Ahmad Khan Articles

@akwritings


Ahmad Khan Articles

21 Oct, 19:05


বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের জোর সম্ভাবনা

অনেকদিন পর গৃহযুদ্ধের প্রকৃতি ও শর্ত নিয়ে স্টাডি করলাম। এবং লক্ষণগুলো মিলিয়ে যেটা বুঝলাম, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ লাগতে যাচ্ছে।

আমার ধারণা ছিলো, লীগ থাকাকালীনই হয়ত লেগে যাবে। এবং আপনি যদি টেকনিকাল দিক বিবেচনা করেন, এটার শুরুটা আগস্টেই হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, হয়নি এবং তার বড় কৃতিত্ব যায় বাংলাদেশ আর্মির প্রতি। তারা সেদিন সঠিক ডিসিশন না নিলে আমি নিজেও আজ বেঁচে থাকতাম কিনা সন্দেহ আছে।

গৃহযুদ্ধের কথা এত জোরে মনে হচ্ছে কারণ কিছু পাওয়ারফুল ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর রয়েছে।

প্রথমতঃ লীগ ডুব দিয়ে ছিলো, কিন্তু সেইভাবে পালায়নি, মারাও যায়নি, জেলেও যায়নি।
দুই মাসে দেশ থেকে ৫০ হাজার লোকও ভারতে যায়নি। এটা ইন্ডিয়ান পত্রিকার তথ্য।
কাউয়া কিংবা শামীমের আশংকা অনুযায়ী হাজার হাজার লীগ খুন হয়নি।
সেইভাবে গণগ্রেফতার হয়নি।
সরকারের টালমাটাল অবস্থা স্পষ্ট। তা নিয়ে উপদেষ্টাদের গরজ কম। কারণ পলিটিকাল ক্যারিয়ার বলে কিছু ঝুঁকিতে নেই। লীগের সাংস্কৃতিক পুনর্বাসনের অনেকটাই হয়ে গেছে। দেশী বাম = দিল্লীর লোক।

আরো একটা ব্যাপার যোগ করতে চাই, লীগ সরকারের আমলে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি কম ছিলো কারণ লীড করতে পারে এরকম হাজার হাজার আলেম বা ইসলামপন্থী লোক জেলে ছিলো। আপনি মানেন বা না মানেন, মাওলানা মামুনুল হকের মত আলেমরা এক ডাক দিলে এক লাখ লোক ঘন্টাখানেকের মধ্যে জড় হয়, এটা যেকোনো অবস্থাতেই একটা সিরিয়াস পাওয়ার। গৃহযুদ্ধের জন্য বিরোধীপক্ষেও কিছু শক্তি থাকা লাগে, যেটা লীগ দমন করতো। কিন্তু এখন সেই পাওয়ারগুলো দৃশ্যপটে উপস্থিত।
বাংলাদেশের লোকজন আলেমদের ডাকে মরতেও পারে, এটা একটা বাস্তবতা।

সুতরাং, অন্তর্বর্তি সরকার লীগ দমাতে বা জনরোষ কমাতে ব্যার্থ হলে সেই পাওয়ার ভ্যাকিউম পুরণে অনেক শক্তিই মাসল দেখাতে চাইবে, সেটা ছাত্রনেতারা কিংবা ট্রাডিশনাল ইসলামী শক্তি। লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা এই শক্তিগুলোকে মুখোমুখি দাড় করাবেই। আর পাওয়ারগুলো মুখোমুখি মানেই সঙ্ঘর্ষের সম্ভাবনা।

সবার উপরে, আমি তো আমার ভাইয়ের খুনের বদলা নিতে চাইবোই, তাই না?

দ্বিতীয়তঃ উপরে যা বললাম, এগুলো কিন্তু একটা দেশের মধ্যে নিজেরাই সমাধান করা সম্ভব, অতটাও কিছু না যে ফুলস্কেল যুদ্ধ লেগে যাবে। কিন্তু এখানেই আসে এক্সটার্নাল ফ্যাক্টরগুলো।

আনফরচুনেটলি, বাংলাদেশে ভারতের মত এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর খুবই কার্যকর। ভেবে দেখুন, লীগ ক্ষমতা নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় ভারত যদি পিলখানার মত কাজ ঘটাতে পারে, লাস্ট ১৫ বছরে তারা তো বসে ছিলো না। বাংলাদেশের তৃনমূল পর্যায়ে পর্যন্ত ইন্ডিয়ার জাল বিস্তৃত। আমাদের ন্যাশনাল ডাটাবেজ ইন্ডিয়ার হাতে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ব্যাপারে ইন্ডিয়া কিছু না কিছু ভার্চুয়ালি জানে। আমাদের ন্যাশনাল মনিটরিং সফটওয়্যারের সার্ভার ইন্ডিয়াতে। ইভেন আর্মিতে বেতন দেওয়া হয় যে সফটওয়ার দিয়ে, তাও ইন্ডিয়ান। মানে ওদের কিছু প্রদেশকেও ওরা এভাবে পেনেট্রেট করতে পারে না, যেমনটা বাংলাদেশে করে ফেলেছে।
এগুলো কাজে লাগাবে না?

