Society - Uncensored

@societyuncensored


@SocietyUncensored

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে....

Society - Uncensored

22 Oct, 17:22


সিন্ডিকেট ভেংগে চট্টলার সন্তানেরা আজ বসবে বহদ্দারহাট পুকুর পাড় ( ২-৭টা স্টক থাকা পর্যন্ত )

আজকের প্রথম দিনের পূন: নির্ধারণকৃত মূল্য প্রতি কেজি:

১. লাউ: ১৭ টাকা
২. পেঁপে: ২৫ টাকা
৩. শসা (ফল): ৩৭ টাকা
৪. চিচিঙ্গা (কৈড়া): ৩৮ টাকা
৫. মিস্টি কুমড়া (কাঁচা বা সবুজটা): ৪৫ টাকা (পাকা লালটার দাম আরো কম)
৬. কিরা: ৩০ টাকা

Alhaj Shamsul Hoque Foundation এর পক্ষ থেকে এবং এতে কোন প্রকার প্রফিট নেয়া হবে না। শুধুমাত্র গাড়িভাড়া এবং মাল লোড-আনলোড খরচ যুক্ত হয়েছে।

সাপ্লাইয়ে আগ্রহীগণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচীর দায়িত্বশীলর কাছে নি:সংকোচে নিজেদের উৎপাদিত মূল্য তালিকা হোয়াটস এপ করতে পারেন : 01841040544

Society - Uncensored

22 Oct, 09:22


ব্যারিস্টার সুমন দেশে এসে যে আত্নসমর্পন করলো এটা আমার কাছে ওর (অথবা আওয়ামী লীগের) একটা পলিটিকাল স্টেপ মনে হয়েছে আমার কাছে। এদের গেমটা আমার কাছে যা মনে হচ্ছে সেটা নিচে লিখছি-

ও আত্নসমর্পণ করবে।

এরপর মামলায় জিতে আসবে। কারণ যেই ব্যাসিসে মামলা গুলো আসতেসে এগুলা উইক৷ লেজিট ট্রায়ালেও আসলে এদেরকে এখানে আটকানো যাবে না। এবং মামলা যারা দিয়েছে তারা জেনে শুনে বুঝেই এভাবেই মামলা দিয়েছে।

এরপর কয়েক বছরের মাথায় একে একে সবাই মামলা থেকে একই ভাবে জিতে এসে নতুন ভাবে ন্যারেটিভ দাড় করিয়ে পলিটিক্স এ নামবে।

এর আগ পর্যন্ত এরা বারবার স্যাবোটাজ করতে থাকবে। দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করবে।

এর মাঝে আওয়ামী লীগ আবার সাংগঠনিক ভাবে শক্তি অর্জন করে এরপর দেশে আবার নৈরাজ্য চালাতে থাকবে

সারপ্রাইজিংলি এদেরকে এই দেশের সেকুলার সুশীল সমাজ আবার সাপোর্ট দিবে কেবল এবং কেবলমাত্র ইসলামপন্থীদের দমন করার জন্য।- কপিড

Society - Uncensored

20 Oct, 13:06


বিস্তারিত প্রথম কমেন্টে....

Society - Uncensored

18 Oct, 11:11


হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা নির্দেশ জারি করেছিল, 'যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা রৌরব নামক নরকে যাবে।' ওই সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজি নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারি নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের মাধ্যম সেই দিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সঙ্গে মুক্ত হয়েছিল বাঙ্গালিদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।

ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, 'মুসলমান সম্রাটরা বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।' অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এ দেশে আরও কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকত, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।'

মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্যচর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশের যোগ্যতা অর্জন করে।

বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা যুগে যুগে আরও হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবি ও ফারসি শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্যচর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়—বাংলা ভাষার সঙ্গে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই।

মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজিদ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছেন। অথচ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু আগে ১৮০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষায় কুরআন মাজিদের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে মৌলবি নাঈমুদ্দিন পূরো কুরআনের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।

