fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

@fatwaa_org


আমাদের উদ্দেশ্য কুরআন-সুন্নাহর আলোকে, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ইসলামের সঠিক ফাতওয়া তুলে ধরা।

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

22 Oct, 13:59


কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়ার বিধান

প্রশ্ন: কুরআনে কারীম শিখানোর জন্য প্রাইভেট পড়িয়ে চুক্তি করে কিংবা চুক্তি ছাড়া টাকা নেওয়া কি বৈধ? দলীলসহ জানালে উপকৃত হবো।

-মুহাম্মাদ আরিফ

উত্তর:

بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد!

কুরআনে কারীম শিক্ষা দিয়ে চুক্তি করে পারিশ্রমিক নেওয়া বৈধ। -হিদায়া: ৩/২৩৮[1]

এমনিভাবে চুক্তি ছাড়া কেউ হাদিয়া হিসেবে কিছু দিলে, সেটাও গ্রহণ করা বৈধ। -রদ্দুল মুহতার: ৬/৪২৪[2]

তবে কুরআনে কারীম শিক্ষা দেয়া একটি ইবাদত। তাতে বিনিময়টা মুখ্য হওয়া কাম্য নয়। বরং নিয়ত পরিশুদ্ধ করে নিবে, কুরআনে কারীম ও দীনের খেদমতের বিষয়টি মুখ্য রাখবে।

আর প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারে কথা হলো, বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করার রীতি পছন্দনীয় নয়। এটি কুরআন ও কুরআনের শিক্ষকের সম্মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বরং যারা শিখতে চায় তারা শিক্ষকের কাছে এসে শিখবে। একান্ত যদি বাড়ি গিয়ে পড়াতেই হয়, সে ক্ষেত্রে নিজের সম্মান ও ব্যক্তিত্ব বজায় রাখবে। পর্দা পুশিদার ইহতিমাম করবে। বালেগ বা বালেগের কাছাকাছি বয়সের কোনো মেয়েকে পড়াবে না।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

২৮-০৩-১৪৪৬ হি.

০২-১০-২০২৪ ঈ.



[1] وبعض مشايخنا استحسنوا الاستئجار على تعليم القرآن اليوم؛ لأنه ظهر التواني في الأمور الدينية. ففي الامتناع تضييع حفظ القرآن وعليه الفتوى. -(الهداية في شرح بداية المبتدي (3/ 238)

[2] الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 424): جَمَعَ أَهْلُ الْمَحَلَّةِ لِلْإِمَامِ فَحَسَنٌ. … (قَوْلُهُ جَمَعَ أَهْلُ الْمَحَلَّةِ) أَيْ شَيْئًا مِنْ الْقُوتِ أَوْ الدَّرَاهِمِ ط (قَوْلُهُ فَحَسَنٌ) أَيْ إنْ فَعَلُوا فَهُوَ حَسَنٌ وَلَا يُسَمَّى أُجْرَةً كَمَا فِي الْخُلَاصَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا مِنْ تَعْرِيفَاتِ الْمُتَقَدِّمِينَ الْمَانِعِينَ أَخْذَ الْأُجْرَةِ عَلَى الْإِمَامَةِ وَغَيْرِهَا مِنْ الطَّاعَاتِ لِتَظْهَرَ ثَمَرَةُ التَّنْصِيصِ عَلَيْهِ، وَإِلَّا فَمُجَازَاةُ الْإِحْسَانِ بِالْإِحْسَانِ مَطْلُوبَةٌ لِكُلِّ أَحَدٍ تَأَمَّلْ. اهـ

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

22 Oct, 13:59


কুরআন শিক্ষা দিয়ে টাকা নেওয়ার বিধান

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%a8/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%86%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%a8/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

21 Oct, 12:36


নিজ স্ত্রীর আগের ঘরের মেয়েরা কি মাহরাম বলে গণ্য হবে?

প্রশ্নঃ

কেউ এমন নারীকে বিয়ে করলো যার পূর্বে বিয়ে হয়েছিলো এবং সেই স্বামীর ছেলে মেয়েও আছে। এখন সে (দ্বিতীয় স্বামী) এবং তার সন্তানরা কি তার স্ত্রীর প্রথম স্বামীর ছেলে মেয়েদের সাথে দেখা করতে পারবে?

নাম- আবদুর রহমান

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

যে মহিলার দুই বিয়ে হয়েছে, তার গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া উভয় স্বামীর সন্তানেরা পরস্পর মাহরাম, একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারবে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর অন্য স্ত্রীর সন্তান এবং এই মহিলার গর্ভে জন্ম নেওয়া প্রথম স্বামীর সন্তানরা পরস্পর মাহরাম নয়। সুতরাং তাদের পরস্পর সাক্ষাতও জায়েয নয়। -সূরা নিসা (০৪) : ২৩; বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৫৭ দারুল হাদীস, কায়রো; আল-বাহরুর রায়েক: ৩/৯৮, ১০০, ১০৫ দারুল কিতাবিল ইসলামী; রদ্দুল মুহতার: ৩/৩১ দারুল ফিকর, বৈরুত; আল-মাওসুওয়াতুল ফিকহিয়্যাহ: ৩৬/২১১ ওযারাতুল আওকাফ, কুয়েত; কিফায়াতুল মুফতী: ৫/৩৯ যাকারিয়া বুক ডিপো, ভারত; ফাতাওয়ায়ে কাসিমিয়া: ১৩/১৬২-১৬৩ আশরাফি বুক ডিপো, ভারত