দুই সপ্তাহ পর মার্কিন নির্বাচন। ট্রাম্প জিতলে আমেরিকাতে ছয় মাসের মধ্যে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে (প্রজেক্ট ২০২৫)।

লীগের আমলে নিশ্চয় খেয়াল করেছে, সমাজের নতুন বড়লোক হয়ে ওঠা লোকগুলো, অস্ত্র হাতে টহল দেওয়া ছেলেরা - সব লীগের। তারা তাদের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে চাইবেই চাইবে।

ভারত যদি বিন্দুমাত্র আশার বানী শোনায়, লীগের ওই ৫০ হাজার বাদে বাকি কোটিরা দেশেই আছে, ঝাঁপিয়ে পড়বে।

আপনি জানের ভয়েই আবার মাঠে নামতে চাইবেন।

এবার মিলান সব,কিছু আউট'ল এর কারণে আপনার জান ঝুঁকিতে পড়েছে, আপনার নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ, ফলে আপনি হাতিয়ার ওঠাতে বাধ্য হলেন।

এটাকে কী বলে যেন?
রাইট, গৃহযুদ্ধ।

Ahmad Khan Articles

19 Oct, 21:48


২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই প্রতিপক্ষের সৈনিকদের মনোবল ভাঙ্গার চেষ্টা করতো। বাংকারের কাছে গিয়ে বলতো অস্ত্র ফেলে আত্মসমর্পণ করতে, আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের অফিসারের কথা শুনো না। কখনো প্লেন থেকে লিফলেট ফেলে, কিংবা কখনো হ্যান্ডমাইকে করে।

এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুলের ক্লাসিক উদাহরণ। পরবর্তিতে থার্ড জেনারেশন ওয়ার আরো পলিটিকাল রুপ নিয়েছে, এই টেকনিকের ব্যবহার বেড়েছে। তবে এবার আর আওতা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। বরং সাধারণ পাবলিককেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শত্রুর মধ্যে যে বা যারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে অস্ত্র ধরতে পারে তাদেরকে বাকি জনগণের কাছে শত্রু হিসেবে তুলে ধরতে হবে। সিভিলিয়ানদের উপর কব্জার সময় এই মেসেজটা দেওয়া, দেখো, এমনিতে আমরা তোমাদের শত্রু না, তোমাদের মারতাম না, কিন্তু এই লোকগুলোই হাতিয়ার তুলে তোমাদের উপর আমাদের রাগিয়ে তুলেছে।

এই টেকনিক একদম পানিপড়ার মত কাজে দিয়েছে। এর উদাহরণ দেওয়া যায় ওসামা বিন লাদেনকে দিয়ে। আজকে সো কল্ড 'লেখাপড়া' করা একজন মুসলিমের কাছে তার ব্যাপারে জানতে চাইবেন। দেখবেন সে যা বলবে তা লাদেনের ব্যপারে সিআইএর বয়ানের সাথে একদম লাইন বাই লাইন মিলে যায়।

এটা কিন্তু কাকতালীয়ভাবে হয়নি। ডিভাইড অ্যান্ড রুলের উপর বেস করে দিনের পর দিন অপিনিয়ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ফল। ওসামা বিন লাদেনকে যেদিন হত্যা করা হয়, তার পরেরদিন প্রথম-আলোর সম্পাদকীয় পড়েছিলাম। একটা বাক্য ছিলো, 'লাদেন অনেক মুসলিমকেও হত্যা করেছে।'
এটার সাবলিমিনাল মানে বুঝতে পারেন? আমেরিকা এতই দয়ালু যে মুসলিম হত্যাকারী একজন খুনীকে মেরে মুসলিমদের বাঁচিয়ে দিয়েছে!

পশ্চিমা পাওয়ার হোক বা ইন্ডিয়া বা ইসরাইল - সবার কাছে এটাই টেক্সটবুক উদাহরণ, মুসলিমদের মধ্যে যে-ই একটু গলা উচু করবে, তাকে শত্রু বানিয়ে দাও খোদ মুসলিমদের কাছে। যাদের জন্য চুরি করবে তাদেরকে দিয়েই চোর বলাও - অর্ধেক জিত হয়ে যাবে।

আনফরচুনেটলি, এটা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশে কাজ করেছে। বিন লাদেনের কথা বললাম। আমাদের দেশের কথাই ধরুন। কিছুদিন আগে পাজিতনি পালকি শর্মা একটা এপিসোড করে কালোপতাকা দেখিয়ে বলল, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সাথে সাথে একটা বিরাট সংখ্যক মুসলিম ঝাঁপিয়ে পড়লো, বলেছিলাম না, পতাকা বের করিস না, ওরা জঙ্গী ডাকবে?
মানে ইন্ডিয়া এমনিতে ইনোসেন্ট একটা দেশ, তারা বাংলাদেশের মুসলমানদের কিছুই বলতো না, যত দোষ এই খেলাফতিদের, এরা ইন্ডিয়াকে এদেশে আনতে বাধ্য করছে, ক্রসফায়ার কোথায়?

****
ব্যতিক্রম দেখলাম ফিলিস্তিনিদের। আমার গাজার প্রায় ৪০০ মানুষকে ফলো করা আছে ইন্সটাগ্রামে। ২০০ এর উপরে পোস্ট দেখলাম শহীদ আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ারের ছবি দিয়ে 'রাহিমুহুল্লাহ' ' রহমাতুল্লাহি আলাইহি' লিখছে।

এটা একটা বিশাল ঘটনা। ইসরাইল সেই আজকে থেকে না, বহু বছর ধরে বলছে, হামাস গাজাবাসীদের শত্রু। আমরা এমনিতে তোমাদের মারতাম না, কিন্তু হামাসের নেতারা তোমাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে, তাই তোমরা এই নৃশংসতা ডিজার্ভ করো।

এমনোতো হতে পারতো, প্রাণের ভয়ে গাজাবাসী শহীদ সিনাওয়ারকে শত্রু বলত! কারন আজকে যারাই শহীদ সিনাওয়ারের জন্য শোক প্রকাশ করছে, তারা লিটারালি ইসরাইলের টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। তা সত্বেও এমন একজনকে পেলাম না, যে তার শাহাদাতে শোকার্ত নয়।

এক আপু লিখেছেন, 'ওরা কত বড় ইডিয়ট, ভেবেছে আমাদের ৭৫ বছরের সংগ্রাম কেবল একজনের উপর নির্ভরশীল? আমরা তো জন্ম থেকেই লড়ছি এবং মৃত্যু পর্যন্ত লড়বো'

