ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

@imaanidayitto


"𝐈 𝐚𝐦 𝐚 𝐌𝐮𝐬𝐥𝐢𝐦
𝐍𝐨𝐭 𝐚𝐟𝐫𝐚𝐢𝐝 𝐭𝐨 𝐝𝐢𝐞."
𝗔𝗹𝗹𝗮𝗵 𝗶𝘀 𝗔𝗹𝗺𝗶𝗴𝗵𝘁𝗹𝘆.
𒊹︎︎︎𝗔𝗹𝗹 𝗽𝗿𝗮𝗶𝘀𝗲 𝗶𝘀 𝗱𝘂𝗲 𝘁𝗼 𝗔𝗹𝗹𝗮𝗵.𒊹︎︎︎

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

21 Oct, 00:33


তুমি কি আমার বন্ধু হবে...

✍️ আরিফ আজাদ ভাই;
🎙️ Abir Hasan ভাই।

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

20 Oct, 13:59


প্রচন্ড ক্লান্তিতে, ব্যাথা-বেদনায় জর্জরিত হয়ে দোয়া করার মতো শক্তি না থাকলে, শুধু ‘ইয়া রব’ তো বলতে পারি। বাকিটুকু তিনি বুঝে নিবেন।

– উস্তায আতিক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

18 Oct, 08:26


দুরূদ শরীফ পড়ার সময়–

ক. মনে মনে নবীজি ﷺ এর প্রতি মহব্বতের কথা কল্পনা করা।

খ. জোর করে হলেও মুখে উচ্চারণের সাথে সাথে,
মনে মনেও নবীজি ﷺ এর কথা কল্পনা করা।

না হলে দুরুদ শরীফ পড়ার সওয়াব পাওয়া যাবে সত্য
কিন্তু দুরূদের ফয়েয (বরকত) লাভ হবে না।

© উস্তায আতিক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

03 Oct, 14:12


জুম্মাবার সূরা কাহাফ, বেশি বেশি দোয়া, দুরুদ আর ইস্তেগফার ইনশাআল্লাহ।

“সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”

জুমুআর দিনের বিশেষ কয়েকটি আমল ও ফজিলত :–

১. দরুদ শরীফ – জুমুআর দিন বেশী বেশী দুরূদ শরীফ পাঠ করা ও বেশী বেশী যিকির করা মোস্তাহাব।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আহর দিন। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

[আবু দাউদ -১০৪৭]

“যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।”

[সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২]

২. সূরা কাহাফ – রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমু'আহর দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমু'আহ থেকে অন্য জুমু'আহ পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।

[সহিহ আত-তারগীব, হাদিস ৭৩৬]

৩. দোয়া – জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

“জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।” [আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮]

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, “শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়।” (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)

ইমাম আহমদ (রহ.)-ও আসরের পর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলেছেন। বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ তিরমিজি শরিফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় তাঁর সবিশেষ কথাটি উল্লেখ আছে।

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে–

“জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন।” [মুসান্নাফ, হাদিস : ৫৫৮৮]

৪. ইস্তিগফার: – রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে ইস্তেগফার করবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যে কোন অভাব ও সংকটের সময় তার জন্য রাস্তা খুলে দিবেন, যেকোন দুঃখ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং তার জন্য এমন রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।”

[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং: ১৫১৮]

এছাড়াও –

৫. অন্য দিনের তুলনায় ফজরের সময় ঘুম থেকে আগে উঠা।
৬. গোসল করা (মেসওয়াকও করবে।)
৭. উত্তম ও পরিস্কার কাপড় পরিধান করা।
৮. আতর বা খুশবূ লাগানো।
৯. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
১০. ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা।
১১. মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা।
১২. খুতবার সময় কোনরূপ কাজ না করা বা কথা না বলা।
১৩. দুই খুতবার মাঝখানে হাত উঠানো ব্যতীত দিলে দিলে দু'আ করা।

১৪. জুমুআর দিন জুমুআর নামাযের জন্য যত শীঘ্র মসজিদে যাবে তত বেশী ছওয়াব হবে। সর্বপ্রথম যে যাবে একটা উট কুরবানীর ছওয়াব পাবে। তারপরের জন একটা গাভী কুরবানীর, তারপরের জন দুম্বা কুরবানীর, তারপরের জন একটা মুরগি দানের এবং তারপরের জন একটা ডিম দানের ছওয়াব পাবে।

১৫. যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ফজর নামাযের পূর্বে তিনবার নিম্নোক্ত এস্তেগফারটি পাঠ করবে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে-

استغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم واتوب اليه ـ (كتاب الاذكار)

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

27 Sep, 14:40


প্রথমেই বলে নিই, এটা কোনও মাসনুন আমল নয়। মুজাররাব আমল। বুযুর্গানে কেরাম এমনটা করে উপকার পেয়েছেন। এমন করা সুন্নত নয়। মুস্তাহাব নয়। বড়জোড় মুবাহ বা বৈধ বলা যেতে পারে। এমন করা জরুরী মনে করলে, বেদআতের গুনাহ হবে। কুরআন কারীম ‘শিফা’ বা আরোগ্য, এই দৃষ্টিকোণ থেকে পড়া যেতে পারে। যদি কারও সমস্যাগুলো থাকে আরকি! এবং যদি মনে সায় দেয়!
.
(১). সূরা দু‘হা ২৭ বার পড়া। প্রতিবার বিসমিল্লাহ সহকারে। প্রতিবার পড়ার সময়, (وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَىٰ) আয়াতটা সাতবার করে পড়া। অর্থাৎ ২৭ বারে সাতবার করে এই আয়াত পড়া হবে সর্বমোট ১৮৯বার।
আমলটা কেন করা হবে?
ক. হারানো বস্তু পাওয়ার জন্যে।
খ. স্বামী বা স্ত্রী লাভের জন্যে।
গ. চাকুরি লাভের জন্যে।
ঘ. সন্তান লাভের জন্যে। (অবশ্য সন্তানের কথা শায়খ বলেননি। নিজের সংযোজন, পড়ে দেখা যেতে পারে। ক্ষতিও তো আর নেই। সন্তান লাভ না হলেও সওয়াব লাভ তো হবে)।
.
(২). আর্থিক সমস্যা থাকলে, ধনসম্পদ লাভের ইচ্ছা হলে, সূরা দুহা পড়া হবে আগের মত ২৭ বার। তবে এবার (وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَىٰ) আয়াতটা প্রতিবারে ৭ বার করে পড়া হবে।
.
শায়খকেপ্রশ্ন করলাম,
-বুযুর্গগন আমলটা করে ফল পেয়েছেন, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমি কেন আমলটা করব?
তিনি স্মিত হেসে উত্তর দিলেন,
-তোমাকে কি আমি আমলটা করতে বলেছি? আমি তোমাকে শুধু সংবাদটুকু দিয়েছি। করতে তো বলিনি।
-আপনি করেছেন?
-জি¦।
-এর স্বপক্ষে কোনও দলীল কি আছে?
-অবশ্যই আছে, ভাল মানুষের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আমিও তাই করেছি। গুনাহ বা বেদাত না হলে, কারো ভালো অভ্যাসের অনুসরণ করতে শরীয়ত বাধা দেয় না। নাও একটা আয়াত শোনো,
أُولَٰئِكَ الَّذِينَ هَدَى اللَّهُ ۖ فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِهْ ۗ
তারা ছিল এমন লোক, আল্লাহ যাদেরকে হিদায়াত দান করেছিলেন। সুতরাং তুমিও তাদের পথে চলো (আনআম ৯০)।
.
সন্তান না হলে, বিয়ে না হলে, অনেকে সামান্য খড়কুটো পেলেও আঁকড়ে ধরতে চায়। তার বদলে কুরআন কারীমকেই না হয় আঁকড়ে ধরা যাক।

© উস্তায আতিক উল্লাহ হাফিঃ | কুরআনি আমল

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

27 Sep, 08:12


জুমআর দিন বাদ আসর সালাফদের আমলঃ -

১) “ বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত সাঈদ ইবনু জুবায়ের রাহিমাহুল্লাহ (জুমআর দিন) আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না। (পুরো সময়টা দোয়াতে মশগুল থাকতেন)। ”

- ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ
[যাদুল মাআদ : ১/২৮২]

২) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

“ জুমআর দিনটি হল ইবাদতের দিন। দিনের মধ্যে জুমআর দিনটি মাসের মধ্যে রমাদানের মতো আর জুমআর দিনের বিশেষ সময়টি মাহে রমাদানের লাইলাতুল কদরের মতো। ”
[যাদুল মাআদঃ ১/৩৮৬]

“ জুমআর দিন যে সময়টিতে দোয়া কবুল হয় তা হল, আসরের পরের শেষ সময়টি। সব ধর্মাবলম্বীরাই এই সময়টির কদর করে থাকে। ”
[যাদুল মাআদ : ১/২৮৪]

