Focused #130
কুরআন কেন পড়বেন?
===============
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বাণী প্রিয়নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে মানবজমিনে যে গ্রন্থের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন সেটা হলো "আল কুরআন"।
মহান আল্লাহর প্রেরিত এই সুমহান গ্রন্থই হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব। এর পর আর কোনো গ্রন্থ আসবে না। সেই করণে এটিই হলো লেটেস্ট এবং সর্বাধুনিক। অথচ আপনার আমার সময় হয় না কুরআন খুলে দেখার!
কত বড় গাফেল হলে এমনটা হয় ভেবে দেখেছেন কী? মহান আল্লাহ বলেছেন,
" এই কুরআন হেদায়েত, যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে।"
.
"আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি তোমাদের জন্য।"
.
"এই কোরআনে মনগড়া কোনো কথা নেই।"
.
"কুরআন হলো উপদেশ, যারা দৃঢ়ভাবে মেনে চলে।"
.
এরকম অসংখ্য আয়াত, উদাহরন, ঘটনা দিয়ে মহান আল্লাহ আমাদেরকে বুঝিয়েছেন এই কুরআন আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের বোধোদয় হয় না, ইচ্ছে করেই আমরা জীবন নামের গাড়ি থেকে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো হেলাফেলায় নষ্ট করি। কত সুন্দর হতো যদি আমরা কুরআনকেই আমাদের জীবনের চলার পথের সম্বল করতে পারতাম! হাদিসেও কুরআন পাঠের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। তেমনি একটা হাদিস চলুন জেনে নিই।
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি,
"তোমরা কুরআন পড়। কারণ কুরআন পাঠ কিয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশকারী হয়ে আসবে। তোমরা দু’ উজ্জ্বল সূরা আল বাকারাহ্ ও আ-লি ’ইমরান পড়বে। কেননা কিয়ামতের দিন এ সূরা দু’টি মেঘখণ্ড অথবা দু’টি সামিয়ানা অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে। এ দু’ সূরার পাঠকদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে। বিশেষ করে তোমরা সূরা আল বাকারাহ্ পড়বে। কারণ সূরা আল বাকারাহ্ পড়া বারাকাত আর তা না পড়া আক্ষেপ। এ সূরা দু’টি পড়তে পারবে না অলস বেকুবরা (সহীহ মুসলিম ৮০৪, শু‘আবূল ঈমান ১৮২৭, সহীহ ইবনু হিববান ১১৬, সহীহাহ্ ৩৯৯২)।
.
এ ছাড়াও অনেক হাদিস আছে যেখানে কুরআন পড়ার অসাধারণ সব ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সে সব বিষয় জেনে বেশি বেশি কুরআন পড়ার এবং অনুধাবন করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।