আর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে উক্ত মহিলার সহবাস হওয়ার পর তার গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া আগের স্বামীর সন্তানরা দ্বিতীয় স্বামীর মাহরাম হবে। সুতরাং তাদের সকলের সঙ্গে সে সাক্ষাত করতে পারবে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে তার সহবাসের পূর্বেই যদি কোনও কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলে তার গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া আগের স্বামীর সন্তানরা দ্বিতীয় স্বামীর মাহরাম হবে না। তাদের পরস্পর দেখা সাক্ষাতও জায়েয হবে না। -সূরা নিসা (০৪) : ২৩; আল-বাহরুর রায়েক: ৩/৯৮ দারুল কিতাবিল ইসলামী; রদ্দুল মুহতার: ৩/৩০ দারুল ফিকর; ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া: ৭/১৮৫-১৮৬ যাকারিয়া বুক ডিপো

والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

21 Oct, 12:35


নিজ স্ত্রীর আগের ঘরের মেয়েরা কি মাহরাম বলে গণ্য হবে?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%80/%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

20 Oct, 14:37


আগ্রাসী জালিমের হ-ত্যাকারীর বিচার প্রসঙ্গে

প্রশ্ন: ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবে যেসব আওয়ামী কর্মী ও সমর্থক, পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাব, আর্মি, যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে জনসাধারণের আক্রমণে নিহত হয়েছে, তাদের হত্যার দায়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদেরকে কি বিচারের সম্মুখীন করা যাবে?

- আবদুস সালাম

উত্তর:

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله والصلاة والسلام على رسوله محمد وآله وأصحابه أجمعين أما بعد:

এক. জালিমকে প্রতিহত করা জরুরি। চাই জালেম ব্যক্তি, সংঘবদ্ধ দল কিংবা রাষ্ট্র যেই হোক। যদি হত্যা ছাড়া প্রতিহত করা সম্ভব না হয়, তাহলে হত্যা করাও জায়েয।
ইমাম আবু বকর জাসসাস রহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৩৭০ হিজরী) বলেন,

فإذا لم يمكنه تغييره إلا بالقتل فعليه قتله حتى يزيله. وكذلك قلنا في أصحاب الضرائب والمكوس التي يأخذونها من أمتعة الناس: إن دماءهم مباحة وواجب على المسلمين قتلهم. اهـــــ. –احكام القرآن للجصاص: 2/40 ط. دار الكتب العلمية.

“যখন হত্যা ব্যতীত অন্যায় প্রতিরোধ করা সম্ভব না হবে, তখন হত্যা করে হলেও প্রতিরোধ করা জরুরি। অনুরূপ যারা অন্যায় টেক্স ও শুল্ক আদায়ের মাধ্যমে জনগণের সম্পদ গ্রাস করে, তাদের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো, তাদের রক্ত হালাল এবং তাদেরকে হত্যা করা মুসলিমদের কর্তব্য।” -আহকামুল কুরআন: ২/৪০
দুই. কোনো অস্ত্রধারী অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করতে উদ্যত হলে, অস্ত্রধারীকে হত্যা করা বৈধ হয়ে যায়।
ইমাম আবু বকর জাসসাস রহিমাহুল্লাহ (মৃত: ৩৭০ হিজরী) বলেন,

ولا نعلم خلافا أن رجلا لو شهر سيفه على رجل ليقتله بغير حق أن على المسلمين قتله.اهـــ -أحكام القرآن للجصاص ط العلمية (2/ 503)

“যদি কেউ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যার জন্য তরবারি উত্তোলন করে, তাহলে তাকে হত্যা করা মুসলিমদের কর্তব্য। এ বিষয়ে কারো দ্বিমত আছে বলে আমাদের জানা নাই।” –আহকামুল কুরআন: ২/৫০৩
তিন. প্রতিহত করতে গিয়ে জালিমকে হত্যা করে ফেললে কেসাস, দিয়াত, কাফফারা, জরিমানা কোনোটাই আদায় করা যায় না।
ইমাম মুহাম্মাদ রহিমাহুল্লাহ (মৃত: ১৮৯ হিজরী) বলেন,

رجل شهر سيفا على المسلمين فلهم أن يقتلوه ولا شيء عليهم.اهــــ -الجامع الصغير: 513 ط. محمد بوينوكالن.

“যদি কেউ মুসলিমদের বিরুদ্ধে তরবারি ধরে, তাকে হত্যা করা মুসলিমদের কর্তব্য। এ হত্যার কারণে মুসলিমদের উপর কোনো শাস্তি বা জরিমানা কিছুই আরোপিত হবে না।” -আলজামিউস সগীর: ৫১৩
ইমাম ইবনে বাত্তাল রহিমাহুল্লাহ (৪৪৯ হি.) বলেন,

ولا يختلفون أن من شهر سلاحا، وأومأ إلى قتله وهو صحيح العقل، فقتله المشهور عليه دافعا له عن نفسه؛ أنه لا ضمان عليه.اهــــ -شرح صحيح البخارى لابن بطال (8/ 521)، كتاب الديات، باب إذا عض رجلا فوقعت ثناياه، دار النشر: مكتبة الرشد – السعودية، الرياض

“হত্যা প্রতিরোধ করতে গিয়ে হত্যা করে ফেললে, কোনো জরিমানা আসবে না।” –শরহে সহীহ বুখারী-ইবনে বাত্তাল: ৮/৫২১
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে সরকার ও সরকারের বাহিনী, আওয়ামী লীগ, পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাব, আর্মি সবাই যে আগ্রাসী জালিম ও অন্যায় হত্যাকারী ছিল, বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট। তাদের প্রতিরোধ করা এবং প্রয়োজনে হত্যা করা ছিল সকলের দায়িত্ব। সুতরাং একারণে কাউকে তাদের হত্যার দায়ে বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না। করলে শরীয়তের দৃষ্টিতে তা অন্যায় বিবেচিত হবে।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)
১৪-০৪-১৪৪৬ হি.
১৮-১০-২০২৪ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

20 Oct, 14:36


আগ্রাসী জালিমের হ-ত্যাকারীর বিচার প্রসঙ্গে

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7/%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%80-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

19 Oct, 12:01


বাকি বিক্রিতে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়ার হুকুম কী?