৩) ইমাম ইবনুল আসাকির রাহিমাহুল্লাহ তার বিখ্যাত ‘তারীখে দিমাশক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ

“ একবার সালত ইবনু বুস্তাম রাহিমাহুল্লাহ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন তার বন্ধুবান্ধবরা তার জন্য জুমআর দিন আসরের পর দোয়া করতে থাকেন। মাগরিবের পূর্বে তার একটি হাঁচি আসে এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। ”
[ইবনে আসাকির; তারীখে দিমাশক]

৪) হযরত তাউস বিন কায়সান রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে কেবলামুখী হয়েই বসে থাকতেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না।
[তারীখে ওয়াসেত]

৫) মোফাজ্জাল বিন ফাজালা রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে মসজিদের এক কোনায় একাকী বসে যেতেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটানা দোয়া করতে থাকতেন।
[আখবারুল কুযাত]

৬) সালাফদের মধ্যে কোন এক বুজুর্গ বলেছেনঃ

“ আমি জুমআর দিন আসর ও মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে যে কোনও দোয়াই করেছি আল্লাহ আমার সেই দোয়াই কবুল করেছেন। একটা পর্যায়ে আমার কাছে কিছুটা লজ্জাও লাগতো। ”

৭) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ

“ যার জুমআর দিন ঠিক হয়ে যাবে তার পুরো সপ্তাহ হয়ে যাবে। ”
.
একটি বিশেষ দোয়াঃ -

اللهُمَّ إِنَّي أَسْأَلُكَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى مِنَ الْجَنَّةِ

“ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর-জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করি। ”

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ এই দোয়াটির ব্যাপারে বলতেনঃ

“ আপনি যদি কাউকে এই দোয়াটি বেশি বেশি করতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আল্লাহ তার জন্য তা লিখে রেখেছেন। ”

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ 💙

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

26 Sep, 12:21


জুম্মাবার সূরা কাহাফ, বেশি বেশি দোয়া, দুরুদ আর ইস্তেগফার ইনশাআল্লাহ।

“সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”

জুমুআর দিনের বিশেষ কয়েকটি আমল ও ফজিলত :–

১. দরুদ শরীফ – জুমুআর দিন বেশী বেশী দুরূদ শরীফ পাঠ করা ও বেশী বেশী যিকির করা মোস্তাহাব।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আহর দিন। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

[আবু দাউদ -১০৪৭]

“যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।”

[সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২]

২. সূরা কাহাফ – রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমু'আহর দিনে সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমু'আহ থেকে অন্য জুমু'আহ পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।

[সহিহ আত-তারগীব, হাদিস ৭৩৬]

৩. দোয়া – জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

“জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোনো মুসলিম এ সময়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে দান করেন। এ মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময়ে অনুসন্ধান করো।” [আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮]

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, “শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়।” (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)

ইমাম আহমদ (রহ.)-ও আসরের পর বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার কথা বলেছেন। বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ তিরমিজি শরিফের ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় তাঁর সবিশেষ কথাটি উল্লেখ আছে।

আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে–

“জুমাবারে এমন একটি সময় আছে, যেটাতে বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন।” [মুসান্নাফ, হাদিস : ৫৫৮৮]

৪. ইস্তিগফার: – রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন- “যে ব্যক্তি বেশি পরিমাণে ইস্তেগফার করবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যে কোন অভাব ও সংকটের সময় তার জন্য রাস্তা খুলে দিবেন, যেকোন দুঃখ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং তার জন্য এমন রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করে দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।”

[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং: ১৫১৮]

এছাড়াও –

৫. অন্য দিনের তুলনায় ফজরের সময় ঘুম থেকে আগে উঠা।
৬. গোসল করা (মেসওয়াকও করবে।)
৭. উত্তম ও পরিস্কার কাপড় পরিধান করা।
৮. আতর বা খুশবূ লাগানো।
৯. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
১০. ইমাম সাহেবের কাছাকাছি বসা।
১১. মনোযোগ সহকারে খুতবা শোনা।
১২. খুতবার সময় কোনরূপ কাজ না করা বা কথা না বলা।
১৩. দুই খুতবার মাঝখানে হাত উঠানো ব্যতীত দিলে দিলে দু'আ করা।

