রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

@ruqyahbd


রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির টেলিগ্রাম চ্যানেল এটি।
------
টেলিগ্রাম বট: t.me/ruqyahbdbot
ওয়েবসাইট: ruqyahbd.org
সাপোর্ট গ্রুপ: facebook.com/groups/ruqyahbd

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

17 Oct, 17:04


আলহামদুলিল্লাহ, রুকইয়াহ প্লেয়ার অ্যাপে খুবই উপকারী কিছু বিষয় আপডেট হয়েছে। এন্ড্রয়েড এবং আইফোন ইউজাররা চাইলে এখন আপডেট করে নিতে পারেন।

যদি নতুন ভার্সনে সমস্যা ফেস করেন, তাহলে সম্পূর্ণ আনইন্সটল করে এরপর ইন্সটল দিলে ভালো হবে। এছাড়া মাসনুন আমল অ্যাপেও ছোটখাটো কিছু বিষয় আপডেট হয়েছে।
--

Ruqyah player app v4.0 changelog:

১. আইফোনে অফলাইন সেভ করার অপশন যুক্ত হয়েছে।
২. এন্ড্রয়েডে এখন প্লেলিস্ট থেকেও অফলাইনে প্লে হচ্ছে। একসাথে পুরো প্লেলিস্ট ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
৩. Playlist management ইম্প্রুভ হয়েছে। প্লেলিস্টে অডিও যোগ-বিয়োগ-ডাউনলোড করা এখন আরও সহজ হয়েছে।
৪. প্লেলিস্ট এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট অপশন এসেছে। আপনি লিস্ট বানিয়ে কাউকে সেন্ড করলে সে ইম্পোর্ট করে অডিওগুলো শুনতে পারবে।
৫. কিছু সমস্যার জন্য রেডিও প্লেয়ার সেকশন সাময়িকভাবে রিমুভ করা হয়েছে।
৬. এছাড়া আরও কিছু বাগ ফিক্স করা হয়েছে। অ্যাপ আরও স্ট্যাবল হয়েছে।

---
আল্লাহ যেন এপের ডেভেলপার ভাইসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম জাযা দান করেন। আমিন। - Abdullah Almahmud

এপ লিংক: (এন্ড্রয়েড)
https://play.google.com/store/apps/details?id=org.ruqyahbd.player

https://play.google.com/store/apps/dev?id=7191007666363670758

অন্য প্লাটফর্ম ও অন্য এপ: আমাদের সবগুলো অ্যাপ দেখুন - https://ruqyahbd.org/apps থেকে।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

15 Oct, 17:46


⭐️রাতের জন্য কিছু আমল:

ঘুমের আগের আমল
ক. ওযু করে ঘুমানো, তাহলে ফিরিশতারা হিফাজতের জন্য দুয়া করতে থাকে। ডান কাত হয়ে ঘুমানো। এমনিতেও সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা সুন্নাত। (আল-মু’জামুল আওসাত)
খ. শোয়ার পূর্বে কোন কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। (মুসলিম)
গ. আয়াতুল কুরসি পড়া। (বুখারী) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া। (বুখারী)
ঘ. সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়ে হাতের তালুতে ফু দেয়া, এরপর পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নেয়া। (বুখারী)

একটি দুআ:

ঘুমের মাঝে ভয় পেলে বা অন্যসময় খারাপ অনুভূতি হলে পড়া: (রাতে ভয় পান যারা তারা ঘুমের আগে দশবার পড়ে নিবেন ইন শা আল্লাহ, সাথে বাচ্চাদেরও পড়ে দিবেন)

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ الله التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وشَرّ عِبَادِهِ ، ومِنْ هَمَزَاتِ الشّيَاطِينِ وأَنْ يَحْضُرُونِ

আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্দুরূন।

🔗সব মাসনূন আমল: https://ruqyahbd.org/blog/387/protection-from-evils-magic-jinn

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

11 Oct, 12:37


বাতের ব্যথা আর হাড়ক্ষয় রোগ এখন ঘরে ঘরে। অথচ এসবের চিকিৎসায় আয়াতুল ইযাম খুবই উপকারী। আয়াতুল ইযাম মানে কোরআনুল কারিমের যেসব আয়াতে "عظام" (অর্থাৎ হাড়) শব্দটি এসেছে, সেই আয়াতগুলো।

আমরা এরকম অনেকগুলো আয়াত একত্র করে একটা পিডিএফ বানিয়েছি। (ভবিষ্যতে কখনো হ্যান্ডবুক প্রকাশ হলে সেখানে ছাপার অক্ষরেও পাবেন ইনশাআল্লাহ)।

প্রতিদিন এসব আয়াত তিলাওয়াত করার পর হাতে ফুঁ দিয়ে আপনার সমস্যার যায়গাগুলোতে হালকাভাবে হাত বুলিয়ে নিন। কারও জন্য প্রতিদিন পড়া খুব কষ্টকর হলে এসব পড়ার পর অলিভ অয়েলে ফুঁক দিয়ে রাখুন, নিজে পড়ুন কিংবা শুদ্ধভাবে কোরআন পড়তে পারে কারও থেকে পড়ে নিন। বেশি ব্যাথা করলে এর সাথে ব্যাথার দোয়াটাও পড়ে ফেলতে পারেন। (ব্যাথার দোয়া হিসনুল মুসলিম বা আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন।) পড়ুন এবং মাঝেমধ্যে ফুঁ দিন। যাহোক, তেল পড়া হয়ে গেলে প্রতি রাতে এই তেলটা সমস্যার যায়গায় মালিশ করুন।

ইনশাআল্লাহ কয়েকদিনের মাঝেই উপকার বুঝতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া অব্দি প্রতিদিন তেলটা ব্যবহার করতে থাকুন। অন্তত দেড়-দুই মাস তো করুন!
আমি বেশ কয়েকজন মুরব্বির অভিজ্ঞতা জেনেছি, এই আয়াতগুলো পড়ে তেল ব্যবহার করার পর তারা বেশ ভালো আছেন। অনেকের এতটা উন্নতি হয়েছে যে, হাড়ক্ষয়ের জন্য এখন আর কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়ারই প্রয়োজন হয় না। আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের অভিজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না।
------
🔗আয়াতুল ইযাম পিডিএফ ডাউনলোড- https://ruqyahbd.org/ayat
(নিচের দিকে পাবেন)