প্রশ্নঃ বেশির ভাগ পোল্ট্রি ডিলার ব্যবসায়ী থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে নগদ টাকায় পণ্য কিনলে অনেক কমে নেওয়া যায়। কিন্তু বাকিতে কিনলে দাম অনেক বেশি রাখে। এই ধরনের ব্যবসার বিধান কী?

নাম- হাসান

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

জি, বাকি বিক্রির কারণে পণ্যের মূল্য কিছু বেশি রাখা দুটি শর্তে জায়েয,

শর্ত দুটি হচ্ছে:

১. কত দিনের মেয়াদে এবং কত টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, তা বিক্রির মজলিসে চূড়ান্ত হতে হবে। এমন বললে হবে না যে, এক সপ্তাহ পর মূল্য পরিশোধ করলে এত দিতে হবে, আর দুই সপ্তাহ পর মূল্য পরিশোধ করলে এত দিতে হবে। এভাবে ঝুলন্ত রেখে দিলে তা নাজায়েয হবে।

২. ক্রেতা কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে, মূল্য বাড়ানো যাবে না। বিক্রির সময় যে মূল্য নির্ধারিত হয়েছে, তা-ই নিতে হবে।-মুয়াত্তা মালেক: ২/৬৭২ হাদীস নং: ৮৩ দারু ইহইয়ায়িত তুরাস, বৈরুত; আল-মুসান্নাফ, ইবনু আবী শাইবা: ১০/৫৯২ আসার নং: ২০৮২৬ দারুল কিবলাহ, জিদ্দাহ; কিতাবুল আসল: ২/৪৫৪ দারু ইবনি হাযম, বৈরুত; মাবসূত: ১৩/৮, দারুল মারেফা, বৈরুত; বুহুস ফি কাজায়া ফিকহিয়্যাহ মুয়াসিরা: ১/১২, দারুল কলম, দিমাশক; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা, ধারা নং: ২৪৫/২৪৬; ইমদাদুল আহকাম: ৫/৩৬৪, যাকারিয়া বুক ডিপো, ভারত

উল্লেখ্য, বাকি বিক্রির ক্ষেত্রে যদিও নগদ বিক্রির তুলনায় অধিক মূল্য নেয়া জায়েয, কিন্তু তা অস্বাভাবিক বেশি হওয়া কাম্য নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

رحم الله رجلا سمحا إذا باع، وإذا اشترى، وإذا اقتضى. -صحيح البخاري: 2076 ط. دار طوق النجاة، بيروت

“যে ব্যক্তি কেনার সময়, বেচার সময় এবং পাওনার তাগাদা দেয়ার সময় উদারতা প্রদর্শন করে, মহান আল্লাহ্ তাআলা তার উপর রহম করুন।” -সহীহ বুখারী: ২০৭৬

এ বিষয়ে আরও জানতে নিম্নোক্ত ফাতাওয়াটি দেখুন,

ফাতওয়া: ২৮৭-কিস্তিতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দিয়ে পণ্য ক্রয়ের হুকুম কী?

والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

19 Oct, 12:00


বাকি বিক্রিতে নগদ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য নেওয়ার হুকুম কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%a8/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%9f/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%a6-%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

13 Oct, 14:18


ব্যভিচারের গুনাহ শুধু তওবা করার দ্বারা মাফ হবে কি?

প্রশ্নঃ কেউ ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পর শ-রী-য়া-হ কর্তৃত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়া ছাড়া শুধু তওবা করলে কি আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন?

নাম- আবদুল্লাহ

উত্তরঃ

জি, বাস্তবিক অর্থে তওবা করলে, আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا -النساء: 116

“নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে শরীক করা ক্ষমা করবেন না, এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” -সূরা নিসা ০৪: ৪৮

والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

13 Oct, 14:18


ব্যভিচারের গুনাহ শুধু তওবা করার দ্বারা মাফ হবে কি?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b9-%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%a7%e0%a7%81-%e0%a6%a4%e0%a6%93/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

12 Oct, 13:27


স্বপ্নদোষের পর লজ্জায় গোসল না করে নামায আদায় করে ফেললে করণীয় কী?

