Message of Hidayah

@messageofhidayah313


আল্লাহ তা'য়ালা যার জন্য হিদায়াত কামনা করেন,
ইসলামের জন্য তার অন্তরকে খুলে দেন। [৬:১২৫]

Message of Hidayah

21 Jan, 00:26


আব্দুর রহমান আল-খুযাঈ (রহ.) বলেন, "যে পুরুষ একজন নেককার স্ত্রী পেয়েছে, সে ঐ রাজার মতো যার মাথায় সোনার তাজ রয়েছে।"

আর দুনিয়া তো (ক্ষণস্থায়ী) প্রয়োজন পূরণের। মানুষ দুনিয়াতে যা কিছু দ্বারা কল্যাণ ও উপকার লাভ করে, তার মধ্যে সালিহা-দ্বীনদার-নেককার স্ত্রীর চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। (ইবনে মাজাহ, ১৮৫৫)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:26


রাব্বি কল দেয়নি, বোনদের কলও ধরেনি; শহরে অলিগলি ঘুরে পরদিন বোনরা হাসপাতাল থেকে ভাইয়ের লাশ খুঁজে নিয়েছে। হাসিনা যখন পালাচ্ছে, মায়ের আদরে বড় করা ছোট ভাইয়ের লাশ তখন দুই বোন মেডিকেলের মর্গ থেকে কাঁধে করে ঘরে ফিরেছে। বেশ কয়েকবার ভেবেছি জিজ্ঞেস করব কিনা - ঐ মুহূর্তটা কেমন ছিল।

পরক্ষণে আবার ভাবলাম, এটা হবে অমানবিক। একজন শহীদের বোনকে বেদনাদায়ক স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার অন্তরে ক্ষত বাড়ানোর অধিকার আমার নাই।

দুইমাস আগেও রাব্বি ক্লাস করেছে সহপাঠীদের সাথে। আজ ঠিকই তার সহপাঠীরা ক্লাস করছে, হাসিতে খুশিতে সময় পার করছে, কিন্তু রাব্বি শুয়ে আছে মাটির নিচে।

রাব্বিরা শহীদ হয়ে আমাদের ঋণী করে গেল; দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা কী পারব তাদের খু-নের বিচার করতে?

মূল পোস্ট- Farid Uddin Rony

# বিচার_চাই
# স্বাধীনতা_২.০

Message of Hidayah

21 Jan, 00:26


মা বাসাবাড়িতে বাচ্চাদের আরবি শেখান; বাবা ভ্যানচালক। এসবের আয়ে চলে পরিবার। দুই বোনের টিউশনের টাকায় চলে ভাইয়ের পড়ালেখা।

৪আগষ্ট মা গেছেন বাচ্চাদের আরবি পড়াতে; বড়বোনও গেছেন টিউশনে; সিমেন্টের ছোট্ট ঘরে রডের তৈরি বাসার গেটের আঙটা ভেঙে আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে রাব্বি বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায় চানখারপুল আন্দোলনে।

দুপুর ২টার দিকে মা-বোন ঘরে ফিরে দেখেন দরজা খোলা, রাব্বি নাই। মোবাইলে কল দেয়, রিং বাজে কিন্তু রিসিভ হয় না। কয়েকবার কল দেওয়া শেষে মনে মনে ভেবে নেন, থাক প্রতিদিনের মতো রাত হলে আন্দোলন থেকে ঘরে ফিরে আসবে। রাত দশটা পার হয়ে যায়, রাব্বি আর ঘরে ফিরে না। দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় মা-বোনদের। আবারও বারবার কল দিতে থাকে, রিসিভ হয় না। পরে খোঁজ নিতে বের হয় ঘরের সবাই। সায়দাবাদ-যাত্রবাড়ি পুরো এলাকা তন্য তন্য করে খোঁজে কোথাও ভাইকে না পেয়ে মধ্যরাতে ফিরে যায় ঘরে। রাত পার হয় ভাইয়ের চিন্তায় নির্ঘুমে। তারপরও আশায় থাকে, হয়ত কোনো হাসপাতালে আহত অবস্থায় পরে আছে।

