায়ীত্ব লাভ করা ইসলামে কাম্য। কিন্তু আমাদের দেশে বিবাহবিচ্ছেদ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পিছনে মৌলিক যে কারণগুলো থাকে সেগুলো হল- স্বামী-স্ত্রী একে অপরের হক সম্পর্কে অসচেতন ও তা যথাযথ আদায় না করা। একজন অন্যজনকে গুরুত্ব না দেওয়া। কথায়-কাজে অযথা দ্বিমত পোষণ করা। একে অন্যের প্রতি আস্থা না রাখা, বিশ্বাস না করা।

▪️স্বামী-স্ত্রীর কিছু শরয়ী হক নিচে তুলে ধরা হলো:-

▪️স্বামীর ওপর স্ত্রীর হকসমূহ :

১.স্ত্রীর সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করা।
২.স্ত্রীর কোনো কথায় বা কাজে কষ্ট পেলে ধৈর্য ধারণ করা।
৩.উচ্ছৃঙ্খল,বেপর্দা চলাফেরা করতে থাকলে নম্র ভাষায় তাকে বোঝানো।
৪.সামান্য বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ না করা। কথায় কথায় ধমক না দেওয়া। রাগ না করা।
৫.স্ত্রীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন বিষয়ে সংযত থাকা। শুধু শুধু স্ত্রীর প্রতি কুধারণা না করা। স্ত্রীর সম্পর্কে উদাসীন না থাকা।
৬.সামর্থ্যানুযায়ী স্ত্রীর খোরপোষ দেওয়া। অপচয় না করা।
৭.নামায পড়া এবং দ্বীনের আহকাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ দিতে থাকা। হায়েয-নেফাসের মাসআলাগুলো ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়া। শরীয়ত পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা।
৮.একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করা।
৯.চাহিদানুযায়ী তাদের সাথে মেলামেশা করা
১০.অনুমতি ব্যতীত আযল অর্থাৎ মেলামেশার সময় শেষ মুহূর্তে স্বাভাবিক স্থান ত্যাগ না করা
১১.একান্ত নিরুপায় না হলে তালাক না দেওয়া এবং প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শরীয়ত-গৃহীত পন্থায় তালাক দেওয়া।
১২.প্রয়োজন মাফিক থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
১৩.মাঝে মাঝে স্ত্রীর নিকটাত্মীয়দের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ করে দেওয়া।
১৪.স্ত্রীর সাথে মেলামেশার চিত্র অন্যের কাছে বর্ণনা না করা।
১৫.প্রয়োজনে স্ত্রীকে শাসন করা। সতর্ক করা। শরীয়ত যতটুকু অনুমতি দিয়েছে তার চেয়ে বেশি হাত না তোলা।

▪️স্ত্রীর ওপর স্বামীর হকসমূহ :

১.সর্বদা স্বামীর মন জয় করার চেষ্টা করা।
২.স্বামীর সাথে অসংযত আচরণ না করা। স্বামীকে কষ্ট না দেওয়া।
৩.শরীয়তসম্মত প্রত্যেক কাজে স্বামীর আনুগত্য করা। গুনাহ এবং শরীয়তবিরোধী কাজে অপারগতা তুলে ধরা এবং স্বামীকে নরম ভাষায় বোঝানো।
৪.প্রয়োজনাতিরিক্ত ভরণ-পোষণ দাবি না করা।
৫.পরপুরুষের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখা
৬.স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাউকে ঘরে ঢোকার অনুমিত না দেওয়া।
৭.অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া।
৮.স্বামীর সম্পদ হেফাযত করা। অনুমতি ছাড়া সেখান থেকে কাউকে কোনো কিছু না দেওয়া।
৯.স্বামীকে অসন্তুষ্ট করে অতিরিক্ত নফল নামাজে মশগুল না থাকা। অতিরিক্ত নফল রোজা না রাখা।
১০.স্বামী মেলামেশার জন্য আহ্বান করলে শরীয়তসম্মত কোনো ওযর না থাকলে আপত্তি না করা।
১১.স্বামীর আমানত হিসেবে নিজের ইজ্জত-আব্রু হেফাযত করা। কোনো ধরনের খেয়ানত না করা
১২.স্বামী দরিদ্র কিংবা অসুন্দর হওয়ার কারণে তাকে তুচ্ছ না করা।
১৩.স্বামীকে কোনো গুনাহের কাজ করতে দেখলে আদবের সাথে তাকে বিরত রাখা।
১৪.স্বামীর নাম ধরে না ডাকা।
১৫.কারো কাছে স্বামীর বদনাম, দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা
১৬.শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মানের পাত্র মনে করা। তাদেরকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করা। ঝগড়া-বিবাদ কিংবা অন্য কোনো উপায়ে তাদের মনে কষ্ট না দেওয়া
১৭.সন্তানদের লালন-পালনে অবহেলা না করা।
(মাওলানা হাসীবুর রহমান )

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

17 Sep, 08:22


*_কথা বলার আদব:-_*


১.কম কথা বলা উত্তম।সত্য বলা ওয়াজিব, মিথ্যা বলা
হারাম।

২.সাধারণভাবে আস্তে কথা বলাই উত্তম। তবে বড়
মজলিসের প্রয়োজন অনুপাতে জোরে কথা বলা যাবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত জোরে কথা বলা ভালো নয়।

৩.নিজের চেয়ে অধিক বয়স এবং অধিক জ্ঞানসম্পন্ন
লোকদের কথা বলতে অগ্রাধিকার দেওয়া আদব।

