Iftekhar Jamil

@iftekharjamil


ইলমি আলোচনা : মুজাকারা ও মুনাকাশা

Iftekhar Jamil

22 Oct, 23:30


আদর্শের পেছনে থাকে সেনাবাহিনী

সোভিয়েত ইউনিয়ন আফ/ গানিস্থান দখল করার আগে আফ/ গান সেনাবাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। সেনাবাহিনীর সদস্য ও ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া হয় রাশিয়ায়—তাদেরকে দীক্ষিত করা হয় উগ্র বামপন্থায়। উগ্র বামপন্থায় দীক্ষিত লোকগুলোই পরে আফ/ গানিস্থানে রাশিয়াকে ডেকে নিয়ে আসে ও প্রধান সমর্থক হিসেবে দখলদার বাহিনীর পক্ষে থাকে।

আগে দেশ দখল করার পূর্বে ও পরে ধর্মপ্রচার করে জনসমর্থন আদায় করা হত—এখন জনসমর্থন আদায় করা হয় আদর্শ ও বিনোদনের নামে। আপনার রাষ্ট্রীয় এলিট ও যুবা শ্রেণীতে ভিনদেশি সংস্কৃতি প্রবল হয়ে উঠছে কিনা, সেটা চোখে চোখে রাখুন। কেননা ভিনদেশি সংস্কৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে দখলদার বাহিনী। আপনি যেসব ভিনদেশি কন্টেন্ট গিলছেন, প্রভাবিত হয়ে উঠছেন যার কথায়, সে অপেক্ষায় থাকে আপনার দেশদখলের।

( তথ্যসূত্র : আল জাজিরার তথ্যছবি—আফ/ গানিস্থান, আল আরদুল জারিহাহ)

Iftekhar Jamil

22 Oct, 04:32


হাকিমুল উম্মত মাওলানা ও সাইয়েদেনা আশরাফ আলী থানবী রাহিমাহুল্লাহ

Iftekhar Jamil

21 Oct, 23:25


ওয়াজ মাহফিল আমাদের ঐতিহ্য, সংগ্রাম

ওয়াজ মাহফিল আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুথি-পাচালির কাহীনি সাহিত্যের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা। বাংলা অঞ্চলে শত শত বছর ধরে পীর-দরবেশরা বছর বা মাসের নির্দিষ্ট দিনে খানকাহ/দরবারে আয়োজন করতেন ওয়াজ মাহফিল।

বিশেষত ব্রিটিশ আমলে জৌনপুরী ও মুহাম্মদী ধারার বক্তারা এই অঞ্চলে চষে বেড়িয়েছেন, সংগ্রহ করেছেন আন্দোলনের সমর্থন, অর্থ ও সদস্য। এই দীর্ঘ ইতিহাস ভুলে আপনারা বলতে শুরু করেছেন, ওয়াজ মাহফিল আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও এতে সমর্থন জানাচ্ছেন।

বলে রাখা ভালো, ঐতিহাসিকদের মতে দূর্গা পূজা ও ওয়াজ মাহফিল প্রায় একইসময়ে জনপ্রিয় হয়েছে। ব্রিটিশদের বিজয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে প্রবর্তিত হয় দূর্গা পূজা, ব্রিটিশ বিরোধী ধর্মীয় আন্দোলনে জনপ্রিয় হয় ওয়াজ মাহফিল। এভাবে ভাবলে দেখবেন, ওয়াজ মাহফিল আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আরব-আফ্রিকায় ওয়াজ মাহফিলের প্রচলন নেই। যেহেতু সবাই আরবি পারে, সরাসরি ধর্মীয় ব্যাখ্যা বুঝতে সক্ষম, তাই আরব-আফ্রিকায় ওয়াজ মাহফিলের পরিবর্তে মসজিদ ভিত্তিক হালাকার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। মালয় দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা আরবি জানেন না, তাই সেখানেও ধর্মীয় শিক্ষা-প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে প্রবর্তিত হয় ওয়াজ মাহফিল।