প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না। সম্মানিত শহীদকে একবার বাংলাদেশী ভেবে দেখলাম। ' ভালোই হয়েছে', 'লড়াই করতে গিয়েছিলো!!' ' টানেলে না থেকে ফ্রন্টলাইনে কী', ' অতি জজবাতি', 'জংগী মরেছে' 'নবী (সঃ) ও চুক্তি করেছেন' ' মরেই তো গেলো, লাভ কি হল'

আমরা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে হাজার চেষ্টাতেও বুঝতে পারবো না। আমাদের শরীরে সেই মাটিই নেই। দাস মালিকের চেয়ার বসার ফিল ইমাজিনও করতে পারে না। খাঁচার পাখি বাইরেটা কল্পনাতে আনতে পারে না। কারণ সেসব সে এক্সপেরিয়েন্সই করে নি।

গাজার লোকেরা তো বটেও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও যেভাবে শহীদ সিনাওয়ারকে আপন করে নিলো - এই কারণেই তারা পবিত্র ভুমির সন্তান।
এই কারণেই সিনাওয়ার গাজায় জন্ম নিতে পেরেছিলেন, গাজীপুরে না।

ওসব উচুদরের আচরণ, আমরা কিভাবে বুঝবো?

Ahmad Khan Articles

18 Oct, 00:27


কোনোভাবেই বুঝোতে পারবো না, মোহাম্মদ দেইফ ও ইয়াহিয়া সিনাওয়ার আমার কাছে কী ছিলেন। যেই কল্পরাজ্যের ডিস্টোপিয়ান পরিস্থিতির মধ্যে বিপ্লবের স্বপ্ন নাবালক বয়স থেকে দেখে এসেছি, তার মুর্তিমান রুপ ছিলেন এনারা।

পিছনে একশো মিডিয়া আর বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং আছে, ওই বিপ্লবে মজা নেই। সিনাওয়ারের মত পৃথিবীর সব সীমাবদ্ধতা, এর চেয়ে কন্ট্রোলড ইনভায়রনমেন্ট তো আর হয় না - তার মধ্যে থেকে একটা ৭ই অক্টোবর বের করে আনা, এটা গল্পের বইয়ে পড়লে কেউ বিশ্বাস করতে পারতো না। সিনাওয়ার করে দেখিয়েছেন।

আজ মনে কী চলেছে লেখায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

Ahmad Khan Articles

17 Oct, 23:06


আবু ইব্রাহিম সিনাওয়ার শাহাদাতের মাধ্যমেই তার মর্যাদা চুড়ান্ত করলেন।

Ahmad Khan Articles

17 Oct, 23:03


ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন

Ahmad Khan Articles

16 Oct, 00:29


তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন যেন দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের পুর্বাবস্থার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি মিলে যায়।

আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন দুটো ব্যাপারঃ

প্রথমতঃ নতুন নতুন দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আমিরাতের মত পুরোদস্তর ব্যবসায়ী আর প্যাসিফিস্ট একটি রাষ্ট্র সুদানে একটি ফুলস্কেল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

এই সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধের এক শকিং নিউজ সামনে এসেছে। রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তাদের লাশ পাওয়া যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্টোদিকে, আমেরিকার পরে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশী গোলাবারুদ দিয়েছে সাউথ কোরিয়া।
ইউরোপের একটা যুদ্ধে সাথে কোরিয়ানদের কী সম্পর্ক? ঠিক যেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি আর জাপানের মত পরিস্থিতি।

মধ্যপ্রাচ্যে এক বছরের মধ্যে চারটে দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো - ফিলিস্তিন, ইসরাইল, ইয়েমেন ও লেবানন। এবং এটাও সবাই বুঝতে পারছে, এখানেই শেষ না। কারণ ইসরাইল ইরানে হামলা করা মাত্রই জর্ডানের মত দেশেও অস্থিরতা নিশ্চিত।

বাইরে থেকে নিউট্রাল অনেক দেশও সামরিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে - তুরস্ক ও বেলারুশ। তুরস্ক লাস্ট ১ বছরে প্রায় ৬ থেকে আটটা ওয়ারজোনে অ্যাক্টিভ ছিলো।

জেনেভা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বে ১১০ অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। যার মধ্যে অন্ততঃ ৫টার মতো পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
মাত্র তিন-চার বছর আগেও কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা ভাবা যায়নি। করোনার সময়ে মাত্র একটা যুদ্ধের কথা শোনা গেছে, আজেরি-আর্মেনিয়ানদের যুদ্ধ। তারপর এই কয়দিনেই এতগুলো যুদ্ধ লেগে গেলো।

দ্বিতীয়তঃ যুদ্ধ একবার লেগে গেলে আর থামছে না। ইউক্রেনে রাশিয়া কিয়েভের কাছাকাছি চলে আসলে ধরা হচ্ছিলো এবার হয়ত যুদ্ধ শেষ। অথচ দুই বছর ধরে চলছে।

কিংবা গাজাতে। ইসরাইল আর হামাস-ইসলামিক জিহাদের যে শক্তির পার্থক্য, তাতে ইহুদীরা তো বটেই আমরাও ভেবেছিলাম হয়ত মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ইসরাইল গাজা দখলে নেবে। তা তো দুরের কথা, হামাসের গায়ে সেইরকম আচড়টাও কাটতে পারেনি। উলটো নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে হামাস হয়ত আরো দুই বছর ইজিলি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।

একই কথা গৃহযুদ্ধগুলোর ক্ষেত্রেও। সিরিয়ারটা ১২ বছরেও শেষ হলো না। সুদান কিংবা মায়ানমার, শেষ দূরের কথা - লড়াইয়ের মাত্রা কমারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যক্তিগত মতামত, এই যুদ্ধগুলোর অধিকাংশই আর থামবে না। একেবারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে মিলবে।

