Tazkiyah Society

@tazkiyah_society_dawah


অন্যদের আল্লাহর দিকে পরিচালিত করে, নিজে পথ হারানোর ব্যাপারে সতর্ক হও!

সর্বদা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও যেন তুমি সেতু না হও যা পার হয়ে অন্যরা জান্নাতে চলে যায়, আর তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়।

– ফুদাইল ইবন ইয়াদ (রহ.)
[ সিয়ারু আ'লামিন নুবালা, ৬/২৯১ ]

Tazkiyah Society

22 Oct, 12:17


সারাদিন পেপার, পত্রিকা, ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম, ইমো, হোয়াটসএপ, ভাইবার, ইনস্টাগ্রাম, বিকেলে-সন্ধ্যায় পাঠ্যবই, রাতে আবার অনলাইন, অথচ তাকের ওপর কুরআনখানা ধূলোমলিন।

পরিত্যক্ত! কাঁদছে মাসের পর মাস! কেউ ছুঁয়েও দেখছে না। কীভাবে বরকত আসবে? কী লাভ এই জ্ঞানসাধনায়?

বই: আই লাভ কুরআন

Tazkiyah Society

22 Oct, 02:39


কারাগারে এক ভাইয়ের কাহিনী, বর্ণনা করেছেন কারাগারের আরেক ভাই :

আব্দুুল্লাহ (ছদ্ম নাম) ভাই প্রায় সময় আমাদের কোর্ট পড়ত উনার সাথে। উনার স্ত্রী প্রতি কোর্টে খাবার নিয়ে আসতেন। উনার স্ত্রীও জেনারেল শিক্ষিত! সম্ভবত সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার। ভাইয়ের ফাঁসির রায় হওয়ার পর উনার স্ত্রী'র জন্য ভার্সিটির প্রফেসরসহ অনেক এলিট ফ্যামেলি থেকে ভালো ভালো প্রস্তাব আসতে থাকে।

তো ভাই প্রায় সময় উনার স্ত্রীকে বলতেন — তুমি অন্য জায়গায় বিবাহ করে নাও! আমার সম্পূর্ণ অনুমতি আছে। আমার তো প্রায় ম!মলার ফঁ!সি (৩টা শ!তিমে রাসূল হ!ত্যা) বের হওয়ার সম্ভাবনা নেই, প্রায়ই বলতেন!

তো একদিন, সম্ভবত উনি যাওয়ার আগের কোর্ট অথাৎ ২২ এর অক্টোবরের দিকে আমাদের একসাথে কোর্ট পরে। উনার স্ত্রী সেদিন মজাদার অনেক খাবার আনেন আমাদের জন্য। সেদিন ভাই পূর্বের মত বললেন — অন্য জায়গাতে বিবাহ করে নাও! তোমার বয়স অনেক কম! সামনে স্পেশাল ক্যারিয়ার রয়েছে। সেদিন উনার স্ত্রী'র আবেগময় এক বক্তব্য আমাকে এতটা কাঁদিয়েছে! ওয়াল্লাহি! আমার এখনো মনে হলে চোখ দিয়ে অনিচ্ছায় পানি বের হয়ে আসে! (আমার চোখে পানি চলে আসছে)

উনার স্ত্রী আমাদের বোন সেদিন বলেছিলেন —

“আপনি এত্ত স্বার্থপর কেন? আপনি একাই জান্নাতে যেতে চান? আমাকে নিবেন না? আমাকে আপনার থেকে পৃথক করে - জান্নাতে একা যাওয়ার ইচ্ছে করেছেন? এতো স্বার্থপর কবে থেকে হলেন? ক!রাগার বুঝি মানুষকে স্বার্থপর বানাই! আগে জানতাম না!” একটুকু বলে হাউমাউ করে কান্না করে দেন! ভাই বিশ্বাস করবেন না! যারা সেদিন কোর্টের গারদে ছিলো! এমন কেও ছিল না যে কান্না করেনি। এক ভাই এটা শুনে ফ্লোরে পরে কান্না করে দিলো।

আমরা সবাই কাঁদতে লাগলাম! আর আফসোস করলাম! আহ্! যদি এমন কেও জীবনে আসে! কতই না সৌভাগ্যবান হতাম!