Iftekhar Jamil

21 Oct, 14:12


গ্রামীণ মাদরাসা

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মুরুব্বি পিএইচডি করছেন—তিনি আমাদের গ্রামের আলিয়া মাদরাসায় পড়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, তোমাদের এলাকার মানুষরা অধিকাংশই ‘গরীব’ ছিল। রান্না হত দুইবেলা—সকাল-বিকাল। সকালের খাবার বাঁচলে দুপুরের খাবার হিসেবে খেতেন কেউ কেউ। এখনো আমাদের গ্রামে দুপুরে রান্না হয় না। তবে এই অভাবের মধ্যেই, মুরুব্বি বলছিলেন, পাড়ার প্রতিটা ঘরে অন্তত একজন করে ছাত্রের খানার ব্যবস্থা করতো।

আমাদের বাড়িতে ছাত্র-মেহমানদের জন্য আলাদা ঘর ছিল—নিয়ম ছিল, আমাদের পরিবার সবচেয়ে ভালো দুইতিনজন ছাত্রের দায়িত্বগ্রহণ করবে—অবশ্য পুরো বিষয়টি অবৈতনিক ছিলো না। ছাত্ররা পরিবারের শিশুদেরকে পড়াবে, তারা নিজেরাও আমার দাদা ও চাচার কাছে পড়া ধরে নিবে।

মাদরাসার সরকারীকরণ ঘটলো, প্রথমে ঢুকলো নকল, সাথেসাথেই ঢুকলো ইসলামি রাজনীতির নামে তীব্র দলবাজি—বিদেশ থেকেও ‘সালাফি’ অর্থ আসলো। আমার বাপ-চাচারা সবাই গ্রাম ছেড়ে দিলেন, সরকারি চাকরিতে ঢুকলেন। সমাজের সাথে মাদরাসার সম্পর্কটা ভেঙে গেলো।এখন বড় বড় ভবন আছে। নতুন নতুন ভবন যুক্ত হচ্ছে। তবে আমার মনে হয়, মাদরাসাটাই আর বেঁচে নেই।

Iftekhar Jamil

21 Oct, 12:35


শরিয়া গভর্নেন্স

গতসপ্তাহে আমাদের ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে দিনব্যাপী শরিয়া গভর্নেন্সের বিষয়ে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। ডিপার্টমেন্ট মনে করছে ইসলামি আইনের কেবল তাত্ত্বিক দিক জানাই যথেষ্ট নয়, এর কাঠামো ও প্রয়োগের দিকগুলো জানাও জরুরী। এর অংশ হিসেবে সিলেবাসেও ব্যাপক পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৌলিক তাত্ত্বিক দিকের পাশাপাশি শরিয়া গভর্নেন্সকেও নতুন সিলেবাসে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে ফিকাহের সঙ্গে পলিটিকাল সাইন্স/সোশিওলজি/সাইকোলজির সিলেবাসকে দিগুণেরও বেশী বৃদ্ধি করা হয়েছে শরিয়া গভর্নেন্সের সহযোগী হিসেবে।

আগামী বিশ বছরে বাংলাদেশের মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কি শরিয়া গভর্নেন্স-ইসলামভিত্তিক হিউম্যান সাইন্সকে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব?

Iftekhar Jamil

21 Oct, 04:56


সালামের গুরুত্ব

সালাম ভালোবাসা প্রচারের মাধ্যম। নবীজি বলেন, ঈমান না আনলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। পারস্পরিক ভালোবাসা না থাকলে পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আমি তোমাদেরকে ভালোবাসা তৈরির সর্বোত্তম মাধ্যম বলবো? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও। অন্য হাদিসে নবীজি ভালোবাসার ব্যাখ্যায় বলেন, ভালোবাসা না থাকলে তুমি অপরের দিকটা বুঝবে না—নিজেকে অপরের জায়গায় রেখে চিন্তা করতে পারবে না। মূলত এখান থেকেই জুলুমের শুরু।