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

08 Oct, 19:53


পূজার সময় সতর্কতা (রিপোস্ট)
———
এখন পূজা চলছে। পূজার মধ্যে যেহেতু পুরোহিতরা মন্ত্রপাঠ, শয়তান পূজা সবই করে, এমনকি পৌত্তলিকদের কিছু দেবদেবী আক্ষরিক অর্থেই জিন-শয়তান। অনেকসময় মুর্তির মাঝে শয়তান প্রবেশ করে বিভিন্ন ভেলকি দেখায়, কখনো কথা বলে। ফলে মানুষ আরও বিভ্রান্ত হয়। কিছু ক্ষেত্রে শয়তানদের নামে পশুবলি দেয়া হয়। সবমিলিয়ে পূজার সময় শয়তানদের আনাগোনা বেড়ে যায়।
গত কয়েক বছরে আমরা এমন অনেক ঘটনা জেনেছি, যেগুলোতে মন্দির-মণ্ডপের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় কিংবা পূজার খাবার খাওয়ার পরে খারাপ জিন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। কিংবা সমস্যা আগে থেকেই ছিল, পূজার সময়ে অনেক বেড়ে গেছে। তাই আপনার এলাকায় পূজার মণ্ডপ থাকলে এই কদিন অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে-
--
সংক্ষেপে আপনার করণীয়ঃ
১. প্রতিদিনের হিফাজতের জিকির করা। অন্তত বেসিক যিকিরগুলো অবশ্যই করা, যেমন- সকাল-সন্ধ্যার প্রাথমিক আমল, ঘুমের সময়, খাবার, বাড়িতে ঢোকার-বের হওয়ার, টয়লেটে যাওয়ার আমল ইত্যাদি। ছোট যারা করতে পারে না, নিজেরা করার পর তাদেরকে ফুঁ দিয়ে দিবেন।
-
২. বিসমিল্লাহ বলে দরজা জানালা বন্ধ করবেন। ঘরে ঢুকতে বিসমিল্লাহ বলবেন।
-
৩. পারতপক্ষে ছাদের দরজা এবং মণ্ডপের দিকের দরজার জানালা খোলা রাখবেন না। বিশেষ করে পূজার সময় খেয়াল রাখবেন।
-
৪. সন্ধ্যার দিকে বাচ্চাদের বাইরে বের হতে দেবেন না।
-
৫. দোয়া ইস্তেগফার চালু রাখবেন সবসময়। (ইস্তেগফারের জন্য অন্তত নিজেরা গজব থেকে বেঁচে যাবেন)। যখন উলুধ্বনি বা ঘণ্টা বেশি বাজায়, সেই সময় বাড়ির মধ্যে তিলাওয়াত বা রুকইয়াহ শুনতে পারেন।
-
৬. কেউ যদি এমন এলাকায় থাকেন, যেখানে পূজা অনুষ্ঠিত হয়- তাহলে পূজার স্থান এড়িয়ে চলবেন। একান্ত ওই রাস্তা ব্যবহার করতেই হলে মনে মনে "আউযুবিল্লাহ..." পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাইতে চাইতে অতিক্রম করা উচিত।
-
৭. পূজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, পূজার খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এসব মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ।
-
৮. কারও নিজ আত্মীয়-স্বজনেদের মাঝে কবিরাজ-খোনারের কাছে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে তারা বেশি সাবধান থাকবেন। মাসনুন আমল অ্যাপ দেখে বেশি করে যিকর করবেন। জাদু এবং জিন থেকে বাঁচতে পরামর্শ নিয়ে দুইটা লেখা আছে, সেগুলো খেয়াল রাখতে পারেন।
-
৯. কেউ আক্রান্ত হলে বা কারও অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে অবিলম্বে রুকিয়াহ শুরু করে দিন। গ্রুপে পোস্ট করে অপেক্ষায় না থেকে প্রাথমিক পরামর্শ ফলো করা শুরু করে দিবেন। সমস্যা বেশি মনে হলে '৭দিনের ডিটক্স রুকইয়া' করে ফেলবেন। এক কিংবা দুই সপ্তাহ ফলো করে এরপর গ্রুপে আপডেট পোস্ট দিলে তাড়াতাড়ি এপ্রুভ হবার সম্ভাবনা থাকবে ইং শা আল্লাহ।
-
১০. এক্সট্রা পরামর্শঃ
এই দোয়াটা সকাল-বিকাল ১০০বার করে পড়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিনের নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, কারও সমস্যা থাকলে (বিশেষত জাদুকর বা জিন মুশ্রিক হলে) সেজন্য রুকইয়ার নিয়ত করলে চিকিৎসা হিসেবেও এটি কার্যকরি হবে ইনশাআল্লাহ।
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হ্ামদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর'
..
-----
** এই পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় লিংক সমূহ ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিলে ভালো হবে - https://ruqyahbd.org/blog/2439/pujar-somoy-sotorkota