পরদিন একদম ভোরে দুই বোন বের হয়ে চলে আসে ঢাকা মেডিকেল। ঘন্টাখানেক ধরে ভাইকে খোজা-খুঁজি করেও দেখতে পায়না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন এখান থেকে বের হয়ে অন্য হাসপাতালে যাবেন। বের হতে যাবেন, এমন সময়
একজন বলেন, আপনারা মর্গে গিয়ে খোঁজে একটু দেখতে পারেন। ঐখানে অনেক লাশ আছে, হতে পারে সেখানে।

ঐ লোকের কথামতো মর্গে যান দুই বোন। মর্গে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি তাদেরকে মোবাইলে দুইটা ছবি দেখান। কিন্তু তারা চিহ্নিত করতে পারেন নাই ভাইকে। রাব্বির বড়বোন মীম ঐ সময়ের বর্ণনা ঠিক এভাবে দিছেন, ঐ দুইটা ছবি দেখে আমি আর সাহস পায়নি দেখার। এতো ভয়ংকর অবস্থা ছিল ছেলেগুলোর। যেকেউ আতকে উঠবে। আমি সরে দাঁড়াই, পরে আমার বোন উনার ফোনে একে একে সবগুলো ছবি দেখতে থাকে। হটাৎ করে একটা ছবিতে দেখে আমার রাব্বি (বড় বোনকে রাব্বি সবসময় বলতো তুই আমার মা। বোনও তাকে আদর করে ডাকতো আমার রাব্বি)। আমি বিশ্বাস করি নাই। লাশের কাছে গিয়ে দেখি স্ট্রেচারে আমার রাব্বির নিথর দেহ। গায়ের চাদরটা সরিয়ে দেখি রক্তাক্ত। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি ঢুকে পেছনের দিক দিয়ে বের হয়। স্ট্রেচারে তার মগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ঠিক ঐ মুহূর্তে মনে হল আমার কলিজাটা ফেটে গেল!

দুই বোনের কান্নায় মর্গের সামনে মানুষের ভীড়-জমে যায়। লাশ নিতে গিয়ে শুরু হয় নানা বিপত্তি। মেডিকেল কতৃপক্ষ বলে, এই লাশ জিগাতলা থেকে পুলিশ পাঠিয়েছে। ধানমন্ডি থানার পুলিশ নিয়ে আসেন, নাহয় লাশ পাবেন না। আমরা পুলিশের অনুমতি ছাড়া লাশ দিতে পারব না।

দুই বোন তাদের ভাইয়ের লাশ ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে, ছোট মামা যান ধানমন্ডি থানায় অনুমতি আনতে। পুলিশের কাছে গেলে তার মামার সাথে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। বলে, যান তো। এসবের এখন সময় নাই। কোত্থেকে আসছে!

শেষ পর্যন্ত মামা ফিরে আসেন ঢাকা মেডিকেলে। কিন্তু তারা কোনো কথাই শুনবে না। পুলিশের গ্রিণ সিগন্যাল ছাড়া লাশ দেওয়া হবে না। হাসপাতালে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে জেরাজেরি চলে বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত। এরপর ছাত্র ভাইদের সহযোগীতায় বিকালে লাশ বুঝে পান বোনরা। কিন্তু মেডিকেল কোনো ডেটথ সার্টিফিকেট দেবে না। শেষ পর্যন্ত ৭নং ওয়াড থেকে নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ফটোকপি করা একটা কাগজ ধরিয়ে দেয়। সেখানে উল্লেখ করা নাই gu'লিতে মৃত্যুর কথা।

দুই বোন ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে মেডিকেল গেইট থেকে মিছিল নিয়ে বের হন এই স্লোগান দিতে দিতে - আমার ভাই মরল কেন, খু-নি হা-সি-না-র বিচার চাই ...আশপাশে থাকা মানুষজনও তাদের সাথে মিছিলে যোগ দেয়।

( আমি ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের কয়েক সেকেন্ডের একটা ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষণ করে রেখেছি। দুই বোনের সাহসী এ মুহূর্তটি আগামীতে আমাদের পাথেয়। এ দৃশ্য যতবার দেখব, ততবার কাঁদব, আবার সাহস খুঁজে পাব। )