ইবনে ওমর (রাঃ) নিয়মিত বাজারে যেতেন—মনে রাখবেন, তিনি ওমর (রাঃ) এর সন্তান। তবে বাজারে গিয়েও কোনকিছু কিনতেন না। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলো, কিছু কিনেন না, দামদর পর্যন্ত করেন না। বাজারে আসেন কেন? ইবনে ওমর বলেন, সালাম দেওয়ার জন্য আমি বাজারে আসি।

সালাম স্পষ্ট করে দেওয়া নবীজির আদর্শ। নবীজি বৈঠকে তিনবার সালাম দিতেন। স্পষ্টতার জন্য এককথা তিনবার করে বলতেন।

সালামে বিকৃতি করা ইহুদীদের অভ্যাস। ইহুদীরা বলতো, 'সামুলাইকুম।' একবার আয়েশা (রাঃ) ছিলেন নবীজির সাথে। তিনি এমন ডাক শুনে ক্ষেপে গেলেন। নবীজি সাথেসাথে থামিয়ে দিয়ে বললেন, আয়েশা এমন শক্ত কথা বলবা না। আল্লাহ অশ্লীল কথা ও গালিগালাজ পছন্দ করেন না। (*আয়েশার কথা শক্ত ছিলো, অশ্লীল ছিলো না। তবুও নবীজি তাকে থামিয়ে দেন।)

Iftekhar Jamil

20 Oct, 23:50


নির্জনতার গুরুত্ব

নবুওয়ত-প্রাপ্তির আগে নবীজি ঘন ঘন নির্জনতার মধ্যে মুরাকাবায় মগ্ন হতেন। নাগরিক কোলাহল-উল্লাস থেকে অনেক দূরে গিয়ে ইবাদতে মনোযোগী হতেন। আমাদের জীবন এখন অনেক কোলাহলময়। কোলাহলে আমাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটছে।

ওহি বন্ধ হলেও ইলহামের দরজা বন্ধ হয়নি, ভালো কাজের অনুপ্রেরণা-প্রণোদনার ধারা চালু থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে ভালো কাজের তাওফিক দান করেন, ভালো কাজের পথ দেখিয়ে দেন। এটাই খোদায়ী বরকত, তাওয়াজ্জুহ।

Iftekhar Jamil

20 Oct, 07:40


মাওলানা রফিকুল ইসলাম : ‘জীবন মানে কি নদী নাকি বৃক্ষমালা?’

আমাদের প্রবীণ শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব ইন্তেকাল করলেন। আল্লাহ তাকে ‘গারিকে রহমত’ করুন। দরসে আমরা তার কাছে মিরকাত-হেদায়া-সুনানে নাসাঈ। তবে দরসের বাইরেও আমি তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে কালাম-ফালসাফা-মানতিক বিষয়ে ‘ইসতিফাদা’ করেছি, তার কাছে কুতবি-হেদায়াতুল হিকমতের মত কিতাবগুলো পড়েছি। রফিক সাহেব ছিলেন চট্টগ্রাম-ট্র্যাডিশনের অংশ—সেখানেই তিনি পড়াশোনা করেছেন।