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

08 Oct, 19:50


অমুসলিমদের খাবার বা হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান সম্পর্কে জরুরী মাসআলা
————
১. সাধারণ অবস্থায় বা বিশেষ কোনো কারণে, যেমন প্রতিবেশী হওয়া, সন্তান জন্ম লাভ করা, পরীক্ষায় পাস করা, ভালো চাকরি পাওয়া, বিবাহ উপলক্ষে এ জাতীয় কারণে অমুসলিমদের পক্ষ থেকে পাঠানো খাবার বা হাদিয়া গ্রহণ করা কিংবা তাদের দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েয।
তবে শর্ত হচ্ছে, নিজের দীন-ধর্মের কোন ক্ষতি না হতে হবে এবং তা হারাম ও অপবিত্র বস্তু হতে পারবে না, যেমন তাদের জবাইকৃত পশুর গোশত ও মদ অথবা খাবারে কোন নাপাকি বা মুসলমানদের জন্য হারাম এমন কোন জিনিস মিশ্রিত থাকা।
২. প্রতিবেশী বা আত্মীয়তার কারণে কিংবা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অথবা বৈধ কোন প্রয়োজনে অমুসলিমদেরকে হাদিয়া প্রদান বা দাওয়াত দেওয়া জায়েয।
৩. অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে যদি কোন খাবার বা হাদিয়া আসে, আর তা যদি
দেবদেবি বা মুর্তির নামে উৎসর্গ করা হয়, যেমন প্রসাদ বা মিষ্টান্ন কিংবা ফলমুল, এমনকি পানি হোক না কেন, তা হারাম। সেই খাবার খাওয়া বা হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ নয়। এভাবে কোনো মুর্খ মুসলিম যদি তা ওলি-আউলিয়াদের নামে করে, তাও হারাম।
বলাবাহুল্য, উৎসর্গকৃত বস্তু প্রাণী হতে হবে না, বরং যে কোন কিছু হলেই হবে। কাজেই প্রসাদ বা প্রাণী জাতীয় বস্তু হারাম, তবে মিষ্টান্ন বা ফলমূল হারাম নয়- এ ধরনের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
৪. কারো নামে উৎসর্গকৃত নয় এমন হালাল ও পবিত্র খাবার বা হাদিয়া যদি অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে আসে অথবা বিধর্মী কোন মালিক তার কাছে চাকরিরত মুসলিমদের যদি এই উপলক্ষে কিছু দেয়, তা গ্রহণ করা নিরাপদ নয়। হযরত আলী রাযি. ও ওমর বিন আব্দুল আজিজ রহ. তা গ্রহণ করতেন না। বর্তমানে এর উপরই আমল করা উচিত।
তবে কারো কারো মতে তা গ্রহণ করার সুযোগ আছে। শর্ত হচ্ছে, নিজের দীন-ধর্মের ক্ষতি না হতে হবে এবং প্রায় প্রতি উৎসবে তা হতে পারবে না, বরং প্রয়োজনে বা ঠেকায় পড়ে যদি দুই একবার গ্রহণ করতে হয়, তাহলে বৈধ। যেখানে ফিকহের কিতাবে মুশরিক-
বিধর্মীদের সাথে প্রয়োজনে দুই একবার ছাড়া একসাথে খানা খেতে নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে তাদের প্রায় প্রতি উৎসবে তাদের কাছ থেকে কিছু খাওয়া কীভাবে বৈধ হতে পারে? তাছাড়া এটা তো ঈমানী গায়রতেরও প্রশ্ন!
কাজেই তাদের কাছ থেকে প্রায় প্রতি পূজায় নারকেলের নাড়ু আর খইভাজা বা অন্য কিছু খাওয়া জায়েয নয়।
৫. কারো নামে উৎসর্গকৃত নয় এমন হালাল ও পবিত্র খাবার বা হাদিয়া যদি অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে তারা এটা মনে করে দেয় যে, পরস্পরে আনন্দ ভাগাভাগি করা বা মুসলমানরাও আমাদের এই উৎসবে অংশীদার অথবা এটা তাদের উপর আমাদের অনুগ্রহ, তখন উক্ত খাবার বা হাদিয়া গ্রহণ করা নাজায়েয।
৬. কোন মুসলিমের জন্য অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে কিছু দেয়া হারাম। সুতরাং পূজার জন্য টাকা বা অন্য কিছু দেওয়া জায়েয নয়।
৭. অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে তাদের মতো উক্ত অনুষ্ঠান ও উৎসবকে সম্মান মনে করে তাদেরকে কিছু দেয়া কুফরী। ইমাম আবু হাফস কাবীর রাহ. বলেন, কেউ যদি ৫০ বছর ইবাদত করেছে, এরপর কোন মুশরিককে তার উৎসবের দিনকে সম্মান করে একটা ডিম হাদিয়া দিল, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।
৮. অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব উপলক্ষে যদি এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে কিছু দেয়, আর এতে যদি অমুসলিমদের মতো উক্ত অনুষ্ঠান ও উৎসবের সম্মান মনে করে দেয়, তাহলে কুফরী হবে।
.
————
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২৪৮৫৬, ২৪৮৫৭, ৩৩৩৮৯; আত-তারিখুল কাবীর, ইমাম বুখারী হা. ১৩১৯; আস-সুনানুল কুবরা, বায়হাকী ১৮৮৬৫; আল-খারাজ, ইমাম আবু ইউসুফ পৃ. ৯৯; আস-সিয়ারুল কাবীর, ইমাম মুহাম্মাদ ১/১৪৬; আল-মাবসূত, সারাখসী ২৪/৫০; আল-মুহিতুল বুরহানি ৫/৩৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৭/৩৪৮; ফাতাওয়া বায্যাযিয়্যা ১২/১৮৬; ফাতাওয়া শামী ১০/৪৮৫-৮৬, যাকারিয়া; ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৩৪৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৮/৫৬৩, ৯/৪২৯-৩০; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া ১৮/১৭৫ ; আহসানুল ফাতাওয়া ৮/১৬২; ফাতাওয়া কাসেমিয়া ২৪/২৪৮ ও মাআরিফুল কুরআন, মুফতি শফী ১/৪২৪।
——
‘‘ঈমান-আকীদা’’ বই থেকে।
শাইখ Sayed Ahmad হাফি.

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

01 Aug, 20:34


ruqyahbd.org Offline Browser 01.08.2024

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

01 Aug, 20:12


Ruqyah Support BD Homepage Offline Browser 01.August.2024
————----

ডাউনলোড লিংক - https://archive.org/details/ruqyahbd.org-offline-01082024
বিকল্প লিংক - https://t.me/ruqyahbd/721

———-
বিসমিল্লাহ,
ruqyahbd.org ওয়েবসাইটের এই অফলাইন ব্রাউজারটি মূলত kiwix এর উপযোগী। এটি ব্যবহার করে আপনি ইন্টারনেট ছাড়াই পুরো ওয়েসাইট পড়তে পারবেন।

--
যেভাবে ব্যবহার করবেন =

১. প্রথমে এই জিপ আর্কাইভটি ডাউনলোড করে আনজিপ করুন

২. এখানে ruqyahbd.org_offline-01082024.zim এরকম নামের একটি zim ফাইল পাবেন যার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব ডেটা আছে।

৩. এটি পড়ার জন্য দরকার হবে kiwix সফটওয়ার,

--- এর উইন্ডোজ ভার্সন পাবেন kiwix-desktop_windows_x64.... ফোল্ডারে প্রবেশ করলেই। সেখানে kiwix-desktop.exe ওপেন করুন। (সাথে vc_redist.x64.exe দেয়া আছে, প্রয়োজন হলে আগে এটি ইন্সটল করে নিন।)
--- আপনি চাইলে ব্রাউজারের মাঝে PWA অ্যাপ চালু করেও এই ফাইল রিড করতে পারবেন, যা পাওয়া যাবে এইখানে - https://pwa.kiwix.org/
--- উইন্ডোজ ব্যতীত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কিউইক্স সফটওয়ার পাবেন এই লিংকে - https://kiwix.org/en/applications/

৪. কিউইক্স ওপেন করে শুরুতেই ওপেন ফাইল অপশন বা আইকন পাবেন, সেখানে ক্লিক করার পরে একটু আগে আনজিপ করা ruqyahbd.org_offline-01082024.zim ফাইলটি সিলেক্ট করে ওপেন করুন।

৫. আশা করছি এখন আপনি বেশ ভালোভাবেই ruqyahbd.org ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন, এবং ইন্টারনেট ছাড়াই ওয়েবসাইটের লেখাগুলো পড়তে পারছেন।