১৪. জুমুআর দিন জুমুআর নামাযের জন্য যত শীঘ্র মসজিদে যাবে তত বেশী ছওয়াব হবে। সর্বপ্রথম যে যাবে একটা উট কুরবানীর ছওয়াব পাবে। তারপরের জন একটা গাভী কুরবানীর, তারপরের জন দুম্বা কুরবানীর, তারপরের জন একটা মুরগি দানের এবং তারপরের জন একটা ডিম দানের ছওয়াব পাবে।

১৫. যে ব্যক্তি জুমুআর দিন ফজর নামাযের পূর্বে তিনবার নিম্নোক্ত এস্তেগফারটি পাঠ করবে তার সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে-

استغفر الله الذي لا إله إلا هو الحي القيوم واتوب اليه ـ (كتاب الاذكار)

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

25 Sep, 12:21


আবু আব্দুল্লাহ আন-নাবাজী রাহিঃ বলেন, পাঁচটি গুণের মাধ্যমে আমল পূর্ণতা পায়:

১. আল্লাহর পরিচয় লাভের মাধ্যমে ঈমান আনয়ন।
২. হক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা।
৩. ইখলাসের সাথে আল্লাহর জন্যই আমল করা।
৪. সুন্নাহ পদ্ধতিতে আমল করা।
৫. হালাল খাদ্য গ্ৰহণ।

এগুলোর কোনো একটি বৈশিষ্ট্য যদি পাওয়া না যায়, তা হলে আমল (আসমানে) উঠবে না।

বই: নবিজির পরশে সালাফের দরসে।

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

22 Sep, 16:58


❝ উস্তায আতিক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহর বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন আর্টিকেলসমূহের লিংক ❞ শিরোনামে পিন পোস্টের লেখাগুলো যারা টেলিগ্ৰামে দেওয়ার কথা বলছিলেন তাদের জন্য টেলিগ্ৰাম চ্যানেল ক্রিয়েট করা হয়েছে।

লিংক: উস্তায আতিক উল্লাহ কহেন

এখন থেকে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও টেলিগ্ৰামে উস্তাযের আর্টিকেলসমূহ পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

22 Sep, 00:41


এক যাহেদ (সংসার বিরাগী) কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, সবচেয়ে ফলপ্রসূ ওয়ায ও উপদেশ কিসে লাভ হয়?

উত্তরে তিনি বললেন, “মৃতব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাতে।”

হাসান বাসরী রাহিঃ বলেন, “হে আদম সন্তান! মুমিন ব্যক্তি সর্বদা ভীত অবস্থায় সকাল করে, যদিও সে সৎকর্মশীল হয়।

কেননা সে সর্বদা দু’টি ভয়ের মধ্যে থাকে। (ক) বিগত পাপ সমূহের ব্যাপারে। সে জানেনা আল্লাহ সেগুলির বিষয়ে কি করবেন। (খ) মৃত্যুর ভয়, যা এখনো সামনে আছে। সে জানেনা আল্লাহ তাকে তখন কোন পরীক্ষায় ফেলবেন। অতএব আল্লাহ রহম করুন ঐ ব্যক্তির উপরে, যে এগুলি বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে ও জ্ঞান হাছিল করে। দূরদর্শিতা লাভ করে এবং নিজেকে প্রবৃত্তি পরায়ণতা থেকে বিরত রাখে’।” [১]

তিনি বলতেন, “দুনিয়া তিনদিনের জন্য। গতকাল, যে তার আমল নিয়ে চলে গেছে। আগামীকাল, সেটা তুমি নাও পেতে পার। আজকের দিন, এটি তোমার জন্য। অতএব তুমি এর মধ্যে আমল কর।” [২]

জনৈক ব্যক্তি তাকে কুশল জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “ঐ ব্যক্তির অবস্থা কেমন থাকবে, যে সকাল-সন্ধ্যা মৃত্যুর প্রতীক্ষা করে? সে জানেনা আল্লাহ তার সাথে কি ব্যবহার করবেন।” [৩]

তিনি যখন কোন জানাযা পড়াতেন, তখন কবরের মধ্যে উঁকি মেরে জোরে জোরে বলতেন, কত বড়ই না উপদেশদাতা সে। যদি জীবিত অন্তরগুলি তার অনুগামী হ’ত! [৪]

তাঁকে একদিন জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, আপনি কেমন আছেন? জবাবে তিনি বলেন, তুমি আমাকে আমার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছ? আচ্ছা ঐ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তোমার কি ধারণা যারা একটি নৌকায় চড়ে সাগরে গেছে। অতঃপর মাঝ দরিয়ায় গিয়ে তাদের নৌকা ভেঙ্গে গেছে। তখন তারা যে যা পেয়েছে কাঠের টুকরা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। লোকটি বলল, সেটা তো বড় ভয়ংকর অবস্থা। হাসান বাছরী বললেন, আমার অবস্থা তার চাইতে কঠিন’।[৫]