প্রশ্নঃ

আমার পরিবারের লোকজন দীন-ধর্ম সম্পর্ক তেমন কিছুই জানেন না, পালনও করেন না। আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার সাধ্য মতো দীন পালন করার চেষ্টা করি। আমার প্রশ্ন হলো, বাড়িতে থাকাকালে কখনও স্বপ্নদোষ হলে লজ্জার কারণে আমি গোসল করি না। যথাসাধ্য পরিষ্কার করে ওযু করে নামায আদায় করে নিই এবং এর জন্য পরে তাওবা করি। আমার এই সব নামায কি হবে? না হলে আমি কী করতে পারি অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন।

প্রশ্নকারী- আদনান কবীর

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরয হয়ে যায়। গোসল ছাড়া শরীর পবিত্র হয় না। এই অবস্থায় নামায আদায় করলে নামায সহীহ হয় না। সুতরাং আপনাকে গোসল করেই নামায আদায় করতে হবে। ইতিপূর্বে যে নামাযগুলো গোসল ছাড়া আদায় করেছেন, সেগুলো পুনরায় কাযা করে নিতে হবে। -আল-হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনাহ, ইমাম মুহাম্মদ: ১/২৬৬ আলামুল কুতুব, বৈরুত; মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক: ২/৩৫০ হাদিস নং: ৩৬৬১ আল-মাজলিসুল ইলমী, ভারত; আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৩০ দারুল ফিকর, বৈরুত; তাওয়ালিউল আনওয়ার, হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি: ১/১৩৯

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا. –المائدة: 6

“হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নামাযের জন্য উঠবে তখন নিজেদের চেহারা ও কনুই পর্যন্ত নিজেদের হাত ধুয়ে নিবে, নিজেদের মাথাসমূহ মাসেহ করবে এবং টাখনু পর্যন্ত নিজেদের পা(-ও ধুয়ে নেবে)। তোমরা যদি জানাবত (অপবিত্র) অবস্থায় থাক তবে নিজেদের দেহ (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নেবে।” -সূরা মায়েদা ৫ : ৬

হাদীসে এসেছে,

“لا تقبل صلاة بغير طهور”. –صحيح مسلم:1/204 رقم الحديث: 224 دار إحياء التراث العربي – بيروت

“পবিত্রতা ব্যতীত নামায কবুল হয় না।” –সহীহ মুসলিম: ২২৪

দেখুন, সামান্য লজ্জার কারণে এক ওয়াক্ত নামায নষ্ট করা অনেক বড় বোকামি ও অপরিণামদর্শিতা। আজ যাদের লজ্জায় আপনি আপনার আখিরাত নষ্ট করছেন, হাশরের মহাবিপদে তারা কেউ আপনার বিন্দু পরিমাণ উপকার করবে না, করতে পারবেও না। এমনকি আপনিও যদি সেদিন বড় বিপদে পড়ে যান, তখন আপনার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী-সন্তানদের বিনিময়ে হলেও মুক্তির জন্য পাগল হয়ে যাবেন। নিচের দুটি আয়াত একটু চিন্তা করে দেখুন বিপদটা কত কঠিন হবে!

يَوْمَ تَكُونُ السَّمَاءُ كَالْمُهْلِ (8) وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ (9) وَلَا يَسْأَلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا (10) يُبَصَّرُونَهُمْ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ (11) وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ (12) وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْوِيهِ (13) وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنْجِيهِ (14) كَلَّا إِنَّهَا لَظَى (15) نَزَّاعَةً لِلشَّوَى (16) -المعارج

“যেদিন আকাশ তেলের গাদের মতো হয়ে যাবে এবং পাহাড় হয়ে যাবে রঙ্গিন তুলার মতো। কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু তার বন্ধুর খোঁজ নেবে না। অথচ তাদের পরস্পরকে দৃষ্টিগোচর করে দেওয়া হবে। অপরাধী সেদিন শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তার পুত্রকে মুক্তিপণ হিসাবে দিতে চাবে। এবং তার স্ত্রী ও ভাইকে। এবং তার সেই খান্দানকে যারা তাকে আশ্রয় দিতো। এবং পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীকে, যাতে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। কখনই এটা সম্ভব হবে না। তা তো এক লেলিহান আগুন। যা চামড়া খসিয়ে দেবে।” –সূরা মাআরিজ ৭০: ৮-১৬

لِلَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمُ الْحُسْنَى وَالَّذِينَ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُ لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لَافْتَدَوْا بِهِ أُولَئِكَ لَهُمْ سُوءُ الْحِسَابِ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ (18) –الرعد

“মঙ্গল তাদেরই জন্য, যারা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়েছে। আর যারা তার ডাকে সাড়া দেয়নি, তাদের কাছে যদি দুনিয়ার সমস্ত জিনিসও থাকে এবং তার সমপরিমাণ আরও, তবে তারা (কিযামতের দিন) নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে তা সবই দিতে প্রস্তুত হয়ে যাবে। তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট রকমের হিসাব এবং তাদের ঠিকানা জাহান্নাম; তা বড় মন্দ ঠিকানা।” –সূরা রাদ ১৩ : ১৮

সুতরাং আপনি এখনই সতর্ক হোন এবং সেই কঠিন বিপদের দিন আসার আগেই সামান্য লজ্জার কথা ঝেড়ে ফেলে শরীয়তের বিধান যথাযথ পালন করুন, যেদিন কোটি কোটি মানুষের সামনে আপনাকে লজ্জিত হতে হবে, কিন্তু সেদিন পরিণতি ভোগ করা ছাড়া কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণের বিন্দু মাত্র সুযোগ থাকবে না। আল্লাহ আমাদের সকলকে এমন কঠিন পরিস্থিতি থেকে হেফাযত করুন। মৃত্যুর আগে তার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফীক দান করুন।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

12 Oct, 13:27


স্বপ্নদোষের পর লজ্জায় গোসল না করে নামায আদায় করে ফেললে করণীয় কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a7%81-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a6%b2/%e0%a6%b2%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b8%e0%a6%b2-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%af/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