৪.তাহকীক বা তদন্ত ব্যতীত কথা বলা অন্যায়।যে কোন কথা
শুনেই তাহকীক-তদন্ত ব্যতিত তা বর্ণনা করা মিথ্যার
শামিল।

৫.যে কথায় ঝগড়া এবং তর্ক সৃষ্টি হয়,তা বলা অন্যায়।

৬.নিজের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের ব্যাপারে কোন খবর বা
প্রতিশ্রুতিমূলক কথা বললে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে।

৭.বড়দের সঙ্গে আদব রক্ষা করে কথা বলতে হবে।

৮.বড়দেরকে সম্মানজনক সম্বোধন করে কথা বলা আদব।

৯.কাউকে কাফের, ফাসেক,মালাউন, আল্লাহর দুশমন,
বেঈমান ইত্যাদি বলে সম্বোধন করা নিষেধ।

১০.নিজের ভাঙ্গা ভাঙ্গা অভিজ্ঞতার কথা বলবে না,এতে
শ্রোতাদের মনে বিরক্তির উদ্রেক হয়।

১১.আত্মপ্রশংসা অর্থাৎ নিজের প্রশংসা নিজে করা নিষেধ।

১২.অতিরিক্ত ঠাট্টা মজা না করা ভালো। এতে প্রভাব,
লজ্জা-শরম ও পরহেজগারী কমে যায়।

১৩.যে শব্দ বা ভাষা খারাপ উদ্দেশ্যে এবং খারাপ অর্থে
ব্যবহার করা হয় সেটা পরিহার করা কর্তব্য।

১৪.চিন্তা করে কথা বলতে হবে।বিনা চিন্তায় কথা বললে
অনেক সময় মিথ্যা হয়ে যায়।

১৫.কথা সংক্ষেপ বা দীর্ঘ হবে না অর্থাৎ যতটুকু কথা বললে
প্রয়োজন অনুযায়ী ততটুকু বলতে হবে।

১৬.চাটুকারিতামূলক কথা অর্থাৎ কারও তোষামোদ করে
কথা বলা যাবে না।

১৭.কোন প্রয়োজনের কথা পূর্বে বলে থাকলে আবার সেটা
পুনরাবৃত্তি করার ক্ষেত্রে পূর্ণ কথা বলতে হবে। পূর্ণ কথা
না বললে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।

১৮.কারও বক্তব্য শেষ হওয়ার পূর্বেই তার কথা কেটে
মাঝখানে কথা না বলা আদব।

১৯.নিজের কথায় ভুল হলে সেটা স্বীকার করে নেয়া এবং
অপব্যাখ্যায় না যাওয়া আদব।

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

16 Sep, 06:20


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দু'আ কবূল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দু'আ করলাম। কিন্তু আমার দু'আ তো কবূল হলো না। [সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩৪০]

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

11 Sep, 02:36


*_জান্নাতে প্রবেশের সহজ আমল:---_*


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযি:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন: দুটি আমল যে কোন মুসলমান ব্যক্তি গুরুত্ব সহকারে করবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিনি বলেন জেনে রেখো, আমল দুটি সহজ হলেও আমলকারী খুবই কম।

১- প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০বার (سبحان الله)সুবহানাল্লাহ,

১০বার (ٱلْحَمْدُ لِلَّٰه)আলহামদুলিল্লাহ

১০বার (الله أَكْبَر)আল্লাহু আকবার পড়বে।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন উহা জবানে ১৫০ (৫×৩০=১৫০) বার হলেও আমল নামায় ১৫০০ নেকি লিখে দেওয়া হয়।

২- শোয়ার সময় ৩৩বার (سبحان الله)সুবাহানাল্লাহ

৩৩বার (ٱلْحَمْدُ لِلَّٰه )আলহামদুলিল্লাহ

৩৪বার (الله أَكْبَر)আল্লাহু আকবার (মোট ১০০ বার) পাঠ করবে ইহা জবানে ১০০বার হলেও আমল নামায় এক হাজার নেকি লেখা হয়।

অতঃপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমাদের মধ্যে কেহ কি দিনে রাতে ২৫০০ গুনাহ কর...?

(তিরমিযি, আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ: ১/২১১)

(নাদিরুজ্জামান)

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

26 Aug, 07:38


আশ্রয়‌কেন্দ্রগু‌লির জন‌্য কিছু পরামর্শ

(হযরা‌ত উলামা‌য়ে কেরাম ও দাঈগণ বি‌শেষ লক্ষ রাখুন)

১. যথাসম্ভব নারী পুরুষ পৃথক পৃথক থাকার ব‌্যবস্থা করুন!

২. মে‌য়েমহ‌লে যেন পরপুুরু‌ষের আডডা নাহয়, সে‌দি‌কে লক্ষ রাখুন।

৩. যথাসসম্ভব মাহরাম বা ছোট বাচ্ছা‌দের দি‌য়ে ভেত‌রের জরুরত পুরা করুন।

৪. মে‌য়ে‌দের সা‌থে কথা বলার প্রয়োজন হ‌লে পর্দার আড়াল থে‌কে কথা বলুন।

৫. পুরু‌ষরা নি‌জে‌দের চাইতে ম‌হিলা শিশু ও বৃদ্ধ‌দের প্রয়োজন‌কে অগ্রা‌ধিকার দিন।

৬. পুরু‌ষেরা প্রয়োজ‌নে নিকটবর্তী মস‌জি‌দে রাতযাপন করুন। ত‌বে ইতিকাফের নিয়ত করুন এবং মস‌জি‌দের আদব রক্ষা করুন।

৭. আশ্রয় কেন্দ গানবাজনা মোবাইলের অপব‌্যবহার থে‌কে বিরত থাকুন।

৮. অবশ‌্যই যথাসম‌য়ে নামায আদায় করুন। নামায নষ্ট করা আল্লাহর ক্রো‌ধের কারণ!

