Focused

@banglafocused


Focused

22 Oct, 15:51


Focused #146

কথা বলুন স্পষ্ট করে
===============
স্পষ্ট করে কথা বলা একটা আর্ট। সবাই এটা রপ্ত করতে পারে না সহজেই। যিনি বলেন তিনিও দেখবেন এটা হঠাৎ করে এমনিতেই অর্জন করেননি। বার বার চেষ্টা করে, বেশি বেশি পড়াশোনার মাধ্যমে শব্দভাণ্ডার উন্নত হয় যা স্পষ্ট করে কথা বলার অন্যতম একটি উপায়। প্রতিদিনই আমাদেরকে কতশত কথা বলতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। কথা বলার ক্ষেত্রে আপনি যদি স্পষ্টভাষী হন তবে সেটা শুনতেও যেমন ভালো লাগে তেমনি শ্রোতারাও আপনার কথা গুলো বুঝতে পারেন খুব সহজেই।
মহা গ্রন্থ আল কুরআন এ এমনই একটা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেন সুন্দর করে কথা বলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দুআ।
স্পষ্টভাবে কথা বলার জন্য এই প্রার্থনা বা দুআ যা মূসা (আ.) আল্লাহর কাছে করেছিলেন। কারণ তার কথা বলার ক্ষেত্রে জড়তা ছিল। দুআ টি কুরআনের সূরা ত্বহা-তে (২০:২৫-২৮) উল্লেখ করা হয়েছে। দুআ টি হলো:

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي (رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي)
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي (وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي)
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي (وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي)
يَفْقَهُوا قَوْلِي (يَفْقَهُوا قَوْلِي)

উচ্চারণ:
"রাব্বি শ্‌রাহ্‌ লি সাদরী, ওয়া ইয়াস্‌সির্‌ লি আম্‌রী, ওয়াহ্‌লুল উক্‌দাতাম্‌ মিল্‌ লিসানী, ইয়াফ্‌কাহূ কাওলী।"

অর্থ:
"হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন, এবং আমার জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।"

কোন কোন সময় করতে পারবেন এই দুআ?=============================
যেকোনো সময়ই করতে পারেন। সেটা হতে পারে
১. আপনি কাউকে কোনো কথা বোঝাতে চাচ্ছেন সুন্দর করে কিছু প্রতিবন্ধকতা কাজ করছে মনে যে পারবেন কি না সেই মুহূর্তে এই দুআ করতে পারেন।
২. কোনো প্রেজেন্টেশন আছে কিন্তু ভয় লাগছে খুব! এমন অবস্থায় করতে পারেন এই দুআ।
৩. চাকরির ইন্টারভিউ এর আগে বুক ধড়ফড় করা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এই ধড়ফড়ানি কমিয়ে ফেলুন দুআ টি অনবরত পাঠের মাধ্যমে!
৪. আপনি শিক্ষক, ক্লাস নিবেন, কোনো বিষয় নিজে বোঝেন কিন্তু আপনার স্টুডেন্টরা বুঝতে পারছে না হয়তো বিষয়টার জটিলতার কারণে, এমন অবস্থায় দুআ টি করতে পারেন।
৫. কাউকে কথার মাধ্যমে কনভিন্স করা প্রয়োজন কিন্তু মনে ভয় অথবা পেরেশানি কাজ করছে; এমন অবস্থায় করতে পারেন এই দুআ।
৬. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কুরআন তিলাওয়াতের আগে এই দুআ করে কুরআন পড়তে শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ পড়া সহজ হয়ে যাবে।

মূলত এই দুআটি স্পষ্টভাবে কথা বলার জন্য এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বক্তব্য প্রকাশ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। তাই নিজে মুখস্ত করুন আর অন্যকেও উৎসাহিত করুন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে দুআ টি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

Focused

21 Oct, 09:45


Focused #145

মুসলিম জীবনে প্রয়োজনীয় কিছু হালাল ব্যবসা
==============================
মুসলিম জীবনে হালাল ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইসলামের নিয়ম মেনে জীবিকা নির্বাহের একটি পবিত্র উপায়। কিছু প্রয়োজনীয় হালাল ব্যবসার উদাহরণ হলো:

1. কৃষি ও পশুপালন: খাদ্য উৎপাদন যেমন শস্য, ফলমূল চাষ এবং হালাল পশুপালন (যেমন গরু, ছাগল ইত্যাদি) একটি পবিত্র ও হালাল পেশা।