ঐ রাতেই রাব্বিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। সেখানে রাত দশটায় পর তাকে দাফন করা হয়।

রাব্বির পুরো নাম ইসমাঈল হোসেন রাব্বি। শরিয়তপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ার ইলেকট্রনিকস-এ ২য় সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। বোনদের টিউশনের টাকায় চলতো তার পড়ালেখার খরচ।

কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই রাব্বি প্রতিদিন রাস্তায় নেমেছে। এই কারণে বোনরা ১৭ জুলাই তাকে শরিয়তপুর থেকে ঢাকা সায়দাবাদে তাদের কাছে নিয়ে আসে। ঢাকায় আসার পরও রাব্বি বোনদের ফাঁকি দিয়ে আন্দোলনে চলে যেত। ১৯জুলাই রাবার bu'লেটের আঘাতে বুকে ক্ষত নিয়ে ঘরে ফিরলে বোনদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

‘তুই আর ঘর থেকে বাইর হইতি পারবি না।’

কিন্তু রাব্বিকে আটকিয়ে রাখা যায় না। মা-বোন ঘর থেকে টিউশন করাতে বের হলেই, সে-ও বের বের হয়ে যেত।

সর্বশেষ ৩আগষ্ট রাতে বড় বোন মীমের সাথে বাড়াবাড়ি হয় রাব্বির। রাব্বি বোনকে বলে, তোরা আমারে নিয়ে এতো চিন্তা করিস না। মরলে কী হইবে, দেশের জন্যই ত মরব! আবু সাঈদ, মুগ্ধরা মরে নাই! আমি বাইর হইলে তোরা কল দিছ না। তোদের কল দিব না। আমার কিছু হইলে খুঁজে নিছ তোরা।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:26


সারাদিন পেপার, পত্রিকা, ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, ইমো, হোয়াটসএপ, ভাইবার, ইনস্টাগ্রাম, বিকেলে-সন্ধ্যায় পাঠ্যবই, রাতে আবার অনলাইন, অথচ তাকের ওপর কুরআনখানা ধূলোমলিন। পরিত্যক্ত! কাঁদছে মাসের পর মাস! কেউ ছুঁয়েও দেখছে না। কীভাবে বরকত আসবে? কী লাভ এই জ্ঞানসাধনায়?

বইঃ আই লাভ কুরআন

Message of Hidayah

21 Jan, 00:25


কেমন জীবন চাই?

:সাহাবীদের মতো...

যাদের দিনটা আবর্তিত হতো নবীজি ﷺ কে ঘিরে, আল্লাহর সন্তুষ্টিই ছিল যাদের মূল উদ্দেশ্য।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:24


মৃত্যু তো মুমিনের জন্য কারাগার থেকে মুক্তির মতো-দুনিয়া আমাদের কারাগার। মৃত্যু, সে তো জীবনের চেয়েও আপন।

উমায়ের ইবনু হুমাম রা. খেজুর খেতে খেতে বলছেন, 'এই খেজুরগুলো শেষ করা অবধি যদি অপেক্ষা করতে হয়, তবে সেটা তো দীর্ঘ জীবন হয়ে গেলো।' খেজুর ফেলে তরবারি তুলে নিলেন, এরপর শহিদ হয়ে গেলেন। মৃত্যু আকাঙ্ক্ষিত, মৃত্যু তাদের আগ্রহের জিনিস, মৃত্যুর অপর নাম ভালোবাসা। খালিদ (রা.) বলছেন পারস্য সাম্রাজ্যের হিরা শহরের গভর্নরকে, কাবিসা ইসলাম কবুল করলে আমরা আর তোমরা সমান নয়তো জিযিয়া দিতে হবে। আর জিযিয়াও দিতে অস্বীকার করলে শোনো আমার সাথে এমন এক বাহিনী আছে, যাঁরা মৃত্যুকে ভালোবাসে; তোমরা যেমন জীবনকে ভালোবাসো, তার চেয়েও বেশি তারা মৃত্যুকে ভালোবাসে।