৯. পুরু‌ষেরা সম্ভব হ‌লে জামাআতে নামায পড়‌বেন। ওয়াক্ত হ‌য়ে গে‌লে আযা‌নের ব‌্যবস্থা করুন, জামাআত হোক বা না‌-হোক!
জামাআত না হ‌লে একাকী পড়‌‌তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করুন।

১০. চল‌তে ফির‌তে যি‌কির আযকার, ইস্তিগফার, দরূদ শরীফ, কা‌লিমা তাইয়িবা, তাসবী‌হে ইউনুস পড়ুন।

১১. পরস্পর ঝগড়াঝা‌টি, গীবত, প‌রনিন্দা প‌রিহার করুন।

১২. উঠ‌তি ছে‌লে-‌মে‌য়ে‌দের প্রতি বি‌শেষভা‌বে লক্ষ রাখুন!

১৩. আশ্রয়‌কে‌ন্দ্রে কো‌নো আলিম, দাঈ বা মুবা‌ল্লিগ থাক‌লে জরুর তালীম বা দীনী নসীহার আয়োজন করুন। ‌দি‌নে এক-দুবার অন্তত হ‌তে পা‌রে।

১৪. আশ্রয়‌কে‌ন্দ্রের আশপা‌শে কো‌নো দাঈ থাক‌লে তারা তালীম ও নসীহার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ফাযা‌য়ে‌লে আমাল, হেকা‌য়ে‌তে সাহাবা, ফাযা‌য়ে‌লে সাদকাত হ‌তে নির্বা‌চিত অংশ তালীম হ‌তে পা‌রে।
নিকটবর্তী কো‌নো আলিম‌ বা দাঈ থে‌কেও ফা‌য়েদা নেওয়া যে‌তে পা‌রে।

১৫. পরস্পর সহ‌যো‌গিতা ও অগ্রা‌ধিকারমূলক আচরণ খুবই জরু‌রি। কুরআস হাদী‌সের আলো‌কে তা মুযাকারা করুন।

১৬. আল্লাহমু‌খি হওয়াই এসময় বান্দা‌দের প্রথম কাজ।

এই সময় মানু‌ষের দিল অ‌নেক নরম, সামান‌্য দীনী কথাও অ‌নেক কাজ দি‌তে পা‌রে। এক‌ত্রে এত মানুষ‌কে কখ‌নো এভা‌বে পাওয়া যা‌বে না। আজ‌কে আপনার লাগা‌নো বীজ আগামী‌তে অ‌নেক বড় মহীরূহ হতে পারে ইনশাআল্লাহ!

২৬আগস্ট ২০২৪

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

19 Aug, 03:00


*_যে আমলে ইবাদতে আগ্রহ বাড়ে..._*


মুমিনের ভয়, চিন্তা, কাজ, আচরণ—সবকিছু হয় পরকালকে ঘিরে। আল্লাহ মুমিনের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, ‘এবং যারা তাদের রবের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে- এ বিশ্বাসে তাদের যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে।’ (সুরা মুমিনুন: ৬০)
মুমিন চায় আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে, তাঁরই ভালোবাসার ময়দানে এগিয়ে যেতে। আর এ পথে অত্যাবশ্যক রাস্তা হলো ইবাদত। তবে ইবাদতেরও শর্ত আছে, তা হলো- রাসুলুল্লাহ সা.-এর সুন্নত অনুযায়ী হতে হবে।
সেরকম বিশুদ্ধ নিয়মে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতের প্রতি যাতে আগ্রহ বাড়ে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হয়। ইবাদতে আগ্রহ বাড়ানোর একটি বিশেষ দোয়ার কথা এসেছে হাদিসে। 

দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ أعِنَّا عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ 
আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ, আপনার জিকির করতে, আপনার শুকরিয়া আদায় করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন।
মুআজ ইবনে জাবাল রা. থেকে  বর্ণিত, একবার আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সা. তার হাত ধরে বলেন, ‘হে মুআজ, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালোবাসি।
তিনি বলেন, হে মুআজ, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, তুমি প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়া কখনো পরিহার করবে না।’ (আবু দাউদ: ১৫২২)
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত এই আমল করার তাওফিক দান করুন। ইবাদতের আগ্রহ বাড়িয়ে দিন। ইবাদত-বন্দেগিতে সহিহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
(সূত্র- আওয়ার ইসলাম অনলাইন নিউজ)
_ _

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...)