2. খাদ্য ব্যবসা: হালাল খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত ও বিক্রয়, যেমন হালাল মাংস, দুধ, মাছ, এবং অন্যান্য খাবার সরবরাহ একটি প্রচলিত ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা।

3. কাপড় ও পোশাক ব্যবসা: ইসলামী পোশাক যেমন জুব্বা, বোরকা, স্কার্ফ ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রি করা একটি জনপ্রিয় হালাল ব্যবসা।

4. প্রযুক্তি ও ই-কমার্স: তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ই-কমার্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং হালাল ক্ষেত্র।

5. পুস্তক ও প্রকাশনা: ইসলামী বই, পুস্তক, পবিত্র কোরআন শরিফ বিক্রি এবং ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কিত ব্যবসা।

6. সেবা খাত: হালাল সেবা প্রদান যেমন আইনি পরামর্শ, ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং পরামর্শ, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা, এবং স্বাস্থ্যসেবা।

7. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইসলামী নীতি ও মূল্যবোধে ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে ধর্মীয় এবং সাধারণ শিক্ষা একসাথে প্রদান করা হয়।


এইসব ব্যবসাগুলি শুধু হালাল নয়, বরং মুসলিমদের জন্য আখিরাতেও সওয়াব অর্জনের মাধ্যম হতে পারে, যদি সঠিক নিয়ত এবং পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

Focused

14 Oct, 00:56


Focused #144

হতে চাই 'মুস্তাজাবুদ দাওয়া'!
====================
মুস্তাজাবুদ দাওয়া (مستجاب الدعوة) অর্থ হলো সেই দোয়া, যা আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। ইসলামিক পরিভাষায়, কিছু সময়, পরিস্থিতি বা ব্যক্তিদের জন্য দোয়া বিশেষভাবে আল্লাহর নিকট কবুল হয়।

কিছু সময় ও অবস্থা যেখানে দোয়া মুস্তাজাব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ইসলামি শিক্ষায় উল্লেখ রয়েছে:

1. তাহাজ্জুদের সময়: রাতের শেষ অংশে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য করা দোয়া।
2. জুমার দিন: বিশেষ করে আসরের পরের সময়ে দোয়া।
3. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
4. রোযাদারের ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত।
5. দীনের জন্য কষ্টের মুহূর্তে দোয়া।

কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে:

1. মা-বাবার দোয়া।
2. মযলুমের দোয়া।
3. নিরীহ মুসাফিরের দোয়া।

মুস্তাজাবুদ দাওয়ার মর্যাদা অর্জনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট আমল ও দিকনির্দেশনা কুরআন ও হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে, যা নিম্নে রেফারেন্সসহ উল্লেখ করা হলো:

১. সৎকাজ ও আল্লাহর আনুগত্যে অটল থাকা:

আল্লাহ তাআলা বলেন:
>> “আর তোমরা যে কল্যাণই কর, আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা আল-বাকারা, ২:১৯৭)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দার দোয়া কবুল করেন, যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে (অর্থাৎ দোয়া কবুলের জন্য অস্থিরতা প্রকাশ না করা)।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৭৩৫)

২. নিয়মিত ইবাদত করা:
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আপনার জন্য ফরজ করা হয়েছে, কোনো রকম অজুহাত ছাড়াই নামাজ আদায় করতে হবে নিয়মিত। এ ছাড়া এশরাকের নামাজ ও তাহাজ্জুদ সালাত আদায়েরও অভ্যাস করতে হবে।

কুরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন:

>> “আর আপনি রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়ুন, এটি আপনার জন্য অতিরিক্ত ইবাদত। আশা করা যায়, আপনার রব আপনাকে প্রশংসিত অবস্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।” (সূরা আল-ইসরা, ১৭:৭৯)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, "রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব; কে আমার কাছে কিছু প্রার্থনা করবে, আমি তাকে তা দেব।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১১৪৫)

৩. অহংকার ও রিয়ার থেকে মুক্ত থাকা:

হাদিসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি নিজেকে অন্যদের থেকে উত্তম ভাবে, তার মধ্যে কণামাত্র অহংকার থাকলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৯১)

৪. দু'আর মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে যে তিনি কবুল করবেনই।” (তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৭৯)

৫. হালাল রিযিক উপার্জন করা:

হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “হালাল রিজিক উপার্জন করা হলো প্রত্যেক মুমিনের জন্য একটি ফরজ কাজ।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১০১৫)

আরও বলা হয়েছে: “হারাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা দোয়া কবুলে অন্যতম শর্ত।” (মুসলিম, হাদিস নং ১০১৫)

৬. অন্যদের সাথে ভাল আচরণ করা ও তাদের হক আদায় করা:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “মুসলিম হলো সে ব্যক্তি যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ১০)

মায়ের সাথে উত্তম আচরণের মাধ্যমেও মায়ের দোয়া পাওয়া যায়।একদা মু‘আবিয়াহ বিন জাহিমাহ আস-সুলামী রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন,

‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কামনা করছি। উত্তরে তিনি বলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাঁর খিদমতে লেগে থাক। কেননা জান্নাত তাঁর দু‘পায়ের নিচে
(নাসাঈ, হা/৩১০৪; সনদ হাসান)।

৭. মাযলুম ও মুসাফিরের দোয়া প্রার্থনা করা:

হাদিসে বলা হয়েছে, “মাযলুমের (অত্যাচারিত ব্যক্তির) দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (তিরমিজি, হাদিস নং ১৯০৫)

এই রেফারেন্সগুলো ইসলামের বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে নেওয়া হয়েছে, যা আল্লাহর নৈকট্য লাভে এবং দোয়া কবুলের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

তাই আসুন, আমরা মহান আল্লাহর পছন্দের কাজগুলো বেশি বেশি করার মাধ্যমে 'মুস্তাজাবুদ দাওয়া' এর মতো মর্যাদাবান হওয়ার চেষ্টা করি। নিশ্চয়ই মহান রব আমাদের চেষ্টা করা দেখেন।

Focused

13 Oct, 08:48


Focused #143

জান্নাতে যাওয়ার ২০টি আমল
======================
জান্নাতে যাওয়ার জন্য অসংখ্য কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্স পাওয়া যায়।কিছু হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রতিটি হাদিসের রেফারেন্সসহ দেয়া হলো:

১. শহীদ হওয়ার মর্যাদা
হাদিস: "যারা আল্লাহর পথে মারা যাবে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 2810]


২. নামাজের গুরুত্ব
হাদিস: "যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্ভুলভাবে আদায় করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 635]


৩. জাকাত দেয়ার প্রতি উৎসাহ
হাদিস: "যে ব্যক্তি তার ধনসম্পদের জাকাত আদায় করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 985]


৪. সৎকর্ম করার মর্যাদা
হাদিস: "যে ব্যক্তি একজন মুসলিম ভাইয়ের সাথে ভাল ব্যবহার করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2564]


৫. রোজার মর্যাদা
হাদিস: "যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1151]


৬. সদকা ও দানের পুরস্কার
হাদিস: "যে ব্যক্তি একটি খেজুরের পরিমাণ সদকা দেয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1016]


৭. ভাল কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি ভাল কাজের দিকে মানুষকে উৎসাহিত করবে, সে তাদের সঙ্গী হবে জান্নাতে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 189]


৮. কুরআন পড়া
হাদিস: "কুরআন পড়া জান্নাতের মধ্যে আপনাকে উচ্চ মর্যাদা দেবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 5010]


৯. মরহুমদের জন্য দোয়া করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি তার মৃতদের জন্য দোয়া করে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 979]


১০. আল্লাহর জন্য ভালবাসা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালোবাসে এবং বিদ্বেষ পোষণ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2565]


১১. অন্যদের ক্ষমা করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি অন্যের ভুল ক্ষমা করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।"
রেফারেন্স: [সুনান আবু দাউদ 4860]


১২. পিতা-মাতার সেবা
হাদিস: "যে ব্যক্তি পিতা-মাতার প্রতি ভালো আচরণ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 5971]


১৩. নেক কর্ম করার উদ্দেশ্য
হাদিস: "আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে যারা নেক কাজ করে, তাদের জন্য জান্নাতের সাফরকারী।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 2710]


১৪. দরিদ্রদের সাহায্য
হাদিস: "যে ব্যক্তি দরিদ্রদের সাহায্য করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 1054]


১৫. পরহেজগারি
হাদিস: "যে ব্যক্তি পরহেজগারি অবলম্বন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 19]


১৬. প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সুনান ইবনে মাজাহ 4243]