৬. এরপর থেকে আপনি কিউইক্স সফটওয়ার ওপেন করলে প্রথম পেজেই সর্বশেষ ওপেন করা ফাইলের নাম দেখতে পাবেন। সেটাতে ক্লিক করেই ওপেন যাবে।

৭. কোনো বিষয়ের প্রবন্ধ সহজে খুঁজে পেতে কিউইক্সের ওপরে থাকা সার্চবার ব্যবহার করুন।

৮. আর্কাইভের সাইজ ছোট রাখার স্বার্থে এর মাঝে রুকইয়ার অডিও বা পিডিএফ ফাইলগুলো সংযুক্ত করা হয়নি। আপনার প্রয়োজন থাকলে অনুগ্রহ করে আগেই ডাউনলোড করে রাখুন। (মূল ওয়েবসাইট ruqyahbd.org ভিজিট করতে না পারলে আর্কাইভ.অর্গ থেকে চেষ্টা করুন - https://archive.org/details/ruqyah-audios-ruqyahbd.org )

---
রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির এই প্রজেক্ট এর ব্যাপারেও আপনাদের সুপরামর্শ, মতামত ও দোয়া কাম্য।
জাযামুল্লাহু খাইরান।

-----
পরিবেশনায় Ruqyah Support BD

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

05 Jul, 11:33


قَالُوا سُبْحَانَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِم ۖ بَلْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْجِنَّ ۖ أَكْثَرُهُم بِهِم مُّؤْمِنُونَ
(সুরা সাবা; ৪১)

৪. কবিরাজরা ভাবে তারা জিন-শয়তানকে অনুগত বানিয়ে কাজ করাচ্ছে, আসলে কখন সে নিজেই যে শয়তানের অনুগত হয়ে গেছে। অনেকে টেরও পায় না।

৫. আমাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হল, নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কিরাম এবং পুর্বসুরি ইমামদের পদ্ধতি। তারা ঝাড়ফুঁকের জন্য জ্বিনের সাহায্য চাইতেন নাকি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন?

তারা যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন, আমরাও তার কাছেই সাহায্য চাইবো।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

05 Jul, 11:33


জিনের সাহায্য নেয়ার পক্ষে দলিল হিসেবে সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর ঘটনা উল্লেখ করতে দেয়া যায় অনেককে। এটা ভুল দলিল।

সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর এসব ঘটনা আমাদের জন্য দলিল না। এটা উনার জন্য ইউনিক। আমাদের রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের আমল কি ছিল সেটা দেখা জরুরি। উনারা তদবিরের জন্য জিনের সাহায্য চাইতেন কি না।

রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিন আক্রমণ করতে আসলে উনি ধরার পরেও ছেড়ে দিয়েছেন সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর কথা মনে করেই। সুলাইমান আলাইহিস সালামকে আল্লাহ যে ফ্যাসিলিটি দিয়েছে, সেটা অন্য কারও জন্য না। উনি দোয়া করেছিলেন -

قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَهَبْ لِي مُلْكًا لَّا يَنبَغِي لِأَحَدٍ مِّن بَعْدِي ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ [٣٨:٣٥]

সোলায়মান বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দান করুন যা আমার পরে আর কেউ পেতে পারবে না। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।

..

عن أبي هريرة:] إنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الجِنِّ تَفَلَّتَ البارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلاتِي، فأمْكَنَنِي اللَّهُ منه فأخَذْتُهُ، فأرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ على سارِيَةٍ مِن سَوارِي المَسْجِدِ حتّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمانَ: رَبِّ هَبْ لي مُلْكًا لا يَنْبَغِي لأحَدٍ مِن بَعْدِي، فَرَدَدْتُهُ خاسِئًا.

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবীজি‎ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য ইফরিত জ্বিন গত রাতে আমার সালাতে বাধা দিতে এসেছিল। আল্লাহ্‌ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান (‘আঃ)-এর এ দু’আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। অতঃপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম।

- বুখারি ৩৪২৩

.

আমরা অন্য হাদিসে দেখেছি জ্বিনদের ক্ষতি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দোয়া শিখিয়ে দিচ্ছে জিবরীল আলাইহিস সালাম। (أعوذُ بوَجهِ اللهِ الكريمِ، وبكَلِماتِ اللهِ التّامّاتِ التي لا يجاوِزُهنَّ بَرٌّ ولا فاجِرٌ) আমরা সেই দোয়াটা প্রতিদিন পাঠ করি।

সুতরাং আমরা এদের থেকে দূরে থাকবো, এদের ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইবো, বেশি ঝামেলা করতে আসলে মাইর লাগাবো। সাহায্য চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

....

edit: আর মূলতঃ সুলাইমান আলাইহিস সালামও জিনদের সাহায্য নেননি, বরং জিনরা উনার কাজ করতে বাধ্য ছিল। এজন্য সুলাইমান আলাইহিস সালামের ইন্তিকালের পরে তারা অন্য নবী কিংবা বাদশাহদের আনুগত্য করেনি। কোরআনে আছে - পানির শয়তানরাও উনার অনুগত ছিল। এখন এতে পানিতে থাকা শয়তানদের কাছে সাহায্য চাওয়া বৈধ হয়ে যায় না।

আরেকটা বিষয় হলো, সুলাইমান আলাইহিস সালামের ওপর জাদুচর্চা-জিনসাধনার অপবাদ আজকে নতুন না। পূর্বের কিতাবি কাফেররাও এরকম অপবাদ দিত। এজন্য আল্লাহ কোরআনে আয়াত নাযিল করেছিলেন - "আর সুলাইমানের রাজত্বে শয়তানরা যা আবৃত্তি করত তারা তা অনুসরণ করেছে। আর সুলাইমান কুফরী করেননি, বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে শিক্ষা দিত জাদু এবং যা বাবিল শহরে হারূত-মারূত ফিরিশতাদ্বয়ের উপর নাযিল হয়েছিল......।" (বাকারা ১০২)

(এই আলোচনা আরও লম্বা করা যেত, কিন্তু আমজনতার বুঝার সহজার্থে সংক্ষেপ করা হল।)

.....