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

14 Aug, 02:10


*" কিভাবে কথা বলতে হয়"*
*চলুন মহান আল্লাহ তা'য়ালার কাছ থেকে শিখি।*

📖 " কথা বলার পূর্বে সালাম দেওয়া।"
সুরাঃ নূর, আয়াত:৬১

📖 " সতর্কতার সাথে কথা বলো
(কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হচ্ছে)। "
সূরাঃ ক্বফ,আয়াত:১৮

📖 "সুন্দরভাবে ও উওমরূপে কথা বলো।"
সূরাঃ বাক্বারাহ,আয়াত:৮৩

📖 "অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করো।"
সূরাঃ আল-মু'মিনুন,আয়াত:০৩

📖 "কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলো।"
সূরাঃ লুকমান,আয়াত:১৯;হুজুরাত:২-৩

📖 " বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলো।"
সূরাঃ নামল,আয়াত:১২৫

📖 " সঠিক কথা বলো ও পাপ মোচনের দোয়ার
উন্মুক্ত করো।"
সূরাঃ আহযাব,আয়াত:৭১-৭২

📖 " গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা বলো না।"
সূরাঃ লুকমান,আয়াত:১৯

📖 " উওম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত
করো।"
সূরাঃ হা-মীম,সাজদাহ,আয়াত:৩৪

📖 " উওম কথায় দাওয়াত দেও।"
সূরাঃ হা-মীম,সাজদাহ,আয়াত:৩৪

📖 " ঈমানদারদের কথা ও কাজ এক হওয়া। "
সূরাঃ ছফ,আয়াত:০২

📖 " পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমার নীতি
অবলম্বন করা।"
সূরাঃ আ'রাফ, আয়াত:১৯৯

📖 " মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষনীয় ও
কোমল ভাষায় কথা বলবে না।"
সূরাঃ আহযাব,আয়াত:৩২

📖 " মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা।"
সূরাঃ ফুরকান,আয়াত:৬৩

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

10 Aug, 03:41


•• *_ফেরেশতাদের দুআয় শামিল হবার উপায়_* ••

ফেরেশতাগণ আল্লাহর খালেস বান্দা, পবিত্র সৃষ্টি। তারা আল্লাহর নির্দেশ মানায় কোনো কার্পণ্য করে না। প্রতিটি নিমেষ আল্লাহর আনুগত্যে কাটায়। এই দিকে কুরআন হাদীসের পাতায় আমরা দেখতে পাই, ফেরেশতাগণ বিশেষ শ্রেণির মানুষদের জন্য দুআ করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে তাদের দুআয় আমরাও শামিল হতে পারি?
.
*_আসুন,এরকম ৮টি সময়ের কথা জেনে নিই, যখন আমরা ফেরেশতাদের দুআয় শামিল হতে পারব:_*
.
(১) দান সদকার সময়
দান সদকার সময় ফেরেশতাগণ ব্যক্তির জন্য দুআ করেন। নবীজি (ﷺ) বলেছেন, ‘প্রত্যহ সকালে বান্দা যখন উঠে, দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়। একজন দুআ করে, “ও আল্লাহ, যে দান করে আপনি তাকে দান করুন”, দ্বিতীয় জন বলে, ‘যে (দান হতে হাত) গুঁটিয়ে রাখে, তাকে ধ্বংস করুন।”‘ [সহীহ মুসলিম (২৩৮৩)]
.

(২) মসজিদে সালাতের পর কিছুক্ষণ বসা
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘…সালাত আদায়ের পর ব্যক্তি যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, ফেরেশতাগণ তার জন্য এ বলে দুআ করতে থাকেন, “ও আল্লাহ, আপনি তার ওপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।”’ [সহীহ বুখারী (৬৪৭)]
.

(৩) মানুষকে উত্তম বিষয় শিক্ষা দেয়া
আবু উমামাহ আল-বাহিলি (রাযি.) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, নবীজির সামনে দুজন ব্যক্তির কথা বলা হলো, যাদের একজন আবেদ, আরেকজন আলেম। (তাদের মাঝে কে উত্তম?) নবীজি বললেন, “তোমাদের সর্বশেষ জনের ওপর আমার যেমন শ্রেষ্ঠত্ব, আবেদের ওপর আলিমের অনুরূপ শ্রেষ্ঠত্ব।” এরপর তিনি বললেন, “আল্লাহ তাআলা, তাঁর ফেরেশতাগণ এবং আসমান ও জমিনের অধিবাসী থেকে শুরু করে, পিঁপড়া থেকে পাথর, (জলের) মাছেরা পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য সালাত পেশ করে, যে শিক্ষক মানুষকে উত্তম বিষয় শেখায়।”’ [জামি আত-তিরমিযী (২৬৮৫), মান: হাসান]
.

(৪) অসুস্থকে দেখতে যাওয়া
অসুস্থকে দেখতে যাওয়া এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার সময় ফেরেশতাগণ দুআ করেন। নবীজি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অসুস্থকে দেখতে যায়, কিংবা আল্লাহর জন্য ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে, তখন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন, “তোমার মঙ্গল হোক, তোমার জীবন সুন্দর হোক, জান্নাতের একটি মনজিল তোমার হোক।”’ [তিরমিযী (২১৩৯) মান: গরীব হাদীস]
.

(৫) অন্যের জন্য দুআ করা
নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘একজন মুসলিম যখন তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে দুআ করে, সেই দুআ কবুল করা হয়। সে সময় তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা অবস্থান করেন। ব্যক্তি যখন তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দুআ করে, ফেরেশতা বলেন, “আমীন। তোমার জন্যও অনুরূপ”’ [সহীহ মুসলিম (২৭৩৩)]
.

(৬) সেহরি করা
নবীজি বলেন, ‘সেহরি খাওয়ার মাঝে বরকত রয়েছে। তোমরা এটা বর্জন করো না, এক ঢোক পানি হলেও পান করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ সেহরি-কারীর জন্য সালাত পেশ করে।’ (অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দয়া করেন এবং ফেরেশতাগণ তার জন্য কল্যাণের দুআ করে) [সহীহ আত-তারগীব (১০৭০), শায়খ আলবানী]
.