বাংলাদেশের মাদরাসাগুলোর একটা বড় দুর্বলতা হল, ছাত্ররাই পরবর্তীতে একই মাদরাসার শিক্ষক হন, কাজেই শিক্ষকরা ট্র্যাডিশনের বাঁধাধরা গল্পটাই বলে যান—যেখানে মাদরাসার বড়হুজুর-তাদের কর্মকাণ্ডই একমাত্র ইতিহাস বলে বিবেচিত হয়। বলে রাখা ভালো, চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ট্র্যাডিশনাল ভেরিয়েশনও এর ব্যতিক্রম নয়। তারা মনে করেন, ‘ইলোম’ শুধু চট্টগ্রামেই সম্ভব। সবাই এসব বিষয়কে হেসে উড়িয়ে দিলেও আমার কাছে এসব আলোচনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়—ঠিক কী কারণে চট্টগ্রামের মাদরাসাগুলো এমনটা মনে করে ও দাবী করে? এটা ছিল আমার খুবই আগ্রহের বিষয়।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব আমাকে আংশিকভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেছেন, আমাকে কালাম-ফালসাফা-মানতিক বিষয়ে আগ্রহী করে তুলেছেন। আমি এখন কালাম-ফালসাফা-মানতিক বিষয়ে যা কিছু লেখি, তার পেছনে একজন রফিকুল ইসলাম সাহেবের বড় অবদান আছে, সেটা হয়ত কেউ জানবেও না। অবশ্য আমার আগ্রহ এখানেই সীমাবদ্ধ নয়—চট্টগ্রামকেন্দ্রিক ট্র্যাডিশনাল ভেরিয়েশনের ভাষা-সংস্কৃতি-জীবনযাপন নিয়েও আমার অনেক আগ্রহ আছে। আগে একবার চট্টগ্রামের মাদরাসাগুলোতে যাবার সুযোগ হয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও বড় সময় নিয়ে মাদরাসাগুলোতে ‘জিয়ারত’ ও ‘ইতিকাফ’ করতে চাই। এসব আগ্রহের পেছনে একজন মানুষের অত্যন্ত বড় অবদান ছিল—তিনি মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব।

তাকে হয়ত আলেম হিসেবে বাংলাদেশের খুব বেশী চেনেন না—তার বিশেষ কোন লেখাজোখাও নেই। অবশ্য না চিনলে কী এসে যায়? আমার মত তালিবে ইলমরা পৃথিবীর যেখানেই যাবে, সেখানেই মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেবরা উপস্থিত থাকবেন—হয়ত স্বনামে নয়, তবে তাদের চিন্তা-রুচি-স্মৃতিগুলো আমাদের সাথেই থাকবে। জীবন এমনই এক নদী—উৎসের পরিচয় বিলীন করে সাগরের দিকে ছুটে চলাই জীবনের ধর্ম। অথবা জীবন মানে কি চক্রাকার ঋতুচক্র? বর্ষার ছোঁয়া পেলে গাছগুলো কি আশ্চর্যভাবেই না জেগে ওঠে—একদিন বর্ষা ফুরায়, জীবনে আসে হেমন্ত, পর্যায়ক্রমে শীত আসে, পাতাগুলো ঝড়ে পড়ে যায়—কি অদ্ভুত নিষ্প্রাণ লাগে গাছগুলোকে !

Know that this worldly life is no more than play, amusement, luxury, mutual boasting, and competition in wealth and children. This is like rain that causes plants to grow, to the delight of the planters. But later the plants dry up and you see them wither, then they are reduced to chaff. And in the Hereafter there will be either severe punishment or forgiveness and pleasure of Allah, whereas the life of this world is no more than the delusion of enjoyment. (57:20)

Iftekhar Jamil

20 Oct, 07:08


আমাদের প্রবীণ শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব ইন্তেকাল করলেন। আল্লাহ তাকে মারহুম ও মাগফুর করুন।

Iftekhar Jamil

20 Oct, 03:44


শেষ সঙ্গী

শাহাদাতের সময় সিনওয়ারের সাথে ছিল : দুইটা দোয়ার বই, চকলেট, তসবীহ, আতরসহ খুবই মামুলি কয়েকটা জিনিস।

Iftekhar Jamil

19 Oct, 23:05


তওবার দরজা খোলা সবার জন্যই

আশির দশকের কথা। আফগান নারীবাদী নেত্রীর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে বামপন্থীরা। কিছুদিন পর রাজনৈতিক বন্দীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। নারীবাদী কারাগার ফটকে গিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। নারীবাদী আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ আল্লাহ বলে চিৎকার দিতে থাকেন—আল জাজিরা সম্প্রতি এই ফুটেজটি প্রচার করেছে।