– আহমাদ সাদিকুর রহমান

Tazkiyah Society

21 Oct, 13:32


আমাদের সবার সময়ের বরকত দরকার। রিজিকের বরকত দরকার। কিন্তু আমরা ইবাদাতে তাড়াহুড়ো করি তার জন্য আল্লাহ সময়-রিজিকের বরকত কেড়ে নিচ্ছেন।

স্বাভাবিকভাবে এখন প্রশ্ন জাগে যারা ইবাদত করে না তারা কি তৃপ্তিতে থাকে?

– ইশতিয়াক আহমাদ তুষার

Tazkiyah Society

20 Oct, 12:31


বেশ কিছুদিন আগেই খেয়াল করলাম আমার ব্রেইন আসলে আমার বিরুদ্ধে কাজ করে। এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করার পুনরায় একটু পর্যবেক্ষণ করলাম। দেখলাম, কাহিনী সত্য।

যখন বিদ্যুৎ থাকে না, তখন ফ্যান বন্ধ থাকলেই গরম লাগে। এজন্য বিদ্যুৎ আসার পরেও অনেকক্ষণ ফ্যান বন্ধ রেখে কিংবা সাধারণভাবেই অলসতা করে ফ্যান না চালিয়ে আধাঘণ্টাও দেখলাম, তখন আবার এভাবে গরম লাগে না। বিদ্যুৎ আছে, চাইলেই ফ্যান ছাড়তে পারব এই মাইন্ডসেটই যেন নির্ধারণ করছে যে আমার এখন গরম লাগবে না।

এভাবেই দুর্বল ঈমানদার ব্যক্তির ব্রেইনও তার বিরুদ্ধে কাজ করে। আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা না থাকার কারণে তার মাইন্ডসেট এমন থাকে যে, বিপদ এড়ানোর ক্ষমতা তার নেই। তাই বিপদে পড়লে সে নিজেকে উদ্ধার করতে পারবে না ভেবে আরো দুর্বল হয়।

অপরদিকে তকদিরের প্রতি বিশ্বাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে যার ঈমানের জোর বেশি, সে প্রতিকূল পরিবেশেও শান্ত থাকে এটা ভেবে যে আল্লাহ চাইলেই তাকে সাহায্য করবেন। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা তাকে বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। তার ব্রেইন তাকে ধোঁকা দিতে পারে না।

এজন্যই বিশ্বাসীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কম, এথিস্টদের মধ্যে বেশি। এজন্যই ঈমানের নেয়ামত পেয়ে আপনি একবার আলহামদুলিল্লাহ পড়তেই পারেন।

– মেরাজ হোসেন

Tazkiyah Society

18 Oct, 14:43


ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উনার ডান হাতের কবজি ই'সর|য়েলি জ’ঙ্গিদের শেলের আঘাতে উড়ে গিয়েছিল। সেজন্য তিনি বাম হাতে ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করেছিলেন।

ইয়াহইয়া সিনওয়ারই সম্ভবত আমাদের জীবদ্দশায় দেখা একমাত্র জাতীয় নেতা, যিনি সশস্ত্র যুদ্ধ করতে করতে শ’হীদ হয়েছেন। উনার মৃতদেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় তার গলায় ছিল কেফিয়্যাহ পেঁচানো, তার হাতের পাশে ছিল AK-47 রাইফেল।

তিনি টানেলে বা বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন না। ই’সর|য়েল তাকে টার্গেট করে হ’ত্য| করেনি। তারা জাস্ট তিনজন গেরিলা যোদ্ধার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল, যাদের একজন সিনওয়ার নিজে। অধীনস্থ যোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে যুদ্ধ করতে করতে বীরের মতো শ’হীদ হয়েছেন।