(৭) প্রথম কাতারে সালাত আদায় করা
নবীজি (ﷺ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম সারীর (সালাত আদায়কারীর) প্রতি সালাত পেশ করেন।’ [সহীহ ইবনু মাজাহ (৮২৩), সহীহ: আলবানী]
.

(৮) কাতার পূরণ করা
নবীজি বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি সালাত পেশ করেন, যারা কাতার পুরা করে। আর যে কাতারের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর বাড়িয়ে দেবেন।’ [ইবনু মাজাহ (১০৪৮), মান: হাসান]

----- সংগৃহীত -----

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

01 Aug, 12:29


*_মজলুম হই,জালেম না হই...আল্লাহপাক মজলুমের পক্ষ অবলম্বন করেন..._*


অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে,যারা মানুষের উপর জুলুম করে ও পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। এরূপ লোকদের জন্য আছে যন্ত্রণাময় শাস্তি।
(সূরা-আশ শূরা- আয়াত-৪২)

বর্ণিত আছে,নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
পাঁচ ব্যক্তির উপর আল্লাহর গযব অবধারিত।দুনিয়াতেই তাদের প্রতি আল্লাহর গযব নাযিল হবে। নচেৎ আখিরাতে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(১) জাতির সেই শাসক,যে তার প্রজা সাধারণের কাছ থেকে আপন প্রাপ্য আদায় করে নিয়েও তাদের প্রতি ইনসাফ করে না এবং তাদের উপর
যুলুমও রোধ করেন না।

(২) জাতির সেই নেতা, যার নির্দেশ সবাই এক বাক্যে মেনে চলে। অথচ সে দুর্বল ও সবলের মধ্যে সমতা রক্ষা করে না। দুর্বলকে অবজ্ঞা ও সবলের তোয়ায করে এবং আপন খেয়ালখুশী মত কথা বলে।

(৩) যে ব্যক্তি পরিবার পরিজনদেরকে দ্বীনের পথে চলার নির্দেশ দেয় না এবং তাদেরকে
ইসলাম শিক্ষা দেয় না।

(৪) যে লোক শ্রমিকের কাছ থেকে পুরোপুরি শ্রম আদায় করে নেয়, অথচ তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেয় না।

(৫) যে ব্যক্তি স্ত্রীর মোহরানা আদায় করে না এবং তার উপর অচ্যাচার করে।

হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন সালাম (রাঃ) বর্ণনা করেনঃ “আল্লাহ যখন সকল মাখলুককে সৃষ্টি করেন। তখন তারা দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে মাথা উত্তোলন করে আরয করলঃ হে আমাদের রব! আপনি কার পক্ষ অবলম্বন করেন ? আল্লাহপাক
বলেনঃ মযলুমের পক্ষে,যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রাপ্য তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয় ।

হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ রহ. বলেনঃ এক বাদশাহ বিশাল এক অট্টালিকা নির্মাণ করে তা নিপুণ কারুকার্যে সুশোভিত করে। একদা দরিদ্র এক বৃদ্ধা এসে সেই অট্টালিকার পাশে ছোট একটি ঝুপড়ি তৈরী করে বসবাস করতে
শুরু করল।একদিন রাজা অট্টালিকার চার পাশে ঘুরে ফিরে দেখার সময় সেই দরিদ্রের ঘরটি দেখে প্রশ্ন করলেনঃ এটি কার ?
বলা হলঃ এক দরিদ্র বৃদ্ধার।

রাজার নির্দেশে সাথে সাথে ঝুপড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হলঃ অসহায় বৃদ্ধা ফিরে এসে দেখল,তার ঝুপড়িটি ভাঙ্গা। তা দেখে সে লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলঃ কে আমার ঝুপড়ি ধ্বংস করল ? লোকজন বলল, রাজার নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা
হয়েছে। বৃদ্ধা মহিলাটি আকাশের দিকে মাথা তুলে বললঃ হে পরওয়ারদেগার!আমি যখন ছিলাম না, আপনি তখন কোথায় ছিলেন ? আল্লাহপাক তখন জিবরাঈল আঃ কে রাজার প্রাসাদটি মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। তৎক্ষনাৎ তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হল।

তুমি তোমার রবের ইবাদত কর ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার মৃত্যু উপস্থিত না হয়।
_ _

( মৃত্যু...

মৃত্যু আসিতেছে...
যেকোনো বয়সে...
যেকোনো সময়...
যেকোনো জায়গায়...যেকোনো অবস্থায়...

আমাকে থামিয়ে দিবে...

অথবা
আমার প্রিয়জনকে আমার থেকে কেড়ে নিবে...

আমি কি তৈরি...

আসুন আল্লাহকে ভয় করি... মৃত্যুকে স্মরণ রেখে পথ চলি... সুন্নতি জীবন গড়ি...)

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

17 Jul, 14:02


🍓*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍓👇🆗👇

---------[শেষ: পর্ব]----------

💫*জিজ্ঞাসা-০৪) শুনেছি একথা প্রমাণিতো যে, হযরত নূহ 'আলাইহিস সালামের কিশতী যেদিন জূদী পাহাড়ে থেমেছিলো সেই দিনটি ছিলো আশুরার দিন। এই রেওয়ায়েতের সনদ কি সহীহ?

✍️*জবাব: একথা মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু তার সনদ দুর্বল। *(দেখুন- মুসনাদে আহমাদ ১৪/৩৩৫, হাদীস ৮৭১৭)* (শায়েখ শুয়াইব আরনাউতকৃত হাশিয়াযুক্ত নুসখা।)
 
💫*জিজ্ঞাসা-০৫) ঈসা 'আলাইহিস সালামের জন্ম কি আশুরার দিন হয়েছে?