11 Oct, 12:20


“হিন্দুদের মেলা-উৎসব যদি ধর্মীয় হয়, তাতে অংশগ্রহণ জায়েয নেই। তাদের এমন মেলাতে মুসলমানদের জন্য দোকান-পাট নিয়ে না যাওয়া চাই। তবে (মেলা থেকে) সওদাপাতি খরিদ করার ব্যাপারে দু’দিকেই বক্তব্য রয়েছে। কিছু ফকিহ সেটাও নিষেধ করেছেন। কেউ বলেছেন, যদি নিয়মিত প্রয়োজনীয় পণ্য খরিদ করা হয়; মেলার কারণে বিশেষভাবে কিছু ক্রয় না করা হয়, তাহলে জায়েয হবে। কিন্তু সতর্কতা হলো, তাদের ধর্মীয় মেলা থেকে কিছু খরিদ না করা। কেননা ক্রেতাদের দ্বারাও মেলার জৌলুস বৃদ্ধি পায়। আর কাফেরদের মেলার জৌলুস বাড়ানো সঙ্গত নয়। হ্যাঁ, যদি বাণিজ্যিক মেলা হয়, যেমন অনেক জায়গাতে পশু-পাখির বাণিজ্যমেলা বসে, সেখানে যেতে এবং কেনাকাটা করতে সমস্যা নেই। শর্ত হলো নাচ-গান থেকে দূরে থাকতে হবে।” –ইমদাদুল আহকাম: ৭/১৭২; আরা দেখুন: ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ: ১৬/৩৯৮-৩৯৯; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪/২৬৮-২৭০; আযিযুল ফাতাওয়া, পৃ: ৭১৮; রশিদিয়া, পৃ: ৪৫৫ ও ৪৭১

যফর আহমদ থানভি রহ.এর সময়ে জনৈক হিন্দু তাদের ধর্মীয় প্রথায় স্থানীয় মুসলিদেরকে দাওয়াত করলে, জনৈক মুসলিম এবিষয়ে হযরতের নিকট ফতোয়া তলব করেন। তখন তিনি লিখেন,

مسلمانوں کو اس دعوت میں شریک ہونا جائز نہیں کیونکہ یہ دعوت ہندوؤں کی مذہبی دعوت هے اور كفار كى مذهبى دعوتوں میں شرکت جائز نہیں۔ امداد الاحكام: 7/181

“মুসলমানদের জন্য এই দাওয়াতে শরিক হওয়া জায়েয নেই। কেননা এটা হিন্দুদের ধর্মীয় দাওয়াত। আর কাফেরদের ধর্মীয় দাওয়াতে শরিক হওয়া জায়েয নেই।” –ইমদাদুল আহকাম: ৭/১৮১

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

০৯-০৬-১৪৪২ হি.

২৩-০১-২০২১ ইং.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

11 Oct, 12:20


হিন্দুদের পূজায় কি অংশগ্রহণ করা যাবে?

প্রশ্ন: হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহণের হুকুম কী?

প্রশ্নকারী-কাশিম

উত্তর: হিন্দু বা যে কোনো কাফেরদের পূজা বা ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া হারাম। আর সেই উৎসবের প্রতি সম্মান জ্ঞাপনপূর্বক উপস্থিত হওয়া অথবা তাদের পূজা ও ধর্মীয় প্রথা পালনে অংশ গ্রহণ করা কুফর। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

{وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا} [الفرقان: 72]

“(এবং রহমানের বান্দা তারা) যারা ‘যূরে’ উপস্থিত হয় না। আর অনর্থক কর্মকাণ্ডের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে সসম্মানে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।” –সূরা ফুরকান: ৭২

ইমাম ইবনে কাসির রহ. (৭৭৪ হি.) বলেন,

وقال أبو العالية، وطاوس، ومحمد بن سيرين، والضحاك، والربيع بن أنس، وغيرهم: هي أعياد المشركين – تفسير ابن كثير: 6/ 130



“আবুল আলিয়া, তাউস, মুহাম্মাদ বিন সিরিন, যাহহাক, রবি বিন আনাস প্রমুখ তাবিয়ি বলেছেন, ‘যূর’ হচ্ছে মুশরিকদের উৎসব।” -তাফসিরে ইবনে কাসির: ৬/১৩০; তাফসিরে বাগাবি: ৩/৪৫৯

ইমাম ফখরুদ্দিন রাযি রহ. (৬০৬ হি.) বলেন:

ويحتمل حضور كل موضع يجري فيه ما لا ينبغي ويدخل فيه أعياد المشركين ومجامع الفساق، لأن من خالط أهل الشر ونظر إلى أفعالهم وحضر مجامعهم فقد شاركهم في تلك المعصية، لأن الحضور والنظر دليل الرضا به. اهـ -التفسير الكبير: 24/485

“আয়াতে ‘যূর’ দ্বারা প্রত্যেক এমন জায়গা উদ্দেশ্য হতে পারে যেখানে অনুচিত কাজ সংঘটিত হয়। মুশরিকদের উৎসব এবং পাপাচারীদের মিলনমেলাও এর অন্তর্ভুক্ত। কেননা যে অবাধ্যদের সাথে মেলামেশা করে এবং তাদের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করে, তাদের সমাবেশে উপস্থিত হয়, সেও তাদের সঙ্গে উক্ত অপরাধে অংশ নিল। উপস্থিত হওয়া ও পরিদর্শন করা তার প্রতি সন্তুষ্টির প্রমাণ।” –তাফসিরে কাবীর: ২৪/৪৮৫

উমর রা. বলেন:

اجتنبوا أعداء الله في عيدهم. –السنن الكبرى للبيهقي: 18862

“তোমরা আল্লাহর দুশমনদের উৎসবগুলোতে তাদের থেকে দূরে থাক।” – আসসুনানুল কুবরা: ১৮৮৬২

আল্লামা ইবনে নুজাইম রহ. (৯৭০ হি.) বলেন:

يكفر … بخروجه إلى نيروز المجوس والموافقة معهم فيما يفعلون في ذلك اليوم وبشرائه يوم النيروز شيئا لم يكن يشتريه قبل ذلك تعظيما للنيروز لا للأكل والشرب وبإهدائه ذلك اليوم للمشركين ولو بيضة تعظيما لذلك اليوم … اتفاقا. اهـ -البحر الرائق شرح كنز الدقائق ومنحة الخالق وتكملة الطوري: 5/ 133، الهندية: 2/276

“অগ্নিপূজকদের নববর্ষে অংশগ্রহণ করলে এবং তাদের সাথে তাদের ওই দিনের কার্যাবলীর প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করলে অথবা শুধুমাত্র নববর্ষের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে সেদিন কিছু খরিদ করলে, যা সে খরিদ করার ছিল না এবং তা পানাহারের জন্যও নয়, এমনিভাবে ওই দিনের সম্মানার্থে কোনো মুশরিককে হাদিয়া প্রদান করলে; চাই তা একটা ডিমই হোক না কেন, সর্বসম্মতভাবে কাফের হয়ে যাবে।” –আলবাহরুর রায়িক: ৫/১৩৩; হিন্দিয়া: ২/২৭৬

আল্লামা যফর আহমদ থানভি রহ. বলেন,

ہندؤوں کا میلہ اگر مذہبی ہو تو اس میں شرکت جائز نہیں اور نہ مسلمانوں کو ان کے ایسے میلے میں اپنی دوکان لے جانی چاہئے۔ باقی سودا خرید نے میں دونوں قول ہیں۔ بعض فقہاء نے اس کو بھی منع کیا ہے اور بعض نے کہا ہے کہ اگر معمول کے مطابق ضروریات خریدی جائیں اور اس میلہ کی وجہ سے خاص کوئی چیز نہ خریدی جائے تو جائز ہے مگر احتیاط اسی میں ہے کہ ان کے مذہبی میلہ میں سے کچھ بھی نہ خریدے کیونکہ خریداروں سے بھی میلہ کی رونق بڑھتی ہے اور کفّار کے مذہبی میلہ کی رونق کو بڑھانا مناسب نہیں۔ ہاں اگر تجارتی میلہ ہو جیسے بعض جگہ جانوروں کی تجارت کے لئے میلہ لگتا ہے۔ اس میں جانے اور خرید وفروخت کرنے میں مضائقہ نہیں بشرطکیہ ناچ رنگ وغیرہ سے دور رہے۔ واللہ اعلم

حرره الاحقر ظفراحمد ۲۴؍جمادی الاولیٰ ۴۰ ؁ھ –امداد الاحكام: 7/172

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

11 Oct, 12:20


হিন্দুদের পূজায় কি অংশগ্রহণ করা যাবে?

https://fatwaa.org/%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%85%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%A3/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

10 Oct, 16:39


ইমাম সাহেব দ্রুত নামায পড়ালে করণীয় কী?

প্রশ্নঃ

আমি যে ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়ি তিনি খুব দ্রুত নামায পড়ান, ফলে নামাযের তাসবীহগুলো ঠিক মতো পড়তে পারি না, এমনকি যে নামাযে সূরা ফাতেহা পড়তে হয়; সে নামাযে সূরা ফাতেহা শেষ করার আগেই ইমাম সাহেব রুকূতে চলে যান। এখন আমি যদি জামাআতের সাথে নামায পড়ার পর একাকী আবার ফরয নামায পড়ে নিই, তাহলে কি চলবে?

প্রশ্নকারী- আব্দুল্লাহ

উত্তরঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

না, ফরয নামায একবার জামাআতের সঙ্গে আদায় করার পর দ্বিতীয়বার আদায় করা যাবে না। হাদীসে এসেছে,

عن سليمان مولى ميمونة قال: رأيت ابن عمر جالسا على البلاط والناس يصلون قلت: يا أبا عبد الرحمن ما لك لا تصلي؟ قال: إني قد صليت. إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «لا تعاد الصلاة في يوم مرتين» -سنن النسائي، كتاب الصلاة، سقوط الصلاة عمن صلى مع الإمام في المسجد جماعة (2/140 رقم: 860 مكتب المطبوعات الإسلامية – حلب الطبعة: الثانية، 1406، وصححه النووي (676هـ) في خلاصة الأحكام (2/668، مؤسسة الرسالة – لبنان – بيروت(.

“মায়মুনা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর আযাদকৃত গোলাম সুলাইমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুমাকে বালাত নামক স্থানে বসা দেখলাম। মানুষজন তখন নামায আদায় করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবু আব্দুর রহমান! আপনার কি হলো, নামায আদায় করছেন না কেন? তিনি বললেন, আমি (একবার জামাআতের সাথে) নামায আদায় করে ফেলেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, একদিনে এক নামায দুবার আদায় করা যাবে না।” –সুনানে নাসায়ী: ৮৬০