বাস্তব কথা হল -

১. আমভাবে বিশেষ স্বার্থ বা শয়তানি পরিকল্পনা ব্যতীত জিন কাউকে সাহায্য করে না। যদি এক-দুইটা এক্সেপশন থাকে, সেটার হিসেব ভিন্ন। এজন্য আমভাবে সবাইকে অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই, এই বিষয়ে দুর্বলতা দেখানো মোটেই উচিত না। (এখানে 'দ্বরর' এতই বেশি যে, সামান্য নফা'র সুযোগ নিতে গিয়ে ঈমান ঝুঁকিতে ফেলতে পরামর্শ দেয়া কোনো বুদ্ধিমান ফকিহের কাজ হতে পারে না।)

২. যদিও স্বেচ্ছায় কোনো জ্বিন আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য অফার করে, তবুও এথেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। বলা উচিত ‘তোমরা যা খুশি করো গিয়ে, আমার সাথে তোমাদের সম্পর্ক নেই, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। কারণ শয়তানরা এভাবে অনেক মানুষকে শুরুতে "ফ্রি চা" খাইয়ে তাদের ওপর নির্ভরশীল বানিয়ে নিয়েছে, এখন তারা জিনের সাহায্য নেয়ার জন্য সেই কাজগুলোই করে, যা গতানুগতিক তান্ত্রিকরা করে থাকে। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।

৩. অনেকে নাকি জিনের সাহায্য নেয় না, ফেরেশতার সাহায্য নেয়! এটা মিথ্যা কথা। ফেরেশতারা নিজ ইচ্ছায় কিছু করে না। যতক্ষণ না আল্লাহর হুকুম হয়। কিয়ামতের দ্বীন আল্লাহ ফেরেশতাদের বলবেন “এরা কি তোমাদের উপাসনা করতো?” ফেরেশতারা বলবে “না ইয়া রব! এরা জীনদের পূজা করতো, জিনদের কথাই বিশ্বাস করতো”

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

27 Jun, 14:15


জিন-শয়তান টাকাপয়সা চুরি করলে করণীয়!
----
[ক]
প্রথম কথা হল, জিনের সমস্যার জন্য বাড়ি থেকে টাকা কিংবা জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়া কি সম্ভব?

উত্তর হচ্ছে – হ্যাঁ, সম্ভব। জিনরা কোনও হালকা বা ভারি জিনিস এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিতে পারে, কিছু চুরি করতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বিশুদ্ধ হাদিসে এবং কোরআনেও এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
তবে কোনও কিছু হারালেই জিনের ঘাড়ে চাপানো উচিত হবে না। আগে ভালোভাবে চারপাশে খুঁজে দেখা দরকার, বাহ্যিক সতর্কতা বা নিরাপত্তা মজবুত করা দরকার। এরপরেও নিয়মিত হতে থাকলে তখন অন্য কিছু ভাবা যাবে।

আরেকটি বিষয় হলো, অনেকে টাকা পয়সা হারালে কিংবা কিছু চুরি হলে গণক-কবিরাজের কাছে যায়, গিয়ে জিজ্ঞেস করে জিনিসগুলো কোথায় আছে। এরকম কাজ কখনওই করা যাবে না। জাদু বা জ্যোতিষবিদ্যা চর্চারকারীদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানের ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে হাদিস খুব স্পষ্ট সতর্কবার্তা আছে।

[খ]
এধরনের ঘটনা কখন দেখা যায়?

১. কোনো বাড়িতে জিনের সমস্যা আছে, বিভিন্নভাবে বাড়ির বাসিন্দাদের বিরক্ত করে, সেখানে এরকম জিনিস হারিয়ে যাওয়া কিংবা এক জায়গার জিনিস অস্বাভাবিকভাবে অন্য জায়গায় দেখা যেতে পারে।
২. কারও অনেকদিন যাবত জিন-জাদুর সমস্যা আছে, জিনেরা যেভাবে পারে ক্ষতি করে। এরকম ক্ষেত্রেও কিছু চুরির ঘটনা হতে পারে।
৩. জাদু আক্রান্ত কারও কারও ব্যবহারের জিনিসপত্র জিনের দ্বারা চুরি করিয়ে সেটা দিয়ে শয়তান জাদুকর আবার ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে।
৪. ওপরের মত পুরাতন কোনো ঘটনার জের ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে জিনের মাধ্যমে এক-দুইটা চুরি হতে পারে। তবে এমনটা বিরল।

[গ]
আমাদের করণীয় কী?

১. সকাল-সন্ধ্যা ঘুমের আগের জিকির নিয়মিত করা। এতে কোনো অবহেলা না করা। বাড়িতে প্রবেশের ও বের হওয়ার দোয়া পড়া।
২. টাকাপয়সা বা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার সময় বিসমিল্লাহ বলে রাখা। বিসমিল্লাহ বলে ড্রয়ার বা আলমারি বন্ধ করা।
৩. ঘরে ছবি/তাবিজ/মুর্তি জাতীয় কিছু থাকলে সাফ করা। সন্দেহজনক কিছু পেলে জাদু নষ্টের নিয়মমাফিক নষ্ট করা। ঘরে ইসলামি পরিবেশ বজায় রাখা।
৪. “বাড়িতে জিনের সমস্যা থাকলে করণীয়” লেখার কাজগুলো একটা একটা করে করা। প্রতিটা ৩দিন করে করা যায়। চাইলে একসাথে একাধিকও করা যাবে।
৫. নিয়মিত জাকাত প্রদান করা। এবং যা কিছুই আয় হোক, এটা থেকে নিয়মিত বরকতের নিয়তে দান-সদকাহ করা।
৬. এছাড়াও নবিজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো কিছু হারিয়ে গেলে বা বিপদের সময় পড়ার দোয়াটি বেশি বেশি পড়া উচিত।

দোয়াটি হল- {إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ – اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَأَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِنْهَا}

(প্রয়োজনীয় লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মাঝে https://ruqyahbd.org/blog/7045/if-jinn-steals-money)

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

17 Apr, 08:57


রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্সের ঘোষণা
-----
৬ষ্ঠ বারের মত ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসা আয়োজন করছে "রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্স"। এখানে রুকইয়ার একদম বেসিক থেকে আলোচনা করা হবে। এই কোর্সে নারী-পুরুষ উভয়েই অংশ নিতে পারবে।

এই কোর্স সঠিকভাবে শেষ করলে ইনশাআল্লাহ আপনি নিজের ও পরিবারের জন্য রুকইয়াহ করতে প্রাথমিকভাবে যা যা জানা দরকার দরকার, এবং জিন-জাদু ইত্যাদির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে আপনার কী করণীয় এর সবই জানতে পারবেন।
পাশাপাশি জাদুটোনা আর জিনভুতের ব্যাপারে অহেতুক ভীতি দূর হবে। এসব বিষয়ে প্রচলিত ভুলত্রুটি ও কুফরি-কালামের ব্যাপারেও সতর্ক হতে পারবেন।

▪️লক্ষনীয়: সময় স্বল্পতার জন্য ক্লাসে কারও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকবে না।

রেজিস্ট্রেশন করার আগে অনুগ্রহ করে পুরো লেখাটি ভালোমত পড়ে নিন। পোস্টের শেষে একটা লিংক আছে, সেখানে আরও বিস্তারিতভাবে সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