ফুটেজটি দেখে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম—আপনি কখনো ইসলাম মানেননি, সারাজীবন করে গেছেন আল্লাহর নাফরমানী—তবু, বিপদের মুহূর্তে, যখন আপনি চূড়ান্ত অসহায়, তখনো আল্লাহ আপনার একমাত্র আশ্রয়। আল্লাহর রহমতের কোন সীমা-শর্ত নই। যে মুহূর্তে আপনার মনে হল, আপনি অনুতপ্ত—আপনি তাওবা করতে পারেন, ফিরে আসতে পারেন আল্লাহর আশ্রয়ে। শতবার তাওবা ভঙ্গ করেছেন, তবুও ফেরার পথ বন্ধ নয়।

'বায আ, বায আ, হারুচে হাস্তি, বায আ / গার কাফিরু কিবরু বুত পুরুস্তি, বায আ / ইয়ে দারগাহে মা দারগাহে না উমিদিয়ে নিস্ত / সদবার গার তাওবা শিকাস্তি বায আ'

(Turn to your Lord, no matter how much you have transgressed, turn to Him/If you have become a kafir, or you have started worshipping idols, just turn to Him/You wouldn’t be helpless or sad here/If you have failed to remain away from sins 100 times, turn to Him and you will find Him with you)

Iftekhar Jamil

19 Oct, 13:06


শরিয়া কেন জরুরি?

বাংলাদেশে এতগুলো ইসলামি ব্যাংকে অর্থতসরুফ হল—এর দায় কি শরিয়া বোর্ডগুলোকে নিতে হবে না? আমি তাদেরকে দায়মুক্তি দিতে রাজি না হলেও এখানে জটিলতাগুলোও বুঝতে হবে। বাংলাদেশে শরিয়া বোর্ডগুলোর আসলে কোন আইনি ভিত্তি নাই। কিছু হুজুর ডেকে মাঝে মাঝে ব্যাংকে খাওয়া দাওয়া হয়, মাঝে মাঝে কিছু মাসআলা-মাসায়েল নিয়েও আলোচনা হয়—তবে এসবের কোনকিছুই ব্যাংকগুলো মানতে বাধ্য না।

যদি ইসলামি ব্যাংকগুলোর কোন ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নাই থাকে, তাহলে শরিয়া বোর্ডগুলোর পক্ষে আসলে বিশেষ কোন ভূমিকা রাখা সম্ভব নয়। যদি দায়-দায়িত্ব ছাড়াই কিছু খুচরা টাকা ও পরিচয় পাওয়া যায়, তাহলে কয়জন হুজুর এই লোভ সামলাতে পারবে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। অবশ্য এখানে হুজুর বলতে মাদরাসার লোকজনের সংখ্যা কম, ‘জেনারেল স্কলারের’ সংখ্যাই বেশী।  

আমরা আসলে শরিয়া চাই কেন? আপনারা যতই ভয় পান, তবু আমরা বারবার শরিয়ার কথা বলি। কারণ আইনি কাঠামো ছাড়া আপনারা কখনোই রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় বিষয় পরিচালনা করতে পারবেন না। যে যার মত ধর্মীয় টাইটেল ব্যবহার করবে—তবে দায়দায়িত্ব নিতে চাইবে না। ফতোয়া-শিক্ষা-অর্থনীতি-হালাল প্রোডাক্টস—কোনকিছুই শরিয়া রেগুলেশন ছাড়া প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। আবার রেগুলেশনের নামে যদি হস্তক্ষেপের দরজা খুলে দেন, সে সুযোগও আছে—তবে সেটা জনতা মানবে না। 

Iftekhar Jamil

19 Oct, 10:50


সিনওয়ারের দৈনিক অজিফা

‘ইয়াহইয়া সিনওয়ার প্রতিদিন নির্দিষ্ট জিকির করতেন। প্রতিদিনের অজিফা পূর্ণ করতেন। যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক, তিনি কখনো অজিফা ছাড়েননি।’