ট্রাম্প ফ্যাক্টঃ
ট্রাম্প লাস্ট এক-দেড় বছর ধরে 'সে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাবে' বলে মার্কেটিং করে আসছে। বহুবার বলেছে, সে প্রেসিডেন্ট হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। এছাড়া ইউএফসিতে খাবিবের কথার উত্তরে সে গাজার যুদ্ধ থামিয়ে দেবে বলে জানায়।

কিন্তু গত ৬ মাসে ট্রাম্প পুরোপুরি উলটে গেছে। এখন এমন কোন ক্যাম্পেইন নেই যেখানে সে ইসরাইল চাটছে না। বারবার ইরান আক্রমণের কথা বলছে।
ইসরাইলের যে অভ্যন্তরীণ ভঙ্গুরদশা, তাতে তারা যেকোনো মূল্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা আনতে চায়। এবং এটা যে নিশ্চিত করতে পারবে সে-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবে।
সব বিবেচনায় ট্রাম্পের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

বাংলাদেশ ফ্যাক্টঃ

চিন্তাশীল ব্যাক্তিমাত্রই দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশ আগামী দিনে আর শান্ত হবে না। লীগ এখন অ্যাসেসমেন্ট পিরিয়ডে আছে। এই দিনগুলোতে সাকিবের মত যেসব সফট পারসোনা রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে। ট্রাম্প জিতলেই আসল দিন।

একটা বাস্তবতা বুঝতে হবে, ভারত দরকার পড়লে অরুণাচল চীনের কাছে ছাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়তে পারবে না। এটা তাদের জন্য অনেক রিস্কি। লাস্ট ১৫ বছরের ইনভেস্টমেন্ট তারা এত সহজে ভাসিয়ে দেবে?
লীগের লোকজনের পয়সা আর ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে, আর ইন্ডিয়ার দরকার কিছু ক্ষুধার্ত লোক। যদিও লাস্ট দেড় দশকে ডানে-বায়ে ইন্ডিয়ান স্বার্থরক্ষীরা পদে বসেছে, তবু ওই ফ্রি-পাস-নিশ্চয়তা কেবল হাসিনা থেকে মিলতো।

লীগের লোকের হাতে টাকা আর অস্ত্র রয়েছে। যেকোনো দিন লীগের কেন্দ্র থেকে লাশ ফেলতে বলুক, ঠিকই দেখবেন ওরা ফেলে দিয়েছে।

র যেভাবে কাজ করে, তাতে আগামী দিনে টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন বাড়বে - এতে সন্দেহ নেই। আর কিছু লোককে, বিশেষ করে ইসলামপন্থীদেরকে এক্সিকিউট করবে, কিন্তু সেটা অপিনিয়ন ইঞ্জিয়ারিং এর মাধ্যমে, ফলে লোকের সমর্থন থাকবে ওই হত্যাকান্ডে।

আগামীতে আমাদের দেশ শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হবে।

Ahmad Khan Articles

16 Oct, 00:28


পড়ুন নিচের পোস্টে 👇👇👇

Ahmad Khan Articles

13 Oct, 16:45


আর বড় কারণ প্রকাশ্য অশ্লীলতা। নিকটবর্তি সময়ে আপনি যেকোনো পাবলিক ভার্সিটি ভিজিট করে থাকলে বুঝে গেছেন আমি কী বলছি। একদম পাবলিক পার্ক বানিয়ে ফেলেছে।

সিনিয়ররা এসে বলেছিলো, কিরে, ক্যাম্পাস তোরা পুরো মাগীপাড়া বানিয়ে ফেলছিস। বাচ্চাকাচ্চার সামনে ব্যপক বিব্রতকর অবস্থা।

শুধু এই একটা কারণেও ভার্সিটি লাইফে শিবিরের পাওয়ারফুল উপস্থিতি মিস করেছি। ছাত্রলীগের কাছ থেকেই শোনা, শিবির ক্যাম্পাসে কেমন পাহারা বসিয়েছিলো। শাবির একজন বললো, যেদিন থেকে শিবির বিতাড়িত হলো তখন থেকেই ঝোপেঝাড়ে ইউজড কনডম পাওয়া যেতে থাকলো।

২০২২ সাল থেকে অ্যান্ড্রু টেইট পর্যন্ত রিয়েল লাইফে বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে আলোচনায় বারবার এসেছিলো, কিশোর-তরুণদের জন্য মিনিংফুল কিছু শিবির যেইভাবে করে অন্য কোনো সংগঠন পারেনি। বর্তমান তরুণদের যে ডিসিপ্লিন আর মিসগাইডিংয়ের সঙ্কট - শিবির থাকলে তা কমে যেত।

ঠিক এই একটা কারণে হলেও ব্যপারটা নিয়ে আশাবাদী।

• মেইন্সট্রিম শিবির সেইভাবে করিনি কোনোদিন। বড় কারণ অবশ্যই ডেমোক্রেসি। এখন জুনিয়রদের বলি, টাকাপয়সার একদম মরণপণ অভাবে হলে শিবিরের নেতাদের কাছে যা, অন্ততঃ একটা টিউশনির ব্যবস্থা করে দেবে।

• অ্যাডমিশন কোচিঙয়ের সময় একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ওকে ওর নিজ কলেজেরই প্রিন্সিপাল পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিলো শিবির করতো বলে। ইন্টার পরীক্ষা প্রথমবার দিতে পারেনি। পরেরবার নানান কায়দা করে ম্যানেজ করেছে।

ও একটা বার্মিজ চাকুর ছবি দেখিয়েছিলো। বলেছিলো, চাকুটা কিনেছি আমার প্রিন্সিপাল স্যারের জন্য। যেদিন লীগ ক্ষমতা থেকে নামবে আমি একদৌড়ে কলেজে যাবো।