১৭. সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ বুখারী 6820]


১৮. পরস্পর সহযোগিতা
হাদিস: "যে ব্যক্তি অন্যদের সহযোগিতা করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 217]


১৯. মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সুনান আবু দাউদ 4890]


২০. আল্লাহর পথে চেষ্টা করা
হাদিস: "যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে চেষ্টা করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
রেফারেন্স: [সহীহ মুসলিম 125]


এই হাদিস গুলো ছাড়াও অসংখ্য রেফারেন্স আছে জান্নাতে যাওয়ার। আসুন আমরা আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করি আমাদের জন্য সহজসাধ্য আমলগুলো নিয়মিত করার। মহান আল্লাহ আমাদের প্রচেষ্টা গুলোকে বিবেচনা করে নিয়ে সেই চিরকাল থাকার জায়গা জান্নাতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করে নিন।
আমিন।

Focused

11 Oct, 00:34


Focused #142

মন্দ ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দুআ
===============
মন্দ ভাগ্য থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আয়াত রয়েছে, যা প্রমাণিত হাদিস ও কুরআন থেকে নেওয়া হয়েছে:

১. মন্দ ভাগ্য থেকে বাঁচার দুআ (সুনান আবু দাউদ)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দুআটি করতে নির্দেশ দিয়েছেন:

اللهم إني أعوذ بك من جهد البلاء، ودرك الشقاء، وسوء القضاء، وشماتة الأعداء.

উচ্চারণ:
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালাআ, ওয়া দারকিশ শাকাআ, ওয়া সু’ইল কাদাআ, ওয়া শামাতাতিল আ'দাআ।"

অর্থ:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাই কষ্টকর পরীক্ষা থেকে, দুর্ভাগ্য থেকে, খারাপ সিদ্ধান্ত থেকে এবং শত্রুদের উপহাস থেকে।"

রেফারেন্স:

সুনান আবু দাউদ (১৫৪৭)

সহিহ বুখারি (৬৩৪৭)

২. সুরা আল-ফালাক এবং সুরা আন-নাস

কোনও খারাপ ভাগ্য, দুর্ভাগ্য বা কষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই দুইটি সূরা পড়া সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলোকে মুআ'ওয়িজাতাইন বলা হয়।

সুরা আল-ফালাক (১১৩:১-৫):

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ، وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ.

অর্থ:
"বলুন, আমি আশ্রয় চাই ভোরের পালনকর্তার কাছে, তার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা ছেয়ে যায়, এবং গাঁটের মধ্যে ফুঁকারীদের অনিষ্ট থেকে, এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।"

সুরা আন-নাস (১১৪:১-৬):

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، مَلِكِ النَّاسِ، إِلَٰهِ النَّاسِ، مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ، الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ، مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ.

অর্থ:
"বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের পালনকর্তার কাছে, মানুষের অধিপতির কাছে, মানুষের ইলাহর কাছে, কুমন্ত্রণা দানকারী শয়তানের অনিষ্ট থেকে, যে মানুষের বুকে কুমন্ত্রণা দেয়, যারা জিনদের মধ্য থেকে বা মানুষের মধ্য থেকে।"

রেফারেন্স:

কুরআন, সুরা আল-ফালাক (১১৩:১-৫)

কুরআন, সুরা আন-নাস (১১৪:১-৬)

৩. দুআ ইস্তিয়াজা

এই দুআটি রাসূলুল্লাহ (সা.) তার সাহাবীদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, যাতে তারা খারাপ ভাগ্য এবং কষ্ট থেকে রক্ষা পান।

اللهم إني أعوذ بك من زوال نعمتك، وتحول عافيتك، وفجاءة نقمتك، وجميع سخطك.

উচ্চারণ:
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নিআমাতিকা, ওয়া তাহাওয়ুলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিখমাতিকা, ওয়া জমী'ই সকাতিকা।"

অর্থ:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় চাই আপনার দেওয়া নিয়ামত হারিয়ে ফেলার থেকে, আপনার দেয়া শান্তি পরিবর্তন থেকে, হঠাৎ করে আপনার গজব আসার থেকে, এবং আপনার সকল অসন্তুষ্টি থেকে।"

রেফারেন্স:

সহিহ মুসলিম (২৭৩৯)

এগুলো নিয়মিত পড়লে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে চললে, মন্দ ভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ইনশাআল্লাহ।