* অহিংস আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপান্তরের পেছনে দায়ী ওবাইদুল কাদের সহ কয়েকজন মন্ত্রীর উস্কানিমূলক উক্তি।
* তারপর ছাত্রলীগ যখন আর পারলো না, এরপর নামালো পুলিশ লীগকে। পুলিশ লীগ যখন পারলো না, তারপর নামালো বিজিবি, র্যাব। কিন্তু এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিলো।
* তারপর শিবির, জামাত আর সন্ত্রাস মারবে বলে ব্যবহার করলো গুলি। আসল গুলি!!! কিন্তু আমাদের হাতে তো কোন আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো না। তারা সাংবাদিক মারলো, সেচ্ছাসেবক মারলো, কিশোরদের মারলো, মেয়েদেরকেও মেরে রক্তাক্ত করলো। ছাত্রদের গায়ে গাড়ি তুলে দিলো। হ্যালিকপ্টার থেকে পানির বদলে গুলি মারলো। গ্রেনেড পর্যন্ত মারলো হ্যালিকপ্টার থেকে। শুধু তাই নয়, শত শত ছাত্রদের পংগু করে দিলো। কারো চোখ নষ্ট হয়ে গেলো গুলি লেগে!! অবিচারে হাজার হাজার ছাত্রদের গ্রেফতার করলো। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলো।
* এই যে এত বর্বরতা!!! আমি বলি কি, ভাই, আমরা কি টেরোরিস্ট? আমরা কি শত্রুপক্ষের কোন সৈন্য? ভাই, আমরা তো এই দেশেরই নাগরিক। এই দেশেই আমাদের জন্ম। আমরা তো অন্য দেশ থেকে ভেসে আসি নাই। আমাদের বিরুদ্ধে এভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার মানে কি? আমরা তো ভাই সাধা-সিধে মানুষ ছিলাম। অধিকারের জন্য রাস্তায় নামলাম। আমাদের সাথে তখন বসে কথা বলে ফেললেই তো হতো!! শত শত মানুষের আর মরতে হতো না। কিন্তু তা তো হলোই না। এখন পর্যন্ত যত ছাত্র আন্দোলন হলো এই দেশে, সবগুলোতেই কোন না কোন ছাত্রদের শহীদ হতে হয়েছে। শহীদ হওয়া ছাড়া কি অধিকার আদায়ের আশা করা যায় না??
* এই যে, এখন আমরা এতো কিছু জানতে পারছি প্রযুক্তির কল্যাণে, ১৯৭১ এ কিন্তু এমন ছিলো না। চিন্তা করে দেখো, এতো কম নিউজ পেয়েও তখন ছাত্রসমাজ কি পরিমাণ ট্রিগার্ড হয়ে গেসিলো যে, একটা যুদ্ধের জন্ম হয়ে গেসিলো। কিন্তু, এখন আমাদের মনে সেই স্ফুলিঙ্গ আসে না। এখন আমরা কেমন ভীত হয়ে গিয়েছি। ছাত্রসমাজ আর সাধারণ জনগণ এখন না জাগলে জাগবে কবে। এখন যদি কেউ না জাগে, এই জিন্দেগীতেও সে জাগতে পারবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারবে না।
* সো সবাইকে এক হতে হবে। সরকার যে গণহত্যা চালালো, এটা একটা ক্রাইম। এটা একটা ওয়ারক্রাইম। এর শাস্তি পেতেই হবে। তারা তো কিলার। তাদের হাত এখনো রক্তাক্ত। শাস্তি তাদের পেতেই হবে আজ নয়তো কাল।
# এই ভিডিও দেখেই বোঝা যায়, তারা সন্ত্রাস দমন করতে এসেছিলো না ছাত্রদের দমন করতে এসেছিলো।
#No_More_Vote_for_AwamiLeague