📌 প্রাথমিক তথ্য-

🔹 কোর্স ডিউরেশন: দেড়-দুই মাস (৩রা মে থেকে ক্লাশ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)
🔹 মূল ক্লাস সপ্তাহে ২ দিন, প্রতি রবি ও মঙ্গলবার। (রাত ৯টা থেকে ১০:৩০)
▪️ ক্লাস সংক্রান্ত সকল তথ্য টেলিগ্রাম গ্রুপে পাওয়া যাবে। সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেয়া হবে।
▪️ কোর্সে দরস দিবেন: মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
▪️ ক্লাস জুমে হবে। এরপরে ক্লাসের রেকর্ড থাকবে।
🔹 রেজিষ্ট্রেশন শেষ: ২০ই এপ্রিল ২০২৪ইং।
🔹 নিবন্ধন ফি: ৳৪০০মাত্র (এককালীন)
রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যদের জন্য আরও ৫০৳ ছাড়, অর্থাৎ ৩৫০টাকা।
.
▪️কোর্স সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবার জন্য থাকবে সার্টিফিকেটের সফটকপি। ১ম,২য়,৩য় স্থান অধিকারীদের জন্য থাকবে বিশেষ পুরস্কার।

------
📌 রেজিষ্ট্রেশনের নিয়ম,

🔹প্রথমে কোর্সের ফি পেমেন্ট করুন: https://iom.edu.bd/product/rqs_payment/
(৫০৳ ডিসকাউন্ট পেতে পেমেন্টের সময় RQSBD50 কুপনটি এপ্লাই করুন।)

🔹এরপর ট্রাঞ্জেকশন বা অর্ডার আইডিসহ রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরন করুন : https://tiny.cc/RQS2406_Form

▪️ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা চেক করুন এই লিংকে: https://tiny.cc/RQS_StudentList

▪️ফরম পুরন করার পর থেকে কোর্স শেষ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত আপনার ইমেইল চেক করুন। ইমেইলে ক্লাস ও ডিসকাশন গ্রুপের তথ্য জানানো হবে।
▪️ক্লাস শুরুর আগে আপনার রোল নাম্বার এবং ক্লাসের লিংক ঠিকভাবে পেয়েছেন কি না আরও একবার দেখে নিন।
▪️সময় সীমিত। তাই আগ্রহীরা দ্রুত রেজি: করে ফেলুন।

🔹 রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে হেল্পলাইন নাম্বারে 09638-113322 (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা) অথবা iom এর পেজে (fb.me/iomedu.org) মেসেজ দিয়ে কথা বলুন। 🔹

------
♻️ কোর্সের প্ল্যানঃ

সর্বমোট দরস - প্রায় ২০-২৫টি।
এই কোর্সে আলোচ্য বিষয়গুলো নিম্নরুপঃ

১. রুকইয়াহ শারইয়াহ:
* পরিচিতি, প্রয়োজনীয়তা
* রুকইয়াহ ও নিষিদ্ধ ঝাড়ফুকের পার্থক্য,
* রুকইয়ার আগে এবং পরে করণীয়,
* বাচ্চাদের রুকইয়াহ কিভাবে করবেন ,
* আমভাবে যেকোনো রোগের রুকইয়ার নিয়ম।

২. জিন এবং মানুষের বদনজর, ওয়াসওয়াসা রোগ, জিনের আসর, জাদুটোনা:
* এসব সমস্যার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি,
* এসব নিরাপদ থাকার উপায়,
* লক্ষণীয় উপসর্গের বিবরণ, রোগ নির্ণয় পদ্ধতি,
* চিকিৎসা : সেলফ রুকইয়াহ এবং অন্যের জন্য রুকইয়াহ করার নিয়ম।

৩. শারীরিক ও মানসিক রোগব্যাধির জন্য রুকইয়াহঃ
* কিছু কমন সমস্যার চিকিৎসা,
* প্যারানরমাল সমস্যা এবং সাধারণ রোগব্যাধির পার্থক্য।

৪. পরিশিষ্ট :
* কয়েকটি বিস্তারিত রুটিন ও পরামর্শ
* জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলোয় করণীয়,
* বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও আলাপ।

▪️নোট: এটা রাক্বী ট্রেইনিং কোর্স না। নিজের ও পরিবারের জন্য রুকইয়াহ শেখার কোর্স। তবে কেউ রাক্বি হতে চাইলে তার জন্যও এই কোর্সের দরসগুলো উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।

📌
কোর্সের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে এই লেখাটি পড়ুন— আইওএম এর রুকইয়াহ শারইয়াহ কোর্সে কী কী থাকে? : https://thealmahmud.blogspot.com/2023/05/about-ruqyah-course.html

📌
এরপরও কোর্সের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে বা কিছু অস্পষ্ট থাকলে IOM এর হেল্পলাইন 09638-113322 এ কল করতে পারেন (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা)। তবে হেল্পলাইনে রুকইয়াহ বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন না।

-----
আল্লাহ যেন কোর্সটি আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর করেন। আমিন।

(চাইলে লেখাটি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।)

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

14 Apr, 12:24


সুদের ছড়াছড়ি ও সমাজে প্রচলিত সুদের বিভিন্ন রূপ!

আমরা অনেকেই সুদ বলতে কেবল ব্যাংকের মুনাফাকেই বুঝি। অথচ সমাজে সুদের অনেকগুলো খাত আছে। আছে নানান ধরণ। যা হয়তো আমরা ভালোমতো জানি না। এমন কিছু খাত ও ধরণ হলো :-

১. সুদি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মুনাফা : সুদি ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্ট ছাড়া সকল প্রকার একাউন্ট সুদি একাউন্ট। অতএব, সুদি ব্যাংকের সেভিং একাউন্টসহ সকল ধরনের ফিক্সড ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত মুনাফা সুদের আওতাভুক্ত।

২. ডি. পি. এস/ DPS (ডিপোজিট পেনশন স্কীম) : এটি সম্পূর্ণ সুদি একাউন্ট। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট এমাউন্ট ডিপোজিট করা হয়। যে টাকা জমা হয়, তার ভিত্তিতে সুদ প্রদান করা হয়।

৩. ঋণভিত্তিক সুদ : গ্রামের মহাজনরা সুদের ভিত্তিতে মানুষকে লোন দিয়ে থাকে। জুয়েলারী দোকানে স্বর্ণ বন্ধক রেখে সুদের ওপর লোন প্রদান করা হয়। ব্রাক, আশা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানও সুদের ভিত্তিতে মানুষকে লোন দিয়ে থাকে।