বইঃ কুররাতু আইয়ুন ২

Message of Hidayah

21 Jan, 00:22


বেশ কিছুদিন আগেই খেয়াল করলাম আমার ব্রেইন আসলে আমার বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করার পুনরায় একটু পর্যবেক্ষণ করলাম। দেখলাম, কাহিনী সত্য।

যখন বিদ্যুৎ থাকে না, তখন ফ্যান বন্ধ থাকলেই গরম লাগে। এজন্য বিদ্যুৎ আসার পরেও অনেকক্ষণ ফ্যান বন্ধ রেখে কিংবা সাধারণভাবেই অলসতা করে ফ্যান না চালিয়ে আধাঘণ্টাও দেখলাম, তখন আবার এভাবে গরম লাগে না। বিদ্যুৎ আছে, চাইলেই ফ্যান ছাড়তে পারব এই মাইন্ডসেটই যেন নির্ধারণ করছে যে আমার এখন গরম লাগবে না।

এভাবেই দুর্বল ঈমানদার ব্যক্তির ব্রেইনও তার বিরুদ্ধে কাজ করে। আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা না থাকার কারণে তার মাইন্ডসেট এমন থাকে যে, বিপদ এড়ানোর ক্ষমতা তার নেই। তাই বিপদে পড়লে সে নিজেকে উদ্ধার করতে পারবে না ভেবে আরো দুর্বল হয়।

অপরদিকে তকদিরের প্রতি বিশ্বাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যার ঈমানের জোর বেশি, সে প্রতিকূল পরিবেশেও শান্ত থাকে এটা ভেবে যে আল্লাহ চাইলেই তাকে সাহায্য করবেন। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা তাকে বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। তার ব্রেইন তাকে ধোঁকা দিতে পারে না।

এজন্যই বিশ্বাসীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম, এথিস্টদের মধ্যে বেশি। এজন্যই ঈমানের নেয়ামত পেয়ে আপনি একবার আলহামদুলিল্লাহ পড়তেই পারেন।

~Mayraj Hossain

Message of Hidayah

21 Jan, 00:22


৯০ বছর ধরে উম্মাহ সালাহুদ্দীনের অপেক্ষায়। সালাহুদ্দীন এসে জীবনের শেষবিন্দু দিয়ে, লাঠি হাতে লড়ে শহীদ হয়ে গেলেন। উম্মাহ তখন ঘুমিয়ে।

~শাইখ আতিক উল্লাহ (হাফি)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:21


সিনওয়ারের শাহাদার পর শাইখ আলী সাল্লাবী যেভাবে মূল্যায়ন করলেন-
.
জায়েদ বিন হারেসা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।
তারপর জাফর বিন আবি তালিব নেতৃত্ব নিলেন, তিনিও শহীদ হয়ে গেলেন। এবার আব্দুল্লাহ বিন রওয়াহা , তিনিও শহীদ হয়ে গেলেন।
.
শেষমেশ খালিদ আসলেন এবং বিজয় করলেন।
.
আল্লাহর তরবারী খালিদের আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র ইন আল্লাহ্।
আল্লাহ্ খালিদের আগমন ত্বরান্বিত করুন।
আমিন
.
রদ্বিইয়াল্ল-হু 'আনহুম।
রহিমাহুমুল্ল-হ্।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:21


' ইয়াহিয়া সিনওয়ার ' একজন শের ছিলেন। যিনি মৃত্যুর আগেও চেয়ারে বসে ইজ্রিয়েলের ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করেছিলেন!