দুই বিলিয়ন মুসলিমের সম্মান রক্ষায়, ডানহাতসহ পুরো শরীর র-ক্তাক্ত হয়ে যাওয়ার সত্ত্বেও, বামহাতে লাঠি নিয়ে, পুরো বিশ্বের বিরুদ্ধে জীবনের শেষবিন্দু দিয়ে লড়ে গেছেন।

Tazkiyah Society

17 Oct, 16:45


ফ্যা’সিবাদ মরে নাই। মুসলিম প্রধান দেশে সব কিছুর কথা বলা যায় শুধু শরীয়াহর কথা বলা যায় না...

যতই শাসক বদলাক, ক্ষমতার পালাবদল হোক শরীয়াহ্ শাসন ছাড়া এসব সেক্যুলার কালচারাল হেজেমনি দিনশেষে আরেকটি স্বৈরাচারী একটা শাসন ব্যবস্থাই জন্ম দেবে প্রতিবার। তথাকথিত গনতন্ত্র, মানবাধিকার নিজেই একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা গায'যা সেটা পুরো দুনিয়ার মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছে তারপরও মানুষ যদি না বুঝে, আফসোস।

Tazkiyah Society

17 Oct, 14:51


ইয়াহইয়া সিনওয়ার শ’হীদ হননি। গ| য| নাও চ্যানেলে এটাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ইনফো কালেক্টের জন্য ই’সর|ইলি চাল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আমরা নীরব থাকি আপাতত। অপেক্ষা করি।

হে আল্লাহ! আপনি উত্তম ফয়সালা করুন।

Tazkiyah Society

16 Oct, 12:23


১ ডলার = ৬৬ আফগানি
১ ডলার = ১২০+ টাকা

এক দেশ স্বাধীনতার মাত্র তিন বছর পার করেছে, আর আরেক দেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ+ বছর হয়ে গেছে।

আফগানিস্তানের এত উন্নতি দেখার পরও যারা শরীয়াহ্, ইসলামি শাসন, ইসলামি ইমারতের সৌন্দর্য খুঁজে পায় না, তারা জন্মান্ধ।

Tazkiyah Society

15 Oct, 16:19


PSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি পরে বুঝতে পারলো হুদায় এটা কিছুই ছিলনা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র!

JSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, JSC রেজাল্ট নাম মাত্র, সত্যিকারের খেলা হবে SSC তে!

SSC তে ভালো রেজাল্ট করা ছেলেটি জানতে পারলো, মূল খেলা নাকি HSC তে হয়!

এদিকে HSC চলমান পরীক্ষা দেয়া ছেলেটা জানে, মূল খেলা হয় Admission এ!

ওই দিকে সদ্য গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করা ছেলেটি জানে, মূল খেলা তো সবেমাত্র শুরু...

সফল ক্যারিয়ার শেষে সদ্য অবসরে গিয়ে লোকটি জানে, "এ জীবন কিছুই না, মৃত্যুর পরের জীবনই আসল জীবন!”

– রাসেল আহমেদ
.
তুমি যা-ই হারাও না কেন, বিকল্প খুঁজে পাবে। কিন্তু আল্লাহকে হারালে কে হবে তাঁর সমান...

Tazkiyah Society

15 Oct, 08:58


এই বাবুটার গায়ে যে গেঞ্জি, ওখানে লেখা,
“হ্যালো লাভলি গার্ল।”

এই বাচ্চাটাও তো আর দশটা বাচ্চার মতো সযত্নে বড় হওয়ার কথা। জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ অবশ্য এই বাচ্চাদেরকে দেখে না এবং তাদের তথাকথিত মানবাধিকার, মানবতাও জেগে উঠে না কারণ এই বাচ্চারা মুসলমান। এই বাচ্চাদের জন্য সুশীলদেরও মন কাঁদে না...

মুসলিমদের র’ক্তের মূল্য বিশ্বের কাছে বরাবরই মূল্যহীন...