জার্নিতে যাওয়ার সময় আমার এক সাহসী মামার সাথে ফোনে কথা বলতেছিলাম। ব্যারিস্টার সুমন নাকি গ্রেফতার হয়েছে... ইত্যাদি... পাশের জন আলাপ শুনে প্রশ্ন করল, দেশের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
ভদ্র লোক মনে হলো পয়সাওয়ালা মানুষ। বিমানে পাশাপাশি সিট, অফিসের কাজে সম্ভবত ঢাকার বাইরে যাচ্ছিলেন।
তিনি হতাশায় নিমজ্জিত, নতুন বাংলাদেশ মনে নিতে পারছেন না। বার বার বুঝাতে চেষ্টা করছিলেন, আগেই ভাল ছিল... তারপর বলা শুরু করলেন... .
আবু সাঈদ সন্ত্রাসী, শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী...
স্তম্ভিত হলাম যখন বললেন আর্মি যদি দুটা জায়গায় ব্রাশ ফায়ার করত, তাহলে সব ঠান্ডা হয়ে যেত... আজকের অবস্থা হতো না, আর্মিরা কথা শুনেনি...
সেই মানুষটি একজন বাবা, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার... উনার জন্য মায়া হচ্ছিল
উনার লেন্সে ইসলামপন্থীরা সবাই সন্ত্রাসী...অপরিচিত মানুষের সামনে ঘটঘট করে এসব বলেই যাচ্ছিলেন... থামানো যাচ্ছিল না...
উনাকে স্বাভাবিক করতে বুঝালাম, ভাই অন্যায়কে অন্যায় বলা উচিত। দিনশেষে তো আমাদের কবরেই যেতে হবে, তাই না?
আমার বাবা মারা গেছে, অনেক আত্নীয় মারা গেছে, যারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করতেন... এখন তাদের কথা কেউ কি মনে করে? ...
কবরে কিন্তু একা একা ফেস করতে হবে...তাবলীগের দাওয়াত দিলাম...
দেশে এমন লোক প্রচুর... আমার ধারণা ১০-১৫% হতে পারে.. যাদের বুলেট মারলেও মনের অবস্থা পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না...এরা বৃদ্ধ জেনারেশনের...
.... উনারা এখনো খুব আশাবাদী, পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসবেন, চরম প্রতিশোধ নিবেন......
লাস্টে বললাম, আপনার স্বপ্ন পূরণ হবে না... এ যুগের সন্তানরা আমাদের মত চিন্তা করে না...
তিনি এতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন যে বিমানের লোক এসে বললেন, ভাই একটু আস্তে... পিছনের সিটের মানুষ ঘুমাচ্ছে...
#sorowar_diary