তারা ভেবেছে, তিনি হাত জোর করে জীবন ভিক্ষা চাইবেন! কিন্তু তিনি ভয় নয় জীবনের শেষ মুহুর্তে এসেও লাঠি দিয়ে মানবতাবিরোধী-দের প্রতি ঘৃণা রাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ইতিহাস তাকে স্মরণ করবে একজন বীর যোদ্ধা হিসেবে। যে বীর কখনোও শত্রুর কাছে মাথা নত করেন নি কিংবা জীবন ভিক্ষা চান নি।

একজন লিডার হয়েও ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ করে গিয়েছেন। তার জীবনের শেষেও এটি মুসলিম বিশ্বের প্রতি বার্তা ছিলো ফিলিস্তিনি মায়েরা বীর যোদ্ধা জন্ম দেয় কাপুরষ নয়।

লেখাঃ BCF

Message of Hidayah

21 Jan, 00:20


রাসূল ﷺ আপনার জন্য কেঁদেছেন, আপনাকে মিস করেছেন আপনি এই দুনিয়াতে আসার আগেই। আপনি কখনো প্রিয় নবিকে মিস করেছেন? কেঁদেছেন কখনো? যে নবি আপনার জন্য প্রতি ওয়াক্ত সালাতে দুআ করতেন সেই নবির নামে আবেগে আপ্লুত হয়ে দরুদ পড়েছেন কোনো দিন? ভালোবেসে কোনো দিন তাঁর একটা সুন্নাহ পালন করেছেন?

Message of Hidayah

21 Jan, 00:20


ইয়াহিয়া আজ বা কাল বিদায় নিবেন। আবু উবাইদাও বিদায় নিবেন এটাই সত্য। কিতাল কেউ বেঁচে থাকার জন্য বুকে টেনে নেয় না। পার্থক্য এটাই যে তারা সফল আর আমরা মুনাফিক।

~সাইদুল মোস্তফা (হাফি)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:20


সিনওয়াররা কেবল লড়ে না, নেতৃত্ব দেয়না। লড়াকু ও নেতাও তৈরি করে তাই আফসোসের কিছুই নেই ফিলিস্তিনের প্রান্তে। শীঘ্রই আরো দোর্দন্ড প্রতাপ নিয়ে আগামীর সিনওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এতদিনে এটুকু তো অন্তত বিশ্ববাসীর কাছে পরিস্কার- ফিলিস্তিনরা দৃশ্যত আগ বাড়িয়ে যতবার আঘাত হানবে, মনে রাখতে হবে সেই অধিকার তাদের আছে।

রহিমাহুল্লাহু রহমাতান ওয়াসিয়া

Message of Hidayah

21 Jan, 00:16


যে জাতির শিশুরা লাশের স্তূপে জন্ম নেয়, জন্মের পর যাদের নাকে মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ নয়; বরং বারুদের গন্ধ যায়, যারা জন্মের পর মায়ের আদরের বদলে পায় তাজা রক্তের স্বাদ, তাদেরকে অন্তত মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ধ্বংস করা যাবে না।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:15


আবু আব্দিল্লাহ আল-ফাসী (রহ.) বলেন, "পূর্বসূরী ইমাম ও নেককার মানুষরা তাদের সকাল শুরু করতেন কুরআনের দিকে তাকানোর মাধ্যমে।"(১)

ফজরের পর প্রতিদিন ১৫ মিনিট কুরআন পড়ুন। দেখবেন, নিজেকে বেশ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত মনে হবে। আপনি যত বেশি এ অভ্যাস চালিয়ে যাবেন, তত বেশি এটি আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।(২)

.....
১) আল-মিনাহুল বাদিয়া।
২) বইঃ মুসলিম মাইন্ডসেট।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:12


এক ভাইয়ের সাথে কথোপকথনের অংশ থেকে —

: ভাই, আজকে প্রচুর রাগ আসছে একজনের উপর।

: যে তোমাকে রাগিয়ে দিয়েছে, তার সামনে নিজের রাগকে প্রকাশ না করে - তাকে ১০৳/২০৳/সামর্থ্য অনুযায়ী হাদিয়া দিতে পারো। এছাড়াও, শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে পারো জাযাকাল্লাহু খইরন বলে/দুআ করতে পারো তার জন্যে।

: কিন্তু কেন করব এমনটা?

: কেননা সে তোমাকে জান্নাতী হুর পাওয়ার সুযোগ করে দিলো।

: কী? কীভাবে?