গত একমাস আগে আপনারা যেসব শিক্ষক(!)দের পদত্যাগ করানো দেখেছেন, ওগুলোর পিছনে এরকম স্টোরি ছিলো।

• আমার কাজিন শিবিরের মেসে ছিলো। ২০১২ সালের ঘটনা। সেখানে থাকতো ওই উপশাখার সেক্রেটারী। সে আবার প্রেম করতো। একদিন ফোনে কথা বলার সময় কট খেলো। একজন দায়িত্বশীলের এরকম চারিত্রিক অধপতন, শহর শাখার নেতৃবৃন্দ বিচার বসালো। কোচিং সেন্টারের বেঞ্চের কাঠ দিয়ে পিটিয়ে ওই সেক্রেটারীকে মেস থেকে বের করে দেওয়া হলো।

Ahmad Khan Articles

13 Oct, 16:45


সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও শিবির প্রসঙ্গ

• বিপ্লবের ফল নিতে হলে সবার আগে আত্মত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হয়। না করতে পারলে আপনি ওই বিপ্লবের ফল ভোগের মোরাল রাইট হারাবেন।

সরকারীভাবে গড়া ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন' এর প্রধান ব্যক্তি হিসেবে ডঃ ইউনুসকে নিয়োগ দেওয়া ছিলো সবচেয়ে বড় ভুল। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার লাখো দায়িত্ব আছে। এখানের জন্য সময় তেমন পাবেনই না। একজন ডেডিকেটেড লোক দেওয়ার দরকার ছিলো।
শহীদ মুগ্ধ'র ভাই স্নিগ্ধকে দায়িত্বে রাখা ওইসময় রাইট মনে হলেও এখন ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।

চিন্তা করেন, রক্ত দিয়ে আনা সরকার ক্ষমতায়, কিন্তু রক্ত দেওয়া লোকটার জন্য বিকাশ নাম্বার দিতে হচ্ছে কেন ফেইসবুকে? দুই মাস পরেও এমন আহত পাওয়া যাচ্ছে যাদের কাছে এখনো কোনো সাহায্য যায়নি।

আর এত এত সিরিয়াস ইনজুরি, ২২ হাজার আহত, কয়জনকে বিদেশ পাঠানো হয়েছে?

সরকারের এই ব্যর্থতার মাফ হয়না। ঠিক এটাই যথেষ্ট ডঃ ইউনুসকে কলঙ্কিত করে ফেলার জন্য।

• ৫ই আগস্ট পুলিশের উপর হামলার জন্য যে মামলা বা গ্রেফতার হচ্ছে - এগুলো সব টেস্ট কেস। পুলিশ বাজিয়ে দেখতে চাচ্ছে। এজন্য মামলাগুলো সব ঢাকার বাইরে।

আমাদের এখনি কড়া রেস্পন্স দেখাতে হবে। একটা মামলা, অ্যারেস্ট দুরের কথা - জিডিও হওয়া উচিত নয়। যে পুলিশ মরেছে - মরেছে, দরকার হলে ফ্যামিলিকে ক্ষতিপূরণ দিন। অ্যারেস্ট কেন হবে?

আহতরা এখনো হাসপাতালে।

• গত দুই মাসের একটা পজিটিভ দিক ছিলো ইসলামপন্থীদের সরব উপস্থিতি। যদিও এর ডাবল হওয়ার দরকার ছিলো - সুযোগ আস্তে আস্তে কমে আসছে। তবু যেটুকু হয়েছে, প্রথম আলো গংকে একটু হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া গেছে।

• সরকারে থাকা এনজিওর লোকেরা এটা নোটিস করেছে। তারা জানে সামনে সংবিধান সংশোধন আসছে। আবার পাবলিক সাপোর্টও অত পক্ষে নেই। তাই যা আছে তাই নিয়েই সর্বশক্তি নিয়োগ করতে চায়।

উপদেষ্টা শারমিন সরাসরি মেয়েদের আন্দোলনে রাস্তায় নামতে বলেছে। গুনে গুনে নয় জন কাগজ হাতে দাড়িয়েছে, সেটা প্রথম আলোর লীড নিউজ।

আগামী দিনে ফেমিনিস্ট সংগঠনগুলোর অ্যাক্টিভিটি আরো বাড়বে।

এরা নির্লজ্জ্ব। গত পনের বছরে লীগের আমলে লীগের করা ধর্ষণের বিচার চাইতে আসুক - সেটার ক্রেডিবিলিটি থাকতো। স্বঘোষিত ধর্ষক মোজাম্মেল দশ বছর মন্ত্রীত্ব করে গেলো।
এত এত গুরুত্বপূর্ন ইস্যু, দেশী ফেমিনিস্টদের মুল ফোকাস পড়লো কোথায়?
ওড়নাতে!!



শিবির প্রসঙ্গঃ

• আর কেউ না জানুক, মাঠে যারা ছিলেন তাদের জানার কথা মাঠে জামায়াত শিবির কতটা উপস্থিত ছিলো। জামায়াতের অফিসিয়াল হিসাব অনুযায়ী তাদের ও শিবিরের মিলিয়ে ১৬ লাখ কর্মী রাস্তায় নেমেছিলো। প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশী।

শিবির ছাড়া এই আন্দোলন হতে পারতো না। মিছিলের ডেস্টিনেশন থেকে পানির বোতলের জোগাড় সব তারা ভালোভাবে সামলিয়েছে।

১৮ তারিখ ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলো। পরদিন ১৯ তারিখ, কোনো খবর পাচ্ছি না। বিকেলের দিকে রেডিও হাতে বেরোলাম। শিবিরের একজনের সাথে দেখা। বললো আজকে প্রোগ্রামে যাননি? বললাম, প্রোগ্রামের কথাই তো জানতাম, আমি তো জানি নেট বন্ধ মানে সব বন্ধ। আমাকে বলল, শিবিরের সব শাখা থেকেই ছেলে নিয়ে গেছে।