সুত্র: ১৯৯৫, পৃ. ৩২, বাংলাপিডিয়া

(Collected)

Society - Uncensored

18 Oct, 09:05


শায়েখ আলী হাসান উসামার এই পরিণতি দেখাটা দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু না। তবে আগেও বলেছি, ব্যক্তি কখনো হকের মাপকাঠি না। আমি যে কমেন্টের রিপ্লাই দেব সেই সুযোগও তিনি রাখেননি।

আনফ্রেন্ড করে কমেন্ট বক্স অফ করে দিয়েছেন। তবে উনাকে যারা ফলো করেন, আপাতত আর ফলো না করার অনুরোধ রইলো। কুযুক্তি দিয়ে কীভাবে পথভ্রষ্ট করতে পারে সেটার নমুনা হিসেবে এটা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। - Mayraj Hossian ভাইয়ের পোস্ট

Society - Uncensored

17 Oct, 14:45


ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভারতে চলে আসার বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কারণে অল্প সময়ের নোটিশে তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। এখনো আছেন, থাকবেন (কন্টিনিউজ টু বি)।’

Society - Uncensored

17 Oct, 09:19


বাংলা সাহিত্যে ইসলামোফোবিয়া.pdf
@SocietyUncensored

Society - Uncensored

17 Oct, 09:16


বাংলা সাহিত্যে ইসলাম বিদ্বেষ ।। Jakaria Masud @SocietyUncensored

Society - Uncensored

17 Oct, 09:08


সেদিন হিরো আলম রবীন্দ্রনাথের দুটো লাইন বেসুরা গলায় গাওয়ায় মাফ চাইতে হয়েছে! তাহলে এ কর্মকান্ডের তাদেরকে কি করা উচিত? আপনারাই বলেন,

এই বক্তব্যের পুরো ভিডিও ও স্লাইড আসবে ইন শা আল্লাহ।

Society - Uncensored

17 Oct, 08:46


চিন্তা করে দেখসেন? জী*->>বিত অবস্থায় চাম''ড়া টে*->নে খুলে ফেলল। জবাই করে সহজ মৃত্যু না দিয়ে সোজা পেট কে_<~টে অর্ধেক করে ফেলল।এতেও শেষ না ছ':*/টফট করতে থাকা জীবিত অবস্থাতেই আগুনে ছুড়ে ফেলল। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক। এরপর আবার এগুলা চিল্লায় আমাদের কু*-><\রবানী নিয়ে। অথচ ইসলাম বিজ্ঞানসম্মতভাবে সবচেয়ে সহজ নিয়মে জ*->বেহ করার নির্দেশ দিয়েছে সুবহান আল্লাহ ❤️‍🩹 - দাওয়াহ পেজ থেকে।

দূর্বল চিত্তের কেউ ভিডিও টি দেখবেন না।

Society - Uncensored

17 Oct, 08:33


আল্লাহ আমাদের সত্যবাদীদের সাথে থাকতে বলেছেন। আমরা সত্যবাদী আলিমদের সাথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।

"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।" (At-Tawba: 119)

Society - Uncensored

17 Oct, 07:15


একবার শুনলাম, শাইখ হারুন ইযহারের এক "কাছের লোক", যিনি অনলাইনেও বেশ জনপ্রিয়, তিনি বলে বেড়াচ্ছেন, শাইখ আসিফ আদনান ভাইকে পছন্দ করেন না। কারণ আসিফ ভাইরা নাকি এলিটিস্ট। উনারা শাইখকে সমস্যায় ফেলে চলে গেছেন। শাইখকে উনারা বুদ্ধিমান মনে করেন না।
.
এসব যে কী পরিমাণ মিথ্যা- তা শাইখ ও আসিফ ভাই- দুজনের সাথে থাকলে, মিশলে, একে অপরের ব্যাপারে চিন্তা দেখলেই বোঝা যায়। আহ! কত কমে গেছে আমাদের ভাইদের মুখের কথার দাম। অথচ এ মুখের কথার জন্যই কত মানুষ হাশরে আটকে যাবে। আল্লাহ ক্ষমা করুন সবাইকে।- ইরফান সাদিক

Society - Uncensored

16 Oct, 16:15


বাস্তবতা এটাই ছিলো, সামনেও থাকবে...