: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংযত থাকে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে সৃষ্টিকুলের মধ্য থেকে ডেকে নিবেন এবং তাকে হুরদের মধ্য হতে তার পছন্দমত যে কোন একজনকে বেছে নিতে বলবেন’
[আবু দাঊদ ৪৭৭৭; ইবনু মাজাহ ৪১৮৬; মিশকাত ৫০৮৮]

: সুবহানাল্লাহ। বিশাল নিয়ামত তো...

: অবশ্যই। কিছু তো তাকে হাদিয়া দেওয়াই যায় এত বিশাল এক নিয়ামতপ্রাপ্তির খুশিতে? কী তাইনা?

©Mashwara Official

Message of Hidayah

21 Jan, 00:11


-ইবাদতে স্বাদ পাচ্ছি না।
-সালাতে মন বসছে না, জিকিরে ঠিকভাবে আল্লাহকে স্মরণ হচ্ছে না।
এসব সমস্যার কারণ কি জানেন?

এর একটি প্রধান কারণ হলো নজরের খেয়ানত অর্থাৎ চোখের গুনাহ করা। ইবাদতে মন বসবে কিভাবে? আল্লাহর স্মরণ যার মনে থাকবে, তার ক্বলব হবে পবিত্র। আমরা তো গুনাহ করতে করতে ক্বলবটা ময়লা করে ফেলেছি। এমন ময়লা ক্বলবে আর যা-ই হোক, আল্লাহর স্মরণ হবে না, নবিজি ﷺ এর প্রতি ভালোবাসা আসবে না, সাহাবা রাদিআল্লাহু আনহুম এর মতো ঈমানি নূর থাকবে না। কাজেই আমাদের অবশ্যই নিজেদের ক্বলব পরিষ্কার করতে হবে। যেন ইবাদতের স্বাদের মতো পবিত্র অনুভূতি আমরা অনুভব করতে পারি।

ক্বলব পবিত্র করতে হলে আমাদের গুনাহ ছাড়তে হবে। গুনাহ ছাড়তে হলে সবার আগে আমাদের দৃষ্টির হেফাজত করতে হবে। নজরের গুনাহ এতটাই ভয়ানক যা প্রতিমুহূর্তে ঈমানের নূরকে কমিয়ে দিতে থাকে এবং এভাবে চলতে থাকলে এক পর্যায়ে এটি সম্পূর্ণ নূরকে নিভিয়ে দিতে সক্ষম হয়। একজন ব্যক্তিকে ঈমানহারা করতে চোখের গুনাহ-ই যথেষ্ট।

আল্লাহ ﷻ পবিত্র কুরআনে লজ্জাস্থান হিফাজতের আগে নজরের হিফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। [১]
কেননা, চোখের গুনাহ থেকেই বেশিরভাগ গুনাহের উৎপত্তি হয়। একজন ব্যক্তি যদি তার নজরের হেফাজত করতে পারে তাহলে সে বেশিরভাগ গুনাহ থেকেই বেঁচে থাকতে পারবে।

ঘরে-বাইরে, অফলাইনে কিংবা অনলাইনে, প্রতিক্ষেত্রে আল্লাহ তা'আলা আমাদের নজরের হিফাজত করার তাওফিক দিন, আমাদের ক্বলব ঈমানের নূরে নূরান্বিত করে দিন।

তথ্যসূত্রঃ
[১] সূরা নূর, ৩০

Message of Hidayah

21 Jan, 00:10


"যে ব্যক্তি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার জন্য দশটি পাপ মোচন করেন এবং জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।"  (ইবনে মাজাহ, ৮৫২)

اللهم صل وسلم على نبينا محمد

আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম আ'লা নাব্যীয়িনা মুহাম্মাদ।

Message of Hidayah

21 Jan, 00:09


অনেক গুনাহ?
হতাশ হবেন না।

আল্লাহ ﷻ বলেন, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।

(সূরা আয-যুমার: ৫৩)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:09


হিদায়াহ অনেক দামি জিনিস সবাই পায় না। যারা পায়, তারাও সবাই ধরে রাখতে পারে না।

খুব ভয় পাওয়া উচিত। প্রচন্ড রকম বিনয়ী হওয়া উচিত। মাথানত করে সিজদাহ'য় পড়ে কাঁদা উচিত। দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে নিলেও, আল্লাহ যেন হিদায়াহ টা কেড়ে না নেন।