✍️*জবাব: একথাও প্রমাণিতো নয়। আবুল কাসিম ইস্পাহানী (রাহঃ)এর কিতাব ‘আত-তারগীব ওয়াত তারহীব’-এর পূর্বোক্ত রেওয়ায়েতেই একথা এসেছে। আগেই বলা হয়েছে, এর সনদ খুবই দুর্বল।
 
💫*জিজ্ঞাসা-০৬) তাহলে কোন্ কোন্ ঘটনা আশুরার দিন ঘটেছে বলে প্রমাণিতো?

✍️*জবাব: কেবল দুটি ঘটনা:
*১.* হযরত মূসা 'আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীদের ফেরাউন ও তার সৈন্যদের থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা; যেখানে দরিয়ায় রাস্তা বানিয়ে আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন।

*২.* এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করার সময় ফেরাউন ও তার সৈন্যদেরকে দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা।
এই দুটি ঘটনা বিভিন্ন সহীহ হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিতো। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমসহ হাদীসের অনেক কিতাবে বর্ণিতো হয়েছে।

আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে ফরয বিধানের ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন থাকার পাশাপাশি নফল বিধানাবলির ক্ষেত্রেও মনোযোগী হওয়ার তাওফীক দান করুন।

🌹বিশেষভাবে নতুন বছরে নতুন প্রত্যয় ও পূর্ণ উদ্যমে ঈমান- আমলের পথে এগিয়ে যাবার তাওফীক দান করুন। আমাদের ঈমান- আমল, কর্ম- আচারণ, স্বভাব-চরিত্রসহ জীবনের সকল অঙ্গনে উৎকর্ষ আসুক- এই পণ নিয়ে শুরু হোক আমাদের আগামীর পথচলা। আল্লাহ্ তা'আলা সকলকে সেই তাওফীক দান করুন। (আমীন..!)🔚
🌎Dua..Mei..Yaad..Rakhna🌎

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

16 Jul, 04:14


🍒*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍒👇🆗👇

---------[পার্ট : ২০]-----------

*কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর:*

💫*জিজ্ঞাসা-০১) পেছনের যুগে আশুরার দিনে কী কী ঘটনা ঘটেছে? ভবিষ্যতে কী কী ঘটনা ঘটবে? এ বিষয়ে যে লম্বা তালিকা তাম্বীহুল গাফিলীন ও মকসুদোল মোমেনীন ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে সেগুলো কি ঠিক?

✍️*জবাব: কিছুতেই না। ঐ সব বর্ণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই বাতিল এবং মনগড়া। মওযু রেওয়ায়েতের পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে যেসব কিতাব লেখা হয়েছে সেগুলোতে একথা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে।
 
💫*জিজ্ঞাসা-০২) একথা কি ঠিক যে, আশুরার দিনেই কিয়ামত হবে?

✍️*জবাব : না। একথাও ঐ সব মওযু রেওয়ায়েতের মধ্যে রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনোও রেওয়ায়েতে একথার কোনোও আলোচনাই আসেনি।
 
💫*জিজ্ঞাসা-০৩) কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আমরা দেখতে পাই যে, আশুরার দিনেই হযরত আদম 'আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল হয়েছে। এইসব রেওয়ায়েত কি সহীহ?

✍️*জবাব: একথা আবুল কাসিম ইস্পাহানী (রাহঃ) কর্তৃক সংকলিত ‘আত-তারগীব ওয়াত তারহীব’- এর ১৮৬৮ নং রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু এই রেওয়ায়েতের সনদ খুবই দুর্বল। এছাড়া আরও কিছু রেওয়ায়েতে এই কথা এসেছে, সেগুলো মওযু।

🍁ইস্পাহানী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত ওই রেওয়ায়েতের সনদে দিরার ইবনে আমর নামে একজন রাবী আছেন, যার সম্পর্কে ইমাম ইবনে মায়ীন রাহ. বলেছেন- لا شيء। *(লিসানুল মীযান ৪/৩৪০)*

🍀অবশ্য কোনো কোনো তাবি'য়ী থেকে এই কথা বর্ণিতো হয়েছে যে, তাঁরা হযরত আদম 'আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল হওয়া সম্পর্কে আশুরার দিনের কথাই বলতেন। দেখুন- ইমাম ইবনে রজব (রাহঃ) কৃতো লাতাইফুল মাআরিফ, *পৃষ্ঠা: ১১৩-১১৫* এবং আবদুল্লাহ ইবনে ইমাম আহমাদ (রাহঃ) কৃতো আল-ইলাল ওয়া মারিফাতির রিজাল, বর্ণনা নম্বর: ৩৭৯৫
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
💫Dua Mei Yaad Rakhna💫

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

15 Jul, 07:43


🍏*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍏👇🆗👇

-----------[পার্ট : ১৯]---------

💫*মুহাররম ও আশুরা কেন্দ্রিক কিছু গর্হিত রেওয়াজ:💫

📗যে আয়াতটি পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে তাতে আল্লাহ্ তা'আলা যে কথাটি বলেছেন তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন--

*فَلَا تَظْلِمُوْا فِیْهِنَّ اَنْفُسَكُم ...*

*(তরজমা:) তোমরা এ দিনগুলোতে নিজেদের উপর জুলুম করো না। *(সূরা তাওবা : ৩৬)*

🌿বস্তুতো সবচেয়ে বড়ো জুলুম হচ্ছে আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত হওয়া। এমনিতেই যে কোনো সময়ই তা নিষিদ্ধ। তথাপি এ দিনগুলোতে আল্লাহর নাফরমানী থেকে বাঁচতে বিশেষভাবে হুকুম করা হচ্ছে। কারণ নেক ও কল্যাণের এমন মোক্ষম মুহূর্তে যে আল্লাহর নাফরমানীতে লিপ্ত হয় তারচে হতভাগা আর কে হতে পারে!