Society - Uncensored

16 Oct, 11:27


সৌদি আরবের স্কুলগুলোতে মিউজিক এডুকেশনের জন্য সাত কিংবা নয় হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। গালফ নিউজে দুইবছর আগেই প্রতিবেদন এসেছিল যে, দুই বছরের মধ্যে কিন্ডারগার্টেনগুলোতে মিউজিককে স্বতন্ত্র সাবজেক্ট হিসেবে আনা হবে।

ভিশন ২০৩০-এর জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এই জিনিসটাও ছিল। সৌদির মতো দেশে যখন এগুলো কমন প্র্যাকটিসে পরিণত হবে তখন বাকিদের কী অবস্থা হবে? আল সৌদকে দলিল বানানো লোকেরা কি এই জিনিসকেও স্বীকৃতি দেবে? সময়টা খুবই কঠিন! - Mayraj Hossain

Society - Uncensored

16 Oct, 08:19


কুরআন সুন্নাহর নসে পাওয়া যায়, শহীদদের দেহ অক্ষত থাকে। রোজ হাশরে অক্ষত অবস্থায় উঠে যাবে।
তবে সে কোন শহীদ?
বলা হয়েছে, দীন রক্ষার জন্য যারা নিজেদেরকে বিলীন করে দেয় তারা।

কিন্তু আজ দেখলাম, বেশ আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা। ৫ তারিখ শহীদ হয় আমার ছোটো ভাইয়ের ইউনিভার্সিটির ইমিডিয়েট সিনিয়র সাকিব আনজুম।
ওরা সেই রাতেই প্রোসেস করে মেডিকেল থেকে তাকে বের করে আনে। পরিবার চাচ্ছিল তাড়াতাড়ি দাফন হোক। আমিই পরদিন জানাযা পড়ানোর জন্য গিয়েছিলাম। পরে তার ছোটো ভাই, হাফেজে কুরআন, সে জানাজা পড়ায়।
আমরা দাফন করে চলে আসি।

আজ প্রায় ৭০ দিন পর পোস্ট মর্টমের জন্য মৃতদেহ উঠাতে দেখলাম। কাছে যেয়ে দেখলাম, আশ্চর্যজনকভাবে দেহটা সম্পূর্ণ অক্ষত। একটু অংশও পঁচেনি। চুলগুলো পর্যন্ত কালো দেখা যাচ্ছে। হাত নাড়ানো হচ্ছে, মনে হচ্ছে গতকালই কবর দেয়া হয়েছে।

জানি না, মৃতদেহ কতদিন অক্ষত থাকে!
আশা করি, আল্লাহ তাকে প্রকৃত শহীদের মর্যাদা দান করেছেন। সত্যি বলছি, মাইয়েতের আশপাশে প্রায় সবাই একই কমেন্ট করছে। আমিও অত্যন্ত প্রভাবান্বিত হয়েছি।

ছেলেটা পারিবারিকভাবে দীনদার ছিল। বাবা নামাজী পরহেজগার মানুষ! ছোট ভাই ঢাকা দারুস সালাম মাদরাসায় পড়ে। তৃতীয় বর্ষে সম্ভবত।

আল্লাহ জুলাই আগস্টে দীনদার প্রত্যেক শহীদকে উত্তম বিনিময় দিয়ে ধন্য করুন। আমীন!!
সে সংগে প্রকৃত দোষীদের ফাসি যেন আমরা দেখতে পাই, আল্লাহ যেন কবূল করেন। আমীন।। - আব্দুল্লাহ তালহা...