~ ইরফান সাদিক (হাফি)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:06


উক্তিগুলো এতই সুন্দর পড়লে আপনারও ভাল লাগবে ইনশাআল্লাহ..।

১/ আপনার জীবনের জন্য আপনার পরিকল্পনার
থেকে আল্লাহর পরিকল্পনাই উত্তম।
.
২/ যেখানে আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা
করছেন, সেখানে চিন্তিত হওয়ার কোন মানে হয়
না। প্রয়োজন শুধু একটু ধৈর্যধারণ করা।
.
৩/ আপনি কি মনে করছেন এমন কেউ নেই
যাকে আপনার ব্যক্তিগত কথা ও দুশ্চিন্তাগুলো
শেয়ার করবেন? তাহলে আপনি শ্রেষ্ঠ
শ্রবণকারীর আল্লাহ্
তা'আলাকেই ভুলে গেছেন।
.
৪/আপনি যা ই করেন না কেন এই দুনিয়ার মানুষদের
সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। তাই দুনিয়ার সকল
মানুষদের খুশি করার মিথ্যা আশা ছেড়ে তাদের
সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করতে চেষ্টা করুন।
.
৫/ ফর্সা আর সৌন্দর্য কখনোই এক কথা নয়। ফর্সা
কেবল চামড়ার মধ্যে ফুটে উঠলেও সৌন্দর্য ফুটে
উঠতে প্রয়োজন আল্লাহর আনুগত্য ও উত্তম
চরিত্র।
.
৬/ আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত প্রতিটা বিষয়ই আপনার প্রতি সুবিচার। প্রয়োজন শুধু আপনাকে তাঁর
প্রতি আস্থাশীল ও নির্ভরশীল হওয়া এবং তাঁরই উপর
ভরসা করা।
.
৭/ আপনি যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবেন,
আপনার পক্ষে ধৈর্যধারণ ততোবেশি সহজ হবে।'
.
৮/ একাকীত্ব সবসময়ই একটু বিরক্তিকর মনে হয় ।
তবে যে তাঁর প্রভুর (আল্লাহর) আনুগত্য করে
সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।

৯/ মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণের চেয়ে মুসলিম
হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পারাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
.
১০/ এমন কাউকে ভালোবাসা উচিত নয় যে
আল্লাহকেই ভালোবাসতে জানেননা।

১১/ আমরা অনেক সময় ধরে কোন মানুষকে
প্রভাবিত
করেও তার খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি,
অথচ
আমরা এমন এক সত্তাকে (আল্লাহকে) ভুলে থাকি
যে
কিনা সবসময়ই আমাদের প্রতি দৃষ্টি রাখেন।
.
১২/ সবচেয়ে কষ্টসাধ্য বিষয় হলো আল্লাহর
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কিছু বর্জন করা যা আপনি
ভালোবাসেন। তবে মনে রাখবেন আল্লাহ
সবসময়ই কোন কিছুর পরিবর্তে এর চেয়ে
উত্তম কিছু দিয়ে থাকেন।

১৩/ এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে
আল্লাহর
কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
.
১৪/ যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য
পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার
কোন যুক্তি নেই।
.
১৫/ যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা
করে
না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে
বুঝেন।
.
১৬/ নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে
প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।

~Mufti Shahidur Rahman Mahmudabadi

Message of Hidayah

21 Jan, 00:05


তুফানুল আকসা'র এক বছর পূর্ণ হল। অচিরেই আকসার প্রাঙ্গন আমাদের জন্য উন্মুক্ত হবে। কুকুর বেড়ালের বাহিনী কচুকাটা হয়ে পালাবে ইনশাআল্লাহ।

"আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়, আর মুমিনদের সুসংবাদ দাও।" (৬১:১৩)

Message of Hidayah

21 Jan, 00:05


ভয়, সংশয়, আতঙ্ক, অসহায়ত্ব, ইত্যাদি! 💔

2,616

subscribers

343

photos

29

videos