আমি অবাক হলাম। শিবির কিভাবে এলো? ভাই বলল, আপনার কি মনে হয়, এইসব সাধারণ ছাত্র যারা জীবনে ১০টা লোক একজায়গায় করেনি তারা এত বিশাল আয়োজন করছে? ফেইস দিয়ে রেখেছে সাধারণ ছাত্রদের, কিন্তু অর্গানাইজ করছে সব জামায়াত শিবিরের লোক। খোদ বিএনপির লোকজনও জামায়াতের ভাড়া করা গাড়ীতে করে শহরে আসছে।

ছোট শহরগুলোতে এটাই রিয়েলিটি ছিলো। নেট বন্ধ তবু হাজার হাজার ছেলে উপস্থিত হয়েছে। কিভাবে? কারণ তাদের কর্মীরা ছিলো ওয়েল ডকুমেন্টেড। ফোন নাম্বার-ঠিকানা সব ছিলো, ফলে নেট বন্ধ থাকায় প্রবলেম হয়নি। আর শিবিরের মেসগুলো থেকে সবাই যেত মিছিলের জন্য।

• সমন্বয়কদের যে অতিরিক্ত ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে, তা তারা ডিজার্ভ করে না। এটা সত্যি, তারা জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত আন্দোলন টেনে নিয়ে গিয়েছে, তবে পিছনে শিবির ছিলো।

জুলাইয়ের শেষ কয়েকটা দিন থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত মাঠের পরিস্থিতি এমন ছিলো, কেউ ঘোষণা না দিক, সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ হবে মানে হবেই। মানুষ সকাল থেকেই এসে বসে থাকতো, ইভেন জানতোও না আজকের কর্মসূচী কী হবে। কোনো নেতা বা সমন্বয়ক যদি আন্দোলন থামিয়ে দেবার কথা বলতো, আমি নিশ্চিত মানুষ তাদের কথা শুনতো না।


• এখন শিবিরের ভূমিকা মোটামুটি সবাই জানে। আব্দুল কাদের নিশ্চিত করেছে আমরা যে দাবীদাওয়ার কথা শুনেছি তা শিবিরের লোকজনের লিখে দেওয়া। কিন্তু শিবির যথাসময়ে এই ক্রেডিট ক্লেইম করতে পারে নি। মহফুজের মত লোকেরা ততদিনে ফ্রন্টসিটে বসে গেছে।

• এবার সবচেয়ে ব্রাইট সাইটটার কথা বলি। এই বিপ্লবের যদি একটা ভালো দিক থাকে সেটা হলো ক্যাম্পাসে শিবিরের উপস্থিতি।

দুটো কারণে। মাদক আর অশ্লীলতা নির্মুল

ভার্সিটি থাকাকালীন দেখেছি কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিলেই একদম হলের রুমে পর্যন্ত পৌছিয়ে দিয়ে যেত। এটা পুরো নির্মুল সম্ভব নয়, কিন্তু কিছুটা নিয়ন্ত্রনে তারা আনতে পারবে।

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:24


প্রথম-আলোর ফেমিনিস্ট ন্যারেটিভ তৈরির ঘৃণ্য অপচেষ্টা


শায়লা বীথি বলেছেন, তার স্বামীর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তার উপরে হামলা হতে পারে।

এখন কে এই বিথির স্বামী? আর তার রাজনৈতিক পরিচয় কী?

বীথির স্বামী তৈমুর ফারুক তুষার। সে কালের কন্ঠের রিপোর্টার। পড়াশোনা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে ছিল জাসদ ছাত্রলীগের (ইনু) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি।

এই লোক প্রচন্ড মাত্রার ইসলামবিদ্বেষী এবং আওয়ামীপন্থী। শাহবাগের সময় জামায়াত নেতাদের ফাঁসির দাবীতে রাস্তায় ছিলো। তার প্রোফাইলজুড়ে ২০১৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নানা সময় ইসলাম, মুসলিম ও ইসলামপন্থীদের কটাক্ষ করতে দেখা যায়। সে এখনো বর্তমান সরকারকে নানাভাবে তাচ্ছিল্য করে চলেছে।

এই চিহ্নিত আওয়ামীলীগ অ্যাক্টিভিস্টের রোষানলে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। ৫ই আগস্ট বিপ্লবের দিনে এই দালালের বাড়িতেও হামলা হয়।


• শায়লা বীথির উপর হামলা একটা নাটক হবার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ৫ তারিখের পরে জনরোষ এড়াতে ও জনমত টানতে নিজেদেরকে ভিক্টিম হিসেবে দেখানোর চেষ্টা।

• হামলাটা বীথির ভাষ্য অনুযায়ী তার স্বামীর রাজনীতির কারণে হয়েছে বলে তার দাবী। কিন্তু প্রথম আলো এটা 'নারীবিদ্বেষী মৌলবাদের' বয়ান হিসেবে দাড় করাতে চাচ্ছে।

• যদি নিজেদের সাজানো না-ই হবে তাহলে এতবড় অ্যাসল্টের পর মামলা কোথায়? হামলাকারীদের গ্রেফতার করে কেন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না, যে তারা মৌলবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েই তার উপর হামলা করেছে কিনা?