➡️এই সরকার কতটা নপুংসক হইলে একের পর এক শহীদের লাশ তুলে পোস্টমর্টেম করতে পারে।
উপদেষ্টাদের মুখে একদলা থুতু। থুহ। - মাহমুদ ভাই

Society - Uncensored

16 Oct, 07:10


শাপলাচত্বর গণহত্যার রাতে এই মা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশের ঝিলপাড়ে ঝুপড়িমতো একটি ঘরে তখন থাকতেন, এখনও একই জায়গায় আছেন। রান্নাবান্না করে মানুষকে খাওয়ান, এ বাবদে যা পান তা দিয়েই কোনোমতে জীবন চলে।

সেই কালোরাতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। আহত, বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নিজ খুপড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি, তাঁর স্বামী, দেবর মিলে যা করেছেন আমি নিজেই তার সাক্ষী। স্বামী মারা গেছেন তেরো সালেই। এরপর থেকে একাই থাকেন এখানে। মাঝেমধ্যে গিয়ে তাঁকে দেখে আসি। গতকাল সুযোগ পেয়ে দেখা করে এলাম। সন্তানবৎ স্নেহ করেন আমাকে।

উনি নিজেই অন্যের জায়গায় আশ্রিত, অথচ সে-রাতে অসংখ্য মানুষের আশ্রয়স্থল হয়েছিলেন। আমি এবং আমার মতো হাজারো মানুষ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।- জুনায়েদ রাফি