তাই প্রথমত এমন ইমামের পেছনে নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন, যিনি ধীরে সুস্থে নামায আদায় করেন এবং নামাযের আযকারগুলো আদায়ের জন্য যথেষ্ট সময় নেন। তা সম্ভব না হলে, নামাযের যেসব জায়গায় আপনাকে ইমামের পেছনে আযকার আদায় করতে হয়, যেমন তাসবীহ, তাশাহহুদ ইত্যাদি, সেগুলো আপনি বিশুদ্ধ উচ্চারণ নিশ্চিত করে একটু দ্রুত আদায় করবেন। তাতেও যদি ইমামের সঙ্গে শেষ করতে না পারেন, তাহলে রুকূ সিজদার তাসবীহের মতো সুন্নত আযকারগুলো, যতটুকুই হোক, বাকিটা রেখে ইমামের সঙ্গে উঠে যাবেন। পক্ষান্তরে তাশাহহুদের মতো ওয়াজিব আযকার পূর্ণ করে পরবর্তী অংশে ইমামের সঙ্গে শরীক হবেন। -রদ্দুল মুহতার: ১/৪৭০ দারুল ফিকর; হাশিয়াতুত তহতাভী আলাল মারাকি, পৃ: ২৫৫-২৫৬ দারুল কিতাব দেওবন্দ

উল্লেখ্য, হানাফী মাযহাবে ইমামের পেছনে কেরাত পড়ার কোনও জায়গা নেই। সূরা ফাতেহাও না। সুতরাং আপনি যদি হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়ে থাকেন, তাহলে ইমামের পেছনে কেরাত পড়ার প্রসঙ্গ আসে না।

فقط، والله تعالى أعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৮-০৬-১৪৪৪ হি.

১২-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

10 Oct, 16:38


ইমাম সাহেব দ্রুত নামায পড়ালে করণীয় কী?

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%9c/%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%87%e0%a6%ac-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a4-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%af-%e0%a6%aa%e0%a7%9c/

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

08 Oct, 12:30


৩. জি, আপনি যেমনটা বলছেন, সেটাই বাস্তব। রিবাত ও হিজরত শুধু আফগানে সীমাবদ্ধ নয়। বরং ইয়ামান, সিরিয়া, মালি, সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, নাইজার, পাকিস্তান, কাশ্মীরসহ পৃথিবীর এক ডজনেরও অধিক জায়গার উল্লেখযোগ্য অঞ্চল মুজাহিদদের দখলে আছে এবং সেখানে তারা যথাসাধ্য শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ। এসব অঞ্চলেও হিজরত যেমন হতে পারে তেমনি এগুলোর সীমান্ত প্রহরার জন্য রিবাতও হতে পারে। -ফাতহুল বারী: ৬/৩৯ দারুল ফিকর, বৈরুত; মিরকাতুল মাফাতিহ: ৬/২৪৭৩ দারুল ফিকর; আল-বাহরুর রায়েক: ৫/৭৭ দারুল কিতাবিল ইসলামী; ফাতাওয়া শামী: ৪/১২১ দারুল ফিকর; বাযলুল মাজহুদ: ৯/১৪ মারকাযুশ শায়েখ আবুল হাসান আলী আন-নদভী

والله تعالى اعلم بالصواب

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)

১৬-০৬-১৪৪৪ হি.

১০-০১-২০২৩ ঈ.

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

08 Oct, 12:30


কোনো জামাআত হক হওয়া আর সেই জামাআতের প্রত্যেক সদস্যের প্রতিটি কাজ হক হওয়া এক কথা নয়

প্রশ্নঃ

কয়েকটি বিষয়ে আমার কাছে কিছুটা খটকা লাগছে। অন্য কোনও শাইখকে জিজ্ঞাসা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আপনার কাছেই আবেদন করছি, অনুগ্রহপূর্বক নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর সমাধান দিলে খুবই উপকৃত হবো।

১. যদি ধরে নিই, কোনও জামাআত হকের উপর আছে তাহলে ওই জামাআতের প্রত্যেক সদস্যই হকের উপর আছে, এমনটা ধরে নেওয়া কি ঠিক হবে? শেষ যামানা সংক্রান্ত একটি হাদীসে, বিশেষ একটি দলকে ‘হকপন্থী দল’ বলা হয়েছে। এখন কেউ যদি বলে, এখানে জামাআতের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ হলো, সমষ্টিগতভাবে ওই জামাআত হকের উপর থাকবে। কিন্তু ওই জামাআতের সাথে যুক্ত কোনও ব্যক্তি যখন বলবে, আমি হকের উপর আছি, তখন তাকে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে যে, তিনি আসলেই পুরোপুরি হকের উপর আছেন কি না? হকপন্থী জামাআতের সাথে আছেন বলেই তিনি নিজেও পুরোপুরি হকের উপর আছেন, এমন ভাবা যাবে না। হতে পারে, তিনি হকের পুরোপুরি অনুসরণ করছেন না।

হাদীসে জামাআতের ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে যে, ওই জামাআতটি হকের উপর থাকবে। ব্যক্তি বিশেষের কথা বলা হয়নি। ব্যক্তি হিসেবে শুধু ‘মাহদী’র কথা এসেছে। কিছু আলামত বলে দেওয়া হয়েছে, যা দ্বারা আমরা তাঁকে চিনতে পারি। তাই তিনি ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বিশেষকে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের মর্যাদা দেওয়ার আগে চিন্তা করতে হবে, -এই কথাগুলো কি সঠিক? কেউ হাদীসের সাথে সংযুক্ত করে এই কথাগুলো বললে কি তিনি গুনাহগার হবেন?