• কোনো কিছু প্রমাণিত হওয়ার আগেই 'শক্তি নেটওয়ার্ক' নামের চিহ্নিত ফেমিনিস্ট সংগঠন ঠিকই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ভিক্টিমহুড ইউজ করে নিজেরা প্রাসঙ্গিক হবার চেষ্টা।

■ দ্বিতীয় ইস্যু

প্রথম আলোর এই ন্যারেটিভের পুরো রিপোর্টটাই এরকম গোঁজামিলে ভর্তি। যেমন একই রিপোর্টে অপরাজিতা সঙ্গীতা নামের আরেক নারীর সাথে ঘটা ঘটনা উল্লেখ করেছে। সঙ্গীতা চার সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করে দাবী করেন, ওড়না না থাকায় নাকি তার উপরে হামলা হয়েছে। ঘটনাটা বানোয়াট

• উক্ত ভিডিওর মাধ্যমে কিছুই প্রমানিত হয় না, তার উপর আদৌ হামলা হয়েছে কিনা, বা হলেও তা ওড়নার কারণে কিনা।

• চার সেকেন্ডের ক্লিপ থেকে কী বোঝা সম্ভব? তার আগের বা পরের অংশ কোথায়? নিজের উপর ঘটা হামলা আপনি চার সেকেন্ড পরেই বন্ধ করবেন?

• এবার আসল প্রশ্ন। হামলা হলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ। সঙ্গীতা মামলা করেনি। নাকি মামলা হলে তার মিথ্যা ধরা পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে?

প্রথম আলো কিভাবে এই ব্যাপারগুলো ভেরিফাই না করে এতবড় একটা সেন্সিটিভ ইস্যুতে উপসংহার টানতে পারে?

অপরাজিতা সঙ্গীতা একজন পারফেক্ট ফেমিনিস্টের উদাহরণ। তিনি ফেমিনিস্টদের মধ্যে কমন প্রবলেম, 'ভিক্টিমহুড কমপ্লেক্সে' ভুগছেন।
একইসাথে এই নারী প্রচন্ড পুরুষবিদ্বেষী। তার বানানো এক ফিল্মের নাম 'পুরুষাতঙ্ক'।
২০২২ সালের নরসিংদী স্টেশনকান্ডে সে গিয়েছিলো ‘অহিংস অগ্নিযাত্রা’ প্রতিবাদের নামে তামাশা করতে।

■ প্রথম আলোর আনা বাকি রিপোর্টগুলোও গোঁজামিলে ভরাঃ

• নরসিংদী কান্ডকে নারীর প্রতি সহিংসতা হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। যেখানে হাইকোর্ট নিজেই বলেছেন, " সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় না"

• ক্লিশে সেই টিপকান্ডের কথা এনেছে। যা বহু আগেই প্রমাণিত হয়েছে ওই মহিলার বানানো বলে। মাঝখানে নাজমুল নামের পুলিশ সদস্যের লাইফটাই এলোমেলো করে দেওয়া হলো।

■ প্রথম আলো এত মরিয়া চেষ্টা কেন করছে?

• প্রথম আলো একটি মৌলিক আইনগত ও সাংবিধানিক পরিবর্তন চায়, যা ফেমিনিস্ট তথা সেক্যুলারদের পক্ষে থাকবে। লীগের আমলে পলিটিকাল কারণে এসব সামনে আনতে পারেনি। তারমানে এই নয় যে তারা চেষ্টা করেনি, সর্বোচ্চ করেছে।

• ইউনুসের সরকার অরাজনৈতিক, ফলে তাদের পলিটিকাল লাভক্ষতির হিসেবের দরকার নেই। কিন্তু প্রথম-আলোর প্রবলেম হয়েছে সদ্য ঘটা বিপ্লবের সিংহভাগটাতেই ইসলামপন্থীদের অংশগ্রহণ, এদেশীয় মুসলিমরাই এই বিপ্লবের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। তাই তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে কিছু করে প্রতিক্রিয়া ডেকে আনার কাজটা এখনি সরকার করতে চায় না।

• ফলে তারা অ্যাস্ট্রোটার্ফিং শুরু করেছে। নিজেদের এজেন্ডাকে জনতার এজেন্ডা হিসেবে প্রতিঠিত করতে চাইবে। এজন্য তারা একদফা ট্রায়াল দিয়েও ফেলেছে (এবং লজ্জ্বাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, নারীরা যা ইচ্ছে পরতে পারবে, এটা দেশের ৬০ শতাংশ মানুষই মানেন না।

প্রথম আলোর আগের অ্যাপ্রোচগুলো দুর্বল, এবারেরটাও ব্যার্থ হবে।

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:23


নিচের পোস্টে পড়ুন 👇👇👇

Ahmad Khan Articles

09 Oct, 17:18


আসছে কয়েক মিনিট পর

Ahmad Khan Articles

06 Oct, 19:13


মেয়েদের বেলায় অন্ততঃ তার বাবার ফ্যামিলিটা রয়েছে। তাদের কাছে হেল্প চাইতে পারে, পরামর্শ নেয়। ছেলে যাবে কোথায়? একটা মানিব্যাগ কেনার আগেও যেই বাবাকে জানানো যেত সেখানে তাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না।

মা জ্বর হলে ছেলের আগে টের পান, অথচ এই ব্যালান্স করতে গিয়ে ছেলে যে তীব্র যন্ত্রণায় মানসিক রোগী হবার পথে, মা বুঝতেই চান না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, মা ছেলের কাছে ফোন করেছে। রিসিভ হয়নি। মা বললো, দেখেছিস, বিয়ের পর কেমন কথা বলা বাদ দিয়েছে। আমি বললাম, আচ্ছা, বিয়ের আগে ফোন না ধরলে কী মনে করতেন? বললেন, হয় মিটিঙয়ে আছে, কিংবা গাড়িতে। বললাম, একই ঘটনা কী এখনও ঘটতে পারে না?

বউ মানবে না, মা-বাবাকে কিছু বলা যায় না, ভাইয়েরাও ইন্টারেস্টেড পার্টি, তাদের বলা মানে ভাবীদের মুখ ঘুরে আরেক পরিস্থিতি। বিবাহিত ছেলেরা শেষমেষ আসে আমাদের মত বন্ধুদের কাছে। পরামর্শ চায়, এদিকে আমরা নিজেরাই ব্যাচেলর। সংসারে এক বছরের মাথায় হাঁপিয়ে উঠেছে, বলে তোর ওখান থেকে একদিন ঘুরে আসা যাবে?