এতবড় একজন বিখ্যাত তাবেঈ, আবেদ, যাহেদ, দুনিয়াত্যাগী ব্যক্তির যদি এই অবস্থা হয়, তাহ’লে আমাদের অবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ ভেবে দেখা কর্তব্য।

[১]. ইবনুল জাওযী, আদাবুল হাসান বাছরী, ১২৩ পৃ.।
[২]. ইবনু আবিদ্দুনিয়া, আয-যুহদ, ১৯৭ পৃ.।
[৩]. ইবনু হিববান, রওযাতুল উকালা, ৩২ পৃ.।
[৪]. ইবনু আবিদ্দুনিয়া, ক্বাছরুল আমাল, ১৪৫ পৃ.।
[৫]. আবুবকর আল-মারূযী, আখবারুশ শুয়ূখ ওয়া আখলাক্বিহিম ১৮৩ পৃ.।

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

13 Sep, 05:11


জুমআর দিন বাদ আসর সালাফদের আমলঃ -

১) “ বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত সাঈদ ইবনু জুবায়ের রাহিমাহুল্লাহ (জুমআর দিন) আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না। (পুরো সময়টা দোয়াতে মশগুল থাকতেন)। ”

- ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ
[যাদুল মাআদ : ১/২৮২]

২) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

“ জুমআর দিনটি হল ইবাদতের দিন। দিনের মধ্যে জুমআর দিনটি মাসের মধ্যে রমাদানের মতো আর জুমআর দিনের বিশেষ সময়টি মাহে রমাদানের লাইলাতুল কদরের মতো। ”
[যাদুল মাআদঃ ১/৩৮৬]

“ জুমআর দিন যে সময়টিতে দোয়া কবুল হয় তা হল, আসরের পরের শেষ সময়টি। সব ধর্মাবলম্বীরাই এই সময়টির কদর করে থাকে। ”
[যাদুল মাআদ : ১/২৮৪]

৩) ইমাম ইবনুল আসাকির রাহিমাহুল্লাহ তার বিখ্যাত ‘তারীখে দিমাশক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ

“ একবার সালত ইবনু বুস্তাম রাহিমাহুল্লাহ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তখন তার বন্ধুবান্ধবরা তার জন্য জুমআর দিন আসরের পর দোয়া করতে থাকেন। মাগরিবের পূর্বে তার একটি হাঁচি আসে এবং তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। ”
[ইবনে আসাকির; তারীখে দিমাশক]

৪) হযরত তাউস বিন কায়সান রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে কেবলামুখী হয়েই বসে থাকতেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারও সাথে কথা বলতেন না।
[তারীখে ওয়াসেত]

৫) মোফাজ্জাল বিন ফাজালা রাহিমাহুল্লাহ জুমআর দিন আসরের নামাজ পড়ে মসজিদের এক কোনায় একাকী বসে যেতেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত একটানা দোয়া করতে থাকতেন।
[আখবারুল কুযাত]

৬) সালাফদের মধ্যে কোন এক বুজুর্গ বলেছেনঃ

“ আমি জুমআর দিন আসর ও মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে যে কোনও দোয়াই করেছি আল্লাহ আমার সেই দোয়াই কবুল করেছেন। একটা পর্যায়ে আমার কাছে কিছুটা লজ্জাও লাগতো। ”

৭) ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ

“ যার জুমআর দিন ঠিক হয়ে যাবে তার পুরো সপ্তাহ হয়ে যাবে। ”
.
একটি বিশেষ দোয়াঃ -

اللهُمَّ إِنَّي أَسْأَلُكَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى مِنَ الْجَنَّةِ

“ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর-জান্নাতুল ফিরদাউস কামনা করি। ”

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ এই দোয়াটির ব্যাপারে বলতেনঃ

“ আপনি যদি কাউকে এই দোয়াটি বেশি বেশি করতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকুন যে, আল্লাহ তার জন্য তা লিখে রেখেছেন। ”

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ 💙

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

10 Sep, 01:30


সুতরাং প্রকৃত সুখ হলো ইলমি যোগ্যতায় এবং চারিত্রিক উৎকর্ষে।

ঈমানী দায়িত্ব (Imaanidayitto)

06 Sep, 06:04


আর কতকাল?