ইবরাহিম দুআইরির ভাষ্যে ইয়াহইয়া সিনওয়ারের জীবনী

Iftekhar Jamil

19 Oct, 07:17


সালাহুদ্দিনের প্রজন্ম বিষয়ক লেখাটা আবার দেখতে পারেন

মুসলমানরা যেভাবে আকসা পুনরুদ্ধার করেছিল

Iftekhar Jamil

19 Oct, 07:15


সিলেবাস-সংস্কৃতি-প্রশিক্ষণ

তালিবান-হামাসের সিলেবাসের মধ্যে বিশেষ মিল আছে। উভয় দলই মসজিদ ও কুরআনকে সকল কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে গ্রহণ করে। মসজিদ ভিত্তিক হালাকাগুলোর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাক্রমকেও সেভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। আবার দুই দলের সাথেই সালাহুদ্দিনের প্রজন্মের বিশেষ মিল আছে। এসব বিষয়ে বিশদে আলোচনা করা জরুরী।

আমি একা মানুষ, কিছুটা অলসও কিনা জানি না—এত এত কাজ করা বাকি। কিছু মানুষকে সাথে পেলে এসব কাজ করিয়ে নেওয়া যেত। আমাদেরকে ইসলাম পালন করতে হবে নিজেদের মত করেই, তবে তালিব-হা মাসের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আছে অনেককিছুই।

Iftekhar Jamil

19 Oct, 04:11


জালেম-মজলুম তত্ত্ব

সবকিছুকে ‘জালেম- মজলুম’ তত্ত্ব দিয়ে বুঝলে শিরিকি যে সবচেয়ে বড় জুলুম, সেটা আপনি কখনোই বুঝবেন না। আবু তালেব নবীজির সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী ছিলেন, তবু নবিজি তাকে ‘শিরিকি’ ইস্যুতে কোন ছাড় দেননি। দেখুন, আমেরিকায় কালোরা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের শুরু করেছিল, সত্তর বছর পরেও এখনো কালোরা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। অথচ এখন সেই একই নাগরিক অধিকার তত্ত্ব ও আন্দোলন এল / জি বি/ টির পক্ষে ব্যবহার হচ্ছে। সমস্যাটা কোথায়, একটু মাথা খাটান তো?

খেয়াল করেন, ‘নাগরিক অধিকার’, ‘জালেম-মজলুম’ সবই আছে : শিরিকি উধাও। শুধু তাই না, এখন জালেমের বিপক্ষে সাহায্য করার লোভ দেখিয়ে আপনাকে তাদের অনুষ্ঠানে যাবারও দাওয়াত দিতেছে। আপনাকে শিরিকি-গুনাহের পক্ষে দাঁড়াইতে হইতেছে। দুইদিন পরে আপনার মেয়েকে হিজাব পড়তে বললে সে এসে হুমকি দিতেছে, আপনি নিজেই তো বড় জালেম। কোথা থেকে কোথায় চইলা আসলেন, খেয়াল আছে?

জুলুমের বিরোধিতা করতে গিয়ে শিরিকির পক্ষে দাঁড়ানো যাবে না ব্রাদারগণ ; এটা খুবই সিম্পল কথা। একইভাবে, শিরিকির বিরোধিতা করতে গিয়ে যদি জুলুমের পক্ষে দাঁড়াতে হয়, তবে সেটাও অন্যায় কাজ। দুইপক্ষই আপনাকে বারবার লোভ ও ভয় দেখাবে, আপনি শিরিকি বনাম জুলুমের সংশয়ে পড়ে গেলে সব হারাইছেন। আপনি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিবেন, ইসলামের উসুলের আলোকে নিবেন।