বন্ধুদের যাদের সাথে এক মিনিটের বেশী কোনোদিন ফোনে কথা হয়নি, তাদের সাথেই এখন ২০-৩০মিনিট পার হয়ে যায়। সবার একই ইস্যু।

থাম্বনেইলে যে ছবিটা দিয়েছি এটার সাথে একটা সত্য ঘটনার সম্পর্ক আছে।
মাঠের পাশে এভাবে গাছতলায় বসে আমাকে ফোন করতো। মা-বৌ দুইজন দুই ঘরে মন খারাপ করে বসে আছে, দুজনের কাছেই সে ভিলেন। এমন একটা অবস্থা, লাইফের আপন মানুষদের বলা যায় না, মা-বৌ বুঝতে চায় না, নিজের ভাইকেও বলা যায় না - ভাই নিজেও এক পক্ষ। শেষমেষ ভরসা বন্ধুরা।

ওকে বললাম, তোর সাথে যেসব ইস্যু নিয়ে কথা হয় সেগুলো নিয়ে কিছু একটা লিখি। থাম্বনেইলটা ওর সামনেই বানানো।

■■ আধুনিক মায়েদের ডুয়ালিটি

ছেলের বৌয়ের বেলায় কারারক্ষীর মত হলেও একটা ব্যাপারে মায়েদের আচরণ পুরো উল্টো। সেটা হলো ছেলের গার্লফ্রেন্ড। অনেক ফ্যামিলিতে দেখেছি, মা ছেলের গার্লফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলে। সে কি হৃদ্যতার সম্পর্ক!
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রথম আলো শিরোনাম করেছিলো, মা তার ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বলছে, 'আমার পাগলটারে দেখে রাইখো মা'

ছেলে প্রকাশ্য ব্যাভিচারে জড়িয়ে রয়েছে, মা উলটো উৎসাহ দিচ্ছে! এই মা-ও নাকি সংসারে শান্তি চায়!

এবার ভাবুন তো এই মেয়েটাই যখন তার পুত্রবধু হচ্ছে তখন তার ওই ক্রিম মাখানো আচরণ কোথায় পালালো? মমতাময়ী মা থেকে হয়ে উঠলেন কম্পিটিটর শাশুড়ী!

শুধু ফ্যামিলিতে মা-ভাবীর ক্যাচাল দেখেও বহু ছেলে বিয়ের আগ্রহ হারাচ্ছে।

এক সিনিয়রকে বলা হলো বিয়ে করেন না কেন? বলল, মা আমাকে এখনও খাইয়ে দেয়। মা ওর সাথে আমি বাদেই অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলে। একদিকে আমার সেক্সুয়াল লাইফ ঠিকঠাক, কোনো দায়িত্ব নেই-গ্যাঞ্জাম নেই, মায়ের আদরও পাচ্ছি। আমি জানি বিয়ের পরদিনই এসব উধাও হয়ে যাবে। সেধে এই লাইফ হারাতে যাবো কেন?

মানে বিয়েকে ঠিক আর কত কঠিন করা হবে!

■■ সংসার শিখবো কোথায়? উদাহরণ সামনেই আছে

কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার পেলাম প্রি-ম্যারেজ কোর্স এবং কাউন্সেলিংয়ের উপর

> ইরানে ১৯৯৩ সাল থেকে গ্রাজুয়েশন লেভেলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রি-ম্যারেজ কোর্স ও কাউন্সেলিং করানো হয়। এসব কোর্সের টপিক থাকেঃ
- স্বাস্থ্য,
- ধর্মীয় ও আইনি বিধান,
- বিবাদ মেটানো,
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও
- কমিউনিকেশন স্কিল।
কোর্সগুলো তৈরি করা হয় অত্যন্ত অভিজ্ঞ কিছুর প্রফেসর এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেশনালদের দিয়ে।
একটা রিসার্স পেপার পেলাম, যেখানে দেখিয়েছে কিভাবে এসব কোর্স ডিভোর্সের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়েছে।

> মালেশিয়াতেও সিমিলার কোর্স রয়েছে। এছাড়া ভার্সিটিভিত্তিক নানান সংগঠন এরকম ওয়ার্কশপ ও কোর্সের আয়োজন করে। একটা কোর্সের পোস্টারের ছবি দেখলে আইডিয়া পাবেন।

> বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ে এই ধরনের প্রি-ম্যারেজ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি এখনই কিছু সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।

> যারা শাশুড়ী হতে যাচ্ছেন তাদের জন্য ছেলে-মেয়ের বিয়ের আগে অবশ্যই তাদের করণীয় সম্পর্কিত কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশে ফ্লোর মোছার জন্যও কোর্স আছে, কিন্তু শ্বাশুড়ি হওয়াটা নারীরা শিখছে কোথায়? তাদের মনগড়া কাজের কারণে পুত্রবধু তো বটেই, ছেলের উপরও মারাত্মক জুলুম করেন। যা তাদের নিজেদেরকেও মানসিক শান্তি দেয় না। এই ধরণের আয়োজন সব পক্ষের জন্যই উইন-উইন হবে।

> সর্বশেষ, বিয়ের প্রস্ততিতে সবাই যে পার্টটা স্কিপ করে যায় সেটা হলো বাচ্চার কেয়ার। বিয়ের পর ইভেনচুয়ালি বাচ্চা হবেই। ইউনিভার্সিটি পাশ গর্বিত মা-ও দেখা যায় বাচ্চার নিউট্রিশন ও সাইকোলজি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান নেই, সারাদিন বাচ্চাকে ভাত গেলানোর ট্রাই করে যাচ্ছে। এটাও শিখতে হবে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।