🍁আফসোসের বিষয় হচ্ছে, নেকীর এ সময়কে ঘিরে সমাজে রয়েছে বিভিন্ন গলত রসম রেওয়াজ এবং নানা রকমের বিদআতী কর্মকাণ্ড। এ সময়ের আমল ততোটুকু, যতোটুকু উপরে হাদীসের উদ্ধৃতিসহ উল্লেখ করা হলো। মুহাররম মাসকে কেন্দ্র করে এছাড়া আর বিশেষ কিছু পাওয়া যায় না। নেই এ দিনের জন্য বিশেষ নামায, বিশেষ যিকির, বিশেষ আয়োজন এবং বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা।

🌸বিশেষ করে দশ মুহাররমে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমের যে ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির অবোতারণা করা হয় তা তো খুবই গর্হিত একটি সংস্কৃতি। ইসলামের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম মাতম ও শোক প্রকাশের এমন আয়োজনকে হারাম সাব্যস্ত করেছে। এরচে জঘন্য হলো, এ দিনে ‘তাযিয়া’র নামে শিরক- বিদআতের আয়োজন করা। পরিতাপের বিষয়, শিয়াদের এমন আয়োজনগুলোতে ঢালাওভাবে অনেক মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকে। এটা যে ঈমানের জন্য কতো বড়ো হুমকি ও খতরা- তা কি তারা একবারের জন্য হলেও ভেবে দেখেন!
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
🌙DUA"MEI"YAAD"RAKHNA🌙

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

15 Jul, 03:39


🍎*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍎👇🆗👇

---------[পার্ট : ১৮]----------

💫*যেভাবে রাখবো আশুরার রোযা:💫

🍁আশুরার দিন রোযা রাখা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ একটি আমল। এ দিন রোযা রাখা মুস্তাহাব। তবে এরচেয়ে উত্তম হলো, দশ মুহাররমের আগে বা পরে নয় বা এগার তারিখে একদিন অতিরিক্ত রোযা রাখা। নয় তারিখে রাখতে পারলে ভালো। কারণ হাদীসে নয় তারিখের কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

📚হযরত 'আবদুল্লাহ্ ইবনে 'আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* যখন আশুরার রোযা রাখছিলেন এবং অন্যদেরকে রোযা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবীগণ বললেন--

*يَا رَسُولَ اللهِ إِنّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنّصَارَى؟*

ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এ দিনকে তো ইহুদী-নাসারারা (খ্রিস্টানরা) সম্মান করে? তখন নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* বললেন--

*فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التّاسِعَ قَالَ: فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ، حَتّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ.*

তাহলে আগামী বছর আমরা নয় তারিখেও রোযা রাখবো- ইনশাআল্লাহ্। কিন্তু সেই আগামী বছর আসার পূর্বেই নবীজীর ইন্তেকাল হয়ে যায়। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩৪)*

🍎‘নয় তারিখ রোযা রাখবো’ মানে দশ তারিখের সাথে নয় তারিখ মিলিয়ে রাখবো। এজন্য ইবনে 'আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলতেন--

*صُومُوا التّاسِعَ وَالعَاشِرَ وَخَالِفُوا اليَهُودَ.*

তোমরা নয় তারিখ এবং দশ তারিখ রোযা রাখো এবং ইহুদীদের বিরোধিতা করো। *(জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৫৫)*

💫একটু চিন্তা করুন তো, ইসলামী শরীয়তে বৈধ এবং কাম্য একটি ইবাদতের ক্ষেত্রে যদি এমন বিরোধিতার কথা আসে তাহলে ইহুদী-নাসারাদের নিজস্ব সভ্যতা-সংস্কৃতি এবং বিজাতীয় কালচারের ক্ষেত্রে তাদের বিরোধিতা করার বিধান কতো কঠোর হতে পারে!

🍉আর সবচেয়ে উত্তম হয়, দশ তারিখের সাথে মিলিয়ে আগে-পরে আরো দুটি রোযা রাখা। নয়, দশ ও এগারো সর্বমোট তিনটি রোযা রাখা। কারণ, পুরো মুহাররম মাসব্যাপি রোযার কথা তো সহীহ হাদীসেই আছে। *(দ্রষ্টব্য: ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার রাহ. ৪/২৪৬)*🔚
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
🌠DUA MEI YAAD RAKHNA🌠

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

14 Jul, 14:00


🍊*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍊👇🆗👇

----------[পার্ট : ১৭]---------

🪴সাহাবায়ে কেরাম এ দিনে বাচ্চাদেরকেও রোযা রাখতে অভ্যস্ত করতেন। বিখ্যাত  নারী সাহাবী হযরত রুবায়্যি‘ বিনতে মু'আববিয (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* আশুরার দিন সকালে আনসারদের এলাকায় লোক মারফত এ খবর পাঠালেন-যে আজ সকালে খেয়েছে সে যেনো সারাদিন আর না খায়। আর যে সকালে খায়নি সে যেনো রোযা পূর্ণ করে।