Iftekhar Jamil

18 Oct, 15:12


ইমাম গাজালী ছিলেন একজন বিপ্লবী আলেম

মুসলিম সভ্যতার পতনে ইমাম গাজালির বিশেষ ভূমিকা ছিল, এমন বয়ান পশ্চিমা পরিসরে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তাদের যুক্তি গাজালি বিজ্ঞানের 'বিরোধিতা' করেছেন। মুশকিল হচ্ছে, অনেকে মূল ব্যাপারটা বুঝে ওঠতে পারেন না। আগে অধিবিদ্যা ও বিজ্ঞান দর্শনের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত ছিল, গাজালি দর্শনের অধিবিদ্যা শাখার বিরোধিতা করলেও বিজ্ঞান শাখার বিরোধিতা করেননি।

ইমাম গাজালি বরং বলেছেন, অধিবিদ্যার প্রভাব না থাকলে শুধু শুধু বিজ্ঞানের বিরোধিতা করার কোন অর্থ নেই। যারা শুধু শুধু বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে, তাদেরকে ইসলামের নাদান বন্ধু আখ্যা দিয়েছেন। গাজালি বরং অধিবিদ্যা থেকে বিজ্ঞানকে পৃথক করার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। 'আমরা চারপাশে যা দেখি, সেগুলো নিছক জড়তাগ্রস্থ বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করলেই হবে না, দেখতে হবে অভিজ্ঞতা-পরীক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে।'

গাজালি ছিলেন একজন বিপ্লবী আলেম। প্রচলিত কোনকিছুকেই তিনি মেনে নেননি। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি একটা স্বতন্ত্র বই লেখেছেন। আল মুনকিজ মিনাদ দালাল নামে। শেষপর্যন্ত একসময় তৎকালীন বাগদাদের প্রধান শিক্ষালয়ের অধ্যাপনা ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। সত্য, জ্ঞান ও ন্যায়ের অনুসন্ধানে তিনি ত্যাগ করেন সম্মান, পদ, বিলাসিতা, নিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা।

বর্তমান কালেও এর তুলনা পাওয়া খুবই দুষ্কর। এমন একজন বিপ্লবী মানুষকে আপনি যখন 'প্রতিক্রিয়াশীল' ও 'জড়বাদী' হিসেবে চিত্রায়িত করেন, তখন সেটা অনেক বেদনাদায়ক বিষয় হয়ে উঠে।

Iftekhar Jamil

18 Oct, 13:41


ইয়াহইয়া সিনওয়ারের শাহাদাতের সংবাদ প্রকাশ করলো হামাস। খবর আল জাজিরার।

Iftekhar Jamil

18 Oct, 13:33


শেখ মুজিবের পতন

বাংলাদেশের মূলধারায় শেখ মুজিবকে ঘিরে সর্বদাই একটা সংকোচ কাজ করত। অনেকেই সমালোচনা করতে চাইতেন, তবে সাহস করে ওঠতে পারতেন না—যারা সাহস করতেন, তাদের আবার সমালোচনার সক্ষমতা ছিলো না। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ফাহাম আবদুস সালাম—শেখ মুজিবকেও সমালোচনা করা যায়, এটা শিক্ষিত বাঙালিরা কখনো কল্পনা করতে পারেনি। ফাহাম নিজেও কি এই কল্পনা করতে পারতেন?

মনে রাখা ভালো, ফাহাম বিডিনিউজের মত চেতনাপন্থী ব্লগে লেখালেখি করতেন—যদিও এটা এখন হজম করা বেশ কঠিন। কাজেই, ফাহামদের শ্রেণীর মধ্যেও একটা চিন্তাগত পালাবদল ঘটেছে, গত পাঁচ-সাত বছরে: বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা ধরতে শিখেছেন, আওয়ামী রাজনীতির যে ধর্মতাত্ত্বিক প্রকাশ ঘটেছে, তাকে অতিক্রম করতে না পারলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অসম্ভব।

ফাহামের চিন্তা-রাজনীতির সাথে আমার দ্বিমত অনেক, তবে একা একটা লোক যেভাবে মুজিবের মত একটা বড় ফিগারকে মাটিতে নামিয়ে আনলো, সেটা খুবই বিষ্ময়কর।