২. গাযওয়ায়ে হিন্দের একটি হাদীসে এসেছে, ‘বাইরে থেকে আগমনকারীদের পায়ের গোড়ালি মুসলিমদের রক্তে ডুবে যাবে’। এটি কি আক্ষরিক অর্থেই বলা হয়েছে, না যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে? যদি বলি, এর অর্থ হচ্ছে, এই যুদ্ধ এমন সবাইকে ছুঁয়ে যাবে যারা নিরাপত্তার অবকাশ চেয়েছিল। আকাশ থেকে কী পরিমাণ বৃষ্টি বর্ষিত হলে পায়ের গোড়ালি ডুবে যায়, এটি চিন্তা করলেই তো এই যুদ্ধের ভয়াবহতা টের পাওয়া যায়, এই ব্যাখ্যাটি কি সঠিক হবে?

৩. কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজনকে বলতে শুনলাম, রিবাত ও হিজরতের ভূমি একটাই। তা হলো আফগান। অথচ আমি জানি, মুজাহিদরা বিজয় করার পর যেটুকু অঞ্চল শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনা করেন, তার পুরাটাই ইসলামের ভূমি। ইসলামের ভূমি তো আরও থাকার কথা। ওই ভূমিগুলোর কি রিবাত নেই? সেখানে কি হিজরত করা যায় না? রিবাত ও হিজরত কি শুধু আফগানের মাঝেই সীমাবদ্ধ? কেউ আফগান ছাড়া অন্য কোনো দেশে হিজরত করলে তা কি হিজরত হবে না? তাছাড়া আফগানে ইসলামী ইমারাহ ঘোষণা দেওয়ার আগে সেটা কি হিজরত ও রিবাতের ভূমি ছিলো না? অনুগ্রহ করে বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে দিলে অনেক উপকৃত হবো।

নাম- তাহসিন

উত্তরঃ

১.জি, আপনি ঠিক বলেছেন আলহামদুলিল্লাহ। এই কথাগুলোর কারণে কেউ গুনাহগার হবে না ইনশাআল্লাহ; বরং এরকমই বলা জরুরি। কারণ একজন ব্যক্তি কোনও হক জামাআতের সঙ্গে থাকার অর্থ এটা নয় যে, ওই ব্যক্তির সবকিছু সঠিক এবং অন্ধের মতো তার সবকিছু গ্রহণ করতে হবে বা করা যাবে; বরং একজন অনুসরণীয় আলেম হক জামাআতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে যেমন ভুল করতে পারেন, তেমনি যুক্ত হওয়ার পরও তার ভুল ভ্রান্তি হতে পারে।

সুতরাং সাধারণ মানুষের জন্য সর্বাবস্থায় একজন আলেম অনুসরণীয় প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁকে অনুসরণ করার এবং তার থেকে দীন গ্রহণের নীতি হচ্ছে যথাক্রমে;

ক. যে তাকওয়া, ইলম ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে তিনি নির্ভরযোগ্যতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেছেন, যতক্ষণ সেই নির্ভরযোগ্যতা বিনষ্ট হওয়ার কোনও কারণ না ঘটবে, ততক্ষণ তিনি অনুসরণীয়ের মর্যাদায় বহাল থাকবেন। পক্ষান্তরে তিনি যদি তাঁর কাজ-কর্মের দ্বারা উক্ত নির্ভরযোগ্যতা বিনষ্ট করেন, তখন তাঁকে অনুসরণীয় হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। -জামিউ বয়ানিল ইলম, ইমাম ইবনে আব্দুল বার (৪৬৩ হি.) : ২/৯৮৭ দারু ইবনিল জাওযী; মিশকাতুল মাসাবীহ: ১/৬৭ আল-মাকতাবুল ইসলামী বৈরুত; মিরকাতুল মাফাতীহ: ১/২৭৪ দারুল ফিকর, বৈরুত

খ. একইভাবে তিনি যখন নির্ভরযোগ্য হিসেবে উত্তীর্ণ থাকবেন, তখনও তাঁর ভুল-ত্রুটি হতে পারে। অতএব তখন যদি ঘটনাক্রমে তাঁর কোনও ভুল-ত্রুটি প্রকাশিত হয়ে যায়, তাহলে সুনির্দিষ্ট সেই বিষয়ের অনুসরণ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে; যদিও এমন বিচ্ছিন্ন ও ঘটনাক্রমের ভুল-ভ্রান্তির কারণে তাঁকে অনুসরণীয় ব্যক্তির মর্যাদা থেকে ফেলে দেয়া যাবে না। -সুনানে আবু দাউদ: ৭/২০; হাদীস নং: ৪৬১১ দারুর রিসালাতিল আলামিয়্যাহ; বাযলুল মাজহুদ: ১৩/১৭ মারকাযুশ শায়েখ আবুল হাসান আলী আন-নদভী; আল-মুওয়াফাকাত, ইমাম শাতেবী: ৫/১৩৬ দারু ইবনি আফফান; সিয়ারু আলামীন নুবালা: ১৪/৩৭৬ ও ২০/৮৭-৮৮ মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ; মাজমুউল ফাতাওয়া: ৩২/২৩৯ ও ২৭/৩১১ মাজমাউল মালিক ফাহদ, মদীনা

২. আমাদের ত্রুটিপূর্ণ অনুসন্ধানে আমরা এমন কোনও হাদীস খুঁজে পাইনি।

fatwaa.org || উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ

08 Oct, 12:30


কোনো জামাআত হক হওয়া আর সেই জামাআতের প্রত্যেক সদস্যের প্রতিটি কাজ হক হওয়া এক কথা নয়

https://fatwaa.org/%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be/%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a7%8b-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%86%e0%a6%a4-%e0%a6%b9%e0%a6%95-%e0%a6%b9%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%87/