Society - Uncensored

15 Oct, 10:14


এসপি হারুনের (ডিবি হারুন) সাক্ষাৎকার শুনলাম!
তার কথা শুনে মনে হইল সে একজন নিষ্পাপ ব্যাক্তি!!
অথচ ২০১৪ সালে তার রোষানলে পড়ে আমাদের একটি ছোট ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম (আমার কাছে সে গাজীপুরের তৎকালীন এসপি হারুন হিসাবেই স্মৃতিতে থাকবে অনেকদিন)
সেই সময় আমাদের একটি ছোট কসমেটিকস ফ্যাক্টরি ছিল গাজিপুর চৌরাস্তার কাছে। "রোজমেরি" নামে আমাদের পণ্য মোটামুটি দেশের অনেক জেলায়ই পরিচিত ছিল। ২০১৪ সালে এই ডিবির হারুন সাহেব যখন গাজীপুরের এসপি ছিল তখন তার সহায়তায় গাজীপুর সদরের টিএনটি এলাকার যুবলীগ নেতা আলমাসের লোকজন কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে হঠাৎ রাতে ফোন দিয়ে ঈদের জন্য কিছু টাকা চায় (টাকার পরিমান ছিল আমাদের মত ছোট ব্যবসায়ীর জন্য বড় এমাউন্ট)। তা দিত না পারায় সেদিন রাতেই পুলিশ দিয়ে আমাদের ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় এবং সেইসব ছেলেরা পুলিশের সাথে মিলে ভিতরে জিনিসপত্র ভাংচুর করে অনেক কিছু নিয়ে যায়। এমনকি সিলিং ফ্যান পর্যন্ত তারা খুলে নিয়ে যায়। পুলিশ ফোন দিয়ে সেই রাতে আমাকে ফ্যাক্টরিতে যেতে বলে কিন্তু সবাই নিষেধ করায় ভয়ে আমি আর যাই নাই।
তৎকালীন হারুন সাহেবের পুলিশ (জয়দেবপুর থানা) আমাদের জিনিষপত্র নিয়ে আমার নামে মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে যোগাযোগ করতে বলে। আমাদের এক পার্টনার (দেলোয়ার ভাই) নিজের পরিচয় না দিয়ে পরের দিন সকালে থানায় যেয়ে দেখে পুলিশ আমার নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা তৈরি করেছে যেহেতু ট্রেড লাইসেন্স ছিল আমার একক নামে এবং আলামত হিসাবে আমাদের ওখানে হাতে দেওয়া মেহেদি এবং আগরবাতি তৈরি হত তার কেমিক্যালকে বোমা তৈরির উপাদান হিসাবে জব্দ তালিকা করেছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাড় করিয়েছিল "সে সময় গাজিপুর চৌরাস্তায় বিরোধীদলের আন্দোলনের সময় যে সকল বোমা হামলা হয়েছে তা আমার ফ্যাক্টরির তৈরি "। গুরুতর অভিযোগ!! থানা পুলিশ আমাদের বলে মামলাটি এসপি সাহেবের এখানে থানা পুলিশের কিছু করার নাই এমনকি আমাদের সাথে থানার ওসি দেখাও করতে চায় নাই এসপি সাহেবের কেস বলে!
পরে প্রায় ২ দিন দেন দরবার করে পুলিশকে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করি। এর মধ্যে আমার আত্মীয়স্বজন এবং অনেক শুভাকাঙ্খী যারা অনেকে আওয়ামিলীগ করতেন তারাও চেষ্টা করেছিলেন। তখনকার সরকারের ঘনিষ্ঠ ৭১ টিভির ডিজিএম জামাল ভাই ছিল আমাদের বিএল কলেজের বড় ভাই সে এসপি হারুনের সাথে সরাসরি কথা বলেছিলেন কিন্তু সে কারও কথাই শোনেনি সবাইকে বলেছে আমার বিরুদ্ধে না কি অনেক আগে থেকেই তার কাছে অভিযোগ আছে। একপর্যায় আমার শ্বশুর তার সাথে তার অফিসে যেয়ে দেখা করে (যিনি সরকারি চাকুরির পদাধিকার বলে সেই সময় তার এসপি পদের চেয়ে উপরের গ্রেডে চাকুরীরত) তার সামনে ধমকের সুরে বলে ওঠে আমি সচিবও ভয় পাই না এবং ঔদ্ধত্যভাবে ফোন তুলে জয়দেবপুর থানার ওসিকে বলে দেয় এই বিষয়ে যে যাবে তাকেই গ্রেফতার করতে।
পরে পুলিশ আমাদেরকে বলে দেয় যে টাকা ছাড়া কোন সমাধান হবে না। এসপি সাহেব বলে দিয়েছে, এখানে ওনার কথা ছাড়া আমাদের কিছুই করার নাই।
সেইসময়কার জয়দেবপুর থানার ওসি তদন্তের একটা কথা আজও কানে বাজে। সব কিছু সেটেল হওয়ার পরে থানা পুলিশ আমাকে নিয়ে যেতে বলল কিছু কাগজে স্বাক্ষর এর ফরমালিটির জন্য তখন ওসি তদন্ত আমাকে দেখে বলে চেহারা দেখে তো মনে হয় ব্যবসা ভালই তা এত কম টাকা দিলেন কেন? আমি বললাম যে কোরবানির ঈদের আগে আমাদের সেল কম থাকে তাই আপনাদের চাহিদামত টাকা কই পাব।
ওনার সাবলিল উত্তর ছিলঃ
" টাকা তো আপনাকে ম্যানেজ করতে হইত না যদি আমরা আপনাকে ধরতেই পারতাম তখন ৩/৪ দিনের রিমান্ডে দিলে আপনার আর টাকা পয়সা নিয়া চিন্তা করতে হইত না, আপনার আত্মীয়স্বজন কোথা থেকে যে টাকা ম্যানেজ করত তা দেখতে পারতেন"
- Shibir Ahmed.

➡️এই ধরনের জুলুমের গল্প এ দেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে, আজ আমরা এই পুলিশদের বিচার করতে পারি না, এরা ঠিকই দেশ থেকে পালাইতে পারে...