৪. ব্যাংক লোন : সুদি ব্যাংকের যেকোনো লোনই সুদি লোন। যেমন কার লোন, হোম লোন, হাউজ লোন, ইনভেস্টমেন্ট লোন, সিসি লোন, কৃষি লোন ইত্যাদি।

৫. লটারী : রেডক্রিসেন্ট বা এজাতীয় সরকার অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠান দশ টাকা বিশ টাকা মূল্যের লটারী টিকেট ছাড়ে। এক লক্ষ, দুই লক্ষ টাকা, গাড়ি, মোটর সাইকেল ইত্যাদি পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এটা প্রথমত জুয়া, পাশাপাশি সুদও।

৬. বন্ধকী জমি ভোগ করা : বাংলাদেশের প্রায় সকল এলাকায় বহুল প্রচলিত লেনদেন হলো জমি বন্ধক রীতি। জমির মালিক একটা মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে তার জমি বন্ধক রাখে। ঋণদাতা/বন্ধকগ্রহীতা জমিটি ভোগ করে এবং মেয়াদান্তে মালিক টাকাটা ফেরত দিয়ে জমিটি বুঝে নেয়। এক্ষেত্রে ঋণদাতার জন্য বন্ধকী জমি ভোগ করা সুদের অন্তর্ভুক্ত।

৭. বন্ধকী বাড়ি/ফ্ল্যাট ভোগ করা : জমি বন্ধকের মতো করে শহরে বাড়ি/ফ্ল্যাট বন্ধকের প্রথা চালু হয়েছে। পদ্ধতি হলো, বাড়িওয়ালা নিজ প্রয়োজনে ৫ বা ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। বিনিময়ে পাঁচ বছর বা দশ বছর ঋণদাতাকে তার ফ্ল্যাটে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগ দেয়। পরবর্তী সময়ে যখন ঋণ পরিশোধ করে দেয়, তখন এই চুক্তি সমাপ্ত হয়। এক্ষেত্রে বিনা ভাড়ায় থাকার সুযোগটি সুদ হবে।

৮. কিস্তিতে সুদ : বাজারে বিভিন্ন পণ্য কিস্তিতে বিক্রি করা হয়। কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে নির্ধারিত হারে অতিরিক্ত প্রদানের শর্ত করা হয়। এই অতিরিক্ত টাকাটাও সুদ।

.
আলোচনাটি ফরজে আইন কোর্স থেকে নেওয়া।

- -----
আবুল হাসানাত কাসিম

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

10 Apr, 14:09


রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদুল ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ঈদ মুবারাক।
তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম সালিহাল আ'মাল।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

28 Mar, 14:34


রমাদান মাস থেকেই সবরকম হারাম আয় #বয়কট করুন। সুদী ব‍্যাংকে একাউন্ট, সুদী ক্রেডিট কার্ড, সুদী ফিক্সড ডিপোজিট, সুদী ইন্সুরেন্স, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, সুদী সমিতি, বোন-ফুফুর ভাগ না দেয়া সম্পদ, দুর্নীতির সম্পদ, ঘুষ, চাকুরী বা ব‍্যবসায় মিথ‍্যা ও প্রতারণা - ইত‍্যাদি সকল হারাম আয় বয়কট করুন, আজীবনের জন‍্য।

হালাল আয় করুন, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে প্রশান্তি দিবেন, এবং দুয়া ও ইবাদত কবুল করবেন ইনশা'আল্লাহ।

----
© মুফতি Yusuf Sultan হাফি.

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

16 Mar, 17:05


সিয়াম পালনকারীর পুরস্কার মহান রব্বুল 'আলামীন নিজ হাতে দিবেন। আমরা জানি রমাদানে সকল নেক আমলকে ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বা আল্লাহর ইচ্ছা হলে তার চেয়েও অধিক করা হয়। কিন্তু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো সিয়ামের কোনো নেকি ১০/৭০/৭০০ দিয়ে বলা হয়নি। অর্থাৎ সলাত বা সদাকার মতো নেকি বা হাসানার সংখ্যা বসানো হয়না সিয়ামের বেলায়।

বিষয়টা আরো সহজ করে বলি। বছরের অন্যান্য সময়ে এক একটা নেক আমলে হয় ১০ নেকি। রমাদানে তা ৭০ থেকে ৭০০ বা তারচেয়েও বেশি গুণ হয়। কিন্তু সিয়ামের বেলায় এরকম হয়না যে ১ সিয়াম = ১০ নেকি, বা ৭০ অথবা ৭০০ নেকি। সিয়ামের পুরস্কার হলো জান্নাত।

আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ্ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেন।”

সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।

.

আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা রোজাদার ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে নতুনভাবে সজ্জিত করেন।

তিনি জান্নাতকে ডেকে বলেন, হে জান্নাত, তুমি নিজেকে সুসজ্জিত করো, সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলো; শিগগিরই আমার বান্দা তার দুনিয়াবি জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ছুঁড়ে ফেলে তোমার এখানে প্রবেশ করবে।

~মুসনাদে আহমাদ

---
© Mahmudur Rahman vai

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

15 Mar, 14:38


রোজার কিছু মাসআলা
---------------------------------
নিম্নোক্ত কারণগুলোতে রোজা ভঙ্গ হবে না:

অনিচ্ছায় বমি হলে, বমি মুখ ভরে হলে কিংবা মুখে এসে নিজে নিজে ভিতরে চলে গেলে রোজা ভাঙ্গবে না।

এভাবে ইঞ্জেকশন, ইনসুলিন, অক্সিজেন নিলে, এনজিওগ্রাম করালে, কাউকে রক্ত দিলে বা নিজে রক্ত নিলে, আল্ট্রাস্নোগ্রাম করলে, শরীরে স্যালাইন বা টিকা নিলে, পেশাবের রাস্তায় ওষুধ বা কোন যন্ত্র প্রবেশ করালে, দাঁত তোলা, রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে, ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য রক্ত নেওয়া হলে, চোখে ঔষধ বা সুরমা দিলে,
কানে তেল বা ঔষধ দিলে কিংবা কানের ভেতর পানি চলে গেলে, নকল দাঁত মুখে রাখলে, মিসওয়াক করলে, অনিচ্ছায় মুখে ধোঁয়া/মশা/মাছি ঢুকে গেলে, মাথায় তেল দিলে, আতর বা সেন্ট লাগালে, স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

নিচের কারণগুলোর কোন একটা পাওয়া গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে:

রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে কুলির পানি ভেতরে চলে গেলে, ইচ্ছাকৃত মুখভর্তি বমি করলে, অল্প বমি হওয়ায় তা ইচ্ছা করে গিলে ফেললে, দাঁতের ফাঁকে থাকা ছোলা বা তার অধিক পরিমাণ খাবার গিলে ফেললে, ঘাম বা চোখের পানি বেশি পরিমাণ হওয়ার কারণে তা মুখ দিয়ে গলার ভেতরে চলে গেলে, আগরবাতি ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃত গলার ভেতরে প্রবেশ করালে, পেস্ট, মাজন বা টুথ পাউডার ব্যবহার করার ফলে এগুলোর স্বাদ গলা পর্যন্ত পৌঁছে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

এভাবে নাকে পানি বা ঔষধ দেওয়ার পর তা গলার ভেতরে চলে গেলে, ইনহিলার ব্যবহার করলে, পানি ছিটিয়ে বা ওষুধ দিয়ে এন্ডোসকপি, প্রক্টোসকপি বা ক্লোনাসকপি করালে রোজা নষ্ট হবে।

নিম্নোক্ত কারণগুলোতে রোজা মাকরূহ হবে:

পেস্ট, মাজন বা টুথ পাউডার ব্যবহার করা যদি এগুলোর স্বাদ গলা পর্যন্ত না পৌঁছে, গীবত করা, মিথ্যা বলা ও ঝগড়া ফাসাদ করা।

---
মুফতি সাঈদ আহমাদ হাফি. এর লেখা

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

01 Mar, 11:18


আজকে শুক্রবার। জুমাবার।

- সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করি
- বেশি বেশি দরুদ পড়ি।
- নিজেদের জন্য ও মজলুম মুসলিম ভাইদের জন্য দোয়া করি।

শুক্রবার শেষ সময়ে দোয়া কবুল হয়।

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

28 Feb, 07:25


বেসিক রুকইয়াহ কোর্সের আপডেট
—-
অনুগ্রহ করে যারা কোর্সের রেজিঃ করেছেন, সবাই ইমেইল চেক করবেন।
আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য ইমেইল করা হয়েছে।
সাপোর্ট/পেইড ট্র্যাকের রেজিঃ কারিরা ২টি ইমেইল পাবেন, আর ফ্রি ট্র্যাকে ১টি ইমেইল পাবেন।
অনুগ্রহ করে কোর্স শেষ হওয়া পর্যন্ত সেসব ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।

(কেউ ইনবক্সে মেইল না পেলে Spam ফোল্ডার চেক করবেন (এরপর ইমেইলটা ওপেন করে Not Spam দিবেন), তাহলে আশা করছি মেইলটি ইনবক্সে ফেরত চলে আসবে, তখন ইমেইলের লিংকগুলোতেও ক্লিক করা যাবে।)

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

27 Feb, 07:54


খেয়াল করি -
আমাদের "রুকইয়াহ শারইয়্যাহ : বেসিক" শিরোনামের কোর্সটি ইনশাআল্লাহ যথাসময়ে শুরু হবে। কেউ যদি রেজিঃ করতে চান, তাহলে এখনও সময় আছে, আজকের মাঝে করে ফেলেন।
-
১. যারা ফ্রি ট্র্যাকে রেজিঃ করেছিলেন, এখন অতিরিক্ত সুবিধার জন্য যদি পেইড ট্র্যাকে যেতে চান, তাহলে ফর্মের লিংকে গিয়ে edit response-এ যান, এরপর বাকিটা পেইড ট্র্যাকের মত ফিলাপ করুন। এটাও আজকের মধ্যেই করতে হবে।
২. যারা রেজিঃ করেছেন, অনেকে এখনও ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করেননি, ফ্রি ট্র্যাকের সব ক্লাসগুলো ফেসবুক গ্রুপ থেকেই করা যাবে। অন্য কোথাও না। পেইড ট্র্যাকের ক্ষেত্রে ক্লাস করা এবং রেকর্ড দেখার জন্য একাধিক অপশন থাকছে।
৩. আজ-কালের মাঝে পেইড ট্র্যাকে রেজিঃ করা ব্যক্তিদের ইমেইলে বিস্তারিত ডিটেলস পাঠানো হবে ইনশাআল্লাহ। আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন। ইমেইলে বলা টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করে ফেলবেন।
-
ইনশাআল্লাহ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বৃহঃবার) থেকে ক্লাস শুরু হবে, এবং আনুমানিক ৩ থেকে ৫টি ক্লাসের মাঝে শেষ হবে।
কোর্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ও রেজিস্ট্রেশন করতে দেখুন-
https://ruqyahbd.org/rqc224

রুকইয়াহ শারইয়্যাহ - Ruqyah Support BD

15 Feb, 13:32


দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

"রুকইয়াহ শারইয়্যাহ : বেসিক" শিরোনামে আমরা খুব সংক্ষিপ্ত একটি কোর্স শুরু করতে যাচ্ছি।
অল্প কথায় বললে এর আলোচ্য বিষয় হলো, "রুকইয়াহ কী, আমরা কেনো রুকইয়াহ করবো, বিভিন্ন সমস্যা যেমন- জিন, জাদু, বদনজর ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য কিভাবে রুকইয়াহ করা যায় এবং নিরাপদে থাকার জন্য কী কী করা উচিত..." এসব বিষয় একদম সংক্ষেপে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
শেষ ক্লাসের পর একটি সংক্ষিপ্ত MCQ কুইজ হতে পারে, যাতে সর্বোচ্চ নাম্বারপ্রাপ্ত ৩-৫জনকে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়া আলোচ্য বিষয়ের ওপর অতিরিক্ত কিছু প্রশ্নোত্তর পর্বও থাকতে পারে।

কোর্সটিতে ফ্রি এবং পেইড উভয় ট্র্যাকেই জয়েন করা যাবে। পেইড ট্র্যাকে কিছু এক্সট্রা সুবিধা পাওয়া যাবে। নারীপুরুষ সবাই রেজিঃ করতে পারবে এতে।
ইনশাআল্লাহ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বৃহঃবার) থেকে ক্লাস শুরু হবে, এবং আনুমানিক ৩ থেকে ৫টি ক্লাসের মাঝে শেষ হবে।

কোর্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ও রেজিস্ট্রেশন করতে দেখুন- https://ruqyahbd.org/rqc224

----
দ্বিতীয়তঃ
এই মাসের ২১তারিখ চট্টগ্রামের কয়েকজন ভাই রুকইয়াহ শারইয়াহ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে। এটাতেও নারীপুরুষ উভয়ের জন্য ব্যবস্থা থাকছে।
যারা এব্যাপারে আগ্রহী এবং কাছাকাছি আছেন, একদিন সময় ম্যানেজ করতে পারলে ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট উপকার পাবেন।
বিস্তারিত এই লিংকে https://www.facebook.com/100073500525232/posts/418606237266057/?app=fbl