💫ঐ নারী সাহাবী বলেন, এরপর থেকে আমরা নিজেরাও এ দিনে রোযা রাখতাম এবং আমাদের বাচ্চাদেরও রোযা রাখাতাম। তাদের জন্য আমরা খেলনা বানিয়ে রাখতাম। তারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করলে তাদেরকে খেলনা দিয়ে শান্ত করতাম। ইফতার পর্যন্ত এ নিয়ে তার সময় কেটে যেত। *(সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৬০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩৬)*

🍁(সুবহানাল্লাহ্! সাহাবায়ে কেরাম সন্তানদেরকে সেই শিশুকাল থেকেই কীভাবে তরবিয়ত করতে থাকতেন! আর মুমিন মায়েরা নিজেদের সন্তানদেরকে আমলে অভ্যস্ত করে গড়ে তোলার প্রতি কতটা সজাগ-সচেতন ছিলেন!!) অতঃএব এ দিনে রোযা রাখার ব্যাপারে আমরা খুব ইহতিমাম করব।

🌿এছাড়া এর সাথে যেহেতু মিশে আছে আল্লাহর রহমত ও নাজাত লাভের ইহিহাস, তাই এ দিনে কীভাবে আল্লাহর রহমত পেতে পারি এদিকে খুব খেয়াল রাখব। তেমনিভাবে যেহেতু গুনাহ মাফেরও ঘোষণা এসেছে এ দিনে, তাই তাওবা-ইস্তিগফারের প্রতিও খুব মনোযোগ দেব। আর একজন মুমিন তো রোযা অবস্থায় আল্লাহর রহমত লাভের অধিক প্রত্যাশী হয়।
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
🕌Dua-Mei-Yaad-Rakhna🕌

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

14 Jul, 01:41


🍉*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍉👇🆗👇

----------[পার্ট : ১৬]----------

💫*রোযা ও তাওবা: আশুরার বিশেষ আমল:💫

🍁আশুরার দিনের মূল ইবাদত হচ্ছে এ দিনের রোযা রাখা। পূর্ববর্তী হাদীস গুলোতে আমরা মাত্রই যা দেখে এলাম। এ দিনের রোযার ফযীলতের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)*
ইরশাদ করেন--

*صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ.*

আশুরার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা রাখি, তিনি পূর্বের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেবেন। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২)*

📚হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন--

*مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَتَحَرّى صِيَامَ يَوْمٍ فَضّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلّا هَذَا اليَوْمَ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَهَذَا الشّهْرَ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ.*

অর্থাৎ আমি রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* কে আশুরার দিনের চেয়ে গুরুত্ব দিয়ে অন্য কোনো দিন রোযা রাখতে দেখিনি এবং রমযান মাস অপেক্ষা অন্য কোনো মাসে এতো গুরুত্ব দিয়ে রোযা রাখতে দেখিনি। *(সহীহ বুখারী, হাদীস ২০০৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩২)*
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
☪️Dua*Mei*Yaad*Rakhna☪️

সুন্নত তরিকায় পারিবারিক জীবন 🇦TO🇿 https://t.me/TanveerIslam10june2020

13 Jul, 11:42


🍁*মুহাররম ও আশুরা: গুরুত্ব ও ফযীলত:🍁👇🆗👇

----------[পার্ট : ১৫]----------

📚রাসূলে কারীম *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় চলে আসেন দেখেন, মদীনার আহলে কিতাব ইহুদীরাও এ দিনে রোযা রাখছে। এ দিনকে তাঁরা বিশেষভাবে উদ্যাপন করছে।

💫নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* তাদের জিজ্ঞাসা করলেন--

*مَا هَذَا الْيَوْمُ الّذِي تَصُومُونَهُ؟*

এ দিনে তোমরা কী জন্য রোযা রাখছো? তারা বললো--

*هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ، أَنْجَى اللهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ، وَغَرّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ، فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا، فَنَحْنُ نَصُومُهُ.*

এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ দিবস। আল্লাহ্ তা'আলা এ দিনে হযরত মূসা (আঃ) ও তাঁর কওমকে (ফেরাউনের কবল থেকে) মুক্তি দিয়েছেন। এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ (দরিয়ায়) নিমজ্জিত করেছেন। এরপর হযরত মূসা (আঃ) এ দিনে শুকরিয়া আদায় স্বরূপ রোযা রাখতেন। তাই আমরাও রোযা রাখি।

📚নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* এ শুনে বললেন--

*فَنَحْنُ أَحَقّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ.*

হযরত মূসা (আঃ)এর অনুসরণের ক্ষেত্রে তো আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। এরপর নবীজী নিজেও রোযা রাখলেন এবং অন্যদের রোযা রাখতে বললেন। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩০ সহীহ বুখারী, হাদীস ১১২৫, ৩৯৪৩)*

🌴ইহুদীদের নিকট এ দিনটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, এ দিনটিকে তারা ঈদের মতো উদ্যাপন করতো।

🌸হযরত আবু মূসা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিতো--

*كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ يَوْمًا تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ، وَتَتّخِذُهُ عِيدًا، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: صُومُوهُ أَنْتُمْ.*

আশুরার দিন এমন একটি দিন, যে দিনকে ইহুদীরা সম্মান করতো এবং এ দিনকে ঈদ হিসাবে গ্রহণ করতো। রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* বলেন, তোমরা এ দিনে রোযা রাখো। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৩১)*
*(চলবে ইনশাআল্লাহ্)*
☪️Dua*Mei*Yaad*Rakhna☪️

3,803

subscribers

535

photos

2

videos